Tag: Election Commission

Election Commission

  • Election Commission: ইভিএম কতটা ভরসাযোগ্য? উত্তর পেতে মক পোলের ব্যবস্থা করছে নির্বাচন কমিশন

    Election Commission: ইভিএম কতটা ভরসাযোগ্য? উত্তর পেতে মক পোলের ব্যবস্থা করছে নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের ফল বেরোলে বহু ক্ষত্রে পরাজয়ের জন্য প্রার্থীরা ইভিএম মেশিনকে দায়ী করেন। বলা হয়, তাতে কারচুপির জন্যই হার মানতে হয়েছে। সেই অভিযোগ দূর করতে ইভিএম মেশিনগুলো কতটা গ্রহণযোগ্য , তা দেখার জন্য মক পোলের (Mock Poll) আয়োজন করল নির্বাচন কমিশন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতোই এই আয়োজন করেছে কমিশন। কিন্তু তাতে প্রার্থীদের তেমন সাড়া মিলছে না বলে কমিশন (Election Commission) সূত্রে খবর। 

    কীভাবে হবে মক পোল (Election Commission)

    এই মক পোলের (Mock Poll) ক্ষেত্রে ভোটদানের সময় ইভিএমের কন্ট্রোল ইউনিট, ব্যালট ইউনিট এবং ভিভিপ্যাট মেশিন পাশাপাশি বসাতে হবে। সবগুলিই সংশ্লিষ্ট প্রার্থী বা তাঁর প্রতিনিধি ব্যবহার করবেন। নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) আধিকারিকেরা শুধু পর্যবেক্ষকের ভূমিকায় থাকবেন। ভিভিপ্যাটের কাগজও গোনা হবে সকলের সামনে। 

    কী বলেছিল শীর্ষ আদালত

    ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ নিয়ে বিরোধীরা বারবার সরব হয় বলে, এবার ভোটের আগেই সুপ্রিম কোর্ট ইভিএম কতটা ভরসাযোগ্য নির্বাচন মেটার পরও সে ব্যাপারে পরীক্ষা নিরীক্ষার সুযোগ দেওয়ার কথা বলেছিল। ইভিএম কতটা ভরসাযোগ্য, তাতে আদৌ কারচুপি সম্ভব কিনা তা খতিয়ে দেখতে ভোটের আগে একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রটোকল তৈরি করে দিয়েছিল আদালত। সেই সঙ্গে সর্বোচ্চ আদালত আরও বলে, নির্বাচনের ফল বেরোনোর পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারী প্রার্থীরা তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্রে ব্যবহৃত ইভিএমের বাছাই করা কয়েকটিতে ১৪০০টি করে ভোট দিতে পারবেন। প্রার্থীর পরিবর্তে তাঁর কোনও প্রতিনিধিও এই ভোট দিতে পারবেন বলে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

    আরও পড়ুন: ভারতীয় ডাক বিভাগে ৪৪ হাজার কর্মী নিয়োগ! জেনে নিন কীভাবে আবেদন করবেন

    প্রার্থীদের অনীহা (Mock Poll)

    শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মতো কমিশন (Election Commission) সবকিছু ব্যবস্থা করলেও প্রার্থীদের মধ্যে এই পদক্ষেপ করতে অনীহা চোখে পড়েছে। তাঁরা মুখে অভিযোগ করলেও এখনও পর্যন্ত মাত্র আটজন প্রার্থী নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করেছেন। তাঁরা সকলেই ওডিশা ও অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা। ওই দুই রাজ্যে লোকসভার সঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনও হয়েছে। আট জন বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হয়েছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • By Election: মানিকতলা সহ রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন, তারিখ জানাল কমিশন

    By Election: মানিকতলা সহ রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন, তারিখ জানাল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচন শেষ হতেই রাজ্যে ফের ভোট। চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের (By Election) দিনক্ষণ জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। এই চারটি কেন্দ্র হল, নদিয়ার রানাঘাট দক্ষিণ, উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা, কলকাতার মানিকতলা এবং উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ। প্রায় দু’বছর পর এবার বিধায়ক পেতে চলেছে মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্র। আগামী ১০ জুলাই ভোটগ্রহণ হবে এখানে। 

    উপনির্বাচনের দিন

    কলকাতার মানিকতলা-সহ রাজ্যের আরও তিন কেন্দ্রে আগামী ১০ জুলাই উপনির্বাচন (By Election) হবে। ভোটগণনা হবে ১৩ জুলাই। ২১ জুন মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। ২৪ জুন স্ক্রুটিনি হবে। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৬ জুন। ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও দেশের আরও ছ’টি রাজ্যের ন’টি কেন্দ্রে আগামী ১০ জুলাই উপনির্বাচন হবে। ভোট হবে বিহার, তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশ, পঞ্জাবের একটি করে কেন্দ্রে। হিমাচল প্রদেশের তিনটি এবং উত্তরাখণ্ডের দু’টি কেন্দ্রেই এই দিনক্ষণ অনুযায়ী উপনির্বাচন হবে।

    কোন কোন কেন্দ্রে ভোট

    রায়গঞ্জে ২০২১ সালের ভোটে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। পরে তিনি তৃণমূলে যান। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে তাঁকে প্রার্থীও করে তৃণমূল। লোকসভা ভোটে লড়ার আগে বিধায়ক পদ থেকে কৃষ্ণ কল্যাণী ইস্তফা দেন। তাই রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে। রানাঘাট দক্ষিণও বিজেপির কেন্দ্র ছিল ২০২১ সালের ভোটে। জিতেছিলেন মুকুটমণি অধিকারী। তবে তিনিও লোকসভা ভোটের মুখে তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁকেও তৃণমূল লোকসভার প্রার্থী করে। বিধায়ক পদ থেকে সে সময়ই ইস্তফা দিয়েছিলেন মুকুটমণি। সেই কেন্দ্রে এবার উপনির্বাচন। বাগদার বিধায়ক ছিলেন বিশ্বজিৎ দাস। তিনিও বিজেপির টিকিটে জিতে বিধায়ক হন ২০২১ সালে। পরে তিনি তাঁর পুরনো দল তৃণমূলে ফিরে যান। বনগাঁ লোকসভায় তাঁকে প্রার্থীও করে তৃণমূল। বাগদার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ভোটে লড়েন তিনি। সেখানেও এবার ভোট হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: ঘামে প্যাচপ্যাচ! জ্যৈষ্ঠের গরমে জেরবার জনজীবন, স্বস্তির বৃষ্টি কবে?

    মানিকতলায় ভোট

    গত বিধানসভা নির্বাচনে কলকাতার মানিকতলা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা, অধুনা প্রয়াত সাধন পাণ্ডে। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সাধন ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মারা যান। কিন্তু তার পর দীর্ঘ দিন মানিকতলা বিধায়কহীন থাকলেও সেখানে উপনির্বাচন হয়নি। কারণ, গত বিধানসভায় এই কেন্দ্রের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে কলকাতা হাইকোর্টে ‘ইলেকশন পিটিশন’ দাখিল করেছিলেন। সম্প্রতি তিনি মামলা প্রত্যাহার করে নেন। আইনি জটিলতা কেটে যাওয়ায় এ বার মানিকতলায় উপনির্বাচন (By Election) হতে চলেছে, বলে জানাল কমিশন (Election Commission)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Delhi Lok sabha election: দিল্লিতে ৯০ শতাংশের বেশি প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত!

    Delhi Lok sabha election: দিল্লিতে ৯০ শতাংশের বেশি প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে লোকসভা (Delhi Lok sabha election) আসনের সংখ্যা মাত্র সাতটি। কিন্তু দেশের ক্ষমতায় থাকার জন্য রাজধানীতে নিজেদের অবস্থান ভালো রাখতে চায় যে কোনও রাজনৈতিক দলই। সে ধারাবাহিকতায় কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টির (আপ) জোটকে পেছনে ফেলে এবারের লোকসভা ভোটে দিল্লির ৭ আসনেই জয়ী হল বিজেপি। দেশের বেশির ভাগ রাজ্যে ইন্ডি জোট ভালো ফল করলেও দিল্লিতে (Delhi) কিন্তু দাঁত ফোটাতে পারেনি তারা। ফলাফল এতটাই হতাশা জনক হয় যে ৯১ শতাংশ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। অর্থাৎ রাজধানীতে অবস্থান ধরে রাখার লড়াইয়ে এবার এগিয়ে গেল বিজেপি।  
    নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনে দিল্লির সাতটি আসনের ১৬২ জনের মধ্যে ১৪৮ জন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত (security deposits) হয়েছে। এর মধ্যে চাঁদনি চক থেকে ২৩ জন, নিউ দিল্লি থেকে ১৫ জন, দক্ষিণ দিল্লি থেকে ২০ জন, পূর্ব দিল্লি থেকে ১৮ জন, পশ্চিম দিল্লি থেকে ২২ জন, উত্তর পূর্ব দিল্লি থেকে ২৬ জন এবং উত্তর পশ্চিম দিল্লি থেকে ২৪ জন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।    

    কী কারনে এই সিদ্ধান্ত? (Delhi Lok sabha election)  

    নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুসারে, একজন প্রার্থীকে তাঁর জামানত রক্ষার জন্য নির্বাচনী এলাকার মোট ভোটের কমপক্ষে এক-ষষ্ঠাংশ অর্থাৎ ১৬.৬৭ শতাংশ ভোট অর্জন করতে হবে। তা না হলে সাধারণের জন্য ২৫,০০০টাকা এবং তফসিলি জাতি প্রার্থীদের জন্য ১২,৫০০ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হবে। আসলে নির্বাচনী আইনে প্রার্থী হওয়াতে কোনও সংখ্যা বেঁধে দেওয়া নেই। তবে ইচ্ছামতো বা সখে প্রার্থী হওয়া আটকানোর একমাত্র উপায় হল, জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া। অর্থাৎ নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা অর্থ ফেরত না পাওয়া। এবার নির্বাচন কমিশনের সেই আইনেই দিল্লির ৯১ শতাংশ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: উত্তরে ভারী বৃষ্টি আর দক্ষিণে চরম অস্বস্তি! আবারও ঊর্ধ্বমুখী তাপমাত্রার পারদ

    সাত আসনেই জয়ের ধারা অব্যাহত বিজেপির

    প্রসঙ্গত, এ বার দিল্লিতে (Delhi) ৪-৩ সমীকরণে আসন সমঝোতা হয়েছিল আপ এবং কংগ্রেসের মধ্যে। তা-ও আবার একেবারে শেষ মুহূর্তে। ছাড়বে না, ছাড়বে না করেও আপ শেষমেশ কংগ্রেসকে ৩টি আসন দিয়েছিল। আপ লড়েছিল ৪টি আসনে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল আপ এবং কংগ্রেস কেউই খাতা খুলতে পারল না। সবকটি আসনে (Delhi Lok sabha election) জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল বিজেপিই।
    উল্লেখ্য, সাতটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীদের (Delhi Lok sabha election) মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে বিজেপি, দ্বিতীয় স্থানে ইন্ডি জোট আর তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন বিএসপির প্রার্থীরা। ১৪ জন বিজয়ী এবং দ্বিতীয় স্থানাধিকারী ছাড়া অন্য প্রার্থীদের কেউই ২০,০০০ ভোটের সংখ্যা অতিক্রম করতে পারেনি। চাঁদনি চক থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী অশোক কুমার গুপ্ত মাত্র ১৪০ ভোট পান, যা সাতটি আসনে ভোটের সংখ্যার মধ্যে সর্বনিম্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: নিরাপত্তা দিতে হবে কাউন্টিং এজেন্টদের পরিবারকেও, ফরমান নির্বাচন কমিশনের

    Lok Sabha Elections 2024: নিরাপত্তা দিতে হবে কাউন্টিং এজেন্টদের পরিবারকেও, ফরমান নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই বের হবে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Elections 2024) ফল। ভোট গণনাকেন্দ্রে হিংসা রুখতে বেনজির নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের। কমিশনের তরফে নির্দেশ, কাউন্টিং এজেন্টদের পরিবারকেও নিরাপত্তা দিতে হবে। কাউন্টিং এজেন্টকে হুমকি দেওয়া হলে ব্যবস্থা নেবে স্থানীয় পুলিশ। তাঁদের নিরাপত্তার যাবতীয় ব্যবস্থা করতে হবে পুলিশকেই।

    নিরাপত্তার ব্যবস্থা (Lok Sabha Elections 2024)

    সব দলের কাউন্টিং এজেন্টই যাতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা পান, তার ব্যবস্থাও করতে হবে। সোমবার বৈঠক ডেকেছিল নির্বাচন কমিশন। সেখানেই পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি লোকসভা আসনের ভোটগণনা যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায়, তা নিয়েই বসেছিল বৈঠক। কমিশনের ডাকা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সব লোকসভা কেন্দ্রের ডিইও, সিপি কিংবা এসপিরা (Lok Sabha Elections 2024)। সেই বৈঠকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে গুচ্ছ নির্দেশিকার কথা।

    আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নজর

    জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, ৪ জুন ভোটগণনা মিটে গেলেও, রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে তার পরেও আরও দু’দিন। এদিন কমিশনের নির্দেশ, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে স্থানীয় প্রশাসনকে। গণনাকেন্দ্রের নিরাপত্তা বজায় রাখতে ইতিমধ্যেই মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ব্যবস্থা করা হয়েছে কড়া নিরাপত্তার। সূত্রের খবর, বৈঠকে বলা হয়েছে, নন্দীগ্রামের পুনরাবৃত্তি চায় না নির্বাচন কমিশন। গণনা চলাকালীন বিদ্যুৎ সরবরাহ যেন নিরবচ্ছিন্ন থাকে। বিদ্যুৎ সরবরাহে যাতে বিঘ্ন না ঘটে, তাই গণনাকেন্দ্রে বাড়তি জেনারেটরের ব্যবস্থা করার নির্দেশও দিয়েছে কমিশন।

    আর পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন কবে, জানিয়ে দিলেন রাজীব কুমার

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনে গণনা চলাকালীন নন্দীগ্রামে আচমকাই লোডশেডিং হয়ে যায়। এই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। শুভেন্দুর কাছে গোহারা হারেন খোদ তৃণমূল নেত্রী। যদিও প্রথমে তাঁকেই জয়ী বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে অবশ্য শুভেন্দুকেই জয়ী ঘোষণা করা হয়। এনিয়ে মীমাংসা এখনও হয়নি। তবে পরে কলকাতার একটি কেন্দ্রে জিতে ফের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন মমতা। এদিন ঘণ্টাখানেকের এই বৈঠকে উঠে আসে নন্দীগ্রামের গণনাকেন্দ্রে লোডশেডিংয়ের প্রসঙ্গও। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র ডেপুটি ইলেকশন কমিশনারের মুখেই উঠে আসে ওই প্রসঙ্গ। তার পরেই দেওয়া হয় গণনাকেন্দ্রে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Rajiv Kumar: জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন কবে, জানিয়ে দিলেন রাজীব কুমার

    Rajiv Kumar: জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন কবে, জানিয়ে দিলেন রাজীব কুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই হয়ে যাবে জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভার নির্বাচন। লোকসভা নির্বাচন চলাকালীনই একথা জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি এ-ও জানিয়েছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার আগেই (সেপ্টেম্বরের মধ্যেই) শেষ হবে উপত্যকার নির্বাচন। তবে জম্মু-কাশ্মীরে ঠিক কবে হবে বিধানসভার নির্বাচন, এবার তা জানিয়ে দিলেন জাতীয় মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার (Rajiv Kumar)। তিনি জানিয়েছেন, শীঘ্রই আয়োজন করা হবে ওই নির্বাচনের। প্রসঙ্গত, ভূস্বর্গে শেষবার বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল ২০১৪ সালে।

    সাংবাদিক বৈঠকে রাজীব (Rajiv Kumar)

    সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজীব। সেখানেই তিনি জানান, কাশ্মীরে এবার ভোটের হার বেড়েছে তাৎপর্যপূর্ণভাবে। রাজীব বলেন, “উপত্যকার মানুষ গণতন্ত্রের মাধ্যমে নিজেদের ভবিষ্যৎ ঠিক করতে প্রস্তুত।” এর পরেই তিনি বলেন, “জম্মু-কাশ্মীরে আমরা খুব শীঘ্রই বিধানসভা নির্বাচনের আয়োজন করতে চলেছি। সেখানে লোকসভায় যে হারে মানুষ ভোট দিয়েছেন, তাতে আমরা উৎসাহিত।” জম্মু-কাশ্মীরে লোকসভার আসন রয়েছে পাঁচটি। জম্মুতে ভোট পড়েছে ৫৮.৫৮ শতাংশ। আর কাশ্মীরে ৫১.০৫ শতাংশ। রাজীব (Rajiv Kumar) বলেন, “চার দশকের মধ্যে এবার লোকসভা নির্বাচনে জম্মু-কাশ্মীরে ভোট পড়েছে সর্বোচ্চ, শতাংশের হিসেবে ৫৮.৫৮।”

    ভূস্বর্গে শেষ ভোট

    ২০১৪ সালের শেষের দিকে শেষ বারের মতো বিধানসভা নির্বাচনে ভোট দিয়েছিলেন ভূস্বর্গের মানুষ। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয়বার দিল্লির তখতে ফিরে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ নম্বর ধারা বাতিল করে দেয় মোদি সরকার। এই ধারার বলে ভূস্বর্গ ভোগ করত বিশেষ অধিকার। সেই সময় বিলোপ করা হয়েছিল রাজ্যের মর্যাদাও। যদিও রাজনৈতিক অচলাবস্থার জেরে তার বছর তিনেক আগেই ভেঙে দেওয়া হয়েছিল বিধানসভা। জারি হয়েছিল রাষ্ট্রপতি শাসন। তার পর থেকে এখনও পর্যন্ত বিধানসভার নির্বাচন হয়নি উপত্যকায়। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পায়নি জম্মু-কাশ্মীর।

    আর পড়ুন: “ধ্যানের মধ্যেও নিরন্তর ভেবেছি উজ্জ্বল ভারতের ভবিষ্যৎ নিয়ে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    কেবল বিধানসভা নয়, অন্য কোনও ভোটও হয়নি উনিশের লোকসভা নির্বাচনের পর। দীর্ঘদিন পর এবার লোকসভা নির্বাচনে তাই হাত উপুড় করে ভোট দিয়েছেন উপত্যকাবাসী। যার জেরে উৎসাহিত কেন্দ্রের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনও (Rajiv Kumar)। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যেই জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন করতে হবে বলে আগেই নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Election 2024: বাংলার ৫৫ গণনাকেন্দ্রেই ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা! ভোটগণনাকে ঘিরে তৎপর কমিশন

    Lok Sabha Election 2024: বাংলার ৫৫ গণনাকেন্দ্রেই ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা! ভোটগণনাকে ঘিরে তৎপর কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাত দফায় রাজ্যের ৪২টি কেন্দ্রেই ভোট (Lok Sabha Election 2024) শেষ হয়েছে। এ বার ভোটগণনার পালা। আগামী ৪ জুন ভোটের ফল প্রকাশ। রাজ্যে বিভিন্ন দলের মোট ৫০৭ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে মঙ্গলবার। প্রতিবারের মতো এ বারেও গণনাকেন্দ্রগুলিতে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার বন্দোবস্ত (Counting Preparations) রাখছে নির্বাচন কমিশন। সিসি ক্যামেরায় ২৪ ঘণ্টা চলছে নজরদারি। গণনা কেন্দ্রগুলিতে থাকবেন মাইক্রো অবজার্ভার-সহ ২৫ হাজার গণনাকর্মী।   

    নিরাপত্তার দায়িত্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Counting Preparations) 

    কমিশন সূত্রে খবর, ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার মধ্যে প্রথম স্তরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। দ্বিতীয় স্তরে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনী। আর শেষ স্তরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন স্থানীয় থানার পুলিশ আধিকারিকেরা। জানা গিয়েছে শুধু গণনাকেন্দ্রগুলিতেই নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হচ্ছে ৯২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।

    আরও পড়ুন: শরীরের পক্ষে ডিম কতটা স্বাস্থ্যকর? জেনে নিন এর কিছু উপকারিতা

    পোস্টাল ব্যালটের পর ইভিএমের ভোট গণনা 

    রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনে ভোট (Lok Sabha Election 2024) গণনার জন্য মোট ৫৫টি কাউন্টিং সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। ৪১৮টি গণনাকক্ষে থাকছে ৪,৯৪৪টি টেবিল। সর্বোচ্চ ২৩ রাউন্ড ভোটগণনা হতে পারে। আর সবচেয়ে কম ৯ রাউন্ড। গড়ে প্রতিটি কেন্দ্রে ১৭ রাউন্ড করে ভোটগণনা হবে। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যে তিন লক্ষেরও বেশি ভোটদাতা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়েছেন। আগে পোস্টাল ব্যালটের ভোট গ‌োনার পর ইভিএমের মাধ্যমে পড়া ভোটের গণনা শুরু হবে।
    উল্লেখ্য, এবছর নির্বাচন চলাকালীন অশান্তির খবর উঠে এসেছে বিভিন্ন জায়গা থেকে। কিছু কিছু এলাকায় ভোটে (Lok Sabha Election 2024) কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচন মিটে যাওয়ার পরও রাজ্যে অশান্তি অব্যাহত। এক বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগও উঠেছে। আর সেই আবহেই মঙ্গলবার নির্বাচনের ফলপ্রকাশ। তাই বিভিন্ন জায়গায় স্ট্রং রুম তৈরি করে ব্যালট বাক্স রাখা হয়েছে। চার পাশে রয়েছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ভোট শেষে রণক্ষেত্র সন্দেশখালি, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, রাস্তা অবরোধ

    Sandeshkhali: ভোট শেষে রণক্ষেত্র সন্দেশখালি, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, রাস্তা অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের শেষ বেলায় সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali)  নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়। তৃণমূলের চোখ রাঙানির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় মহিলারা। দীর্ঘদিনের অত্যাচারের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইতে পুলিশ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টির অভিযোগ ওঠে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। সব মিলিয়ে এদিন দফায় দফায় তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Sandeshkhali) 

    সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) এক তৃণমূল সমর্থকের বাড়িতে বোমাবাজির অভিযোগে আটক ব্যক্তির মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রামবাসীরা। পরে, বাসন্তী হাইওয়েতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান মহিলারা। গ্রামবাসীদের দাবি, ধৃত ব্যক্তি নির্দোষ। প্রায় আধ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে বিক্ষোভ। পরে পুলিশ সেই বিক্ষোভ হঠাতে গেলে, ইটবৃষ্টি শুরু হয় এলাকায়। কার্যত খণ্ডযুদ্ধের আকার নেয় চেহারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হল, তা জানতে চান তিনি। পুলিশের তরফে জানানো হয়, আইন- শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতেই তাঁরা এই পদক্ষেপ করেছেন। যদিও সেই যুক্তি মানতে নারাজ বিজেপি প্রার্থী।

    শাহজাহান বাহিনীর দোসর হয়েছে পুলিশ!

    সকাল থেকেই চাপা উত্তেজনা ছিল সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) । তার মধ্যেই বেলা যত গড়াতে থাকে ততই উত্তেজনা বাড়তে থাকে। স্থানীয় মহিলাদের একাংশের দাবি, শেখ শাহজাহানের বাহিনী এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ভোট দিতে বাধা দিচ্ছে। তাদেরই দোসর হয়েছে পুলিশ। তবে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় জনতা। দুপুরে ফের ইটবৃষ্টি হয়। পালটা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এদিন সন্দেশখালির রাস্তায় বেরিয়ে আসেন মহিলারা। তাঁদের দাবি, পুলিশ আমাদের দিকে ইঁট ছুঁড়ছিল। তার আঘাতে এক মহিলা আহত হন। তবে পুলিশ এই অভিযোগ মানতে চায়নি। পুলিশের দাবি, পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন ওই মহিলা।

    পুলিশকে ধমক দেন বিজেপি প্রার্থী!

    এদিকে ঘটনার খবর পেয়েই এলাকায় চলে আসেন বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। তিনি পুলিশকে সামনে দেখেই চিৎকার শুরু করে দেন। তিনি বলেন, লজ্জা করছে না আপনাদের। আপনারা মুখ্যমন্ত্রীর কেনা গোলামের মতো কাজ করছেন। এখন আপনারা মুখ লুকানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু জনতা আপনাদের আসল রূপ ধরে ফেলেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Baranagar: বরানগরে কার্যালয় ভাঙচুর, রক্ত ঝরল কর্মীর, আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থী, হাত গুটিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী!

    Baranagar: বরানগরে কার্যালয় ভাঙচুর, রক্ত ঝরল কর্মীর, আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থী, হাত গুটিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল বরানগর। বিভিন্ন বুথে তৃণমূলের বহিরাগতদের দাপাদাপি লেগেই ছিল। বহু বুথে বিজেপির এজেন্ট বসতে না দেওয়ার অভিযোগ ছিল। ভোটের শেষ বেলায় বরানগরে (Baranagar) বিজেপির পাটি অফিসে ঢুকে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এমনকী বরানগর বিধানসভা উপ নির্বাচনের বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষের ওপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের সন্ত্রাস নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    বরানগরে কার্যালয় ভাঙচুর, রক্ত ঝরল কর্মীর, আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থী (Baranagar)

    এদিন বরানগরে (Baranagar) বিজেপির কার্যালয়ে কয়েকজন কর্মী-সমর্থক বসেছিলেন। আচমকা তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা দল বেঁধে ছুটতে ছুটতে এসে  পার্টি অফিসের ভিতরে  ঢোকেন। এরপরই পার্টি অফিসে থাকা কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়। ভাঙচুর  করা হয় আসবাবপত্র।  মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বিজেপি কর্মীর। অন্যদিকে, বরানগরের রবীন্দ্র ভবনে ১০২ নম্বর বুথে এদিন ভুয়ো ভোটারকে তাড়া করেন বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষ। আলমবাজারে ভুয়ো ভোটার ধরার পরই তৃণমূলীদের হাতে আক্রান্ত হন বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষ। বরানগরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচি।

    কেন্দ্রীয় বাহিনী অপদার্থ!

    বরানগরে (Baranagar) পার্টি অফিসে ভাঙচুরের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সজল ঘোষ। তিনি সরাসরি কেন্দ্রীয় বাহিনীর দিকে গর্জে উঠে বলেন, আমাদের পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালাবে। বুথ দখল করবে। সবকিছু লুট করবে তৃণমূল, তাহলে আপনাদের থেকে আমাদের কী সুবিধা হচ্ছে? আপনারা তো ওখানে উপস্থিত ছিলেন। আপনার একজন তো পালিয়েও গেল! ‘কী করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী? কী বলবেন আপনি?’ কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিক কোনও মুখ খোলেননি। পরে, সজলবাবু বলেন, সেন্ট্রাল বাহিনী অপদার্থ।

    বুথের সামনে তৃণমূলের জমায়েত!

    এদিন সকাল থেকেই বরানগর জুড়ে বুথে বরিরাগতরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল। বেলা বাড়তেই বুথের বাইরে তৃণমূল কর্মীদের জমায়েত বাড়তে থাকে। জানা গিয়েছে, বরানগর পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিকেসি কলেজের বুথের কাছেই তৃণমূল বেআইনিভাবে জমায়েত করে বলে অভিযোগ। বিষয়টি জানতে পেরে দমদমের বিজেপি প্রার্থী শীলভদ্র দত্ত সেখানে গেলে তৃণমূলের বাহিনী তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। পরে, পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে ভোট লুট করল তৃণমূল! ভাঙচুর করা হল বাইক, রক্ত ঝরল বিজেপি নেতা-কর্মীর

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে ভোট লুট করল তৃণমূল! ভাঙচুর করা হল বাইক, রক্ত ঝরল বিজেপি নেতা-কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ দফা ভোটে দেশবাসীর নজর রয়েছে সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali)। বসিরহাট লোকসভার এই বিধানসভায় শুক্রবার রাত থেকে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে অত্যাচার করার অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসীরা। শনিবার সকাল থেকেও সন্দেশখালি এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পাশাপাশি বসিরহাট লোকসভার হিঙ্গলগঞ্জ, মিনাখাঁয় বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হন। তৃণমূলের পক্ষ থেকে এদিন সকাল থেকে বিজেপি কর্মী-এজেন্টদের ওপর হামলা চালানো হয়।

    সন্দেশখালিতে ভাঙচুর করা হল বাইক, রক্ত ঝরল বিজেপি কর্মীর (Sandeshkhali)

    ভোটের আগের রাতে ফের একবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) । ফের একবার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন গ্রামবাসীরা। পাল্টা টহল দেওয়ার সময় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পুলিশের ছদ্মবেশে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে তৃণমূল। বিজেপির এই অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছে রাজ্যের শাসক দল। অন্যদিকে, শনিবার ভোট শুরু হতেই ফের অশান্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি। জানা গিয়েছে, সন্দেশখালির বয়রামারি এলাকায় এক বিজেপি কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মেরে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। এলাকায় ন্যাজাট থানার ওসি গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। জানা গিয়েছে, সন্দেশখালির বয়রামারির একটি বুথে তৃণমূল ছাপ্পা ভোট করছিল। বিজেপি কর্মী গিয়ে তার প্রতিবাদ করেন। এরপরই তাঁর ওপর বেপরোয়াভাবে হামলা চালানো হয়।

    মিনাখাঁয় রক্ত ঝরল বিজেপি কর্মীর

    এক বিজেপি কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। ঘটনাটি ঘটেছে মিনাখাঁ বিধানসভার কালিনগর গ্রামের ৫৫ নম্বর বুথে। বিজেপি কর্মী  মনত মণ্ডল বলেন, আমি পঞ্চান্ন নম্বর বুথে বিজেপি এজেন্ট বসিয়ে বাড়িতে ফিরছিলাম। ঠিক সেই সময় আমাকে মারধর করে তৃণমূলের লোকজন। অন্যদিকে, হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে হাড়োয়া এক নম্বর ব্লক তৃণমূল যুব সম্পাদক তরিকুল ইসলাম বলেন, বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র হেরে যাবেন। তাই, বিজেপি মিথ্যা নাটক করছে। তৃণমূল কোনওদিন মারামারির রাজনীতি করে না। জানা গিয়েছে, আহত বিজেপি কর্মীর হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়।  

    হিঙ্গলগঞ্জে আক্রান্ত বিজেপি নেতা

    হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের একাধিক বুথে বিজেপির এজেন্ট বসতে দেয়নি তৃণমূল। হিঙ্গলগঞ্জের মণ্ডল সভাপতি পুষ্পেন্দু রায় একাধিক বুথে এজেন্ট বসাতে গেলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্ত হন বিজেপি কর্মীও। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্ত বিজেপি নেতাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একজন বিজেপি কর্মীর চোট গুরুতর হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Baranagar: খড়দায় বিজেপি নেতাকে মার, গাড়়ি ভাঙচুর, বরানগরে সন্ত্রাস তৃণমূলের

    Baranagar: খড়দায় বিজেপি নেতাকে মার, গাড়়ি ভাঙচুর, বরানগরে সন্ত্রাস তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার দমদম লোকসভা ভোটের পাশাপাশি বিধানসভা উপনির্বাচনও রয়েছে বরানগরে (Baranagar)। আর এই বিধানসভায় লাগামছাড়া সন্ত্রাস করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। একাধিক বুথে বিজেপির এজেন্ট বসতে দেয়নি। সিপিএম প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্যের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। এমনকী কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। পাশাপাশি এই লোকসভার খড়দায় বিজেপি নেতাকে মারধর করে গাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

    বিজেপি এজেন্টকে বুথে বসতে বাধা! (Baranagar)

    বরানগরের (Baranagar) বনহুগলিতে বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষের এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, বুথের মধ্যে তৃণমূলের এক বহিরাগত ঢুকে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেন। যদিও তিনি নিজেকে সৌগত রায়ের এজেন্ট বলে দাবি করেন। তবে, এজেন্টের কোনও পরিচয় পত্র তিনি দেখাতে পারেননি। সংবাদ মাধ্যম তাঁকে ঘিরে ধরতেই তিনি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। এরপর এই বিষয় নিয়ে বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষ কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে। পরে, বুথের ভিতরেই বিজেপি প্রার্থীকে নানাভাবে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন তৃণমূলের এক কর্মী। তাঁর সঙ্গে সজলবাবু বচসায় জড়িয়ে পড়েন। জানা গিয়েছে, বিজেপির এজেন্ট বসতে না দেওয়ার খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে বুথ চত্বরের মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে এক সাংবাদিক আক্রান্ত হন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তোলেন।

    কী বললেন বিজেপি প্রার্থী?

    বিজেপি প্রার্থী (Baranagar) সজল ঘোষ বলেন, “ফর্মে স্ট্যাম্পের কথা কোথাও লেখা নেই। আর তৃণমূলের লোকজন স্ট্যাম্প ছাড়া ঢুকতে দেবে না। প্রিসাইডিং অফিসার মেনে নিচ্ছেন। তৃণমূলের লোকজন বাধা দিচ্ছে। তবে, যিনি আমাকে বাধা দিয়েছেন তিনি তৃণমূলের বহিরাগত। তাঁর নিজের কোনও কাগজ নেই। আমরা চেপে ধরতেই তিনি পালিয়ে যান। পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে এসব হচ্ছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। এখানেই শেষ নয়। ওই একই বুথে রাজ্য পুলিশকে দেখা গেল ভিতরে। আঙুল উঁচিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলেন। যদিও পুলিশ আধিকারিক জানান ভিতরে সব ঠিক আছে কি না জানার জন্য গিয়েছিলেন।

    খড়দায় বিজেপি নেতার গাড়ি ভাঙচুর

    দমদম লোকসভা কেন্দ্রের খড়দা বিধানসভার বিলকান্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের লেলিনগড় ২৩৭ নম্বর বুথে বিজেপির কলকাতা উত্তর শহরতলির সহ-সভাপতি শেখ রমজান আলিকে বাঁশ দিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এমনকী তাঁর গাড়িও ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।  এই ঘটনা নিয়ে বলতে গিয়ে আক্রান্ত বিজেপির উত্তর কলকাতা শহরতলির সহ-সভাপতি সেখ রমজান আলি বলেন, আমি দলীয় ক্যাম্পে বসেছিলাম। তৃণমূলের ছেলেরা এসে আমাকে বেধড়ক পেটায়। আমার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আগ্নেয়াস্ত্রের বাঁট আর বাঁশ দিয়ে আমাকে পিটিয়েছে। দমদম লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শীলভদ্র দত্ত বলেন, হেরে যাবে বুঝতে পেরেই তৃণমূল সন্ত্রাস চালাচ্ছে।

    বরানগরে আক্রান্ত বাম প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্য

    বাম প্রার্থীর সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল কাউন্সিলর। জানা গিয়েছে, শনিবার বরানগর (Baranagar) বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে সিপিএম প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্য ব্রহ্মানন্দ কেশবচন্দ্র কলেজের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যান। সেখানেই বরানগরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শান্তনু মজুমদারের সঙ্গে হাতাহাতি হয় তাঁর। দু’জনকে নিরস্ত করতে দৌড়ে আসেন দু’দলের কর্মী-সমর্থকেরা। তন্ময় ভট্টাচার্য বলেন, আমি বনহুগলি এলাকার ওই বুথ পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। কিন্তু, আমাকে দেখেই নাকি ‘চোর-চিটিংবাজ’ বলে চিৎকার করেন কাউন্সিলর এবং তাঁর অনুগামীরা। আমায় দেখে কাউন্সিলর বললেন, আপনি এখানে কেন? আমি পাল্টা বললাম আমি তো প্রার্থী, কিন্তু আপনি এখানে কেন? এখান থেকে চলে যান বলে ওরা হামলা চালায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share