Tag: Election Commission

Election Commission

  • Lok Sabha Election 2024: রাজ্য জুড়ে চাঞ্চল্য! ভোটের মুখে বাংলা থেকে উদ্ধার হাজারেরও বেশি বোমা

    Lok Sabha Election 2024: রাজ্য জুড়ে চাঞ্চল্য! ভোটের মুখে বাংলা থেকে উদ্ধার হাজারেরও বেশি বোমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ভোটের আবহ। ভোট আসতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলা। ভোটের (Lok Sabha Election 2024) মুখে গত এক মাসে বাংলা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে হাজারেরও বেশি বোমা। নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে বোমার পাশাপাশি বহু বিস্ফোরক পদার্থও উদ্ধার করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে দুশো কোটিরও বেশি টাকার সম্পত্তি। ফলে ভোটের দোরগোড়ায় এসে প্রতিনিয়ত রাজ্য থেকে এমন বেআইনি জিনিস উদ্ধারের খবরে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সাধারণ জনগণের মধ্যে।

    কী কী জিনিস বাজেয়াপ্ত

    নির্বাচন কমিশনের(Election Commission) তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, ১ মার্চ থেকে এখনও পর্যন্ত বাংলায় মোট ২৩৬ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকার জিনিস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে শুধু নগদ টাকার পরিমাণই ১৩ কোটি ৮২ লক্ষ। এছাড়াও বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে মোট ২২ লক্ষ ১৫ হাজার ২৭ লিটার মদ। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৫৫ কোটি টাকা। একই সঙ্গে ২৭ কোটি টাকার বাজার মূল্যের ৬,৫৫৩ কেজি মাদকও উদ্ধার করা হয়েছে।

    ১০০৪টি বোমা উদ্ধার

    এছাড়াও নির্বাচন কমিশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত এক মাসে রাজ্য পুলিশ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১০০৪টি বোমা উদ্ধার করেছে। উদ্ধার করেছে ৪১.৩৬ কেজি বিস্ফোরক সহ ৩৭৮টি অস্ত্র ও ৫৪৩টি কার্তুজ। তবে কেবলমাত্র নগদ টাকা, মদ কিংবা বোমাতেই থেমে নেই, কমিশনের তথ্য অনুযায়ী,বোমা ও কার্তুজের পাশাপাশি বাংলা (West Bengal) থেকে ১৬৯.৮১ কেজি মূল্যবান ধাতু উদ্ধার করেছে পুলিশ। যার বাজারমূল্য ৩৪.২৮ কোটি টাকা। এ ছাড়াও উপঢৌকন হিসাবে বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মোট ২ কোটি ১৬ লক্ষ ৮৯ হাজার ৭৬২টি জিনিস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। হিসাব করে দেখা গিয়েছে, সেগুলির বাজারমূল্য ৫২.৯৬ কোটি টাকা। এ ছাড়াও ১ কোটি ৪২ লক্ষ ৪৩ হাজার ৪৯৮টি অন্যান্য জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে। যার বাজারমূল্য ৫৩.৫১ কোটি টাকা।

    আরও পড়ুন: এবছর কি আপনার প্রথম ভোট? তাহলে জেনে নিন ভোটকেন্দ্রে কী কী করণীয়?

    অতএব বোঝাই যাচ্ছে, ভোটের(Lok Sabha Election 2024) আগে বেশ আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার মধ্যে রাজ্যকে মুড়ে রেখেছে নির্বচন কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধিরা। আর তাদের সঙ্গে সঙ্গ দিতে পিছিয়ে নেই রাজ্য পুলিশও (state police), ভোটের আগে বা ভোট চলাকালীন যাতে কোনও রকম অশান্তির ছায়া রাজ্যের ওপর না পড়ে সেই দিকে সব সময় সজাগ হয়ে নজর রাখছে নির্বাচন কমিশনের(Election Commission) আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: এও কি সম্ভব? কাল ভোট দেবেন অসমের এই পরিবারের ৩৫০ জন!

    Lok Sabha Elections 2024: এও কি সম্ভব? কাল ভোট দেবেন অসমের এই পরিবারের ৩৫০ জন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক পরিবারে ১২০০ সদস্য। সেই বাড়িতে ৩৫০ জন ভোটার। ছোট পরিবারের সংজ্ঞা এঁরা এখনও জানে না। এক পরিবারে হাজারের বেশি সদস্য এই যুগে ভাবাই যায় না। তবে এমনও হয়। শুক্রবার লোকসভা ভোটের প্রথম দফায় অসমের (Assam) সোনিতপুর (Sonitpur) কেন্দ্রের ফুলগুড়ি নেপালি পাম এলাকার বাসিন্দা রন বাহাদুর থাপার পরিবার থেকে ৩৫০ জন ভোট দেবেন। কয়েক পুরুষ যাবত এই এলাকাতেই তাঁদের বাস। দেশের সবচেয়ে বেশি ভোটার থাকার রেকর্ড এই পরিবারের পকেটে। 

    রন বাহাদুর থাপার বৃহৎ পরিবার

    জানা গেছে রন বাহাদুর থাপা ইতিমধ্যেই প্রয়াত হয়েছেন। রেখে গেছেন ১২টি ছেলে এবং ৯টি মেয়ে। তাঁর পাঁচ জন স্ত্রী। চলতি মাসের ১৯ তারিখ অসমের সোনিতপুর লোকসভা ভোটের (LOksabha Seat) প্রথম দফার নির্বাচন হবে। এদিনই নিজেদের ভোট দেবেন থাপা পরিবারের সাড়ে ৩৫০ জন সদস্য। রন বাহাদুরের ১৫০ জনের বেশি নাতি নাতনি। প্রয়াত রন বাহাদুর থাপার ছেলে তিল বাহাদুর থাপা জানিয়েছেন তাঁর বাবা ১৯৬৪ সালে এখানে বাড়ি তৈরি করেছিলেন। বাবার পাঁচ স্ত্রী এবং তাঁরা ১২ জন ভাই এবং ৯ জন বোন। সবমিলিয়ে ৬৫ জন নাতি নাতনি। 

    সরকারি সুবিধার আশা

    সংখ্যাতত্ত্বের বিচারে রেকর্ড গড়া এই পরিবার আজও সেভাবে সরকারি সুবিধা পাননি। যেহেতু রন একাধিক বিবাহ করেছিলেন তাই এই পরিবারের সদস্যরা সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, বলে দাবি পরিবারের। তিল বাহাদুর জানিয়েছেন পরিবারের ছেলে মেয়েরা উচ্চশিক্ষা পেলেও সরকারি চাকরি পাননি। তিনি বলেন, “আমাদের পরিবারের অনেক সদস্য রাজ্য ছেড়ে বাইরে চলে গেছেন। কিছু সদস্য বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru) চলে গেছেন। সেখানে প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করছেন কেউ কেউ। আবার দিনমজুরের কাজ করছেন অনেকে। কিন্তু সরকারি চাকরি কেউই করতে পারেনি।” 

    আরও পড়ুন: এবছর কি আপনার প্রথম ভোট? তাহলে জেনে নিন ভোটকেন্দ্রে কী কী করণীয়?

    রন বাহাদুর থাপা ১৯৯৭ সালে মারা যান। তাঁর ছেলেরাও বাবার পথের পথিক। প্রত্যেকেই একাধিক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ। তবে রনের রেকর্ড এখনও অক্ষত। মোট ৯ টি বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে গঠিত সোনিতপুর লোকসভা কেন্দ্রে। ১৬ লক্ষ ২৫ হাজারের বেশি ভোটার রয়েছে এই কেন্দ্রে। শুক্রবার সবাই নিজেদের জনমত দান করবেন। একই সঙ্গে নজির গড়ে ভোট দিতে যাবেন থাপা পরিবারের সদস্যরাও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Elections 2024: এবছর কি আপনার প্রথম ভোট? তাহলে জেনে নিন ভোটকেন্দ্রে কী কী করণীয়?

    Lok Sabha Elections 2024: এবছর কি আপনার প্রথম ভোট? তাহলে জেনে নিন ভোটকেন্দ্রে কী কী করণীয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার শুরু হচ্ছে লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Elections 2024) ভোটগ্রহণ পর্ব। এবার লোকসভার ৫৪৪টি আসনে ভোট নেওয়া হবে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসন রয়েছে। এবার নির্বাচন হচ্ছে সাত দফায়। বাংলায় সাত দফার ভোটের মধ্যে প্রথম দফার ভোট হবে ১৯ এপ্রিল। দ্বিতীয় দফা ২৬ এপ্রিল। তৃতীয় দফার ভোট ৭ মে। ১৩ মে চতুর্থ দফার ভোট। পঞ্চম দফা ২০ মে। ষষ্ঠ দফা ২৫ মে। ১ জুন সপ্তম তথা শেষ দফার ভোট হবে বাংলায়। বাংলার মতোই সাত দফার ভোট হচ্ছে বিহার ও উত্তর প্রদেশে। ভোট গণনা ৪ জুন।

    শুক্রবার ১০২ আসনে ভোটগ্রহণ

    গোটা দেশের ২৮টি রাজ্য ও ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে শুক্রবার নির্বাচন হচ্ছে ১৭টি রাজ্য ও ৪টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১০২টি আসনে। একই সঙ্গে আগামীকাল নির্বাচন আছে অরুণাচল প্রদেশের বিধানসভার ৬০টি এবং সিকিমের ৩২টি আসনে।

    কোন কোন নথি সঙ্গে রাখবেন?

    প্রতি বছরই নতুন ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এবারেও নতুন ভোটার (first-time voters) সংখ্যা নেহাত কম নয়। তাই নতুন ভোটারদের সুবিধার্থে এবার ভোট দিতে গেলে কী কী নথি লাগবে তার তালিকা প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission), পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, কেন্দ্র–রাজ্য সরকার অধিগৃহীত সংস্থার সচিত্র পরিচয়পত্র, সাংসদ–বিধায়কদের দেওয়া সরকারি পরিচয়পত্র, সচিত্র ব্যাঙ্ক কিংবা পোস্ট অফিসের পাসবুক, প্যান কার্ড, রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার স্মার্ট কার্ড, একশো দিনের কাজের জব কার্ড (Lok Sabha Elections 2024), শ্রম মন্ত্রকের কোনও প্রকল্পের স্বাস্থ্য বিমার কার্ড, বিশেষভাবে সক্ষমদের ইউনিক কার্ড, সচিত্র পেনশন নথি, আধার কার্ড ও ভোটারদের সচিত্র পরিচয়পত্র-জানানো হয়েছে এই নথির যে কোনও একটি থাকলে আপনি ভোট দিতে পারবেন।  

    ভোটদান প্রক্রিয়া

    প্রথমেই ভোটারকে (Lok Sabha Elections 2024) তার কাছাকাছি ভোট কেন্দ্রে যেতে হবে। ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার পর ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা পোলিং অফিসারের কাছে নিজের নাম ভোটার (voter) লিস্টের সঙ্গে মেলাতে হবে। এরপর তথ্য যাচাই হয়ে গেলে হাতের আঙুলে কালি দেওয়া হবে এবং একটি স্লিপ দেওয়া হবে। এরপর রেজিস্টারে সই করে সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত পোলিং অফিসারের কাছে স্লিপটি জমা দিয়ে ভোটিং বুথের কাছে যেতে হবে। বুথের ভিতরে, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (EVM) গিয়ে পছন্দের প্রার্থীর নির্বাচনী প্রতীকের সাথে থাকা সংশ্লিষ্ট বোতাম টিপে ভোটদান প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। তবে যদি প্রার্থীদের মধ্যে কাউকে আপনি ভোট দিতে না চান, তাহলে ইভিএমের নীচে নোটা (NOTA-None Of The Above) নির্বাচন করার বিকল্প রয়েছে।

    ভোটকেন্দ্রের মধ্যে মোবাইল নিষিদ্ধ

    উল্লেখ্য, ভোটকেন্দ্রের মধ্যে মোবাইল এবং ক্যামেরার মতো ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ। তাই ভোটকেন্দ্রে ঢোকার আগে সঙ্গে ফোন থাকলে তা অবশ্যই দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের (Lok Sabha Elections 2024) কাছে জমা দিয়ে ভিতরে ঢুকতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: এবার গ্রাউন্ড জিরো থেকে কোচবিহারের ওপর সরাসরি নজর দুই বিশেষ পর্যবেক্ষকের

    Lok Sabha Election 2024: এবার গ্রাউন্ড জিরো থেকে কোচবিহারের ওপর সরাসরি নজর দুই বিশেষ পর্যবেক্ষকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে ভোটের ময়দানে যুদ্ধ শুরু হতে চলেছে শুক্রবার থেকে। ১৯ এপ্রিল রাজ্যে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ পর্ব রয়েছে। এবারের লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) প্রথম দফার ভোটগ্রহণ রয়েছে উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে। তবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই এবার বাড়তি নিরাপত্তার জন্য কোচবিহারকেই (Coochbehar) পাখির চোখ করছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, ভোটগ্রহণ পর্বের দিন সেখানেই দুই বিশেষ পর্যবেক্ষক (Special Observers) রাখছে নির্বাচন কমিশন।

    একুশের বিধানসভা ভোট

    একুশের বিধানসভা ভোটের সময় তপ্ত হয়েছিল কোচবিহার। এবারও লোকসভা ভোটের আগে নিশীথ-উদয়নের মধ্যে বাকবিতণ্ডা লেগে রয়েছে। তাই অনেকেই মনে করছেন এমন অবস্থায় এবার গ্রাউন্ড জিরোয় থেকে পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে চাইছেন নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষকরা।

    থাকবেন কমিশনের দুই বিশেষ পর্যবেক্ষক

    বর্তমানে সময় বদলেছে। আর সময়ের সঙ্গে বদলেছে পরিস্থিতিও। আগে লোকসভা নির্বাচন বা বিধানসভা নির্বাচনের সময় পর্যবেক্ষকরা ভোটের দিন দূর থেকেই অপারেশন করতেন। তবে এবার প্রথম ভোটগ্রহণ (Lok Sabha Election 2024) পর্বের দিন জেলায় হাজির থাকছেন নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষকরা। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ভোটের দুদিন আগে আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে থাকবেন কমিশনের দুই বিশেষ পর্যবেক্ষক। তারপর ভোটগ্রহণের দিন কোচবিহারে থাকবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওই দুই বিশেষ পর্যবেক্ষক।

    বিজেপি ভরসা রেখেছে নিশীথের ওপরেই

    প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik)। সেবার তৃণমূল কংগ্রেসের পরেশচন্দ্র অধিকারীকে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। এমনকী একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও এই কেন্দ্রের পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্র দখলে রাখতে সফল হয়েছিল বিজেপি (BJP)। তাই এবারেও বিজেপির বিশ্বাস উত্তরবঙ্গে তাদের গড়ে ছক্কা হাঁকাবেন নিশীথ প্রামাণিক। উল্লেখ্য, রাজবংশীদের ভোট যেদিকে যাবে, কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে সেই দলই জিতবে। এমন একটা সমীকরণ হয়ে রয়েছে এখানে। আর এই রাজবংশী সম্প্রদায়কে কাছে টানতে কোনও খামতি রাখছেনা তৃণমূল-বিজেপি দুই শিবির। রাজবংশী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি নিশীথ প্রামাণিককে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করে এবং অনন্ত মহারাজকে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে বিজেপি(BJP)। ফলে বোঝাই যাচ্ছে এবারের লোকসভা নির্বাচনে নিশীথের ওপরেই ভরসা করে আছে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: ভোটের প্রচারেই আবাস যোজনার বাড়ির প্রতিশ্রুতি তৃণমূল নেতার, আচরণবিধি ভঙ্গ!

    Jalpaiguri: ভোটের প্রচারেই আবাস যোজনার বাড়ির প্রতিশ্রুতি তৃণমূল নেতার, আচরণবিধি ভঙ্গ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছলে বলে কৌশলে চলছে তৃণমূলের রাজনীতি। রাজনীতি কথাটায় যে নীতি আছে, তার তোয়াক্কা অনেকেই করেন না। উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ির (jalpaiguri) একটি ঘটনাকে ঘিরে এমনই অভিযোগে সরব হয়েছে বিজেপি (BJP)। বিজেপির অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। ভোটের দুদিন আগে আবাস (PM Awas) যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফর্ম ফিলাপ করাচ্ছেন মমতার এই দূতেরা। ঘটনায় শোরগোল পড়েছে এলাকায়।

    ঠিক কী হয়েছিল?

    জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ এলাকার পানকৌড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। টেবিল-চেয়ার পেতে রীতিমতো শিবির খুলে আবাস যোজনার ফর্ম পূরণ করানোর প্রক্রিয়া চলছে। উদ্যোক্তা পানকৌড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) নেত্রী পাপিয়া দে। শিবির খোলার আগে এলাকায় প্রচার করা হয় আবাস যোজনার বাড়ি পেতে আগ্রহীরা শিবিরে যোগাযোগ করুন।

    রাজনৈতিক তরজা কেন?

    এই ঘটনা আদর্শ আচরণ (MCC) বিধি ভঙ্গের শামিল বলে দাবি বিজেপির। ভোটের মুখে এই ধরনের কাজ করা যায় না। যারা শিবিরে আসছে না তাদের বাড়ি গিয়ে ফরম পূরণ করানো হচ্ছে। বাড়িতে পৌঁছে তৃণমূল কর্মীরা বলছেন, “আমরা দিদির হয়ে এসেছি। এবার দিদিই ঘর দেবেন। বাংলার আবাস যোজনার একটা ফর্ম দিয়ে যাচ্ছি। ভোটের পর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে অর্থাৎ এবছরের মধ্যেই আপনি ঘরের টাকা পেয়ে যাবেন। এবার কেন্দ্রের ভরসায় থাকতে হবে না।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    ঘটনায় তৃণমূল নেত্রী পাপিয়া দে সরকার বলেন, “২০১৮ সালে একটি সার্ভে করা হয়েছিল। ২০২৪ সাল হয়ে গেলেও কেন্দ্রের টাকা আটকে থাকায় অনেকে ঘর পাননি। মুখ্যমন্ত্রী আগেই বলেছেন রাজ্যই এবার থেকে বাড়ি বানিয়ে দেবে। সেই মতোই স্থানীয়দের মধ্যে যারা ঘর পায়নি তাদের ঘর পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। দিদি যেমন ১০০ দিনের টাকা দিচ্ছেন, লোকসভা ভোট মিটে গেলে আবাস যোজনার টাকাও দেবেন। ২০১৮ সালে যাদের তালিকা নাম ছিল, যারা প্রকৃত দরিদ্র সীমার নীচে, তারা ঘর যাতে পায় সেই ব্যবস্থাই করা হচ্ছে।”

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে নিখোঁজ স্বামীর খোঁজ পেতে সিবিআই তদন্তের দাবি স্ত্রী’র

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির দাবি, তৃণমূল নির্বাচনে বিধি ভেঙে এসব কাজ করছে। স্থানীয় বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য নিতাই কর বলেন, “ভোট ঘোষণা হয়ে গেলে এসব করা যায় না। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও এসব কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছেন। কিন্তু তার দলের লোকেরা পাড়ায় পাড়ায় এসব করে বেড়াচ্ছে। আসলে তৃণমূল হতাশায় ভুগছে। তারা জানে উত্তরবঙ্গে তারা ভালো ফল করতে পারবে না। তাই এসব করছে ওরা। একাধিক এলাকায় পঞ্চায়েতেও হেরেছে তৃণমূল। ঘর দেবে বলে সাধারণ মানুষকে দিয়ে ফর্ম ফিলাপ করানো হচ্ছে। আর বাড়ি যখন আসবে তখন পঞ্চায়েত প্রধানের আত্মীয়, স্বজনেরা বাড়ি পাবে। যারা ঘর পাওয়ার যোগ্য তারা বঞ্চিত হবে। আমরা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Vote 2024: কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর নজর রাখতে জেলাস্তরে নোডাল অফিসার নিয়োগ কমিশনের

    Lok Sabha Vote 2024: কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর নজর রাখতে জেলাস্তরে নোডাল অফিসার নিয়োগ কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Vote 2024) এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রতি জেলায় একজন করে নোডাল অফিসার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। শনিবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের তরফে সব জেলাশাসক তথা জেলার নির্বাচনী আধিকারিককে এই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।

    কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর নজরদারি (Lok Sabha Vote 2024)

    সম্প্রতি ভোটে (Lok Sabha Vote 2024) বাহিনী মোতায়েন নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন নির্বাচন কমিশনের স্পেশাল অবজারভার ও পুলিশ অবজারভার। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। কমিশন সূত্রের খবর, সিএপিএফ-এর জন্য এই নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হচ্ছে। জানা গেছে এই নোডাল অফিসারেরা (nodal officers) মূলত কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর নজরদারি চালাবেন। এর আগে ৬ এপ্রিল দুই বিশেষ পর্যবেক্ষকের সঙ্গে বৈঠকে এই একই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ঠিক করা হয়েছিল জেলাস্তরে একজন নোডাল অফিসারকে নিযুক্ত করা হবে, যিনি জেলায় জেলায় সবকটি কন্ট্রোল রুমের (Control Room) মধ্যে যোগসূত্র বজায় রাখবেন। এবার সেই সিদ্ধান্তেই সিলমোহর দিল নির্বাচন কমিশন।

    আরও পড়ুন: ফের বাংলায় সফট টার্গেট বন্দে ভারত! কাচ ভাঙল ইটে, চিন্তায় রেল

    প্রথম দফায় ভোট ১৯ এপ্রিল

    উল্লেখ্য আগামী ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় ভোট (Lok Sabha Vote 2024) হবে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে। উত্তরবঙ্গের ওই তিনটি লোকসভা কেন্দ্রে ৫,৮১৪ টি ​​বুথ রয়েছে। কমিশন সূত্রের খবর, সুষ্ঠুভাবে ভোট (Election) সম্পন্ন করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই প্রথম দফার আগে রাজ্যে এসে পৌঁছেছে ২৭৭ কোম্পানি। যার মধ্যে ২৬৩ কোম্পানি ব্যবহার করা হবে প্রথম দফার নির্বাচনে। বাহিনীর পাশাপাশি ভোটের কাজে লাগানো হচ্ছে রাজ্য পুলিশকেও। কমিশন (Election Commission) সূত্রে খবর, ১০ হাজারের বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হতে পারে প্রথম দফার ভোটে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: নির্বাচনের পরেও কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে, হিংসা রুখতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা কমিশনের

    Lok Sabha Election 2024: নির্বাচনের পরেও কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে, হিংসা রুখতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ভোট (Lok Sabha Election 2024) চলাকালীন ও পরবর্তী সময়ে হিংসা ঠেকাতে তৎপর নির্বাচন কমিশন। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্যে একগুচ্ছ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সেই মতোই কাজ চলছে। কমিশন (Election Commission) সূত্রে খবর, ভোট পরবর্তী সময়েও বিভিন্ন জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথম দফার মতো নির্বাচনের দ্বিতীয় দফাতেও ১০০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। প্রয়োজনে আরও বাহিনী আনা হবে।

    ভোট পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী

    আগামী শুক্রবার প্রথম দফায় আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি— রাজ্যের এই তিন আসনে ভোটগ্রহণ (Lok Sabha Election 2024)। কমিশন সূত্রে খবর, ভোট পরবর্তী হিংসা ঠেকাতে ওই তিন কেন্দ্রে দু’কোম্পানি করে মোট ৬ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন থাকবে। দু’কোম্পানির মধ্যে এক কোম্পানি করে বাহিনী স্ট্রংরুম পাহারা দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হবে। ভোট পরবর্তী সময়ে যাতে প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বজায় থাকে, তা নিশ্চিত করবে আর এক কোম্পানি বাহিনী। দ্বিতীয় দফার ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে সোমবার বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী দফতর। সেখানেই কমিশনের তরফে এই কথা জানানো হয়েছে।

     ১০০ শতাংশ বুথে বাহিনী

    কমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে, দ্বিতীয় দফাতেও ১০০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ভোট (Lok Sabha Election 2024) নেওয়া হবে রায়গঞ্জ, বালুরঘাট ও দার্জিলিং আসনে। কমিশন সূত্রের খবর, দক্ষিণ দিনাজপুর ৭৩ কোম্পানি ফোর্স থাকবে। একইভাবে রায়গঞ্জ পুলিশ জেলায় ৬০ কোম্পানি, ইসলামপুর পুলিশ জেলায় ৫১ কোম্পানি, দার্জিলিং পুলিশ  জেলায় ৫১ কোম্পানি, শিলিগুড়ি পুলিশ  জেলায় ২১ কোম্পানি এবং কালিম্পং পুলিশ জেলায় ১৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। মোট ২৭২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে দ্বিতীয় দফা ভোটের পাহারায়।

    আরও পড়ুুন: বিজেপির ‘সঙ্কল্পপত্রে’ করা হয়েছে কোন কোন সঙ্কল্প, জানেন?

    আরও ফোর্স আসছে

    ইতিমধ্যেই প্রথম দফার আগে রাজ্যে এসেছে পৌঁছেছে ২৭৭ কোম্পানি। যার মধ্যে ২৬৩ কোম্পানি ব্যবহার করা হবে প্রথম দফায়। সংশ্লিষ্ট তিনটি কেন্দ্রে বাহিনীর রুটমার্চও শুরু হয়ে গেছে। দ্বিতীয় দফার জন্য রাজ্যে আরও অতিরিক্ত ২২ কোম্পানি ফোর্স আসছে। এর মধ্যে ৯ কোম্পানি আসবে সিকিম থেকে এবং ১৩ কোম্পানি আসবে মেঘালয় থেকে। কমিশন (Election Commission) সূত্রে জানা গেছে, অতিরিক্ত ২২ কোম্পানি ফোর্স আসার ফলে রাজ্যে দ্বিতীয় দফা ভোটের আগে মোট বাহিনীর সংখ্যা দাঁড়াবে ২৯৯ কোম্পানি। এর মধ্যে সরাসরি বুথ পাহারায় ব্যবহার করা হবে ২৭২ কোম্পানি। বাকি ২৭ কোম্পানির মধ্যে ৬ কোম্পানি ফোর্স থাকবে স্ট্রং রুম এবং পোস্ট পোল ভায়োলেন্স সামলাতে। বাকি ২১ কোম্পানি তৃতীয় দফার বিভিন্ন কেন্দ্রে পাঠানো হবে।

    চার জেলায় বাহিনী নেই

    প্রথম দফা পর্যন্ত রাজ্যের চার জেলায় আপাতত কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখছে না নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। ওই জেলাগুলিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে থাকবে রাজ্য পুলিশ। কমিশন সূত্রে খবর, আপাতত প্রথম দফার ভোটের আগে পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া- এই চার জেলায় কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা হচ্ছে না। সেইসব বাহিনীকে অন্যত্র সরানো হচ্ছে। কমিশনের যুক্তি, ওই জেলাগুলিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী আগেই রুটমার্চ করেছে। তাই তাদের অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যেহেতু একসঙ্গে বহু বুথে ভোট। ফলে সব মিলিয়ে হিসাব করেই বাহিনী রাখা হচ্ছে। আর ওই জেলাগুলিতে ভোটও দেরি আছে, তাই এই সিদ্ধান্ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ভোটের মুখে আরও এক ডিআইজি বদল, বিরোধীদের অভিযোগ তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ!

    Murshidabad: ভোটের মুখে আরও এক ডিআইজি বদল, বিরোধীদের অভিযোগ তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘তৃণমূলের হয়ে কাজ’ করছেন আইপিএস অফিসার (IPS Officer), সম্প্রতি এমনই অভিযোগ করেছিলেন বহরমপুরের বিদায়ী কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan  Chowdhury)। আর কাকতালীয় ভাবে তার পরেই মুর্শিদাবাদের ডিআইজিকে (DIG) অপসারণ করল নির্বাচন কমিশন। লোকসভা ভোটের মুখে বাংলার আরও এক অফিসার ডিআইজি মুকেশ কুমারকে সরালো নির্বাচন কমিশন। সোমবার বিকেল ৫টার মধ্যে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ডিআইজি পদের জন্য তিন জনের নাম বাছাই করে কমিশনকে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে। তাঁদের মধ্যে থেকে এক জনকে নতুন ডিআইজি পদে নিয়োগ করবে কমিশন।

    নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ (Murshidabad)

    কমিশনের তরফে আইপিএস অফিসার মুকেশ কুমারকে ভোটের সঙ্গে যোগ নেই, পুলিশের এমন পদে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সেই নির্দেশ কার্যকর করার কথাও বলা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফে। এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা অধীরের অভিযোগ, “মুকেশ মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) এসপি থাকাকালীন থানায় যে কজন ওসি বা আইসি ছিলেন, ডিআইজি হওয়ার পর সেই অফিসারদেরই তিনি আবার থানায় নিয়ে এসেছেন। ওই সব পুলিশ আধিকারিকেরা তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে দিনের পর দিন কাজ করে গিয়েছেন। এই গোটা ঘটনার নেপথ্যে ছিলেন এই আইপিএস মুকেশ কুমার।” এই বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের (Election commission ) নজরে এনে আগেই অভিযোগ জানিয়েছিলেন অধীর। তাঁর মতে, হয়তো তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালির পথেই কি নন্দীগ্রাম? তৃণমূল নেতার বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ মহিলাদের

    আগে চার জেলার জেলাশাসককে সরানো হয়েছিল

    উল্লেখ্য ২০১৯ সালে মুকেশ কুমার মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার এসপি ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তাঁকে মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া রেঞ্জের ডিআইজি করা হয়। তবে ঠিক কী কারণে ভোটের মুখে আইপিএস মুকেশ কুমারকে নির্বাচন কমিশন সরাল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও এমন ঘটনা প্রথম নয়, লোকসভা ভোটের মুখে (Lok Sabha Vote 2024) এর আগে রাজ্যের চার জেলার জেলাশাসককেও সরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। আর এবার সরানো হল মুর্শিদাবাদের ডিআইজিকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ঝড়ে ক্ষতিপূরণ দিতে আগেই অনুমতি দিয়েছে কমিশন, বোকা বানাচ্ছেন মমতা, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ঝড়ে ক্ষতিপূরণ দিতে আগেই অনুমতি দিয়েছে কমিশন, বোকা বানাচ্ছেন মমতা, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদর্শ আচরণ বিধি ভঙ্গ হতে পারে তাই জলপাইগুড়িতে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া যাচ্ছে না, এমন দাবি একাধিক সভায় করে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এবার রীতি মতো তৃণমূলের এই দাবিকে মিথ্যা বলে তোপ দাগলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকার। নিজের এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) জানিয়েছেন,  ঝড়ে ক্ষতিপূরণ দিতে আগেই অনুমতি দিয়েছিল কমিশন তবে বোকা বানাচ্ছেন মমতা।

    ৯ এপ্রিল ২০২৪ এ ক্ষতিপূরম দিতে নির্দেশ দেয় কমিশন

    বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “জলপাইগুড়ি এবং ময়নাগুড়ির বিধ্বংসী ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষরা, যারা ঘর বাড়ি-সহ তাঁদের শেষ সহায় সম্বলটুকুও প্রকৃতির রোষে হারিয়েছেন তাঁরা যাতে দ্রুত বাড়ি নির্মাণের জন্য আর্থিক অনুদান পান, তার জন্য ভারতের নির্বাচন কমিশন গত ৯ এপ্রিল ২০২৪ এ ক্ষতিপূরণ এবং বাড়ি তৈরির আর্থিক অনুদানের বিষয়টি আদর্শ আচরণ বিধির আওতার বাইরে রেখে অনুমোদন মঞ্জুর করেছেন। শুধু তাই নয় ওই দিনই অর্থাৎ ৯ এপ্রিল ২০২৪ নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে বিষয়টি জানিয়েও দেওয়া হয়।”

    নিশানায় মমতা ও অভিষেক

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) আরও দাবি, “অনেক আগেই ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলোর বাড়ি নির্মাণের জন্য নির্দিষ্ট তহবিল থেকে আর্থিক অনুদান দিয়ে দেওয়াই যেত, কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন আর কেন্দ্র সরকারের নামে মিথ্যাচার করতেই ব্যস্ত। আসলে তাদের উদ্দেশ্য অন্য, তারা এই ঘটনায় রাজনৈতিক রং চড়িয়ে ভোটের বাজারে নিজেদের লাভের অঙ্ক বাড়িয়ে নিতে চান। সহায় সম্বলহীন, ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষের এই দুর্দশা এবং কষ্টদায়ক পরিস্থিতির তাদের কাছে কোনও মূল্য নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Murshidabad: গাজনে শিবভক্তদের ওপর হামলা, মন্দিরে ভাঙচুর! দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব বেলডাঙায়

    Murshidabad: গাজনে শিবভক্তদের ওপর হামলা, মন্দিরে ভাঙচুর! দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব বেলডাঙায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নীল ষষ্ঠীর (Nil Sasti) পরের দিনই মন্দির ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)। শুধু মন্দির ভাঙচুরই নয়, শিবের স্তুতি করার অপরাধে গাজনে সন্ন্যাস নেওয়া কয়েকজন সন্ন্যাসীর ওপর স্থানীয় দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। এইসব ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। ইতিমধ্যেই বিজেপি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। 

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Murshidabad)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেলে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার বেলডাঙা থানার কামনগর পঞ্চায়েতের কামনগর গ্রামে গাজনে সন্ন্যাস নেওয়া কয়েকজন গ্রামবাসী টোটোয় চড়ে গ্রামের মন্দিরে (Temple) ফিরছিলেন। সেই সময় তাঁরা ভগবান শিবের স্তুতি করছিলেন। আর এই অপরাধে স্থানীয় দুষ্কৃতীরা তাঁদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে৷ হামলার ঘটনায় ১৮-২০ জন সন্ন্যাসী আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আহতদের অভিযোগ, রীতিমতো মারধর করা হয়েছে তাঁদের। অন্যদিকে একই দিনে বেলডাঙা, শক্তিপুর, সালার থানা এলাকার কুমারপুর, মির্জাপুর তালিতপুরসহ একাধিক এলাকার মন্দিরে হামলা এবং প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। কুমারপুরের শিবমন্দিরের (shiv Temple) ভিতরে ঢুকে দুষ্কৃতীরা প্রস্রাব করে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

    বিজেপি প্রধানের বক্তব্য

    এই ঘটনায় কামনগর (Murshidabad) পঞ্চায়েতের বিজেপি (BJP) প্রধান বাপন ঘোষ বলেছেন, “শুধু গাজনের সন্ন্যাসীদের উপর হামলাই নয়, বিজেপি পার্টি অফিসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে একটা মুদিখানা দোকানে ভাঙচুরও চালায় দুষ্কৃতীরা। থানায় (Police Station) আমরা অভিযোগ দায়ের করব। হিন্দু সমাজের উপর আক্রমণ আমরা মেনে নেব না। 

    আরও পড়ুন: প্রাক্তন বিজেপি বিধায়কের ৭ আত্মীয় গাড়িতেই জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত!

    এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দুর পোস্ট

    এই প্রসঙ্গে মন্দিরে ভাঙচুরের একটি ভিডিও ফুটেজ নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি লিখেছেন, “মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার বেলডাঙা থানার অন্তর্গত মৌজামপুর ও মির্জাপুরে দুপুর থেকে দুষ্কৃতীরা ধর্মীয় স্থান ভাঙচুর করেছে। এমনকী গুন্ডারা নিরপরাধ মানুষের বাড়িঘর টার্গেট করে হামলা চালাচ্ছে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। আমি মুখ্যসচিব শ্রী বি পি গোপালিকা (আইএএস), ডিজিপি পুলিশ শ্রীসঞ্জয় মুখার্জি (আইপিএস), এডিজি শ্রী মনোজ কুমার ভার্মাকে (আইপিএস) অনুরোধ করছি, অবিলম্বে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুন এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিস্থিতি স্বাভাবিক করুন। নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) উচিত সচেতন হওয়া এবং এলাকায় স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share