Tag: Enforcement Directorate

Enforcement Directorate

  • Coal Smuggling: কোলে ২ বছরের ছেলে, ইডি-র তলবে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির রুজিরা

    Coal Smuggling: কোলে ২ বছরের ছেলে, ইডি-র তলবে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির রুজিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লাপাচারকাণ্ডে (Coal smuggling case) তলব পেয়ে শিশুসন্তানকে নিয়েই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) সামনে হাজিরা দিলেন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rujira Banerjee)। বুধবার,  অভিষেকে-পত্নীকে তলব করেছিল ইডি (ED)। বৃহস্পতিবার সকাল সকাল ১১টা নাগাদ কোলে ২ বছরের শিশুকে নিয়ে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে (CGO Complex) হাজির হলেন তিনি।  

    কয়লাপাচার-কাণ্ডে এর আগে একাধিক বার অভিষেক (Abhishek Banerjee) এবং রুজিরাকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। অভিষেক দু’বার হাজিরাও দিয়েছিলেন ইডি দফতরে গিয়ে। কিন্তু রুজিরা যাননি। তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর দু’বছরের পুত্র সন্তানকে কলকাতায় রেখে দিল্লি যাওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। তদন্তকারী অফিসাররা যদি কলকাতায় ডাকেন তাহলে তাঁর হাজিরার মুখোমুখি হতে কোনও অসুবিধা নেই।

    কিন্তু, ইডি তাদের দাবিতে অনড় থাকায় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন রুজিরা। শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয়, কলকাতায় এসে রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ইডি। সেইমতো, অভিষেক-পত্নীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দিল্লি থেকে কলকাতায় এসেছেন ইডি আধিকারিকরা। 

    আরও পড়ুন: কয়লাকাণ্ডে রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের, করা হল কোন প্রশ্ন?

    কিছুদিন আগে, এই কয়লা পাচার কাণ্ড নিয়ে তাঁকে বাড়িতে গিয়ে জেরা করে এসেছিল সিবিআই (CBI)। তখনই এই টাকা লেনদেনের বিষয়টি উঠে আসে। তাই এবার রুজিরাকে জেরা করতে চায় ইডি। সূত্রের খবর, কয়লা পাচার কাণ্ডে বিদেশি লেনদেনের বিষয় নিয়ে তাঁকে জেরা করা হতে পারে। 

    ইডি সূত্রে খবর, কয়লা পাচারকাণ্ডে তদন্তের কেন্দ্রে রয়েছে ব্যাঙ্ককের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। ইডি-র দাবি, কয়লা পাচার কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি (Anup Majhi) ওরফে লালার টাকা বিভিন্ন হাত ঘুরে ব্যাংককের একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে গিয়েছে। সেখানে জমা পড়েছে কয়লা পাচারের টাকা।

    ইডি সূত্রে দাবি, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তারা জানতে পারে, বিদেশি ব্যাঙ্কে ওই অ্যাকাউন্টের মালিক রুজিরা নরুলা। ইডি-র দাবি, রুজিরা নরুলাই হলেন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইডি সূত্রে দাবি, প্রাথমিকভাবে ওই অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না বলে দাবি করেছেন রুজিরা।

    আরও পড়ুন: কয়লা, গরুপাচার, এসএসসি দুর্নীতির তদন্তরত অফিসারকে কেন সরিয়ে দিল সিবিআই?

     

  • Partha Chatterjee: অ্যারেস্ট মেমোয় মমতার নাম-নম্বর লিখলেন কেন পার্থ? জড়িয়ে দিতে নাকি বিপদের বন্ধু হিসাবে

    Partha Chatterjee: অ্যারেস্ট মেমোয় মমতার নাম-নম্বর লিখলেন কেন পার্থ? জড়িয়ে দিতে নাকি বিপদের বন্ধু হিসাবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি কেলেঙ্কারিতে (SSC scam) ইডি’র (ED) হাতে গ্রেফতারির সময় অ্যারেস্ট মেমোয় (Arrest Memo) মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ও মোবাইল নম্বর লিখে দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী তথা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। যা নিয়ে তোলপাড় তৃণমূলের অন্দরের রাজনীতি। শুধু নাম লেখাই নয়, গ্রেফতারির রাতে ২টো থেকে সকাল পর্যন্ত অন্তত চার বার মুখ্যমন্ত্রীকে ফোনও করেছিলেন পার্থবাবু। এখানেই শেষ নয়। পরের দিন স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানিয়েও দেন, মুখ্যমন্ত্রীকে ফোনে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করতে পারেননি তিনি।

    ইডির জেরার মুখে পার্থবাবু যে দিব্যি সচেতন রয়েছেন তা তদন্তকারী সংস্থা আদালতেই জানিয়েছে। তল্লাশি ও জেরা পর্বে পার্থবাবুর আইনজীবীও সঙ্গে ছিলেন। ফলে অ্যারেস্ট মেমোয় মুখ্যমন্ত্রীর নাম জুড়ে দেওয়া নেহাৎই কাকতালীয় নয় বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট পক্ষ। পার্থবাবুর ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, স্ত্রী ও মা মারা যাওয়ার পর নাকতলার বাড়িতে একাই থাকতেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর মেয়ে-জামাই বিদেশে থাকেন। ফলে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া তাঁর নিকটতম আর কেই বা আছেন? মুখ্যমন্ত্রীর ডাকেই তো তিনি চাকরি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি দলের মহাসচিব, ফলে দল এসএসসি কেলেঙ্কারির পর তাঁকে ছেড়ে দিতে চাইলেও তিনি তো দল ছাড়তে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে তৃণমূলে তাঁর একমাত্র যোগসূত্র রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অ্যারেষ্ট মেমোয় তাঁর নাম সেই কারণেই দিয়েছেন বলে পার্থবাবুর ঘনিষ্ঠ আইনজীবীরা মাধ্যমকে জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: হুইল চেয়ারে আইসিসিইউ রোগী! পার্থকে দেখে বিস্মিত হৃদরোগ চিকিৎসকদের একাংশ

    অনেকে আবার এরমধ্যে রাজনীতিও খুঁজছেন। তাঁদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিক্ষক নিয়োগ (Teacher Recruitment) নিয়ে বিধায়কদের মধ্যে যে কোটা ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল তা এখন দিনের আলোর মতোই স্পষ্ট। কয়েক জন বিধায়কের প্যাডে সই করা চাকরি প্রার্থীদের নামের তালিকা আদালতে পর্যন্ত জমা পড়েছে। পার্থবাবুর ঘনিষ্ঠদের দাবি, শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ নিয়ে যা হয়েছে তা দলের সর্বোচ্চস্তরের সিদ্ধান্ত ছিল। গত নভেম্বরে যখন প্রথম কলকাতা হাইকোর্ট এ নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু করে তখনই পার্থবাবু অশণি সঙ্কেত দেখেছিলেন। দলও সেই সময় থেকে পার্থবাবুর সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে থাকে। এমনকি বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে শিল্পমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও পার্থবাবুর ভূমিকা সেভাবে চোখে পড়েনি।

    তৃণমূলের দলীয় সূত্রের খবর, পরিস্থিতি বেগতিক বুঝতে পেরে পার্থবাবু দলের অন্দরে বার্তা দেন, যদি এসএসসি কেলেঙ্কারি নিয়ে দল তাঁর পাশে না দাঁড়ায় তা হলে তিনিও মুখ খুলতে বাধ্য হবেন। এর পর দলের তরফে আইন মন্ত্রী মলয় ঘটককে বিষয়টি নিয়ে তৎপর হতে বলা হয়। ঘটনাচক্রে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ের উপর কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ স্থগিতাদেশ গিয়ে বিচারপতি রণজিৎ বাগ কমিটির তদন্ত রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ দেয়। সেই কমিটির সামনে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা সচিব জানিয়ে দেন, সব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যার প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চও সিবিআই তদন্ত বজায় রাখে।

    আরও পড়ুন: কেন অমর্ত্য সেন নিচ্ছেন না বঙ্গবিভূষণ? বিদেশে থাকার জন্যই কি, না অন্য কারণ?

    পার্থবাবু ক্রমেই বুঝতে পারছিলেন চাকরি চুরির মামলায় তাঁর পরিণতি ভাল হবে না। ঘনিষ্ঠ মহলে বলেও রেখেছিলেন, যদি দলের সমর্থন না থাকে, তা হলে মুখ খুলতে বাধ্য হব। তাঁর কাছেও যে নবান্ন (Nabanna) থেকে পাঠানো তালিকা রয়েছে সে কথাও ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন অনেককেই। গ্রেফতারির পর অ্যারেস্ট মেমোয় মমতার নাম লিখে মহাসচিব শুধু মুখ্যমন্ত্রীকে জড়িয়েই নেননি, উল্টে পাল্টা চাপও তৈরি করেছেন। যার মোদ্দা কথা হল, শিক্ষক নিয়োগের কোটা পদ্ধতিতে টাকা তোলার সিদ্ধান্ত ছিল দলগত, তাই গ্রেফতারির নথিতেও সেই দাগ যেন রেখে গেলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। যদিও ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করে দিয়েছিলেন, জেনে বুঝে কেউ ভুল করলে শাস্তি পেতে হবে। তবে অজান্তে ভুল করলে শুধরে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত। অ্যারেস্ট মেমোয় মমতা জেনেবুঝে ভুল, নাকি অজান্তে ভুল তা ইডি যখন তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাবে তখনই স্পষ্ট হবে।

  • SSC Scam ED raids: পার্থ, পরেশের বাড়ি সহ ১৪ জায়গায় হানা ইডি-র, কী মিলল তল্লাশিতে?

    SSC Scam ED raids: পার্থ, পরেশের বাড়ি সহ ১৪ জায়গায় হানা ইডি-র, কী মিলল তল্লাশিতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি দুর্নীতিতে (SSC Scam) রাঘববোয়ালদের ধরতে এবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chaterjee) নাকতলার বাড়িতে হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। ৮-ঘণ্টার বেশি সময় ধরে তাঁর জিজ্ঞাসাবাদ-পর্ব চলেছে।  পাশাপাশি, পিংলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর আত্মীয়ের বাড়িতেও ইডি অফিসাররা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাইয়ের মামার বাড়িতে যান ইডির ৭ অফিসার। কৃষ্ণ প্রসাদ অধিকারীর খিরিন্দার বাড়িতে পৌঁছয় ইডি। 

    একইসঙ্গে ইডি (ED) হানা দিয়েছে তৃণমূলেরই (TMC) মন্ত্রিসভার আর এক সদস্য শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারির (Paresh Adhikary) বাড়িতেও। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। পরেশ অধিকারীর স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি অফিসাররা।

    এছাড়াও এসএসসির প্রাক্তন কর্তা শান্তি প্রসাদ সিনহার (Shantiprasad Sinha) বাড়িতেও হানা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এই তিন জায়গা ছাড়াও রাজ্যের আরও দশ জায়গায় এদিন হানা দেয় ইডি। এর মধ্যে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, টেট দুর্নীতি মামলায় অপসারিত পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর যাদবপুরের বাড়ি এবং পর্ষদ সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচীর বাড়িতেও যান ইডি অফিসাররা। 

    আরও পড়ুন : এসএসসি-র বাজেয়াপ্ত কম্পিউটার থেকে গোছা গোছা ‘নকল’ নিয়োগপত্র, মাথা কে?

    রাজ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশনে (School Service Commission) ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন চাকরি প্রার্থীদের কেউ কেউ। তার পরেই এই দুর্নীতি মামলায় তদন্তে নামে সিবিআই (CBI)। কীভাবে দুর্নীতি হয়েছিল তা খুঁজে বের করাই প্রধান লক্ষ্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। তদন্তের গোড়ায় পৌঁছতে সিবিআই রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেরা করেছে। জেরা করা হয়েছে বাম দল থেকে তৃণমূলের আসা রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারিকেও।

    এই মামলায় তদন্ত করছে আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিও। তারা মূলত আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এজন্য দুটি এফআইআর রুজুও করেছে ইডি। এ ব্যাপারে একাধিক আবেদনকারী ও সাক্ষীর বয়ানও রেকর্ড করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা। এ থেকেই ইডির ধারণা, এই মামলায় লেনদেন হয়েছে কোটি কোটি টাকা। এই বিপুল অঙ্কের টাকা কোথা থেকে এল, গেলই বা কোথায়, লাভের অঙ্ক কার ঘরেই বা উঠল, ঘটনার নেপথ্যে কোনও প্রভাবশালী যোগ রয়েছে কিনা এসবই খতিয়ে দেখছেন ইডির আধিকারিকরা। গত কয়েক দিনে এনিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিও সংগ্রহ করেছেন তাঁরা। তার পরেই এদিন রাজ্যের ১৩টি জায়গায় হানা দেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুন : এসএসসি দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের ডাকে ফের নিজাম প্যালেসে পার্থ চট্টোপাধ্যায়

    জানা গিয়েছে, এদিন এসএসসি দুর্নীতি মামলার তদন্তে পার্থের নাকতলার বাড়িতে হাজির হন ইডির আধিকারিকরা। ইডিরই আর একটি দল গিয়ে হাজির হন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেখলিগঞ্জের বাড়িতেও। ইডি সূত্রে খবর, প্রায় ৯০ জন আধিকারিক দুর্নীতির শেকড়ে পৌঁছতে হানা দিয়েছেন রাজ্যের ১৩টি জায়গায়। শান্তিপ্রসাদ সিনহা সহ এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির সদস্যদের বাড়িতেও এদিন হানা দেন তদন্তকারীরা। এদিন শান্তিপ্রসাদের বাড়িতে যান এক মহিলা সহ ইডির সাতজন আধিকারিক। শান্তি প্রসাদের কোথায় কত সম্পত্তি রয়েছে, সেটাই জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

     

  • Sonia Gandhi: ইডির দফতরে হাজির সোনিয়া, কংগ্রেস কর্মীদের বিক্ষোভে  উত্তাল সংসদ থেকে রাস্তা

    Sonia Gandhi: ইডির দফতরে হাজির সোনিয়া, কংগ্রেস কর্মীদের বিক্ষোভে উত্তাল সংসদ থেকে রাস্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইডি (ED) দফতরে হাজিরা দিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা নাগাদ দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজির হন সোনিয়া। এর আগে তিনবার ইডির তরফে সনিয়াকে তলব করা হয়। কিন্তু করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকার কারণে আগের বার ইডির মুখোমুখি হতে পারেননি তিনি। এদিন সনিয়ার সঙ্গে ছিলেন তাঁর মেয়ে তথা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi)। সোনিয়া ইডি দফতরে যাওয়ার আগে মায়ের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন সনিয়া পুত্র রাহুল গান্ধীও (Rahul Gandhi)।

    ইডি সূত্রের খবর, রাহুলের মতো সোনিয়াকেও দীর্ঘক্ষণ জেরা করা হতে পারে। কংগ্রেস সভানেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ মহিলা আধিকারিকের একটি দল গঠন করেছে ইডি। শেষ মুহূর্তে সোনিয়ার সঙ্গে আইনজীবী এবং একজন চিকিৎসককে ইডি দফতরে পাঠানোর দাবি জানিয়েছিল কংগ্রেস (Congress)। যদিও ইডি দফতরে সোনিয়ার সঙ্গে কোনও চিকিৎসক ছিলেন না।

    আরও পড়ুন: চাল, ডাল, আটা, গম খোলা কিনলে বাড়তি জিএসটি লাগু হবে না! ট্যুইট করে ব্যাখ্যা অর্থমন্ত্রীর

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বেআইনি আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এর আগে সনিয়া-পুত্র রাহুল গান্ধীকে একাধিকবার ঘণ্টার পর ঘণ্টা জেরা করেছে ইডি। তখন কংগ্রেসের সমস্ত নেতা দিল্লির রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। এদিনও একইভাবে পথে নেমেছে কংগ্রেস। এবারে প্রতিবাদ কর্মসূচি আরও বড় হবে বলে দলের তরফে জানানো হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কংগ্রেস নেতাকর্মীরা এদিন ইডি দফতর ঘেরাও অভিযানে নেমে পড়েছেন। অনেক রাজ্যেই পুলিশের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়ছেন কংগ্রেস নেতাকর্মীরা। 

    এদিন সংসদে কেন্দ্রীয় স্তরে প্রতিবাদ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। আজ সংসদ অধিবেশনের আগেই রাজ্যসভার দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের ঘরে বিরোধী দলগুলির বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে ১৩টি বিরোধী দল সম্মিলিতভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অপব্যবহার নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে। সংসদের অধিবেশন শুরুর পরই সোনিয়াকে ইডির তলব নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন বিরোধী সাংসদরা। যার জেরে সংসদের দুই কক্ষেই অধিবেশন মূলতুবি হয়ে যায়। কংগ্রেসের বিক্ষোভ নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেন, “যদি কোনও ভুল না থাকবে, তাহলে এত চিৎকার, বিরোধিতা কেন? তদন্তকারীদের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে তদন্তে সাহায্য করলেই সত্যিটা সামনে এসে যাবে।”

     

  • Satyendar Jain: আরও বিপাকে সত্যেন্দ্র জৈন, বিপুল নগদ-সোনা উদ্ধার ইডির

    Satyendar Jain: আরও বিপাকে সত্যেন্দ্র জৈন, বিপুল নগদ-সোনা উদ্ধার ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  দুর্নীতির মামলায় জড়িত দিল্লির মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনের (Satyendar Jain) ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ২.৮৫ কোটি টাকা নগদ এবং ১৩৩টি সোনার কয়েন উদ্ধার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)।

    ইডির (ED) তরফে জানানো হয়েছে— বৈভব জৈন, অঙ্কুশ জৈন, নবীন জৈন এবং রামপ্রকাশ জুয়েলার্সের মালিকরা আর্থিক তছরুপে সত্যেন্দ্রকে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সাহায্য করেছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, রাম প্রকাশ জুয়েলার্সের কাছ থেকে ২.২৩ কোটি টাকা নগদ পাওয়া গিয়েছে, বৈভব জৈনের কাছ থেকে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা এবং ১৩৩টি সোনার কয়েন সহ ৪১.৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।  

    বিষয়টির প্রতিক্রিয়া জানিয়ে একটি ট্যুইট করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি লেখেন, “আপ-এর পেছনে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় রাজধানী এবং পঞ্জাবে বিজেপি সরকারে নেই। মিথ্যা, মিথ্যা এবং আরও মিথ্যা। সমস্ত সংস্থার ক্ষমতা আপনার হাতে, কিন্তু ঈশ্বর আমাদের সঙ্গে রয়েছেন।”   

    [tw]


    [/tw]

    বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র পাল্টা ট্যুইটে লিখেছেন, “সত্যেন্দ্র জৈনের বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা, সোনার কয়েন বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে। সাহস থাকে তো সত্যেন্দ্রকে মন্ত্রিসভা থেকে বের করুন। কিন্তু, আপনি পারবেন না, কারণ, আপনার হাটে হাঁড়ি ভেঙে যাবে।” 

    [tw]


    [/tw]

    কপিল যোগ করেন, “কেজরিওয়ালের মতে, তিনি একজন সৎ মানুষ। সত্যেন্দ্র জৈনের দুর্নীতি শুধুমাত্র একটা ঝলক মাত্র। আসল মাস্টারমাইন্ড হলেন কেজরিওয়াল, কেজরিওয়ালের দুর্নীতিতে গোটা বিশ্ব অবাক হবে।”

    সত্যেন্দ্র জৈন গত ১ জুন থেকে ইডির হেফাজতে রয়েছেন। ইডির আধিকারিকরা জানিয়েছেন, “সত্যেন্দ্র জৈনের বাস ভবনে এবং কিছু অন্যান্য স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। সত্যেন্দ্র জৈন আগামী ৯ জুন পর্যন্ত ইডির হেফাজতেই থাকবেন।” 

    চলতি বছরেই এপ্রিলে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট কলকাতার একটি কোম্পানির সঙ্গে সম্পর্কিত ৪.৮১ কোটি টাকার তছরুপের মামলায় সত্যেন্দ্র জৈনের যোগ খুঁজে পায়। তারপরেই গ্রেফতার করা হয় মন্ত্রীকে। সিবিআইয়ের দায়ের করা একটি এফআইআরের ভিত্তিতে আপ ওই নেতার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা নথিভুক্ত করা হয়। 

    অভিযোগ, সত্যেন্দ্র জৈন চারটি কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার হওয়া সত্ত্বেও, কোম্পানিগুলির তহবিলের টাকার উৎস কী, তার জবাব দিতে পারেননি। তদন্ত সংস্থার দাবি, সত্যেন্দ্র জৈনের দিল্লিতে বেশ কয়েকটি কোম্পানি রয়েছে এবং তাদের মাধ্যমেই ১৬.৩৯ কোটি কালো টাকা পাচার করেছেন মন্ত্রী। 

      

  • Abhishek Banerjee: বিতর্ককে সঙ্গী করেই দুবাইয়ে অভিষেক, নজর রাখছে ইডি?

    Abhishek Banerjee: বিতর্ককে সঙ্গী করেই দুবাইয়ে অভিষেক, নজর রাখছে ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিতর্ককে সঙ্গী করেই দুবাই (Dubai) গেলেন তৃণমূল (TMC) সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। চোখের চিকিৎসার জন্য মানবিক কারণে তাঁকে এই সফরের অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta Highcourt)। কিন্তু, পিছু ছাড়ছে না বিতর্ক। মধ্য প্রাচ্যে গিয়ে কোন হোটেলে উঠবেন, সেখানকার ফোন নম্বর থেকে শুরু করে বিমানের টিকিট, সবকিছুই জানাতে হয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে (Enforcement Directorate)।
       
    ইডির (ED) আশঙ্কা, দুবাই গিয়ে কয়লা পাচার (Coal smuggling case) চক্রের মূল অভিযুক্ত বিনয় মিশ্রের (Vinay Mishra) সঙ্গে দেখা করতে পারেন অভিষেক। তাই এই সফরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল তারা। যদিও শর্তসাপেক্ষে তাতে ছাড়পত্র দিয়েছে উচ্চ আদালত।

    আরও পড়ুন: শর্ত সাপেক্ষে অভিষেককে দুবাই যাওয়ার অনুমতি হাইকোর্টের

    ১ জুনই দুবাই যাওয়ার কথা ছিল অভিষেকের। সস্ত্রীক যাওয়ার জন্য বিমানের দুটি টিকিটও কাটা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তাতে আপত্তি জানায় ইডি। তাদের আশঙ্কা ছিল, দেশ থেকে গা ঢাকা দেওয়ার মতলবেই দুবাই যেতে চাইছেন তৃণমূল সাংসদ। তাই সেই সফরে নিষেধাজ্ঞাও জারি হয়। বেআইনি কয়লা পাচার মামলার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তাদের যুক্তি ছিল, কেলেঙ্কারির মূল পাণ্ডা বিনয় মিশ্র যেভাবে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, সেভাবেই গা ঢাকা দিতে পারেন সস্ত্রীক অভিষেক। 

    এব্যাপারে ২০২০ সালের কথা আদালতে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে ইডি। সেবছর ২০ নভেম্বর জেরার জন্য বিনয় মিশ্রকে ডেকে পাঠিয়ে ছিল ইডি। কিন্তু তার আগের দিন ১৯ নভেম্বর দুবাই পালায় বেআইনি কয়লা কেলেঙ্কারি মামলায় প্রধান অভিযুক্ত বিনয়। ইডির আশঙ্কা, এবারও তার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে। কারণ, সূত্র অনুযায়ী তাদের কাছে খবর আছে যে, বিনয় মিশ্র এখন দুবাইয়ে আছে। তার সঙ্গে দেখা করে কয়লা পাচার মামলার সমস্ত নথি নষ্ট করতে পারেন অভিষেক। আর সাক্ষ্য প্রমাণ নষ্টের জন্যই এই সফর। 

    আরও পড়ুন: অভিষেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন! মুখ্যসচিবকে সময় বেঁধে দিলেন রাজ্যপাল

    ইডির যুক্তি, চোখের চিকিৎসার জন্য দুবাইয়ের খুব একটা সুনাম নেই। এমন জায়গায় চক্ষু পরীক্ষা করাতে যাওয়ার পিছনে আসলে কোন মতলব আছে। ইডির তরফে জানানো হয়, ভারতেই চোখের বহু নামকরা হাসপাতাল আছে। চক্ষু বিশেষজ্ঞরাও আছেন। কিন্তু অভিষেক হঠাৎ দুবাই ছুটছেন কেন? তিনি ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটারও দাখিল করেননি। তাই এর পিছনে কোনও দুরভিসন্ধি কাজ করছে বলে মনে করছে ইডি। 

    যদিও অভিষেকের তরফে আইজীবীরা আদালতে জানান, দুবাইয়ে মুরফিল্ডস আই হসপিটালে (Moorfields Eye Hospital) চিকিৎসা করাবেন তৃণমূল সাংসদ। ২৬ মে তিনি জানতে পারেন, ৩ জুন চেক আপ আছে। তাই ১ জুন বিমানের টিকিট কাটেন। ফেরার টিকিট কাটা হয় ১০ জুন। এনিয়েও অবশ্য বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন ওঠে। ১০ দিন ধরে দুবাইয়ে চিকিত্সা, নাকি নেপথ্যে অন্য কিছু, তা নিয়েই চলছে জল্পনা। 

  • Satyendar Jain: হাওয়ালা লেনদেন! ৯ জুন পর্যন্ত ইডি হেফাজতে সত্যেন্দ্র জৈন

    Satyendar Jain: হাওয়ালা লেনদেন! ৯ জুন পর্যন্ত ইডি হেফাজতে সত্যেন্দ্র জৈন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি (Delhi) সরকারের মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনকে (Satyendra Jain) ৯ জুন পর্যন্ত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) হেফাজতে পাঠাল আদালত। বেআইনি আর্থিক লেনদেনের (money laundering) অভিযোগে সোমবার তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি (ED)।

    মঙ্গলবার আদালতে পেশ করা হয় সত্যেন্দ্রকে। ইডি-র তরফে আদালতে সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা (Tushar Mehta)। তিনি বলেন, “কী ভাবে টাকা হাওয়ালায় (Hawala) লগ্নি করা হয়েছিল, অন্যত্র পাঠানো হয়েছিল, সে সব তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে। তদন্তের স্বার্থে ধৃতের ১৪ দিনের হেফাজত চাইছে ইডি।” 

    মেহতা জানান, ২০১৫ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন প্রায় ১.৬৭ কোটি টাকার সম্পত্তি করেছিলেন সত্যেন্দ্র। তদন্তে উঠে এসেছে, সেই দুর্নীতির টাকা তিনি কলকাতার ভুয়ো সংস্থার খাতায় পাঠিয়েছিলেন। কলকাতারই দুই ব্যক্তি ওই কাগুজে সংস্থাগুলি তৈরি করেছিলেন। একশো টাকায় ১৫-২০ পয়সা কমিশনের ভিত্তিতে কাজ করার কথা তাঁরা স্বীকারও করেছেন। ইডি-র দাবি, আসলে সত্যেন্দ্রই ওই সংস্থাগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতেন।

    আরও পড়ুন: আইনের ফাঁসে আরেক আপ নেতা! হাওয়ালাকাণ্ডে গ্রেফতার দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    সূত্রের খবর, রাজনীতিতে আসার আগে সত্যেন্দ্র প্রথমে কেন্দ্রীয় পূর্ত দফতরে চাকরি করতেন। পরে চাকরি ছেড়ে নির্মাণ সংক্রান্ত একটি পরামর্শদাতা সংস্থা খোলেন। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাজকর্মের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। ইডি ইতিমধ্যেই জৈন পরিবার ও তাঁদের নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থাগুলির ৪.৮১ কোটি টাকার সম্পত্তি সাময়িক ভাবে বাজেয়াপ্ত করেছে।

    আদালতে ইডি জানায়, এই মামলায় প্রথমে সত্যেন্দ্রকে গ্রেফতার না করেই তদন্ত চালাতে চেয়েছিল তারা। কিন্তু মন্ত্রী উত্তর এড়িয়ে যাচ্ছিলেন। সত্যেন্দ্রর আইনজীবী বলেন, ‘‘২০১৮ সালে এই মামলা দায়ের হয়েছিল। এখন ২০২২। এর মধ্যে অন্তত ছ’বার মন্ত্রীকে ডাকা হয়েছে এবং প্রত্যেক বারই তিনি সহযোগিতা করেছেন। তদন্তকারী সংস্থা শুধু বড় বড় কথা বলছে। মন্ত্রীর সঙ্গে কালো টাকার যোগের প্রমাণ কোথায়?’’

    পাঞ্জাবের আপ সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিজয় সিংলার (Vijay Singla) বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় সপ্তাহখানেক আগেই তাঁকে বরখাস্ত করে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান (Bhagwant Mann)। সত্যেন্দ্রর ক্ষেত্রে কেজরিওয়ালও (Kejriwal) কেন একই পথে হাঁটছেন না, বিজেপির মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া আজ সেই প্রশ্ন তুলেছেন।

    কেজরিওআলের দাবি, ‘‘পাঞ্জাবের মন্ত্রীর একটি অডিয়ো রেকর্ডিং পাওয়া গিয়েছিল, যার কথা কোনও তদন্তকারী সংস্থা বা বিরোধীরা জানতই না। চাইলে আমরা সেটা ধামাচাপা দিয়ে দিতেই পারতাম। কিন্তু আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি, তাঁকে গ্রেফতার করিয়েছি। কিন্তু সত্যেন্দ্র নির্দোষ। মামলাটি পুরোপুরি জাল এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। বিচার ব্যবস্থায় আমাদের আস্থা আছে। সত্যেন্দ্র জৈন সত্যের পথে হেঁটেই নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করবেন।’’

    এদিকে, সত্যেন্দ্রকে সমর্থন করার জন্য কেজরিওয়ালের দিকে প্রশ্ন তোলেন বিজেপি (BJP) নেত্রী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। সত্যেন্দ্রকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ তকমা দিয়ে স্মৃতি বলেন, সত্যেন্দ্র দেশের সম্পদ লুঠ করেছেন তাঁকে শাস্তি না দিয়ে তাঁর পাশে দাঁড়াচ্ছেন আপ (AAP) নেতা।

  • SSC Recruitment Scam: এসএসসি দুর্নীতিতে কোটি কোটি টাকার লেনদেন! গেছে কার পকেটে? তদন্তে ইডি

    SSC Recruitment Scam: এসএসসি দুর্নীতিতে কোটি কোটি টাকার লেনদেন! গেছে কার পকেটে? তদন্তে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  একা রামে রক্ষে নেই, সুগ্রীব দোসর!

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) নির্দেশে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission) শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Teachers recruitment scam) মামলা তদন্ত করে দেখছে সিবিআই (CBI)। এই প্রেক্ষিতে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) থেকে শুরু করে বর্তমান শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে (Paresh Adhikary) দফায় দফায় দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তারা। তাঁর মেয়ে অঙ্কিতাকে শিক্ষকতার চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার এসএসসি কাণ্ডে (SSC scam) তদন্তে ময়দানে নামতে চলেছে আরেক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate) বা ইডি। ফলে, তৃণমূলের কপালে চিন্তার ভাঁজ আরও যে বাড়তে চলেছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।

    কিন্তু, ইডি কেন তদন্ত করছে? জানা গিয়েছে, রাজ্যের শিক্ষক দুর্নীতিকাণ্ডে একের পর এক যে চাঞ্চল্যকর তথ্য ও নথি প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে একটা বিষয় নিশ্চিত। তা হল, এই ঘটনায় কোটি কোটি টাকার বেআইনি লেনদেন হয়েছে। অন্তত এমনটাই মনে করছেন তদন্তকারীরা। সেই টাকা কার কার কাছে পৌঁছেছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে ইডির সদর দফতর থেকে কলকাতায় সিবিআই (CBI) দফতরে ইমেল করা হয়। তাতে সিবিআইয়ের কাছে এসএসসি দুর্নীতি মামলায় (SSC Recruitment Scam) দায়ের করা ৪টি এফআইআরের কপি ও অন্যান্য নথি চাওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত তদন্তে যা যা উঠে এসেছে তা সিবিআইয়ের কাছে রিপোর্ট আকারে চেয়েছে ইডি। একইসঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় যাবতীয় নথি চাওয়া হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, দু-একদিনের মধ্যেই সব নথি দেওয়া হবে ইডিকে। ইতিমধ্যেই, দুই মন্ত্রী এবং এসএসসি-র নিয়োগ কমিটির আধিকারিকদের সম্পত্তির তথ্য খতিয়ে দেখা শুরু করেছে সিবিআই। এবার অর্থের তছরূপ নিয়ে তদন্ত শুরু করবে ইডি (ED)। 

  • VIVO: ইডির কড়া নজরে ভিভো, কেন? 

    VIVO: ইডির কড়া নজরে ভিভো, কেন? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার ভিভো (VIVO) এবং বিভিন্ন চিনা স্মার্টফোন প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ৪০ টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে ইডি (Enforcement Directorate)। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং দক্ষিণ ভারতের একাধিক রাজ্যে অভিযান চলে। আর্থিক তছরূপ বিরোধী আইনের আওতায় ভিভোর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ইডি।     

    ইডির অভিযানের পর বুধবার বেজিং (China), আইন মেনে ভিভোর বিরুদ্ধে ‘বৈষম্যহীন’ তদন্ত চালানোর আশ্বাস দিয়েছে। অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে ভিভোর। ভারত ছেড়ে পালিয়েছেন ভিভোর অধিকর্তা ঝেনশেন ওউ এবং ঝ্যাং ঝাই।

    আরও পড়ুন: ভিভোকাণ্ডে ইডি-র আতসকাচের তলায় দুই অ্যাকাউন্ট্যান্ট ও এক কোম্পানি সেক্রেটারি

    সারা দেশে ৪৮ টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে ভিভো ইন্ডিয়ার ৬৬ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট, ৪৬৫ কোটি টাকাসহ ১১৯ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। ইডির দাবি, ভিভো ইন্ডিয়া ভারতে ব্যবসার টার্নওভারের ৫০% অর্থাৎ ৬২,৪৭৬ কোটি টাকা চিনকে পাঠিয়েছে।   

    কর এড়ানোর জন্য ভিভোসহ বেশ কিছু সংস্থা বিশাল ক্ষতি দেখিয়ে সরকারের সঙ্গে জালিয়াতি করেছে বলে অভিযোগ করেছে ইডি। 

    ইডি জানিয়েছে, তারা মঙ্গলবার ভিভো মোবাইলস ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড এবং তার ২৩টি সহযোগী সংস্থা, যেমন মেসার্স গ্র্যান্ড প্রসপেক্ট ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিকেশন প্রাইভেট লিমিটেড (GPICPL)- এর সঙ্গে সম্পর্কিত ৪৮টি স্থানে অনুসন্ধান চালিয়েছে। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের (পিএমএলএ) অধীনে দু কিলোগ্রাম সোনার বার এবং নগদ ৭৩ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।   

    ইডির মতে, ২০১৪ সালের ১ অগাস্ট,  হংকংয়ের কোম্পানি মাল্টি অ্যাকর্ড লিমিটেডের সহযোগী সংস্থা হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করেছিল ভিভো মোবাইলস ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড। আরওসি দিল্লিতে হয়েছিল এই সংস্থার রেজিস্ট্রেশন। GPICPL, ২০১৪ সালের ৩ ডিসেম্বর  আরওসি সিমলা, সোলান, হিমাচল প্রদেশ, গান্ধীনগর, জম্মুতে রেজিস্ট্রেশন করেছিল।   

    ইডির দাবি, নীতিন গর্গ নামে একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের সহায়তায়, ঝেংশেন ওউ, বিন লো এবং ঝাং জি নামে তিন ব্যক্তি GPICPL স্থাপন করেন। বিন লু ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল ভারত থেকে চলে গিয়েছেন। ঝেংশেন ওউ এবং ঝাং জি-ও ২০২১ সালে ভারত ছাড়েন।

    ইডির দাবি, এই সংস্থাগুলি ভিভো ইন্ডিয়াতে বিপুল পরিমাণ টাকা স্থানান্তর করেছে। ব্যবসার ১,২৫,১৮৫ কোটি টাকা আয়ের মধ্যে, ৬২,৪৭৬ কোটি টাকা চিনে পাঠিয়ে দিয়েছে ভিভো ইন্ডিয়া। অর্থাৎ, প্রায় ৫০% টার্নওভারই চলে গিয়েছে প্রতিবেশী দেশে। মূলত ভারতকে কর দেওয়া থেকে বাঁচতেই এই ব্যবস্থা। এই সংস্থাগুলির বিশাল ক্ষতি দেখিয়ে কর ছাড় পাওয়ার জন্য এমনটা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছে ইডি।   

    কিছুদিন আগে শাওমির ৫,৫৫১.২৭ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। ইডির তরফে জানানো হয়েছে,  ১৯৯৯ সালের ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টের (FEMA) অধীনে শাওমির অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। 

     

  • Coal Smuggling Case: কলকাতায় ইডি আধিকারিকদের নিরাপত্তার ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    Coal Smuggling Case: কলকাতায় ইডি আধিকারিকদের নিরাপত্তার ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কলকাতায় (Kolkata) জিজ্ঞাসাবাদ করলে ইডি (ED) আধিকারিকদের সবরকম সুরক্ষা দিতে হবে কলকাতা পুলিশকে (Kolkata Police)। রাজ্য সরকার (Mamata government) ইডি  আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাধ্য। কয়লা পাচারকাণ্ডে (coal smuggling case) তৃণমূল (TMC) সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ও তাঁর স্ত্রী রুজিরার (Rujira) আবেদনের ভিত্তিতে জানালো সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) ডিভিশন বেঞ্চ। শুধু, কখন কোথায় তদন্তকারী সংস্থা অভিষেক-রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়, তা ৭২-ঘন্টা আগে রাজ্য সরকারকে জানাতে হবে। 

    এর আগে বিচারপতি ইউ ইউ ললিত, এস রবীন্দ্র ভাট এবং সুধাংশু ধুলিয়ার ডিভিশন বেঞ্চ ইডির কাছে জানতে চায়, তৃণমূল সাংসদের দাবি মেনে কলকাতায় অভিষেক ও রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে অসুবিধা কিসের? তখন ইডির পক্ষ থেকে নারদকাণ্ডে (narada case) সিবিআইয়ের (CBI) তৃণমূল নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়।

    ২০২১-এর ১৮ মে সিবিআইয়ের রিজিওনাল অফিস নিজাম প্যালেস (nizam palace) ঘেরাও করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকরা। যেখানে তৃণমূল সুপ্রিমো ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করেন। দাবি জানান, মন্ত্রীদের গ্রেফতার করার আগে তাঁকে গ্রেফতার করতে হবে। ইডির পক্ষ থেকে জানানো হয় অভিষেক ও রুজিরা “রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী”। এরপরই ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, কয়লা পাচারকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করতে কলকাতায় যাওয়া ইডি আধিকারিকদের নিরাপত্তা দিতে হবে কলকাতা পুলিশকে। রাজ্য সরকার তাঁর দায়িত্ব এড়াতে পারে না। পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ইডি আধিকারিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। 

    কয়লা পাচারকাণ্ডে আর্থিক তছরুপ মামলায় তৃণমূল সাংসদ ও তাঁর স্ত্রীকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (Enforcement Directorate)। প্রতিবারই নানা অজুহাতে এড়িয়ে যান মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো তথা তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা।

    শেষপর্যন্ত এবছর মার্চে দিল্লিতেই ইডির মুখোমুখি হন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক। কিন্তু সেবারও জিজ্ঞাসাবাদ এড়িয়ে যান, অভিষেক-পত্নী রুজিরা। গত ১১ মার্চ দিল্লি হাইকোর্টে কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করেন অভিষেক ও রুজিরা। সাংসদের আবেদন খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। ফলে, ২১ ও ২২ মার্চ ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে, সেবারও জিজ্ঞাসাবাদ এড়িয়ে যান রুজিরা। এরপরই দিল্লি হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান তৃণমূল সাংসদ ও তাঁর স্ত্রী। তারই শুনানি হল বৃহস্পতিবার। তৃণমূল সাংসদের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ কপিল সিব্বাল।                                                                                                                                                                                                                                            

LinkedIn
Share