Tag: france

france

  • PM Modi: ‘ভারতে বিনিয়োগের সঠিক সময়’, ফ্রান্স থেকে বিশ্বকে বার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদির

    PM Modi: ‘ভারতে বিনিয়োগের সঠিক সময়’, ফ্রান্স থেকে বিশ্বকে বার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে বিনিয়োগের এটাই সঠিক সময়। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকশিত ভারত’-র লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে দেশ। বিশ্বের তাবড় শিল্পোদ্যোগী, বিনিয়োগকারী তথা শিল্প সংস্থাকে ভারতে আসার আহ্বান জানিয়ে এই বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্যারিসে ১৪তম ভারত-ফ্রান্স সিইও ফোরামে মঙ্গলবার এমনই দাবি করলেন মোদি। ভারত-ফ্রান্স সিইও ফোরামে তাঁকে স্বাগত জানান ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ। দুই দেশের বড় বড় সংস্থার প্রতিনিধিরা এই ফোরামে অংশ নেন।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    প্যারিসে ১৪তম ভারত-ফ্রান্স সিইও ফোরামে প্রধানমন্ত্রী (Modi in France) জানান, ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকশিত ভারত’-এর লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে দেশ। ভারতে বিনিয়োগের জন্য এটাই সবচেয়ে ভাল সময়। তিনি বলেন, “গত এক দশকে ভারতে পরিবর্তন আপনারা লক্ষ করেছেন। বিভিন্ন সংস্কারের মাধ্যমে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এই মুহূর্তে ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। শীঘ্রই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হতে চলেছে।” তাঁর সংযোজন “এখন বিনিয়োগের গন্তব্যস্থল ভারত। আমরা এখন সেমিকন্ডাক্টর এবং কোয়ান্টাম মিশনও শুরু করেছি। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র উদ্যোগকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।’’

    ভারত-ফ্রান্স গভীর বন্ধুত্ব

    এদিন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁর সঙ্গে এখানে থাকতে পারা আমার কাছে খুবই আনন্দের। গত ২ বছরে এটা আমাদের ষষ্ঠ সাক্ষাৎ। গত বছর প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি ছিলেন ম্যাক্রঁ।” প্রধানমন্ত্রী মোদির কথায়, “ভারত ও ফ্রান্স শুধুমাত্র গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের দ্বারাই যুক্ত নয় ৷ আমাদের বন্ধুত্বের ভিত্তি একে অপরের প্রতি গভীর বিশ্বাস, উদ্ভাবন এবং জনকল্যাণ ৷ আমাদের অংশীদারিত্ব শুধুমাত্র দু’টি দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় ৷ বিশ্বের নানা সমস্যা, চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলায় আমরা একে অপরের সহযোগিতা করছি ৷ আমি শেষ বার যখন এখানে এসেছিলাম, তখনই আমাদের অংশীদারিত্ব বিষয়ে ২০৪৭ সালের রোডম্যাপের কথা উল্লেখ করেছিলাম ৷” সফলভাবে এআই অ্যাকশন সম্মেলন আয়োজনের জন্য ম্যাক্রঁকে ধন্যবাদ জানান মোদি। এরপরই এআই, মহাকাশ গবেষণায় ভারতের সাফল্যের কথা তুলে ধরেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘আগে ভারতীয় সংস্থাগুলি বিমানের জন্য বাইরে বড় বড় বরাত দিত। এখন আমরা (ভারতে) ১২০টি নতুন বিমানবন্দর খুলতে চলেছি। তা হলে ভাবুন, ওই ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ কতটা সম্ভাবনাময়।’’

  • PM Modi In France: মোদিকে আলিঙ্গন ম্যাক্রঁ-র, প্যারিসে ট্রাম্পের ডেপুটির সঙ্গে আলোচনা প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi In France: মোদিকে আলিঙ্গন ম্যাক্রঁ-র, প্যারিসে ট্রাম্পের ডেপুটির সঙ্গে আলোচনা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই বন্ধুর উষ্ণ আলিঙ্গন। প্যারিসে (PM Modi In France) এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে হওয়া সম্মেলনে যোগ দিতে সোমবার ফ্রান্স গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi meets Macron)। তাঁকে আলিঙ্গন করে স্বাগত জানান ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ। সেই সাক্ষাতের কথা জানিয়ে মোদি সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘‘প্যারিসে বন্ধু তথা প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁর সঙ্গে দেখা করে খুশি হয়েছি।’’ পাশাপাশি মোদি লিখেছেন, ‘প্যারিসে অভ্যর্থনা স্মরণীয় হয়ে থাকবে!’ ঠান্ডা উপেক্ষা করে ভারতীয় সম্প্রদায়ের লোকেরা যেভাবে ভালবাসা দেখিয়েছেন তাতে আমাদের প্রবাসী সম্প্রদায়ের প্রতি কৃতজ্ঞ’!

    মোদি-ম্যাক্রঁ সাক্ষাত

    ম্যাক্রঁর আমন্ত্রণে ফ্রান্স সফরে গিয়েছেন মোদি (PM Modi In France) । আজ, মঙ্গলবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক সম্মেলনটি হবে ফ্রান্সে। ২০২৩ সালে এই সম্মেলন শুরু হয় ব্রিটেনে। ২০২৪ সালে এই আসর বসেছিল দক্ষিণ কোরিয়ায়। এ বার আয়োজিত হচ্ছে ফ্রান্সে। সেই সম্মেলনেই থাকবেন মোদি। এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্যই হল এআই প্রযুক্তির নৈতিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। এআই সম্মেলন ছাড়াও ফ্রান্স সফরে বেশ কয়েকটি উচ্চস্তরের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করবেন মোদি। এ ছাড়াও ম্যাক্রঁর সঙ্গে একান্ত বৈঠক করার কথা আছে তাঁর। ভারত এবং ফ্রান্সের মধ্যে বাণিজ্য, প্রযুক্তিগত অংশীদারি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কী কী করণীয়, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে। বুধবার মোদি এবং ম্যাক্রঁ— দু’জনে মার্সেইতে মাজারগুয়েস যুদ্ধের সমাধিক্ষেত্র পরিদর্শন করবেন। যুদ্ধে শহিদ ভারতীয় সৈন্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন মোদি (Modi meets Macron)।

    মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলাপ

    ফ্রান্সের মাটিতে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন মোদি (PM Modi In France) । সোমবার, প্যারিসে বিশ্বনেতাদের নৈশভোজের ফাঁকে দুজনের মধ্যে কথোপকথন হয়। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁর পোস্ট করা একটি ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, জেডি ভান্সের সঙ্গে করমর্দন করছেন মোদি। মার্কিন নির্বাচনে রিপালিকানদের জয়ের জন্যে ভান্সকে অভিনন্দন জানাচ্ছিলেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য, ফ্রান্স থেকেই ১২ ফেব্রুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

  • PM Modi: আজ ফ্রান্স উড়ে যাবেন মোদি, বুধে আমেরিকা, বৈঠক হবে ট্রাম্পের সঙ্গে

    PM Modi: আজ ফ্রান্স উড়ে যাবেন মোদি, বুধে আমেরিকা, বৈঠক হবে ট্রাম্পের সঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন মসনদে ট্রাম্প ২.০ প্রশাসন আসার পর এই প্রথম আমেরিকা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আজ, সোমবার তিনি উড়ে যাবেন ফ্রান্সের উদ্দেশে। বুধবার সেখান থেকে রওনা দেবেন আমেরিকার (US) উদ্দেশে। ১০ ফেব্রুয়ারি ফ্রান্সে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ফ্রান্সের প্যারিসে, ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স অ্যাকশন সমিট’- এ যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। ১০ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি ফ্রান্স সফরের পর সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী যাবেন আমেরিকায়। ফ্রান্সে ‘ইন্টারন্যাশনাল থার্মোনিউক্লিয়ার রিয়াক্টার’ যেখানে রয়েছে, সেই জায়গাও পরিদর্শন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

    মোদি-ট্রাম্পের সাক্ষাৎ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ (PM Modi)

    তবে সমস্ত মহলের নজর রয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদির মার্কিন সফরের দিকে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে মোদি-ট্রাম্পের সাক্ষাৎ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি মিডিয়া রিপোর্ট দাবি করেছে, দুই দেশের মধ্যে ‘মিনি ট্রেড ডিল’ সংক্রান্ত বাণিজ্যিক কথাবার্তা হতে পারে। জানা গিয়েছে, গত ২৭ জানুয়ারি আমেরিকায় মোদিকে (PM Modi) আমন্ত্রণ করে ফোন আসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের। ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপের পর এক্স হ্যান্ডেলে মোদি লেখেন, ‘‘আমার প্রিয় বন্ধু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলে আনন্দিত। তাঁর ঐতিহাসিক দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য অভিনন্দন। পারস্পরিক উন্নয়ন এবং বিশ্বস্ত অংশীদারিত্বের জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের জনগণের কল্যাণে এবং বিশ্বের শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তার জন্য আমরা একযোগে কাজ করব।’’  মোদি-ট্রাম্পের কথায় স্বচ্ছ্ব দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    দেশের বিদেশ সচিবের বিবৃতি

    মোদির (PM Modi) সফরের বিষয়ে বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী মোদী ১২ এবং ১৩ ফেব্রুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি অফিশিয়াল সফরে যাচ্ছেন। প্রেসিডেন্ট হিসাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয়বারের মেয়াদ শুরুর পরে এটি হবে প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর। প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্পের (দ্বিতীয়বার)অভিষেক হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাওয়া প্রথম কয়েকজন বিশ্বনেতার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হবেন অন্যতম।’’

  • PM Modi: সোমবারই ২ দিনের ফ্রান্স সফরে মোদি, এআই সম্মেলনে যোগ, মাক্রঁর সঙ্গে বিশেষ বৈঠক

    PM Modi: সোমবারই ২ দিনের ফ্রান্স সফরে মোদি, এআই সম্মেলনে যোগ, মাক্রঁর সঙ্গে বিশেষ বৈঠক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্রান্স (France) সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Pm Narendra Modi)। সোমবার অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি প্যারিসে পৌঁছবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি হতে চলেছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সামিট (AI) ৷ সেই এ আই সামিটে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। ফ্রান্সের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বরাবরই ভালো। প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে একান্তে বৈঠকের কথা রয়েছে প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল মাক্রঁর (Emmanuel Macron)।

    এআই-এর প্রতি গুরুত্ব আরোপ

    মাক্রঁ জানিয়েছেন, ফ্রান্স সফরে এসেই প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) এআই শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। এ সময় তিনি এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ) নিয়ে আলোচনা হবে। ভারত ছাড়াও এই এআই সম্মেলন আমেরিকা, চিন এবং উপসাগরীয় দেশগুলিও সঙ্গেও আলোচনার সুযোগ তৈরি করে দেবে। যোগ দেবে আরব দেশগুলিও। ফ্রান্সে আয়োজিত এই এআই সম্মেলন ইউরোপকে ‘নেতৃস্থানীয় এআই মহাদেশ’ হিসেবে গোটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরবে।” ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, ভারত-সহ প্রায় ৯০টি দেশকে এই এআই অ্যাকশন সামিটে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এই সম্মেলনে, ভুল তথ্য ছড়ানো এবং এআই- এর অপব্যবহারের বিষয়েও আলোচনা করা হবে। এআই সম্মেলনটি প্যারিসের গ্র্যান্ড প্যালেসে অনুষ্ঠিত হবে। এতে একাধিক প্রথম সারির রাষ্ট্রপ্রধান, প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাক্রঁ (PM Modi in France) এআই সামিটের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেছেন, “ফ্রান্স ১১-১২ ফেব্রুয়ারি এআই অ্যাকশন সামিটের আয়োজন করছে। এই সামিট আন্তর্জাতিকভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ তৈরি করবে। প্রধানমন্ত্রী মোদি আমাদের দেশে রাষ্ট্রীয় সফর শেষে এখানে উপস্থিত থাকবেন, এবং এটি আমাদের আমেরিকা, চিন, ভারত এবং গালফ স্টেটসের মতো বড় দেশগুলির সঙ্গে এআই নিয়ে আলোচনা করতে সাহায্য করবে।”

    এআই অ্যাকশন সামিটে যোগ

    ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁর সাথে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) অ্যাকশন সামিটের কো-চেয়ার হিসেবে অংশগ্রহণ ছাড়াও নানা বিষয়ে বৈঠকের কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi)। তাঁদের মধ্যে উচ্চস্তরের দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় প্রতিরক্ষা, শক্তি এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে কথা হবে। ১০ ফেব্রুয়ারি ফ্রান্সে পৌঁছানোর পর, প্রধানমন্ত্রী মোদি প্যারিসে একটি ভিভিআইপি সামিট ডিনারে অংশগ্রহণ করবেন। ১১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত এআই অ্যাকশন সামিটে বৈশ্বিক এআই নীতি নির্ধারণ এবং ভারত-ফ্রান্স সহযোগিতা শক্তিশালী করার লক্ষ্য নিয়েই আলোচনা হবে। এছাড়া, সফরের দ্বিপাক্ষিক পর্ব ১১ ফেব্রুয়ারির বিকেলে শুরু হবে, যেখানে মোদি এবং মাক্রঁ উভয় দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি বৈঠক হবে। তারপর প্রধানমন্ত্রী মোদি মার্সেইয়ে যাবেন, যেখানে ভারত একটি নতুন কনসুলেট খুলবে। মার্সেইতে নেতারা দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবেন এবং পরে একটি ব্যক্তিগত ডিনারে মিলিত হবেন।

    কৌশলগত ঘোষণা প্রত্যাশিত

    এই সফরের সময় প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, স্মল মডুলার রিয়াক্টর (এসএমআর) এবং বিমান রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত ও ওভারহোল (এমআরও) ক্ষেত্রে বড় ঘোষণা আসতে পারে। তাছাড়া, দুই দেশ এআই নিয়ে একটি ফ্রান্স-ভারত রোডম্যাপও গ্রহণ করতে চলেছে। যা দুই দেশের প্রযুক্তিগত সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করবে। মোদি-মাক্রঁ (PM Modi in France) আলোচনায় আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হবে ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডর (আইএমইসি), যা তিনটি অঞ্চলের মধ্যে বাণিজ্য ও সংযোগ বৃদ্ধি করবে।

    ভারতীয় শিক্ষার্থীদের স্বাগত

    ফ্রান্স ভারতীয় শিক্ষার্থীদের প্রতিও মনোযোগ দিতে চাইছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০,০০০ ভারতীয় শিক্ষার্থীকে প্যারিসে স্বাগত জানাতে চান মাক্রঁ। বর্তমানে ফ্রান্সে ১০,০০০ হাজার ভারতীয় পড়ুয়া রয়েছে। ১২ ফেব্রুয়ারি দুই দেশের রাষ্ট্রনেতারা প্রথম বিশ্বযুদ্ধে শহিদ হওয়া ভারতীয় সেনাদের সমাধিক্ষেত্রে গিয়ে তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন ৷ এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী মোদি ও প্রেসিডেন্ট মাক্রঁ (PM Modi in France) ফ্রান্সে ইউরোপের সর্ববৃহৎ প্রযুক্তি গবেষণাকেন্দ্র কারাডাশ-এ যাবেন ৷ সেখানে ইন্টান্যাশনাল থার্মোনিউক্লিয়ার এক্সপেরিমেন্টাল রিঅ্যাক্টর (আইটিইআর) ঘুরে দেখবেন ৷

    ফ্রান্স সফর শেষে মার্কিন সফর

    প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi) ফ্রান্স সফর ১২ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে, তারপর তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি সফরে যাবেন তিনি। শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক ৷ এদিন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি একটি সাংবাদিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন দু’টি বিদেশ সফরের বিষয়ে জানান ৷ তিনি বলেন, “প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী মোদি ১২,১৩ ফেব্রুয়ারি আমেরিকা সফরে যাবেন ৷ ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এটাই তাঁর প্রথম মার্কিন সফর ৷ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শপথ নেওয়ার পর প্রথম যে রাষ্ট্রনেতারা আমেরিকায় যাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদি অন্যতম ৷”

  • Jyothi Yarraji: জাতীয় রেকর্ড জ্যোতির, ফ্রান্সের মাটিতে ৬০ মিটার হার্ডলে সোনা ভারতের মেয়ের

    Jyothi Yarraji: জাতীয় রেকর্ড জ্যোতির, ফ্রান্সের মাটিতে ৬০ মিটার হার্ডলে সোনা ভারতের মেয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের রেকর্ড ভেঙে ৬০ মিটার হার্ডলে নতুন রেকর্ড গড়লেন জ্যোতি ইয়ারাজ্জি। ইউরোপের প্রতিযগিতায় সোনাও জিতে নিলেন এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন ভারতের এই অ্যাথলিট। ফ্রান্সে নন্ত শহরে আয়োজিত এলিট ইন্ডোর মিটে মাত্র ৮.০৪ সেকেন্ড সময়ে ৬০ মিটার হার্ডল অতিক্রম করেছেন। ২৫ বছরের তরুণী অ্য়াথলিট এর আগে ৬০ মিটার হার্ডল অতিক্রম করার ক্ষেত্রে ৮.১২ সেকেন্ড সময় নিয়েছিলেন।

     

    জ্যোতির রেকর্ড

    আগামী মার্চ মাসে চিনের নানজিংয়ে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ওয়ার্ল্ড ইন্ডোর চ্যাম্পিয়নশিপ রয়েছে। সেখানে যোগ্যতা অর্জনের জন্য ৭.৯৪ সেকেন্ড সময়ের মধ্যে হার্ডল পূরণ করতে হবে। জ্যোতি সম্প্রতি কিছুদিন আগেই অর্জুন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। ইরানের তেহরানে ৮.১২ সেকেন্ড সময় নিয়েছিলেন। ২০২৪ সালে গত বছর এশিয়ান ইন্ডোর চ্যাম্পিয়নশিপে ৬০ মিটার হার্ডলে সোনা জিতেছিলেন জ্যোতি। জাতীয় আউটডোর ১০০ মিটার হার্ডলেও ১২.৭৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে রেকর্ড ধরে রেখেছেন জ্যোতি। ১০০ মিটার হার্ডলে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ ও ২০২৩ সালে এশিয়ান গেমসে ১২.৯১ সেকেন্ড সময় নিয়ে রুপো জিতেছিলেন।

     

    জ্যোতির লক্ষ্য

    ১৯৯৯ সালের ২৮ অগাস্ট জন্মগ্রহণ করেন জ্যোতি ইয়ারাজ্জি। অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে বেড়ে ওঠা তাঁর। তাঁর বাবা সূর্যনারায়ণ ইয়ারাজ্জি একজন নিরাপত্তারক্ষী। আর তাঁর মা পোশায় একজন সাফাইকর্মী। বাবা মা শখ করে মেয়ের নাম রাখেন ‘জ্যোতি’। নিজের নামকে যথার্থ করে তুলেছেন জ্যোতি। ছোট থেকেই বেশ লম্বা তিনি। তাই স্কুল শিক্ষকের কথা শুনে হার্ডলস রেসিং শিখতে শুরু করেন। এখন তিনি ভারতের গর্ব। জ্যোতির এই সাফল্য ভারতীয় অ্যাথলেটিক্সে নতুন উচ্চতায় পৌঁছানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তার ফর্ম ও ধারাবাহিকতা ভবিষ্যতে আরও বড় সাফল্য এনে দেবে। তবে, জ্যোতির আশু লক্ষ্য ওয়ার্ল্ড ইন্ডোর চ্যাম্পিয়নশিপে ভাল ফল করা।

  • Maha Kumbh Mela: ৬ হাজার মাইল উজিয়ে ফ্রান্স থেকে মহাকুম্ভে এসেছেন প্রৌঢ়া, কেন জানেন?

    Maha Kumbh Mela: ৬ হাজার মাইল উজিয়ে ফ্রান্স থেকে মহাকুম্ভে এসেছেন প্রৌঢ়া, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মসূত্রে তিনি ফরাসি। ফ্রান্সই (French Woman) তাঁর মাতৃভূমি। তবে যিশুর ভক্ত নন। তাঁর আরাধ্য দেবতা শিব! সনাতন ধর্মের প্রতি তাঁর অদম্য আকর্ষণ। সেই টানেই ৬ হাজার মাইল উজিয়ে তিনি এসে পৌঁছেছেন উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে, পূর্ণকুম্ভ (Maha Kumbh Mela) চাক্ষুষ করবেন বলে। ‘আত্মার শুদ্ধিকরণে’ গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতীর সঙ্গমে স্নানও করবেন তিনি। বছর পঁয়ষট্টির এই ফরাসি মহিলার নাম পাসকাল। পূর্ণকুম্ভ শুরু হচ্ছে ১৩ জানুয়ারি। চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

    হিন্দুধর্মের প্রেমে পড়েছিলেন সেই কবে (Maha Kumbh Mela)

    পাসকাল হিন্দুধর্মের প্রেমে আজ পড়েননি, পড়েছিলেন সেই ১৯৮৪ সালে। সেবার প্রথম ভারতে এসে হিন্দুধর্মের প্রতি অনুরক্ত হয়ে পড়েন। হিন্দু ধর্মকে ভালোভাবে আত্তীকরণ করতে পুরাণ পড়েছেন, পড়েছেন ভগবদ গীতাও। তার পর থেকে যত দিন গিয়েছে হিন্দু ধর্মের প্রতি পাসকালের টান বেড়েছে। তাঁর হৃদয় মন্দিরে ততদিনে ঠাঁই নিয়েছেন দেবাদিদেব মহাদেব। ফরাসি এই প্রৌঢ়া বলেন, “আমি এখানে এসে খুব খুশি। আমি কুম্ভ মেলার গল্প জানি। এটি আত্মাকে শুদ্ধ করার জন্য একটি পবিত্র স্থান। এখানে এসে অনেক যোগী, সাধু এবং হিন্দু মানুষের সঙ্গে দেখা হয়েছে। আমি হিন্দুধর্মকে ভালোবাসি এবং ভগবান শিবের প্রতি বিশ্বাস রাখি।” তিনি বলেন, “কুম্ভে যে সমুদ্র মন্থন হয়েছিল, সে সম্পর্কেও আমার কাছে সম্পূর্ণ তথ্য রয়েছে। আমার কাছে অমৃতের ফোঁটা সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য রয়েছে।”

    আরও পড়ুন: “আসুন, এক সঙ্গে উদযাপন করি ভারতীয়ত্ব, আমাদের সংস্কৃতি”, প্রবাসীদের বললেন মোদি

    রুদ্রাক্ষ আমায় রক্ষা করে

    দিন ঘনিয়ে আসছে মহাকুম্ভের। প্রয়াগরাজে জমতে শুরু করেছে থিকথিকে ভিড়। সেই ভিড়ে রয়েছেন পাসকালও। হিন্দু ধর্মের প্রতি টানের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “হিন্দু ধর্ম ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। এটি আমার অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে আসা অনুভূতি।” কুম্ভে যে কারও থাকা-খাওয়ার চিন্তা নেই, তা ভালো লেগেছে এই ফরাসি মহিলার। বলেন, “এত বড় আয়োজন। এত মানুষের থাকা-খাওয়ার চিন্তা নেই। সবই নিখরচায় আয়োজন করা হয়েছে।” পাসকাল (Maha Kumbh Mela) বলেন, “এখানে সাধু-সন্ন্যাসী ও হিন্দুদের সঙ্গে দেখা করতে পছন্দ করি।” পাসকালের গলায় ঝুলছে রুদ্রাক্ষ। সেটি দেখিয়ে ফরাসি এই প্রৌঢ়া বলেন, “আমি গলায় যে রুদ্রাক্ষের মালা পরে রয়েছি, সেটি আমার এক বন্ধু আমায় উপহার দিয়েছিল। এটা গলায় থাকলে মনে হয়, এটি আমায় সর্বদা রক্ষা করছে (French Woman)।”

    মহাকুম্ভের এও এক প্রাপ্তি!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Chido: ঘূর্ণিঝড় চিডোর মারাত্মক ধ্বংসলীলা ফ্রান্সের মেইয়োত দ্বীপপুঞ্জে, হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু!

    Cyclone Chido: ঘূর্ণিঝড় চিডোর মারাত্মক ধ্বংসলীলা ফ্রান্সের মেইয়োত দ্বীপপুঞ্জে, হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফান্সে (France) মারাত্মক ঘূর্ণিঝড় চিডো (Cyclone Chido) ব্যাপক ধ্বংসলীলায় আঘাত হেনেছে। বাড়ি-ঘর, গাছপালা, দোকান, রাস্তায় বিরাট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফ্রান্সের ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রেতাইয়ো বলেছেন, “ঠিক কত পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি এবং মৃত্যু হয়েছে, সেই সম্পর্কে সম্পূর্ণ ভাবে তথ্য দিতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে।”

    অঞ্চলগুলি অত্যন্ত দুর্গম তাই উদ্ধারে বাধা (Cyclone Chido)

    জানা গিয়েছে, ফ্রান্সের (France) মেইয়োত এলাকা আর্থিকভাবে অত্যন্ত অনুন্নত এবং পিছিয়ে থাকা অঞ্চল। এখানেই সবথেকে বেশি ঝড়ের প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতি (Cyclone Chido) হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলার বাহিনী লাগাতার জোরকদমে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। একইসঙ্গে গুরুতর অসুস্থ এবং আহত লোকজনকে দ্রুত উদ্ধার কাজের জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে। চিডোকে গত এক শতাব্দীর মধ্যে সব থেকে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে। ব্রুনো বলেছেন, “অঞ্চলগুলি অত্যন্ত দুর্গম হওয়ার জন্য উদ্ধার কাজে ব্যাপক বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।”

    সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস ম্যাক্রঁর

    ঘূর্ণিঝড় চিডো (Cyclone Chido) গত সপ্তাহের শেষে পূর্ব আফ্রিকার দ্বীপপুঞ্জের একটি বৃহৎ অংশে ২০০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে পাহাড় এবং সমতলে আছড়ে পড়ে। বিদ্যুতের খুঁটি, পানীয় জল সরবরাহের গোটা সিস্টেমকে নিঃশেষ করে দিয়েছে। ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল মাক্রঁ, নিজের এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, “ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ দ্বীপপুঞ্জের এলাকাগুলিকে দ্রুত পরিদর্শনে যাব। দুর্যোগের বিষয়ে আমি সবরকম সহযোগিতার চেষ্টা করব। নিহত পরিবারের লোকজনের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা জানাই। মর্মান্তিক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করছি।”

    আরও পড়ুন: ভারত-শ্রীলঙ্কা প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জানালেন মোদি

    স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন অনেক মানুষ

    মেইয়োত অঞ্চলের বাসিন্দা ক্যামিল কোজন আবদুরাজাক বলেছেন, “রীতিমতো একটি বড়সড় যুদ্ধ বিপর্যস্ত এলাকার মতো মনে হচ্ছে। আমি নিজে কিছুই আর চিনতে পারছি না। এখানে ঝড়ের (Cyclone Chido) ফলে একটা গাছও আর অবশিষ্ট নেই। পাহাড়ের কোনও ঘাসের চিহ্ন নেই। মানুষের জীবন অত্যন্ত অসহায় হয়ে পড়েছে।” এলাকার আর এক বাসিন্দা পেশায় স্কুল শিক্ষক হামাদা আলি বলেন, “আমাদের এলাকার রাস্তাগুলি মাটির কাদায় ঢাকা পড়ে গিয়েছে। মানুষ নিরুপায় হয়ে স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন। একটা বিস্তীর্ণ অংশের সঙ্গে যোগাযোগ সম্পূর্ণভাবে বিছিন্ন হয়ে গিয়েছে।”

    রাজধানী মামুদজুতে প্রধান হাসপাতালটিতে জরুরি ভিত্তিতে পরিষেবা দেওয়ার কাজ করা হচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে একটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে এবং সেখানে ১০০ জন অতিরিক্ত চিকিৎসক মোতায়েন করে পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, রেয়ুনিয়ঁ দ্বীপ থেকে ত্রাণ সরবরাহ এবং সরঞ্জাম পরিবহণের জন্য সামুদ্রিক এবং আকাশপথে অভিযান চালানো হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rafale Marine Jet Deal: রাফাল যুদ্ধবিমানের জন্য চূড়ান্ত প্রস্তাব দিল ফ্রান্স, কমানো হয়েছে দাম

    Rafale Marine Jet Deal: রাফাল যুদ্ধবিমানের জন্য চূড়ান্ত প্রস্তাব দিল ফ্রান্স, কমানো হয়েছে দাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাফাল মেরিন ফাইটার জেট বা রাফাল এম-এর (Rafale Marine Jet Deal) জন্য ভারত এবং ফ্রান্স সরকারের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে চলেছে। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (NSA) অজিত ডোভালের সফরের আগেই রাফালে সমুদ্র চুক্তি নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফ্রান্স। ফ্রান্স এই চুক্তির বিষয়ে চূড়ান্ত মূল্য প্রস্তাব দিয়েছে, যাতে এই বিমানের দাম আগের থেকে কমানো হয়েছে। এনএসএ ডোভাল দেশের সবচেয়ে কার্যকর আমলা। তার প্যারিস সফরের ঠিক একদিন আগে এমন অফার পাচ্ছে ভারত। বলা বাহুল্য, এই চুক্তি চূড়ান্ত হলে ঘুম ছুটবে চিন-পাকিস্তানের। শক্তিশালী হবে ভারতীয় সেনা।

    নয়া চুক্তিতে ভারতের লাভ

    প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, ২৬টি রাফালে বিমান (Rafale Marine Jet Deal) কেনার চুক্তি নিয়ে ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে আলোচনা চলছে। এই যুদ্ধবিমানগুলি যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিক্রান্ত এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটিতে মোতায়েন করা হবে। গত সপ্তাহেও এই চুক্তি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এই চুক্তি চূড়ান্ত করতেই সোমবার ফ্রান্সে যাচ্ছেন অজিত ডোভাল। ভারত ফ্রান্সকে এই যুদ্ধবিমানে দেশীয় অস্ত্র বসাতে বলেছে যাতে সেগুলি ভারতীয় পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। ভারত এই বিমানগুলিতে রুদ্রম অ্যান্টি-রেডিয়েশন মিসাইল, দূরপাল্লার এয়ার-টু-এয়ার মিটিওর মিসাইলের মতো মারাত্মক ক্ষেপণাস্ত্র ফিট করতে পারে। এই বিমান ভারতের হাতে এলে ঘুম ছুটবে পাকিস্তান-চিনের। ভারতীয় নৌবাহিনী বা বায়ুসেনায় রাফালের অন্তর্ভুক্তি দেশের প্রতিরক্ষাকে আরও শক্তিশালী করবে।

    আরও পড়ুন: অর্ধ শতাব্দীজুড়ে ভারতীয় সিনে দুনিয়ায় রাজত্ব, দাদাসাহেব ফালকে পাচ্ছেন মিঠুন চক্রবর্তী

    নয়া চুক্তিতে ভারতের লাভ

    সূত্রের খবর, ফরাসি সরকারের কাছে শুধু ২৬টি রাফাল-এম (Rafale Marine Jet Deal) যুদ্ধবিমানের জন্য ৫০,০০০ কোটি টাকার টেন্ডার দিয়েছিল ভারত। ২৬টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমানের ২২টি থাকবে একক চালক আসনের। বাকি ৪টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমানের ককপিটে বসতে পারবেন দু’জন চালক। মূলত প্রশিক্ষণের কথা ভেবেই ফ্রান্সের কাছে ৪টি ‘ডাবল সিটার’ রাফাল-এম চেয়েছে ভারত। চুক্তিতে ভারত এবং ফ্রান্স সম্মত হলে, দুই দেশের মধ্যে ২৬টি যুদ্ধবিমানের লেনদেন হতে পারে। এই মুহূর্তে ভারতীয় বায়ুসেনার কাছে রয়েছে ৩৬টি অত্যাধুনিক রাফাল। ২০১৬ সালেই ফরাসি সরকারের সঙ্গে রাফাল চুক্তি করেছিল ভারত সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • UNSC: রাষ্ট্রপুুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদের দাবিকে জোরালো সমর্থন ফ্রান্সের

    UNSC: রাষ্ট্রপুুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদের দাবিকে জোরালো সমর্থন ফ্রান্সের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপুঞ্জের (United Nations) নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ প্রাপ্তির বিষয়ে জোরালো সমর্থন জানালেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল মাক্রঁ (Emmanuel Macron)। এর আগে ভারতকে সমর্থন জানিয়েছিল আমেরিকা। ফলে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়া ‘অবশ্যম্ভাবী’ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদে (UNGA) ভাষণ দেওয়ার সময়, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট জানান, রাষ্ট্রপুঞ্জকে আরও শক্তিশালী এবং কার্যকরী করে তোলার জন্য ভারতকে নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য হিসেবে দেখতে চায় ফ্রান্স।

    ফ্রান্সের সমর্থন

    বর্তমানে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) পাঁচটি সদস্য রাষ্ট্র রয়েছে। আমেরিকা, রাশিয়া, চিন, ব্রিটেন ও ফ্রান্স। নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের পক্ষেই যে বিশ্বের একটি বড় অংশ রয়েছে, তা প্রমাণিত। নিউ ইয়র্কে সাধারণ পরিষদে (United Nations) বক্তব্য রাখার সময় মাক্রঁ বলেন, “আসুন, রাষ্ট্রপুঞ্জকে আরও কার্যকর করি। আমাদের এটিকে আরও প্রতিনিধিত্বমূলক করতে হবে এবং এ কারণেই ফ্রান্স নিরাপত্তা পরিষদকে সম্প্রসারিত করার পক্ষে। এজন্য জার্মানি, জাপান, ভারত এবং ব্রাজিলকে স্থায়ী সদস্য পদ দেওয়া উচিত।” 

    কেন দরকার ভারতকে

    ভারত এখন শক্তিশালী দেশগুলির মধ্যে অগ্রগণ্য। ভারতীয় অর্থনীতিতে বৃদ্ধির হার বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে শুরু করে বিশ্বে সন্ত্রাস মোকাবিলায় ভারত সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে। তাই নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়া উচিত বলেই অভিমত কূটনীতিকদের। ১৫ সদস্য নিয়ে গঠিত নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্যের ভেটো ক্ষমতা রয়েছে। অন্যরা দু’বছরের জন্য নির্বাচিত হয়। সমতাভিত্তিক প্রতিনিধিত্বের প্রশ্নটি ১৯৭৯ সাল থেকে সাধারণ পরিষদের অ্যাজেন্ডায় রয়েছে। এখন দিনে দিনে, বিশ্বব্যাপী বাড়তে থাকা সংঘাতের মধ্যে সংস্কারের দাবি আরও জোরালো হয়েছে। সম্প্রতি কোয়াড বৈঠকে রাষ্ট্রপুঞ্জে (United Nations) ভারতের স্থায়ী সদস্য পদের দাবিকে সমর্থন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। তিনি বলেন, “আমরা নিরাপত্তা পরিষদকে (UNSC) সংস্কার করব। নিরাপত্তা পরিষদকে আরও প্রতিনিধিত্বমূলক, অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্বচ্ছ, কার্যকর, গণতান্ত্রিক এবং জবাবদিহিমূলক করতে এখানে স্থায়ী ও অস্থায়ী সদস্যপদের সম্প্রসারণ করা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India At UN: রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়া উচিত ভারতের, বললেন প্রাক্তন প্রধান

    India At UN: রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়া উচিত ভারতের, বললেন প্রাক্তন প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিশ্বের তৃতীয় সর্বশক্তিশালী দেশ হিসেবে ভারতের উচিত রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পদ পাওয়া (India At UN)। কথাগুলি ভারতের কোনও কর্তা ব্যক্তি বলেননি। বলেছেন নিরাপত্তা পরিষদের প্রাক্তন প্রধান (Ex UNSC Chief) তথা সিঙ্গাপুরের প্রাক্তন কূটনীতিবিদ কিশোর মাহবুবানি। তিনি সিঙ্গাপুরের প্রাক্তন কূটনীতিকও। তিনি বলেন, “রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের যে পাঁচ স্থায়ী সদস্য রয়েছে তার একটি ব্রিটেন। তাদের উচিত ভারতের জন্য সরে দাঁড়ানো।”

    কী বললেন মাহবুবানি? (Ex UNSC Chief)

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মাহবুবানি বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের পর ভারত আজ নিঃসন্দেহে তৃতীয় সর্ববৃহৎ শক্তিশালী দেশ (India At UN)। গ্রেট ব্রিটেন আর গ্রেট নয়।” তিনি বলেন, “ব্রিটেনের উচিত তার আসনটি ভারতকে ছেড়ে দেওয়া।” ২০০১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০০২ সালের মে মাস পর্যন্ত নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান ছিলেন মাহবুবানি। তিনি জানান, প্রতিক্রিয়ার ভয়ে ব্রিটেন দশকের পর দশক ধরে তার ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করেনি। এর পরেই তিনি বলেন, “ব্রিটেনের উচিত তার আসনটি ভারতকে ছেড়ে দেওয়া।”

    নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশ

    প্রসঙ্গত, বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় ভারত রয়েছে (Ex UNSC Chief) পাঁচ নম্বরে। দীর্ঘদিন এই জায়গাটা ছিল ব্রিটেনের দখলে। ব্রিটেনকে হঠিয়ে পাঁচে উঠে এসেছে ভারত (India At UN)। ব্রিটেন নেমে গিয়েছে এক ধাপ। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশ পাঁচটি। এগুলি হল, আমেরিকা, ফ্রান্স, চিন, রাশিয়া এবং ব্রিটেন। ভারত সাধারণ সভার সদস্য হয়েছে ৮ বার। যেহেতু ক্রমেই বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকায় ওপরের দিকে উঠছে ভারত, তাই নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী পদ পাওয়ার দাবি জোরালো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘শুধু বিচার চাই’’, আরজি করকাণ্ডে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতিকে চিঠি নির্যাতিতার মায়ের

    ভারত (India At UN) নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হোক, চায় আমেরিকাও। রাশিয়াও চায়। তবে চিনের ভেটো প্রয়োগের জেরে এখনও অবধি নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হতে পারেনি ভারত। পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশের সংখ্যা না বাড়লে ভারতের ঢোকার জায়গাও নেই। সেই কারণেই ব্রিটেনকে সরে দাঁড়াতে বলেছেন নিরাপত্তা পরিষদের প্রাক্তন প্রধান। ভারত জি৪-এর সদস্য। এর আরও তিন সদস্য রাষ্ট্র হল ব্রাজিল, জার্মানি এবং জাপান। এরা প্রত্যেকেই একে অন্যের স্থায়ী সদস্যপদের জন্য সমর্থন করে (Ex UNSC Chief)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share