Tag: Gandhi

Gandhi

  • EC: রাহুলের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কড়া প্রতিক্রিয়া নির্বাচন কমিশনের, কী বলল ইসি?

    EC: রাহুলের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কড়া প্রতিক্রিয়া নির্বাচন কমিশনের, কী বলল ইসি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা সাংসদ রাহুল গান্ধীর “আমরা তোমাদের জন্য আসছি” মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করল নির্বাচন কমিশন (EC)।  কর্ণাটকের একটি আসনে প্রতারণা সংক্রান্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই মন্তব্য (Rahul Gandhi) করেছিলেন রাহুল। কংগ্রেস নেতার এহেন মন্তব্যকে অত্যন্ত দুঃখজনক বলে জানিয়েছে কমিশন। কমিশন বলেছে, রাহুল গান্ধী একটি ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলার পাশাপাশি একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে হুমকিও দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে রাহুল বলেন, “গত বছরের লোকসভা নির্বাচনের সময় কর্ণাটকের একটি আসনে প্রতারণা হতে দিয়েছে কমিশন।”

    কী বলেছিলেন রাহুল (EC)

    কমিশনকে সতর্ক করে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি বলেন, “তোমরা এটা করে পার পেয়ে যাবে না। কারণ আমরা তোমাদের জন্য আসছি।” রাহুলের এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের এক মুখপাত্র প্রশ্ন তোলেন, “এই ধরনের ভিত্তিহীন ও হুমকিমূলক অভিযোগ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে কেন তোলা হচ্ছে, তাও আবার এখন?” তিনি বলেন, “এই মন্তব্য অত্যন্ত দুঃখজনক। কারণ ১৯৫১ সালের গণপরিষদ আইনের ৮০ নম্বর ধারা অনুযায়ী তিনি যদি নির্বাচনের ফল নিয়ে অসন্তুষ্ট হন, তবে তাঁর উচিত ছিল নির্বাচনী আবেদন দায়ের করা অথবা যদি ইতিমধ্যেই দায়ের করে থাকেন, তবে হাইকোর্টের রায়ের জন্য অপেক্ষা করা। অথচ তিনি এর বদলে ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন এবং একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে হুমকি দিয়েছেন।”

    ১০০ শতাংশ প্রমাণ

    রাহুল বলেন, “কংগ্রেসের কাছে কংক্রিট ১০০ শতাংশ প্রমাণ রয়েছে যে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের (EC) সময় দক্ষিণ ভারতের একটি আসনে নির্বাচন কমিশন জালিয়াতি করতে দিয়েছিল এবং তিনি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাটিকে সতর্ক করে বলেন যে, তারা এভাবে পার পাবে না। কারণ আমরা আপনাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছি।” নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র বলেন, “কর্নাটকের নির্বাচনী তালিকা নিয়ে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে একটি আপিলও কোনও জেলাশাসকের কাছে বা রাজ্যের প্রধান নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে দায়ের করা হয়নি। জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ২৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী এটিই ছিল কংগ্রেসের কাছে একটি বৈধ আইনি পথ।” তিনি জানান, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের অভিযোগ প্রসঙ্গে ১০টি নির্বাচনী আবেদনপত্রের মধ্যে একটি আবেদনও পরাজিত কংগ্রেস প্রার্থীদের পক্ষ থেকে করা হয়নি। অথচ (EC) জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮০ নম্বর ধারা অনুযায়ী এটিই ছিল কংগ্রেসের পক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের সব চেয়ে বড় সুযোগ। কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতির অভিযোগ, নির্বাচন কমিশন ভারতের নির্বাচন কমিশনের মতো কাজ করছে না এবং তাদের দায়িত্ব পালন করছে না (Rahul Gandhi)।

    স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন

    বিহারে চলছে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন প্রক্রিয়া এবং আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের মন্তব্য, “বছরের শেষ দিকে যে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন হবে, তা বয়কট করার অপশন খোলা আছে”, সে প্রসঙ্গে রাহুল পার্লামেন্ট ভবন প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের বলেন, “কংগ্রেসের কাছে ১০০ শতাংশ প্রমাণ আছে যে কর্নাটকের একটি আসনে নির্বাচন কমিশন জালিয়াতি করতে দিয়েছে।” রাহুল বলেন, “৯০ শতাংশ নয়, যখন আমরা এটি আপনাদের সামনে আনব তখন দেখবেন এটি ১০০ শতাংশ প্রমাণ।” লোকসভার বিরোধী দলনেতা এও বলেন, “আমরা কেবলমাত্র একটি আসন দেখেছি এবং তাতেই এটা পেয়েছি। আমি নিশ্চিত যে আসন থেকে আসনে এই ধরনের নাটকই চলছে।” এর পরেই তিনি বলেন, “আমি নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে একটা বার্তা দিতে চাই। সেটা হল আপনারা যদি ভাবেন যে আপনারা এভাবে পার পেয়ে যাবেন, যদি আপনার অফিসাররা এমনটা ভাবেন, তবে আপনারা ভুল ভাবছেন। আপনারা পার পাবেন না, কারণ আমরা আপনাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি (EC)।”

    বিহার বিধানসভার নির্বাচন

    চলতি বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে হতে পারে রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন। তার আগেই সে রাজ্যে চলছে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন। এ প্রসঙ্গে রাহুল নির্বাচন কমিশনের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। এই বলে সতর্কও করে দিয়েছিলেন যে বিরোধীরা নির্বাচন কমিশনকে এটি থেকে পার পেতে দেবে না। কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতির দাবি, সংশোধনী প্রক্রিয়াটি নির্বাচনী কারচুপির একটি বৃহত্তর ধরণ।

    কমিশনের নয়া বিবৃতি জারি

    সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন এসআইআর প্রক্রিয়ার পক্ষে একটি নতুন বিবৃতি জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, “স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতেই ভোটার তালিকা সংশোধন অপরিহার্য।” কমিশনের প্রশ্ন, “এই ধরণের বিষয়ের ভয়ে এবং এই ধরণের লোকদের দ্বারা (Rahul Gandhi) প্রভাবিত হয়ে কি তাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা পরিত্যাগ করা উচিত?” বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “নির্বাচন কমিশনের (EC) কি উচিত হবে সংবিধানের বিরুদ্ধে গিয়ে প্রথমে বিহারে এবং পরে সারা দেশে মৃত ভোটার, স্থায়ীভাবে অভিবাসী ভোটার, দুটি জায়গায় নিবন্ধিত ভোটার, জাল ভোটার, এমনকি বিদেশি ভোটারদের নামে জালিয়াতি ভোটদানের পথ পরিষ্কার করা?” কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, “এটি হল সুষ্ঠু নির্বাচন এবং একটি শক্তিশালী গণতন্ত্রের ভিত্তি।”

  • BJP: “ফরেন পলিশির ‘এফ’ পর্যন্ত জানেন না রাহুল গান্ধী”, তোপ বিজেপির

    BJP: “ফরেন পলিশির ‘এফ’ পর্যন্ত জানেন না রাহুল গান্ধী”, তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাহুল গান্ধী অভ্যাসগত মিথ্যেবাদী ও অপরাধী।” বুধবার ঠিক এই ভাষায়ই কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতিকে নিশানা করল বিজেপি (BJP)। গেরুয়া শিবিরের জাতীয় মুখপাত্র অজয় আলোক চিন প্রসঙ্গে সরকারের ভূমিকা নিয়ে কংগ্রেস নেতার সার্কাস মন্তব্যের পাল্টা জবাব দেন।

    ‘এফ’ পর্যন্ত জানেন না (BJP)

    তিনি বলেন, “বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পরেও ওই কংগ্রেস নেতা প্রশ্ন তোলেন, অথচ তিনি বিদেশ নীতির (ফরেন পলিশি) এফ পর্যন্ত জানেন না। তবুও বারবার প্রশ্ন তোলেন।” অলোক বলেন, “যখন আমাদের বিদেশমন্ত্রী এসসিও বৈঠকের জন্য চিন যান এবং যদি তিনি চিনের বিদেশমন্ত্রী ও দেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ না করেন, তাহলে তিনি কার সঙ্গে দেখা করবেন? ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে?” প্রসঙ্গত, এই ইতালিতেই রাহুলের মামাবাড়ি।

    রাহুল গান্ধীর বিতর্কিত মন্তব্য

    জয়শঙ্করের চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ভারত ও চিন সম্পর্কের সাম্প্রতিক অগ্রগতির বিষয়ে অবহিত করার একটি সংবাদ প্রতিবেদন ট্যাগ করে রাহুল গান্ধী মঙ্গলবার বলেন, “বিদেশমন্ত্রী ভারতের বিদেশনীতি ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে একটি পুরোপুরি সার্কাস চালাচ্ছেন।”

    প্রসঙ্গত, সেনাবাহিনী সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করায় রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে দায়ের হয় মানহানির মামলা। লখনউ আদালত তাঁকে জামিনও দেন। এর ঠিক দু’দিন পরেই লোকসভার বিরোধী দলনেতাকে “অভ্যাসগত মিথ্যেবাদী ও অপরাধী” বলে দেগে দিলেন অলোক (BJP)। তিনি বলেন, “রাহুল গান্ধী প্রায়ই সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করে থাকেন। উদাহরণ হিসেবে তিনি রাহুলের মন্তব্যটি তুলে ধরেন। বলেন, খুনের দালালি এবং চিনারা আমাদের সৈন্যদের পেটাচ্ছে।” এসবের মাধ্যমে তিনি সেনাবাহিনীকে অপমান করেছেন বলে দাবি ওই বিজেপি নেতার।

    সংবিধানের প্রস্তাবনায় জরুরি অবস্থার সময় ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ ও ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দ দুটো সংযোজন নিয়ে আরএসএস পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানানোর প্রেক্ষিতে অলোক বলেন, “এই বিষয়টি দেশে অবশ্যই বিতর্কের বিষয় হওয়া উচিত। কারণ সংশোধনটি বিআর আম্বেদকরের জন্য একটি অপমান ছিল এবং সেই সময় বিরোধী নেতারা জেলে ছিলেন (BJP)।”

  • Fadnavis: “যে জনতার দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়, সেই জনগণের রায়কে প্রত্যাখ্যান করে,” রাহুলের খোঁচার জবাবে বললেন ফড়নবীশ

    Fadnavis: “যে জনতার দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়, সেই জনগণের রায়কে প্রত্যাখ্যান করে,” রাহুলের খোঁচার জবাবে বললেন ফড়নবীশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যে জনতার দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়, সেই জনগণের রায়কে প্রত্যাখ্যান করে।” কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা সাংসদ রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ম্যাচ-ফিক্সিংয়ের অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে এ কথাই বললেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ (Fadnavis)। গত বছর হয়েছিল মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন। সম্প্রতি এই নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাহুল। এই নির্বাচনে বিজেপি, একনাথ শিন্ডের শিবসেনা এবং অজিত পাওয়ারের এনসিপি নিয়ে গঠিত জোট ২৮৮টির মধ্যে ২৩৫টি আসনে জয়ী হয়। মুখ থুবড়ে পড়ে কংগ্রেস, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা গোষ্ঠী এবং শরদ পাওয়ারের এনসিপি নিয়ে গঠিত মহা বিকাশ আগাড়ি জোট। ওই নির্বাচনে বিজেপি একাই ১৩২টি আসনে জয়ী হয়।

    রাহুলের অভিযোগ (Fadnavis)

    রাহুল তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “নির্বাচনে কারচুপি করার প্রথম ধাপ হল নির্বাচন কমিশন নিয়োগের প্যানেলে জালিয়াতি করা। দ্বিতীয়ত, ভোটার লিস্টে ভুয়ো ভোটার প্রবেশ করানো। তৃতীয়ত, ভোটের হার বেশি করে দেখানো। চতুর্থত, বিজেপি যেখানে জিততে চায়, সেখানে বেশি করে জালিয়াতির জাল বিস্তার করা। পঞ্চমত, প্রমাণ গোপন করা।” কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি বলেন, “রিগিং একটি ম্যাচ-ফিক্সিংয়ের মতো — যারা ফিক্স করে তারা হয়তো একটি খেলা জিততে পারে, কিন্তু এর ফলে প্রতিষ্ঠানগুলির ওপর ও জনগণের ফলাফলের প্রতি আস্থা চিরতরে নষ্ট হয়ে যায়।” তিনি বলেন, “ম্যাচ-ফিক্সড নির্বাচন যে কোনও গণতন্ত্রের পক্ষে বিষের মতো।” রাহুল গান্ধীর পোস্টের কয়েক ঘণ্টা পর, নির্বাচন কমিশন এ বছরের এপ্রিল মাসে প্রকাশিত একটি নথি পুনরায় প্রকাশ করে জানিয়ে দেয়, তাঁর অভিযোগগুলি সম্পূর্ণ অবাস্তব (Fadnavis)।

    ইভিএমের দোষ!

    ফড়নবীশ রাহুলের মন্তব্যের জবাবে বলেন, “যদি আপনি মানুষকে বোঝাতে না পারেন, তাহলে তাঁদের বিভ্রান্ত করুন—এই নীতিই রাহুল গান্ধী গ্রহণ করেছেন।” তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস ইভিএমের দোষ দিয়ে জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর গণতন্ত্রের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তিনি বলেন, “এখন মহারাষ্ট্রে প্রতিটি নির্বাচনে বিরোধী দলগুলোর অভ্যাস হয়ে গিয়েছে ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তোলা। ইভিএম নিয়ে সব মামলাই সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিয়েছে।” তিনি বলেন, “রাহুল গান্ধী এমন একজন নেতা যিনি পরাজয় মেনে নিতে পারেন না।” তাঁর প্রশ্ন, “যেসব নির্বাচনে কংগ্রেস সরকার জেতে, সেই সব ইভিএম কি ঠিক (Rahul Gandhi)?” তিনি বলেন, “জনগণের রায়কে সম্মান করুন (Fadnavis)।”

  • BJP: “তিনি কি চিন বা পাকিস্তানের পেইড এজেন্ট?” রাহুলের ‘সারেন্ডার’ মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন বিজেপির

    BJP: “তিনি কি চিন বা পাকিস্তানের পেইড এজেন্ট?” রাহুলের ‘সারেন্ডার’ মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) যেভাবে কথা বলছেন, যেভাবে বারবার প্রশ্ন তুলছেন, তাতে আমি নিশ্চিতভাবে সন্দেহ করছি – তিনি কি চিন বা পাকিস্তানের কোনও পেইড এজেন্ট?” মঙ্গলবার এমনই প্রশ্ন তুলে দিলেন বিজেপির (BJP) জাতীয় মুখপাত্র তথা সাংসদ সম্বিত পাত্র। সম্প্রতি রাহুল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব ও অপারেশন সিঁদুরের পরিচালনা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সম্বিত। ভারত-বিরোধী মনোভাব প্রচারের অভিযোগে রাহুলকে কাঠগড়ায়ও তোলেন তিনি।

    রাহুল গান্ধীর অভিযোগ (BJP)

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশের একটি সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল অভিযোগ করেন, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে সামরিক উত্তেজনার সময় মোদি তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি ফোনকলের পর আত্মসমর্পণ করেন।’ তাঁর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রবল প্রতিক্রিয়া জানায় বিজেপি। সম্বিত বলেন, “রাহুল ভারতীয় সেনাবাহিনীকে অপমান করছেন এবং একটি সফল সামরিক অভিযানের গুরুত্ব খাটো করছেন।” তাঁর দাবি, রাহুল কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে ভারত মাতার অবমাননা করছেন। তিনি যা বলছেন, তাতে দেশের সম্মান ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, গান্ধী এবং তাঁর পরিবারকে ডোকলাম ইস্যুতে ভারত-চিন অচলাবস্থার সময় চিনা তাঁবুর নীচে ভারতের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ধরা হয়েছিল।

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    রাহুলের ‘আত্মসমর্পণ’ শব্দ ব্যবহারের প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সম্বিত বলেন, “নিজ দেশের বিষয়ে কথা বলার সময় কোনও সভ্য রাজনীতিবিদ বা বিরোধী দলনেতা কখনও আত্মসমর্পণ শব্দটি ব্যবহার করেন না। যিনি জন্মভূমির জন্য এমন শব্দ ব্যবহার করেন, তিনি রাজনীতির উপযুক্ত নন।” তিনি জানান (BJP), ২১ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার বদলা নেওয়া হয়েছিল অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে, যার ফলে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ৯টি জঙ্গি লঞ্চপ্যাড এবং ১১টি এয়ার বেস ধ্বংস করা হয়। সম্বিত বলেন, “তা সত্ত্বেও রাহুল গান্ধী ‘ভারতবর্ষ’কে আত্মসমর্পণকারী বলে উল্লেখ করেছেন এবং ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে উপহাস করেছেন।” তিনি বলেন, “ভারত কখনওই আত্মসমর্পণ করে না, ভারতবর্ষ কখনও সন্ত্রাসের কাছে মাথা নত করেনি (Rahul Gandhi)।”

    শেহজাদ পুনাওয়ালার বক্তব্য

    সম্বিত বলেন, “আগের ইউপিএ সরকার পাকিস্তানের প্রতি নরম মনোভাব পোষণ করত। সেই সময় ছিল যখন আপনারা (কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার) শুধু পাকিস্তানের সঙ্গে ‘ডসিয়ার-ডসিয়ার’ খেলতেন। এখন আর ডসিয়ার নয়, শুধু ‘ডোজ’ দেওয়া হয়।” রাহুলকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির আর এক মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা। তিনি বলেন, “তিনি (রাহুল গান্ধী) পাকিস্তানি প্রচারের নেতা। রাহুল ফের বুঝিয়ে দিয়েছেন যে ‘লিডার অফ অপজিশন’ শব্দের মানে এখন পাকিস্তানি প্রচারের নেতা।” পুনাওয়াল্লা বলেন, “যে ধরনের প্রচার পাকিস্তানও করতে পারেনি, তা এখন করছেন রাহুল গান্ধী। রাহুল গান্ধীর বিদেশি জিনিসের প্রতি বিশেষ আসক্তি – সেটা প্রোপাগান্ডা হোক বা কোনও নেতা।” ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে বিদেশি মধ্যস্থতার দাবি খারিজ করে দিয়ে পুনাওয়ালা রাহুলকে তাঁর নিজের দলের প্রবীণ নেতাদের কথা শোনার আহ্বান জানান (BJP)।

    শশী, মনীশ, সলমনের কথা তো বিশ্বাস করুন!

    তিনি বলেন, ‘‘রাহুল গান্ধী ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশনস যা বলেছেন, বিদেশ মন্ত্রণালয় যা বলেছে — অন্তত (Rahul Gandhi) সেটুকু তো বিশ্বাস করুন। যদি তাঁদের না-ই বিশ্বাস করেন, তাহলে অন্তত শশী (থারুর), মনীশ (তেওয়ারি) আর সলমন (খুরশিদ) যাঁরা বলেছেন যে কোনও মধ্যস্থতা হয়নি, ভারত ফোন করেনি, বরং পাকিস্তানের ডিজিএমও-ই ভারতের কাছে পৌঁছেছিল — অন্তত তাদের কথা শুনুন।’’ তাঁর দাবি, পাকিস্তান ইতিমধ্যেই স্বীকার করেছে যে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ তারা ভারতের কাছে ‘পরাজিত’ হয়েছে এবং এখন তারা ভারতের কাছে সংঘর্ষ বিরতির আবেদন জানাচ্ছে।

    চিফ অফ ডিফেন্সের বক্তব্য

    সম্প্রতি চিফ অফ ডিফেন্স অনিল চৌহান বলেছিলেন, “যুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতিটা আসল নয়। আসল হল, লক্ষ্যপূরণ হয়েছে কি না।” তিনি জানান, ভারতীয় সেনা প্রাথমিক ত্রুটি শুধরে নিয়ে প্রতিপক্ষের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে সমর্থ হয়। কোনও কোনও মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে, পাক হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাফালের মতো যুদ্ধ বিমানও (BJP)।

    চৌহান এমনতর দাবি করলেও, রাহুল ধারাবাহিকভাবে সরকারের সাফল্যের দাবিকে একের পর এক প্রশ্ন তুলে বিদ্ধ করে গিয়েছেন। বিরোধী নেতাদের মধ্যে এই ব্যাপারে কংগ্রেস নেতা ব্যতিক্রম। তিনিই একমাত্র সেনার ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট জানতে চেয়েছেন। ফলে সরকারের সঙ্গে তাঁর বিরোধ (Rahul Gandhi) অনেক দূর গড়িয়ে গিয়েছে। সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার দাবি জানিয়ে তিনিই প্রথম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দেন (BJP)।

  • Nishikant Dubey: “১৯৯১ সালে করা ভারত-পাক চুক্তি মনে আছে?” রাষ্ট্রদ্রোহিতা কী, রাহুলকে মনে করালেন নিশিকান্ত

    Nishikant Dubey: “১৯৯১ সালে করা ভারত-পাক চুক্তি মনে আছে?” রাষ্ট্রদ্রোহিতা কী, রাহুলকে মনে করালেন নিশিকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানকে অপারেশন সিঁদুর সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করার অভিযোগ তুলে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে প্রশ্ন করেছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী (Indo Pak Military Pact)। তার পরেই শুক্রবার সোনিয়া গান্ধীর দলকে একেবারে ধুয়ে দিলেন সাংসদ বিজেপির নিশিকান্ত দুবে (Nishikant Dubey)। এদিন এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে এই পদ্ম সাংসদ লিখেছেন, “রাহুল গান্ধীজি, এটি আপনার সরকারের সময় করা একটি চুক্তি। ১৯৯১ সালে আপনার দল সমর্থিত সরকার একটি চুক্তি করেছিল যে ভারত ও পাকিস্তান যে কোনও আক্রমণ বা সেনা আন্দোলন সম্পর্কে তথ্য বিনিময় করবে। এই চুক্তি কি রাষ্ট্রদ্রোহিতা?” তিনি লিখেছেন, “কংগ্রেস পাকিস্তানি ভোটব্যাঙ্কের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করজি সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করা কি আপনার পক্ষে শোভা পাচ্ছে?”

    নিশিকান্তর নিশানায় কংগ্রেস (Nishikant Dubey)

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে নিশিকান্ত দুবে বলেন, “আমরা ১৯৪৭ সাল থেকে পাকিস্তানকে সন্ত্রাসী জাতি হিসেবে বিবেচনা করি। ৭৮ বছর ধরে কাশ্মীর ইস্যুতে আমরা তাদের সঙ্গে লড়াই করছি এবং আমাদের কাশ্মীরের অংশ পাকিস্তান দখল করে রেখেছে। তার পরেও আপনারা (কংগ্রেস) পাকিস্তানকে ছাড় দিয়ে আসছেন। সেটা ১৯৫০ সালে নেহরু-লিয়াকত চুক্তি হোক, সিন্ধু জল চুক্তি হোক কিংবা ১৯৭৫ সালের শিমলা চুক্তিই হোক। আমরা সংসদেও কোনও জাতির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কীভাবে কাজ করে, তা নিয়ে কথা বলি না।” পদ্ম সাংসদ বলেন, “কিন্তু ১৯৯১ সালে যখন ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিল। তখন কেন্দ্রে চন্দ্রশেখরের নেতৃত্বাধীন সরকারকে সমর্থন করছিল কংগ্রেস এবং ১৯৯৪ সালে যখন পিভি নরসিমহা রাওয়ের সরকার ছিল, তখন এই চুক্তি (চুক্তি) বাস্তবায়িত হয়েছিল। সেই চুক্তি অনুযায়ী, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী কোথায় মোতায়েন করা হবে এবং বিমান বাহিনী কীভাবে কাজ করবে তা পাকিস্তানকে ১৫ দিন আগে থেকে জানাতে হবে…এসব কি রাষ্ট্রদ্রোহিতার সমান নয়?” তিনি বলেন, “কংগ্রেস কেবল ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছে…ভারতের উচিত রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা শুরু করা এবং যারা এই চুক্তি করেছে এবং কংগ্রেস পার্টি…তাদের বিরুদ্ধেও এফআইআর করা উচিত।” এখানেই থেমে থাকেননি নিশিকান্ত। তিনি তুলে ধরেন, কীভাবে ১৯৬৮ সালে ইন্দিরা গান্ধীর সরকার কচ্ছ এলাকায় ৮২৮ বর্গিকিমি পাকিস্তানকে দিয়ে দিয়েছিল।  বিজেপি সাসংদ বলেন, ‘‘গোটা সংসদ বিরুদ্ধে ছিল। কিন্তু, আন্তর্জাতিক সালিশিসভার কাছে মাথা নত করে ভারতের ‘আয়রন লেডি’ পাকিস্তানকে গুজরাটের কচ্ছ প্রণালীর থেকে ৮২৮ বর্গ কিমি ভূমি পাকিস্তানের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। এটা পরিষ্কার যে, কংগ্রেস সর্বদা পাকিস্তানের পক্ষে।’’

    ভারত-পাক চুক্তি

    প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালের ৬ এপ্রিল নয়াদিল্লিতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে স্বাক্ষরিত (Nishikant Dubey) হয়েছিল সামরিক মহড়া, কৌশল এবং সৈন্য চলাচলের অগ্রিম নোটিশ সম্পর্কিত চুক্তিটি। এই চুক্তির (Indo Pak Military Pact) লক্ষ্য ছিল স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করা এবং দুই দেশের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি বা অনিচ্ছাকৃত উত্তেজনার ঝুঁকি হ্রাস করা। চুক্তিটির মূল বিধান ছিল, উভয় দেশ সীমান্তের কাছে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক মহড়া, কৌশল এবং সৈন্য চলাচল সম্পর্কে একে অপরকে পূর্বাভাস দেবে। পরিকল্পিত কার্যকলাপ শুরু হওয়ার আগে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি আদান-প্রদান করতে হবে। চুক্তি অনুযায়ী, আগ্রাসনের কোনও ধারণা রোধ করার জন্য আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বের মধ্যে এই ধরনের সামরিক কার্যকলাপ পরিচালনা করা উচিত নয়। দুই দেশই সম্মত হয়েছিল যে প্রধান সামরিক মহড়ার কৌশলগত দিকটি অন্য দিকে পরিচালিত হবে না এবং সীমান্তের কাছাকাছি কোনও লজিস্টিক নির্মাণ করা হবে না।

    বিদেশমন্ত্রকের বক্তব্য

    অপারেশন সিঁদুরের অধীনে জয়শঙ্কর পাকিস্তানকে তাদের জঙ্গি পরিকাঠামোর ওপর হামলার বিষয়ে ‘অবহিত’ করেছিলেন বলে রাহুল গান্ধী যে অভিযোগ তুলেছেন, তা প্রত্যাখ্যান করেছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। মন্ত্রকের তরফে রাহুলের অভিযোগকে তথ্যের সম্পূর্ণ ভুল উপস্থাপনা বলে বর্ণনা করা হয়েছে। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, “আমরা শুরুতেই পাকিস্তানকে সতর্ক করেছিলাম – এটা স্পষ্টতই অপারেশন সিঁদুর শুরু হওয়ার পর প্রাথমিক পর্যায়ে ছিল। একে অভিযান শুরুর আগে বলে মিথ্যেভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। তথ্যের এই সম্পূর্ণ ভুল উপস্থাপনাকে চ্যালেঞ্জ জানানো হচ্ছে।” পাকিস্তানের গভীরে ঢুকে (Nishikant Dubey) জঙ্গি ঘাঁটিতে সফল হামলার পর ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানি প্রতিপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের কথা উল্লেখ করেছে বিদেশমন্ত্রক।

    পিআইবির ফ্যাক্ট চেক ইউনিটের দাবি

    প্রেস ইনফর্মেশন ব্যুরোর (পিআইবি) ফ্যাক্ট চেক (Indo Pak Military Pact) ইউনিটও দাবি করেছে যে, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মন্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। তারা বলেছে যে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত ভিডিওটি দর্শকদের বিভ্রান্ত করার জন্য বেছে বেছে সম্পাদনা করা হয়েছে। এক্স হ্যান্ডেলে করা পোস্টে জানানো হয়েছে, “সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলিতে ইএএম অ্যাট দ্য রেট ডঃ জয়শঙ্করের উদ্ধৃতি দিয়ে বোঝা যাচ্ছে যে ভারত অপারেশন সিঁদুর সম্পর্কে পাকিস্তানকে আগাম তথ্য দিয়েছিল। এটি মিথ্যে।”

    পিআইবির কর্তাদের বক্তব্য, বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্য অভিযানের সময় একটি পরিকল্পিত বার্তার অংশ ছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল এটি তুলে ধরা যে ভারতীয় সেনাবাহিনী কেবল জঙ্গি শিবিরগুলিকে টার্গেট করবে এবং পাকিস্তানি সামরিক কাঠামোগুলিতে হামলা এড়িয়ে চলবে (Indo Pak Military Pact), যতক্ষণ না পাকিস্তান পরিস্থিতি আরও খারাপ করে (Nishikant Dubey)।

  • National Herald Case: সোনিয়া-রাহুলের অনুরোধে তাঁদের সংস্থায় মোটা অঙ্কের অনুদান কংগ্রেস নেতাদের!

    National Herald Case: সোনিয়া-রাহুলের অনুরোধে তাঁদের সংস্থায় মোটা অঙ্কের অনুদান কংগ্রেস নেতাদের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলার তদন্ত (National Herald Case) করতে গিয়ে বিস্ফোরক তথ্য উঠে এল ইডির (ED) হাতে। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার দাবি, সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীর অনুরোধে তাঁদের সংস্থা ইয়ং ইন্ডিয়ান্সে মোটা অঙ্কের অনুদান দিয়েছেন কংগ্রেস নেতারা।

    লাখ লাখ টাকা অনুদান (National Herald Case)

    ইডির দাবি, রাহুল গান্ধীর সংস্থা ইয়ং ইন্ডিয়ান্সে গান্ধীদের অনুরোধেই লাখ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে বিভিন্ন রাজ্যের কংগ্রেস নেতারা। এই ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড নামের সংস্থাটিই বর্তমানে ন্যাশনাল হেরাল্ড চালায়। এই সংস্থার ৭৬ শতাংশ শেয়ারের মালিক রাহুল ও সোনিয়া। বাকি দুই শেয়ার হোল্ডার হলেন প্রয়াত কংগ্রেস নেতা অস্কার ফার্নান্ডেজ এবং মতিলাল ভোরা। এই সংস্থাই ২০১১ সালে ন্যাশনাল হেরাল্ড, কোয়াম-ই-আওয়াজ এবং নবজীবন – এই তিনটি সংবাদপত্র অধিগ্রহণ করে অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেডের কাছ থেকে। ইডির দাবি, ঘুরপথে মাত্র ৫০ লাখ টাকার বিনিময়ে অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেডের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হয়ে গিয়েছে গান্ধীদের পরিচালিত ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড।

    ন্যাশনাল হেরাল্ড কেলেঙ্কারি

    আদালতে ইডির অভিযোগ, সোনিয়া ও রাহুল গান্ধী ন্যাশনাল হেরাল্ড কেলেঙ্কারির মাধ্যমে ১৪২ কোটি টাকা পেয়েছিলেন। ২০২৩ সালে ন্যাশনাল হেরাল্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত ৭৫১.৯ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। তার আগে পর্যন্ত এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করেছিলেন সোনিয়া, রাহুল। ইডির দাবি, সংস্থাটি (National Herald Case) যাতে আড়ে-বহরে বেড়ে ওঠে, তা নিশ্চিত করতে রাহুল ও সোনিয়া বিভিন্ন রাজ্যের কংগ্রেস নেতাদের ওই সংস্থায় অনুদান দেওয়ার অনুরোধ জানান। গান্ধী পরিবারকে খুশি করতে বিভিন্ন রাজ্যের কংগ্রেস নেতারা লাখ লাখ টাকা অনুদান দেন। এই তালিকায় রয়েছেন কর্নাটকের বর্তমান উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার, তেলঙ্গনার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি-সহ বিভিন্ন রাজ্যের নেতা। ছোটবড় বহু কংগ্রেস নেতা গান্ধী পরিবারের ওই সংস্থায় মোটা টাকা অনুদান দেন। ২০২২ সালেও ওই সংস্থা বিপুল পরিমাণ অনুদান পেয়েছিল। ইডি (ED) এমনতর দাবি করলেও, এ ব্যাপারে অবশ্য কংগ্রেসের কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি (National Herald Case)।

  • Mossad: বিদেশি শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতীয় অর্থনীতি ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন রাহুল গান্ধী? দাবি মোসাদের

    Mossad: বিদেশি শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতীয় অর্থনীতি ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন রাহুল গান্ধী? দাবি মোসাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদির জমানায় হাল ফিরেছে ভারতের অর্থনীতির। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় ভারতের স্থান এখন পাঁচ নম্বরে। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) কীভাবে ভারতীয় অর্থনীতি ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন, তা ফাঁস করেছে ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ (Mossad)। এই মোসাদ রাহুল এবং কংগ্রেসের ওভারসিজ নেতা স্যাম পিত্রোদার ওপর গোপনে নজরদারি অভিযান চালায় বলে অভিযোগ। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নির্দেশে এই অভিযান শুরু হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় বিরোধী দলীয় নেতাদের বিতর্কিত আমেরিকান শর্ট-সেলার সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের সঙ্গে সম্ভাব্য যোগসূত্র খুঁজে বের করা।

    স্পুটনিকের খবর (Mossad)

    রাশিয়ান সংবাদ সংস্থা স্পুটনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের ২৪ জানুয়ারি হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে ভারতের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় কর্পোরেট জালিয়াতির অভিযোগ এনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পরপরই মোসাদ এই বিষয়ে জড়িয়ে পড়ে। এই প্রতিবেদনের প্রভাবে আদানি গ্রুপের বাজার মূল্য প্রায় ১৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কমে যায়। বড়সড় ধস নামে ভারতের শেয়ার বাজারে।

    হাইফা বন্দরের শেয়ার

    ওই সময় আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন (এপিএসইজেড) ইজরায়েলের কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হাইফা বন্দরের অধিকাংশ শেয়ার কেনার জন্য ১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি চূড়ান্ত করেছিল। ১৮ মাসের প্রতিযোগিতামূলক দরাদরির পর সম্পন্ন হয় চুক্তি। এই চুক্তিকে ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডর (আইএমইইসি) প্রকল্পের মূল স্তম্ভ হিসেবে দেখা হচ্ছিল (Rahul Gandhi)।

    নেতানিয়াহুর প্রশ্ন

    হাইফা বন্দর অধিগ্রহণের সভায় প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানিকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “হিন্ডেনবার্গের এই প্রতিবেদনটি আপনার ব্যবসার জন্য একটি বড় হুমকি, তাই না?” আদানি সব অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে উত্তর দিয়েছিলেন, “একেবারেই না। এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা (Mossad)।”
    তবে নেতানিয়াহুকে অপ্রতিভ দেখাচ্ছিল। প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনি বলেছিলেন, “আপনি যদি কোনও হুমকি না-ও দেখেন, আমাদের সতর্ক থাকতেই হবে। এটি আপনাকে দুর্বল করলে শুধু এই বন্দর চুক্তিই নয়, ভারতের সঙ্গে যে সম্পর্ক আমরা গড়ে তুলেছি, তা নষ্ট হতে পারে।” হিন্ডেনবার্গের অভিযোগগুলিকে ইজরায়েলের স্বার্থের বিরুদ্ধে পরোক্ষ আক্রমণ বলে উল্লেখ করে নেতানিয়াহু আদানিকে আশ্বস্ত করেন, “ইজরায়েল তার বন্ধুদের রক্ষা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা এটি খতিয়ে দেখব।” এর পরেই আদানির অজান্তেই নেতানিয়াহু মোসাদকে সক্রিয় করার সিদ্ধান্ত নেন।

    অপারেশন জেপেলিন

    স্পুটনিকের মতে, এই সিদ্ধান্তের ফলে চালু হয় অপারেশন জেপেলিন। এটি একটি গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহমূলক উদ্যোগ, যা হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট ও তার পরবর্তী প্রভাব পরিকল্পনা বা সমর্থনকারী আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক ট্র্যাক করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল। মোসাদের দুটি এলিট ইউনিট – টজমেট এবং কেশেত তৎপরতা শুরু করে। তাদের মিশন ছিল প্রতিবেদনের উৎস ও পৃষ্ঠপোষকদের শনাক্ত করা, যাকে কেবল একটি কর্পোরেট আক্রমণ নয়, বরং একটি গুরুত্বপূর্ণ ভারত-ইসরায়েলি জোটের (Rahul Gandhi) বিরুদ্ধে ভূ-অর্থনৈতিক আক্রমণ হিসাবে বিবেচনা করা হয় (Mossad)।

    মোসাদের দাবি

    হিন্ডেনবার্গের প্রতিষ্ঠাতা নাথান অ্যান্ডারসন ও তাঁর নিউ ইয়র্ক-ভিত্তিক অফিসকে নজরদারির আওতায় আনা হয়। মোসাদের দাবি, এই ষড়যন্ত্রে অ্যাক্টিভিস্ট ল’ইয়ার, সিমপ্যাথেটিক মিডিয়া আউটলেট, হেজ ফান্ড এবং হাইপ্রোফাইল রাজনৈতিক নেতারা জড়িত রয়েছেন। তাদের আরও দাবি, এই ব্যক্তিদের একটি বড় অংশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসন, ডিপ স্টেট এবং জর্জ সরোসের সঙ্গে যুক্ত।মোসাদের তদন্তের অভিমুখ শীঘ্রই ঘুরে যায় ভারতের বিশিষ্ট বিরোধী নেতাদের দিকে, যার মধ্যে রয়েছেন রাহুল গান্ধী ও স্যাম পিত্রোদা। স্পুটনিকের দাবি, পিত্রোদার আমেরিকা-ভিত্তিক বাড়ির সার্ভার থেকে পাওয়া এনক্রিপ্টেড তথ্য থেকে গোপন যোগাযোগ ও ব্যাকচ্যানেল আলোচনার প্রমাণ মিলেছে, যা তাঁদের হিন্ডেনবার্গ ও এর গ্লোবাল সমর্থকদের সঙ্গে যুক্ত করছে।

    ‘বিটার ডাইনাস্ট’

    এই দাবি অনুযায়ী, মোসাদের অভ্যন্তরীণ নথিতে যাকে ‘বিটার ডাইনাস্ট’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে, সেই রাহুল গান্ধী আদানি গোষ্ঠী ও মোদি সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে হিন্ডেনবার্গের নেটওয়ার্কের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে সমন্বয় সাধন করছিলেন। গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের মে মাসে রাহুল ক্যালিফোর্নিয়ার প্যালো অল্টোয় ছিলেন, যেখানে তিনি হিন্ডেনবার্গ অপারেশনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করেন। অন্যদিকে, ব্লিৎসের তদন্ত রিপোর্ট বলছে, নিউ ইয়র্কে নাথান অ্যান্ডারসনের সঙ্গে রাহুলের গোপন বৈঠকও হয়েছে (Mossad)।

    যদিও ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস হিন্ডেনবার্গ, সোরোস বা কোনও বিদেশি হস্তক্ষেপ অভিযানের সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়টি জোরালোভাবে অস্বীকার করেছে। তাদের সাফ কথা, এই অভিযোগগুলি হিন্ডেনবার্গ প্রতিবেদনের মূল বিষয়বস্তু থেকে মনোযোগ সরাতে একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ।

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নিজের দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা, রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যতই মহৎ হোক না কেন, কখনওই ন্যায্য হতে পারে না। মোসাদের ‘অপারেশন জেপেলিনে’ প্রকাশিত তথ্য যদি সত্যি হয়, তাহলে রাহুল গান্ধীর বিদেশি শক্তির সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগ – যার মধ্যে রয়েছেন ডিপ স্টেটের (Rahul Gandhi) এজেন্টরা, জর্জ সরোস এবং অন্যান্য ভারত-বিরোধী নেটওয়ার্ক –রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে (Mossad)।

  • Sonia Gandhi: কেজিবি ও সোরোসের সঙ্গে যোগসাজশ! ভারতকে দুর্বল করার সব চেষ্টা করেন সোনিয়া গান্ধী

    Sonia Gandhi: কেজিবি ও সোরোসের সঙ্গে যোগসাজশ! ভারতকে দুর্বল করার সব চেষ্টা করেন সোনিয়া গান্ধী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) হলেন সেই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যিনি একবার আবেগে আপ্লুত হয়ে বলেছিলেন, “আমার রাজীবকে ফিরিয়ে দাও, তাহলে আমি ফিরে যাব। যদি তাকে ফিরিয়ে দিতে না পারো, তবে আমাকে মাটির সঙ্গে মিশে যেতে দাও।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, বাস্তবে তিনি এমন একটি দীর্ঘমেয়াদি মিশন পরিচালনা করেছেন যা ভারতকে ভিতর (KGB Ties) থেকে গভীরভাবে দুর্বল করে দিয়েছে। রাশিয়ার কেজিবির সঙ্গে কথিত যোগসাজশ থেকে শুরু করে বিশ্ববাদী জর্জ সোরোসের সঙ্গে গভীর আঁতাত, বছরের পর বছর ধরে তাঁর কর্মকাণ্ড একটি সুপরিকল্পিত চেষ্টার ছবি তুলে ধরে—যার লক্ষ্য দেশের সামাজিক-রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাঠামোকে ধ্বংস করা।

    টার্নিং পয়েন্ট (Sonia Gandhi)

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০০৪ সালে ক্ষমতায় তাঁর উত্থান ভারতের ইতিহাসে একটি টার্নিং পয়েন্ট। এরপর আসে একের পর এক সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ—হিন্দু সংগঠনগুলিকে টার্গেট করা, ধর্মান্তরণকে মদত দেওয়া, জাতীয় নিরাপত্তাকে ক্ষুণ্ণ করা এবং ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপকে সহজ করা। একটি কম্প্রোমাইজড মিডিয়া ব্যবস্থা এবং গভীরভাবে প্রোথিত আমলাতান্ত্রিক নেটওয়ার্কের সমর্থনে তিনি রেখে গিয়েছেন প্রতারণা, বিভাজন ও ধ্বংসের উত্তরাধিকার। রাজীব গান্ধী হত্যার আগে কংগ্রেস পার্টি ও ভারতের শাসন ব্যবস্থার ওপর সোনিয়ার নিয়ন্ত্রণ প্রায় ছিল না বললেই চলে। ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় আসেন পিভি নরসিমহা রাও, যিনি তাঁকে সম্পূর্ণভাবে প্রান্তিক করে দিয়েছিলেন। অটল বিহারী বাজপেয়ীর শাসনকালেও (১৯৯৯–২০০৪) সোনিয়া রাজনৈতিকভাবে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু ২০০৪ সালে কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন ইউপিএ ক্ষমতায় আসার পর ভয়ঙ্কর সূক্ষ্মতায় প্রকাশ পেতে শুরু করে সোনিয়ার দশকের পর দশক ধরে চালানো মিশনটি।

    কেজিবি-কংগ্রেস যোগ

    ঠান্ডা লড়াইয়ের সময়ের সোভিয়েত গোয়েন্দা দলিলগুলি ইঙ্গিত দেয় যে কংগ্রেস পার্টির সঙ্গে গভীর যোগাযোগ ছিল কেজিবির। এর মধ্যে সোনিয়াও অন্তর্ভুক্ত। রিপোর্টগুলি থেকে জানা যায়, কেজিবি অফশোর অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কংগ্রেসের অ্যাকাউন্টে টাকা পাচার করত এবং রাজীব ও সোনিয়ার এই তহবিলে প্রবেশাধিকার ছিল। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন এই সংযোগকে সাময়িকভাবে থামিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু ২০০৪ সালে সোনিয়ার উত্থানের ফলে একই ধরনের বিদেশি প্রভাব ফের মাথাচাড়া দেয়। ২০০৫ সালে সোনিয়ার (Sonia Gandhi) চাপে ইউপিএ সরকার ৯৩তম সংবিধান সংশোধনী আনে, যা হিন্দু-পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে সরকারের নিয়ন্ত্রণে আনার পাশাপাশি সংখ্যালঘু-পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলিকে সম্পূর্ণ সুরক্ষা দেয়। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এটি ছিল হিন্দুত্ব থেকে দলিত ও আদিবাসীদের বিচ্ছিন্ন করার একটি কৌশলগত প্রচেষ্টা—ব্রিটিশযুগের ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল (ভাগ কর ও শাসন কর)’ পলিশিরই প্রতিধ্বনি।

    হিন্দু স্কুলগুলিকে দুর্বল করা

    ২০০৯ সালে শিক্ষার অধিকার আইন হিন্দু-পরিচালিত স্কুলগুলির আরও ক্ষতি করে। এটি সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণীর জন্য ২৫ শতাংশ সংরক্ষণের বিধান দেয়। কিন্তু সংখ্যালঘু-পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলিকে এই আইনের আওতা থেকে মুক্ত রাখা হয়। ফলস্বরূপ, বহু হিন্দু স্কুল আর্থিক সঙ্কটে পড়ে বন্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে খ্রিস্টান মিশনারি ও ইসলামিক প্রতিষ্ঠানগুলি বিদেশি অর্থায়ন ও রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা পেয়ে ফুলেফেঁপে ওঠে (KGB Ties)।

    রেহাই পায়নি স্কুলের প্রার্থনাও

    ২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলির প্রার্থনা থেকে ‘অসতো মা সদগময়’ বাদ দেওয়ার জন্য একটি আবেদন দাখিল করা হয়। এটিকে সোনিয়া গান্ধীর আর একটি প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হয়েছিল যাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি থেকে হিন্দু সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য মুছে ফেলা যায়। ইউপিএ শাসনেই দূরদর্শনের লোগো থেকে ‘সত্যম শিবম সুন্দরম’ অপসারণ করা হয়, যা ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকের সাংস্কৃতিক চেতনাকে মুছে ফেলার একটি প্রয়াস (Sonia Gandhi)।

    হিন্দু ধর্মকে ভেতর থেকে ভাঙার চেষ্টা

    এই শিক্ষাক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার কারণে অনেক হিন্দু সম্প্রদায়—যেমন কর্ণাটকের লিঙ্গায়েত এবং সাই ভক্ত সম্প্রদায়—স্বতন্ত্র ধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দাবি করতে শুরু করে। এটি কংগ্রেসের কৌশলেরই একটি অংশ ছিল, যারা স্বাধীনতার পর শিখ, জৈন ও বৌদ্ধদের হিন্দু ধর্ম থেকে আলাদা করেছিল। সোনিয়ার মূল লক্ষ্য ছিল হিন্দু সমাজকে বিভক্ত করা, যাতে ধর্মান্তর ও বিদেশি প্রভাব সহজে ডানা মেলতে পারে।

    রাম সেতু এফিডেভিট: হিন্দু বিশ্বাসে আঘাত

    ২০০৭ সালে সোনিয়ার সরকার সুপ্রিম কোর্টে একটি এফিডেভিট জমা দিয়ে ঘোষণা করে যে ভগবান রাম, ভগবান হনুমান ও মা সীতা ‘কাল্পনিক চরিত্র’। তাই রাম সেতুর কোনও ধর্মীয় তাৎপর্য নেই। এটি হিন্দু বিশ্বাসের ওপর সরাসরি একটি আঘাত। কিন্তু বিজেপির প্রবল প্রতিবাদের মুখে পড়ে সরকার এই বক্তব্য প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়।

    হিন্দু সন্ত্রাস’ ষড়যন্ত্র: ভুয়া শত্রু তৈরি

    ২০০৬ সালের আগে ‘হিন্দু সন্ত্রাস’ শব্দটি শোনেনি বিশ্ব। কিন্তু মালেগাঁও ও সমঝোতা এক্সপ্রেস বোমা হামলার পরে সোনিয়ার সরকার হিন্দু গোষ্ঠীকে ফাঁসানোর জন্য প্রচার শুরু করে, যাতে তাদের জঙ্গি হুমকি হিসেবে চিত্রিত করা যায়। অবশ্য আদালতে এই মিথ্যা মামলাগুলো ভেস্তে যায়। কিন্তু কংগ্রেস ইতিমধ্যেই ইসলামিস্ট জঙ্গি গোষ্ঠী ও হিন্দু সংগঠনগুলোর মধ্যে একটি মিথ্যা সমতা তৈরি করতে সফল হয় (KGB Ties)।

    সোনিয়া গান্ধী যখন থেকে ছড়ি ঘোরাতে শুরু করেন, সেই পর্বে সবচেয়ে বিপজ্জনক পদক্ষেপগুলির মধ্যে একটি ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীকে ধর্মীয় ভিত্তিতে বিভক্ত করার চেষ্টা। সাচার কমিটি রিপোর্টে সেনাবাহিনীতে মুসলিম প্রতিনিধিত্বের ‘তদন্ত’ করার সুপারিশ করা হয়, যা সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল। জাতীয়তাবাদী শক্তির তীব্র প্রতিক্রিয়ায় সরকার এই পরিকল্পনা বাতিল করতে বাধ্য হয়। কিন্তু এটি কংগ্রেসের ভারতের প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে দুর্বল করার ইচ্ছাকেই প্রকাশ করে (Sonia Gandhi)।

    মন্দির লুট করার পাশাপাশি গির্জায় অর্থায়ন

    আরটিআই অনুসন্ধানে জানা গিয়েছে, কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন সরকারগুলি, বিশেষ করে কর্নাটকে, হিন্দু মন্দিরগুলি সরকারি নিয়ন্ত্রণ ও শোষণের অধীনে থাকা সত্ত্বেও গির্জাগুলিতে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। এই সুস্পষ্ট বৈষম্য ধর্মান্তরকে উৎসাহিত করেছিল এবং বিদেশি অর্থায়নে পরিচালিত ধর্মপ্রচারকদের অবাধে সম্প্রসারণের সুযোগ করে দিয়েছিল।

    কাঞ্চির শঙ্করাচার্যের গ্রেফতারি

    ২০০৪ সালে দীপাবলির রাতে কাঞ্চির শঙ্করাচার্য জয়েন্দ্র সরস্বতীকে মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়। প্রথমে তামিলনাড়ুর জয়ললিতা সরকারের পদক্ষেপ বলে মনে করা হলেও, পরে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় জানান, এটি সোনিয়া গান্ধীর কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল। কারণ? শঙ্করাচার্য ছিলেন খ্রিস্টান মিশনারিদের ধর্মান্তরণের প্রধান বাধা। সোনিয়ার দীর্ঘদিনের বিদেশি শক্তিগুলির সঙ্গে যোগসাজশ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, বিশেষ করে জর্জ সোরোস এবং ফোরাম অফ ডেমোক্র্যাটিক লিডার্স ইন এশিয়া প্যাসিফিক (এফডিএল-এপি)-এর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক প্রকাশ্যে আসার পর (KGB Ties)।

    সোনিয়া-সোরোস যোগ

    নথিপত্র থেকে জানা গিয়েছে, সোনিয়া, রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন এবং জর্জ সোরোসের ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের মধ্যে গভীর যোগ ছিল। সোরোস একজন স্বঘোষিত গ্লোবালিস্ট। তিনি প্রকাশ্যে ‘মোদীকে ক্ষমতা থেকে সরানোর’ মিশন ঘোষণা করেছেন। ভারত-বিরোধী একাধিক উদ্যোগে অর্থায়নও করেছেন তিনি (Sonia Gandhi)।

    সোরোসের ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট সালিল শেট্টি রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড কোরাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট, যা ক্রমাগত নরেন্দ্র মোদি-বিরোধী প্রচার চালাচ্ছে, তার ৫০ শতাংশ অর্থ আসে মার্কিন বিদেশ দফতর থেকে। সোনিয়ার রাজনৈতিক কার্যক্রম এবং পশ্চিমি ডিপ স্টেটের অ্যাজেন্ডার মধ্যে এই সরাসরি সংযোগ কোনও কাকতালীয় ঘটনা নয়—এটি ভারতকে অস্থিতিশীল করার একটি সুপরিকল্পিত বৃহত্তর চক্রান্তের অংশ। তাঁর কথিত কেজিবি-সংযোগ থেকে শুরু করে সোরোস-মদতপুষ্ট গ্লোবালিস্ট (KGB Ties) শক্তিগুলির সঙ্গে তাঁর গভীর আঁতাত, সোনিয়া গান্ধীর শাসনকালকে সুপরিকল্পিত বিশ্বাসঘাতকতার ইতিহাস বলেই চিহ্নিত করে (Sonia Gandhi)।

  • BJP: “দলের পরাজয়ের জন্য রাহুল গান্ধীই দায়ী,” তোপ বিজেপির

    BJP: “দলের পরাজয়ের জন্য রাহুল গান্ধীই দায়ী,” তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দলের পরাজয়ের জন্য রাহুল গান্ধীই (Rahul Gandhi) দায়ী এবং তাঁর ব্যর্থতার জন্য অন্যদের দোষারোপ বন্ধ করা উচিত।” শনিবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের জন্য তাঁকে এই ভাষায়ই আক্রমণ শানাল বিজেপি (BJP)। দু’দিনের গুজরাট সফরে গিয়েছিলেন রাহুল। দ্বিতীয় দিনে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি বলেন, “বিজেপির জন্য কাজ করা দলের নেতা-কর্মীদের ছেঁকে বের করার প্রয়োজন আছে।” এঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার বার্তাও দেন তিনি। হুঁশিয়ারি দেন অপসারণেরও।

    রাহুলকে আক্রমণ (BJP)

    এর পরেই রাহুলকে আক্রমণ শানান বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদী বলেন, “রাহুল ও তাঁর মা সোনিয়া গান্ধী দলের শীর্ষে আসার পর থেকে কংগ্রেসের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে।” সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “কংগ্রেসের ১৪০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যর্থ নেতা গুজরাটে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের সাফল্যের মূল মন্ত্র শেখাচ্ছেন। যদিও এটি দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়, তাঁর মন্তব্য অবশ্যই কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ দুর্দশা এবং তাঁর ক্রমশ অবনতিশীল মানসিক অবস্থার দিকেই ইঙ্গিত করে।”

    সবচেয়ে খারাপ নেতা

    রাজ্যসভার এই সাংসদের অভিযোগ, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, সরকার এবং মিডিয়ার ওপর দোষারোপ করার পর, তিনি এখন নিজের দলের লোকদের দোষারোপ করতে শুরু করেছেন। পদ্ম-পার্টির এই নেতা (BJP) বলেন, “এভাবে প্রকাশ্যে নিজের দলের লোকদের অপমান করার উদাহরণ আপনি অন্য কোনও নেতার মধ্যে খুঁজে পাবেন না। গান্ধী যদি আত্মবিশ্লেষণ করেন, তবে তিনি বুঝতে পারবেন যে তিনি দলের সবচেয়ে খারাপ নেতা।”

    বিজেপির আর এক জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, “রাহুল গান্ধী গুজরাটে নিজেকে এবং তাঁর দলকে ট্রোল করেছেন এবং নিজের প্রতিচ্ছবি দেখিয়েছেন – তিনি তাঁর ব্যর্থতার জন্য খাড়্গেজি এবং তাঁর দলের কর্মীদের দোষারোপ করছিলেন। তিনি বলেছেন, তাঁর দলের অর্ধেকেরও বেশি নেতা বিজেপির সঙ্গে গোপন আঁতাতে যুক্ত। আর তিনিই নিজের দলকে ৯০টিরও বেশি নির্বাচনে পরাজিত করেছেন। এই দিক থেকে, তিনিই বিজেপির সবচেয়ে বড় সম্পদ।” তাঁর প্রশ্ন, “আপনি (Rahul Gandhi) কি বিজেপির সঙ্গে গোপন আঁতাতে যুক্ত (BJP)?”

  • Rahul Gandhi: নিষিদ্ধ চিনা ড্রোন নিয়ে রাহুল গান্ধীর কেরামতি! শিল্পমহলে ছিছিক্কার

    Rahul Gandhi: নিষিদ্ধ চিনা ড্রোন নিয়ে রাহুল গান্ধীর কেরামতি! শিল্পমহলে ছিছিক্কার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের দলকে ফাঁসালেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)! ভারতের ড্রোন শিল্পের সমালোচনা করতে গিয়ে একটি পোস্টে তিনি ব্যবহার করলেন নিষিদ্ধ চিনা ড্রোন (Banned Chinese Drone)। তার পর আর যায় কোথায়! দেশজুড়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছেন গান্ধী পরিবারের এই উত্তরসূরি।

    রাহুলের সমালোচনা (Rahul Gandhi)

    রাহুলের মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন ড্রোন ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার (DFI) প্রেসিডেন্ট স্মিত শাহ। তিনি বলেন, “দেশে বৃদ্ধি পাচ্ছে এমন ড্রোন শিল্পকে অস্বীকার করে চিনা ডিজেআই ড্রোন প্রদর্শন করা কেবল অন্যায় নয়, বিভ্রান্তিকরও।” ডিজেআই ড্রোন তৈরি করে একটি চিনা কোম্পানি। ডিজেআই টেকনোলজি কোম্পানি লিমিটেড নামের ওই সংস্থাটি রয়েছে শেনঝেন, গুয়াংডং-এ। এক্স হ্যান্ডেলে শাহ লেখেন, “ডিজেআই ড্রোন ২০২২ সাল থেকে ভারতে নিষিদ্ধ। তবুও রাহুল গান্ধীকে এরই একটি নিয়ে কাজ করতে দেখা গিয়েছে।” তাঁর প্রশ্ন, “এই ড্রোনটা কীভাবে এল? এটি ব্যবহারের আগে বৈধ অনুমতি নেওয়া হয়েছিল কিনা।”

    ভারতের ড্রোন

    শাহ (Rahul Gandhi) বলেন, “ভারতের ড্রোন শিল্প এখনও বিকাশমান। এখানে এখনও অনেক কাজ বাকি। তবে বাস্তব সমাধান না দিয়ে বিস্তৃত বক্তব্য দিলে আদতে কোনও কাজ হয় না। শিল্প নেতৃবৃন্দ, গবেষক এবং নীতিনির্ধারকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই বাস্তব অগ্রগতি তৈরি করছে।” তিনি বলেন, “রাহুল গান্ধী ড্রোন চালানোর বিষয়ে আইনগত উদ্বেগ উত্থাপন করেছেন। জানতে চেয়েছেন তার কি বৈধ রিমোট পাইলট সনদ আছে এবং ড্রোন কি ডিজিটালস্কাইতে রেজিস্টার্ড ছিল, যেমনটা ভারতের ড্রোন নিয়ম ২০২১ অনুসারে প্রয়োজন”। ড্রোন ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার  প্রেসিডেন্টের আরও প্রশ্ন, “তাঁর বাসস্থান এবং অফিস সম্ভবত একটি সীমাবদ্ধ অঞ্চলের মধ্যে পড়ে। ড্রোন ওড়ানোর আগে তিনি কি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অনুমোদন পেয়েছিলেন? এই নিয়মগুলি কি তাঁর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়, নাকি তিনি সহজেই উপেক্ষা করেছেন?”

    মোহনদাস পাই পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত। তিনি ইনফোসিসের প্রাক্তন সিএফও এবং বোর্ড সদস্য। তিনি বলেন, “ভারত আজ বিশ্বের ৫ম বৃহত্তম শিল্প উৎপাদনকারী দেশ, ২য় বৃহত্তম স্টিল উৎপাদক, ২য় বৃহত্তম সিমেন্ট, ৩য় বৃহত্তম অটোমোবাইল উৎপাদক, বৃহত্তম ২ডাব্লু উৎপাদক, ২য় বৃহত্তম মোবাইল ফোন উৎপাদক, ৩য় বৃহত্তম শক্তি উৎপাদক (Banned Chinese Drone)। এর মধ্যে অধিকাংশই হয়েছে গত ১০ বছরে (Rahul Gandhi)।”

LinkedIn
Share