Tag: Gujarat

Gujarat

  • Dwarka: জলের নীচে লীন কৃষ্ণ-কর্মভূমি, ৪ হাজার বছরের পুরনো দ্বারকার সন্ধানে ডুব দিলেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা

    Dwarka: জলের নীচে লীন কৃষ্ণ-কর্মভূমি, ৪ হাজার বছরের পুরনো দ্বারকার সন্ধানে ডুব দিলেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীকৃষ্ণের কর্মভূমি ছিল দ্বারকা নগরী। ৪ হাজার বছরের পুরনো এক শহর। এখানেই রাজপাট চালিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। এবার সেই দ্বারকায় সমুদ্রের নীচে হারিয়ে যাওয়া ইতিহাসের খোঁজে নামল ভারতের পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বা এএসআই-এর আন্ডারওয়াটার আর্কিওলজি উইং। বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই দল গুজরাটের দ্বারকাধীশ মন্দির উপকূলে ও বেট দ্বারকায় সমুদ্রের নিচে হারিয়ে যাওয়া ৪ হাজার বছরের পুরনো শহরের সন্ধান করবে। এই প্রথম মহিলা ডুবুরি-বিজ্ঞানীরাও এই কাজে হাত লাগিয়েছেন। সমুদ্র গর্ভে দেশের ঐতিহ্যশালী ও সাংস্কৃতিক পরম্পরা কী ছিল, তারই খোঁজ শুরু হয়েছে।

    দুই দশক পর ফের অনুসন্ধান

    ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে শেষবার খননকার্য চালানো হয়েছিল দ্বারকা এবং বেট দ্বারকা অঞ্চলে। প্রায় দুই দশক পর, এবার ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক সমীক্ষার আন্ডারওয়াটার আর্কিওলজি উইং-এর একটি দল, সমুদ্রের নীচে চলে যাওয়া প্রাচীন বাণিজ্য নগরীর রহস্য উন্মোচন করতে ডুব দিচ্ছেন গুজরাট উপকূলবর্তী আরব সাগরে। বিভিন্ন সময়ে পাওয়া নিদর্শন থেকে মনে করা হয়, এই অঞ্চলে প্রায় ৪০০০ বছর পুরনো এক বন্দর-শহর ছিল। যেখানে বিভিন্ন দেশের জাহাজ আসা-যাওয়া করত। এই রহস্য ও কৌতূহলের নিরসন করতেই গত ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (প্রত্নতত্ত্ব) অধ্যাপক অলোক ত্রিপাঠীর নেতৃত্বে এএসআই-এর পাঁচ প্রত্নতাত্ত্বিকের একটি দল দ্বারকার উপকূলে জলের নীচে ডুব দিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছেন। দলে রয়েছেন তিন মহিলা— অপরাজিতা শর্মা, পুনম বিন্দ এবং রাজকুমারী বারবিনা। দলের পঞ্চম সদস্য হলেন সহায়তা করেছেন এইচ এ নায়েক।

    কৃষ্ণের কর্মভূমি

    পুরাণে বর্ণিত সপ্তপুরীর অন্যতম দ্বারকা। হিন্দু পুরাণ অনুসারে, ডুবে যাওয়া প্রাচীন শহর দ্বারকা ছিল কৃষ্ণের কর্মভূমি। লোকশ্রুতি অনুযায়ী, শ্রীকৃষ্ণের দেহাবসানের পরই সূচনা হয় কলিযুগের। আর তখনই দ্বারকা বিলীন হয়ে যায় সমুদ্রগর্ভে। মথুরা থেকে দ্বারকায় এসে কৃষ্ণ নতুন করে যদুবংশ স্থাপন করেছিলেন। গুজরাটের প্রভাসেই দেহত্যাগ করেন কৃষ্ণ। সেই আমলেও দ্বারকার অস্তিত্বের প্রমাণ মেলে। পরে প্রাকৃতিক কারণে সমুদ্র এগিয়ে আসায় অতীতের দ্বারকা বিলীন হয়ে যায় বলে জনশ্রুতি রয়েছে।

    প্রত্নতত্ত্ব এবং পৌরাণিক কাহিনীর মিল

    প্রত্নতত্ত্ববিদদের মতে, এই ডুবন্ত শহরের কাঠামো এবং কিছু প্রাপ্ত বস্তু হয়তো প্রাকৃতিক গঠন হতে পারে অথবা এগুলির বয়স এবং সময়কাল নিশ্চিত করা কঠিন। তবে, এটি এক বিশাল অধ্যায়ের শুরু যেখানে পৌরাণিক কাহিনী এবং ইতিহাস একত্রিত হতে পারে। ডুবন্ত দ্বারকায় অনেক প্রাচীন বস্তু এবং কাঠামো পাওয়া গিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সুরক্ষা প্রাচীর, পাথরের ব্লক, পিলার, স্টোন অ্যাঙ্কর এবং সেচ ব্যবস্থার অবশেষ রয়েছে। এটি একটি পরিকল্পিত শহরের প্রমাণ হতে পারে, যা প্রাচীন কাল থেকে ঐতিহাসিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিল। এই অনুসন্ধানগুলির মাধ্যমে আর্কিওলজিস্টরা মহাকাব্য মহাভারতের দ্বারকা শহরের সঙ্গে ঐতিহাসিক দ্বারকার সম্পর্ক সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহের আশা করছেন। এএসআই এর গবেষণা, পৌরাণিক কাহিনী এবং বাস্তবতার মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করতে সহায়ক হবে। যা ভারতের প্রাচীন অতীতকে আরও গভীরভাবে অনুসন্ধান করতে সাহায্য করবে।

    প্রধানমন্ত্রী মোদির দ্বারকা দর্শন

    প্রাথমিক তদন্তের জন্য এএসআই গোমতী ক্রিকের কাছে একটি এলাকা বেছে নিয়েছে। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দ্বারকাধিশ মন্দির পরিদর্শনের সময় স্কুবা গিয়ার পরে দ্বারকা উপকূলবর্তী সমুদ্রের নীচে ডুব দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার পর তিনি বলেছিলেন, ‘আমি সমুদ্রের গভীরে গিয়ে প্রাচীন দ্বারকা শহর দর্শন করেছি। প্রত্নতাত্ত্বিকরা জলের নীচে লুকিয়ে থাকা দ্বারকা শহর সম্পর্কে অনেক কিছু লিখেছেন। আমাদের ধর্মগ্রন্থেও দ্বারকার কথা বলা হয়েছে।’ তার প্রায় এক বছর পর শুরু হলো নয়া অনুসন্ধান।

    রহস্য উন্মোচন শুরু ১৯৩০ সালে

    দ্বারকার ডুবে থাকা রহস্য উন্মোচনের শুরুটা হয়েছিল ১৯৩০ সালে, হিরানন্দ শাস্ত্রীর হাত ধরে। এর পর ১৯৬৩ সালে জেএম নানাবতী এবং এইচডি সাঙ্কালিয়ার নেতৃত্বে প্রথম বড় মাপের খননকার্য শুরু হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিকদের খননকার্যে এই অঞ্চল থেকে প্রচুর প্রাচীন নিদর্শন পাওয়া গিয়েছিল। ১৯৮৩ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে, প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্যে একটি প্রাচীন দূর্গের ভিত পাওয়া গিয়েছিল। ইউনেস্কোর মতে, সম্ভবত এর উপরই এক সময় দাঁড়িয়ে ছিল দ্বারকার প্রাচীন নগরীর দেওয়াল। এ ছাড়া বড় বড় পাথরের ব্লক, স্তম্ভ, পাথরের তৈরি নোঙ্গর এবং সেচখালেরও সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। তার আগে ১৯৬৯-৭০ সালে দ্বারকায় সমুদ্রতীরবর্তী অনুসন্ধানে হরপ্পার শেষ থেকে মধ্যযুগ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ের অসংখ্য মৃৎপাত্রের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। গত দুই দশকে সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানের ফলে বেট দ্বারকা দ্বীপের উপকূলীয় অঞ্চলে বেশ কয়েকটি প্রাচীন আবাসস্থলও আবিষ্কৃত হয়েছে। সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিক এ এস গৌর জানিয়েছেন, এই স্থানগুলি থেকেও প্রচুর পরিমাণে প্রাচীন মৃৎপাত্র পাওয়া গিয়েছে।

  • Gujarat: ভুয়ো নথি ব্যবহার করে মুসিবুল হল প্রদীপ, একত্রবাস হিন্দু মেয়ের সঙ্গে, গ্রেফতার

    Gujarat: ভুয়ো নথি ব্যবহার করে মুসিবুল হল প্রদীপ, একত্রবাস হিন্দু মেয়ের সঙ্গে, গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটের (Gujarat) সুরাট পুলিশ মুসিবুল শেখ নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভুয়ো নথিপত্র ব্যবহার করে এক হিন্দু মেয়ের (Hindu Girl) সঙ্গে সে দীর্ঘদিন লিভ ইন সম্পর্কে ছিল। গুজরাটের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, মুসিবুল শেখ হিন্দু নাম নেয়। তখন তার নাম হয় প্রদীপ ক্ষেত্রপাল। এরপরে গুজরাটের সুরাটে এক হিন্দু মেয়ের সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্কে থাকতে শুরু করে সে।

    অভিযুক্ত ১৪ বছর ধরে বিভিন্ন স্পা-তে কাজ করেছে (Gujarat)

    জানা গিয়েছে, নানা প্রতারণা এবং প্রলোভন দেখিয়ে হিন্দু মেয়েটিকে সে মুম্বই থেকে নিয়ে আসে। ১৫ জানুয়ারি তাকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে ঘটনার তদন্ত করছে গুজরাট পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের সন্দেহ রয়েছে জাল নথি ব্যবহার করে আরও অনেকেই এভাবে বসবাস করছে। গুজরাটের (Gujarat) বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মুসিবুল শেখের বয়স ২৬। সে সুরাটের রান্ডার এলাকার জাহাঙ্গিরবাদ ক্যানাল রোডে বসবাস করে। অভিযুক্ত ১৪ বছর ধরে বিভিন্ন স্পা-তে কাজ করেছে। আর প্রায় দেড় বছর আগে মুম্বইতে তার সঙ্গে আলাপ হয় এক হিন্দু মেয়ের। তখন থেকেই লিভ ইন সম্পর্কে থাকার জন্য মেয়েটিকে (Hindu Girl) প্রস্তাব দেয় মুসিবুল। হিন্দু এলাকায় একটি বাড়িও সে খুঁজতে থাকে। কিন্তু মুসলিম পরিচয় থাকায় কেউ তাকে বাড়ি ভাড়ায় দেয়নি। 

    অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নকল নথি তৈরি করে মুসিবুল

    জানা গিয়েছে, এর পরেই একটি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নকল নথি তৈরি করে সে। নিয়ে নেয় হিন্দু নাম। ভুয়ো আধার কার্ড ব্যবহার করে পাঁচ মাস আগে হিন্দু এলাকায় বসবাস করতে শুরু করে সে। মুসিবলের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩১৯, ৩৩৬(২), ৩৩৬, ৩৩৮ ধারা লাগু করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর সে জানিয়েছে, তার বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলীতে। গুজরাট (Gujarat) পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে দুটি আধার কার্ড উদ্ধার করেছে। একটি মুসিবল শেখের নামে এবং অপরটি প্রদীপ সুজয় ক্ষেত্রপালের নামে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Godhra Carnage: গোধরা হত্যাকাণ্ড মামলার আপিলের শুনানি ১৩ ফেব্রুয়ারি, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    Godhra Carnage: গোধরা হত্যাকাণ্ড মামলার আপিলের শুনানি ১৩ ফেব্রুয়ারি, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০২ সালের গোধরা হত্যাকাণ্ড (Godhra Carnage) মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত আপিলগুলো নিয়ে শুনানির তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ধার্য করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এই ঘটনার জেরে গুজরাটে ব্যাপক সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জেকে মহেশ্বরী এবং বিচারপতি অরবিন্দ কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, শুনানির সময় কোনও স্থগিতাদেশ অনুমোদন করা হবে না।

    জীবন্ত দগ্ধ ৫৯

    ২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি গুজরাটের গোধরা রেলস্টেশনে সবরমতী এক্সপ্রেসের এস-৬ কোচে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ৫৯ জন যাত্রীর। এঁদের অনেকেই ছিলেন করসেবক। ফিরছিলেন অযোধ্যা থেকে। এই নৃশংস ঘটনার জেরে গুজরাটজুড়ে শুরু হয়ে যায় সাম্প্রদায়িক হিংসা। ঘটনার ন’বছর পরে, ২০১১ সালে বিশেষ তদন্তকারী দলের রিপোর্টের ভিত্তিতে আদালত ৩১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে। এর মধ্যে ১১ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় ২০ জনকে। ২০১৭ সালের অক্টোবরে গুজরাট হাইকোর্ট ১১ জন দোষীর মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে। বহাল রাখে বাকি ২০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ।

    মৃত্যুদণ্ডই চায় গুজরাট সরকার

    যে ১১ জনের শাস্তি কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তাদের মৃত্যুদণ্ড যাতে পুনর্বহাল হয়, তাই সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে গুজরাট সরকার। ওই মামলায় গুজরাট সরকারের তরফে সুপ্রিম কোর্টে হাজির ছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। শীর্ষ আদালতে তিনি বলেছিলেন (Godhra Carnage), “সবরমতী এক্সপ্রেসে শিশু, মহিলা-সহ ৫৯ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল। এই ধরনের অপরাধ বিরলের মধ্যে বিরলতম। তাই আমরা চাই, গুজরাট হাইকোর্ট যাদের মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে, তাদের মৃত্যুদণ্ডই দেওয়া হোক। তাঁর দাবি, সবরমতী এক্সপ্রেসের যে কামরায় আগুন লাগানো হয়েছিল, সেটি বাইরে থেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: যোগী-মডেলকেই অনুসরণ মমতার, ইউপি-স্টাইল এনকাউন্টারে খতম দুষ্কৃতী সাজ্জাক আলম

    প্রসঙ্গত, গুজরাটে গোধরা হত্যাকাণ্ডের পর ব্যাপক সাম্প্রদায়িক হিংসা শুরু হয়। সরকারি রেকর্ড অনুযায়ী, ওই ঘটনায় ১,০০০-এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছিলেন। এই সময়ের অন্যতম কুখ্যাত ঘটনাটি ঘটেছিল ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০০২ সালে। ওই দিন আহমেদাবাদের গুলবার্গ হাউজিং সোসাইটিতেও ঘটেছিল গণহত্যার ঘটনা। সেখানে (Supreme Court) উন্মত্ত জনতার হাতে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৬৯ জন (Godhra Carnage)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Amit Shah: ভোকাট্টা.. ঘুড়ি উড়িয়ে মকর সংক্রান্তি উদযাপন করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ

    Amit Shah: ভোকাট্টা.. ঘুড়ি উড়িয়ে মকর সংক্রান্তি উদযাপন করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মকর সংক্রান্তির (Makar Sankranti) সকাল। ছাদে উঠে লাটাই হাতে ঘুড়ি ওড়াচ্ছিলেন একজন। সুতোয় টান দিয়েই যিনি ও..ওওওও.. বলে চিৎকার করে উঠলেন, তিনি আতিপাতি কেউ নন, হোমরাচোমরা ব্যক্তি, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। মঙ্গলবার, মকর সংক্রান্তির সকালটা এভাবেই কাটালেন তিনি। কারও ঘুড়ি কেটে দেওয়ার পরেই যে তিনি শিশুর মতো উল্লাসে ফেটে পড়লেন, তা বলাই বাহুল্য। ভাইরাল হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘুড়ি ওড়ানোর দৃশ্য।

    ঘুড়ি ওড়ালেন শাহ (Amit Shah)

    মকর সংক্রান্তির দিন বাংলার অনেক জায়গায়ই ঘুড়ি ওড়ানো হয়। এদিন গুজরাটের আকাশেও পতপত করে উড়তে থাকে পেটকাটি, চাঁদিয়াল-সহ হরেক কিসিমের ঘুড়ি। তেমনই একটা ঘুড়ি উড়িয়ে, ‘শৈশবে’র দিনগুলিতে ফিরে গেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিন আমদাবাদের শান্তিনিকেতন সোস্যাইটির ছাদে ঘুড়ি ওড়ান শাহ। তিনি আমদাবাদের সাংসদও। সাংসদকে ছাদে উঠে ঘুড়ি ওড়াতে দেখে আশপাশের বাড়ির ছাদে থাকা লোকজন হাত নেড়ে মকর সংক্রান্তির শুভেচ্ছা জানান তাঁকে। এদিন শাহের (Amit Shah) সঙ্গে ছাদে ছিলেন তাঁর স্ত্রী এবং গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলও। প্রসঙ্গত, ১৪ তারিখ থেকে তিনদিনের গুজরাট সফরে গিয়েছেন শাহ।

    স্মৃতির সাগরে ডুব মোদির

    এদিন স্মৃতির সাগরে ডুব দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। ‘উত্তরায়ণ’ (মকর সংক্রান্তিকে এই নামেই ডাকা হয় গুজরাটে) এর স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারতীয় সংস্কৃতিতে মকর সংক্রান্তির গুরুত্ব যে কতটা, সেটা সকলে জানেন।” তিনি বলেন, “আমি তো গুজরাটের লোক। আমার প্রিয় উৎসব মকর সংক্রান্তি ছিল। কারণ আজ গুজরাটের সব লোক ছাদেই থাকেন। দিনভর ঘুড়ি ওড়ান। আমি যখন ওখানে থাকতাম, তখন আমারও খুব শখ ছিল।”

    আরও পড়ুন: দেশে সত্যিকারের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দিন, বললেন ভাগবত

    গুজরাটে ঘুড়ি একটা বিরাট ব্যবসা। দেশের ৪০ শতাংশ ঘুড়ি তৈরি হয় এ রাজ্যে। ঘুড়ি ওড়ানোর জন্য মকর সংক্রান্তিতে (Makar Sankranti) ছাদ ভাড়া দেওয়া হয়। ঘুড়ি (Amit Shah) ওড়ানো চলে দুদিন ধরে। আকাশে ঘুড়ির এই মেলা দেখতে ভিড় করেন পর্যটকরাও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

       

  • HMPV in Kolkata: কলকাতায়ও এইচএমপি ভাইরাস! পাঁচ মাসের শিশুর শরীরে মিলল হদিশ

    HMPV in Kolkata: কলকাতায়ও এইচএমপি ভাইরাস! পাঁচ মাসের শিশুর শরীরে মিলল হদিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্নাটক, গুজরাটের পর এবার কলকাতায় (HMPV in Kolkata) পাঁচ মাসের এক শিশুর দেহে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি)-এর হদিশ মিলল। ওই শিশুকে বাইপাসের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, চিকিৎসার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সে আপাতত সুস্থ রয়েছে।

    কী কী উপসর্গ ছিল শিশুর শরীরে? (HMPV in Kolkata)

    প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ডিসেম্বরের শেষে মুম্বই থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে কলকাতায় (HMPV in Kolkata) এসেছিল শিশুটি। এখানে এসে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ভর্তি করানো হয় বাইপাসের ধারের একটি হাসপাতালে। সেখানে কয়েক দিন পর্যবেক্ষণে রাখার পর ছেড়ে দেওয়া হয় তাকে। সোমবারই কর্নাটকের বেঙ্গালুরুর দুই শিশুর শরীরে ওই ভাইরাসের হদিশ পাওয়ার খবর জানা গিয়েছে। গুজরাটের আহমেদাবাদের এক শিশুও সংক্রমিত হয়েছে বলে খবর মিলেছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, জ্বর এবং কাশির মতো সাধারণ কিছু উপসর্গ ছিল ওই শিশুর। পরীক্ষার পর ধরা পড়ে সে এইচএমপিভি-তে আক্রান্ত। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোনও শারীরিক পরিস্থিতি ওই শিশুটির ছিল না। তবে সব রকম সাবধানতা অবলম্বন করেই চিকিৎসা করা হয়েছে। সম্প্রতি চিনে এইচএমপিভি-র একটি রূপের সংক্রমণ বেড়েছে। তার পর থেকেই উদ্বেগ দানা বেঁধেছে ভারত-সহ অন্যান্য দেশে। অনেকেই বছর চারেক আগের করোনা-আবহের কথা ভেবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তবে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে,পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে।

    বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?

    বিশেষজ্ঞরা (HMPV in Kolkata) বলছেন, ইনফ্লুয়েঞ্জা, কোভিডের মতো ভাইরাস যেভাবে ছড়ায়, এই ভাইরাসের সংক্রমণও একইভাবে ঘটে। কাশি বা হাঁচির জীবাণু থেকে হোক কিংবা, রোগীর কাছাকাছি আসা, হাত মেলানো, সংক্রমিত জায়গা ছোঁয়া ইত্যাদি। কর্নাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, HMPV-র অস্তিত্ব আগে থেকেই রয়েছে। এটি কোনও নতুন ভাইরাস নয়। তাই অকারণে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু হয়নি। ২০০১ সালে প্রথম এই ভাইরাসকে চিহ্নিত করা গিয়েছিল। এই ভাইরাস মূলত শ্বাসযন্ত্রের ক্ষতি করে এবং প্রবলভাবে শ্বাসকষ্টের সমস্যা তৈরি করতে পারে। বাচ্চা এবং বয়স্ক তো বটেই, যে কোনও বয়সের মানুষকে অল্প সময়ের মধ্যেই কাবু করার ক্ষমতা রয়েছে এর। বিশেষ করে যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের জন্য এই ভাইরাস মারাত্মক হতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • HMPV in India: কর্নাটকের পর গুজরাট! দু’মাসের শিশুর দেহে মিলল এইচএমপি ভাইরাস

    HMPV in India: কর্নাটকের পর গুজরাট! দু’মাসের শিশুর দেহে মিলল এইচএমপি ভাইরাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্নাটকের (Karnataka) পর গুজরাট (Gujarat)। হিউম্যান মেটানিউমো (HMP) ভাইরাসে তৃতীয় আক্রান্তের খোঁজ মিলল। আমেদাবাদের দু’মাস বয়সি এক শিশুর শরীরে মিলল এই ভাইরাস। আক্রান্ত শিশুটি আপাতত চাঁদখেরা এলাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসার জন্য সম্প্রতি রাজস্থানের দুঙ্গারপুর থেকে আমেদাবাদে পৌঁছেছিল ওই শিশুর পরিবার। সেখানেই সোমবার দুপুরে শারীরিক পরীক্ষার পর শিশুর শরীরে মিলেছে এইচএমপিভি-র সংক্রমণ।

    কেমন আছে আক্রান্তরা

    সোমবার সকালেই বেঙ্গালুরুর দুই শিশুর শরীরে এইচএমপিভি-র সংক্রমণের খবর মিলেছে। প্রথমে আট মাসের এক শিশুর শরীরে ওই ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। পরে তিন মাসের আর একটি শিশুর শরীরেও ভাইরাসের হদিস পাওয়া যায়। খবর প্রকাশ্যে আসতেই আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। তবে কেন্দ্র জানিয়েছে, চিনে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসের সঙ্গে বেঙ্গালুরুতে এইচএমপি ভাইরাসের সংক্রমণের কোনও যোগ রয়েছে কিনা তা এখনই নিশ্চিত হয়ে বলা যাচ্ছে না। রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করে জানানো হয়েছে, অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। এইচএমপিভি আক্রান্ত দুই শিশুরই অবস্থা স্থিতিশীল। তাদের মধ্যে তিন মাসের শিশুটিকে ইতিমধ্যেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অন্য জনও সেরে ওঠার মুখে।

    এখনই উদ্বেগ নয়

    ভারতে অতীতেও এইচএমপিভি-র সংক্রমণ দেখা গিয়েছে। তবে এই ভাইরাসটির কোনও রূপান্তর হয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। চিনে ভাইরাসটির যে রূপ ছড়িয়ে পড়েছে, সেটির গঠনের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য মেলেনি। ফলে এটি ভাইরাসের চিনা রূপ নাকি স্বাভাবিক এইচএমপি ভাইরাসের সংক্রমণ, তা এখনও বলা যাচ্ছে না। সাধারণ এইচএমপিভি সংক্রমণে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, ঠান্ডা লাগা, ঘাম হওয়া, মাথা ধরা, পেশি ও গাঁটগুলিতে ব্যথা, ক্লান্তি এবং খিদে কমে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা যায়। তবে সম্প্রতি, যে স্ট্রেইন চোখে পড়েছে তাতে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে সদ্যোজাতরাই। তবে এইচএমপিভি-র সংক্রমণ নিয়ে এখনই উদ্বেগের কোনও কারণ নেই বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shubhman Gill: চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে নাম জড়াল শুভমান গিল সহ ৪ ক্রিকেটারের, তলব গুজরাট সিআইডি-র

    Shubhman Gill: চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে নাম জড়াল শুভমান গিল সহ ৪ ক্রিকেটারের, তলব গুজরাট সিআইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড়সড় কেলেঙ্কারিতে নাম জড়াল চার ভারতীয় ক্রিকেটারের। ৪৫০ কোটি টাকার চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে (Chit Fund Case) নাম জড়িয়েছে ক্রিকেটার শুভমান গিল (Shubhman Gill)-সহ চারজন। এঁদের প্রত্যেককেই সমন পাঠাতে চলেছে গুজরাট সিআইডি। এই চিটফান্ডের অন্যতম কিংপিনকে ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে বলে খবর। শুভমান ছাড়া বাকি তিন অভিযুক্ত হলেন মোহিত শর্মা, সাই সুদর্শন ও রাহুল তেওয়াটিয়া। সকলেই আইপিএল ফ্রাঞ্চাইজি গুজরাট টাইটান্সে খেলেন।

    সিডনি ম্যাচের আগেই বিপত্তি (Shubhman Gill)

    রাত পোহালেই সিডনিতে শুরু হবে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার পঞ্চম টেস্ট ম্যাচ। সেই ম্যাচে টিম ইন্ডিয়ায় শুভমান ফিরতে চলেছেন বলে জল্পনা। এহেন আবহে প্রকাশ্যে এল চিটফান্ড কেলেঙ্কারির (Chit Fund Case) খবর। প্রত্যাশিতভাবেই প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল শুভমানের (Shubhman Gill) ভারতীয় একাদশে ঠাঁই পাওয়ার সম্ভাবনার বিষয়টি। দীর্ঘদিন ধরেই বড় রান পাচ্ছিলেন না শুভমান। সেই কারণে বাদ পড়েছিলেন মেলবোর্ন টেস্ট থেকে। সিডনি ম্যাচে ফেরা নিয়ে জল্পনাও চলছিল। সেই জল্পনায় জল ঢেলে দেওয়া হয় কিনা, এখন সেটাই দেখার।

    প্রতারণা চক্রের চাঁই

    জানা গিয়েছে, এই প্রতারণা চক্রের চাঁই ভূপেন্দ্র সিং জালা। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরেই প্রকাশ্যে আসে গোটা বিষয়টি। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত চার ক্রিকেটারই আইপিএলে গুজরাট টাইটান্স ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে যুক্ত। শুভমান (Shubhman Gill) এই স্কিমে ১.৯৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন। বাকিরাও (Shubhman Gill) মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করেন। গুজরাট সিআইডির আধিকারিকরা ভূপেন্দ্রর অ্যাকাউন্ট দেখভাল করেন যিনি, সেই রুশিক মেহতাকে গ্রেফতার করেছেন।

    আরও পড়ুন: ফের খারিজ জামিন, চিন্ময় কৃষ্ণকে জেলেই মারতে চাইছে ইউনূস প্রশাসন! কীসের ভয়?

    সিআইডি প্রথমে এই চিটফান্ডে (Chit Fund Case) ৬ হাজার কোটি টাকা নয়ছয় হয়েছে বলে জানিয়েছিল। পরে অর্থের পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ৪৫০ কোটি টাকায়। তদন্ত এগোলে এই অর্থের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলেই খবর। এই চিটফান্ড কেলেঙ্কারির কিংপিন জালার বাড়ি হিম্মতনগর শহরে। ২০২০ থেকে ২০২৪ এই চার বছরে তিনি তৈরি করেছেন ১৭টি অফিস। এই অফিসগুলির মাধ্যমে ১১ হাজার বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে তিনি সংগ্রহ করেছেন ৪৫০ কোটি টাকা। গিল (Shubhman Gill) এবং অন্য তিন ক্রিকেটার সেই ১১ হাজারের মধ্যে রয়েছেন বলে খবর। সেই কারণেই তাঁদের তলব করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর (Chit Fund Case)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Gujarat: সিএএ-এর মাধ্যমে ৫৬ জন পাকিস্তানি হিন্দুকে নাগরিকত্ব দিল গুজরাট সরকার

    Gujarat: সিএএ-এর মাধ্যমে ৫৬ জন পাকিস্তানি হিন্দুকে নাগরিকত্ব দিল গুজরাট সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত দুই দশক ধরে গুজরাটে (Gujarat) বসবাসকারী ৫৬ জন পাকিস্তানি হিন্দুকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হল। ১১ ডিসেম্বর আহমেদাবাদে অনুষ্ঠিত একটি অনুষ্ঠানে গুজরাটের  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হাতে নাগরিকত্বের শংসাপত্র তুলে দেন। প্রাপকদের অভিনন্দন জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আপনারা হাসুন, এখন থেকে আপনারা ভারতের নাগরিক।” আর হাতে শংসাপত্র পেয়ে তাঁরাও স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন। এই দিনটার জন্য তাঁরা বছরের পর বছর অপেক্ষা করছিলেন।

    প্রধানমন্ত্রী- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানালেন হিশা কুমারী (Gujarat)

    জানা গিয়েছে, এই ৫৬ জনের মধ্যে হিশা কুমারী নামে একজনের নাগরিকত্ব পাওয়ার ঘটনা অন্যতম। ১৯৯৮ সালে পাকিস্তানে জন্মগ্রহণ করেন হিশা। উন্নত ভবিষ্যত এবং নিপীড়ন থেকে মুক্তির জন্য ২০১৩ সালে তাঁর পরিবারের সঙ্গে ভারতে চলে আসেন তিনি। পাকিস্তানে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পরার পর ভারতে এসে তিনি ফের পড়াশুনা শুরু করেন। ২০১৭ সালে আজমিরের একটি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন। তিনি এখন একজন ডাক্তার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছেন। এদিন তাঁর হাতেও নাগরিকত্বের (Gujarat) শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়। নাগরিকত্ব পাওয়ার পর উচ্ছ্বসিত হয়ে হিশা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “আমার পরিচয় পুনরুদ্ধার করার জন্য আমি দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে কৃতজ্ঞ। এই নাগরিকত্ব পাওয়ার পরে, আমি যে কোনও জায়গায় আবেদন করতে পারি।” তিনি গর্বভরে তাঁর নাগরিকত্বের শংসাপত্র প্রদর্শন করে বলেছিলেন।

    আরও পড়ুন: চালিয়ে খেলছে শীত! কলকাতায় ১৩ ডিগ্রির ঘরে পারদ, বঙ্গে তাপমাত্রা নামল ১০-এর নিচে

    রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কী বললেন?

    রাজ্যের (Gujarat) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আগে, এই ব্যক্তিদের দিল্লিতে একটি দীর্ঘ এবং কঠিন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল। এখন, আমরা নিশ্চিত করেছি যে তাদের সমস্যাগুলি স্থানীয় পর্যায়ে সমাধান করা হবে। ” ২০১৭ সাল থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত মোট ১১৬৭ জন পাকিস্তানি নাগরিক ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছেন। এই ৫৬ জনকে অন্তর্ভুক্ত করায়, সংখ্যাটি এখন ১২২২-এ দাঁড়িয়েছে। শুধুমাত্র গুজরাতেই, ৫০ টিরও বেশি পাকিস্তানি হিন্দু গত ছয় মাসে তাদের নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেয়েছে। এই ৫৬ জনের জন্য ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদান দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান এবং তাদের জীবনে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। এটি তাদের শুধুমাত্র আইনি স্বীকৃতিই দেয় না বরং ভারতীয় সমাজে সম্পূর্ণরূপে একীভূত হওয়ার এবং তাদের স্বপ্নগুলিপূরণ করার সুযোগও দেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Drug Cartel: ৭০০ কেজি মাদক উদ্ধার গুজরাট উপকূলে, ফাঁস আন্তর্জাতিক চক্র, অভিনন্দন শাহের

    Drug Cartel: ৭০০ কেজি মাদক উদ্ধার গুজরাট উপকূলে, ফাঁস আন্তর্জাতিক চক্র, অভিনন্দন শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাদক পাচারের (Drug Cartel) বিরুদ্ধে বড় সাফল্য পেল ভারত। গুজরাটের (Gujarat) পোরবন্দরে ধরা পড়ল ৭০০ কেজিরও বেশি মেথামফেটামিন (মেথ নামে অধিক পরিচিত)। একটি ভেসেলের মাধ্যমে মাদক পাচার করা হচ্ছিল। প্রশাসনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, জাহাজটিতে থাকা ৮ জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা সকলেই নিজেদের ইরানি বলে পরিচয় দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ধৃতদের কাছে কোনও পরিচয়পত্র ছিল না বলেই জানিয়েছে প্রশাসন। এমন সাফল্যে, এদিনের অভিযানে অংশ নেওয়া ভারতীয় এজেন্সিগুলিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

    অপারেশনের নাম দেওয়া হয়েছিল সাগর মন্থন ৪

    আধিকারিকরা জানান, মাদকের (Drug Cartel) উৎস এবং এত বড় চালান কোথা থেকে এসেছে তা জানতে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। উদ্ধার হওয়া মেথের প্রকৃত মূল্য জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে, তথ্যাভিজ্ঞ মহলের মতে, এই পরিমাণ মেথ-এর বাজারদর হতে পারে প্রায় ১৭০০ কোটি টাকা! প্রসঙ্গত, এই অপারেশনের নাম দেওয়া হয়েছিল সাগর মন্থন ৪। ভারতীয় নৌসেনা, গুজরাট (Gujarat) অ্যান্টি-টেরর স্কোয়াড (ATS) এবং কেন্দ্রীয় মাদক-রোধ সংস্থা নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (NCB)-এর আধিকারিকরা এই যৌথ অভিযানে অংশগ্রহণ করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানে মোট ১১ জন ইরানের নাগরিক ও ১৪ জন পাকিস্তানিকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। মাদক (Drug Cartel) বিরোধী অভিযানে ৩,৪০০ কেজিরও বেশি মাদক উদ্ধার করতে সমর্থ হয়েছে প্রশাসন।

    অভিনন্দন জানালেন অমিত শাহ

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লিখেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির লক্ষ্য হল মাদকমুক্ত ভারত। আমাদের এজেন্সিগুলি আজকে আন্তর্জাতিক মাদক পাচারের বিরুদ্ধে বড়সড় সাফল্য পেয়েছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: প্রয়াত রতন টাটাকে স্মরণ! বরোদায় সি-২৯৫ বিমান তৈরির কারখানার উদ্বোধন মোদির

    PM Modi: প্রয়াত রতন টাটাকে স্মরণ! বরোদায় সি-২৯৫ বিমান তৈরির কারখানার উদ্বোধন মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বরোদায় টাটা এয়ারক্রাফ্ট কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সাঞ্চেজ। এই কমপ্লেক্সে তৈরি হবে সি-২৯৫ সামরিক বিমানের ৫৬টি ইউনিট, যার মধ্যে ১৬টি স্পেন থেকে সরাসরি এয়ারবাস দ্বারা সরবরাহ করা হবে এবং বাকি ৪০টি বরোদার কারখানায় তৈরি হবে। এটি ভারতে বেসরকারি খাতের প্রথম ফাইনাল অ্যাসেম্বলি লাইন (FAL) যা সামরিক বিমান তৈরির জন্যই ব্যবহৃত হবে।

    বড় পদক্ষেপের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

    এই প্রকল্পে বিমানের পূর্ণাঙ্গ নির্মাণ, অ্যাসেম্বলি, পরীক্ষা, মান যাচাই, সরবরাহ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হবে। ২০২১ সালে স্পেনের এয়ারবাস ডিফেন্স অ্যান্ড স্পেস এসএ-র সঙ্গে ২১,৯৩৫ কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষর করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। যার আওতায় এই বিমানগুলো সরবরাহ করা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “টাটা-এয়ারবাস ম্যানুফ্যাকচারিং ফেসিলিটি ভারত-স্পেন সম্পর্ককে মজবুত করবে এবং ‘মেক ইন ইন্ডিয়া, মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’ মিশনকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।” ভবিষ্যতে এই কারখানায় তৈরি বিমানগুলো ভারত থেকে রফতানি করা হবে বলেও আশাপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

    রতন টাটার স্মৃতিচারণা প্রধানমন্ত্রীর

    টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরণ জানান, এই প্রকল্পের ধারণা রতন টাটা ২০১২ সালে করেছিলেন। তিনি বলেন, “এই প্রকল্পের পুরো ভাবনা এবং এয়ারবাসের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তি তিনিই স্থাপন করেছিলেন। তাঁর পথপ্রদর্শক নেতৃত্বকে আমি শ্রদ্ধা জানাই।” প্রাক্তন টাটা সন্সের চেয়ারম্যান রতন টাটার স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সম্প্রতি আমরা দেশের মহান সন্তান রতন টাটাজিকে হারিয়েছি। তিনি আজ আমাদের মধ্যে থাকলে খুশি হতেন। কিন্তু যেখানে তাঁর আত্মা আছে, সেখানেই তিনি খুশি থাকবেন।” 

    বিমানের সুবিধা

    সি-২৯৫ হল ৫-১০ টন ক্ষমতার একটি সামরিক পরিবহণ বিমান। যা বর্তমান অ্যাভ্রো-৭৪৮ বিমানের পরিবর্তে ব্যবহার করা হবে। বিমানটি ৭১ জন জওয়ান বা ৫০ জন প্যারাট্রুপার (কমান্ডো) পরিবহণের জন্য উপযুক্ত এবং সব ধরনের আবহাওয়ায় কাজ করতে সক্ষম। এই প্রকল্প প্রসঙ্গে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সাঞ্চেজ বলেন, “এই প্রকল্প ভারতীয় এয়ারস্পেস শিল্পের অগ্রগতিতে নতুন দ্বার উন্মুক্ত করবে।” তিনি টাটাকে একটি “বিশ্বজোড়া প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান” হিসেবে অভিহিত করেন। তাঁর কথায়, “এই প্রকল্প আমাদের শিল্প সম্পর্ককে শক্তিশালী করবে এবং আমাদের দেশকে একটি নির্ভরযোগ্য কৌশলগত অংশীদার হিসেবে তুলে ধরবে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share