Tag: health tips

health tips

  • Kolkata Air Pollution: বায়ুদূষণে দিল্লিকে টেক্কা কলকাতার! ‘প্রশাসনের গাফিলতি’ বলছেন বিশেষজ্ঞরা

    Kolkata Air Pollution: বায়ুদূষণে দিল্লিকে টেক্কা কলকাতার! ‘প্রশাসনের গাফিলতি’ বলছেন বিশেষজ্ঞরা

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    কলকাতার বাতাস নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। কলকাতার বাতাসের ‘বিষ’ নিয়ে উদ্বিগ্ন চিকিৎসক থেকে পরিবেশ কর্মী, সব মহল! শীতের মরসুমে সেই উদ্বেগ আরও বাড়ল। কারণ, সম্প্রতি, কলকাতার বায়ুদূষণের মাত্রা ছাপিয়ে গেল দিল্লিকেও! বায়ুদূষণ নিয়ে কথা হলেই দিল্লির কথা প্রথমেই আলোচনায় আসে। কিন্তু সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, কলকাতা সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছে। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন সংশ্লিষ্ট মহল। মানুষের স্বাস্থ্যে এর গভীর প্রভাব পড়বে বলেও আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

    কী বলছে সাম্প্রতিক তথ্য?

    গত কয়েক দিন ধরেই রাত আটটা থেকে নটার মধ্যে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের আশপাশের এলাকায় AQI (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) ছিল ৩৪২-র আশপাশে। যা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি। ওই সময় দিল্লির একিউআই ছিল ২৯৯। কলকাতার ফুসফুস হিসেবে পরিচিত ময়দান এলাকায় বায়ুর এই গুণমান সূচক নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে।

    বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ অবশ্য জানাচ্ছেন, দিন কয়েকের সমস্যা নয়। দেশের অন্যতম দূষিত শহর হল কলকাতা। কলকাতায় বায়ুদূষণের মাত্রা বাড়ছে। যার ক্ষতিকারক প্রভাব পরিবেশ স্পষ্ট জানান দিচ্ছে। তবে কলকাতার পাশপাশি এ রাজ্যে হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম বর্ধমানের একাধিক শহরেও বায়ুদূষণের মাত্রা ভয়ঙ্কর। এ নিয়ে প্রশাসন সতর্ক না হলে আগামি দিনে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    কেন কলকাতা ও আশপাশে বায়ুদূষণের মাত্রা বাড়ছে?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, জনসচেতনতা অভাব এবং প্রশাসনের সক্রিয়তার ঘাটতি কলকাতার দূষণের মাত্রা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকায় নানান নির্মাণ কাজ চলছে। মেট্রো রেল সম্প্রসারণ সহ একাধিক নির্মাণ কাজ চলাকালীন সেই জায়গা ঢেকে রাখাই নিয়ম। যাতে সেখানে ধুলোবালি সহজে বাতাসে মিশে না যায়। কিন্তু সেই ঢেকে রাখার ব্যবস্থা রাজ্য প্রশাসনের তরফে করা হয়নি। তাই যে কোনও নির্মীয়মান জায়গার ধুলিকণা সহজেই বাতাসে মিশে যাচ্ছে। এছাড়া শীতে শুষ্কতা বাড়ে। তাই এই সময়ে বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ বাড়তে পারে। তাই অতিরিক্ত গাড়ি যেসব এলাকায় চলে সেখানে বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই সেই সব এলাকায় দিনে একাধিকবার জল ছেটানোর বন্দোবস্ত করা প্রয়োজন। কিন্তু কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকায় সে ব্যবস্থা নেই। তাই বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ বাড়ছে। এছাড়াও জনসচেতনতাকেও এজন্য দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিবেশবান্ধব যানবাহন অধিকাংশ মানুষ ব্যবহার করেন না। তাই বায়ুদূষণ লাগামহীন।

    স্বাস্থ্য সঙ্কট কি দেখা দিতে পারে?

    বায়ুদূষণ স্বাস্থ্য সঙ্কট তৈরি করতে পারে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, প্রতি ঘনমিটারে বাতাসে ১৫ মাইক্রোগ্রামের বেশি দূষণের মাত্রা থাকলেই স্বাস্থ্য সঙ্কট তৈরি হতে পারে। কিন্তু কলকাতায় সেই মাত্রা কয়েকগুণ বেশি। তাই পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কলকাতা ও তার আশপাশ লাগামহীন বায়ুদূষণের জেরে শিশুদের ভোগান্তি বাড়ছে। শ্বাসকষ্ট, কাশির মতো নানান সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে। এমনকি হাঁপানি আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়ছে। শিশুদের পাশপাশি বয়স্কদের জন্যেও এই পরিবেশ বিপজ্জনক। শিশু ও বয়স্কদের নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিসের মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা গত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। বায়ুদূষণকেই সেই জন্য দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    জনসচেতনতা এবং প্রশাসনের সক্রিয়তা হলে তবেই এই পরিস্থিতি মোকাবিলা সম্ভব বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

  • Nolen Gur Health Benefits: নতুন গুড় শুধু শুধুই স্বাদে-গন্ধে এগিয়ে? নাকি এতে রয়েছে স্বাস্থ্যের গুণাগুণও?

    Nolen Gur Health Benefits: নতুন গুড় শুধু শুধুই স্বাদে-গন্ধে এগিয়ে? নাকি এতে রয়েছে স্বাস্থ্যের গুণাগুণও?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    পায়েস হোক কিংবা পুলি-পিঠে, শীতের আমেজ জমিয়ে দেয় বাঙালির রান্নাঘরের এই মরশুমের বিশেষ রান্না! হিমেল হাওয়া আর কুয়াশা যেমন শীতের জানান দেয়, তেমনি বাঙালির রান্না ঘরে নতুন গুড়ের গন্ধ ম-ম করলেই শীতের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। পিঠে-পুলি-পায়েসের মতো নানান রকমের পদে গুড়ের ব্যবহার হয়। কিন্তু বাঙালির এই চিরকালীন প্রিয় নলেন গুড় (Date Palm Jaggery) কি শুধুই গন্ধে আর স্বাদে এগিয়ে থাকে! একেবারেই নয়! স্বাদের পাশপাশি স্বাস্থ্যের জন্যও নলেন গুড় (Nolen Gur Health Benefits) এগিয়ে থাকবে। এমনটাই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শীতের গুড় শরীরের পক্ষে খুবই উপকারি।

    গুড় খেলে শরীরে কী প্রভাব পড়ে?

    রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে!

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, গুড়ে রয়েছে একাধিক খনিজ পদার্থ। গুড় আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো উপাদানে ভরপুর। তাই গুড় খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। তাই যেকোনও সংক্রামক রোগ রুখতে শরীর বাড়তি শক্তি পায়। ভোগান্তি কম হয়।

    আয়রনের ঘাটতি কমায়!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পূর্ব‌ ভারতের মহিলাদের মধ্যে আয়রনের অভাব যথেষ্ট উদ্বেগজনক। বিশেষত বয়ঃসন্ধিকালে থাকা মেয়েদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়ছে। এর ফলে রক্তাল্পতার মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে। দীর্ঘমেয়াদি নানান অসুখের ঝুঁকিও বাড়ছে। গুড় খেলে শরীরে আয়রনের জোগান হয়। তাই রক্তাল্পতা রুখতেও সাহায্য করে।

    হাড়ের ক্ষয় রুখতে সাহায্য করে!

    তরুণ প্রজন্মের মধ্যে হাড়ের ক্ষয় রোগ বাড়ছে। বয়স তিরিশের চৌকাঠ পেরনোর আগেই আর্থ্রাইটিস সহ একাধিক রোগের প্রকোপ দেখা দিচ্ছে। হাড় দূর্বল হওয়ার জেরেই এই ধরনের নানান সমস্যা দেখা দিচ্ছে। গুড়ে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে। তাই গুড় খেলে হাড় মজবুত হয়।

    হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতে হজমের সমস্যা বাড়ে। নানান কারণে এর ফলে লিভারেও চাপ পড়ে। গুড় হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, গুড়ে প্রাকৃতিক শর্করা থাকে। যা হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। লিভার সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে।

    মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গুড়ে ভিটামিন বি ৬ উপাদান থাকে। এই উপাদান মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। আবার এই উপাদান মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাও বাড়ায়। তাই গুড় খেলে মানসিক স্বাস্থ্যও ভালো থাকে।

    সর্দি-কাশি রুখতে বিশেষ সাহায্য করে!

    গুড় রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, গুড় খেলে সর্দি-কাশি কম হয়। গুড়ে‌ থাকা নানান খনিজ পদার্থ ফুসফুসের সংক্রমণ রুখতেও বিশেষ সাহায্য করে।

    গুড় কি চিনির বিকল্প হতে পারে?

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিনির বিকল্প হিসেবে গুড় ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে গুড় খাওয়ার ক্ষেত্রেও পরিমাণের দিকে নজরদারি প্রয়োজন। গুড়ে প্রাকৃতিক শর্করা থাকে। ফলে অতিরিক্ত পরিমাণে গুড় খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাবে। এর ফলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। আবার ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য নানান জটিলতা তৈরি হতে পারে। তবে রান্নায় চিনির পরিবর্তে গুড় ব্যবহার করা যেতে পারে। আবার সকালে আদার সঙ্গে অল্প পরিমাণ গুড় মিশিয়ে খেলে সর্দি-কাশি মোকাবিলা আরো সহজ হবে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Malaria in Winter: একমাসে আক্রান্ত ১৫০! শীতেও রাজ্যে দাপট ম্যালেরিয়ার, প্রশাসনের গাফিলতিই দায়ী, দাবি বিশেষজ্ঞদের

    Malaria in Winter: একমাসে আক্রান্ত ১৫০! শীতেও রাজ্যে দাপট ম্যালেরিয়ার, প্রশাসনের গাফিলতিই দায়ী, দাবি বিশেষজ্ঞদের

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দরজায় শীত কড়া নাড়লেও মশার দাপট চলছেই। তাই ডিসেম্বরেও রাজ্যবাসীর মশাবাহিত রোগ থেকে রেহাই নেই। এমনটাই খবর রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রশাসনের অন্দরে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্যের একাধিক জেলায় বছরভর ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ছিলো উদ্বেগজনক। শীতের মরশুমে মশা বাহিত রোগের ঝুঁকি কিছুটা কমবে বলেই আশা করেছিলেন চিকিৎসক মহল। কিন্তু ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেও রাজ্যের একাধিক জায়গায় ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন চিকিৎসক মহল।

    কী বলছে স্বাস্থ্য ভবনের তথ্য?

    স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত রাজ্যে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়েছে। নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত রাজ্যে নতুন করে প্রায় দেড়শো জন ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকায় ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে‌। উত্তর চব্বিশ পরগনা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, হুগলি এবং নদিয়ার মতো একাধিক জেলায় ম্যালেরিয়ার দাপট রয়েছে। তবে কলকাতার শোভাবাজার, গিরিশ পার্ক, যাদবপুর, টালিগঞ্জের মতো এলাকায় নভেম্বর মাস জুড়ে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক ছিল। এই এলাকা থেকেই গত এক মাসে প্রায় ৬০ জন ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়েছেন।

    কেন ডিসেম্বরেও মশাবাহিত রোগের দাপট অব্যহত?

    সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মশাবাহিত রোগ মূলত বর্ষাকালেই হয়। সেই হিসাব মতো সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর এই দুই মাস মশাবাহিত রোগের দাপট রাজ্যে বেশি থাকে। বর্ষায় জমা জল মশার আতুর ঘর। তাই এই সময়ে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গির মতো রোগের সংক্রমণ বেশি হয়। কিন্তু চলতি বছরে শীতের মরসুমেও মশাবাহিত রোগের দাপট চলছে। বিশেষজ্ঞ মহল অপরিচ্ছন্ন পরিবেশকেই এর জন্য দায়ী করছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, রাজ্যের অধিকাংশ জায়গায় অপরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা হয় না। পার্ক, পুকুর সংলগ্ন এলাকা নিয়মিত পরিষ্কার হয় না। আগাছা পরিষ্কার হয় না। এর ফলে মশার বংশবিস্তার সহজ হচ্ছে। তাই শীত পড়লেও মশাবাহিত রোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়া যাচ্ছে না।

    কীভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ম্যালেরিয়া রুখতে প্রশাসনের সক্রিয়তার পাশপাশি জনসচেতনতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, এলাকার পরিচ্ছন্নতার পাশপাশি বাড়ি ও আশপাশের জায়গা পরিষ্কার রয়েছে কিনা সে সম্পর্কেও সতর্ক থাকতে হবে। ছাদে বা বাগানে জল জমতে দেওয়া যাবে না। অনেকেই ছাদে টবে গাছ রাখেন।‌ বাগান করেন। বিশেষত কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকায় ছাদে বাগান‌ তৈরির রেওয়াজ বাড়ছে। কিন্তু সেই বাগানে জল জমছে কিনা সেদিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। পাশপাশি প্রশাসনের সক্রিয়তা প্রয়োজন বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁদের পরামর্শ, এলাকায় পুকুর কিংবা পার্ক থাকলে প্রতি সপ্তাহে নিয়ম মাফিক, তার পরিচ্ছন্নতার দিকে নজরদারি জরুরি। আগাছা পরিষ্কার করা, পুকুরের জল যাতে পরিষ্কার থাকে, সেদিকে নজর রাখার দায়িত্ব প্রশাসনের। ম্যালেরিয়া রোগ সম্পর্কেও সচেতনতা প্রসার জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, সংক্রামক রোগ প্রতিরোধের প্রধান উপায় আক্রান্তকে দ্রুত চিহ্নিত করা। বারবার জ্বর আসা, মাথা ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ মতো শারীরিক পরীক্ষা করানো দরকার। যাতে রোগ চিহ্নিত সহজ হয়। পরিবারের কেউ ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হলে বাকিদের বাড়তি সতর্কতা নেওয়া দরকার। রোগীকে মশারি টাঙিয়ে রাখতে হবে। অন্যদের ও কোনো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। যাতে রোগ সংক্রমণ বেশি না ছড়ায়।

  • Liver Problems: শীতের মরসুমে বাড়ছে যকৃতের সমস্যা! কীভাবে এই সময়ে লিভার সুস্থ রাখবেন?

    Liver Problems: শীতের মরসুমে বাড়ছে যকৃতের সমস্যা! কীভাবে এই সময়ে লিভার সুস্থ রাখবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সকালের কুয়াশা আর সন্ধ্যা হতেই ঠান্ডা হাওয়া জানান দিচ্ছে শীত এসেছে! তাপমাত্রার পারদ কমছে। কিন্তু শীত মানে শুধুই আবহাওয়ার পরিবর্তন নয়। শীত নিয়ে আসে নানান উৎসব আর উদযাপন। বাঙালির শীতকালে থাকে একাধিক পারিবারিক উৎসব, বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিক আর বছর শেষের নানান উদযাপন। তাই ডিসেম্বর মাসজুড়ে চলে দেদার খানাপিনা। শীতের মরসুমে এই উৎসব উদযাপনের জেরেই লিভারের নানান ভোগান্তি বাড়ে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রতি বছর বছরের শেষের সময়ে অনেকেই লিভারের সমস্যায় ভোগেন। এর ফলে নানান জটিলতা তৈরি হয়।

    কেন বছর শেষে লিভারের সমস্যা বাড়ে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে লিভারের নানান সমস্যা বাড়ছে। বিশেষত নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের মতো রোগের প্রকোপ বাড়ছে। এমনকি স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও এই ধরনের রোগ দেখা দিচ্ছে। এই রোগের প্রকোপ বাড়ার জন্য বিশেষজ্ঞ মহল মূলত জীবন যাপনের ধরনকেই দায়ী করছেন। শীতে এই ধরনের লিভারের অসুখ আরও বেড়ে যায় বলেই তাঁরা জানাচ্ছেন।

    শীতে ঘাম কম হয়। ফলে ক্যালোরি ক্ষয় আরও কমে যায়। অনেকেই আবার শীতে নিয়মিত শারীরিক কসরত করেন না। তার উপরে শীত পড়লেই অনেকেই ‘ওভার ইটিং’ বা অতিরিক্ত খাওয়া দাওয়া শুরু করেন। লিভার রোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকেই শীত পড়তেই নানান রকমের মাংস, মাছ জাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন নিয়মিত অতিরিক্ত পরিমাণে খেতে শুরু করেন। তার সঙ্গে ভারসাম্য রেখে সবুজ সব্জি কিংবা দানাশস্য খান না। অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার লিভারের জন্য ক্ষতিকারক। একদিকে শারীরিক পরিশ্রম কম করা, আরেকদিকে অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়া, এই দুই কারণেই লিভারের সমস্যা বাড়ে। তাছাড়া, চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশের কাছে উৎসব উদযাপন মানেই মদ্যপান। এই অভ্যাস লিভারের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। মদ্যপানের জেরেও লিভারের সমস্যা দেখা দেয়। অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের জেরেই হজমের সমস্যা দেখা যায়। বমি, পেট ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। যা দীর্ঘমেয়াদি জটিল রোগের লক্ষণ হতে পারে।

    শীতের কোন খাবার লিভার সুস্থ রাখতে সাহায্য করে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতের একাধিক খাবার লিভার সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। শিশু থেকে বয়স্ক, সকলের এই মরশুমি সব্জি এবং ফল নিয়মিত খাওয়া প্রয়োজন। তাহলেই লিভারের নানান অসুখের ঝুঁকি কমবে।

    শীতকালে বাজারে দেদার পালং শাক পাওয়া যায়। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, পালং শাকে থাকে ক্লোরোফিল। এই উপাদান লিভার সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। কারণ ক্লোরোফিল সহজেই লিভারের টক্সিন দূর করে।

    এই মরশুমে আরেকটি শাক, লিভারের জন্য বিশেষ উপকারি। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, মেথি শাক লিভার সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। নানান রকমের মশলাদার খাবার লিভারের উপরে চাপ তৈরি করে। সপ্তাহে অন্তত দুদিন মেথি শাক খেলে লিভারের ডিটক্সিফিকেশনে বিশেষ সাহায্য হয়।

    ব্রকোলি এবং ফুলকপির মতো সব্জি লিভারের জন্য বিশেষ উপকারি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের সব্জি এনজাইম সক্রিয় করে লিভারকে সুস্থ রাখে। বিটরুট লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    সব্জির পাশপাশি নানান ধরনের বেরি জাতীয় ফল এই সময়ে বাজারে সহজেই পাওয়া যায়। এই ধরনের ফলগুলো লিভার সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, লিভার সুস্থ রাখতে নানান রকমের সব্জি, ফল খাওয়ার পাশপাশি অতিরিক্ত তেল মশলা জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না। প্রাণীজ প্রোটিন বিশেষত চর্বি জাতীয় মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে পরিমাণের দিকে বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন। পাশপাশি শরীরের ওজন সম্পর্কেও সচেতন হতে হবে। ফ্যাটি লিভারের অন্যতম কারণ শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি। তাই ওজন যাতে অতিরিক্ত না হয়, তাই নিয়মিত শারীরিক কসরত করা জরুরি। তাহলে লিভার সুস্থ থাকবে। কার্যক্ষমতা বাড়বে। ভোগান্তি কমবে।‌

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Orange Eating Benefits: শীতে প্রতিদিন শিশুদের ব্রেকফাস্টে থাকুক একটা কমলালেবু, কতখানি উপকারি এই ফল?

    Orange Eating Benefits: শীতে প্রতিদিন শিশুদের ব্রেকফাস্টে থাকুক একটা কমলালেবু, কতখানি উপকারি এই ফল?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    তাপমাত্রার পারদ নামতেই বাজারে হাজির কমলালেবু! বাঙালির শীতকালের সঙ্গে কমলালেবুর সম্পর্ক চিরকালীন। সকালের প্রাতঃরাশের থালায় হোক, কিংবা স্কুলের টিফিন বাক্সে, কমলালেবুর উপস্থিতি জানান দেয় শীতের দাপট! তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্বাদে ও গন্ধে শুধু নয়, কমলালেবু স্বাস্থ্য গুনেও ভরপুর! তবে কিছুক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি। তবেই কমলালেবু খাওয়ার উপকার পাওয়া যাবে।

    নিয়মিত বাচ্চাকে কমলালেবু দিলে কী হয়?

    রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত কমলালেবু খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। এই ফল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। তাই নিয়মিত এই ফল খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। শিশুরা শীতের সময়ে অনেকেই নানান সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়। বিশেষত ঋতু পরিবর্তনের সময় ভাইরাস ঘটিত জ্বর-কাশি-সর্দিতে শিশুদের ভোগান্তি বাড়ে। তাই নিয়মিত কমলালেবু খেলে এই ধরনের সংক্রামক রোগের ঝুঁকি কমবে। ভোগান্তিও কম হবে।

    হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে!

    শীত মানেই নানান উৎসবের মরশুম। পিকনিক হোক কিংবা পারিবারিক উৎসব, নানান অনুষ্ঠান চলে। তাই খানাপিনাও দেদার চলে। বিশেষত প্রাণীজ প্রোটিনের নানান পদ খাওয়া বেশি হয়। এই সময়ে অনেকেই হজমের সমস্যায় ভোগে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতের মরশুমে শিশুদের বমি কিংবা পেটের সমস্যার মতো নানান ভোগান্তি বাড়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, হজমের অসুবিধার জন্য এই ধরনের সমস্যা হয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত কমলালেবু খেলে শিশুদের হজম শক্তি বাড়ে। তাঁদের পরামর্শ, জলখাবারের পরে কিংবা স্কুলের টিফিন শেষে নিয়মিত কমলালেবু খেলে হজম শক্তি বাড়বে।

    ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ক্লান্তি দূর করতে কমলালেবু বিশেষ সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুরা দিনভর নানান কাজ করে। ছোটাছুটিও প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুরা বেশি করে। তাই তাদের বাড়তি এনার্জি প্রয়োজন। শরীরের ক্লান্তি দূর করতে এবং এনার্জির চাহিদা পূরণ করতে কমলালেবু খুব উপকারি। কমলালেবুতে একাধিক ভিটামিন রয়েছে। তাই নিয়মিত কমলালেবু খেলে শরীরে এনার্জির ঘাটতি হয় না।

    ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে!

    ভারতীয় শিশুরা স্থুলতার সমস্যায় ভুগছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের দীর্ঘ সুস্থ জীবন যাপনের জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণ জরুরি। অতিরিক্ত ওজন পরবর্তীতে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, কিডনির সমস্যা সহ একাধিক সমস্যা তৈরি করতে পারে। কমলালেবু ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কমলালেবু ফাইবার সমৃদ্ধ ফল। তাই নিয়মিত এই ফল খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। অতিরিক্ত খাওয়া বা ‘ওভার ইটিং’-র প্রবণতা কমবে।

    হাড়ের রোগের ঝুঁকি কমবে!

    বয়ঃসন্ধিকালে থাকা সময় থেকেই বাড়ছে হাড়ের সমস্যা। বহু স্কুল পড়ুয়া ভিটামিন ডি-র অভাবে ভুগছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতীয়দের মধ্যে হাড় ক্ষয়ের রোগ বাড়ছে। যা দীর্ঘদিনের ভোগান্তির কারণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, স্কুলের টিফিনে শীতকাল জুড়ে থাকুক কমলালেবু। তাঁরা জানাচ্ছেন, কমলালেবুতে নানান রকম ভিটামিন থাকার পাশপাশি থাকে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়ামের মতো নানান গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ। এই উপাদান হাড় মজবুত করতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই কমলালেবু নিয়মিত খেলে হাড়ের মজবুত হবে।

    বড়দের জন্যও সমান ভাবেই উপকারি

    শিশুদের পাশপাশি বড়দের জন্যও কমলালেবু সমান ভাবেই উপকারি। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, কমলালেবু ত্বকের সমস্যা মেটাতে বিশেষ সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, শীতে অনেকেই ত্বকের সমস্যায় জেরবার হন। ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া, চুলকানির মতো নানান উপসর্গ দেখা দেয়। কমলালেবুতে থাকা ভিটামিন ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে ত্বকের শুষ্ক ভাব কমাতে সাহায্য করে। ত্বকের প্রাকৃতিক ময়েশ্চার ধরে রাখতেও সাহায্য করে। পাশপাশি কমলালেবু হার্টের রোগের ঝুঁকিও কমায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, কম বয়সীদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। বিশেষত শীতকালে হৃদরোগের সমস্যা বাড়ে। তাই এই সময়ে আরও বেশি স্বাস্থ্য সচেতনতা থাকা প্রয়োজন। তাঁদের পরামর্শ নিয়মিত কমলালেবু খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। কমলালেবুতে থাকা পটাশিয়াম সহ একাধিক খনিজ সম্পদ রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে। হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।

    তবে, খেয়াল রাখতে হবে…

    তবে কমলালেবুর উপকার পাওয়ার জন্য এই ফল খাওয়ার সময় সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কমলালেবু খালি পেটে খেলে অম্বল হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। ভারি খাবার খাওয়ার পরে তবেই কমলালেবু খাওয়ার উপকারিতা পাওয়া যাবে। তবে দিনে দুটোর বেশি কমলালেবু খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। এতে অন্যান্য সমস্যা দেখা যেতে পারে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের দিনে একাধিক কমলালেবু না দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন‌।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Blood Pressure: শীত এলেই বৃদ্ধি পাচ্ছে রক্তচাপ! কোন কোন বিপদ বাড়ছে?

    Blood Pressure: শীত এলেই বৃদ্ধি পাচ্ছে রক্তচাপ! কোন কোন বিপদ বাড়ছে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ডিসেম্বরের আগমনে শীতের জানান আরও বেশি টের পাওয়া যাচ্ছে। কলকাতা থেকে জেলা, রাজ্যজুড়ে শীতের আমেজ! কমছে তাপমাত্রার পারদ। বিশেষত ভোর ও রাতের দিকে শীতের উপস্থিতি ভালোই অনুভব করা যাচ্ছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে শীত আরও স্পষ্ট জানান দেবে বলেই জানাচ্ছেন আবহবিদদের একাংশ। তবে শীতের আমেজ নানান উৎসব আর উদযাপনের ইঙ্গিত দিলেও, শীতে কিছু বাড়তি বিপদ ও জানান দেয়। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শীত পড়লেই বাড়তে থাকে রক্তচাপ। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বাড়ছে। বিশেষত তরুণ প্রজন্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে এই সমস্যা বেড়েছে। তারমধ্যে শীতের আবহে সেই সমস্যা আরও বাড়ছে। এমনকি যাদের রক্তচাপ বছরভর স্বাভাবিক থাকে, তাঁদেরও, বছরের এই সময়ে রক্তচাপ উর্ধ্বমুখী হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।

    কেন শীত পড়লেই রক্তচাপ বাড়ে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীত পড়লেই রক্তচাপ উর্ধ্বমুখী হওয়ার অন্যতম কারণ আবহাওয়া। শরীরের সঙ্গে প্রকৃতির যোগ ওতোপ্রোতভাবে রয়েছে। তাপমাত্রার পারদ নামলেই রক্তনালী সংকুচিত হয়ে যায়। ফলে ধমনীতে তার প্রভাব পড়ে। আর তার জেরেই রক্তচাপ বাড়ে। শীতের আবহে শরীরে হরমোনের পরিবর্তন দেখা যায়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তাপমাত্রার পারদ নামলে নোরপাইনফ্রাইন, ক্যাটেকোলামাইনের মতো হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এগুলো শরীরে রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করে। তাই শীত পড়লে রক্তচাপ উর্ধ্বমুখী হয়।

    আবহাওয়ার পাশপাশি শীতে জীবন যাপনের ধরনেও পরিবর্তন ঘটে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতে ঘাম কম হয়। শারীরিক পরিশ্রমও কম হয়। বয়স্কদের একাংশ শীত পড়তেই নিষ্ক্রিয় হয়ে যান। এর ফলে রক্তচাপ বাড়ে। শীতকাল মানেই পিকনিক কিংবা নানান আনন্দ উৎসব। আর সব উৎসবের উদযাপনেই থাকে ভুরিভোজ। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতে অনেকেই অতিরিক্ত পরিমাণ প্রাণীজ প্রোটিন, চর্বিজাতীয় খাবার খান। আর তার ফলে রক্তচাপ বেড়ে যায়।

    উচ্চ রক্তচাপ কোন বিপদ বাড়িয়ে দেয়?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রক্তচাপ বাড়লে হার্টের উপরে চাপ বেশি পড়ে। তাই উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। হার্ট অ্যাটাক কিংবা অন্যান্য হৃদরোগের অন্যতম কারণ উচ্চ রক্তচাপ। শরীরে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে কিডনির উপরেও প্রভাব পড়ে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন রক্তচাপ অনিয়ন্ত্রিত থাকলে কিডনির উপরে চাপ পড়ে। যার জেরে কিডনির কার্যকারিতা কমতে থাকে। স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম কারণ উচ্চ রক্তচাপ। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রক্তচাপ বাড়লে মস্তিষ্কের রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

    শীতেও কীভাবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখবেন?

    শীতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাবারেই ভরসা রাখছেন বিশেষজ্ঞ মহল। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিন দিন পালং শাক খেলে রক্তচাপ সহজেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, পালং শাকে থাকে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও ম‌্যাগনেশিয়াম। এই দুই উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। শীত আর কমলালেবু বাঙালির কাছে প্রায় সমার্থক শব্দ। সকালের ঘরোয়া জলখাবারের সঙ্গে হোক কিংবা পিকনিকের শেষ বেলায় বাঙালির পাতে থাকে কমলালেবু। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই কমলালেবু রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফল হৃদরোগের ঝুঁকিও কমায়।

    শীতের বাজারে সহজেই পাওয়া যায় বিট। এই সব্জি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিট থেকে শরীর স্বাভাবিক নাইট্রেট পায়। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে। স্বাস্থ্যকর খাবারের পাশপাশি নিয়মিত শারীরিক কসরত করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত যোগাভ্যাস জরুরি। এতে শরীরে ঠিকমতো রক্ত সঞ্চালন হয়। আবার হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। মানসিক স্বাস্থ্যও ঠিক থাকে। তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Influenza Vaccine: ছোটদের মতো বড়দের জন্যও জরুরি, ইনফ্লুয়েঞ্জা মোকাবিলায় টিকায় ভরসা চিকিৎসকদের!

    Influenza Vaccine: ছোটদের মতো বড়দের জন্যও জরুরি, ইনফ্লুয়েঞ্জা মোকাবিলায় টিকায় ভরসা চিকিৎসকদের!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সংক্রামক রোগ রুখতে টিকাকরণ জরুরি। বসন্ত রোগ হোক কিংবা করোনা, মহামারির দাপট কমাতে পারে টিকা। তেমনি ইনফ্লুয়েঞ্জার দাপট রুখতেও বিশেষজ্ঞেরা টিকাকরণেই ভরসা রাখছেন। শিশুদের পাশপাশি প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণ সমান ভাবে জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। এই ব্যাপারে সচেতনতা বাড়াতেই তাই ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ ন্যাশনাল ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন অ্যাওয়ারনেস উইক পালন হয়। ইনফ্লুয়েঞ্জা কতখানি বিপজ্জনক এবং টিকাকরণ কেন জরুরি, এই নিয়ে দেশ জুড়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে একাধিক কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

    ইনফ্লুয়েঞ্জা কী? কতখানি বিপজ্জনক এই ভাইরাস?

    বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, ইনফ্লুয়েঞ্জা একধরনের ভাইরাসঘটিত সংক্রমণ। যা মূলত নাক, গলা ও ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায়। হাঁচি-কাশির মাধ্যমেই এই রোগ সংক্রামিত হয়। রোগীকে স্পর্শ না করেও এই ভাইরাস একজনের শরীর থেকে আরেকজনের শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। কারণ বাতাসের মাধ্যমেও এই রোগ সংক্রামিত হয়।
    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, কিছুক্ষেত্রে ইনফ্লুয়েঞ্জা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। বিশেষত গর্ভবতী মহিলা, প্রবীণদের জন্য এই ভাইরাস প্রাণঘাতীও হতে পারে। আবার কোনো জটিল রোগে আক্রান্তকে এই ভাইরাস সহজেই কাবু করে। ফলে ভোগান্তি বাড়ে। পাশাপাশি এই ভাইরাস নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিসের মতো রোগের প্রকোপ বাড়িয়ে দেয়।‌ টাইপ এ ইনফ্লুয়েঞ্জা মহামারির আকার ধারণ করতে পারে। তাই এই ভাইরাস যথেষ্ট বিপজ্জনক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    ভারতে ইনফ্লুয়েঞ্জা কতখানি বিপজ্জনক?

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে প্রতি বছর কয়েক লাখ মানুষ ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়। প্রবীণ নাগরিক ও শিশুদের মধ্যে এই রোগের দাপট বেশি। ঋতু পরিবর্তনের সময় এই রোগের প্রকোপ বাড়ে। বিশেষত বর্ষার শুরুতে এবং শীতের সময়ে অনেকেই ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হন। শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম কারণ লাগাতার ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের প্রকোপ। এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

    ইনফ্লুয়েঞ্জা রুখতে টিকাকরণ কেন জরুরি?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা নেওয়া থাকলে, এই ভাইরাসের সাধারণ হোক কিংবা সবচেয়ে বিপজ্জনক প্রকৃতি হোক, যেকোনও আক্রমণ থেকেই শরীর রক্ষা পাবে। সর্দি-কাশির ভোগান্তিও কমবে। বারবার ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণ থেকেই নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিসের মতো নানান জটিল রোগের দাপট দেখা যায়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ইনফ্লুয়েঞ্জার ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে এই ধরনের জটিলতা এড়ানো সহজ হবে। প্রাণ সংশয় কমবে।

    কেন প্রাপ্ত বয়স্কদের টিকাকরণে বাড়তি গুরুত্ব?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এ দেশে শিশুদের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন দেওয়া হলেও, প্রাপ্ত বয়স্কদের এই টিকাকরণের হার খুব কম। তাঁরা জানাচ্ছেন, ইনফ্লুয়েঞ্জা নিউমোনিয়া সহ একাধিক ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। ভারতে গত কয়েক বছরে বায়ু দূষণ সহ একাধিক কারণে ফুসফুসের অসুখের ঝুঁকি বাড়ছে। বিশেষত পঞ্চাশোর্ধ মানুষের মধ্যে নানান ফুসফুসের অসুখের প্রকোপ বেশি। এই পরিস্থিতিতে ইনফ্লুয়েঞ্জার দাপট বাড়লে তাঁদের প্রাণ সংশয় দেখা দেবে। জীবন যাপনের মান কমবে। কিন্তু প্রাপ্ত বয়স্কদের এই ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে বারবার ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে। ফলে সুস্থ থাকবে। অন্যান্য রোগের ঝুঁকিও কমবে। চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত কিংবা কিডনি, হার্ট কিংবা লিভারের রোগে আক্রান্তদের এই টিকা নেওয়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরের কোনও একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে সমস্যা থাকলে, তাঁদের ভাইরাস ঘটিত রোগে কাবু হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই তাঁদের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন নেওয়া জরুরি। তাহলে সুস্থ থাকার সম্ভাবনা বাড়ে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Cereals Food Grains: খাদ্যতালিকায় দানাশস্যের ঘাটতি! কী কী ধরনের সমস্যা হতে পারে, জানেন?

    Cereals Food Grains: খাদ্যতালিকায় দানাশস্যের ঘাটতি! কী কী ধরনের সমস্যা হতে পারে, জানেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রকমারি প্রাণীজ প্রোটিন কিংবা হরেক পদের কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারেই অভ্যস্ত হচ্ছে তরুণ প্রজন্মের একাংশ। অধিকাংশের নিয়মিত পুষ্টি তালিকায় দানাশস্যের ঘাটতি রয়েছে। আর তার জেরেই জীবন যাপন সংক্রান্ত একাধিক জটিল রোগ কাবু করছে। সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় এমনি তথ্য সামনে এসেছে। নিয়মিত খাবারের তালিকা সম্পর্কে সচেতনতা না বাড়লে দীর্ঘমেয়াদি সুস্থ জীবন যাপন সম্ভব নয়।

    কী বলছে সমীক্ষার রিপোর্ট?

    ইংল্যান্ডের একদল গবেষক ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞেরা সমীক্ষা চালিয়ে দেখছেন, গত এক দশকে বিশ্ব জুড়ে ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সি ছেলেমেয়েদের মধ্যে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হরমোনের ভারসাম্যঘটিত সমস্যা, মানসিক উদ্বেগ এবং হৃদরোগের প্রকোপ বাড়ছে। আর এই ধরনের সমস্যা তাঁদের সুস্থ জীবন যাপনে সমস্যা তৈরি করছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই রোগের পিছনে মূল কারণ হলো পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাব। বিশেষত প্রক্রিয়াজাত প্রাণীজ প্রোটিন নিয়মিত অতিরিক্ত খাওয়া। তুলনায় দানাশস্য জাতীয় খাবার না খাওয়া।

    কেন দানাশস্য খাওয়া জরুরি?

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, দানাশস্য শরীরের জন্য খুব জরুরি। সুস্থ ও দীর্ঘ জীবনের জন্য কার্বোহাইড্রেট, প্রাণীজ প্রোটিনের পাশপাশি দানাশস্য ও খেতে হবে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত মাংস খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট জমতে পারে। মাংসের বিকল্প প্রাণীজ প্রোটিন হলো ডাল। মুখ, মুসুর কিংবা ছোলা, যেকোনও রকম ডাল শরীরে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে। হজমের সমস্যা হয় না। আবার পেশি মজবুত করতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই ডাল নিয়মিত খাওয়া জরুরি।

    তরুণ প্রজন্মের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের সমস্যা বাড়ছে। প্রাণীজ প্রোটিন শরীরে এনার্জি জোগান করলেও নিয়মিত অতিরিক্ত পরিমাণ প্রাণীজ প্রোটিন খেলে রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই ডাল নিয়মিত খাওয়া জরুরি। প্রোটিনে ভরপুর হলেও ডালে কোলেস্টেরল নেই। যেকোনও ডাল পটাশিয়াম ও সোডিয়াম সমৃদ্ধ হয়। তাই রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।

    মুসুর, মটর কিংবা ছোলার মতো ডাল আয়রন সমৃদ্ধ হয়। তাই এই ডালগুলো খেলে শরীরে আয়রনের অভাব পূরণ হয়। এছাড়াও রক্ত সরবরাহ ভালো ভাবে হয়‌। ডালের পাশপাশি জোয়ার, বাজরা, রাগি ও মিলেটের মতো দানাশস্য নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের দানাশস্যে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ফসফরাস, জিঙ্কের মতো নানান উপাদান থাকে। এগুলো শরীরের একাধিক রোগের ঝুঁকি কমায়।

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম, সোডিয়ামের মতো খনিজ পদার্থ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাছাড়া হাড় মজবুত রাখতে, হজম শক্তি বাড়াতেও বিশেষ সাহায্য করে। যে কোনও ধরনের ডাল কিংবা বাজরা, রাগির মতো দানাশস্য জাতীয় খাবার ফাইবার সমৃদ্ধ হয়। তাই নিয়মিত এগুলো খেলে অন্ত্র ভালো থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও হয় না।

    কী বিশেষ পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, তরুণ প্রজন্মের সকালের প্রাতঃরাশ হোক কিংবা দুপুরের খাবার, মেনুতে কার্বোহাইড্রেট ও প্রাণীজ প্রোটিনের পাশপাশি অবশ্যই দানাশস্য জাতীয় খাবার রাখা উচিত। সারা দিনের একাধিক কাজের শক্তি জোগাবে এই দানাশস্য। আবার শরীরের প্রয়োজনীয় সমস্ত চাহিদা পূরণ করবে যেকোনও ধরনের ডাল কিংবা দানাশস্য। তাই নিয়মিত সেই খাবারগুলো মেনুতে থাকছে কিনা সেদিকে নজর দেওয়া জরুরি। তবেই সুস্থ জীবন‌ যাপন সম্ভব।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Winter Skin Problems: শীত পড়তেই বাড়ছে ত্বকের সমস্যা! কী এড়িয়ে চললে বাড়তি উপকার পাওয়া যায়?

    Winter Skin Problems: শীত পড়তেই বাড়ছে ত্বকের সমস্যা! কী এড়িয়ে চললে বাড়তি উপকার পাওয়া যায়?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    তাপমাত্রার পারদ নামছে। শীতের আমেজ দরজায় কড়া নাড়ছে। আর তার জেরেই অনেকে ত্বকের সমস্যায় ভুগছেন। বড়দের পাশপাশি শিশুরাও শীতকালে ত্বকের নানান সমস্যায় ভোগে। ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যাওয়া, লাল দাগ হয়ে যাওয়া কিংবা চুলকানির মতো নানান উপসর্গ দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, কয়েকটি সাধারণ ঘরোয়া উপাদানে ভরসা রাখলেই শীতে ত্বকের সমস্যা কমবে।

    কীভাবে ত্বক ভালো রাখা সম্ভব?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতের সময়ে ত্বক ভালো রাখার জন্য কিছু ঘরোয়া উপাদান যথেষ্ট। তাছাড়া খাবারের দিকেও বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন। ত্বক ভালো রাখার প্রথম শর্তই হলো শরীর সুস্থ রাখা। তাই ত্বকের উপরের যত্নের পাশপাশি ভিতরের যত্ন নেওয়া সমান ভাবে জরুরি।

    বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, নিয়মিত ত্বকে বারবার সাবান, জল দিয়ে পরিষ্কার করা উচিত নয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, শীতে ত্বকে স্বাভাবিক ময়েশ্চার তৈরি হয়। বারবার সাবান ব্যবহার করলে সেই প্রাকৃতিক ময়েশ্চার নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। দিনে নিয়মিত দুবার সাবান জলে মুখ পরিষ্কার করলেই যথেষ্ট স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হয়।

    শীতে অনেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খান না। আর তার জেরে একাধিক সমস্যা তৈরি হয়। ত্বকের সমস্যা তার মধ্যে অন্যতম। এমনটাই জানাচ্ছেন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, গরমে বারবার জল তেষ্টা পায়। তাই অনেক সময়েই প্রয়োজনীয় জলের চাহিদা পূরণ হয়। শীতে তাপমাত্রা কম থাকায় জল খাওয়া অনেকেই কমিয়ে দেন। তাই কম জল খাওয়ার জেরে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যায়‌। নিয়মিত পর্যাপ্ত জল খাওয়া প্রয়োজন। শিশুদের নিয়মিত ৩-৪ লিটার এবং প্রাপ্তবয়স্কের নিয়মিত ৪-৫ লিটার জল নিয়মিত খাওয়া জরুরি। এতে শরীরের একাধিক রোগ মোকাবিলা সহজ হবে‌। ত্বক ভালো থাকবে।

    শীতে বাদাম জাতীয় জিনিস খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, বাদাম ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারি। নিয়মিত বাদাম খেলে শরীর প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ সহজেই পায়‌। এর ফলে ত্বকের সমস্যা কমে। ত্বকে স্বাভাবিক ময়েশ্চার বজায় থাকে।

    শীতে বাজারে সহজেই পাওয়া যায় গাজর, মিষ্টি আলুর মতো সবজি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ত্বক ভালো রাখতে এই দুই সবজি বিশেষ উপকারি। তাঁরা জানাচ্ছেন, গাজর, মিষ্টি আলুর মতো সবজিতে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ সহ একাধিক উপাদান থাকে। এই উপাদান সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। আবার ত্বক মসৃণ রাখতেও সাহায্য করে।

    অ্যাভোকাডোর মতো ওমেগা-থ্রি সমৃদ্ধ ফল সপ্তাহে অন্তত দুদিন খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ত্বককে ভালো রাখতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে অ্যাভোকাডো। এই ফল সপ্তাহে অন্তত দুবার খেলে শীতে ত্বকের একাধিক সমস্যা মোকাবিলা সহজ হয়।

    শীতের ব্রকলি, কমলালেবুর মতো ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল ও সবজি নিয়মিত খেলে ত্বক ভালো থাকে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পালং শাক, ব্রকলি, কমলালেবুর মতো শীতের সব্জি আর ফল একাধিক ভিটামিন সমৃদ্ধ। তাই এগুলো একদিকে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। আবার ত্বকের প্রাকৃতিক ময়েশ্চার বজায় রাখতেও সাহায্য করে। তাই এই ধরনের ফল ও সবজি এই সময়ে বাড়তি উপকারি।

    সপ্তাহে অন্তত একবার মুখে মধু ও দইয়ে প্রলেপ লাগানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, যারা নিয়মিত দিনের অনেকটা সময় বাইরে থাকেন, তাদের ত্বকের সমস্যা আরও বেশি হয়। ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সমস্যাও বাড়ে। সপ্তাহে অন্তত একদিন মধু ও দইয়ের মিশ্রণ লাগালে ত্বকের কোষ ভালো থাকে। ত্বকে ময়েশ্চারাইজারের অভাব হয় না।

    কী এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ত্বক ভালো রাখতে অতিরিক্ত রাত জাগার অভ্যাস ছাড়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো না হলে, হরমোনের ভারসাম্য বজায় না থাকলে ত্বক ভালো থাকে না। ত্বক ভালো রাখলে পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। তাই অতিরিক্ত রাত জেগে থাকা নয়। অন্তত আট ঘণ্টার ঘুম নিশ্চিত করতে পারলে ত্বক ভালো রাখা সহজ হয়।

    অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় এবং তেলে ভাজা খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। এমনটাই পরামর্শ চিকিৎসকদের একাংশের। তাঁরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত চর্বি ও তেলজাতীয় খাবার হজম করা কঠিন হয়। অন্ত্রে অসুবিধা হলে তা ত্বকে জানান দেয়। একাধিক ত্বকের সমস্যা তৈরি হয়। তাই এগুলো এড়িয়ে চললে শীতে ত্বকের সমস্যা কমবে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Pancreatic Cancer: ভারতে বাড়ছে অগ্নাশয়ের ক্যান্সার! কাদের জন্য বাড়তি ঝুঁকি রয়েছে?

    Pancreatic Cancer: ভারতে বাড়ছে অগ্নাশয়ের ক্যান্সার! কাদের জন্য বাড়তি ঝুঁকি রয়েছে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ভারতে বাড়ছে ক্যান্সারের ঝুঁকি। প্রত্যেক বছরেই ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, গত এক দশকে জীবন যাপনের ধারার জেরে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেড়েছে। অগ্নাশয়ের ক্যান্সার কিংবা প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সার তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অস্বাস্থ্যকর জীবন‌ যাপন এই সমস্যা আরও বাড়াচ্ছে।

    ভারতীয়দের জন্য কতখানি বিপজ্জনক?

    ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ক্যান্সার আক্রান্ত ভারতীয়দের মৃত্যুর তালিকায় সপ্তম স্থানে রয়েছে অগ্নাশয়ের ক্যান্সার। এই ক্যান্সারের প্রকোপ বৃদ্ধি ক্রমশ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে অগ্নাশয়ের ক্যান্সারের চিকিৎসা দেরিতে শুরু হয়। রোগ সম্পর্কে অসচেতনতার জেরেই এই চিকিৎসা দেরিতে শুরু হয়। তাই মৃত্যুর ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। ভারতে অগ্নাশয়ে ক্যান্সারে সুস্থ হয়ে ওঠার হারও কম। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই রোগ সম্পর্কে সতর্কতা বাড়লে তবেই পরিস্থিতির পরিবর্তন সম্ভব।

    কেন ভারতে অগ্নাশয়ের ক্যান্সার বাড়ছে?

    মদ্যপানের অভ্যাস বাড়ছে!

    ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অগ্নাশয়ের ক্যান্সার বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ মদ্যপান। তাঁরা জানাচ্ছেন, গত কয়েক বছরে ভারতীয়দের মধ্যে মদ্যপানের অভ্যাস বেড়েছে। বিশেষত কম বয়সী ছেলেমেয়েদের মধ্যে এই অভ্যাস বেশি দেখা যাচ্ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, যেকোনও উৎসবেই মদ্যপান উদযাপনের রেওয়াজ হয়ে উঠছে। নিয়মিত মদ্যপানের অভ্যাস অন্ত্র এবং লিভারের জন্য ক্ষতিকারক। তাই নিয়মিত মদ্যপান করলে অগ্নাশয়ে ক্যান্সারে ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

    ধূমপান ঝুঁকি বাড়াচ্ছে!

    ধূমপানের অভ্যাস অগ্নাশয়ের ক্যান্সারের অন্যতম কারণ বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তামাক শরীরের জন্য খুবই বিপজ্জনক। তামাক সেবনে অভ্যস্ত হলে শরীরের একাধিক অঙ্গের ক্ষতি হয়। শ্বাসনালী, ফুসফুসের পাশপাশি অগ্নাশয়ের উপরেও ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে‌। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও ধূমপানের প্রবণতা দেখা দিচ্ছে। কিশোর বয়স থেকেই এই অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস নানান রোগের কারণ হয়ে উঠছে। অগ্নাশয়ের ক্যান্সার তার মধ্যে অন্যতম।

    ওবেসিটি বিপজ্জনক!

    অতিরিক্ত ওজন কিংবা ওবেসিটিকে অগ্নাশয়ের ক্যান্সারের অন্যতম কারণ বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভারতে ওবেসিটি বাড়ছে। শিশুদের মধ্যেও এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে। যার প্রভাব সুদূরপ্রসারী। হৃদরোগ, হরমোনের ভারসাম্যের অভাব, বন্ধ্যাত্বের পাশপাশি ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় এই অতিরিক্ত ওজনের সমস্যা। অস্বাস্থ্যকর খাবারের জেরেই এই ওবেসিটির সমস্যা দেখা দিচ্ছে। নিয়মিত অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস, প্রক্রিয়াজাত খাবারে অভ্যস্ত হয়ে পড়ার জেরেই এই ধরনের সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তার ফলে অগ্নাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়ছে।

    ডায়াবেটিস আক্রান্তের জন্য বাড়তি বিপদ!

    ভারতকে ডায়াবেটিসের ‘ক্যাপিটাল’ বলা হয়। ভারতীয়দের মধ্যে ডায়াবেটিস উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। বিশেষত শিশুদের মধ্যেও টাইপ টু ডায়াবেটিসের প্রকোপ বাড়ছে। মূলত খাদ্যাভাস এবং জীবন যাপনের জন্য এই ধরনের ডায়াবেটিস হয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস অগ্নাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে তার গভীর প্রভাব পড়ে। তাই ডায়াবেটিস অগ্নাশয়ের উপরেও ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে। তার জেরেই অগ্নাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

    কীভাবে সুস্থ থাকবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সুস্থ থাকার অন্যতম শর্ত স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত শারীরিক কসরত করা, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস সুস্থ থাকতে বিশেষ সাহায্য করে‌। দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই অগ্নাশয়ের ক্যান্সারের মতো রোগের ঝুঁকিও কমিয়ে দেয়। পাশপাশি মদ্যপান ও ধূমপানের অভ্যাসকেও সম্পূর্ণ বর্জন করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এগুলো শরীরে একাধিক রোগের ঝুঁকি তৈরি করে। তাই সুস্থভাবে দীর্ঘ জীবন যাপনের জন্য এই ধরনের অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস এড়িয়ে যেতে হবে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

LinkedIn
Share