Tag: hindu

hindu

  • Yogi Adityanath: “১০০ মুসলিম পরিবারের মধ্যে ৫০ জন হিন্দু সুরক্ষিত কি?” প্রশ্ন যোগী আদিত্যনাথের

    Yogi Adityanath: “১০০ মুসলিম পরিবারের মধ্যে ৫০ জন হিন্দু সুরক্ষিত কি?” প্রশ্ন যোগী আদিত্যনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:উত্তরপ্রদেশে সংখ্যালঘুরা সবচেয়ে নিরাপদে রয়েছেন বলে দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। তাঁর দাবি, একশো হিন্দু পরিবারের মধ্যে একটি মুসলিম পরিবার নিরাপদ বোধ করবে, কিন্তু বিপরীতে এটা হয় না। সম্প্রতি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপরে হওয়া হামলা এবং মন্দির ভাঙার ঘটনার উদাহরণ দিয়ে যোগী আদিত্যনাথ বলেন, “একটা মুসলিম পরিবার ১০০ হিন্দু পরিবারের মাঝে সুরক্ষিত অনুভব করে। তাদের ধর্মাচরণের স্বাধীনতা রয়েছে। কিন্তু ৫০ জন হিন্দু কি ১০০টি মুসলিম পরিবারের মাঝে সুরক্ষিত অনুভব করবে? না। বাংলাদেশ তার উদাহরণ। এর আগে পাকিস্তান এই উদাহরণ ছিল।”

    উত্তরপ্রদেশে সবাই সুরক্ষিত

    গত আট বছর ধরে উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় রয়েছেন যোগী (Yogi Adityanath)। সেখানে সংখ্যালঘুদের অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন করলে, মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “উত্তর প্রদেশে মুসলিমরা সবথেকে সুরক্ষিত। যদি হিন্দুরা সুরক্ষিত থাকে, তবে ওরাও সুরক্ষিত থাকবে। ২০১৭ সালের আগে এখানে যদি কোনও দাঙ্গা হত, হিন্দুর দোকান পুড়ত, তবে মুসলিমদের দোকানও জ্বলত। যদি হিন্দু পরিবারের বাড়ি জ্বলত, তবে মুসলিমদের বাড়িও জ্বলত। ২০১৭ সালের পর দাঙ্গা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।” যোগীর কথায়, “১০০ হিন্দু পরিবারের মধ্যে একটি মুসলিম পরিবার থাকলে, তারা সুরক্ষিত। নিজেদের ধর্ম পালনের স্বাধীনতা থাকে তাদের। কিন্তু ১০০ মুসলিম পরিবারের মধ্যে ৫০ জন হিন্দু সুরক্ষিত কি? সুরক্ষিত নন। বাংলাদেশই উদাহরণ। এর আগে উদাহরণ ছিল পাকিস্তান”

    মন্দির-মসজিদ বিতর্ক

    সম্প্রতিই একাধিক রাজ্যে মন্দির-মসজিদ নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, সেই বিষয়েও মুখ খোলেন যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। হিন্দু ধর্মীয় স্থানে মসজিদ তৈরি করা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন যে এটা ইসলামিক নীতির বিরুদ্ধে। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দেন যে সম্বলে যত সম্ভব মন্দির পুনরুদ্ধার করবেন তারা। যোগী বলেন, “সম্ভলে ৬৪টি তীর্থক্ষেত্র রয়েছে। আমরা ৫৪টির খোঁজ পেয়েছি। যাই হোক না কেন, আমরা খুঁজে বের করব। গোটা বিশ্বকে দেখাব, সম্ভলে কী হয়েছে।”

  • Imam Embraces Sanatan Dharma: সনাতন ধর্মে দীক্ষা ধর্মপ্রাণ ইমামের, নিলেন বড় শপথও

    Imam Embraces Sanatan Dharma: সনাতন ধর্মে দীক্ষা ধর্মপ্রাণ ইমামের, নিলেন বড় শপথও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোজার মাসে সনাতন ধর্মে দীক্ষা নিলেন এক ধর্মপ্রাণ মুসলিম ইমাম (Imam Embraces Sanatan Dharma)। শুধু তাই নয়, সেই সঙ্গে পণ করলেন, প্রতি বছর ১০ হাজার মুসলমানকে সনাতন ধর্মে দীক্ষিত করবেন। ইমামের ‘ঘর ওয়াপসি’কে (Ghar Wapsi) ঘিরে ব্যাপক হইচই দেশে।

    ধ্যানের মাধ্যমে সান্ত্বনা খোঁজার চেষ্টা (Imam Embraces Sanatan Dharma)

    এই ইমাম এক সময় মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষের সমস্যা সমাধানে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তাঁর সমস্ত চেষ্টা সত্ত্বেও, তিনি দেখেন, তাঁর সম্প্রদায়ের সম্মুখীন চ্যালেঞ্জগুলি অমীমাংসিত থেকে গিয়েছে। নিজের জীবনে শান্তির অভাব নিয়েও ব্যতিব্যস্ত ছিলেন তিনি। গভীর হতাশা ও অসহায়ত্ব থেকে মুক্তি পেতে তিনি ধ্যানের মাধ্যমে সান্ত্বনা খুঁজতে লাগলেন। ইমামের দাবি, ধ্যানের সময় তিনি এক ঐশ্বরিক হস্তক্ষেপ অনুভব করেন। তিনি বলেন, “ধ্যানের সময় একটি শক্তিশালী কণ্ঠ আমাকে বেদ, সনাতন ধর্মের প্রাচীন শাস্ত্র অধ্যয়ন করার নির্দেশ দেয়। সেই কণ্ঠ আমায় সনাতন ধর্মের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক শান্তি খুঁজে নেওয়ার পথ দেখিয়েছিল।”

    ইমামের সনাতন ধর্ম-প্রশস্তি

    তিনি বলেন, “এ এমন এক অভিজ্ঞতা যা আমার জীবন পরিবর্তন করেছে। এই গভীর আধ্যাত্মিক যাত্রার সময়ই আমি সনাতন ধর্মের সঙ্গে একটি অচ্ছেদ্য বন্ধন অনুভব করি। তার পরেই সনাতন ধর্ম গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিই।” তিনি শপথ নিয়েছেন, এবার থেকে প্রতি বছর ১০ হাজার মুসলমানকে সনাতন ধর্মে দীক্ষিত করবেন। তিনি বলেন, “আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সনাতন ধর্মে আমি যে শান্তির খোঁজ পেয়েছি (Imam Embraces Sanatan Dharma), মানুষকে সেই একই শান্তি ও আধ্যাত্মিক জাগরণ খুঁজে পেতে সাহায্য করাই আমার জীবনের লক্ষ্য। ইমাম বলেন, “মুসলমান সম্প্রদায়ের অনেক মুসলিম পুরুষ ও নারী তাঁদের নিজস্ব ধর্মে যে ব্যবহার পেয়েছেন, তাতে তাঁরা অসন্তুষ্ট। সেই কারণেই তাঁরা বিকল্প পথ অনুসন্ধান করছেন। আমার এই ধর্ম পরিবর্তন অনেককে অনুসরণ করতে উৎসাহিত করছে।” তিনি মনে করেন, “সনাতন ধর্ম উচ্চতর আধ্যাত্মিক জ্ঞানের পথ দেখায়।” ইমাম তাঁর দীক্ষিতদের বৈদিক হোম ও পূজার জটিল প্রথার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার আশ্বাসও দেন (Imam Embraces Sanatan Dharma)।

    ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের পাশাপাশি, ইমাম তাঁর অনুসারীদের প্রকৃতির কাছাকাছি একটি জীবনযাপন করতে উৎসাহিত করেন। তিনি বলেন, “অনেক দীক্ষিত ব্যক্তি বড় শহরের দূষিত পরিবেশের বদলে বন-জঙ্গল ও গ্রামীণ অঞ্চলে বসবাস করতে পছন্দ করেন (Ghar Wapsi)। এই নির্মল পরিবেশে তাঁরা চাষাবাদ, আধ্যাত্মিক সাধনা ও সনাতন ধর্মের প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জীবনযাত্রার মাধ্যমে শান্তি খুঁজে পান (Imam Embraces Sanatan Dharma)।”

  • Attacks on Hindu: ‘বাধ্যতামূলক ধর্মান্তকরণ এবং বিয়ে’! পাকিস্তানে হিন্দুরা চরম নির্যাতনের শিকার, সংসদে তথ্য পেশ কেন্দ্রের

    Attacks on Hindu: ‘বাধ্যতামূলক ধর্মান্তকরণ এবং বিয়ে’! পাকিস্তানে হিন্দুরা চরম নির্যাতনের শিকার, সংসদে তথ্য পেশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে খ্রিষ্টান, শিখ, হিন্দু বা আহমদিয়াদের মতো ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা (Attacks on Hindu) প্রতিদিন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। সেখানে সংখ্যালঘু সমাজের নারী বা বাচ্চা মেয়েরা পর্যন্ত ধর্ষণ ও অপহরণের শিকার হচ্ছেন। তাদের প্রতিনিয়ত খুনের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। পাকিস্তানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক বা সাংস্কৃতিকভাবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী হওয়ার কারণে তাদের ওপর নানাভাবে অত্যাচার চলে পাক-সরকার ও প্রশাসনের মদতেই। বৃহস্পতিবার বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং রাজ্যসভায় একটি লিখিত বিবৃতি দিয়ে জানান, পাকিস্তানে (Pakistan) হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে চরম অত্যাচার এবং নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে।

    নানা প্রতিবেদনে উঠে আসছে নির্যাতন প্রসঙ্গ

    সংসদে বৃহস্পতিবার বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং জানান, বহু প্রতিবেদনে পাকিস্তানে (Pakistan) সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের (Attacks on Hindu) বিরুদ্ধে ভয়ভীতি, অপহরণ, নির্যাতন, বাধ্যতামূলক ধর্মান্তকরণ এবং বিয়ের মতো ঘটনা উঠে আসছে। এর ফলে ওয়াঘার ওপারের লোকেরা দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছেন। একটি প্রশ্নের উত্তরে সিং বলেন, ‘‘পাকিস্তানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অত্যাচারের ঘটনা ঘটছে, যার মধ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ও রয়েছে। প্রতিবেদনগুলোতে এমন ঘটনা উঠে এসেছে, যেখানে হিন্দুদের অপহরণ, ধর্মান্তকরণ এবং বিয়ের মতো ঘটনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।’’

    পাকিস্তান থেকে এসে ভারতে বসবাস

    এছাড়াও, সংসদে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে, পাকিস্তান (Pakistan) থেকে ভারতে আসা হিন্দু শরণার্থীদের (Attacks on Hindu) বিষয়ে সরকারের কাছে কোনও তথ্য রয়েছে কি না। সিং জানান, ‘‘পাকিস্তানের অনেক হিন্দু সদস্য ভারতীয় ভিসার জন্য ইসলামাবাদে ভারতীয় হাইকমিশনে আবেদন করেন। এই আবেদনগুলি বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী প্রক্রিয়া করা হয়। কিছু হিন্দু যাঁরা বৈধ ভিসায় ভারত এসেছে, তাঁরা ধর্মীয় নির্যাতনের কারণে পাকিস্তানে ফিরে যাননি।’’ তিনি আরও জানান যে, পাকিস্তান থেকে আগত হিন্দু শরণার্থী যারা স্থায়ী বসবাস এবং ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন, তাঁরা দীর্ঘমেয়াদী ভিসার (LTV) অধিকারী হতে পারেন, যা বিদ্যমান আইনী ব্যবস্থার অধীনে।

  • VHP Leader Arrested: বাংলাদেশে অব্যাহত হিন্দু নিপীড়ন, এবার গ্রেফতার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা

    VHP Leader Arrested: বাংলাদেশে অব্যাহত হিন্দু নিপীড়ন, এবার গ্রেফতার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) অব্যাহত হিন্দু নিপীড়ন। মাস কয়েক আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল (VHP Leader Arrested) বাংলাদেশের হিন্দু নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। গত নভেম্বরে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। এখনও নিষ্পত্তি হয়নি সেই মামলার, আদালতে ঝুলে রয়েছে। এমনই আবহে ফের গ্রেফতার করা হল আরও এক হিন্দু নেতাকে। যার জেরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হিন্দুরা।

    ভিএইচপি নেতা গ্রেফতার (VHP Leader Arrested)

    ফেরা যাক খবরে। এবার রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মহাসচিব ও অশ্বিনী সেবা আশ্রমের সভাপতি কপিল কৃষ্ণ মণ্ডলকে। সূত্রের খবর, শনিবার ভোরে গ্রেফতার করা হয় কপিল কৃষ্ণকে। ইতিমধ্যেই তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়েছে। বাংলাদেশের বাগেরহাটের চিতলমারি থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে তাঁকে। পুলিশের অভিযোগ, হিন্দু ওই নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের প্রমাণ মিলেছে। তাঁর মোবাইলে বিদেশি নাগরিকদের সঙ্গে বেশ কিছু সন্দেহভাজনের বৈঠকের ছবি ও কথোপকথন মিলেছে। তার ভিত্তিতেই দায়ের হয়েছে মামলা।

    বাংলাদেশ পুলিশের বক্তব্য

    চিতলমারি থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি এসএম শাহাদাত হোসেন জানান, কপিলের বিরুদ্ধে দেশ বিরোধী নাশকতার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। তাই তাঁকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেফতার করা হয়। তিনি জানান, থানার এসআই মোহম্মদ মাহমুদ হাসান বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। ওসি বলেন, “কপিল তাঁর গ্রামের বাড়িতে বসে রাত ৩টের দিকে ৫-৬জন সহযোগীকে নিয়ে বাংলাদেশের নিরাপত্তা নষ্টের চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। সূত্র মারফৎ খবর পেয়ে ভোর সাড়ে ৪টের দিকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কপিলের সহযোগীরা পালিয়ে যান। কপিলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে সন্দেহভাজন দেশি ও বিদেশি নাগরিকদের মোবাইল ফোন নম্বর, ছবি ও কথোপকথনের (VHP Leader Arrested) তথ্য প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।”

    হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদ

    গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছাত্র বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের জেরে দেশ ছাড়েন তিনি (Bangladesh Crisis)। তার পরেই ভারতের এই পড়শি দেশে শুরু হয় হিন্দু নিধন যজ্ঞ। হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদে গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করেছিল বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ। সেই সমাবেশেই ভাষণ দিয়েছিলেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। অভিযোগ, সেই সমাবেশেই তিনি অবমাননা করেছিলেন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার। এই অভিযোগেই চট্টগ্রামের একটি থানায় হিন্দু ওই নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান। ৩১ অক্টোবর চিন্ময় কৃষ্ণ-সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ফিরোজ। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই ২৫ নভেম্বর ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণকে। তাঁকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় চট্টগ্রামে।

    চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেফতারির প্রতিবাদে ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালতের বাইরে জড়ো হন বহু হিন্দু। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। ওই সংঘর্ষে খুন হন এক আইনজীবী। সেই খুনের ঘটনায় সব মিলিয়ে গ্রেফতার করা হয় ২১ জন হিন্দুকে। চিন্ময় কৃষ্ণের হয়ে যাতে কোনও আইনজীবী মামলা না লড়েন, সেজন্য হুঁশিয়ারি দেয় বাংলাদেশের মুসলমান সম্প্রদায়ের একটা (VHP Leader Arrested) বড় অংশ।

    বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার

    হাসিনা-উত্তর জমানায় বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে। হাসিনা দেশ ছাড়তেই হিন্দুদের মন্দির থেকে শুরু করে হিন্দুদের বাড়ি ঘরে ভাঙচুর চালানো হচ্ছে। সেই সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা থেকে বিএনপি-জামাত দেখেছিল আওয়ামি লিগের ষড়যন্ত্র। তবে কয়েক মাস যাওয়ার পরেও সে দেশে বন্ধ হয়নি হিন্দুদের ওপর অত্যাচার। ধর্মের নামে চাকরি থেকে জোর করে পদত্যাগ করানো হয় সংখ্যালঘুদের। অনেককে ধর্মান্তরিত করানোর অভিযোগও উঠেছে (Bangladesh Crisis)। এরই মাঝে চট্টগ্রামে হিন্দু ও বৌদ্ধদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারে সেখানে কাঠগড়ায় খোদ বাংলাদেশ সেনা। হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি ঘিরে উত্তাল হয় বাংলাদেশের পরিস্থিতি।

    এদিকে, বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে পথে নেমেছিল বাংলাদেশের কট্টরপন্থীরা। জুলাই বিপ্লবের ছাত্র নেতারাও সরব হয়েছিলেন ইসকনের বিরুদ্ধে। সারসিজ আলম চট্টগ্রামে ইসকন ও হিন্দুদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক ভাষণ দেন। তার প্রতিবাদে ভারতের রাস্তায়ও প্রচুর লোক নেমেছিল। বাংলাদেশি মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে স্লোগানও ওঠে (Bangladesh Crisis)। ভারত সরকারও একাধিকবার বিবৃতি জারি করে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে (VHP Leader Arrested)।

  • Hindu Temple Vandalized: ফের মন্দিরে হামলা, দেওয়ালের গায়ে হিন্দুরা ফিরে যাও স্লোগান  

    Hindu Temple Vandalized: ফের মন্দিরে হামলা, দেওয়ালের গায়ে হিন্দুরা ফিরে যাও স্লোগান  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের হিন্দু মন্দিরে হামলা (Hindu Temple Vandalized)। আবারও খবরের শিরোনামে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া। এবার চিনো হিলসে বিএপিএসের একটি মন্দিরে হামলা চালাল দুষ্কৃতীরা। দিন কয়েক পরেই রয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসে তথাকথিত ‘খালিস্তানি গণভোট’।

    হিন্দু মন্দিরে হামলা (Hindu Temple Vandalized)

    তার আগেই হামলা চালানো হল হিন্দু মন্দিরে। বিএপিএসের অফিসিয়াল পেজ এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছে এই ঘটনা। সেখানে বলা হয়েছে, ‘কখনওই ঘৃণাকে শেকড় গাড়তে দেওয়া হবে না। শান্তি এবং সহানুভূতিই শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হবে।’ এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে বিএপিএসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স লিখেছে, “আর একটি মন্দির অবমাননার মুখে। এবার চিনো হিলস, ক্যালিফোর্নিয়ায়, হিন্দু সম্প্রদায় ঘৃণার বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নিয়েছে। চিনো হিলস ও দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার সম্প্রদায়ের সঙ্গে একসঙ্গে, আমরা কখনওই ঘৃণাকে শেকড় গাড়তে দেব না। আমাদের সাধারণ মানবতা ও বিশ্বাস নিশ্চিত করবে যে শান্তি ও সহানুভূতি বিজয়ী হবে।”

    হিন্দু বিরোধী স্লোগান

    এক্স হ্যান্ডেলে ঘটনার বিবরণ দিয়েছে উত্তর আমেরিকার হিন্দুদের সংস্থা সিওএইচএনএ। সেখানে বলা হয়েছে, ক্যালিফোর্নিয়ার (Hindu Temple Vandalized) এই আইকনিক বিএপিএস মন্দিরের অবমাননা লস অ্যাঞ্জেলেসে তথাকথিত ‘খালিস্তানি গণভোট’-এর আগে ঘটেছে। গত বছরও মন্দির ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে ক্যালিফোর্নিয়ার স্যাক্রামেন্টোতে অবস্থিত বিএপিএস শ্রী স্বামীনারায়ণ মন্দিরে ভাঙচুর চালানো হয়। এই ঘটনার দিন দশেক আগেই নিউ ইয়র্কের বিএপিএস মন্দিরেও এমনই একটি ঘটনা ঘটেছিল। হিন্দু বিরোধী স্লোগানও দেওয়া হয়েছিল।

    মন্দিরের গায়ে লিখে দেওয়া হয়, ‘হিন্দুরা ফিরে যাও’। দুষ্কৃতীরা মন্দিরের জলের লাইনও কেটে দিয়েছে। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই প্রবাসী হিন্দুরা জড়ো হন মন্দিরে। সেখানে তাঁরা শান্তি প্রার্থনা করেন। ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংসদ অ্যামি বেরি। তাঁর সাফ কথা, স্যাক্রামেন্টোতে ধর্মীয় গোঁড়ামি ও ঘৃণার কোনও স্থান নেই। এই ঘটনার নেপথ্যে কারা জড়িত, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কোনও সংগঠনই এখনও পর্যন্ত এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে শিখদের উগ্রবাদী সংগঠন এই হামলা করে থাকতে পারে (Hindu Temple Vandalized) বলে অনুমান।

  • Mohan Bhagwat: “হিন্দুরাই ভারতের উত্তরাধিকারী,” বর্ধমানে বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: “হিন্দুরাই ভারতের উত্তরাধিকারী,” বর্ধমানে বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “হিন্দুরাই ভারতের উত্তরাধিকারী। তাই আমরা হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ করতে চাই।” রবিবার বর্ধমানে আরএসএস (RSS) কর্মীদের সম্মেলনে কথাগুলি বললেন সরসংঘ চালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “অনেকেই আমায় প্রায়ই জিজ্ঞেস করেন কেন শুধুমাত্র হিন্দু সংগঠনের ওপর এত জোর দেওয়া হয়। আমার উত্তর হল, দেশের দায়িত্বশীল সমাজ হল হিন্দু সমাজ। হিন্দুরাই ভারতের উত্তরাধিকারী। তাই আমরা হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ করতে চাই।” তিনি বলেন, “আজ কোনও বিশেষ অনুষ্ঠান নয়। যারা সংঘ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের মনে একটি প্রশ্ন জাগে। যদি আমাদের উত্তর দিতে হয় যে সংঘ কী চায়, তবে আমি বলব যে এই সংঘ হিন্দু সমাজকে সংগঠিত করতে চায়। কারণ দেশের দায়িত্বশীল সমাজ হল হিন্দু সমাজ।”

    সংঘ প্রধানের বক্তব্য (Mohan Bhagwat)

    সংঘ প্রধান বলেন, “ভারতের একটি প্রকৃতি আছে। তারা (সমাজের একটি অংশ) সেই সমস্ত বৈশিষ্ট্যগুলির সঙ্গে বসবাস করতে পারেনি। তাই তারা একটি আলাদা দেশ তৈরি করেছে। হিন্দুরা বিশ্বে বৈচিত্র্যকে গ্রহণ করে জীবনযাপন করে। আমরা আজকাল বলি ‘বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য’। এবং হিন্দুরা বোঝে যে বৈচিত্র্যই ঐক্য।” ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, “এখানে (ভারতে) কেউ সম্রাট বা মহারাজাদের স্মরণ করে না। কিন্তু এমন এক রাজাকে স্মরণ করে, যিনি পিতার প্রতিশ্রুতির জন্য ১৪ বছর বনবাসে গিয়েছিলেন, যিনি তাঁর ভাইয়ের খড়ম রেখে সিংহাসন ত্যাগ করেছিলেন এবং ভাই ফিরে এলে রাজত্ব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।”

    হিন্দুর সংজ্ঞা

    তিনি বলেন, “এই বৈশিষ্ট্যগুলিই ভারতকে সংজ্ঞায়িত করে। যারা এই বৈশিষ্ট্যগুলি অনুসরণ করে, তারা হিন্দু। যা পুরো দেশের বৈচিত্র্যকে একসঙ্গে ধরে রাখে। যা কারও কষ্টের কারণ হয়, তা আমরা করব না। শাসক, প্রশাসক এবং মহান ব্যক্তিরা তাঁদের কাজ করেন। কিন্তু দেশের কাজ করার জন্য সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।”

    আরজি করকাণ্ডে যে তিনি মর্মাহত, তাও জানান ভাগবত। তিনি (Mohan Bhagwat) বলেন, “আরজি করে খুন হওয়া তরুণী চিকিৎসকের মা আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। নিহতের বিচার চান তিনি। আমি তাঁকে কথা দিয়েছি, তাঁকে সব রকম সাহায্য করব। কারণ এটাই এই মুহূর্তে সময়ের দাবি (RSS)।”

  • VHP: ছ’মাসে ৬৬ হাজার হিন্দুকে রক্ষা করেছে ভিএইচপি, দাবি সংগঠনের

    VHP: ছ’মাসে ৬৬ হাজার হিন্দুকে রক্ষা করেছে ভিএইচপি, দাবি সংগঠনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালের শেষ ছ’মাসে ৬৬ হাজার হিন্দুকে রক্ষা করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP)। এঁরা অন্য ধর্মের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন।

    লাভ জিহাদ (VHP)

    পরিষদের দাবি, লাভ জিহাদের (Love Jihad) হাত থেকে তারা রক্ষা করেছে ৩ হাজার তরুণীকে। শনিবার প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভ নগরের সেক্টর ১৮তে তিনদিনের শিবির চলছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের। সেখান থেকেই জানা গিয়েছে এই তথ্য। লাভ জিহাদের নামে হিন্দু তরুণীদের ভিন ধর্মে ধর্মান্তরিত করার ঘটনা এ দেশে নতুন নয়। এভাবেই বহু মুসলমান ধর্মান্তরিত করেছেন হিন্দু মহিলাদের। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সক্রিয় হওয়ায় সেই হার কিছুটা কমেছে বলে অসমর্থিত সূত্রের খবর।

    ঘর ওয়াপসি

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দাবি, গত বছরের শেষ ছ’মাসে তারা ১৯ হাজার হিন্দুকে ঘরে ফিরিয়েছেন। এঁরা হিন্দু ধর্ম ছেড়ে অন্য ধর্মে দীক্ষিত হয়েছিলেন। পরিষদের দাবি, এই ১৯ হাজারের ঘর ওয়াপসি সম্পন্ন হয়েছে সম্মতি, আধ্যাত্মিক এবং আইনি পরামর্শের মাধ্যমে। যাঁরা হিন্দু ধর্মে ফিরে আসতে ইচ্ছুক, তাঁদের কাছ থেকে হলফনামাও নেওয়া হয়েছে (VHP)। কেবল হিন্দু নন, গো-মাতাও রক্ষা করেছে পরিষদ। এই সময়সীমায় তারা অবৈধ কষাইখানা থেকে রক্ষা করেছে ৯৭ হাজার ৯৩৪টি গরুকে।

    গত মাসেই হিন্দুদের এই সংগঠন দাবি করেছিল, হিন্দু জন্মহার হ্রাস পাচ্ছে। তারা এও বলেছিল, প্রতিটি হিন্দু পরিবারে অন্তত তিনটি সন্তান থাকা উচিত। আয়োজিত সন্ত সম্মেলনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বজরংলাল বাংড়া বলেন, “হিন্দুদের কমে যাওয়া জন্মহার দেশের হিন্দু জনসংখ্যায় ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করেছে। হিন্দু সমাজের সম্মানিত সাধুরা আহ্বান জানিয়েছেন যে প্রতিটি হিন্দু পরিবারে অন্তত তিনটি সন্তানের জন্মগ্রহণ করা উচিত।” তাঁর দাবি, ভারতে হিন্দুরা লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে, যেমনভাবে বাংলাদেশে পরিকল্পিতভাবে তাদের ওপর নিরবচ্ছিন্নভাবে নিপীড়ন (Love Jihad) চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার স্বৈরাচারী ও সীমাহীন অধিকার নিয়ন্ত্রণের জন্য ওয়াকফ বোর্ডের ওপর একটি আইন প্রণয়নের কাজ করছে (VHP)।”

  • Yogi Adityanath: সাম্প্রদায়িক হিংসায় হারিয়েছিল ভিটে, ৪৭ বছর পর তিন হিন্দু পরিবারকে জমি ফেরালেন যোগী

    Yogi Adityanath: সাম্প্রদায়িক হিংসায় হারিয়েছিল ভিটে, ৪৭ বছর পর তিন হিন্দু পরিবারকে জমি ফেরালেন যোগী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাম্প্রদায়িক হিংসার জেরে ভিটে ছাড়া হয়েছিলেন ৪৭ বছর আগে (Sambhal)। ফিরলেন ৪৭ বছর পরে। তাঁদের ভিটেয় ফেরালেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। ১৯৭৮ সালে হিংসার কারণে ভিটে ছেড়েছিলেন সম্ভলের বহু হিন্দু পরিবার। সেই সময় উচ্ছেদ হওয়া তিনটি হিন্দু পরিবারের জমির মালিকানা পুনরুদ্ধার করল যোগী প্রশাসন। এই তিন পরিবার হিংসায় হারিয়েছিলেন তাঁদের প্রিয়জনদের। বেহাত হয়ে গিয়েছিল ভিটেও। সেই জমিই ফেরত পেলেন তাঁরা।

    সম্ভল হিংসা (Yogi Adityanath)

    ১৯৭৮ সালে সম্ভল হিংসা উত্তরপ্রদেশের ইতিহাসে একটি শোকাবহ অধ্যায়। সেবার প্রায় ২৫০ জন হিন্দুকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল বা জীবন বাঁচাতে তাঁদের বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য করা হয়েছিল। এই হিংসায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন তুলসী রামের পরিবার। দলিত এই হিন্দুর মৃত্যুর পর প্রাণের ভয়ে ঘরদোর ছেড়ে পালান ওই এলাকার হিন্দুরা। আশ্রয় নেন চন্দৌসি এবং অন্যান্য জায়গায়। জমি-ভিটে বেহাত হয়ে যাওয়ায় একেবারে নিঃস্ব হয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। হিন্দুদের কেড়ে নেওয়া জমিতে স্কুল গড়ে তোলে মুসলমানরা।

    কী বলছেন খুন হওয়া তুলসির পরিবার

    তুলসির পরিবারের সদস্য অমরিশ কুমার। সেদিনের সেই বর্বরতার সাক্ষী তিনি। বলেন, “দাঙ্গার সময় আমার দাদুকে খুন করা হয়েছিল। এরপর আমাদের আর কোনও উপায় ছিল না। বাড়ি, জমি-জিরেত, জীবিকা— সব কিছু ফেলে রেখে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলাম।” তিনি বলেন, “হিংসা থেমে যাওয়ার পর ভিটেয় ফেরার চেষ্টা করেছিলাম। আমাদের তাড়া করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমাদের বলা হয়েছিল, এখানে আমাদের আর কোনও জায়গা নেই।” বেহাত হয়ে যাওয়া জমি ফিরে পেয়ে যারপরনাই খুশি অমরিশ। বলেন, “আজ, আমরা ন্যায়বিচারের অনুভূতি (Yogi Adityanath) নিয়ে এখানে দাঁড়িয়েছি। জমি অবশেষে আবার আমাদের হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: ভারতের হুঁশিয়ারির পরই বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইল জুকারবার্গের সংস্থা মেটা

    জমি ফিরে পেয়েছেন আশা দেবীও। তিনি বলেন, “রোডওয়েজ বাস স্টেশনের পিছনে আমাদের প্রায় ২.২৫ বিঘা জমি ছিল। অন্যরা দখল করে নিয়েছিল। সেখানে একটা স্কুল তৈরি করা হয়েছিল।” তিনি বলেন, “আমরা যখনই আমাদের ন্যায্য অধিকার ফেরত পাওয়ার চেষ্টা করেছি, আমাদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা সত্ত্বেও, সবসময় মনে হতো সিস্টেম আমাদের কষ্টের প্রতি উদাসীন।” প্রসঙ্গত, দিন (Sambhal) কয়েক আগেই এই মামলাগুলি রি-ওপেন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) স্বয়ং।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tripura: খ্রিস্টান হওয়া হিন্দুদের স্বধর্মে ফিরিয়েছেন কলির ‘মনু’, পুজো করেন রামের!

    Tripura: খ্রিস্টান হওয়া হিন্দুদের স্বধর্মে ফিরিয়েছেন কলির ‘মনু’, পুজো করেন রামের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভগবান শ্রী রামের (Shree Ram) পুজো করেন ত্রিপুরার (Tripura) একটি ছোট্ট জনগোষ্ঠীর লোকজন। দৈনন্দিন জীবনে পালন করেন সনাতনী আচার-নীতি। মিজোরাম ও বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া পূর্ব ত্রিপুরার পাহাড়ি অঞ্চলে এই ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর বাস। তারা তাদের সনাতনী শিকড়কে পুনরায় আবিষ্কার করে শ্রী রামের পুজোআচ্চা করছেন। মেনে চলেছেন সনাতনী আচার-আচরণ। গড়ে তুলেছে আধ্যাত্মিক চর্চার অনন্য একটি পদ্ধতি। এই জনগোষ্ঠীকে স্বধর্মে ফিরিয়েছে “সত্য সনাতন ধর্ম মণ্ডল” নামে একটি সংস্থা। খ্রিস্টান মিশনারিদের ধর্মান্তকরণ প্রচেষ্টার প্রেক্ষিতে জন্ম হয়েছিল এই সংস্থার। তারাই হিন্দু থেকে খ্রিস্টান হয়ে যাওয়া লোকজনকে ফেরাচ্ছেন স্বধর্মে।

    লোভনীয় প্রস্তাব (Tripura) 

    লোভনীয় প্রস্তাব ও বিভিন্ন ধরনের চাপ – এমনকি হুমকি এবং শারীরিক হিংসার মাধ্যমে – মিশনারিরা বড় সংখ্যক ব্রু সম্প্রদায়ের মানুষকে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করতে শুরু করেছিল। এরা মিজোরামে অভিবাসন করেছিল। তারা বিশেষ করে খ্রিস্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্যে আরও বেশি অসহায় হয়ে পড়েছিল। এই সময় ওই সম্প্রদায়ের এক তরুণ, যিনি একনিষ্ঠ হিন্দু ছিলেন, বুঝতে পারেন যে একটি সুসংগঠিত ধর্মীয় আদেশের অধীনে সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ করা অত্যন্ত জরুরি। তিনি বুঝতে পারেন ধর্মান্তরিত হয়ে যাওয়া হিন্দুদের হিন্দু ধর্মে ফেরাতে হলে এটাই মিশনারিদের আক্রমণের মোকাবিলা করার একমাত্র কার্যকর উপায়।

    মনোরম ব্রু-র উপলব্ধি

    যুবক মনোরম ব্রু উপলব্ধি করেছিলেন যে হিন্দুধর্ম খুবই অগোছালো। এখানে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ও প্রথার জন্য নির্দিষ্ট কোনও নিয়ম-কানুন নেই। এর ফলে, অশিক্ষিত উপজাতিরা মিশনারিদের দ্বারা পরিচালিত সনাতন ধর্মের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর প্রচারের শিকার হতে পারত। মনোরম তাঁর সম্প্রদায়ের লোকজনের মধ্যে একটি ধর্মীয় প্রচার শুরু করেন। তিনি বলতে থাকেন, ব্রু সম্প্রদায়ের নিজস্ব আদি দেবতা এবং প্রকৃতি পূজার প্রচলন থাকলেও, তাঁরা সনাতন ধর্মেরই অংশ।

    সত্য সনাতন ধর্ম মণ্ডলের প্রধানের বক্তব্য

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সত্য সনাতন ধর্ম মণ্ডলের প্রধান মুখপাত্র যতীন্দ্র রিয়াং বলেন, “আমাদের পরম্পরা হল সনাতন ধর্ম, যা পৃথিবীর প্রাচীনতম বিশ্বাস। সময়ের সঙ্গে আমরা পথভ্রষ্ট হয়েছি এবং ঈশ্বর থেকে দূরে সরে গেছি। আমাদের কাছে ঈশ্বর হলেন সর্বোচ্চ সত্তা। আমাদের অধিকাংশই দেবতা এবং দেবীদের পূজা করি, কিন্তু ঈশ্বরের পূজা করি না, যিনি একমাত্র নিরঞ্জন। তিনিই সনাতন ঈশ্বর।” তিনি বলেন, “ব্রু সম্প্রদায়ের (Tripura) প্রাচীন ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ধর্মীয় এবং সামাজিক প্রথা সনাতন ধর্মের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। মনোরম ব্রু তাঁর সম্প্রদায়ের মধ্যে এই গুরুত্বপূর্ণ বার্তা ছড়িয়ে দেন এবং তাঁদের সনাতন ধর্মে ফিরে আসতে রাজি করান।

    আরও পড়ুন: অসমে কয়েক দশকের গড়ে ধস, কংগ্রেসকে ধরাশায়ী বিজেপির তরুণ তুর্কি দীপলুর

    রামের পুজোর প্রচলন

    মনোরম শ্রী রামের (Shree Ram) পুজোর প্রচলন শুরু করেন। রিয়াং বলেন, “রাম হলেন আদিপুরুষ, অনন্তগুণ, ব্রাহ্মণ্য, সর্বজ্ঞ, সর্বশক্তিমান, জগদগুরু, মহাদেব, মহাপুরুষ, শাশ্বত, ত্রিপুর্টে এবং ত্রিলোকাত্মনে।” তিনি বলেন, “এই সমস্ত গুণ শ্রী রামকে একটি প্রধান ও শক্তিশালী দেবতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে। এই কারণেই মনোরম ব্রু অধ্যুষিত পাহাড়গুলিতে রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেন।” প্রথম রাম মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ধলাই জেলার চাওমানু প্রশাসনিক ব্লকের পশ্চিম মালিধর গ্রাম পঞ্চায়েতের মানিকপুরে। রিয়াং ছোট চাওমানু শহরে বাস করেন। বর্তমানে ত্রিপুরার ধলাই, ঊনকোটি, গোমতী এবং উত্তর ও দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় ব্রু সম্প্রদায়ের লোকজন ৩০টি রাম মন্দির তৈরি করেছেন। আরও পাঁচটি মন্দির নির্মাণের কাজ চলছে।

    ‘মনু’

    মনোরমকে তাঁর সম্প্রদায়ের লোকজন ভালোবেসে ‘মনু’ বলে ডাকেন। তাঁর পুরো নাম ‘মনোরম ব্রু সনাতন বাগরা’। তিনি বর্তমানে উত্তর ত্রিপুরা জেলার কাঞ্চনপুর সাব-ডিভিশনের নৈসিংহপাড়া গ্রামে বাস করেন। এই জায়গাটিই সম্প্রদায়ের প্রধান কার্যালয় হিসেবে কাজ করছে। এই সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর অনুসারীরা তাঁদের সনাতন ধর্ম এবং নিজস্ব গোষ্ঠী সম্পর্কিত জ্ঞানের ভিত্তিতে বিভিন্ন শ্রেণিতে বিভক্ত (Tripura)। সনাতনী পরিবারে কোনও সন্তান জন্মালে তাকে সত্য সনাতন ধর্ম মণ্ডলে দীক্ষিত করা হয়। প্রথমে মনুর বাক্য (ভগবান রামের প্রতি প্রার্থনা এবং তাঁর উপদেশ) শিশুর কানে ফিসফিস করে বলা হয়। পরে ‘মনু’র আশীর্বাদিত জলে স্নান করানো হয়।

    সত্য সনাতন ধর্ম মণ্ডলের সদস্য হওয়ার প্রক্রিয়া

    এই প্রক্রিয়া শেষ হলে শিশুটি আনুষ্ঠানিকভাবে সত্য সনাতন ধর্ম মণ্ডলের সদস্য হয়ে যায় এবং তাকে ‘লুগো’ হিসেবে গণ্য করা হয়। সমস্ত লুগোকে মনুর শিক্ষা, বেদ, উপনিষদ, গীতা, রামায়ণ এবং মহাভারতসহ গোষ্ঠীর নিয়মকানুন ও আচার সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া হয়। লুগোরা আরও দুটি ধর্মীয় বই থেকে শিক্ষা লাভ করে, যেগুলি ‘মনু’ লিখেছেন — ‘স্মাইক্রি নিদস্তুর’ এবং ‘আইং দস্তুর’ বই। সত্য সনাতন ধর্ম মণ্ডলের সদস্যরা ‘রাম মণ্ডলী’ নামেও পরিচিত। কারণ এঁদের প্রধান পূজিত দেবতা শ্রী রাম (Shree Ram)।তাঁদের কঠোর আচরণবিধি অনুসরণ করতে হয়। গরু, বিড়াল ও বানরের মাংস খাওয়া কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। মদ ও মাদক নেওয়াও নিষিদ্ধ। সিগারেট কিংবা ধূমপান অনুমোদিত। সমাজ ও ধর্মীয় সমাবেশে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। সমাজের সমস্ত সদস্যকে সপ্তাহে চারবার মন্দিরে ভজন-কীর্তনে অংশগ্রহণ করতেই হয় (Tripura)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Uttar Pradesh: বিগ্রহ সরিয়ে ওড়ানো হয়েছিল ইসলামি পতাকা, দখলমুক্ত গঙ্গা মন্দির

    Uttar Pradesh: বিগ্রহ সরিয়ে ওড়ানো হয়েছিল ইসলামি পতাকা, দখলমুক্ত গঙ্গা মন্দির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিহাস খ্যাত ২৫০ বছরের পুরানো মন্দির। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বালিয়েরি অঞ্চলের এই মন্দির চার দশক ধরে দখল করে রেখেছিল জনৈক ওয়াজিদ আলি ও তার পরিবার। গঙ্গা মহারানির (Ganga Maharani Mandir) সেই মন্দিরই দখলমুক্ত হয়েছে সম্প্রতি। কিলা এলাকার কাটঘরে অবস্থিত এই মন্দিরটি রাকেশ সিংয়ের পূর্বপুরুষদের দ্বারা নির্মিত। আধ্যাত্মিক তো বটেই, ঐতিহাসিক দিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই মন্দির।

    পাহারাদারের মন্দির দখল (Uttar Pradesh)

    ইসলামপন্থী ওয়াজিদ আলি ছিলেন এই মন্দিরের পাহারাদার। ধীরে ধীরে মন্দির প্রাঙ্গন দখল করে নেন তিনি। পরে পুজো বন্ধ করে দেন। মন্দিরের দরজায় ঝুলিয়ে দেন তালা। অভিযোগ, ওয়াজিদ মন্দিরের মূর্তিগুলি সরিয়ে ফেলেন। এর মধ্যে ছিল একটি সাদা শিবলিঙ্গও। বিগ্রহগুলি সরিয়ে ওয়াজিদ সেখানে তুলে দেন ইসলামি পতাকা। স্বাভাবিকভাবেই মন্দিরে আনাগোনা বন্ধ হয়ে যায় ভক্তদের। মন্দিরটি একসময় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের উপাসনার কেন্দ্র ছিল। ১৯৫০ সালের পর থেকে পুজো-অর্চনা বন্ধ করে দেন ওয়াজিদ। বছরের পর বছর ধরে মূল ট্রাস্টিদের বংশধর রাকেশ সিংহ এবং হিন্দু সংগঠনগুলো জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করেন মন্দির পুনরুদ্ধারের দাবি জানিয়ে।

    আরও পড়ুন: ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে লিগ্যাল অ্যাকশন নেওয়ার হুমকি টাইকুন এস আলমের?

    মন্দিরের জমি দখল মুক্ত

    একটি দৈনিকে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার পর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রবীন্দ্র কুমার তদন্তের নির্দেশ দেন। এসডিএম সদর গোবিন্দ মৌর্য এবং সমবায় সমিতির কর্মকর্তারা জায়গাটি পরিদর্শন করেন এবং মালিকানার নথি যাচাই করেন। তদন্তে দেখা যায়, মন্দিরের জমি ১৯০৫ সাল থেকে গঙ্গা মহারানি ট্রাস্টের অধীনে নিবন্ধিত ছিল। প্রত্যাশিতভাবেই খারিজ হয়ে যায় ওয়াজিদ আলির আইনি দখলের দাবি। তাঁর দাবি, তাঁর বাবা সমবায় সমিতির একজন প্রহরী ছিলেন (Uttar Pradesh)। সেখান থেকে সরে যাওয়ার জন্য সময়সীমা বাড়ানোর অনুরোধ করেছিলেন। তবে, সমবায় সমিতির সচিব বিকাশ শর্মা স্পষ্ট করেন যে ওয়াজিদ বা তার বাবার কোনও চাকরির রেকর্ড তাঁদের কাছে নেই। ২০ ডিসেম্বর, জেলা প্রশাসন, এসপি সিটি মনীশ পারিখের নেতৃত্বে, উচ্ছেদের নির্দেশ কার্যকর করে। এর পরেই ওয়াজিদ ও তার পরিবার এলাকা ছেড়ে চলে যায়। ২১ ডিসেম্বর পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয় মন্দির (Ganga Maharani Mandir)। অভিষেক-পুজোপাঠও হয় ওই দিনই (Uttar Pradesh)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share