Tag: Howrah

Howrah

  • ED: রেশন কেলেঙ্কারি মামলায় ফের তৎপর ইডি, তল্লাশি হাওড়ার ৩ জায়গায়

    ED: রেশন কেলেঙ্কারি মামলায় ফের তৎপর ইডি, তল্লাশি হাওড়ার ৩ জায়গায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন কেলেঙ্কারি (Ration Case) মামলায় ফের তৎপর ইডি (ED)। দিন কয়েক আগেই জামিনে ছাড়া পেয়েছেন ওই মামলায় গ্রেফতার হওয়া রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তারপর বুধবার সকাল থেকেই তল্লাশি অভিযান শুরু করেছেন ইডির আধিকারিকরা। হাওড়ার অন্তত তিন জায়গায় হানা দিয়েছেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার নজরে রয়েছে ব্যবসায়ীদের বাড়ি এবং গোডাউনও।

    জামিনে ছাড়া পেয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় (Ration Case)

    ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর রেশন কেলেঙ্কারি মামলায় ইডি গ্রেফতার করে তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয়কে। তার পর থেকে জেলেই ছিলেন তিনি। চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি বিশেষ ইডি আদালত ৫০ লাখ টাকার ব্যক্তিগত বন্ড এবং ২৫ হাজার টাকার দুটি জামিন বন্ডে শর্তসাপেক্ষে তাঁর জামিন মঞ্জুর করে। তারপর কয়েকদিন কাটতে না কাটতেই রেশন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে ফের তৎপর হল ইডি।

    হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায় ইডির হানা

    এদিন সকালে ইডির দফতর থেকে বিভিন্ন দিকে বেরিয়েছে একাধিক দল। সকাল সকালই একটি দল পৌঁছে যায় হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের দক্ষিণ সন্তোষপুরে কৃষ্ণপদ মাল নামে এক ধান ব্যবসায়ীর বাড়িতে। অন্য একটি দল হানা দেয় তাঁর গোডাউনে। এছাড়াও, হাওড়ার একটি সমবায় সমিতিতে চলছে ইডির (ED) অভিযান।

    ইডির আর একটি দল হানা দিয়েছে হাওড়ারই শ্যামপুরের সসাটিতে ব্যবসায়ী পার্থেন্দু জানার বাড়িতেও। কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনে বিভিন্ন রাইস মিলে বিক্রি করেন পার্থেন্দু। তিনি ঠিকাদারি ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত। এদিন যখন ইডির দল তাঁর বাড়িতে হানা দেয়, তখন অবশ্য বাড়িতে ছিলেন না তিনি। তাঁর পরিবার জানিয়েছে, মহাকুম্ভে গিয়েছেন পার্থেন্দু।

    ২০২০ সালে নদিয়া থেকে ৭৬২ কিলো কালোবাজারির আটা উদ্ধারকে কেন্দ্র করেই রেশন কেলেঙ্কারির তথ্য আসে পুলিশের হাতে। প্রথমে নদিয়ার তিনটি থানায় দায়ের হয় অভিযোগ। পরে অভিযোগ ওঠে, রেশনের ২০ থেকে ৪০ শতাংশ গম সরিয়ে ফেলে তাতে সরকারি ছাপ দিয়েই বিপুল টাকায় বিক্রি করা হত কালোবাজারে। এরই তদন্তভার পায় ইডি। তারপরেই গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয়কে। গ্রেফতার (Ration Case) করা হয় বাকিবুর রহমান, শঙ্কর আঢ্য-সহ বেশ কয়েকজনকে (ED)।

  • Cable Bridge: হাওড়ায় ভারতের দ্বিতীয় অত্যাধুনিক ‘কেবল ব্রিজ’ তৈরি করছে পূর্ব রেল

    Cable Bridge: হাওড়ায় ভারতের দ্বিতীয় অত্যাধুনিক ‘কেবল ব্রিজ’ তৈরি করছে পূর্ব রেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের দ্বিতীয় অত্যাধুনিক কেবল ব্রিজ তৈরি হচ্ছে হাওড়ায়। নির্মাণ করছে পূর্ব রেল (Eastern Railway)। জানা গিয়েছে, এই বছরই চালু করে দেওয়া হবে ব্রিজটি। এই ব্রিজটি হবে সিঙ্গল পাইলন কেবল সহ রোড ওভারব্রিজ।  জানা গিয়েছে, কয়েক দশকের পুরানো হাওড়া ব্রিজের উপর যানবাহণের চাপ কামাতে এই অভিনব ব্রিজের (Cable Bridge) ভাবনা। এই নয়া ব্রিজ হাওড়া স্টেশন থেকে জিটি রোডকে সংযুক্ত করবে। এই লোহার ডেক ব্রিজ ভারতে দ্বিতীয় সেতু। মুম্বইয়ে অটল সেতুর পর সলিড স্টল প্লেট ডেক ব্রিজ হাওড়ায় স্থাপন হবে। তাই এখন বাংলায় এই সেতু এক বিশেষ আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে বলে মনে করেছে ওয়াকিবহাল মহল।

    আনুমানিক খরচ হবে ২০০ কোটি টাকা (Cable Bridge)

    হাওড়ায় এই অভিনব ব্রিজকে (Cable Bridge) অনেকে চাঁদমারি ব্রিজ বলেছেন। পূর্ব রেল (Eastern Railway) জানিয়েছে, মূলত কেবল টাইপের আকারে নির্মিত হবে এই সেতু। আনুমানিক খরচ হবে ২০০ কোটি টাকা। সেতুর দৈর্ঘ্য ৬০ মিটার থেকে বেড়ে হচ্ছে ১৩৪ মিটার। পুরনো সেতুর জায়গায় তৈরি হচ্ছে চার লেনের কেবল টাইপ ব্রিজ। জানা গিয়েছে, তাইওয়ানের সংস্থা উইকন এই সেতুর নকশা তৈরি করেছে। আর নির্মাণের কাজ করছে এসপি সিংলা কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেড। হাওড়া স্টেশন থেকে ২০০ মিটার দূরত্বে তৈরি হচ্ছে এই নয়া সেতু। 

    আরও পড়ুনঃ আরজি করকাণ্ডে দোষী সিভিক সঞ্জয়ের আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ শিয়ালদা আদালতের

    ২০২৫ সালের মার্চ মাসের মধ্যে শেষ হবে কাজ

    হাওড়া রেল স্টেশনের (Eastern Railway) ওল্ড কমপ্লেক্সে কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম আরও লম্বা করা হবে। ফলে দূরপাল্লার ট্রেনগুলি এই প্ল্যাটফর্মের পাশ দিয়ে যাতায়াত করতে পারবে। স্টেশনের ১, ৭, ১০, ১১, ১২, ১৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্যও বাড়ানো হবে। ২০২৫ সালের মার্চ মাসের মধ্যে ১৫ এবং ২৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম নির্মাণ করে যাত্রীদের সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হবে। একই ভাবে ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং সিস্টেম তৈরিও করা হবে। ফলে নব নির্মীয়মাণ ব্রিজ বিশেষ ভাবে উপকারী হবে জনসাধারণের জন্য।  

    জানা গিয়েছে, ৬০ মিটার চাঁদমারি ব্রিজ ১৯৩৩ সালে তৈরি করা হয়েছিল। একে ‘বাংলাবাবু ব্রিজ’-ও বলা হয়। এই সেতুই (Cable Bridge) এখন ১৩৪ মিটার দীর্ঘ সেতুতে পরিণত করা হবে। এই ব্রিজের নিচ দিয়ে রেলের মোট ১২টি লাইন যাবে।

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  •  ED Raid: ৬ হাজার কোটি টাকার ব্যাঙ্ক প্রতারণাকাণ্ডে হাওড়ায়, বেহালায় অভিযান ইডির

     ED Raid: ৬ হাজার কোটি টাকার ব্যাঙ্ক প্রতারণাকাণ্ডে হাওড়ায়, বেহালায় অভিযান ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার শিবপুরে ইডি হানা (ED Raid)। জানা গিয়েছে, এর পাশাপাশি কলকাতার বেহালাতেও চলছে তল্লাশি। জানা গিয়েছে, শিবপুরের (Howrah) এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ৬০০০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলার তদন্তের কারণে এই অভিযান বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে দীপক জৈন নামক এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেন ইডির আধিকারিকরা।

    ডিসেম্বর মাসে সঞ্জয় সুরেখা নামক এক ব্যবসায়ীর বাড়িতেও চলেছিল তল্লাশি

    এর আগে গত ডিসেম্বর মাসে সঞ্জয় সুরেখা নামক এক ব্যবসায়ীর বাড়িতেও চলেছিল তল্লাশি (ED Raid)। তখন ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় প্রায় ২ কোটি টাকা। বাজেয়াপ্ত করা হয় ২টি গাড়ি। আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় সঞ্জয়কে। জানা গিয়েছে, ওই ব্যাঙ্ক প্রতারণার সূত্র ধরেই বৃহস্পতিবারের ইডি হানা।

    বিভিন্ন সংস্থার নাম করে আর্থিক লেনদেন চালানো হত

    স্টিল কোম্পানিটির বিরুদ্ধে ৬০০০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক প্রতারণার (ED Raid) অভিযোগ রয়েছে। এই কোম্পানি বিভিন্ন সংস্থার নাম করে আর্থিক লেনদেন চালাত বলে অভিযোগ। সেই মামলার তদন্তেই আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই অভিযানে নামে ইডি। হাওড়ার (ED Raid) পাশাপাশি বেহালার একটি আবাসনে পৌঁছে গিয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চলছে তল্লাশি।

    ২০২২ সাল থেকে তদন্তে ইডি

    এই মামলায় আদালতে ইডি আগেই অভিযোগ করেছিল, ১০ বছরে ৬ হাজার কোটি টাকার ব্যাঙ্ক আমানত তছরুপ করা হয়েছে। অভিযুক্ত সঞ্জয় সুরেখাকে বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করে ইডির দাবি ছিল, ২০০৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১৬টি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে ৬২০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছিল। একইসঙ্গে ব্যবসায় লোকসান দেখিয়ে শতাধিক ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে এই টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছিল। ২০১৯ সালে তদন্ত শুরু করেছিল সিবিআই। ২০২২ সালে সিবিআইয়ের এফআইআরের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে ইডি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vande Bharat Express: হাওড়ার পর এবার শিয়ালদা থেকেও ছুটবে বন্দে ভারত, কাশীপুরে হচ্ছে রেল ইয়ার্ড

    Vande Bharat Express: হাওড়ার পর এবার শিয়ালদা থেকেও ছুটবে বন্দে ভারত, কাশীপুরে হচ্ছে রেল ইয়ার্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার পরে এ বার শিয়ালদা থেকেও বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express) চালানোর উদ্যোগ নিল ভারতীয় রেল। মাস তিনেকের মধ্যে চালানোর উপযোগী পরিকাঠামো তৈরি হয়ে গেলে শিয়ালদার ভাগ্যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের শিকে ছিঁড়তে পারে বলেই জানাচ্ছেন রেলকর্তারা। ওই ট্রেনের পরিষেবা শুরু করার আগে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো সংস্কারের ওপরে বিশেষ জোর দিচ্ছে রেল।  মঙ্গলবার জানিয়েছেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার মিলিন্দ দেউস্কর।

    কাশীপুরে হচ্ছে রেল ইয়ার্ড (Vande Bharat Express)

    রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা টার্মিনাল লাগোয়া কাশীপুরে (Vande Bharat Express) প্রায় ২৫০ কোটি টাকা খরচ করে যাবতীয় আধুনিক সুবিধা-সহ ওই কোচিং ডিপো বা ট্রেন রক্ষণাবেক্ষণের পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে। তৈরি হচ্ছে রেল ইয়ার্ড। ওখানেই হবে ট্রেন রক্ষণাবেক্ষণের কাজ। সেই পরিকল্পনা করছে রেল। ইতিমধ্যেই ওই এলাকা পরিদর্শন করেছেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার-সহ পদস্থ আধিকারিকরা। হাওড়ার ঝিল সাইডিংয়ের ধাঁচে ভবিষ্যতের জন্য ওই পরিকাঠামো গড়ে তোলার পাশাপাশি, কলকাতা ও শিয়ালদা স্টেশনের ট্রেন রক্ষণাবেক্ষণ পরিকাঠামোও উন্নত করা হচ্ছে। দু’জায়গাতেই সর্বাধিক ২৪ কোচের ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণ করার ব্যবস্থা করতে সম্প্রতি পিট লাইনের দৈর্ঘ্য বাড়ানো হয়েছে। এর পাশাপাশি, পুরনো সেতুর সংস্কার করে ট্রেনের গতি বাড়ানোর ওপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে পূর্ব রেলের আওতায় চলা বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সিংহভাগ চলে হাওড়া থেকে। তবে ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে ব্যান্ডেল স্টেশনকে কলকাতার উপগ্রহ টার্মিনাল হিসেবে গড়ে তুলতে চায় রেল। সে জন্য প্রায় ৩০০ কোটি টাকার পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে বলেও জানান পূর্ব রেলের জিএম।

    আরও পড়ুন: ‘‘এটা মৃত্যু নয়, হত্যা”, স্যালাইনকাণ্ডে থানায় এফআইআর দায়ের বিজেপি বিধায়ক শঙ্করের

    হাওড়ায় আটটি প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্য বাড়ানোর উদ্যোগ

    পাশাপাশি, হাওড়া থেকে কবচ যুক্ত ইএমইউ ট্রেনগুলি চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এই প্রকল্পের বাস্তবায়নের জন্য ৩ মাস সময় লাগতে পারে জানালেন পূর্ব রেলের (Vande Bharat Express) জেনারেল ম্যানেজার। হাওড়া থেকে ধানবাদ সংলগ্ন ছোটা আমবানা পর্যন্ত এই প্রকল্পের কাজ আগামী ৩ মাসের মধ্যে হবে বলে জানাচ্ছেন তিনি। হাওড়া স্টেশনে পুরনো বাঙালবাবু ব্রিজ এবং বারাণসী ব্রিজের বদলে নতুন সেতু চালু হলে ওই স্টেশনে আটটি প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্য বাড়ানো সম্ভব হবে। সেই কাজ করা গেলে দূরপাল্লার এক্সপ্রেস ট্রেন ছাড়াও ১২ কোচের লোকাল ট্রেন স্টেশনে ঢোকা নিয়ে জটিলতা কমবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে হাওড়া-নয়াদিল্লি পথের একাংশে কবচ প্রযুক্তির মহড়া শুরু হতে পারে বলেও জানিয়েছেন জিএম। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে পূর্ব রেল পণ্য পরিবহণ খাতে ২৮ শতাংশ আয় বাড়িয়েছে। লোকাল ট্রেনের সময়ানুবর্তিতা উন্নত করতে ২০০টি ট্রেনকে বেছে নিয়ে পরিস্থিতি বদলানোর চেষ্টাও করা হয়েছে। অগ্নিকাণ্ড ছাড়াও রেললাইনের অন্যান্য ক্ষতি এড়াতে রেলপথের ধারে আবর্জনা ফেলার বিরুদ্ধে রেল প্রচার চালাবে।

    প্রসঙ্গত, বাংলায় প্রথম বন্দে ভারত চালু হয়েছিল হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি রুটে। চালুর পর থেকেই এই ট্রেন নিয়ে উন্মাদনার শেষ নেই। শুরুতে অল্প সংখ্যক ট্রেন থাকলেও চাহিদার কথা মাথায় রেখেই কিছু সময়ের মধ্যে বাংলার বন্দে ভারতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে থাকে। বর্তমানে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ির পাশাপাশি হাওড়া-পুরী, নিউ জলপাইগুড়ি-গুয়াহাটি, হাওড়া-পাটনা, হাওড়া-রাঁচি, নিউ জলপাইগুড়ি-পাটনা রুটে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Train Accident: আচমকাই লাইনচ্যুত শালিমার-সেকেন্দ্রাবাদ এক্সপ্রেস, নলপুরের দুর্ঘটনা ভাবাচ্ছে রেলকে

    Train Accident: আচমকাই লাইনচ্যুত শালিমার-সেকেন্দ্রাবাদ এক্সপ্রেস, নলপুরের দুর্ঘটনা ভাবাচ্ছে রেলকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার নলপুরের (Nalpur) কাছে সাতসকালেই বেলাইন ডাউন শালিমার-সেকেন্দ্রাবাদ এক্সপ্রেস। বড়সড় ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের কোনও ঘটনা না ঘটলেও কেন বেলাইন হল ট্রেন (Train Accident) সেই প্রশ্ন ঘুরছে সহ মহলেই। ইতিমধ্যেই জোরকদমে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে রেল। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন রেলের উচ্চপদস্থ কর্তারা। সব যাত্রীদের উদ্ধার করে তাঁদের গন্তব্যের উদ্দেশে পাঠানো হচ্ছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Train Accident)

    শনিবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ শালিমারে ঢোকার আগে সেকেন্দ্রাবাদ-শালিমার সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনা নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত করবে দক্ষিণ-পূর্ব রেল। দু’টি কামরা এবং একটি পার্সেল ভ্যান লাইনচ্যুত হয়। এদিন দুপুর পর্যন্ত লাইনের ওপর থেকে ট্রেনের বেলাইন কামরাগুলি সরানো যায়নি। রেল সূত্রে খবর, ডাউন লাইন দিয়ে শালিমারের দিকে আসছিল ট্রেনটি (Train Accident)। আচমকা তার শুরুর দিকের কামরাগুলি মাঝের লাইনে চলে আসে। পরে আবার তা ডাউন লাইনে চলে যায়। এর ফলে ট্রেনের ভিতরে প্রচণ্ড ঝাঁকুনি হয়। ডাউন লাইনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেঁকে গিয়েছে লাইনের একাংশ। যে লোহার ক্লিপ দিয়ে লাইন সংযুক্ত রাখা হয়, তা-ও চারদিকে ছিটকে পড়েছে। লাইনের সিমেন্টের ঢালাই স্লিপারও ভেঙে পড়েছে।  যার ফলে হাওড়া থেকে লোকাল ট্রেন পরিষেবাও যে কারণে ব্যাহত হয়েছে। সকাল থেকে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন দক্ষিণ-পূর্ব লাইনের যাত্রীরা (Train Accident)। যদিও দুর্ঘটনাগ্রস্ত যাত্রীরা সকলেই সুরক্ষিত। কারও বড় কোনও আঘাত লাগেনি বলে জানিয়েছেন মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ওমপ্রকাশ চরণ। যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ১০টি বাস এবং একটি লোকাল ট্রেনের বন্দোবস্তও করে রেল। কিন্তু, কীভাবে তা সম্ভব হল, তা নিয়ে এখনও ধন্দে রেল আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুন: ‘‘তৃণমূলের রুচিবোধ নিম্নমানের, থ্রেট কালচারের জনক মমতা’’, তোপ শুভেন্দুর

    কী বললেন রেলের আধিকারিকরা?

    লাইনচ্যুত (Train Accident) হওয়ার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে বেশ কিছু জিনিস ভাবাচ্ছে দক্ষিণ পূর্ব রেলের আধিকারিকদের। ট্রেনটি ডাউন মেন লাইন থেকে মিডল লাইনে উঠছিল। এই ক্রসিং পয়েন্টে কোনও বিভ্রাট হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন রেলের টেকনিক্যাল বিভাগের কর্তারা। নলপুরের ওই যে অংশে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে সেই অংশে তিনটি লাইন রয়েছে। আপ লাইন, ডাউন মেন লাইন, মিডল লাইন। এই মিডল লাইন দিয়ে আপ এবং ডাউন দুই লাইনের ট্রেন চলাচল করে। যে সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে তখন গাড়ির গতি ছিল ঘণ্টায় ১৫-২০ কিমি। সে কারণেই বড়সড় দুর্ঘটনা (Train Accident) এড়ানো গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদি গতি বেশি থাকত তাহলে অন্য চিত্র দেখা যেত বলে মনে করছেন অনেকেই। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের এজিএম সৌমিত্র মজুমদার জানিয়েছেন, যাত্রীদের নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়াই রেলের অগ্রাধিকার। তার পর লাইনচ্যুত কামরাগুলি সরিয়ে লাইন মেরামতির কাজ হবে। ইতিমধ্যে সেই প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে।

    ট্রেন বাতিল, গতিপথ পরিবর্তন

    দুর্ঘটনার (Train Accident) জেরে সকাল থেকে হাওড়া-খড়াপুর শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। ডাউন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় লোকাল ট্রেন সঠিক সময়ে চলছে না। সকাল থেকে দীর্ঘ ক্ষণ কোনও ট্রেনই ছিল না, দাবি যাত্রীদের।  বেশ কিছু দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল বা তার সময় পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে খবর রেল সূত্রে। বাতিল করা হয়েছে দিঘা থেকে হাওড়া এবং হাওড়া থেকে দিঘাগামী ট্রেন। এ ছাড়া, হাওড়া কিংবা শালিমার স্টেশনে আসার অনেক ট্রেনের গতিপথ সংক্ষিপ্ত হয়েছে। হাতিয়া থেকে হাওড়া, পুরী থেকে শালিমার, সম্বলপুর থেকে শালিমার, চেন্নাই থেকে শালিমার, আদ্রা থেকে হাওড়া, পুরুলিয়া থেকে হাওড়া, ভুবনেশ্বর থেকে হাওড়া আসার ট্রেনের গতিপথ সংক্ষিপ্ত হয়েছে। ঘুরপথে চলবে মুম্বই-শালিমার, মুম্বই-হাওড়া এক্সপ্রেস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Tunnel: যানজট কমাতে বড় পদক্ষেপ, গঙ্গার তলা দিয়ে কলকাতা-হাওড়া সুড়ঙ্গপথ তৈরিতে উদ্যোগী কেন্দ্র

    Kolkata Tunnel: যানজট কমাতে বড় পদক্ষেপ, গঙ্গার তলা দিয়ে কলকাতা-হাওড়া সুড়ঙ্গপথ তৈরিতে উদ্যোগী কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের মধ্যে প্রথম নদীর তলা দিয়ে মেট্রো চলাচল শুরু হয়েছে কলকাতাতেই। এবার কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য কলকাতা (Kolkata Tunnel) থেকে হাওড়া পর্যন্ত গঙ্গার (Ganges) নীচ দিয়ে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচলের সুড়ঙ্গ তৈরি। এ নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রের প্রাথমিক কথাবার্তা হয়ে গিয়েছে। আগামী বছর থেকেই সেই কাজ শুরু হয়ে যেতে পারে।

    কোথায় তৈরি হবে সুড়ঙ্গপথ? (Kolkata Tunnel)

    কেন্দ্রীয় সরকার কোন প্রকল্পে এই কাজ করবে, তাও ঠিক হয়ে গিয়েছে। এমনকী গঙ্গার নীচে কোথায় সেই সুড়ঙ্গ পথ তৈরি করা হবে, তার প্রাথমিক জায়গাও ঠিক করা হয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী গতিশক্তি প্রকল্পের অধীনেই ওই সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। কলকাতার দক্ষিণ প্রান্তে মেটিয়াবুরুজ থেকে হাওড়া যাওয়ার প্রস্তাবিত সুড়ঙ্গ (Kolkata Tunnel) মূলত ট্রাক যাতায়াতের জন্যই তৈরি হবে। এর ফলে বন্দর এলাকার ট্রাক হাওড়া হয়ে বিভিন্ন জাতীয় সড়ক ধরে রাজ্যের অন্যত্র যেতে পারবে। ২০২২ সালেই এমন পরিকল্পনা করেছিল শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দর কর্তৃপক্ষ। এর পরে গঙ্গার তলা দিয়ে বন্দর এলাকায় ট্রাক যাতায়াতের জন্য সুড়ঙ্গ বানানো সম্ভব কি না, তার পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু হয়। ইতিমধ্যেই সেই কাজ শেষ হয়ে বন্দর, জাহাজ ও জলপথ মন্ত্রকে রিপোর্ট জমা পড়েছে।

    আরও পড়ুন: ৯৭ বছরে পা দিলেন লালকৃষ্ণ আডবানি, জন্মদিনে বর্ষীয়ান নেতাকে শুভেচ্ছা মোদি-শাহের

    কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    এখন বন্দর থেকে কোনও ট্রাককে জাতীয় সড়কে যেতে হলে প্রধান পথ দ্বিতীয় হুগলি সেতু। সেই সেতু দিয়েই যাতায়াতের জন্য কলকাতা (Kolkata Tunnel) শহরে ঢুকতে হয় ট্রাককে। শহরের যান চলাচলে যাতে ব্যাঘাত না ঘটে, তার জন্যই সুড়ঙ্গপথের প্রস্তাব কেন্দ্রীয় সড়কমন্ত্রী নীতীন গড়কড়িকে দিয়েছিলেন শান্তনু। বনগাঁর বিজেপি সাংসদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার পরেই ওই প্রস্তাব দেন। পরে ‘সম্ভাবনা’ পরীক্ষার অনুমোদন পাওয়া যায়। বন্দর কর্তৃপক্ষ সেই পরীক্ষা চালান একটি বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে। সেই রিপোর্ট যে মন্ত্রকে জমা পড়েছে, সম্প্রতি তা লোকসভাতেই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় বন্দর, জাহাজ ও জলপথ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। প্রকল্প প্রসঙ্গে জাহাজ ও জলপথ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর  বলেন, “আপাতত যা ঠিক হয়েছে, তাতে ১১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে ওই প্রকল্পের জন্য। মোট ১৫ কিলোমিটার রাস্তা হবে। তার মধ্যে ৮ কিলোমিটার থাকবে সুড়ঙ্গপথ। ফলে, এই কাজ শুরু করা যেতে পারে। আর সুড়ঙ্গ তৈরি হয়ে গেলে শহরে কোনও ট্রাক ঢুকবে না। ফলে, যানজট অনেকটাই কমবে। আর শুধু কলকাতা নয়, গোটা রাজ্যের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ হবে ওই সুড়ঙ্গ। যা পরিকল্পনা, তাতে ভিন্ রাজ্য তো বটেই, রাজ্যেরও সর্বত্র সহজে পৌঁছে যাওয়ার জন্য সংযোগকারী রাস্তা তৈরি এই পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে।”

    কোথায় যানজট?

    এখন কলকাতায় যানজট কমাতে দিনে ৮ ঘণ্টা ভারী গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকে। এর পরেও রাস্তায় বাকি গাড়ির জটের মধ্য দিয়ে গতি বাড়াতে পারে না ট্রাক। ফলে রাত পর্যন্ত অপেক্ষ করতে হয় অনেক ট্রাককে। আবার বন্দর থেকে দ্বিতীয় হুগলি সেতু যাওয়ার জন্য গার্ডেনরিচ সার্কুলার রোড, খিদিরপুর রোড, হেস্টিংস পর্যন্ত যানজট তৈরি হয়। গঙ্গার তলা দিয়ে হাওড়ায় যাওয়ার সুবিধা হয়ে গেলে এ সব থেকে কলকাতা মুক্তি পাবে বলে দাবি শান্তনুর। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে গোটা দেশেই সড়কপথের চরিত্র বদলে গিয়েছে। দেশের গতি বেড়েছে। অনেক টানেল পথ দিয়ে গাড়ি, ট্রেন, ছুটছে। এ বার সেই গতি পাবে কলকাতা তথা বাংলাও।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2024: কেউ মায়ের হাজারটি হাত গুনতে পারেননি! জানুন শিবপুরের হাজার হাত কালীর মাহাত্ম্য

    Kali Puja 2024: কেউ মায়ের হাজারটি হাত গুনতে পারেননি! জানুন শিবপুরের হাজার হাত কালীর মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ভারতে বিশেষ জনপ্রিয় হাজার হাত কালী। হাওড়ার শিবপুরে হাজার হাত কালীতলায় (Kali Puja 2024) প্রায় ২৫ ফুট উঁচু মায়ের এই মূর্তি রয়েছে। শিবপুর ওলাবিবিতলায় হাজার-হাত কালীর মন্দির রয়েছে। শতাব্দী প্রাচীন এই মন্দিরে প্রতি বছর ধুমধাম করে পুজোর আয়োজন করা হয়। দেবীর নাম থেকেই এলাকার নাম হয়েছে হাজারহাত কালীতলা। শোনা যায়, এখনও পর্যন্ত কেউ মায়ের হাজারটি হাত গুনতে পারেননি। গোনা বারণও রয়েছে।

    মন্দির তৈরির ইতিহাস

    কলকাতার চোরবাগানের আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এই মন্দির গড়ে ওঠে। শিবপুরে হাজার হাত কালী মন্দিরের প্রতিষ্ঠা নিয়েও অনেক ইতিহাস রয়েছে। প্রচলিত লোককথা অনুযায়ী, স্থানীয় মুখোপাধ্যায় বাড়ির ছেলে তান্ত্রিক আশুতোষ মুখোপাধ্যায়কে মা চণ্ডী স্বপ্নাদেশ দিয়ে কালীর এই রূপ দেখান এবং মন্দির তৈরির আদেশ দেন। লোকে তাঁকে তান্ত্রিক আশুতোষ তর্করত্ন নামেও চেনেন। আশুতোষ দেশের বিভিন্ন তীর্থস্থান ঘুরে বেড়াতেন। পুজোপাঠ, ধ্যান, সাধনা নিয়ে থাকতেন তিনি। এক বার স্বপ্নে কালীর এই হাজার-হাতের রূপ দেখতে পান আশুতোষ। ওলাবিবিতলায় যেখানে আজ এই মন্দির গড়ে উঠেছে, সেই জায়গাটিরও স্বপ্ন দেখেন। সেই স্বপ্নাদেশ মতো মন্দির গড়ার জন্য ১২৫ টাকায় হালদার পরিবারের কাছ থেকে ৩ কাঠা জায়গা কিনে মাটির মন্দির তৈরি করেন আশুতোষ। ১৮৭০ সালে সেই মন্দির গড়ে ওঠে। কুমোরটুলির প্রিয়নাথ পাল বিগ্রহ বানান। চণ্ডীপুরাণ অনুযায়ী, অসুর বধের সময়ে দেবী দুর্গা অনেক রূপ ধারণ করেছিলেন। তার মধ্যে অন্যতম তাঁর হাজার-হাতের রূপ। চণ্ডীপুরাণের সেই বর্ণনা মতো হাজার-হাতের কালী মূর্তি তৈরি করা হয়।

    আরও পড়ুন: মা তাঁর ভয়ঙ্কর রূপ দেখিয়েছিলেন সাধক বামাক্ষ্যাপাকে! জানুন তারাপীঠের মাহাত্ম্যকথা

    মা কাউকে ফেরান না

    প্রাচীন প্রথা মেনে আজও মুখোপাধ্যায় পরিবারের সদস্যরা এখানে পুজো (Kali Puja 2024) করে আসছেন। মায়ের পুজো ও মঙ্গলারতিতে যাতে কোনও রকম অসুবিধা না হয় সেজন্য আশুতোষ মুখোপাধ্যায় মায়ের মন্দিরের নামে বেশ কিছু সম্পত্তি রেখে গিয়েছেন। সেই সম্পত্তি থেকেই আয় যা আসে, তা থেকে মায়ের পুজো করা হয় ও মন্দিরের সংস্কার করা হয়। কালীপুজোর দিনে পুণ্যার্থীদের ভিড় এতটাই হয় যে, পরিস্থিতি সামাল দিতে নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করতে হয়। বিশ্বাস, মায়ের কাছে কিছু প্রার্থনা করলে সেটি পূর্ণ হয়। শোনা যায়, প্রায় ৬০ বছর আগে শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষের এক শুক্রবার দক্ষিণ ভারতের বাসিন্দা কৃষ্ণা সুব্রহ্মণ্যম এই মন্দিরে এসেছিলেন। তখন তিনি দৃষ্টিহীন। হাজার-হাত কালীর কাছে দৃষ্টি ফিরিয়ে দেওয়ার প্রার্থনা করেন। এক বছরের মধ্যে তিনি দৃষ্টিশক্তি ফিরে পান। তার পর থেকে তিনি মায়ের মাহাত্ম্য প্রচার শুরু করেন দক্ষিণ ভারত জুড়ে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Dana: আসছে ‘দানা’! ১৪ ঘণ্টা পরিষেবা বন্ধ শিয়ালদা দক্ষিণে, হাওড়ায় বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন

    Cyclone Dana: আসছে ‘দানা’! ১৪ ঘণ্টা পরিষেবা বন্ধ শিয়ালদা দক্ষিণে, হাওড়ায় বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র (Cyclone Dana) আশঙ্কায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিল রেল। ইতিমধ্যেই পূর্ব রেল (Train Cancelled) জানিয়েছে, শিয়ালদা দক্ষিণ এবং হাসনাবাদ শাখায় বাতিল করা হয়েছে ১৯০টি লোকাল ট্রেন। বুধবার শিয়ালদার ডিআরএম দীপক নিগম জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সব মিলিয়ে ১৪ ঘণ্টা শিয়ালদা দক্ষিণ এবং হাসনাবাদ শাখায় বন্ধ থাকবে ট্রেন চলাচল। হাওড়া ডিভিশনে পুরোপুরি লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখা না হলেও একগুচ্ছ লোকাল ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।

    কখন ছাড়বে শেষ ট্রেন

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামারার মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে ‘দানা’। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলার উপকূলীয় অঞ্চল তো বটেই, কলকাতাতেও ঝড়-ঝঞ্ঝার (Cyclone Dana) আশঙ্কা রয়েছে। ডিআরএম দীপক বলেন, ‘‘দুর্যোগের কারণে শিয়ালদা স্টেশন থেকে দক্ষিণ শাখার সমস্ত গন্তব্যের উদ্দেশে শেষ ট্রেন ছাড়বে বৃহস্পতিবার রাত ৮টায়। পরের দিন, অর্থাৎ শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ওই শাখায় বন্ধ থাকবে লোকাল ট্রেন চলাচল।’’ তিনি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে পরের দিন সকাল ৯টা পর্যন্ত দক্ষিণ শাখার কোনও স্টেশন থেকেই শিয়ালদার উদ্দেশে লোকাল ট্রেন ছাড়বে না। শিয়ালদার ডিআরএম জানিয়েছেন, একই সঙ্গে হাসনাবাদ শাখাতেও একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় হাসনাবাদের উদ্দেশে শেষ ট্রেন ছাড়বে শিয়ালদা থেকে। 

    শিয়ালদার কোন শাখায় কত ট্রেন বাতিল 

    ১) শিয়ালদা-ক্যানিং শাখা: ২৪টি ট্রেন বাতিল

    ২) সোনারপুর-ক্যানিং শাখা: ৭টি ট্রেন বাতিল

    ৩) শিয়ালদা-লক্ষ্মীকান্তপুর শাখা: ২৫টি ট্রেন বাতিল

    ৪) শিয়ালদা-বজবজ শাখা: ২৯টি ট্রেন বাতিল

    ৫) শিয়ালদা-সোনারপুর শাখা: ১১টি ট্রেন বাতিল

    ৬) সোনারপুর-বারুইপুর শাখা: ২টি ট্রেন বাতিল

    ৭) শিয়ালদা-বারুইপুর শাখা: ১৬টি ট্রেন বাতিল

    ৮) শিয়ালদা-নৈহাটি শাখা: ২টি ট্রেন বাতিল

    ৯) লক্ষ্মীকান্তপুর-বারুইপুর শাখা: ৩টি ট্রেন বাতিল

    ১০) শিয়ালদা-ডায়মন্ড হারবার শাখা: ৩০টি ট্রেন বাতিল

    ১১) লক্ষ্মীকান্তপুর-নামখানা শাখা: ১৯টি ট্রেন বাতিল

    ১২) শিয়ালদা/বারাসত-হাসনাবাদ শাখা: ২০টি ট্রেন বাতিল

    ১৩) চক্ররেল: ২টি ট্রেন বাতিল

    হাওড়ার হালচাল

    যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে শিয়ালদা বিভাগে লোকাল ট্রেন চলাচলের (Train Cancelled) ক্ষেত্রে এই পরিবর্তন করা হয়েছে। এমনই জানিয়েছেন পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র। তিনি জানান, আরও ট্রেন বাতিল করা হবে কিনা, পরিস্থিতি বিচার করে সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। হাওড়া ডিভিশনে পুরোপুরি লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখা হচ্ছে না। শুক্রবার ছ’ঘণ্টা (ভোর ৪ টে থেকে সকাল ১০ টা) একগুচ্ছ লোকাল ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ওই ছ’ঘণ্টার মধ্যে যে ট্রেনগুলি ছাড়বে, সেগুলি যাত্রাপথের প্রতিটি স্টেশনেই দাঁড়াবে। অর্থাৎ গ্যালোপিং ট্রেনও সব স্টেশনে স্টপেজ দেবে বলে পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: শিকল দিয়ে বাঁধা ক্রেন! ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কায় সতর্ক হলদিয়া, বন্ধ বিমান ওঠা-নামাও

    কোন কোন ট্রেন বাতিল

    লোকাল ছাড়াও বেশ কয়েকটি মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। পূর্ব রেল জানিয়েছে, ২৩ অক্টোবর, বুধবার বাতিল করা হয়েছে কামাখ্যা-বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেস, ডিব্রুগড়-কন্যাকুমারী এক্সপ্রেস, কন্যাকুমারী-ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস, বেঙ্গালুরু-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস, শিয়ালদা-পুরী দুরন্ত এক্সপ্রেস, শিলচর-সেকেন্দরাবাদ সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। ২৪ অক্টোবর, বৃহস্পতিবারও বেশ কয়েকটি এক্সপ্রেস বাতিল থাকবে। সেই তালিকায় রয়েছে পটনা-এর্নাকুলাম এক্সপ্রেস, কলকাতা-পুরী এক্সপ্রেস স্পেশ্যাল, পুরী-জয়নগর এক্সপ্রেস, পুরী-শিয়ালদা দুরন্ত এক্সপ্রেস, পটনা-পুরী এক্সপ্রেস স্পেশ্যাল, বেঙ্গালুরু-মুজফ্‌ফরপুর এক্সপ্রেস, মালদা টাউন-দীঘা এক্সপ্রেস, মালদা টাউন-দীঘা এক্সপ্রেস, আসানসোল-হলদিয়া এবং হলদিয়া-আসানসোল এক্সপ্রেস। ২৫ অক্টোবর, শুক্রবার আসানসোল-হলদিয়া, হলদিয়া-আসানসোল এক্সপ্রেস এবং পুরী-কলকাতা এক্সপ্রেস স্পেশ্যাল বাতিল করা হয়েছে। ‘দানা’র কারণে দক্ষিণ-পূর্ব রেলও আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বাতিল করা হয়েছে ১৭২টি ট্রেন। এ ছাড়াও ১২০টি মেল-এক্সপ্রেস এবং ৫২টি লোকাল ও মেমু ট্রেন বাতিল থাকছে এই সময়ের মধ্যে।

    হেল্পলাইন নম্বর

    ইতিমধ্যেই শিয়ালদা এবং হাওড়া ডিভিশনে হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। পূর্ব রেলের (Train Cancelled) তরফে জানানো হয়েছে, হাওড়া ডিভিশনে হেল্পলাইন নম্বর ০৩৩ ২৬৪১৩৬৬০, ০৩৩ ২৬৪০২২৪১, ০৩৩ ২৬৪০২২৪২, ০৩৩ ২৬৪১২৩২৩। শিয়ালদা ডিভিশন হেল্পলাইন নম্বর ০৩৩ ২৩৫১৬৯৬৭।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Kali Puja 2024: ঘন জঙ্গলে মা কালীর আরাধনা শুরু করেছিলেন এক কাপালিক! সেই পুজো ৫০০ বছরে

    Kali Puja 2024: ঘন জঙ্গলে মা কালীর আরাধনা শুরু করেছিলেন এক কাপালিক! সেই পুজো ৫০০ বছরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরনো ঐতিহ্য ও রীতি-রেওয়াজ মেনে ৫০০ বছর ধরে পুজো হয়ে আসছে হাওড়ার (Howrah) উদয়নারায়ণপুরের কালীকাপুরের কালী বিগ্রহের। ফি বছর গ্রামের বাসিন্দারা পুজোকে (Kali Puja 2024) কেন্দ্র করে আনন্দে মেতে ওঠেন। আর এই পুজো শুরু হওয়ার সুন্দর ইতিহাস রয়েছে।

    কাপালিক শুরু করেছিলেন কালীপুজো (Kali Puja 2024)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কালীপুজোকে (Kali Puja 2024) কেন্দ্র করেই এই গ্রামের নাম কালীকাপুর। সে প্রায় পাঁচ শতাব্দী আগের কথা। বর্তমানের জনবহুল গ্রাম সে সময় ছিল জনশূন্য। ঘন জঙ্গলে ঢাকা নির্জন স্থান। কানা দামোদর নদীর পাড়। জঙ্গলে বন্য পশুর দাপট ছিল। কেউ সাহস পেত না এখানে আসার। জনশ্রুতি থেকে জানা যায়, এই ঘন জঙ্গলেই বাস করতেন এক কাপালিক। তিনি জঙ্গলে একাকী থেকে মা কালীর আরাধনা করতেন। তখন বর্ধমান রাজার রাজত্বকাল। কথিত রয়েছে, রাজার আদেশ মতোই কাপালিকের অবর্তমানে মা কালীকে সেবা করার দ্বায়িত্ব পেয়েছিলেন বর্ধমানের ঘোষ পরিবার। জানা যায়, সে সময় বর্ধমান রাজসভার নবরত্নের একজন ছিলেন তিলকরাম ঘোষ। বর্ধমান থেকে রাজার আদেশ মতোই মা কালীর সেবার উদ্দেশ্যে সপরিবারে হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরে চলে এসেছিল ঘোষ পরিবার। তৎকালীন ঘোষ পরিবার ভাট উপাধি পেয়েছিল রাজার কাছে। ধীরে ধীরে বসতি বৃদ্ধি পেতে থাকে। মন্দির থেকে কিছুটা দূরে ভাট পরিবারের বসবাস শুরু করেছিল সেখানেই। সেই স্থান দেবীপুর গ্রাম নামে পরিচিত।

    ‘একাহারি কালী মা’

    বর্তমানে যে স্থানে কালী মন্দির রয়েছে, তখন সেখানে ঘন জঙ্গল, পুজো (Kali Puja 2024) করার জন্য পুরোহিতের সঙ্গে লেঠেল নিয়ে আসা হত বন্য পশুদের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে। মন্দির সংলগ্ন ঘন জঙ্গল পরিষ্কার করে বর্তমানে ঘনবসতি গড়ে উঠেছে। মন্দিরের পুরনো রীতি অনুযায়ী প্রতিদিন একবার মাতৃ পুজো অনুষ্ঠিত হয় এখানে। জানা যায়, সে সময় ঘন জঙ্গল কোনওরকমে লেঠেল সঙ্গে নিয়ে দিনে একবার মা কালীর পুজো করা সম্ভব হত। একবার পুজো হওয়ার কারণেই “একাহারি ‘কালী মা”ও বলা হয়। কথিত রয়েছে, শুরুতে মূর্তি ছাড়াই ঘট প্রতিষ্ঠা করে মা কালী রূপে পুজো হত। সেই ঘট নাকি আজও মন্দিরে রয়েছে বলেই জানান পুরোহিত এবং স্থানীয় মানুষ।

    পরিবারের সদস্যরা কী বললেন?

    পরিবারের সদস্য অনির্বাণ ভাট বলেন, “এখানে ভাট পরিবারের প্রথম পুরুষ তিলকরাম ঘোষ (ভাট) রাজার আদেশমতো বর্ধমান থেকে এখানে মায়ের সেবা করতে এসেছিলেন। সে সময় থেকে কয়েক শতাব্দী পেরিয়ে গিয়েছে। তবে প্রায় সমস্ত নিয়ম রীতি রয়েছে অক্ষত। জানা যায়, মন্দিরে কষ্ঠি পাথরের মায়ের যে মূর্তি তা প্রায় দু’শো বছর প্রাচীন। গ্রামে অন্য কোনও মূর্তি পূজা নিষিদ্ধ ছিল। বৈশাখের ফলহারিণী, মকর সংক্রান্তি, নবমী এবং শ্যামাকালী পুজো-সহ মোট চারটি বিশেষ পুজো হয় প্রতি বছর।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ, পথে নামছেন প্রাক্তন পুলিশকর্মীরা, সন্ধ্যায় হাওড়ায় মিছিল

    RG Kar: আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ, পথে নামছেন প্রাক্তন পুলিশকর্মীরা, সন্ধ্যায় হাওড়ায় মিছিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডের (RG Kar) প্রতিবাদে এবার পথে নামছেন রাজ্যের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মীরা। শুধু তাই নয়, তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও পা মেলাবেন এই মিছিলে। জানা গিয়েছে, আজ রবিবার অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মীদের এই মৌন মিছিল অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কোনওরকম স্লোগান ব্যবহার করা হবে না এই মিছিলে। তাঁদের গলায় ঝোলানো থাকবে শুধু মাত্র প্লাকার্ড এবং সেখানে লেখা থাকবে, ‘আরজি করের ঘটনার দ্রুত বিচার চাই’, ‘সমাজবন্ধু পুলিশবাহিনী গড়ে তুলুন’।

    শিবপুরের কাজিপাড়া থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত মিছিল (RG Kar)

    অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মীদের এই মিছিলের (RG Kar) যাঁরা উদ্যোগ নিয়েছেন, তাঁদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, রবিবার শিবপুরের কাজিপাড়া থেকে হাওড়া ময়দান (Howrah) পর্যন্ত মিছিল হবে। তাতে যোগ দেবেন প্রাক্তন পুলিশকর্মীরা এবং মূল দাবি থাকবে আরজিকর কাণ্ডের খুব দ্রুত বিচার। জানা গিয়েছে, হাওড়ার (Howrah) পুলিশ কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠিকে ইতিমধ্যেই তাঁরা ইমেইল করে নিজেদের কর্মসূচির কথা বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন। অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মীরা জানিয়েছেন, শনিবার রাত পর্যন্ত ইমেইলের কোনও উত্তর পুলিশ কমিশনার দেননি। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, ধরেই নেওয়া হচ্ছে পুলিশের কোনও আপত্তি থাকবে না।

    প্রথমবারের জন্য অবসরপ্রাপ্ত পুলিশকর্মীদের পথে নামতে দেখা যাবে

    নিজেদের কর্মসূচিতে তাঁরা (RG Kar) আইনজীবী- চিকিৎসক-অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মধ্যেও বেশ কয়েকজনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তবে কোন কোন মুখকে ঠিক অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মীদের মিছিলে দেখা যাবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে পথে দেখা গেলেও, এই প্রথমবারের জন্য অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মীদের পথে নামতে দেখা যাবে। শুধু তাই নয়, এই মিছিলে সামিল হবেন তাঁদের পরিবারও। প্রসঙ্গত আরজি করের (RG Kar) ঘটনার প্রায় ৫০ দিনেরও বেশি পার। এরই মধ্যে দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও দেখা গিয়েছে প্রতিবাদের আঁচ। আরজি করের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকাও বার বার প্রশ্নের মুখে পড়েছে! গ্রেফতার হয়েছেন টালা থানার প্রাক্তন ওসি। দেশের শীর্ষ আদালতও পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলেছে। লাগাতার আন্দোলনের চাপে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাতে বাধ্য হয়েছেন বিনীত গোয়েলকে। এই আবহে আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে প্রাক্তন পুলিশ কর্মীদের এই মিছিল যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share