Tag: Howrah

Howrah

  • Ram Temple: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন ঘরে ঘরে জ্বলবে প্রদীপ, পোয়া বারো মৃৎশিল্পীদের

    Ram Temple: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন ঘরে ঘরে জ্বলবে প্রদীপ, পোয়া বারো মৃৎশিল্পীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় রাম মন্দির (Ram Temple) উদ্বোধনের দিন দেশজুড়ে প্রদীপ জ্বালানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাতেই যারপরনাই খুশি মৃৎশিল্পরীরা। সারাবছর মাটির ভাঁড় তৈরি করেন যাঁরা, দীপাবলির সময় বাড়তি পরিশ্রম করে মাটির প্রদীপ তৈরি করেন বাড়তি দু’পয়সা রোজগারের জন্য। আর সোমবার অকাল দীপাবলি এসে পড়ায় তাঁরা খুবই খুশি।

    মৃৎশিল্পীরা কী বললেন? (Ram Temple)

    যাঁরা সারা বছর চায়ের দোকানের ভাঁড় তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করলেও দীপাবলির আগে তাঁরা মাটির প্রদীপ তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এতে ঘরের মহিলারা বাড়তি কিছু আয় করেন যা তাঁরা উৎসবে খরচ করেন। সোমবার অযোধ্যায় নবনির্মিত রাম মন্দিরে (Ram Temple) রামলালার মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে তাঁদেরও বাড়তি আয় হলে, সেই টাকায় একটু স্বাচ্ছন্দ্য আসবে, শখও মেটাতে পারবেন তাঁরা। তাই এখন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সংসারের কাজ সেরে ফেলছেন প্রদীপ বানানোর জন্য। গত কয়েকদিন ধরেই পাইকাররা এসে অর্ডার দিয়ে যাচ্ছেন। পিলখানায় ২৫ ঘর মতো মৃৎশিল্পীর বাস। তাঁরা এখন ভীষণ ব্যস্ত। হাওড়ার পিলখানার ভাঁড়পট্টির কারিগর ঝাঙুর প্রজাপতি বলেন, ২২ তারিখে মোদি যে প্রদীপ জ্বালাতে বলেছেন তারজন্য হঠাৎ চাহিদা বেড়ে গেছে। ঘরে ঘরে প্রদীপ জ্বলবে। তাই আমরাও ঘরে ঘরে প্রদীপ তৈরি করছি। আমরা সকলেই খুব খুশি। ভোর থেকে কাজ শুরু করছি, সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলেও কাজ শেষ হচ্ছে না। মৃৎশিল্পী কমলা দেবী বলেন, রামন্দিরের জন্য চাহিদা বেড়েছে, দামও বেশি পাচ্ছি।  যে প্রদীপের দাম ৫ টাকা ছিল এখন চাহিদা বাড়ায় তা ৮ টাকা হয়ে গেছে। ৭-৮ টাকার প্রদীপ ১০টাকায় বিকোচ্ছে। স্থানীয় মৃৎশিল্পী লক্ষ্মী দেবী বলেন, এমন দিন আসবে ভাবতেই পারিনি। রাম মন্দির যে সত্যিই হবে ভাবতেও পারিনি। জানা গিয়েছে, পাইকারদের হাত ধরে এখান থেকে প্রদীপ চলে যাচ্ছে হাওড়ার বিভিন্ন বাজার ও কলকাতার বড়বাজারে। সেখান থেকে প্রদীপ ছড়িয়ে পড়ছে শহরের আনাচে-কানাচে। বাড়তি আয় করতে পেরে খুশি কমলা প্রজাপতি, পূজা প্রজাপতিরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: অযোধ্যার রাম মন্দিরে যাচ্ছে বাংলার ফুল, খুশি ফুল চাষিরা

    Ram Mandir: অযোধ্যার রাম মন্দিরে যাচ্ছে বাংলার ফুল, খুশি ফুল চাষিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনের দিন সাজবে অযোধ্যা। এজন্য দরকার বিপুল পরিমাণ ফুলের, সেই ফুল পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, রানাঘাট, ঠাকুরনগর থেকে মল্লিকবাজার হয়ে ট্রেন ও বিমানে যাচ্ছে অযোধ্যায়। গাঁদা, দোপাটি, স্টারফুল তো বটেই, প্রচুর পরমাণে রজনীগন্ধার স্টিকও পাঠানো হয়েছে অযোধ্যায়। এখনও পাঠানো চলছে। শীতকালে ফুলের বিক্রিবাটা এমনিতে কম থাকে। শুধু বিয়ে বাড়ি ভরসা। এই অবস্থায় হঠাৎ ফুলের বরাত এসে যাওয়া অকাল-উৎসবের স্বাদ পাচ্ছেন তাঁরা।

    ফুলের চাহিদা আচমকাই বেড়ে যাওয়ায় খুশি ফুল চাষিরা (Ram Mandir)

    মল্লিক ঘাট ফুল বাজার উন্নয়ন সমিতির কোষাধ্যক্ষ চণ্ডী সেনাপতি বলেন, এখানে বহু ফুলচাষি আসেন। তাঁদের অনেকেই ফুল পাঠাচ্ছেন অযোদ্ধা। হলুদ, বাসন্তী ও লাল রঙের গাঁদা তো যাচ্ছেই, সাদা রঙের স্টার ফুলও প্রচুর পাঠানো হচ্ছে। এছাড়াও গোলাপ ও রজনীগন্ধাও এখান থেকে পাঠানো হচ্ছে। হাওড়ার বাগনানের ফুলচাষি রমেশ মালী বলেন, ফুলের চাহিদা সারা বছরই কমবেশি থাকে, তবে জগদ্ধাত্রী পুজোর পরে সেভাবে চাহিদা একেবারেই থাকে না, পৌষমাসে তো বিয়েও থাকে না। এই অবস্থায় আচমকাই ফুলের চাহিদা তৈরি করে দিয়েছে অযোধ্যার রাম মন্দির। আমাদের এখান থেকে ফুল পাঠানো হয়েছে। মল্লিকবাজার থেকে অর্ডার পাওয়া গেছে। অযোধ্যায় এখন রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার ব্যাপার না থাকলে সেই সরস্বতী পুজো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হত। এই সময় ফুল সরবরাহ করতে পারায় আমাদের সুবিধাই হয়েছে। এখান থেকে রক্তগাঁদা আর কিছু বাহারি ফুল পাঠানো হয়েছে। রজনীগন্ধার স্টিকও আমরা পাঠিয়েছি। তবে চাহিদা থাকলেও এখন তো পদ্মের সিজিন নয়। আরেক ফুল ব্যবসায়ী ভূতনাথ মাজি জানান, গাঁদা ফুলের চাহিদাই সবচেয়ে বেশি। উত্তরপ্রদেশের দিকে গাঁদার খুব কদর। ওখানে নেতারাও গাঁদার মালা পরেন ভোটের সময়, যেটা এরাজ্যে তেমন দেখা যায় না। গাঁদাফুলের রঙও খুব উজ্জ্বল হয়। তাই রাম মন্দিরের (Ram Mandir) জন্য গাঁদাফুল প্রচুর যাচ্ছে অযোধ্যায়। আমাদেরও অসময়ে ফুলের বিক্রি বেড়েছে। ফলে, কিছুটা লাভও হচ্ছে।

    ট্রেন-বিমানে অযোধ্যায় যাচ্ছে বাংলার ফুল

    ঠিক কী পরিমাণে ফুল হাওড়া তথা পশ্চিমবঙ্গ থেকে অযোধ্যায় গেছে তার হিসেব পাওয়া কঠিন, কারণ কোনও একটি সমিতি বা নির্দিষ্ট কারও মারফত এই অর্ডার আসেনি। ফুলচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিভিন্ন বাজার থেকে সরাসরি ফুল সংগ্রহ করে ট্রেনে করে অযোধ্যায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ফ্লাইটে নিকটবর্তী বিমানবন্দর হয়ে ফুল যাচ্ছে অযোধ্যায়। খুশি ফুল ব্যবসায়ীরা। মল্লিকবাজারে ফুল বিক্রি করতে আসা নিমাই মণ্ডল বলেন, আজ ফুল নিয়ে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। পরিচিত একজন এসে ফুলের সব ছড়ি আর দোপাটি কিনে নিল। বলল রাম মন্দিরের (Ram Mandir) জন্য ফুল দরকার। ভালোই হল। রোজই অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করতে হয়। সব ফুল যে রোজ বিক্রি হয় তাও নয়। আজ কপাল ভালো ছিল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: এই বোধহয় উন্নয়ন! ভাঙাচোরা রাস্তায় টোটো উল্টে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, মৃত্যু শিশুর

    Howrah: এই বোধহয় উন্নয়ন! ভাঙাচোরা রাস্তায় টোটো উল্টে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, মৃত্যু শিশুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিকে ভাঙা রাস্তা, অন্যদিকে টোটোর দৌরাত্ম্য। এই দুইয়ের জেরে মাঝেমধ্যেই বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটছে হাওড়া শহরে। প্রায় প্রতিদিনই জখম হচ্ছেন মানুষ। এবার স্কুল থেকে ফেরার পথে টোটো উল্টে রাস্তায় পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল এক শিশুর। ওই টোটোতে চেপেই বাড়ি ফিরছিল বছর তিনেকের রূপক মালিক। টোটোটি চালাচ্ছিলেন তার দাদু গণেশ। হাওড়া পুরসভার (Howrah) ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের হাঁসখালি পোলের কাছে হরেকৃষ্ণ নগরে টোটোটি যখন ভাঙা রাস্তার উপর দিয়ে যাচ্ছিল, সেই সময় সেটি লাফাতে থাকে এবং উল্টে যায়। টোটো থেকে পড়ে জখম হয় ওই শিশুটি। তার মাথায় চোট লাগে। শিশুর দাদুর পায়ের হাড় ভেঙে যায়। স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু করা হলেও শেষ পর্যন্ত শিশুটির মৃত্যু হয়। 

    শোকাচ্ছন্ন পরিবার (Howrah)

    এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রূপক স্থানীয় একটি স্কুলে নার্সারিতে পড়াশোনা করত। বৃহস্পতিবার সকালে স্কুল থেকে টোটোয় চাপিয়ে নিয়ে আসছিলেন দাদু গণেশ। গনেশবাবু জানান, রাস্তা খারাপ থাকায় টোটো উল্টে যায়। গুরুতর জখম হন দু’জনেই। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা শিশু-সহ তার দাদুকে হাওড়া হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। পরে সেখানেই মৃত্যু হয়। গণেশবাবু ওই হাসপাতালে (Howrah) চিকিৎসাধীন। শিশুর মৃত্যুতে শোকাচ্ছন্ন পরিবার। তারা রাস্তার বেহাল দশাকে দুষছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশুটির মাথায় হ্যামারেজ হয়েছিল। তার জেরেই মৃত্যু।

    টোটোর দৌরাত্ম্য কমেনি (Howrah)

    এদিকে হাওড়া শহরজুড়ে যত্রতত্র টোটোর দৌরাত্ম্য কমাতে হাওড়া সিটি পুলিশের পক্ষ থেকেও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অনুমোদনহীন রাস্তায় এবং জাতীয় সড়কে বেপরোয়া টোটোর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই কয়েক দফায় অভিযান চালিয়ে কয়েক শত টোটো আটক করেছে হাওড়া সিটি পুলিশ। তারপরেও কমানো যায়নি টোটোর দৌরাত্ম্য। অন্যদিকে তিন বছরের এই শিশুর মৃত্যুর জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা ভাঙা রাস্তাকেই দায়ী করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, হাঁসখালি পোল সংলগ্ন  হরেকৃষ্ণ নগরের এই সিমেন্টের রাস্তা কয়েক বছর আগেই ভেঙে চৌচির হয়ে যায়। রাস্তার মাঝখানে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়। বাসিন্দারা হাওড়া (Howrah) পুরসভাকে বারবার জানালেও রাস্তা মেরামত করা হয়নি। মাঝেমধ্যেই এই রাস্তায় টোটো উল্টে দুর্ঘটনা ঘটে। এদিনও টোটো উল্টে গিয়েই ওই শিশুর মৃত্যু হয়।

    কী অভিযোগ বাসিন্দাদের? (Howrah)

    স্থানীয় বাসিন্দা সুজাতা সাধুখাঁ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার এই বেহাল অবস্থা। বিশেষ করে বর্ষাকালে এই বড় বড় গর্তে জল জমে থাকায় দুর্ঘটনা আরও বাড়ে। পাইপলাইন তৈরি বা অন্যান্য কাজে মাঝেমধ্যে রাস্তা খোঁড়া হয়। কিন্তু তারপর সেই রাস্তার মেরামত করা হয় না। ওই অবস্থাতেই পড়ে থাকে। ফলে সেই ভাঙা রাস্তা দিয়ে প্রাণ হাতে তাঁদের প্রতিদিন চলাচল করতে হয়। প্রত্যক্ষদর্শী সুজাতা অধিকারী বলেন, ভাঙা রাস্তার কারণে একজন শিশু চলে গেল। এটা খুবই খারাপ লাগছে। টোটো উল্টে যাওয়ার পরেই শিশুটির মাথায় চোট লেগে। মাথা ফেটে রক্ত বেরতে থাকে। সেই অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। আর এক বাসিন্দা গোপালচন্দ্র বসু বলেন, দীর্ঘদিন রাস্তাটি (Howrah) ভাঙাচোরা, মেরামতির কাজও শুরু হয়েছে একদিকে। অন্যদিকে যে অংশটি বেশি ভাঙা, সেখান দিয়েই এদিন টোটো যেতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে।

    সাফাই পুর-প্রশাসকের

    হাওড়া (Howrah) পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, অনেক সময় জরুরি কাজের জন্য রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করতে হয়। এক্ষেত্রে কী হয়েছে, তা খোঁজ নিয়ে দেখবেন। তিনি বলেন, শিশুটির মৃত্যু খুবই দুর্ভাগ্যজনক। তবে ৪৫ ও ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডে পুরসভার পক্ষ থেকে বেশ কিছু রাস্তা ইতিমধ্যেই মেরামত করা হয়েছে। এই রাস্তাটি কী অবস্থায় ছিল, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে এবং পুরসভার পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: “ধান্দাবাজ, জমি মাফিয়া, চোর, তোলাবাজ”, পোস্টারে তৃণমূল বিধায়কের ‘কাজের স্বীকৃতি’

    Howrah: “ধান্দাবাজ, জমি মাফিয়া, চোর, তোলাবাজ”, পোস্টারে তৃণমূল বিধায়কের ‘কাজের স্বীকৃতি’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের হাওড়ার ডোমজুড়ে পোস্টার-বিতর্কে ঝড় উঠল দিনভর। বুধবার সকালেই ডোমজুড়ের (Howrah) বাঁকড়া ১, ২, ৩-তিনটি অঞ্চলেই বেশ কিছু জায়গায় বিধায়ক কল্যাণ ঘোষের নাম জড়িয়ে ছাপানো ফ্লেক্স-পোস্টার দেখা যায়। উল্লেখ্য, বছরখানেক আগেও কল্যাণের নামে এরকম পোস্টার পড়ায় বিতর্ক শুরু হয়েছিল। এদিনের পোস্টারে সকলকে ইংরেজি নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি কল্যাণ ঘোষের নামে ধান্দাবাজ, জমি মাফিয়া, চোর, তোলাবাজ ইত্যাদি বিশেষণ যুক্ত করা হয়েছে। পোস্টারে অভিযোগ করা হয়েছে, ২০২৩ সালে সাধারণ মানুষের কোনও কাজ করা হয়নি। কিন্তু বিধায়ক নিজের প্রভাব খাটিয়ে সলপ হাই রোডে রাস্তার ওপর ১০টা বড় জমি দখল করে নিয়েছেন। পোস্টারের নীচে প্রচারে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীবৃন্দ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বিরোধীরা আড়ালে বলছেন, এ তো তৃণমূল বিধায়কের কাজেরই স্বীকৃতি। 

    কোন্দলেরই ফল? (Howrah)

    এই পোস্টারের বিষয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিরোধীদের দিকে আঙুল তোলা হচ্ছে। কিন্তু বিজেপির পক্ষে স্পষ্ট ভাবে ঘটনায় তাদের কোনও হাত নেই বলে জানানো হয়েছে। তৃণমূলেরই অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জন্য কল্যাণের বিরোধী গোষ্ঠীর লোকজন এই ঘটনায় যুক্ত থাকতে পারে বলে তারা দাবি করেছে। সিপিএম নেতা (Howrah) উত্তম বেরা বলেন, ‘এর আগেও কল্যাণ ঘোষকে কোণঠাসা করার জন্য ওঁর বিরোধী গোষ্ঠী সক্রিয় ছিল। ওঁকে জেলা পরিষদ আসনে গোঁজ প্রার্থী দিয়ে ভোট লুট করে হারানো হয়েছিল, একথা সবাই জানে। ওদের দলের কোন্দল রয়েছে। তারই ফল এই পোস্টার।’

    “জমি মাফিয়ারা কুৎসা রটাচ্ছে”

    কিন্তু যাঁর বিরুদ্ধে এই পোস্টার, সেই কল্যাণ ঘোষ বিরোধী বা দলের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর কারও নাম নেননি। তাঁর বক্তব্য, ‘তিনি বিধায়ক (Howrah) হওয়ার আগের দশ বছরে জমি মাফিয়া ও তোলাবাজরা একতরফা প্রচুর তোলা তুলেছে ও জমি দখল করেছে। তিনি বিধায়ক হওয়ার পর সেসব বন্ধ করেছেন বলেই তাঁর ওপর আক্রোশ থেকে সেইসব জমি মাফিয়ারাই কুৎসা রটাচ্ছে। এতে লাভ কিছু হবে না বলেও আত্মবিশ্বাসী তৃণমূলের হাওড়া সদরের সভাপতি কল্যাণ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: সম্মুখ সমরে পুরপ্রধান-মন্ত্রী, হাওড়ায় মাঝপথেই বন্ধ হয়ে গেল ক্রিসমাস কার্নিভাল

    Howrah: সম্মুখ সমরে পুরপ্রধান-মন্ত্রী, হাওড়ায় মাঝপথেই বন্ধ হয়ে গেল ক্রিসমাস কার্নিভাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্কিং নিয়ে গন্ডগোলের জের। নিরাপত্তার কারণে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল ক্রিসমাস কার্নিভাল। হাওড়া (Howrah) পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী জানান, যে ঘটনা ঘটেছে, তা অনভিপ্রেত। পার্কিং নিয়ে অভিযোগ ছিল শিবপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারির। এবিষয়ে তাঁর সাথে আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু মন্ত্রীর অনুগামীরা যেভাবে দীর্ঘক্ষণ কার্নিভালে জটলা পাকিয়ে একটা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছিল, তাতে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা ছিল। এমনকী তাঁকে সাংবাদিক সম্মেলন করতে বাধা দেওয়া হয়। পুলিশ থাকলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। সুজয়বাবু আরও বলেন, হাওড়ার ইকো পার্কে কার্নিভালের উদ্বোধন করেছিলেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। প্রচুর জনসমাগম হচ্ছে প্রতিদিন। ফলে এত মানুষের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে কার্নিভাল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এমনকী যেভাবে তাঁকে সাংবাদিক সম্মেলন করতে বাধা দেওয়া হয়েছে, তাতে তিনি নিজেও নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করছেন। তাই নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এদিন অনুষ্ঠান চলাকালীন কার্নিভাল শেষ হওয়ার অনেক আগেই তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

    কী বললেন প্রত্যক্ষদর্শীরা? (Howrah)

    ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ডালিয়া সাহা বলেন, কার্নিভাল চলাকালীন সন্ধ্যে সাড়ে পাঁচটা নাগাদ বেশ কয়েকজন যুবক কার্নিভালে আসে। তারা গাড়ি পার্কিং করতে গেলে এক ব্যক্তি তাদের থেকে পার্কিং ফিজ চায়। সেখান থেকেই গন্ডগোলের সূত্রপাত। কেন পার্কিং ফি নেওয়া হচ্ছে, পার্কিং ফি নেওয়ার তার কোনও সরকারি অর্ডার আছে কিনা, তা দেখতে চাওয়া হয়। কিন্তু যিনি পার্কিং নিচ্ছিলেন তিনি কোনও অর্ডার দেখাতে পারেননি। তা থেকেই দু পক্ষের মধ্যে গন্ডগোল শুরু হয়। সেখানে পার্কের (Howrah) দায়িত্বে থাকা এক যুবক পার্কিং করতে বলেছে বলে জানা যায়। তখন উত্তেজিত কুড়ি-পঁচিশ জন যুবক গিয়ে যে যুবক পার্কিং করতে বলেছিল, তাকে ধরে মারধর করতে শুরু করে। পুলিশ তাকে ছাড়িয়ে নেয় উত্তেজিত জনতার কাছ থেকে। ষষ্ঠী নারায়ণ ইকো পার্কের গেটের সামনেই এসব গন্ডগোল হয়। কিছুক্ষণ পরে বিধায়ক সেখানে আসেন। গন্ডগোল বাড়তে থাকায় ঘন্টাখানেক পরে কার্নিভালের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। যাঁরা কার্নিভালে এসেছিলেন, তাঁরাও গন্ডগোলের মধ্যে পড়ে অনেকে ফিরে যান। এখন তাঁরা খুবই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এভাবে গন্ডগোল হতে থাকলে তাঁঁরা পরের দিন থেকে বলে আসবেন না বলে অনেকেই জানিয়েছেন।

    কী অভিযোগ মন্ত্রীর? (Howrah)

    সন্ধ্যায় কার্নিভাল চত্বরে আসেন মন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি। তিনি বলেন, কার্নিভালে বেআইনিভাবে পার্কিংয়ে টাকা নেওয়া হচ্ছে। তাই খবর পেয়ে তিনি এসেছিলেন। কয়েকদিন আগে পার্কিং নিয়ে ঝামেলা হয়। থানায় অভিযোগ করা হয়। কিন্তু বেআইনি পার্কিং বন্ধ হয়নি। এবিষয়ে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। বিধায়ক আরও বলেন, তিনি এসে যখন দেখেন যে কোনও সরকারি বরাত ছাড়াই পার্কিংয়ের নামে টাকা তোলা হচ্ছে, তখন যারা টাকা তুলছিল, তাদের আটক করে আইসি-কে ডেকে পুলিশের (Howrah) হাতে তুলে দেন। এখন পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

  • Howrah: সাইকো কিলার? হাওড়ায় শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুন! ধৃতের বয়ানে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    Howrah: সাইকো কিলার? হাওড়ায় শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুন! ধৃতের বয়ানে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়ির কাছ থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যায় এক শিশুকন্যা। অনেক খোঁজাখুঁজির পর নিথর দেহ উদ্ধার হয় তার। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার (Howrah) উলুবেড়িয়ার একটি গ্রামে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ছয় বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের নাম এরশাদ মালি। তাকে গ্রেফতার করে পুলিশের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। সেই তথ্য হাতে পেয়ে পুলিশ কর্তারা হতবাক হয়ে গিয়েছেন।

    ধর্ষণ করে শিশুকন্যাকে শ্বাসরোধ করে খুন! (Howrah)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৩ ডিসেম্বর হাওড়ার (Howrah) উলুবেড়িয়ায় শিশুকন্যাটি বাড়ির সামনে খেলছিল। সেখান থেকেই রহস্যজনকভাবে সে নিখোঁজ হয়ে যায়। পাঁচ ঘণ্টা তল্লাশি চালানোর পরে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে, অন্য একটি বাড়ির পাঁচিলের ভিতরে মেয়েটির বস্তাবন্দি দেহ মেলে। তারপরেই ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু করে পুলিশ। সিসি ক্যামেরায় এরশাদকে সাইকেলে করে ওই বস্তা নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। রবিবার রাতে অভিযুক্ত এরশাদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় সে কবুল করে, বাড়ির সামনে থেকে মেয়েটিকে ভুলিয়ে কিছুটা দূরে বস্তির একটি ফাঁকা ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। তার পরে প্যান্ডেল বাঁধার কাপড়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে দেহ ব্যাগে ভরে।

    ধর্ষণে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে কী পেল পুলিশ?

    ধর্ষণে অভিযুক্ত এরশাদের বাড়ি কলকাতার মেটিয়াবুরুজে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সে বিদ্যুতের মিস্ত্রি হিসাবে একটি ঠিকা সংস্থার হয়ে হাওড়ার ওই গ্রামে কাজ করতে এসেছিল। এর পরেই তদন্তে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তকারীরা জানান, এর আগে ২০২০ সালেও এরশাদের বিরুদ্ধে কলকাতার একটি শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল। বরাতজোরে শিশুটি রক্ষা পায়। এরশাদকে সেই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে সে জামিন পায়। এবারও সেই একই কায়দায় ধর্ষণ করে খুন। সাইকো কিলার কি না, সেটা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: স্বামীজির স্মৃতিবিজড়িত স্থান ঘিরে এখন পার্কিং জোন, প্লেট ঢেকেছে মুহুরিদের প্লাস্টিকে

    Howrah: স্বামীজির স্মৃতিবিজড়িত স্থান ঘিরে এখন পার্কিং জোন, প্লেট ঢেকেছে মুহুরিদের প্লাস্টিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার যে রেজিস্ট্রি অফিসে বেলুড় মঠের জমি রেজিস্ট্রি করতে এসেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ স্বয়ং, সেই জায়গা এখন হয়ে উঠেছে পার্কিং জোন। ভবনের সামনের অংশে একটা প্লেট দেওয়া আছে ঠিকই, কিন্তু তা ঢেকে গিয়েছে মুহুরিদের টাঙানো প্লাস্টিকে। মহাপুরুষরা যেখানে যেখানে যান বা গিয়েছেন, তার প্রতিটি জায়গা হেরিটেজ বলে ঘোষণা করা সম্ভব নয়। কিন্তু যে সব জায়গায় মহাপুরুষদের স্মৃতি আছে, সেখানে একটা ফলক বসিয়ে দিলেই কি যথেষ্ট শ্রদ্ধা দেখানো হয় যায়? এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে অনেকের মনেই। তাছাড়া যেভাবে দায়সারা করে একটি মূর্তি বসিয়ে তার নীচে ফলক দেওয়া হয়েছেে, তাতে এই জায়গায় ঐতিহাসিক গুরুত্ব পথচারীরা জানতে পারছেন কিনা, সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। তাছাড়া নাগরিক সমস্যাও রয়েছে।

    দুর্ঘটনা এখানে লেগেই থাকে

    বিবেকানন্দের মূর্তি ফুটপাতের যেখানে বসানো হয়েছে, তার দুপাশ ঘেরা। ফলে পথচারীরা এই ফুটপাত দিয়ে চলাফেরা করতে পারেন না। সামনে আবার সার সার গাড়ি দাঁড়িয়ে। বাধ্য হয়েই এখানে ফুটপাতের বদলে রাস্তা ধরে যাতায়াত করতে হয়। রেজিস্ট্রি অফিস, হাওড়া আদালত, হাওড়া পুরসভা ও জেলা পরিষদে আসা লোকজনের ভিড় থাকে প্রতিদিনই। কোর্ট ও রেজিস্ট্রি অফিসেও নিত্যদিনের ভিড় যথেষ্ট। হাটের দিন আবার দশগুণ ভিড় হয়। ফলে ছোট ও মাঝারি দুর্ঘটনা এখানে লেগেই থাকে। উল্টো দিকেই হাওড়া জেলাশাসকের অফিস, কাছেই হাওড়া থানা ও পুলিশ কমিশনারের অফিস। তাও এই জায়গার চরম অব্যবস্থা কেন কারও চোখে পড়ে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন আদালতে প্রায়ই যাঁরা নানা কাজে আসেন তাঁরা। হাওড়ার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে এই জায়গায় নিত্য আসতেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু কোথায় সেই ফলক রয়েছে, তা বলে না দিলে কেউ খুঁজেও পাবে না। সময়ের সঙ্গে এই জায়গার ব্যস্ততা বেড়েছে। ভিড় বেড়েছে। ভবনের সংস্কার হয়েছে, কাছাকাছির মধ্যে নির্মাণ হয়েছে। কিন্তু ঐতিহ্যকে যে অবহেলা করে সেসব করা হয়েছে, তা সাধারণের চোখে এমনিতেই ধরা পড়ে যায়। আর নানা রকম কর্মকাণ্ড হলেও পথচারীদের নিরাপত্তাকে যে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি, তাও স্পষ্ট।

    পরিকল্পনার অভাব

    এই জায়গায় নতুন করে কিছু করা এই মুহূর্তে সম্ভব না হলেও, বঙ্কিম সেতু ও জি টি রোডের সংযোগস্থলে যেখানে ট্যাক্সি স্ট্যান্ড গজিয়ে উঠেছে, হাওড়া ময়দান মেট্রো প্রকল্পের কাজ চলাকালীন সেখানে কেন পার্কিং লট বানানো হল হল না, সেই প্রশ্নও উঠছে। এই এলাকায় ছবি গত দশ বছরে পুরো বদলে গিয়েছে। কিন্ত যা হয়েছে তার কিছুই যে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করে করা হয়নি তা স্পষ্ট। এখনও মেট্রো রেল চালু হয়নি। এখনই সরকারি স্তরে উদ্যোগ শুরু হলে নিউ মার্কেটের মতো এখানেও মাটির নিচে পার্কিং লট তৈরি করে রাস্তা ও ফুটপাত সাধারণের চলাচলের উপযোগী করা যায়।

    পুরসভা অন্ধকারে

    অন্যদিকে হাওড়া আদালতের সামনে হাওড়া পুরসভা অনুমোদিত যে পার্কিং জোন রয়েছে, তার আয়তন কতটা, তার সঠিক তথ্য নেই পুরসভার কাছেই। ফলে পার্কিং ফি নেওয়ার দায়িত্ব যে এজেন্সির কাছে, তারা যথেচ্ছ ভাবে ডবল লাইন করে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিংয়ের অনুমতি দেয়। আর এর ফলেই যানজট এবং মাঝেমধ্যেই পার্কিংকে কেন্দ্র করে গন্ডগোল লাগে এখানে। কয়েক বছর আগে ডবল লাইনে পার্কিংকে কেন্দ্র করে আইনজীবীদের সঙ্গে গন্ডগোলে উত্তাল হয়ে উঠেছিল হাওড়া ময়দান এলাকা। এমনকী র‍্যাফ নামিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়। হাওড়া পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, হাওড়া আদালতের সামনে পার্কিং ঠিক কতটা জায়গা জুড়ে রয়েছে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। যদি রেজিস্ট্রি অফিসের কাছে পার্কিংয়ের অনুমতি না থাকে তাহলে সেখান থেকে পার্কিং তুলে দেওয়ারও উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: আগুনে পুড়ে ছাই শতাধিক বাড়ি, শীতে খোলা আকাশের নীচে বাসিন্দারা

    Howrah: আগুনে পুড়ে ছাই শতাধিক বাড়ি, শীতে খোলা আকাশের নীচে বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গেল হাওড়ার (Howrah) ব্যাটরা থানার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের কাছে ড্রেনেজ ক্যানাল রোডের ধারে একটি বস্তি।  প্রায় শতাধিক ঝুপড়ি বাড়ি সম্পূর্ণভাবে পুড়ে গিয়েছে। যার জেরে সর্বহারা হলেন কয়েকশো মানুষ। এই কনকনে শীতের মধ্যে মাথার ছাদ টুকু চলে গেল সবার। আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে, দমকলের প্রাথমিক অনুমান গ্যাস সিলিন্ডার লিক করে আগুন লাগতে পারে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Howrah)  

    মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ হঠাৎ করেই হাওড়ার (Howrah) ড্রেনেজ ক্যানেল রোডের ওই  ঝুপড়ির একটি বাড়িতে আগুন লাগে। তারপর সেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে পাশের ঝুপড়ি বাড়ি গুলিতে। কাঁথা কম্বল থেকে শুরু করে কাঠ, বাঁশের বেড়া, চাঁচের ঘর এই সব থেকে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, তা দেখে ঝুপড়ির বাসিন্দারা ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন রাস্তায়। তারপর বস্তির ঘরে  থাকা গ্যাস সিলিন্ডার গুলিতেও আগুন লেগে বিস্ফোরণ হতে থাকে। আগুন আরও ভয়াবহ আকার নেয়। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে নিজেরাই ঘরের মধ্যে যা জল ছিল এবং পাশে একটি ঝিল থেকে জল তুলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু, তাতেও আগুন নেভানো যায়নি। তারপর তারা ব্যাটার থানায় এবং পরে দমকলে খবর দেন। হাওড়া ময়দান দমকল কেন্দ্র থেকে দমকলের ছটি ইঞ্জিন দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। পরে, আরও চারটি ইঞ্জিন আসেন। মোট ১০টি ইঞ্জিন একযোগে কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও আগুন এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে যে বস্তির কোনও কিছুই আস্ত পাওয়া যায়নি। আসবাব থেকে বস্তির বেড়া পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, রান্নার থালা, গ্লাস, বাটি আগুনে দুমড়ে মুচড়ে দলা পাকিয়ে গেছে।

    বস্তিবাসীদের কী বক্তব্য?

    কল্যাণী অধিকারী নামে এক বাসিন্দা বলেন, হঠাৎ করেই দেখলাম ঘর থেকে ধোঁয়া উড়ছে। ঘর বের হতেই সম্পূর্ণ বাড়িটা পুড়ে ছাই হয়ে গেল। কোনও কিছুই ঘর থেকে বের করতে পারলাম না। এখন এই ঠান্ডায় পরিবার নিয়ে কোথায় যাব, কোথায় রাত কাটাবো, কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। অসীমা দলুই নামে এক বাসিন্দা বলেন, এমনিতেই অভাবের সংসার। কোনও রকমে রিকশা টেনে সংসার চলে। এই বস্তিতে মাথা গোঁজার আশ্রয় নিয়েছিলাম। আগুনে পুড়ে সেটাও চলে গেল। এখন কী করবো কিছুই বুঝতে পারছি না।

    দমকলমন্ত্রী কী বললেন?

    হাওড়া (Howrah) পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী ঘটনাস্থলে আসেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি বলেন, কী করে আগুন লাগলো তা তদন্ত করে দেখা হবে। তবে, যাদের বাড়ি পুড়েছে তাদের জন্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের টাকায় তাঁদের বাড়িগুলি তৈরি করে দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: তৃণমূলের প্রতীকে কুপন ছাপিয়ে চলছে তোলাবাজি, জেলাজুড়ে শোরগোল

    Howrah: তৃণমূলের প্রতীকে কুপন ছাপিয়ে চলছে তোলাবাজি, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের বিরুদ্ধে বার বারই কাটমানি, তোলাবাজির অভিযোগ করে বিরোধীরা। সেই অভিযোগ যে সত্যি তার প্রমাণ মিলল এবার হাওড়ার (Howrah) শ্যামপুরে। রক্তদান শিবিরের নামে চলছে তোলাবাজি। ব্যবসায়ীদের থেকে বেশি টাকা নিয়ে ৫০ টাকার রসিদ দেওয়ার হচ্ছে। তৃণমূলের প্রতীক কুপন ছাপিয়ে অবাধে চলছে তোলাবাজি। যা নিয়ে জেলাজুড়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    ভালোবেসে দিচ্ছে, চাঁদা কেটে দিচ্ছি, সাফাই আয়োজক তৃণমূল নেতার (Howrah)  

    ১ জানুয়ারি হাওড়ার শ্যামপুর বাছরী অঞ্চল যুব তৃণমূলের উদ্যোগে এলাকায় স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির হওয়ার কথা রয়েছে। রক্তদান করলেই রক্তদাতাদের এই শীতে কম্বল দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। শিবিরের মুখ্য আয়োজক তৃণমূলের যুব অঞ্চল সভাপতি রেজুয়ান আলি খান ও যুব অঞ্চল সম্পাদক সাগর দে চাঁদা তোলার বিষয়টি মেনে নিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, রক্তদান একটি সামাজিক কাজ। কিন্তু এর জন্য অনেক খরচ। মানুষই ভালবেসে টাকা দিচ্ছেন। আমরা চাঁদা কেটে দিচ্ছি। তোলাবাজির কোনও বিষয় নেই।

    তৃণমূলের তোলাবাজি, সরব এলাকাবাসী

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, নিজেদের দলের রক্তদান শিবির। তারজন্য সাধারণ মানুষের কাছে কেন চাঁদা নেওয়া হচ্ছে। সিপিএম একসময় কৌট নাচিয়ে তোলাবাজি করত। এই দলের অবস্থাও এরকম হবে। আসলে রক্তদানকে সামনে রেখে তৃণমূল নেতারা এলাকা থেকে মোটা টাকা তুলছে। এক ব্যবসায়ী বলেন, ১০০ টাকা চাঁদা নিয়ে ৫০ টাকার রসিদ দেওয়া হচ্ছে। শাসক দলের লোকজন রক্তদান শিবির করছে। ফলে, কিছু বলার নেই।

     তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    হাওড়া (Howrah) গ্রামীণের তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা বলেন, দলীয় প্রতীক ব্যবহার করে কোনও চাঁদা তোলা যায় না। এটা কেন হচ্ছে, জানি না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব। সাধারণ মানুষের থেকে কোনও টাকা নেওয়া যাবে না। হাওড়া গ্রামীণ জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেন, রক্তদান সামাজিক কাজ। এটা আমাদের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। এখানে কুপন কেটে চাঁদা তোলা ঠিক নয়।

    রক্তদান শিবিরে তোলাবাজি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    হাওড়ার  শ্যামপুরের কংগ্রেস নেতা আতিয়ার রহমান বলেন, দলটাই দুর্নীতিতে ভরা। রক্তদান শিবিরের মতো সামাজিক কাজ করতেও তোলাবাজি করছে। এর থেকে লজ্জার আর কিছুই নেই। শ্যামপুরের বিজেপি নেতা কৌশিক চক্রবর্তী বলেন, তৃণমূলের রাজত্বে তোলাবাজিও এখন একটা বড় শিল্প। আসলে সামনে লোকসভা ভোটের জন্য তৃণমূল এভাবেই  ধীরে ধীরে টাকা তুলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Michaung: মিগজাউমের দাপট! চেন্নাইয়ে চিকিৎসা করাতে গিয়ে আটকে হাওড়ার পরিবার

    Cyclone Michaung: মিগজাউমের দাপট! চেন্নাইয়ে চিকিৎসা করাতে গিয়ে আটকে হাওড়ার পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘুর্ণিঝড় মিগজাউমের (Cyclone Michaung) দাপটে রাজ্যে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই টানা বৃষ্টি হচ্ছে। গত দুদিন আকাশের মুখ ভার ছিল। বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েছে। এই ঘুর্ণিঝড়ের কারণে তামিলনাডুতে আটকে রয়েছেন মুর্শিদাবাদের বেশ কিছু পরিযায়ী শ্রমিক। বহু অঞ্চল জলে ডুবে থাকায় একপ্রকার অনাহারে ভুগছেন ওই সমস্ত শ্রমিকেরা। মাথা গোঁজার জায়গাটুকুও নেই তাঁদের। কেউ কেউ বাস করছেন তালপাতার ঘরে। বাড়ি ফেরার টাকাও নেই অনেকের কাছে। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে সেই চিন্তায় রয়েছেন এই রাজ্যের ওই পরিযায়ী শ্রমিকেরা।

    দুর্যোগে (Cyclone Michaung) আটকে মুর্শিদাবাদের পরিযায়ী শ্রমিকরা

    জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ জেলার হরিহরপাড়া, নওদা ব্লকের প্রায় ৩০ জন শ্রমিকের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। মিগজাউমের (Cyclone Michaung) প্রভাবে তামিলনাডুর বিভিন্ন এলাকায় তাঁরা আটকে রয়েছেন। তাঁরা জেলা প্রশাসনের কাছে মোবাইলের মাধ্যমে বাড়ি ফেরানোর আর্জি জানিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, চারদিকে জল। চরম আতঙ্কে রয়েছি। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে তা বুঝতে পারছি না। বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করলে খুব ভালো হয়। খুব কষ্টে আছি।

    চিকিৎসা করাতে গিয়ে দুর্যোগের কবলে পড়ে হাসপাতালে আটকে হাওড়ার বাসিন্দা

    চেন্নাইয়ে ক্যান্সার আক্রান্তের চিকিৎসা করাতে গিয়ে দুর্যোগের (Cyclone Michaung) কবলে পড়ে হাসপাতালে আটকে হাওড়ার সন্ধ্যাবাজারের একই পরিবারের ছয় সদস্য। জলমগ্ন অবস্থার কারণে ট্রাকে করে রোগীদের স্থানান্তরিত করতে হচ্ছে। দু’দিন ধরে কোনওরকমে খাবারের ব্যবস্থা করেছে সেখানকার হাসপাতাল। বুধবার থেকে তাও বন্ধ। ভিডিও কলে সেই শোচনীয় পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন চেন্নাইয়ে আটকে পড়া পরিবারের সদস্য মহম্মদ আজম খান।

    মিগজাউমের প্রভাবে ক্ষতি

    মিগজাউমের (Cyclone Michaung) প্রভাব অন্ধ্রপ্রদেশের তুলনায় তামিলনাড়ুতেই বেশি পড়েছে। ইতিমধ্যে চেন্নাইয়ে মারা গিয়েছেন সতেরো জন। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে অস্বাভাবিক বেশি পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছ চেন্নাই ও তামিলনাড়ুতে। ঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যস্ত অন্ধ্রপ্রদেশও। ৭৭০ কিলোমিটার রাস্তা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, ১৯৪টি গ্রামের ৪০ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্লাবিত ২৫টি গ্রাম।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share