Tag: Howrah

Howrah

  • TMC: ব্যবসার বখরা নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তাল বালি, গ্রেফতার ৪২

    TMC: ব্যবসার বখরা নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তাল বালি, গ্রেফতার ৪২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তাল বালির নিশ্চিন্দা থানার কালিতলা সাহেববাগান বাগান এলাকা। ব্যবসার বখরা নিয়ে প্রথমে দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলার শুরু হয়, এরপরে জল গড়ায় হাতাহাতি, মারামারি এবং ভাঙচুর পর্যন্ত। এই সংঘর্ষ থামাতে এলাকায় পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে উত্তেজনা থামাতে বেলুর, লিলুয় থানার পুলিশকেও মাঠে নামতে হয়। ইতি মধ্যে ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে ৪২ জন। এলাকাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয়েছে বিশাল র‍্যাফ বাহিনী।

    কিভাবে ঘটল ঘটনা (TMC)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালিতলা-সাহেব বাগান এলাকার তিন তাবড় তৃণমূল (TMC) নেতাদের মধ্যে হলেন, খোকন গায়েন, ষষ্ঠী গায়েন এবং অসিত গায়েন। তিনজনেই বিশেষ সম্পর্কে ভাই তাঁরা। মূল বিবাদ হয় খোকন-ষষ্ঠীর সঙ্গে অসিতের। সোমবার ঠিক সন্ধ্যার সময় ব্যবসার বখরা নিয়ে প্রথমে মিটিং হয়। এরপর এক গোষ্ঠী অপর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক হয়ে পড়ে। শুরু হয় ব্যাপক হাতাহাতি। অসিত নিজে দারুণ ভাবে আহত হন এবং তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সূত্রে আরও জানা গেছে ঘটনার জেরে এক পানশালায় ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। সেখানে আসা অনেক মানুষ আক্রান্ত হন বলে জানা গেছে। ষষ্ঠী গায়েন বলেন, “আমি বিষয় সম্পর্কে কিছু জানিনা। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।”

    পুলিশের ভূমিকা

    এলাকায় তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে উত্তেজনা ছড়ালে পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আশে পাশের থানা থেকেও প্রচুর পুলিশ নামানো হয়। ৪২ জনকে এই ঘটনায় ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাতের উত্তেজনা কমলেও, মঙ্গলবার সকলে ফের আক্রান্ত গোষ্ঠীর মহিলারা অপর পক্ষের বাড়িতে হামলা করে। পরিস্থিতিকে ক্ষতিয়ে দেখতে এলাকায় পৌঁছান তৃণমূল বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ।

    বিধায়কের বক্তব্য

    ডোমজুড়ের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, “পুলিশ এলাকায় ভালো করে কাজ করছে না। সমাজ বিরোধীরা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। এখানে প্রার্থী হয়েছিল অসিত গায়েন। বিজেপির চক্রান্তে এখানে এই গোলমালের ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসনকে বলব দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তি দিক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: বন্ধ কোণা এক্সপ্রেসওয়ের একটি লেন, কোমর জল কোটি টাকার আন্ডারপাসে, ভোগান্তি

    Howrah: বন্ধ কোণা এক্সপ্রেসওয়ের একটি লেন, কোমর জল কোটি টাকার আন্ডারপাসে, ভোগান্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে গত তিনদিন ধরে জলে ডুবে রয়েছে হাওড়ার (Howrah) কোণা এক্সপ্রেসওয়ের উপর গড়পা সেতুর আন্ডারপাস। যার জেরে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। হাওড়া জেলা প্রশাসন এবং পূর্ত দফতরের জাতীয় সড়ক শাখার পদস্থ ইঞ্জিনিয়ারদের পাশাপাশি হাওড়া সিটি পুলিশ ও পুরসভার কর্তারা একাধিক ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করেও পরিস্থিতির বিন্দুমাত্র উন্নতি ঘটাতে পারেননি। ফলে, ভোগান্তির শেষ নেই।

    আন্ডারপাসে কোমর সমান জল, ভোগান্তি (Howrah)

    কোণা এক্সপ্রেসওয়ের গড়পা এলাকায় একটি সেতুর পাশাপাশি সেখানকার সবচেয়ে নিচু জমিতে এই আন্ডারপাস তৈরি করেছিল রাজ্য পূর্ত দফতরের জাতীয় সড়ক বিভাগ। কয়েক কোটি টাকা খরচ করে মাত্র মাস পাঁচেক আগে সেটির উদ্বোধন করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাওড়ার (Howrah) কোণা এক্সপ্রেসওয়ের উপরে গড়পা সেতুর সেই আন্ডারপাসে কোমর সমান জল হওয়ায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে, কোণা এক্সপ্রেসওয়ের কলকাতামুখী একটি লেন পুরো বন্ধ রেখে অন্য লেন দিয়ে দু’দিকে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। চরম নাকাল হতে হচ্ছে পথচারীদের। পাশাপাশি গত তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে হাওড়া পুরসভার ২০টি ওয়ার্ড। বেলগাছিয়া ভাগাড়ে ধস নামার কারণে মূল নিকাশি নালা এখনও বুজে আছে। তাই পুজোর আগে জলে প্লাবিত উত্তর হাওড়া, বেলগাছিয়া ও টিকিয়াপাড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই জায়গাটি অত্যন্ত নিচু হওয়ায় আগে ভারী বৃষ্টি হলে সেই জল উনসানি, নয়াবাজ বা শীতলাতলা দিয়ে বেরিয়ে যেত। কিন্তু, জগাছায় একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ তৈরি হওয়ার সময় কয়েক একর জলাজমি বুজিয়ে ফেলা হয়। ফলে, বৃষ্টির সব জল এসে জমতে শুরু করে নিচু ওই এলাকায়। মূল জলাধার বলতে ছিল ওই জলাজমিটি। সেটি বেআইনিভাবে বুজিয়ে দেওয়ায় সব জল এসে জমা হচ্ছে এই আন্ডারপাসে। তা আর বের হওয়ার পথ পাচ্ছে না।

    প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    পূর্ত দফতরের জাতীয় সড়ক বিভাগের এক ইঞ্জিনিয়ার বলেন, আন্ডারপাসে যাতে এলাকার জল না ঢোকে, তার জন্য বিভিন্ন নিকাশি নালার মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় লোকজন সেগুলি খুলে দেওয়ায় এই বিপত্তি। হাওড়া (Howrah) পুরসভার চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী বলেন, টানা বৃষ্টির জন্য জল জমছে। বেলগাছিয়া ভাগাড়ে ধসের জন্য মূল নিকাশি নালাটি অবরুদ্ধ হয়ে থাকায় জলমগ্ন হয়েছে উত্তর হাওড়া ও বেলগাছিয়া। জল বের করতে ৫০টি পাম্প কাজ করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: পড়ুয়ার সংখ্যা শূন্য, শিক্ষক দশ জন! হাওড়ার স্কুলে আজব কাণ্ড, কী করছে প্রশাসন?

    Howrah: পড়ুয়ার সংখ্যা শূন্য, শিক্ষক দশ জন! হাওড়ার স্কুলে আজব কাণ্ড, কী করছে প্রশাসন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলে মাত্র দশ জন শিক্ষিকা। দুজন অশিক্ষক কর্মচারী। প্রত্যেকেই নিয়ম করে প্রতি মাসে মোটা টাকা বেতন পাচ্ছেন। এই স্কুল চালু রাখতে রাজ্য সরকারকে গুণতে হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। অথচ পড়ুয়ার সংখ্যা শূন্য। এমনই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে হাওড়ার (Howrah) শিবপুরের যমুনাবালা বালিকা বিদ্যালয়ে। তাই শিক্ষিকারা কার্যত আসি যাই মাইনে পাই পরিস্থিতিতে কাজ করে চলেছেন। এভাবে টাকা জলে দেওয়ার অর্থ খুঁজে পাচ্ছেন না এলাকাবাসী।

    পড়ুয়াহীন স্কুলে এসে কী করেন শিক্ষকরা? (Howrah)

    স্কুলটি রাজ্যের প্রশাসনিক হেড কোয়ার্টার নবান্ন থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে। স্কুলে প্রাথমিকের পাশাপাশি মাধ্যমিক বিভাগও চালু আছে। একটা সময় এই স্কুলে দুটি বিভাগে বেশ ভালই ছাত্রী ছিল। কিন্তু, গত কয়েক বছরে ছাত্রীর সংখ্যা কমতে থাকে। কোভিড পরিস্থিতির পর স্কুল খুললে পড়ুয়ার সংখ্যা তলানিতে ঠেকে যায়। এই মুহূর্তে প্রাথমিক বাংলা মাধ্যম বিভাগে শুধু ১৬ জুন পড়ুয়া আছে। প্রধান শিক্ষক ও সহ শিক্ষক মিলিয়ে তিনজন। বাকি সব বিভাগে পড়ুয়া শূন্য। জানা গিয়েছে, প্রাথমিকের ইংরেজি বিভাগে পড়ুয়ার সংখ্যা শূন্য। এই বিভাগে দুজন শিক্ষিকা রয়েছেন। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মাধ্যমিক বিভাগে। সেখানে দশ জন শিক্ষিকা এবং দুজন অশিক্ষক কর্মচারী রয়েছে। ছাত্রী সংখ্যা সেখানেও শূন্য। ফলে, শিক্ষিকারা প্রতিদিন স্কুলে এলেও কার্যত কোনও ক্লাস না করেই বেতন পাচ্ছেন। তারা স্কুলে এসে বেশিরভাগ সময়ই কেউ মোবাইলে ব্যস্ত অথবা কেউ  গল্পের বই পড়ে সময় কাটাচ্ছেন।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, একটা সময় এই স্কুলের দুটি বিভাগে ভালো সংখ্যক পড়ুয়া ছিল। কিন্তু, কয়েক বছর পড়ুয়ার সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে কমতে থাকে। কোভিডের  পর পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। তারা জানাচ্ছেন প্রাথমিকের হাতে গোনা পড়ুয়া থাকলেও মাধ্যমিক বিভাগে পড়ুয়ার সংখ্যা শূন্য। স্কুল বিল্ডিং এর অবস্থা জরাজীর্ণ। স্কুল প্রাঙ্গনে ঝোঁপঝাড়ে ভর্তি। চারদিকে আবর্জনার স্তুপ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। ক্লাসরুমগুলি স্যাতস্যাতে ও অন্ধকার। হাওড়ার (Howrah) কোণা এক্সপ্রেসওয়ের ধারে ওই স্কুলটি হওয়ায় সেখানে বাচ্চাদের পাঠাতে তারা ভয় পান। তার ওপরে স্কুল ভবনটির এতটাই জরাজীর্ণ অবস্থা যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই দ্রুত মেরামতি দরকার। স্থানীয় বাসিন্দারা চাইছেন সরকার ব্যবস্থা নিক যাতে স্কুল যেন তার পুরানো অবস্থায় ফিরে আসে।

    স্কুলের এক শিক্ষিকা কী বললেন?

    এদিকে প্রাথমিকের এক শিক্ষক বলেন, আশেপাশে বেশ কয়েকটি স্কুল হয়ে যাওয়ায় এবং সামনে কোণা এক্সপ্রেসওয়ের কারণে অনেক অভিভাবকরা স্কুলে বাচ্চাকে পাঠাচ্ছেন না। এছাড়াও স্কুল বাড়ির অবস্থা ভালো নয়। মাধ্যমিক বিভাগের টিচার ইনচার্জ এ ব্যাপারে কিছু বলতে অস্বীকার করেন।

    স্কুল কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    হাওড়া (Howrah) জেলা মাধ্যমিক বিভাগের ডিআই অজয় কুমার পাল জানিয়েছেন, ওই স্কুলটি সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। পড়ুয়া না থাকায় শিক্ষিকাদের অন্য স্কুলে সরিয়ে দেওয়া হবে।  ডিস্ট্রিক্ট প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, হাওড়া শহর এলাকায় বেশ কিছু প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা কমে যাওয়ায় শিক্ষক শিক্ষিকাদের অন্য স্কুলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে, স্কুলগুলোকে পুরোপুরি বন্ধ করা হচ্ছে না। ফের যদি পড়ুয়ারা স্কুলে ভর্তি হয় তবে স্কুলগুলোতে শিক্ষক দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: “যাদের পোড়া বিড়ি জুটত না, তারা সব প্লেনে করে দিল্লি যাচ্ছে”, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Howrah: “যাদের পোড়া বিড়ি জুটত না, তারা সব প্লেনে করে দিল্লি যাচ্ছে”, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধুমাত্র নিয়ম রক্ষার ঝাড়ু দেওয়াই নয়। রীতিমতো রাস্তায় দাঁড়িয়ে রাস্তার ধুলো ও নোংরা-আবর্জনা পরিষ্কার করে, নিজের হাতে ফেললেন সেসব। সেই সঙ্গে কোদাল দিয়ে আবর্জনা পরিষ্কার করে সেখানে ছড়িয়ে দিলেন ব্লিচিং পাউডার। এভাবেই প্রকৃত অর্থে স্বচ্ছ ভারত অভিযান শুরু করলেন বিধানসভার রাজ্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। হাওড়া (Howrah) জেলা বিজেপির উদ্যোগে ডুমুরজলা স্টেডিয়াম সংলগ্ন বাজারের কাছে স্বচ্ছ ভারত কর্মসূচিতে অংশ নেন তিনি। এরপর দিল্লি যাত্রা সম্পর্কে তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করেন।

    পুর অঞ্চলের স্বচ্ছতা নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু?

    শুভেন্দু অধিকারী এদিন হাওড়ায় (Howrah) স্বচ্ছ ভারত অভিযানে অংশগ্রহণ করে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশ জুড়ে স্বচ্ছ ভারত অভিযানে অংশ নেওয়ার যে আবেদন জানিয়েছেন, তাতেই শামিল হয়েছে গোটা দেশ। সর্বত্র এই অভিযান পালিত হচ্ছে। এই অভিযানের উদ্দেশ্য যতটা না বেশি পরিমাণে সাফাই করা, তার থেকেও বড় ব্যাপার হল মানুষের মধ্যে স্বচ্ছতার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতার প্রচার-প্রসার করা।”

    অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সমগ্র পুর এলাকায়(Howrah)

    হাওড়া (Howrah) পুর এলাকায় নানা জায়গায় ঘুরে দেখে সর্বত্র নোংরা-আবর্জনা ছড়িয়ে থাকার কথা বলেন শুভেন্দু। চারদিক অত্যন্ত দুর্গন্ধময় এবং অপরিষ্কার। মাস্ক ছাড়া হাঁটা মুশকিল। নিষিদ্ধ প্লাস্টিক পড়ে রয়েছে যত্রতত্র। মলমূত্র, নোংরা-আবর্জনায় ভরে আছে রাস্তার ধার। নিকাশি নালাগুলিও পরিষ্কার করা হয়নি। এতে শারীরিক ভাবে অসুস্থ হতে পারেন সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে মশা মারার তেল নিয়মিত দেওয়া হচ্ছে না। ডেঙ্গির মশার আঁতুড়ঘর হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুভেন্দু তাই বলেন, “পুরসভায় নির্বাচন কবে হবে, সেটা তো আমাদের ভাবার কথা নয়। কেউ তো বর্তমানে পুরসভার দায়িত্বে আছেন। তাঁর নেতৃত্বে কর্মীদের কাজ করা দরকার।”

    সাফাই কর্মীরা শুভেন্দুর কাছে অভিযোগ করছিলেন যে তাঁরা নিয়মিত বেতন পান না। সাফাইয়ের জিনিসপত্র দেওয়া হয় না। তাই তাঁরা ধর্মঘটে যাওয়ার কথা ভাবছেন। তিনি সাফাই কর্মীদের আবেদন করেছেন, পুজোর আগে, এই মুহূর্তে ধর্মঘটে না গিয়ে আবেদন-নিবেদনের মাধ্যমে তাঁদের দাবি আদায় করতে।

    দিল্লি যাত্রা নিয়ে কটাক্ষ

    হাওড়ায় (Howrah) শুভেন্দু অধিকারী এদিন বলেন, “গোটা তৃণমূল কংগ্রেস মানেই প্রতিষ্ঠিত চোর। সব বাজারগুলিতে ছোট ছোট ঘুমটি রেখেছে। পুরসভা পাঁচ টাকা পেলে, তৃণমূল দশ টাকা পায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভাইপোর নেতৃত্বে প্রাতিষ্ঠানিক চুরি চলছে সর্বত্র। তৃণমূল কংগ্রেসের দিল্লি অভিযান প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “যাদের পোড়া বিড়ি জুটত না, গিটি লাগানো টায়ারের সাইকেল চড়ত, তারা সব প্লেনে করে দিল্লি যাচ্ছে। কাল তো আমরাও দেখতে চাই কত লক্ষ লোক দিল্লি যায়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: আদিবাসী সমাজের বিক্ষোভে অবরুদ্ধ ধর্মতলা, প্রবল যানজট, চূড়ান্ত হয়রানির শিকার নিত্যযাত্রীরা

    Howrah: আদিবাসী সমাজের বিক্ষোভে অবরুদ্ধ ধর্মতলা, প্রবল যানজট, চূড়ান্ত হয়রানির শিকার নিত্যযাত্রীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক মদতে কুড়মি-মাহাতোরা জোর করে তফসিলি জনজাতির তকমা পেতে চাইছেন। আর এই ঘটনার প্রতিবাদে আদিবাসী সমাজের উপর দমন পীড়নের প্রতিবাদে পথে নেমেছে ‘ইউনাইটেড ফোরাম অফ অল আদিবাসী অর্গানাইজেশন্‌স’। প্রতিবাদে বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠনের সদস্যরা মিছিল করে কলকাতার রানী রাসমণি রোডের এই সমাবেশে উপস্থিত হন। এর ফলে প্রবল যানজটে অবরুদ্ধ হয় কলকাতা সহ হাওড়া (Howrah) জেলার নানা জায়গা। নিত্যযাত্রী, সাধারণ মানুষকে পড়তে হয় ব্যাপক হয়রানিতে। আদিবাসী সমাজ এই যানজটের দায় চাপিয়েছে পুলিশের উপর।

    প্রতিবাদ সমাবেশে মূল দাবি কি?

    ‘ইউনাইটেড ফোরাম অফ অল আদিবাসী অর্গানাইজেশন্‌স’-এর পক্ষ থেকে এই সভায় তাদের দাবি করা হয়, তাঁদের ছাড়া অন্য কাউকে ‘সিডিউল ট্রাইব’-এর মর্যাদা দেওয়া যাবে না। অবিলম্বে নকল এসটি সার্টিফিকেট ইস্যু বন্ধ করতে হবে। ২০০৬ সালের বন্য আইন সারা রাজ্যে চালু করারও দাবি জানান তাঁরা। সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য, বিভিন্ন জেলা থেকে হাওড়া (Howrah) স্টেশনে এসে জড়ো হন হাজার হাজার আদিবাসী সমাজের মানুষ।

    হাওড়ায় (Howrah) ব্যাপক যানজট

    আজ, হাওড়া (Howrah) স্টেশন থেকে হাওড়া ব্রিজ হয়ে, মিছিল করে, ধর্মতলায় রানী রাসমণি রোডে সভায় অংশ নিতে যান আন্দোলনকারীরা। অনেকে আবার লঞ্চ পেরিয়েও ধর্মতলা পৌঁছান। আদিবাসীদের এই মিছিলের জেরে হাওড়া এবং কলকাতায় ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। হাওড়া ব্রিজে যান চলাচল ব্যাহত হয়। হাজার হাজার লোকের মিছিলের জেরে হাওড়া ব্রিজে বেশ কয়েক দফা যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে চরম বিপাকে পড়েন হাজার হাজার নিত্যযাত্রী। শুধুমাত্র হাওড়া ব্রিজ নয় হাওড়া ময়দান এবং সালকিয়া পর্যন্ত এই যানজট বিস্তৃত হয়।

    অবরুদ্ধ কলকাতা

    কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের তরফে পোস্ট করে জানানো হয়, মিছিলের জেরে অবরুদ্ধ ধর্মতলা ক্রসিং, গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ, লেনিন সরণী, জহরলাল নেহরু রোড, রেড রোড, বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট এবং মেয়ো রোড। হাওড়া (Howrah) ও কলকাতায় এই যানজটের জেরে আটকে পড়েন হাজার হাজার অফিস যাত্রী। তাঁদের পায়ে হেঁটে পৌঁছাতে হয় অফিসে। এর জেরে অনেকেই দেরিতে অফিস পৌঁছান। হাওড়া ব্রিজ, স্ট্র্যান্ড রোড,  ব্র্যাবোর্ন রোড সহ বিভিন্ন রাস্তায় গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে।

    আদিবাসী সংগঠনের বক্তব্য

    হাওড়া (Howrah) ও কলকাতায় এই ব্যাপক যানজটের কথা তুলে ধরে আদিবাসী সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, “পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আমরা এই সমাবেশে যোগ দিয়েছি। ফলে যানজটের সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে পুলিশের আগে থেকে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। পুলিশের আগে থেকেই ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করেনি। তাই সব দায় পুলিশের। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: হাওড়ার দাশনগর, জগাছায় আচমকা সিবিআই হানা, কেন জানেন?

    CBI: হাওড়ার দাশনগর, জগাছায় আচমকা সিবিআই হানা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার হাওড়ার দাশনগর এবং জগাছা থানা এলাকার একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযানে নামে সিবিআই (CBI)। সূত্রের খবর, দাশনগর থানার আলামোহন দাস রোডে কৌশিক মাজি এবং জগাছার পার্থ সেনের বাড়ি-ফ্ল্যাটে তল্লাশি অভিযান চালান তদন্তকারী আধিকারিকরা। ওই দুই ব্যক্তির বাড়ির পাশাপাশি অফিস, গোডাউনে একইসঙ্গে তল্লাশি অভিযান চালান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্তারা। যদিও তল্লাশির বিষয় নিয়ে আধিকারিকরা প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি।

    কেন সিবিআই হানা? (CBI)

    প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ওএমআর শিট কেলেঙ্কারির হদিশ পেতে নতুন করে তৎপর হয়েছে সিবিআই (CBI)। মঙ্গলবার হাওড়ার দাশনগর এবং জগাছা এলাকায় সিবিআই আচমকা হানা দেয়। মূলত, ‘এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি’ নামের একটি সংস্থার কর্তা কৌশিক মাজি এবং পার্থ সেন। পর্ষদের কাছ থেকে কীভাবে প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষায় ওএমআর শিট দেখে নম্বর দেওয়ার দায়িত্ব তাঁরা পেয়েছিলেন এই বিষয়ে কৌশিক মাজিকে আগেই জেরা করেছিলেন তদন্তকারীরা। জেরায় বিস্তর অসঙ্গতি থাকার কারণেই এই তল্লাশি বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রের খবর। পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর সঙ্গে কীভাবে তাঁদের যোগাযোগ, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, দুই কর্তার বাড়ি থেকে প্রাথমিক নিয়োগ মামলার একাধিক তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা।

    প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই পর পর টানা তিন দিন নিয়োগ মামলার শুনানিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ।  যদিও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি সূত্রের দাবি, নিয়োগ মামলার দুর্নীতির নেপথ্যে উঠে এসেছে একাধিক নাম ও তথ্য। সেগুলি মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। সেকারণেই তদন্ত প্রক্রিয়ায় কিছুটা বাড়তি সময় লাগছে। গত এক সপ্তাহ আগে নিয়োগ মামলার কেস ডায়েরি আদালতে জমা দেয় সিবিআই (CBI)। যা দেখে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি। এমনকী অভিযুক্তের সঙ্গে তদন্তকারীদের আঁতাত নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি। বিচারপতির উষ্মা প্রকাশের পরই সিবিআই হানা নিয়েও জেলাজুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: পুজো কমিটিকে ঢালাও টাকা, নজর নেই নিত্য যাতায়াতের রাস্তায়, হাওড়া যেন মরণফাঁদ

    Howrah: পুজো কমিটিকে ঢালাও টাকা, নজর নেই নিত্য যাতায়াতের রাস্তায়, হাওড়া যেন মরণফাঁদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজো কমিটিগুলিকে ৭০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই পুজো উদ্যোক্তারা সেই টাকা পেতে শুরু করেছেন। এই খাতে রাজ্য সরকার কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। অথচ এবার হাওড়া (Howrah) শহরে একটি দুর্গাপুজোর মণ্ডপ থেকে অন্য পাড়ার পুজোমণ্ডপে ঠাকুর দর্শন করতে গেলে কার্যত পা ভাঙার অবস্থা হবে। কারণ বহু জায়গায় রাস্তা বলে কিছু নেই। পিচ উঠে পাথর বেরিয়ে গিয়েছে। কোথাও আবার রাস্তা ভেঙে এতটাই গর্ত হয়ে গিয়েছে যে সামান্য বৃষ্টি হলে তা ডোবায় পরিণত হচ্ছে।

    কোন কোন রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ?  (Howrah)

    হাওড়া (Howrah) পুর এলাকায় জল জমার সমস্যা দীর্ঘদিনের। বাম আমলেও নানা পরিকল্পনা নেওয়া হলেও সেই জল জমার সমস্যার সমাধান হয়নি। তৃণমূল কংগ্রেসের আমলেও হাওড়া শহরের জমা জলের সমস্যা মেটাতে বেশ কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়। ,কিন্তু তাও খুব বেশি কাজ হয়নি। যার ফলে বেশিরভাগ রাস্তাতেই বৃষ্টির জল জমে যাচ্ছে। আর সেই জমা জলের উপর দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে গিয়ে ভেঙে চৌচির হচ্ছে বিভিন্ন রাস্তা। এর ফলে বড় বড় রাস্তার মাঝখানে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। আর তার ওপর দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে গিয়ে নাজেহাল হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। প্রায় প্রতিদিনই ছোটখাট দুর্ঘটনা ঘটছে বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। তাঁরা জানান, সামান্য কয়েকটি রাস্তায় প্যাচওয়ার্কের মতো করে গর্ত বোঝানো হয়েছে। কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই কম। শালিমার রেলগেট, বামুনগাছি, লিলুয়া, বেনারস রোড, ইস্ট ওয়েস্ট বাইপাস সহ বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। অনেক জায়গায় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় যাতায়াত বন্ধ করে দিতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। ঘুর পথে পৌঁছাতে হচ্ছে গন্তব্যে। অন্যদিকে, হাওড়া শহরের সংযোজিত এলাকা বলে পরিচিত কোণা, ভূতবাগান, পেয়ারাবাগান, বালির জয়পুর বিল এলাকার নিচু এলাকাগুলির অবস্থা আরও খারাপ। এখানে অনেক জায়গায় এখন কাঁচা রাস্তা রয়ে গিয়েছে। সেই সমস্ত রাস্তায় জল জমে যাচ্ছে।

    পুজো উদ্যোক্তারা কী বললেন?

    সালকিয়া বাজলপাড়া প্রতিরোধ বাহিনী দুর্গাপুজো কমিটির এক উদ্যোক্তা অভিজিৎ মণ্ডল বলেন, পুজোর জন্য ক্লাবগুলিকে টাকা দেওয়ার উদ্যোগ খুব ভাল। কিন্তু, পুজোর আগে রাস্তা এভাবে দাঁত, নখ বেরিয়ে থাকবে?  সালকিয়া এলাকায় রাস্তার যা হাল তাতে দর্শনার্থীরা কী করে প্রতিমা দর্শন করবে তা নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় রয়েছি।

    বেহাল রাস্তা নিয়ে অবরোধে বিজেপি

    হাওড়া (Howrah) জুড়ে রাস্তার অবস্থা এতটাই বেহাল যে রাজনৈতিক দলকে আন্দোলনে নামতে বাধ্য করছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার সালকিয়া সীতানাথ বোস লেনে বিজেপি কর্মীরা সকালে রাস্তা অবরোধ করেন। বিজেপির জেলা নেতা উমেশ রায় বলেন, মেলা, খেলায়, পুজো কমিটির জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোটি কোটি টাকা খরচ করছেন। আর রাস্তাগুলির দিকে তাঁর কোনও নজর নেই। শহরের সব রাস্তা মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।

    হাওড়া পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান কী বললেন?

    যদিও হাওড়া (Howrah) পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, বর্ষার মধ্যে পুরোপুরি নতুন করে রাস্তা করা যাবে না। তারপর পুরসভার পক্ষ থেকে সমস্ত ভাঙা রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: হাওড়ায় ডেঙ্গি সংক্রমণ হাজার ছুঁইছুঁই, রাশ টানতে পারছে না প্রশাসন

    Howrah: হাওড়ায় ডেঙ্গি সংক্রমণ হাজার ছুঁইছুঁই, রাশ টানতে পারছে না প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়া (Howrah) শহরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। হাওড়া পুরনিগম সূত্রে খবর, গত বছর সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত যেখানে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮৫০ জন, এবারে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৯০ জন। এলাকার বেশ কিছু এলাকায় বৃষ্টির জমাজল এবং যত্রতত্র আবর্জনার কারণে ডেঙ্গির মশা বাড়ছে। যদিও হাওড়ার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক নিতাইচন্দ্র মন্ডল জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত গোটা জেলায় কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। অপর দিকে বিজেপি, ডেঙ্গির সংক্রমণ নিয়ে শাসক দলকে নিশানা করে বলে, জেলায় ডেঙ্গি সংক্রমণ হাজার ছুঁইছুঁই, তৃণমূল পরিচালিত হাওড়া পুরসভা রাশ টানতে ব্যর্থ। 

    বালি, জগাছা এবং সাঁকরাইলে ডেঙ্গি আক্রান্ত অধিক (Howrah)

    হাওড়া (Howrah) পুরসভা এলাকা, বালি পুরসভা এলাকা, বালি জগাছা ব্লক এবং সাঁকরাইলে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি। ডেঙ্গু রুখতে মানুষকে সচেতন করার কাজ চলছে বলে জানা গেছে। হাওড়া পুরসভা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের তুলনায় এবারে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। হাওড়া পুরসভার ৪, ৩৯, ২৯, ৩১  এবং ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে অনেক জায়গায় বৃষ্টির জল জমে রয়েছে এবং এই এলাকাগুলিতে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যাও বেশি। মূলত বাড়িতে জল জমে থাকার কারণেই ওইসব এলাকায় ডেঙ্গি সংক্রমণ বাড়ছে। তবে হাওড়া পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন এবং নাগরিকদের বোঝাচ্ছেন। একই সঙ্গে ভেক্টর কন্ট্রোল টিম মশা মারার তেল স্প্রে করছে।

    বিজেপির অভিযোগ

    এদিকে শহরের (Howrah) ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। উত্তর হাওড়ার বিজেপি নেতা উমেশ রাই, এই ডেঙ্গি সংক্রমণের অভিযোগ করে তৃণমূলকে নিশানা করেন। তিনি বলেন, “ডেঙ্গির পরিসংখ্যানের তথ্য গোপন করা হচ্ছে, প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা জানানো হচ্ছে না। একই সঙ্গে ডেঙ্গিতে মারা গেলে ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গির উল্লেখ করা হচ্ছে না। সরকার তথ্য গোপন করে মানুষকে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রেণে সচেতন করছে না। শাসক দল ডেঙ্গি প্রতিরোধে ব্যর্থ।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    ডেঙ্গি সংক্রমণ নিয়ে হাওড়া (Howrah) পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “পুরসভার পক্ষ থেকে নিয়মিত রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরকে রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে। যা বাস্তবে ঘটছে তাই পাঠানো হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “ডেঙ্গি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে হাওড়া পুরসভা। কোথাও যাতে জল জমে না থাকে, সেই জন্য যেমন বাড়ি বাড়ি সচেতন করার কাজ চলছে, একইভাবে বর্ষায় জমা জল যাতে দ্রুত নেমে যায়, তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। কয়েকদিনের বৃষ্টিতে কিছু কিছু এলাকায় রাস্তা ভেঙে গিয়ে, ছোট ছোট গর্তে যাতে জল জমতে না পারে, সেই জন্য বর্ষার মধ্যেই রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: হাওড়ায় ব্যাগ ভর্তি মানুষের কঙ্কাল মিলল পঞ্চায়েত অফিসের পাশে, আতঙ্ক

    Howrah: হাওড়ায় ব্যাগ ভর্তি মানুষের কঙ্কাল মিলল পঞ্চায়েত অফিসের পাশে, আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সামনে ব্যাগের মধ্যে এল মানুষের কঙ্কাল। এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাওড়া (Howrah) জেলার শ্যামপুরের ডিহিমণ্ডল ঘাট এলাকায়। নদীর ধারে রয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিস। সেখানেই ব্যাগের মধ্যে থেকে উদ্ধার হল মানুষের কঙ্কাল। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসী। পরে, খবর পেয়ে পুলিশ এসে কঙ্কাল উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Howrah)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়়ার (Howrah) শ্যামপুর ডিহিমন্ডল ঘাট ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস থেকে ঢিল ছোঁড়া দুরত্বে কঙ্কাল ভর্তি ব্যাগ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। রাস্তার পাশে ব্যাগের মধ্যে মানুষের কঙ্কালগুলি দেখতে পান তাঁরা। এই খবর ছড়াতেই তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় ওই এলাকায়। এর পর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে শ্যামপুর থানার পুলিশ। গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সামনে কীভাবে ব্যাগের মধ্যে এল মানুষের কঙ্কাল। সেই প্রশ্ন উঠছে। কঙ্কালগুলি উদ্ধার করে ফরেন্সিক তদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, এদিন পঞ্চায়েতের কাছে ব্যাগটি পড়েছিল। প্রথমে কেউ গুরুত্ব দেয়নি। দীর্ঘক্ষণ ব্যাগটি পড়ে থাকায় ভিতরে কী রয়েছে তা দেখতে গিয়ে সকলেই চমকে ওঠে। কঙ্কাল ভর্তি ব্যাগ দেখতে এলাকায় ভিড় জমে যায়। এই ধরনের ঘটনা যথেষ্ট উদ্বেগের। কে বা কারা এই কাজ করল তা তদন্তে করে দেখা দরকার। কারণ, এটি মানুষের কঙ্কাল উদ্ধার হয়েছে। তাই, পুলিশ এই ঘটনার সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করুক।

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক?

    স্থানীয়দের থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে শ্যামপুর থানার পুলিশ। পুলিশ এসে উদ্ধার করে নিয়ে যায় কঙ্কাল। কিন্তু, কী ভাবে সেই কঙ্কাল এল তা নিয়ে যথেষ্ট উত্তেজনা রয়েছে এই এলাকায়। হাওড়া (Howrah) জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, কঙ্কাল ভর্তি ব্যাগটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কে বা কারা এই কাজ করেছে তা আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শ্যামপুর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: হাওড়ার যুবকের অজান্তেই তাঁর আধার-প্যান দিয়ে চলছিল কোটি কোটি টাকার ব্যবসা, তারপর কী হল?

    Howrah: হাওড়ার যুবকের অজান্তেই তাঁর আধার-প্যান দিয়ে চলছিল কোটি কোটি টাকার ব্যবসা, তারপর কী হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুরের পর এবার হাওড়া (Howrah)। হাওড়ার লিলুয়া থানার এক যুবকের আধার কার্ড, প্যান কার্ড ব্যবহার করে এক প্রতারক কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। অথচ আধারের মালিকই সে কথা জানেন না। বিষয়টি জানতে পেরে প্রতারিত সৌভিক ঘোষ নামে ওই যুবক থানার দ্বারস্থ হন। তাঁর করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেফতার করেছে সুরজিৎ দত্ত নামে এক চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে লিলুয়া থানার পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Howrah)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারিত সৌভিকবাবুর বাড়ির হাওড়ার (Howrah) লিলুয়া থানার চামরাইল এলাকায়। সম্প্রতি তিনি অনলাইনে খাবার সরবরাহকারী সংস্থা খোলার জন্য ট্রেড লাইসেন্স করাতে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন তাঁর আধার কার্ড, প্যান কার্ড এবং অন্যান্য প্রমাণপত্র নকল করে আগে থেকেই শিবা ট্রেডিং কোম্পানি নামে একটি সংস্থা চলছে। এ কথা শুনে কার্যত হতবাক হয়ে যান সৌভিক। তিনি আরও জানতে পারেন ওই কোম্পানিতে তাঁর নামে দুটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে, যেখানে গত দু’বছরে ৮ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে। শিবা ট্রেডিং নামে ওই কোম্পানির কলকাতায় যে ঠিকানা দেওয়া ছিল, সেটাও ভুয়ো বলে অভিযোগ ওঠে। পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, ওই সংস্থার যাবতীয় কাগজপত্র দেখাশোনা করতেন পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে বারাকপুরে ভাটপাড়ার এক ব্যক্তি কিস্তিতে বাইক কিনতে গিয়ে আধার কার্ড জমা দেন। কাগজপত্র খতিয়ে দেখে জানা যায় তার ওই আধার কার্ড ব্যবহার করে অসমের এক ব্যক্তি কোটি কোটি টাকার কারবার করেছে। যা জেনে থানায় দ্বারস্থ হয়েছিলেন। হাওড়ার সৌভিকবাবু বিষয়টি জানার পর থানার দ্বারস্থ হওয়ায় পুলিশ এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেফতার করেছে।

    কী বললেন প্রতারিত যুবক?

    প্রতারিত যুবক সৌভিকবাবু বলেন, আমার আধার কার্ড দিয়ে এসব হচ্ছে তা আমি ট্রেড লাইসেন্স না করালে জানতেই পারতাম না। এসব জালিয়াতির পিছনে বড়সড় চক্র কাজ করছে। আমি চাই, অবিলম্বে অভিযুক্তদের সকলকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলত শাস্তি দেওয়া হোক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share