Tag: imran khan

imran khan

  • India Pakistan Conflict: সর্বক্ষণ ভারতের বিরুদ্ধে সংঘাত তৈরির অপচেষ্টা কট্টরপন্থী মুনিরের! বিস্ফোরক দাবি ইমরানের বোনের

    India Pakistan Conflict: সর্বক্ষণ ভারতের বিরুদ্ধে সংঘাত তৈরির অপচেষ্টা কট্টরপন্থী মুনিরের! বিস্ফোরক দাবি ইমরানের বোনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সর্বক্ষণ ভারতের বিরুদ্ধে সংঘাত (India Pakistan Conflict) তৈরির অপচেষ্টা পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের (Asim Munir)। কট্টর ইসলামপন্থী আসিম মুনির ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকেন। এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan) বোন আলিমা খান। কয়েক সপ্তাহ ধরে টালবাহানার পর অবশেষে মঙ্গলবার ইমরান খানের সঙ্গে তাঁর বোন ডাক্তার উজমা খানুমকে দেখা করতে দেওয়া হয়। রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে ঢুকতে দেওয়া হয় পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের সর্বময় নেতা ইমরানের বোনকে। প্রাক্তন ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ী পাক ক্যাপ্টেন গত দুবছর ধরে আদিয়ালা জেলে বন্দি।

    আসিম মুনির কট্টরপন্থী 

    ইমরান খানের বোন আলিমা খানের অভিযোগ, জেনারেল আসিম মুনিরের ইসলামী কঠোর অবস্থান পাকিস্তানকে ভারতের সঙ্গে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। যা গণতান্ত্রিক পাকিস্তানের পক্ষে কখনওই ভালো নয়। প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর বোন আলিমা দাবি করেন, ইমরান খান একজন খাঁটি উদারপন্থী। তিনি চান ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে। স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আলিমা খান বলেন, ‘‘আসিম মুনির কট্টরপন্থী ইসলামপন্থী। সেই কারণেই তিনি ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকেন। তাঁর কট্টর ইসলামিক চিন্তাধারা ও সংরক্ষণ মনোভাবই তাঁকে জোর করে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে, যারা ইসলামে বিশ্বাস করে না।’’

    ইমরান খান স্বাধীন চিন্তাধারার

    অন্যদিকে ইমরান খান স্বাধীন চিন্তাধারার। যখন ইমরান খান ক্ষমতায় ছিলেন, তখন তিনি ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন করার চেষ্টা করেছিলেন বলে জানান তাঁর বোন। তিনি বলেন, ‘‘ইমরান খান যখন ক্ষমতায় এসেছিলেন, ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চেয়েছিলেন। এমনকী বিজেপির সঙ্গেও। যখনই আসিম মুনিরের মতো মৌলবাদী ক্ষমতায় থাকবেন, তখন ভারতের সঙ্গে তো যুদ্ধ করতে চাইবেনই। এমনকী ভারতের বন্ধু দেশগুলিও ভুগবে।’’ পাশাপাশি ইমরান খানকে পাকিস্তানের ‘সম্পদ’ বলে অভিহিত করেন আলিমা। তিনি বলেন, “ইমরান খান এই দেশের ৯০ শতাংশ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেন। দেশের এমন একজন প্রতিনিধিকে কীভাবে কারাগারে রাখা যায়?” তিনি আরও বলেন করেন, “আসলে তারা পাকিস্তানের জনগণকে দমন করতে চায়। তারা জনগণের কণ্ঠস্বর শুনতে দিতে চায় না, আর জনগণ ইমরান খানের পাশে দাঁড়িয়ে আছে। তারা ভেবেছিল, যদি তাকে আলাদা করে রাখা যায়, তাহলে মানুষ তাকে ভুলে যাবে।”

    দেশের জন্য বিপজ্জনক

    পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে ‘দেশের জন্য বিপজ্জনক’ বললেন পাকিস্তানের জেলবন্দি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ক্রিকেটের মাঠ থেকে রাজনীতির ময়দানে নামা ইমরান বলেন, মুনির ইচ্ছাকৃত ভাবে আফগানিস্তানের সঙ্গে রাজনৈতিক চাপানউতোর বাড়াচ্ছেন। ৭৩ বছর বয়সি ইমরান এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘আসিম মুনিরের নীতি পাকিস্তানের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনছে। ওঁর নীতির জন্য সন্ত্রাস এ ভাবে বাড়ছে। দেখে কষ্ট লাগে। পাকিস্তানের জন্য ভালো কিছু করায় ওঁর কোনও আগ্রহ নেই। উনি পশ্চিমের শক্তিদের তুষ্ট করতে চান। আফগানিস্তানের সঙ্গে দ্বন্দ্ব বাড়াচ্ছেন, যাতে গোটা বিশ্বকে দেখাতে পারেন উনি ‘মুজাহিদ’ (ইসলামিক যোদ্ধা)।’’ মুনিরকে ‘মানসিক অসুস্থ’ও বলেছেন ইমরান। তাঁর কথায়, ‘‘মুনিরের নৈতিক শূন্যতা পাকিস্তানের সাংবিধানিক আইনব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।’’

    ঈশ্বরের কৃপায় সুস্থ ইমরান

    ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিককের মুখোমুখি হয়ে তাঁর অপর বোন উজমা খানুম বলেন, ‘‘ঈশ্বরের কৃপায় ও সুস্থ আছে…কিন্তু ওঁর উপরে চলা মানসিক অত্যাচার নিয়ে ক্ষুব্ধ। সারাদিন সেলে বন্দি করে রাখা হয় ওঁকে…খুব অল্প সময়ের জন্যই সেল থেকে বেরতে পারে, কারোর সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয় না।’’ জেলবন্দি ইমরান খান পাকিস্তানের সেনা প্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকেই দুষেছেন দেশের বর্তমান অবস্থার জন্য। ইমরানের দাবি আসিম মুনির পাক সেনার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিয়ে নিয়েছেন। এমনকী, সংবিধানে পরিবর্তন করে নিজেকে এবং সমস্ত সেনা প্রধান ও প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারিকে আজীবন সুরক্ষার ব্যবস্থা করেছেন।

    ইমরানের উপর মানসিক অত্যাচার

    ২০২৩ সাল থেকে জেলে রয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বিগত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ-জল্পনা তৈরি হয়েছিল। অভিযোগ ওঠে, প্রায় এক মাস ধরে ইমরানের সঙ্গে পরিবারের কাউকে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। অবশেষে মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে বন্দি থাকা ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয় তাঁর বোন উজমাকে। তিনি বলেন যে ইমরান বেঁচে থাকলেও, তাঁর উপরে মানসিক অত্যাচার করা হচ্ছে। উজমা বলেন, ‘‘ইমরান খান বলেছেন যে তাঁর কারও সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই, এমনকী তিনি কারও সঙ্গে দেখাও করেননি। তিনি বলেছেন যে তারা তাঁকে মানসিকভাবে নির্যাতন করছে। তিনি ক্রুদ্ধ এবং বলেছেন যে যা কিছু ঘটছে তার জন্য আসিম মুনির দায়ী।’’

  • Imran Khan: ‘‘ভারতকে হারাতে ওপেনে নামুক নকভি আর মুনির’’! এশিয়া কাপে শাহিনদের ‘টোটকা’ জেলবন্দি ইমরানের

    Imran Khan: ‘‘ভারতকে হারাতে ওপেনে নামুক নকভি আর মুনির’’! এশিয়া কাপে শাহিনদের ‘টোটকা’ জেলবন্দি ইমরানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক ক্রিকেটকে খোঁচা দিলেন সেদেশের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান (Imran Khan)। ক্রিকেট মাঠে ভারতকে কী করে পাকিস্তান হারাতে পারবে, জেলে বসেই তার উপায় বাতলে দিলেন ইমরান। তিনি বলেন, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নকভি এবং পাক সেনাবাহিনীর প্রধান আসিম মুনিরের ব্যাট হাতে ওপেন করতে নামা উচিত। তা হলেই পাকিস্তান হারাতে পারবে ভারতকে!

    নকভির অযোগ্যতার ফল ভুগছে পাক ক্রিকেট

    একাধিক মামলায় আপাতত জেলবন্দি রয়েছেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। সোমবার ইমরানের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তাঁর বোন আলিমা খান। তারপরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আলিমা জানান, “ইমরান বলছে, ভারতকে হারাতে গেলে একটাই পথ রয়েছে পাকিস্তানের সামনে। সেটা হল, মুনির আর নকভি একসঙ্গে ওপেন করুক। তবে সেটুকুই যথেষ্ট নয়। পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি কাজি ফৈয়জ ইসা এবং প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার সিকন্দর সুলতান রাজাকে ওই ম্যাচের আম্পায়ার হতে হবে। ম্যাচের তৃতীয় আম্পায়ার হবেন ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সরফরাজ ডোগার।” ১৯৯২ সালের পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ইমরান মনে করেন, নকভির অযোগ্যতা এবং স্বজনপোষণই পাকিস্তান ক্রিকেটের দুর্দশার কারণ।

    মুনির তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছিলেন

    ইমরান মনে করেন, ২০২৪-এর নির্বাচনে তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ -এর ভরাডুবির কারণ জেনারেল মুনির। তাঁর বিশ্বাস, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ইশা এবং মুখ্যনির্বাচন আধিকারিক রাজার সাহায্যেই মুনির তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছিলেন। ২০২৩-এর অগাস্ট থেকে ইমরান জেলবন্দি। প্রসঙ্গত, পাক সেনার রোষের মুখে পড়ে গদি হারাতে হয়েছিল ইমরানকে। এর পরেই তাঁর ঠাঁই হয় জেলে। দু’বছর পার হয়ে গেলেও জেলমুক্তি ঘটেনি ইমরানের। বরং একের পর এক নয়া মামলা চেপেছে তাঁর উপর। ইমরানের মুক্তি চেয়ে কিছুদিন আগেও পাকিস্তান জুড়ে ব্যাপক আন্দোলন করেছিল তাঁর দল পিটিআই। যদিও তাতে বিশেষ ফল হয়নি। নিষ্ঠুরভাবে সেই বিদ্রোহ দমন করে সরকার।

    স্বজনপোষণ করে পাক ক্রিকেটকে ধ্বংস

    দিনকয়েক আগেই মুনিরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছিলেন ইমরান। জেলে তাঁর এবং তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবির উপর মানসিক নির্যাতন করছেন পাক সেনাপ্রধান, এমনটাই দাবি করেছিলেন ইমরান। অন্যদিকে স্বজনপোষণ করে পাক ক্রিকেটকে ধ্বংস করেছেন পিসিবি প্রধান তথা পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নকভি, এমনটাও বারবার বলেছেন পাকিস্তানের একমাত্র বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। তাঁর অভিযোগ, ইসা এবং রাজার মদতে ২০২৪ সালের পাক নির্বাচনের ফলাফল বদলে দেওয়া হয়েছিল। তাই একসঙ্গে সকলকে বিঁধেছেন ইমরান খান। মাঠে ভরাডুবি, মাঠের বাইরে চরম বিতর্ক। আর এতকিছুর ভিড়ে ফের একবার আলোচনায় পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক, কিংবদন্তি অলরাউন্ডার, দেশকে বিশ্বকাপ জেতানো দলনেতা ইমরান খান (Imran Khan)। এবার জেল থেকে ছুড়লেন তির। লক্ষ্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের মসনদ। ব্যঙ্গের সুরে জানালেন—ভারতকে হারাতে চাইলে পাকিস্তানের জার্সিতে ওপেনিংয়ে নামতে হবে পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভি (Mohsin Naqvi) আর আর্মি চিফ আসিম মুনিরকে (Asim Munir)। এ ছাড়া টিম ইন্ডিয়াকে কুপোকাত করার অন্য কোনও গতি নেই।

  • Imran Khan: ইমরান খানকে ১৪ বছরের সাজা শোনাল পাকিস্তানের দুর্নীতি দমন আদালত

    Imran Khan: ইমরান খানকে ১৪ বছরের সাজা শোনাল পাকিস্তানের দুর্নীতি দমন আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার পাক দুর্নীতি দমন আদালত সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে (Imran Khan) ১৪ বছরের সাজা শোনাল। প্রসঙ্গত, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান ইমরান খানকে আল কাদির ট্রাস্ট (Al Qadir Trust case) দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। একইসঙ্গে ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবিকেও এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। তাঁকেও সাত বছরের সাজা ঘোষণা করেছে পাক আদালত। এছাড়াও ইমরানকে ১০ লক্ষ এবং বুশরারকে ৫ লক্ষ পাকিস্তানি রুপি জরিমানা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বর্তমানে আদিয়ালা জেলে বন্দি রয়েছেন ইমরান।

    ২০২৩ সালের মে মাসে এই মামলায় গ্রেফতার হন ইমরান (Imran Khan)  

    ২০২৩ সালের মে মাসে এই মামলায় আদালত চত্বর থেকে গ্রেফতার করা হয় ইমরানকে (Imran Khan)। পাক সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি উমর আটা বন্দিয়াল এই গ্রেফতারিকে ‘অবৈধ’ বলেছিলেন। এর পরে লাহোর হাইকোর্ট পরবর্তীকালে ইমরানের জামিনের আর্জিও মঞ্জুর করেছিল। কিন্তু দেশদ্রোহ সহ একাধিক মামলায় অভিযুক্ত করা হয় ইমরানকে। সেকারণে পিটিআই প্রধানকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়নি।

    জন্মদিনেই বিচার পেল নিহত শিশুকন্যা, ধর্ষণ-খুনে ফাঁসির সাজা দিল আদালত

    ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১,৬৪৫ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে

    প্রসঙ্গত, আল কাদির ট্রাস্টের নির্মীয়মাণ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেআইনি ভাবে ১৯ কোটি ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১,৬৪৫ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে ইমরান (Imran Khan) , তাঁর স্ত্রী বুশরার বিরুদ্ধে। এই মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিল পাক তদন্তকারী সংস্থা ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো যার সংক্ষিপ্ত নাম হল ন্যাব। ২০২৩ সালের ১ মে ইমরানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল এই তদন্তকারী সংস্থা। তারপরেই পাক আধাসেনা রেঞ্জার্স বাহিনী তাঁকে আদালত চত্বর থেকে গ্রেফতার করেছিল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pakistan: ইসলামাবাদের রাজপথে লক্ষ লক্ষ ইমরান সমর্থক! সেনা-জনতা সংঘর্ষে নিহত ৬

    Pakistan: ইসলামাবাদের রাজপথে লক্ষ লক্ষ ইমরান সমর্থক! সেনা-জনতা সংঘর্ষে নিহত ৬

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিগর্ভ পাকিস্তান (Pakistan)। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan) মুক্তির দাবিতে উত্তাল ইসলামাবাদ। পথে নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ। ইতিমধ্যে ইসলামাবাদমুখী বিক্ষোভ সহিংস আকার নিয়েছে। ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবির নেতৃত্বে আন্দোলনে সংঘর্ষে ৬ জন নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি শামাল দিতে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে প্রশাসন। পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থলে দেখামাত্র গুলি চালানোরও নির্দেশ জারি করা হয়েছে বলে খবর।

    ইমরানকে ছাড়ানোর হুঙ্কার

    রবিবার ইমরানের (Imran Khan) স্ত্রী বুশরা বিবির নেতৃত্বে রাজধানীর উদ্দেশে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন পাকিস্তান (Pakistan) তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর কর্মী-সমর্থকরা। গোটা দেশ থেকে ইসলামাবাদের উদ্দেশে রওনা দেন দলীয় সমর্থকরা। সোমবার সন্ধ্যায় মিছিল ইসলামাবাদে পৌঁছয়। বিক্ষোভকারীরা আরও এগোনোর সিদ্ধান্ত নিলে নামানো হয় সেনাবাহিনী। লক্ষ লক্ষ সমর্থক রাজধানী শহরে ঢোকার চেষ্টা করলে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। তাতেই সেনা ও পুলিশকর্মীর মত্যু হয়েছে বলে খবর। এখনও পর্যন্ত আহত হয়েছেন ১১৯ জন। অভিযোগ, পুলিশের ২২টি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেন সমর্থকরা। ইতিমধ্যে তেহরিক-ই-পাকিস্তানের ৪ হাজার কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ছোড়া হয়েছে কাঁদানে গ্যাস। এমনকী, ইমরানের সমর্থকদের দেখামাত্রই গুলি করার নির্দেশিকা জারি করেছে পাক-সেনা।

    খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ইমরান খান যতক্ষণ না মুক্তি পাচ্ছেন, ততক্ষণ আমরা পিছু হটব না। এগিয়েই যাব। সবাই প্রস্তুত হন। আমাদের আরও বাধা পেরোতে হবে।” প্রথম থেকেই বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবি। সোমবার তিনি বলেন, “খান সাহেবকে (ইমরান খান) ফিরিয়ে নিয়ে যেতে আমরা এখানে এসেছি। ইমরান খানকে নিয়েই ফিরব।” ইসলামাবাদের প্রাদেশিক পুলিশ প্রধান উসমান আনোয়ার জানিয়েছেন, গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন পুলিশের এক কর্মকর্তা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন আরও দুই পুলিশ কর্মী। সম্প্রতি কারাবন্দি অবস্থাতেই রাজধানী ইসলামাবাদ-সহ পাকিস্তানের (Pakistan) বড় শহরগুলি জুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিলেন প্রাক্তন পাক-প্রধানমন্ত্রী তথা পিটিআই নেতা ইমরান (Imran Khan)। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়েই এবার ইসলামাবাদের রাজপথে অগনিত মানুষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Imran Khan: অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর পদে আবেদন করলেন জেলবন্দি ইমরান

    Imran Khan: অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর পদে আবেদন করলেন জেলবন্দি ইমরান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন পাকিস্তানের জেলবন্দি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। গত রবিবারই তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর তরফ থেকে এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে।

    ইমরানের (Imran Khan) সঙ্গে দৌড়ে আরও দুই প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী 

    প্রসঙ্গত, ইমরান খান বর্তমানে রাওয়ালপিন্ডির একটি কারাগারে বন্দি রয়েছেন। তাঁর হয়ে এক প্রতিনিধি এই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁর দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কারাগারে থেকেই চ্যান্সেলর বা আচার্যের পদে লড়বেন তিনি। জানা গিয়েছে, প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার ও বরিস জনসনও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন।

    কী বলছেন ইমরান খানের উপদেষ্টা?

    ইমরান খানের (Imran Khan) উপদেষ্টা পিটিআই নেতা জুলফিকার বুখারি এবিষয়ে বলেন, ‘‘ইমরান খানের নির্দেশ মতোই অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর নির্বাচন ২০২৪-এ তাঁর আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। আমরা সকলের সমর্থন প্রত্যাশা করছি।’’ চলতি বছরের জুলাই মাসে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফে একটি সাক্ষাৎকার দেন ইমরানের দলের নেতা সৈয়দ জুলফি বুখারি। তখনই প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর চ্যান্সেলর পদে লড়ার বিষয়টি নিয়ে তিনি আভাস দেন।

    ৮০ বছর বয়সি ক্রিস প্যাটেন ইস্তফা দিয়েছেন

    সম্প্রতি ব্রিটেনের বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টি তথা টোরি পার্টির প্রাক্তন চেয়ারম্যান ৮০ বছর বয়সি ক্রিস প্যাটেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের (Oxford University) চ্যান্সেলর পদ থেকে ইস্তফা দেন। ক্রিস প্যাটেন প্রায় ২১ বছর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করেছেন। নিয়ম অনুযায়ী, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর নির্বাচনের সময় এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্নাতকদের সশরীরে উপস্থিত থাকতে হয়। তবে এবার সেই প্রথা ভেঙে অনলাইনে ভোট গ্রহণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

    ১৯৭৫ সালে অক্সফোর্ড থেকে স্নাতক হন ইমরান

    প্রসঙ্গত, ইমরান খান ২০০৫ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ব্র্যাডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি অক্সফোর্ড (Oxford University) বিশ্ববিদ্যালয়েরই একজন প্রাক্তন ছাত্র। ১৯৭৫ সালে অক্সফোর্ড থেকে দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতি নিয়ে স্নাতক হন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PTI Banned In Pakistan: নিষিদ্ধ করা হবে ইমরানের দলকে, ঘোষণা পাক সরকারের, অথঃ কিম?

    PTI Banned In Pakistan: নিষিদ্ধ করা হবে ইমরানের দলকে, ঘোষণা পাক সরকারের, অথঃ কিম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হতে পারে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পার্টি পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে (PTI Banned In Pakistan)। যার জেরে আরও গাড্ডায় পড়বেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বছর একাত্তরের ইমরান পিটিআই গঠন করেছিলেন ১৯৯৬ সালে। ২০১৮ সালে পাকিস্তানের (Shahbaz Government) মসনদে বসে পিটিআই সরকার, যার নেতৃত্ব দেন ক্রিকেটার-রাজনীতিক ইমরান স্বয়ং।

    ইমরানের দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ (PTI Banned In Pakistan)

    ইমরানের সরকারের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবে হারের জেরে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি খোয়াতে হয় ইমরানকে। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে পতন ঘটে ইমরান সরকারের। তার পরেই তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয় একাধিক মামলা। যার জেরে এখনও বন্দিদশা কাটাচ্ছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। বর্তমানে তিনি রয়েছেন রাওয়ালপিন্ডি কারাগারে। ইমরানের দলকে যে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হতে পারে, তার আঁচ মিলেছিল গত বছরই, মে মাসে। সেই সময়ই পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আশিস জানিয়েছিলেন, পাক সরকার ইমরানের পার্টি তেহরিক-ই-ইনসাফকে নিষিদ্ধ করার কথা ভাবনাচিন্তা করছে। তিনি এ-ও বলেছিলেন, ৯ই মে (২০২৩) পিটিআই সমর্থকরা দেশে যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, তারপর তাদের রাজনৈতিক দলের স্বীকৃতি থাকতে পারে না।

    কেন নিষিদ্ধ করা হবে পিটিআইকে?

    পিটিআইকে নিষিদ্ধ ঘোষণার (PTI Banned In Pakistan) সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে পাকিস্তানের তথ্য বিষয়ক মন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার জানান, গত মে মাসের ওই ঘটনায়  প্রাক্তন ক্ষমতাসীন দলের জড়িত থাকার অভিযোগ এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সঙ্গে পাকিস্তানের চুক্তিতে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ানোয় পিটিআইয়ের প্রাক্তন বা বর্তমান নেতাদের প্রচেষ্টার প্রেক্ষিতে এই দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। পাকিস্তানের অর্থনীতির হাঁড়ির হাল। এহেন আবহে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হাত পেতেছে শাহবাজ খানের সরকার। তারপরেও সাহায্য মেলেনি।

    আরও পড়ুন: বাড়িতে তৃণমূলের ঝান্ডা পুঁতে বিজেপি কর্মীদের সামাজিক বয়কটের ডাক! শোরগোল

    পরিস্থিতি সামাল দিতে ফের একবার আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডারের সঙ্গে চুক্তি করতে চলেছে পাকিস্তানের সরকার। সেই প্রক্রিয়ায় পিটিআই নেতারা বাগড়া দিচ্ছে বলে অভিযোগ। তার জেরেই ইমরানের দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হতে পারে বলে ধারণা পাক রাজনৈতিক মহলের। তারার জানান, ফেডারেল গভর্নমেন্ট পিটিআইকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে জানাবে।প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে সবচেয়ে বড় দল ইমরানের পার্টি তেহরিক-ই-ইনসাফই। পাক সুপ্রিম কোর্টেরও সাম্প্রতিক (Shahbaz Government) একাধিক নির্দেশ গিয়েছে পিটিআইয়ের (PTI Banned In Pakistan) ফেভারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Imran Khan: তিন মামলায় বেকসুর খালাস ইমরান খান, তবে ঘুচছে না বন্দিদশা

    Imran Khan: তিন মামলায় বেকসুর খালাস ইমরান খান, তবে ঘুচছে না বন্দিদশা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বছর একাত্তরের ইমরান খান (Imran Khan)। সোমবার তাঁকে খালাস করে দেয় ইসালামাবাদ হাইকোর্ট। এই মামলায় খালাস পেয়েছেন ইমরানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতা তথা পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিও। তবে আদালতের এহেন নির্দেশের পরেও জেল থেকে মুক্তি পাবেন না তাঁরা। কারণ এখনও তাঁদের মাথার ওপর ঝুলছে একাধিক মামলার খাঁড়া।

    বেকসুর খালাস (Imran Khan)

    ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে প্রধানমন্ত্রীর পদ খোয়া যায় ইমরানের। তার পর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হতে থাকে একের পর এক মামলা। গত অগাস্ট মাস থেকে (Imran Khan) পাকিস্তানের জেলে বন্দি রয়েছেন ইমরান। এদিন যে তিনটি মামলায় তাঁকে বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে সাইফার মামলাও। ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আমির ফারুক ও বিচারপতি মিয়াঙ্গুল হাসান আওরঙ্গজেবের ডিভিশন বেঞ্চ সাইফার মামলার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের সংক্ষিপ্ত রায়ে সাজা বাতিল করে তাঁকে (Imran Khan) বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেয়। প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারি মাসে পাকিস্তানের এক বিশেষ আদালত সাইফার মামলায় ইমরান ও কুরেশিকে দশ বছরের কারাদণ্ড দেয়। সেই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতের দ্বারস্থ হন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।

    সাইফার মামলা

    উল্লেখ্য, পাক প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার নেপথ্যে আমেরিকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেন প্রাক্তন এই ক্রিকেটার-রাজনীতিক। সেই অভিযোগের প্রমাণ দিতে গিয়ে প্রকাশ্যে একটি নথি আনেন তিনি। এনিয়েই ইমরানের বিরুদ্ধে দায়ের হয় মামলা। ইমরান দাবি করেছিলেন, তিনি যা দেখিয়েছিলেন তা ‘সাইফার’ অর্থাৎ গোপন খবরের সাংকেতিক রূপ নয়। এই মামলাই সাইফার মামলা নামে খ্যাত।

    আর পড়ুন: নিরাপত্তা দিতে হবে কাউন্টিং এজেন্টদের পরিবারকেও, ফরমান নির্বাচন কমিশনের

    এদিকে, ইসলামি শরিয়া আইন লঙ্ঘন করে বিয়ে করার অভিযোগে করা মামলায় ইমরান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকে অভিযুক্ত করা হয়। আবার এদিনই ৯ মে দাঙ্গার মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় কুরেশিকে।প্রসঙ্গত, তোষাখানা-সহ একশোটিরও বেশি মামলার খাঁড়া ঝুলছে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মাথার ওপর (Imran Khan)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Amit Shah: কেন পাকিস্তানের নয়নমণি রাহুল! ব্যাখ্যা দিলেন অমিত শাহ

    Amit Shah: কেন পাকিস্তানের নয়নমণি রাহুল! ব্যাখ্যা দিলেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান কেন রাহুল গান্ধিকে (Rahul Gandhi) সমর্থন করে তার ব্যাখ্যা দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) । দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে যেহেতু রাহুল গান্ধি পাকিস্তানের অ্যাজেন্ডাকে সমর্থন করেন তাই পাকিস্তান তাঁকে সমর্থন করে।

    রাহুল গান্ধিকে পাকিস্তানের সমর্থনের বিস্তারিত ব্যাখ্যা

    বুধবার রাহুল গান্ধিকে পাকিস্তানের সমর্থনের বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) । তিনি বলেন, “এখন পাকিস্তান রাহুল বাবার খুব প্রশংসা করছে। একজন সাংবাদিক আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন কেন এমনটা হচ্ছে? আমি তাঁকে বলেছি, এমনটা তো হওয়ারই কথা। কারণ যখন সার্জিক্যাল হয়েছিল রাহুল বাবা প্রশ্ন তুলেছিলেন। সেনাবাহিনীকে নকশালপন্থীরা হত্যা করলে রাহুল বাবা চুপ থাকেন। কিন্তু সেনাবাহিনী যখন নকশালদের উপরে অভিযান চালায় রাহুল বাবা তার বিরোধিতা করেন। তখন রাহুল বাবার মানবাধিকারের কথা মনে পড়ে যায়। আগে যে ঘটনাগুলি বললাম সব ক্ষেত্রে পাকিস্তানও বিরোধিতা করেছিল। ফলে রাহুল বাবা এবং পাকিস্তানের অ্যাজেন্ডা মিলে যাচ্ছে। এর জন্যই পাকিস্তানের নেতাদের নয়নমনি হয়ে উঠেছেন রাহুল বাবা।”

    আরও পড়ুন: https://www.madhyom.com/india/india-russia-relation-russia-says-us-trying-to-destabilize-india-during-lok-sabha-polls-24988

    ফওয়াদ চৌধুরীর মন্তব্যের পর ঘটনার সূত্রপাত 

    প্রসঙ্গত ২ মে গুজরাটে ভোট প্রচারে গিয়ে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) । তিনিও রাহুলের পাক সমর্থক যোগ উস্কে দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “কংগ্রেসের (Congress) শাহজাদাকে জেতাতে পাকিস্তান উতলা হয়ে পড়েছে। বিজেপি (BJP) মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদীও চলতি সপ্তাহে দাবি করেছিলেন পাকিস্তান নাকি রাহুল গান্ধীকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী দেখতে চায়। প্রসঙ্গত এই বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছিল ইমরান খানের (Imran Khan) ক্যাবিনেটে থাকা মন্ত্রী ফওয়াদ চৌধুরীর মন্তব্যের পর। ফওয়াদ গত মাসে বলেছিলেন রাহুল গান্ধীর তোলা ইস্যুগুলিকে তিনি সমর্থন করেন। তিনি ভারতে যে কেউই সঠিক ইস্যু (পাকিস্তানের মতে) তুলবে তাঁকে তাঁরা সমর্থন করবেন। ভারতের মসনদে তিনি রাহুল গান্ধীকে দেখতে চান। প্রসঙ্গত ফওয়াদ চৌধুরীকে এর আগেও বহুবার ভারত সরকার এবং ভারতীয় মন্ত্রীদের কটাক্ষ করতে দেখা গেছে। কিন্তু কংগ্রেস বা রাহুল গান্ধীর বিষয়ে তিনি কখনও কুমন্তব্য করেননি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Imran Khan: তোষাখানা মামলায় স্বস্তি পেলেন সস্ত্রীক ইমরান খান, কেন জানেন?

    Imran Khan: তোষাখানা মামলায় স্বস্তি পেলেন সস্ত্রীক ইমরান খান, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তোষাখানা মামলায় (Toshakhana Case) স্বস্তি মিলল প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan)। তাঁর স্ত্রী বুসরা বিবিকেও স্বস্তি দিয়েছে ইসালামবাদ হাইকোর্ট। ৩১ জানুয়ারি পাকিস্তানের দুর্নীতি দমন পুনর্বিবেচনা সংক্রান্ত বিশেষ আদালত ইমরান ও তাঁর স্ত্রীকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। সোমবার বিশেষ আদালতের সেই রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তি পেলেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ সুপ্রিমো ইমরান ও তাঁর স্ত্রী।

    ইমরানের সাজা (Imran Khan)

    কারাদণ্ডের পাশাপাশি পাকিস্তানের ওই বিশেষ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, ইমরান বা তাঁর স্ত্রী কেউই ১০ বছরের জন্য সরকারি কোনও পদে বসতে পারবেন না। পাকিস্তানি মুদ্রায় খান দম্পতির প্রায় ৭৯ কোটি টাকাও জরিমানা করা হয়। প্রসঙ্গত, দেশের প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় গোপন তথ্য পাচারের অভিযোগ ওঠে ইমরানের (Imran Khan) বিরুদ্ধে। তার জেরে পাকিস্তানের বিশেষ আদালত প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার তথা প্রধানমন্ত্রীকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়। পরের দিনই ফের তাঁকে ১৪ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।

    তোষাখানা মামলা

    পাকিস্তানের আইন মোতাবেক, বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের কাছ থেকে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী বা অন্য কোনও মন্ত্রী যদি উপহার পান, তা জমা করতে হবে সরকারি কোষাগারে। দশ হাজার টাকার কম মূল্যের উপহার হলে, প্রধানমন্ত্রী তা নিজের কাছে রাখতে পারেন। এর বেশি মূল্যের কোনও উপহার প্রধানমন্ত্রীর পছন্দ হলে বাজার মূল্যের সমপরিমাণ অর্থ তোষাখানায় জমা করে সেই উপহার নিয়ে নিতে পারেন। কিন্তু পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান সেই নিয়মের তোয়াক্কাই করেননি বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুুন: “মনে হল রামলালা আমায় বলছেন, দেশের স্বর্ণযুগ শুরু হয়েছে”, বললেন মোদি

    ইমরান গদিচ্যুত হওয়ার পরেই প্রকাশ্যে আসে তোষাখানা মামলা। দুবাইয়ের এক ব্যবসায়ীর দাবি, বিদেশ থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া একটি মূল্যবান ঘড়ি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তাঁকে বিক্রি করেছেন ২০ লক্ষ ডলারে। ২০১৯ সালে সৌদি আরবের রাজা মহম্মদ বিন সলমন পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরানকে ওই ঘড়িটি উপহার দিয়েছিলেন। গত বছরের অগাস্ট মাসের পাঁচ তারিখে তোষাখানা মামলায় ইমরানকে দোষী সাব্যস্ত করে ইসলামাবাদের বিশেষ আদালত। তিন বছরের কারাদণ্ডও দেয়। এর পরেই গ্রেফতার হন পাকিস্তানের তারকা-রাজনীতিক। পাঠানো হয় গারদে। ইমরানের দলের দাবি, এই মামলার সঙ্গে বুসরা বিবির কোনও সম্পর্কই নেই (Imran Khan)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Shehbaz Sharif: পাকিস্তানে ক্ষমতায় আসছে জোট, প্রধানমন্ত্রী পদে শেহবাজ, রাষ্ট্রপতি জারদারি

    Shehbaz Sharif: পাকিস্তানে ক্ষমতায় আসছে জোট, প্রধানমন্ত্রী পদে শেহবাজ, রাষ্ট্রপতি জারদারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে সরকার গঠন ও প্রধানমন্ত্রীত্ব নিয়ে পেন্ডুলামের খেলা অব্যাহত। ফের একবার ক্ষমতা দখলের ইঁদুর-দৌড়ে এগিয়ে গেল নওয়াজ শরিফ ও বিলাবল ভুট্টো জারদারির জোট।মঙ্গলবারই সাংবাদিক বৈঠক করেন বিলাবল ভুট্টো, তখনই একপ্রকার চূড়ান্ত হয়ে যায় যে পাকিস্তানে ক্ষমতায় আসছে জোট সরকারই। পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাবল ভুট্টো জারদারি ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছেন, পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন শেহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। রাষ্ট্রপতি হবেন বিলাবলের বাবা আসিফ আলি জারদারি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা, জোট সরকারের ক্ষমতায় আসা এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে পাকিস্তানে। নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এনের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে জোট সরকার গড়তে চলেছে বিলাবল ও জারদারির পিপিপি। পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতিই ফের একবার পাকিস্তানের মসনদে।

    কী বললেন বিলাবল?

    মঙ্গলবার রাতে বিলাবলের সাংবাদিক বৈঠকে এক পাশে ছিলেন নওয়াজের ভাই শেহবাজ (Shehbaz Sharif) এবং অন্য পাশে বাবা আসিফ জারদারি। ওই বৈঠকেই পিএমএল-এনকে সমর্থনের কথা জানিয়ে দেন পিপিপি-র চেয়ারম্যান বিলাবল। সেখানেই ঘোষণা করা হয়, প্রধানমন্ত্রী হবেন শেহবাজ শরিফ আর রাষ্ট্রপতি আসিফ জারদারি। শেহবাজের (Shehbaz Sharif) দল, আসিফ জারদারিকে রাষ্ট্রপতি পদে সেখানেই সমর্থন জানিয়ে দেন। ঠিক একইভাবে বিলাবল শেহবাজকে প্রধানমন্ত্রী মেনে নেন। বিলাবল বলেন, ‘‘পিপিপি এবং পিএমএল-এন প্রয়োজনীয় সংখ্যা জোগাড় করে ফেলেছে। এখন আমরা সরকার তৈরির জায়গায় পৌঁছে গিয়েছি।’’ এ কথা সমর্থন করেন শেহবাজও। পাকিস্তানের আগামী প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, ইমরানের পিটিআই এবং সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিল সরকার গড়ার জায়গায় নেই।

    ভোটের পরে নানা সমীকরণ তৈরি হয়

    প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে ভোটের ফল সামনে আসে। তাতে দেখা যায়, পিএমএল-এন জিতেছে ৭৫টি আসন, পিপিপি পেয়েছে ৫৪টি আসন। ভোটের ফলে দেখা যায় ইমরানের দল পিটিআই সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা সব থেকে বেশি আসনে জিতেছে। তাঁরা জিতেছিলেন মোট ৯৩টি আসনে। এই পরিস্থিতি পাকিস্তানে কোনও দলই একক ভাবে সরকার গড়ার জায়গায় ছিল না। দীর্ঘ টালবাহানা, নানা নতুন সমীকরণের পরে মঙ্গলবার রাতে পরিষ্কার হয়ে যায়, পিপিপি এবং পিএমএল-এন জোট বেধে সরকার গড়তে চলেছে। মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম-পি) নামের এই দল ১৭টি আসন জিতেছে। তারাও জোটকে সমর্থনের কথা জানিয়ে দিয়েছে। ফলে ১৪৬ জন জয়ী সদস্যের সমর্থন নিয়ে পাকিস্তানের ক্ষমতায় আসতে চলেছেন শেহবাজ (Shehbaz Sharif)। যাদু সংখ্যা যেখানে ১৩৩।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share