Tag: Income Tax Department

Income Tax Department

  • Income Tax Raid: ওড়িশা-ঝাড়খণ্ডে আয়কর হানায় উদ্ধার ৩০০ কোটি, টাকা গুনতে বিগড়ে গেল মেশিন!

    Income Tax Raid: ওড়িশা-ঝাড়খণ্ডে আয়কর হানায় উদ্ধার ৩০০ কোটি, টাকা গুনতে বিগড়ে গেল মেশিন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগের বৃহস্পতিবারই ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডের বেশ কয়েকটি জায়গায় আয়কর দফতরের হানা (Income Tax Raid) চলল। জানা গিয়েছে, আয়কর দফতরের এই অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে ৩০০ কোটি টাকা নগদ। এত বেশি পরিমাণ টাকা উদ্ধার হওয়াতে টাকা গণনা করতে আনা হয় মেশিন। একটা সময় করে সেই মেশিনও কাজ বন্ধ করে দেয়। ওড়িশার মধ্যে তল্লাশি চলে বালাঙ্গীর এবং সম্বলপুরে। অন্যদিকে, ঝাড়খণ্ডের রাঁচি ও লোহারদাগাতেও চলে এই তল্লাশি। আয়কর দফতরের এই অভিযান চলেছে কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ধীরজ শাহুর বাড়িতেও।

    ১২ সদস্যের আয়কর দল হানা দেয় ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন জায়গায়

    ১২ সদস্যের একটি দল, কয়েকটি গ্রুপে ভাগ হয়ে সিআইএসএফ জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে এই অভিযান চালায়। বৌধ ডিস্টিলারিজ প্রাইভেট লিমিটেড (বিডিপিএল) এস শিব গঙ্গা অ্যান্ড কোম্পানি, এবং রানীসাটি প্যাডি প্রসেসিং প্রাইভেট লিমিটেড-এর অফিসে চলে এই হানা (Income Tax Raid)। এই বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধারের পরে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা তা স্টেট ব্যাঙ্কের বুলাঙ্গীর শাখায়  নিয়ে আসেন একটি ট্রাকে করে।

    ১৫০ কোটি বাজেয়াপ্ত বৌধ ডিস্টিলারিজ প্রাইভেট লিমিটেড থেকে

    জানা গিয়েছে, মোট ১৫০ কোটি টাকায় বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বৌধ ডিস্টিলারিজ প্রাইভেট লিমিটেড (বিডিপিএল) এর বিভিন্ন শাখা থেকে। এই বিডিপিএল-ই হল দেশের মধ্যে সবথেকে বড় মদ তৈরির কারখানা। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে ওড়িশার বাইরেও এই সংস্থা দেশি মদ বিক্রি করছে কোনও রকম বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই। আয়কর হানায় (Income Tax Raid) রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে। বিজেপির সুন্দরগড়ের এমএলএ কুসুম তেতে অভিযোগ এনেছেন যে, ওড়িশার শাসক দল বিজু জনতা দলের নেতা যোগেশ সিং জড়িত রয়েছেন এই কোম্পানির সঙ্গে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Krishna Kalyani: ২০-ঘণ্টা জেরার পর ভোররাতে কৃষ্ণ কল্যাণীকে নিয়ে রওনা গোয়েন্দাদের! কোথায় গেলেন?

    Krishna Kalyani: ২০-ঘণ্টা জেরার পর ভোররাতে কৃষ্ণ কল্যাণীকে নিয়ে রওনা গোয়েন্দাদের! কোথায় গেলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর (Krishna Kalyani) বাড়িতে আয়কর-ইডির জোড়া হানার ২৪ ঘণ্টা পার। সূত্রের খবর, রাতভর তল্লাশির পরে বৃহস্পতিবার ভোরে বিধায়ককে নিয়ে তাঁর সুদর্শনপুরের অফিসে যান আয়কর আধিকারিকরা। এখনও চলছে তল্লাশি। জানা গিয়েছে, তাঁর বাড়ি থেকে ইতিমধ্যে বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করেছেন গোয়েন্দারা। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, ম্যারাথন তল্লাশি যখন চলছে তখন অভিযোগ বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বিজেপির একাংশের দাবি, অনিয়ম ও দুর্নীতিতে ডুবে রয়েছেন কৃষ্ণ কল্যাণী (Krishna Kalyani), তাঁর গ্রেফতারি সময়ের অপেক্ষা।

    বুধবার সকালেই বিধায়কের বাড়িতে কড়া নাড়েন তদন্তকারী আধিকারিকরা 

    প্রসঙ্গত, বুধবার সাত সকালেই কৃষ্ণ কল্যাণীর (Krishna Kalyani) রায়গঞ্জের বাড়িতে কড়া নাড়েন আয়কর ও ইডি আধিকারিকরা। বাড়ি ও অফিস দুই জায়গা ঘিরে ফেলে ৪ গাড়ি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিধায়কের বিভিন্ন ব্যবসা রয়েছে বলে খবর। তাঁর ব্যবসায়িক পার্টনার হেমন্ত শর্মার বাড়িতেও এরপর যান গোয়েন্দারা। মালদার সাংসদ মৌসম নূরের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত হেমন্ত শর্মার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সূত্রের খবর, এখনও তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চলছে। রায়গঞ্জের স্থানীয় মানুষজনের দাবি, সামান্য ব্যবসা থেকে আচমকা উত্থান হয় কৃষ্ণ কল্যাণীর (Krishna Kalyani)। বিজেপি বলছে, এটাই তো শাসক দলের আশীর্বাদ। বাংলো স্টাইল বাড়ি, বহুতল অফিস। আচমকাই গড়ে ওঠে সব ২০১৬-২০১৭ সালের পর। এখন সেই উত্থানের পিছনে কোনও রকম অসঙ্গতি রয়েছে কিনা, সেটাই এবার আয়কর ও ইডি আধিকারিকরা খতিয়ে দেখছেন। একই কথা হেমন্ত শর্মার ক্ষেত্রেও, মালদায় কোটি কোটি টাকা খরচ করে তিনি বাড়ি করেছেন। শোনা যাচ্ছে, কলকাতাতেও একাধিক ফ্ল্যাট রয়েছে তাঁর।

    কৃষ্ণ কল্যাণীর (Krishna Kalyani) বাড়িতে ইডি-আয়কর হানা নিয়ে তৃণমূলের কটাক্ষকে মোক্ষম জবাব সুকান্তর…

    অন্যদিকে রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর বাড়িতে আয়কর হানা নিয়ে তৃণমূলের কটাক্ষকে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই মোকাবিলা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তৃণমূলের তরফ থেকে এই ঘটনায় বিবৃতি দেওয়া হয়, ‘‘ওদের (বিজেপি) থেকে হয়ত দূরত্ব তৈরি হয়েছে কৃষ্ণ কল্যাণীর। তার জন্যই হয়ত এই হানা। তবে বারবার প্রমাণ হয়েছে যে, কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে নিয়ন্ত্রণ করছে কেন্দ্র।’’ এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য বিজেপির সভাপতি বলেছেন, ‘‘স্পিকার তো বলেই দিয়েছেন কৃষ্ণকল্যাণী বিজেপির বিধায়ক। তাহলে কেন্দ্রীয় এজেন্সি তো শুধু তৃণমূলকে টার্গেট করে না, বিজেপি বিধায়কের বাড়িতেও তল্লাশি চালায়।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: মালদার সাংসদ মৌসম ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার বাড়িতে আয়কর হানা

    TMC: মালদার সাংসদ মৌসম ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার বাড়িতে আয়কর হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর বাড়ির পাশাপাশি তৃণমূল সাংসদ মৌসম নূরের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল (TMC) নেতার বাড়িতেও এদিন চলল আয়কর দফতরের হানা। বুধবার সকালে মালদার তৃণমূল নেতা হেমন্ত শর্মার বাড়িতে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা তল্লাশি চালান। জানা গেছে, প্রথমে তাঁর হবিবপুর ব্লকের বুলবুলচন্ডীর বাড়িতে হানা দেয় আয়কর দপ্তর। পরে তাঁরা পৌঁছে যান তৃণমূল (TMC) নেতার মালদা শহরের সর্বমঙ্গলাপল্লীর বাড়িতে। তল্লাশির সময় দুটি বাড়িই ঘিরে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। যদিও কেন এই হানা, তা এখনও জানা যায়নি, তবে সূত্র মারফত জানা গেছে, গত কয়েক বছরে শাসক দলের বদান্যতায় ফুলে ফেঁপে উঠেছে হেমন্ত শর্মার সম্পত্তি, তাই এদিন তল্লাশি চালায় আয়কর দফতর। কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে অবশ্য এখনও অবধি কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি মেলেনি। প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক কর্মসূচি বাদ দিয়েও মৌসম নূরের সফর সঙ্গী হতে দেখা যায় হেমন্ত শর্মাকে। শোনা যায়,  জঙ্গল থেকে পাহাড় যখনই ঘুরতে গেছেন মৌসম নূর, তখনই তাঁর সফর সঙ্গী হয়েছেন এই হেমন্ত শর্মা। এবার মৌসম ঘনিষ্ঠ হেমন্ত শর্মার বাড়িতে আয়কর দফতরের হানার ঘটনায় রীতিমতো সরগরম মালদার রাজনীতি। 

    কী বলছে বিরোধীরা?

    বিরোধীদের অভিযোগ এই হেমন্ত শর্মার অবস্থা সাধারণ আর পাঁচটা লোকের মতোই ছিল! প্রথম থেকেই তিনি তৎকালীন কংগ্রেস নেত্রী মৌসম নূরের ঘনিষ্ঠ। কংগ্রেসে থাকাকালীন তিনি দলের হবিবপুর ব্লকের দায়িত্বে ছিলেন। মৌসম তৃণমূলে যোগদান করার পরেই হেমন্ত শর্মাকে দেখা যায় জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকের পদে। আর এরপর থেকেই হেমন্ত শর্মার উত্থান চোখে পড়ার মতো। বিরোধীদের আরও অভিযোগ, উল্কার গতিতে আর্থিক শ্রী বৃদ্ধি হতে থাকে হেমন্তর। তাঁর এলাকায় কান পাতলে শোনা যায়, হবিবপুর ব্লকের বাড়ি বাদ দিয়েও মালদা শহরে প্রায় কয়েক কোটি টাকা খরচ করে বাড়ি নিয়েছেন তিনি। তবে শুধু মালদা নয়, হেমন্তর সাম্রাজ্য গড়িয়েছে কলকাতা অবধি। শোনা যাচ্ছে, কলকাতাতেও একাধিক ফ্ল্যাট রয়েছে এই হেমন্ত শর্মার নামে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আয় বহির্ভূত সম্পত্তির খোঁজেই এদিন হেমন্তর বাড়িতে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা হানা দেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Krishna Kalyani: রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর বাড়িতে ইডি-আয়করের জোড়া হানা!

    Krishna Kalyani: রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর বাড়িতে ইডি-আয়করের জোড়া হানা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গ সফরের মধ্যেই, এবার রায়গঞ্জের বিধায়ক তথা পিএসি চেয়ারম্যান কৃষ্ণ কল্যাণীর (Krishna Kalyani) বাড়িতে ইডি ও আয়কর দফতরের জোড়া হানা। বুধবার সকালে কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘিরে ফেলে বিধায়কের বাড়ি ও অফিস। প্রায় তিরিশ থেকে চল্লিশ জনের আয়কর আধিকারিকদের একটি দল এই তল্লাশিতে রয়েছেন বলে খবর। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, আর্থিক বেনিয়ম ও আয়কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বিধায়কের বিরুদ্ধে। কৃষ্ণ কল্যাণীর (Krishna Kalyani) পরিবার সূত্রে খবর, আজ খুব ভোরেই বিধায়কের বাড়ি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে যায় ইডি। জানা গেছে, কৃষ্ণ কল্যাণীর (Krishna Kalyani) বাড়ি, রয়্যাল এনফিল্ড শো রুম, বিধায়কের কার্যালয়, কল্যাণী সলভেন্ট, ওয়া-বাজার সহ সমস্ত প্রতিষ্ঠানে হানা দিয়েছে ইডি এবং আয়কর দফতর। সূত্রের খবর, বিধায়ককে বাড়ি থেকে বের হতে দেওয়া হচ্ছেনা। তৃণমূল কংগ্রেসের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কো অর্ডিনেটর প্রদীপ কল্যাণী, যিনি সম্পর্কে বিধায়কের ভাই, তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, আচমকাই বিধায়কের বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা ঢুকে পড়ে। বাড়ি থেকে কাউকেই বের হতে দেওয়া হচ্ছে না।

    ঠিক কী অভিযোগ রয়েছে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে?

    সূত্রের খবর, রায়গঞ্জের বিধায়কের একাধিক সংস্থা রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে কল্যাণী সলভেক্স নামে কোম্পানি। সেই সংস্থার আর্থিক লেনদেন নিয়ে আগেই সন্দেহ প্রকাশ করেছিল ইডি। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার ধারণা, ওই কোম্পানির মাধ্যমে বেশ কয়েক কোটি টাকা পাচার হয়েছে। সেই সূ্ত্র ধরে এর আগে ২০১৮ সালে ২৫ জুলাই কলকাতা জোন ওয়ান ইডি মামলা দায়ের করেছিল। সেই মোতাবেক গত বছর জুলাই মাসে কল্যাণী সলভেক্সকে নোটিশ পাঠায় ইডি। সেখানে জানতে চাওয়া হয়েছে ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ওই কোম্পানি টিভি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য কত টাকা ব্যয় করেছে। কিন্তু সন্তোষজনক উত্তর না মেলায় এরপর আরও দু’দফা নথি চাওয়া হয়। কিন্তু তাতেও সন্দেহ দূর হয়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। তাই আজকের এই তল্লাশি বলেই জানা যাচ্ছে।

     

    পর্ব ১: গলায় সিসিটিভি-র তার পেঁচিয়ে, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছিল অভিজিৎ সরকারকে!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BBC Office: বিদেশি মুদ্রার অনিয়মিত ট্রান্সফারের অভিযোগ! রাতভর বিবিসির অফিসে আয়কর দফতরের তল্লাশি

    BBC Office: বিদেশি মুদ্রার অনিয়মিত ট্রান্সফারের অভিযোগ! রাতভর বিবিসির অফিসে আয়কর দফতরের তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিবিসির মুম্বই ও দিল্লির অফিসে রাতভর চলল তল্লাশি। বিবিসির ব্যবসায় বিদেশি মুদ্রার অনিয়মিত ট্রান্সফার ও লাভের হিসাবে গরমিল সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করতেই মঙ্গলবার সকালে বিবিসির অফিসে হানা দেয় আয়কর বিভাগের আধিকারিকরা। সকালেই বিবিসির দিল্লি ও মুম্বইয়ের অফিস সিল করে দেওয়া হয়। দিনভর চলে সমীক্ষা। বিবিসির মুম্বই ও দিল্লির অফিস থেকে এখনও বের হননি আয়কর দফতরের আধিকারিকরা।

    বাজেয়াপ্ত ফোন-ল্যাপটপ

    আয়কর দফতর সূত্রে খবর, ‘সার্ভে’ চলাকালীন বেশ কিছু ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।  সংস্থার অফিসে থাকা সব কম্পিউটার এবং ল্যাপটপ নাকি স্ক্যান করছেন আধিকারিকরা। বহু পুরনো নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ২০১২ সাল থেকে বিবিসির আর্থিক লেনদেন ও লাভের হিসাব খতিয়ে দেখছেন আয়কর আধিকারিকরা। আজ দিনভর সার্ভে চলার কথা। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ দিল্লি এবং মুম্বইয়ে বিবিসি-র দফতরে পৌঁছে গিয়েছিলেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। অফিসে ঢুকেই বিবিসির সমস্ত সাংবাদিক এবং সংবাদকর্মীদের মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপ জমা করতে বলেন আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুুন: ‘আমাদের সম্পদ চুরি করলে হামলা হবে’, কাশ্মীরে লিথিয়াম ভাণ্ডার নিয়ে হুমকি পাফের

    বিবিসির ট্যুইট

    বিবিসির তরফে ইতিমধ্যেই ট্যুইট করে জানানো হয়, নয়া দিল্লি ও মুম্বইয়ের অফিসে আয়কর বিভাগের আধিকারিকরা উপস্থিত রয়েছেন। বিবিসির তরফে পূর্ণ সহযোগিতা করা হচ্ছে। দ্রুত এই পরিস্থিতির সমাধান হবে বলেই উল্লেখ করা হয়। বিবিসির যে সমস্ত কর্মীরা সেই মুহূর্তে অফিসে ছিলেন না, তাদের অফিসে আসতে বারণ করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও কাউকে মন্তব্য করতে বারণ করা হয়েছে। গভীর রাতে আরও একটি ট্যুইট করে ব্রিটিশ সংস্থার তরফে বলা হয়, ‘দিল্লি এবং মুম্বইয়ে বিবিসির অফিসে এখনও রয়েছেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। অনেক কর্মী তাদের বাড়িতে চলে গিয়েছেন। অনেক কর্মচারী অফিসেই রয়েছেন আয়কর দফতরের আধিকারিকদের সাহায্য করার জন্য। এই পরিস্থিতিতে আমরা আমাদের কর্মচারীদের যথাসম্ভব সাহায্য করার চেষ্টা করছি। আমাদের সাংবাদিকতা জারি রয়েছে। ভারতে আমাদের দর্শকদের সামনে আমরা খবর পরিবেশন জারি রাখব।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Gaming Apps: তিনবছরে বিজয়ীদের আয় ৫৮ হাজার কোটি টাকা, সিবিডিটির নজরে গেমিং অ্যাপ

    Gaming Apps: তিনবছরে বিজয়ীদের আয় ৫৮ হাজার কোটি টাকা, সিবিডিটির নজরে গেমিং অ্যাপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস (CBDT) – এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ভারতীয় গেমিং অ্যাপের খেলোয়াড়রা গত তিন বছরে ৫৮ হাজার কোটি টাকা জিতেছে। আয়কর দফতরের (Income Tax Department) জন্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। 

    সিবিডিটি চেয়ারম্যান নীতিন গুপ্ত কোম্পানির নাম না করে বলেন, “যারা টাকা জিতেছেন আমরা তাদের আয়কর রিটার্ন (Income Tax Return) জমা করার মাধ্যমে আয়কর জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে বলেছি। যদি তারা স্বেচ্ছায় তা না করে তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    আরও পড়ুন: বঞ্চনার অভিযোগ মিথ্যা, ফের রাজ্যকে টাকা দিল কেন্দ্র

    তিনি আরও বলেন, “জরিমানা এবং ৩০ শতাংশ কর মিলিয়ে বিজয়ীদের প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা দিতে হবে। ২০১৯-২০, ২০২০-২১, ২০২১-২২ এই অর্থবর্ষগুলির জন্যে এখন কর দিতে হবে।”

    নীতিন গুপ্ত আরও বলেন, “আমরা সব তথ্য খতিয়ে দেখছি। বড় অঙ্কের কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। বিজয়ীদের কেউ হয়তো বেশি আর কেউ কম উপার্জন করেছেন। আমাদের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য আছে।”  

    তিনি আরও বলেন, “লটারির মতো এখান থেকেও প্রতিটি জয় বাবদ কর নেওয়া হবে। লটারি, ক্রসওয়ার্ড পাজল, ঘোড়দৌড়, তাস খেলা, এবং যেকোনো ধরণের অন্যান্য খেলা, জুয়া বা বাজি সহ লটারি থেকে জেতা টাকার উপর ৩০% কর নেওয়া হয়। এখানে কোনও ছাড় পাওয়া যায় না।” 

    আরও পড়ুন: বিনোদন জগতে সর্বোচ্চ ‘করদাতা’ বলিউডের ‘খিলাড়ি’! সম্মানিত করল আয়কর বিভাগ

    এই ক্ষেত্রে মূলত জেতা টাকার থেকে আগেই কর কেটে বাকি টাকা বিজয়ীকে দেওয়া হয়। 

    নীতিন গুপ্ত বলেন, “এই গেমিং অ্যাপগুলি কর ফাঁকি দিচ্ছে কী না তা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই তদন্ত চালানো হচ্ছিল। আমাদের বিভাগ নিজেদেরকে আর রিয়েল এস্টেড এবং ডেভলপারসের মধ্যেই সীমাবদ্ধা রাখছি না। আমরা নতুন ক্ষেত্রেও কাজ করছি। স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে ওষুধ, ডেভলপার থেকে ইন্ডাস্ট্রি, সব ক্ষেত্রেই কাজ করছি আমরা। এখন আমরা আরও কিছু নতুন জায়গায় কাজ করছি। যেমন গেমিং অ্যাপ, অ্যাসেট রিকনস্ট্রাকশন কোম্পানি ইত্যাদি।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Partha Chatterjee: হাজারিবাগের হোটেলে পার্থ-ঘনিষ্ঠের খোঁজে তল্লাশি আয়কর দফতরের, কী মিলল জানেন?

    Partha Chatterjee: হাজারিবাগের হোটেলে পার্থ-ঘনিষ্ঠের খোঁজে তল্লাশি আয়কর দফতরের, কী মিলল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ চট্টোপাধ্যায়– অর্পিতা মুখোপাধ্যায় গ্রেফতার নিয়ে কিছুদিন আগেই উত্তাল হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। এর মাঝেই রাজ্যের আরও এক হেভি ওয়েট নেতা অনুব্রত মণ্ডলকেও গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এই ইস্যুগুলি ঠাণ্ডা হতে না হতেই রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) এক ঘনিষ্ঠের (Aid) খোঁজে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) হজারিবাগের (Hajaribag) একটি হোটেলে হানা (Raid) দিলেন আয়কর দফতরের (Income Tax Department) আধিকারিকরা। 

    আরও পড়ুন: ১৪ দিনের জেল হেফাজত পার্থ-অর্পিতার! কেউ ছাড় পাবে না, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর নিশানায় কারা?
     
    পিটিআই সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পার্থ-ঘনিষ্ঠ ওই ব্যক্তির খোঁজে তল্লাশি চালান আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। শুক্রবার রাতে ঝাড়খণ্ডের হজারিবাগ জেলার ভাণ্ডারা পার্কের একটি হোটেলে যান তাঁরা।  

    আয়কর দফতরের আধিকারিকরা সূত্র মারফত খবর পান, ওই হোটেলে এসেছেন পার্থের এক সঙ্গী। বেশ কিছু দিন ধরেই আয়কর দফতর নজর রাখছিল ওই ব্যক্তির ওপর। যদিও শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, হোটেলে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা পৌঁছনোর আগেই তিনি পালিয়ে যান। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) তরফে আয়কর দফতরকে জানানো হয় পার্থ-ঘনিষ্ঠ ওই ব্যক্তির কাছে প্রচুর নগদ টাকা রয়েছে। এর পরেই ওই ব্যক্তির খোঁজ শুরু করে আয়কর দফতর।

    আরও পড়ুন: যৌথ ব্যবসার সত্যতা স্বীকার অর্পিতার! জেলে গিয়ে পার্থকে দেড় ঘণ্টা জেরা ইডি-র

    প্রথমে ভাণ্ডারা পার্কের সমস্ত প্রবেশপথ বন্ধ করে দেন আয়কর আধিকারিকরা। মাল্টিপ্লেক্স, হোটেল, অনুষ্ঠান বাড়ি—সমস্ত গেট বন্ধ করে খোঁজ শুরু হয়। আয়কর দফতরের এক আধিকারিক সংবাদ মাধ্যমকে জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে আট ঘণ্টা ওই হোটেলে তল্লাশি চলে। কিন্তু কোনও ভাবে পার্থ-ঘনিষ্ঠকে ধরা যায়নি। তবে হোটেলকর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁরা জানতে পারেন, কলকাতা থেকে সরকারি গাড়ি চেপে সেখানে পৌঁছন ওই ব্যক্তি। তাঁর সঙ্গে ছিল বিশাল বড় একটি ব্যাগ।  

    আয়কর দফতরের সন্দেহ, হিসাব বহির্ভূত টাকা লুকিয়ে রাখার জায়গা খুঁজতেই ওই ব্যক্তি ঝাড়খণ্ডের হোটেলে গিয়ে উঠেছিলেন। আই-টি হানার আগাম খবর পেয়ে কয়েক ঘণ্টা আগেই ওই ব্যক্তি হোটেল ছেড়ে পালিয়ে যান বলে খবর। আয়কর দফতরের আধিকারিকরা হোটেল কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদও করেন। 

    এসএসসি দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। একই মামলায় অভিযুক্ত দুজনকে ১৯ অগাস্ট শুক্রবার আদালতে পেশ করা হয় ১৪ দিনের জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে। এ দিন ফের তাঁদের দুজনকেই ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপর আজ ফের এই বিপুল পরিমান সম্পত্তির হদিশ মিলল। তবে এই বিপুল অঙ্কের টাকা কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, কার মাধ্যমেই বা পাচার করা হচ্ছিল, তা এখনও জানা যায়নি। 

     

  • IT Raid Maharashtra: ‘বরযাত্রী’ সেজে হানা আয়কর দফতরের, উদ্ধার ৫৮ কোটি নগদ, ৩২ কেজি সোনা!

    IT Raid Maharashtra: ‘বরযাত্রী’ সেজে হানা আয়কর দফতরের, উদ্ধার ৫৮ কোটি নগদ, ৩২ কেজি সোনা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন একেবারে সিনেমা। বরযাত্রীর গাড়ি এসে নিয়ে গেল কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি! হ্যাঁ এমনটাই ঘটেছে। ঠিক যেমন সিনেমায় দেখা যায়। পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) পর এবার মহারাষ্ট্র (Maharashtra)। মহারাষ্ট্রের জালনা থেকে উদ্ধার হল কোটি কোটি টাকা।

    দেশের কালো টাকা উদ্ধারে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) পর এবার বড় জয় পেল আয়কর দফতর (Income Tax Department)। গত ৩ অগাস্ট মহারাষ্ট্রের জালনা শহরে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে অভিযান চালায় আয়কর দফতর। সেখানে থেকেই উদ্ধার হয় ৫৮ কোটি নগদ টাকা।

    তবে শুধু টাকাই নয়, তার সঙ্গে বাজেয়াপ্ত হয়েছে ১৪ কোটি মূল্যের ৩২ কেজি সোনা সহ ৩৯০ কোটি টাকার বেআইনি সম্পদ। আয়কর দফতরকে প্রায়ই এমন অভিযান চালিয়ে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করতে দেখা যায়, তবে এবারের ঘটনাটি একেবারেই আলাদা। কারণ এবারে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা বরযাত্রী সেজে এই অভিযান চালায়।

    আরও পড়ুন: অতুলনীয় ভালোবাসা! চোখের জলে ‘রাজকীয়’ বিদায় প্রিয় পোষ্য কুকুর অঞ্জলির, ভিডিও ভাইরাল

    আইটি বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, তাঁরা প্রায় এক সপ্তাহ জুড়ে মুম্বই এবং মারাঠাওয়াড়া অঞ্চলের তিনটি শহরে ৩০ টিরও বেশি স্থানে অভিযান চালায়। কারণ তার বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেলে, তার উপর ভিত্তি করেই ব্যবসায়ীর বাড়িতে অভিযান চালায় ২৫০ জন আয়কর দফরের আধিকারিক। আর এই অভিযান চলাকলীন তাঁরা অনেক বেআইনি নথিও বাজেয়াপ্ত করেছে।

    কর্মকর্তারা আরও জানান, ওই ব্যবসায়ীর রয়েছে ইস্পাতের ব্যবসা। তাঁর বাড়ি এবং সংস্থায় অভিযান চালিয়ে আয়কর দফতর নগদ টাকা, সোনা এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করেছে। অন্য এক কর্মকর্তা জানান, তাঁরা বেশ কিছুদিন ধরেই একটি গাড়িকে ফুল দিয়ে সাজিয়ে, ‘দুলহন হাম লে জায়েঙ্গে’ স্টিকার সেঁটে নিয়ে বিয়ের গাড়িতে বরযাত্রীর ছদ্মবেশে অভিযান চালাচ্ছেন। গাড়ির উপরে আবার লেখা ছিল, ‘Rahul Weds Anjali’। এমনকি এতে স্থানীয় পুলিশদেরও কোনও খবর দেওয়া হয়নি। যাতে কেউ বিষয়টি জানতে না পারে।

    সূত্রের খবর, বেশিরভাগ টাকা জালনার ফার্ম হাইজ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সেই টাকা গুনতে আয়কর কর্মকর্তাদের প্রায় ১২ ঘণ্টা লেগেছে। সেখান থেকে প্রায় ১২০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের কাঁচামাল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আয়কর বিভাগ সূত্রে খবর, এই ব্যবসায়ীর সঙ্গে কলকাতা ভিত্তিক সংস্থারও যোগ রয়েছে। আবার তল্লাশি চালানোর সময় বিভিন্ন লকারেরও সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, সেই লকার থেকেও বিপুল পরিমাণ সোনা, অর্থ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

  • ITR Filing: আয়কর রিটার্ন দাখিল করেননি? জেনে নিন দিতে হবে কত লেট-ফি

    ITR Filing: আয়কর রিটার্ন দাখিল করেননি? জেনে নিন দিতে হবে কত লেট-ফি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আয়কর রিটার্ন (Income Tax Return) দাখিলের শেষ দিন ছিল ৩১ জুলাই। ২০২১-২২ অর্থবর্ষের আয়কর দফতরে ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল হয়েছে ৫.৮৩ কোটি। যা আদতে একটি রেকর্ড। শেষ দিনে আয়কর (Income Tax) দাখিল হয়েছে ৭২.৪২ লক্ষ। ৩১ জুলাই পর্যন্ত সব মিলিয়ে দাখিল হয়েছে ৫.৮৩ কোটি।

    পুরো বিষয়টি জানিয়ে ট্যুইট করেছে আয়কর দফতর (Income Tax Department)। ট্যুইট বার্তায় বলা হয়েছে, ২০২২ এর ৩১ জুলাই পর্যন্ত ৫.৮৩ কোটি আইটি রিটার্ন দাখিল হয়েছে। নয়া রেকর্ডও হয়েছে। শেষ দিনে আয়কর দফতরে রিটার্ন দাখিল হয়েছে ৭২.৪২ লক্ষ। সময় মতো রিটার্ন দাখিল করায় আয়কর দফতর করদাতাদের কৃতজ্ঞতাও জানায়।  

    গত দু’বছর ধরে আয়কর রিটার্ন দাখিলের তারিখ বাড়ানো হচ্ছিল। এবারও সেই আশায়ই শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলেন করদাতারা। তবে এবার আর সরকার সেই সময় সীমা বাড়ায়নি। সুতরাং, যাঁরা ইতিমধ্যেই রিটার্ন দাখিল করেছেন, তাঁদের উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। কিন্তু যাঁরা ওই তারিখের মধ্যে রিটার্ন দাখিল করতে পারেননি, তাঁরা তা করতে পারবেন চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। যদিও এজন্য লেট-ফি দিত হবে তাঁদের।

    আরও পড়ুন : সময়সীমা ৩১ অগাস্ট, জেনে নিন কীভাবে করবেন আয়কর রিটার্নের ই-ভেরিফিকেশন

    যাঁদের বাৎসরিক আয় ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত, লেট-ফি বাবদ তাঁদের দিতে হবে ১০০০ টাকা। আয় ৫ লক্ষ টাকা ছাড়ালেই ফাইন দিতে হবে ৫ হাজার টাকা। যদি কোনও করদাতার আয় করছাড়ের সীমার নীচে থাকে, তবে তাঁদের কোনও লেট ফাইন দিতে হবে না। তবে, নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে যাঁরা রিটার্ন দাখিল করতে পারেননি, দেরি করে ট্যাক্স দেওয়ায় তাঁদের গুণতে হবে সুদ। ফলে, তাঁদের ৩১ জুলাই থেকে সুদ সহ ট্যাক্সের পুরো টাকা জমা দিতে হবে।

    প্রসঙ্গত, রিটার্ন দাখিলের ভেরিফিকেশন আগে ছিল ১২০ দিন। এখন তা কমিয়ে করা হয়েছে ৩০ দিন।  ১ অগাস্টের মধ্যে ই-ট্রান্সমিশনের মাধ্যমে এই ভেরিফিকেশনের কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিল সিবিডিটি (CBDT)।

    আরও পড়ুন : কোন পথে বাঁচাবেন আয়কর? জানুন

  • IT Return: কোন পথে বাঁচাবেন আয়কর? জানুন

    IT Return: কোন পথে বাঁচাবেন আয়কর? জানুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের কষ্টের অর্জিত টাকার সিংহ ভাগই আয়কর দফতরের (Income Tax Department) কোষাগারে চলে যাবে, এমনটা কেই বা চায়! আবার সঠিক আইন মেনে কর দেওয়াটাও জরুরি। তাই বলে নিজের টাকা বাঁচাতে চাইবেন না এমন মানুষ বোধহয় আতস কাচ দিয়ে খুঁজলেও পাওয়া যাবে না। তাই ট্যাক্স বাঁচানোর ফাঁক-ফোকর খোঁজেন প্রায় সকলেই। অনেকেই আবার জানেন না কী করে ট্যাক্স বাঁচাবেন। 

    আরও পড়ুন: প্রতারণা করেছেন মেধা পাটকর! এফআইআর দায়ের

    বেশ কয়েকটি উপায়ে আপনি বাঁচাতে পারেন আপনার মাথার ঘাম পায়ে ফেলে রোজগার করা টাকা। জেনে নিন সেই উপায়গুলি কী কী? 

    করের পরিস্থিতি বিচার: 

    আগে সময় নিয়ে বসে দেখুন আপনার করের পরিস্থিতি কী? যদি দেখেন কোনও আয়কর সংক্রান্ত কোনও দায়বদ্ধতা নেই, অর্থাৎ, আপনার জিরো-রিটার্ন রয়েছে, বা বলা ভালো, আপনার আয় করমুক্ত শ্রেণিতে রয়েছে, তাহলে আপনার বেশি কর দেওয়া নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই। শুধুমাত্র আয়কর রিটার্ন ফাইল করলেই আপনার দায়িত্ব শেষ। কিন্তু যদি আপনার আয়কর কাটার সম্ভাবনা থেকে থাকে তাহলে আপনাকে বিষয়টি তলিয়ে ভাবতে হবে। কর বাঁচানোর বেশ কিছু পন্থা রয়েছে। চাইলে আপনারা সেই উপায়ে বেশি করের হাত থেকে রেহাই পেতে পারেন।

    আরও পড়ুন: আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার আগে এই ভুলগুলো ভুলেও করবেন না

    আগে ঠিক করুন আয়করের কোন নিয়মের আওতায় থাকবেন?

    পুরনো নিয়মের আওতায় থাকলে করমুক্ত আয়ের পরিমাণ কম হলেও, তাতে অনেক ছাড় দেওয়া আছে। আয়করের নতুন নিয়মে করমুক্ত আয়ের স্ল্যাব ওপরে উঠিয়ে দিলেও, তাতে কোনও ছাড় নেই। করে ছাড় পেতে আপনাকে পুরোনো নিয়মের আওতায় আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হবে। 

    দেখে নিন কী কী উপায়ে ছাড় পেতে পারেন: 

    কর পরিকল্পনা মানেই সব সময় স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি কেনা নয়। নিজের দৈনন্দিন খরচ দেখিয়েও করে ছাড় পেতে পারেন। সেই দৈনন্দিন খরচগুলো হল: 

    • বাচ্চাদের টিউশন ফি
    • জীবন এবং চিকিৎসা বিমা
    • প্রভিডেন্ট ফান্ডে রাখা টাকা
    • ঋণ বা ইএমআই

    যদি নতুন সম্পত্তি কেনার সামর্থ্য আপনার না থাকে, তাহলে এই উপায়গুলিতে আপনারা কর বাঁচাতে পারেন। এইসব খরচ আপনি তখনও দেখাতে পারবেন, যদি খরচগুলি বছরের ৩১ মার্চের আগে করা হয়। এই বিনিয়োগগুলির সঠিক প্রমাণ রাখা অত্যন্ত জরুরি। ভবিষ্যতে যেকোনও প্রয়োজনে আয়কর দফতর সেই প্রমাণ আপনার কাছ থেকে চাইতে পারে। 

    রয়েছে আরও কিছু উপায়

    যদি আপনি কোনও ভাড়া বাড়িতে থাকেন এবং নিয়মিত ভাড়া দেন তাহলে আয়করে ছাড় পেতে পারেন। এর জন্যে আপনাকে আপনার ভাড়ার রসিদ প্রমাণপত্র এবং বাড়ির মালিকের প্যান কার্ডের তথ্য দিতে হবে। 

     

     

     

     

LinkedIn
Share