Tag: India

India

  • World Bank: ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষেও ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি বিশ্বে দ্রুততম থাকবে, বলছে বিশ্বব্যাঙ্ক

    World Bank: ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষেও ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি বিশ্বে দ্রুততম থাকবে, বলছে বিশ্বব্যাঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষেও বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতির দেশ হিসেবে তার জায়গা ধরে রাখবে ভারত (India)। এর পেছনে রয়েছে শক্তিশালী ভোগব্যয়ের বৃদ্ধি, কৃষি উৎপাদনের উন্নতি এবং গ্রামীণ মজুরি বৃদ্ধি। মঙ্গলবার প্রকাশিত বিশ্বব্যাঙ্কের (World Bank) এক প্রতিবেদনেই এই তথ্য জানানো হয়েছে। বিশ্বব্যাঙ্ক ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের জন্য ভারতের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৬.৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬.৫ শতাংশ করেছে। এর পেছনে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে স্থিতিশীল অভ্যন্তরীণ চাহিদা, শক্তিশালী গ্রামীণ পুনরুদ্ধার এবং কর সংস্কারের ইতিবাচক প্রভাব।

    বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি (World Bank)

    প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ২৬ অর্থবর্ষে ৪.৮ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভুটানের ক্ষেত্রে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণে দেরির কারণে ২৬ অর্থবর্ষে প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৭.৩ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। তবে ২৬ অর্থবর্ষে নির্মাণের গতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই প্রবণতা উল্টে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। দ্বীপরাষ্ট্র মলদ্বীপে ২৬ অর্থবর্ষে প্রবৃদ্ধি কমে ৩.৯ শতাংশে নেমে আসবে বলে অনুমান। নেপালে সাম্প্রতিক অস্থিরতা এবং ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে ২৬ অর্থবর্ষে প্রবৃদ্ধি কমে ২.১ শতাংশে নেমে আসবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।

    দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধি

    শ্রীলঙ্কায় পর্যটন ও সেবা খাতে রফতানির শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির কারণে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের জন্য প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস বাড়িয়ে ৩.৫ শতাংশ করা হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধি এই বছর ৬.৬ শতাংশে শক্তিশালী থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ২৬ সালে তা কমে ৫.৮ শতাংশে নেমে আসবে বলে অনুমান। এটি এপ্রিলের পূর্বাভাসের তুলনায় ০.৬ শতাংশ পয়েন্ট কম। সম্ভাব্য নেতিবাচক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব, বাণিজ্য নীতির অনিশ্চয়তা, আঞ্চলিক সামাজিক-রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং এআইয়ের মতো প্রযুক্তির কারণে শ্রমবাজারে অস্থিরতা।

    বিশ্বব্যাঙ্কের বক্তব্য

    বিশ্বব্যাঙ্কের দক্ষিণ এশিয়ার সহ-সভাপতি জোহানেস জুট বলেন, “দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বিপুল এবং এটি এখনও বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অঞ্চল। তবে প্রবৃদ্ধির ঝুঁকিগুলির মোকাবিলায় দেশগুলির সক্রিয়ভাবে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।” তিনি বলেন, “দেশগুলি এআইয়ের সুবিধা সর্বাধিক ব্যবহার এবং বিশেষ করে মধ্যবর্তী পণ্যের বাণিজ্য বাধা কমিয়ে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, বেসরকারি বিনিয়োগ উৎসাহিত এবং দ্রুত সম্প্রসারিত শ্রমশক্তির জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারে (World Bank)।”

    বিশ্বব্যাঙ্কের ওই রিপোর্টে উৎপাদনশীলতা ও আয় বাড়াতে এআইয়ের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর সুপারিশ করেছে। এআইয়ের দ্রুত বিকাশ বৈশ্বিক অর্থনীতিকে রূপান্তরিত করছে এবং শ্রমবাজারকে পুনর্গঠন করছে। দক্ষিণ এশিয়ার শ্রমশক্তি মূলত কম দক্ষ, কৃষিভিত্তিক ও হাতের কাজ নির্ভর হওয়ায় এআই গ্রহণের ক্ষেত্রে তাদের সম্পৃক্ততা সীমিত। তবে মাঝারি (India) শিক্ষিত তরুণ শ্রমিকরা, বিশেষত ব্যবসা, পরিষেবা ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কর্মরতরা তুলনামূলকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছেন। রিপোর্টে চাকরির সুযোগ সৃষ্টির গতি ত্বরান্বিত করতে কিছু সুপারিশও করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সংস্থাগুলির প্রবৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করে এমন নিয়মনীতিগুলির সরলীকরণ, উন্নত পরিবহণ এবং ডিজিটাল সংযোগ, আবাসন অনুসন্ধানে আরও স্বচ্ছ বিকল্প, দক্ষতা উন্নয়ন ও চাকরির মিল খুঁজে দেওয়া, এবং ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা দেওয়া (World Bank)।

  • Keir Starmer: বাণিজ্যের লক্ষ্যে দু’দিনের সফরে ভারতে কিয়ের স্টার্মার, বৈঠক হবে মোদির সঙ্গেও

    Keir Starmer: বাণিজ্যের লক্ষ্যে দু’দিনের সফরে ভারতে কিয়ের স্টার্মার, বৈঠক হবে মোদির সঙ্গেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’দিনের ভারত (India) সফরে এলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার (Keir Starmer)। তাঁর সঙ্গে ব্রিটেন থেকে এ দেশে এসেছেন ১০০ জনেরও বেশি ব্যবসায়িক প্রতিনিধির একটি দল। এটি ব্রিটেন থেকে ভারতে এ পর্যন্ত পাঠানো সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক প্রতিনিধিদল বলেই সূত্রের খবর। এই প্রতিনিধিদলের ঘোষিত লক্ষ্য হল ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে ২০২৫ সালের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিকে (Free Trade Deal) আরও এগিয়ে নেওয়া এবং ২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করা।

    ভারতে এলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী (Keir Starmer)

    বুধবার নির্ধারিত বৈঠকের আগে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী মুম্বইয়ে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে। স্টার্মার ও তাঁর প্রতিনিধিদলকে ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাগত জানান মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস, উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে ও অজিত পওয়ার এবং রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রত। চলতি ভারত সফরে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে, তার ইঙ্গিতও দিলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ভারতের সঙ্গে ব্রিটেনের সম্প্রতি স্বাক্ষরিত মুক্ত বাণিজ্যচুক্তিতে সম্পূর্ণরূপে ব্যবসা ও বাণিজ্যচুক্তি এবং বিনিয়োগই গুরুত্ব পাবে।” ভিসা নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটা পরিকল্পনার অংশ নয়। ব্রিটেনের অভিবাসন নীতির কোনও পরিবর্তন হবে না।” ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিশ্বজুড়ে শীর্ষ প্রতিভাদের সন্ধান করে ব্রিটেন। কিন্তু ট্রাম্পের অধীনে এইচ-১বি ভিসা ব্যবস্থা পরিবর্তনের পর ভারতীয় প্রযুক্তিবিদদের জন্য এখনই কোনও নতুন পথ খোলার কোনও পরিকল্পনাই নেই আমাদের।”

    মোদির সঙ্গে বৈঠক

    ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথমবার ভারতে (India) এলেন স্টার্মার। আমেরিকার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যচুক্তি এখনও ঝুলেই রয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপোড়েন চলছে নয়াদিল্লির। এই দড়ি টানাটানির মধ্যেই সম্প্রতি স্বাক্ষরিত হয়েছে ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি। এহেন আবহে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ভারতে আগমন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরে মুম্বইয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে একটি আলোচনাচক্রেও যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে স্টার্মারের। সেখানে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত বিশেষজ্ঞ ও উদ্যোগপতিদের সঙ্গে আলাপচারিতায় যোগ দিতে পারেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী (Keir Starmer)।

    মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি

    প্রসঙ্গত, গত ২৪ জুলাই লন্ডন থেকে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে এই চুক্তির কথা ঘোষণা করেছিলেন মোদি (India) ও স্টার্মার। এই চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর ব্রিটেনে তৈরি বা ব্রিটেন থেকে আমদানিকৃত চিকিৎসা সরঞ্জাম, বিমান সরঞ্জাম ভারতীয় সংস্থাগুলির জন্য আগের চেয়ে সস্তা হয়ে যাবে। ভারতীয়দের জন্য সহজলভ্য হবে ব্রিটেনে তৈরি সফট ড্রিঙ্কস, চকোলেট, প্রসাধনী সামগ্রী, বিস্কুট এবং স্যামন মাছ। এই সব পণ্যে এত দিন গড়ে ১৫ শতাংশ করে শুল্ক কার্যকর ছিল। মুক্ত বাণিজ্যচুক্তির ফলে তা কমে দাঁড়াবে তিন শতাংশে। বৈদ্যুতিক গাড়ির শুল্ক ১১০ শতাংশ থেকে নেমে আসবে ১০ শতাংশে।

    সিইও ফোরামে অংশ নেবেন দুই রাষ্ট্রনেতা

    জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কিয়ের স্টার্মার (Keir Starmer) শহরে সিইও ফোরাম এবং গ্লোবাল ফিনটেক ফেস্টের ষষ্ঠ সংস্করণে অংশ নেবেন। তাঁদের বৈঠকের সময় মোদি এবং স্টার্মার ইন্ডিয়া-ইউকে যৌথ কৌশলগত অংশীদারিত্বের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতির মূল্যায়ন করবেন। এই মূল্যায়ন হবে ভিশন ২০৩৫ রোডম্যাপের ভিত্তিতে, যা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা, জলবায়ু ও জ্বালানি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্কের মতো ক্ষেত্রকে অন্তর্ভুক্ত করে।

    ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা

    দুই রাষ্ট্রনেতা প্রধানমন্ত্রী মোদি ও স্টার্মার ভারত-ব্রিটেন (India) যৌথ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য চুক্তির সুযোগ নিয়ে ব্যবসায়ী ও শিল্পখাতের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। এই চুক্তিকে ভবিষ্যতে ভারত-ব্রিটেন অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের একটি কেন্দ্রীয় স্তম্ভ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তাঁরা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়েও মতবিনিময় করবেন। এছাড়াও, উভয় নেতা শিল্প বিশেষজ্ঞ, নীতিনির্ধারক এবং উদ্ভাবকদের সঙ্গেও আলোচনা করবেন (Keir Starmer)। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন স্টার্মার। প্রযুক্তি, উদ্ভাবন, প্রতিরক্ষা, জলবায়ু, জ্বালানি থেকে শুরু করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা হবে তাঁদের। এর পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে বৈঠকে।

    প্রসঙ্গত, চলতি বছর জুলাই মাসেই ব্রিটেন সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি। ওই সফরেই দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় দুই দেশের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি। আগামী বছর থেকেই কার্যকর হবে এই চুক্তি (Keir Starmer)।

  • India: ‘‘যারা ১৯৭১ সালে ৪ লক্ষ মহিলাকে গণধর্ষণ করেছিল…’’, রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে ধুয়ে দিল ভারত

    India: ‘‘যারা ১৯৭১ সালে ৪ লক্ষ মহিলাকে গণধর্ষণ করেছিল…’’, রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে ধুয়ে দিল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তানকে একেবারে ধুয়ে দিল ভারত (India)। নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) কাশ্মীর ইস্যু উত্থাপন করেছিল পাকিস্তান। তারই জবাব দিতে গিয়ে পাকিস্তানকে একহাত নেন ভারতের প্রতিনিধি। তামাম বিশ্বকে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সময় ইসলামাবাদের অনুমোদিত ৪ লাখ মহিলার ওপর সংঘটিত গণধর্ষণ অভিযানের কথা। ‘নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক’ আলোচনার সময় এই প্রতিক্রিয়া জানানো হয় ভারতের তরফে।

    পাকিস্তানের মিথ্যাপূর্ণ তথ্যের কড়া সমালোচনা (India)

    বিতর্ক সভায় অংশ নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত পর্বতনেনি হরিশ পাকিস্তানের মিথ্যাপূর্ণ তথ্যের কড়া সমালোচনা করেন। আন্তর্জাতিক মঞ্চকে অপব্যবহার করে প্রচার চালানোর অভিযোগও তোলেন তিনি। হরিশ বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত প্রতি বছরই আমাদের আমার দেশকে লক্ষ্য করে পাকিস্তানের এই ভ্রান্তিপূর্ণ বিষোদ্গার শুনতে হয়, বিশেষত জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে — যে ভারতীয় ভূখণ্ডের প্রতি তারা লোভাতুর দৃষ্টি দেয় সর্বক্ষণ।” তিনি বলেন, “এটাই সেই দেশ যারা ১৯৭১ সালে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ পরিচালনা করেছিল এবং নিজেদের সেনাবাহিনী দিয়ে ৪ লক্ষ মহিলা নাগরিকের ওপর পরিকল্পিত গণধর্ষণ চালিয়ে এক গণহত্যার অভিযানে অনুমোদন দিয়েছিল। বিশ্ব পাকিস্তানের এই প্রচারের ভেতরটা স্পষ্টভাবেই দেখতে পায় (UNSC)।”

    পাকিস্তান নিজেদের জনগণকে বোমা মারে

    হরিশ পাকিস্তানকে এমন একটি দেশ হিসেবে বর্ণনা করেন, যেখানে তারা নিজেদের জনগণকে বোমা মারে এবং পরিকল্পিতভাবে গণহত্যা চালায়। তিনি আরও বলেন, “ইসলামাবাদ আন্তর্জাতিক সমাজের নজর ঘোরাতে ভুল দিকনির্দেশনা করছে, করছে অতিরঞ্জনও। এভাবেই তারা তাদের দোষ আড়াল করার চেষ্টা করছে (India)।” ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত হরিশ বলেন, যে দেশ নিজের নাগরিকদের ওপর বোমাবর্ষণ করে এবং গণহত্যা চালায়, সেই দেশ মানবাধিকারের নামে মুখ খোলার যোগ্যই নয়। রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানের স্থায়ী মিশনের কাউন্সিলর সাইমা সেলিম অভিযোগ করেন, কাশ্মীরি নারীরা কয়েক দশক ধরে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত যৌন হিংসার শিকার হয়ে আসছেন। তাঁর বক্তব্য, ভবিষ্যতে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (UNSC) প্রতিবেদনগুলিতে কাশ্মীরি নারীদের দুর্দশা প্রতিফলিত হওয়া উচিত।

    বিভ্রান্তিকর ও অতিরঞ্জিত বক্তব্য

    পাকিস্তানের এহেন অভিযোগ খারিজ করে দেন ভারতের রাষ্ট্রদূত। তিনি রাষ্ট্রসংঘে শান্তিরক্ষা মিশনে ভারতের দীর্ঘদিনের অবদান ও শান্তির অপরিহার্য প্রতিনিধি হিসেবে নারীদের প্রাথমিক স্বীকৃতির কথা তুলে ধরেন (UNSC)। উদাহরণ হিসেবে তিনি ছয়ের দশকে কঙ্গোয় ভারতীয় নারী চিকিৎসক আধিকারিকের নিয়োগের ঘটনাটিরও উল্লেখ করেন (India)। কাশ্মীর প্রসঙ্গে পাকিস্তানের চিরাচরিত অভিযোগেরও কঠোর প্রতিবাদ করেন হরিশ। তিনি বলেন, প্রতি বছর পাকিস্তান জম্মু ও কাশ্মীর সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর ও অতিরঞ্জিত বক্তব্য পেশ করে। কিন্তু জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে। হরিশ বলেন, পাকিস্তান অধিকার নিয়ে নানা কথা বলে। অথচ নিজের দেশেই বোমাবর্ষণের কথা ভুলে যায়। তিনি মনে করিয়ে দেন, গত মাসে পাক সেনা কীভাবে খাইবার পাখতুনখোয়ায় বোমাবর্ষণ করেছিল। নারী, শিশু নির্বিশেষে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে সেই হিংসায়। এর পরেই হরিশ বলেন, জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিল, চিরকালই থাকবে। কারও অতিরঞ্জিত বক্তব্য এখানে ছাপ ফেলতে পারবে না (India)।

    সাইমা সালেমের বক্তব্য

    পাক কূটনীতিবিদ সাইমা সালেম সভায় অভিযোগ করেছিলেন যে, কাশ্মীরি মহিলারা কষ্টের মধ্যে রয়েছেন। তাঁর সেই বক্তব্যের জবাবে ভারতীয় প্রতিনিধি বলেন, যে দেশ নারী, শান্তি ও নিরাপত্তার নামে কুমিরের কান্না কাঁদে, তারাই সেনাবাহিনীর ইতিহাসে সব চেয়ে বর্বর যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটিয়েছে (UNSC)। পাকিস্তান নারী সুরক্ষার কথা বলার আগে নিজের অতীতের দিকে তাকাক। তিনি বলেন, নারীর অধিকার ও সুরক্ষার ক্ষেত্রে তাদের রেকর্ড নিষ্কলঙ্ক ও অক্ষত। আন্তর্জাতিক মঞ্চে বারবার মিথ্যে প্রচার চালিয়ে পাকিস্তান বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে।

    প্রসঙ্গত, অপারেশন সার্চলাইটের নামে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান (অধুনা বাংলাদেশ) অত্যাচার চালিয়েছিল তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান (অধুনা পাকিস্তান)। সেবার পাক সেনা হত্যা করেছিল তিন লাখেরও বেশি বাঙালিকে। শুধু তাই নয়, প্রায় চার লাখ মহিলাকে পাকিস্তানি সেনার ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছিল (India)। পরবর্তীকালে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ভারতের সহায়তায় জন্ম হয়েছিল বাংলাদেশের (UNSC)।

  • Gyanesh Kumar: “কোনও ভোটকেন্দ্রে ১,২০০-র বেশি ভোটার থাকবে না”, সাফ কথা জাতীয় মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের

    Gyanesh Kumar: “কোনও ভোটকেন্দ্রে ১,২০০-র বেশি ভোটার থাকবে না”, সাফ কথা জাতীয় মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নির্বিঘ্নে ভোটগ্রহণ করার জন্য কোনও ভোটকেন্দ্রে ১,২০০-র বেশি ভোটার থাকবে না।” রবিবার আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলির রূপরেখা তুলে ধরতে গিয়ে এ কথা বলেন জাতীয় মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার (Gyanesh Kumar)।

    জ্ঞানেশ কুমারের বক্তব্য (Gyanesh Kumar)

    তিনি জানান, ভোট প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা বাড়ানো (Polling Station) ও ভোটারদের অভিজ্ঞতা উন্নত করার লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিন পাটনায় সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠক করতে গিয়ৈ জ্ঞানেশ কুমার বলেন, “নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে কোনও ভোটকেন্দ্রে ১,২০০-এর বেশি ভোটার থাকবে না।” তিনি জানান, বুথ-স্তরের কর্তাদের এখন থেকে পরিচয়পত্র দেওয়া হবে, যাতে তাদের সহজে চিহ্নিত করা যায়। ভোটারদের মোবাইল ফোন বুথের বাইরে জমা রাখতে হবে। তিনি বলেন, “বুথ-স্তরের কর্তাদের জন্য পরিচয়পত্র চালু করা হয়েছে, যাতে ভোটারদের কাছে পৌঁছানোর সময় তাদের সহজে চেনা যায়। ভোটাররা বুথের বাইরে একটি নির্দিষ্ট কক্ষে মোবাইল ফোন জমা দিতে পারবেন। এই প্রক্রিয়া সমগ্র বিহারে কার্যকর করা হবে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ১০০ শতাংশ ওয়েবকাস্টিং থাকবে।”

    নয়া ঘোষণা

    প্রধান নির্বাচন কমিশনার আসন্ন নির্বাচনের ব্যালট পেপারেও পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করেন। তিনি জানান, ব্যালট পেপারের সিরিয়াল নম্বরের অক্ষর এখন থেকে সারা দেশে বড় আকারের হবে এবং প্রার্থীদের ছবি থাকবে রঙিন (Gyanesh Kumar)। তিনি বলেন, “যখন ব্যালট পেপার ইভিএম-এ প্রবেশ করানো হয়, তখন তাতে প্রার্থীর ছবি সাদা-কালো ছিল, যদিও নির্বাচনী প্রতীক থাকে। সিরিয়াল নম্বরও আরও বড় হওয়া উচিত। বিহার নির্বাচন দিয়ে শুরু করে সারা (Polling Station) দেশে ব্যালট পেপারের সিরিয়াল নম্বর বড় আকারে ছাপানো হবে এবং প্রার্থীদের রঙিন ছবিও থাকবে(Gyanesh Kumar)।”

  • Workforce Growth: মোদি জমানায় ঊর্ধ্বমুখী কর্মসংস্থানের লেখচিত্র, জানাল শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক  

    Workforce Growth: মোদি জমানায় ঊর্ধ্বমুখী কর্মসংস্থানের লেখচিত্র, জানাল শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি জমানায় ঊর্ধ্বমুখী কর্মসংস্থানের লেখচিত্র (Workforce Growth)। শুক্রবারই নয়া তথ্য প্রকাশ করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক। এই তথ্য থেকেই প্রকাশ (Bharat), ভারতে কর্মসংস্থান ২০১৭-১৮ সালে ৪৭.৫ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০২৩-২৪ সালে ৬৪.৩৩ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। এর অর্থ হল, গত ছ’বছরে নেট ১৬.৮৩ কোটি নতুন চাকরির সৃষ্টি হয়েছে। এই লাফ কেবল পরিসংখ্যানগত নয়, এটি ভারতের অর্থনীতিতে গভীর কাঠামোগত পরিবর্তনের প্রতিফলন, যা সংস্কার, ডিজিটালাইজেশন এবং লক্ষ্যভিত্তিক সরকারি নীতির দ্বারা পরিচালিত। একই সঙ্গে বেকারত্বের হার ২০১৭-১৮ সালের ৬ শতাংশ থেকে কমে মাত্র ৩.২ শতাংশে নেমে এসেছে। এটি বৈশ্বিক গড়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম।

    ফিউচার অব জবস রিপোর্ট ২০২৫ (Workforce Growth)

    ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ফিউচার অব জবস রিপোর্ট ২০২৫ অনুযায়ী, আগামী বছরগুলিতে বৈশ্বিক কর্মশক্তিতে নতুন প্রবেশকারীদের মধ্যে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই আসবে ভারত থেকে। ১৪০ কোটি জনসংখ্যার একটি দেশের জন্য এই সংখ্যা কেবল প্রবৃদ্ধিই নয়, স্থিতিশীলতার প্রতীকও। এটি নিশ্চিত করছে যে ভারতের তরুণ জনগোষ্ঠী জাতীয় ও বৈশ্বিক অর্থনীতির মেরুদণ্ডে পরিণত হতে পারবে। সরকার মূলত পর্যায়ক্রমিক শ্রমশক্তি সমীক্ষার মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ধারা পর্যবেক্ষণ করে। এটি পরিচালনা করে জাতীয় পরিসংখ্যান দফতর। ২০২৫ সালের অগাস্ট মাসের তথ্য অনুযায়ী, এই সমীক্ষায় ৩.৭৭ লক্ষ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ২.১৬ লক্ষ গ্রামীণ এলাকা থেকে এবং ১.৬১ লক্ষ শহরাঞ্চল থেকে।

    শ্রমশক্তি অংশগ্রহণের হার

    চলতি বছরের জুন থেকে অগাস্টের মধ্যে শ্রমশক্তি অংশগ্রহণের হার ৫৪.২ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৫৫ শতাংশ। আর কর্মরত জনসংখ্যার অনুপাত ৫১.২ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫২.২ শতাংশ হয়েছে (Workforce Growth)। দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিকোণ থেকে পরিবর্তন আরও নাটকীয়। ২০১৭–১৮ সালে শ্রমশক্তি অংশগ্রহণের হার ছিল ৪৯.৮ শতাংশ, ২০২৩–’২৪ সালে এটি বেড়ে হয়েছে ৬০.১ শতাংশ। কর্মরত জনসংখ্যার অনুপাত একই সময়ে ৪৬.৮ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৫৮.২ শতাংশ (Bharat)।এই পরিসংখ্যানগুলি থেকে এটা স্পষ্ট যে, ভারতের আরও বেশি মানুষ এখন কাজের সন্ধান করছে, এবং তাদের মধ্যে আরও অনেকে সফলভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছে।

    ভারতের কর্মসংস্থানের ধরন

    ভারতের কর্মসংস্থানের ধরন আজও গভীরভাবে প্রভাবিত গ্রামীণ–শহুরে বিভাজনের দ্বারা। গ্রামীণ ভারতে কৃষি খাত এখনও কর্মসংস্থানের প্রধান উৎস। এখানে পুরুষদের ৪৪.৬ শতাংশ এবং নারীদের ৭০.৯ শতাংশ কৃষিতে নিযুক্ত। যদিও ধীরে ধীরে কৃষির বাইরের কর্মসংস্থানের সুযোগও বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা গ্রামীণ অর্থনীতির চেহারায় বৈচিত্র্য আনছে (Workforce Growth)। শহুরে ভারতে কর্মসংস্থানের মূলভিত্তি হল পরিষেবা খাত। এখানে পুরুষদের ৬০.৬ শতাংশ এবং মহিলাদের ৬৪.৯ শতাংশ তৃতীয় খাতে কাজ করছেন — যার মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি থেকে শুরু করে আতিথেয়তা পর্যন্ত অন্তর্ভুক্ত। ২০২৫ সালের এপ্রিল–জুন ত্রৈমাসিকে ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ৫৬.৪ কোটি মানুষ কর্মরত ছিলেন। এর মধ্যে ৩৯.৭ কোটি পুরুষ এবং ১৬.৭ কোটি মহিলা।

    অর্থনৈতিক আধুনিকায়নের অন্যতম সুস্পষ্ট চিহ্ন হল আনুষ্ঠানিক কর্মসংস্থানের বৃদ্ধি, যা ইপিএফও (EPFO)–এর সাবস্ক্রাইবার ডেটায় প্রতিফলিত হয়েছে (Bharat)। শুধু ২০২৪–২৫ অর্থবর্ষেই ১.২৯ কোটি নতুন নেট সাবস্ক্রাইবার যুক্ত হয়েছেন, যা ২০১৮–১৯ সালের ৬১.১২ লাখের প্রায় দ্বিগুণ। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত মোট ৭.৭৩ কোটি নেট সাবস্ক্রাইবার যুক্ত হয়েছেন (Workforce Growth)।

  • PM Modi: “ট্রাম্প বলছেন বিদেশিরা ফিরে যাও, মোদি বলছেন ঘরে এসো”, মার্কিন নাগরিকের মুখে মোদি-স্তুতি

    PM Modi: “ট্রাম্প বলছেন বিদেশিরা ফিরে যাও, মোদি বলছেন ঘরে এসো”, মার্কিন নাগরিকের মুখে মোদি-স্তুতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ট্রাম্প বলছেন বিদেশিরা ফিরে গিয়ে পাথর ভাঙুক, আর মোদি (PM Modi) বলছেন, ঘরে ফিরে এসো ভাইরা।” ঠিক এই ভাষাতেই ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুণ্ডপাত করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Indian Visa) প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন বেঙ্গালুরুবাসী এক মার্কিন নাগরিক। এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে তিনি গর্বের সঙ্গে তাঁর ৫ বছরের ভারতীয় ভিসার ছবি প্রদর্শন করেছেন। সেখানেই তিনি মোদির প্রশংসা করতে গিয়ে খোঁচা দিয়েছেন ট্রাম্পকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি পরিচিত টনি ক্লোর নামে। যদিও তাঁর আসল নাম ক্লোর অ্যান্থনি লুইস।

    মার্কিন নাগরিকের মোদি-স্তুতি (PM Modi)

    তিনি লিখেছেন, “এটা এখন আনুষ্ঠানিক! ভারত বিদেশি ব্লকচেইন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নির্মাতাদের জন্য নিজেদের দরজা খুলে দিচ্ছে। আমি সদ্য ৫ বছরের একটি মোটা ভারতীয় ভিসা পেয়ে গিয়েছি।”  এর পরেই তিনি লেখেন, “ট্রাম্প বলেন বিদেশিরা ফিরে গিয়ে পাথর ভাঙুক, আর মোদি বলেন, ঘরে ফিরে এস ভাইরা।” তিনি তাঁর পোস্টটি শেষ করেন তাঁর ভিসার একটি ছবি দিয়ে। এতে প্রথমে তাঁর ছবি, তারপর নাম দেখানো হয়েছে। চলতি বছরের ২৩ সেপ্টেম্বরে ইস্যু করা বি-১ ভিসার মেয়াদ বৈধ ২০৩০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এছাড়াও এতে উল্লেখ রয়েছে যে, ভারতে তাঁর একটানা থাকা  ১৮০ দিনের বেশি হতে পারবে না।

    নেটিজেনদের বক্তব্য

    এক মার্কিন নাগরিকের এহেন মোদি-স্তুতিতে খুশি নেটিজেনরা। একজন মজার ছলে লিখেছেন, “অবশেষে, অভিনন্দন—এই প্রথমবার আমি একটি ‘ইন্ডিয়ান ভিসা ফ্লেক্স’ দেখলাম।” আর একজন মন্তব্য করেছেন, “ভারতে স্বাগতম।” অন্য একজন লিখেছেন, “ভারত (PM Modi) জানে যে ভবিষ্যৎ গড়ে উঠছে ব্লকচেইন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে। এই ধরনের ৫ বছরের ভিসা একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয়, যেখানে অন্য দেশগুলি প্রতিভাবান মানুষদের দূরে ঠেলছে, সেখানে ভারত বলছে ‘এস, আমাদের সঙ্গে এসে দেশ গড়ে তোলো’। টনি, ভারতে স্বাগতম।” আরও এক সোশ্যাল মিডিয়া ইউজার লিখেছেন, “ধুর, আমি জানতামই না যে ভারতীয় ভিসা পাওয়া একটা ‘ফ্লেক্স’ অর্থাৎ গর্বের বিষয়।”

    প্রসঙ্গত, বিদেশিদের বি-১ ভিসা (Indian Visa) দিচ্ছে ভারত। ভারতীয় দূতাবাসের সরকারি ওয়েবসাইট অনুযায়ী,  “যাঁরা ভারতে কোনও শিল্প বা ব্যবসা করতে চান বা এর সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে চান, অথবা শিল্পজাত পণ্য, বাণিজ্যিক পণ্য বা ভোক্তা সামগ্রী ক্রয়-বিক্রয় করতে চান, তাঁদের জন্য এই ভিসা প্রযোজ্য (PM Modi)।”

  • India China Agreement: ২৬ অক্টোবর থেকে ফের শুরু হবে ভারত-চিন সরাসরি বিমান পরিষেবা

    India China Agreement: ২৬ অক্টোবর থেকে ফের শুরু হবে ভারত-চিন সরাসরি বিমান পরিষেবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গলছে ভারত-চিন (India China Agreement) সম্পর্কের বরফ। তার জেরেই চলতি মাস থেকে সরাসরি বিমান পরিষেবা (Direct Flights) শুরু হবে দুই দেশের মধ্যে। সম্প্রতি এই ঘোষণা করেছে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক। ২০২০ সালে গলওয়ান সংঘর্ষের জেরে তলানিতে ঠেকেছিল ভারত-চিন সম্পর্ক। তার পর থেকে এতদিন ধরে বন্ধ রয়েছে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা।

    মোদি- জিনপিং বৈঠক (India China Agreement)

    কিছু দিন আগেই চিনে আয়োজিত এসসিও শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে পার্শ্ববৈঠকে বসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তার পরেই গলে দুই দেশের সম্পর্কের বরফ। ভারত-চিন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের আলোচনার পরে সিদ্ধান্ত হয়, ২৬ অক্টোবর থেকে ফের শুরু হবে ভারত ও চিনের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের শুরু থেকেই দুই দেশের বিমান চলাচল কর্তাদের মধ্যে প্রযুক্তিগত পর্যায়ের আলোচনা চলছিল। আলোচনায় মূলত সরাসরি সংযোগ পুনরুদ্ধার এবং একটি সংশোধিত বিমান পরিষেবা চুক্তি চূড়ান্ত করার ওপর জোর দেওয়া হয়। নয়া ব্যবস্থায় ভারত ও চিনের নির্ধারিত বিমান সংস্থাগুলিকে সম্মতি পাওয়া রুটে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হবে। শীতকালীন সময়সূচি থেকে এই ফ্লাইটগুলি চালু হবে, যদি সমস্ত বাণিজ্যিক ও কার্যকরী শর্ত পূরণ করা যায়, তবেই।

    পরিষেবা ফের চালু করার ঘোষণা

    দুই দেশের এই কূটনৈতিক পদক্ষেপের পর ইন্ডিগো তাদের চিন মূল ভূখণ্ডে পরিষেবা ফের চালু করার ঘোষণা করেছে। ২৬ অক্টোবর ২০২৫ থেকে কলকাতা ও গুয়াংঝুর মধ্যে দৈনিক নন-স্টপ ফ্লাইটও চালু হবে (India China Agreement)। নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন সাপেক্ষে ইন্ডিগো খুব শিগগিরই দিল্লি ও গুয়াংঝুর মধ্যেও সরাসরি ফ্লাইট চালু করবে। ইন্ডিগো জানিয়েছে, এই রুটে তারা তাদের এয়ারবাস এ৩২০এনইও বিমান চালাবে। এই ফ্লাইটগুলি ফের চালু হলে দুই দেশের মধ্যে সীমান্তপার বাণিজ্য, কৌশলগত ব্যবসায়িক অংশীদারিত্ব এবং পর্যটন খাতের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। দুই দেশের শীর্ষ আধিকারিকদের বক্তব্য, আকাশপথে যোগাযোগ ফের শুরু হলে দ্বিপাক্ষিক বিনিময় ধীরে ধীরে স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে (Direct Flights)।

    প্রসঙ্গত, এশিয়া মহাদেশের এই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট পরিষেবা চার বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে। তার জেরে মার খাচ্ছে ব্যবসা, পর্যটন ও অ্যাকাডেমিক বিনিময় কার্যকলাপ (India China Agreement)।

  • UNSC: চলতি মাসেই ভারত সফরে আসছেন তালিবান নেতৃত্বাধীন আফগান সরকারের বিদেশমন্ত্রী

    UNSC: চলতি মাসেই ভারত সফরে আসছেন তালিবান নেতৃত্বাধীন আফগান সরকারের বিদেশমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের ৯ অক্টোবর সম্ভবত ভারত সফরে আসছেন তালিবান নেতৃত্বাধীন আফগানিস্তান (Afghanistan) সরকারের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুতাক্কি। ২০২১ সালে আফগানিস্তানের রাশ যায় তালিবানদের হাতে। তার পর এই প্রথম হতে চলেছে নয়াদিল্লি ও কাবুলের মধ্যে প্রথম উচ্চপর্যায়ের ও মন্ত্রিস্তরের কূটনৈতিক সফর। আফগান বিদেশমন্ত্রীর এই সফরকে ভারত –আফগানিস্তান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি বড় ধরনের পুনর্গঠন এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা কাঠামো ফের উন্নত করার ক্ষেত্রে একটি দ্রুত অগ্রগতি হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ (UNSC) আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রীকে ৯ থেকে ১৬ অক্টোবরের মধ্যে নয়াদিল্লি সফরের ছাড়পত্র দিয়েছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আপনারা সবাই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কমিটির দেওয়া সেই ছাড়পত্র দেখেছেন, যা আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর ৯ থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত নয়াদিল্লি সফরের অনুমতি দিয়েছে।”

    আফগানিস্তানের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব (UNSC)

    রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিশেষ ছাড় এবং তালিবান নেতাদের সফরে নিষেধাজ্ঞা সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা, এই ঘটনাগুলি দ্রুত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক ব্যবস্থায় আফগানিস্তানের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্বকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরে, বিশেষ করে ভারতের মতো প্রতিবেশী দেশগুলির জন্য। বাণিজ্য, যোগাযোগ ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোরদার করার ক্ষেত্রে আফগানিস্তান ভারতের কৌশলগত স্বার্থে নিঃসন্দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    ভারতের বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্য

    জয়সওয়াল বলেন, “আমরা আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। কিছুদিন আগে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও আফগান বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুতাক্কির মধ্যে যে টেলিফোনে কথোপকথন হয়েছিল, আপনারা সেটা জানেন।” এছাড়াও, আফগান পক্ষের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের যৌথ সচিব পর্যায়েও আলোচনা হয়েছে। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি (Afghanistan) ভূমিকম্পের সময় আমরা কুনার প্রদেশে ত্রাণ সামগ্রী পাঠাতে পেরেছিলাম। পরবর্তীকালে চাবাহার হয়ে আরও ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হয় (UNSC)।

    প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে বিদেশমন্ত্রী বিক্রম মিস্রি এবং অন্য শীর্ষ কর্তারা আফগানিস্তানের তাদের সমকক্ষদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা চালিয়ে আসছেন। তাঁরা দুবাইয়ের মতো নিরপেক্ষ স্থানে বৈঠক করেছেন। তবে আফগানিস্তানের প্রতিনিধিদের এই প্রথম ভারত সফর সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি নির্দেশ করছে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের (UNSC)।

  • MEA On POJK Protests: ‘পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অশান্তি পাকিস্তানের দমনমূলক নীতির পরিণতি,’ প্রতিক্রিয়া ভারতের

    MEA On POJK Protests: ‘পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অশান্তি পাকিস্তানের দমনমূলক নীতির পরিণতি,’ প্রতিক্রিয়া ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে যে হিংসাত্মক বিক্ষোভ চলছে, তা পাকিস্তানের (Pakistan) দমন-পীড়ন নীতিরই পরিণতি। দাবি ভারতের (MEA On POJK Protests)। ওই অঞ্চলে পাকিস্তানের কার্যকলাপের কঠোর সমালোচনাও করেছে নয়াদিল্লি। পাক সরকারের ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য জবাবদিহির আহ্বানও জানিয়েছে ভারত সরকার।

    রণধীর জয়সওয়ালের বক্তব্য (MEA On POJK Protests)

    সাংবাদিক সম্মেলনে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষোভের খবর পেয়েছি, যেখানে পাকিস্তানি সেনা বাহিনী নিরীহ অসামরিক নাগরিকদের ওপর নৃশংস অত্যাচার করছে।” এর পরেই তিনি বলেন, “এই অশান্তি পাকিস্তানের দমনমূলক নীতির স্বাভাবিক পরিণতি।” তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, পাকিস্তানের দমনমূলক নীতি এবং এই অঞ্চলগুলির সম্পদের সুসংগঠিত লুটপাটের ফলেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এগুলি এখনও তারা জোরপূর্বক ও বেআইনিভাবে দখল করে রেখেছে। পাকিস্তানকে তার ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য জবাবদিহি করতে হবে।”

    পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে বিক্ষোভ

    জানা গিয়েছে, পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের একাধিক জেলায় যে বিক্ষোভ হয়েছে, সেখানে সাধারণ মানুষ অর্থনৈতিক সংকট, মৌলিক পরিষেবার অভাব এবং পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, নিরাপত্তা বাহিনীর তরফে কঠোর (Pakistan) পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তার ফলেই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় বিভিন্ন গোষ্ঠীর তরফে পাক সরকারের ব্যাপক সমালোচনা করা হয়েছে (MEA On POJK Protests)। এহেন পরিস্থিতিতে ভারত ফের একবার জানিয়ে দিয়েছে, পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরসহ গোটা জম্মু-কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এদিকে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজাফ্‌ফরাবাদে হিংসাত্মক বিক্ষোভের কয়েক দিনের ঘটনায় নিহতদের শেষযাত্রায় শুক্রবার হাজার হাজার মানুষ যোগ দিয়েছিলেন। ভাইরাল হওয়া বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বিপুল সংখ্যক মানুষ জানাজা ও সমাধির শোভাযাত্রায় অংশ নিতে জড়ো হয়েছেন।

    অব্যাহত বিক্ষোভ

    শুক্রবার পঞ্চম দিনেও অব্যাহত ছিল পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের বিক্ষোভ। এলাকায় এই আন্দোলন ব্যাপক আকার ধারণ করে যখন পাক বাহিনীর গুলিতে তিন তরুণ নিহত হন। মুজাফ্‌ফরাবাদে তাঁদের শেষযাত্রায় হাজারো মানুষের অংশগ্রহণ জনরোষে আরও ইন্ধন জোগায়। জম্মু-কাশ্মীর যৌথ আওয়ামি অ্যাকশন কমিটির নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ একটি ৩৮ দফা দাবিসনদকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে (Pakistan)। এর মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক সংস্কার, ভর্তুকিযুক্ত গমের আটা সরবরাহ, বিদ্যুতের শুল্ক হ্রাস, বিনামূল্যে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা দান এবং সরকারি কর্মকর্তাদের বিশেষ সুবিধা বাতিলের দাবিও (MEA On POJK Protests)।

    পিটিআই পার্টির নেত্রীর দাবি

    এই আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে মুজাফফরাবাদ। সেই আন্দোলন ইতিমধ্যেই পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের একাধিক জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। দোকানপাট, বাজার ও পরিবহণ পরিষেবা বন্ধ থাকায় জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়েছে। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির নেত্রী সৈয়দা জাহরা শুক্রবার এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে বলেন, “কাশ্মীরের সুনামি আজ মুজাফফরাবাদকে আঘাত করবে।” তিনি একটি ভিডিও-ও শেয়ার করেন। তাতে বলা হয়েছিল যে পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের জনগণের ওপর চালানো ব্যাপক হিংসার একটি রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। তবুও জনগণ পিছিয়ে যায়নি। আরও উল্লেখ করা হয়েছিল যে শুক্রবারের নামাজের পর জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়বে। ওই ভিডিও ক্লিপে এও উল্লেখ করা হয়েছে, পাক সরকারের বিরুদ্ধে পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের জনগণের মধ্যে সরকারের প্রতি ঘৃণা ক্রমেই বাড়ছে (MEA On POJK Protests)।

    উচ্চপর্যায়ের বৈঠক

    হিংসায় লাগাম টানতে পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের একটি অসামরিক জোটের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের সরকারি প্রতিনিধিদলের বৈঠক হয়। পাকিস্তানি সেনা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন নিহত হন। গুরুতর জখম হন বহু মানুষ। এর পর বৃহস্পতিবার ফের এই আলোচনা শুরু হয় বলে পাক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর (Pakistan)। ওই সূত্রেই জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আট সদস্যের একটি কমিটি পাঠিয়েছেন। কমিটিতে রয়েছেন ফেডারেল মন্ত্রীরা আহসান ইকবাল, আমির মুকাম, সর্দার মুহাম্মদ ইউসূফ, রানা সানাউল্লাহ এবং তারিক ফজল চৌধুরি, পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা রাজা পারভেজ আশরাফ ও কামার জামান কাইরা এবং প্রাক্তন পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের প্রেসিডেন্ট সর্দার মাসুদ খান। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী আনোয়ারুল হকও (MEA On POJK Protests)।

    অন্যদিকে, শোকসভায় সমবেত জনতার উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেকেজেএএসি-এর নেতা মির আন্দোলনের সাম্প্রতিক অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন। তিনি অঙ্গীকার করেন, প্রধান দাবিগুলি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলতে থাকবে। তিনি বলেন, “এসব বিষয়ে আলোচনায় বসার আগে ধিরকোট-সহ অন্যান্য এলাকায় নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের হত্যায় দায়ীদের অবিলম্বে গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে (MEA On POJK Protests)।”

  • Jaish-e-Mohammed: নাম বদল জইশ-ই-মহম্মদের! নয়া পরিচয়ের নেপথ্যে কারণগুলি জানেন?

    Jaish-e-Mohammed: নাম বদল জইশ-ই-মহম্মদের! নয়া পরিচয়ের নেপথ্যে কারণগুলি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের চোখে ধুলো দিতে নামই বদলে ফেলল পাক জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish-e-Mohammed)। পাকিস্তানের অভ্যন্তরে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের নাম হচ্ছে আল-মুরাবিতুন। আরবি ভাষায় যার অর্থ ‘ইসলামের রক্ষক’। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, জইশের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ আজহারের ভাই ইউসুফ আজহারের ‘স্মৃতিস্তম্ভ’ উন্মোচনের সময় থেকে সংগঠনের নতুন নামটি ব্যবহার করা হবে। একে তো আন্তর্জাতিক নজরদারি। তার উপর নিষেধাজ্ঞা। জোড়া ধাক্কায় অর্থ সংগ্রহ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাই নাম বদল জইশের।

    কেন নাম পরিবর্তন

    সংগঠনের নয়া নামকরণ একটি কৌশলগত পদক্ষেপ। ২০০১ সালে ভারতীয় সংসদে হামলা, ২৬/১১ মুম্বই হামলা এবং জম্মু ও কাশ্মীরের উরি ও পুলওয়ামায় সেনাবাহিনীর উপর হামলার জন্য দায়ী জঙ্গি গোষ্ঠী ‘জইশ-ই-মহম্মদ’। গোটা বিশ্বেই এই সংগঠন নিষিদ্ধ। ফলে অতি পরিচিত জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish-e-Mohammed) নামে তহবিল সংগ্রহ কঠিন হয়ে পড়ছে। পাকিস্তানও মুখরক্ষায় প্রকাশ্য়ে এই সংগঠনকে সহায়তা করতে পারে না। এইসব অসুবিধা দূর করতেই জইশের নতুন নামকরণ করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদ বিরোধী তহবিল পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের (এফএটিএফ) জুলাইয়ের এক প্রতিবেদনে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর মুখোমুখি তহবিল চ্যালেঞ্জের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এফএটিএফ জানিয়েছে যে, জইশ এখন ডিজিটাল পেমেন্ট, অর্থাৎ ই-ওয়ালেট এবং ইউপিআই ট্রান্সফার ব্যবহার করে নিজেদের পুনর্গঠনে অর্থ ব্যবহার করছে।

    কবে থেকে পরিবর্তিত নাম ব্যবহার

    আগামী সপ্তাহে মাসুদ আজহারের নিহত ভাই ইউসুফ আজহারের স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানেও জইশের (Jaish-e-Mohammed) বদলে উদ্যোক্তা হিসেবে আল-মুরাবিতুন নামটির ব্যবহার করা হচ্ছে। ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ প্রাণ কেড়েছিল মাসুদ আজহারের ভাইয়ের। আগামী সপ্তাহে পেশোয়ারের মারকাজ শাহিদ মুকসুদাবাদে ইউসুফ আজহারের এই স্মরণসভা হবে। সূত্রের খবর, সেখানে জইশের শীর্ষ কমান্ডার ও নেতারা উপস্থিত থাকবে। সেখানে নাম পরিবর্তনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হবে। তবে শুধুমাত্র পাকিস্তানেই এই নয়া নামে কাজ করবে তারা। এফএটিএফ অনুসারে, এখন পর্যন্ত পাঁচটি ই-ওয়ালেট শনাক্ত করা হয়েছে এবং প্রতিটিরই জঙ্গি গোষ্ঠী এবং প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ আজহারের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সরাসরি যোগসূত্র রয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে, ওই সংগঠনের লক্ষ্য হল প্রায় চার বিলিয়ন পাকিস্তানি টাকা সংগ্রহ করা- যাতে ৩০০ টিরও বেশি ‘মারকাজ’ অর্থাৎ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বা কেন্দ্র স্থাপন করা যায়। আন্তর্জাতিক স্তরে জঙ্গিগোষ্ঠীদের মদতদাতা পাক সরকারকে বাঁচানোও নাম পরিবর্তনের আর একটি কারণ বলে অনুমান গোয়েন্দাদের।

    পাকিস্তানকে বাঁচাতেই নাম বদল

    পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর থেকে জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish-e-Mohammed) ও হিজবুল মুজাহিদিনের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলি তাদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলি সরিয়ে আফগানিস্তান সীমান্ত লাগোয়া খাইবার পাখতুনওয়া প্রদেশে নিয়ে যাচ্ছে বলে ভারতের গোয়েন্দা সূত্রে খবর। ‘অপারেশন সিঁদুরে’ পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। ফলে নতুন করে ঘাঁটি তৈরির ক্ষেত্রে ওইসব এলাকাকে আর নিরাপদ বলে মনে করছে না জঙ্গি সংগঠনগুলি। সেই কারণেই কৌশলগত ও অবস্থানগতভাবে নিরাপদ খাইবার পাখতুনওয়া প্রদেশকে তারা বেছে নিয়েছে। আর এই ডেরা স্থানান্তরের কাজে পাকিস্তানের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির প্রত্যক্ষ সহযোগিতা রয়েছে বলেও ভারতের গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন। সূত্রের খবর, খাইবার পাখতুনওয়া প্রদেশের মানসেহরা জেলায় অবস্থিত গারহি হাবিবুল্লা শহরে গত ১৪ সেপ্টেম্বর নতুন জঙ্গি নিয়োগের লক্ষ্যে একটি শিবির করে জয়েশ। সেই শিবিরে এসেছিল মাসুদ আজহার ঘনিষ্ঠ শীর্ষ কমান্ডার মৌলানা মুফতি মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মীরি। জইশের সশস্ত্র জঙ্গিদের সঙ্গেই নতুন নিয়োগের সেই শিবির পাহারা দিতে দেখা গিয়েছে পাকিস্তান পুলিশকেও।

LinkedIn
Share