Tag: India

India

  • SAARC: ভারতকে রুখতে সার্কের বিকল্প মঞ্চ তৈরি করছে চিন!

    SAARC: ভারতকে রুখতে সার্কের বিকল্প মঞ্চ তৈরি করছে চিন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্ব মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে ভারত। বিশ্বমঞ্চের সমস্ত ফোকাস কেড়ে নিচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। অতএব, দ্রুত রুখতে হবে ভারতকে! সেই কারণেই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তৈরি হচ্ছে নয়া জোট (SAARC)। অন্তত পাকিস্তানের একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে (China) এমনই প্রতিবেদন। তাতে বলা হয়েছে, চলতি মাসে চিনে গিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন চিনা উপবিদেশমন্ত্রী সুন ওয়েইডং, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশসচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী এবং পাকিস্তানের অতিরিক্ত বিদেশসচিব ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী। সার্কের প্রতিপক্ষ হিসেবে জোট গড়তেই হয়েছে ওই বৈঠক।

    বাংলাদেশের বক্তব্য (SAARC)

    বৈঠক শেষে বাংলাদেশের বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হাসান বলেন, “এই বৈঠকের সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই। আধিকারিকদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। নতুন করে কোনও জোট তৈরির আলোচনা হয়নি।” এই বৈঠক নিয়ে বিবৃতিও দিতে চায়নি বাংলাদেশ। যদিও বৈঠক শেষে পাকিস্তানের তরফে আলাদা করে জারি করা হয়েছে বিবৃতি।

    সার্কভুক্ত দেশ

    ১৮৮৫ সালে ভারত, ভুটান, বাংলাদেশ, মলদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা-সহ মোট সাতটি দেশ মিলে গঠিত হয় সার্ক। দক্ষিণ এশিয়ায় একটি শক্তিশালী জোট করতেই এই গোষ্ঠী তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিল ভারত। পরবর্তীকালে এই গোষ্ঠীতে যোগ দেয় আফগানিস্তান। এর পর সার্কের সদস্য সংখ্যা বেড়ে হয় ৮। ২০১৪ সালে শেষবারের মতো নেপালের কাঠমান্ডুতে বৈঠক হয়েছিল সার্কের সদস্যদের। তারপর থেকেই কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে এই গোষ্ঠী। অভিজ্ঞ মহলের মতে, এহেন পরিস্থিতিতে ভারতকে এড়িয়ে নয়া জোট গঠনে উদ্যোগী হয়েছে শি জিনপিংয়ের দেশ।

    পাকিস্তানের ‘এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’ নামের একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯ জুন চিনের কুনমিংয়ে আয়োজিত একটি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মূলত সার্কের আওতাভুক্ত দেশগুলিকেই বৈঠকে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আমন্ত্রিতের তালিকায় অবশ্য ঠাঁই হয়নি ভারতের (SAARC)।

    প্রসঙ্গত, ভারত উন্নত আঞ্চলিক সহযোগিতা ও সংযোগের জন্য সার্ককে ব্যবহার করার চেষ্টা করলেও, পাকিস্তান সেটিকে বারবারই কোণঠাসা করার চেষ্টা করেছে। বৃহত্তম সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে ভারত সার্কে উল্লেখযোগ্য অর্থ দিয়ে থাকে। সদস্য দেশগুলির মধ্যে শিক্ষা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য সার্ক উন্নয়ন তহবিল এবং নয়াদিল্লিতে দক্ষিণ এশিয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো (China) উদ্যোগের নেতৃত্ব দিয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে ভারত (SAARC)।

  • Indus Treaty: সিন্ধুর জল নিয়ে পাকিস্তানকে জবাব! আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতের অস্তিত্বই মানল না ভারত

    Indus Treaty: সিন্ধুর জল নিয়ে পাকিস্তানকে জবাব! আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতের অস্তিত্বই মানল না ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিন্ধু জলচুক্তি প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক আদালতের অস্তিত্বই অস্বীকার করল নয়াদিল্লি। সিন্ধু জলচুক্তি বা (Indus Treaty) তিলের ফলে গভীর সঙ্কটের মুখে পাকিস্তান। পরিস্থিতি পাল্টাতে আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ইসলামাবাদ। এ প্রসঙ্গে ভারত জানিয়েছে, ওই আদালত অবৈধ। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি পেশ করা হয়েছে। সেখানে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রাতলে ও কিষেনগঙ্গায় ভারতের জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ১৯৬০ সালের সিন্ধু জলচুক্তির অন্তর্গত। এই নিয়ে আপত্তি করেছে পাকিস্তান। এবার এই বিষয়ে মামলা শুনবে কিনা তা নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালত জানিয়েছে, তারা তা বিচার করবে।

    আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতকে অস্বীকার

    এদিন বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ‘ভারত কখনও এই তথাকথিত সালিশি আদালতের অস্তিত্বকে আইনত স্বীকৃতি দেয়নি। এবং ভারতের অবস্থান সর্বদাই এই যে এই তথাকথিত সালিশি সংস্থার গঠন নিজেই সিন্ধু জলচুক্তির একটি গুরুতর লঙ্ঘন। ফলস্বরূপ এর দ্বারা গৃহীত কোনও রায় বা সিদ্ধান্তও সেই কারণে অবৈধ এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবেই বাতিল।’উল্লেখ্য, পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল করেছে দিল্লি। যা নিয়ে ক্রমাগত অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে ইসলামাবাদ। বারবার দাবি করছে, ভারত নাকি এই চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। কিন্তু ভারত আগেও রাষ্ট্রসংঘে জানিয়েছে পাকিস্তানের উপর আস্থা রেখে, বিশ্বাস করে ৬৫ বছর আগে ভারত এই চুক্তি করেছিল। কিন্তু সেই বিশ্বাস ভেঙে ভারতের বুকে ৩টি যুদ্ধ ও হাজার হাজার জঙ্গি হামলা চালিয়েছে পাক সন্ত্রাসীরা।

    ভারতের জল কোথাও যাচ্ছে না

    প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওল ভুট্টো হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ভারত যদি আমাদের ন্যায্য জল অধিকার না দেয়, তাহলে যুদ্ধ অনিবার্য।’ সেই প্রেক্ষিতেই ভারতের এই প্রতিক্রিয়া। জলশক্তি মন্ত্রী সি আর পাটিল বলেন, ‘পাকিস্তান যতবারই চিঠি পাঠাক না কেন, এটা একরকম ফর্মালিটি ছাড়া আর কিছু নয়। আমাদের অবস্থানে কোনও পরিবর্তন আসবে না।’ তিনি সাফ জানান, ভারতের জল কোথাও যাচ্ছে না। চুক্তি নিয়ে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার কোনও পরিকল্পনাও নেই।

  • India Secures Colombo Dockyard: শ্রীলঙ্কার বন্দর হস্তগত ভারতের, এবার ড্রাগনের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলবে হাতি!

    India Secures Colombo Dockyard: শ্রীলঙ্কার বন্দর হস্তগত ভারতের, এবার ড্রাগনের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলবে হাতি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শি জিনপিংয়ের নেতৃত্বাধীন চিনের আধিপত্য বিস্তারের স্বপ্নে জল ঢেলে দিল নরেন্দ্র মোদির ভারত! শ্রীলঙ্কার বৃহত্তম জাহাজ কারখানা কলম্বো ডকইয়ার্ড (India Secures Colombo Dockyard) পিএলসি-র ৫১ শতাংশ শেয়ার কিনে নিতে চলেছে নয়াদিল্লি। এজন্য খরচ হবে ৪৫৫ কোটি টাকা। ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিরক্ষা জাহাজ নির্মাতা সংস্থা মাঝগাঁও ডক শিপবিল্ডার্স লিমিটেড এটি অধিগ্রহণ করেছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এটি ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূ-রাজনৈতিক ও কৌশলগত অগ্রগতির অংশ। শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা (Hambantota) বন্দর লিজ নিয়েছিল চিন। এবার তার পাশেই কলম্বো ডকইয়ার্ড পিএলসি-র ৫১ শতাংশ শেয়ার কিনে নিয়ে ড্রাগনকে টক্কর দিল হাতি। এর ফলে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতায় বেজিং একটি বড় ধাক্কা খেল বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    কলম্বো ডকইয়ার্ড (India Secures Colombo Dockyard)

    কলম্বো ডকইয়ার্ডটি কলম্বো বন্দরের পাশেই। বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত আন্তর্জাতিক শিপিং রুট থেকে মাত্রই ১০ নটিক্যাল মাইল দূরে। এই শেয়ারগুলি জাপানি সংস্থা অনোমিচি ডক ইয়ার্ড থেকে কেনা হচ্ছে। কারণ জাপান থেকে আর্থিক সাহায্য না পাওয়ায় ভারতের সাহায্য চায় শ্রীলঙ্কা। কলম্বোর এই ডক ইয়ার্ড অধিগ্রহণ মাঝগাঁও ডক শিপবিল্ডার্স লিমিটেডের প্রথম বিদেশি বিনিয়োগ এবং এর মাধ্যমে কলম্বো ডক ইয়ার্ড এখন মুম্বইভিত্তিক এই রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের একটি সহায়ক সংস্থায় রূপান্তরিত হচ্ছে। মাস ছয়েকের মধ্যে এই লেনদেন সম্পন্ন হওয়ার কথা। এটি ভারতকে এনে দেবে একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত ও বাণিজ্যিক সুবিধা। এটি এমন একটি অঞ্চল যেখান দিয়ে বিশ্ব বাণিজ্যের এক তৃতীয়াংশ ও চিনের তেল আমদানির ৮০ শতাংশ পরিবাহিত হয়।

    মিলবে একাধিক সুবিধা

    বিশেষজ্ঞদের মতে, এই চুক্তিটি শুধুমাত্র চিন-পরিচালিত হাম্বানটোটা বন্দরের কাছাকাছি ভারতের উপস্থিতি নিশ্চিত করে না, বরং মাঝগাঁও ডকের কার্যকলাপের পরিসরও বিস্তৃত করে (India Secures Colombo Dockyard)। এই অধিগ্রহণের অংশ হিসেবে মাঝগাঁও ডক হাম্বানটোটা আন্তর্জাতিক বন্দরে (যেটি চায়না মার্চেন্টস পোর্টস গ্রুপ পরিচালনা করে) কলম্বো ডকইয়ার্ড কর্তৃক নির্মিত একটি পূর্ণাঙ্গ টেকনোলজিক্যাল ওয়ার্কশপে প্রবেশাধিকার পাবে। এই ওয়ার্কশপটি সমুদ্রপথে থাকা জাহাজগুলোর জন্য দ্রুত ও দক্ষ মেরামত পরিষেবা সরবরাহ নিশ্চিত করবে, যার ফলে বৈশ্বিক সমুদ্র পথ ব্যবহারকারীদের দক্ষতা ও অর্থনৈতিক সুবিধা বৃদ্ধি পাবে।

    অর্ধ শতাব্দী পুরানো

    কলম্বো ডকইয়ার্ড ৫০ বছরেরও বেশি পুরানো। এই ডকইয়ার্ড ভারত, জাপান, নরওয়ে, ফ্রান্স, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং আফ্রিকার কয়েকটি দেশের কাছে বিভিন্ন ধরণের ট্যাংকার ও টহলদারি নৌকা তৈরি ও রফতানি করেছে। চারটি ড্রাইডক এবং ২৫০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের বর্তমান অর্ডার বুক-সহ এই শিপইয়ার্ডটি মাঝাগাঁও ডকের নেতৃত্বে দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান জাহাজ নির্মাণ ও মেরামত কেন্দ্র হয়ে উঠতে চলেছে (Hambantota)।

    ভারতের কৌশলগত পদক্ষেপ

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অধিগ্রহণ ভারত সরকারের বৃহত্তর ইন্দো-প্যাসিফিক মহাসাগরীয় উদ্যোগের একটি কৌশলগত পদক্ষেপ, যার লক্ষ্য হল আঞ্চলিক অংশীদারিত্ব ও পরিকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে চিনা প্রভাবের পাল্টা ভারসাম্য গড়ে তোলা (India Secures Colombo Dockyard)। এটি এই অঞ্চলে ভারতের অন্যান্য বিনিয়োগের পরিপূরক, বিশেষ করে কলম্বো বন্দরের একটি টার্মিনালে আদানি পোর্টসের অংশীদারিত্ব, যা ভারত মহাসাগরে ভারতের উপস্থিতিকে শক্তিশালী করে তুলছে।

    ভারত মহাসাগরে ভারতের কর্তৃত্ব

    কৌশলগতভাবে কলম্বো ডকইয়ার্ডের অবস্থান ভারতীয় নৌবাহিনীর রসদ ও সরবরাহ চেইনের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান। এটি জাহাজ এবং নৌবহর সহায়ক জাহাজের মতো উন্নত নৌযান নির্মাণে সক্ষম হওয়ায়, ভারতের সামুদ্রিক ক্ষমতা সমগ্র ভারত মহাসাগরে আরও প্রসারিত হচ্ছে। যখন কলম্বো ডকইয়ার্ড একটি ভারত-নিয়ন্ত্রিত সংস্থা হিসেবে শ্রীলঙ্কার স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হবে, তখন নয়াদিল্লি কেবলমাত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক সম্পদই সুরক্ষিত করবে না, ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চিনের আধিপত্যকেও চ্যালেঞ্জ করবে (India Secures Colombo Dockyard)।

    হাম্বানটোটা বন্দর

    প্রসঙ্গত, হাম্বানটোটা (Hambantota) আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দর। কলম্বোর পরে এটিই ভারত মহাসাগর দিয়ে ঘেরা দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর। বন্দরটি চালু হয়েছিল ২০১০ সালে। এই বন্দরের আন্তর্জাতিক গুরুত্ব নিয়ে তখন জোর চর্চা শুরু হয়েছিল। কারণ বন্দরটি ৯৯ বছরের জন্য লিজ নিয়েছে চিন। মলাক্কা প্রণালী ও সুয়েজ খাল সংযোগকারী সমুদ্রপথের ওপর অবস্থিত শ্রীলঙ্কা। ফি বছর এই সাগরপথ ব্যবহার করে প্রায় ৩৬ হাজার জাহাজ এবং সাড়ে চার হাজার তেলের ট্যাঙ্কার। তাই এশিয়া এবং ইউরোপের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কার গুরুত্ব অপরিসীম।

    তবে হাম্বানটোটা বন্দরটি লাভজনক না হওয়ায় শ্রীলঙ্কার রনিল বিক্রমসিংহের সরকার দেশের অর্থনৈতিক ভান্ডারে বৈদেশিক মুদ্রা বৃদ্ধি করার তাগিদে এই বন্দরটি বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত নেয়। চিনের একটি সংস্থাকে ১১২ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ৯৯ বছরের জন্য লিজ দেওয়া হয় (Hambantota)। কলম্বো ডক ইয়ার্ডের রাশ হাতে নিয়ে এবার চিনের ঘাড়েই নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করল নরেন্দ্র মোদির ভারত (India Secures Colombo Dockyard)।

  • Waziristan Attack: আত্মঘাতী বিস্ফোরণে পাকিস্তানে হত ১৩ সেনা, কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

    Waziristan Attack: আত্মঘাতী বিস্ফোরণে পাকিস্তানে হত ১৩ সেনা, কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গিদের দিব্যিই মদত জুগিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। তবে সেই বিষবৃক্ষের ফল যে সে দেশেই বিষ উগরে দেবে, তা বোধহয় জানা ছিল না শাহবাজ শরিফের দেশের। তাই ওয়াজিরিস্তানে (Waziristan Attack) ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণের দায় ভারতের ঘাড়ে চাপিয়ে দিল ইসলামাবাদ (Pakistan)।

    পাক অভিযোগ খারিজ ভারতের (Waziristan Attack)

    ফেরা যাক খবরে। ওয়াজিরিস্তানে ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জন পাক সেনার। এই হামলার পরে ইসলামাবাদ অভিযোগের আঙুল তুলেছে ভারতের দিকে। এনিয়ে বিবৃতিও জারি করেছে পাক সরকার। তার পরেই কড়া প্রতিক্রিয়া দিল ভারত। শনিবার রাতেই পাল্টা বিবৃতি জারি করে পাকিস্তানের অভিযোগ খারিজ করেছে নয়াদিল্লি। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমাদের নজরে এসেছে পাক সেনার তরফে একটি বিবৃতি জারি করে ২৮ জুন ওয়াজিরিস্তানে হওয়া হামলার ঘটনায় ভারতকে দায়ী করা হয়েছে। এই বিবৃতির তীব্র নিন্দা করছে ভারত। একই সঙ্গে বিবৃতিতে ওঠা দাবি প্রত্যাখ্যান করে জানানো হচ্ছে এরকম কোনও কিছুর সঙ্গে ভারত যুক্ত নয়।”

    আত্মঘাতী বোমা হামলা

    প্রসঙ্গত, শনিবার পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলায় আত্মঘাতী এক বোমা হামলায় নিহত হন ১৩ জন পাক সেনা। সে দেশের সেনা আধিকারিকের দাবি, এই বিস্ফোরণে অন্তত ১০ জন সেনা-সহ মোট ১৯ জন সাধারণ মানুষও জখম হয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছে ছয় শিশুও (Waziristan Attack)। জানা গিয়েছে, এদিন একজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী বিস্ফোরক ভর্তি গাড়িটি নিয়ে ঢুকে পড়ে সামরিক কনভয়ে। তার পরেই ঘটে বিস্ফোরণ। জনবসতিপূর্ণ এলাকায় হামলা হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আশপাশের বেশ কয়েকটি বাড়িও।

    আত্মঘাতী বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে হাফিজ গুল বাহাদুর গোষ্ঠীর আত্মঘাতী ইউনিট। এটি তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত একটি দল। তার পরেও আন্তর্জাতিক মহলের নজর ঘোরাতে পাকিস্তান ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    উল্লেখ্য, চলতি বছর খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বালুচিস্তানে সরকার বিরোধী (Pakistan) বিভিন্ন গোষ্ঠীর হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ২৯০ জন। এঁদের সিংহভাগই পাক সেনা (Waziristan Attack)।

  • Private consumption: ব্যক্তিগত খরচ জিডিপি-র বড় চালিকাশক্তি, জানাল অর্থমন্ত্রক

    Private consumption: ব্যক্তিগত খরচ জিডিপি-র বড় চালিকাশক্তি, জানাল অর্থমন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত কেনাকাটার ক্ষমতা গত কয়েক দশকের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে (Private consumption)। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের সদ্য প্রকাশিত এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ব্যক্তিগত খরচ এখন ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির সবচেয়ে বড় চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে। গত দু’দশকে এত উচ্চ হারে বৃদ্ধি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বলেই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।

    কী বলছে অর্থমন্ত্রকের দেওয়া রিপোর্ট (Private consumption)

    অর্থমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে ব্যক্তিগত ক্রয়ক্ষমতা ভারতের জিডিপির ৬১.৪ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছেছে। এর আগের অর্থবর্ষে এই হার ছিল ৬০.২ শতাংশ। অর্থাৎ, খুব স্বল্প সময়ের ব্যবধানে প্রায় ১.২ শতাংশ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যক্তিগত খরচের অংশগ্রহণ (Private consumption)।

    কী বলছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা?

    অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই বৃদ্ধি (GDP) প্রমাণ করে যে ভারতীয়দের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং গ্রামীণ ও শহর—উভয় ক্ষেত্রেই খরচ করার প্রবণতা বাড়ছে। গত ২০ বছরে এই হার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হওয়ায় সরকারের অর্থনৈতিক নীতির ইতিবাচক প্রভাব (Private consumption) স্পষ্ট বলে মনে করা হচ্ছে।

    বিনিয়োগেও বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে (GDP)

    শুধু খরচই নয়, বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও বড় ধরনের বৃদ্ধি দেখা গেছে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে বৃদ্ধি পেয়ে ৭.১ শতাংশ-এ পৌঁছেছে। এর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে শিল্প এবং উৎপাদন ক্ষেত্রে দেশের অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগের পরিমাণ দ্রুত বাড়ছে, যা ভবিষ্যতের প্রবৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    বেড়েছে রফতানি, কমেছে আমদানি

    অর্থমন্ত্রকের রিপোর্টে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উঠে এসেছে— ভারতের বহির্বাণিজ্যে ভারসাম্য তৈরি হয়েছে। চলতি অর্থবর্ষে ভারতের রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে ৬.৩ শতাংশ হারে, যা বৈদেশিক আয়ের দিক থেকে একটি ইতিবাচক দিক। অন্যদিকে, আমদানির পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে, যা অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি অর্থবর্ষে ভারতের আমদানি কমেছে ৩.৭ শতাংশ। এতে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় যেমন বেড়েছে, তেমনি বাণিজ্য ঘাটতিও কিছুটা হ্রাস পেয়েছে বলে অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত।

  • India Defies US Pressure: ট্রাম্পের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রাশিয়া থেকে দেদার তেল কিনছে মোদির ভারত

    India Defies US Pressure: ট্রাম্পের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রাশিয়া থেকে দেদার তেল কিনছে মোদির ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপ অগ্রাহ্য করে রাশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণে অপরিশোধিত তেল আমদানি করছে ভারত (India Defies US Pressure)। বাজার বিশ্লেষক সংস্থা কেপলারের (Kpler) মতে, শুধু জুন মাসেই ভারত গড়ে প্রতিদিন ২২ লাখ ব্যারেল তেল আমদানি করেছে রাশিয়া (Russian Oil) থেকে, যা গত দু’বছরে সর্বোচ্চ। রাশিয়া থেকে আমদানি করা এই তেলের পরিমাণ ইরাক, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং কুয়েত থেকে যৌথভাবে দৈনিক গড় আমদানির চেয়েও বেশি। গত মে মাসে ভারত গড়ে প্রতিদিন ১৯.৬ লাখ ব্যারেল রাশিয়ান তেল আমদানি করেছিল।

    রাশিয়ান তেলের ওপর নির্ভরতা

    মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-ইজরায়েল সংঘাত শুরু হওয়ায় উপসাগরীয় অঞ্চলে তেল সরবরাহে সম্ভাব্য বিঘ্নের আশঙ্কায় ভারতীয় কোম্পানিগুলি রাশিয়ান তেলের ওপর নির্ভরতা বাড়িয়েছে। পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে যখন ইরানের পার্লামেন্ট হরমুজ প্রণালী বন্ধ করার সম্ভাবনার কথা ঘোষণা করে। হরমুজ প্রণালী একটি গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্র পথ, যা ইরানের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং যার মাধ্যমে উপসাগরীয় অঞ্চল থেকে অধিকাংশ অপরিশোধিত তেল রফতানি করা হয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ভারতের রাশিয়ান তেল আমদানির পরিমাণ ব্যাপকভাবে বেড়ে গিয়েছে। ইউক্রেন- রাশিয়া সংঘাতের জেরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং পশ্চিমের অন্যান্য দেশগুলি মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। যুদ্ধ শুরুর আগে ভারতের মোট অপরিশোধিত তেল আমদানিতে রাশিয়ার অংশ ছিল ১ শতাংশেরও কম। এখন সেই অংশটাই বেড়ে হয়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ।

    সবচেয়ে বড় ক্রেতা

    ভারত বর্তমানে রাশিয়ার উরাল-গ্রেড ক্রুড অয়েলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। ২০২৫ সালের এ পর্যন্ত উরাল রফতানির ৮০ শতাংশই ভারত কিনেছে। বেসরকারি তেল সংস্থা রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ও নয়ারা এনার্জি এই আমদানির নেতৃত্ব দিচ্ছে (India Defies US Pressure)। জানা গিয়েছে, ২৪ জুন পর্যন্ত ভারত মোট ২৪১ মিলিয়ন ব্যারেল উরাল ক্রুড আমদানি করেছে। রিলায়েন্স ও নয়ারা একসঙ্গে রাশিয়ার মোট উরাল রফতানির ৪৫ শতাংশ নিয়েছে। এদিকে, ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের মতো সরকারি তেল সংস্থাগুলি প্রধানত আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকা থেকে তেল আমদানি করে। বর্তমানে তারা কিছু পরিমাণে তেল আমদানি করছে আমেরিকা থেকে (Russian Oil)। প্রসঙ্গত, ভারতের জন্য রাশিয়ান তেলের ছাড়ও কমে গিয়েছে। আগে যেখানে প্রতি ব্যারেলে ৪ মার্কিন ডলার ছাড় পাওয়া যেত, এখন তা কমে হয়েছে ২ মার্কিন ডলার (India Defies US Pressure)।

  • India: জম্মু-কাশ্মীরের জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে কোর্ট অফ আরবিট্রেশনের রায় বাতিল করল ভারত

    India: জম্মু-কাশ্মীরের জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে কোর্ট অফ আরবিট্রেশনের রায় বাতিল করল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে নির্মীয়মাণ কিশানগঙ্গা ও রাটেল জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সংক্রান্ত কোর্ট অফ আরবিট্রেশন (Court of Arbitration) এর রায়কে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করল ভারত সরকার। এ বিষয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে একটি বিস্তারিত বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভারত সরকার কখনও এই তথাকথিত সালিশ আদালতের অস্তিত্বকে আইনগতভাবে স্বীকৃতি দেয়নি। ভারতের অবস্থান স্পষ্ট—এই সালিশি আদালতের গঠন প্রক্রিয়া আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। বিশেষ করে, ১৯৬০ সালের সিন্ধু জলচুক্তির যে কাঠামো, তা এই আদালতের গঠন এবং সিদ্ধান্তের মাধ্যমে লঙ্ঘিত হয়েছে।

    কোর্ট অফ আরবিট্রেশন-এর যে কোনও সিদ্ধান্ত, নির্দেশ বা রায় ভারতে গ্রহণযোগ্য নয়

    বিদেশমন্ত্রকের (India) পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, সিন্ধু জলচুক্তি একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি, যা বিশ্ব ব্যাংকের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই চুক্তির আওতায় যে নিষ্পত্তিমূলক প্রক্রিয়ার কথা বলা হয়েছে, তার মধ্যে সালিশ আদালতের কোনও ভূমিকা নেই। ভারত একাধিকবার পাকিস্তান ও আন্তর্জাতিক মহলকে জানিয়ে দিয়েছে, এই সালিশ আদালতের কোনও বৈধতা নেই এবং এটি সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। ভারত সরকারের মতে, কোর্ট অফ আরবিট্রেশন-এর (Court of Arbitration) যে কোনও সিদ্ধান্ত, নির্দেশ বা রায় ভারতের পক্ষে গ্রহণযোগ্য নয় এবং এসবকে সরকার ‘অবৈধ ও বাতিলযোগ্য’ বলে মনে করে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত ভারতের সার্বভৌম অধিকারে হস্তক্ষেপের সামিল, যা কখনও মেনে নেওয়া হবে না।

    পাকিস্তানের উসকানিতে ও নির্দেশনায় দেওয়া হয়েছে রায়

    ভারতের (India) স্পষ্ট দাবি, এই তথাকথিত সালিশি আদালতের রায় পাকিস্তানের উসকানিতে ও নির্দেশনায় দেওয়া হয়েছে এবং এর উদ্দেশ্য রাজনৈতিক। দিল্লির মতে, এটি একটি ‘প্রহসন’ ছাড়া আর কিছু নয়, যার মাধ্যমে পাকিস্তান ভারতের অভ্যন্তরীণ উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করতে চায়। বিদেশমন্ত্রক স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছে, ভারত আন্তর্জাতিক আইনের কাঠামোর মধ্যে থেকেই সিন্ধু জলচুক্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে ভারতের সার্বভৌম অধিকারে হস্তক্ষেপ বা বেআইনি সিদ্ধান্ত কখনও মেনে নেওয়া হবে না।

  • India: গঙ্গা জলচুক্তির ভয়! ‘ভারতকে এড়িয়ে নয় কোনও জোট’, চিন-পাকিস্তানের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে সাফাই ঢাকার

    India: গঙ্গা জলচুক্তির ভয়! ‘ভারতকে এড়িয়ে নয় কোনও জোট’, চিন-পাকিস্তানের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে সাফাই ঢাকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯ জুন চিনের কুনমিং-এ অনুষ্ঠিত হয় এক বৈঠক। যেখানে মিলিত হয় তিন দেশ বাংলাদেশ, চিন ও পাকিস্তান। তিন পক্ষই সেখানে নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেছে। ওই বৈঠকে জোর দেওয়া হয়েছে চিন, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্কের বহুমাত্রিকতা এবং উন্মুক্ত আঞ্চলিকতার উপর। পর্দার আড়ালে এই বৈঠক যে ভারতকে চাপে রাখতে করা হয়েছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে ১৯ জুনের এই বৈঠকের পরেই বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গাজল চুক্তি পুনর্বিবেচনার কথা বলে ভারত। এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখে বাংলাদেশ। ভারতকে চাপে রাখতে যে তারা এমন বৈঠক করেনি, তারই সাফাই গাইতে শুরু করে ইউনূস সরকার। যা শুনে অনেকে বলছেন, একেই বলে, ঠেলার নাম বাবাজি।

    ভয় পেয়ে জোট অস্বীকার করছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার

    গঙ্গাজলচুক্তি ইস্যুতে ভারত বোমা ফাটাতেই, এ ধরনের উদীয়মান জোটের সম্ভাবনাকে খারিজ করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। তারা জানিয়েছে, সাম্প্রতিক যে বৈঠক হয়েছে তিন দেশের মধ্যে, তা কোনওভাবেই রাজনৈতিক নয়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা এম. তৌহিদ হোসেনকে ১৯ জুন চিনের কুনমিংয়ে অনুষ্ঠিত ত্রিপক্ষীয় বৈঠক সম্পর্কে মন্তব্য করতে বলা হলে, তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা কোনও জোট গঠন করছি না। এটি সরকারি পর্যায়ের বৈঠক ছিল, কোনও রাজনৈতিক বৈঠক নয়।” ভারতকে (India) বার্তা দিতে কি এই বৈঠক করা হয়েছিল, এমন প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের উপদেষ্টা বলেন, “এটি অবশ্যই কোনও তৃতীয় পক্ষকে লক্ষ্য করে করা হয়নি, আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি।”

    চিন-পাকিস্তান চিরমিত্র, তাতে যোগ দিল বাংলাদেশ

    প্রসঙ্গত, চিন ও পাকিস্তান সবসময়ের জন্যই নিজেদের বন্ধু। কিন্তু এবার সেখানে যোগ দিল বাংলাদেশ এবং এভাবেই ত্রিপাক্ষিক একটি জোট তৈরি করা হল, যা ভারতের (India) জন্য উদ্বেগজনক। আজ থেকে ঠিক এক বছর আগেও ঢাকার সঙ্গে দিল্লির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে ঘনিষ্ঠ করে তুলেছিল। কিন্তু গত বছর, অর্থাৎ ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে বাংলাদেশের (Bangladesh) তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জোর করে পদত্যাগ করানো হয়। জামাত ও বিএনপির সহায়তায় দখল করা হয় গণভবন। এরপর থেকে পরিস্থিতি বদলে যায়। সে দেশে ভারতবিরোধী কার্যকলাপ বাড়তে থাকে, সীমান্তে বাড়তে থাকে অনুপ্রবেশ। দায়িত্বে আসেন বাংলাদেশের নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মোহাম্মদ ইউনুস। এরপর থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে থাকে ঢাকা, সঙ্গে যোগ হয় বেজিং। ভারত বিরোধিতা (India) বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে ওঠে চিন এবং পাকিস্তানের।

    শয়তান ত্রিভুজ

    চিন, বাংলাদেশ (Bangladesh) এবং পাকিস্তানের এই জোটকে শয়তান ত্রিভুজ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এই জোট বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে ভারতের যে আধিপত্য বজায় রয়েছে, তাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে বলেও মনে করছেন বহু রাজনৈতিক বিশ্লেষক। এ নিয়ে মেজর জেনারেল সুধাকর জি জানিয়েছেন, শয়তানের ত্রিভুজ শিলিগুড়ি করিডরকে অবরুদ্ধ করে দিতে পারে এবং ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে উত্তর-পূর্বকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র চালাতে পারে। তিনি আরও জানান, এই শয়তানের জোট ভারতকে সবসময় চাপে রাখার চেষ্টা করবে। বেজিং, ঢাকা এবং ইসলামাবাদ তাদের দাবি পূরণের জন্য সবসময়ের জন্য কূটনৈতিক চাপে রাখতে চাইবে নয়াদিল্লিকে।

    ভূ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত

    ভূ-রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ গৌতম লাহিড়ীর মতে, নিরাপত্তার দিক থেকে ত্রিপাক্ষিক এই জোট ভারতের কাছে অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বাংলাদেশের নতুন সরকার পাকিস্তান ও চিনের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হতে চেষ্টা করছে। তবে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং চিনের এই ত্রিপাক্ষিক শক্তি এখনও তার প্রভাব দেখাতে পারেনি। গৌতম লাহিড়ী আরও জানান, তারা বলছে যে তারা অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক বিষয়ে মনোনিবেশ করবে; কিন্তু আসলে উদ্দেশ্য অন্য। ভারতের (India) সতর্ক হওয়া উচিত এবং ভারতের নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয়, সেজন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যদি বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয় এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে একটি স্থিতিশীল সরকার গঠিত হয়, তাহলে ঢাকা চিন ও পাকিস্তানঘেঁষা জোট থেকে সরে আসতে পারে। কারণ, একটি শক্তিশালী সরকার জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করতে সক্ষম। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই জোট যাতে আরও শক্তিশালী না হয়, তা নিশ্চিত করতে ভারতের কূটনৈতিক তৎপরতা এখন থেকেই বাড়ানো জরুরি। নয়তো এই ত্রিপাক্ষিক জোট দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের প্রভাব ও নিরাপত্তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।

  • India Iran Relation: সংঘাতের সময় শান্তির প্রতি অঙ্গীকার ভারতের, গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ইরানের

    India Iran Relation: সংঘাতের সময় শান্তির প্রতি অঙ্গীকার ভারতের, গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ইরানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতবাসী তাদের সমর্থন জানানোয় গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন নয়াদিল্লিতে ইসলামি প্রজতন্ত্র ইরানের (India Iran Relation) দূতাবাস কর্তৃপক্ষ (Iranian Embassy)। ২৫ জুন দূতাবাসের তরফে জারি করা একটি বিবৃতিতে ইজরায়েল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত সামরিক আগ্রাসনের সময় ভারতের জনগণের সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। ওই বিবৃতিতে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন মহান ও স্বাধীনতাপ্রেমী ভারতীয় জনগণকে – যার মধ্যে রয়েছেন সাধারণ মানুষ, রাজনৈতিক দল, সাংসদ, এনজিও, ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক নেতা, শিক্ষাবিদ, গণমাধ্যম এবং সমাজকর্মীরা, যাঁরা ইরানের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

    ইরানি দূতাবাসের বিবৃতি (India Iran Relation)

    ঘটনাটিকে “দখলদার ইহুদিদের শাসন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিজয়” হিসেবে বর্ণনা করে ইরানি দূতাবাস জানিয়েছে, সম্প্রতি ভারতের সমাজের বিভিন্ন অংশ থেকে যে সংহতি প্রকাশ করা হয়েছে, তার জন্য তারা কৃতজ্ঞ। এই সমর্থনকে তারা ইরানি জাতির প্রতি একটি তাৎপর্যপূর্ণ সমর্থনের বহিঃপ্রকাশ বলেও অভিহিত করেছে। ইরানি দূতাবাসের তরফে আরও বলা হয়েছে, “সংহতির বার্তা, নৈতিক সমর্থন,  জনসাধারণের বিবৃতি এবং শান্তিপূর্ণ জমায়েত” — এসব কাজকর্ম সাম্প্রতিক সামরিক সংঘাতের সময় ইরানি জনগণের জন্য এক শক্তিশালী অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সংহতির বার্তা এবং শান্তিমূলক উদ্যোগে অংশগ্রহণ — এসব সমর্থনের বহিঃপ্রকাশ এক ভয়াবহ সামরিক হামলার সময় ইরানি জনগণকে দৃঢ়ভাবে উৎসাহিত করেছে, যা চালিয়েছিল দখলদার ইহুদিরা। এই ধরনের কাজকর্ম জাতিসমূহের জাগ্রত বিবেক এবং আন্তর্জাতিক আইন ও ন্যায়বিচারের প্রতি তাদের অঙ্গীকারের প্রতিফলন (Iranian Embassy)।”

    ইরানি জনগণের দৃঢ়তা

    ইরানের অবস্থান তুলে ধরে, নয়াদিল্লিতে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানের দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশটির প্রতিরোধ কেবলমাত্র তার সার্বভৌমত্ব রক্ষার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না — এটি ছিল রাষ্ট্রসংঘ সনদ ও মানবাধিকার নীতিমালা লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে এক দৃঢ় অবস্থান (India Iran Relation)। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “স্পষ্ট আগ্রাসনের মুখেও ইরানি জনগণের দৃঢ়তা কেবল জাতীয় মর্যাদা রক্ষার প্রশ্ন ছিল না, বরং আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে এক প্রতীকী প্রতিরোধও ছিল। যে বৈশ্বিক সংহতি প্রকাশ পেয়েছে, তা শুধু রাজনৈতিক নয় — এটি ন্যায়বিচার, আইনের শাসন ও শান্তির সর্বজনীন মূল্যবোধকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেছে।”

    আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি ইরানের প্রতিশ্রুতি

    ওই বিবৃতিতে দূতাবাসের (Iranian Embassy) তরফে লেখা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি ইরানের দীর্ঘদিনের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। দেশটি সম্প্রসারণবাদী নীতির বিরোধিতা করে আসছে। আমরা বিশ্বাস করি, জাতিগুলির ঐক্য যুদ্ধ, হিংসা ও অবিচারের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী ঢাল।” এর পরেই সত্যিকারের এবং অমূল্য সমর্থনের জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে ভারতীয় জনগণ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে। দূতাবাস জানিয়েছে, সাংস্কৃতিক ও সভ্যতার ঐতিহ্যভিত্তিক এই সংহতি শান্তি ও বৈশ্বিক ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে আরও অগ্রগতি আনবে। বিবৃতির শেষে লেখা, “জয় ইরান — জয় হিন্দ।”

    ইরানে হামলা

    গত ১৩ জুন ইজরায়েল ইরানের রাজধানী তেহরানের সামরিক বাহিনী এবং তার পারমাণবিক কেন্দ্র এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা-সহ প্রধান গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলির বিরুদ্ধে একের পর এক হামলা চালায়। এর জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় মধ্যপ্রাচ্যে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারতবাসীর একাংশ ইরানকে সমর্থন করে। উদ্বেগ প্রকাশ করে নরেন্দ্র মোদির সরকার। উত্তজেনা কমানোর আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সাধারণ মানুষের একটা অংশও সোশ্যাল মিডিয়ায় ইরানের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করে, সমালোচনা করে ইজরায়েল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের। ফোনে ইরানের রাষ্ট্রপতি মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে কথা বলার সময় উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। ইরানের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা (India Iran Relation)।

    প্রসঙ্গত, দু’সপ্তাহ আগে শুরু হয়েছিল ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধ। তেল আভিভের (ইজরায়েলের রাজধানী) অভিযোগ, হামাস এবং হুথিদের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে যারা সমর্থন করে, তারা তাদের সঙ্গেই যুদ্ধ করে। ইজরায়েলকে সমর্থন করে আমেরিকাও। ট্রাম্প প্রশাসন সাফ জানিয়ে দেয়, তারা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিরুদ্ধে এবং বিশ্বশান্তির জন্য একে এই কর্মসূচি পালন করা থেকে বিরত রাখতে চায়। এদিকে ইরান এটিকে নির্লজ্জ ও বিনা উসকানিতে আগ্রাসন বলে অভিহিত করে। তারা ব্যালিস্টক (Iranian Embassy) ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলার মাধ্যমে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়। গত ২৩ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে মধ্যস্থতা করার কথা বলার আগে পর্যন্ত অব্যাহত ছিল দুই দেশের সংঘাত (India Iran Relation)।

  • Rajnath Singh: চিনের মাটিতে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে তুলোধনা রাজনাথের, সই করলেন না যৌথ বিবৃতিতেও

    Rajnath Singh: চিনের মাটিতে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে তুলোধনা রাজনাথের, সই করলেন না যৌথ বিবৃতিতেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড নিয়ে টানাপোড়েন আন্তর্জাতিক মঞ্চে। এমতাবস্থায় চিনে আয়োজিত সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনে যৌথ বিবৃতিতে সই করলেন না ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। ওই বিবৃতিতে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার উল্লেখ না থাকলেও, বালুচিস্তানে অশান্তির নেপথ্যে ভারতের ভূমিকার উল্লেখ ছিল। এরই প্রতিবাদে যৌথ বিবৃতিতে সই করেনি ভারত।

    অপারেশন সিঁদুরের যৌক্তিকতা (Rajnath Singh)

    এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে চিনে গিয়েছেন রাজনাথ। সম্মেলন চলাকালীন দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা এবং ২৬ জন নিরীহ মানুষের প্রাণ চলে যাওয়ার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন তিনি। পাকিস্তানের বন্ধু দেশ চিনের মাটিতে দাঁড়িয়ে অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) যৌক্তিকতাও ব্যাখ্যা করলেন রাজনাথ (Rajnath Singh)। ওই সম্মেলনে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত জবাব ছিল অপারেশন সিঁদুরের মতো অভিযান। এসসিও সম্মেলনে রাজনাথ সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ায় তুলোধনা করেন শাহবাজ শরিফের দেশকে। শুধু তাই নয়, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একযোগে সরব হতে বাকি দেশগুলিকেও আহ্বান জানান তিনি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “গত ৭ মে অপারেশন সিঁদুর শুরু করেছিল ভারত। সীমান্ত সন্ত্রাস নির্মূল করতে এবং সীমান্ত সন্ত্রাস কাঠামো ভেঙে ফেলার লক্ষ্যে অভিযান চালানো হয়েছিল।”

    পাকিস্তানকে নিশানা

    পাকিস্তানকে নিশানা করে রাজনাথ বলেন, “কিছু দেশ সীমান্ত পার হওয়া সন্ত্রাসবাদকে নীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। তারা জঙ্গিদের আশ্রয়ও দেয়। এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যারা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দু’মুখো আচরণ করে, সেই দেশগুলির নিন্দা করতে দ্বিধাগ্রস্ত হওয়া উচিত নয় সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের।” সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে ভারত যে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ অবলম্বন করছে, এদিন সেকথাও ওই মঞ্চে জানিয়ে দেন রাজনাথ। তিনি (Rajnath Singh) বলেন, “আমরা দেখিয়ে দিয়েছি যে সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থলগুলি আর নিরাপদ নয়, এবং প্রয়োজনে আমরা সেগুলিকে টার্গেট করে আঘাত হানতেও পিছপা হব না।” রাজনাথ বলেন, “আমাদের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে চরমপন্থা ছড়িয়ে পড়া রোধে আমাদের সক্রিয় পদক্ষেপ করা উচিত। এই বিষয়ে এসসিও-র রিজিওনাল অ্যান্টি টেররিস্ট স্ট্রাকচার ব্যবস্থাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ভারতের সভাপতিত্বে এসসিও রাষ্ট্রপ্রধানদের পরিষদ থেকে যে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল — ‘সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ ও চরমপন্থার দিকে নিয়ে যাওয়া চরমপন্থা প্রতিরোধ’ — তা আমাদের সম্মিলিত অঙ্গীকারের প্রতীক।”

    দুরমুশ জঙ্গি শিবির

    প্রসঙ্গত, গত (Rajnath Singh) ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা বেছে বেছে হত্যা করে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে। তার পরেই কূটনৈতিক স্তরে একাধিক পদক্ষেপ করে ভারত। জঙ্গি হামলার বদলা নেওয়ার দাবি ওঠে গোটা দেশে। এমতাবস্থায় ৭ মে মধ্যরাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ভারত। দুরমুশ করে দেওয়া হয় ৯টি জঙ্গি শিবির। এই অভিযানের নামই অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)।

    বিবৃতিতে সই করলেন না রাজনাথ

    সম্মেলনের আলোচ্য বিষয় এবং তা নিয়ে অবস্থান বোঝাতে যে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়, তাতে একে একে সই করতে থাকেন এসসিওর সদস্য দেশগুলির প্রতিনিধিরা। সই করার পালা এলে ওই বিবৃতি নিয়ে আপত্তি তোলেন রাজনাথ। তিনি প্রশ্ন তোলেন, যৌথ বিবৃতিতে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার কোনও উল্লেখ নেই কেন? বালুচিস্তানে অশান্তি সৃষ্টির নেপথ্যে ভারতের ভূমিকার কথা কেন লেখা হয়েছে, সে প্রশ্নও তোলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Rajnath Singh)। এসসিওর চেয়ার এই মুহূর্তে চিনের দখলে। চিন-পাকিস্তানের বন্ধুত্বের খবর সর্বজনবিদিত। ভারতের অভিযোগ, সেই কারণেই যৌথ বিবৃতি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ (Operation Sindoor)। তার বদলে বালুচিস্তানের অশান্তির জন্য কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে ভারতকে। এমনতর বিবৃতি দেখে তাতে আর স্বাক্ষর করেননি রাজনাথ (Rajnath Singh)।

    এসসিওর সদস্য রাষ্ট্র

    চিনের চিংদাওয়ে চলছে এসসিও সম্মেলন। যোগ দিয়েছেন সদস্য দেশগুলির প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা। রাজনাথের (Rajnath Singh) পাশাপাশি সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন রাশিয়া, পাকিস্তান, চিন, বেলারুশ, ইরান, কাজাখস্তান, কিরঘিস্তান, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরাও। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতেই আয়োজন করা হয় এই সম্মেলনের।

    প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাসে লাগাতার অশান্তির খবর আসছে বালুচিস্তান থেকে। সেখানে পাক সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে বিচ্ছিন্নতাকামী সংগঠনগুলি। আস্ত ট্রেন হাইজ্যাক করা থেকে কনভয়ে বিস্ফোরণ, কিছুই বাদ যাচ্ছে না। বালুচিস্তানের এই অশান্তির জন্য ভারতকে বরাবর দায়ী করে আসছে শাহবাজ শরিফের দেশ। যদিও পাক সরকারের তোলা অভিযোগ বার বার খণ্ডন করেছে ভারত। নয়াদিল্লির অভিযোগ, সন্ত্রাসে মদত জোগাতে গিয়ে ফেঁসে গিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের নজর ঘোরাতেই এখন ভারতকে কাঠগড়ায় তুলছে (Operation Sindoor) পাকিস্তান।

     

LinkedIn
Share