Tag: India

India

  • Terror Funding: প্রবাসী বাঙালিদের মাধ্যমে বিদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে টাকা পাঠাচ্ছে জঙ্গি সংগঠনগুলি! রহস্য ফাঁস গোয়েন্দাদের

    Terror Funding: প্রবাসী বাঙালিদের মাধ্যমে বিদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে টাকা পাঠাচ্ছে জঙ্গি সংগঠনগুলি! রহস্য ফাঁস গোয়েন্দাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এপার বাংলায় তুষ্টিকরণের রাজনীতি, আর ওপার বাংলায় অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে নৈরাজ্য – এই জোড়া যোগে রমরমা জঙ্গিদের (Terror Funding)। ডামাডোলের বাজারে সীমান্ত পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে পড়ছে জঙ্গিরা (Jihadist Outfits)। তারপর মিশে যাচ্ছে এ রাজ্যের জনারণ্যে। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের ইউনূস সরকারের আমলে এ রাজ্যে বাড়ছে জঙ্গি অনুপ্রবেশের ঘটনা। এই জঙ্গিদের রসদ জোগাচ্ছে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনগুলি। প্রশ্ন হল, কীভাবে? সাধারণত প্রচলিত ব্যাঙ্কিং চ্যানেলের মাধ্যমে হঠাৎ করে বড় অঙ্কের টাকা পাঠানো হলে তা সন্দেহজনক হিসেবে চিহ্নিত হয়। সেই কারণে জঙ্গিরা পশ্চিমবঙ্গের প্রবাসীদের মাধ্যমে ৫ কিংবা ১০ হাজার করে টাকা পাঠাচ্ছিল। এই জঙ্গি সংগঠনগুলি মূলত মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় কর্মরত পশ্চিমবঙ্গের প্রবাসীদের মাধ্যমে টাকা পাঠাচ্ছিল পশ্চিমবঙ্গ ও অসমে জঙ্গি মডিউলে কাজে লাগাতে। জঙ্গিদের এই কৌশলটি প্রকাশ্যে আসে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) দ্বারা আর একটি ইসলামপন্থী জঙ্গি মডিউল ধ্বংস করার মাধ্যমে। ৯ মে এসটিএফ বীরভূমের নলহাটি থেকে মডিউলটির প্রধান বছর আঠাশের আজমল হোসেনকে গ্রেফতার করে। ওই দিনই মুরারই থেকে গ্রেফতার করা হয় তারই সমবয়সি মডিউলের আর এক শীর্ষ সদস্য সাহেব আলি খানকে। ১০ মে কলকাতার ডায়মন্ড হারবারের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা থেকে গ্রেফতার করা মডিউলের আর এক সদস্য বছর পঁচিশের আব্বাসউদ্দিন মোল্লাকে।

    জঙ্গি মডিউলে মোটা অঙ্কের টাকা (Terror Funding)

    এসটিএফের সিনিয়র কর্তারা টানা জেরা করেন ওই জঙ্গিদের। তখনই জানা যায়, মালদা, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, দুই বর্ধমান এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দারা যাঁরা মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় সাধারণ শ্রমিকের কাজ করেন, তাঁদের মাধ্যমে এই জঙ্গি মডিউলে মোটা অঙ্কের টাকা পাঠানো হচ্ছিল। এসটিএফ সমস্ত তথ্য শেয়ার করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির সঙ্গে। আইবি-র (ইনটেলিজেন্স ব্যুরো) এক শীর্ষ কর্তা সংবাদ মাধ্যমে বলেন, “প্রবাসীদের মাধ্যমে জঙ্গিদের অর্থ পাঠানোর পদ্ধতি একটি নয়া প্রবণতা। এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনগুলি এই পদ্ধতিতে অর্থ পাঠাচ্ছে কারণ হাওলা লেনদেনের ওপর নজরদারি অনেক বেড়েছে। হাওলার মাধ্যমে টাকা পাঠানো এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তাই তারা এই নতুন পথ বেছে নিয়েছে।”

    কী বলছেন আইবি কর্তা?

    তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ থেকে হাজার হাজার মানুষ বিদেশে কাজ করেন। তাঁদের পাঠানো টাকার ওপর নজরদারি করা আমাদের সংগঠনগত সম্পদের ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করবে।”  গোয়েন্দাদের অনুমান, কয়েকশোরও বেশি প্রবাসীকে ব্যবহার করে নিয়মিতভাবে এমন ছোট ছোট অঙ্কের অর্থ পশ্চিমবঙ্গের ব্যাংক ও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টে (Jihadist Outfits) পাঠানো হচ্ছিল। আইবির ওই কর্তা বলেন, “উদ্বেগের বিষয় হল — এই প্রবাসীরা, যাঁরা তাঁদের অ্যাকাউন্ট সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির টাকা লেনদেনের জন্য ব্যবহার করতে দিয়েছেন, তাঁরা সেই সংগঠনের সঙ্গেই যুক্ত হয়ে গিয়েছেন। এর মানে তাঁরা চরমপন্থায় প্রভাবিত হয়েছেন এবং স্বেচ্ছায় সন্ত্রাসবাদে সহায়ক হয়ে উঠেছেন (Terror Funding)।”

    ধৃতেরা জেএমবির নির্দেশে কাজ করছিল!

    গত সপ্তাহে যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) নির্দেশে একটি জঙ্গি মডিউল গঠন করেছিল। জেএমবির সঙ্গে ভারতীয় উপমহাদেশে আল-কায়েদার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এই মডিউলের প্রধান আজমল হোসেন বছর ছয়েক আগে বাংলায় জেএমবির সদস্যদের দ্বারা চরমপন্থায় দীক্ষিত হয় এবং তারাই তাকে নিয়োগ করে। ২০২২ সালের কোনও এক সময় তাকে একটি পৃথক জঙ্গি মডিউল গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়। হোসেনকে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি)-এর কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। এটি বাংলাদেশভিত্তিক একটি জঙ্গি সংগঠন, যারা অসম, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং ভারতের আরও অনেক রাজ্যে স্লিপার সেলের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। এই এবিটির সঙ্গে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার (LeT) সম্পর্ক রয়েছে। হোসেন ও খান লস্কর-ই-তৈবার কাছ থেকেই আগ্নেয়াস্ত্র চালানো এবং ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (IED) তৈরির প্রশিক্ষণ পেয়েছে।

    আজমল হোসেনের হ্যান্ডলার

    এক আইবি কর্তা বলেন, “আজমল হোসেনের এক হ্যান্ডলার রয়েছে। সে রয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (PoK)। ওই হ্যান্ডলার নিয়মিতভাবে তাকে নির্দেশ পাঠাত। বছর দুই আগে পর্যন্ত এই হ্যান্ডলার হাওলা পদ্ধতিতে তাকে বড় অঙ্কের টাকা পাঠাত। কিন্তু ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কড়া নজরদারির কারণে সম্ভবত সেই পথটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে।” তিনি বলেন, “মোল্লা সম্প্রতি তার পাকিস্তানি হ্যান্ডলারের কাছ থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করার নির্দেশ পেয়েছে। এর বিনিময়ে তাকে বড় অঙ্কের অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় (Terror Funding)।”

    আজমলের দায়িত্ব

    এসটিএফ সূত্রে খবর, আজমল হোসেনকে বীরভূম, মালদা, মুর্শিদাবাদ এবং দুই ২৪ পরগনার বিভিন্ন জেলায় সমর্থক ও সদস্যদের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এসটিএফের এক কর্তা বলেন, “তাকে (আজমল) স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কীভাবে একটি জঙ্গি মডিউল গঠন করতে হবে এবং কীভাবে প্রতিটি স্লিপার সেল গড়ে তুলতে হবে। প্রতিটিতে ২-৩ জন কট্টরপন্থী ইসলামপন্থী থাকবে। এরা ছড়িয়ে থাকবে দক্ষিণবঙ্গ, অসম এবং ত্রিপুরাজুড়ে। তাদের বলা হয়েছিল মুসলিম যুবক ও কিশোরদের মৌলবাদে উদ্বুদ্ধ করতেও। কীভাবে তরুণ মুসলিমদের (Jihadist Outfits) র‍্যাডিকালাইজ করা যায়, সে সম্পর্কে বিস্তারিত নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল।” এসটিএফের এক কর্তার মতে, প্রথম ধাপ ছিল দুর্বল কিশোর ও তরুণদের শনাক্ত করা। পরে তাদের মগজ ধোলাই করা হয়। তারা যাতে ভারতীয় মুসলিমদের ওপর নিপীড়নের মিথ্যে কথা প্রচার করে, সেই নির্দেশও দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, আজমল হোসেন ও তার শাগরেদরা মালদা ও মুর্শিদাবাদে ধর্মীয় মেহফিলের আয়োজন করছিল, যার মাধ্যমে তারা মৌলবাদী ইসলাম প্রচার করত।

    এসটিএফের কর্তার বক্তব্য

    এসটিএফের এক কর্তা বলেন, “সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই তরুণদের উগ্রপন্থার পথে পরিচালিত করা হয় এবং তারপর তাদের মধ্যে দেশদ্রোহী ও জেহাদি সাহিত্য বিলি করার পর দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়। তাদের মধ্যে প্রচুর জেহাদি মতাদর্শ ঢোকানো হয় এবং মগজধোলাই করে জেহাদি বানানো হয়, তারপর আনুষ্ঠানিকভাবে জেএমবি বা এবিটিতে নিয়োগ করা হয়। এই সদস্যদের সঙ্গে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী (Jihadist Outfits) সংগঠন এবং আইএসআইয়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।”  তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড সীমান্তের কাছাকাছি একটি নিরাপদ জায়গা বেছে নেওয়া হয়েছিল, যেখানে পশ্চিমবঙ্গ ও অসম থেকে আসা নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আমরা যখন এই মডিউলটি ভেঙে দিই, তখন অস্ত্র সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলছিল (Terror Funding)।”

    পলাতক স্লিপার সেলের অধিকাংশ সদস্য

    নয়া জঙ্গি মডিউলের তিন শীর্ষ সদস্য গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়তেই পালিয়ে গিয়েছে স্লিপার সেলের অধিকাংশ সদস্য ও নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা। আইবির ওই কর্তা বলেন, “তাদের খুঁজে বের করতে কিছুটা সময় লাগবে। আরও একটি গুরুতর বিষয় হল — বাংলা থেকে প্রবাসীদের জঙ্গি নেটওয়ার্কে সহযোগী হিসেবে নিয়োগ করা। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব রয়েছে। আমাদের এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে হবে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার সরকারের সঙ্গে। তারপর ওই ব্যক্তিদের দেশে ফিরিয়ে এনে (Jihadist Outfits) বিচার প্রক্রিয়ার আওতায় আনতে হবে (Terror Funding)।”

  • PM Modi: “বেতন বন্ধ, খাবারও নেই, প্রধানমন্ত্রী কিছু করুন”, করুণ আবেদন সৌদিতে আটকে পড়া শ্রমিকদের

    PM Modi: “বেতন বন্ধ, খাবারও নেই, প্রধানমন্ত্রী কিছু করুন”, করুণ আবেদন সৌদিতে আটকে পড়া শ্রমিকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ত্রাতা সেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)! বিদেশে বিপদে পড়ে তাই তাঁরই শরণ নিলেন কয়েকশো ভারতীয় শ্রমিক। তাঁরা প্রধানমন্ত্রী ও নিজের নিজের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে নিরাপদে দেশে ফেরানোর আবেদন জানিয়েছেন (Saudi Arabia)।

    বন্ধ বেতন (PM Modi)

    সৌদি আরবে সেনদান ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি লিমিটেডে কাজ করতে গিয়েছিলেন কয়েকশো ভারতীয়। এঁদের বেশিরভাগই বিহার এবং উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। এই শ্রমিকদের অভিযোগ, গত আট মাস ধরে কোম্পানি তাঁদের বেতন দেয়নি। তাই তাঁরা খাদ্য এবং বাসস্থানের মতো ন্যূনতম প্রয়োজনীয়তা থেকেও বঞ্চিত। জুবাইলের কিং ফয়সাল ওয়েস্ট রোডে অবস্থিত কোম্পানির হাউজিং ক্যাম্পে কোনওক্রমে বসবাস করছেন তাঁরা। বেতন না পাওয়ায় অমানবিক পরিবেশে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন। বেঁচে রয়েছেন পর্যাপ্ত খাবার, পানীয় জল এবং চিকিৎসার সুবিধা ছাড়াই।

    কী বলছেন আটকে পড়া শ্রমিকরা

    বিপদে পড়ে তাঁরা প্রথমে দ্বারস্থ হয়েছিলেন রিয়াধে থাকা ভারতীয় দূতাবাসের। অভিযোগ, সেখান থেকে কোনও সাহায্য মেলেনি। এই বিপন্ন শ্রমিক দলটির একজন শৈলেশ কুমার চৌহান। তিনি বলেন, “আমরা মেল ও ফোনের মাধ্যমে একাধিকবার ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ইতিবাচক কোনও সাড়া পাইনি।” তিনি বলেন, “যদি শীঘ্রই সাহায্য না পাওয়া যায়, তাহলে আমাদের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যাবে।”

    ভারতীয় দূতাবাসের কাছ থেকে কোনও সাহায্য না পেয়ে ওই শ্রমিকরা সরাসরি আবেদন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। তাঁদের পরিবারের সদস্যরা জেলাশাসক ও গোপালগঞ্জের সাংসদ অলক কুমার সুমনের কাছেও আবেদন করেছেন। সুমন যোগাযোগ করেন ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে (PM Modi)। খুব শীঘ্রই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

    প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হতেই বিপাকে পড়েন সে দেশে পড়াশোনা করতে যাওয়া ভারতীয়রা। কেবল ইউক্রেন নয়, তার প্রতিবেশী দেশগুলিতে আটকে যাওয়া ভারতীয়দের উদ্ধার করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন গঙ্গা’। এই অপারেশনের মাধ্যমে ভারতীয় তো বটেই বিপন্ন কয়েকজন পাকিস্তানি পড়ুয়া এবং প্রতিবেশী অন্যান্য কয়েকটি দেশের নাগরিকদেরও উদ্ধার করা হয়। পরে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) প্রতি কৃতজ্ঞতাও ব্যক্ত করেন।

    এবারও প্রধানমন্ত্রী ঠিক কিছু একটা করবেন, এই আশায় বুক বেঁধেছেন বিপন্ন (Saudi Arabia) ওই ভারতীয় শ্রমিকরা।

  • Supreme Court: ‘‘ভারত কোনও ধর্মশালা নয়’’, শ্রীলঙ্কার নাগরিকের এদেশে থাকার আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: ‘‘ভারত কোনও ধর্মশালা নয়’’, শ্রীলঙ্কার নাগরিকের এদেশে থাকার আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার (Sri Lankan National) এক নাগরিক ভারতে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছিলেন। সোমবার তা খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে যে, ভারত কোনও ধর্মশালা নয়। এদিন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রনের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই এমন মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্ট। প্রসঙ্গত, আবেদনকারীকে শ্রীলঙ্কায় সক্রিয় সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লিবারেশন টাইগার্স অফ তামিল ইলম (এলপ্রটিটিই)-এর সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে ২০১৫ সালে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

    ২০১৮ সালে দোষী সাব্যস্ত হয় ওই ব্যক্তি (Supreme Court)

    ২০১৮ সালেই, ট্রায়াল কোর্ট অভিযুক্ত এই শ্রীলঙ্কার নাগরিককে বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের অধীনে দোষী সাব্যস্ত করে। এরপর তার ১০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। ২০২২ সালে, মাদ্রাজ হাইকোর্ট তাঁর সাজা কমিয়ে সাত বছর করে। এর পাশাপাশি নির্দেশে উল্লেখ ছিল যে, সাজা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দোষীকে ভারত ছেড়ে চলে যেতে হবে। তবে ওই দোষী দিন কয়েক একটি শরণার্থী শিবিরে থাকার সুযোগ পাবেন।

    কী বললেন বিচারপতি?

    আবেদনকারী সুপ্রিম কোর্টকে (Supreme Court) জানিয়েছিলেন যে- নিজের দেশে তাঁর জীবন ঝুঁকির মধ্যে থাকায় তিনি ভিসা নিয়েই ভারতে এসেছিলেন। বর্তমানে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানরা ভারতেই রয়েছেন। তিনি প্রায় তিন বছর ধরে এখানে আটক রয়েছেন বলেও জানান ওই শ্রীলঙ্কার নাগরিক। এরপরেই তিনি ভারতে থাকার আবেদন জানান। জবাবে, বিচারপতি দত্ত বলেন, ‘‘ভারত কি সারা বিশ্ব থেকে আসা শরণার্থীদের আশ্রয় দেবে? এ দেশে এমনিতেই ১৪০ কোটি মানুষের বসবাস। এটি কোনও ধর্মশালা নয় যেখানে আমরা সারা বিশ্বের বিদেশি নাগরিকদের আতিথেয়তা দিতে পারি।’’ এক্ষেত্রে আবেদনকারীর আইনজীবী সংবিধানের ২১ (জীবন ও স্বাধীনতার সুরক্ষা) এবং অনুচ্ছেদ ১৯ ধারা উল্লেখ করেন। এই ধারা গুলির মাধ্যমে যেকোনও ভারতীয় বাকস্বাধীনতা এবং চলাফেরার স্বাধীনতা-সহ মৌলিক অধিকার ভোগ করেন। এক্ষেত্রে বিচারপতি দত্ত বলেন, ‘‘আবেদনকারীর আটক ২১ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করে না কারণ তাঁকে আইন অনুসারে হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল।’’

  • IMF: ৫০টি শর্ত পূরণ হলে তবেই পাকিস্তান পাবে ঋণ, ভারতের চাপেই কি এই সিদ্ধান্ত আইএমএফের?

    IMF: ৫০টি শর্ত পূরণ হলে তবেই পাকিস্তান পাবে ঋণ, ভারতের চাপেই কি এই সিদ্ধান্ত আইএমএফের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানকে ভারতীয় মুদ্রায় আট হাজার কোটি টাকার বাড়তি ঋণ মঞ্জুর করেছে আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডার (IMF)। ইতিমধ্যেই প্রথম দু’কিস্তির টাকাও পেয়ে গিয়েছে ইসলামাবাদ (Operation Sindoor)। তবে পরের কিস্তির টাকা দেওয়ার আগে ইসলামাবাদের ওপর ১১টি নতুন শর্ত চাপিয়েছে আইএমএফ। শনিবার এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্টও প্রকাশ করেছে তারা। জানা গিয়েছে, ঋণের জন্য পাকিস্তানকে আগে থেকেই ৩৯টি শর্ত দিয়ে রেখেছিল আইএমএফ। পরে আরও ১১টি শর্ত চাপানোয় মোট শর্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫০। এই সবক’টি শর্ত পূরণ করলেই ঋণের পরবর্তী কিস্তির টাকা হাতে পাবে শাহবাজ শরিফের দেশ।

    আইএমএফের রিপোর্ট (IMF)

    আইএমএফের রিপোর্টে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের ২০২৬ অর্থবর্ষের বাজেট আইএমএফের চুক্তির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে এবং তাতে সংসদীয় অনুমোদন নিশ্চিত করতে হবে। পাকিস্তানের ফেডারেল বাজেটে ১৭ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেখিয়েছে আইএমএফ। এর মধ্য শুধু উন্নয়নের জন্যই খরচ করতে বলা হয়েছে ১.০৭ লাখ কোটি টাকা। পাকিস্তানের যে প্রদেশগুলিতে নয়া কৃষি আয়কর আইন বাস্তবায়ন করার কথা, সেখানে আয়কর রিটার্নের প্রক্রিয়াকরণ, করদাতাদের শনাক্ত করা এবং নথিভুক্ত করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রতিষ্ঠা করতে বলা হয়েছে। এজন্য জুন মাস পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। আইএমএফের সুপারিশ অনুযায়ী, পাকিস্তান সরকারকে একটি নির্দিষ্ট প্রশাসনিক পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে এবং তা প্রকাশ করতে হবে। প্রশাসনিক দুর্বলতাগুলিকে চিহ্নিত করে সংস্কারের পরিকল্পনা জনসমক্ষে তুলে ধরাই এর উদ্দেশ্য। ২০২৭ সালের পরে অর্থনৈতিক সেক্টরে পাকিস্তানের পরিকল্পনা কী হবে, তার একটি রূপরেখাও তৈরি করতে বলা হয়েছে পাকিস্তানকে। এই রূপরেখাও প্রকাশ করতে হবে।

    চারটি নয়া শর্ত

    শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের ওপর আরোপ করা হয়েছে আরও চারটি নয়া শর্ত। চলতি বছরের ১ জুলাইয়ের মধ্যে পাকিস্তান সরকারকে বার্ষিক বিদ্যুৎ শুল্ক পুনর্নির্ধারণের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে। পাকিস্তানে বিদ্যুতের ঋণ পরিশোধের বাড়তি খরচের সর্বোচ্চ সীমা ইউনিট প্রতি ৩.২১ টাকা। জুন মাসের মধ্যে আইন করে (Operation Sindoor) এই সীমা তুলে দিতে হবে। সরকারের ভুল নীতির কারণেই যে পাকিস্তানের ওপর ঋণের পাহাড় প্রমাণ বোঝা চেপেছে, তাও জানিয়ে দিয়েছে আইএমএফ। আইএমএফের তরফে পাকিস্তানকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা তাদের উন্নয়ন প্রকল্পের আর্থিক, বহিরাগত এবং সংস্কারের লক্ষ্যগুলির ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে (IMF)।

    হাঁড়ির হাল হয়েছে পাক অর্থনীতির

    বস্তুত, হাঁড়ির হাল হয়েছে পাক অর্থনীতির। ঋণের ভারে ধুঁকছে শাহবাজ শরিফের দেশ। বাজেট করতে গেলেও বিশ্বের দুয়ারে দুয়ারে হাত পাততে হচ্ছে পাকিস্তানকে। তার পরেও পূর্ণ উদ্যমে জঙ্গিদের মদত দিয়ে চলেছে তারা। এহেন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানকে নতুন করে ঋণ দেওয়ার জন্য ১১টি শর্ত দিয়েছে আইএমএফ। এই শর্তে রাজি হলে পাকিস্তান অবিলম্বে হাতে পাবে প্রায় ১০০ কোটি মার্কিন ডলার। ফলে বেলআউট প্যাকেজের আওতায় তাদের মোট ঋণের অঙ্ক দাঁড়াবে ২.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়াও, আরএসএফের আওতায় আরও প্রায় ১.৪ বিলিয়ন ডলার দিতেও রাজি হয়েছে আইএমএফ।

    আইএমএফ প্রকাশিত স্টাফ লেভেল রিপোর্ট

    শনিবার আইএমএফ প্রকাশিত স্টাফ লেভেল রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা যদি অব্যাহত থাকে বা এর আরও অবনতি হয়, তাহলে কর্মসূচির আর্থিক, বহিরাগত ও সংস্কার লক্ষ্যগুলির ঝুঁকি বেড়ে যাবে (IMF)। গত দুসপ্তাহে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত বাজারের প্রতিক্রিয়া সেভাবে হয়নি। শেয়ার বাজার তার বেশিরভাগ লাভ ধরে রেখেছে এবং মধ্য গতিতে এগোচ্ছে (Operation Sindoor)।

    অপারেশন সিঁদুর

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার পরেই ব্যাপক অবনতি হয় ভারত-পাক সম্পর্কের। এই জঙ্গি হামলার পক্ষকাল পরে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। দুরমুশ করে দেওয়া হয় পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গিঘাঁটি। হামলা এবং পাল্টা হামলার জেরে টানা চার দিন উত্তপ্ত থেকেছে সীমান্ত। শেষমেশ গত ১০ মে দুই দেশ রাজি হয় সংঘর্ষ বিরতিতে। এরই মাঝে পাকিস্তানের জন্য বিপুল অঙ্কের ঋণ মঞ্জুর করে আইএমএফ (IMF)।

    প্রসঙ্গত, ভারতের আপত্তি সত্ত্বেও পাকিস্তানের জন্য বিপুল ঋণের অনুমতি দিয়েছে আইএমএফ। শনিবার জানা গিয়েছে পাকিস্তানকে বেলআউট ফান্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে ১১টি শর্ত আরোপ করা হয়েছে (Operation Sindoor) আইএমএফের তরফে। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, ভারত এবং আন্তর্জাতিক চাপের ফলেই শেষমেশ করা হল শর্ত আরোপ (IMF)।

  • Pakistan: পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার আরও ৯

    Pakistan: পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার আরও ৯

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সর্ষের মধ্যেই ভূত! পাকিস্তানের (Pakistan) হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে ভারতেরই হরিয়ানা (Haryana) থেকে গ্রেফতার আরও এক। ভারতীয় সেনার গোপন তথ্য আরহান নামের ওই যুবক পাকিস্তানে পাচার করে দিত বলে অভিযোগ। দিল্লিতে পাক দূতাবাসের এক কর্মচারীর সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। পুলিশ তার কাছ থেকে দীর্ঘ হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট উদ্ধার করেছে। উদ্ধার হয়েছে ছবি এবং ভিডিও। আরমান নামের বছর ছাব্বিশের ওই যুবককে শনিবার গ্রেফতার করা হয়েছে হরিয়ানার নুহ জেলা থেকে। নুহ পুলিশ জানিয়েছে, ভারতীয় সেনা ও সামরিক পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাকিস্তানে পাঠাত ওই যুবক। দিল্লির পাক দূতাবাসের এক কর্মচারীর মাধ্যমে সে এই কাজ করত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছ থেকে এ খবর পেয়েছিল নুহ পুলিশ। তার পরেই গ্রেফতার করা হয় আরমানকে।

    আরমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ (Pakistan)

    আরমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানের হয়ে চরের কাজ করছিল সে। সমাজমাধ্যম ব্যবহার করে, বিশেষত হোয়াটসঅ্যাপে এই সংক্রান্ত তথ্য সে শেয়ার করত। পাকিস্তানের একাধিক নম্বরের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট পাওয়া গিয়েছে। অনেক ছবি এবং ভিডিও-ও সে ওই নম্বরে পাঠিয়েছে। আরমানকে গ্রেফতারির পর আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। তাকে ছ’দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে (Pakistan)। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।

    হরিয়ানা থেকে চরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার

    প্রসঙ্গত, শনিবারই হরিয়ানা থেকে চরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রকে। অভিযোগ, পাক গুপ্তচরদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন তিনি। তদন্তকারীদের অনুমান, গুপ্তচরদের কাছে তথ্য পাচার করার একটি চক্র তৈরি হয়েছে এ দেশে। এই চক্র সক্রিয় মূলত পাঞ্জাব ও হরিয়ানায়। জ্যোতি এবং আরমান সেই চক্রের সদস্য কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।

    এদিকে, জ্যোতির পাশাপাশি গুজালা নামে আরও এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাক চর সন্দেহে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছে মালেরকোটলার ইয়াসিন মহম্মদ, হরিয়ানার কৈঠালের দেবেন্দ্র সিং ধিঁলো-ও। উত্তরপ্রদেশের কৈরানার বাসিন্দা নোমান ইলাহিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। হরিয়ানার কাইথাল জেলার গুহলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে দেবেন্দর সিংকে। উত্তরাখণ্ডের রুরকির পেশায় দর্জি রাকিব খানকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে বিহারের সমস্তিপুরের মুচি সুনীল কুমারকেও। গত ৩ মে সেনানিবাস ও বিমানঘাঁটির তথ্য সংগ্রহ এবং ছবি তোলার অভিযোগে অমৃতসরে গ্রেফতার করা হয়েছিল পলক শের মাসিহ এবং সুরজ মাসিহ নামে দু’জনকে। অমৃতসর (Haryana) কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দি হরপ্রীত সিং ওরফে পিট্টু ওরফে হ্যাপির মাধ্যমে তারা আইএসআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল (Pakistan)।

  • India: ইউনূসের দাদাগিরি! বাংলাদেশকে এড়িয়ে কলকাতা থেকে উত্তর-পূর্বের নয়া পথ তৈরি করছে ভারত

    India: ইউনূসের দাদাগিরি! বাংলাদেশকে এড়িয়ে কলকাতা থেকে উত্তর-পূর্বের নয়া পথ তৈরি করছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা জমানায় ট্রানজিট রুট নিয়ে সমঝোতার ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় (India) অগ্রগতি হয়েছিল। গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে (Myanmar) বাংলাদেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। তার পরেই বদলে যায় ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের রসায়ন। এই আবহে সমুদ্র ও মায়ানমারের সড়কপথ ব্যবহার করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সংযোগরক্ষাকারী বিকল্প পথের রূপরেখা চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমের দাবি। জানা গিয়েছে, ন্যাশনাল হাইওয়েজ অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেডের এক কর্তা ওই প্রকল্পের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মেঘালয়ের রাজধানী শিলং থেকে অসমের বরাক উপত্যকার প্রাণকেন্দ্র শিলচর পর্যন্ত প্রায় ১৬৭ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি চার লেনের জাতীয় সড়ক নির্মাণের প্রস্তাব করেছে ভারত সরকার। ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক প্রকল্পের এই রাস্তা যাবে মায়ানমার সীমান্তের অদূরের পাঁচগ্রাম পর্যন্ত। নির্মাণের দায়িত্বে থাকবে এনএইচআইডিসিএল।

    বিকল্প পথ (India)

    এই বিকল্প পথের সমুদ্র যোগাযোগ হবে কলকাতা থেকে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের সিট্টে বন্দর পর্যন্ত। সিট্টে থেকে বঙ্গোপসাগর ছেড়ে মায়ানমারের কালাদান নদীপথে সে দেশের পালেটয়া যাবে ওই জলপথ। এর পরে সড়কপথে মিজোরামের জোরিনপুই পর্যন্ত যোগাযোগ স্থাপন করা হবে। নতুন শিলং-শিলচর জাতীয় সড়ক এই যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সম্প্রসারিত করবে। পরবর্তী পর্যায়ে জোরিনপুই থেকে লুংলেই হয়ে আইজল পর্যন্ত সংযুক্ত হবে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস গত মার্চ মাসে চিন সফরে গিয়ে বলেছিলেন, উত্তর-পূর্ব ভারতে স্থলবেষ্টিত এবং ঢাকা এই অঞ্চলের জন্য সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক। তার পরেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নয়া প্রকল্পের রূপরেখা তৈরি হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    রাখাইন প্রদেশের জল ও স্থলপথ ব্যবহার

    তবে মায়ানমারের সঙ্গে কালাদান মাল্টিমোডাল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রকল্প ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্য স্থির হলেও, তা পূরণ হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে (India)। কারণ, গৃহযুদ্ধ বিধ্বস্ত মায়ানমারের বড় অংশই সে দেশের সামরিক জুন্টা সরকারের হাতছাড়া। যে রাখাইন প্রদেশের জল ও স্থলপথ ব্যবহার করে নয়াদিল্লি বিকল্প পথে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে চাইছে, তার ৮০ শতাংশেরও বেশি বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির দখলে। সেখানে রোহিঙ্গা মুসলমানদের কয়েকটি জঙ্গিগোষ্ঠীও সক্রিয়। গত ৩০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভা অনুমোদন দেয় কালাদান মাল্টিমোডাল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রকল্পে। ইতিমধ্যেই মায়ানমারের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনাও চূড়ান্ত হয়েছে। প্রকল্পটি চালু হলে শিলং থেকে শিলচরের যাত্রাপথ কমে হবে পাঁচ ঘণ্টা। পণ্য পরিবহণের পাশাপাশি (Myanmar) উত্তর-পূর্বাঞ্চলে চিনের মোকাবিলায় আরও দৃঢ় হবে ভারতীয় সেনার অবস্থান (India)।

  • PM Modi: বাংলাদেশি পণ্যের আমদানির ওপর বন্দর সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা জারি ভারতের

    PM Modi: বাংলাদেশি পণ্যের আমদানির ওপর বন্দর সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা জারি ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাসখানেক আগে বাংলাদেশকে (Bangladesh) দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট প্রত্যাহার করেছিল ভারত (PM Modi)। এবার বাংলাদেশের কিছু পণ্যের আমদানির ওপর বন্দর সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করল নয়াদিল্লি। ১৭ মে বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের অধীনে বাণিজ্য বিভাগের ডিরেক্টর জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এই নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজত খাদ্যদ্রব্য, ফল এবং ফল-স্বাদযুক্ত ও কার্বোনেটেড পানীয়, তুলা ও তুলার সুতো বর্জ্য, প্লাস্টিক ও পিভিসি প্রস্তুত সামগ্রী ও কাঠের আসবাবপত্রের আমদানির ওপর প্রযোজ্য।

    যেসব পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা (PM Modi)

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের তৈরি সমস্ত ধরনের রেডিমেড পোশাক কোনও স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা যাবে না। তবে এই পণ্যগুলি শুধুমাত্র নাভাশেভা এবং কলকাতা সমুদ্রবন্দর দিয়ে আমদানি করা যাবে। ফল ও ফল স্বাদযুক্ত ও কার্বোনেটেড পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্য, তুলা ও তুলার সুতা বর্জ্য, প্লাস্টিক ও পিভিসি প্রস্তুত সামগ্রী এবং কাঠের আসবাবপত্রের আমদানি অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরামের কোনও ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশনস ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট দিয়ে এবং পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ি স্থল শুল্ক চেকপোস্ট দিয়ে করা যাবে না। তবে নিজস্ব শিল্পক্ষেত্রের জন্য কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত রঞ্জক, রং, প্লাস্টিসাইজার এবং দানাদার পণ্যের আমদানি অনুমোদিত থাকবে। এছাড়া, বাংলাদেশের কাছ থেকে মাছ, এলপিজি, ভোজ্যতেল এবং পাথর গুঁড়ো আমদানির ক্ষেত্রে বন্দর সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। একইভাবে, বাংলাদেশ থেকে নেপাল ও ভুটানে রফতানি হওয়া পণ্যের ভারত হয়ে ট্রানজিটেও এই বন্দর নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।

    ট্রান্সশিপমেন্টের সুবিধা প্রত্যাহার আগেই

    গত ৯ এপ্রিল ভারত সরকার বাংলাদেশের জন্য আগের যে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা দেওয়া হয়েছে, তা প্রত্যাহার করার কথা ঘোষণা করে। যুক্তি হিসেবে নয়াদিল্লির তরফে বলা হয়েছিল, ভারতের বন্দর ও বিমানবন্দরগুলিতে সরবরাহ সংক্রান্ত সমস্যা ও ভিড় (PM Modi)। এই সুবিধার অধীনে বাংলাদেশকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম স্থলবন্দর পেট্রাপোল ল্যান্ড পোর্ট থেকে কন্টেনার ট্রাক পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল কলকাতা (Bangladesh) বন্দর ও কলকাতা বিমানবন্দরের এয়ার কার্গো কমপ্লেক্স, মহারাষ্ট্রের নাভাশেভা বন্দর ও দিল্লি বিমানবন্দরে (PM Modi)।

  • Indian Army: “পাকিস্তানের ভিতরে ১০০ কিলোমিটার ঢুকে জঙ্গিদের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে ভারত,” বললেন শাহ

    Indian Army: “পাকিস্তানের ভিতরে ১০০ কিলোমিটার ঢুকে জঙ্গিদের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে ভারত,” বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুরে’র ভূয়সী প্রশংসা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শনিবার তিনি বলেন, “স্বাধীনতার পর এই প্রথমবার ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী (Indian Army) পাকিস্তানের ভিতরে ১০০ কিলোমিটার ঢুকে জঙ্গিদের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে।” গুজরাটের গান্ধীনগর জেলার কোলাভাডা গ্রামে আয়োজিত এক সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “গোটা বিশ্ব আজ ভারতীয় সেনাবাহিনীর দক্ষতা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দৃঢ় সংকল্পের প্রশংসা করছে।”

    ১০০ জন সন্ত্রাসবাদী নির্মূল

    তিনি বলেন, “ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী প্রায় ১০০ জন সন্ত্রাসবাদীকে নির্মূল করেছে। জঙ্গি সংগঠনগুলির সদর দফতর ধ্বংস করেছে এবং ১৫টি সামরিক ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে, যার ফলে পাকিস্তানের বিমানবাহিনীর পাল্টা আঘাত হানার ক্ষমতা অনেকটাই কমে গিয়েছে।” তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী দেশের নারীদের সম্মান জানিয়ে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামকরণ করেছেন। মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে কয়েক বছর ধরে নিয়মিত জঙ্গি হামলা ঘটত, এখন আর তা ঘটছে না (Indian Army)।”

    মোদি জমানায় খেলা ঘুরেছে

    গান্ধীনগরের লোকসভার সাংসদ বলেন, “আগে সন্ত্রাসবাদীরা পাকিস্তান থেকে আসত, আমাদের সেনা ও সাধারণ মানুষকে হত্যা করত এবং পালিয়ে যেত। তারা বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করত। কিন্তু তখন তাদের কোনও জবাব দেওয়া হত না।” তিনি বলেন, “মোদি দায়িত্ব নেওয়ার পর ভারতে তিনটি বড় জঙ্গি হামলা হয়েছে—উরি, পুলওয়ামা এবং গত মাসে পহেলগাঁও।প্রধানমন্ত্রী মোদি সবগুলির উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন এবং গোটা বিশ্ব বিস্ময়ের সঙ্গে তা দেখছে, আর পাকিস্তান তা আতঙ্কের সঙ্গে অনুভব করছে।”

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “তারা (পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা) অতীতে ভারতের প্রতিক্রিয়া থেকে কোনও শিক্ষাই নেয়নি এবং ফের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা চালিয়েছে। এবার ‘অপারেশন সিঁদুরে’র আওতায় আমরা জঙ্গি সংগঠনগুলির সদর দফতর ধ্বংস করে দিয়েছি।” তিনি বলেন, “আজ আমি গর্বের সঙ্গে বলতে এসেছি যে, আমরা পহেলগাঁও হামলার প্রতিশোধ নিয়েছি—জইশ-ই-মহম্মদ ও লস্কর-ই-তৈবার সদর দফতর সম্পূর্ণরূপে গুঁড়িয়ে দিয়েছি। পাকিস্তানি জঙ্গিরা নিরস্ত্র ভারতীয় নাগরিকদের ধর্ম জিজ্ঞাসা করে, তাদের পরিবারগুলোর সামনে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল (Indian Army)।”

  • e-Passports: দেশজুড়ে জাল চক্র মোকাবিলা করতে এবার এল চিপ সম্বলিত ই-পাসপোর্ট, কী কী সুবিধা থাকছে?

    e-Passports: দেশজুড়ে জাল চক্র মোকাবিলা করতে এবার এল চিপ সম্বলিত ই-পাসপোর্ট, কী কী সুবিধা থাকছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক ভ্রমণ হবে আরও সহজ। এবার দেশে কাগজের পাসপোর্টের বদলে এল নয়া ই-পাসপোর্ট। জানা যাচ্ছে, এই পাসপোর্টে লাগানো (e-Passports) থাকবে চিপ। ই-পাসপোর্ট ইস্যু করার পেছনে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্য হচ্ছে জাল পাসপোর্টের প্রচলন কমানো। পাসপোর্টের সঙ্গে কারসাজি, জালিয়াতি এবং জাল পাসপোর্ট তৈরির মতো অপরাধমূলক কার্যকলাপ বন্ধ হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ভারত সরকার ই-পাসপোর্ট পরিষেবা (e-Passports) চালু করে প্রযুক্তির এক নয়া যুগের সূচনা করেছে। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, যাঁদের ইতিমধ্যেই পাসপোর্ট রয়েছে, তাঁদের অবিলম্বে নতুন ই-পাসপোর্ট নেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। এই পাসপোর্ট যতদিন বৈধ থাকবে ততদিন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এটি ব্যবহার করতে পারবেন। পুনর্নবীকরণের সময় এলে তখন একটি ই-পাসপোর্ট পাওয়া যাবে।

    ই-পাসপোর্ট আসলে কী

    ই-পাসপোর্ট দেখতে হচ্ছে একেবারে সাধারণ পাসপোর্টের মতোই। তবে এই ধরনের পাসপোর্টে একটি বিশেষ ধরনের মাইক্রোচিপ লাগানো থাকছে। এই চিপে থাকবে ব্যক্তিগত তথ্যের পাশাপাশি ছবি, আঙুলের ছাপ ইত্যাদি। অন্যান্য বায়োমেট্রিক বিবরণও এই চিপে সংরক্ষিত থাকবে বলে জানা গিয়েছে। এইভাবেই এই তথ্যগুলি নিরাপদে এনক্রিপ্ট করা হয়েছে চিপে। অনুমোদিত স্ক্যানিং ছাড়া এই তথ্য কেউ কখনও অ্যাক্সেসও করতে পারবে না। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ১ এপ্রিল এই পরিষবা চালু করা হয় পাসপোর্ট সেবা প্রকল্পের আওতায়। পাসপোর্ট পরিষেবায় প্রযুক্তিগত উন্নতির কারণেই ওই পাইলট প্রকল্প চালু করে মোদি সরকার।

    কোথায় শুরু হয়েছে এই ই-পাসপোর্ট পরিষেবা

    জানা গিয়েছে, বর্তমানে ভারতের বেশ কিছু নির্বাচিত শহরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে এই ই-পাসপোর্ট পরিষেবা। ১২টি শহরের পাসপোর্ট অফিসে ই-পাসপোর্ট ইস্যু করা হচ্ছে। এগুলি হল- নাগপুর, ভুবনেশ্বর, জম্মু, গোয়া, শিমলা, রায়পুর, অমৃতসর, জয়পুর, চেন্নাই, হায়দরাবাদ, সুরাট এবং রাঁচি। সরকার শীঘ্রই আরও বেশ কয়েকটি স্থানে এই পরিষেবা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, বিদেশ মন্ত্রক ২০২৫ সালের মাঝামাঝি নাগাদ এটি সারা দেশে বাস্তুবায়নের পরিকল্পনা করেছে যাতে প্রতিটি নাগরিক এর সুবিধে পেতে পারে। জানা গিয়েছে, তামিলনাড়ুতে, চলতি বছরের ৩ মার্চ চেন্নাই আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ই-পাসপোর্ট পরিষেবা শুরু হয়েছে। ২২ মার্চ পর্যন্ত, ওই রাজ্যে ২০,৭২৯টি ই-পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়েছে বলে খবর।

    ই-পাসপোর্টের কী কী সুবিধে

    জালিয়াতি রোধ বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পাসপোর্টে থাকা চিপটি জাল করা বা নষ্ট করা একেবারেই অসম্ভব। জানা যাচ্ছে, পাসপোর্টের কভারে একটি ছোট ইলেকট্রনিক চিপ এবং অ্যান্টেনা এমবেড করা থাকে। এই চিপে ব্যক্তিগত তথ্য ও বায়োমেট্রিক বিবরণ নিরাপদে সংরক্ষিত থাকে। এরফলে এই ব্যবস্থা পাসপোর্ট সম্পর্কিত জালিয়াতি রোধ করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

    দ্রুত ইমিগ্রেশন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যখন কোনও ব্যক্তি ইমিগ্রেশনের মধ্য দিয়ে যায়, তখন এই চিপটি সঙ্গে সঙ্গে তথ্য দিয়ে দেবে সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা আধিকারিককে। এরফলে এতে যাচাইকরণের সময়ও কমে যাবে।

    তথ্য সুরক্ষিত থাকবে  বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পাবলিক কী ইনফ্রাস্ট্রাকচার নামক প্রযুক্তির মাধ্যমে এই চিপের (e-Passports) মধ্যে ব্যক্তিগত তথ্যকে সুরক্ষিত রাখা হয়। এর ফলে যে কোনও অজানা ব্যক্তি কোনওভাবেই ব্যক্তিগত তথ্য হ্যাক করতে পারবে না।

    সহজে শনাক্তকরণ ই-পাসপোর্টের সামনের কভারের নিচে (Passports) একটি ছোট সোনালী রঙের প্রতীক থাকে, যা এটিকে সাধারণ পাসপোর্ট থেকে আলাদা করে।

    আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ এই পাসপোর্টগুলি আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন দ্বারা নির্ধারিত মান অনুসরণ করে তৈরি, তাই বিশ্বব্যাপী এর গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।

    ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন কীভাবে করবেন

    সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ই-পাসপোর্টের (e-Passports) জন্য আবেদনের প্রক্রিয়া আগের মতোই রয়েছে।

    প্রথমেই এজন্য আপনাকে যেতে হবে www.passportindia.gov.in ওয়েবসাইটে। আর এই ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

    রেজিস্টার্ড আইডি থেকে লগ ইন করার পরে Fresh কিংবা Reissue বিকল্প বেছে নিতে হবে।

    এরপরের ধাপ হল প্রয়োজনীয় তথ্য বসিয়ে ফি জমা করা।

    এরপর নিকটবর্তী পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করতে হবে। এরপর ওই পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রে আসল নথিগুলি নিয়ে যেতে হবে যাচাইকরণের জন্য।

    সবশেষে আপনার ই-পাসপোর্ট পৌঁছে যাবে বাড়ির ঠিকানায়

  • UN: চলতি বছরে ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ছাপিয়ে যাবে আমেরিকা, চিন, ইউরোপকেও! বলছে রাষ্ট্রসংঘ

    UN: চলতি বছরে ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ছাপিয়ে যাবে আমেরিকা, চিন, ইউরোপকেও! বলছে রাষ্ট্রসংঘ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি জমানায় অশ্বমেধের ঘোড়ার মতো ছুটে চলেছে ভারতীয় অর্থনীতির (India) চাকা! বিশ্ব অর্থনীতির নড়বড়ে অবস্থা। অথচ ভারতের অর্থনীতি সম্পর্কে আশার বাণী শুনিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ (UN)। জানিয়ে দিয়েছে, ভারত চলতি বছরেও বিশ্বের দ্রুততম বৃদ্ধির প্রধান অর্থনীতি হিসেবে নিজের জায়গা ধরে রাখতে সক্ষম হবে। রাষ্ট্রসংঘের আশা, চলতি অর্থবর্ষে ভারতের বৃদ্ধির হার হবে ৬.৩ শতাংশ।

    কী বলছে রাষ্ট্রসংঘ? (UN)

    রাষ্ট্রসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ক বিভাগের গ্লোবাল ইকোনমিক মনিটরিং শাখা, অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ এবং নীতি বিভাগের সিনিয়র অর্থনৈতিক বিষয়ক কর্তা ইঙ্গো পিটারলে সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “ভারত দ্রুত বর্ধনশীল বৃহৎ অর্থনীতির একটি। এটি শক্তিশালী বেসরকারি খরচ ও সরকারি বিনিয়োগের দ্বারা পরিচালিত।” যদিও ২০২৫ সালে প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৬.৩ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ব অর্থনীতি একটি অনিশ্চিত সন্ধিক্ষণে রয়েছে, যার লক্ষণ ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য উত্তেজনা এবং ক্রমবর্ধমান নীতিগত অনিশ্চয়তা। সাম্প্রতিক শুল্ক বৃদ্ধি – কার্যকর মার্কিন শুল্ক হারকে তীব্রভাবে বাড়িয়েছে – উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি, বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাহত এবং আর্থিক অস্থিরতা বৃদ্ধির হুমকি দিচ্ছে।

    বৃদ্ধির অনুমান

    চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বৃদ্ধির অনুমান ৬.৬ শতাংশ থেকে সামান্য সংশোধিত হলেও, ভারত এখনও অন্যান্য বৃহৎ অর্থনীতির তুলনায় এগিয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। পরের বছর ভারতের অর্থনীতি ৬.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও এটি আগের প্রত্যাশার চেয়ে সামান্য কম। প্রসঙ্গত, ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য উত্তেজনা এবং নীতিগত অনিশ্চয়তার দিকে ইঙ্গিত করে রাষ্ট্রসংঘ (UN) বলেছে, বিশ্ব অর্থনীতি একটি অনিশ্চিত মুহূর্তে রয়েছে। অনেক দেশ এখন আগের অনুমানের চেয়ে ধীর গতিতে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    বিশ্বের অন্যান্য বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের সঙ্গে তুলনা করলে ভারতের পরিসংখ্যান চিত্তাকর্ষক বলেই মনে হচ্ছে। যেখানে আমেরিকার প্রবৃদ্ধি ১.৬ শতাংশ, চিনের প্রবৃদ্ধি ৪.৬ শতাংশ, জাপানের প্রবৃদ্ধি ০.৭ শতাংশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন মাত্র ১ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে, সেখানে ভারত এদের চেয়ে (India) এগিয়ে রয়েছে ঢের বেশি। জার্মানির প্রবৃদ্ধি -০.১ শতাংশ দেখা যেতে পারে বলেও অনুমান রাষ্ট্রসংঘের (UN)।

LinkedIn
Share