Tag: India

India

  • ISI: রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাংলাদেশে গড়া হয়েছে ‘ফোর ব্রাদার্স অ্যালায়েন্স’, মদত জোগাচ্ছে আইএসআই!

    ISI: রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাংলাদেশে গড়া হয়েছে ‘ফোর ব্রাদার্স অ্যালায়েন্স’, মদত জোগাচ্ছে আইএসআই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (Bharat) বিরুদ্ধে নয়া অস্ত্র শানাচ্ছে বাংলাদেশ। রোহিঙ্গা (মায়ানমারের মুসলমানরা এই নামেই পরিচিত)-দের নিয়ে তৈরি হয়েছে সংগঠন। আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি, রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন, ইসলামি মহাজ, আরাকান ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স (ANDF) এবং আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি জোট বেঁধে গঠন করেছে “ফোর ব্রাদার্স অ্যালায়েন্স” (ISI)। বাংলাদেশের এই ফোর ব্রাদার্স অ্যালায়েন্স ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর জন্য নয়া নিরাপত্তা সংকট তৈরি করতে পারে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    রোহিঙ্গা আর্মি (ISI)

    বাংলাদেশের এই জোট “দ্য রোহিঙ্গা আর্মি” নামেও পরিচিত। কক্সবাজারে তারা তাদের নতুন সংগঠনের কথা ঘোষণা করে। সংগঠন ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিল প্রচুর পরিমাণ শরণার্থী। পৃথকভাবে পরিচালিত এই সংগঠনগুলো আইএসআইয়ের সহায়তায় একাধিক কৌশলগত আলোচনার পর একত্রে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়। তার পরেই গঠিত হয় এই অ্যালায়েন্স (ISI)। আন্দোলনের জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়ে চলে যান আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। তার পর থেকেই বাংলাদেশে বেড়েছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের কার্যকলাপ। বাংলাদেশে রয়েছে মহম্মদ ইউনূসের সরকার। বন্ধুত্বপূর্ণ সরকার ক্ষমতায় থাকায়, আইএসআই সেখানে কার্যকলাপ চালিয়ে যাওয়ার বড় সুযোগ দেখতে পাচ্ছে। সেই কারণেই আইএসআইয়ের বাড়বাড়ন্ত বাংলাদেশেও। জেহাদি উপাদানগুলি ইতিমধ্যেই এতে অন্তর্ভুক্ত থাকলেও, আইএসআই মনে করেছিল যে, ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে অস্থিরতা সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যেই চারটি রোহিঙ্গা গোষ্ঠীকে একজোট করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

    রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ

    আইএসআই (ISI) বুঝতে পেরেছিল, উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে এই গোষ্ঠীটির সক্রিয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ ইতিমধ্যেই (Bharat) সেখানে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। এই পরিস্থিতি এই গোষ্ঠীর জন্য লাভজনক হতে পারে তখনই, যখন তারা ওই অঞ্চলে বড় ধরনের কোনও অভিযান পরিচালনা করতে চাইবে। আইএসআই উপলব্ধি করেছিল যে, এই গোষ্ঠীগুলি পৃথকভাবে কাজ করছে। তাদের একজোট করে সম্মিলিতভাবে লড়াই চালানোর ব্যবস্থা করা হলে, তারা আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে—এমনটাই মনে করেছিল আইএসআই। পাকিস্তানের এই গোয়েন্দা সংস্থা এই “ফোর ব্রাদার্স অ্যালায়েন্স” গঠনের মিশনে সফল হয়েছে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    বাংলাদেশ-আইএসআই যোগ!

    তবে এই উদ্যোগে একা আইএসআই নেই। বাংলাদেশের সরকারের একাংশের ভেতরের কিছু লোকও আইএসআইকে এই জোট গঠনে সাহায্য করেছিল। বাংলাদেশিরাও যখন এই গোষ্ঠী গঠনে সমর্থন জুগিয়েছে, তখন তার ইঙ্গিতের অভিমুখ যে ভারত, অন্য কোনও অঞ্চল নয়, তা স্পষ্ট। গত ২৫ ডিসেম্বর কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে জোটটা মায়ানমারে ফের এলাকা দখলের চেষ্টা করবে। তাদের লক্ষ্য হল, আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে লড়াই করা। এই আরাকান আর্মি একটি জাতিগত গোষ্ঠী। এরাই হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছে (ISI)। বাংলাদেশের ডিজিএফআই এবং বিশেষ করে আরএসওকে উল্লেখযোগ্য সহায়তাও দিয়েছে।

    লস্কর-ই-তৈবা

    আরএসওকে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল এআরএসএ-র মোকাবিলা করার কৌশল হিসেবে। তবে, আইএসআই এই পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করায়, এসব গোষ্ঠী তাদের পারস্পরিক বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আইএসআই নিয়মিতভাবে লস্কর-ই-তৈবা (Lashkar-e-Tayiba) এবং জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশের (JMB) প্রশিক্ষকদের পাঠিয়ে রোহিঙ্গা গোষ্ঠীগুলোকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে (Bharat)। কয়েক বছর আগে যখন রোহিঙ্গা সঙ্কট ব্যাপক আকার ধারণ করেছিল, তখন লস্কর-ই-তৈবার প্রধান হাফিজ সঈদ প্রকাশ্যে তাদের প্রতি সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছিলেন। তিনি তাদের দলে যোগ দিয়ে লড়াইয়ে অংশ নেওয়ার আহ্বানও জানান। ইউনূস সরকার পাকিস্তানিদের বাংলাদেশে স্বাগত জানানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত আগ্রহী। বাংলাদেশের শীর্ষ কর্তাদের আইএসআই (ISI) কর্তাদের সঙ্গে সাম্প্রতিক বৈঠকই বহন করে আসন্ন ঘটনার ইঙ্গিত।

    বাংলাদেশ ক্রমেই এগোচ্ছে তালিবানের পথে!

    বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বাংলাদেশ ক্রমেই তালিবানের পথে এগোচ্ছে। এটিও আরও একটি দমনমূলক রাষ্ট্রে পরিণত হবে। বাংলাদেশের নারীদের দশা হবে আফগানিস্তানের নারীদের মতোই। উদাহরণস্বরূপ, ২০২৪ সালের “আমার বাংলা বই” সংস্করণে একটি অধ্যায় ছিল যেখানে ছেলে ও মেয়েরা একসঙ্গে গৃহস্থালির কাজ ভাগ করে নেবে বলে লেখা হয়েছিল। ২০২৫ সালের সংস্করণে এই সব কাজ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে নারীদের ওপর। বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই চরমপন্থী ইসলামের উত্থানের কারণে হারতে থাকা এক যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। এখন এটি আর একটি বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে যাচ্ছে। সেটা হল রোহিঙ্গা সমস্যা। ইউনূস ও তার অনুগামীদের একমাত্র লক্ষ্য হল ভারতকে ধ্বংস করা। এই কারণেই তারা আমন্ত্রণ জানিয়েছে আইএসআইকে। সন্ত্রাস দমন সংস্থাগুলির বক্তব্য, আগামিদিনে বাংলাদেশকে শুধুমাত্র ইসলামি জঙ্গিদের সঙ্গেই (ISI) লড়াই করতে হবে না, তাদের মোকাবিলা করতে হবে রোহিঙ্গাদের (Bharat) সঙ্গেও।

  • India China Relation: ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ গলছে, চালু হচ্ছে কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা!

    India China Relation: ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ গলছে, চালু হচ্ছে কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই গলছে ভারত-চিন সম্পর্কের (India China Relation) বরফ। সীমান্ত সংঘাত-পর্ব এখন অতীত। উন্নতি হয়েছে ভারত-চিনের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়ায়। তাই পাঁচ বছর পর ফের কৈলাশ-মানস সরোবর যাত্রা (Kailash Mansarovar Yatra) নতুন করে শুরু করতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ। হিন্দুদের কাছে কৈলাশ-মানস সরোবর যাত্রা অতি পবিত্র একটি তীর্থযাত্রা। এই তীর্থযাত্রা নিয়ে আগে থেকে যে চুক্তি রয়েছে দুই দেশের মধ্যে, সেই অনুযায়ীই সব কিছু হবে বলে জানিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। কেবল এই তীর্থযাত্রা নয়, ভারত ও চিনের মধ্যে ফের সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু করা নিয়েও একপ্রস্ত আলোচনা হয়েছে দুই দেশের মধ্যে।

     

    বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠক (India China Relation)

     

    সম্প্রতি ভারত ও চিনের মধ্যে বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন হয়েছিল। দুদিনের ওই বৈঠকে যোগ দিতে বেজিং গিয়েছিলেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। ওই বৈঠকেই দুই দেশ একাধিক বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে বলে খবর। গত অক্টোবরে কাজানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে বৈঠক হয়। তারই রেশ ধরে আলোচনা হয় বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠকে। সেই বৈঠকেই কৈলাশ-মানস সরোবর যাত্রা নতুন করে শুরু করতে সম্মত হয়েছে পড়শি দুই দেশ।

     

    কৈলাশ-মানস সরোবর যাত্রা

     

    কৈলাশ-মানস সরোবর হিন্দু এবং বৌদ্ধ উভয় সম্প্রদায়ের কাছেই অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি তীর্থস্থান (India China Relation)। হিন্দুদের বিশ্বাস, কৈলাশ পর্বত ভগবান শিবের বাসস্থান। আর মানস সরোবর সৃষ্টি করেছিলেন স্বয়ং ব্রহ্মা। বৌদ্ধদের কাছেও মানস সরোবর অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি তীর্থস্থান। ২০২০ সালে অতিমারির কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল কৈলাশ-মানস সরোবর যাত্রা। সেই যাত্রাই ফের চালু করতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ।

    তীর্থযাত্রা শুরু হওয়ার পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে বিমান পরিষেবা ফের চালুর বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে ভারত ও চিন। করোনা অতিমারি পর্বে এবং পরবর্তী কালে কূটনৈতিক টানাপোড়েনের জেরে গত পাঁচ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে দুই দেশের মধ্যে বিমান চলাচল (Kailash Mansarovar Yatra)। নতুন করে তা চালু করতে ফের উদ্যোগী হয়েছে দুই দেশই (India China Relation)।

  • India-China Relationship: ডোভালের পর চিন সফরে বিক্রম মিস্রি, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনায় বিদেশ সচিব

    India-China Relationship: ডোভালের পর চিন সফরে বিক্রম মিস্রি, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনায় বিদেশ সচিব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তে শান্তি ও সুস্থিতি বজায় রাখতে দুই দিনের চিন সফরে যাচ্ছেন ভারতের (India-China Relationship) বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রি। আগামী ২৬ জানুয়ারি চিনে যাবেন বিক্রম। দু’দিনের সফরে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবেন তিনি। কূটনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ভারতের বিদেশসচিবের চিন সফর খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক-সহ একাধিক দিক থেকে দুই দেশের সম্পর্ক মজবুতির চেষ্টায় আলোচনা হতে পারে। 

    কেন এই সফর তাৎপর্যপূর্ণ (India-China Relationship)

    ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে বসার প্রথম দিনেই ওয়াশিংটনে কোয়াডের বৈঠক করেন। ওই বৈঠক শেষে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক (India-China Relationship) থেকে নাম না করে চিনকে বার্তা দেওয়া হয়। জানানো হয় যে, কেউ যদি ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের স্বাভাবিক অবস্থার বিঘ্ন ঘটায়, তবে তা বরদাস্ত করা হবে না। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ওই বৈঠকের পর জানিয়ে দেন যে, বর্তমান কঠিন পরিস্থিতিতে বিশ্বের ভালর জন্য কাজ করবে কোয়াড। তিনি জানান, ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বে যথেষ্ট আগ্রহী আমেরিকার নতুন সরকার। যদিও আমেরিকার সঙ্গে বন্ধুত্ব মানেই বেজিংয়ের সঙ্গে সংঘাত জিইয়ে রাখা নয়। মিস্রির সফরে চিনকে সেই বার্তাই দিতে আগ্রহী দিল্লি। 

    ঐক্যমতে পৌঁছনোই লক্ষ্য

    মাসখানেক আগেই চিন সফরে গিয়েছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। চিনের বিদেশমন্ত্রী (India-China Relationship) তথা বৈদেশিক নীতি সংক্রান্ত কমিশনের প্রধান ওয়াং ইর সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সীমান্তে শান্তি ও সুস্থিতি বজায় রাখতে এবং সীমান্ত ব্যবস্থাপনা কার্যকর করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়। সেই আবহে ভারতের বিদেশসচিব বিক্রমের চিন সফর নিয়ে কৌতূহল নানা মহলে। সীমান্ত-সহ নানা বিষয় নিয়ে ভারত-চিনের বিরোধ বহু দিনের। ২০২০ সালের পর থেকে বিরোধ চরমে ওঠে। ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পূর্ব লাদাখের বিভিন্ন এলাকায় অনুপ্রবেশের অভিযোগ উঠেছিল চিনা ফৌজের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি বেশ কিছু অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারে ঐক্যমত হলেও ডেপসাং ও ডেমচক নিয়ে উদ্বেগ এখনও পুরোপুরি কাটেনি। এর মাঝেই বিদেশ সচিবের বেজিং সফরকে  মোদি সরকার আসলে সমতা বিধানের রাস্তা হিসাবেই দেখতে চাইছে।

    ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি চায় বেজিং

    মিস্রি চিনের উপ-বিদেশমন্ত্রী সান ওয়েডংয়ের সঙ্গে আলোচনা (India-China Relationship) করবেন বলে আশা করা হচ্ছে, যিনি এলএসি নিয়ে অচলাবস্থার শুরুতে ভারতের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। এশিয়ার প্রতিবেশীদের সঙ্গে চিনের সম্পর্কের দায়িত্বে রয়েছেন সান। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, সাম্প্রতিক আলোচনায় চিনা পক্ষ ভিসা বিধিনিষেধ শিথিল করা এবং সরাসরি বিমান চলাচল পুনরায় শুরু করার জন্য চাপ দিচ্ছে, তবে ভারতীয় পক্ষ জাতীয় সুরক্ষার উদ্বেগকে প্রধান ইস্যু হিসেবে বিবেচনা করে প্রক্রিয়াটির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ভিসা ও ফ্লাইটের উপর চিনের চাপ মূলত বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ককে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে, বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের মতো শীর্ষ চিনা নেতারা ক্রমাগত সীমান্ত ইস্যুটিকে সামগ্রিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে তার ‘উপযুক্ত স্থানে’ রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়াও দুই দেশে সাংবাদিকদের পারস্পরিক পোস্টিংও চায় চিন। তবে, ভারত সীমান্ত সমস্যা নিষ্পত্তির জন্য একটি ‘পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য কাঠামোর’ উপর জোর দিয়েছে। উভয় পক্ষ কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় শুরু করা, আন্তঃসীমান্ত নদী এবং সীমান্ত বাণিজ্যের তথ্য বিনিময়ের মতো আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতার উপরও জোর দিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Asim Malik: অত্যন্ত গোপনে বাংলাদেশ সফরে পাক আইএসআই প্রধান! ভারতের জন্য কতটা উদ্বেগের?

    Asim Malik: অত্যন্ত গোপনে বাংলাদেশ সফরে পাক আইএসআই প্রধান! ভারতের জন্য কতটা উদ্বেগের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মৌলবাদী ইউসূস প্রশাসনের ফের একটা ভারত-বিরোধী পদক্ষেপ। সম্প্রতি বাংলাদেশের ৬ সেনাকর্তার একটি প্রতিনিধি দল ৬ দিনের পাকিস্তান সফর সেরে ঢাকায় ফিরেছেন (Asim Malik) শনিবার। তার পরেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিন দিনের ঢাকা সফরে এসেছে পাকিস্তানের চার সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের সামরিক প্রতিনিধি দল। এই দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সেনাকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসিম মালিক। তিনি পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের প্রধান। পাকিস্তানের এই প্রতিনিধি দলে আইএসআইয়ের আরও এক পদস্থ কর্তা রয়েছেন বলেও সূত্রের খবর। চুপিসারে কি পাকিস্তানের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধছে বাংলাদেশের ইউনূস সরকার? আপাতত এই প্রশ্নটাই ঘোরাফেরা করছে আন্তর্জাতিক মহলে (ISI)। যদিও এই সফরের ব্যাপারে পাকিস্তান কিংবা বাংলাদেশ টুঁ শব্দটি করেনি। দুই প্রতিনিধি দলের সফরই হয়েছে চূড়ান্ত গোপনীয়তায়। আইএসআই কর্তাদের বাংলাদেশ সফরের খবরে চিন্তার ভাঁজ ভারতের কপালে।

    ইউনূস জমানায় অশান্তির আগুন

    হাসিনা-উত্তর জমানায় বাংলাদেশের হাল ধরেন নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনূস। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেলেও, তাঁরই আমলে বাংলাদেশে হয়েছে চূড়ান্ত অশান্তি। হিন্দুদের ওপর হয়েছে ভয়ঙ্কর অত্যাচার। মৌলবাদীদের দাবির কাছে কার্যত নতি স্বীকার করে ইউনূস প্রশাসন। তার জেরেই প্রতিনিয়ত বেড়েছে অত্যাচারের বহর। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, গদি বাঁচাতে ইউনূসও বাংলাদেশকে ইসলামি রাষ্ট্র বা খিলাফতে পরিণত করতে চান। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশও করে মাধ্যম। এহেন ইউনূসের পাক ঘনিষ্ঠতা যে বাড়বে, তা আগাম আঁচ করেছিলেন বাংলাদেশেরই বহু বিশিষ্ট জন (ISI)। 

    ঢাকায় গোপন সফরে আইএসআই প্রধান! 

    জানা গিয়েছে, পাক সামরিক বাহিনীর প্রতিনিধি দলটি আরব আমিশাহির একটি উড়ান সংস্থার বিমানে করে দুবাই থেকে মঙ্গলবার সন্ধেয় আসেন ঢাকায়। আইএসআইয়ের ডিরেক্টর জেনারেলের নেতৃত্বে দলটিকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের পদস্থ কর্তা ব্রিগেডিয়ার মেহদি। জানা গিয়েছে, পাক প্রতিনিধি দলে মালিক (Asim Malik) ছাড়াও রয়েছেন আইএসআইয়ের ডিরেক্টর জেনারেল অ্যানালিসিস (ডিজিএ) মেজর জেনারেল শহিদ আমির আফসার। রয়েছেন মেজর জেনারেল আলম আমির আওয়ান এবং এসএসজি কর্তা মুহাম্মদ উসমান লতিফ। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত একটি পাঁচতারা হোটেলে থাকার ব্যবস্থা হয়েছে ওই পাক প্রতিনিধি দলের। বাংলাদেশের সেনাকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করার পাশাপাশি গাজিপুরে সমরাস্ত্র কারখানা পরিদর্শন করার কথাও রয়েছে এই প্রতিনিধি দলের।

    হাতের পুতুলে পরিণত ইউনূস!

    ভারতকে জবাব দিতে পাকিস্তানি ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের কথা বলছেন বাংলাদেশের কয়েকজন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ। ভারতের এক প্রাক্তন কূটনীতিকের মতে, ইউনূস প্রশাসন আদতে পরিণত হয়েছে জামাতে ইসলামি ও কয়েককটি ইসলামি সংগঠনের হাতের পুতুলে। ওই ইসলামি সংগঠনগুলি ইউনূস প্রশাসনকে যেমন নাচাচ্ছে, তেমনই নাচছে তারা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই সুযোগটাকেই কাজে লাগাতে চাইছে পাকিস্তান। সেই কারণেই আইএসআই কর্তার ঢাকা সফর।

    বাংলাদেশে ঘাঁটি গড়তে চাইছে আইএসআই!

    ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার বাংলাদেশের কুর্সিতে বসে প্রথমেই যে কাজটি করেছে, সেটি হল কয়েকশো জঙ্গির জেলমুক্তি ঘটানো। সূত্রের খবর, এই জঙ্গিদের সংগঠিত করা হচ্ছে আনসারুল্লা বাংলা টিমের চাঁই মৌলানা জসিমউদ্দিন রহমানির নেতৃত্বে। এদের নিয়েই বাংলাদেশে একটি ঘাঁটি তৈরি করতে চাইছে আইএসআই। তাদের হাতে অস্ত্র এবং বিস্ফোরক তুলে দেওয়ার পাশাপাশি চলছে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজও। ভারতের নানা জায়গায় যেসব স্লিপার সেল রয়েছে, সেগুলিকেও সক্রিয় করা হচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে আইএসআই কর্তার বাংলাদেশ সফর তাৎপর্যপূর্ণ বলেই (ISI) ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের (Asim Malik)।

    বাংলাদেশে পাক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রস্তাব!

    সূত্রের খবর, বাংলাদেশের গাজিপুরের অস্ত্র কারখানায় তাদের ‘শাহিন’ সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে পাকিস্তান। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হাতেও কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র তুলে দেওয়ার কথা ভাবছে ইসলামাবাদ। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি প্রথাগত অস্ত্রের পাশাপাশি পারমাণবিক অস্ত্র বহনেও সক্ষম। গাজিপুরের সমরাস্ত্র কারখানাটি তৈরি হয় ১৯৭০ সালে। একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধে সেটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরবর্তীকালে ধাপে ধাপে আধুনিকীকরণ করা হয়েছে সেই কারখানাটির। সেই কারখানা পরিদর্শন করার কথা পাক প্রতিনিধি দলের।

    বাংলাদেশকে খিলাফতে রূপান্তরিত করাই লক্ষ্য

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশকে ইসলামি প্রজাতন্ত্র বা খিলাফতে রূপান্তরিত করতে চাইছে ইসলামপন্থী, জেহাদি এবং খিলাফতকামী গোষ্ঠীগুলি। এদের নেতৃত্বে রয়েছেন ট্রাম্পের কট্টর সমালোচক ইউনূসের মতো ব্যক্তিত্বও। ইউনূস সরকারের এহেন আচরণে যারপরনাই উল্লসিত পাকিস্তানের সামরিক প্রতিষ্ঠান, পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এবং তাদের রাজনৈতিক মিত্ররা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মূলত তাদেরই খুশি করতে কট্টর ভারত বিরোধিতার পন্থা নিয়েছে ইউনূস প্রশাসন। এই পরিস্থিতি ইসলামাবাদের নতুন “বাংলাদেশ ২.০”-এর আকাঙ্ক্ষাকে আরও উস্কে দিয়েছে (ISI)। পাকিস্তানি বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, ভবিষ্যতে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি কনফেডারেশন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে (Asim Malik)। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: আমেরিকার ভিসা পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়, ওয়াশিংটনে ক্ষোভ জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: আমেরিকার ভিসা পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়, ওয়াশিংটনে ক্ষোভ জয়শঙ্করের

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাঁরা বৈধ উপায়ে আমেরিকায় যান, তাঁদের ভিসা পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা (US Visa Delay) করতে হয়। ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় এই সমস্যার কথা তুলে ধরলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। পরে ভারতীয় দূতাবাস থেকে তিনি বলেন, “যদি সাধারণ নাগরিকদের ভিসা পেতে এতদিন সময় লেগে যায়, তাহলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঠিকভাবে পালিত হয় না। ভিসায় এই দেরির কারণে ব্যবসায়, পর্যটনে প্রভাব পড়ে। আমাদের সম্পর্কের ভিত্তি হল মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ। ভিসায় দেরি হলে এই প্রক্রিয়া সীমিত হয়।”

    বিদেশমন্ত্রী কী বললেন? (S Jaishankar)

    অভিবাসন প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী বলেন, “অভিবাসনের ক্ষেত্রে আমাদের একটি নীতিগত অবস্থান রয়েছে, যা প্রতিটি দেশের জন্যই প্রযোজ্য। আমরা বৈধ অভিবাসনে সব সময় সমর্থন করি। আমরা বিশ্বাস করি বৈশ্বিক কর্মস্থলে। আমরা চাই, ভারতীয়দের প্রতিভা ও দক্ষতা বিশ্বে সর্বোৎকৃষ্ট সুযোগ পাক।” ভারত যে অবৈধ অভিবাসন সমর্থন করে না, এদিন তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। বলেন, “আমরা অবৈধ যাতায়াত এবং অভিবাসনের তীব্র বিরোধিতা করি। কারণ যখনই কোনও একটি অবৈধ ঘটনা ঘটে, তার সঙ্গে আরও অনেক অবৈধ কার্যকলাপ জুড়ে যায়। এটি দেশের সুনামের দিক থেকে কখনওই ভালো নয়।”

    ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমেরিকায় বসবাসকারী প্রায় ১৮ হাজার অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীকে চিহ্নিত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। তাঁদের ভারতে ফেরত পাঠাতে চায় আমেরিকা (S Jaishankar)। (যদিও, ট্রাম্প প্রশাসনের সেই নির্দেশে আপাতত স্থগিতাদেশ জারি করেছে সেদেশের আদালত।) বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালও জানান, অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিত করতে নয়াদিল্লির সহযোগিতা নিচ্ছে ওয়াশিংটন। জয়শঙ্কর বলেন, “যদি কোনও দেশে অবৈধ ভারতীয় অভিবাসী থাকেন এবং যদি দিল্লি নিশ্চিত হয় যে তিনি ভারতীয় নাগরিক, তাহলে তাঁকে ভারতে ফেরাতে কেন্দ্র সব সময় প্রস্তুত।” তিনি বলেন, “এটি কেবল আমেরিকার জন্য নয়, সব দেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। এর ফলে বৈধ উপায়ে সংশ্লিষ্ট দেশে ভারতীয়দের (US Visa Delay) যাতায়াত আরও সহজ হবে।” তিনি বলেন, “তবে ওঁরা ভারতীয় নাগরিক কিনা, তা যাচাই করে দেখতে হবে (S Jaishankar)।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Oxfam Global Report: ১৭৬৫ থেকে ১৯০০ সালের মধ্যে ভারত থেকে ৬৫ লক্ষ কোটি ডলার সম্পদ লুট করে ব্রিটিশরা!

    Oxfam Global Report: ১৭৬৫ থেকে ১৯০০ সালের মধ্যে ভারত থেকে ৬৫ লক্ষ কোটি ডলার সম্পদ লুট করে ব্রিটিশরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি অক্সফাম গ্লোবালের (Oxfam Global Report) একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, তাতে দেখানো হয়েছে ভারত আর্থিক ভাবে কতটা সমৃদ্ধ ছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরাধীন ভারত থেকে প্রায় ৬৫ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলার সম্পত্তি লুট করে নিয়ে গিয়েছে ব্রিটিশরা। মূলত, ১৭৬৫ থেকে ১৯০০ সালের মধ্য়ে এই লুট করেছে তৎকালীন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। এর মধ্যে প্রায় ৩৪ লক্ষ কোটি টাকা শুধুমাত্র ইংল্যান্ডের ১০ শতাংশ ধনীর কাছে পৌঁছেছে। আজকের দিনের মূল্য বিচার করলে, ৫০ পাউন্ডের নোট দিয়ে গোটা লন্ডন শহরকে চারবার মুড়ে ফেলা যাবে ওই লুটের টাকা দিয়ে। ফলে ভারতের ধনে যে তারা ধনী হয়েছিল একথা আরও একবার প্রমাণিত হয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    তবে ভারতবর্ষ সুপ্রাচীনকাল থেকেই জ্ঞানচর্চা, আধ্যাত্মিক চিন্তা-চেতনা, সাহিত্য, প্রযুক্ত্যি বিদ্যা, চারুকলা, অর্থনীতির এবং বাণিজ্য ক্ষেত্রে এক কথায় পরম পরম বৈভবশালী ছিল। ভারতের সভ্যতা যখন বিকশিত হয়ে চরম উৎকর্ষের জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল। সেই সময়ে পশ্চিমের দেশে ভালো করে সভ্যতার বিকাশই হয়নি। ভারত কোনও সময়েই ঔপনিবেশিকতার মানসিকতার আঙ্গিকে বিশ্বকে দেখেনি, উল্টে ভারতে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইউরোপ থেকে বার বার আক্রমণের শিকার হতে হয়েছে। ৭২০ সালের মহম্মদ বিন-কাশেম থেকে ১৭৫৭ সালের রবার্ড ক্লাইভ (British) পর্যন্ত সকলেই আক্রমণকারী ছিলেন। তাঁরা অমানবিক লুট, হত্যা, ধর্ষণ, জোরপূর্বক ধর্মান্তর এবং সম্পদ হরণ করে নিয়ে গিয়েছেন। অকাতরে এই দেশের পার্থিব সম্পত্তির লুট হলেও শেষ হয়ে যায়নি ভারতীয় সংস্কৃতির প্রভাব। অথচ দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে যাঁরা ইতিহাস রচনা করেছেন তাঁরা কেবল ভারতের কী ছিল না, কতটা খারাপ আর গরীব ছিল সেই কথাই খোঁজ করেছেন। ভারত যে আর্থিক ভাবেও বিশ্বকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা রেখেছিল তার উল্লেখ কোনও ইতিহাসবিদ সন্ধান করতে চাননি। অক্সফাম গ্লোবালের প্রতিবেদন প্রমাণ করে ভারতের অর্থনীতি কতটা প্রভাবশালী ছিল।

    ব্রিটিশদের ১০ শতাংশ ধনী ভারতের সম্পদের ধনবান (Oxfam Global Report)

    অক্সফাম গ্লোবালের (Oxfam Global Report) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৭৬৫ সাল থেকে ১৯০০ সালের মধ্যে ব্রিটিশদের (British) কেবলমাত্র ১০ শতাংশ ধনী ভারত থেকে আজকের বর্তমান সময়ের ৩৩.৮ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলার সমান সম্পত্তি লুট করেছিল। এই বিপুল পরিমাণে সম্পদ ৫০ পাউন্ডের নোটে পরিণত করলে তা লন্ডন শহরকে ওই নোটের কার্পেট দিয়ে চার বার ঢাকতে পারবে। এই প্রতিবেদনের লেখক উৎসা পট্টনায়েক এবং প্রভা পট্টনায়েক বলেন, পরাধীন ভারতে ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যের যুগে ইংরেজরা ভারত থেকে ৬৪.৮২ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের সম্পত্তি লুট করেছিল। ইংল্যান্ডে বড় বড় ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে এই সম্পদ পারিবারিক সূত্রে প্রবাহিত হয়েছে। তবে এই বিরাট পরিমাণ টাকা বা সম্পত্তি ঔপনিবেশিক শাসনকে কায়েম রাখতে ব্যবহার করা হতো। মূলত দাস কেনা-বেচা এবং নতুন বিনিয়োগে ব্যবহার হতো। পরবর্তী সময়ে গোটা বিশ্বসাম্রাজ্যকে ধরে রাখাতে এই অর্থকে ব্যবহার করা হয়েছিল। ফলে রিপোর্ট থেকে অনুমান করা যেতেই পারে ভারতে থেকে উপার্জিত বা আয়ের টাকা বাকি বিশ্বে নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করত ইংরেজরা। ফলে ভারতের সম্পত্তি ছিল না, কোনও অর্থনীতি সুব্যবস্থা ছিল না এই যুক্তি অনেক গবেষক আলোচ্য প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে মানতে নারাজ।

    ১৭৫০ সালে বিশ্বের মোট উৎপাদনে ভারতের ছিল ২৫ শতাংশ

    এই প্রতিবেদনে (Oxfam Global Report) আরও বলা হয়েছে যে বর্তমানে আমরা যে বহুজাতিক সংস্থাগুলিকে দেখছি তা আদতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকাতার ফল। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির (British) সম্পূর্ণ শাসন এবং ব্যবস্থা ছিল আজকের দিনে বহুজাতিক সংস্থার অনুরূপ। তারা নিজেরাই আইন করে সাম্রাজ্যকে চালাতেই সমগ্র শাসন ব্যবস্থাকে তৈরি করেছিল। ১৭৫০ সাল নাগাদ গোটা বিশ্বের বাজারে উৎপাদনের বিচারে ভারতীয় উপমহাদেশ বা অখণ্ড ভারত মোট শিল্প উৎপাদনের প্রায় ২৫ শতাংশের অধিকারী ছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ব্রিটিশদের অত্যাচার, লুটপাট এবং দেশীয় উৎপাদন ব্যবস্থাকে নষ্ট করার ফলে ১৯০০ সাল থেকে ২ শতাংশ কমে গিয়েছিল। খুব স্পষ্ট ভাবে এবং কৌশল করে ভারতের উৎপাদন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে ব্রিটিশরা। ইংরেজরা নিজেদের বস্ত্রকলগুলিকে বিশ্ববাণিজ্যে আরও বিস্তার করতে ভারতীয় এবং এশিয়া মহাদেশের কাপড়ের কলগুলিকে কাঁচামাল, আর্থিক জোগান এবং শ্রমিকের কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে সকল উৎপাদন পদ্ধতিকে সমূলে নিকেশ করেছে। ফলে ২০০ বছরের ব্রিটিশ শাসনে আনুমানিক ৬৪.৮২ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলার লুট করেছে।

    খুব দ্রুত ভারত

    রিপোর্টে (Oxfam Global Report) আরও বলা হয়, ২০২৪ সালে বিশ্বের ধনকুবেরদের সম্পত্তি ২ লক্ষ কোটি বৃদ্ধি হয়েছে। বিশ্বের ধনীদের তালিকায় ভারতের ২০৪ জন সংযুক্ত হয়েছেন নতুন ভাবে। প্রত্যেক সপ্তাহে ৪ জন করে ভারতীয় ধনবান তালিকায় যুক্ত হচ্ছেন। গত বছরেই এই গবেষণা সংস্থা ভারতকে ট্রিলিয়ন অর্থনীতিতে পৌঁছানোর ইঙ্গিত দিয়েছে, এবারেও আগামী একদশকে পাঁচ ট্রিলিয়নে পৌঁছাবে ভারতীয় অর্থনীতি, ঠিক এমনটাই জানিয়েছে এই গবেষণা।

          

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India vs England: ভারত ইংল্যান্ড ম্যাচ দেখে বাড়ি ফেরার জন্য অতিরিক্ত ট্রেন পূর্ব রেলের, কেমন থাকবে আবহাওয়া?

    India vs England: ভারত ইংল্যান্ড ম্যাচ দেখে বাড়ি ফেরার জন্য অতিরিক্ত ট্রেন পূর্ব রেলের, কেমন থাকবে আবহাওয়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতের কলকাতায় বসছে ক্রিকেট কার্নিভাল। বুধবার থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে ভারত–ইংল্যান্ড (India vs England) টি২০ সিরিজ। পাঁচ ম্যাচের সিরিজের প্রথম খেলা ইডেনে। ভারত–ইংল্যান্ড এখনও অবধি ২৪ বার টি২০ ক্রিকেটে মুখোমুখি হয়েছে। জয়ের নিরিখে ভারত একটু এগিয়ে। জিতেছে ১৩ ম্যাচ। আর ইংল্যান্ড জিতেছে ১১ ম্যাচ। দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় পর চোট সারিয়ে ভারতীয় দলে প্রত্যাবর্তন হচ্ছে মহম্মদ সামির। প্রায় ১৪ মাস পর। শেষবার সামি খেলেছিলেন ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল। দিনটা ছিল ১৯ নভেম্বর। তারপর ইডেনেই সম্ভবত কামব্যাক করবেন শামি। 

    অতিরিক্ত ট্রেন পূর্ব রেলের 

    ২২ জানুয়ারির ম্য়াচ নিয়ে উত্তেজনার পারদ চড়তে না চড়তেই এবার বড় ঘোষণা করে দিয়েছে পূর্ব রেল। ক্রিকেটপ্রেমীদের (India vs England) সুবিধার কথা মাথায় রেখে চলবে অতিরিক্ত ট্রেন। এদিন রেলের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ কথা জানানো হয়েছে। চলবে দু’টি অতিরিক্ত লোকাল। প্রিন্সেপ ঘাট ও বারাসত, বিবাদী বাগ ও বারুইপুরের মধ্যেও চলবে এই অতিরিক্ত ট্রেন। ২২ তারিখ রাত ১১টা ৫০ মিনিটে প্রিন্সেপ ঘাট থেকে বারাসতের উদ্দেশ্যে যাবে একটি স্পেশ্যাল লোকাল। ১টায় পৌঁছাবে বারসতে। অন্যদিকে ২৩ তারিখ রাত ১২টা বেজে ২ মিনিটে বিবাদী বাগ থেকে একটি লোকাল ট্রেন ছেড়ে যাবে বারুইপুরের উদ্দেশ্যে। বারুইপুরে পৌঁছাবে ১টা বেজে ৩২ মিনিটে। রেল বলছে ম্যাচ দেখতে আসা ক্রিকেটপ্রেমীদের বাড়ি ফিরতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সে কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

    ইডেনের পিচ আবহাওয়া

    ইডেন গার্ডেন্স তার ব্যাটিং-ফ্রেন্ডলি পিচের জন্য বিখ্যাত, যা উভয় দলকেই সাহায্য করবে। ম্যাচ চলাকালীন শিশির একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্তকে সঠিক মনে করা হচ্ছে। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।

    ভারতের সম্ভাব্য স্কোয়াড: সঞ্জু স্যামসন (উইকেটকিপার), অভিষেক শর্মা, তিলক ভার্মা, সূর্যকুমার যাদব (অধিনায়ক), হার্দিক পান্ডিয়া, রিঙ্কু সিং, নীতিশ কুমার রেড্ডি, অক্ষর প্যাটেল (সহ অধিনায়ক), অর্শদীপ সিং, মহম্মদ শামি, বরুণ চক্রবর্তী।

    ইংল্যান্ডের সম্ভাব্য একাদশ: জস বাটলার (অধিনায়ক), ফিল সল্ট (উইকেটকিপার), হ্যারি ব্রুক, জেমি স্মিথ, জ্যাকব বেটেল, লিয়াম লিভিংস্টোন, আদিল রশিদ, ব্রাইডন কার্স, জোফ্রা আর্চার, মার্ক উড, রেহান আহমেদ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Jammu Kashmir: কাশ্মীরে জঙ্গি-বাহিনী গুলির লড়াই, ওড়ানো হল সন্ত্রাসীদের ডেরা, শহিদ জওয়ান

    Jammu Kashmir: কাশ্মীরে জঙ্গি-বাহিনী গুলির লড়াই, ওড়ানো হল সন্ত্রাসীদের ডেরা, শহিদ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে শহিদ হলেন এক জওয়ান (Jammu Kashmir)। সোমবার দুপুরে ওই জওয়ানের শহিদ হওয়ার (Army Personnel Killed) খবর জানিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। রবিবার গভীর রাত থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই চলছে জম্মু ও কাশ্মীরের সোপোরের জালোরা গুজ্জরপতি এলাকায়।

    জঙ্গিদের ডেরায় হানা (Jammu Kashmir)

    জালোরা গুজ্জরপতি এলাকায় জঙ্গিদের একটি ডেরার সন্ধান পেয়ে রবিবার গভীর রাতে হানা দেয় সেনা ও পুলিশের যৌথবাহিনী। বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়েই এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। ছুড়তে শুরু করে গ্রেনেডও। গুলিবিদ্ধ হন ওই জওয়ান। পরে মৃত্যু হয় তাঁর। তবে জঙ্গিদের ওই আস্তানা বিস্ফোরণে উড়িয়ে দিয়েছে সেনা। সোমবার সকাল পর্যন্ত ওই এলাকায় গুলির লড়াই চলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। জঙ্গিদের সন্ধানে এলাকা ঘিরে তল্লাশি শুরু করেছে সেনা, আধাসেনা ও পুলিশ।

    ৬ মাসে খতম ২৩ জঙ্গি

    ডিসেম্বরের ২১ তারিখ সন্ধ্যায় সোপোরের ডাঙ্গিওয়াচা এলাকায় জঙ্গিদের দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি একে সিরিজের রাইফেল, একটি পিস্তল এবং ২৫০ রাউন্ড গুলি। জানা গিয়েছে, গত বছরের মে মাস থেকে পয়লা নভেম্বর পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরে ২৩ জন জঙ্গিকে নিকেশ করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। শহিদ হয়েছেন বাহিনীর ২৪ জন জওয়ান। এঁদের মধ্যে কাশ্মীরে শহিদ হয়েছেন ৬ জন। আর জম্মুতে প্রাণ হারিয়েছেন ১৮ জন।

    আরও পড়ুন: ভারতের শক্তি অন্তর্নিহিত রয়েছে একতার মধ্যে, মনে করেন মোহন ভাগবত

    এদিকে, ফি বার (Jammu Kashmir) শীতে তুষারপাতের আগে রাজৌরি এবং পুঞ্চের জঙ্গল দিয়ে ভারতে ঢুকে পড়ে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। সেই কারণেই প্রতিবারের মতো এবারও গত কয়েক মাস ধরে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে ওই সব অঞ্চলের জঙ্গলে। অনুপ্রবেশ রুখতে প্রাণপণ করেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। তার পরেও নিরাপত্তার ফাঁক গলে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়ে জঙ্গিরা। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, কাশ্মীরে অশান্তি জিইয়ে রাখতেই পাকিস্তান মদত (Army Personnel Killed) দেয় এই অনুপ্রবেশে (Jammu Kashmir)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • India vs England: শীতের কলকাতায় ক্রিকেট কার্নিভাল, চেনা ইডেনে শামির প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষা

    India vs England: শীতের কলকাতায় ক্রিকেট কার্নিভাল, চেনা ইডেনে শামির প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রিকেট জ্বরে আক্রান্ত কলকাতা। ইংল্যান্ডের (India vs England) বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজ খেলতে নামছে ভারত। পাঁচ ম্যাচের প্রথমটি বুধবার ইডেন গার্ডেন্সে (Eden Gardens)। কুড়ি-বিশের ক্রিকেটে ইংল্যান্ড শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। তাই বুধের সন্ধ্যায় ক্রিকেটের নন্দনকাননে কড়া চ্যালেঞ্জ সামলাতে হবে ধরে নিয়েই গৌতম গম্ভীরের কড়া নজরদারিতে প্রস্তুতি সারছে ভারতীয় ব্রিগেড। ইডেনের পিচ চেনা একদা নাইট মেন্টর গম্ভীরের কাছে। চেনা ইডেনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আঙিনায় প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষায় রয়েছে মহম্মদ শামিও। সোমবার তার প্রস্তুতিও সারলেন তিনি। 

    অপেক্ষায় ইডেন গার্ডেন্স 

    পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপের পরে ইডেন গার্ডেন্সে ফের আন্তর্জাতিক ম্যাচের বল গড়াচ্ছে। ফলে ধরে নেওয়া হচ্ছে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ইডেন ভর্তিই থাকবে। ইতিমধ্যে ম্যাচে ৯৫ শতাংশ টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি। তার আগের দিন ২২ তারিখ খেলা কলকাতায়। ফলে ক্রিকেট পাগল কলকাতা যে ইডেন ভরাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। 

    শামির প্রত্যাবর্তন

    প্রায় দেড় বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আঙিনায় আবার প্রত্যাবর্তন করতে চলেছেন বাংলা দলের পেসার মহম্মদ শামি। ইডেনে ঢোকা থেকে বেরোনো পর্যন্ত ক্যামেরার ফোকাস ছিল তাঁরই দিকে। এর আগে বাংলার হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনটি ফর্মাটেই খেলেছেন কিন্তু তাঁর ফিটনেস নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত ছিল। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে পুরো ফিট হয়ে উঠেছেন শামি। একদিনের সিরিজে আগে শামির ফিটনেস দেখে নিতে টি২০ সিরিজের দলে রেখেছেন নির্বাচকরা। চোদ্দ মাস পর ভারতীয় দলের (India vs England) অনুশীলনে ফিরেছেন তিনি। ২০২৩ বিশ্বকাপের পর থেকে চোট-আঘাত সমস্যায় ভুগেছেন৷ লন্ডনে অস্ত্রোপচারও হয়েছে। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে দীর্ঘ রিহ্যাবের পর প্রত্যাবর্তনের প্রাথমিক ধাপ হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন ঘরোয়া ক্রিকেটকে৷ বাংলা হয়ে রঞ্জি, বিজয় হাজারে খেলে অবশেষে ইংল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজে প্রত্যাবর্তন করেছেন ডানহাতি স্পিডস্টার৷ এখনও পায়ে স্ট্র্যাপ জড়ানো থাকলেও বোলিংয়ে যে কোনও সমস্যা নেই, তা নিশ্চিত৷ বরং অনেক বেশি সাবলীল শামি৷ সোমবার নেটে দীর্ঘক্ষণ ব্যাটিংও করেন তিনি।

    একে অপরকে বিশ্বাস করতে হবে

    টেস্ট ক্রিকেটে চেনা ছন্দে নেই টিম ইন্ডিয়া। লেগে রয়েছে হাজার রকম গন্ডগোল। যদিও টি-টোয়েন্টির ছবিটা পুরো আলাদা। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা বধ সম্পূর্ণ। এবার সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বে শুরু হবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মোকাবিলা। যার প্রথম ম্যাচ ইডেনে। সেই ম্যাচের আগে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে সহ অধিনায়ক অক্ষর প্যাটেল জানিয়ে গেলেন ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। সোমবার দুপুরে ইডেনে অনুশীলনে নামার আগে অক্ষর বলেন, “একে অন্যের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। সেটাই সাফল্যের মূল মন্ত্র।” টি-২০ সিরিজে ভারতীয় দলের সহ অধিনায়ক বললেন, “একদিন হল শিবিরে যোগ দিয়েছি। লিডারশিপ গ্রুপের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমাদের টি-২০ দল তৈরি। ছোট ছোট বিষয়ে কথা হয়েছে। সূর্যর সঙ্গেও কথা হয়েছে। সহ অধিনায়ক মানে কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। ম্যাচে কোনও তথ্য দরকার হলে আদান প্রদান করতে হবে। তবে ম্যাচ জিততে দলের প্রত্যেককে একে অপরের সঙ্গে থাকতে হবে। একে অপরকে বিশ্বাস করতে হবে।” প্রায় ১৪ মাস পর ভারতীয় দলে ফিরেছেন মহম্মদ শামি। যা নিয়ে ইতিবাচক অক্ষর। বলেন, “শামির ফিরে আসাটা খুব ইতিবাচক। একদিনের বিশ্বকাপের ফাইনালে শেষবার খেলেছিল। সৈয়দ মুস্তাক আলি ও বিজয় হাজারেতেও খুব ভাল খেলেছে। সবাই জানে নতুন বলে হোক বা ডেথ ওভার— ও কী করতে পারে। নতুন বলে ওর পারফর্ম্যান্স স্পিনারদের চাপ কমিয়ে দেয়।” 

    আরও পড়ুন: খো-খো বিশ্বকাপে দ্বিমুকুট ভারতের, বিশ্বচ্যাম্পিয়ন পুরুষ ও মহিলা দল, শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

    ভবিষ্যত ভাবনা

    অস্ট্রেলিয়ায় হারের পর একটা প্রশ্ন বারবার উঠছে, প্লেয়ার ও সাপোর্ট স্টাফদের মধ্যে তালমিল আছে তো? অক্ষর অবশ্য জানিয়ে দিলেন, দুপক্ষের মধ্যে যোগাযোগে কোনও সমস্যা নেই। তাঁর বক্তব্য, “অস্ট্রেলিয়ায় আমি ছিলাম না। যে পরামর্শ প্রয়োজন পড়ে, আমরা ব্যাটিং-বোলিং কোচের থেকে নিই। টি-২০তে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হয়, সেসব নিয়ে কথা হয়।” তবে দল যে একটা পালাবদলের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, সেটা মেনে নিলেন অক্ষর। কিন্তু স্বভাবতই তা নিয়ে কথা বলতে চাইলেন না তিনি। বরং পরের বছর দেশের মাটিতেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ইডেন থেকেই যে তাঁর প্রস্তুতি শুরু হতে চলেছে, সেটাই জানিয়ে রাখলেন ভারতীয় দলের অলরাউন্ডার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Russia Ukraine conflict: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে হত ১২ ভারতীয়, জীবিতদের ফেরানোর উদ্যোগ কেন্দ্রের

    Russia Ukraine conflict: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে হত ১২ ভারতীয়, জীবিতদের ফেরানোর উদ্যোগ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে (Russia Ukraine conflict) হত ১২ ভারতীয়। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ১৬ জন। শুক্রবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এমনই জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, মোটা মাইনের চাকরির টোপ দিয়ে (Ukraine) ভারতীয়দের নিয়ে যাচ্ছে রাশিয়ার সংস্থা। পরে তাঁদেরই ট্রেনিং দিয়ে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে।

    বিদেশমন্ত্রকের বক্তব্য (Russia Ukraine conflict)

    বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা রুশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। এই মুহূর্তে রাশিয়ায় অবরুদ্ধ ও বাধ্য হয়ে যুদ্ধে অংশ নেওয়া সব ভারতীয়কে অবিলম্বে মুক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।” জানা গিয়েছে, ভারত থেকে রাশিয়ায় যুদ্ধ করতে গিয়েছিলেন ১২৬ জন। এঁদের মধ্যে ৯৬ জনই ফিরে এসেছেন। বাকি ৩০ জনের মধ্যে ১২ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। অবশিষ্ট ১৬ জনকে রাশিয়া নিখোঁজ ঘোষণা করেছে।

    বিনিল বাবুর মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক

    রাশিয়ান এক এজেন্টের দেওয়া চাকরির টোপ গিলে সে দেশে গিয়েছিলেন কেরলের বছর একত্রিশের বিনিল বাবু। ড্রোন হামলায় মৃত্যু হয় তাঁর। সে প্রসঙ্গে জয়সওয়াল বলেন, “বিনিল বাবুর মৃত্যু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমরা ওঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছি। যত দ্রুত বিনিলের দেহ এদেশে আনা যায়, তা নিশ্চিত করতে রুশ প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি আমরা।” তিনি জানান, মস্কোয় চিকিৎসাধীন (Russia Ukraine conflict) আর এক ভারতীয়কেও দ্রুত দেশে ফেরানো হবে। তিনি বলেন, “মস্কোর দূতাবাস এই দুই ভারতীয় পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। আমরা কেরলের এক ভারতীয় নাগরিকের দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যুর বিষয়ে জানতে পেরেছি, যাঁকে স্পষ্টতই রুশ সেনাবাহিনীতে চাকরি করার জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল।”

    আরও পড়ুন: সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়ে আপস নয়, ইউনূস প্রশাসনকে সাফ জানিয়ে দিল ভারত

    প্রসঙ্গত, গত জুলাইয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা হয়েছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। ওই সময় তিনি পুতিনকে ভারতীয়দের ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান। অক্টোবরে কাজান ব্রিকস সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ফের একপ্রস্ত কথা বলেন রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে (Ukraine)। সেই সময়ও মোদিকে পুতিন আশ্বস্ত করেছিলেন এই বলে যে, যেসব ভারতীয়কে রাশিয়ান সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল এবং পরবর্তী সময়ে ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল রাশিয়া তাঁদের সবাইকে অব্যাহতি দেবে (Russia Ukraine conflict)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share