Tag: India

India

  • VK Singh: “শীঘ্রই ভারতের সঙ্গে মিশে যাবে পাক অধিকৃত কাশ্মীর”, দাবি প্রাক্তন সেনা প্রধানের

    VK Singh: “শীঘ্রই ভারতের সঙ্গে মিশে যাবে পাক অধিকৃত কাশ্মীর”, দাবি প্রাক্তন সেনা প্রধানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “শীঘ্রই নিজে থেকেই ভারতের সঙ্গে মিশে যাবে পাক অধিকৃত কাশ্মীর।” রাজস্থানের দৌসায় এমনই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা প্রাক্তন সেনা প্রধান ভিকে সিংহ (VK Singh)। চলতি বছরই রয়েছে রাজস্থান বিধানসভার নির্বাচন। সেই উপলক্ষে রাজস্থানে এসেছেন মন্ত্রী। এখানেই সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “শীঘ্রই নিজে থেকেই ভারতের সঙ্গে মিশে যাবে পাক অধিকৃত কাশ্মীর। একটু অপেক্ষা করুন।”

    শিয়া মুসলিমদের দাবি

    নির্বাচনমুখী রাজস্থানে ‘পরিবর্তন সঙ্কল্প যাত্রা’র আয়োজন করা হয়েছে বিজেপির তরফে। এই কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও। সেই কারণেই দৌসায় এসেছিলেন মন্ত্রী। উল্লেখ্য, শিয়া মুসলমানরা দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছেন লাদাখের কারগিল চেকপোস্ট খুলে দেওয়ার। সেই প্রসঙ্গেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ভারতে মিশে যাওয়ার কথা বলেন মন্ত্রী (VK Singh)। জানা গিয়েছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জনসংখ্যা ৪৫ লাখের কাছাকাছি। এর ৯৭ শতাংশই মুসলিম। বাকি তিন শতাংশ হিন্দু সহ অন্যান্য ধর্মের।

    চিনা আগ্রাসন নিয়ে জবাব মন্ত্রীর

    কেবল পাকিস্তান নয়, চিনা আগ্রাসন নিয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নেরও উত্তর দিয়েছেন বিদেশ দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী। মানচিত্রের নয়া সংস্করণে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ ও আকসাই চিনকে নিজেদের এলাকা বলে দেখিয়েছে বেজিং। এদিন সে প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “এটা চিনের পুরনো অভ্যাস। শুধুমাত্র ভারতের কিছু অংশ নিয়ে মানচিত্র প্রকাশ করে ওরা কিছু করতে পারবে না। এতে কিছু বদলাবে না। কোন এলাকাগুলি আমাদের, আমাদের সরকার তা স্পষ্ট করে দিয়েছে। অবান্তর দাবি করলেই অন্য লোকের এলাকা আপনার হয়ে যায় না।”

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে ইডি দফতরে পৌঁছলেন অভিষেক, শুরু জিজ্ঞাসাবাদ

    প্রসঙ্গত, নয়াদিল্লি বরাবরই দাবি করে আসছে পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের। অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ। মে মাসে গোয়ায় অনুষ্ঠিত এসসিও-র বিদেশমন্ত্রী সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাবল ভুট্টোও। তাঁর সামনেই অবৈধভাবে দখল করা এলাকা তাঁরা কখন ফাঁকা করে দেবেন, এ প্রশ্নও তুলেছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

    কংগ্রেস সরকারের আমলে রাজস্থানে যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে, এদিন তাও জানিয়েছেন মন্ত্রী (VK Singh)। বছর কয়েক আগে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়ে পাক ভূখণ্ডে থাকা বেশ কিছু জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছিল ভারত। তার পর থেকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতে নিয়ে আসার আশ্বাস দিচ্ছেন বিজেপির বিভিন্ন নেতা-মন্ত্রী। অখণ্ড কাশ্মীরের স্বপ্ন যে অচিরেই পূরণ হতে চলেছে, এদিন প্রাক্তন সেনা প্রধানের কথায়ই তা স্পষ্ট।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Opposition Meet: থাকবে না তৃণমূল, সিপিএম! প্রথম সমন্বয় বৈঠকের আগেই জোড়া ধাক্কা ‘ইন্ডি’ জোটে

    Opposition Meet: থাকবে না তৃণমূল, সিপিএম! প্রথম সমন্বয় বৈঠকের আগেই জোড়া ধাক্কা ‘ইন্ডি’ জোটে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম সমন্বয় বৈঠকের (Opposition Meet) আগেই জোড়া ধাক্কা ‘ইন্ডি’ জোটে। আজ, বুধবার বিকেলে ‘ইন্ডি’ জোটের প্রথম সমন্বয় কমিটির বৈঠকে (Co-Ordination Committee) তৃণমূলের প্রতিনিধি থাকছে না। কারণ, সমন্বয় কমিটিতে তৃণমূল মনোনীত সদস্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে আজ সিজিও কমপ্লেক্সে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের সামনে হাজিরা দিতে হবে। অন্যদিকে, সিপিএমও যোগ দেবে না বলে জানা গিয়েছে।

    ইন্ডি জোটে মতভেদ প্রকট

    বিরোধী জোট সূত্রে খবর, দিল্লিতে এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের (Sharad Pawar) বাসভবনে বসবে এই বৈঠক (Opposition Meet) । সূত্রের খবর, মূলত আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা হবে ১৪ সদস্যের বৈঠকে। তবে নিজেদের স্বার্থ ত্যাগ করে কোন দল কতটা সমঝোতা করে, তা নিয়েই আলোচনা রাজনৈতিক মহলে। জোট গঠনের সময়েই ঠিক হয়, প্রতিটি লোকসভা আসনে বিরোধী দলগুলির মধ্য়ে সবথেকে ‘হেভিওয়েট’ প্রার্থী যে দলে থাকবে, তাঁকেই সেই আসনে প্রার্থী করা হবে। মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু ও বিহারে আসন ভাগাভাগি প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেলেও, দিল্লি, পাঞ্জাব ও পশ্চিমবঙ্গ নিয়েই বেশি চিন্তিত ‘ইন্ডি’ জোট। সেখানে দলগুলির মধ্যে অনৈক্য প্রকট। 

    সিট শেয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে সমস্যা

    আসন সমঝোতার ক্ষেত্রে আবার পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, পাঞ্জাবের মতো রাজ্যগুলিত কী রণকৌশল হবে, তা-ও এখনও পরিষ্কার নয়। কারণ, বিরোধীরা বিজেপিকে হটানোর জন্য আসন ভাগাভাগিতে সম্মত হলেও তৃণমূল, আপ, কংগ্রেস-সহ ‘ইন্ডি’-র প্রতিটি শরিক দলেরই রাজ্যভিত্তিক কিছু রাজনৈতিক বাধ্যবাধ্যকতা আছে। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ-দিল্লি-পাঞ্জাবের ৬২টি লোকসভা আসনে কী ভাবে আসন বিন্যাস হবে, তা স্থির করা ‘ইন্ডি’ জোটের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মানছেন একাধিক বিরোধী নেতা। আসন সমঝোতার পাশাপাশি এদিনের বৈঠকে (Opposition Meet) বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচারের পদ্ধতি নিয়েও সুবিস্তৃত আলোচনা হতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। মানুষের কাছে কীভাবে পৌঁছানো যায়, যৌথ মিছিল, মানুষের দরজায় দরজায় ঘুরে প্রচার করার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হবে। তবে প্রতিটি রাজ্যে প্রচারের ক্ষেত্রে আলাদা হবে এই নীতি। 

    আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজে গতি আনতে ‘স্পিড প্রোগ্রাম’! নয়া নির্দেশিকা রাজ্যপালের

    বাংলায় আসন ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্ব

    আজই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেরার জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ফলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই বৈঠকে (Opposition Meet) যোগ দিতে পারবেন না। অভিষেকের বদলে তৃণমূলের তরফে অন্য কোনও সদস্যকে পাঠানো হবে না বলেই জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, সিপিআইএমের তরফে এখনও কোনও সদস্য়ের নাম পাঠানো হয়নি। আজকের বৈঠকে সিপিআইএমও অনুপস্থিত থাকবে। আগামী ১৬-১৭ সেপ্টেম্বর পলিটব্যুরোর বৈঠক রয়েছে। সেই বৈঠকে ‘ইন্ডি’ জোটে দলের প্রতিনিধি কারা হবেন, তা ঠিক করা হবে। তবে, এদিনের বৈঠকে তৃণমূল ও সিপিএমের কোনও প্রতিনিধি না থাকার ফলে আসন রফা নিয়ে আলোচনা হলেও সেখানে বাংলায় আসন ভাগাভাগির ফর্মুলা কী হবে, তা নিয়ে দিশা পাওয়ার সম্ভাবনা কম বলেই মনে করছেন জোটের সদস্য একাধিক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Asia Cup 2023: কুলদীপের কেরামতি! কোহলি-রাহুলের শতরান, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সহজ জয় ভারতের

    Asia Cup 2023: কুলদীপের কেরামতি! কোহলি-রাহুলের শতরান, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সহজ জয় ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুল শুরু করেছিলেন, শেষ করলেন কুলদীপ যাদব। কার্যত বিনা লড়াইয়ে ভারতের কাছে হার মানল পাকিস্তান। ভারতের ৩৫৭ রানের আকাশছোঁয়া টার্গেট তাড়া করতে নেমে পরপর উইকেট হারাল বাবররা। ৩২ ওভারেই শেষ হয়ে গেল পাকিস্তানের ইনিংস। মাত্র ১২৮ রানে গুটিয়ে গেল তারা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৮ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৫ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা কুলদীপ যাদব। কুলদীপ-জাদেজার স্পিনের ঝলক, পাকিস্তানকে ২২৮ রানে হারিয়ে এশিয়া কাপে ম্যাচ পকেটে পুরল ভারত।

    ভারতীয় বোলারদের দাপট

    ফরম্যাট ওয়ান ডে। যদিও ম্যাচ হল দু-দিনে। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে এত বিরতি দর্শকদের আনন্দ কেড়ে নেয়। দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে ম্যাচ সম্পূর্ণ হল। গ্রুপস্তরে ভারতের ব্য়াটিংয়ের উপর দাপট দেখালেও সুপার ফোরে সেটা দেখাতে পারলেন না শাহিনরা। পাক বোলারদের দম্ভ গুঁড়িয়ে গেল। কোহলি-রাহুলের মারকাটারি ব্যাটিংয়ের জেরে আক্ষরিক অর্থেই চোখে সর্ষেফুল দেখছিলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি, শাদাব খানের মতো পাক বোলাররা। বুঝতে পারছিলেন না ঠিক কীভাবে আটকে দেওয়া যাবে কোহলি-রাহুলের রানের গতি। প্রত্যাশিতভাবেই অপরাজিত থেকেছেন দুই ভারতীয় ব্যাটার। ১২২ রানে অপরাজিত রইলেন কোহলি। আর রাহুল অপরাজিত রইলেন ১১১ রান করে।

    কুলদীপের স্পিনের যাদু

     ভারতীয় ইনিংস শেষেই বৃষ্টি নামে। তবে খেলা শুরু হতেই কুলদীপের স্পিনের যাদু চোখে পড়ল। পাকিস্তান ন্যূনতম লড়াইটাই করতে পারল না। ওপেন করতে নেমে ফখর জামান ও ইমাম উল হকের জুটি করল মাত্র ১৭ রান। ৯ রানে ইমামকে ফেরান বুমরাহ। এটা ছিল পাকিস্তানের ব্যাটিং ধসের শুরু। এরপর আর সেটা থামেনি। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন ফখর জামান। এরপর আঘা সালমান ও ইফতিকার আহমেদ করেন ২৩ রান করে। এই তিনজন বাদে পাকিস্তানের আর কেউ পাতে দেওয়ার মত রান করতে পারেনি। বাবর আজম, মহম্মদ রিজওয়ানের মত যাদের নিয়ে পাকিস্তানের গর্ব তাদেরকেই মাটিতে ফেলল ভারত।পাকিস্তানের পাঁচজন ব্যাটার এক অঙ্কের রান করলেন। ভারতের হয়ে একটি করে উইকেট নেন জসপ্রীত বুমরাহ, হার্দিক পান্ডিয়া, শার্দূল ঠাকুর। পাঁচটি উইকেট নেন কুলদীপ যাদব। মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে এই পারফরম্যান্স হালকা রাখবে ক্রিকেটারদের।

    পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৮ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৫ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা কুলদীপ যাদব। কুলদীপ-জাদেজার স্পিনের ঝলক, পাকিস্তানকে ২২৮ রানে হারিয়ে এশিয়া কাপে ম্যাচ পকেটে পুরল ভারত।  এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত। প্রথমে ব্যাট করেন রোহিতরা। ভারতীয় ইনিংস শেষেই বৃষ্টি। ম্যাচ আর সম্পূর্ণ হয়নি। সুপার ফোরে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে তাই যোগ করা হয়েছিল রিজার্ভ ডে। শেষ মুহূর্তে এই সিদ্ধান্ত নেয় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল। রিজার্ভ ডে কাজে লাগল। তবে চাপও বাড়ল ভারতীয় শিবিরে। টানা দু-দিন খেলতে হল। রাত পোহালেই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচ। দু-দিনের দ্বৈরথে ভারত জিতল ২২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Aditya L1: লক্ষ্যের আরও কাছে পৌঁছল আদিত্য এল-১, জানাল ইসরো

    Aditya L1: লক্ষ্যের আরও কাছে পৌঁছল আদিত্য এল-১, জানাল ইসরো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্যের আরও কাছে পৌঁছল ভারতের প্রথম সৌরযান আদিত্য এল-১ (Aditya L1)। এর আগে পরপর দু’ বার সফলভাবে কক্ষপথ পরিবর্তন করেছিল এই সৌরযান। শনিবার রাতে পেরলো তৃতীয় কক্ষপথটিও। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে আদিত্য এল-১-এর স্বাস্থ্য ঠিকই রয়েছে। সব যন্ত্রাংশও ঠিকঠাক রয়েছে। সবকিছু কাজ করছে ঠিকঠাকভাবে।

    আদিত্য এল-১

    ২ সেপ্টেম্বর সূর্যের দিকে রওনা দেয় আদিত্য এল-১ (Aditya L1)। ৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ প্রথমবার কক্ষপথ পার হয় ভারতের এই সৌরযান। দ্বিতীয়বার কক্ষপথ পরিবর্তন করে ৫ সেপ্টেম্বর। ৯ সেপ্টেম্বর রাত আড়াইটে নাগাদ আদিত্য এল-১ পার হয় তৃতীয় কক্ষপথ। পরবর্তী কক্ষপথটি পার হবে ১৫ সেপ্টেম্বর।

    ইসরোর লক্ষ্য

    জানা গিয়েছে, বর্তমানে আদিত্য এল-১ যখন পৃথিবীর সব চেয়ে কাছে থাকছে, তখন তার দূরত্ব দাঁড়ায় ২৯৬ কিলোমিটার। আর পৃথিবী থেকে যখন সব চেয়ে দূরে থাকে, তখন এর দূরত্ব বেড়ে দাঁড়ায় ৭১ হাজার ৭৬৭ কিলোমিটার। ইসরোর লক্ষ্যই হল পৃথিবী-সূর্য সিস্টেমের হ্যালো কক্ষপথের ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট-১-এ আদিত্য এল-১কে (Aditya L1) পৌঁছে দেওয়া। এই পয়েন্ট থেকে গ্রহণ-বিহীনভাবে সূর্যের ওপর নজরদারি চালাতে পারবে ভারতের প্রথম সৌরযান।

    সূর্য সম্বন্ধে নানা তথ্যও সংগ্রহ করতে পারবে আদিত্য এল-১। উল্লেখ্য যে, পৃথিবী থেকে ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট-১-এর দূরত্ব ১.৫ মিলিয়ন কিলোমিটার। আদিত্য এল-১কে (Aditya L1) পার হতে হবে আরও কয়েকটি কক্ষপথ। এই সব কক্ষপথ সফলভাবে পার হলে ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট-১-এর দিকে এগোতে থাকবে এই সৌরযান। কক্ষপথের গেরো পার হলে নিজের গতিও বাড়াতে পারবে সে। লক্ষ্যে পৌঁছতে তার সময় লাগবে মাস চারেক। 

    আরও পড়ুুন: সন্ত্রাসবাদকে এক ইঞ্চিও জমি নয়, জানানো হল জি২০ সম্মেলনের ঘোষণাপত্রে

    মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যে পাঁচটি ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট বা পার্কিং এরিয়া রয়েছে। এর মধ্যে ভারত প্রেরিত সৌরযানটি থাকবে পয়েন্ট ১-এ।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • G20 Summit 2023: জি২০-এর মঞ্চেও ‘ইন্ডিয়া’র বদলে লেখা ‘ভারত’, দেশের নাম তাহলে বদলাচ্ছেই!

    G20 Summit 2023: জি২০-এর মঞ্চেও ‘ইন্ডিয়া’র বদলে লেখা ‘ভারত’, দেশের নাম তাহলে বদলাচ্ছেই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসে ডাকা হয়েছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। পাঁচ দিনের ওই অধিবেশনে দেশের নাম ‘ইন্ডিয়া’ থেকে ‘ভারত’ হতে পারে বলে জল্পনা ছড়িয়েছে। এই আবহে জল্পনার পালে নতুন করে হাওয়া জোগাল জি২০-এর (G20 Summit 2023) শীর্ষ সম্মেলন।

    পোডিয়ামে লেখা ‘ভারত’ 

    এই সম্মেলনের উদ্বোধনী মঞ্চের পোডিয়ামে দেশের নাম ‘ইন্ডিয়া’র পরিবর্তে ইংরেজিতে লেখা হয়েছে ‘ভারত’। জি২০-এর শীর্ষ সম্মেলনে আগত রাষ্ট্রপ্রধানদের সম্মানে যে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে, তাতেও ‘ইন্ডিয়া’র পরিবর্তে ‘ভারত’ লেখা রয়েছে। এতদিন ভারতের রাষ্ট্রপতির তরফে কাউকে কোনও চিঠি লেখা হলে, তাতে লেখা থাকত ‘প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া’। অথচ এবার আমন্ত্রণপত্রে লেখা হয়েছে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর ইন্দোনেশিয়া সফরের যে সূচি এক্স হ্যান্ডেলে প্রকাশিত হয়েছিল, সেখানেও মোদির পদ হিসেবে লেখা হয়েছিল ‘প্রাইম মিনিস্টার অফ ভারত’। রাজনৈতিক মহলের মতে, এভাবেই বিরোধীদের জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী। 

    রাষ্ট্রসংঘের বক্তব্য

    জি২০ সম্মেলন (G20 Summit 2023) উপলক্ষে যে বুকলেট বিলি করা হয়েছে বিদেশি প্রতিনিধিদের মধ্যে, তাতেও লেখা হয়েছে ‘ভারত, গণতন্ত্রের প্রসূতি। এই দেশের অফিসিয়াল নাম ভারত। এটি সংবিধানে উল্লেখ রয়েছে। ১৯৪৬-৪৮-এর আলোচনায়ও এর উল্লেখ রয়েছে’। ভারত প্রয়োজনীয় সমস্ত ফর্মালিটিজ পূরণ করলে ‘ইন্ডিয়া’র বদলে রাষ্ট্রসংঘের রেকর্ডে ‘ভারত’ লেখা হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক এই সংঘের তরফে। রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি জেনারেলের প্রধান মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেন, “নাম পরিবর্তনের জন্য ভারত যখন সমস্ত ফর্মালিটিজ পূরণ করবে, তারা আমাদের জানাবে। তখন রাষ্ট্রসংঘের রেকর্ডে আমরা নাম পরিবর্তন করে দেব।”

    আরও পড়ুুন: প্রধানমন্ত্রীর ৭৪তম জন্মদিন, বিশ্বকর্মা পুজোর দিন থেকে গুচ্ছ কর্মসূচি বঙ্গ বিজেপির

    প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ১৮ তারিখে বসছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। পাঁচ দিনের এই অধিবেশন শেষ হবে ২২ তারিখে। এই অধিবেশনেই দেশের নাম ‘ইন্ডিয়া’র বদলে ‘ভারত’ হতে পারে বলে জল্পনা ছড়িয়েছে। বিজেপির যুক্তি, দেশের নাম এক সময় ‘ভারতবর্ষ’ ছিল। পরে ইংরেজ আমলে দেশের নাম হয় ‘ইন্ডিয়া’। ওয়াকিবহালমহলের মতে, গা থেকে ঔপনিবেশকতার গন্ধ ঝেড়ে ফেলতে দেশের (G20 Summit 2023) নাম বদলে ‘ভারত’ করতে চায় গেরুয়া শিবির। বিজেপির এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের নক্ষত্রদের একটা বড় অংশ। সিংহভাগ দেশবাসীও মনে করেন দেশের নাম ‘ভারত’ হওয়াই শ্রেয়। জন সুরজ পার্টির প্রধান তথা ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিকেও শর্ত সাপেক্ষে দেশের নাম ‘ভারত’ করার পক্ষেই মত পোষণ করেছেন। যদিও বিরোধীরা চান, দেশের নাম থাকুক অপরিবর্তিতই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • ASEAN-India summit: ‘‘একুশের শতক এশিয়ার শতক’’! আসিয়ান-ইন্ডিয়া সামিটে কী বললেন মোদি?

    ASEAN-India summit: ‘‘একুশের শতক এশিয়ার শতক’’! আসিয়ান-ইন্ডিয়া সামিটে কী বললেন মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোভিড-পরবর্তী পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পূর্ব এশিয়ার ‘কণ্ঠস্বর’ জোরালো করার আবেদন জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় ভারত-আসিয়ান শীর্ষবৈঠকে যোগ দিয়ে মোদি বলেন, ‘‘একবিংশ শতক এশিয়ার শতক। অতিমারি পরিস্থিতিতেও পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে আমরা উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছি।’’

    ইন্দোনেশিয়ায় মোদি

    আসিয়ান-ইন্ডিয়া শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার ভোরবেলা ইন্দোনেশিয়ায় পা রাখেন মোদি। সেখানে পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আসিয়ান সামিটে সহ-সভাপতিত্ব করা ভারতের জন্য গর্বের এবং সম্মানের। এই সম্মেলন ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলি সংক্রান্ত নীতি বা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সহযোগিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। আমাদের এই সহযোগিতার চার দশক পূর্ণ হয়েছে। গত বছর আমরা ভারত-আসিয়ান বন্ধুত্ব উদযাপন করেছি। এই সম্মেলন আয়োজনের জন্য প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডোকে আন্তরিক শুভেচ্ছা।”

    এদিন বিমানবন্দর থেকে হোটেলে পৌঁছলে তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান জাকার্তার প্রবাসী ভারতীয়রা। চারিদিক ‘মোদি মোদি’, ‘বন্দেমাতরম’ স্লোগানে কেঁপে ওঠে।  

    কী বললেন মোদি

    প্রধানমন্ত্রী মোদি জানিয়েছেন, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিষয়ে আসিয়ানের দৃষ্টিভঙ্গিকে ভারত সমর্থন করে। শুধুমাত্র আর্থিক এবং বাণিজ্যিক লেনদেনের মধ্যে আসিয়ানকে সীমাবন্ধ না রেখে আসিয়ানকে বিশ্বের উন্নয়নে বৃহত্তর ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

    পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের গোষ্ঠী আসিয়ান এবং ভারতের বার্তালাপের পাশাপাশি, জাকার্তায় হবে পূর্ব এশিয়ান সম্মেলন। সেখানে আমন্ত্রিত দেশ হিসাবে থাকবেন চিন, আমেরিকা, জাপানের প্রতিনিধিরাও। তবে সময়ের স্বল্পতার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কোনও দ্বিপাক্ষিক পার্শ্ববৈঠক করবেন না।

    শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন। প্রধানমন্ত্রী তার আগেই দেশে ফিরবেন। তাই তাঁর অনুরোধেই সন্ধ্যায় নির্ধারিত পূর্ব এশিয়ান সম্মেলনকে দুপুরে এগিয়ে আনা হয়েছে বলে সাউথ ব্লক সূত্রের খবর।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar on Bharat: ‘সংবিধান বলছে যা ইন্ডিয়া, তাই ভারত’! নাম-বিতর্কে মন্তব্য বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের

    S Jaishankar on Bharat: ‘সংবিধান বলছে যা ইন্ডিয়া, তাই ভারত’! নাম-বিতর্কে মন্তব্য বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্ডিয়া না ভারতবর্ষ, এই বিতর্কে বিরোধীদের মোক্ষম জবাব দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “সংবিধান যেখানে বলছে যা ইন্ডিয়া তাই ভারত, তাহলে বিরোধীদের এত জল ঘোলা করার কী দরকার। বিতর্ক না বাড়িয়ে আমি তাঁদের বলতে চাই সংবিধানটা একবার ভালো করে পড়ুন, তাহলেই ভুল ভেঙে যাবে। স্পষ্ট করে লেখা আছে যা ইন্ডিয়া, তাই ভারত।”

    কী বললেন জয়শঙ্কর

    আগামী ৯ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু জি২০ সমাবেশে অংশ নেওয়া রাষ্ট্রনেতাদের একটি নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। সেই উপলক্ষে আমন্ত্রণপত্রও যাচ্ছে নিমন্ত্রিতদের কাছে। যে আমন্ত্রণপত্র ঘিরে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে জাতীয় রাজনীতির অন্দরে। কারণ, ভারতের রাষ্ট্রপতি কাউকে কোনও চিঠি লিখলে তাতে চিরাচরিত ভাবে লেখা থাকে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া’ কথাটি। কিন্তু জি২০ নেতাদের আমন্ত্রণ জানানোর চিঠিতে লেখা হয়েছে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’ কথাটি লেখা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর আমন্ত্রণপত্রে লেখা ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’দেখেই জল্পনা তাহলে কি ইন্ডিয়া নাম বদলে শুধুই ভারত হয়ে গেল? এই বিতর্কে তোলপাড় দেশের রাজনীতি ৷ এ বিষয়ে নিজের মত স্পষ্ট করে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানালেন  ভারত নাম উচ্চারণ করলে যে ছবি ও ধারণা মনের মধ্যে ভেসে ওঠে সেই একই প্রজ্ঞা নিহিত রয়েছে দেশের সংবিধানে।

    প্রসঙ্গত, এদেশের সংবিধানে ইন্ডিয়া ও ভারত দু’টি শব্দেরই উল্লেখ রয়েছে। সংবিধানের ১ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, “India that is Bharat”। ‘সংবিধান তৈরির সময়ও ১ নম্বর অনুচ্ছেদ নিয়ে মতবিরোধ ছিল। দেশের নাম ভারত অথবা হিন্দুস্তান রাখার পক্ষে একটা বড় অংশের সমর্থন ছিল। তখন তা হয়নি। তবে এখন সময় বদলেছে। ভারতীয় সংস্কৃতি ও নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেশ কিছু শহরের নাম বদল করা হয়েছে। তাই এই সময়ই আসল নামে দেশের পরিচিতি গড়ে তোলা উচিত, বলে মনে করেন দেশের অনেকেই।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • India Name Change: দেশের নাম বদলের জল্পনা, অমিতাভ বচ্চনের ট্যুইটে নয়া গুঞ্জন

    India Name Change: দেশের নাম বদলের জল্পনা, অমিতাভ বচ্চনের ট্যুইটে নয়া গুঞ্জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদের বিশেষ অধিবেশনে দেশের নাম বদলাতে (India Name Change) চলেছে বলে খবর। ‘ইন্ডিয়া’র বদলে এবার দেশের নাম হতে চলেছে ‘ভারত’। এ নিয়ে চটে লাল বিরোধীদের একাংশ। এহেন আবহে মঙ্গলবার ইন্ধন জোগাল অমিতাভ বচ্চনের একটি ট্যুইট। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “ভারতমাতা কী জয়।” অমিতাভের এহেন পোস্টের জেরে চড়ছে জল্পনার পারদ। নেটিজেনদের একাংশের মতে, দেশের নাম নিয়ে যে বিতর্ক শুরু হয়েছে, তা নিয়েই অমিতাভের এই পোস্ট। দেশের নাম ‘ভারত’ করার পক্ষেই মত দিয়েছেন তিনি।

    ‘ইন্ডিয়া’র দাবি

    বিজেপি-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোটের নাম ‘ইন্ডিয়া’। এই সংগঠনের সদস্য একাধিক রাজনৈতিক দলের দাবি, তাঁদের জোটের নাম ‘ইন্ডিয়া’ হওয়ায় দেশের নাম বদলের চেষ্টা করছে কেন্দ্র। আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের প্রশ্ন, “বিজেপি-বিরোধী জোটের নাম ইন্ডিয়া বলেই কি দেশের নাম বদলে দেওয়া হচ্ছে?”  দেশের নাম বদলের (India Name Change) প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

    আরও পড়ুুন: সনাতন ধর্মকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, ‘ইন্ডি’ জোটকে ধুয়ে দিল বিজেপি

    তিনি বলেন, “আজ তো ইন্ডিয়ার নাম চেঞ্জ করে দিচ্ছে বলে আমি শুনলাম। মাননীয় রাষ্ট্রপতির নামে যে কার্ড হয়েছে, জি২০-এর লাঞ্চে না ডিনারে, তাতে লেখা আছে ভারত বলে। আরে ভারত তো আমরা বলি। এতে নতুনত্ব কী আছে?” প্রসঙ্গত, অমিতাভ-পত্নী জয়া বচ্চন ‘ইন্ডিয়া’র নেত্রী। তাঁর সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমোর। এহেন আবহে অমিতাভের পোস্ট বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বই কি!

    সহবাগের ট্যুইট 

    দেশের নাম বদলে ‘ভারত’ হওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন প্রাক্তন ভারতীয় ব্যাটার বীরেন্দ্র সহবাগও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “আমাদের দেশের (India Name Change) আসল নাম ভারত। আনুষ্ঠানিকভাবে সেই নাম ফিরিয়ে আনার সময় এসে গিয়েছে। আমি সব সময় বিশ্বাস করি, দেশের নাম এমন হওয়া উচিত, যা আমাদের গর্বিত করবে। আমরা ভারতীয়। ইন্ডিয়া নাম ব্রিটিশদের দেওয়া। আমাদের আসল নাম ভারত। আমি বিসিসিআই এবং জয় শাহকে অনুরোধ করছি যাতে আসন্ন বিশ্বকাপে ভারতীয় খেলোয়াড়দের জার্সিতে ভারত লেখা থাকে।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: সনাতন ধর্মকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, ‘ইন্ডি’ জোটকে ধুয়ে দিল বিজেপি

    BJP: সনাতন ধর্মকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, ‘ইন্ডি’ জোটকে ধুয়ে দিল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সনাতন ধর্ম নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বিজেপি-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’র নেতা উদয়নিধি স্ট্যালিন। মঙ্গলবার রাজস্থানের এক জনসভায় তাঁকে নিশানা করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ (BJP)। তিনি বলেন, “সনাতন ধর্ম বিশ্বকে একটি পরিবার হিসেবে বিবেচনা করে।” উদয়নিধির বিতর্কিত মন্তব্যের পরেও সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, অশোক গেহলটরা চুপ কেন সে প্রশ্নও তোলেন রাজনাথ। বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ‘ইন্ডিয়া’র নেতাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলেও মনে করেন তিনি। রাজনাথ বলেন, “ক্ষমা না চাইলে দেশ তাঁদের ক্ষমা করবে না।”

    ‘ইন্ডিয়া’কে নিশানা শাহের

    উদয়নিধির বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে ‘ইন্ডিয়া’কে নিশানা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। তিনি বলেন, “গত দু দিন ধরে ইন্ডিয়া জোট সনাতন ধর্মকে অপমান করছে। রাজনৈতিক ভোটব্যাঙ্কের জন্যই কংগ্রেস এবং ডিএমকে নেতারা এসব বলছেন। এর আগে মনমোহন সিং বলেছিলেন বাজেটের প্রথম অধিকার সংখ্যালঘুদের। কিন্তু আমরা (BJP) বলছি, বাজেটের প্রথম অধিকার গরিব, উপজাতি, দলিত এবং পিছিয়ে পড়া মানুষের। কংগ্রেস বলছে মোদি যদি জেতেন, তাহলে সনাতন দেশ শাসন করবে। রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, লস্কর-ই-তৈবার চেয়ে বেশি বিপজ্জনক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি।” 

    এদিকে, উদয়নিধির শিরচ্ছেদ করতে পারলে ১০ কোটি টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করলেন অযোধ্যার তপস্বী ছাউনি মন্দিরের মহন্ত পরমহংস দাস। তিনি জানান, সনাতন ধর্ম সম্পর্কে কু-মন্তব্য করা উদয়নিধি স্ট্যালিনের শিরচ্ছেদ যে করতে পারবে, তাঁকে ১০ কোটি টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।

    বিহারে দায়ের মামলা 

    অন্যদিকে, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন ও তাঁর ছেলে উদয়নিধির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হল বিহারের মুজফ্ফরপুর সিভিল কোর্টে। সোমবার সুনীল কুমার ঝা নামে এক আইনজীবী ওই মামলা করে। আদালতে দায়ের করা মামলায় সুনীল লিখেছেন, উদয়নিধির ওই মন্তব্যের ফলে হিন্দু ও সনাতন ধর্মকে যাঁরা মানেন এমন কোটি কোটি মানুষের (BJP) ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে। রাজনৈতিক লাভের আশায় তিনি ওই মন্তব্য করেছেন। তাই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক। ১৪ সেপ্টেম্বর শুনানি হবে এই মামলার।

     

  • Republic of Bharat: সংসদের বিশেষ অধিবেশনেই বদলে যাচ্ছে দেশের নাম, ইন্ডিয়া হবে ভারত?

    Republic of Bharat: সংসদের বিশেষ অধিবেশনেই বদলে যাচ্ছে দেশের নাম, ইন্ডিয়া হবে ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের গা থেকে মুছে যেতে চলেছে ঔপনিবেশিকতার তকমা! সংসদের বিশেষ অধিবেশনেই বদলে যাচ্ছে দেশের নাম (Republic of Bharat)! সাম্প্রতিক এক রিপোর্টেই একথা জানা গিয়েছে। ‘ইন্ডিয়া’ নাম বদলে হচ্ছে ‘ভারত’। ইংরেজ শাসনের আগে দেশের নাম ছিল ভারতবর্ষ। নয়া নাম হতে চলেছে ভারত। সেপ্টেম্বরের ১৮ তারিখ থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত বসছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। সেখানেই দেশের নাম বদলে যাচ্ছে বলে দাবি সূত্রের।

    জি২০ সম্মেলন

    ৮ সেপ্টেম্বর থেকে দিল্লিতে শুরু হচ্ছে দু’ দিনের জি২০ সম্মেলন। সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা। ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বিলি করা হয়েছে আমন্ত্রণপত্র। তাতে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া’র বদলে লেখা হয়েছে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’ (Republic of Bharat)। এ ব্যাপারে একটি পোস্ট করেছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ।

    তিনি লিখেছেন, “তাহলে খবরটা সত্যি ছিল। রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর জি২০ সম্মেলনের নৈশভোজের একটি নিমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। যেখানে প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া লেখা নেই। যা সাধারণভাবে থাকার কথা। বদলে লেখা রয়েছে প্রেসিডেন্ট অফ ভারত (Republic of Bharat)। বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ।” তিনি বলেন, “সংসদের ১ নম্বর ধারা অনুযায়ী, ভারত অর্থাৎ ইন্ডিয়া হল ইউনিয়ন অফ স্টেটস । কিন্তু, এবার এই ইউনিয়ন অফ স্টেটস ধ্বংসের মুখে।”

    বিজেপির নিশানায় কংগ্রেস

    পাল্টা পোস্ট করে কংগ্রেসের জবাব দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তিনি লিখেছেন, “ভারত জোড়ো যাত্রার প্রবর্তকরা কেন ভারত মাতা কি জয় নিয়ে আপত্তি করেন? কংগ্রেসের না দেশের প্রতি সম্মান রয়েছে, না এরা সংসদকে সম্মান করে। না সংসদের ধারাগুলি মেনে চলে। একটি পরিবারের প্রশংসা করেই এদের দিন কেটে যায়। গোটা দেশে এখন এই পরিবার ও এই দলের দেশদ্রোহী এবং সংসদ বিরোধী কার্যকলাপ সকলের সামনে চলে এসেছে।”

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ট্যুইটারে (অধুনা এক্স  হ্যান্ডেল) লিখেছেন “রিপাবলিক অফ ভারত (Republic of Bharat)। আমাদের সভ্যতা সাহসের সঙ্গে অমৃতকালের দিকে এগোচ্ছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
LinkedIn
Share