Tag: India

India

  • Afghanistan: পাকিস্তানকে এড়িয়ে ইরানের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানে গম পাঠাচ্ছে ‘বন্ধু’ ভারত

    Afghanistan: পাকিস্তানকে এড়িয়ে ইরানের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানে গম পাঠাচ্ছে ‘বন্ধু’ ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চরম খাদ্য সঙ্কটে তালিবান শাসিত আফগানিস্তান (Afghanistan)। ২০২১ সালে তালিবানের (Taliban) কাবুল দখলের পর থেকে ক্রমশই খারাপ হয়েছে পরিস্থিতি। এই অবস্থায় আফগানিস্তানের (Afghanistan) পাশে দাঁড়াল নয়াদিল্লি। পাকিস্তানকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আফগানিস্তানকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল ভারত। মঙ্গলবার দিল্লিতে পাঁচ দেশের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে ২০ হাজার মেট্রিক টন গম পাঠানো হবে। তবে পাকিস্তান হয়ে নয়, এই গম যাবে ইরানের চাবাহার বন্দর দিয়ে। এর পাশাপাশি সেদেশের মহিলা ও সংখ্যালঘু-সহ সমস্ত মানুষের অধিকার রক্ষা করতে রাজনৈতিক পরিকাঠামোর উন্নতির দাবিও জানিয়েছে নয়াদিল্লি।

    তালিবান দখলের পর ভারতের সহায়তা

    ২০২০ সালে, ভারত আফগানিস্তানে ৭৫,০০০ মেট্রিক টন গম পাঠানোর জন্য চাবাহার বন্দর ব্যবহার করেছিল। এরপর এবারে ফের ইরানের বন্দর ব্যবহার করে আফগানিস্তানে পাঠাতে চলেছে গম। একটি সরকারী বিবৃতি অনুসারে, আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য চাবাহার বন্দরের মাধ্যমে “আফগান জনগণের” জন্য ২০ হাজার মেট্রিক টন গম বিতরণের জন্য জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (UNWFP) সঙ্গে অংশীদারিত্ব ঘোষণা করেছে ভারত।

    মঙ্গলবার কাজাখস্তান, কিরঘিজস্তান, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান এবং তুর্কমেনিস্তানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে ভারত। ভারত-মধ্য এশিয়ার যৌথ ওই বৈঠকেই নয়াদিল্লি ঘোষণা করে ভারতের তরফে ২০ হাজার মেট্রিক টন গম পাঠানো হবে আফগানিস্তানে। সেই সঙ্গেই আফগানিস্তানের প্রশাসনের আরও উন্নতি ঘটানোরও ডাক দিয়েছে ভারত। এর পাশাপাশি ভারত জোর দিয়েছে কোনওভাবেই যেন আফগানিস্তানকে জঙ্গিদের আশ্রয়, প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা কিংবা অন্য কোনও রকম কাজে ব্যবহার না করা হয়।

    পাকিস্তান হয়ে কেন পাঠানো হচ্ছে না গম?

    এর আগে পাকিস্তান হয়ে আফগানিস্তানে ত্রাণ পাঠাতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় ভারতকে। শোনা যায়, হাজার হাজার কেজি গম চুরি করছে পাকিস্তান। ভারত থেকে গম বোঝাই ট্রাকগুলি পাকিস্তান হয়ে আফগানিস্তানে প্রবেশ করে। কিন্তু নির্দেশ মত সেখানে গমের বস্তা না নামিয়ে ফেরার পথে অবৈধভাবে পাকিস্তানে প্রবেশ করে সেগুলি। আর সেখান থেকেই গম চুরি করে পাকিস্তান। পাকিস্তানের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে। দেশটিতে খাদ্যসামগ্রী ও জ্বালানির দাম আকাশছোঁয়া। এই পরিস্থিতিতে ভারতের গম চুরি করছে দেশটি। এই খবর নয়াদিল্লির কাছেও পৌঁছেছিল।  তাই এবার পাকিস্তান হয়ে না গিয়ে ইরানের চাবাহার বন্দর দিয়ে আফগানিস্তানে গম পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।

    ভারতের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে তালিবানরা

    ভারত সেদেশের জনগণের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় তালিবানরা এর প্রশংসা করেছে। তালিবানের মুখপাত্র সুহেল শাহীন বলেছেন, “চাবাহার বন্দরের মাধ্যমে আফগান জনগণের জন্য ২০,০০০ মেট্রিক টন গম সরবরাহের জন্য আমরা এর প্রশংসা করি। এই ধরনের মানবিক পদক্ষেপ দুই দেশের মধ্যে আস্থা বাড়ায় যা পারস্পরিক ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তুলবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India-Sri Lanka: দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি! অর্থনৈতিক লেনদেনে ভারতীয় মুদ্রা ব্যবহার করতে চলেছে শ্রীলঙ্কা

    India-Sri Lanka: দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি! অর্থনৈতিক লেনদেনে ভারতীয় মুদ্রা ব্যবহার করতে চলেছে শ্রীলঙ্কা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অর্থনৈতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে ভারতীয় মুদ্রা ব্যবহার করবে শ্রীলঙ্কা (India-Sri Lanka)। বিষয়টি এখন চূড়ান্ত হওয়ার পথে। শ্রীলঙ্কায় থাকা ভারতীয় হাইকমিশন থেকে জানানো হয়েছে, ভারতের মুদ্রা দিয়ে কীভাবে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য হবে তা নিয়ে ভারত ও শ্রীলঙ্কার ব্যাংকগুলোর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এই প্রস্তাবের পক্ষে মত দিয়েছেন শ্রীলঙ্কার অর্থমন্ত্রী শেহান সেমাসিংহে। 

    প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পাশে ভারত

    প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সাহায্যে ভারত চিরকাল এগিয়ে এসেছে। গত বছর যখন শ্রীলঙ্কা চরম অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে ছিল তখন ভারত খাদ্য, ওষুধ এবং জ্বালানীর জরুরি ক্রয়ের জন্য মুদ্রার অদলবদল এবং ক্রেডিট লাইন সহ প্রায় 4 বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনৈতিক সহায়তা করে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে কলম্বোকে 2.9 বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেলআউট প্যাকেজ পেতেও সাহয্য করে নয়া দিল্লি। এই প্যাকেজের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-কে গ্যারান্টি প্রদান করে ভারত। এবার নতুন করে শক্তিশালী ও ঘনিষ্ঠ অংশীদারত্ব গড়ে তোলার কথা ভাবছে দুদেশ।

    হাইকমিশনের তরফে জানানো হয়, ভারত ও শ্রীলঙ্কার (India-Sri Lanka) মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য কিংবা অর্থনৈতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে ভারতীয় রুপির ব্যবহার নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে দুই দেশ। বাণিজ্য ও বিনিয়োগনির্ভর এই পদক্ষেপ দুদেশের মাঝে শক্তিশালী ও ঘনিষ্ঠ অংশীদারত্ব গড়ে তুলতে সাহায্য করবে বলে মনে করছেন উভয় দেশের কর্মকর্তারা। 

    আরও পড়ুুন: কাটল জট, অনুব্রতকে নিয়ে কলকাতার পথে আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ

    শ্রীলঙ্কার ভারতীয় হাইকমিশন (India-Sri Lanka) এক বিবৃতিতে জানায়, ব্যাংক অব সিলন, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিয়ান ব্যাংকের প্রতিনিধিরা এক বৈঠকে নিজেদের মধ্যে ভারতীয় রুপি ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করেছেন। বৈঠকে ভারতীয় রুপি ব্যবহারের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি সংক্ষিপ্ত সময়ে লেনদেন, তুলনামূলক কম বিনিময় ব্যয় ও বাণিজ্যিক ঋণ প্রাপ্তির মতো বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়। এ বিষয়ে দুদেশের কর্মকর্তারা আরও জানান, উভয় দেশের (India-Sri Lanka) মধ্যে ভারতীয় রুপির ব্যবহার শুরু হলে তা পর্যটন শিল্পের ওপর গুরুত্বপূর্ণ ইতিবাচক ভূমিকা নেবে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে ব্রিটিশরা, বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে ব্রিটিশরা, বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India) শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে ব্রিটিশরা। রবিবার এ কথা বলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। কার্নালের একটি মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন ভাগবত। সেখানেই ভাষণ দিতে গিয়ে সরসংঘ চালক বলেন, ব্রিটিশ শাসনের আগে ভারতীয় জনসংখ্যার ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষ শিক্ষিত ছিলেন। সেই সময় কেউ বেকার থাকতেন না। সেই সমাজে শ্রেণি এবং রংয়ের ভিত্তিতে বৈষম্য ছিল না।

    মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন…

    ভাগবত বলেন, সেই সময় আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছিল যাতে মানুষ আত্ম নির্ভরশীল হয়ে ওঠেন। কিন্তু ব্রিটিশরা আমাদের দেশে ইংল্যান্ডের শিক্ষা ব্যবস্থা চাপিয়ে দিয়েছিল। এবং এভাবেই তারা আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। সরসংঘ চালক বলেন, আমাদের তৎকালীন শিক্ষা ব্যবস্থা কেবল মাত্র চাকরির জন্য ছিল না, ছিল জ্ঞানের মাধ্যমও। সেই সময় শিক্ষা ছিল সস্তা। প্রত্যেকের নাগালের মধ্যে ছিল। তাই সমাজই বহন করত শিক্ষার খরচ। স্কলার, শিল্পী এবং কারিগর, যাঁরা শিক্ষিত হতেন, তাঁদের পরিচিত ছিল বিশ্বজনীন। শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর যে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া জরুরি, এদিন তাও বুঝিয়ে দেন আরএসএস প্রধান (Mohan Bhagwat)। তিনি শিক্ষার পাশাপাশি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপরও জোর দেন।

    আরও পড়ুুন: ‘নো ভোট টু তৃণমূল বললে এই দিন দেখতে হত না’, অধীরকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    এদিন আত্ম মনোহর মুনি আশ্রম কর্তৃপক্ষের ভূয়সী প্রশংসা করেন ভাগবত। এই আশ্রম কর্তৃপক্ষ সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে হাসপাতাল তৈরি করছেন। সরসংঘ চালক বলেন, আমাদের দেশের সব চেয়ে বড় প্রয়োজন হল সবার জন্য শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। কারণ এই দুটি ক্রমেই খরচ সাপেক্ষ হয়ে উঠছে। তিনি বলেন, সস্তায় যাতে মানুষ শিক্ষা ও চিকিৎসার সুযোগ পান, তার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। সরসংঘ চালক বলেন, আমরা তাঁরা নই, যাঁরা কেবল নিজের জন্য বাঁচেন। আমাদের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যই হল সর্বজন হিতায়, সর্বজন সুখায়। তিনি বলেন, সমাজের বাঁধনটাকে শক্ত করতে হবে, যাতে মানুষ দেশের ভাল জিনিসগুলি দেখতে পায়। মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, আমরা যদি সুখী হতে চাই, তাহলে আগে সমাজকে সুখী করতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Bill Gates: ‘ভারত সফরের অন্যতম সেরা অংশ মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ’, বললেন বিল গেটস

    Bill Gates: ‘ভারত সফরের অন্যতম সেরা অংশ মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ’, বললেন বিল গেটস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত (India) সম্পর্কে আমি আগের চেয়েও বেশি আশাবাদী। শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে বৈঠকের পর কথাগুলি বললেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস (Bill Gates)। চলতি সপ্তাহেই ভারত সফরে এসেছিলেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎও করেন। বিল গেটস জানান, ভারত সফরের অন্যতম সেরা অংশ ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ। তিনি জানান, বিজ্ঞান থেকে শুরু করে উদ্ভাবন, বিশ্বে অসাম্য কমাতে কী কী বিষয়ে সাহায্য করতে পারে ভারত, তা নিয়েই আলোচনা করেছেন তাঁরা।

    বিল গেটস (Bill Gates)…

    মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা (Bill Gates) তাঁর ব্লগে জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে উদ্ভাবনী কাজ, জলবায়ু পরিবর্তন, আসন্ন জি-২০ শীর্ষ বৈঠক সহ নানা বিষয়ে মোদির সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। তিনি লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতে স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নে উদ্ভাবনী দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন। করোনা অতিমারি পর্বে বিল গেটসের সংস্থা গেটস ফাউন্ডেশন ভারতে ভ্যাকসিন পাঠিয়েছিল। সেই ভ্যাকসিন সংরক্ষণ ও সদ্ব্যবহারের ক্ষেত্রে মোদি সরকার দক্ষতা দেখিয়েছে বলেও জানান মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি লিখেছেন, জীবন রক্ষার সরঞ্জাম তৈরির পাশাপাশি, ভারত সেগুলি সরবরাহের ক্ষেত্রেও উৎকর্ষ দেখাতে পেরেছে।

    বিল গেটসের মুখে এদিন ছিল কেবলই মোদি-স্তুতি। তিনি বলেন, করোনা অতিমারির কারণে গত তিন বছর আমি খুব একটা কোথাও যাইনি। তবে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও আমি নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছিলাম। বিশেষ করে করোনা টিকা তৈরি ও ভারতের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়। মাইক্রোসফটের কর্ণধার বলেন, সুরক্ষিত, কার্যকরী ও সস্তায় ভ্যাকসিন তৈরি করার অসাধারণ দক্ষতা রয়েছে ভারতের। এর মধ্যে বেশ কিছু ভ্যাকসিন তৈরিতে গেটস ফাউন্ডেশন সহায়তা করেছে। করোনাকালে ভারতে তৈরি ভ্যাকসিন লক্ষাধিক মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে এবং বিশ্বে অন্যান্য রোগ ছড়িয়ে পড়া থেকে প্রতিরোধেও সাহায্য করেছে।

    আরও পড়ুুন: ‘পাকিস্তানের নীতির কারণেই হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে’, রাষ্ট্রসংঘে জানাল ভারত

    করোনা অতিমারি পর্বে টিকাকরণের জন্য কো-উইন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। মোদির এই উদ্যোগের ভূসয়ী প্রশংসা করে মাইক্রোসফট কর্ণধার (Bill Gates) বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদির বিশ্বাস ছিল কো-উইন বিশ্বের জন্য মডেল হয়ে উঠবে। ওঁর চিন্তা-ভাবনার সঙ্গে আমি সম্পূর্ণ সহমত। অতিমারি পর্বে ভারতের ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার উন্নতি ও গতিশক্তি প্রোগ্রামের প্রশংসাও করেন বিল গেটস। মাইক্রোসফটের কর্ণধার বলেন, বহু বছর ধরে আমরা জলবায়ু নিয়ে কাজ করছি। মিশন ইনোভেশনে ভারতও গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। ২০১৫ সালে আমরা এই উদ্যোগ শুরু করেছিলাম ক্লিন এনার্জির প্রচারের জন্য। আশা করছি, আগামিদিনেও আমরা এক সঙ্গে কাজ করব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     
  • Sri Lanka Economic Crisis: ‘ভারত সর্ব শ্রেষ্ঠ’, দৃপ্ত ঘোষণা শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী আলি স্যাব্রির

    Sri Lanka Economic Crisis: ‘ভারত সর্ব শ্রেষ্ঠ’, দৃপ্ত ঘোষণা শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী আলি স্যাব্রির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত (India) সর্ব শ্রেষ্ঠ। শুক্রবার এই ভাষায়ই ভারত-প্রশস্তি গাইল দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। দুর্দিনে (Sri Lanka Economic Crisis) কলম্বোর পাশে দাঁড়ানোয় ভারতের প্রশংসা করলেন সে দেশের বিদেশমন্ত্রী এমইউএম আলি স্যাব্রি। বিপদের দিনে শ্রীলঙ্কার পাশে দাঁড়ানো এবং সে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ভারতের অবদানের জন্য নয়াদিল্লিকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে, বিশ্বের সব দেশ মিলে শ্রীলঙ্কাকে যে পরিমাণ সাহায্য করেছে তার চেয়েও ঢের বেশি করেছে ভারত। আলি স্যাব্রি বলেন, আমাদের স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনতে এবং ঘুরে দাঁড়াতে যারা সাহায্য করেছে, তাদের মধ্যে সর্ব শ্রেষ্ঠ হল ভারত। তিনি বলেন, ভারত আমাদের জন্য যা করেছে, তা অন্য সব দেশের সাহায্যের তুলনায় ঢের বেশি। ভারতের ৩.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্য আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সাহায্য করেছে। ভারতের কাছে আমরা খুবই কৃতজ্ঞ।

    শ্রীলঙ্কার দুর্দিন (Sri Lanka Economic Crisis)…

    শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka Economic Crisis) মুখে ভারত-প্রশস্তি অবশ্য এই প্রথম নয়, সপ্তাহ তিনেক আগেও আলি স্যাব্রি ভারতের ব্যাপক প্রশংসা করেছিলেন। সেই সময় ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সে দেশে ছিলেন। মালদ্বীপ সফর সেরে তিনি গিয়েছিলেন কলম্বো। সেখানকার রাষ্ট্রপতি রনীল বিক্রমসিংহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জয়শঙ্কর। দেখা করেন সে দেশের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গেও। তখনই শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী আলি স্যাব্রি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এটা বললে অতিরঞ্জিত হবে না যে ভারতের ব্যাপক সাহায্য আমাদের কিছুটা আর্থিক স্থিরতা দিতে পেরেছে।

    আরও পড়ুুন: নাম না করে চিনকে কড়া বার্তা কোয়াড গোষ্ঠীর, কেন জানেন?

    শুক্রবার শ্রীলঙ্কার বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতি (Sri Lanka Economic Crisis) সম্পর্কেও জানান আলি স্যাব্রি। তিনি বলেন, বর্তমানে শ্রীলঙ্কায় মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে। দেশীয় মুদ্রার মূল্যমানেও স্থিরতা এসেছে। আলি স্যাব্রি বলেন, গত মে-জুন মাসে দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়ার পর অনেকটা সময় পেরিয়ে এসেছে শ্রীলঙ্কা। আমাদের মুদ্রাস্ফীতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে। দেশীয় মুদ্রাও স্থিতিশীল। ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পর্যটন শিল্প। তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কা ঋণ হিসেবে নেওয়া অর্থ ফেরত দিতেও শুরু করেছে। তিনি বলেন, আমরা ক্রমেই স্থিতাবস্থার দিকে এগোচ্ছি। আশা করি, এই মাসের শেষেই আইএমএফের ইএফএফ প্রোগ্রাম শেষ হয়ে যাবে। তিনি বলেন, তাই আমার মনে হয়, আমরা এবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Anthony Albanese: ভারত সফরে আসছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী, অংশ নেবেন রংয়ের উৎসবে?

    Anthony Albanese: ভারত সফরে আসছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী, অংশ নেবেন রংয়ের উৎসবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসেই তিনদিনের ভারত (India) সফরে আসছেন অস্ট্রেলিয়ার (Australia) প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানেজ (Anthony Albanese)। ভারত-অস্ট্রেলিয়া অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও বাণিজ্য চুক্তি করতেই মূলত নয়াদিল্লি আসছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করবেন আলবানেজ। ভারত-অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্ক সুদৃঢ় করতেই এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আহ্বানেই ভারতে আসছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী। তিনি একা নন, অ্যান্টনি আলবানেজের সঙ্গে ভারতে আসছেন সেনেটর ডন ফ্যারেল, বাণিজ্য ও পর্যটন মন্ত্রী এবং মিনিস্টার ফর রিসোর্স অ্যান্ড নর্দান অস্ট্রেলিয় ম্যাডেলাইন কিং। তাঁদের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া প্রশাসনের কয়েকজন প্রবীণ আধিকারিক ও পদস্থ বাণিজ্য প্রতিনিধিও আসবেন।

    অ্যান্টনি আলবানেজ (Anthony Albanese)…

    ২০২২ সালের মে মাসে স্কট মরিসনকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর মসনদে বসেছেন অ্যান্টনি আলবানেজ (Anthony Albanese)। ভারতের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্ক যথেষ্টই মধুর। সেই কারণেই গত শনিবার বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ক্যানবেরায় গিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে। জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকের পরেই ট্যুইট-বার্তায় এ মাসে নয়াদিল্লি সফরে আসার কথা জানান আলবানেজ। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এটাই আলবানেজের প্রথম ভারত সফর। ৮ মার্চ আমেদাবাদে এসে পৌঁছবেন তিনি। এই দিনেই পড়েছে হোলি। রংয়ের উৎসবেও অংশ নিতে পারেন আলবানেজ। পরের দিন দিল্লি আসার আগে তিনি ঘুরে দেখবেন মুম্বই।

    আরও পড়ুুন: নাম না করে চিনকে কড়া বার্তা কোয়াড গোষ্ঠীর, কেন জানেন?

    চলতি সফরে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী (Anthony Albanese) সাক্ষাৎ করবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে। দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় এবং বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়েও আলোচনা করবেন তাঁরা। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, মোদি এবং আলবানেজ বার্ষিক সম্মেলনেও যোগ দেবেন। ভারত অস্ট্রেলিয়া কম্প্রিহেনসিভ স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ নিয়েও আলোচনা হবে। আলোচনা হবে আঞ্চলিক ও বিশ্বজনীন নানা বিষয়েও। আমেদাবাদে হবে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির চতুর্থ টেস্ট ম্যাচ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বসে ওই ম্যাচ দেখবেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী। বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সফরে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক ও পর্যটন ভিত্তিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। অস্ট্রেলিয়ায় থাকা ভারতীয় হিন্দুদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়েও কথা হবে দুই দেশের মধ্যে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

     

  • QUAD: নাম না করে চিনকে কড়া বার্তা কোয়াড গোষ্ঠীর, কেন জানেন?

    QUAD: নাম না করে চিনকে কড়া বার্তা কোয়াড গোষ্ঠীর, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-প্রশান্ত (Indo-Pacific) মহাসাগরীয় অঞ্চলে ক্রমেই পাকাপোক্ত ঘাঁটি গাড়ছে চিন (China)। কৃত্রিম দ্বীপে ইতিমধ্যেই সামরিক ঘাঁটি তৈরি করে ফেলেছে ড্রাগনের দেশ। যার জেরে বিপন্ন মুক্ত বাণিজ্য পথ। এর আগে ওই অঞ্চলে নজরদারি জাহাজ মোতায়েন করেছিল বেজিং। যদিও তাদের দাবি, ওই এলাকায় মোতায়েন করা জাহাজটি লাগানো হচ্ছে গবেষণার কাজে। জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করে সামরিক ঘাঁটি তৈরি করেছে চিন। এমতাবস্থায় নাম না করে চিনকে কড়া বার্তা দিল কোয়াড (QUAD) গোষ্ঠী।

    কোয়াড (QUAD)…

    ভারত (India), জাপান, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া মিলে গঠিত হয়েছে কোয়াড্রিল্যাটারাল সিকিউরিটি ডায়ালগ, সংক্ষেপে কোয়াড। চলতি বছর জি-২০ সম্মেলন হচ্ছে ভারতে। সেই উপলক্ষে এসেছেন বিভিন্ন দেশের বিদেশমন্ত্রীরা। শুক্রবার সেই বৈঠকের ফাঁকে আলোচনায় বসেন কোয়াডের বিদেশমন্ত্রীরা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, জাপানের বিদেশমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশি, অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী পেনি ওং এবং মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। যৌথ এক বিবৃতিতে কোয়াডভুক্ত দেশগুলি সাফ জানিয়েছে, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের স্বাধীনতা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর কোয়াড।

    আরও পড়ুুন: লোকসভা ভোটে একলা চলার সিদ্ধান্ত মমতার, কারণ কি জানেন?

    বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে আমরা সমর্থন করি। আমরা (কোয়াডভুক্ত দেশগুলি) ইন্ডিয়ান ওসান রিম অ্যাসোসিয়েশনের সম্পর্ককেও মজবুত করব। এই এলাকার বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ আমরা যৌথভাবে মোকাবিলা করব। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখতে আমরা ইন্ডিয়ান ওসান রিম অ্যাসোসিয়েশনে ভারতের নেতৃত্বকে স্বাগত জানাই। ওই বিবৃতিতেই বলা হয়েছে, ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকা যাতে মুক্ত থাকে সে ব্যাপারে আমরা (কোয়াডভুক্ত দেশগুলি) প্রতিশ্রতিবদ্ধ। আমরা স্বাধীনতার নীতি, আইনের শাসন, সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের ঐক্য এবং বিতর্কিত বিষয়ের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জোরাল সমর্থক। স্থিতাবস্থা নষ্টের যে কোনও প্রচেষ্টার বিরোধিতাও করি আমরা।

    সন্ত্রাসবাদ যে আধুনিক বিশ্বের অন্যতম মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে, এদিন তাও উঠে এসেছে কোয়াড সদস্যভুক্ত দেশগুলির আলোচনায়। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ওয়ার্কিং গ্রুপ গড়তে উদ্যোগী হয়েছে কোয়াডভুক্ত দেশগুলি। মুম্বইয়ের ২৬/১১ হামলায় যাঁদের প্রাণ গিয়েছে তাঁদের মধ্যে কোয়াডভুক্ত দেশেরও বাসিন্দা ছিলেন। এদিন যৌথ বিবৃতিতে কোয়াডভুক্ত দেশগুলি সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এই জাতীয় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ রুখতে ওয়ার্কিং গ্রুপ গড়বে কোয়াড।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

     

  • India Bangladesh: ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে লেনদেনে আসতে চলেছে ‘ডি-ডলারাইজেশন’ পদ্ধতি, কী এটি?

    India Bangladesh: ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে লেনদেনে আসতে চলেছে ‘ডি-ডলারাইজেশন’ পদ্ধতি, কী এটি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি ভারত ও বাংলাদেশ (India Bangladesh) লেনদেনের ক্ষেত্র্রে এক বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। বাংলাদেশ ও ভারত নিজেদের মধ্যে লেনদেনের জন্য বিনিময় মুদ্রা হিসেবে ডলারকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে (De-dollarisation) আলোচনা করছে। গত ২৪-২৫ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ ভারতের শহর বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত জি-২০-তে অর্থমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক গভর্নরদের বৈঠকের ফাঁকে এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। উল্লেখ্য, এই দুই দেশের মধ্যে লেনদেন হয় মার্কিন ডলারে এবং তারপরে তা রুপি বা টাকায় হিসাব করা হয়। এর ফলে উভয়পক্ষেরই কিছু ক্ষতি হয়। ফলে এমন এক ব্যবস্থার পরিকল্পনা করা হচ্ছে, যেখানে এই দুই দেশের মধ্যে লেনদেনের ক্ষেত্রে টাকা প্রথমে ডলারে রূপান্তর করতে হবে না।

    ডি-ডলারাইজেশন কী?

    ধরা যাক, একজন বাংলাদেশি (India Bangladesh) যার ক্রেডিট কার্ড রয়েছে তিনি ভারতে কেনাকাটা করলে রুপির পরিমাণ প্রথমে ডলারে এবং এরপর ডলার থেকে টাকায় রূপান্তরিত হয়। এটিকে ডলারাইজেশন বলা হয়। কিন্তু এই পদ্ধতি সরিয়ে ফেলা বা ডি-ডলারাইজেশন (De-dollarisation) করার কথাই আলোচনা করা হচ্ছে। শুধুমাত্র একটি লেনদেনের জন্য ২ বার ডলার রূপান্তরের কারণে ওই ব্যক্তিকে প্রকৃত রুপি-টাকার বিনিময় হারের চেয়ে বেশি অর্থ দিতে হয়। কিন্তু ডি-ডলারইজেশন হলে বেশি অর্থ দিতে হবে না।

    ভারত ও বাংলাদেশের (India Bangladesh) লেনদেন…

    বাংলাদেশ (India Bangladesh) ব্যাঙ্কের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার এবং ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস এমনই একটি ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছেন, যেখানে লেনদেনের ক্ষেত্রে ডলারে পরিবর্তন করতে হবে না। ফলে ভারতে আসা বাংলাদেশিদের কাছে একটি ডুয়াল কারেন্সি কার্ড থাকবে, যেখানে তাঁরা ভ্রমণের আগে ভারতীয় রুপি যোগ করে নিতে পারবেন। একইভাবে কোনও ভারতীয় বাংলাদেশে ভ্রমণের সময় একইভাবে তাদের কার্ডে টাকা যোগ করে নিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে বিনিময় হার হবে সরাসরি টাকা থেকে রুপি বা রুপি থেকে টাকায়।

    ভারত (India Bangladesh) থেকে পণ্য ও পরিষেবা আমদানির ক্ষেত্রেও একই হিসাব প্রযোজ্য হয়। কিন্তু এই পদ্ধতি অনুসরণ করা হলে খুব কম সময়ের মধ্যেই ব্যবসায়ীরা তাদের মধ্যে লেনদেন সম্পন্ন করতে পারবেন। এছাড়াও বৈঠকে আবদুর রউফ তালুকদার জানান, এই পদ্ধতি চালু করা হলে ভারতকে যে পরিমাণ অর্থ দিতে হয়, তা আর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে দিতে হবে না এবং এর ফলে রিজার্ভের ওপর চাপও কমবে (De-dollarisation)।

    শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা

    গত বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের বৈঠকে এই বিষয়টি (De-dollarisation) নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এটি প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে। ব্যবসায়ীদের এই পদ্ধতিতে বিল পরিশোধের জন্য আরও অপেক্ষা করতে হবে। কারণ এর জন্য এই পদ্ধতিতে বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলোকেও যুক্ত করতে হবে। গভর্নর খুব শীঘ্রই বিষয়টি নিয়ে ব্যাঙ্কগুলোর (India Bangladesh) সঙ্গে আলোচনা করবেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: ‘সম্পর্ক স্বাভাবিক নেই…শান্তিই মূল লক্ষ্য’, চিনা বিদেশমন্ত্রীকে কড়া বার্তা জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘সম্পর্ক স্বাভাবিক নেই…শান্তিই মূল লক্ষ্য’, চিনা বিদেশমন্ত্রীকে কড়া বার্তা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-চিন সম্পর্ক এখনও স্বাভাবিক নয়। ফলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যাতে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরে, সেজন্য দুই দেশকে ‘প্রকৃত সমস্যা’-র সমাধান করতে হবে। নয়াদিল্লিতে চিনের বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাংকে এমনটাই বার্তা দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। জি-২০ বৈঠকের ব্যস্ত সূচির মধ্যেই চিনের বিদেশমন্ত্রী কিন গাংয়ের সঙ্গে সীমান্ত ইস্যুতে আলোচনা করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বা এলএসি নিয়ে আলোচনা করেন। ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক আলোচনা মূলত জি-২০ বৈঠকের ফাঁকেই হয়েছে। ২০১৯ সালের পরে ফের কোনও চিনা বিদেশমন্ত্রী ভারত সফরে এলেন। উল্লেখ্য, ভারত সফরের আগে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতির পক্ষে সওয়াল করেছিলেন গ্যাং।

    কী বললেন বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar)?

    গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় এস জয়শঙ্কর ট্যুইট করে জানান “আজ বিকেলে জি-২০ বৈঠকের ফাঁকে চিনের বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাং-এর সঙ্গে দেখা হয়েছিল। সীমান্ত এলাকায় শান্তি প্রশান্তির পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে বর্তমানে যেসব চ্যালেঞ্জগুলি রয়েছে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়েও কথা হয়েছে।” এদিন সাংবাদিক বৈঠকে জয়শঙ্কর বলেন, “চিনা মন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার পরে এটাই ছিল তাঁর সঙ্গে আমার প্রথম বৈঠক। আমরা সম্ভবত প্রায় ৪৫ মিনিট একে অপরের সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বর্তমান পরিস্থিতিই ছিল আজকের বৈঠকের প্রধান অংশ। জানানো হয়েছে, দু’দেশের মধ্যে আসল সমস্যা নিয়ে খোলাখুলি ভাবে, কোনও জড়তা ছাড়াই আলোচনা করতে হবে। তা না-হলে সম্পর্কে স্বাভাবিকতা ফিরবে না। আমাদের কথাবার্তার মূল লক্ষ্য সীমান্তে শান্তি ফেরানো।” উল্লেখ্য, ডিসেম্বরে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন কিন গ্যাং। তারপর এটাই জয়শঙ্করের (S Jaishankar) সঙ্গে তাঁর প্রথম বৈঠক।

    আরও পড়ুন: প্রয়াত হলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়

    ভারত ও চিন সম্পর্ক

    বার বার শান্তির কথা বলা হলেও ভারত এবং চিনের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন অঞ্চলে গেড়ে বসেছে চিনা ফৌজ। গত আড়াই বছর ধরে ভারতের টহলদারির এলাকাও তারা দখল করে রেখেছে বলে অভিযোগ। ফলে এবারে সীমান্তে শান্তি ফেরানো নিয়ে তিনি গ্যাংয়ের উপরে চাপ তৈরি করেছেন বলে বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, ২০২০ সাল থেকেই ভারত ও চিন সীমান্তে অস্থিরতা দেখা গেছে। চিনা সেনার লাদাখ ও অরুণাচপ্রদেশ সীমান্ত এলাকায় আগ্রাসনের কারণে গালওয়ানের সংঘর্ষও ঘটেছে। মৃত্যু হয়েছিল ভারতীয় সেনার ২০ জন জওয়ানের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই দেশই একাধিক বৈঠক করেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সমাধান সূত্র অধরাই রয়ে গেছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই চলতি বছরে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং অঞ্চলে ফের চিনা আগ্রাসনের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে চিনের কড়া সমালোচনা করেছিল নয়াদিল্লি। এই পরিস্থিতিতে দুই বিদেশমন্ত্রীর বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

    ২০২০ সালের পর অরুণাচল প্রদেশে চিনা আগ্রাসনে পর ভারত-চিন সম্পর্কের অবস্থা স্বাভাবিক নেই, ফলে এবারে বৈঠকে চিনের বিদেশমন্ত্রীকে কড়া বার্তা দিয়ে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) জানিয়ে দিয়েছেন যে, সীমান্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Counterterrorism: সন্ত্রাসবাদ দমনে ভারতের পদক্ষেপ তাৎপর্যপূর্ণ, বলল মার্কিন রিপোর্ট

    Counterterrorism: সন্ত্রাসবাদ দমনে ভারতের পদক্ষেপ তাৎপর্যপূর্ণ, বলল মার্কিন রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে তামাম বিশ্বের মাথাব্যথার কারণ সন্ত্রাসবাদ। এই সন্ত্রাসবাদ (Counterterrorism) দমনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নানা পন্থা অবলম্বন করছে। তবে ভারতের পন্থাটি যে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, তা মেনে নিল আমেরিকার জো বাইডেন (Joe Biden) প্রশাসন। সম্প্রতি কান্ট্রি রিপোর্টস অন টেররিজম ২০২১ : ইন্ডিয়া প্রকাশ করে ইউএস(আমেরিকা) ব্যুরো অফ কাউন্টার-টেররিজম। সেখানেই গাওয়া হয়েছে ভারত (India)-প্রশস্তি। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদীদের সংগঠন চিহ্নিত, চূর্ণবিচূর্ণ করতে তাৎপর্যপূর্ণভাবে ব্যবস্থা নিয়েছে ভারত। শুধু তাই নয়, সন্ত্রাসবাদীদের বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতেও ব্যবস্থা নিয়েছে তারা।

    সন্ত্রাসবাদ বিরোধী (Counterterrorism) পদক্ষেপ…

    রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে জম্মু-কাশ্মীর, উত্তর-পূর্বের কয়েকটি রাজ্য এবং মধ্য ভারতে সন্ত্রাসবাদের (Counterterrorism) বাড়বাড়ন্ত দেখা যায়। লক্সর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদ, হিজবুল মুজাহিদিন, আইএসআইএস, আল কায়দা এবং জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ- এই সব সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী ভারতে সক্রিয় রয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে সন্ত্রাসবাদীরা কৌশল বদলেছে। আগে তারা প্রশাসনের কর্মীদের ওপর হামলা চালালেও, বর্তমানে তারা আক্রমণ করছে সাধারণ মানুষকে। ড্রোনের সাহায্যে তারা হামলা চালিয়েছে ভারতের একটি এয়ার ফোর্স বেসেও। সন্ত্রাসবাদ দমনে ২০২১ সালে ভারত আমেরিকা বৈঠক করে।

    এটি ছিল অষ্টাদশতম বৈঠক। বৈঠক হয়েছে দুই দেশের কাউন্টার টেরটিরজম জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের।ওই বছরেরই নভেম্বর মাসে ভারত অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানের সঙ্গেও যৌথ সামরিক মহড়া দেয়। কান্ট্রি রিপোর্টস অন টেররিজম ২০২১ : ইন্ডিয়া-র রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, আমেরিকার অনুরোধে সন্ত্রাসবাদীদের (Counterterrorism) সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য এবং তদন্তের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে দ্রুত রিপোর্ট দিয়েছে ভারত। আমেরিকায় সন্ত্রাসবাদীদের হামলা হতে পারে এমন খবরও আগাম দিয়েছে ভারত।

    আরও পড়ুুন: পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ সংবিধান ভুলে গিয়েছে! দিনহাটায় পৌঁছেই বিস্ফোরক সুকান্ত

    ওই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, শুধু ২০২১ সালেই জম্মু-কাশ্মীরে ১৫৩টি সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা ঘটেছে। যার জেরে মৃত্যু হয়েছে ২৭৪ জনের। এর মধ্যে সাধারণ মানুষ রয়েছেন ৩৬ জন, নিরাপত্তারক্ষী ৪৫ জন। আর জঙ্গি রয়েছে ১৯৩ জন। উল্লেখযোগ্য আরও একটি জঙ্গি হানার ঘটনা ঘটেছিল মণিপুরে। জঙ্গিদের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন সাতজন। তাঁদের মধ্যে এক ভারতীয় সেনাও ছিলেন। জঙ্গিদের হামলায় নিহত হন তাঁর স্ত্রী এবং নাবালক সন্তানও। রিপোর্টে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদের মূলোৎপাটন করতে জম্মু-কাশ্মীরে ভারতীয় সেনা স্কুল, ট্রেনিং কোর্স, নিয়োগ, মেডিক্যাল ক্যাম্প এবং এমার্জেন্সি সার্ভিসও চালু করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share