Tag: India

India

  • RBI: ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কত জানেন?

    RBI: ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রেপো রেট (Repo rate) বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI)। বুধবার বাড়ানো হয়েছে এই রেট। রেপো রেট বাড়ানো হয়েছে ৩৫ বেসিস পয়েন্ট। বুধবার একথা ঘোষণা করেন আরবিআইয়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। তিনি জানান, এর ফলে রেপো রেট বৃদ্ধির হার গিয়ে দাঁড়াল ৬.২৫ শতাংশে।

    ইএমআই…

    রেপো রেট বাড়ায় গাড়ি বা গৃহঋণে ইএমআই আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বাড়তে পারে অন্যান্য ঋণের ইএমআইও। শক্তিকান্ত দাস জানান, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রেপো রেট বৃদ্ধির বিষয়ে সায় দিয়েছেন মানিটারি পলিসি কমিটির ৬ জনের মধ্যে ৫ জনই। সংখ্যাগরিষ্ঠরাই রেপো রেট বৃদ্ধির পক্ষে সায় দিয়েছেন। এর পরেই বাড়ানো হয় রেপো রেট। এনিয়ে পঞ্চমবার সুদের হার বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।

    নানা কারণে সারা বিশ্বে বাড়ছে আর্থিক অস্থিরতা। এই পরিস্থিতিতে মুদ্রাস্ফীতির মোকাবিলা করতে গিয়ে রেপো রেট বাড়াল ভারতের সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক (RBI)। আর্থিক নীতি কমিটির বৈঠকেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে রেপো রেট বাড়ানো হয়েছিল ৫০ বেসিস পয়েন্ট। যার জেরে বৃদ্ধির হার গিয়ে দাঁড়িয়েছিল ৫.৯ শতাংশে। এবার ফের একপ্রস্ত বাড়ল রেপো রেট। এর আগে মে মাসে রিজার্ভ ব্যঙ্ক রেপো রেট বাড়িয়েছিল ৪০ বেসিস পয়েন্ট। পরে জুনে ফের তা বাড়ে ৫০ বেসিস পয়েন্ট। অগাস্ট এবং সেপ্টেম্বরেও রেপো রেট বেড়েছে ৫০ বেসিস পয়েন্ট করে। এর ফলে বেঞ্চমার্ক ঋণে সুদের হার চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে বেড়েছে ২.২৫ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: দুমাসে দুবার! ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কতটা সমস্যায় মধ্যবিত্ত?

    কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স ভিত্তিক মুদ্রাস্ফীতি, যা আরবিআইয়ের (RBI) বেঞ্চমার্ক ঋণের হার নির্ধারণের সময় গুরুত্ব দেওয়া হয়, গত অক্টোবর মাসে তা ৬.৭ শতাংশে পৌঁছায়। খুচরো মুদ্রাস্ফীতি এ বছরের জানুয়ারি মাস থেকে আরবিআইয়ের কমফর্ট লেভেল থেকে ৬ শতাংশের ওপর রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Jaishankar: ‘রাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিয়ে দু’ রকম কথা বলছে পশ্চিম’, বললেন জয়শঙ্কর

    Jaishankar: ‘রাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিয়ে দু’ রকম কথা বলছে পশ্চিম’, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine War) শুরু হওয়ার পর ভারত (India) মস্কো থেকে যে পরিমাণ জ্বালানি কিনেছে, ইউরোপিয় ইউনিয়নের তেল আমদানির পরিমাণ তার চেয়েও ছ গুণ বেশি। সোমবার সাফ জানিয়ে দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (Jaishankar)। জ্বালানি কেনা নিয়ে পশ্চিমের দেশগুলি দু রকম কথা বলছে বলেও জানান ভারতের বিদেশমন্ত্রী। এদিন তিনি বৈঠক করেন জার্মানির বিদেশমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবকের সঙ্গে। তার পরেই পশ্চিমের দেশগুলির দু রকম কথার প্রসঙ্গ টানেন জয়শঙ্কর।

    পরিসংখ্যান দিয়েও প্রমাণ…

    ভারতের বিদেশমন্ত্রীর এই দাবি যে নেহাতই কথার কথা নয়, এদিন তা পরিসংখ্যান দিয়েও প্রমাণ করে দেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারি ২৪ (এদিনই শুরু হয়েছিল ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ) থেকে নভেম্বরের ১৭ তারিখ পর্যন্ত ইউরোপিয় ইউনিয়ন রাশিয়া থেকে যে জীবাশ্ম জ্বালানি আমদানি করেছে, তা বিশ্বের ১০টি দেশের সম্মিলিত ক্রয় পরিমাণেরও বেশি। এর পরেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী (Jaishankar) বলেন, ভারত রাশিয়া থেকে যে পরিমাণ জ্বালানি আমদানি করেছে, তার ছ গুণ বেশি করেছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন। আমরা গ্যাস আমদানি করি না। তবে তারা কত গ্যাস আমদানি করেছে, তা গুণে বলা যাবে না। তারা প্রায় ৫০ বিলিয়ন ইউরো মূল্যের গ্যাস আমদানি করেছে। জয়শঙ্কর বলেন, রাশিয়া থেকে ভারত যে পরিমাণ কয়লা কিনেছে, ইউরোপিয় ইউনিয়ন কিনেছে তার চেয়েও ৫০ শতাংশ বেশি। জয়শঙ্কর যখন এই পরিসংখ্যান পেশ করছেন, তখন তাঁর পাশে বসেছিলেন জার্মানির বিদেশমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: দেশবাসীর স্বার্থ সুরক্ষিত করা সাংবিধানিক দায়িত্ব! রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে জয়শঙ্কর

    ভারতের বিদেশমন্ত্রী (Jaishankar) বলেন, রাশিয়ার তেল নিয়ে ভারতের বাধ্যবাধকতার দিকটি জার্মানি বুঝেছে। আমি আশা করব ইউরোপের প্রচারমাধ্যমও তা বুঝবে। প্রসঙ্গত, ভারতের বিদেশমন্ত্রী অনেক আগেই একবার বলেছিলেন, ইউরোপ একটি বিকেলে যত তেল রাশিয়া থেকে আমদানি করে, ভারত তা করে গোটা মাসে। এদিন ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, শক্তির উৎস যখন সীমাবদ্ধ, তখন ইউরোপ এক রকম ভাবে চলবে আর ভারতকে অন্য রকম উপদেশ দেবে, এটা হতে পারে না। এদিন দুই দেশের দুই বিদেশমন্ত্রীর মধ্যে ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলি তথা গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • UNSC: রাষ্ট্রসংঘে সংস্কার সাধনে চেষ্টা করবে ভারত, জানালেন রুচিরা কম্বোজ

    UNSC: রাষ্ট্রসংঘে সংস্কার সাধনে চেষ্টা করবে ভারত, জানালেন রুচিরা কম্বোজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবারই ঘানার হাত থেকে রাষ্ট্রসংঘের সভাপতিত্বের রাশ এল ভারতের (India) হাতে। আর শুক্রবারই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ (Ruchira Kamboj) জানিয়ে দিলেন ভারত রাষ্ট্রসংঘে সংস্কার সাধনে চেষ্টা করবে। জোর দেওয়া হবে বিশ্ব সন্ত্রাস দমনে।

    ডিসেম্বর প্রেসিডেন্সি…

    এদিন রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, আমরা ডিসেম্বর প্রেসিডেন্সিতে সেই একই স্পিরিট নিয়ে আসব। আমরা দুটি প্রধান বিষয়ে আলোকপাত করব। একটি হল, উন্নীত বহুপাক্ষিকতার পক্ষে এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলা এবং অন্যটি হল বিশ্ব সন্ত্রাস দমন। কীভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা করা হবে। সন্ত্রাস বিরোধী কমিটি সম্পর্কে বলতে গিয়ে কম্বোজ জানান, অক্টোবরে ভারতে এই কমিটির বিশেষ বৈঠক হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, দিল্লি ঘোষণার সঙ্গে এক মত হয়ে সন্ত্রাস দমন কমিটিও স্বীকার করেছে প্রযুক্তিগত দিক থেকে জঙ্গিরা ক্রমেই উন্নত হচ্ছে। এর বিরুদ্ধেই আমাদের লড়তে হবে।

    আরও পড়ুন: ভারত-চিন সম্পর্কে নাক গলাবেন না, আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি ড্রাগনের দেশের

    সন্ত্রাসবাদই যে এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বের শিরঃপীড়ার কারণ, এদিন তাও মনে করিয়ে দিয়েছে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি। সন্ত্রাসবাদের রক্তচক্ষু গভীর এবং বিশ্বব্যাপী ছড়ানো এর শিকড়। প্রকৃতিগতভাবে এটি ট্রানজিশনাল। এই সন্ত্রাসবাদ দমনে লড়াই করতে হবে সম্মিলিতভাবে। অন্তত এটা এই সময়ের দাবি। রুচিরা কম্বোজ বলেন, ভারত এই কমিটির চেয়ারে রয়েছে। গোটা বিশ্ব যাতে এক যোগে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে, তার চেষ্টা করবে। রুচিরা কম্বোজ বলেন, গত ২২ বছর ধরে বিশ্ব নেতারা রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ((UNSC)) সংস্কার সাধনের কথা বলে আসছেন। কিন্তু আমরা এক ইঞ্চিও নড়িনি। তিনি জানান, ডিসেম্বরের ১৪-১৫ তারিখে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বিশ্ব সন্ত্রাসবাদ দমন শীর্ষক এক বিতর্ক সভায় যোগ দিতে আসছেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

    প্রসঙ্গত, ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য দেশ রয়েছে পাঁচটি। বাকি ১০টি অস্থায়ী সদস্য। ভারত অস্থায়ী সদস্য। তা সত্ত্বেও গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে ভারত উঠে এসেছে বারংবার। আন্তর্জাতিক নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রেও নানা সময় ভারত নিয়েছে নির্ণায়কের ভূমিকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Digital Currency: চালু  হয়ে গিয়েছে ডিজিটাল মুদ্রা, কোথায় কোথায় জানেন?

    Digital Currency: চালু  হয়ে গিয়েছে ডিজিটাল মুদ্রা, কোথায় কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার থেকে দেশে চালু হয়ে গিয়েছে ডিজিটাল মুদ্রা (Digital Currency)। ডিজিটাল মুদ্রা নিয়ে এটি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার পাইলট প্রকল্প। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) এই ডিজিটাল মুদ্রার নাম দেওয়া হয়েছে সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ডিজিটাল কারেন্সি (CBDC)। ভারতের (India) মোট চারটি শহরে চালু হয়েছে এই পাইলট প্রকল্প। এই শহরগুলি হল, মুম্বই, দিল্লি, বেঙ্গালুরু এবং ভুবনেশ্বর।

    সুবিধা মিলবে ব্যাঙ্কে…

    স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, ইয়েস ব্যাঙ্ক এবং আইডিএফসি ফার্স্ট ব্যাঙ্কের মাধ্যমে এই চারটি শহরে হবে ডিজিটাল মুদ্রার লেনদেন। জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্ক থেকে ডিজিটাল মুদ্রা কিনে ওয়ালেট থেকে ওয়ালেটে লেনদেন করা হবে। মনে রাখতে হবে, এই ডিজিটাল মুদ্রা পেটিএম এবং গুগল পে-র মতো মোবাইল ওয়ালেটগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করবে না। প্রসঙ্গত, আপাতত চারটি ব্যাঙ্ক এই পাইলট প্রকল্পে যোগ দিলেও, পরে ধাপে ধাপে ব্যাঙ্ক অফ বরোদা, ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক এবং কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক এই পাইলট প্রকল্পে যোগ দেবে।

    প্রসঙ্গত, এর আগে আরবিআইয়ের তরফে ডিজিটাল মুদ্রায় (Digital Currency) লেনদেনের কোনও ব্যবস্থা ছিল না। এর আগে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল, শুধু মাত্র নির্দিষ্ট কিছু গ্রাহক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে ই-রুপি লেনদেন চালু হবে। সফল হলে পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করা হবে। জানা গিয়েছে, ক্রিপ্টোকারেন্সির মতোই ই রুপি একটি ডিজিটাল টোকেন। তবে ভারতে এই ডিজিটাল রুপিকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হবে। নোট এবং খুচরো কয়েনের সমান দামেই চালু হবে ডিজিটাল রুপি।

    আরও পড়ুন: ভাঙড়ে বোমা কারখানার হদিশ, তৃণমূল না আইএসএফ কারা বানাত?

    জানা গিয়েছে, ডিজিটাল ওয়ালেটের মাধ্যমে গ্রাহকরা ডিজিটাল মুদ্রার লেনদেন করতে পারবেন। শুধু তাই নয়, জমা রাখা যাবে মোবাইলের ওয়ালেটেও। একজন অন্যজনকে এই ডিজিটাল টাকা পাঠাতে পারবেন। পাশাপাশি কেউ এভাবে কোনও ব্যবসায়ীকে টাকা পাঠাতে পারবেন। সেক্ষেত্রে কিউআর কোড স্ক্যান করতে হবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ব্যাঙ্কে নগদ টাকা জমা রাখলে যেমন সুদ পাওয়া যায়, এ ক্ষেত্রে তেমন কোনও সুদ মিলবে না। ব্যাঙ্কগুলি এই ডিজিটাল মুদ্রা (Digital Currency) আমানত রূপেও জমা রাখতে পারবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • DY Chandrachud: মহিলা বিচারপতিদের নিয়ে পৃথক ডিভিশন বেঞ্চ গঠন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির

    DY Chandrachud: মহিলা বিচারপতিদের নিয়ে পৃথক ডিভিশন বেঞ্চ গঠন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  সুপ্রিম কোর্টে ফের ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি। তৃতীয়বারের মতো দেশের শীর্ষ আদালতের ইতিহাসে বৃহস্পতিবার এমন একটি ডিভিশন বেঞ্চ বসল যেখানে সকলেই মহিলা বিচারপতি, অর্থাৎ সম্পূর্ণ মহিলা বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বুধবার বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চ গঠন করেছেন। সুপ্রিম কোর্টে বর্তমানে মাত্র তিনজন মহিলা বিচারপতি রয়েছেন –বিচারপতি কোহলি, বিভি নাগরত্ন এবং বেলা এম ত্রিবেদী। বিচারপতি বিভি নাগরত্ন ২০২৭ সালে দেশের প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি পদ অলংকৃত করবেন।

    আরও পড়ুন: “দেশের সমস্ত নাগরিকদের রক্ষা করব…”, প্রধান বিচারপতি পদে শপথ নিলেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়

    ইতিহাসে মহিলা বিচারপতিদের বেঞ্চ

    এই নিয়ে তিনবার সুপ্রিম কোর্টে মহিলা বিচারপতির ফুল বেঞ্চ (all women bench) বসল।  আদালত সূত্রের খবর, ২০১৩ সালে প্রথম সুপ্রিম কোর্টে মহিলা বিচারপতির বেঞ্চ বসে। বিচারপতি জ্ঞানসুধী মিশ্র এবং বিচারপতি রঞ্জনা প্রকাশ দেশাই তখন বেঞ্চের সদস্য ছিলেন। ২০১৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর বিচারপতি আর ভানুমতী এবং বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহিলা বেঞ্চ বসেছিল। বৃহস্পতিবার বিচারপতি কোহলি এবং বিচারপতি ত্রিবেদির বেঞ্চে ৩২টি বিষয় রয়েছে। তার মধ্যে বিবাহ সংক্রান্ত দশটি এবং জামিন সংক্রান্ত দশটি মামলা আছে। বিচারপতি কোহলির মেয়াদ ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, বিচারপতি ত্রিবেদী জুন, ২০২৫ পর্যন্ত পদে থাকবেন। সবকিছু ঠিক থাকলে বিচারপতি নাগরত্ন ২০২৭ সালে দেশের প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি হতে চলেছেন।

    আরও পড়ুন: ‘গণতন্ত্রে কোনও প্রতিষ্ঠানই একশো শতাংশ ত্রুটিমুক্ত নয়’, বললেন প্রধান বিচারপতি

    ১৯৮৯ সালে প্রথমবারের মতো শীর্ষ আদালতে একজন মহিলা বিচারপতি নিয়োগ করা হয়েছিল। কেরালা হাইকোর্টের বিচারপতি হিসাবে অবসর নেওয়ার পর বিচারপতি এম ফাতিমা বিবি যখন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হন। তাঁর পরে বিচারপতি সুজাতা মনোহর, বিচারপতি রুমা পাল, বিচারপতি জ্ঞান সুধা মিশ্র, বিচারপতি রঞ্জনা প্রকাশ দেশাই, বিচারপতি আর ভানুমতি, বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রা, বিচারপতি ইন্দিরা ব্যানার্জি, বিচারপতি কোহলি, বিচারপতি নাগরত্ন এবং বিচারপতি ত্রিবেদী সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি হন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • INDIA vs NEW ZEALAND:  হতাশাজনক ব্যাটিং! নিউজিল্যান্ডের কাছে একদিনের সিরিজ হারল ভারত

    INDIA vs NEW ZEALAND: হতাশাজনক ব্যাটিং! নিউজিল্যান্ডের কাছে একদিনের সিরিজ হারল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডের কাছে একদিনের সিরিজ হেরে গেল টিম ইন্ডিয়া (India vs New Zealand)। ফল ১-০। তিন ম্যাচের সিরিজে লিড নিয়েছিল কিউইরা। দ্বিতীয় ম্যাচ ভেস্তে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। চাপে পড়ে গিয়েছিলেন শিখর ধাওয়ানের দল। অনেকেই মনে করেছিলেন, বুধবার অকল্যান্ড পার্কে তৃতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা ফেরানোর আপ্রাণ চেষ্টা করবে ভারত।

    ভারতের ব্যাট

    টিম ইন্ডিয়া (India vs New Zealand) প্রথম ব্যাট করে ৪৭.৩ ওভারে মাত্র ২১৯ রানে অলআউট হয়ে যায়। এদিন পুরো ৫০ ওভার খেলতেই পারল না ভারতের বড় বড় ব্যাটসম্যানরা। শুরুটা ভালো হয়নি। ওপেনার ধাওয়ান (২৮) ও শুভমান গিল (১৩) দ্রুত সাজঘরে ফেরেন। শ্রেয়স আইয়ার নিউজিল্যান্ড বোলারদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। তাঁর সংগ্রহ ৪৯। তবে হতাশ করলেন ঋশভ পন্থ। মাত্র ১০ রান করেই মাঠ ছাড়েন তিনি। সূর্য কুমার যাদব (৬), দীপক হুডা (১২) নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। ক্রমাগত উইকেট পতনের ফলে ভারতের রানের গতি মন্থর হয়ে পড়ে। ৬৪ বলে ওয়াশিংটন সুন্দর অনবদ্য ৫১ রান না করলে টিম ইন্ডিয়ার লজ্জা আরও বাড়ত।

    আরও পড়ুন: ঋতুরাজের দুরন্ত পারফরম্যান্স! এক ওভারে সাতটি ছয়ের অনন্য নজির

    সিরিজ জয়ের গন্ধ

    টার্গেট কঠিন না হওয়ায় সিরিজ জয়ের গন্ধ পেয়ে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। শুরুটা বেশ ভালই হয় কিউইদের। ওপেনিং জুটিতে ফিন অ্যালেন ও ডেভন কনওয়ে ৯৭ রান যোগ করে জয়ের আশা জাগিয়ে তোলেন। সব দেখে মনে হচ্ছিল নিউজিল্যান্ডের ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা। ফিন ৫৭ রানে উমরান মালিকের বলে আউট হন। কিউইদের স্কোর যখন ১৮ ওভারে ১ উইকেটে ১০৪ তখন বৃষ্টি শুরু হয়। তারপর আর খেলা চালু করা যায়নি। ম্যাচটি ভেস্তে যায়। নিউজিল্যান্ড ১-০ তে একদিনের সিরিজ জিতে যায়। পরের বছর দেশের মাটিতে হবে ৫০-৫০ বিশ্বকাপ। এই সফর ছিল তারই প্রস্তুতির অঙ্গ। কিন্তু টিম ইন্ডিয়ার হতাশাজনক পারফরম্যান্সে বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে বেশ ধাক্কা লাগল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • India China: ভারত-চিন সম্পর্কে নাক গলাবেন না, আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি ড্রাগনের দেশের

    India China: ভারত-চিন সম্পর্কে নাক গলাবেন না, আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি ড্রাগনের দেশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত চিন (India China) সম্পর্কের মধ্যে যেন নাক না গলান মার্কিন আধিকারিকরা। আমেরিকাকে এই মর্মে সতর্ক করেছে চিন (China)। মঙ্গলবার মার্কিন কংগ্রেসে (Congress) দেওয়া এক রিপোর্টে একথা জানিয়েছে পেন্টাগন। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) বরাবর ভারতের (India) সঙ্গে অচলাবস্থা কাটানোর চেষ্টা করেছিলেন চিনা আধিকারিকরা। সঙ্কটের তীব্রতাও কমিয়ে আনার চেষ্টাও  করেছিলেন তাঁরা। জোর দিয়েছিলেন সীমান্তে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে। ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক অন্যান্য ক্ষেত্র যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেই চেষ্টাও করেছিলেন তাঁরা।

    মার্কিন কংগ্রেসে যে রিপোর্ট…

    অতি সম্প্রতি পেন্টাগন মার্কিন কংগ্রেসে যে রিপোর্ট পাঠিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে ভারত চিন (India China) সীমান্তে কীভাবে উত্তেজনা কমানো যায়, তার চেষ্টা করছে চিন। কারণ ভারতের সঙ্গে ক্রমেই দৃঢ় হচ্ছে আমেরিকার বন্ধন। ওই রিপোর্টে তার পরেই বলা হয়েছে, চিনা আধিকারিকরা মার্কিন আধিকারিকদের এই মর্মে সতর্ক করে দিয়েছেন যে তাঁরা যেন ভারত চিন সম্পর্কে নাক না গলান।

    ভারত চিন (India China) সীমান্ত নিয়ে পেন্টাগন জানিয়েছে, গোটা ২০২১ সাল ধরে চিনা সৈনিকরা সীমান্তে সেনা মোতায়েন করেছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর তারা সেখানে পরিকাঠামোও গড়ে তুলেছে। সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে দুই দেশই চেষ্টাও চালিয়ে গিয়েছে বলে বলা হয়েছে ওই রিপোর্টে।

    আরও পড়ুন: ডোকলামের কাছে এয়ারস্ট্রিপ গড়ছে চিন, কেন জানেন?

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের মে মাস থেকেই লাদাখ সীমান্তে চিন তাদের সেনা সমাবেশ বাড়িয়েছে। সেই বছরই জুন মাসে ভারতীয় সেনার সঙ্গে চিনা সেনার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষও হয়। তার পরেও ওই এলাকায় চিনের সেনা ক্রমেই তাদের নিয়ন্ত্রণ বাড়িয়েছে। বিরোধী নেতাদের অভিযোগ, ভারতের একাধিক পোস্ট চিনা সেনার নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ায় ভারতীয় সেনাকে পিছিয়ে আসতে হয়েছে। এ নিয়ে দু দেশের মধ্যে বেশ কয়েকবার বৈঠক হলেও, সুরাহা হয়নি।

    লাদাখের পাশাপাশি অরুণাচল সীমান্তেও চিন সেতু, সড়ক সহ তৈরি করে পরিকাঠামো মজবুত করছে। আমেরিকা এনিয়ে ভারতকে সতর্কও করেছে একাধিকবার। আমেরিকা মনে করে, চিন যেভাবে ভারতের চারপাশে নিজেদের উপস্থিতি বাড়াচ্ছে, তা নিরাপত্তার পক্ষে উদ্বেগের। পেন্টাগনের ওই রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, ভারত চিন দুই দেশই অন্যের বাহিনী প্রত্যাহার এবং প্রাক-অচলাবস্থায় ফিরে আসার দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু কোনও দেশই তাতে রাজি হয়নি। তাই জটও কাটেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Doklam: ডোকলামের কাছে এয়ারস্ট্রিপ গড়ছে চিন, কেন জানেন?

    Doklam: ডোকলামের কাছে এয়ারস্ট্রিপ গড়ছে চিন, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের খবরের শিরোনামে ডোকলাম (Doklam)! নেপথ্যে সেই ভারতের প্রতিবেশী দেশ চিন। ডোকলামের কাছে ভারত-তিব্বত-ভুটানের ট্রাই জংশন এলাকায় প্রচুর পরিমাণ পরিকাঠামো গড়ে তুলেছে ড্রাগনের দেশ। জানা গিয়েছে, শি জিনপিংয়ের দেশ ওই এলাকায় একটি এয়ারস্ট্রিপও তৈরি করছে। ঘটনার জেরে ফের একবার উত্তেজনা দেখা দিয়েছে ভারত (India)-চিন (China) সীমান্তে।

    ডোকলাম…

    যদিও ডোকলাম প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার অংশ নয়, তবুও ভুটানের (Bhutan) সঙ্গে এই এলাকার সরাসরি সীমান্ত রয়েছে। প্রত্যাশিতভাবেই এই এলাকায় ড্রাগনের দেশ পরিকাঠামো গড়ে তোলায় ক্ষুব্ধ ভারত। এক সিনিয়র নিরাপত্তা আধিকারিক বলেন, চিন প্রথমে ওই এলাকায় গ্রাম গড়ল। ওই জায়গায় বসতি গড়ে তুলতে লোকজন আনল। অথচ এক সময় এই এলাকায় কোনও বসতি ছিল না। এখন ভারত-তিব্বত-ভুটানের ট্রাই জংশন এলাকায় প্রচুর মানুষের বসতি গড়ে উঠেছে। তিনি বলেন, আমরা এটাও দেখেছি, ওই এলাকায় একটি এয়ারস্ট্রিপ গড়ে তোলার কাজও চলছে। ডোকলাম (Doklam) থেকে ওই এলাকার দূরত্ব সামান্যই। যদিও তিনি বলেননি ঠিক কতদূরে ওই এয়ারস্ট্রিপ গড়ে তুলছে চিন। ওই নিরাপত্তা আধিকারিক বলেন, এটা আমরা গোয়েন্দা সূত্রে জেনেছি। তিনি বলেন, এক কিলোমিটার হতে পারে কিংবা তারও কিছু কম।

    আরও পড়ুন: “সন্ত্রাসবাদে মদত দিলে মূল্য চোকাতেই হবে”, নাম না করে চিন-পাকিস্তানকে নিশানা মোদির

    ডোকলামে (Doklam) যে চিন পরিকাঠামো গড়ে তুলেছে, তা স্বীকারও করেছেন এক চিনা আধিকারিক। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছেই যে ওই পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে, তাও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, একটা অংশ গড়ে তোলা হচ্ছে দেশের ‘ভূখণ্ডে’। তিনি এও জানান, শি জিনপিংয়ে বিকাশ নীতি রূপায়ণ করতেই এসব করা হচ্ছে। চাইনিজ স্টেট কাউন্সিলের ডেপুটি ডিরেক্টর লি জিয়াওজুনও সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেন, একই সময়ে আমি মেনে নিচ্ছি, এই সমস্ত পরিকাঠামো ব্যবহার করা হতে পারে মিলিটারি পারপাসে।

    ডোকলামে (Doklam) চিনের এই উদ্যোগের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। তবে তাতে বিশেষ কাজ হয়নি, তার প্রমাণ চিনের ক্রমাগত পরিকাঠামো তৈরির কাজ চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা। লি বলেন, গত দশ বছর ধরে ওই এলাকায় পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে। তিনি বলেন, এটা আমাদের দারিদ্র দূরীকরণ কর্মসূচির অংশ। তবে আমি এও স্বীকার করি, এর উদ্দেশ্য দুটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Rishi Sunak: ভারতের সঙ্গে নয়া মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের পথে ব্রিটেন?

    Rishi Sunak: ভারতের সঙ্গে নয়া মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের পথে ব্রিটেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের অর্থনীতি শক্তপোক্ত করতে ভারতের সঙ্গে নয়া মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (FTA) ওপর জোর দিলেন ব্রিটেনের (Britain) নয়া প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে দু দেশের মধ্যে বৈঠক হয় চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে। তার পর একাধিকবার বৈঠক হয়েছে দু দেশের মধ্যে। ঠিক ছিল, দীপাবলির আগেই ভারত ও ব্রিটেন দুই দেশ স্বাক্ষর করবে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে। তবে দীপাবলির ঠিক আগে আগেই প্রধানমন্ত্রী পদ নিয়ে ব্রিটেনের টালমাটাল পরিস্থিতির কারণে পিছিয়ে যায় চুক্তি স্বাক্ষর।

    ঋষি উবাচ…

    সম্প্রতি লন্ডনের গিল্ডহলে লর্ড মেয়রস বাঙ্কোয়েটে এক সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক (Rishi Sunak) বলেন, ২০৫০ সালের মধ্যে ইন্দো-প্যাসিফিক গ্লোবাল গ্রোথের অর্ধেকটা সরবরাহ করবে। আর ইউরোপ এবং আমেরিকা মিলিয়ে ভর্তি করবে মাত্র কোয়ার্টার। তিনি বলেন, সেই কারণে আমরা ট্রান্স-প্যাসিফিক ট্রেড ডিলে যোগ দিতে চাইছি। এর পরেই ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে নয়া মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করতে চলেছি। একই কাজ করতে চলেছি ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গেও। ব্রিটেনের সঙ্গে চিনের যে সুবর্ণ যুগ ছিল, তা আপাতত অতীত বলেও জানান ঋষি সুনক। চিন যেহেতু ব্রিটেনের মূল্যবোধ এবং স্বার্থের কাছে ক্রমেই একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে, তাই ব্রিটেন চিনের দিক থেকে সরে আসবে বলেও জানান তিনি।

    আরও পড়ুন: ঋষিকে শুভেচ্ছা ফোন, মুক্ত বাণিজ্য নিয়েও বার্তা মোদির

    চিনে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলেও মনে করেন ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। তিনি বলেন, চিনে ক্রমেই লঙ্খিত হচ্ছে মানবাধিকার। এর পরেই ঋষি সুনক বলেন, এটা পরিষ্কার করে দিতে চাই যে চিনের সঙ্গে ব্রিটেনের যে সুবর্ণ যুগ ছিল, তা এখন অতীত। আমাদের নয়া ধারণা হল, বাণিজ্য দিয়ে সামাজিক এবং রাজনৈতিক সংস্কার। তিনি বলেন, চিন ক্রমেই আমাদের মূল্যবোধ এবং স্বার্থের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে।

    ব্রিটেন যে ইউক্রেনের পক্ষে, এদিন তা আরও একবার জানিয়ে দিলেন ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী (Rishi Sunak)। তিনি বলেন, ব্রিটেন যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনের পাশে রয়েছে। চিনে লকডাউন নিয়ে বিক্ষোভের ঘটনা ক্রমশ বাড়তে থাকায় উদ্বেগও প্রকাশ করেন ঋষি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Sukanta Majumdar: ‘মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির কাছে সারেন্ডার করেছেন’, বললেন সুকান্তও

    Sukanta Majumdar: ‘মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির কাছে সারেন্ডার করেছেন’, বললেন সুকান্তও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী (CM) বিজেপির (BJP) কাছে সারেন্ডার করেছেন। রবিবার এ কথা বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) মন কি বাত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বোলপুরের কাছারিপট্টিতে গিয়েছিলেন সুকান্ত। ওই অনুষ্ঠানে হাজির থাকার কথা ছিল বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তীরও। তবে অসুবিধা থাকায় মিঠুন হাজির হতে পারেননি। যোগ দিয়েছিলেন সুকান্ত। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    সংবিধান দিবস…

    শনিবার দেশজুড়ে পালিত হয় সংবিধান দিবস। তার আগের দিন বিধানসভায় এই উপলক্ষে হয় অনুষ্ঠান। বক্তৃতা দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। পরে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে চায়ের নেমতন্ন করেন। তিন বিধায়ককে নিয়ে শুভেন্দু মুখ্যমন্ত্রীর ঘরেও যান। মমতা-শুভেন্দুর এই সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির কাছে সারেন্ডার করেছেন। বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে দিল্লি যাবেন বলেছিলেন মমতা। সে প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, কোনও সরকারি অনুষ্ঠানে বিজেপি বিধায়কদের ডাকা হয় না। এখন মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে দিল্লি যাব। সুকান্ত বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকে খত দিয়েছেন!

    আরও পড়ুন: ‘বাংলায় আল্ট্রা ইমার্জেন্সি পরিস্থিতি’, রাজ্য সরকারকে ট্যুইট-বাণ শুভেন্দুর

    শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি যাওয়ার কথা তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তা নিয়ে রাজ্যে শুরু হয়েছে নয়া জল্পনা। এদিন সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর ভাই তৃণমূলের সাংসদ। তিনি তাঁর দলের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ করেছেন। সুকান্ত বলেন, আমরা থার্ড পার্টি। আমরা কী বলব এতে? তিনি বলেন, এটা দলের বিষয় নয়। এদিন পৌষমেলা নিয়েও দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, দু বছর পৌষমেলা বন্ধ ছিল। বিজেপির ঘোষিত স্ট্যান্ড পৌষমেলা আগের মতোই হোক। আমরা বোলপুরের মানুষের সঙ্গে আছি। তিনি বলেন, প্রয়োজনে তাঁদের সঙ্গে রাস্তায় নেমে লড়াই করব।

    রবিবার সুকান্ত (Sukanta Majumdar) যা বললেন, শনিবার তার নান্দীমুখের কাজটি করে রেখেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। মুখ্যমন্ত্রীর সৌজন্যের রাজনীতি এক পাশে সরিয়ে রেখে ঠাকুরবাড়ির জনসভায় শুভেন্দু বলেন, নন্দীগ্রামে ওঁকে হারিয়েছি। গণতান্ত্রিক উপায়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বানাব। রবিবার মন কি বাতের সময় শুভেন্দু উপস্থিত ছিলেন নন্দীগ্রামে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share