Tag: India

India

  • India: জনসংখ্যার কারণে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদ পেতে পারে ভারত

    India: জনসংখ্যার কারণে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদ পেতে পারে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বছরই বিশ্বের সব থেকে জনবহুল (Most Populous) দেশ হতে চলেছে ভারত। গতকাল এমনই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ। জনসংখ্যার নিরিখে চিনকেও ছাড়িয়ে যাবে দেশ। ভারতের (India) জনসংখ্যার এই ব্যাপক বৃদ্ধির পূর্বাভাসে চিন্তিত বিশেষজ্ঞ মহল। অর্থনীতি বিপর্যস্ত হবে বলে মনে করছেন তাঁরা। কিন্তু এর মধ্যেও লুকিয়ে রয়েছে কিছু ভালো দিক।

    আরও পড়ুন: জনসংখ্যার নিরিখে চিনকেও ছাপিয়ে যাবে ভারত, বলছে রিপোর্ট

    মনে করা হচ্ছে, ২০২৩ সালে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হয়ে উঠলে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদ (UN Security Council Membership) পেতে পারে ভারত।  ইউএন ডিপার্টমেন্ট অফ ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স (DESA) এর জনসংখ্যা বিভাগের প্রধান জন উইলমোথ সোমবার বলেন, ভারত সব থেকে বেশি জনসংখ্যার দেশ হিসেবে প্রমাণিত হলে, অন্যান্য দেশের তুলনায় কিছু বাড়তি সুবিধা পাবে। 

    তিনি জানান, ভারত সবচেয়ে জনবহুল দেশের খেতাব পেলে, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য পদ পাওয়ার তাদের দাবি আরও জোরদার হবে। 

    জাতিসংঘের ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পাঁচটি দেশ চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র। বাকি ১০টি দেশ অস্থায়ী সদস্য। ভৌগোলিক অবস্থানের ভিত্তিতে দু বছরের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য নির্বাচিত হয়। এর আগে ১৯৫০-৫১, ১৯৬৭-৬৮, ১৯৭২-৭৩, ১৯৭৭-৭৮, ১৯৮৪-৮৫, ১৯৯১-৯২ এবং সাম্প্রতিক অতীতে ২০১১-১২ ও ২০২১-২২ সালে নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য নির্বাচিত হয়েছিল ভারত। কিছুদিন আগেই চলে যায় সেই অস্থায়ী সদস্য পদ।  

    জাতিসংঘের একটি রিপোর্ট বলছে, এ বছরের নভেম্বরে বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটি ছাড়াবে। ১৯৫০-এর পর থেকে গোটা বিশ্বের জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার কিছুটা কমে গিয়েছিল। ২০২০-তে তা এক শতাংশের নীচে নেমে যায়। কিন্তু নতুন এই রিপোর্ট বলছে, ২০৩০-এর মধ্যে জনসংখ্যা ছাড়াবে ৮৫০ কোটি। ২০৫০-এ তা গিয়ে হবে ৯৭০ কোটি।

    জনসংখ্যার নিরিখে সবচেয়ে এগিয়ে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। এখনও চিনের জনসংখ্যার বিশ্বে সবচেয়ে বেশি। বিশ্বের পুরো জনসংখ্যার ২৬ শতাংশের বসবাস এ অঞ্চলেই। তার মধ্যে চিন এবং ভারতে ১৪০ কোটির বেশি জনসংখ্যা। রিপোর্ট অনুযায়ী, এশিয়া ও আফ্রিকার কিছু অঞ্চলেই জনসংখ্যা বৃদ্ধি হবে সবচেয়ে বেশি। ভারত ছাড়াও সে তালিকায় রয়েছে, কঙ্গো, মিশর, পাকিস্তান, নাইজিরিয়া, ইথিয়োপিয়া এবং তানজানিয়া।

     

  • Antim Panghal: লক্ষ্য অলিম্পিক, এটা সবে শুরু! বললেন অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্ব কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপে সোনাজয়ী অন্তিম পাঙ্ঘাল

    Antim Panghal: লক্ষ্য অলিম্পিক, এটা সবে শুরু! বললেন অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্ব কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপে সোনাজয়ী অন্তিম পাঙ্ঘাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুলগেরিয়ার সোফিয়ায় ইতিহাস গড়লেন অন্তিম পাঙ্ঘাল। প্রথম ভারতীয় মহিলা কুস্তিগীর হিসেবে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্ব কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপে (U-20 world wrestling championships) সোনা জিতলেন তিনি। হরিয়ানার ১৮ বছর বয়সী অন্তিম ৫৩ কেজি বিভাগে, কাজাখাস্তানের কুস্তিগীরকে হারিয়ে সোনা জেতেন। ৩৪ বছরের ইতিহাসে প্রথম মহিলা ভারতীয় কুস্তিগীর হিসেবে এই খেতাব জিতলেন অন্তিম।

    হরিয়ানার হিসারের মেয়ে অন্তিম ৫৩ কেজি বিভাগে কাজাখস্তানের আলটিন শাগায়েভাকে ৮-০ ব্যবধানে হারান। অন্তিম এই টুর্নামেন্টে প্রথম বাউটে টেকনিক্যাল সুপিরিয়রিটিতে (১১-০) হারিয়ে দেন জার্মানির আ্যমোরি অলিভিয়া আ্যন্ড্রিচকে। কোয়ার্টার ফাইনালে তিনি হারান জাপানের আয়াকা কিমুকাকে। এরপর ইউক্রেনের নাতালিয়া ক্লিভচুটস্কাকে (১১-২) হারিয়ে ফাইনালের উঠেছিলেন অন্তিম।

    ইতিহাস গড়ার জন্য অন্তিমকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ট্যুইটবার্তায় তিনি লেখেন, “সোনা জয়ের মুহূর্ত গর্বের। ইতিহাস তৈরির জন্য এবং অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনাজয়ী প্রথম ভারতীয় মহিলা হওয়ার জন্য অন্তিম পাঙ্ঘালকে অভিনন্দন। ভারত তোমার কঠোর পরিশ্রম এবং প্রতিশ্রুতিকে সমর্থন করে। তোমার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য শুভ কামনা, উজ্জ্বল থেকো।”

    আরও পড়ুন: আর বাড়ি ফেরা হল না! প্রয়াত কিংবদন্তি ফুটবলার বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়

    সোনার মেয়ে অন্তিমের দাবি, রেকর্ডের ব্যপারে তিনি কিছুই জানতেন না। তিনি বলেন, “ফাইনালে জেতার পর আমার কোচের কাছ থেকে জানতে পারি, আমি প্রথম ভারতীয় মহিলা কুস্তিগীর, যে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতলাম। সকলের জন্যই এটা গর্বের মুহূর্ত। আমাকে কুস্তিতে মনোনিবেশ করতে দেওয়ার জন্য আমি আমার পরিবারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। বিশেষ করে আমি আমার দিদিকে (সরিতা) ধন্যবাদ জানাতে চাই। ও আমাকে বরাবর সমর্থন করে গেছে।”  নিজের লক্ষ্য সম্পর্কে স্থির ১৮ বছরের তরুণী। তিনি বলেন, “আমার লক্ষ্য দেশের হয়ে অলিম্পিকে পদক জেতা। এটা তার শুরু।”

     

  • Shivsena on Droupadi Murmu: দলীয় সাংসদদের চাপে বিজেপির দ্রৌপদী মুর্মুকেই সমর্থন করছে শিবসেনা?

    Shivsena on Droupadi Murmu: দলীয় সাংসদদের চাপে বিজেপির দ্রৌপদী মুর্মুকেই সমর্থন করছে শিবসেনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী বিজেপির দ্রৌপদী মুর্মুকেই সমর্থন করতে চলেছে শিবসেনা। অন্তত শিবসেনা সূত্রেই এ খবর মিলেছে। এনডিএ (NDA) রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী বিজেপির (BJP) দ্রৌপদী মুর্মুকে (Droupadi Murmu) সমর্থনের জন্য শিবসেনা (Shiv Sena) প্রধান উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thackeray) ওপর চাপ বাড়িয়েছিলেন শিবসেনা সাংসদরা। সোমবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে উদ্ধবের সঙ্গে বৈঠকেও বসেছিলেন শিবসেনার সাংসদরা। সূত্রের খবর, সেখানেই দ্রৌপদীকে সমর্থন করতে উদ্ধবের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন তাঁরা। শেষমেশ শিবসেনার তরফে দ্রৌপদীকেই সমর্থন করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।  

    ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। সূত্রের খবর, তার আগে দ্রৌপদীকে সমর্থনের বিষয়ে সমর্থনের ইঙ্গিত দিতে পারেন উদ্ধব। মতোশ্রীতে শিবসেনার বৈঠকে ১৮ জন লোকসভা সাংসদের মধ্যে ১৩ জন এবং রাজ্যসভার ২ জন সাংসদ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।এঁদের মধ্যে অন্তত আটজন দ্রৌপদীকে সমর্থনের বিষয়ে অনড় বলে সূত্রের খবর। শিবসেনার এক শীর্ষ নেতা বলেন, আমাদের মধ্যে অনেকেই চান বিজেপি এবং শিন্ডে শিবিরের সঙ্গে সম্পর্ক জোড়া লাগুক। কারণ বিজেপি আমাদের পুরানো শরিক। আদর্শগতভাবে বিজেপি আমাদের প্রকৃত সঙ্গী। উদ্ধব ঠাকরে এই বিষয়ে কিছু বলেননি, কিন্তু ভেবে দেখবেন বলেছেন। তিনি বলেন, বিদ্রোহের কারণে বিজেপি ও শিবসেনার মধ্যে তিক্ততা বেড়েছে। কিন্তু দল যদি দ্রৌপদীকে সমর্থন করে, তাহলে ভাঙা সম্পর্ক জোড়া লাগার সুযোগ থাকবে। ফের সম্পর্ক গড়ে তোলার সম্ভাবনাও থাকবে। মঙ্গলবার শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত বলেন, শিবসেনা যেটা ঠিক ভাবে সেটা করে। অতীতেও আমরা কংগ্রেসের প্রার্থী টিএন শেষনকে সমর্থন করেছিলাম। ইউপিএ প্রার্থী প্রতিভা পাটিল এবং প্রণব মুখোপাধ্যায়কেও সমর্থন করেছিলাম। পিছড়েবর্গরা জাতির স্বার্থে এগিয়ে আসুক আমরা চাই।  

    আরও পড়ুন : ‘যাঁরা যেতে চাইছেন যান, নতুন শিবসেনা গড়ব’, হুঁশিয়ারি উদ্ধবের

    এদিনের বৈঠকে লোকসভার ১৮ জন সাংসদের মধ্যে পাঁচজন অনুপস্থিত ছিলেন। এঁরা হলেন, মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের ছেলে শ্রীকান্ত শিন্ডে, ভাবনা গাওয়ালি, সঞ্জয় যাদব, সঞ্জয় মাণ্ডলিক এবং হেমন্ত পাটিল। দাদরা ও নগর হাভেলির একমাত্র সাংসদ কলাবেন দেলকরও ওই বৈঠকে ছিলেন না বলেই শিবসেনা সূত্রের খবর। শিবসেনা সূত্রে খবর, সঞ্জয় যাদব, সঞ্চয় মাণ্ডলিক ও হেমন্ত আগেই শিবসেনা প্রধানকে জানিয়েছিলেন ব্যক্তিগত কারণে সোমবারের বৈঠকে থাকতে পারবেন না তাঁরা।

    আরও পড়ুন : উদয়পুরের মতো নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদ করা উচিত মুসলিমদেরও, জানাল আরএসএস

    প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই শিবসেনার সংসদীয় দলের মুখ্য সচেতক পদ থেকে ভাবনা গাওয়ালিকে সরিয়ে দেন উদ্ধব। তার আগেই উদ্ধবকে ভাবনা চিঠি লিখে বিজেপির সঙ্গে জোটে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিবসেনার রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় রাউত এবং প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী। যদিও রাজ্যসভার সাংসদ অনিল দেশাই দিল্লিতে থাকার কারণে গরহাজির ছিলেন এদিনের বৈঠকে। এদিকে, শিন্ডে শিবিরের দাবি, অন্তত ১২ জন সাংসদ নিয়মিত মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন।

     

  • Sri Lanka: দেনার দায়ে জর্জরিত শ্রীলঙ্কার পাশে দাঁড়াল ভারত, স্বাগত জানালেন সনৎ জয়সূর্য

    Sri Lanka: দেনার দায়ে জর্জরিত শ্রীলঙ্কার পাশে দাঁড়াল ভারত, স্বাগত জানালেন সনৎ জয়সূর্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেনার দায়ে জর্জরিত দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। বিপদ আঁচ করে গা ঢাকা দিয়েছেন দেশের প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে (Gotabaya Rajapaksa)। পদত্যাগ করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে (Ranil Wickramasinghe)। দেশের অর্থনীতির হাঁড়ির হাল হওয়ার জন্য প্রসিডেন্টকেই দুষছেন শ্রীলঙ্কাবাসী। ঘটনার জেরে ফুঁসছে গোটা দ্বীররাষ্ট্র। প্রতিবেশী এই দেশটির সংকটে পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছে ভারত। ঋণের দায়ে জর্জরিত দ্বীপরাষ্ট্রের বাসিন্দাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন ভারত

    আরও পড়ুন : কলম্বোর রাস্তা কার্যত গাড়ি শূন্য! জ্বালানি সংকটে শ্রীলঙ্কা

    সম্প্রতি বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক অবস্থা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এই দুর্দশা থেকে ত্রাণ পাওয়ার জন্য বিক্ষোভের আগুনে ফুঁসছে গোটা দেশ। সেই কারণেই এই সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। সংকট প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, শ্রীলঙ্কার দিকে নজিরবিহীন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। শ্রীলঙ্কা যাতে এই সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারে, সেজন্য তিনশো আশি কোটি মার্কিন ডলার সাহায্য দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। গত মে মাসে সরকার বদলে জনরোষ সামাল দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে শ্রীলঙ্কায়। তারপর পরিস্থিতি কিছুটা থিতিয়ে গেলেও ফের অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে দ্বীপরাষ্ট্র। কারণ সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে দেশটিকে ফের দেউলিয়া বলে ঘোষণা করেছেন। তার পরেই পথে নেমেছে জনতা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে গা ঢাকা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। তাঁর বাসভবন দখল করেছেন আম শ্রীলঙ্কাবাসী। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, শ্রীলঙ্কাকে নানাভাবে সাহায্য করার চেষ্টা চলছে। সূত্রের খবর, শক্তি, পরিকাঠামোগত উন্নয়ন এবং কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে ভারত শ্রীলঙ্কাকে সাহায্য করবে। 

    আরও পড়ুন : অশান্তির আগুনে পুড়ল শ্রীলঙ্কা প্রেসিডেন্টের পৈতৃক বাড়ি, বিক্ষোভ হঠাতে গুলি

    এই সংকটকালেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। ইতিমধ্যেই কয়েক লক্ষ ডলার মূল্যের চাল, গুঁড়ো দুধ সহ প্রয়োজনীয় নানা খাদ্যসামগ্রী পাঠানো হয়েছে। ওষুধ সহ অন্যান্য মানবিক সাহায্যও পাঠানো হয়েছে। ডিজেল, জ্বালানি এবং গ্যাসোলিনও পাঠিয়েছে নয়াদিল্লি। সাহায্য করা হয়েছে চারশো কোটি ডলারও। ভারতের প্রাক্তন বিদেশ সচিব এবং কৌলশগত বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কেসি সিং বলেন, শ্রীলঙ্কায় কৌশলগত পদক্ষেপ বজায় রাখার চেষ্টা করে চলেছে ভারত। বর্তমানে ভারতের মূল লক্ষ্য হল, শ্রীলঙ্কার ওপর থেকে চিনা প্রভাব খর্ব করা। 

    এদিকে, ভারতের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন ক্রিকেটার সনৎ জয়সূর্য। তিনি বলেন, স্থায়ী সরকার হওয়ার পরে আইএমএফ, ভারত এবং আমাদের সমস্ত বন্ধুদেশ শ্রীলঙ্কাকে সাহায্য করবে। সংকটের শুরু থেকেই ভারত শ্রলঙ্কার পাশে রয়েছে, সাহায্যে করে চলেছে। তাদের ধন্যবাদ জানাই। শ্রীলঙ্কায় ভারতের অবদান অপরিসীম।

     

  • Recession: দেশে এখনই মন্দার সম্ভাবনা নেই! জানুন কী বলছেন অর্থনীতিবিদরা

    Recession: দেশে এখনই মন্দার সম্ভাবনা নেই! জানুন কী বলছেন অর্থনীতিবিদরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু ভারত (India) নয়, গোটা বিশ্বই মুদ্রাস্ফীতির এক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে এই মন্দা (recession) অত্যন্ত ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন অনেকে। বেশ কিছু বড় দেশে এই মুদ্রাস্ফীতি ও আর্থিক মন্দার প্রভাব ব্যাপকভাবে পড়তে চলেছে। তবে বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতি থেকে মুক্তি পাওয়ার পথ এখনও খোলা রয়েছে ভারতের সামনে। এমনটাই দাবি করা হয়েছে এক সমীক্ষায়।

    আরও পড়ুন: ফের ৫টি ভারতীয় জলাভূমিকে অন্তর্ভুক্ত করা হল রামসার সাইটে

    সম্প্রতি সারা বিশ্বের অর্থনীতিবিদরা একটি সমীক্ষা করে দেখেছেন, বহু দেশের অর্থনীতি আগামী এক বছরের মধ্যে মন্দার সম্মুখীন হতে পারে। কিন্তু ভারতে সেই সংকটের সম্ভাবনা শূন্য। শ্রীলঙ্কা বর্তমানে আর্থিক সংকটের মুখে। সেখানে আগামী এক বছরে মন্দায় পড়ার সম্ভাবনা ৮৫ শতাংশ। কিন্তু ভারতের উপর বিশ্বব্যপী অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব হবে মাঝারি এবং স্বল্পমেয়াদী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মন্দার প্রভাব দেশে পরোক্ষভাবে পড়বে। মার্কিন মন্দা ভারতের রপ্তানিকে মন্থর করতে পারে তবে সেক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী পণ্যের দামও কমে যাবে যা ইতিবাচক। রপ্তানি বাজার হিসাবে ইইউ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর প্রচুর নির্ভরতার কারণে ভারতের রপ্তানি নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত হবে এবং বিশ্ব বাণিজ্য ধীর হয়ে যাবে, বলে দাবি অর্থনীতিবিদদের।

    আরও পড়ুন: ২৩ তম কার্গিল বিজয় দিবসে বীর শহীদদের শ্রদ্ধার্ঘ্য বলিউড তারকাদের

    সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার (RBI) তরফে স্টেট অব ইকোনমি রিপোর্টে জানানো হয়েছিল যে, বিশ্বে মুদ্রাস্ফীতি চরম পর্যায়ে পৌঁছতে চলেছে। এর প্রভাব ভারতীয় অর্থনীতিতেও পড়তে চলেছে। তবে এই মুদ্রাস্ফীতি থেকে মুক্তি পাওয়ার  উপায় রয়েছে ভারতের কাছে। রিজার্ভ ব্য়াঙ্কের তরফে জানানো হয়, যদি নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম কমানো হয় এবং সরবরাহ চেইনের উপরে তৈরি চাপ কমানো হয়,তবে মুদ্রাস্ফীতির ধাক্কা থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে। এই নীতি অনুসরণ করা হলে যদি দেশের অর্থনীতির উপরে মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব পড়ে,তবুও সেই প্রভাব খুব একটা গুরুতর হবে না।

  • Russia Ukraine War: ভারত সহ ৫ দেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে বরখাস্ত করল ইউক্রেন, কেন জানেন?

    Russia Ukraine War: ভারত সহ ৫ দেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে বরখাস্ত করল ইউক্রেন, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine War) থামেনি। চার মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে পড়শি ওই দুই দেশের লড়াই। যুদ্ধ থামার আশু কোনও লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না। এহেন পরিস্থিতিতে বড়সড় পদক্ষেপ করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr Zelenskyy)। ভারত (India) সহ পাঁচ দেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের (Ambassador) বরখাস্ত করলেন তিনি। কী কারণে তাঁদের হঠাৎ করে বরখাস্ত করা হল, তা জানা যায়নি। তবে কূটনৈতিক মহলের ধারণা, কূটনৈতিক ব্যর্থতার জেরেই ‘চাকরি’ গিয়েছে তাঁদের।

    ন্যাটোর (NATO) সদস্য হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিল ইউক্রেন। তা নিয়েই রাশিয়া ইউক্রেন বিবাদের সূত্রপাত। যার জেরে ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় যুদ্ধ। সেই যুদ্ধ এখনও চলছে। যুদ্ধ থামাতে দুই দেশকেই আবেদন নিবেদন করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। তার পরেও চলছে লড়াই। রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর অভিযোগে মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা। তা সত্ত্বেও নিরস্ত করা যায়নি রাশিয়া কিংবা ইউক্রেনকে।

    আরও পড়ুন : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভারতের ভারসাম্যের নীতির প্রশংসায় মোহন ভাগবত

    এহেন পরিস্থিতিতেই পাঁচ দেশের রাষ্ট্রদূতকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিলেন ইউক্রেনে প্রেসিডেন্ট। ভারত ছাড়াও বরখাস্ত করা হয়েছে জার্মানি, চেক রিপাবলিক, নরওয়ে এবং হাঙ্গেরির রাষ্ট্রদূতকে। বরখাস্ত হওয়া রাষ্ট্রদূতদের অন্য কোনও পদে বহাল করা হবে কিনা, তা নিয়েও কোনও বার্তা নেই ভলোদিমির জেলেনস্কির জারি করা নির্দেশিকায়। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে ভারত। নয়াদিল্লির তরফে যুদ্ধ বন্ধের আবেদন জানানো হয়েছে দুই দেশকেই। তার পরেও যুদ্ধ থামেনি। তবে যুদ্ধের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেও, রাশিয়ার সঙ্গে এখনও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জারি রেখে চলেছে রাশিয়া।

    আরও পড়ুন : ডিজিটাল বিপ্লবে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে ভারত, গান্ধীনগরে জানালেন মোদি

    মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলেছে জার্মানিও। জ্বালানির জন্য এই দেশটি বরাবর রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল। ভারতের মতো যুদ্ধের আবহে তারাও সম্পর্ক রেখে চলেছে পুতিনের দেশের সঙ্গে। এ সবকেই কূটনৈতিক ব্যর্থতা বলেই মনে করছে কিয়েভ। সেই কারণেই ভারত সহ পাঁচ দেশের রাষ্ট্রদূতকে বরখাস্ত করা হল বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

     

  • India-China conflict: পূর্ব লাদাখে নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে চিনের যুদ্ধবিমান

    India-China conflict: পূর্ব লাদাখে নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে চিনের যুদ্ধবিমান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবার লাদাখ সীমান্তে চিন সেনাবাহিনীর অনুপ্রবেশের চেষ্টা। জুনের শেষ সপ্তাহেই পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার(LAC) খুব কাছে চলে আসে চিনা যুদ্ধবিমান। ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) রাডারে তা ধরা পড়তেই সতর্কতা জারি হয় সর্বত্র। এই পরিস্থিতিতে চিনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে সরকারি স্তরে আলোচনা হয়েছে। এই ধরনের কোনও ঘটনা যাতে আগামী দিনে না ঘটে তা নিয়েও চিনকে সতর্ক করেছে ভারত।

    সূত্রের খবর, বিভিন্ন সময় চিনের সেনাবাহিনীর তরফে ভারতীয় সেনাকে প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গত কয়েকমাসে সরাসরি আকাশসীমা লঙ্ঘনের এরকম ঘটনা এই প্রথম বলেই জানা গেছে। এমনিতে পূর্ব লাদাখে (Ladakh) নিজেদের দখলে থাকা এলাকায় চিনা বিমানবাহিনী বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁদের সক্রিয়তা বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। মহড়া চলাকালীন বিমানবাহিনীর তরফে বেশ কিছু সমরাস্ত্রেরও ব্যাপক ব্যবহার করা হচ্ছে। ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়, পরিস্থিতির উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখা হয়েছে। এর আগে ২০২০ সালেও ভারত চিনের আগ্রাসনের কড়া জবাদ দিয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী, এই বিষয় নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কথা হয়েছে।  তাই গোটা বিষয়টি নিয়ে দু’পক্ষের বৈঠকে আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনা তুলে ধরে আলোচনা করেছে দুপক্ষের আধিকারিকেরা। যদিও তার পর থেকে চিনের তরফে ভারত সীমান্ত লাগোয়া অঞ্চলে এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটানো হয়নি বলেই জানা গেছে।

    আরও পড়ুন: শিবসেনার তির-ধনুক প্রতীক কেউ কেড়ে নিতে পারবেন না, সাফ জানালেন উদ্ধব

    সীমান্ত বিবাদ নিয়ে এখনও নিজেদের মধ্যে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে দুই দেশ। তার মধ্যেই এই চিনা সক্রিয়তার কথা সামনে আসতে নড়েচড়ে বসেছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে গালওয়ান সংঘর্ষের পর ভারত-চিন সম্পর্ক কার্যত তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। দফায় দফায় আলোচনার পর কিছু জায়গা থেকে সেনা সরিয়ে সাময়িক ভাবে স্থিতাবস্থা ফেরানো হলেও মাঝে মাঝে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর উত্তেজনা তৈরি হয়। সম্প্রতি বালিতে জি-২০ ভুক্ত দেশগুলির মধ্যে বৈঠকে অংশ নিতে গিয়ে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে কথা বলেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী জানিয়ে দেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তি বজায় রাখতে চায় ভারত। তবে, আগ্রাসনের চেষ্টা হলে ভারত তার যোগ্য জবাব দেবে।

  • Covid: শিশুদের মধ্যে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, স্কুল খোলা রাখার পক্ষেই সওয়াল চিকিৎসকদের 

    Covid: শিশুদের মধ্যে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, স্কুল খোলা রাখার পক্ষেই সওয়াল চিকিৎসকদের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  করোনা (Covid) সংক্রমণ বাড়ছে শিশুদের (Kids) মধ্যে। ১২ বছরের নীচে যাদের বয়স, তাদের করোনা প্রতিষেধক (Corona Vaccine) দেওয়া হয়নি। সেই সব শিশুদের মধ্যেই সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। তা সত্ত্বেও অবশ্য শিশুদের স্কুল বন্ধ না করার পক্ষেই সওয়াল করেছেন কলকাতার(Calcutta) শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা। অভিভাবকদের প্রতি তাঁদের আবেদন, করোনা উপসর্গ দেখা দিলে সেই শিশুকে যেন কয়েকদিনের জন্য স্কুলে না পাঠানো হয়।

    দিন কয়েক ধরে গোটা দেশেই করোনা সংক্রমণের লেখচিত্র ছিল ঊর্ধ্বমুখী। তবে সোমবারের পর থেকে সেটা কিছুটা কমেছে। অবশ্য সংক্রমণ বাড়ছে শিশুদের। শিশুদের মধ্যে মূলত ধুম জ্বর, সর্দিকাশির মতো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পেটের গন্ডগোলও হচ্ছে। যাদের হাঁপানির সমস্যা রয়েছে, তাদের শ্বাসকষ্ট হচ্ছে ঠিকই, তবে তা কোনওভাবেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো মারাত্মক নয়।

    আরও পড়ুন : করোনায় আক্রান্ত হওয়া মানেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়া নয়, জানাল হু

    ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের হানায় ত্রাহি ত্রাহি রব উঠেছিল ভারতে। সেই সময় শ্বাসকষ্ট ছিল অন্যতম মূল উপসর্গ। সেবারও শিশুরা সংক্রমিত হয়েছিল। তবে তখন সংক্রমিত শিশুদের সিংহভাগকেই ভর্তি হতে হয়েছিল হাসপাতালে। এবার অবশ্য এখনও পর্যন্ত তা হয়নি। সিএমআরআই হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ শতরূপা মুখোপাধ্যায় বলেন, এবার শ্বাসকষ্টের সমস্যা খুব কম শিশুর মধ্যে দেখা যাচ্ছে। গতবার যেটা খুব বেশি ছিল। তিনি বলেন, ১২ বছরের শিশুরা যেহেতু টিকাপ্রাপ্ত নয়, তাই অভিভাবকদের সতর্ক থাকতে হবে। শিশুদের জ্বর বা কাশি হলে স্কুলে পাঠানো যাবে না।

    আরও পড়ুন : সক্রিয় রোগীর সংখ্যা এক লক্ষ পার, ফের ভয় ধরাচ্ছে করোনা!

    কলকাতার বিশিষ্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অপূর্ব ঘোষ বলেন, এবার সংক্রমণ খুব দ্রুত ছড়িয়েছে। কিন্তু যেহেতু রোগীরা মূলত মৃদু উপসর্গেই সংক্রমিত, তাই জরুরি কোনও পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। এবারের মূল উপসর্গ মৃদু জ্বর ও সর্দিই। এই সংক্রমণের জেরে শিশুদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হচ্ছে, যা তাদের ভবিষ্যতে সাহায্য করবে। সংক্রমণ বাড়লেও, স্কুল বন্ধ না করার পক্ষেই সওয়াল করেছেন আর এক শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ শান্তনু রায়। তিনি বলেন, স্কুল বন্ধ করে দেওয়া কোনও সমাধান নয়। কারণ এর ফল মারাত্মক। শিশুরা প্রায় দু বছর স্কুলে যায়নি। তাই তাদের ক্যাম্পাসে ফিরতেই হবে। মাস্ক পরতে বাধ্য করা, জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের স্কুলে না পাঠানো, ঘেঁষাঘেঁষি না করে বসার মতো পদক্ষেপ নিতে হবে স্কুলগুলিকে। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টার পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ১ হাজার ৯৭৩ জন। এর মধ্যে কলকাতায়ই সংক্রমিত হয়েছেন ৭১৭ জন।

     

  • Uniform Civil Code: সব রাজ্যেরই উচিত অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু করা, জানালেন ধামি

    Uniform Civil Code: সব রাজ্যেরই উচিত অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু করা, জানালেন ধামি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের সব রাজ্যেরই উচিত অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) চালু করা। যেমনটা করতে চলেছে উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand)। উধম সিং নগর জেলার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে একথা বলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি (Pushkar Singh Dhami)। ওই অনুষ্ঠানেই তিনি জানান, উত্তরাখণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু করতে অবসর প্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জন প্রকাশ দেশাইয়ের নেতৃত্বে একটি কমিটি গড়া হয়েছে। এই কমিটিই সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সব মহলের সঙ্গে কথা বলবে।

    বস্তুত, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েই দ্বিতীয়বারের জন্য উত্তরাখণ্ডের তখতে ফিরেছেন পুষ্কর সিং ধামি। তার পরেই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি কার্যকর করতে কোমর বেঁধে নামেন তিনি। কুর্সিতে বসেই ঘোষণা করেন, উত্তরাখণ্ডে কার্যকর করা হবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। তখনই ধামি জানিয়েছিলেন, রাজ্য মন্ত্রিসভা সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করেছে যে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে শীঘ্রই একটি কমিটি গঠন করা হবে। এবং এই আইন রাজ্যে কার্যকর করা হবে। এটিই প্রথম রাজ্য যেখানে এই আইন কার্যকর করা হবে। উধম সিং নগর জেলার এদিনের অনুষ্ঠানেও মুখ্যমন্ত্রী জানান, এ রাজ্যে খুব শীঘ্রই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হবে। তিনি বলেন, দেশের প্রত্যেকটি রাজ্যেই এই আইন কার্যকর করা উচিত। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগুর ব্যাপারে উত্তরাখণ্ডবাসীর সমর্থন পেয়েছেন বলেও জানান ধামি। 

    আরও পড়ুন : অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকরে বদ্ধপরিকর ধামি! রূপরেখা তৈরিতে গঠিত বিশেষ কমিটি

    গত কয়েক দশক ধরে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি-ই বিজেপির নির্বাচনী প্রচারের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। প্রশ্ন হল, কী এই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি? ভারতীয় সংবিধানের ৪৪ নম্বর অনুচ্ছেদে এ ব্যাপারে উল্লেখ রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি হল দেশের সকল নাগরিকের জন্য এক আইন। দেশের সব ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ব্যক্তিগত ক্ষেত্রেও একই আইন কার্যকর হবে। অর্থাৎ, উত্তরাধিকার, বিবাহ, বিবাহ বিচ্ছেদ এবং দত্তকের ক্ষেত্রে দেশের সকল নাগরিককে একই আইন মেনে চলতে হবে।

    আরও পড়ুন : ‘সংবিধান-বিরোধী!’ অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ জমিয়ত উলেমা-এ-হিন্দের

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু নিয়ে উত্তরাখণ্ডের পথে যে উত্তরপ্রদেশ সরকারও হাঁটতে চলেছে, কিছুদিন আগে তার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যোগী রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্যও। তিনি বলেছিলেন, প্রত্যেকের উচিত অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চাওয়া ও অভিন্ন দেওয়ানি বিধির উদ্যোগ সমর্থন করা। উত্তরপ্রদেশ সরকারও সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছে।

     

  • India on PoK: চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরে তৃতীয় দেশের অন্তর্ভুক্তি! কড়া সমালোচনা ভারতের

    India on PoK: চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরে তৃতীয় দেশের অন্তর্ভুক্তি! কড়া সমালোচনা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর (PoK) ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ,তা সম্প্রতি জানিয়ে দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। এবার এই ভূখণ্ডে কোটি কোটি ডলার ব্যয়ে নির্মীয়মাণ চিনপাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরে (CPEC) তৃতীয় কোনও দেশকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়াসের তীব্র নিন্দা করল বিদেশ মন্ত্রক। মঙ্গলবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রক চিন ও পাকিস্তানের কড়া নিন্দা করে এই ধরনের গতিবিধিকে ‘স্বাভাবিক ভাবে অবৈধ, অনুচিত এবং গ্রহণযোগ্য নয়’ বলে অভিহিত করেছে।

    [tw]


    [/tw]

    শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয় সিপিইসি-র আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং সমন্বয় সম্পর্কিত বৈঠক। ভার্চুয়াল মাধ্যমে আয়োজিত এই বৈঠকে অংশগ্রহণকারী চিন ও পাকিস্তান এই অর্থনৈতিক করিডোরের অংশ হতে অন্য দেশগুলোকেও  আমন্ত্রণ জানায়। মঙ্গলবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি (External Affairs Ministry Spokesperson Arindam Bagchi বলেন, ”ওই করিডোরে যা হচ্ছে তা একেবারেই বেআইনি, অবৈধ ও অগ্রহণযোগ্য। ভারত এর বিরুদ্ধে যথাযোগ্য পদক্ষেপ করবে।”

    আরও পড়ুন: একদা কাশ্মীর ছিল শারদা দেশ! জানেন কি এই শক্তি পীঠের মাহাত্ম্য?

    ২০১৩-য় শুরু হওয়া এই অর্থনৈতিক করিডোর পাকিস্তানের গদর বন্দরের সঙ্গে চিনের শিনঝিয়াং প্রদেশকে যুক্ত করেছে। এই করিডোর পাক অধিকৃত কাশ্মীর হয়ে যাওয়ায়, তা নিয়ে স্বভাবতই শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছে ভারত। দিল্লির বিরোধিতা সত্ত্বেও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের উপর দিয়ে অর্থনৈতিক করিডর বানাচ্ছে চিন। করিডোর তাঁদের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবে বলে মন্তব্য করেছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। পাকিস্তানের রাস্তা, রেলপথ ও শক্তি পরিবহন পরিকাঠামো গড়ে তোলাই এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছে বেজিং। 

    আরও পড়ুন: পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই! জানুন কী বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী

    বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘‘সিপিইসি-তে তৃতীয় দেশের অন্তর্ভুক্তির আমন্ত্রণ সংক্রান্ত খবর আমরা দেখেছি। যে কোনও দেশের তরফে এই সংক্রান্ত পদক্ষেপ ভারতের অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্ব সরাসরি লঙ্ঘনের প্রয়াস হিসাবেই দেখা হবে।’’

LinkedIn
Share