Tag: India

India

  • Canada: কানাডার নয়া মন্ত্রিসভায়ও জয়জয়কার ভারতীয় বংশোদ্ভুতদের

    Canada: কানাডার নয়া মন্ত্রিসভায়ও জয়জয়কার ভারতীয় বংশোদ্ভুতদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডার (Canada) নয়া মন্ত্রিসভায়ও জয়জয়কার ভারতীয় বংশোদ্ভুতদের (Indian Origin Ministers)। জাস্টিন ট্রুডো সরকারের পতনের পর কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদে বসেছেন মার্ক কার্ন। তাঁর মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছেন বছর চল্লিশের অনিতা আনন্দ ও বছর ছত্রিশের কমল খেরা। কমল হয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। অনিতা হয়েছেন উদ্ভাবন, বিজ্ঞান ও শিল্পমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, ট্রুডোর মন্ত্রিসভায়ও ছিলেন এই দুই ভারতীয় বংশোদ্ভুত।

    নয়া মন্ত্রিসভায় দিল্লির কমল (Canada)

    কমলের জন্ম দিল্লিতে। স্কুলে পড়ার সময়ই তিনি চলে যান কানাডায়। টরেন্টোর ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন বিজ্ঞানে। ২০১৫ সালে প্রথমবার ব্রাম্পটন ওয়েস্ট থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন কমলা। কানাডার প্রধানমন্ত্রীর ওয়েবসাইটে কমলের বিষয়ে লেখা হয়েছে, তিনি পেশায় নার্স ছিলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এক্স হ্যান্ডেলে কমল লিখেছেন, “নার্স হিসেবে আমি সব সময় রোগীদের পাশে থাকার চেষ্টা করতাম। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবেও তা-ই করে যাব। আমার ওপর আস্থা রাখার জন্য মার্ক কার্নেকে ধন্যবাদ।”

    রাজনীতিতে আসার আগে টরেন্টোর সেন্ট জোসেফ হেল্থ সেন্টারের অঙ্কোলজি বিভাগের নার্স ছিলেন কমল। অতিমারির সময় তিনি ফের তুলে নেন স্বাস্থ্য সেবাদানের দায়িত্ব (Canada)। ব্রাম্পটনের এক হাসপাতালে নার্স হিসেবে কাজে যোগ দেন তিনি। ট্রুডো মন্ত্রিসভায় কানাডার অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন মন্ত্রক, স্বাস্থ্যমন্ত্রক ও জাতীয় রাজস্ব মন্ত্রকের পার্লামেন্টারি সচিব ছিলেন কমল। এবার তিনি স্বাধীনভাবে সামলাবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দায়িত্ব।

    অনিতার জন্মই কানাডায়

    কার্নের মন্ত্রিসভার আর এক ভারতীয় বংশোদ্ভুত অনিতার জন্মই কানাডায়। ১৯৮৫ সালে তাঁর পরিবার চলে যান কানাডায়। নোভা স্কটিয়ায় জন্মেছিলেন অনিতা। ট্রুডোর পরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন তিনিই। পেশায় আইনজীবী অনিতা নয়া মন্ত্রিসভায় সামলাবেন উদ্ভাবন, বিজ্ঞান ও শিল্পমন্ত্রকের দায়িত্ব। মন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগের অধ্যাপক হিসেবেও কাজ করেছেন। ২০১৯ সালে প্রথমবার সাংসদ নির্বাচিত হন। জাতীয় প্রতিরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্বও সামলেছেন তিনি। এক্স হ্যান্ডেলে অনিতা লিখেছেন, “নয়া মন্ত্রক পেয়ে আমি গর্বিত। নেতিবাচক মনোভাব নিয়ে কিছু ভালো করা যাবে না।” বরং (Indian Origin Ministers) ঐক্যবদ্ধ হয়ে কানাডা ও কানাডার অর্থনীতিকে মজবুত করার ডাক দিয়েছেন তিনি (Canada)।

  • S Jaishankar: “আমেরিকার আগেই মাল্টি-পোলার বিশ্বের কথা বলেছিল ভারত”, বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “আমেরিকার আগেই মাল্টি-পোলার বিশ্বের কথা বলেছিল ভারত”, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পুরনো উদারনৈতিক নিয়ম-ভিত্তিক শৃঙ্খলা ডোনাল্ড ট্রাম্পের মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফিরে আসার পর চরম চাপে পড়েছে।” কথাগুলি (Global Order) বললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি মনে করেন, “এটি অনেক দিন ধরেই হয়ে আসছিল।” জয়শঙ্কর বিস্মিত যে তামাম বিশ্ব আশ্চর্য হচ্ছে এই ভেবে যে ট্রাম্প যা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা-ই করছেন। তিনি বলেন, “হয়তো আমি তাঁকে আরও সরলভাবে নিয়েছিলাম।”

    মাল্টি-পোলার বিশ্ব (S Jaishankar)

    বিদেশমন্ত্রী লক্ষ্য করেছেন, আমেরিকানরা এখন যে মাল্টি-পোলার বিশ্বের কথা বলছেন, তা একসময় ছিল নয়াদিল্লির আলোচনার বিষয়। জয়শঙ্করের ইঙ্গিত, তিনি পুরোনো বিশ্বব্যবস্থার কিছুই মিস করবেন না। কারণ তিনি একজন বাস্তববাদী। তিনি যা আছে, তাই নিয়েই কাজ করেন। তিনি বলেন, ‘‘কেউ বাস্তববাদী হওয়ার অর্থ এই নয় যে, তাঁর মধ্যে বিশ্বাস, প্রত্যয় কিংবা অনুভূতি নেই।’’ বিদেশমন্ত্রীর দাবি, ট্রাম্প এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দু’জনেই সমমনস্ক জাতীয়তাবাদী। ফলে বিরোধের অবকাশ নেই। গত ৫ মার্চ মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে বক্তৃতা দেওয়ার সময় ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, পারস্পরিক শুল্ক চাপানোর নীতি থেকে বাদ পড়বে না ভারত। তিনি বলেন, ‘‘ভারত আমাদের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এই ব্যবস্থা আমেরিকার প্রতি ন্যায্য নয়, কখনওই ছিল না।’’

    তামাম বিশ্বের একটি শৃঙ্খলা প্রয়োজন

    জয়শঙ্কর বলেন, “তামাম বিশ্বের একটি শৃঙ্খলা প্রয়োজন। অন্যথায় এটি খুবই অরাজক হয়ে উঠবে।” তিনি বলেন, “অসংযত প্রতিযোগিতা চাপ বাড়িয়ে তুলবে। ভারতের এমন একটি শৃঙ্খলার দরকার যা বর্তমান বিশ্বের বাস্তবতাকে প্রতিফলিত করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরের সেই শৃঙ্খলাকে নয়, যা পশ্চিমিদের পক্ষে ছিল।” তিনি বলেন, “পুরানো বিশ্বব্যবস্থার গুণাগুণ অতিরঞ্জিত করা হয়েছে (S Jaishankar)।” তিনি জানান, ভারত দীর্ঘদিন ধরে পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং পরে রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছে। এখন যুক্তরাষ্ট্রের কাছাকাছি চলে এসেছে। ট্রাম্প ও মোদির নেতৃত্বে—যারা উভয়েই জাতীয়তাবাদী নেতা—এই সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সম্পর্কের এই উন্নতির মধ্যেও, ট্রাম্প বারবার ভারতকে শুল্ক অপব্যবহারকারী বলে আক্রমণ করেছেন। ফেব্রুয়ারিতে মোদির হোয়াইট হাউস সফরের সময়ও শানিয়েছিলেন এই আক্রমণ।

    শুল্ক ধাঁধার সমাধান

    নয়াদিল্লি কীভাবে ট্রাম্পের শুল্ক ধাঁধার সমাধান করবে? জয়শঙ্কর বলেন, “আমি মনে করি, ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লির মধ্যে কিছু ‘সমস্যা’ থাকলেও, শীঘ্রই দুই দেশের মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তি হবে।” তিনি বলেন, “ট্রাম্প কঠোর জাতীয়তাবাদী। তবে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের বিষয়ে বাস্তববাদীও।” ভারতের অবস্থান রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের বিষয়ে পশ্চিমিদের হতাশ করেছে। নয়াদিল্লি মস্কো থেকে তেল কেনা চালিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত ভ্লাদিমির পুতিনের যুদ্ধের নিন্দা করা থেকে বিরত রয়েছে। জয়শঙ্কর বলেন, “ভারত সব সময় তার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখে। তাই সে মস্কোর সঙ্গে তার পুরনো সম্পর্ক ত্যাগ করতে পারে না।” তিনি বলেন, “মানুষ প্রায়ই নীতিগত বিষয়গুলিকে বড় করে তোলেন (S Jaishankar)।”

    দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি

    তবে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে রাশিয়া চিনের আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এটি কি নয়াদিল্লির জন্য সমস্যা হতে পারে? এর পরেই জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েছি, যা ইঙ্গিত দেয় যে চিন ও পশ্চিমিদের সঙ্গে মস্কোর সম্পর্ক পরিবর্তিত হলেও পুরানো অংশীদারদের সম্পর্ক ‘স্থিতিশীল’ রয়েছে।” জয়শঙ্কর স্বীকার করেন, বেইজিংয়ের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। কারণ দুই দেশের সেনাদের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষ হয়েছে। তিনি বলেন, “যদি ট্রাম্প চিনের সঙ্গে কোনও চুক্তি করেন, তাহলে সেই পরিস্থিতির জন্য ভারত তার নীতিগুলি প্রস্তুত রাখবে (Global Order)।”

    ট্রাম্পের নয়া শুল্কনীতি

    প্রসঙ্গত, ট্রাম্পের নয়া শুল্কনীতি নিয়ে ভারতের রফতানিকারক সংস্থাগুলি চিন্তায় পড়লেও এখনও প্রধানমন্ত্রী মোদির সরকার এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। সাউথ ব্লক অফিসিয়ালি কিছু বলেনি। চলতি সপ্তাহে আমেরিকা সফরে গিয়ে ট্রাম্প সরকারের বাণিজ্যসচিব হাওয়ার্ড লুটকিনের সঙ্গে বৈঠক করেন বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। আমেরিকার বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিরের ভবিষ্যৎমুখী দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনাও করেন তিনি। শুক্রবার গোয়েল জানান, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারত ‘ইন্ডিয়া ফার্স্ট’ এর ‘বিকশিত ভারত’-এর পাশাপাশি সার্বিক রণকৌশলগত বোঝাপড়ার নীতি মেনে চলা হবে। ইতিমধ্যেই আমেরিকার বেশ কিছু পণ্যে শুল্ক ছেঁটেছে মোদি সরকার (Global Order)। জয়শঙ্করের মন্তব্যের পরে অনেকে মনে করছেন, আগামী দিনে সেই তালিকা দীর্ঘতর হতে চলেছে (S Jaishankar)।

  • Holi 2025: সাত ভারত বিখ্যাত মন্দির, এখানে ধুমধাম করে পালিত হয় হোলি

    Holi 2025: সাত ভারত বিখ্যাত মন্দির, এখানে ধুমধাম করে পালিত হয় হোলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হোলি (Holi 2025) ভারতের এক প্রাণবন্ত উৎসব। পাড়ায় পাড়ায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা যেন এই উৎসবে মেতে ওঠেন তেমনই অনেক মন্দির এই উৎসবকে আধ্যাত্মিক রীতিনীতি, ভজন ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে উদযাপন করে থাকে। মথুরা হল ভগবান শ্রী কৃষ্ণের জন্মস্থান। এর পাশাপাশি পুরীর জগন্নাথ মন্দিরেও (Indian Temples) ধুমধাম করে পালিত হয় হোলি। জেনে নেওয়া যাক, ভারত বিখ্যাত কতগুলি মন্দিরের হোলি উদযাপনের কথা।

    ১. শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি মন্দির, মথুরা (Holi 2025)

    ভগবান কৃষ্ণের জন্মস্থান মথুরাতে ধুমধাম করে হোলি উৎসব পালন করা হয়। কৃষ্ণ মন্দিরে ভক্তিমূলক ভজন, ধর্মীয় রীতি এবং বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়, যা সমগ্র নগরকে মাতিয়ে রাখে এই সময়ে।

    ২. দ্বারকা ইস্কন মন্দির, দিল্লি (Holi 2025)

    দিল্লির অন্যতম বিখ্যাত মন্দির হিসেবে পরিচয় রয়েছে দ্বারকা ইস্কনের। ভক্তি ও আধ্যাত্মিক উচ্ছ্বাসের সঙ্গে এখানে হোলি উদযাপন করা হয়। এই উৎসব গুলি হল- ভগবান কৃষ্ণের উদ্দেশে ভজন ও কীর্তন। আরতি এবং হোলির তাৎপর্য নিয়ে ধর্মী আলোচনাও হয় এখানে। এছাড়া, মন্দির প্রাঙ্গণে আবির খেলাও হয়।

    ৩. দ্বারকাধীশ মন্দির, দ্বারকা

    দ্বারকার রাজা হিসেবে পরিচিত রয়েছেন হিন্দু ধর্মের ভগবান শ্রী কৃষ্ণ। তাঁর প্রতি উৎসর্গীকৃত এই মন্দিরে ভজন, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং একটি বিশাল আরতির মাধ্যমে ঐতিহ্যবাহী হোলি উদযাপন করা হয়।প্রতি বছরই চলে এই উৎসব। ভক্তরা কীর্তন করেন। একইসঙ্গে শ্রী কৃষ্ণের ঐশ্বরিক লীলার মাহাত্ম্যকে স্মরণ করেন।

    ৪. রাধা রমণ মন্দির, বৃন্দাবন

    বৃন্দাবনের এই মন্দির ভারত বিখ্যাত (Holi 2025)। কৃষ্ণ মূর্তির জন্য বিখ্যাত এই মন্দির। এখানে হোলি উদযাপন করা হয় ভক্তি ও শান্তির সঙ্গে। রঙ খেলার পরিবর্তে ভক্তরা ফুলের হোলি খেলেন এখানে, সুমধুর কীর্তন এবং কৃষ্ণ লীলায় অংশগ্রহণ করেন প্রত্যেকে। শান্তিপূর্ণ হলেও উৎসব মুখরিত করে রাখে চারপাশ।

    ৫. গোবিন্দ দেব জি মন্দির, জয়পুর

    রাজস্থানের জয়পুরের এই বৃহৎ মন্দিরটি ঐতিহ্যবাহী রাজস্থানি আড়ম্বরের সঙ্গে হোলি (Holi 2025) উদযাপন করে। মন্দিরকে রঙিনভাবে সাজানো হয়। শ্রী কৃষ্ণের জীবনের উপর ভিত্তি করে লোকনাট্য পরিবেশন করেন ভক্তরা। একইসঙ্গে ভক্তিমূলক গান ও ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে আবির খেলা হয়।

    ৬. শ্রীনাথজি মন্দির, নাথদ্বারা

    শ্রীনাথজি মন্দিরের হোলি (Holi 2025) উদযাপন অত্যন্ত ধুমধাম করে হয়। রাধারমণ মন্দিরের মতো এখানেও রঙের পরিবর্তে ফুল দিয়ে হোলি খেলা হয়। এর পাশপাশি ছাড়ি হোলি, যেখানে পুরোহিতরা সুন্দরভাবে সজ্জিত লাঠি ব্যবহার করে রীতি পালন করেন। হোলির দিনে অন্নকূট উৎসব পালিত হয়, যা হোলির অংশ হিসেবে ভগবান কৃষ্ণকে নিবেদিত একটি বৃহৎ ভোজ।

    ৭. জগন্নাথ মন্দির, পুরী

    ওড়িশায় হোলি বাংলার মতোই দোল পূর্ণিমা হিসেবে পালিত হয়। এদিন জগন্নাথ মন্দিরে দেবতাদের সুন্দরভাবে সজ্জিত রথে স্থাপন করা হয়। হিন্দু ধর্মের মানুষজন রঙ দিয়ে হোলি খেলেন ও ভজন গেয়ে ভক্তি প্রদর্শন করেন।

  • Holi 2025: শুধু ভারতই নয়, বিশ্বের এই সব দেশেও মহা উৎসাহে পালিত হয় হোলি

    Holi 2025: শুধু ভারতই নয়, বিশ্বের এই সব দেশেও মহা উৎসাহে পালিত হয় হোলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে হোলি (Holi 2025)। রঙের এই উৎসবে দেশবাসী মেতে ওঠেন। সঙ্গে থাকে নানা রকমের সুস্বাদু মিষ্টি। হোলি উৎসবের উদযাপন শুধুমাত্র রঙের উৎসব নয় বরং  এটি প্রেম ও ঐক্যেরও প্রতীক বলেও মানা হয়। পশ্চিমবঙ্গে পালিত হয় দোল। বাকি দেশে এর নাম হোলি। তবে দেশের বাইরেও হোলি উৎসব পালন করেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। ভারত (India) ছাড়াও যে দেশগুলিতে হোলি উৎসব (Holi 2025) সাড়ম্বরে পালিত হয়, সে নিয়েই আজকের আলোচনা।

    ১. নেপাল

    ভারতের প্রতিবেশী দেশ হল নেপাল। হিন্দু ঐতিহ্যের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রয়েছে এই দেশটির। পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী এই দেশেই বিবাহ হয়েছিল রামচন্দ্রের। নেপালে হোলির পরিচয় ফাগু পূর্ণিমা নামে। নেপাল জুড়ে অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে এই উৎসব উদযাপিত হয়। কাঠমাণ্ডু এবং পোখরার মতো শহরে, মানুষ রাস্তায় জড়ো হয়ে রঙ নিয়ে মেতে ওঠেন উৎসবে। গানের তালে তালে নাচ এবং উৎসবের পরিবেশে চলে হোলি উদযাপন। রঙ মেশানো জলের বেলুন এবং রঙিন আবির নিয়ে হোলি উৎসবে (Holi 2025) মেতে ওঠেন নেপালের বাসিন্দারা।

    ২. মরিশাস

    মরিশাসেও প্রচুর সংখ্যক প্রবাসী ভারতীয় রয়েছেন। মূলত উত্তর প্রদেশ এবং বিহারের বাসিন্দারাই এখানে বসতি গড়েছিলেন। এই দেশেও ধুমধাম করে চলে উৎসবের পালন। ভজন-কীর্তন, হোলিকা দহন এবং রঙ খেলায় মেতে ওঠেন মরিশাসের হিন্দুরা (Holi 2025)। হিন্দু প্রধান মরিশাসে হোলির গুরুত্ব এতটাই যে এই দিনটিকে সরকার জাতীয় ছুটি বলে ঘোষণা করেছে।

    ৩. ফিজি

    ফিজিতেও বিরাট সংখ্যায় প্রবাসী ভারতীয়রা থাকেন। মূলত উত্তরপ্রদেশ এবং বিহার থেকে আসা প্রবাসী ভারতীয়রাই থাকেন এখানে। ফিজিতে হোলি একটি জাতীয় উৎসব। এখানে ঐতিহ্যবাহী গান, নাচ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত হয় হোলি। তবে কেবল ভারতীয় সম্প্রদায়ই নয়, স্থানীয় ফিজিয়ান জনগোষ্ঠীও হোলিতে অংশগ্রহণ করে।

    ৪. পাকিস্তান

    দেশভাগের পরে ইসলামিক দেশ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে পাকিস্তান। তারপরে আজও এই দেশ থেকে হিন্দু নির্যাতনের খবর সামনে আসে। তবে এসব ভীতিকে উপেক্ষা করেই পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশ, করাচি, লাহোর এবং অন্যান্য অঞ্চলে অনেক হিন্দুরা হোলি উদযাপন করেন। হিন্দু মন্দির ও অন্যান্য ধর্মীয় কেন্দ্রগুলিতে জমকালো হোলি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে মানুষজন রঙিন আবির নিয়ে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, এই উদযাপন আরও বেশি জনপ্রিয়তা।

    ৫. বাংলাদেশ

    সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। তবে এখানকার হিন্দুরা হোলিতে মেতে ওঠেন অত্যন্ত সাড়ম্বরে। তবে চলতি বছরে ইউনূস জমানায় হোলি কতটা শান্তিপূর্ণ হবে হোলি, সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে! বাংলাদেশের ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেটের মতো শহরে, হিন্দুরা সাড়ম্বরে পালন করে হোলি। বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যেও হোলি উদযাপিত হয়। এটি দোল পূর্ণিমা বা বসন্ত উৎসব নামেও পরিচিত, এখানে মানুষজন রঙ নিয়ে উৎসবে মেতে ওঠেন। বিশেষ পুজোয় আয়োজন করা হয় এখানে। মন্দিরগুলিতে হোম-যজ্ঞ করা হয়।

    ৬. ইন্দোনেশিয়া

    এই দেশে হোলি নয় বরং ‘প্রোহিয়ন’ নামে পালন হয় হোলি উৎসব। ইন্দোনেশিয়ার মানুষজন রঙ নিয়ে নাচে। নাচ-গানের মাধ্যে দিয়ে একে অপরকে রাঙিয়ে তোলেন ইন্দোনেশিয়ার মানুষ।

    ৭. আফ্রিকা মহাদেশ

    ইন্দোনেশিয়ার পর হোলি খেলার তালিকায় রয়েছে আফ্রিকা মহাদেশে। এই দেশে বসবাসকারী হিন্দু সম্প্রদায়ের মাধ্যমে হোলি উদযাপন করা হয়। বিশেষত মরিশাস, মোজাম্বিক এবং দক্ষিণ আফ্রিকার লোকেরা সব থেকে বেশি হোলি খেলায় যোগ দেন।

    ৮. আমেরিকা

    আমেরিকার বেশ কয়েকটি শহরেও হোলি উদযাপন করা হয়। বিশেষত আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয় নাচের দলগুলি এদিন নাচ-গানের মধ্যে দিয়ে হোলি উদযাপন করা হয়।

    ৯. ইউরোপ মহাদেশ

    ইউরোপের বেশ কিছু দেশে পালন করা হয় হোলি। বিশেষ করে ব্রিটেনে হোলি খুবই জনপ্রিয়। ব্রিটেনে প্রবাসী ভারতীয়রা হোলিতে অংশ নেন।

    ১০. ফাগওয়া

    সাদা পোশাক পরে এই দেশের মানুষজন আনন্দে মেতে ওঠেন হোলি উৎসবে। এই উৎসব বসন্তের আগমনকে চিহ্নিত করে এবং এটি ওই দেশে একটি জাতীয় ছুটির দিন।

    ১১. ত্রিনিদাদ ও টোবাগো

    ঐতিহ্যবাহী গান এবং নাচের মাধ্যমে উদযাপিত এই হোলি। হোলিকা দহনের অংশ হিসেবে বৃক্ষরোপণও করা হয় এই দেশে।

    ১২. গায়ানা

    এই দেশের হিন্দু মন্দিরগুলিতে ধুমধাম করে পালিত হয় হোলি। এই উৎসবে সকল জাতি ও ধর্মের মানুষ সামিল হন।

  • India: মৌলবাদীদের রোষে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান! ওয়াকার-উজ-জামানকে কীভাবে সাহায্য করছে ভারত?

    India: মৌলবাদীদের রোষে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান! ওয়াকার-উজ-জামানকে কীভাবে সাহায্য করছে ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের সেনাপ্রধান (Bangladesh Army Chief) জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের উপর বিরাগভাজন ইসলামপন্থীরা। তার কারণটা কী? ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট যখন গণভবনের দখল নেয় ইসলামপন্থীরা, সেসময় তাঁরা ভেবেছিলেন শেখ হাসিনাকে ধরে ফেলবেন। পরবর্তীকালে প্রকাশ্যে তাঁকে ফাঁসি দেবে। কিন্তু ইসলামপন্থীদের এই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত হতে যিনি দেননি তাঁর নাম জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। যিনি বর্তমানে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান। এই সেনাপ্রধানের উদ্যোগেই শেখ হাসিনা তাঁর বোনকে সঙ্গে নিয়ে দেশ ছাড়েন। আশ্রয় নেন ভারতে (India)। গত সপ্তাহতেই বাংলাদেশের পাকিস্তানপন্থীরা জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে সরিয়ে সেদেশের ১ লাখ ৬৩ হাজার সেনার উপরে নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু সেই পরিকল্পনাকেই ভেস্তে দিয়েছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা। এমনটাই জানা গিয়েছে সূত্র মারফত। বাংলাদেশ সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে এই অভ্যুত্থান নেওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ করার পরেই বেশ চিন্তায় পড়েছে পাকিস্তানের আইএসআই।

    বাংলাদেশে এখনও ইউনূস সরকারের কাছে নতি স্বীকার সেনা (India)

    পাক গোয়েন্দাদের হতাশ হওয়ার কারণ হল জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে বাংলাদেশের সেনার কোনও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাননি। কারণ তিনি মনে করতেন ১৯৭১ সালের যুদ্ধে এরাই বাংলাদেশের বিরোধিতা করেছিল। ৫ অগাস্টের পর থেকে সারা বাংলাদেশ জুড়ে যে অবিচার ও অনাচার চলছে তার কাছে আত্মসমর্পণ করেছে বাংলাদেশের সব প্রতিষ্ঠানই। শুধুমাত্র কোনওভাবে নতি স্বীকার করেনি বাংলাদেশের সেনা। এই কারণেই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে। একইসঙ্গে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকাতে একটি সেনার অনুষ্ঠানে যোগ দেন সেনাপ্রধান। সেখানেই তিনি ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে প্রচ্ছন্ন সমালোচনা করেন। নিজের বক্তব্যে সেনা প্রধান দেশে শান্তি ও ঐক্য স্থাপনের কথা বলেন।

    জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান হলে আদতে শেখ হাসিনার আত্মীয়

    জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান হলেন আদতে শেখ হাসিনার আত্মীয়। তাঁকে সর্বদাই অরাজনৈতিক এবং পেশাদার সেনা হিসেবেই দেখা হয়। মনে করা হয় যে তিনি ভারতের (India) প্রতি অনুকুল মনোভাব পোষণ করেন। এইসবের কারণেই পাকিস্তানপন্থীদের ও বাংলাদেশের ইসলামপন্থী রাজনীতিবিদদের ক্ষোভের কারণ হয়ে উঠেছেন তিনি। গত ২১ জানুয়ারি আইএসআই প্রধান জেনারেল আশিম মালিক ঢাকা সফর করেন। মনে করা হয় জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এই সফরের বিরুদ্ধে ছিলেন। কিন্তু ইউনূস প্রশাসনের সামনে তাঁকে নতি করতে হয়। সেনাপ্রধানের আপত্তি সত্ত্বেও এই সফর হয়।

    ভারতের (India) পরামর্শেই আফ্রিকা সফর

    জানা গিয়েছে, ভারতের পরামর্শেই বাংলাদেশের জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান মধ্য আফ্রিকার প্রজাতন্ত্রের সফর করেন গত ৩ মার্চ। সেখানেই তিনি জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করেন। একই সঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধির সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গেও তাঁর একপ্রস্থ বৈঠক হয় বলে খবর। এখন দেখার বাংলাদেশের সেনার মধ্যে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকীভাবে পাকিস্তানপন্থীদের সরিয়ে রাখেন।

  • RSS: “ভারতকে ভারতই বলা উচিত, ইংরেজি নাম নয়,” বললেন আরএসএস কর্তা

    RSS: “ভারতকে ভারতই বলা উচিত, ইংরেজি নাম নয়,” বললেন আরএসএস কর্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতকে (Bharat) ভারতই বলা উচিত, এর ইংরেজি নাম নয়।” এমনই মন্তব্য করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসাবলে। তাঁর এই বক্তব্যের জেরে ফের সামনে চলে এল ‘ভারত’ বনাম ‘ইন্ডিয়া’ বিতর্ক। হোসাবলের প্রশ্ন, ‘গত বছর যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাষ্ট্রপতি ভবনে জি২০ নৈশভোজের সময় দেশকে ভারত প্রজাতন্ত্র বলে উল্লেখ করেছিলেন, তখনও কেন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা সংবিধানের মতো প্রতিষ্ঠানগুলিতে ইংরেজি নাম ব্যবহার করা হচ্ছে?’

    ভারতের সংজ্ঞা (RSS)

    তিনি বলেন, “ভারত শুধুমাত্র একটি ভৌগলিক সত্তা বা সাংবিধানিক কাঠামো নয়, এটি একটি গভীর দর্শন ও আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের প্রতীক।” সুরুচি প্রকাশন দ্বারা প্রকাশিত “বিমর্শ ভারত কা” বইয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে হোসেবল ভারতের এই পরিচয়ের কথা বলেন। পঞ্চশীল বালক ইন্টার কলেজের অডিটোরিয়ামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল “প্রেরণা গবেষণা সংস্থান ন্যাস” নামে একটি সংস্থা। এটি আরএসএস-প্রাণিত একটি সংস্থা। আরএসএস কর্তা বলেন, “দেশের নাম ভারত। তাই ভারতই বলো। ইন্ডিয়া তো ইংরেজি নাম। ভারতের সংবিধান ও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এখনও ঔপনিবেশিক নাম বহন করছে। এটা এক ধরনের বৈপরীত্যের দিকে ইঙ্গিত করে।”

    ‘মানসিক ঔপনিবেশিকতা’ থেকে মুক্তি

    হোসাবলে এই (RSS) বিষয়টিকে ‘মানসিক ঔপনিবেশিকতা’ থেকে মুক্তির বৃহত্তর প্রয়োজনের সঙ্গে যুক্ত করেছেন। তাঁর যুক্তি, ব্রিটিশ শাসন ভারতীয় চেতনায় গভীর ছাপ ফেলেছে। এটা আজও রয়ে গেছে। তিনি সাংস্কৃতিক নিশ্চিহ্নকরণের ঐতিহাসিক উদাহরণেরও উল্লেখ করেন। আরএসএসের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “মুঘলরা ভারত আক্রমণ করেছিল। আমাদের মন্দির, গুরুকুল ও প্রাচীন সংস্কৃতি ধ্বংস করেছিল। আমাদের দমন করেছিল। কিন্তু তারা আমাদের ব্রিটিশদের মতো এই পরিমাণে হীনমন্যতায় ভোগায়নি। ব্রিটিশ শাসন আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছিল যে তারা আমাদের চেয়ে শ্রেয়। ‘ইংরাজিয়ত’-এর ধারণা এখনো বর্তমান।” তিনি বলেন, “এই জন্যই দেশে এখনও ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ব্যবসা এত সফল।” হোসাবলে বলেন, “ঔপনিবেশিক যুগের মানসিকতা থেকে আমাদের সরে আসতে হবে (Bharat)।”

    হোসাবলের বক্তব্য

    আরএসএস কর্তা বাম-উদারপন্থী ঐতিহাসিক বর্ণনাকে ‘ভ্রান্তিকর’ বলে খারিজ করে দিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, তারা (RSS) ভরতের অতীত শাসকদের অত্যাচারী হিসেবে উপস্থাপন করেছে। তিনি বলেন, “তারা আমাদের বিশ্বাস করাতে চায় যে আমাদের সব রাজাই ছিল অত্যাচারী। তারা সেই বর্ণনা তৈরি করেছে, যা আসলে বিভ্রান্তিকর।” ভিএস নাইপলের ঔপনিবেশোত্তর সমাজের সমালোচনা তুলে ধরে বুদ্ধিবৃত্তিক পুনর্গঠনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন হোসাবলে। তিনি বলেন, “একটি নতুন ঢেউ দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে হবে, যা অন্যদের ছোট করবে না বা অন্য জাতিগুলিকে অবমূল্যায়ন করবে না, বরং আমাদের নিজস্ব পরিচয় পুনরুদ্ধার করবে।”

    দাদাগিরি নয়

    তিনি বলেন, “ভারত কখনই দাদাগিরি করার জন্য দাঁড়াবে না, বা অন্য দেশকে ধ্বংস করার জন্যও নয়। ভারত সর্বদাই বৈশ্বিক মঙ্গলের জন্য অটল থাকবে। তবে তার আগে, আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং উদাহরণ হয়ে নেতৃত্ব দিতে হবে।” প্রসঙ্গত, অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের আগে ভারত বনাম ইন্ডিয়া বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। বিরোধীদের জোটের নামকরণের পর থেকেই ইন্ডিয়া বনাম ভারত বিতর্ক শুরু হয়। এরই মাঝে স্কুলের পাঠ্যবই থেকে ইন্ডিয়া (RSS) মুছে ফেলে তার জায়গায় ভারত যুক্ত করার সুপারিশও করেছিল এনসিইআরটি। আবার (Bharat) রেলমন্ত্রকের নথিতে ইন্ডিয়া শব্দটি তুলে দেওয়া হয়।

    ইন্ডিয়া জোট

    লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল জোট বাঁধে। জোটের নাম হয় ‘ইন্ডিয়া’। তার পরেই জাতীয় রাজনীতিতে ইন্ডিয়া বনাম ভারত বিতর্ক শুরু হয়। এই আবহে জি২০ সম্মেলনেও ইন্ডিয়ার জায়গা নেয় ভারত। লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রচারে বেরিয়ে বিরোধীদের আক্রমণ শানাতে গিয়ে বেশ কিছু জনসভায় একবারও ইন্ডিয়া উচ্চারণ করেননি মোদি (RSS)। বিরোধীদের এই জোটকে কটাক্ষ করতে গিয়ে প্রথম থেকেই ময়দানে নেমেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। এই জোটকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে তিনি পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের নাম উল্লেখ করেছিলেন।

    এই আবহে বিরোধী জোটের নামকরণের জেরেই দেশের নাম পরিবর্তন করা হতে পারে বলে (Bharat) সরব হয়েছিলেন তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আম আদমি পার্টির অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীরা। যদিও প্রধানমন্ত্রী বারবার বলেছেন, দেশের গা থেকে ঔপনিবেশিকতার গন্ধ মুছতেই ইন্ডিয়ার পরিবর্তে ‘ভারত’ শব্দটি ব্যবহার করা হচ্ছে। এদিন আরএসএস কর্তার মুখেও সেই একই যুক্তি (RSS)।

  • Syria Unrest: জটিল হচ্ছে সিরিয়ার পরিস্থিতি, ভারতের সাহায্য চাইছেন নাগরিকরা

    Syria Unrest: জটিল হচ্ছে সিরিয়ার পরিস্থিতি, ভারতের সাহায্য চাইছেন নাগরিকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই জটিল হচ্ছে সিরিয়ার পরিস্থিতি (Syria Unrest)। পশ্চিম এশিয়ার এই দেশটি গৃহযুদ্ধে দীর্ণ। সম্প্রতি সেই যুদ্ধ উঠেছে তুঙ্গে। হিংসার বলি হয়েছেন অন্তত এক হাজার মানুষ। লড়াই চলছে মূলত সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের নিরাপত্তা আধিকারিকদের সঙ্গে সে দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগামীদের। ডিসেম্বরেই আসাদ সরকারকে উৎখাত করে রাজধানী দামাস্কাস দখল করেছিল বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল সাম ও তাদের সহযোগী জইশ আল-ইজ্জার যৌথবাহিনী।

    সংঘাতের শিকার আলাওয়াইটরা (Syria Unrest)

    সিরিয়ার এই রক্তক্ষয়ী সংঘাতের শিকার হচ্ছে আলাওয়াইট নামে একটি সংখ্যালঘু শ্রেণি। এঁরা মূলত বাস করেন সিরিয়ার উপকূলবর্তী এলাকা লাটাকিয়া এবং টারটসে। অভিযোগ, পরিচয়পত্র খতিয়ে দেখে বেছে বেছে খুন করা হচ্ছে আলাওয়াইট সম্প্রদায়ের মানুষকে। লাশের পাহাড় জমছে আলাওয়াইট অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে। প্রশ্ন হল, কেন বেছে বেছে আলাওয়াইটদের ওপর হামলা চালাচ্ছে সরকারের সামরিক বাহিনী? এ দেশে মোট জনসংখ্যার মাত্র ১২ শতাংশ মানুষ এই সম্প্রদায়ের। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আসাদ ছিলেন এই সম্প্রদায়ের। তাঁর আমলে প্রশাসন ও সামরিক বিভাগের উচ্চপদে ঠাঁই দেওয়া হয় আলাওয়াইটদের। এই পক্ষপাতিত্ব সহ্য হয়নি সুন্নি মুসলিম অধ্যুষিত সিরিয়ার। প্রায় পাঁচ দশক ধরে চলা পুঞ্জীভূত এই ক্ষোভের গনগনে আগুনেই এখন পুড়ছে সিরিয়া।

    কী বলছেন স্থানীয়রা

    সিরিয়ার লাটাকিয়ায় বাস করেন বছর ছত্রিশের আলি কোশমার। তিনি বলেন, “মধ্য রাতে বেশ কিছু সশস্ত্র ব্যক্তির চিৎকারে ঘুমে ভেঙে যায় আমার। আগন্তুকরা বলছে, ঘর থেকে বেরিয়ে এসো তোমরা আলাওয়াইট শূকর, নাসাইরি!” প্রসঙ্গত, এই নুসাইরি ইবন নুসাইরের অনুগামীদের বোঝায়। তিনি এই আলাওয়াইটদের একজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। তিনি বলেন, “ওরা আমাদের ঘরের দরজা ভেঙে ফেলল, অস্ত্র দিয়ে মারধর শুরু করল, এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করল। ওরা আমার ভাইকে নিয়ে গেছে। আমাকেও ওরা তিন-তিনবার ছুরি দিয়ে আঘাত করেছে। কোনক্রমে হাসপাতালে গিয়ে প্রাণে বাঁচি (Syria Unrest)।” তিনি বলেন, “জানি না আমার পরিবার এবং আমি আর কতদিন বেঁচে থাকব। আমাদের নাম আমাদের সম্প্রদায়ের পরিচয় প্রকাশ করে। আমাদের উচ্চারণ আমাদের পরিচয় ফাঁস করে। আমাদের উৎপত্তিস্থলও আমাদের ঝুঁকিতে ফেলে।”

    ধর্মীয় সংখ্যালঘুদেরও আক্রমণ

    মিশ্র ধর্মীয় পরিবারের সদস্য মিস্টার সালামাহ। তাঁর মা সুন্নি মুসলমান, বাবা আলাওয়াইট সম্প্রদায়ের। তাঁদের অনেক আত্মীয় আবার খ্রিস্টান। তিনি বলেন, “আসাদের শাসনে আমরাও সব সিরিয়ানের মতোই ভুগেছি।” জানা গিয়েছে, অত্যাচারীরা কেবল আসাদ সমর্থক ও প্রাক্তন সামরিক কর্মীদেরই টার্গেট করছে না, তারা সাধারণ মানুষ, কৃষক এবং খ্রিস্টান ও শিয়া মুসলমান-সহ অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদেরও আক্রমণ করছে।

    সাম্প্রদায়িক নির্মূলকরণ অভিযান

    সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল গত ডিসেম্বরেও। মিস্টার সালামাহ নামে এক সিরিয়ান বলেন, “সেবার সশস্ত্র লোকজন হামলা চালিয়ে একটি মাজারের প্রহরীদের হত্যা করে। পরে মাজারে আগুন লাগিয়ে দেয়। আলাওয়াইটরা প্রতিবাদ করলে নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালায়। যার ফলে হোমসে একজন নিহত হন, জখমও হন বেশ কয়েকজন।” কোশমার বলেন, “যা ঘটছে, তা একটি চলমান সাম্প্রদায়িক নির্মূলকরণ অভিযান। এটি একটি পূর্ণাঙ্গ গণহত্যা। এরা যে কাউকে আলাওয়াইট হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের টার্গেট করছে। তা তাদের ধর্ম, ভাষা বা উৎপত্তি স্থানের ভিত্তিতেই হোক, কিংবা অন্য কোনও কারণে।” তিনি বলেন, “এই যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড হচ্ছে, তা কেবল আসাদ পরিবারের প্রতি প্রতিশোধ নেবার জন্য নয়। এর সঙ্গে আসাদ পরিবারের কোনও সম্পর্ক নেই (Syria Unrest)। সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ দেশটির সবচেয়ে দরিদ্র জনগণের অন্তর্ভুক্ত। তারা নিরীহ নাগরিক — টেকনোলজিস্ট, ডাক্তার এবং কৃষক। তবুও আসাদের অবশিষ্টদের খোঁজার অজুহাতে একটি পুরো সম্প্রদায়কে নির্মমভাবে হত্যা করা হচ্ছে।”

    গণহত্যার নেপথ্যে রাশিয়া!

    এই গণহত্যার নেপথ্যে রাশিয়ার ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করেন মিস্টার খালাফ। তিনি বলেন, “ওরা (রাশিয়া) আসাদ শাসনের অবশিষ্টদের পাল্টা আক্রমণের জন্য উৎসাহিত করেছিল, উপকূল ও আলাওয়াইটদের রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু পরে তাদের ছেড়ে পালায়।”  তিনি বলেন, “এর ফলে নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালানোর সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে যায় আল-জুলানি। যদিও তখন রাশিয়া তাদের ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষার নামে অপরাধ তদন্ত করার দাবি করেছিল।” তিনি বলেন, “যাঁরা হিংসার শিকার হয়েছেন, আমি তাঁদের সাহায্য করতে একটি আর্থিক অনুদানের প্রচার চালাতে চাই। এজন্য আমি ভারত সরকারের সাহায্য প্রার্থনা করছি (Syria Unrest)।”

    প্রসঙ্গত, সিরিয়া সরকারের তরফে জারি করা একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট ৬ মার্চ, ২০২৫ সালে সংঘটিত ঘটনাবলীর বিষয়ে তদন্ত ও সত্য উদ্ঘাটনের জন্য একটি জাতীয় স্বাধীন কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। বিচারক ও আইন বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত এই কমিটিকে ৩০ দিনের মধ্যে তাদের রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে (Syria Unrest)।

  • India: দুবাইয়ে কিউয়ি বধ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ভারতের

    India: দুবাইয়ে কিউয়ি বধ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুবাইয়ের নিউজিল্যান্ডকে হারাল ভারত। ৪ উইকেটে জয় পেল টিম ইন্ডিয়া। ২০১৩ সালের পর ফের একবার ভারতের ঘরে এল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ২৫২ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে মারকাটারি ইনিংস খেললেন রোহিত। ১ ওভার বাকি থাকতেই এই রান তুলে নেয় ভারত।

    ২৫ বছর পরে বদলা (India)

    অপরাজিত থেকেই চ্যাম্পিয়ন হলেন রোহিত শর্মারা (India) । প্রসঙ্গত, ২৫ বছর আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারতে হয়েছিল ভারতকে। সেসময় অধিনায়ক ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই হারের বদলা নিল রোহিত ব্রিগেড (Champions Trophy 2025)। প্রসঙ্গত, গত বছর জুন মাসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও জিতেছিল ভারত। মাত্র ৯ মাসের মধ্যে অধিনায়ক হিসেবে আরও একটি আইসিসি ট্রফি জিতল ভারত। কোচ হিসেবেও সফল হলেন গৌতম গম্ভীর। নিজের প্রথম আইসিসি ট্রফিতেই দলকে চ্যাম্পিয়ন করলেন তিনি।

    ভেল্কি দেখালেন স্পিনাররা (India)

    তবে ভারতের ফিল্ডিং একেবারেই ভালো হয়নি। বোলার হিসেবে তবে ভেল্কি দেখালেন ভারতীয় স্পিনাররা। স্পিনের ফাঁদে জব্দ হল নিউজিল্যান্ড। বরুণ, কুলদীপ যাদব, অক্ষর পটেল ও রবীন্দ্র জাডেজা এই চার স্পিনার ৩৮ ওভার বলে করে খরচ করলেন মাত্র ১৪৪ রান। একইসঙ্গে তুলে নিলেন ৫ উইকেট। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে নিউজল্যান্ড তোলে ২৫১/৭। যা ৬ বল বাকি থাকতেই তুলে নিল ভারত।

    নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার শুরুটা ভালোই করেন

    এদিনও টসে হারেন রোহিত শর্মা (India) । টস জিতে ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে নেওয়ার বিকল্প বেছে নেন কিউয়ি অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার। নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার – উইল ইয়ং ও রাচিন রবীন্দ্র শুরুটা ভালোই করেন। বিশেষ করে রাচিন ঝোড়ো ব্যাটিং করেন। তাঁর ২৮ রানের মাথায় তাঁর ক্যাচ ফেলেন শামি। এরপর ২৯ রানের মাথায় ফের তাঁর ক্যাচ ফেলেন শ্রেয়স। এত ক্যাচ না পড়লে হয়ত আরও কম রানে আটকে রাখা যেত কিউয়িদের, এমনটাই জানাচ্ছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।

  • India: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরে ভারতেই সবচেয়ে বেশি স্টার্টআপ পরিচালনা করেন মহিলারা, বলছে রিপোর্ট

    India: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরে ভারতেই সবচেয়ে বেশি স্টার্টআপ পরিচালনা করেন মহিলারা, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরে ভারতেই (India) সবচেয়ে বেশি নারী রয়েছে প্রযুক্তিগত স্টার্টআপের (Startups) নেতৃত্বে। এমনই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে এক রিপোর্টে। অর্থাৎ সারা পৃথিবী জুড়ে স্টার্টআপ চালানোতে ভারতীয় নারীরা রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। ইতিমধ্যে এই নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছে। ওই প্রতিবেদনে পিটিআই জানিয়েছে যে এই উদ্যোগগুলির ফলে তৈরি হয়েছে ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিরাট মূলধন।

    ৭ হাজারেরও বেশি স্টার্টআপ চলছে মহিলাদের নেতৃত্বে বলছে রিপোর্ট

    প্রসঙ্গত, ট্র্যাকএক্সএন নামের একটি সংস্থা আছে। এই সংস্থা স্টার্টআপ নিয়ে গবেষণা ও বিশ্লেষণ করে। তারাই জানিয়েছে দেশে (India) বর্তমানে মোট সক্রিয় স্টার্টআপের সাড়ে সাত শতাংশই চলে মহিলাদের নেতৃত্বে। এর সংখ্যা হল ৭ হাজারেরও বেশি। প্রতিবেদন অনুসারে জানা যাচ্ছে, মহিলাদের নেতৃত্বে চলা স্টার্টআপগুলি সবচেয়ে বেশি রয়েছে বেঙ্গালুরুতে। কারণ বেঙ্গালুরু ভারতবর্ষের অন্যতম সেরা আইটি হাব বলেই পরিচিত। বেঙ্গালুরুকে ভারতের সিলিকন ভ্যালিও বলা হয়। বেঙ্গালুরু পরেই রয়েছে মুম্বইয়ের স্থান। তৃতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি এনসিআর অঞ্চল।

    নারীদের নেতৃত্বে দেশে বেড়েছে ইউনিকর্নও

    এই অঞ্চলগুলিতেই মহিলাদের (India) নেতৃত্বে স্টার্টআপগুলি রয়েছে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায়। এছাড়া ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও রয়েছে স্টার্টআপ। ভারতে নারীদের নেতৃত্বাধীন ইউনিকর্নগুলিও যথেষ্ট উন্নতি লাভ করেছে বলে জানা যাচ্ছে। ২০২১ সালে দেশে তৈরি হয়েছিল আটটি নতুন ইউনিকর্ন। ২০২২ সালে পাঁচটি। আবার একটু পিছনের দিকে গেলে দেখা যাচ্ছে ২০১৯ সালে তিনটি ইউনিকর্ন তৈরি হয়েছিল। ২০২০ সালে চারটি। ২০১৭, ২০২৩, ২০২৪ এই বছরগুলিতে নতুন কোনও ইউনিকর্ন তৈরি হয়নি। অর্থাৎ হঠাৎ কখনও তা বাড়ছে কখনও আবার তা কমছে। অন্যদিকে, ২০২১ সালে নারীদের নেতৃত্বাধীন স্টার্টআপগুলি সবচেয়ে বেশি তৈরি হয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। ২০২৪ সালে মহিলাদের নেতৃত্বে (India) মোট পাঁচটি স্টার্টআপ প্রকাশ্যে আসে, যার মধ্যে রয়েছে MobiKwik, Tunwal, LawSikho, Usha Financial and Interiors এবং আরও অন্যান্য।

  • Attacks on Hindu: হিন্দুদের নিরাপত্তার দায়িত্ব বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের, ঢাকার উপর চাপ দিল্লির

    Attacks on Hindu: হিন্দুদের নিরাপত্তার দায়িত্ব বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের, ঢাকার উপর চাপ দিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দুদের নিরাপত্তার দায়িত্ব বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের। ফের সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ঢাকার উপর চাপ বাড়াল ভারত। শুক্রবার বিবৃতি দিয়ে মহম্মদ ইউনূসের সরকারকে দায়িত্ব মনে করিয়ে দিলেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। বাংলাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল শুক্রবার বলেন, “বাংলাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রতিদিন খারাপ হচ্ছে। সন্ত্রাসবাদী ও অপরাধীদের মুক্তির পর তা আরও ভয়াবহ হচ্ছে। এই অপরাধীদের গুরুতর অপরাধের জন্য শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। ভারত একটি স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক বাংলাদেশের পক্ষে, যেখানে সব সমস্যা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দ্বারা সমাধান করা যায়।”

    সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা জরুরি

    জয়সওয়াল আরও বলেন, “আমরা বারবার বলেছি যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের, তাদের সম্পত্তি ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলি রক্ষা করার দায়িত্ব নিতে হবে।” তিনি বলেন, “২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২৩৭৪টি ঘটনার মধ্যে শুধুমাত্র ১২৫৪টি ঘটনার তদন্ত করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ৯৮% ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। আমরা আশা করি যে বাংলাদেশ এসব হত্যাকাণ্ড, অগ্নিসংযোগ এবং সহিংসতার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনবে, এবং কোনো ধরনের রাজনৈতিক বৈষম্য না দেখিয়ে এসব বিষয় তদন্ত করবে।”

    বাংলাদেশের উন্নয়নে পাশে ভারত

    বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়ন সহযোগিতা সম্পর্কিত প্রশ্নে, জয়সওয়াল বলেন, “উন্নয়ন সহযোগিতা হল ভারতের বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের অগ্রাধিকারমূলক ক্ষেত্র। সাম্প্রতিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং দীর্ঘদিনের স্থানীয় সমস্যা কিছু প্রকল্পের বাস্তবায়নকে প্রভাবিত করেছে। সরকার তাই প্রকল্প পোর্টফোলিওর যুক্তিসঙ্গতীকরণ এবং যৌথভাবে চূড়ান্ত করা প্রকল্পগুলি সময়মত বাস্তবায়ন করার উপর মনোযোগ দিয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সমর্থন ও ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার পর আমরা এগুলিকে এগিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছি।” সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে জয়সওয়াল বলেন, “বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব হলো হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়া। তাদের সম্পত্তি ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলিকে রক্ষা করা।”

LinkedIn
Share