Tag: India

India

  • India China Relation: অরুণাচল প্রদেশের বাসিন্দাকে হেনস্থা, ফের একবার চিনকে কড়া বার্তা নয়াদিল্লির

    India China Relation: অরুণাচল প্রদেশের বাসিন্দাকে হেনস্থা, ফের একবার চিনকে কড়া বার্তা নয়াদিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার চিনকে কড়া বার্তা দিল নয়াদিল্লি (India China Relation)। সোমবার ভারতের বিদেশমন্ত্রক কড়াভাবে বেজিংকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে, সম্প্রতি সাংহাই বিমানবন্দরে অরুণাচল প্রদেশের এক মহিলাকে যেভাবে হয়রান করা হয়েছে (MEA), সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যে হবে না, সে ব্যাপারে নিশ্চয়তা দেওয়া হোক। ভারতের তরফে এই বিবৃতি দেওয়া হয়েছে এমন একটা সময়ে, যখন ট্রানজিটে থাকা ভারতীয় যাত্রীদের ওপর ইচ্ছেমতো তল্লাশি এবং খারাপ আচরণ ক্রমেই বাড়ছে। প্রসঙ্গত, সাংহাই বিমানবন্দরে ভারতের অরুণাচল প্রদেশের এক মহিলাকে হয়রানির ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই চিনকে কড়া বার্তা দিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেশ।

    রণধীর জয়সওয়ালের বক্তব্য (India China Relatio)

    বিদেশমন্ত্রকের তরফে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা আশা করি চিনা কর্তৃপক্ষ ভারতীয় নাগরিকদের, যাঁরা চিনা বিমানবন্দর দিয়ে ট্রানজিট করছেন, তাঁদের কোনও রকম বাছাই করে টার্গেট করা, ইচ্ছে মতো আটক করা বা হয়রান করা হবে না এবং আন্তর্জাতিক আকাশপথ ভ্রমণের নিয়মগুলিকেও চিনের পক্ষ থেকে মান্যতা দিতে হবে।” তিনি বলেন, “আমরা বহুবার বলেছি যে অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে। শুধু তাই নয়, আমরা এতে কোনও ধরনের হস্তক্ষেপ চাই না।” চিন-ভারত সম্পর্ক প্রসঙ্গে জয়সওয়াল বলেন, “এই সম্পর্ক ধীরে ধীরে ইতিবাচক দিকের দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং আমরা চাই এটি সেই দিকেই এগিয়ে চলুক।”

    ভারতীয় নাগরিকদের সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ

    এদিকে, বিদেশমন্ত্রক ভারতীয় নাগরিকদের জন্য সতর্কতামূলক নির্দেশিকাও জারি করেছে। জয়সওয়াল বলেন, “চিন ভ্রমণ বা দেশটি হয়ে ট্রানজিট করার সময় ভারতীয় নাগরিকদের যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।” বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, প্রেমা ওয়াংজম থংডক নামে অরুণাচল প্রদেশের এক মহিলা, যিনি কর্মসূত্রে ব্রিটেনে থাকেন, তাঁকে আটক করার খবর পেয়ে ভারতের তরফে বেজিং এবং নয়াদিল্লিতে অবস্থিত চিনা দূতাবাসের কাছে জোরালো প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। যদিও চিনের নিয়ম অনুযায়ী তিনি ভিসা-মুক্ত ট্রানজিট সুবিধার যোগ্য ছিলেন, তবুও তাঁকে যাত্রাবিরতির সময় আটক করা হয়। জয়সওয়াল বলেন, “আমরা বলতে চাই যে অরুণাচল প্রদেশ ভারতের একটি অবিচ্ছেদ্য ও অখণ্ড অংশ, এবং এটি একটি স্বতঃসিদ্ধ সত্য। চিনের পক্ষ থেকে যত অস্বীকারই করা হোক না কেন, এটি অকাট্য সত্য যে বাস্তবতা পরিবর্তন করা সম্ভব নয় (India China Relation)।”

    আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল সম্পর্কিত কনভেনশন লঙ্ঘন

    বিদেশমন্ত্রকের মতে, বৈধ পাসপোর্টধারী ওই ভারতীয় নাগরিককে জাপানে যাওয়ার পথে সাংহাই বিমানবন্দরে আটক করা হয় (MEA)। ভারতের দাবি, চিনা কর্তৃপক্ষের এহেন আচরণ ভিত্তিহীন এবং আন্তর্জাতিক ভ্রমণ নীতি লঙ্ঘন করে। জয়সওয়াল বলেন, “এই বিষয়টি চিনের সামনে কঠোরভাবে উত্থাপন করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল সম্পর্কিত বহু কনভেনশন লঙ্ঘন করার পরেও চিনা কর্তৃপক্ষ এখনও তাঁদের কার্যকলাপের ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।” তাঁর মতে, চিনের এই পদক্ষেপ তাদের নিজেদের ভিসা-মুক্ত ট্রানজিট নীতির বিরোধী। বিদেশমন্ত্রক সতর্ক করে জানিয়েছে, এই ধরনের ঘটনা দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করে। জয়সওয়াল বলেন, “অরুণাচল প্রদেশের এক ভারতীয় নাগরিককে জড়িয়ে চিনের ইচ্ছাকৃত পদক্ষেপ উভয় পক্ষের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস ও বোঝাপড়া গড়ে তোলার প্রচেষ্টার পথে বড় বাধা সৃষ্টি করে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে (India China Relation)।”

    স্বেচ্ছাচারী পদক্ষেপ

    বিদেশমন্ত্রক সতর্ক করে বলেছে যে, এই ধরনের ঘটনা দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ককে দুর্বল করে। জয়সওয়াল বলেন, “চিন কর্তৃক অরুণাচল প্রদেশের একজন ভারতীয় নাগরিককে জড়িয়ে নেওয়া এই স্বেচ্ছাচারী পদক্ষেপ উভয় পক্ষের পারস্পরিক বিশ্বাস ও বোঝাপড়া গড়ে তোলার এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে (MEA)।” যদিও ভারতের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে চিন। বেজিং-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, “সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বৈধ অধিকার ও স্বার্থ সম্পূর্ণভাবে সুরক্ষিত ছিল এবং তাঁর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।” এই আটক কিংবা হয়রানির অভিযোগ নাকচ করে দেন তিনি।

    প্রসঙ্গত, ব্রিটেন প্রবাসী অরুণাচল প্রদেশের ওই মহিলা তাঁর দীর্ঘ দুর্ভোগের গল্প তুলে ধরে দাবি করেন, চিনা ইমিগ্রেশন কর্তারা তাঁর ভারতীয় পরিচয় নিয়ে উপহাস করেন এবং প্রশ্ন তোলেন, এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে সাংহাই ও বেইজিংয়ে ভারতীয় দূতাবাসের হস্তক্ষেপের পর (India China Relation)।

  • Bangladesh: এক কেজির দাম ২০০ টাকা! পেঁয়াজ পেতে সেই ভারতের কাছেই হাত পাতছে বাংলাদেশ!

    Bangladesh: এক কেজির দাম ২০০ টাকা! পেঁয়াজ পেতে সেই ভারতের কাছেই হাত পাতছে বাংলাদেশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ ভারতের (India) পায়েই পড়তে হল বাংলাদেশকে (Bangladesh)! সে দেশে হুহু করে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। সেই কারণেই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার ভারতের কাছে হাত পেতেছে। বাংলাদেশের একাধিক আমদানিকারী সংস্থা সরকারের কাছে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি চেয়েছিল। তাতে সম্মতি দিয়েছেন ইউনূস। ৫০ জন আমদানিকারীকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকে ভারত থেকে সর্বোচ্চ ৩০ টন করে পেঁয়াজ কিনতে পারবেন। এভাবে ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারত থেকে দেড় হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করবে বাংলাদেশ।

    পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে চোখে জল (Bangladesh)

    বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে চোখে জল আসার জোগাড় সে দেশের বাসিন্দাদের। কোথাও কোথাও পেঁয়াজের দাম হয়েছে প্রতি কেজি ১৫০ টাকা। কিলো প্রতি ২০০ টাকা করেও বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। সেই দামে রাশ টানতেই এক প্রকার বাধ্য হয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার অনুমতি দিয়েছে ইউনূস সরকার। বাংলাদেশের সামনে অবশ্য ভারত ছাড়াও আরও পাঁচটি বিকল্প ছিল। বাংলাদেশ বাণিজ্য ও শুল্ক কমিশন বছরখানেক আগে পেঁয়াজ আমদানির ওপর ভারতের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর পরামর্শ দিয়েছিল সরকারকে (Bangladesh)। তখনই পাঁচ বিকল্প দেশের কথা বলা হয়েছিল।

    ভারতের বিকল্প

    এই পাঁচটি দেশ হল পাকিস্তান, তুরস্ক, মায়ানমার, মিশর এবং চিন। ভারত ছাড়াও বাংলাদেশ পেঁয়াজ আমদানি করে মায়ানমার, চিন এবং তুরস্ক থেকেও। বাংলাদেশেও পেঁয়াজ উৎপন্ন হয়। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত কম। যদিও সে দেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, আগের চেয়ে বাংলাদেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বেশ খানিকটা বেড়েছে (India)। সূত্রের খবর, দেশের বাজারে পেঁয়াজের সঙ্কট প্রাথমিকভাবে সামাল দেওয়া গেলেই, ভারত থেকে ফের আমদানি বন্ধ করে দেবে বাংলাদেশ। উল্লেখ্য যে, ভারত থেকে যে পরিমাণ পেঁয়াজ বিদেশে রফতানি করা হয়, তার প্রায় এক তৃতীয়াংশই যায় বাংলাদেশে। গত ৩০ অগাস্ট শেষ বার ভারত থেকে পেঁয়াজের গাড়ি বাংলাদেশে গিয়েছিল। তার পর রবিবার ফের ৩০ টন পেঁয়াজের একটা গাড়ি সীমান্ত পেরিয়েছে (Bangladesh)। পেঁয়াজ আমদানির ছাড়পত্র মেলার পর বাংলাদেশের খুচরো বাজারে পেঁয়াজের দাম সামান্য কমেছে। যদিও ৫০ জনকে ৩০ টন করে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ায় খুশি নন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। তাঁদের মতে, আমদানির পরিমাণ আরও কিছুটা বাড়ানো উচিত ছিল।

    পেঁয়াজ কিনতে ইউনূস প্রশাসনের কাছে আবেদন

    পেঁয়াজ আমদানির জন্য ইউনূসের কৃষি মন্ত্রকের কাছে অগাস্ট মাস থেকে আবেদনপত্র জমা পড়েছে সাড়ে তিন হাজার। তার মধ্যে থেকেই বাছাই করে ৫০ জনকে আপাতত অনুমতি দেওয়া হয়েছে (India)। তুমুল বিক্ষোভের জেরে গত বছরের ৫ অগাস্ট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশান্তরিত হন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হন মহম্মদ ইউনূস। হাসিনা আশ্রয় নেন ভারতে। বস্তুত, তার পরেই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে (Bangladesh)। ইউনূস জমানায় বাংলাদেশ সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, তারা ভারতের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আলু-পেঁয়াজ-চাল-সহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানির জন্য বিকল্প দেশ বেছে নেওয়া হবে।

    ভারতকে ‘শিক্ষা’ দিতে গিয়েই বিপত্তি!

    ভারতকে ‘শিক্ষা’ দিতে কোমর বেঁধে নেমে পড়ে ইউনূস সরকার। তার পরেই শোনা যায় পাকিস্তান, তুরস্ক এবং মিশরের মতো ইসলামিক দেশ এবং চিন ও মায়ানমারের মতো ‘বন্ধু’ দেশ থেকে আমদানি করা হবে প্রয়োজনীয় সামগ্রী। মনে রাখা প্রয়োজন, ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশ আগেও পেঁয়াজ কিনত মায়ানমার থেকে, তবে তা নিতান্তই কম। পাকিস্তান-সহ তিন ইসলামিক দেশ থেকেও এখন পেঁয়াজ-সহ অন্যান্য সামগ্রী আমদানি করছে বাংলাদেশ (India)। তবে এজন্য ইউনূসের দেশকে গুণতে হচ্ছে চড়া মাশুল। ভারত থেকে আমদানি করলে যা খরচ হত, এখন ব্যয় হচ্ছে তার দ্বিগুণ-তিনগুণ। সেই কারণেই ফের ভারতের পায়ে এসেই পড়তে হচ্ছে ইউনূসের দেশকে।

    পেঁয়াজের দর

    প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারতে পেঁয়াজের দাম ঘোরাফেরা করছে কেজি প্রতি ২৫ থেকে ৩০ টাকা। সেখানে বাংলাদেশে চোখে জল আনা অতি প্রয়োজনীয় এই সবজির দর ব্যবসায়ীরা হাঁকাচ্ছেন কেজি প্রতি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। বাংলাদেশ ভারত থেকে ১২ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনছে। পরিবহণ খরচ এবং বন্দরের শুল্ক মিলিয়ে খরচ হবে কেজি প্রতি আরও ৬ টাকা করে। এখন এই ১৮ টাকায় পেঁয়াজ কিনে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা কত টাকায় বিক্রি করেন, সেটাই দেখার। তবে ভারত (India) থেকে গেলে যে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম তুলনায় সস্তা হবে, তা বলাই বাহুল্য (Bangladesh)।

  • IndiGo Crisis: ৬১০ কোটি টাকার রিফান্ড, সপ্তাহান্তে এক হাজারের বেশি ফ্লাইট বাতিল ইন্ডিগোর

    IndiGo Crisis: ৬১০ কোটি টাকার রিফান্ড, সপ্তাহান্তে এক হাজারের বেশি ফ্লাইট বাতিল ইন্ডিগোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেশ কয়েকদিন ধরে বিপর্যস্ত ইন্ডিগোর বিমান (IndiGo Crisis) পরিষেবা। ইতিমধ্যেই ওই বেসরকারি বিমানসংস্থার ১ হাজার ৫০০টি-রও বেশি উড়ান বাতিল করা হয়েছে। যাত্রীসংখ্যার নিরিখে দেশের বৃহত্তম বিমানসংস্থা ইন্ডিগোর পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় লক্ষ লক্ষ যাত্রী অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন। রবিবারও সংস্থার এদিনও প্রায় ৬৫০টি ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। দিল্লি, মুম্বাই, বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদ ও কলকাতা বিমানবন্দর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

    দ্রুত জবাব তলব

    পরিষেবার উপর ‘নেতিবাচক প্রভাব’ পড়ার জন্য প্রযুক্তিগত ত্রুটি, শীতকালীন সময়সূচি পরিবর্তন, প্রতিকূল আবহাওয়া, বিমান ব্যবস্থায় ক্রমবর্ধমান যানজট এবং বিমানকর্মীদের কাজের সংশোধিত সময়সূচিকে দায়ী করেছে ইন্ডিগো। তবে কী কারণে এই বিভ্রাট, তা খতিয়ে দেখতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। এদিকে, ডিজিসিএ (DGCA) থেকে জারি হওয়া শোকজ নোটিসের জবাব দিতে আরও সময় চেয়েছে ইন্ডিগো। পাশাপাশি বাতিল ফ্লাইটের যাত্রীদের জন্য ৬১০ কোটি টাকার রিফান্ড করার কাজ শুরু করেছে সংস্থা। এছাড়া সারাদেশে যাত্রীদের ৩,০০০টি ব্যাগেজও পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

    ইন্ডিগো ফ্লাইট পরিস্থিতি

    রবিবার ইন্ডিগো (IndiGo Crisis) তাদের দৈনিক ২,৩০০ ফ্লাইটের মধ্যে প্রায় ৬৫০টি—অর্থাৎ মোট প্রায় ২৮%—বাতিল করেছে। বেশ কয়েকটি রুটে সময়সূচিও পরিবর্তন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার থেকে দেশজুড়ে ইন্ডিগো ইতোমধ্যেই প্রায় ২,০০০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল করেছে। এতে হাজার হাজার যাত্রী দুর্ভোগে পড়েছেন। এক বিবৃতিতে ইন্ডিগো জানিয়েছে, তাদের নেটওয়ার্ক ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে স্থিতিশীল হবে। ডিজিসিএ-র শোকজ নোটিসের জবাব দিতে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় চেয়েছে ইন্ডিগো। শোকজ নোটিসে ডিজিসিএ জানায়, ইন্ডিগোর প্রধান ব্যর্থতা ছিল নতুন ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশন (FDTL) বিধির অধীনে প্রয়োজনীয় স্টাফিং, ডিউটি টাইম এবং রোস্টারিংয়ের যথাযথ ব্যবস্থা করতে না পারা। এক স্ট্যাটাস আপডেটে রবিবার সন্ধ্যায় ইন্ডিগো জানিয়েছে, গতকাল ১ হাজার ৫০০টি ফ্লাইটের বদলে এবার তারা ১ হাজার ৬৫০টিরও বেশি ফ্লাইট পরিচালনার পথে রয়েছে। তারা জানিয়েছে যে ১৩৮টি গন্তব্যের মধ্যে ১৩৭টি চালু রয়েছে এবং ৭৫ শতাংশ পরিষেবা সময়মতো দেওয়া হয়েছে।

  • Assam Tea: ‘বন্ধু’ পুতিনকে গুচ্ছ উপহার মোদির, কী কী দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী?

    Assam Tea: ‘বন্ধু’ পুতিনকে গুচ্ছ উপহার মোদির, কী কী দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমের সুস্বাদু ব্ল্যাক টি (Assam Tea), কাশ্মীরি জাফরান, হাতে তৈরি রূপোর ঘোড়ার মূর্তি, নকশাদার টি-সেট এবং ভগবদ্‌ গীতার রুশ ভাষার সংস্করণ – এইসব উপহার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ‘বন্ধু’ ভ্লাদিমির পুতিনের হাতে তুলে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    পুতিনকে উপহার (Assam Tea)

    শ্রীমদ্‌ ভগবদ্‌ গীতা হল এমন একটি গ্রন্থ, যেখানে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের সময় অর্জুনকে তাঁর কর্তব্য, চিরন্তন আত্মা এবং আত্মিক মুক্তি সম্পর্কে উপদেশ দেন। এর চিরন্তন জ্ঞান নৈতিক জীবনযাপন, মন নিয়ন্ত্রণ এবং অন্তরের শান্তি অর্জনে সহায়তা করে। বিভিন্ন অনুবাদের মাধ্যমে এটি আজ বিশ্বের আধুনিক পাঠকদের কাছেও সহজলভ্য হয়েছে (PM Modi)। উর্বর ব্রহ্মপুত্র সমভূমিতে উৎপাদিত অসম ব্ল্যাক টি তার শক্তিশালী মাল্টি স্বাদ, উজ্জ্বল রঙ এবং ‘অসমিকা’ জাতের ঐতিহ্যবাহী প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ। ২০০৭ সালে জিআই ট্যাগ প্রাপ্ত, এটি ভূমি, জলবায়ু ও কারুশিল্পের দ্বারা গঠিত সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের প্রতীক।

    সমৃদ্ধ শিল্পকলা

    জটিল নকশা ও খোদাই করে নির্মিত মুর্শিদাবাদের সুসজ্জিত রুপোর চা-সেট পশ্চিমবঙ্গের সমৃদ্ধ শিল্পকলা এবং ভারত ও রাশিয়ার চা সংস্কৃতির গভীর গুরুত্বকে প্রতিফলিত করে। আধিকারিকরা জানান, ভালোবাসা ও স্নেহের নিদর্শন হিসেবে উপহার দেওয়া এই সেট ভারত-রাশিয়া বন্ধুত্বের স্থায়িত্ব ও চায়ের চিরন্তন অনুষঙ্গকে উদযাপন করে। সূক্ষ্ম শিল্পকৌশলে সজ্জিত মহারাষ্ট্রের হাতে তৈরি রৌপ্য ঘোড়াটি ভারতের ধাতু কারুশিল্পের উৎকর্ষতা প্রমাণ করে। হাতে তৈরি ঘোড়ার ঠাঁট-ঠমকপূর্ণ, সামনের দিকে এগিয়ে চলার ভঙ্গি ভারত-রাশিয়া সম্পর্কের স্থায়িত্ব এবং নিরন্তর অগ্রগতির রূপক। আগ্রায় হাতে তৈরি মার্বেল পাথরের দাবা সেট সূক্ষ্ম কারুশিল্প ও ব্যবহারিক সৌন্দর্যের সমন্বয়, যা ‘ওয়ান ডিস্ট্রিক্ট ওয়ান প্রোডাক্ট’ (ODOP) উদ্যোগের অধীনে এ অঞ্চলের পাথরের শিল্পঐতিহ্যকে তুলে ধরে (Assam Tea)।

    কাশ্মীরি জাফরান, স্থানীয়ভাবে ‘কোং’ বা ‘জাফরান’ নামে পরিচিত, কাশ্মীরের উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে উৎপাদিত হয়। রঙ, সুগন্ধ ও স্বাদের জন্য এটি বিখ্যাত (PM Modi)। গভীর সাংস্কৃতিক ও রন্ধনপ্রণালীগত গুরুত্বও বহন করে কাশ্মীরি জাফরান।

  • Supreme Court: তালাকপ্রাপ্ত মুসলিম মহিলারা ফেরত পাবেন বিয়ের দেনমোহর, গয়নাও, রায় সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: তালাকপ্রাপ্ত মুসলিম মহিলারা ফেরত পাবেন বিয়ের দেনমোহর, গয়নাও, রায় সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তালাকপ্রাপ্ত মুসলিম মহিলাদের আর্থিক স্বাধীনতা ও আইনি সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, বিয়ের সময়ে প্রদত্ত মেহের, গয়না, নগদ অর্থ এবং অন্যান্য সব উপহার, তা সে মহিলা নিজে নিন কিংবা তাঁর স্বামীর হাতে তুলে দেওয়া হোক, সেগুলিতে ওই মহিলার পূর্ণ অধিকার। তাই বিবাহবিচ্ছেদ (Muslim Women) হলে অবশ্যই তা তাঁকে ফেরত দিয়ে দিতে হবে। আদালতের এই রায়ে স্পষ্ট, এই সব জিনিস ওই মহিলার ব্যক্তিগত ও একচ্ছত্র সম্পত্তি। তাই বিবাহবিচ্ছেদ পরবর্তী সময়ে তা ফিরিয়ে দেওয়া বাধ্যতামূলক।

    ডিভিশন বেঞ্চের রায় (Supreme Court)

    এ সংক্রান্ত রায়টি দেয় বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং এন কোটিশ্বর সিংয়ের ডিভিশন বেঞ্চ। মামলাটি ছিল এক মুসলিম মহিলার, যাঁর প্রায় ১৭.৬৭ লাখ টাকার সোনা ও নগদ-সহ অন্যান্য বিবাহ সম্পর্কিত সম্পত্তি ফেরত পাওয়ার দাবি খারিজ করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্ট বলেছিল, উপহারগুলি সরাসরি কনেকে দেওয়া হয়েছিল নাকি বরকে, সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দেয়, এই ধরনের সংকীর্ণ ব্যাখ্যা আইন প্রণেতাদের উদ্দেশ্য এবং নারীর মর্যাদা ও সমতার সাংবিধানিক নিশ্চয়তা – দুটিই ক্ষতিগ্রস্ত করে।

    রায়ের ভিত্তি

    প্রসঙ্গত, শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ যে রায় দিয়েছে, তার ভিত্তি হল মুসলিম নারী (বিবাহবিচ্ছেদের ক্ষেত্রে অধিকার সুরক্ষা) আইন, ১৯৮৬-এর ধারা ৩(১)(ডি)। এখানে বলা হয়েছে, নারীকে বিয়ের আগে, সময়কালে বা পরে যে কোনও উপহার বা সম্পত্তি, তা আত্মীয়, বন্ধু, স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির লোক যে-ই দিক না কেন, তালাক হওয়ার পরে সেগুলি অবশ্যই ফেরত দিতে হবে। আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, এই আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে তালাকপ্রাপ্ত মুসলিম নারীর আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য। তাই একে এমনভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে যাতে লিঙ্গ-ন্যায়বিচার সুরক্ষিত হয় (Supreme Court)।

    বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ

    বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, দেশের বহু অঞ্চলে, বিশেষত গ্রামীণ ও আধা-শহুর এলাকায় এখনও পুরুষতান্ত্রিক বৈষম্য সমাজের স্বাভাবিক রীতি। এই প্রেক্ষাপটে আদালত উল্লেখ করে, নারীর অর্থনৈতিক অধিকার রক্ষাকারী আইনগুলিকে যান্ত্রিকভাবে নয়, উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে প্রয়োগ করতে হবে। বেঞ্চের মন্তব্য, “নারীর (Muslim Women) সমতা, মর্যাদা ও স্বায়ত্তশাসনের সাংবিধানিক প্রতিশ্রুতি এই আইনের ব্যাখ্যায় প্রভাব ফেলতে হবে।”

    হাইকোর্টের কড়া সমালোচনা

    কলকাতা হাইকোর্টের কড়া সমালোচনা করে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, শুধুমাত্র প্রমাণসংক্রান্ত অস্পষ্টতার ভিত্তিতে ওই নারীর দাবি খারিজ করা হয়েছে। সর্বোচ্চ আদালত বলেছে, হাই কোর্টের এই সিদ্ধান্ত উদ্দেশ্যভিত্তিক ব্যাখ্যার লক্ষ্যবিন্দু মিস করেছে। কারণ তারা ১৯৮৬ সালের আইনের পেছনে থাকা আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্য বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে। আদালত ওই মহিলার আবেদন মঞ্জুর করে নির্দেশ দিয়েছে, তাঁর প্রাক্তন স্বামী ছসপ্তাহের মধ্যে হিসাব অনুযায়ী সম্পূর্ণ অর্থ তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করবেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রায় একটি শক্তিশালী বার্তা দেয় যে, প্রক্রিয়াগত জটিলতা বা বৈবাহিক উপহারের মালিকানা সম্পর্কে পুরুষতান্ত্রিক অনুমানের ভিত্তিতে নারীদের তাঁদের ন্যায্য সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করা যাবে না (Supreme Court)।

    সুপ্রিম কোর্টের এই রায় ভারতীয় ব্যক্তিগত আইন বিচারব্যবস্থার বিকাশে একটি উল্লেখযোগ্য মুহূর্ত চিহ্নিত করে। বিবাহ উপহার ও মোহরানা সম্পূর্ণভাবে নারীর অধিকার বলে স্বীকৃতি দিয়ে, সুপ্রিম কোর্ট মুসলিম নারীদের জন্য বর্তমানে (Muslim Women) থাকা সুরক্ষা কাঠামোকে আরও প্রসারিত করেছে। এটি তাঁদের আর্থিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাঁদের সাংবিধানিক অধিকারও সুরক্ষিত রাখবে (Supreme Court)।

     

  • India Russia Relation: ঐতিহাসিক ভারত সফরে আসছেন পুতিন, পঞ্চস্তরীয় নিরাপত্তার বলয়ে দিল্লি

    India Russia Relation: ঐতিহাসিক ভারত সফরে আসছেন পুতিন, পঞ্চস্তরীয় নিরাপত্তার বলয়ে দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, বৃহস্পতিবার দু’দিনের ঐতিহাসিক ভারত সফরে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (India Russia Relation)। রুশ প্রেসিডেন্টের আসার প্রতীক্ষার (Vladimir Putin) প্রহর গুণছেন ভারতবাসী। রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানিয়ে ব্যানার-পোস্টারে ছয়লাপ করে দেওয়া হয়েছে নয়াদিল্লির রাস্তা-অলি-গলি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, এর মধ্যে দিয়ে রাশিয়া এবং ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক যোগাযোগ আর মজবুত হবে।

    ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন (India Russia Relation)

    পুতিন এদিনই ভারতে তাঁর দুদিনের সফর শুরু করবেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর নয়াদিল্লি আগমনের অল্প সময় পরেই ব্যক্তিগত নৈশভোজের আয়োজন করবেন। শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে ২৩তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন। এই সম্মেলন এমন একটি সময়ে হচ্ছে, যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নয়াদিল্লির ওপর শাস্তিমূলক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এই বৈঠকে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করা, এবং বাণিজ্য ও জ্বালানি অংশীদারিত্ব নিয়েও আলোচনা হবে। ইউক্রেন আক্রমণের পর এটি হবে পুতিনের প্রথম ভারত সফর। শুক্রবার তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো হবে। তার পরেই শুরু হবে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা। উচ্চ পর্যায়ের এই সফরকে কেন্দ্র করে প্রস্তুতি জোরদার করা হয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্টের সফর যাতে নিরাপদ ও বিঘ্নহীন হয় সেজন্য কঠোর করা হয়েছে নিরাপত্তা ও লজিস্টিক ব্যবস্থা। শীর্ষ সম্মেলনের আগে পাঁচ-স্তরীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা কার্যকর করা হয়েছে।

    আঁটসাঁট নিরাপত্তা

    এই ব্যবস্থায় রয়েছে অভিজাত ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (NSG) কমান্ডো, সম্ভাব্য যাতায়াতপথে নিযুক্ত স্নাইপার, ড্রোন নজরদারি, অননুমোদিত সংকেত বন্ধে জ্যামার এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে এআই-নিয়ন্ত্রিত মনিটরিং সিস্টেম (Vladimir Putin)। গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন পর্যবেক্ষণের জন্য উচ্চ প্রযুক্তির মুখ চিনতে পারা ক্যামেরাও লাগানো হয়েছে (India Russia Relation)।নয়াদিল্লিতে ইতিমধ্যেই রাশিয়ার ৪০ জনেরও বেশি সিনিয়র নিরাপত্তা আধিকারিক পৌঁছে গিয়েছেন। তাঁরা এনএসজি এবং দিল্লি পুলিশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ রেখে চলেছেন, যাতে রাষ্ট্রপতির কনভয়ের প্রতিটি মুহূর্ত রিয়েল-টাইমে পর্যবেক্ষণ করে সম্ভাব্য যে কোনও হুমকি নিষ্ক্রিয় করা যায়। বহুস্তরীয় এই নিরাপত্তা ব্যবস্থাটি কৌশলগতভাবে ভাগ করা হয়েছে এভাবে, বাইরের স্তরগুলি এনএসজি দলের এবং দিল্লি পুলিশের তত্ত্বাবধানে থাকবে, আর ভেতরের স্তরগুলি পরিচালনা করবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্সিয়াল সিকিউরিটি সার্ভিস।

    রাষ্ট্রপতির রাষ্ট্রীয় গাড়ির

    রুশ প্রেসিডেন্ট যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কোনও বৈঠক করবেন, এসপিজির কমান্ডোরা মূল নিরাপত্তা বলয়ে যুক্ত হবেন। পুতিন যে হোটেলে থাকবেন এবং যেসব জায়গায় যেতে পারেন, সম্ভাব্য সেই সব জায়গাগুলিও সতর্কতার সঙ্গে পরীক্ষা ও সুরক্ষিত করা হচ্ছে। নিরাপত্তায় কোনও ধরনের ত্রুটি যাতে না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে প্রাণপাত করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। নিরাপত্তা ব্যবস্থার অন্যতম উল্লেখযোগ্য দিক হল রাশিয়ার রাষ্ট্রপতির রাষ্ট্রীয় গাড়ির আগমন, শক্তিশালী সুরক্ষা ব্যবস্থা সমৃদ্ধ আর্মার্ড অরাস সেনাট লিমুজিন, যেটি বিশেষভাবে এই সফরের জন্য উড়িয়ে আনা হয়েছে ভারতে (India Russia Relation)।

    রাষ্ট্রপতি ভবনে নৈশভোজ

    এদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নৈশভোজে যোগ দেবেন পুতিন। শুক্রবার তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানানো হবে রাষ্ট্রপতি ভবনে। পরে তিনি যাবেন রাজঘাটে, শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিসৌধে। এদিনই হায়দরাবাদ হাউসে হবে মোদি-পুতিন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। পরে ভারত মণ্ডপমে একটি অনুষ্ঠান এবং পরে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর আতিথ্যে ডিনারে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে রুশ প্রেসিডেন্টের (Vladimir Putin)। এবার রুশ প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে তাঁর অরাস সেনাট লিমুজিন গাড়িটিও। মস্কো থেকে বিশেষ বিমানে করে উড়িয়ে আনা হয়েছে এই লাক্সারি এই গাড়িটিকে। ২০১৮ সালে বাজারে আসার পর থেকেই এই গাড়িটি হয়েছে পুতিনের সরকারি গাড়ি। গাড়ি নয়, বরং সাঁজোয়া বলা যেতে পারে। অনেকেই বলেন এটি হল ভ্রাম্যমাণ একটি দুর্গ। মাস কয়েক আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন চিনে গিয়েছিলেন এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে, তখন পুতিনের সঙ্গে এই গাড়িতেই দেখা গিয়েছিল তাঁকে (India Russia Relation)।

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ

    প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে মস্কো থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি কিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চক্ষুশূল হয়েছে ভারত। শুল্ক চাপ বজায় রাখার পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে বহু প্রতীক্ষিত বাণিজ্য চুক্তিও করেনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার। এই আবহেই ভারতে আসছেন পুতিন। কংগ্রেস নেতা শশী থারুর বলেন, “রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের পোক্ত সম্পর্ক। মিস্টার পুতিনের এই (Vladimir Putin) সফর তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আমাদের অটোনমি কোনও একটা দেশের কাছে বন্ধক রাখতে পারি না। বরং সব দেশের সঙ্গেই আমাদের স্বাধীন সম্পর্ক থাকা উচিত। আশা করি, রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও জোরালো হবে (India Russia Relation)।”

  • Digital Survey: দেশে শুরু হবে জনগণনা, কবে থেকে জানেন?

    Digital Survey: দেশে শুরু হবে জনগণনা, কবে থেকে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে দেশে চলছে এসআইআর। এই পর্বের শেষেই শুরু হয়ে যাবে জনগণনার (Census) কাজ। অন্তত এমনই জানাল (Digital Survey) কেন্দ্র। ২০২৭ সালে হবে জনগণনা। শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন সংসদে এমনই ঘোষণা করেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। যদিও এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে চলতি বছরের ১৬ জুন। মোট দু’দফায় হবে এই সেনসাসের কাজ। প্রথম পর্যায়ে হবে গৃহ তালিকাভুক্তি ও আবাসন জনগণনা। এটি চলবে ২০২৬ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। দ্বিতীয় পর্যায়ে হবে জনগণনা। এটি হবে ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ এবং লাদাখের মতো পাহাড়ি অঞ্চলগুলিতে যেহেতু তুষারপাত হয়, তাই সেই সব জায়গায় জনগণনা হবে ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে।

    কী বললেন মন্ত্রী? (Digital Survey)

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বলেন, “দেশের সর্বত্র গণনার জন্য ২০২৭ সালের ১ মার্চকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা হবে। তবে লাদাখ, জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের বরফ-ঢাকা অঞ্চলগুলির জন্য জনগণনা হবে ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। সেক্ষেত্রে ২০২৬ সালের ১ অক্টোবর রেফারেন্স তারিখ গণ্য হবে। এই প্রক্রিয়াটিতে পূর্ববর্তী অনুশীলনগুলি থেকে প্রাপ্ত তথ্য ইতিমধ্যেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”

    প্রশ্নপত্র তৈরি

    প্রশ্নপত্র তৈরির বিষয়ে জনগণের মতামত সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে এমএইচএ জানিয়েছে (Digital Survey), জনগণনার প্রশ্নাবলী কেবল মাত্র সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক, ব্যবহারকারী সংস্থা এবং বিষয় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার পরেই চূড়ান্ত করা হয়। জনগণনা ২০২৭ সালের মধ্যে দেশব্যাপী একটি প্রি-টেস্ট গত ৩০ নভেম্বরে শেষ হয়েছে। চূড়ান্ত প্রশ্নাবলী শীঘ্রই বিজ্ঞাপিত হবে বলেই মন্ত্রক জানিয়েছে। জনগণনা বিধি, ১৯৯০ সালের ৬ নম্বর বিধি অনুযায়ী, জনগণনার প্রশ্নাবলী এবং তফশিলগুলি আইনের ধারা ৮-এর উপধারা (১) এর অধীনে সরকারি গেজেটের মাধ্যমে বিজ্ঞাপিত হয় সরকারি গেজেটের মাধ্যমে। প্রশ্নাবলী চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং সেনসাস কমিশনারের কার্যালয়।

    আগামী জনগণনার একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হবে ৭০ বছরেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো জাতিভিত্তিক গণনা অন্তর্ভুক্ত করা। এটি হবে ভারতের প্রথম ডিজিটাল জনগণনাও। এখানে তথ্য সংগ্রহ করা হবে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে। তবে যেসব অঞ্চলে এই সুবিধা নেই, সেখানে কাগজ-ভিত্তিক ফর্মও (Census) পাওয়া যাবে। প্রসঙ্গত, জনগণনা হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালে। তবে করোনা অতিমারির কারণে সেই সময় হয়নি (Digital Survey)।

  • Mohan Bhagwat: “মোদির কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন বিশ্বনেতারা”, বললেন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: “মোদির কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন বিশ্বনেতারা”, বললেন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতের শক্তি এখন প্রকাশ পাচ্ছে, দেশ খুঁজে পাচ্ছে তার যোগ্য জায়গা। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) যখন কথা বলেন, তখন বিশ্বের নেতারা তাঁর কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন।” পুণেতে আরএসএসের শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কথাগুলি বললেন সরসংঘচালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “কেউ যেন জয়ন্তী বা শতবার্ষিকীর মতো মাইলস্টোন উদযাপনের অপেক্ষায় না থাকে, বরং নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই অর্পিত কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে অবিচল থাকে।”

    ভাগবতের বক্তব্য (Mohan Bhagwat)

    ভাগবত বলেন, “সংঘ সেই কাজটাই করে আসছে। সংঘ শতবর্ষ পূরণ করেছে, নানা চ্যালেঞ্জ এবং ঝড়ঝাপটা অতিক্রম করেছে, কিন্তু এখন আত্মসমালোচনার সময়। তবে সমগ্র সমাজকে একত্রিত করার কাজ করতে এত দীর্ঘ সময় কেন লাগল?” তাঁর মতে, সাধারণভাবে বিশ্বাস করা হয় যে ভারত যখন উঠে দাঁড়ায়, তখন বিশ্বের নানা সমস্যার সমাধান হয়, সংঘাত কমে যায়, প্রতিষ্ঠিত হয় কাঙ্খিত শান্তি। সরসংঘ চালক বলেন,  “ইতিহাসে এই ঘটনা লেখা রয়েছে। আমাদের তা পুনরায় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বর্তমান সময়ে এটিই সবচেয়ে জরুরি। বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে তামাম বিশ্ব ভারতের কাছ থেকে এই প্রত্যাশাই করে। আর সেই কারণেই সংঘের স্বয়ংসেবকরা প্রথম দিন থেকেই এই সংকল্প নিয়ে কাজ করে আসছেন।”

    মোদির কথা কেন বিশ্ব এত মনোযোগ দিয়ে শোনে

    ভারতের ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক মর্যাদা তুলে ধরে ভাগবত বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথা কেন বিশ্ব এত মনোযোগ দিয়ে শোনে, জানেন? তাঁর কথা এখন শোনা হচ্ছে কারণ ভারতের শক্তি এখন সেই সব জায়গায় প্রকাশ পেতে শুরু করেছে, যেখানে তার থাকা উচিত। আর এই কারণেই বিশ্ব ভারতের দিকে নজর দিচ্ছে (Mohan Bhagwat)।” এদিনের অনুষ্ঠানে তিনি স্মরণ করেন আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা ডক্টর কেশব বালিরাম হেডগেওয়ারের ত্যাগ ও অবদানের কথা। তিনি বলেন, “১৯২৫ সালে নাগপুরে হিন্দুত্ববাদী এই সংগঠন প্রতিষ্ঠা করার পর সংঘের স্বয়ংসেবকরা বহু প্রতিকূলতা ও চ্যালেঞ্জের মধ্যেও তাঁদের দায়িত্ব পালনের যাত্রা শুরু করেছিলেন।” ভাগবত জানান, তাঁদের কাজ ইতিবাচক ফল দেবে, এ ব্যাপারে কোনও নিশ্চয়তা ছিল না। বলেন, “সংঘ স্বয়ংসেবকরা সাফল্যের বীজ বপন করেছিলেন এবং নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে পরিবর্তনের পথ তৈরি করেছিলেন। তাঁদের প্রতি আমাদের সর্বদা কৃতজ্ঞ থাকা উচিত (PM Modi)।”

    সরসংঘ চালক বলেন, “আমাদের ভিত্তি বৈচিত্রের মধ্য দিয়ে ঐক্যে নিহিত। তাই আমাদের এক সঙ্গে চলতে হবে। আর তার জন্য ধর্ম অপরিহার্য। ভারতের সব দার্শনিক মতবাদ একটি উৎস থেকেই উদ্ভূত। কারণ সব কিছুই পরস্পর সংযুক্ত। আমাদের সামঞ্জস্য বজায় রেখে এগোতে হবে (Mohan Bhagwat)।”

  • CAA: বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আসা ১২ শরণার্থীকে নাগরিকত্ব দিল মোদি সরকার

    CAA: বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আসা ১২ শরণার্থীকে নাগরিকত্ব দিল মোদি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুসলমানদের অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে কোনও মতে এক কাপড়ে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন অনেক হিন্দু। এমনই ১২ জন হিন্দু শরণার্থীকে ভারতীয় নাগরিকত্ব (Indian Citizenship) দিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। পশ্চিমবঙ্গে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) -এর অধীনে তাঁদের নাগরিকত্বের শংসাপত্র দিয়েছে সরকার। ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণ হাতে পেয়ে তাঁরা যেন হাতে চাঁদ পেয়েছেন। যার জেরে অবসান ঘটল বহু দশকের অনিশ্চয়তার। সেই সঙ্গে সূচনা হল এক নিরাপদ ও স্থিতিশীল ভবিষ্যতের। দীর্ঘদিন বাংলাদেশে থাকলেও, নিরন্তর অত্যাচারের কারণে ভারতকেই তাঁরা তাঁদের মাতৃভূমি হিসেবে শ্রদ্ধা করতেন। শেষমেশ সেই দেশেই চিরকালের জন্য ঠাঁই জুটল সহায়-সম্বলহীন এই ১২জন হিন্দু শরণার্থীর।

    বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাত্রা (CAA)

    এই হিন্দু পরিবারগুলির বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাত্রাটি ছিল যথেষ্ট বেদনাদায়ক। তাঁদের অনেকেই পূর্ব বাংলা ছেড়ে আসেন কেবল পরণের পোশাকটি সম্বল করে। ধর্ম, সংস্কৃতি ও পরিচয়ের কারণে তাঁদের জোর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশ থেকে। তাঁরা পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছেছিলেন শুধু এই বিশ্বাস নিয়েই যে ভারত তাঁদের রক্ষা করবে। ভারতে বসবাস করলেও বস্তত তাঁরা ছিলেন রাষ্ট্রহীন। নাগরিকত্ব না থাকায় তাঁরা নিয়মিত চাকরির জন্য আবেদন করতে পারতেন না, পাসপোর্ট পেতেন না, কিংবা অন্যান্য মৌলিক সুবিধা থেকেও বঞ্চিত ছিলেন। কোনও নথির প্রয়োজন হলেই তাঁদের বলা হত ১৯৭১ সালের আগের কাগজপত্র দেখাতে। কার্যত এটি ছিল তাঁদের পক্ষে অসম্ভব। কারণ নিরন্তর হিংসার মধ্যে তাঁরা এ দেশে চলে এসেছিলেন কোনওক্রমে।

    লড়াই চলেছে দশকের পর দশক ধরে

    শরণার্থী এই হিন্দুদের লড়াই চলেছে দশকের পর দশক ধরে। কারণ পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে তাঁদের নাগরিকত্ব পেতে দেরি হয়েছে। তৃণমূল তো বটেই, সিপিএম এবং কংগ্রেসের বহু নেতাও তাঁদের প্রয়োজনীয় নথি দেওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন। যার ফলে এই দেশের হাজার হাজার হিন্দু শরণার্থী দিন কাটিয়েছেন ভয়ে ভয়ে। এই ভয় পাছে কখনও ফের বাংলাদেশে ফিরতে হয়, সেই ভেবে, কখনও বা কাজ হারানোর ভয়ে, এবং যে দেশকে তারা নিজেদের ঘর মনে করত, সেখান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার ভয় (CAA)।

    সিএএ

    শরণার্থী পরিবারগুলির জন্য স্বস্থির হাওয়া বয়ে নিয়ে এসেছে সিএএ। মোদি সরকার এই সিএএ-এর বিধি জারি করে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করার পর পরিবর্তন হতে থাকে তাঁদের পরিস্থিতির। এই সপ্তাহে পশ্চিমবঙ্গে যে অগ্রগতি হয়েছে তাকে একটি মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে, বিশেষ করে মতুয়া এবং অন্যান্য হিন্দু সম্প্রদায়দের জন্য যাঁরা দেশভাগের সময় ও পরবর্তী কালে ভারতে এসেছেন। অথচ, এই সিএএ-রই প্রবল বিরোধিতা করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দলবল (Indian Citizenship)।মতুয়া সম্প্রদায়ই রাজ্যের অন্যতম বৃহৎ শরণার্থী গোষ্ঠী। তাঁরা মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। বহু দশক ধরে ঠাকুরবাড়ি ও আশপাশের এলাকায় বহু পরিবার কাগজপত্র ছাড়াই বসবাস করতেন। তাঁরা সব সময় আশঙ্কায় থাকতেন যে তাঁদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হতে পারে। এখন, নাগরিকত্বের শংসাপত্র হাতে পাওয়ার পর তাঁরা বলছেন, এখন তাঁরা নির্ভয়ে স্বাধীনভাবে বাঁচতে পারবেন।

    বিজেপির অবদান

    এই অগ্রগতির একটি বড় অংশই সম্ভব হয়েছে মাস দুয়েক ধরে সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে বিজেপির খোলা সহায়তা কেন্দ্র এবং ক্যাম্পগুলির জন্য। নদিয়া, কোচবিহার এবং অন্যান্য অঞ্চলের ক্যাম্পগুলি হাজার হাজার শরণার্থীকে সিএএর ফর্ম পূরণ, তথ্য যাচাই এবং কাগজপত্র ঠিকঠাক করতে সাহায্য করেছে। যাঁরা একসময় মনে করতেন তাঁরা কখনওই বৈধ নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন না ভারতে, তাঁরাই এখন উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন (CAA)।

    কী বলছেন নাগরিকত্ব পাওয়া ভারতীয়রা

    সম্প্রতি ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার এক ব্যক্তি। নরেন্দ্র মোদি সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে নিপীড়নের শিকার হয়ে সংখ্যালঘু মানুষ, বিশেষ করে হিন্দুরা ভারতে এসেছিলেন। আমার অভিজ্ঞতায়, যখন আমরা ভারতে এসেছিলাম, তখন রেলওয়ে স্টেশনে জিআরপি আমাদের আটক করে বারাসত ও শিয়ালদহে নিয়ে গিয়েছিল। তখন (Indian Citizenship) আমরা খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। পাসপোর্ট অফিসে যেতে গিয়েও নানা রকম হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। আমাদের সন্তানদের পরীক্ষায় বসা বা ভর্তি হতেও বহু নথিপত্র জমা দিতে হয়েছে। এখন সরকারের প্রণীত আইনের আওতায় নাগরিকত্ব পাওয়ার ফলে উদ্বাস্তু মানুষরা অনেক উপকৃত হয়েছে। উদ্বাস্তুদের পক্ষ থেকে আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ধন্যবাদ জানাই (CAA)।”

  • Hindus Under Attack: অব্যাহত হিন্দু নির্যাতন, দেখে নিন এ সপ্তাহের ছবিটা

    Hindus Under Attack: অব্যাহত হিন্দু নির্যাতন, দেখে নিন এ সপ্তাহের ছবিটা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও বিদেশে হিন্দু এবং হিন্দু ধর্মের ওপর আক্রমণ (Hindus Under Attack) চলছেই। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এই নিপীড়ন ধীরে ধীরে এক ধরনের গণহত্যার রূপ নিচ্ছে। দশকের পর দশক ধরে বিশ্ব এই আক্রমণগুলির গভীরতা ও ব্যাপ্তিকে উপেক্ষা করেছে (Roundup Week)। কারণ এর পেছনে রয়েছে ভয়াবহ হিন্দু-বিদ্বেষমূলক মানসিকতা। জোরপূর্বক ধর্মান্তর, জমি দখল, ধর্মীয় উৎসবের ওপর আক্রমণ, মন্দির ও মূর্তি ভাঙচুর, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, যৌন হিংসা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি বৈষম্য পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই হিন্দুরা এখন তাদের অস্তিত্বের ওপর ক্রমবর্ধমান আক্রমণ ও অভূতপূর্ব হিন্দু-বিদ্বেষের মুখোমুখি। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক গত ২৩ থেকে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত এই সপ্তাহে কী কী ঘটনা ঘটেছে দেশ এবং বিদেশে।

    উত্তরাখণ্ডে নারীর ধর্মান্তর (Hindus Under Attack)

    প্রথমে দেখে নেওয়া যাক ভারতের ছবিটা। উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে বাংলাদেশের নাগরিক মামুন হাসানকে অবৈধভাবে অবস্থান, নথি জালিয়াতি এবং রীনা চৌহান নামে এক নারীর ধর্মান্তর ও পরবর্তী বিবাহের পরিকল্পনার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।   উত্তরপ্রদেশে জুনাইদ নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে আর্যন রাজপুত নামে ভুয়ো পরিচয়ে একটি ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল তৈরি করে এক হিন্দু নাবালিকাকে প্রলোভন দেখায়, যৌন নির্যাতনও করে। এডাপাডাভুরে স্কুটারে থাকা চারজন যুবকের একটি দল সোমবার সন্ধ্যায় ২২ বছর বয়সী অখিলেশের ওপরে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা একজনকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন, পরে গ্রেফতার করা হয় আরও একজনকে।

    ধর্মীয় পরিচয় গোপন করে হিন্দু মেয়েকে প্রলোভন

    ইউপির সীতাপুর জেলার খৈরাবাদ এলাকার পণ্ডিত পুরওয়ার বাসিন্দা নাজিম। সে পেশায় ট্রাক চালক। অভিযোগ, সে অজয় নামে ভুয়ো ইনস্টাগ্রাম পরিচয় ব্যবহার করে নিজের প্রকৃত ধর্মীয় পরিচয় গোপন করে এক হিন্দু মেয়েকে প্রলোভন দেখায়। পরে তাকে নিয়ে পালিয়েও যায়। বর্তমানে উত্তরপ্রদেশের ধর্মান্তর বিরোধী আইনের অধীনে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে (Roundup Week)। ২৫ নভেম্বর অযোধ্যায় রাম মন্দিরে ধ্বজারোহন উপলক্ষে (Hindus Under Attack) এক বিরাট অনুষ্ঠান হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মন্দিরের চূড়ায় গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করেন। প্রত্যাশিতভাবেই, পাকিস্তান, কিছু ইসলামপন্থী গোষ্ঠী এবং ভারতের ‘ওয়োক’ মহলের পক্ষ থেকে এই অনুষ্ঠানের বিরোধিতা ও সমালোচনা করা হয়েছে। কালাবুরগী শহরের রামনগর এলাকায় রিং রোডে ঘটে যাওয়া এক উদ্বেগজনক ঘটনায় রোহিত এবং অনিল নামে দুই ব্যক্তি একটি লরি থামিয়ে তাতে অবৈধভাবে গবাদি পশু বহনের সন্দেহে নথি পরীক্ষা করতে চান। অভিযোগ, তাঁরা এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তাঁদের ওপর সহিংস হামলা চালানো হয়।

    বাংলাদেশের ছবিটাও বিশেষ বদলায়নি। এখানে প্রায় ১৫০ বছরের পুরানো ‘সুন্দরী মিত্র বাড়ি দুর্গা মন্দির’, যা সরকারি অনুদানের ওপর নির্ভরশীল ছিল, রাতারাতি ভেঙে ফেলা হয়েছে। অভিযোগ, এটি বেআইনি জমি দখল করতেই করা হয়েছে (Hindus Under Attack)।

LinkedIn
Share