Tag: India

India

  • USA Bans TikTok: ভারতের পর আমেরিকাতেও নিষিদ্ধ হতে চলেছে টিকটক! বিল পাশ মার্কিন সংসদে

    USA Bans TikTok: ভারতের পর আমেরিকাতেও নিষিদ্ধ হতে চলেছে টিকটক! বিল পাশ মার্কিন সংসদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে নিষিদ্ধ হয়েছিল আগেই। এবার সেই একই পথে পা বাড়াল আমেরিকাও। চিনা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ টিকটক নিষিদ্ধ করতে হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের সভায় বিল পাশ করল জো বাইডেন সরকার (US Banned TikTok)। রবিবারই পাশ হয়েছে এ সংক্রান্ত বিলটি। দেশের নিরাপত্তার কারণেই টিকটক ও তার সত্বাধিকারী চিনা সংস্থা বাইটড্যান্সের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে হোয়াইট হাউস।

    নিষিদ্ধ হতে চলেছে টিকটক (US Banned TikTok)

    মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সেনেটে পাশ হওয়ার পরে এই প্রস্তাব কার্যকর হলে আমেরিকায় পুরোপুরি নিষিদ্ধ হয়ে যাবে টিকটক। তার পর আর টিকটক কিংবা বাইটড্যান্সের সঙ্গে আর ব্যবসায়িক লেনদেনও করতে পারবে না কোনও মার্কিন সংস্থা। এদিন ৩৬০-৫৮ ভোটে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে পাশ হয় হয় বিলটি (US Banned TikTok)। বিলটির বিপক্ষে যাঁরা ভোট দিয়েছেন, তাঁদের সিংহভাগই তরুণ প্রজন্মের। রাজনীতির খবরাখবর নিতে ও মতামত ব্যক্ত করতে তাঁরা এই অ্যাপটি ব্যবহার করেন। তবে রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটিক দুই দলই বাইডেন প্রশাসনের প্রশংসা করেছে। এই দুই দল এবং মার্কিন আইনপ্রণেতারাও বলছেন, দেশের নিরাপত্তার ঝুঁকি তৈরি করেছে টিকটক। কারণ চিন তার ১৭০ মিলিয়ন মার্কিন ইউজারের ডেটা ভাগ করতে বাধ্য করতে পারে।

    টিকটকের বক্তব্য

    হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসে বিলটি পাশ হতেই আপত্তি জানিয়েছে টিকটক। বিলটিকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ আখ্যা দিয়ে সংস্থার তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে ‘এত নাগরিকদের মত প্রকাশের অধিকার খর্ব হবে’। এর বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালানোর বার্তাও দিয়েছেন টিকটকের সত্বাধিকারী। চলতি বছরের শেষের দিকে রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এই নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে নানারকমভাবে চেষ্টা করছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় নানা সংবাদপত্রে। বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে ভোটারদের প্রভাবিত করা হতে পারে বলে খবর ছড়ায়। তার পরেই মার্কিন আধিকারিকদের তরফে সতর্ক করে দেওয়া হয় টিকটক ম্যানেজমেন্টকে। শেষমেশ টিকটককে নিষিদ্ধ করতে উদ্যোগী হয় বাইডেন সরকার।

    আরও পড়ুুন: শতাব্দীর ওপর ক্ষোভ জানিয়ে তিনশো সংখ্যালঘু পরিবার যোগ দিল বিজেপিতে

    টিকটকের বিরুদ্ধে কঠোর ইউরোপীয় ইউনিয়নও

    এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নও টিকটকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে চলেছে বলে খবর। ইউরোপিয় ইউনিয়ন কমিশনের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই অ্যাপ (টিকটক) ইউজারদের মানসিক স্বাস্থ্যের ভয়ঙ্কর ক্ষতি করতে পারে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিনা ফৌজের হামলায় মৃত্যু হয় ২০ জন ভারতীয় সেনার। তার পরেই টিকটককে নিষিদ্ধ করে নরেন্দ্র মোদির সরকার। কেবল টিকটক নয়, এই ফেজে ভারত সরকার নিষিদ্ধ করেছিল আরও প্রায় এক ডজন চিনা অ্যাপকে (US Banned TikTok)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Aligarh Muslim University: ভাঙল ১০০ বছরের ইতিহাস! আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় পেল প্রথম মহিলা উপাচার্য

    Aligarh Muslim University: ভাঙল ১০০ বছরের ইতিহাস! আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় পেল প্রথম মহিলা উপাচার্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহিলা উপাচার্য পেল আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় (AMU)। ১০০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার কোনও মহিলা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ আসনে বসলেন। এএমইউ-এর (Aligarh Muslim University) উপাচার্য হিসাবে নিযুক্ত হলেন অধ্যাপিকা নাইমা খাতুন। আগামী পাঁচ বছর তিনিই এই পদে থাকবেন। শিক্ষা মন্ত্রকের অনুমোদনের পরই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু নতুন উপাচার্যের নিয়োগপত্রে সই করেন। নিয়োগপত্র পেয়ে সোমবার সন্ধ্যায় এএমইউ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে নাইমা খাতুনকে আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (woman Vice-Chancellor) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে।

    কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের বক্তব্য

    কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে বিশ্ববিদ্যালয়কে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, “ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিদর্শক হিসাবে তাঁর ক্ষমতায়, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাইমা খাতুনকে পাঁচ বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করেছেন।” ভোট চলাকালীন যেহেতু এখন নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি রয়েছে, তাই এই নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনেরও (ECI) অনুমতি নেওয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কমিশন শর্ত আরোপ করে জানিয়েছে, “এই নিয়োগ নিয়ে কোনও প্রচার হবে না এবং এর থেকে কোনও রাজনৈতিক ফায়দা তোলা যাবে না।”

    আরও পড়ুনঃ শতাব্দীর ওপর ক্ষোভ জানিয়ে তিনশো সংখ্যালঘু পরিবার যোগ দিল বিজেপিতে

    এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্রী ছিলেন নাইমা

    উল্লেখ্য, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্রী ছিলেন নাইমা (Naima Khatoon), এখান থেকে সাইকোলজিতে পিএইচডি করেন তিনি। ১৯৮৮ সালে সেই বিভাগেই লেকচারার হিসাবে যোগ দেন। ২০০৬ সালে প্রফেসর হন। এরপর ২০১৪ সালে ওমেন্স কলেজের প্রিন্সিপাল হিসাবে যোগ দেন। প্রসঙ্গত এর আগে ১৯২০ সালে এএমইউ-তে আচার্য হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন বেগম সুলতান জাহান। সেই সময় তিনি ছিলেন একমাত্র মহিলা আচার্য। আর এবার প্রথম মহিলা উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ হলেন অধ্যাপিকা নাইমা খাতুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rajnath Singh: “সিয়াচেন ভারতের বীরত্ব ও সাহসের রাজধানী”, বললেন রাজনাথ সিং

    Rajnath Singh: “সিয়াচেন ভারতের বীরত্ব ও সাহসের রাজধানী”, বললেন রাজনাথ সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সিয়াচেন (Siachen) ভারতের বীরত্ব ও সাহসের রাজধানী”, বলে মন্তব্য করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। বিশ্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র সিয়াচেন পরিদর্শনে গিয়ে এমনই বললেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Defence Ministar)। সোমবার সকালেই দিল্লি থেকে সিয়াচেনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। সিয়াচেনে পৌঁছে তিনি বেস ক্যাম্পে (Siachen base camp) বীর সৈনিকদের স্মৃতিসৌধে পুস্তস্তবক অর্পণ করে সাহসী বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

    কী বললেন রাজনাথ?

    রাজনাথ সিং পৌঁছতেই জওয়ানরা ‘ভারত মাতা কি জয়’ প্রতিধ্বনিতে সিয়াচেন মুখরিত করে তোলেন। এরপর সেখানকার বীর যোদ্ধাদের সঙ্গে সময় কাটান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। সিয়াচেন হিমবাহের কুমার পোস্টে মোতায়েন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করে মিষ্টিমুখও করেন তিনি। এরপর রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) বলেন, “বিশ্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র সিয়াচেন হিমবাহে আপনারা যেভাবে দেশকে রক্ষা করেছেন, তার জন্য আমি আপনাদের অভিনন্দন জানাই। সিয়াচেন কোনও সাধারণ জায়গা নয়। এটি দেশের সার্বভৌমত্ব ও অধ্যাবসার প্রতীক। আমাদের জাতীয় সংকল্পের প্রতিনিধিত্ব করে সিয়াচেন। আমাদের রাজধানী দিল্লি, মুম্বই আমাদের অর্থনৈতিক রাজধানী, আমাদের প্রযুক্তির রাজধানী বেঙ্গালুরু, কিন্তু সিয়াচেন বীরত্ব ও সাহসের রাজধানী।”

    আরও পড়ুনঃহাইকোর্টের রায়ে বিপাকে নির্বাচন কমিশন, ভোটের ডিউটি করবেন কারা?

    ৪০ বছর পূর্ণ ‘অপারেশন মেঘদূত’

    জানা গেছে, এই অঞ্চলের সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডের সাথে এদিন সাক্ষাত করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। প্রসঙ্গত, ১৯৮৪ সালের ১৩ এপ্রিল ভারতীয় সেনাবাহিনীরা পাকিস্তানকে পরাজিত করে সিয়াচেনকে রক্ষা করে ‘অপারেশন মেঘদূত’ মিশনের মাধ্যমে। ১৩ এপ্রিল, ২০২৪ সালে ‘অপারেশন মেঘদূত’ ৪০ বছর পূর্ণ করেছে। সেই স্মৃতির উদযাপনেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সিয়াচেন পরিদর্শন। উল্লেখ্য, প্রায় ২০ হাজার ফুট উচ্চতায় কারাকোরাম পর্বতমালায় অবস্থিত। সিয়াচেন হিমবাহ বিশ্বের সর্বোচ্চ সামরিক অঞ্চল হিসাবে পরিচিত, যেখানে সৈন্যদের তুষারপাত (snowfall) এবং প্রবল ঝড়ের সাথে প্রতিনিয়ত লড়াই করে দেশকে রক্ষা করতে টিকে থাকতে হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Recruitment News: বড় খবর! তিন বছরে ভারতে ৫ লাখ কর্মী নিয়োগ করবে অ্যাপল!

    Recruitment News: বড় খবর! তিন বছরে ভারতে ৫ লাখ কর্মী নিয়োগ করবে অ্যাপল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং ডিজিটাল ইন্ডিয়ার আওয়াজ তুলেছেন। দেশ ক্রমেই এগোচ্ছে ডিজিটাল যুগের দিকে। প্রত্যাশিতভাবেই চাহিদা বাড়ছে স্মার্ট ফোনেই (Recruitment News)। হাতের মুঠোয় একটা স্মার্ট ফোন থাকলে বাড়িতে বসেই সেরে ফেলা যাবে দুনিয়ার সব কাজ। এহেন আবহে ভারতে চাহিদা বাড়ছে অ্যাপল আইফোনের।

    পাঁচ লাখ কর্মী নিয়োগ

    এই চাহিদা সামাল দিতেই মোদির দেশে এই ফোনের উৎপাদন বাড়াতে চাইছে সংস্থা। ভেন্ডরদের দিয়েই বাড়নো হবে উৎপাদন। আশা করা যাচ্ছে, তার জেরে আগামী তিন বছরের মধ্যেই ৫ লাখ কর্মসংস্থান হবে। রবিবার সরকারি সূত্রেই এ খবর মিলেছে। ভারতে বর্তমানে (Recruitment News) অ্যাপলের কর্মী রয়েছেন দেড় লাখের কাছাকাছি। এঁরা কর্মরত টাটা ইলেকট্রনিক্সের দুটি প্ল্যান্টে। প্রবীণ এক সরকারি আধিকারিক বলেন, “অ্যাপল ভারতে কর্মী নিয়োগের ওপর জোর দিচ্ছে।” জানা গিয়েছে, মোটামুটিভাবে আগামী তিন বছরের মধ্যে এ দেশে তারা নিয়োগ করবে পাঁচ লাখ কর্মী। মূলত তাদের ভেন্ডরদের মাধ্যমেই নিয়োগ করা হবে এঁদের।

    কত ফোন উৎপাদন

    মার্কিন এই ফোন উৎপাদনকারী সংস্থা ভারতে সব চেয়ে বেশি সংখ্যক কর্মী নিয়োগ করে টাটা ইলেকট্রনিক্সের মাধ্যমে। কোম্পানির এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, “ভারতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোম্পানি দ্রুত কাজ করতে চাইছে।” যদিও অ্যাপলের তরফে অফিসিয়ালি এনিয়ে মুখ খোলা হয়নি। ক্রমেই ভারতে বাড়ছে অ্যাপল আইফোনের উৎপাদন। আগামী চার-পাঁচ বছরের মধ্যে সংস্থা ভারতে উৎপাদন পাঁচ গুণেরও বেশি বাড়িয়ে ৪০ বিলিয়ন ডলার করার পরিকল্পনা করেছে। ভারতীয় মুদ্রায় টাকার পরিমাণ প্রায় ৩.৩২ লাখ কোটি।

    আরও পড়ুন: “বঞ্চিতদের ঠকিয়েছেন, লজ্জা থাকলে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত”, তোপ দাগলেন অভিজিৎ

    কর্মী নিয়োগের পাশাপাশি অ্যাপল কর্মীদের জন্য বাড়িও বানিয়ে দিতে চলেছে। এ দেশে প্রায় ৭৮ হাজার বাড়ি বানিয়ে দেওয়া হবে। এর সিংহভাগই হবে তামিলনাড়ুতে। সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবে এর সংখ্যা ৫৮ হাজার। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের আওতায় তৈরি হবে ওই বাড়ি। বাড়ি তৈরির খরচের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ টাকা দেবে কেন্দ্র। বাকি টাকা দেবে রাজ্য সরকার ও অ্যাপল (Recruitment News)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lady Truck Driver: প্রথমবার পেট্রাপোল পেরিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছালেন মহিলা ট্রাকচালক

    Lady Truck Driver: প্রথমবার পেট্রাপোল পেরিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছালেন মহিলা ট্রাকচালক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথমবার পেট্রাপোল (Petrapole Border) পেরিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছালেন মহিলা ট্রাকচালক (Lady Truck Driver)। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক পণ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে বনগাঁ সীমান্তের পেট্রাপোল বন্দরে এদিন তৈরি হল এক ইতিহাস। নারীর প্রগতিতে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল ভারত। 

    মহিলা ট্রাকচালকের পরিচয় (Lady Truck Driver)

    বন্দর সূত্রে খবর, ওই মহিলা ট্রাকচালকের (Lady Truck Driver) নাম অন্নপূর্ণা রানি রাজকুমার। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুর বাসিন্দা তিনি। রবিবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিট নাগাদ তামিলনাড়ুর ওই মহিলা ছয় চাকার একটি কন্টেনার ট্রাক নিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে পেট্রাপোল বন্দর হয়ে বাংলাদেশে (Bangladesh) যান। সেই সময় বন্দরে উপস্থিত ছিলেন পেট্রাপোল ল্যান্ড পোর্ট অথরিটির ম্যানেজার কমলেশ সাইনি। সাইনি বলেন, “পেট্রাপোল বন্দরের ক্ষেত্রে এটি একটি ঐতিহাসিক দিন। প্রথম মহিলা ট্রাকচালক পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে গেলেন। তাঁর জন্য বন্দরের পক্ষ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছিল।”

    পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং ফরওয়ার্ডিং সম্পাদকের বক্তব্য

    এ প্রসঙ্গে পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং ফরওয়ার্ডিং-এর সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, “গত ১৯ শে মার্চ পেট্রাপোলে ভারত সরকারের অর্থ মন্ত্রকের সদস্য রেখা রায়কর কুমার বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও (Lady Truck Driver) সমানভাবে আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে ট্রাক নিয়ে যাতে যেতে পারে, সে দিকে নজর দিতে হবে। সেই মতোই রবিবার সকালে প্রথম কোনও মহিলা ট্রাকচালক (Lady Truck Driver) ভারত থেকে বাংলাদেশ পণ্য বোঝাই ট্রাক নিয়ে পাড়ি দিলেন।” একই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে মহিলা চালকদের ট্রাক চলাচলে বিশেষ নিরাপত্তাও দেওয়া হবে। আগামী দিনে এই পেশাতেও মহিলাদের প্রাধান্য দেখা যাবে।”

    আরও পড়ুনঃ “এতদিন বাঘিনী ছিলেন, এখন বিড়াল হয়ে গেছেন”, মমতাকে তোপ দিলীপ ঘোষের

    জানানো হল অভ্যর্থনা

    উল্লেখ্য প্রতিদিন পেট্রাপোল বন্দর (Petrapole Border) দিয়ে যে পণ্যবাহী ট্রাক যায়, এত দিন সেই সমস্ত ট্রাকের চালক ছিল পুরুষ। তবে এবার সেই রেকর্ড ভাঙল। এই প্রথম বার কোনও মহিলা ট্রাকচালক পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে পণ্য নিয়ে গেলেন। প্রথম মহিলা ট্রাকচালক (Lady Truck Driver) হিসেবে পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে যাওয়ায় বন্দরের পক্ষ থেকে তাঁকে অভ্যর্থনা জানানো হয়। সব মিলিয়ে এদিনের এই পদক্ষেপ ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও মজবুত করল বলেই মনে করছেন সীমান্ত এলাকার মানুষজন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “বিহারকে লণ্ঠনের যুগে নিয়ে যেতে চাইছে ইন্ডি জোট”, তোপ শাহের  

    Amit Shah: “বিহারকে লণ্ঠনের যুগে নিয়ে যেতে চাইছে ইন্ডি জোট”, তোপ শাহের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডি’কে নিশানা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। লালু-রাবড়ির জমানাকে তিনি ‘জঙ্গল-রাজ’ বলেও অভিহিত করেন। বিহারের কাটিহারে একটি নির্বাচনী প্রচারে যোগ দিয়েছিলেন শাহ।

    ‘পরিবারবাদ’কেও নিশানা

    তিনি বলেন, “দরিদ্রদের জীবনে পরিবর্তন এনেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।” এদিনের জনসভায় ‘পরিবারবাদ’কেও নিশানা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পরিবারবাদকে ধ্বংস করেছেন। তিনি বর্ণভেদের অবসান ঘটিয়েছেন। ইতি টেনেছেন তুষ্টিকরণের রাজনীতিতে। সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের মানোন্নয়নের জন্য কাজ করে চলেছেন তিনি। আজ লালু যাদব ও কংগ্রেস যৌথভাবে বিজেপি ও জনতা দল ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমে পড়েছে।” তিনি (Amit Shah) বলেন, “আপনারা স্মরণ করতে পারেন লালু-রাবড়ির জমানার কথা। তখন বিহার জঙ্গলরাজে পরিণত হয়েছিল। আজ তিনি (লালু যাদব) কংগ্রেসের হাত ধরেছেন। আমি তাঁকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, এই কংগ্রেস পার্টিই পিছড়েবর্গের বিরোধিতা করেছিল। কাকাসাহেব কালেলকর কমিশনের রিপোর্ট চেপে দিয়েছিল। কেবল তাই নয়, এরা বিরোধিতা করেছিল মণ্ডল কমিশনের রিপোর্টেরও।”

    আরও পড়ুন: “বাড়িতে পুরুষ না থাকলে মেয়েদের হাত ধরে টানাটানি করে তৃণমূল কর্মী”, বললেন নির্যাতিতা

    ডাবল ইঞ্জিন সরকার

    শাহ বলেন, “গরিব, পিছড়েবর্গ এবং ওবিসিরা প্রত্যেকেই নৃশংসতার শিকার। এনডিএ সরকার যখন থেকে কেন্দ্রের ক্ষমতায় এসেছে, নীতীশ মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন, তার পর থেকেই বন্ধ হয়েছে নৃশংসতা।” তিনি বলেন, “নীতীশজি রাজ্যের প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন। কিন্তু ইন্ডি জোট বিহারকে সেই লণ্ঠনের যুগে নিয়ে যেতে চাইছে। তারা ওবিসির বিরোধিতা করছে।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেস এবং লালু যাদব সত্তর বছর ধরে ৩৭০ ধারা এড়িয়ে চলছিলেন। আর উনিশের অগাস্ট মাসে মোদিজি এই ধারা রদ করেন।” শাহ বলেন, “মোদিজি নক্সালিজম শেষ করেছেন। সন্ত্রাসবাদকে দুরমুশ করে দিয়েছেন। এক সময় দেশে ইউপিএ সরকার ছিল। সেই জমানায় পাকিস্তান থেকে সন্ত্রাসবাদীরা প্রায়ই এদেশে আসত, এখানে বিস্ফোরণ ঘটাত।” তিনি বলেন, “উরি এবং পুলওয়ামায় আক্রমণের দশ দিনের মধ্যেই মোদিজি সার্জিক্যাল এবং এয়ারস্ট্রাইক করেছেন। ভেঙে দিয়েছেন সন্ত্রাসবাদের মেরুদণ্ড।” তিনি (Amit Shah) বলেন, “বিজেপিই প্রথম ওবিসি নেতা, যাঁকে বিজেপি প্রধানমন্ত্রী পদে বসিয়েছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • BrahMos Missiles: আরও চাপে চিন! ফিলিপিন্সে পোঁছল ভারতের ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র

    BrahMos Missiles: আরও চাপে চিন! ফিলিপিন্সে পোঁছল ভারতের ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কূটনৈতিক এবং সামরিক ক্ষেত্রে বড় পদক্ষেপ করল ভারত। চিনকে চাপে রাখতে ইতিমধ্যেই ফিলিপিন্সের সঙ্গে সামরিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ওই চুক্তির আওতায় শুক্রবার সকালেই ফিলিপিন্সে প্রথম দফায় পৌঁছল ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র (BrahMos Missiles)। ইতিমধ্যেই চিনকে নিশানায় রেখে লাদাখ ও অরুণাচলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র বসিয়েছে ভারত। এবার এই জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র চলে গেল ফিলিপিন্সের নৌ বাহিনীর হাতেও।

    সর্ববৃহৎ সামরিক রফতানি চুক্তি 

    ফিলিপিন্সের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত সর্ববৃহৎ সামরিক রফতানি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ভারত (India-Philippines Relations)। শুক্রবার ভোরেই ফিলিপিন্সে পৌঁছে যায় ভারতের ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র। ভারতীয় বায়ুসেনার (IAF C-17) বিমানে চাপিয়ে ফিলিপিন্সে ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার রাতে নাগপুর থেকে রওনা দেয় বায়ুসেনার ওই বিমান। শুক্রবার ভোরে ফিলিপিন্সের রাজধানী ম্যানিলায় পৌঁছয়। এর সঙ্গে ছিল তিনটি সাধারণ বিমানও। যাতে ছিল অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম এবং ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের সহায়ক যন্ত্রাংশ।

    কেন ফিলিপিন্সে ব্রহ্মস

    ফিলিপিন্সের উপকূলীয় নিরাপত্তার কাজে ভারতে তৈরি ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহৃত হবে। পশ্চিম ফিলিপিন্স সাগরে আধিপত্য নিয়ে চিনের সঙ্গে সংঘাত রয়েছে ফিলিপিন্সের। সেই আবহে ভারতের সঙ্গে ফিলিপিন্সের এই সামরিক চুক্তিতে চিনের উপর চাপ বাড়বে বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা। ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে যৌথ উদ্যোগে গঠিত ব্রহ্মস এরোস্পেস সংস্থায় তৈরি ব্রহ্মস ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র শব্দের চেয়েও দ্রুতগামী। স্থলভূমির পাশাপাশি ডুবোজাহাজ, জাহাজ, যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া সম্ভব। এই ক্ষেপণাস্ত্রই এবার শোভা পাবে ফিলিপিন্সের নৌ বাহিনীর সমর সম্ভারে। 

    কবে হয়েছিল চুক্তি

    ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ফিলিপিন্সের সঙ্গে সামরিক চুক্তির ঘোষণা করে ভারত। চুক্তি যদিও ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বরই স্বাক্ষরিত হয়।  বিদেশে সামরিক সরঞ্জাম রফতানির ক্ষেত্রে ফিলিপিন্সের সঙ্গে এই চুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রথম অন্য দেশের সঙ্গে সামরিক সরঞ্জাম রফতানির এত বড় চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল ভারত।  যা শুক্রবার বাস্তব রূপ পেল। মোট ২,৭০০ কোটি টাকার বিনিময়ে ভারতের সঙ্গে সামরিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ফিলিপিন্স। ওই চুক্তির আওতায় ২৯০ কিলোমিটার পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র  প্রযুক্তি কিনছে তারা। ক্ষেপণাস্ত্রের তিনটি ব্যাটারিও তাদের বিক্রি করছে ভারত। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে ফিলিপিন্স নৌসেনার ২১ সৈনিককে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India US Relation: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হোক ভারত, ফের রাষ্ট্রসংঘে সুর চড়াল আমেরিকাও

    India US Relation: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হোক ভারত, ফের রাষ্ট্রসংঘে সুর চড়াল আমেরিকাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য করা হোক ভারতকে। দিন কয়েক আগে টেসলার সিইও ইলন মাস্ক এমনই দাবি করেছিলেন (India US Relation)। এবার তাঁর সুরে সুর মেলাল আমেরিকাও। যদিও মাস্কের ঢের আগেই এই একই দাবি জানিয়েছিল জো বাইডেনের দেশ। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য সংখ্যা ৫। এই দেশগুলির প্রত্যেকেরই ভেটো প্রয়োগের ক্ষমতা রয়েছে।

    নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পদের দাবি (India US Relation)

    বাকি চার দেশ ভারতের স্থায়ী সদস্য হওয়ার পক্ষে জোরালো সওয়াল করলেও, চিনের ভেটোর জেরে প্রতিবারই ছিটকে যেতে হয়েছে ভারতকে। লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে বিজেপির তরফে যে ইস্তাহার (সঙ্কল্পপত্র) প্রকাশ করা হয়েছে, তাতেও বলা হয়েছে ভারতকে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যে পরিণত করতে জোরদার চেষ্টা চালানো হবে। এহেন (India US Relation) আবহেই মাস্ক দাবি করলেন, নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পদ পাওয়া উচিত ভারতের। একই দাবি আবারও করল আমেরিকা।

    কী বললেন বেদান্ত প্যাটেল?

    বৃহস্পতিবার মার্কিন বিদেশ দফতরের প্রিন্সিপাল ডেপুটি মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, “রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্য পদ পেতে বাড়তি সমর্থন মিলেছে।” মাস্কের দাবির প্রেক্ষিতে বেদান্ত বলেন, “প্রেসিডেন্ট (জো বাইডেন) এ ব্যাপারে আগেও বলেছেন রাষ্ট্রসংঘের প্রায় সব সাধারণ সভায়। সেক্রেটারি সে বিষয়ে ইঙ্গিতও দিয়েছেন।” তিনি বলেন, “আমরা চাই নিরাপত্তা পরিষদ-সহ রাষ্ট্রসংঘের সব ক্ষেত্রে সংস্কার হওয়া প্রয়োজন। কারণ আমরা বাস করছি একবিংশ শতাব্দীতে। রাষ্ট্রসংঘে সংস্কারের যে প্রয়োজন রয়েছে, তা আমরা স্বীকার করি।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘আরও বেশি করে ভোট দিন’’, পাঁচ ভাষায় প্রথম বারের ভোটারদের আবেদন মোদির

    জানুয়ারি মাসেই টেসলার সিইও মাস্ক বলেছিলেন, “নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্য পদ নেই, এটা মেনে নেওয়া যাচ্ছে না।” এক্স হ্যান্ডেলে করা পোস্টে মাস্ক লিখেছিলেন, “কিছু ক্ষেত্রে রাষ্ট্রসংঘের কাঠামোয় সংস্কার সাধন করা প্রয়োজন। কিন্তু সমস্যা হল, যে সব দেশের হাতে প্রভূত ক্ষমতা রয়েছে, তারা তা ছাড়তে রাজি নয়। ভারতের মতো জনবহুল একটি দেশের নিরাপত্তা পরিষদে ঠাঁই না হওয়াটা আশ্চর্যের বিষয়। সামগ্রিকভাবে আফ্রিকারও স্থায়ী সদস্য পদ পাওয়া উচিত রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (India US Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Maldives: কেলেঙ্কারির পাঁকে ডুবে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট! গদি খোয়াতে চলেছেন চিনপন্থী মুইজ্জু?

    Maldives: কেলেঙ্কারির পাঁকে ডুবে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট! গদি খোয়াতে চলেছেন চিনপন্থী মুইজ্জু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গদি খোয়াতে চলেছেন মলদ্বীপের (Maldives) চিনপন্থী প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু! রবিবার এই দ্বীপরাষ্ট্রে রয়েছে সংসদীয় নির্বাচন। তার আগেই পর্দা ফাঁস প্রেসিডেন্টের কেলেঙ্কারির। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে একটি রিপোর্ট। তাতেই দেখা গিয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত মুইজ্জু। রিপোর্ট ফাঁস হতেই প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে তদন্ত দাবি করেছেন সে দেশের বিরোধী নেতারা। দাবি জানিয়েছেন ইমপিচমেন্টেরও। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মুইজ্জু।

    কী বলছে রিপোর্ট? (Maldives)

    ২০১৮ সালের ওই গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, মুইজ্জুর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বেআইনি আর্থিক লেনদেন হয়েছে। অন্ততপক্ষে ১০টি আর্থিক তছরুপের প্রমাণ মিলেছে। এই রিপোর্টেই ইঙ্গিত মিলেছে, রাজনৈতিকভাবে পরিচিত ও সরকারি তহবিলের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদেরও এই কেলেঙ্কারিতে সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে। পরম মিত্র ভারতের পাশ থেকে সরে গিয়ে চিন-প্রীতি দেখানোয় এমনিতেই প্রেসিডেন্টের ওপর ক্ষিপ্ত মলদ্বীপের বিরোধীরা। তাঁদের হাতেই অস্ত্র তুলে দিয়েছে সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা এই রিপোর্ট। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় ওঠার পাশাপাশি তদন্তের দাবি জানিয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রের সরকার বিরোধী দুই দল এমডিপি এবং পিএনএফ। প্রাক্তন (Maldives) ভাইস প্রেসিডেন্ট মহম্মদ জামিল আহমেদ দাবি তুলেছেন, ইমপিচমেন্ট করা হোক প্রেসিডেন্টকে। রবিবার মলদ্বীপে সাধারণ নির্বাচন। তার আগে এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসায় বিপাকে চিনপন্থী মুইজ্জু।

    কারা চালায় নজরদারি?

    মলদ্বীপের অর্থনৈতিক বিষয়ে নজরদারি চালায় সরকারি সংস্থা মলদ্বীপজ মানিটারি অথরিটিজ-এর গোয়েন্দা শাখা। এই শাখা এবং মলদ্বীপ পুলিশ সার্ভিস যৌথভাবে তৈরি করেছে ওই রিপোর্ট। এক্স হ্যান্ডেলে ফাঁস হয়ে যায় সেই রিপোর্ট। রিপোর্টটি উদ্ধৃত করে পোস্টে লেখা হয়েছে, ২০১৮ সালে প্রশাসনের একাধিক স্তরে দুর্নীতি হয়। মুইজ্জুর ব্যক্তিগত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও অসঙ্গতি লক্ষ্য করা গিয়েছে বলে দাবি বিরোধীদের। অর্থ তছরুপ-সহ মোট দশটি বিষয়ে দুর্নীতির কথা বলা হয়েছে হইচই ফেলে দেওয়া ওই রিপোর্টটিতে।

    আরও পড়ুুন: ‘এই নির্বাচন উন্নত জীবনযাত্রার নির্ণায়ক’, ভোটের আগে এনডিএ প্রার্থীদের বিশেষ চিঠি মোদির

    ভারত-মলদ্বীপের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বে ইতি টেনেছিলেন এই চিনপন্থী প্রেসিডেন্ট। কুর্সিতে বসার পরেই মলদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন তিনি। মুইজ্জু সরকারের জুনিয়র তিন মন্ত্রী আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন। ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে তাঁদের সাসপেন্ড করে মুইজ্জু প্রশাসন। এঁদের মধ্যেই একজন আবার ভারতের জাতীয় পতাকার অপমান করেন বলেও অভিযোগ ওঠে। এসব নিয়েই সংসদ তোলপাড় করেন বিরোধীরা। এহেন আবহে রবিবার হতে চলেছে দ্বীপরাষ্ট্রে সাধারণ নির্বাচন (Maldives)।

    মুইজ্জুর গদি টিকবে তো!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Elections 2024: ‘‘কোনও একতা নেই, ছন্নছাড়া’’, ইন্ডি জোটকে তুলোধনা অমর্ত্য সেনের

    Lok Sabha Elections 2024: ‘‘কোনও একতা নেই, ছন্নছাড়া’’, ইন্ডি জোটকে তুলোধনা অমর্ত্য সেনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ছন্নছাড়া হয়ে গিয়েছে, কোনও একতা নেই।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। হাতে গোনা আর দু’দিন পরেই শুরু হয়ে যাচ্ছে লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024)। তার ঠিক আগে অমর্ত্যর এই বক্তব্যে জাস্ট অ্যাডভান্টেজ বিজেপি।

    অমর্ত্য উবাচ (Lok Sabha Eelections 2024)

    নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ বলেন, “বিরোধী জোট সেভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেনি। নীতীশ কুমার ও জয়ন্ত চৌধুরীর মতো শরিকরা রাতারাতি বেরিয়ে গিয়েছেন। নিজেদের মধ্যে কোনও একতা নেই। ছন্নছাড়া হয়ে গিয়েছে বিরোধী জোট। একজোট হতে পারলে তারা আরও শক্তিশালী হতে পারত।” তাঁর সংযোজন, “কংগ্রেসের অনেকগুলি সমস্যা রয়ে গিয়েছে।” ক্ষমতায় (Lok Sabha Elections 2024) এলে দেশে জাতিগত জনগণনা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। এ প্রসঙ্গে অমর্ত্য সেনের মতে, জাতিগত জনগণনার চেয়ে এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে দেশে পিছিয়ে পড়া মানুষের কর্মসংস্থান ও উন্নয়নের আবশ্যিকতা রয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণ প্রয়োজন সমাজের সমস্ত স্তরেই।

    আরও পড়ুুন: অন্ধকার গর্ভগৃহে রামলালার ললাটে তিলক আঁকল সূর্যরশ্মি, বিজ্ঞানের আশ্চর্য প্রয়োগ

    ঘেঁটে ঘ ‘ইন্ডি’

    বিজেপিকে পরাস্ত করতে জোট বাঁধে দেশের ২৬টি রাজনৈতিক দল। জোটের নাম হয় ‘ইন্ডি’। জন্মলগ্ন থেকেই ইন্ডির অন্দরে ঘনিয়েছে অশান্তির কালো মেঘ। কখনও নির্বাচনের আগেই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে হবেন, তা নিয়ে দানা বেঁধেছে বিতর্ক, কখনও আবার (Lok Sabha Elections 2024) কংগ্রেসের নেতৃত্ব নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। একটি অনুষ্ঠানে ইন্ডির শরিক শারদ পাওয়ার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করায়ও হয়েছিল বিতর্ক। নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে গেলেও, জোটের অন্দরে আসন রফা হয়নি। বাংলায় একলা চলো নীতি নিয়েছে ইন্ডির শরিক তৃণমূল।

    পাঞ্জাবে আবার একলা লড়ছে আম আদমি পার্টি। ঝাড়খণ্ডে একলা লড়ার কথা ঘোষণা করেছে ‘ইন্ডি’র আর এক শরিক সিবিআইও। একলা চলোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা। ‘ইন্ডি’ জোটের শরিক হলেও, জম্মু-কাশ্মীরের আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির দলও আলাদা করে প্রার্থী দিচ্ছে। সব মিলিয়ে ঘেঁটে ঘ ‘ইন্ডি’ জোট। ‘ইন্ডি’র অন্দরে নিরন্তর চলা অশান্তির জেরে ‘ইন্ডিয়া’ ব্লক ছেড়ে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ শিবিরে ফিরে গিয়েছেন জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমার। আরএলডি নেতা জয়ন্ত চৌধুরীও ইঙ্গিত দিয়েছেন এনডিএতে যোগ দেওয়ার (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share