Tag: India

India

  • ICC World Cup 2023: নিউজিল্যান্ড ম্যাচে নেই হার্দিক! অপরাজেয় কিউইদের হারাতে বদ্ধপরিকর ভারত

    ICC World Cup 2023: নিউজিল্যান্ড ম্যাচে নেই হার্দিক! অপরাজেয় কিউইদের হারাতে বদ্ধপরিকর ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই দলই অপরাজেয়। প্রথম চারটি ম্যাচে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করেছে ভারত ও নিউজিল্যান্ড। অষ্টমীতে পাঁচে পাঁচ করার লক্ষ্য নিয়েই পুনেতে নামবে দুই দল। ভারতের কাছে বড় ধাক্কা বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ থেকে ছিটকে গেলেন সহ-অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। তিনি দলের সঙ্গে ধরমশালায় যাচ্ছেন না। ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচের জন্য সরাসরি লখনউয়ে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন বলে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) তরফে জানানো হয়েছে। 

    কেমন আছেন হার্দিক

    শুক্রবার বিসিসিআইয়ের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পুণেতে মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের ম্যাচে নিজের বোলিংয়ে ফিল্ডিং করার সময় বাঁ-গোড়ালিতে চোট লাগে ভারতের সহ-অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার। অল-রাউন্ডারকে স্ক্যান করানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং তাঁকে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’  

    ভারতীয় বোর্ডের তরফে আরও বলা হয়েছে, ‘লাগাতার বিসিসিআই মেডিক্যাল টিমের নজরদারিতে থাকবেন (হার্দিক)। (সেই পরিস্থিতিতে) ২০ অক্টোবর (শুক্রবার) দলের সঙ্গে ধরমশালার বিমানে উঠবেন না হার্দিক। উনি সরাসরি লখনউয়ে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। যেখানে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে ভারত (২৯ অক্টোবর ম্যাচ আছে)।’

    হার্দিকের পরিবর্তে কে

    সেই পরিস্থিতিতে ধরমশালায় হার্দিকের পরিবর্তে ভারতীয় দলে কে ঢুকবেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। হার্দিক দলে না থাকায় রোহিত শর্মাকে বাড়তি ব্যাটার বা বাড়তি বোলার খেলাতে হবে। ধরমশালায় ম্যাচ হওয়ায় মহম্মদ শামি দলে ফিরতে পারেন। সেক্ষেত্রে বাদ যেতে পারেন শার্দুল ঠাকুর। সঙ্গে রবিচন্দ্রন অশ্বিনও ঢুকতে পারেন। আর ট্রেন্ট বোল্টদের বিরুদ্ধে বাড়তি ব্যাটার চাইলে দলে ঢুকবেন সূর্যকুমার যাদব। কিন্তু সেক্ষেত্রে ৫০ ওভার করার জন্য মাত্র পাঁচজন থাকবেন। শার্দুল ফর্মে না থাকায় সেটা দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠতে পারে রোহিতদের কাছে। এমনিতে এবার বিশ্বকাপের জন্য ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। দুই দলই চারটি করে ম্যাচ খেলেছে। ১০০ শতাংশ রেকর্ড বজায় রেখেছে। অষ্টমীতে যে দল ম্যাচ জিতবে, সেই দল সেমিফাইনালের দিকে এককদম এগিয়ে যাবে। 

    আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে নতুন মাইলফলক স্পর্শ রোহিতের! জানেন কেন সোনালি ব্যাজ পরলেন গিল?

    শীর্ষ স্থানের লক্ষ্যে ভারত

    বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে ম্যাচ জিতেও লিগ টেবিলের শীর্ষে ওঠা হয়নি ভারতের। অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে বিরুদ্ধে টানা চার ম্যাচ জিতে ৮ পয়েন্ট সংগ্রহ করে টিম ইন্ডিয়া। পয়েন্টের নিরিখে নিউজিল্যান্ডকে ছুঁয়ে ফেললেও নেট রান-রেটে পিছিয়ে থাকতে হয় রোহিত শর্মাদের। ভারতের নেট রান-রেট +১.৬৫৯। ভারত আপাতত লিগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানেই থেকে যায়। আপাতত লিগ টেবিলে শীর্ষস্থান নিজেদের দখলেই রাখে নিউজিল্যান্ড। তারাও চলতি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম চার ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে। ৪ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহে রয়েছে ৮ পয়েন্ট। তাদের নেট রান-রেট +১.৯২৩। ধরমশালায় কিউইদের হারাতে পারলে তবেই লিগ টেবিলে শীর্ষস্থানে উঠবে রোহিত-ব্রিগেড।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Climate Change: তীব্র তাপপ্রবাহে ২২০ কোটি মানুষ পড়বে সঙ্কটে, খরার পরিস্থিতি ভারত-পাকিস্তানে

    Climate Change: তীব্র তাপপ্রবাহে ২২০ কোটি মানুষ পড়বে সঙ্কটে, খরার পরিস্থিতি ভারত-পাকিস্তানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২০ কোটি মানুষ পড়তে পারে খরার কবলে। ভারত-পাকিস্তানে তীব্র তাপপ্রবাহ চলবে। জলবায়ু পরিবর্তনে (Climate Change) ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি! আবহবিদদের কপালে রীতিমতো চিন্তার ভাঁজ সৃষ্টি হয়েছে। একটি গবেষণায় প্রসিডিংস অফ ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সেস (পিএনএএস) জার্নাল থেকে জানা গেছে, বিশ্বের তাপমাত্রা, বর্তমান মাত্রার চেয়ে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেলে, প্রতি বছর কোটি কোটি মানুষ তাপপ্রবাহ এবং আদ্রর্তার শিকার হবে। এমনকী আরও বলা হয়, চরম তাপমাত্রার প্রভাবে, মানুষ স্বাভাবিক ভাবে ঠান্ডা হতেও পারবে না।

    গবেষণায় কী বলা হয়েছে (Climate Change)?

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেন স্টেট কলেজ অফ হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট, পারডু ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ সায়েন্সেস এবং পারডু ইনস্টিটিউট ফর এ সাসটেইনেবল ফিউচারের গবেষকরা দেখেছেন যে সারা বিশ্বে, শিল্পায়ন হওয়ার আগের তাপমাত্রার (Climate Change) স্তর থেকে ১.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেট তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে মানুষের স্বাস্থ্যের উপর দারুণ প্রভাব পড়েছে। হিট স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক রোগের প্রভাব অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বের ২২০ কোটি মানুষকে জলবায়ুর এই ব্যাপক পরিবর্তনের জন্য তাপ প্রবাহ এবং খরাকে সহ্য করতে হবে। এমনকি তাপপ্রবাহে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

    প্রভাব পড়বে ভারতে

    ভারতের এমন কিছু অঞ্চল রয়েছে যে তাপমাত্রা (Climate Change) এমন পর্যায়ে পৌঁছাবে যে এলাকার মানুষ কোনও ভাবেই, এই তাপমাত্রাকে সহ্য করতে পারবে না। ফলে তীব্র খরা পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। ফসল উৎপাদন এবং দৈনন্দিন জীবনে ব্যাপক প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও রাষ্ট্র সঙ্ঘ এবং রেড ক্রস সোসাইটির সম্মিলিত রিপোর্টে বলা হয়, এই উষ্ণায়নের কারণে দক্ষিণ এশিয়া সহ আরও বিশ্বের বেশ কিছু অঞ্চল তাপপ্রবাহের কবলে আচ্ছন্ন হবে। তার মধ্যে ভারত-পাকিস্তানে চরম প্রভাব পড়বে। 

    আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের বক্তব্য

    আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, বিশ্বে প্রচুর পরিমাণে নগরায়ন, বৃক্ষ ছেদন, বেশিপরিমাণে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ জনিত কারণে ঋতুর উপর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। ছয় ঋতু আর চোখে পড়ছে না। ২০২৪ সালে ‘এল নিনো’ আবার ফিরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকী প্রসান্ত মহাসাগরের চিলি, পেরু উপকুল এবং মহাসাগরের মধ্যাঞ্চলের ‘এল নিনো’ তৈরি হলে, ভারতে বর্ষার মরসুমের উপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। আশঙ্কা করা হচ্ছে কমে যাবে বৃষ্টিপাত। ২০১৫ সালে ‘এল নিনো’র প্রভাবে পড়েছিল ভারতে। বহু এলাকা বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারণে প্রচণ্ড খরার প্রাদুর্ভাব দেখা গিয়েছিল। ২০০৯ সালেও নিনোর প্রভাব পড়েছিল দেশে।

    নগরউন্নয়ন হল কলকাতা শহরের খামখেয়ালি আবহের (Climate Change) একটি প্রধান কারণ। গবেষকরা জানিয়েছেন, কলকাতা এখন হিট-আই ল্যান্ডে পরিণত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ে এখনই যদি না ভাবা হয়, তাহলে আগামী দিন আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mahalaya 2023: কাল মহালয়া, জেনে নিন এই বিশেষ অমাবস্যা তিথির তাৎপর্য

    Mahalaya 2023: কাল মহালয়া, জেনে নিন এই বিশেষ অমাবস্যা তিথির তাৎপর্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহালয়ার (Mahalaya) তপর্ণ (Tarpan)। পূর্বপুরুষের উদ্দেশে জলদান করার দিন। শাস্ত্র মতে, এদিন পিতৃপুরুষের উদ্দেশে জলদান করলে অক্ষয় স্বর্গলাভ হয়। শাস্ত্রের এই বিধান মেনে মহালয়ার দিন পূর্বপুরুষের উদ্দেশে জলদান করা হয়।

    কেন এই দিনে তর্পণ?

    আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষে তর্পণ করাই বিধেয়। ভাদ্র পূর্ণিমার পরবর্তী প্রতিপদ থেকে অমাবস্যা তিথি পর্যন্ত এই ১৬ দিন পিতৃপক্ষ। পুরাণ (Puranas) অনুযায়ী, পিতৃপক্ষের সময় আমাদের প্রয়াত পূর্বপুরুষরা মর্তে আসেন তাঁদের প্রিয়জনদের সঙ্গে দেখা করার জন্য। এই সময় তাঁরা উত্তর পুরুষের হাতে জল-পিণ্ড আশা করেন। এই পক্ষে তাঁদের উদ্দেশে জল ও পিণ্ড দান করলে, তাঁরা শক্তি লাভ করেন। এটাই তাঁদের চলার পাথেয়। মহালয়া পিতৃপক্ষের শেষ দিন হওয়ায় এর বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। দেশের অনেক জায়গাতেই এই দিনটি পিতৃ অমাবস্যা, মহালয়া অমাবস্যা বা পিতৃ মোক্ষ অমাবস্যা নামে পরিচিত। এদিন প্রয়াত সমস্ত পূর্বপুরুষের উদ্দেশেই শ্রাদ্ধ তর্পণ করা যায়।

    পৃথিবীর সামগ্রিক সুখের কামনায় তর্পণ

    অনেকেই মনে করেন, তর্পণ শুধুই পূর্বপুরুষদের জন্য। কিন্তু শাস্ত্র মতে তা নয়। পৃথিবীর সামগ্রিক সুখের কামনা মিশে থাকে তর্পণে। তাই তর্পণ মন্ত্রে বলা হয়, ‘তৃপ্যন্তু সর্বমানবা’। অর্থাৎ মানব সভ্যতাকে তৃপ্ত করার দিন মহালয়া। তৃপ্তি সাধনের জন্যই তর্পণ। সিংহভাগ বাঙালি তর্পণ করেন কেবল মহালয়ার দিন। এদিন নদ্যাদি জলাশয়ে গিয়ে পিতৃপুরুষের উদ্দেশে জলদান করেন তাঁরা। যাঁদের সামর্থ্য রয়েছে, তাঁরা এদিন পিতৃপুরুষের শ্রাদ্ধও করেন।

    পূর্বপুরুষের স্মরণে তর্পণ

    আসলে তর্পণ হল স্মৃতি তর্পণ। বছরের একটি দিন শাস্ত্রজ্ঞরা উৎসর্গ করেছেন পিতৃপুরুষকে স্মরণ করার জন্য। আমরা নির্দিষ্ট দিনে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করি। এঁদের থেকে আমাদের পূর্বপুরুষ আমাদের কাছে কোনও অংশেই কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। তাই দৈনন্দিন কাজের চাপে ভুলে যাওয়া পিতৃপুরুষকে স্মরণ করতেই শ্রাদ্ধের আয়োজন। মহালয়ার দিন এই শ্রাদ্ধ করতে পারলে পরিবারের মঙ্গল হয় বলে লোকবিশ্বাস।

    আরও পড়ুন: পুত্রকন্যা নয়, দেবী দুর্গা ঘটক পরিবারের পুজোয় আসেন জয়া-বিজয়ার সঙ্গে

    মহালয়া শুভ না অশুভ?

    অনেকেই মনে করেন, এদিন থেকেই দেবীপক্ষের সূচনা, অশুভ শক্তির বিনাশ হয়, তাই মহালয়া শুভ। দুর্গাপুজোর সূচনা হয় এই দিন। এছাড়াও হিন্দু ধর্মের যে কোনও শুভ কাজেই পিতৃপুরুষদের স্মরণ করা হয়। এছাড়াও তর্পণের বৃহত্তর অর্থ মিলন। তাই এই দিন কোনওভাবেই অশুভ হতে পারে না। আবার অনেকে মনে করেন, মহালয়ার দিন পিতৃপুরুষদের উদ্দেশে জলদান করার রীতি রয়েছে। পিতৃপুরুষদের স্মরণ করার দিনকে অনেকেই শোক পালনের দিন হিসেবে পালন করে থাকেন। তাই মহালয়াকে তাঁরা শুভ মানতে নারাজ। মহালয়া শুভ না অশুভ এই দ্বন্দ্ব চলতেই থাকবে। তব এই দিনটি দিয়েই শুরু হয় দুর্গাপুজো, বাঙালির মিলন উৎসব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sri Lanka: ভারতের পাশেই শ্রীলঙ্কা, বন্দরে নোঙর করতে দিল না চিনা জাহাজ

    Sri Lanka: ভারতের পাশেই শ্রীলঙ্কা, বন্দরে নোঙর করতে দিল না চিনা জাহাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন ইস্যুতে ভারতের পাশেই শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। এবার নিজেদের বন্দরে একটি চিনা জাহাজকে ঢোকার অনুমতি দিল না শ্রীলঙ্কা। এর পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) বিদেশমন্ত্রী আলি সবরি সোমবারই স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন ভারতের নিরাপত্তার বিষয়টি তাঁদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা, নিয়ম মেনে বন্ধু রাষ্ট্র ভারত এবং মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি সঙ্গে আলোচনা করেই ওই চিনা জাহাজকে নোঙর করতে দেওয়া হয়নি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কার এই অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    চিনা আবেদন খারিজ শ্রীলঙ্কার

    প্রসঙ্গত, ‘শি ইয়ান-৬’ নামে একটি জাহাজ শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) বন্দরকে পোতাশ্রয় হিসেবে ব্যবহার করার জন্য আবেদন জানিয়েছিল চিন। কিন্তু সেই আবেদনকে খারিজ করে শ্রীলঙ্কার  প্রশাসন। এ নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে শ্রীলঙ্কার বিদেশ মন্ত্রী আলি সবরি বলেন, ‘‘বেশ কিছুটা সময় ধরেই বিষয়টি নিয়ে কথাবার্তা চলছে। ভারত নিজের উদ্বেগের কথাও জানিয়েছে। কিন্তু আমরা একটা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর বা এসওপি তৈরি করেছি। ভারত-সহ আমাদের একাধিক বন্ধুরাষ্ট্রের সঙ্গে ওই এসওপি তৈরির সময় কথা বলা হয়। এই এসওপি মেনে ভেসেল নোঙর করলে আমাদের সমস্যা নেই। না মানলে সমস্যা রয়েছে।’’

    বন্ধু রাষ্ট্রের পাশেই শ্রীলঙ্কা

    আর্থিক সংকটে থাকাকালীন শ্রীলঙ্কাকে (Sri Lanka) প্রভূত সাহায্য করেছিল ভারত। সেসময় থেকেই কূটনৈতিক সম্পর্ক বেশ জোরালো হয় দুই দেশের। তাই স্বাভাবিবভাবেই দুর্দিনের বন্ধুকে ভোলেনি শ্রীলঙ্কা। চিনা জাহাজকে নোঙর করতে না দেওয়া তারই প্রতিফলন বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত ২০২২ সালে ‘ইউয়ান ওয়াং ৫’নামের একটি চিনা গুপ্তচর জাহাজ শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) বন্দরে নোঙর করেছিল। সেই সময় ভারতে তরফ থেকে কড়া বার্তা সামনে আসে বিদেশমন্ত্রীদের জয়শঙ্কর স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন, ‘‘আমাদের আশপাশে যা ঘটছে, বিশেষত তার সঙ্গে যদি আমাদের নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িয়ে থাকে তা হলে নিশ্চয়ই সেটা নিয়ে আমাদের মাথা ঘামাতে হবে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Canada: ‘‘ট্রুডো যে অভিযোগ এনেছেন, তাতে ভারত নয়, কানাডারই বিপদ বেশি’’, মত প্রাক্তন পেন্টাগন কর্তার

    Canada: ‘‘ট্রুডো যে অভিযোগ এনেছেন, তাতে ভারত নয়, কানাডারই বিপদ বেশি’’, মত প্রাক্তন পেন্টাগন কর্তার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খালিস্থানপন্থী জঙ্গিদের আশ্রয় দানের প্রসঙ্গে ভারত কানাডা (Canada) কূটনৈতিক বিবাদ চরম আকার ধারন করেছে। এই আবহে প্রাক্তন মার্কিন প্রতিরক্ষা আধিকারিক মাইকেল রুবিনের মন্তব্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রাক্তন পেন্টাগন কর্তা এদিন বিবৃতি দেন, ‘‘ট্রুডো যে অভিযোগ এনেছেন, তাতে ভারত নয়, কানাডারই বিপদ বেশি।’’ পাশাপাশি তাঁকে বলতে শোনা যায়,  ‘‘ভারত কানাডার লড়াই হল পিঁপড়ে ও হাতির লড়াই।’’

    কী বললেন মার্কিন প্রতিরক্ষা আধিকারিক

    এক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রুবিন বলেন, “সত্যি কথা বলতে গেলে এই লড়াইতে ভারতের চেয়ে কানাডার (Canada) বিপদ অনেক বেশি। এখন কানাডা যদি যুদ্ধটা চালিয়ে যায়, তাহলে পিঁপড়ে হাতির সঙ্গে লড়াই করলে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়, সেটাই হবে।” কানাডার থেকে ভারত যে আমেরিকার বেশি ভাল বন্ধু, সেকথাও এদিন বলতে শোনা যায় তাঁকে। এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রাক্তন মার্কিন কূটনীতিক বলেন, “এটা মনে রাখতে হবে যে চিন ইস্যুতে কৌশলগত দিক থেকে কানাডার (Canada) চেয়ে ভারত অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ইন্দো-প্রশান্ত ও ভারত মহাসাগরীয় এলাকায় দাদাগিরি চালিয়ে যাচ্ছে বেজিং। সেটা বন্ধ করতে গেলে ভারতের মতো বন্ধু দেশের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করা একেবারেই উচিত হবে না।” পাশাপাশি এদিন জাস্টিন ট্রুডোকেও তুলোধোনা করেন মাইকেল রুবিন। প্রসঙ্গত, সেদেশে ট্রুডো ব্যাপকভাবে জনসমর্থন হারিয়েছেন। সেখানকার সংবাদপত্রগুলির প্রতিবেদনে তা বলাও হয়েছে। এই আবহে সমর্থন ফেরাতে শিখ উগ্রপন্থীদের আশ্রয়দানের অভিযোগও উঠেছে ট্রুডোর বিরুদ্ধে। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে রুবিন বলেন, ‘‘ওনার প্রধানমন্ত্রীত্ব (ট্রুডো) আর বেশি দিন নেই। উনি চলে যাওয়ার পর আমেরিকার সঙ্গে কানাডার সম্পর্ক আবার ভাল হবে।’’

    ভারত-কানাডা কূটনৈতিক বিবাদ 

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৮ জুন খালিস্থানপন্থী জঙ্গি নিজ্জরকে হত্যা করা হয় কানাডায় (Canada)। এই ঘটনায় কানাডার সংসদে দাঁড়িয়ে ভারতের যোগের কথা বলেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী। এর পাশাপাশি ভারতের এক শীর্ষ কূটনীতিককে সেদেশ থেকে বহিষ্কারও করে কানাডা। পাল্টা হিসেবে এদেশে থাকা কানাডার এক কূটনীতিককে বহিষ্কার করে দিল্লি। এ নিয়ে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে চাপানউতোর শুরু হয়। সম্পর্ক এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে ভারত শেষ পর্যন্ত কানাডার (Canada) ভিসাও বাতিল করে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • G20: ‘‘ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্থিতিশীল’’, জিনপিংয়ের অনুপস্থিতি ইস্যুতে জানাল চিন

    G20: ‘‘ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্থিতিশীল’’, জিনপিংয়ের অনুপস্থিতি ইস্যুতে জানাল চিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জি ২০ (G20) শীর্ষ সম্মেলনে আসছেন না চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সে কথা আগেই জানিয়েছে চিন। এবার এ নিয়ে বিতর্ক এড়াতে বিবৃতি দিতে শোনা গেল চিনের বিদেশ দফতরের মুখপাত্রকে। চিনের দাবি, ভারতের সঙ্গে কিছু বিষয়ে তাদের মতবিরোধ হয়তো রয়েছে, কিন্তু সম্পর্ক স্থিতিশীল। নয়াদিল্লিতে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন শুরু হওয়ার ঠিক আগে এমনই বিবৃতি দিলেন চিনের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র। প্রসঙ্গত বুধবারের সাংবাদিক সম্মেলনে জি ২০ শীর্ষ সম্মেলনে চিনের প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয় সে দেশের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র মাও নিংকে। উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘সামগ্রিক ভাবে ভারত-চিন সম্পর্ক স্থিতিশীল। বিভিন্ন স্তরে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ও যোগাযোগ চলছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং জি ২০ (G20) বৈঠকে যোগ দেবেন।’’

    জিনপিংয়ের অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউসের প্রতিক্রিয়া

    মঙ্গলবারও চিনা প্রেসিডেন্টের জি ২০ সফরে না আসার প্রসঙ্গ ওঠে হোয়াইট হাউসের সাংবাদিক সম্মেলনে। আমেরিকার নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সালিভান এই প্রসঙ্গ তোলেন। ভারত-চিনের সীমান্ত সংঘাত জি ২০ সম্মেলনে প্রভাব ফেলবে কিনা, সেই উত্তরে সালিভানের মন্তব্য, “বিষয়টি চিনের উপর নির্ভর করছে। যদি চিন (সম্মেলনে) আসতে চায় এবং পণ্ড করার ভূমিকা নিতে চায়, সেই বিকল্পও তাদের হাতেই রয়েছে।”

    চিনা প্রেসিডেন্টের কাজে অখুশি কমিউনিস্ট নেতারা? 

    জানা যাচ্ছে, মাসখানেক আগে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির বর্তমান এবং অবসরপ্রাপ্ত নেতাদের একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় বেইদাইহের একটি সমুদ্রতীরবর্তী রিসর্টে। এই সম্মেলনের সমস্ত কিছুই গোপন থাকে। তবে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, কমিউনিস্ট পার্টির একদল প্রাক্তন শীর্ষ নেতার কাছ থেকে ধমক খেয়েছেন শি জিনপিং। চিনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মোটেও সন্তুষ্ট নন সে দেশের প্রাক্তন কমিউনিস্ট নেতারা। তাঁদের বার্তা হল, দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক অস্থিরতা যদি এই ভাবেই চলতে থাকে, তবে কমিউনিস্ট পার্টি জনসমর্থন হারাতে পারে। যা শাসকের কাছে হুমকির কারণ হয়ে যেতে পারে। প্রসঙ্গত, বহির্বিশ্বের নানা দেশের সঙ্গে চিনের সম্পর্কের অত্যন্ত অবনতি হয়েছে এবং বাণিজ্যে মন্দা দেখা দিয়েছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগও হ্রাস পেয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bharat Mandapam: দিল্লির প্রগতি ময়দানে ভারত মণ্ডপমে হবে জি ২০ সম্মেলন, প্রস্তুতি তুঙ্গে

    Bharat Mandapam: দিল্লির প্রগতি ময়দানে ভারত মণ্ডপমে হবে জি ২০ সম্মেলন, প্রস্তুতি তুঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির প্রগতি ময়দানে তৈরি করা হয়েছে ভারত মণ্ডপম (Bharat Mandapam)। ১২৩ একর জমিতে তৈরি করা হয়েছে এই সম্মেলন কক্ষ। আগামী ৯ এবং ১০ সেপ্টেম্বর এখানেই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে জি ২০ সম্মেলন। এই সম্মেলনে যোগদান করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেই সঙ্গে আরও প্রায় ২৫ টি দেশের রাষ্ট্র প্রধানরা এই সম্মেলনে যোগদান করবেন। দেশের রাজধানী দিল্লিতে এই সম্মেলনে দেশ-বিদেশ থেকে আগত সকল প্রতিনিধিদের ভারত সম্পর্কে নানা অনুভূতির স্বাদ জ্ঞাপক বিষয় দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হবে বলে জানা গেছে। ভারত মণ্ডপমের প্রত্যেক দেওয়াল এবং কক্ষে ভারতের সংস্কৃতির পরিচয় বাহক নানা বিষয় দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে অত্যাধুনিক ব্যবস্থা।

    ভারত মণ্ডপমে কী কী রয়েছে (Bharat Mandapam)?

    নবনির্মিত ভারত মণ্ডপমে (Bharat Mandapam) ১৮ তম জি ২০ সম্মেলনের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। দিল্লি তাই বিশ্ববাসীর কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। ২০২৩ সালের জুলাই মাসেই দেশের প্রধানমন্ত্রী এই সম্মেলন কক্ষ ভারত মণ্ডপমের উদ্বোধন করেছিলেন। জি ২০ মুদ্রা এবং স্ট্যাম্পের উন্মোচন করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। আনুমানিক প্রায় ২৭০০ কোটি টাকা খরচ করে নির্মাণ হয়েছে এই ভারত মণ্ডপম কেন্দ্র। এই মণ্ডপ হল বর্তমানে দেশের বৃহত্তম সম্মেলন এবং প্রদর্শনীর কেন্দ্র। এখানে রয়েছে কনভেনশন সেন্টার, অ্যাম্ফিথিয়েটার, ১৬ টি ভাষার দোভাষী কক্ষ, ভিডিও স্ক্রিনিং করার বিশাল দেওয়াল। এছাড়াও রয়েছে অকুপেন্সি সেন্সর সহ লাইট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, ডেটা কমিউনিকেশন নেটওয়ার্কের আধুনিক ব্যবস্থা। ভারতের জি ২০ সভাপতিত্বের সব থেকে বড় অনুষ্ঠান হতে চলেছে এই ভারত মণ্ডপম কেন্দ্রে।

    দিল্লির যাতায়াত ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রিত থাকবে

    জি ২০ (Bharat Mandapam) সম্মেলনে আগত প্রতিনিধির সংখ্যা কয়েক হাজার। রাজধানীতে প্রতিনিধিদের যাতায়াতের ব্যবস্থা সচল রাখার জন্য, প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ পরিবহণ ব্যবস্থার উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা হবে বলে জানা গেছে। ৮ই সেপ্টেম্বর থেকে দিল্লির বেশিরভাগ শপিং মল, রেস্তোরা, বাজার, হোটেল বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। স্কুলকলেজ এবং অফিসগুলিকে যতটা সম্ভব বাড়ি থেকেই চালানোর কথা বলা হয়েছে। কেবল মাত্র দিল্লির বাসিন্দাদের প্রবেশ এবং বহির্গমনে বাধানিষেধ থাকছে না। তবে দিল্লির বাইরের বাসিন্দাদের উপর বিধিনিষেধ আরোপ থাকছে। প্রয়োজনে আগে থেকে পাশ নিয়ে কাজ করতে বলা হয়েছে। দিল্লির বাস, মেট্রো পরিষেবা চালু থাকলেও তা সীমিত ভাবে চালানোর কথা বলা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bridge Competition: এশিয়ান গেমসের পর বিশ্ব যুব ব্রিজ প্রতিযোগিতায় ভারতের বড়সড় সাফল্য

    Bridge Competition: এশিয়ান গেমসের পর বিশ্ব যুব ব্রিজ প্রতিযোগিতায় ভারতের বড়সড় সাফল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়ান গেমসের পর বিশ্ব যুব ব্রিজ প্রতিযোগিতায় (Bridge Competition) ভারতের বড়সড় সাফল্য। ৬ সদস্যের ব্রিজ খেলোয়াড়রা ব্রোঞ্জ পদক জিতে নিলেন। ৩১ বছরের নিচে এই ভারতীয় দলের কোচ ছিলেন ২০১৮ এশিয়ান গেমসে সোনাজয়ী দলের সদস্য শিবনাথ দে সরকার।

    চিনকে হারিয়ে জয়ী ভারতীয় দল (Bridge Competition)

    একটা সময় বলা হত, তাস পাশা সর্বনাশা। কিন্তু এখন আর তা বোধহয় বলা যাবে না। কারণ, এই খেলাকে ভরসা করে ভারতের ঝুলিতে আসছে একের পর এক আন্তর্জাতিক পদক। গত ২৮ শে জুলাই থেকে ৭ অগাস্ট পর্যন্ত নেদারল্যান্ডসে বসেছে বিশ্ব যুব ব্রিজ প্রতিযোগিতা (Bridge Competition)। এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ইউরোপ, আমেরিকা ছাড়াও এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করেছেন। ভারত থেকেও এই প্রতিযোগিতার জন্য বড়সড় দল পাঠানো হয়। সোমবার ফাইনালে ৬ জন বাঙালি খেলোয়াড় নিয়ে গঠিত দল চিনকে ৮ পয়েন্টে হারিয়ে দেয়। এরপরই তাদের গলায় ওঠে ব্রোঞ্জের পদক। এত বড় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় জিতে খুশি কোচ এবং খেলোয়াড়রা।

    কীভাবে হয়েছিল বাছাই পর্ব (Bridge Competition)?

    গত জুন মাসে এই ছ’ জনের ব্রিজ টিমের বাছাই পর্ব অনুষ্ঠিত হয় উত্তর হাওড়ার সালকিয়া সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনে। ব্রিজ ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল ব্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সালকিয়া সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে এই বাছাই হয়। কেরল, উত্তরপ্রদেশ, মুম্বই সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে প্রায় ১৫ জন প্রতিযোগীর মধ্যে ৬ জনকে বাছাই করা হয়। তাঁরাই এবার মেডেল নিয়ে আসেন। দুই প্রতিযোগী সায়ন্তন কুশারী ও সাগ্নিক রায় বলেন, তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বী ইউরোপিয়ান দেশগুলি, ইতালি, নরওয়ে, সুইডেন ব্রিজ খেলায় যথেষ্ট পারদর্শী। কিন্তু তার পরেও তাদেরকে পিছনে ফেলে তাঁরা ব্রোঞ্জ জিতে নিয়েছেন। লকডাউনের পর ব্রিজ খেলায় (Bridge Competition) অনেক প্র্যাকটিসের সুযোগ পেয়েছেন। এই খেলা আরও জনপ্রিয় হয়েছে।

    কী বললেন এই দলের কোচ (Bridge Competition)?

    ২০১৮ য় এশিয়ান গেমসে গোল্ড মেডেলিস্ট ব্রিজ খেলোয়াড় শিবনাথ সরকার বলেন, একটা সময় এই তাস খেলা বা ব্রিজ খেলাকে জুয়া বলে গণ্য করা হত। এটা যে আসলে জুয়া নয়, একটি বুদ্ধিমত্তার খেলা, সেটাই তাঁরা প্রমাণ করে দিয়েছেন (Bridge Competition)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gilgit Baltistan: ট্যুইটারে গিলগিট-বালতিস্তানকে ভারতের অংশ দেখানো হচ্ছে, দাবি বাসিন্দাদের

    Gilgit Baltistan: ট্যুইটারে গিলগিট-বালতিস্তানকে ভারতের অংশ দেখানো হচ্ছে, দাবি বাসিন্দাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার গিলগিট-বালতিস্তানকে (Gilgit Baltistan) ভারতের অংশ হিসাবে দেখাচ্ছে ইলন মাস্কের ট্যুইটার। যা নিয়ে রীতিমতো প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে পাকিস্তানের সংবাদপত্র ‘ডন’-এ। পাকিস্তানের ওই সংবাদমাধ্যমের দাবি, যদি ওই অঞ্চলের কোনও নাগরিক ট্যুইটারে লগ-ইন করছেন তখন তাঁর লোকেশন জম্মু ও কাশ্মীর দেখানো হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: পুনর্নির্বাচনের দিনও বোমাবাজি, ভোটারদের ভোট দিতে বাধা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    কী বলছেন গিলগিটের বাসিন্দারা?

    গিলগিটের (Gilgit Baltistan) রহিমবাদের বাসিন্দা জনৈক ইয়াসির হুসেন বলেন, ‘‘আমি গিলগিটের বাসিন্দা, ট্যুইটারে কোনও রকম ট্যুইট দেখা যাচ্ছেনা, উপরন্তু গিলগিটকে ভারতীয় অংশ বিসাবে দেখানো হচ্ছে।’’ তার দাবি, পাকিস্তান সরকারের অবিলম্বে সক্রিয় হওয়া দরকার এবং গোটা বিষয়টি ট্যুইটারকে জানানো উচিত। বালুচিস্তানের অপর এক বাসিন্দা করিম সাহ নিজারিরও একই বক্তব্য। তাঁর মতে, ‘‘যখনই ট্যুইটারে লোকেশন সেট করতে যাচ্ছি তখন পাকিস্তানের কোনও অপশন দেখা যাচ্ছেনা, শুধুই জম্মু ও কাশ্মীর দেখাচ্ছে।’’ তাঁর আরও দাবি, তিনি আদপে ইয়াসিন ভ্যালির বাসিন্দা হলেও দেখানো হচ্ছে তিনি ভারতের বাসিন্দা। পাকিস্তানের এক প্রযুক্তিবিদের মতে, এটা আসলে টেকনিক্যাল কোনও সমস্যার কারণেই হচ্ছে। অন্যদিকে, পাকিস্তানের টেলিকম সংস্থা জানাচ্ছে, এই ঘটনার তদন্ত হয়েছে এবং তেমন কিছুই ধরা পড়েনি।

    চলতি বছরের মার্চ মাসে ভারতে বন্ধ হয় পাকিস্তান সরকারের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট

    প্রসঙ্গত চলতি বছরের মার্চ মাসেই ভারতে বন্ধ হয়েছে পাকিস্তান সরকারের ট্যুইট অ্যাকাউন্ট। এখন কোনও ভারতীয় ব্যক্তি যদি ট্যুইটারে পাকিস্তান সরকারের অ্যাকাউন্ট সার্চ করেন, তাহলে স্ক্রিনে ভেসে উঠছে – ‘অ্যাকাউন্ট উইথহেল্ড’ বার্তাটি।  এর আগে ২০২২ সালের জুলাই ও অক্টোবর মাসে পাক সরকারের অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়। প্রসঙ্গত বলা দরকার, ট্যুইটারের গাইডলাইন অনুযায়ী, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বা সরকারের তরফে কোনও আইনি পদক্ষেপের প্রেক্ষিতে কোনও ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সরকারের অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে বা পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে পারে টুইটার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Digital Payments: ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমে মাইল ফলক স্পর্শ ভারতের

    Digital Payments: ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমে মাইল ফলক স্পর্শ ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিজিটাল পেমেন্ট (Digital Payments) সিস্টেমে আরও একটি মাইল ফলক স্পর্শ করল ভারত। তথ্য বলছে, ২০২২ সালে ভারতে ৮৯.৫ মিলিয়ন ডিজিটাল ট্রানজাকশন (Digital Payments) হয়েছে। বিশ্বে যে সেরা ৫ টি দেশে ডিজিটাল ট্রানজাকশন হয়, তার মধ্যে এটাই সবচেয়ে বেশি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। লাতিন আমেরিকার এই দেশটিতে রিয়েল টাইম ডিজিটাল ট্রানজাকশন হয়েছে ২৯.২ মিলিয়ন। তৃতীয় স্থানে রয়েছে চিন। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতির এই দেশে ডিজিটাল ট্রানজাকশনের পরিমাণ ১৭.৬ মিলিয়ন। চার নম্বরে রয়েছে, থাইল্যান্ড। পঞ্চম স্থানে দক্ষিণ কোরিয়া।

    ডিজিটাল ট্রানজাকশনে জোর

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বরাবরই ডিজিটাল স্টার-এর উপর জোর দিয়েছেন। বছরের শুরুতে তিনি বলেছিলেন, ডিজিটাল ট্রানজাকশনে ভারত বিশ্বের এক নম্বর স্থানে রয়েছে। তার একটা বড় কারণ অবশ্যই মোবাইল ইন্টারনেট ডেটার মূল্য অনেকটাই সস্তা। যার ফলে গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশ দ্রুতগতিতে ত্বরান্বিত হচ্ছে। ডিজিটাল ট্রানজাকশনের ক্ষেত্রে ভ্যালু এবং ভলিউম দুটি ক্ষেত্রেই ভারত কিন্তু সমান্তরাল ভাবে উন্নতি করছে দ্রুতগতিতে। যা থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট ভারতের পেমেন্ট সিস্টেম খুবই মজবুত এবং সহজ ভাবে ব্যবহারযোগ্য।

    ডিজিটাল পেমেন্টের অনুকূল পরিবেশ

    গত ৬ জুন গুগল, টিমাসেক এন্ড বেন এন্ড কোম্পানি ভারতীয় অর্থনীতির ওপর ইকোনমি ২০২৩ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, চলতি বছরই ভারতের ইন্টারনেট ইকোনমি ১ ইউএসডি ট্রিলিয়নে পৌঁছে যাবে। সহজ এবং সুষ্ঠু ডিজিটাল পেমেন্টের (Digital Payments) সুবাদে কনজিউমার এবং মার্চেন্টের মধ্যে সুন্দর সমন্বয় ও বোঝাপড়া গড়ে উঠছে। তার ফলে ভারতে ইন্টারনেট ইকোনোমি আরও দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাবে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘অবাধ, শান্তিপূর্ণ ভোট করতেই হবে’’, নির্বাচন কমিশনারকে কড়া নির্দেশ রাজ্যপালের

    ডিজিটাল পেমেন্টের সুবিধা

    দেশে ডিজিটাল পেমেন্ট (Digital Payments) সিস্টেমকে আরও মজবুত করে তোলার জন্য গত বছর অক্টোবরে ৭৫ টি ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ইউনিট দেশকে উৎসর্গ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পিএমও থেকে বলা হয়েছিল, এইসব ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ইউনিটের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ যে কোনও প্রান্ত থেকে সহজেই সেভিংস অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স চেক, পাসবুক প্রিন্ট করা, ফান্ড ট্রান্সফার, ইনভেস্টমেন্ট এবং ফিক্স ডিপোজিটের মতো একাধিক সুবিধা ভোগ করতে পারবে। শুধু তাই নয়, লোনের জন্য আবেদন, চেক পেমেন্ট বাতিল করার নির্দেশ, ক্রেডিট কার্ডের বিল পেমেন্ট সহজেই করা যাবে এই ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ইউনিটগুলির মাধ্যমে। এর ফলে উপভোক্তার সময় শুধু বাঁচবে না, আর্থিক দিক থেকেও অনেক সুবিধা মিলবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share