Tag: Indian Navy

Indian Navy

  • INS Jatayu: লক্ষদ্বীপ থেকে ভারত মহাসাগরে নজর রাখবে ‘জটায়ু’, চালু হচ্ছে দেশের নয়া নৌ-ঘাঁটি

    INS Jatayu: লক্ষদ্বীপ থেকে ভারত মহাসাগরে নজর রাখবে ‘জটায়ু’, চালু হচ্ছে দেশের নয়া নৌ-ঘাঁটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নজরে চিন ও মলদ্বীপ। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিজেদের শক্তি আরও এক ধাপ বাড়াতে এবার নতুন নৌ-ঘাঁটি চালু করতে চলেছে ভারত। আগামী সপ্তাহে, এই নতুন ঘাঁটিকে ‘কমিশন’ বা অন্তর্ভুক্ত করতে চলেছে ভারতীয় নৌসেনা। লক্ষদ্বীপের মিনিকয় দ্বীপপুঞ্জে উঠে আসা নতুন এই নৌ-ঘাঁটির (নেভাল স্টেশন) নাম রাখা হয়েছে ‘আইএনএস জটায়ু’ (INS Jatayu)। 

    দেশের নতুন নৌ-ঘাঁটি ‘আইএনএস জটায়ু’

    প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আগামী ৪ মার্চ নতুন নৌ-ঘাঁটিকে দেশের উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সেদিনের অনুষ্ঠানকে স্মরণীয় করে রাখতে ওই অঞ্চলে মোতায়েন থাকবে নৌসেনার উভয় বিমানবাহী রণতরী— আইএনএস বিক্রান্ত ও আইএনএস বিক্রমাদিত্য। জানা গিয়েছে, ওইদিন একটি রণতরী থেকে উড়ে আরেকটি রণতরীতে অবতরণ করবে নৌসেনার প্রধান যুদ্ধবিমান মিগ-২৯কে। এছাড়া, দুই বিমানবাহী রণতরীর ‘ক্যারিয়ার ব্যাটল গ্রুপ’-এর অঙ্গ হিসেবে ওই এলাকায় উপস্থিত থাকবে নৌসেনার আরও একাধিক যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন।

    নজরে চিন-মলদ্বীপ আঁতাঁত

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, প্রাথমিকভাবে সীমিত সংখ্যক অফিসার ও কর্মীদের নিয়ে চালু করা হবে ‘আইএনএস জটায়ু’ (INS Jatayu)। এর পর ধীরে ধীরে আড়েবহরে তা প্রসারিত করা হবে। মন্ত্রক সূত্রে খবর, আরব সাগর ও ভারত মহাসাগরের এই অঞ্চলে নিজেদের গতিবিধি বাড়িয়েছে চিন। সাম্প্রতিককালে তাকে সঙ্গে দিচ্ছে একদা ভারতের বন্ধুরাষ্ট্র বলে পরিচিত মলদ্বীপ। সেদেশের তখতে বর্তমানে রয়েছে চিন-ঘেঁষা প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। তিনি আসার পর থেকেই মলদ্বীপের আচরণ ও কর্মকাণ্ড ভারত-বিরোধী হয়ে উঠেছে। যা, ভালো চোখে দেখছে না নয়াদিল্লি।

    গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে ‘আইএনএস জটায়ু’

    এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে, জলসীমার এই অঞ্চলে নিরন্তর নজরদারি চালানো অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। কয়েকদিন আগেই, মলদ্বীপে এসেছিল চিনা গুপ্তচর জাহাজ। ফলে, সামগ্রিক দিক দিয়ে ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং সীমানাকে সুরক্ষিত রাখতে এই নৌ-ঘাঁটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, এই ঘাঁটি (INS Jatayu) থেকে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের যাবতীয় বাণিজ্যিক ও সামরিক গতিবিধির ওপর নজর রাখা সহজ হবে। আর লক্ষদ্বীপের অবস্থান মলদ্বীপের ৫০ মাইল ব্যাসার্ধের মধ্যে হওয়ায় ওই রাষ্ট্রের গতিবিধির ওপরও নজর রাখবে ভারত। মন্ত্রক সূত্রে খবর, ঠিক যেমন বঙ্গোপসাগরে দিকে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের নৌ-ঘাঁটি ‘আইএনএস বাজ’ থেকে ওই অঞ্চলের কর্মকাণ্ডের ওপর নজর রাখা হয়, ঠিক সেভাবেই লক্ষদ্বীপের এই নয়া নৌ-ঘাঁটি থেকে দেশের পশ্চিম পাড়ে নজর রাখা হবে। 

    ‘এমএইচ-৩০ রোমিও’ মাল্টিরোল হেলিকপ্টার

    নয়া নৌ-ঘাঁটি (INS Jatayu) চালুর পাশাপাশি, একই দিনে ‘এমএইচ-৩০ রোমিও’ মাল্টিরোল হেলিকপ্টার অন্তর্ভুক্ত করা হবে ভারতীয় নৌসেনায়। এই অনুষ্ঠানটি হবে কোচিতে। প্রথম পর্যায়ে চারটি চপার অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এই হেলিকপ্টারগুলিকে সরাসরি দুই সরকারের মধ্যে হওয়া চুক্তি মারফৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কিনেছে ভারত। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Brahmos: আরও শক্তিশালী নৌসেনা, ১৯ হাজার কোটি টাকায় কেনা হচ্ছে ২০০ ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র

    Brahmos: আরও শক্তিশালী নৌসেনা, ১৯ হাজার কোটি টাকায় কেনা হচ্ছে ২০০ ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও শক্তিবৃদ্ধি হতে চলেছে ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy)। রণতরীতে মোতায়েন করার জন্য ২০০টির বেশি ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র (Brahmos) কেনার বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর জন্য প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকার চুক্তি সম্পন্ন হতে চলেছে। সূত্রের খবর, বুধবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেছিল ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি বা সিসিএস। সেখানেই এই মেগা চুক্তি অনুমোদন করা হয়। আগামী মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ও ব্রহ্মস অ্যারোস্পেসের মধ্যে প্রয়োজনীয় চুক্তি সম্পন্ন হবে।

    আরও পড়ুন: অত্যাধুনিক রেডার থেকে উন্নত অস্ত্র, আরও শক্তিশালী হচ্ছে বায়ুসেনার সুখোই-৩০

    বিশ্বের দ্রুততম ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র

    ব্রহ্মস (Brahmos) সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল ভারত ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগ তৈরি। বর্তমানে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎপাদন করা হয় এদেশই, ব্রহ্মস অ্যারোস্পেসের কারখানায়। ব্রহ্মসের গতি শব্দের প্রায় ৩ গুণ। এটি বিশ্বের দ্রুততম ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। তার ওপর সর্বাধুনিক প্রযুক্তির মেলবন্ধনে এটি বিশ্বের অন্যতম ভয়ঙ্কর অস্ত্র হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এটি আকাশেই পথ পাল্টাতে সক্ষম। এমনকী, চলমান লক্ষ্যবস্তুও ধ্বংস করতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র। এটি মাত্র ১০ মিটার উচ্চতায় উড়তে সক্ষম, যার অর্থ শত্রু রেডার এটি ধরা পড়ে না। এটি যে কোনও ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্তকরণ ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে পারে। ফলে, এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থার মাধ্যমে একে আটকানো কার্যত অসম্ভব।

    পাল্লা বেড়ে ৪৫০ কিমি

    ব্রহ্মস (Brahmos) এমন একটি ক্ষেপণাস্ত্র যাকে স্থল, জাহাজ, বিমান এমনকী সাবমেরিন থেকেও নিক্ষেপ করা যায়। এই মিসাইল ২০০ কেজি ওজনের পারমাণবিক বোমা বহন করতে সক্ষম। প্রথমদিকে, ব্রহ্মসের পাল্লা ছিল ২৯০ কিমি। কিন্তু, আধুনিক সংস্করণের পাল্লা বেড়ে হয়েছে ৪৫০ কিমি। বর্তমানে, ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy) অন্যতম প্রধান অস্ত্র হয়ে উঠেছে ব্রহ্মস। এই ক্ষেপণাস্ত্রের সর্বশেষ অধিক পাল্লার সংস্করণই কিনতে চলেছে নৌসেনা। জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে ভারতীয় নৌসেনার এখন প্রথম পছন্দ ব্রহ্মস। 

    আরও পড়ুন: অবসরে রুশ ‘টি-৭২’! ৫৭ হাজার কোটি ব্যয়ে সেনায় আসছে দেশীয় ‘এফআরসিভি’ যুদ্ধট্যাঙ্ক

    বিশ্বের নজর কেড়েছে ব্রহ্মস

    শুধু ভারত নয়, সারা বিশ্বের নজর কেড়েছে ব্রহ্মস (Brahmos)। ফিলিপিন্স কিনছে এই ক্ষেপণাস্ত্র। এর জন্য ৩৭৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের চুক্তি বেশ কিছুদিন আগেই সম্পন্ন হয়েছে। এমনকী, মার্চ মাসেই শুরু হতে চলেছে ব্রহ্মসের লঞ্চার ও কন্ট্রোল সিস্টেম পাঠানোর প্রক্রিয়া। পরবর্তীকালে, পাঠানো হবে ক্ষেপণাস্ত্র। ফিলিপিন্স ছাড়াও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একাধিক দেশ এই ক্ষেপণাস্ত্রকে নিজের অস্ত্রাগারে জায়গা দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Qatar: চরবৃত্তির অভিযোগে কাতারে ধৃতদের মুক্তি, ঠিক কী ঘটেছিল গত ১৮ মাসে?

    Qatar: চরবৃত্তির অভিযোগে কাতারে ধৃতদের মুক্তি, ঠিক কী ঘটেছিল গত ১৮ মাসে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল ভারতীয় নৌবাহিনীর আট প্রাক্তন কর্মীকে। দীর্ঘ ১৮ মাস কাতারের (Qatar) জেলে বন্দি ছিলেন তাঁরা। শেষমেশ মুক্তি পেয়েছেন। সোমবার কাকভোরে পা রেখেছেন ভারতভূমে। দেশে ফিরে তাঁরা যেমন ভারত মাতা কী জয় স্লোগান দিচ্ছেন, তেমনি উদাত্ত কণ্ঠে গাইছেন মোদি প্রশস্তিও।

    চরবৃত্তির অভিযোগ

    নৌবাহিনীর এই প্রাক্তন সদস্যরা কাজ করছিলেন আল ধারা নামের এক বেসরকারি সংস্থায়। চরবৃত্তির অভিযোগে ২০২২ সালের অগাস্টে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। ২০২২ সালের অক্টোবরে বন্দি করা হয় কাতারের কারাগারে। গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগ আনা হয় তাঁদের বিরুদ্ধে। ২০২৩ সালের ২৫ মার্চ তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। কাতারের (Qatar) আইনে শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া। ওই বছরেরই মে মাসে আল ধারা গ্লোবাল দোহায় তাদের অপারেশন বন্ধ করে দেয়। এই অপারেশনে যাঁরা যোগ দিয়েছিলেন, যাঁদের সিংহভাগই ভারতীয়, তাঁরা দেশে ফেরেন।

    মৃত্যুদণ্ড

    ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে ধৃত আট ভারতীয়কে মৃত্যুদণ্ড দেয় কাতারের আদালত। সে দেশের এই রায়কে দুঃখজনক বলে অভিহিত করে ভারত সরকার। এই রায়ের বিরুদ্ধে থাকা সমস্ত বৈধ অপশনগুলি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। ৯ নভেম্বর মাসে মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করে ভারত। সেই আপিল গ্রহণও করে কাতারের উচ্চ আদালত। ১৬ নভেম্বর ভারত সরকার আপিলের কথা জানায়। সরকারের তরফে এও জানানো হয় সদর্থক কিছু ঘটতে চলেছে।

    বিদেশমন্ত্রকের তৎকালীন মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, “কাতার সরকারের সঙ্গে এ ব্যাপারে নিয়মিত আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। মৃত্যুদণ্ডাজ্ঞাপ্রাপ্ত ৮ ভারতীয়কে মুক্ত করতে যা যা করা প্রয়োজন, সরকার তা করবে।” ২৩ নভেম্বর মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে করা আপিল গ্রহণ করে কাতার আদালত। ডিসেম্বরের ৭ তারিখে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত কাতারে বন্দি আট ভারতীয়র সঙ্গে দেখা করেন। অরিন্দম বাগচী বলেন, “মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে যে আপিল করা হয়েছিল, তার দুটো শুনানি হয়ে গিয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: রাজ্যসভা নির্বাচনে ১৪ জনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বিজেপির, জায়গা পেলেন কারা?

    ২৭ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ড রদ করা হয় বলে জানায় কাতারের আদালত। বিষয়টিকে ভারতীয় কূটনীতির বিরাট সাফল্য বলে মনে করে বিদেশমন্ত্রক। তার আগে অবশ্য কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানির সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি কাতার আদালত জানায় মৃত্যুদণ্ড রদের কথা। ১২ ফেব্রুয়ারি মেলে কাঙ্খিত মুক্তি। এদিন ভোরেই দিল্লি এসে পৌঁছান সাত ভারতীয়। দেশে তাঁদের স্বাগত জানানো হয় সরকারের তরফে (Qatar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Navy: মাঝসমুদ্রে দুর্ধর্ষ অভিযান মার্কোসের! সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে ২১ জনকে উদ্ধার

    Indian Navy: মাঝসমুদ্রে দুর্ধর্ষ অভিযান মার্কোসের! সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে ২১ জনকে উদ্ধার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy) বিরাট সাফল্য। আরব সাগরে হাইজ্যাক করা এমভি লিলি নরফোক জাহাজে থাকা ভারতীয়দের উদ্ধার করল ভারতীয় নৌসেনার ‘মার্কোস’। উদ্ধার অভিযানের সেই ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে নৌবাহিনীর তরফ থেকে।

    ১৫ জন ভারতীয় উদ্ধার

    শুক্রবার আইএনএস চেন্নাইয়ের সহযোগিতায় উদ্ধার করা হয়েছে এই অপহৃত হওয়া জাহাজকে। জানা গিয়েছে, সোমালিয়া উপকূলের কাছে অপহরণ হওয়া এমভি লিলি নরফোক জাহাজ (Indian Navy) থেকে মোট ১৫ জন ভারতীয়কে উদ্ধার করেছে ভারতের নৌসেনা। সেই সঙ্গে নৌবাহিনী আরও ৬ জন ক্রু সদস্যকে বন্দি অবস্থা থেকে মুক্ত করেছে। ফলে মোট উদ্ধার করা হয়েছে ২১ জন হলেন সদস্য। ভারতীয় নৌবাহিনীর মুখপাত্র কমান্ডার বিবেক মাধওয়াল জানিয়েছেন, “অপহৃত হওয়া জাহাজ থেকে ১৫ জন ভারতীয় সহ মোট ২১ জন ক্রুকে উদ্ধার করে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।”

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বক্তব্য

    এই বিরাট উদ্ধার অভিযানের সাফল্য প্রসঙ্গে নৌসেনার মুখপাত্র বলেন, “ভারতীয় নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার আরব সাগরে ভারতীয় যুদ্ধজাহাজকে জলদস্যুদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। জলপথে ওই এলাকায় পণ্যবাহী জাহাজের (Indian Navy) চলাচল স্বাভাবিক করতে এবং জলদস্যুদের হামলা আটকাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ওই স্থানে ভারতীয় নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে চারটি যুদ্ধ জাহাজ প্রহরায় নিযুক্ত করা হয়েছে।”

    কীভাবে অপারেশন সম্পন্ন হল

    ৫ জানুয়ারি ভারতীয় নৌসেনার মেরিন কমান্ডোরা লাইবেরিয়ার পতাকা নিয়ে চলা একটি পণ্যবাহী বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি লিলি নরফোকে (Indian Navy) পৌঁছে অপারেশন সম্পন্ন করে। কমান্ডোরা ভারতীয় আইএনএস চেন্নাইয়ে করে নরফোক জাহাজের কাছে পৌঁছায়। অপহৃত হওয়া জাহাজ এমভি লিলি নরফোকের খোঁজ করতে পি-৮১ নজরদারি বিমানকে নিয়োগ করা হয়। এছাড়াও দূরপাল্লার প্রিডেটর এমকিউ-৯বি সশস্ত্র ড্রোন মোতায়েন করা হয়েছিল।

    অপহরণের খবর কীভাবে মিলেছিল?

    সূত্রে জানা গিয়েছে, ইউকে মেরিটটাইম ট্রেড অপারেশন (ইউকেএমটিও) বৃহস্পতিবার এমভি লিলি নরফোকের (Indian Navy) অপহরণের ঘটনা সম্পর্কে জানিয়েছিল। সামুদ্রিক জলপথে জাহাজের চলাচল এবং গতি প্রকৃতির উপর নজর রাখে এই ইউকেএমটিও। সেই খবর ভারতের কাছে পৌঁছতেই সময় নষ্ট না করে মাঝ সমুদ্র রেসকিউ অপারেশনে নামে ভারতীয় নৌসেনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Navy: সাগরে বাড়ছে হানাদারির ঘটনা, নিরাপত্তা বাড়াল ভারতীয় নৌসেনা

    Indian Navy: সাগরে বাড়ছে হানাদারির ঘটনা, নিরাপত্তা বাড়াল ভারতীয় নৌসেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ও মধ্য আরব সাগর ও এডেন প্রণালী এলাকায় নিরাপত্তা বাড়াল ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)। বেশ কিছু দিন ধরে আন্তর্জাতিক এই শিপিং লেন দিয়ে চলাচলকারী জাহাজের ওপর হামলা হচ্ছিল। সেই হামলা বন্ধেই পদক্ষেপ করল ভারতীয় নৌসেনা। এই লেনে চলাচলকারী জাহাজগুলির ওপর হামলা ঠেকাতে নৌসেনার তরফে ডেস্ট্রয়ার ও ফ্রিগেট মোতায়েন করা হয়েছে।

    নৌসেনার তৎপরতা

    কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে যাতে ব্যবসায়ীদের সাহায্য করা যায়, তাই মোতায়েন করা হয়েছে অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত জাহাজও। নৌসেনা জানিয়েছে, ভারত মহাসাগরে সম্প্রতি নিরাপত্তার যে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে, উপকূলরক্ষী বাহিনীর সাহায্যে তার মোকাবিলা করা হবে। ভারতীয় উপকূল থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে এমভি ছেম প্লুটো জাহাজের ওপর ড্রোন হানা হয়েছিল ঠিক দিন  দুয়েক আগে। তার পরেই পদক্ষেপ করল ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)। জাহাজটিতে ২১ জন ক্রু-মেম্বার ছিলেন।

    জাহাজে হামলা

    এঁদের মধ্যে ২০ জন ভারতীয়। একজন ভিয়েতনামের নাগরিক। কোস্টগার্ডের জাহাজ ‘বিক্রমে’র কড়া প্রহরায় জাহাজটি মুম্বই বন্দরে এসে ভিড়েছে। এর ঠিক দু’দিন আগেই হামলা হয়েছিল জাহাজটির ওপর। ভারতীয় নৌসেনার তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত কয়েক দিন ধরে লোহিত সাগরে, এডেন প্রণালী এবং উত্তর ও মধ্য আরব সাগরে আন্তর্জাতিক শিপিং লেনে চলাচলকারী জাহাজগুলির ওপর হামলা হতে দেখা গিয়েছে। এমভি রুয়েনের ওপর জলদস্যুদের হানার ঘটনা ঘটেছিল ভারতীয় উপকূল থেকে প্রায় ৭০০ নটিক্যাল মাইল দূরে। সম্প্রতি এমভি ছেম প্লুটোর ওপর ড্রোন হানা হয়েছে। পোরবন্দর থেকে এটির দূরত্ব প্রায় ২২০ নটিক্যাল মাইল।

    আরও পড়ুুন: আরাবুলের এ কী হাল! নিরাপত্তা চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ দাপুটে এই নেতা

    ডেস্ট্রয়ার ও ফ্রিগেট ছাড়াও নৌসেনার (Indian Navy) তরফে এবং নজরদারি ড্রোন ও বিমানও মোতায়েন করা হয়েছে। আমেরিকার দাবি, ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী ইরানের মদতপুষ্ট হুথিই হামলা চালিয়েছে ভারত মহাসাগর ও লোহিত সাগরে চলাচলকারী কয়েকটি জাহাজে। হুথির তরফে সাফ জানানো হয়েছে, হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধে যারা ইজরায়েলের পাশে রয়েছে, তাদের ছেড়ে কথা বলা হবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • INS Imphal: নৌসেনার হাতে এল ঘাতক ‘আইএনএস ইম্ফল’, কতটা শক্তিশালী এই রণতরী?

    INS Imphal: নৌসেনার হাতে এল ঘাতক ‘আইএনএস ইম্ফল’, কতটা শক্তিশালী এই রণতরী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও শক্তিশালী হচ্ছে ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)। মঙ্গলবার নৌবাহিনীতে ‘কমিশন’ বা অন্তর্ভুক্ত হলো দেশীয় স্টেলথ গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ‘আইএনএস ইম্ফল’। প্রতিক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এই রণতরীকে যুক্ত করা হলো। উপস্থিত ছিলেন নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে সহ বিশিষ্টজনেরা।

    কতটা শক্তিশালী ‘ডি-৬৮’?

    ‘আইএনএস ইম্ফল’ (INS Imphal) হলো প্রজেক্ট-১৫বি অন্তর্গত নির্মিত চারটি স্টেলথ গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার যুদ্ধজাহাজের মধ্যে তৃতীয়। এই প্রকল্পের প্রথম যুদ্ধজাহাজটি ছিল ‘আইএনএস বিশাখাপত্তনম’, নৌসেনায় কল-সাইন ‘ডি-৬৬’। ফলে, বাকি তিনটিও বিশাখাপত্তনম শ্রেণির রণতরী। নৌসেনায় ইম্ফলের কল-সাইন হচ্ছে ‘ডি-৬৮’। দ্বিতীয় জাহাজটি ছিল ‘আইএনএস মরমুগাও’, কল-সাইন ‘ডি-৬৭’। শেষ তথা চতুর্থ জাহাজটির নাম রাখা হবে ‘আইএনএস সুরাট’, কল-সাইন ‘ডি-৬৯’। গত বছরের মে মাসে তাকে প্রথমবার জলে ভাসানো হয়েছে।

    ‘আইএনএস ইম্ফল’-এর ওজন প্রায় ৭৪০০ টন। ১৬৪ মিটার দৈর্ঘ্যের এই যুদ্ধজাহাজ সর্বাধুনিক মারণাস্ত্র ও সেন্সরে সজ্জিত। এটিই হতে চলেছে এখনও পর্যন্ত নৌসেনার সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে আধুনিক ডেস্ট্রয়ার। এতে একদিকে যেমন রয়েছে ব্রহ্মোসের ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের সর্বাধুনিক সংস্করণ, তেমনই রয়েছে মাঝারি পাল্লার অত্যাধুনিক ‘বারাক-৮’ ভূমি থেকে আকাশ মিসাইল থেকে শুরু করে জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ও সাবমেরিন-বিধ্বংসী টর্পিডোর বিপুল বৈচিত্র্যপূর্ণ সম্ভার। এতে রয়েছে একটি ৭৬ মিমি সুপার র‌্যাপিড মাউন্টেড মেইন নেভাল গান এবং চারটি একে-৬৩০ ৩০ মিমি গান— যা কম দূরত্বে আকাশপথে হামলা করা শত্রুর যে কোনও বিমান, ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্রকে নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম। এই জাহাজের সর্বোচ্চ গতি হবে ৩০ নট বা ঘণ্টায় ৫৬ কিমি। 

    স্বয়ংক্রিয়শীলতা এবং স্টেলথ বৈশিষ্ট্য

    এমনিতে, ডেস্ট্রয়ার শ্রেণির জাহাজের মারণক্ষমতা মারাত্মক। তবে নৌসেনার (Indian Navy) তরফে জানানো হয়েছে, ‘আইএনএস ইম্ফল’ (INS Imphal) সাবমেরিন-ধ্বংসে বিশেষভাবে পারদর্শী। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ‘আরবিইউ-৬০০০’ সাবমেরিন-বিধ্বংসী রকেট লঞ্চার, ৫৩৩ মিমি টর্পিডো লঞ্চার এবং অ্যান্টি-সাবমেরিন হেলিকপ্টারের দৌলতে এটি ভয়ঙ্কর ঘাতক হিসেবে পরিণত। এছাড়া, যে কোনও ধরনের পরমাণু, জৈব ও রাসায়নিক হামলা থেকে বাঁচার ক্ষমতা রয়েছে এই জাহাজের। ‘আইএনএস ইম্ফল’-এর স্বয়ংক্রিয়শীলতা এবং স্টেলথ (শত্রু রেডারে অদৃশ্য থাকার ক্ষমতা) বৈশিষ্ট্য একে আরও ভয়ঙ্কর করে তুলেছে। 

    সর্বাধুনিক রেডার সিস্টেম মোতায়েন

    বন্দর ও সমুদ্রে দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ট্রায়ালের পর গত ২০ অক্টোবর, ভারতীয় নৌসেনার হাতে পাকাপাকিভাবে তুলে দেওয়া হয়েছিল এই অত্যাধুনিক রণতরীকে (INS Imphal)। গতমাসেই এই জাহাজ থেকে দূরপাল্লার ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। কমিশন না হওয়া কোনও জাহাজ থেকে সেই প্রথম কোনও ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা হয়েছিল। এই জাহাজে অন্যতম শক্তি হলো এর রেডার সিস্টেম। এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে আধুনিক ও সবচেয়ে শক্তিশালী রেডার বসানো হয়েছে এই যুদ্ধজাহাজে। 

    উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শহরের নামে প্রথম রণতরী

    প্রসঙ্গত, এই প্রথম দেশের উত্তর-পূর্বাংশের কোনও শহরের নামে যুদ্ধজাহাজের নামকরণ (INS Imphal) করা হলো। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে জাহাজের নাম-ফলকের উন্মোচন করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। এর থেকেই প্রমাণিত যে, জাতীয় সুরক্ষার ক্ষেত্র এবং দেশের সমৃদ্ধির জন্য উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে কতটা গুরুত্ব দিয়েছে মোদি সরকার। ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে এই নামকরণে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি। কমিশনিং হওয়ার পর, নৌসেনার (Indian Navy) পশ্চিম কমান্ডের অন্তর্গত মোতায়েন থাকবে ‘আইএনএস ইম্ফল’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Navy: আরব সাগরে জাহাজ ছিনতাই রুখে দিল ভারতীয় নৌসেনা, জানুন কীভাবে

    Indian Navy: আরব সাগরে জাহাজ ছিনতাই রুখে দিল ভারতীয় নৌসেনা, জানুন কীভাবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরব সাগরে জাহাজ ছিনতাই রুখে দিল ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)। ছিনতাই হওয়া সোমালিয়াগামী একটি জাহাজকে উদ্ধার করল ভারতীয় নৌবাহিনী। জানা গিয়েছে, এমভি রুয়েন নামে একটি জাহাজ শনিবার ভোরে যাচ্ছিল সোমালিয়া উপকূলের দিকে। সেই সময় আরব সাগরে টহল দিচ্ছিলেন ভারতীয় নৌবাহিনীর জওয়ানরা।

    ছিনতাইয়ের হাত থেকে কীভাবে রক্ষা?

    সোমালিয়া উপকূলের দিকে যাওয়া জাহাজটি থেকে একটি সংকেত পান ভারতীয় নৌসেনার জওয়ানরা। এর পরেই রুয়েনকে ধাওয়া করে ভারতীয় নৌবাহিনীর টহলদারি জলযানটি। নৌসেনার কাছ থেকে খবর পেয়ে আকাশপথে রুয়েনের ওপর নজরদারি চালাতে শুরু করে ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি পেট্রোল বিমান। আর ছিনতাই হওয়া জাহাজটিকে ঘিরে রেখেছেন নৌসেনার (Indian Navy) জওয়ানরা। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌবাহিনীর এক আধিকারিক। তিনি জানিয়েছেন, রুয়েন নামের ওই জাহাজটিতে রয়েছেন ১৮ জন ক্রু-মেম্বার। এই জাহাজটি থেকেই একটি মে-ডে মেসেজ পাঠানো হয়েছিল। জাহাজটিতে অপরিচিত ৬জন উঠে পড়েছে। তিনি জানান, জওয়ানদের তৎপরতায় ছিনতাইয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে এমভি রুয়েন।

    লোহিত সাগরে ছিনতাই হয়েছিল জাহাজ

    আরব সাগরের এই ঘটনার মাসখানেক আগেও ছিনতাই হয়েছিল আস্ত একটি পণ্যবাহী জাহাজ। তবে সেই ঘটনাটি ঘটেছিল লোহিত সাগরে। ভারতে আসার পথে ছিনতাই করা হয়েছিল জাহাজটিকে। ছিনতাইয়ের ঘটনায় ইয়েমেনের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন হুজির হাত রয়েছে বলে দাবি করেছিল ইজরায়েল। যেহেতু সেই সময় ইজরায়েল-হামাস সংঘর্ষ হচ্ছিল এবং ইয়েমেন ছিল হামাসের পাশে, তাই তেল আভিভের অভিযোগের আঙুল ছিল ইয়েমেনের দিকে। ছিনতাইয়ের নেপথ্যে ইরানের মদত ছিল বলেও অভিযোগ ইজরায়েলের। ছিনতাই হওয়া জাহাজটিতে ২৫ জন বিদেশি ক্রু-মেম্বার ছিলেন। সেই জাহাজটির হদিশ মেলেনি এখনও। সেই ঘটনার রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই ফের জাহাজ ছিনতাই। এবার অবশ্য ভারতীয় নৌবাহনীর জওয়ানদের চেষ্টায় অভিষ্ট পূরণ হয়নি ছিনতাইকারীদের।

    আরও পড়ুুন: ভারত মাতা মন্দিরের পর কানাডার ‘খালিস্তান গড়ে’ বসছে ৫৫ ফুট হনুমানজির মূর্তি

    আরব সাগরের এই ঘটনায় সতর্কতা জারি করেছে ইউকে মেরিন ট্রেড অপারেশসন। তারা জানিয়েছে, আরব সাগর দিয়ে যাওয়ার সময় সোমালিয়ার কাছে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন (Indian Navy) করতে হবে। এই এলাকায় জলদস্যুদের উপদ্রব সম্প্রতি বেড়েছে। তাই সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। সন্দেহজনক কোনও ঘটনা ঘটলেই দ্রুত তা রিপোর্ট করতেও বলা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Navy IAC 2: আরও একটি দেশীয় বিমানবাহী রণতরী আসছে নৌসেনার হাতে! সিদ্ধান্ত আজই?

    Indian Navy IAC 2: আরও একটি দেশীয় বিমানবাহী রণতরী আসছে নৌসেনার হাতে! সিদ্ধান্ত আজই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও শক্তিশালী হতে চলেছে ভারতীয় নৌসেনা। ভারত মহাসাগরে চিনা নৌবাহিনীর বাড়বাড়ন্তকে মাথায় রেখে আইএনএস বিক্রান্ত-এর পর দেশে আরও একটি প্রায় সমান ক্ষমতাসম্পন্ন বিমানবাহী রণতরী (Indian Navy IAC 2) নির্মাণ করার প্রস্তাবে সম্ভবত শীঘ্রই সায় দিতে চলেছে কেন্দ্র। 

    ভারত মহাসাগরে চিনকে রোখা প্রয়োজন

    সূত্রের খবর, ভারতীয় জলসীমার নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে বেশ কিছুদিন আগেই দ্বিতীয় দেশীয় বিমানবাহী রণতরীর জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছিল ভারতীয় নৌসেনা। প্রস্তাবটি পাঠানো হয়েছিল ডিফেন্স প্রোকিওরমেন্ট বোর্ডের বা সংক্ষেপে ডিপিবি-র কাছে। এই ডিপিবি হল এমন কমিটি যারা মূলত বৃহত সামরিক ক্রয় বিষয়ক প্রস্তাবগুলি খতিয়ে দেখে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সুপারিশ পাঠায় কেন্দ্রের সামরিক সরঞ্জাম কেনার শীর্ষ কমিটি ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল বা সংক্ষেপে ডিএসি-র (Defence Acquisition Council) কাছে। 

    রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে বসছে বিশেষ বৈঠক

    নিয়ম অনুযায়ী, ডিপিবি-র সুপারিশের ওপর সময় মতো অ্যাকসেপ্টেন্স অফ নেসেসিটি (এওএন) বা সিলমোহর দেয় ডিএসি (Indian Navy IAC 2)। তার পর সব শেষে কেনার ছাড়পত্র দেয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি বা সিসিএস।  যার পরেই, গোটা প্রক্রিয়া কার্যকর হয়। সূত্রের খবর, দেশে দ্বিতীয় বিমানবাহী রণতরী তৈরি করার প্রস্তাবকে সবুজ সঙ্কেত দিয়ে ডিএসি-র টেবিলে পাঠিয়েছে ডিপিবি। আগামিকাল বসছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বাধীন ডিএসি-র (Defence Acquisition Council) বৈঠক। সেখানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই বিষয়ে। তবে, কেন্দ্রীয় সূত্রের দাবি, চিনের কথা মাথায় রেখে সম্ভবত এই প্রস্তাব গৃহীত হতে পারে। 

    আইএনএস বিক্রান্ত-এর ‘মিরর’ হতে চলেছে আইএসি-২

    যা জানা যাচ্ছে, প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ইন্ডিজেনাস এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ার ১ বা আইএনএস বিক্রান্ত-এর তুলনায় ৩০ শতাংশ বড় হবে আইএসি-২ (Indian Navy IAC 2)। বিক্রান্তের ওজন ৪৪ হাজার টন। সেখানে নকশা অনুযায়ী, আইএসি-২ এর ওজন হওয়ার কথা ছিল ৬৫ হাজার টন। পরবর্তীকালে, তা বাতিল করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে বিক্রান্তের মতোই নকশা অনুযায়ী হবে দ্বিতীয় বিমানবাহী রণতরী। অর্ছাৎ, নকশায় কোনও পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই। এর ফলে, সময় বাঁচবে। জানা যাচ্ছে, তেমনটা হলে, ৮-১০ বছরের মধ্য়েই ভারতীয় নৌসেনার হাতে আইএসি-২ আসতে পারে।

    নতুন রণতরীর ডেকে থাকবে রাফাল-এম

    আইএনএস বিক্রান্ত তৈরি করতে খরচ হয়েছিল ২৩ হাজার কোটি টাকা। জানা গিয়েছে, নতুন বিমানবাহী রণতরী নির্মাণে খরচ হবে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা। ওই রণতরী থেকে উড়বে অত্যাধুনিক ফরাসি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান। কয়েকদিন আগে, নৌসেনা প্রধান আর হরি কুমার জানিয়েছিলেন, আপাতত রিপিট অর্ডারের দিকেই ঝোঁকা হচ্ছে (Indian Navy IAC 2)। অর্থাৎ, ওজনে প্রায় এক হবে নতুন জাহাজটি। তবে, আরও অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন হবে। সেই সময় তৃতীয় বড় আকারের বিমানবাহী রণতরীর নকশা তৈরি করা হবে। যা হবে ওই ৬৫ হাজার টনের আশেপাশে। যে সময় সেটি অন্তর্ভুক্ত হবে নৌসেনায়, আইএনএস বিক্রমাদিত্য অবসর নেবে।

    বৈঠকের নজরে প্রচণ্ড ও তেজস-ও

    নতুন বিমানবাহী রণতরীর পাশাপাশি, আগামিকালের বৈঠকে বায়ুসেনার পেশ করা ৯৭টি তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়েও আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর জন্য খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ৫৫ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া রয়েছে স্থলসেনার জন্য ১৫৬টি প্রচণ্ড সামরিক হেলিকপ্টার, যার মূল্য হতে পারে ৪৫ হাজার কোটি টাকা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

  • C-295 Airlifter: বায়ুসেনার পর নৌসেনা ও উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতেও আসতে চলেছে ‘সি-২৯৫’?

    C-295 Airlifter: বায়ুসেনার পর নৌসেনা ও উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতেও আসতে চলেছে ‘সি-২৯৫’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বায়ুসেনার পর এবার ভারতের নৌসেনা ও উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতেও কি আসতে চলেছে অত্যাধুনিক ‘সি-২৯৫’ সামরিক পণ্যবাহী বিমান (C-295 Airlifter)? কলকাতায় এসে এমনই ইঙ্গিত দিয়ে গেলেন উপকূলরক্ষী বাহিনীর (Indian Coast Guard) ডিজি রাকেশ পাল। 

    কী বললেন আইসিজি ডিজি রাকেশ পাল?

    চিন-পাকিস্তান লাগোয়া দুর্গাম সীমান্তে নিমেষে সামরিক সরঞ্জাম, রসদ পৌঁছে দিতে স্পেনের এয়ারবাস থেকে ৫৬টি ‘সি-২৯৫’ পণ্য সরবরাহকারী বিমান কিনেছে ভারতীয় বায়ুসেনা, যার ডেলিভারি শুরুও হয়ে গিয়েছে। এবার সেই পথে যেতে চলেছে নৌসেনা ও উপকূলরক্ষী বাহিনীও (Indian Coast Guard)। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে উপকূলরক্ষী বাহিনীর ডিজি জানান, তারাও ‘সি-২৯৫’ (C-295 Airlifter) কেনার বিষয়ে অনেকটা এগিয়েছেন। তিনি বলেন, খুব শীঘ্রই এই মর্মে প্রস্তাব পেশ করা হবে কেন্দ্রের ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিলে। তিনি আশাবাদী সেই প্রস্তাব পাশ হবে। রাকেশ পাল জানান, মোট ১৫টি ‘সি-২৯৫’ বিমান কেনা হবে। এর মধ্যে ৯টি নেবে নৌসেনা আর ৬টি থাকবে উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে।

    আরও পড়ুন: ভারতে পৌঁছল প্রথম ‘সি-২৯৫’ বিমান, কতটা লাভবান হবে ভারতীয় বায়ুসেনা?

    বায়ুসেনা কিনছে ৫৬টি ‘সি-২৯৫’ বিমান

    বর্তমানে ব্যবহৃত পুরনো আমলের এবং তুলনামূলক ছোট ও কম শক্তিশালী অ্যাভরো-৭৪৮ বিমানের পরিবর্তে আরও শক্তিশালী, অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন এবং প্রযুক্তিগতভাবে বেশি উন্নত ‘সি-২৯৫’ পণ্য সরবরাহকারী বিমান ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয় বায়ুসেনা। মূল উদ্দেশ্য, দুর্গম সীমান্তে অল্প সময়ের মধ্যে এবং সহজেই সামরিক সরঞ্জাম থেকে প্রয়োজনীয় রসদ ও সেনা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়। সে কারণে, স্পেনের এয়ারবাস সংস্থা থেকে ৫৬টি ‘সি-২৯৫’ (C-295 Airlifter) মিডিয়াম ট্যাক্টিক্যাল ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্র্যাফট কেনার বরাত ২০২১ সালে দেয় ভারতীয় বায়ুসেনা। চুক্তি মোতাবেক, প্রথম ১৬টি ইউনিট স্পেন থেকে একেবারে তৈরি অবস্থায় আসবে। এর মধ্যে, প্রথম বিমানটি গত সেপ্টেম্বর মাসেই স্পেন থেকে ভারতে চলে এসেছে। বাকি ৪০টি তৈরি হবে ভদোদরায় টাটার অ্যাডভান্সড সিস্টেমস-এর কারখানায়। কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, অদূর ভবিষ্যতে, এই ৫৬ সংখ্যাটা বাড়াতে পারে বায়ুসেনা। কারণ, অ্যাভরো-র পর রুশ-নির্মিত এন-৩২ (অ্যান্টোনভ) বিমানগুলোকেও এই ‘সি-২৯৫’ দিয়ে করার ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে বায়ুসেনা। সেক্ষেত্রে, বাহিনীতে ‘সি-২৯৫’ বিমানের সংখ্যা ১৫০-র কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে।

    নৌ ও উপকূলরক্ষীর বিমানে লাগানো থাকবে বিশেষ সেন্সর!

    এদিকে, সূত্রের খবর, নৌসেনা ও উপকূলরক্ষী বাহিনীর (Indian Coast Guard) জন্য যে ‘সি-২৯৫’ বিমানগুলি তৈরি করা হবে, সেগুলিতে বিশেষ সেন্সর বসানো হবে। এই বিমানগুলি মূলত মাল্টি-মিশন মেরিটাইম এয়ারক্র্যাফট হিসেবে কাজ করবে। সংক্ষেপে যাকে বলা হবে ‘এমএমএমএ’। এই বিমানগুলিতে থাকবে অ্যাকটিভ ইলেক্ট্রনিক্যালি স্ক্যানড অ্যারে (আয়েসা) রেডার। সমুদ্র সীমান্ত নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা সীমান্তাঞ্চলের মধ্যে সমুদ্রে ভাসমান যাবতীয় জাহাজ ও বোটের ওপর নজর রাখা হবে এই বিমানের প্রধান কাজ। সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখে নৌসেনার ও উপকূলরক্ষী বাহিনীর ‘সি-২৯৫’-কে (C-295 Airlifter) বিশেষভাবে মডিফাই বা কাস্টোমাইজ়ড করা হবে। কেন্দ্রীয় সূত্রের আরও দাবি, নৌসেনা ও উপকূলরক্ষী বাহিনীর জন্য যে বিমানগুলি কেনা হবে, সেগুলো তৈরি হবে এদেশে টাটার কারখানায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • INS Vindhyagiri: কতটা শক্তিশালী ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’? চিনে নিন এই স্টেলথ গাইডেড-মিসাইল ফ্রিগেটকে

    INS Vindhyagiri: কতটা শক্তিশালী ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’? চিনে নিন এই স্টেলথ গাইডেড-মিসাইল ফ্রিগেটকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার কলকাতায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর (President Draupadi Murmu) হাতে শুভ সূচনা হলো ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy) নতুন যুদ্ধজাহাজের। ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’ (INS Vindhyagiri) নামের ওই স্টেলথ গাইডেড-মিসাইল ফ্রিগেট গোত্রের রণতরীকে নির্মাণ করেছে গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স। ‘প্রজেক্ট-১৭ আলফা’ বা সংক্ষেপে ‘পি-১৭এ’ প্রকল্পের আওতায় ৭টি স্টেলথ গাইডেড-মিসাইল ফ্রিগেট তৈরি হয়েছে দেশে। এর মধ্যে ৪টে নির্মিত হয়েছে মুম্বইয়ের মাজগাঁও ডকইয়ার্ডে। বাকি তিনটির নির্মাণ হয়েছে জিআরএসই-তে। ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’ হলো প্রকল্পের ষষ্ঠ তথা এখানে তৈরি হওয়া বরাতের তৃতীয় তথা শেষ জাহাজ। এর আগে, এখান থেকেই উদ্বোধন হয়েছে যথাক্রমে ‘আইএনএস হিমগিরি’ ও ‘আইএনএস দুনাগিরি’। এই দুটিই এখন সমুদ্র-ট্রায়ালে রয়েছে। সম্ভবত, চলতি মাসেই নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে ‘আইএনএস হিমগিরি’।

    আরও পড়ুন: কলকাতায় নৌসেনার নতুন যুদ্ধজাহাজের উদ্বোধন করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

    জাহাজের মূল বৈশিষ্ট্য ‘স্টেলথ’

    প্রজেক্ট-১৭ আলফা-র আওতায় নির্মিত জাহাজগুলোর নকশা করেছে নৌসেনার (Indian Navy) অধীনস্থ সংস্থা ওয়ারশিপ ডিজাইন ব্যুরো (পূর্বতন ডিরেক্টরেট অফ নেভাল ডিজাইন)। ডিজেল-ইলেক্ট্রিক শক্তিচালিত এই জাহাজের মূল বৈশিষ্ট্য হল এগুলো ‘স্টেলথ’ (Stealth Missile Frigate) প্রকৃতির। অর্থাৎ, শত্রুর রেডারে এই জাহাজগুলো সহজে ধরা পড়ে না। এর প্রধান কারণ হলো, জাহাজের নকশা এমনভাবে করা হয়, যাতে ধারালো কোণ থাকে না। এই জাহাজগুলোর নির্মাণে ব্যবহৃত হয়েছে কম্পোজিট মেটিরিয়াল। এছাড়া, এদের রঙের আস্তরণ এমন থাকে, যা রেডারের তরঙ্গ প্রতিফলিত করে না। ফলত, এই শ্রেণির জাহাজগুলোর রেডার-ক্রস সেকশন অত্যন্ত নগন্য।

    ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’-র ডিজেল-ইলেকট্রিক ইঞ্জিন

    ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’-র (INS Vindhyagiri) মূল চালিকাশক্তি হলো চারটি ইঞ্জিন। ২টি ডিজেল ও ২টি ইলেক্ট্রিক ইঞ্জিন চালিত এই জাহাজটি দৈর্ঘ্যে প্রায় ১৫০ মিটার। এর ওজন প্রায় ৬ হাজার ৬৭০ টন। সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৩২ নট। (প্রায় ৬০ কিমি/ঘণ্টা)। এই জাহাজটি ২৮ নট গতিতে একটানা ২,৫০০ নটিক্যাল মাইল অতিক্রম করতে সক্ষম। অন্যদিকে, ১৬-১৮ নট গতিতে এটির পাল্লা বেড়ে যায় ৫,৫০০ নটিক্যাল মাইল। জাহাজে ৩৫ অফিসার সহ ২২৬ জনের থাকার সংস্থান রয়েছে।

    যুদ্ধজাহাজের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা

    জাহাজের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা ব্যবস্থা অত্যন্ত মজবুত। এতে রয়েছে একাধিক সেন্সর, রেডার ইডব্লিউ সুইট। ‘আইএনএস বিন্ধ্যাগিরি’-তে রয়েছে অত্যাধুনিক এমএফ-স্টার আয়সা রেডার। আকাশ হোক বা ভূমি— শত্রুর যে কোনও জাহাজ, ড্রোন, বিমান বা ক্ষেপণাস্ত্র, তা সে যত ছোটই হোক না কেন, ৩৬০ ডিগ্রি নজরদারি চালানোর ক্ষমতাসম্পন্ন এই রেডারে সব ধরা পড়বে। ৪৫০ কিমি দূরত্ব পর্যন্ত যে কোনও নিশানাকে ট্র্যাক করতে সক্ষম এই বিশেষ রেডার। এছাড়া, এতে রয়েছে দ্বিতীয় সারফেস-সার্চ রেডার, যা ৪৬০ কিমি পর্যন্ত যে কোনও যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্রকে ট্র্যাক করতে সক্ষম। 

    এই জাহাজে সোনার ও রেডারের ক্ষমতা কেমন?

    ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’ (INS Vindhyagiri) জাহাজে রয়েছে ডিআরডিও-নির্মিত সোনার, যা জলের নিচে থাকা সাবমেরিন ও টর্পিডোকে বা আন্ডার-ওয়াটার মাইনকে ট্র্যাক ও ট্র্যাক করতে সক্ষম। এর পাশাপাশি, এতে লাগানো হয়েছে অত্যাধুনিক ‘শক্তি’ ইলেক্ট্রনিক ওয়ারফেয়ার স্যুইট (ইডব্লিউ স্যুইট)। দেশীয় ওই বিশেষ সুরক্ষা ব্যবস্থা একদিকে যেমন যে কোনও জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা চিহ্নিত করতে সক্ষম, তেমন ভাবেই প্রথাগত রেডারের সিগন্যাল জ্যাম করতে বা নিরস্ত্র করতেও পারে। শুধু তাই নয়, শত্রু যদি চায় এই জাহাজের সিগন্যাল ব্লক করতে, তখন এই ইডব্লিউ স্যুইট পাল্টা তাকে রুখে দিতে সক্ষম, যাতে জাহাজের নিজস্ব যোগাযোগ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

    অস্ত্রের বৈচিত্র্যে ভরপুর ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’

    এবার নজর দেওয়া যাক এই ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’-র অস্ত্রসম্ভারের দিকে। ‘পি-১৭এ’ ফ্রিগেটগুলোতে বিভিন্ন বিপদের কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র মজুত করা হয়েছে। স্থলে বা জলে (ভাসমান) যে কোনও হামলা প্রতিহত করার জন্য এতে রয়েছে বিশ্বের অন্যতম সেরা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এই জাহাজে রয়েছে ৮টি ‘ব্রহ্মোস’ জাহাজ-বিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর গতি শব্দের ৩ গুণ। এছাড়া রয়েছে একটি ৭৬ এমএম ‘ওটো মেলারা’ নেভাল গান এবং ১টি ৩০ এমএম ‘একে-৬৩০’ ক্লোজ-ইন উইপন সিস্টেম (সিআইডব্লিউএস)।

    আকাশপথে হামলা প্রতিহত করার জন্য এই জাহাজে রয়েছে ৩২টি ‘বারাক-৮’ ইআর মাঝারি পাল্লার ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র। ১৫০ কিমি পাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্র যে কোনও যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার, জাহাজ-বিধ্বংসী মিসাইল, ক্রুজ মিসাইল, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ধ্বংস করতে পারদর্শী। ইজরায়েলের এই মিসাইল বর্তমানে প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে ভারতেই উৎপাদন করা হচ্ছে। 

    ভূমি ও জলের ওপরের মতোই জলের নিচে দিয়ে করা হামলার জবাব দিতেও পারদর্শী ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’ (INS Vindhyagiri)। সাবমেরিন বা টর্পিডো ধ্বংস করতে এতে রয়েছে ২টি টর্পিডো লঞ্চার। এক-একটি লঞ্চারে ৩টি করে টর্পিডো তৈরি থাকে। এছাড়া রয়েছে, সাবমেরিন-বিধ্বংসী রকেট লঞ্চার যা ১ কিমি পর্যন্ত যে কোনও বস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। 

    আত্ম-সুরক্ষা ব্যবস্থাও জোরদার

    প্রতিঘাতের পাশাপাশি ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’ (INS Vindhyagiri) জাহাজে আছে অত্যাধুনিক আত্ম-সুরক্ষা ব্যবস্থা। যার মধ্যে রয়েছে ২টি ‘মারীচ’ টর্পিডো-কাউন্টার মেজার ডিকয় সিস্টেম এবং চারটি ‘কবচ’ ক্ষেপণাস্ত্র-বিধ্বংসী ডিকয় লঞ্চার। শত্রুর টর্পিডো বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হলে এই মারীচ ও কবচ জাহাজের ঢাল হয়ে দাঁড়ায়। তখন, শত্রু টর্পিডো-ক্ষেপণাস্ত্রগুলো এদের টার্গেট ভেবে ধ্বংস করে, বেঁচে যায় জাহাজ। অন্যদিকে, এই জাহাজে ২টি হেলিকপ্টার থাকতে পারে। হ্যাঙ্গারে থাকে একটি, অন্যটি থাকতে পারে ডেকে। সম্ভবত, অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার (এএলএইচ) ‘ধ্রুব মার্ক-৩’ বা ‘ওয়েস্টল্যান্ড সি-কিং’ হেলিকপ্টার থাকবে। পরবর্তীকালে, উল্লেখিত হেলিকপ্টারের জায়গায় আসবে সিকর্সকি ‘এমএইচ-৬০ রোমিও’ হেলিকপ্টার (Indian Navy)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share