Tag: Indian Railway

Indian Railway

  • Indian Railway: মধ্যবিত্তের কথা ভেবে আসছে পকেট সাশ্রয়ী বন্দে ভারত! কবে গড়াবে চাকা?

    Indian Railway: মধ্যবিত্তের কথা ভেবে আসছে পকেট সাশ্রয়ী বন্দে ভারত! কবে গড়াবে চাকা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বমানের সুবিধা, হাতের নাগালে সমস্ত পরিষেবা, এবং গতির দৌলতে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। বাংলা থেকেও ছুটছে দু’দুটি বন্দে ভারত। বন্দে ভারতকে এখন মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে রেল (Indian Railway), এমনটাই অন্তত জানা গিয়েছে। মধ্যবিত্তের বিমান চড়াকে আরও সুলভ করেছে মোদি সরকারের উড়ান প্রকল্প। ঠিক তেমনই মোদি সরকারের নয়া পরিকল্পনা হল, বন্দে ভারত-এর সমস্ত সুবিধা সহ একটি নন-এসি ট্রেন (Indian Railway) চালু করা। যেখানে চড়তে মধ্যবিত্তের পকেটে টান পড়বে না। যদিও বিষয়টি এখনও পরিকল্পনা স্তরে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    কবে থেকে ছুটবে এই ট্রেন (Indian Railway)

    রেলের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, চলতি বছরের শেষের দিকেই ট্রাকে ছুটতে পারে এই ট্রেন। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালেও এন প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। রেল অন্ত্যোদয় এক্সপ্রেসও চালু করা হয়েছিল সেসময়। তবে রেল সূত্রে খবর মিলেছে, এই নয়া ট্রেনে আগের থেকে অনেক বেশি সুবিধা থাকবে। তবে সমস্ত বিষয়টি এখনও পরিকল্পনা স্তরে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, লোকোমোটিভের সাহায্যে চলবে এই নতুন ট্রেন। ভারতীয় রেলে সাধারণত একটি লোকোমোটিভ থাকে, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এই নতুন ট্রেনের দুই দিকেই লোকোমোটিভ থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এরফলে ট্রেনের (Indian Railway) গতি বেশ বাড়বে।

    কী কী সুবিধা মিলবে ট্রেনে

     জানা গিয়েছে নতুন এই ট্রেনে (Indian Railway) ২টি লাগেজ, গার্ড এবং দিব্যাং কোচ থাকবে। এছাড়া থাকবে ৮টি সেকেন্ড ক্লাসের জেনারেল কোচ ও ১২ টি স্লিপার কোচ। তবে ভাড়া সাশ্রয়ী এই ট্রেনে সব কোচগুলিই হবে নন এসি। তবে এখনও ট্রেনের নামকরণ ঠিক করা হয়নি। চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কসে নতুন ট্রেনের লোকোমোটিভ তৈরির কাজ চলছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, বগি তৈরি হচ্ছে চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে। এই ট্রেন খুবই নিরাপদ, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। চলতি সপ্তাহের সোমবারই মধ্যপ্রদেশে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের ব্যাটারি বক্সে আগুন লেগে যায়। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। রেলওয়ে আধিকারিকদের মতে, এই ট্রেনে (Indian Railway) ইউরোপীয় প্রযুক্তির কারণে বড় ধরনের আগুন লাগতে পারে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Falaknuma Express: হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ ফলকনুমা এক্সপ্রেসে আগুন, আতঙ্কে যাত্রীরা

    Falaknuma Express: হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ ফলকনুমা এক্সপ্রেসে আগুন, আতঙ্কে যাত্রীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও ট্রেন দুর্ঘটনা। আগুন লাগল হাওড়া থেকে সেকেন্দ্রাবাদগামী ফলকনুমা এক্সপ্রেসে (Falaknuma Express)। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে শর্ট সার্কিটের জেরে চলন্ত ট্রেনে আগুন লেগে যায়। তবে দ্রুততার সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। ফলে সমস্ত রেলযাত্রীকেই নিরাপদে ট্রেন থেকে বের করে আনা গিয়েছে। যদিও পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে ফলকনুমা এক্সপ্রেসের চারটি কামরা। আগুন ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে ট্রেনের এসি কোচগুলিতেও।

    কীভাবে দুর্ঘটনা

    শুক্রবার তেলঙ্গানায় মুম্মইপল্লি এবং পাগিড়িপল্লির মধ্যে ট্রেনটিতে আগুন লাগে। তার পরই দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রেনটি। গলগল করে ধোঁয়া বেরোতে দেখা গিয়েছে। বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনার ভয়াবহ স্মৃতি এখনও সকলের মনে তাজা। তার মধ্যেই এই ফলকনুমা এক্সপ্রেসে (Falaknuma Express) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ফলকনুমা এক্সপ্রেসের যাত্রীরা। ভয়ে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় যাত্রীদের মধ্যে। চারটি (S4, S5, S6, S7) কামরা সম্পূর্ণরূপে জ্বলে গিয়েছে বলে খবর। দ্রুত খবর পৌঁছয় রেল কর্তৃপক্ষের কাছে। সঙ্গে সঙ্গে অ্যালার্ট জারি করা হয়। রেল সূত্রে খবর, তড়িঘড়ি এক্সপ্রেস থেকে যাত্রীদের নিরাপদে নামানো হয়েছে। হতাহতের কোনও খবর নেই। কী কারণে আগুন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সমস্ত যাত্রীরা সুরক্ষিত রয়েছেন। অন্য ট্রেনে করে তাঁদের হায়দরাবাদে নিয়ে যাওয়া হবে। ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন জেনারেল ম্যানেজার অরুণ কুমার জৈন।

    আরও পড়ুন: জটিলতা এড়াতে ত্রিস্তরে ৩ রঙের ব্যালট পেপার, কী কী সেই রং?

    বার বার ট্রেনে এমন বিপত্তির ঘটনায় সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে যাত্রীদের মধ্যে। উল্লেখ্য, এর আগেও ২০১৯ সালে হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ ফলকনুমা এক্সপ্রেসে (Falaknuma Express) আগুন ধরে গিয়েছিল। সাঁতরাগাছি স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকার সময়েই আগুন লাগে এই এক্সপ্রেস ট্রেনে। ভস্মীভূত হয়ে যায় ট্রেনের রেক। হায়দ্রাবাদ যাওয়ার সবচেয়ে ভাল ট্রেন ফলকনুমা এক্সপ্রেস। হাওড়া স্টেশন থেকে ভোরে ছাড়ে এবং পরের দিন সকালে সেকেন্দ্রাবাদে পৌঁছে যায়। রাজ্যের একাধিক বাসিন্দা এই ট্রেনেই যান। ভরসার এই ট্রেনে হঠাৎ করে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বেগ বেড়েছে যাত্রীদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Railway: ১০ ঘণ্টায় কলকাতা থেকে আগরতলা! বাংলাদেশ হয়ে উত্তর-পূর্বে পৌঁছবে ভারতীয় রেল?

    Indian Railway: ১০ ঘণ্টায় কলকাতা থেকে আগরতলা! বাংলাদেশ হয়ে উত্তর-পূর্বে পৌঁছবে ভারতীয় রেল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাতৃভাষা বাংলা এমন দুটি অঙ্গরাজ্য রয়েছে আমাদের দেশে। একটি পশ্চিমবঙ্গ, অপরটি ত্রিপুরা। অথচ কলকাতা থেকে আগরতলা ট্রেনপথে যেতে সময় লাগে ৩১ ঘণ্টা অর্থাৎ ১ দিনেরও বেশি। কারণ, বর্তমান ত্রিপুরা সহ উত্তর-পূর্বগামী সব ট্রেনকে উত্তরবঙ্গ হয়ে, অসম হয়ে যেতে হয়। তবে, অদূর ভবিষ্যতে এই চিত্র পাল্টাতে চলেছে। ভারতীয় রেলের উদ্যোগে, শীঘ্রই কলকাতা ও আগরতলার রেলযাত্রার সময় ১০ ঘণ্টায় নেমে আসতে চলেছে। হ্যাঁ, মাত্র ১০-ঘণ্টায় কলকাতা থেকে সরাসরি আগরতলা যাওয়া সম্ভব। কারণ, এবার নতুন উদ্যোগ অনুযায়ী, ভারতীয় রেলপথ সোজা বাংলাদেশ হয়ে সোজা পৌঁছে যাবে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে। 

    কোন রুটে চলবে এই ট্রেন?

    কোন রুটে এই ট্রেন চলাচল করবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে, রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে, বর্তমান কলকাতা-ঢাকা রুটকেই বাড়িয়ে আখাউড়া করিডর হয়ে ত্রিপুরায় ট্রেন প্রবেশ করবে। বর্তমানে কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস রয়েছে। সূত্রের খবর, কলকাতা-আগরতলা রুটও ভায়া ঢাকা হবে। অর্থাৎ, কলকাতা থেকে শুরু হয়ে ঢাকা। সেখান থেকে সীমান্তের আখাউড়া হয়ে আগরতলা। জানা গিয়েছে, চলতি বছরেই বা আগামী বছরের শুরুতে ত্রিপুরার নিশ্চিন্তপুরের ইন্টারন্যাশনাল ইমিগ্রেশন স্টেশন থেকে বাংলাদেশের আখাউড়া জংশন পর্যন্ত ট্রেন চালাতে চাইছে রেল। এই কারণে ত্রিপুরা থেকে আখাউড়া পর্যন্ত রেল লাইনের কাজ দ্রুত শেষ করতে আরও টাকা বরাদ্দ করল রেল (Indian Railway)। রেলসূত্রে খবর, এই প্রকল্পে ১৫৩.৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। 

    এই প্রকল্প অনুমোদন পায় ২০০৩ সালে

    জানা গিয়েছে, দুই দেশের মধ্য রেলপথ নির্মাণের এই প্রকল্প অনুমোদন পায় ২০০৩ সালে। ১৫ কিমি এই রেল প্রকল্পে দুই দেশ স্বাক্ষর করে ২০১৩ সালে। প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হয় ২০১৬ সালে। এই বিশেষ প্রকল্পের ১৫ কিমি সংযোগের মধ্যে ৫.০৫ কিমি ভারতে ও বাকি ১০.০১৪ কিমি বাংলাদেশে রয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, প্রকল্পটি ২০২০ সালের মধ্যেই শেষ হওয়ার কথা ছিল কিন্তু করোনার কারণে কাজ পিছিয়ে যায়। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে যে এই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে ভারতীয় অংশের ৮৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। অপরদিকে, বাংলাদেশের দিকে প্রায় ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্পটি ভারতের “অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি” এর অংশ বলে জানা গিয়েছে। এই অ্যাক্ট ইস্ট পলিসির লক্ষ্য হল অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলির সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তোলা। উত্তর-পূর্ব ভারত এক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

    কী বলছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা?

    ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বলেন, ‘‘এই কাজ শেষ হলে এবং ওই রুটে ট্রেন (Indian Railway) চলাচল শুরু হলে বাণিজ্য ক্ষেত্রে উন্নয়ন হবে। ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে যোগাযোগ আরও দৃঢ় হবে। একই সঙ্গে উত্তরপূর্ব ভারতের পর্যটন ক্ষেত্রে আরও গতি আসবে।’’ এই আন্তর্জাতিক স্টেশনটি যাত্রী ও পণ্য বিনিময় উভয়ের জন্য একটি ডুয়েল গেজ স্টেশন হিসাবে কাজ করবে।

    কী বলছেন রেলের আধিকারিকরা?

    রেলের আধিকারিকরা বলেন, ‘‘এই রেলপথের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে জিনিসপত্র আমদানি এবং রফতানি আরও সহজ হবে। ফলে সেখানের এবং বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরাও লাভবান হবেন। রেল মন্ত্রক জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী উত্তর পূর্ব ভারতের উন্নয়নের দিকে জোর দিয়েছেন।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • One Station One Product: দেশের ৭২৮ রেল প্ল্যাটফর্মে চালু ‘এক স্টেশন এক পণ্য’ স্কিম! কী এই প্রকল্প? 

    One Station One Product: দেশের ৭২৮ রেল প্ল্যাটফর্মে চালু ‘এক স্টেশন এক পণ্য’ স্কিম! কী এই প্রকল্প? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি সরকার লকডাউনের সময়ই ঘোষণা করেছিল ‘ভোকাল ফর লোকাল’ প্রকল্প। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্যকে জনপ্রিয় করে তুলতেই এই প্রয়াস ছিল মোদি সরকারের। এবার এই প্রকল্পেরই অংশ হিসেবে সারা দেশ জুড়ে শুরু হল ‘এক স্টেশন এক পণ্য’ (One Station One Product) স্কিম। প্রসঙ্গত, গত বছরের মার্চ মাসে এই প্রকল্প শুরু করে রেল। সোমবার ভারতীয় রেল জানায়, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের রোজকারের সুবিধা দিতেই এই প্রকল্প শুরু হয়েছে। ‘এক স্টেশন এক পণ্য’ (One Station One Product) এর স্কিমে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সামগ্রী রেলওয়ে প্ল্যাটফর্মে বিক্রি করা যায়। 

    এই প্রকল্পে কোন কোন জিনিস পাওয়া যাবে?

    রেল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে ৭২৮ টি স্টেশনে ৭৮৫ ‘এক স্টেশন এক পণ্য’এর আউটলেট খোলা হয়েছে। দেশের ২১ টি রাজ্যে এবং ৩টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শুরু হয়েছে এই স্কিম। এই প্রকল্পের আওতায় যে স্টেশন যে পণ্যের জন্য বিখ্যাত, সেখানে সেই সমস্ত সামগ্রী বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে।  হাতে তৈরি নানা জিনিসপত্র, হ্যান্ডলুম, সুতির পোশাক, কাপড়ের তৈরি ব্যাগ, স্থানীয়ভাবে কৃষিতে উৎপাদিত ফসল, প্রক্রিয়াজাত খাবার, কাঠের তৈরি জিনিসপত্র থেকে মশলা, চা, কফি সমস্ত কিছুই এই স্কিমের অংশ বলে জানিয়েছে রেল। যেমন পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে তাঁতের শাড়ি বিহারের ক্ষেত্রে ভাগলপুরের সিল্ক, টেরাকোটা, বাঁশের তৈরি জিনিসপত্র, অসমের ক্ষেত্রে গামছা ইত্যাদি।

    আরও খুঁটিনাটি…

    রেল সূত্রে আরও জানানো হয়েছে ২০২২ সালের মার্চ মাস থেকে ২০২৩ সালের ১ মে পর্যন্ত এই স্কিমের মাধ্যমে সুবিধা পেয়েছেন প্রায় ২৫ হাজারের উপর মানুষ। এই মুহূর্তে পূর্ব রেলের ৫৭টি স্টল চলছে বিভিন্ন ডিভিশনে। যেমন ২১ টি স্টল চলছে হাওড়া ডিভিশনে, ৭টি চলছে মালদা ডিভিশনে, ৭ টি আসানসোল ডিভিশনে ২২ টি স্টল চলছে শিয়ালদা ডিভিশনে।

    কী বলছেন রেল আধিকারিকরা?

    এ বিষয়ে রেলের উচ্চপদস্থ এক আধিকারিক বলেন, ‘‘প্রতিদিন হাজার হাজার সংখ্যায় মানুষ ভিড় করেন প্রতিটি রেলওয়ে স্টেশনে এবং শুধুমাত্র দেশের মানুষ নয় বিদেশীদেরও ওই ভিড় করতে দেখা যায়। স্বাভাবিকভাবেই এতে স্থানীয় পণ্যের গ্লোবাল মার্কেটিং হবে।’’ এক্ষেত্রে রেলের আধিকারিকরা উদাহরণ দিচ্ছেন যাদবপুরের ‘এক স্টেশন এক পণ্য’ (One Station One Product) এর স্টলকে। যেখানে প্রতিমাসে ৬০,০০০ টাকার টেক্সটাইল জুয়েলারি বিক্রি করেন এক মহিলা। এতে তাঁর জীবন জীবিকা ভালভাবেই চলে যায় বলে জানিয়েছে রেল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Railway: শিয়ালদহ মেন লাইনে যাত্রী ভোগান্তি চরমে! দেরিতে চলছে ট্রেন, বাতিল বহু 

    Indian Railway: শিয়ালদহ মেন লাইনে যাত্রী ভোগান্তি চরমে! দেরিতে চলছে ট্রেন, বাতিল বহু 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নৈহাটি ও কল্যাণী স্টেশনের মধ্যে নন–ইন্টারলকিংয়ের কাজ চলার কারণে শিয়ালদহ মেন শাখার একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। দেরিতে চলছে বহু ট্রেন। ফলে শনিবার নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে সমস্যায় পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। এনিয়ে যাত্রীদের মধ্যে চূড়ান্ত অসন্তোষ দেখা গেছে। এমনিতেই শিয়ালদহ শাখার ট্রেনগুলিতে ভিড়ের চাপ প্রবল থাকে, তার ওপর আবার ট্রেন কম থাকায় সমস্যা প্রবল হয়েছে আজ। জানা গেছে, শুক্রবার রাত থেকেই অবশ্য এই কাজ শুরু হয়েছে। রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, আগামী মঙ্গলবার অবধি চলবে এই কাজ। ফলে সমস্যা বাড়বে নিত্যযাত্রীদের। যদিও রেলের তরফে আগেই নন–ইন্টারলকিংয়ের কাজের জন্য ট্রেন বাতিলের কথা বলা হয়েছিল। জানা গেছে, ২০–২৫ মিনিট দেরিতে চলছে ট্রেন। বিভিন্ন স্টেশনে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকছে ট্রেন। বাতিলও রয়েছে ট্রেন। ফলে যে কয়েকটা ট্রেন চলছে, তাতে ভিড় রয়েছে যথেষ্ট। 

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করল ইডি

    কী বলছে রেল

    এবিষয়ে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্রের ভাষায়, ‘‘নন-ইন্টারলকিংয়ের কাজ চলছে দুটি স্টেশনের মধ্যে। মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকের মধ্যবর্তী সময়টা বেছে নিয়েছি, যাতে পড়ুয়াদের কোনও সমস্যা না হয়।’’ যাত্রী বিক্ষোভের বিষয়ে তাঁর মত, ‘‘কাজটা তো করতেই হত। এই দু’দিন কিছুটা কষ্ট করতে হবে। তবে ভবিষ্যতে সুবিধা মিলবে।’’

    যাত্রীরা কী বলছেন 

    বিভিন্ন স্টেশনে দীর্ঘক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে থাকছে ট্রেন। একে দেরিতে চলছে ট্রেন, তার পর অনেক লোকাল বাতিল। ফলে ভিড়ও হচ্ছে বেশি। এর জেরে ভোগান্তি বেড়েছে যাত্রীদের। এক যাত্রীর ক্ষোভ, ‘‘ট্রেন দেরিতে চলছে, সঠিক সময়ে অফিস পৌঁছতে পারব না। কিন্তু এ সব তো অফিস আর শুনবে না।’’ অনেক যাত্রীর অভিযোগ, ট্রেন কখন ছাড়বে, তার কোনও ঘোষণাও করা হচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Indian Railway: শহরতলির নিত্যযাত্রীদের সুবিধার জন্য এবার চলবে বন্দে মেট্রো! কবে থেকে জানেন

    Indian Railway: শহরতলির নিত্যযাত্রীদের সুবিধার জন্য এবার চলবে বন্দে মেট্রো! কবে থেকে জানেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্দে ভারতের আবার নতুন চমক রেলের। জানা যাচ্ছে, বন্দে মেট্রো আনছে ভারতীয় রেল (Indian Railway)। শোনা যাচ্ছে, বড় শহরগুলি থেকে ৫০-৬০ কিলোমিটারের মধ্যে শহরতলিগুলিকে যুক্ত করার জন্য এই ট্রেনগুলি নির্মাণ করা হবে।

    কী বললেন রেলমন্ত্রী

    রেলমন্ত্রী এদিন বলেন, “বড় শহরগুলির আশেপাশে প্রচুর মানুষ থাকেন। তাঁদের জন্যই এই ট্রেন। তবে এতে চড়ার জন্য খুব বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না তাঁদের। ২০২৩ সালের মধ্যেই এর নকশা আঁকার কাজ শেষ হবে বলে আশাবাদী আমরা। প্রোটোটাইপ তৈরি শুরু হয়ে যাবে। এরপর আগামী অর্থবর্ষে পুরোদমে উত্পাদনে নেমে পড়বে রেল (Indian Railway)।”

    রেলমন্ত্রীর আরও সংযোজন, ‘বড় বড় মেট্রো সিটিগুলির আশেপাশের ৫০-৬০ কিলোমিটার এলাকাগুলি থেকে বহু মানুষকেই কাজের জন্য যাতায়াত করতে হয়, তাঁদের কথা মাথায় রেখেই এই বন্দে মেট্রো ট্রেন (Indian Railway) তৈরি করা হবে। রাজ্যের মধ্যেই বিভিন্ন এলাকায় সহজে যাতায়াতের জন্য এই ট্রেন। প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাবনা অনুযায়ী, ভারতেই এই ট্রেনগুলি (Indian Railway) নির্মাণ করা হবে।

    রেলমন্ত্রী ব্যাখা করে বলেন, ‘অনেকটা দ্রুতগামী শাটেলের মতো অভিজ্ঞতা হবে যাত্রীদের।’ বিশ্বমানের প্রযুক্তি দিয়ে এই ট্রেনগুলি নির্মাণ করা হবে। এই বিষয়ে রেলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সম্ভবত ৮টি কোচ থাকবে বন্দে মেট্রোতে। আমাদের পরিচিত মেট্রো ট্রেনের (Indian Railway) মতোই অনেকটা হবে। নিত্যযাত্রীদের আরাম ও দ্রুত যাতায়াতের ভাবনা মাথায় রেখেই এই ট্রেনগুলি তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রেলের আধিকারিকরা।

    কোথায় তৈরি হবে বন্দে মেট্রো

    কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্রে জানা গিয়েছে, চেন্নাই-এর ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি (ICF) এবং লখনউয়ের রিসার্চ ডিজাইন অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অর্গানাইজেশন (RDSO)- কে ইতিমধ্যে ৮ কোচের বন্দে ভারত মেট্রো বানানোর জন্য রেলমন্ত্রক নির্দেশ দিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

     

  • Indian Railway: বিপুল বরাদ্দ রেলের, নতুনভাবে সাজবে বাংলার ৯৪টি স্টেশন! কোনগুলো জানেন?

    Indian Railway: বিপুল বরাদ্দ রেলের, নতুনভাবে সাজবে বাংলার ৯৪টি স্টেশন! কোনগুলো জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবছরের বাজেটে বাংলার জন্য রেলের বরাদ্দ অনেকটাই বাড়িয়েছে কেন্দ্র। জানা গিয়েছে ,ইউপিএ আমলে যত বরাদ্দ ছিল, তার থেকে তিন গুন বাড়ানো হয়েছে বরাদ্দ। রেল (Indian Railway) থেকে মেট্রো সব ক্ষেত্রে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে এবারের বাজেটে। সামনে এসেছে স্টেশন পুনর্গঠন তালিকা। কেন্দ্রের ‘অমৃত ভারত স্টেশন স্কিম’এ সারা ভারত জুড়ে অসংখ্য স্টেশনকে আধুনিক এবং উন্নত মানের বানানো হবে বলে জানা গিয়েছে।  মোট ১২৭৫ টি রেল স্টেশনের তালিকা প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গের ৯৪টি রেল স্টেশন রয়েছে এই তালিকায়।

    বাংলার কোন কোন স্টেশন অমৃত ভারত স্টেশন স্কিমের আওতায় পড়বে 

    বর্ধমান, রামপুরহাট, বোলপুর, নবদ্বীপ ধাম, খাগড়াঘাট, কাটোয়া, তারকেশ্বর, শেওড়াফুলি, বালি, আজিমগঞ্জ, ডানকুনি, সাঁইথিয়া, চন্দননগর, অম্বিকা কালনা, শিয়ালদহ, কৃষ্ণনগর, কল্যাণী, শান্তিপুর, ক্যানিং, চাঁদপাড়া, সোনারপুর, বহরমপুর কোর্ট, বেথুয়াডহরি, বনগাঁ, কল্যাণী ঘোষপাড়া, নৈহাটি, ব্যারাকপুর, দমদম জংশন, গেদে, অন্ডাল, সীতারামপুর, পাণ্ডবেশ্বর, সিউড়ি, পানাগড়, মালদা টাউন, নিউ ফারাক্কা, ধূলিয়ান গঙ্গা, জঙ্গিপুর রোড, নিউ আলিপুরদুয়ার, ডালগাঁও, হাসিমারা, দিনহাটা, নিউ মাল জংশন, জলপাইগুড়ি রোড, ধূপগুড়ি, ফালাকাটা, কামাক্ষ্যাগুড়ি, বান্নাগুড়ি, মালদা কোর্ট, কালিয়াগঞ্জ, হলদিবাড়ি, ভালুকারোড, আলুয়াবাড়ি, জলপাইগুড়ি, ডালখোলা, হরিশচন্দ্রপুর, সামসি, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, আদ্রা, বিষ্ণুপুর, বরাভূম, বার্নপুর, চন্দ্রকোণা রোড, গড়বেতা, আনাড়া, জয়চাঁদি পাহাড়, শালবনি, মধুকুণ্ডা, আন্দুল, বেলদা, দিঘা, হলদিয়া, হিজলি, ঝাড়গ্রাম, খড়গপুর, মেচেদা, মেদিনীপুর, পাঁশকুড়া, তমলুক, ঝালিদা, সুইসা, তুলিন, বাগনান, উলুবেড়িয়া, গোসিগাঁও হাট, শালিমার, হাওড়া, আলিপুরদুয়ার জংশন, নিউ কোচবিহার, নিউ জলপাইগুড়ি, আসানসোল, ব্যান্ডেল, হাওড়া, কলকাতা টার্মিনাল।

    কী এই ‘অমৃত ভারত স্টেশন স্কিম’

    জানা যাচ্ছে, স্টেশনগুলিতে যা যা পরিষেবা দেওয়া হত, তার থেকে বেশি পরিষেবা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে এই স্কিমে। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা ভেবে রুফ প্লাজার কথারও উল্লেখ রয়েছে কেন্দ্রের এই স্কিমে। স্টেশনের প্রবেশ পথে যাতে যথেষ্ট জায়গা থাকে, সেই ব্যবস্থাও রাখা হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Indian Railway: আইডিয়াল ট্রেন প্রোফাইল চালু করল ভারতীয় রেল, কেন জানেন?

    Indian Railway: আইডিয়াল ট্রেন প্রোফাইল চালু করল ভারতীয় রেল, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার আইডিয়াল ট্রেন প্রোফাইল চালু করল ভারতীয় রেল (Indian Railway)। রেলের রাজস্ব বাড়ানোর পাশাপাশি ম্যাক্সিমাম ক্যাপাসিটি ইউটিলাইজেশনও রেলের উদ্দেশ্য। প্রতিটি মেইল (Mail), এক্সপ্রেসে (Express) টিকিটের চাহিদা কত, তা দেখতেই এই ব্যবস্থা। প্রশ্ন হল, কী এই আইডিয়াল ট্রেন প্রোফাইল? আইডিয়াল ট্রেন প্রোফাইল হল একটি সিট ক্যাপাসিটি অপটিমাইজেশন ডিসিশান সাপোর্ট। এটি করা হয়েছে কোনও একটি নির্দিষ্ট দিনে কোনও একটি ট্রেনের কত সিট এবং কোন শ্রেণি বুকিং হয়েছে, তা জানতে। ভারতীয় রেলের এক আধিকারিকের কথায়, সব ট্রেনে অ্যাকোমোডেশনের চাহিদা এক থাকে না। ট্রেন বিশেষে এটি আলাদা আলাদা হয়। কারণও আলাদা আলাদা।

    ভারতীয় রেল…

    এই কারণগুলির মধ্যে রয়েছে, বিকল্প ট্রেনের ব্যবস্থা, অ্যাকোমোডেশন, ওরিজিন ডেস্টিনেশন পেয়ার, টাইমিং ইত্যাদি। ঐতিহ্যগতভাবে ভারতীয় রেলে (Indian Railway) অ্যাকোমোডেশনের ব্যবস্থা করা হত কোনও একটি ট্রেনের ইতিহাস ঘেঁটে। যে নির্দিষ্ট রুটে ট্রেনটি চলে, সেখানে যাত্রী কেমন হয়, তাঁদের চাহিদাই বা কেমন এসব খতিয়ে দেখা হত। রেলের ওই আধিকারিক জানান, আইডিয়াল ট্রেন প্রোফাইল ব্যবস্থা চালু হয়ে যাওয়ায় এই কাজটিই হয়ে গেল অনায়াস। এই প্রোফাইলের মাধ্যমে রেলের কর্তারা জানতে পারবেন, বিভিন্ন জোনের ট্রেনের যাত্রীদের প্রোফাইল সেল। তার জেরে চাহিদা অনুযায়ী যাত্রীদের জন্য করা যাবে অ্যাকোমোডেশনের ব্যবস্থা। বিভিন্ন মরশুমে এবং ছুটির দিনগুলিতে বিভিন্ন ট্রেনে টিকিটের চাহিদা বাড়ে। এই প্রোফাইলের মাধ্যমে ওই ট্রেনগুলিরও একটি নির্ভুল তথ্য পাওয়া যাবে। যার জেরে একদিকে যেমন ভারী হবে রেলের পকেট, তেমনি চাহিদা মিটবে যাত্রীদেরও।

    আরও পড়ুুন: ‘স্বাধীনতার পর নেতাজিকে ভোলানোর চেষ্টা করা হয়েছে’, অনুযোগ প্রধানমন্ত্রীর

    রেল (Indian Railway) সূত্রে খবর, পাইলট প্রজেক্ট শুরু হয়েছিল সাতটি জোনালে। এগুলি হল, ইস্টার্ন, সেন্ট্রাল, নর্দান, সাউদার্ন, সাউথ সেন্ট্রাল, ওয়েস্টার্ন এবং ওয়েস্ট সেন্ট্রাল রেলওয়ে। এই আইডিয়াল ট্রেন প্রোফাইল ব্যবস্থা এ পর্যন্ত প্রয়োগ করা হয়েছে ভারতীয় রেলের ২০০টি ট্রেনের ওপর। এতদিন রেলের বিভিন্ন কাজের জন্য বাইরে থেকে সফটওয়্যার আনানো হলেও, আইডিয়াল ট্রেন প্রোফাইল তৈরি করেছেন রেলের কর্মীরাই। রেলের নিজস্ব ওই দলের নেতৃত্বে ছিলেন সেন্টার অফ রেলওয়ে ইনফর্মেশন সিস্টেমসের আর গোপালকৃষ্ণণ। টানা দু বছরেরও বেশি সময়ের চেষ্টায় শেষমেশ হয়েছে লক্ষ্যপূরণ।

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

     

  • Indian Railway: ভারতে প্রথম অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি পণ্যবাহী ট্রেনের বগি উদ্বোধন করলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব

    Indian Railway: ভারতে প্রথম অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি পণ্যবাহী ট্রেনের বগি উদ্বোধন করলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় রেলকে (Indian Railway) আরও বেশি উন্নত করতে বড় পদক্ষেপ নিল ভারত সরকার। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মত ট্রেন চালু করার পর এবার পণ্যবাহী ট্রেনের জন্যও বড়সড় পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। পণ্যবাহী ট্রেনের জন্য প্রথমবার অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বগি। খোদ রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব গতকাল অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি পণ্যবাহী ট্রেনের বগি উদ্বোধন করলেন। গতকাল তিনি ওড়িশার ভুবনেশ্বর থেকে সবুজ পতাকা দেখিয়ে এর উদ্বোধন করলেন।

    এই অ্যালুমিনিয়াম বগিগুলো তৈরি হয়েছে হিন্দালকো সংস্থা। জানা গিয়েছে, রেলের এই পদক্ষেপের ফলে এবার থেকে প্রতি মালগাড়ির ট্রেনের ১০০ কেজি পর্যন্ত ওজন কমে যাবে। আর সেই কারণে কমবে কার্বন নির্গমনের পরিমাণ। অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি বগিগুলো স্টিলের তৈরি বগির চেয়ে ১৮০ টন হালকা। এবং এই বগিগুলোতে আগের থেকে ৫-১০ শতাংশ বেশি পণ্য বোঝাই করা যাবে। এছাড়াও ট্রেনের গতিও বাড়বে।

    আরও পড়ুন: পুজোর আগেই খুশির খবর! ১ অক্টোবর থেকে দেশজুড়ে ৫জি পরিষেবার সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী

    উদ্বোধনের দিন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, “এটি আমাদের দেশের (Indian Railway) জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত। স্বদেশী প্রযুক্তিতে এই হালকা ওজনের অ্যালুমিনিয়ামের মালগাড়ি ট্রেন নির্মাণ ভারতীয় রেলের (Indian Railway) জন্য একটি বড় উদ্ভাবন। এই ট্রেনগুলো থেকে ১৪,৫০০ টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড কম বেরোবে এবং এর পাশাপাশি এগুলোর মালবহন ক্ষমতাও বেশি। কম শক্তি খরচ করেও যেতে পারে।“ তিনি আরও জানিয়েছেন, এই বগিগুলো ৩০ বছর পরেও ১০০ শতাংশ পুনর্ব্যবহারযোগ্য। এছাড়াও এগুলো পরিবেশের পক্ষেও ক্ষতিকারক না। গতকাল তিনি মোট ৬১ টি অ্যালুমিনিয়াম-এর তৈরি মালগাড়ি ট্রেনের বগি উদ্বোধন করেছেন। আর এই ট্রেন ওড়িশার লাপাঙ্গায় হিন্দালকোর আদিত্য স্মেল্টারের জন্য কয়লা বহন করবে।

    রেলওয়ে (Indian Railway) থেকে জানানো হয়েছে, আগামী বছরগুলিতে এক লক্ষেরও বেশি এরকম পণ্যবাহী ট্রেন চালু করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। রেলের এই পদক্ষেপের ফলে ২৫ লক্ষ টনেরও বেশি কার্বন নির্গমন কমে যাবে বলে জানা গিয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, এই মালবাহী ট্রেনের বগিগুলো আরডিএসও-অনুমোদিত ডিজাইনের উপর ভিত্তি করে নতুন উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন তৈরি করা হয়েছে। মালগাড়ি ট্রেনের পর এবার উচ্চ গতির যাত্রীবাহী ট্রেনের জন্য অ্যালুমিনিয়াম বগি তৈরি করার পরিকল্পনাও করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে৷ ভারতীয় রেলকে (Indian Railway) আরও উন্নত করতে এবং আত্মনির্ভর ভারতের স্বপ্নকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এই অ্যালুমিনিয়াম পণ্যবাহী বগিগুলো বড় অবদান রাখবে।

  • Siuri Sealdah New Train: রবিবার থেকেই সিউড়ি-শিয়ালদহ নতুন ট্রেন

    Siuri Sealdah New Train: রবিবার থেকেই সিউড়ি-শিয়ালদহ নতুন ট্রেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের সিউড়ি (Birbhum Siuri) থেকে সরাসরি শিয়ালদহ (Sealdah) পর্যন্ত মেমু একপ্রেস চালু হতে চলেছে। এর ফলে সিউড়ির বাসিন্দাদের আর ঘুরপথে শিয়ালদহ যাতায়াত করতে হবে না। সিউড়ি থেকে কলকাতার দূরত্ব মাত্র ২৪০ কিলোমিটার। গাড়িতে এলে সময় লাগে ৪ ঘণ্টা, আর ট্রেনে সাড়ে চার ঘণ্টা। বীরভূম জেলা সদর থেকে কলকাতা নিত্য যাতায়াতের কোনও সুবিধা এতদিন ছিল না। ঘুরপথে যেতে হত যাত্রীদের। নইলে ভরসা ছিল বাস।

    বীরভূমবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, সিউড়ি-কলকাতার মধ্যে একটি ট্রেন চালু হোক। যাতে অফিস করে বাড়ি ফিরতে অসুবিধা না হয়। এতদিন দাবি জানিয়েও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এবার সিউড়িবাসীর আশা পূর্ণ হল। ৩১ জুলাই, রবিবার চালু হতে চলেছে নতুন এই ট্রেন। রেলমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে এই ট্রেন সিউড়ি থেকে অন্ডাল, বর্ধমান, ব্যান্ডেল, নৈহাটি হয়ে শিয়ালদহ পৌঁছবে, আবার শিয়ালদহ থেকে ওই একই পথে সিউড়িতে যাবে। নতুন ট্রেনটি ভোর ৫টা ২০ মিনিটে সিউড়ি স্টেশন থেকে ছাড়বে। শিয়ালদহে পৌঁছবে ৯টা ৫৭ মিনিটে। অন্যদিকে শিয়ালদহ থেকে এই ট্রেনটি ছাড়বে বিকেল ৫টা ২৫ মিনিটে ও সিউড়িতে গিয়ে পৌঁছবে রাত ১০টা ১৫ মিনিটে। এতদিন হুল আর ময়ূরাক্ষী ছাড়া কলকাতা আসতে পারতেন না সিউড়িবাসী। সিউড়ি শিয়ালদা ট্রেন চালু হওয়ার খবরে খুশি নিত্যযাত্রীরা।  

    বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় আরও দুটি দাবি জানিয়েছিলেন রেলমন্ত্রীর কাছে। এক দেউচা পাঁচামি-সিউড়ি নতুন লাইন ও সিউড়িতে একটি রেলওয়ে সাইডিং তৈরি করা। ভারতীয় রেল জানিয়েছে দুটি কাজেরই সমীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে। জমি পেলেই কাজ শুরু করতে প্রস্তুত ভারতীয় রেল। এই প্রকল্পে রাজ্য সরকার সাড়া দেবে কি না তা সময় বলবে। কিন্তু স্থানীয় বিধায়ক বা সাংসদের বদলে বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়া বিজেপি প্রার্থী দাঁড়ালেন মানুষের পাশে। তাঁরই উদ্যোগে এবং কেন্দ্র সরকারের সহায়তায় চালু হতে চলেছে সিউড়ি-শিয়ালদা নতুন ট্রেন (Siuri Sealdah MEMU)।                                                                                                                                                                                                                                                                                                    

LinkedIn
Share