Tag: ISIS

ISIS

  • ISIS: ভারতে বড়সড় হামলা করতে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করছে পাক জঙ্গিরা? দাবি গোয়েন্দাদের

    ISIS: ভারতে বড়সড় হামলা করতে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করছে পাক জঙ্গিরা? দাবি গোয়েন্দাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাক সীমান্তে কড়া প্রহরার জেরে ফোকর গলে ভারতে ঢুকে জঙ্গি (ISIS) হামলা করতে গেলে ধরা পড়ে যাওয়ার ভয় রয়েছে। তাই এবার ‘প্ল্যান বি’ রূপায়ণ করতে চলেছে লস্কর-ই-তৈবা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে একদল জঙ্গি লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে বাংলাদেশে (Bangladesh) ঢোকার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই দলটি বিস্ফোরক তৈরিতে দক্ষ। তারা বাংলাদেশের জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিতে সেখানে যাওয়ার তোড়জোড় করছে।

    বাংলাদেশের উদ্দেশে বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ (ISIS)

    এর আগে জইশ-ই-মহম্মদ এবং লস্কর-ই-তৈবা পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে তাদের মডিউল ফের সক্রিয় করার চেষ্টা করছে বলে জানতে পেরেছিলেন গোয়েন্দারা। এক আধিকারিক জানান, এই জঙ্গি সংগঠনগুলি বাংলাদেশের উদ্দেশে বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ পাঠাচ্ছে। বড় ধরনের কিছু একটি যে ঘটতে চলেছে, এটিই তারই ইঙ্গিত। আর এক আধিকারিক বলেন, সীমান্ত এলাকায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। কারণ ভারত ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ ও বোমা বিস্ফোরণের চেষ্টা হতে পারে।

    আইএসআইয়ের সমর্থনে চলছে কার্যকলাপ

    ভারতীয় সংস্থাগুলি জেনেছে, বাংলাদেশে আইএসআইয়ের সমর্থনে বহু কার্যকলাপ চালানো হচ্ছে। যদিও পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলি দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনগুলির হুমকির মুখে ছিল, এবার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। পাকিস্তান, যার বাংলাদেশে একটি ‘বন্ধু’ সরকার রয়েছে, বড় ধরনের কিছু পরিকল্পনা করছে। সাম্প্রতিক জঙ্গি যাতায়াত-সহ যে সব বার্তা মিলেছে, তা স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে, ভারতকে লক্ষ্য করে আইএসআই একটি বড় ধরনের অভিযানের ছক কষছে।

    এই অভিযানে যৌথভাবে কাজ

    গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, এই অভিযানে জইশ-ই-মহম্মদ এবং লস্কর-ই-তৈবা একসঙ্গে কাজ করবে (ISIS)। ভবিষ্যতে যৌথ অভিযান চালানোর সিদ্ধান্তটি আইএসআইয়ের নির্দেশের পর গৃহীত হয়। এর পর পাকিস্তানে দুই জঙ্গি গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতারা বৈঠক করে। আলোচনা করে কীভাবে একটি একক কমান্ড কাঠামোর আওতায় তারা এগোবে। বাংলাদেশে বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভারতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটানোর উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে অপারেটিভদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য নয় সদস্যের একটি দলও গঠন করা হয়েছে (Bangladesh)।

    বাংলাদেশে বহুবার গিয়েছে পাক জঙ্গি দল

    জইশ-ই-মহম্মদ এবং লস্কর-ই-তৈবার বেশ কয়েকটি দল বাংলাদেশে বহুবার গিয়েছে। আলাপ-আলোচনা করেছে স্থানীয় জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গেও। সম্প্রতি হাফিজ সাঈদের এক ঘনিষ্ঠ সহযোগী বাংলাদেশে ছিল স্থানীয় জঙ্গিদের সঙ্গে দেখা করতে এবং তাদের উৎসাহিত করতে। গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রের খবর, চলতি মাসের কোনও এক সময় লস্কর-ই-তৈবার প্রধান হাফিজ সাঈদের ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। সে তার নিজের গোষ্ঠীর সদস্য-সহ অন্যান্যদের সঙ্গেও দেখা করবে। এও জানা গিয়েছে, ভারতে হামলার পরিকল্পনা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। সাঈদ ঢাকা সফর শেষ করলেই এই গোষ্ঠীগুলি তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করতে পারে। এদিকে, আইএসআই ইতিমধ্যেই নিজেদের চিহ্ন মুছে ফেলার কাজ শুরু করেছে। এ থেকেই স্পষ্ট, হামলার চেষ্টা খুব শীঘ্রই হতে পারে (ISIS)।

    বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা

    উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলি এবং পশ্চিমবঙ্গে সুপ্ত নেটওয়ার্কগুলির সক্রিয় হওয়া স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় যে একটি বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এছাড়া, বাংলাদেশের অনেক মাদ্রাসা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই মাদ্রাসাগুলি বিশেষভাবে প্রভাবিতকরণ এবং উগ্রপন্থায় দীক্ষিত করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল (Bangladesh)। এই মাদ্রাসাগুলির সবক’টিই আইএসআই-চালিত, যেখানে প্রচারকরা লস্কর-ই-তৈবা এবং জইশ-ই-মহম্মদের সদস্য। তাদের মধ্যে কিছু ভারতের ভেতরে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটানোর নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়েই গড়ে উঠেছিল। এখন যেহেতু পরিকল্পনা শেষ পর্যায়ে, তাই সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওই মাদ্রাসাগুলি।

    আধিকারিকের বক্তব্য

    এক আধিকারিক বলেন, “এটি পাকিস্তানের একটি পাঠ্যবই-ধাঁচের অপারেশন। বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা চলার সময় যদি এসব মাদ্রাসা খোলা থাকে, তাহলে এর সূত্রের খেই খুব সহজেই আইএসআইয়ের দিকে পৌঁছে যাবে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় এসব মাদ্রাসার সদস্যদের কঠোরভাবে প্রশ্ন করা হলে জানা যাবে কে ওই যুবকদের উগ্রপন্থায় দীক্ষিত করেছিল এবং কোন সংগঠনের সঙ্গে তাদের যুক্ত করেছিল (ISIS)।” বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি একটি ক্লাসিক আইএসআই অপারেশন। এবার আইএসআই বাংলাদেশের মধ্যে একটি বলির পাঁঠা খুঁজে পেয়েছে। কোনও হামলা হলে তার সূত্র বাংলাদেশের কিছু ব্যক্তির দিকেও নির্দেশ করবে। এটি পাকিস্তানের ঘাড় থেকে দোষ নামিয়ে ফেলে বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দেওয়ার একটি কৌশল (Bangladesh)। ফলে পাকিস্তান দায় অস্বীকার করার সুযোগ পেয়ে যাবে, আর দোষ পড়বে বাংলাদেশের ওপর।

  • Kerala Mother: কিশোর ছেলেকে উগ্রপন্থায় দীক্ষিত করতে উদ্যোগী হয়েছিল কেরলের মা!

    Kerala Mother: কিশোর ছেলেকে উগ্রপন্থায় দীক্ষিত করতে উদ্যোগী হয়েছিল কেরলের মা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর পনেরোর এক কিশোরকে আইএসআইএসের মতাদর্শে দীক্ষিত করতে অনুপ্রাণিত করছে কেরলের (Kerala Mother) এক মা! ব্রিটেন-ভিত্তিক এক আইএসআইএস সমর্থকের সঙ্গে যোগাযোগ করে (UK) ওই মা ওই কিশোরকে উগ্রপন্থায় দীক্ষিত করতে চেয়েছিল। অন্তত কেরল পুলিশের এফআইআরে এমনই অভিযোগ করা হয়েছে। ওই কিশোরের মগজ ধোলাই করতে তাকে আইএসআইএসের বিভিন্ন প্রচারের ভিডিও দেখানো হয়েছিল। শেখানো হয়েছিল অন্যান্য ধর্মের প্রতি ঘৃণা করতে। উৎসাহিত করা হয়েছিল জঙ্গি গোষ্ঠীটির মতবাদ গ্রহণে।

    ইউএপিএ আইনে দায়ের এফআইআর (Kerala Mother)

    ইউএপিএ আইনের আওতায় দায়ের করা এই এফআইআরে এই দু’জনকে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথমজন, আনজার নামে পরিচিত, নথিতে তাকে তথাকথিত ইসলামিক স্টেট জঙ্গি সংগঠনের সদস্য হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। বর্তমানে সে বসবাস করছে ব্রিটেনের লেস্টারে। তদন্তকারীদের মতে, সে-ই কিশোরটিকে তার ল্যাপটপে আইএসআইএসের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ভিডিও দেখাত এবং সংগঠনের আদর্শকে ইসলামের শ্রেষ্ঠ পথ হিসেবে তুলে ধরত। এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে, আনজার কিশোরটিকে বোঝানোর চেষ্টা করে যে আইএসআইএস-ই ইসলামের প্রকৃত পথ এবং তাকে অন্যান্য ধর্মের প্রতি শত্রুতা গড়ে তুলতে উৎসাহিত করেছিল। আর দ্বিতীয় অভিযুক্ত হল ওই কিশোরের মা, ফিধা মহম্মদ আলি। তদন্তকারীদের মতে, সে এই র‍্যাডিকালাইজেশনের চেষ্টা সমর্থন করত, সাহায্যও করত। এফআইআরে বলা হয়েছে, সে আনজারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করত। পুলিশ সূত্রের খবর, এ থেকেই অনুমান এরা দু’জনে মিলেই কিশোরটিকে প্রভাবিত, পরিচালনা এবং মতাদর্শগতভাবে দীক্ষিত করার চেষ্টা করছিল।

    তদন্তে এনআইএ

    কেরল পুলিশের মতে, এই ঘটনাটি একটি বড় নেটওয়ার্কের অংশ হতে পারে। প্রাথমিক তথ্যে ইঙ্গিত মিলেছে যে জঙ্গি সংগঠনটির সঙ্গে যুক্ত স্লিপিং সেলের সদস্যরা হয়তো রাজ্যের কিছু এলাকায় সক্রিয় থাকতে পারে। এনআইএ ইতিমধ্যেই প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে এবং পুরো তদন্তভার গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে (Kerala Mother)। প্রসঙ্গত, এই আনজারের ভাই সিদ্দিকল ২০১৬ সালের কানাকামালা আইএসআইএস ষড়যন্ত্র মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল। ওই মামলায় কেরল ও তামিলনাড়ুতে হামলার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে আটজনের বিরুদ্ধে (UK) চার্জশিট দেওয়া হয়েছিল। সূত্রের খবর, ওই তদন্ত চলাকালীন আনজার নজরদারিতে থাকলেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়নি, কারণ সেই সময় সে ইউক্রেনে থাকত (Kerala Mother)।

  • ISIS Terrorist: কর্নাটকে জেলের ভেতরে বসেই রাজপাট সামলাচ্ছে আইসিস জঙ্গি!

    ISIS Terrorist: কর্নাটকে জেলের ভেতরে বসেই রাজপাট সামলাচ্ছে আইসিস জঙ্গি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাজা পেয়ে ভোগ করছে কারাদণ্ড। অথচ, জেলের মধ্যেই তারা রয়েছে রাজসুখে। সম্প্রতি বেঙ্গালুরর (Karnataka) পারাপ্পানা অগ্রহারা সেন্ট্রাল জেলে নিরাপত্তা ঘাটতির অভিযোগ উঠছে। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, শহরের সবচেয়ে বিপজ্জনক কিছু বন্দি মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে জেলের চৌখুপির ভেতরে বসেই (ISIS Terrorist)। উচ্চ-নিরাপত্তা বলয় থাকা সত্ত্বেও, এই বিশেষ সুবিধা ভোগ করছে কয়েকজন বন্দি।

    রাজসুখে বন্দিরা! (ISIS Terrorist)

    একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, আইএসআইএস জঙ্গি জুহাদ হামিদ শাকিল মান্না জেলের ভেতরেই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে তার অনুগামীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। আর একটি ভিডিওয় সিরিয়াল ধর্ষক ও খুনি উমেশ রেড্ডিকে তার সেলে আয়েশ করে বসে টিভি দেখতেও দেখা গিয়েছে। এই দুজনই কর্ণাটকের সবচেয়ে কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টিত জেলগুলির একটিতে শাস্তি ভোগ করছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি প্রকাশিত ভিডিওগুলি জেল পরিচালনা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলেছে। ব্যাপক সমালোচনার পর কারা কর্তৃপক্ষ শনিবার (৮ নভেম্বর) হবে বলে জানিয়েছে যে ক্লিপগুলির সত্যতা যাচাই ও দায়ীদের শনাক্ত করতে একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    আধিকারিকের বক্তব্য

    এক আধিকারিক বলেন, “তদন্তে যা উঠে আসবে তার ভিত্তিতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন পারাপ্পানা আগ্রাহারা জেল কর্তৃপক্ষ। গত মাসেও একটি ভিডিও ভাইরাল হয়, যাতে দেখা (ISIS Terrorist) গিয়েছে কুখ্যাত রাউডি-শিটার শ্রীনিবাস, যে গুব্বাচি সিনা নামে পরিচিত, কারাগারের ভেতরেই জন্মদিন পালন করছে। মোবাইল ফোনে তোলা সেই ভিডিওয় কেক কাটতে দেখা গিয়েছে তাকে। গলায় আপেলের মালা পরে দাঁড়িয়ে রয়েছে সে। তাকে ঘিরে রয়েছে অন্য বন্দিরা।

    প্রসঙ্গত, গত বছরও অনুরূপ বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল, যখন রেণুকাস্বামী নুকাস্বামী হত্যা মামলায় বর্তমানে জেলবন্দি কন্নড় অভিনেতা তথা দর্শন ঠুগুদিপ্পার কিছু ছবি ভাইরাল হয়েছিল। ছবিগুলিতে দেখা গিয়েছে (Karnataka), তিনি জেলের ভেতরে আরাম করে বসে আছেন। তাঁর হাতে ধরা সিগারেট ও কফির মগ। খোশ মেজাজে গল্প করছেন সহ-বন্দিদের সঙ্গে (ISIS Terrorist)।

  • ISIS: ভারতে হামলার ছক কষার অভিযোগে গুজরাট থেকে গ্রেফতার ৩ আইসিস জঙ্গি

    ISIS: ভারতে হামলার ছক কষার অভিযোগে গুজরাট থেকে গ্রেফতার ৩ আইসিস জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে হামলার পরিকল্পনার অভিযোগে গুজরাট থেকে ৩ আইসিস জঙ্গিকে (ISIS) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  গুজরাট (Gujrat) এটিএস সূত্রে খবর, ধৃত ব্যক্তিরা এক বছর ধরে তাদের রাডারে ছিল এবং অস্ত্র সরবরাহের প্রক্রিয়া চলাকালীন তাদের আটক করা হয়েছে। কাশ্মীরে পহেলগাঁও হামলার পর থেকেই দেশজুড়ে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সক্রিয় অভিযান চালাচ্ছে প্রশাসন। এই বছরের শুরুতেই ইসলামি জঙ্গি সংগঠন আল-কায়দার আরও ৫ জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।

    দু’টি পৃথক মডিউলের সদস্য (ISIS)

    রবিবার আমেদাবাদ থেকে আইসিসের (ISIS) সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে যে তিন জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সারা দেশে জঙ্গি হামলা চালানোর ষড়যন্ত্র করেছে তারা। এটিএস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “জঙ্গিরা অস্ত্র বিনিময়ের জন্য গুজরাটে এসেছিল এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলার পরিকল্পনাও করেছিল। আটক হওয়া তিন সন্দেহভাজন জঙ্গি দু’টি পৃথক মডিউলের সদস্য। তাদের সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তু কী এবং তারা কোথায় হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছেন আধিকারিকরা। বিশদ অনুসন্ধানের জন্য সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

    পাকিস্তানি হ্যান্ডলারদের সঙ্গে যোগাযোগ!

    এই বছরের শুরুতে গুজরাট (Gujrat) এটিএস ইসলামি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আল-কায়েদার (AQIS) পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছিল। যার মধ্যে বেঙ্গালুরুর এক মহিলাও ছিল। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানি হ্যান্ডলারদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে একটি অনলাইন জঙ্গি মডিউল পরিচালনা করছিল সে। ধৃতদের নাম ফারদিন শেখ, সইফুল্লা কুরেশি, মহম্মদ ফাইক এবং জিশান আলি। গত ২২ জুলাই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বিদ্বেষমূলক মতাদর্শ প্রচারের অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। প্রধান অভিযুক্ত জিশান আলির কাছ থেকে একটি পিস্তল এবং তাজা গুলিও উদ্ধার করা হয়েছে।

    গুজরাট এটিএস সূত্রে জানা গিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে নয়ডায় জিশান আলির বাসভবনে একটি অভিযানের সময় অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। পুলিশ সুপার বীরজিৎ সিংহ পারমারের নেতৃত্বে পুলিশ অফিসার নিখিল ব্রহ্মভট্ট এবং এআর চৌধুরীর নেতৃত্বে এই অভিযান চলে।

    এই গোষ্ঠীর (ISIS) বিরুদ্ধে ‘গাজওয়া-ই-হিন্দে’র নামে হিংসাকে উস্কে দেওয়া, ভারতের নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহের ডাক দেওয়া এবং অমুসলিমদের লক্ষ্য করে হিংসাত্মক কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত করার অভিযোগ রয়েছে। ১৯৬৭ সালের বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন (UAPA) এবং ২০২৩ সালের ভারতীয় ন্যায় সংহিতার বিভিন্ন ধারার অধীনে আইনি ব্যবস্থা শুরু করা হয়েছে।

  • ISIS Terrorists Arrested: দেশে আইএস-এর বড় চক্র ফাঁস, দিল্লি ও রাঁচি থেকে গ্রেফতার ২ সন্দেহভাজন জঙ্গি

    ISIS Terrorists Arrested: দেশে আইএস-এর বড় চক্র ফাঁস, দিল্লি ও রাঁচি থেকে গ্রেফতার ২ সন্দেহভাজন জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে নাশকতার জাল বিছাচ্ছে ইসলামিক স্টেট! ভারতে বসেই সন্ত্রাসের ছক কষছে ইসলামিক স্টেট! দিল্লি ও ঝাড়খণ্ডের রাঁচি থেকে দুই আইএস জঙ্গির গ্রেফতার হওয়ার ঘটনা সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে।

    বড় জঙ্গি-চক্র ফাঁস

    ভারতে বড়সড় নাশকতামূলক হামলা হওয়ার আগেই বড় জঙ্গি-চক্র ফাঁস করল দেশের গোয়েন্দাবাহিনী। খবরে প্রকাশে, বিশেষ সূত্রে গোয়েন্দা তথ্য পেয়ে দেশের দুটি শহরের দুটি ডেরায় হানা দেয় দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। একদিকে, ঝাড়খণ্ড সন্ত্রাসদমন স্কোয়াড (এটিএস) এবং রাঁচি পুলিশের যৌথ সহায়তায় রাঁচির ইসলামনগর এলাকা থেকে এক সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। ধৃত ব্যক্তির নাম আজহার দানিশ। আদতে সে বোকারো জেলার পেটওয়ারের বাসিন্দা। অন্যদিকে, রাজধানী অঞ্চল থেকে গ্রেফতার করা হয় আফতাব নামে আর এক সন্দেহভাজন জঙ্গিকে। দুজনকে জেরা করা হচ্ছে। প্রাথমিক অনুমান, এই দুই যুবক জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর সঙ্গে যুক্ত। এছাড়া, দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছে আরও ৬ জনকে।

    আইএস-এর এজেন্ট আজহার-আফতাব

    প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ধৃত আফতাব ও দানিশের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একাধিক বৈদ্যুতিন যন্ত্রের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র। জানা গিয়েছে, দিল্লিতে পুরনো এক মামলায় দীর্ঘদিন ধরে দানিশকে খুঁজছিল পুলিশ। তার বিরুদ্ধে সন্দেহভাজন কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগ ছিল। সেই মতো, তদন্তে নামে পুলিশ। তাতেই আইএস জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে স্পষ্ট যোগ পাওয়া যায় দানিশের। সঙ্গে আফতাবরও। দিল্লি পুলিশের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে ভারতে আইএসআইএস-এর এজেন্ট হিসেবে কাজ করত অভিযুক্তরা। ফলে, এই দুজনের গ্রেফতারি সন্ত্রাসদমন অভিযানে বড় সাফল্য। সন্দেহভাজন দুই জঙ্গিকে জেরা করে ভারতে আইসিস নেটওয়ার্কের খোঁজ পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

    মাথাচাড়া দিচ্ছে আইএস

    ইরাক ও সিরিয়া থেকে কার্যত মুছে যাওয়ার পর ইসলামিক স্টেট মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে এশিয়ার নানা প্রান্তে। তবে হারলেও এখনও যথেষ্ট শক্তি ধরে সংগঠনটি। সংগঠনটির লক্ষ্য ছিল বিশ্বজুড়ে ইসলামি খিলাফত প্রতিষ্ঠা। সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন জায়গায় গোপনে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সংগঠনটি। নেপাল, বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানের বহু সন্ত্রাসী ভারতে প্রবেশ করছে। পূর্বে ভারতের কেরল-সহ আরও একাধিক রাজ্যে এই সংগঠনের তৎপরতা নজরে এসেছে।
    দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

  • Christians Massacred: চার্চে ঢুকে এলোপাথারি গুলি, কঙ্গোতে ভয়াবহ হামলা আইসিস-এর শাখা সংগঠনের, মৃত ৩৮

    Christians Massacred: চার্চে ঢুকে এলোপাথারি গুলি, কঙ্গোতে ভয়াবহ হামলা আইসিস-এর শাখা সংগঠনের, মৃত ৩৮

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কঙ্গোতে মধ্যরাতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় (Christians Massacred) ৩৮ জন খ্রিস্টানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে অ্যালায়েড ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (ADF), যা ইরাক-সিরিয়ার আইসিস (ISIS) জঙ্গি সংগঠনের একটি শাখা হিসেবে পরিচিত।

    রাত ১টায় অতর্কিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা

    এই মর্মান্তিক ঘটনা সংঘটিত হয়েছে কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলের কোমান্ডা শহরে। জানা গেছে, রাত প্রায় ১টার দিকে ইসলামপন্থী জঙ্গিরা খ্রিস্টানদের লক্ষ্যবস্তু বানায় এবং এলোপাথারি গুলি চালাতে শুরু করে (Christians Massacred)। প্রত্যক্ষদর্শী এবং স্থানীয় প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে, জঙ্গিরা প্রচুর পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এসেছিল এবং চার্চের আশপাশে অবস্থান নেয়। এরপরই তারা গুলি চালাতে শুরু করে।

    চার্চের ভিতরে অন্তত ২১ জনকে হত্যা করা হয়েছে

    জঙ্গিদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই প্রায় ২০ জন নিহত হন এবং আরও অনেক আহত অবস্থায় পরে মারা যান। কঙ্গোর সিভিল সোসাইটির কো-অর্ডিনেটর জানিয়েছেন, চার্চের ভিতরে অন্তত ২১ জনকে হত্যা করা হয়েছে এবং চার্চের বাইরে আরও অনেককে হত্যা করা হয়। হামলার সময় চার্চে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলেও জানা গেছে। স্থানীয় চার্চের ফাদার জানিয়েছেন, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩১ জন নিহত হয়েছেন এবং শহরের অন্য প্রান্তে আরও সাতটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে (Christians Massacred)। এছাড়া বেশ কয়েকজনকে অপহরণ করা হয়েছে এবং তারা এখনও নিখোঁজ রয়েছেন (Church)।

    রাষ্ট্রসংঘের রেডিও চ্যানেল “ওকাপি” কী বলছে?

    রাষ্ট্রসংঘের রেডিও চ্যানেল “ওকাপি” জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা ৪৩ জনে পৌঁছেছে। পূর্ব কঙ্গোর এই ধরনের হামলা নতুন নয়—ADF পূর্বে বহুবার খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে, বিশেষ করে কোমান্ডা এলাকায়। জানা গিয়েছে, ADF তথা অ্যালায়েড ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (Allied Democratic Forces) নামক এই সশস্ত্র জঙ্গি সংগঠনটি গঠিত হয়েছিল ১৯৯০ সালের শুরুতে। মূলত এটি গঠিত হয়েছিল উগান্ডায়, যেখানে ইসলামিক শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে একদল উগ্রপন্থী নেতা এই সংগঠনটি তৈরি করে।

  • Operation Spiderweb: ‘স্পাইডার ওয়েব’-এর ধাঁচে ভারতে হামলার ছক ছিল জঙ্গিদের! শক্ত হাতে রুখে দেয় এনআইএ

    Operation Spiderweb: ‘স্পাইডার ওয়েব’-এর ধাঁচে ভারতে হামলার ছক ছিল জঙ্গিদের! শক্ত হাতে রুখে দেয় এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন মাকড়সার জাল’! সাঙ্কেতিক নাম এটাই। অভিযানের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল আজ থেকে ঠিক এক বছর ছ’মাস আগে। তার পর থেকে দেড় বছর ধরে চলেছিল প্রস্তুতি। রবিবার রাশিয়ার ইরকুটস্ক অঞ্চলের স্রেডনি জনবসতির কাছে অবস্থিত ওলেনিয়া বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে বড়সড় ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। নিশানায় ছিল আরও তিনটি বিমানঘাঁটি। ঠিক এক বছর আগে ভারতেও অনুরূপ হামলার (Operation Spiderweb)পরিকল্পনা করেছিল ইসলামিক স্টেট। গত বছর, ভারতের মহারাষ্ট্রের প্যাডঘা গ্রামে আইসিসের একটি ঘাঁটি আবিষ্কৃত হয়েছিল, যেখানে ৪৪টি ড্রোন, বিস্ফোরক, অস্ত্র এবং বিভিন্ন নথি পাওয়া গিয়েছিল। এই ড্রোনগুলো মুম্বইয়ে হামলার পরিকল্পনা করে রাখা হয়েছিল। জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা এনআইএ-র তৎপরতায় এই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়। গোয়েন্দাদের দাবি, এই ছক কষতে আইএস-কে সাহায্য করেছিল পাকিস্তান।

    রাশিয়ায় ইউক্রেনের হামলা

    রাশিয়ার একের পর এক বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে রবিবার ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্পাইডার ওয়েব’ (Operation Spiderweb), অর্থাৎ ‘মাকড়সার জাল’! ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে ৪০টিরও বেশি রুশ সামরিক বিমান। বেছে বেছে সামরিক বিমানগুলি লক্ষ্য করে নিখুঁত হামলা চালানো হয়েছে। ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা (এসবিইউ)-এর দাবি, ধ্বংস হয়ে যাওয়া বিমানগুলির মধ্যে ছিল টিইউ-৯৫ এবং টিইউ-২২। দু’টিই যুদ্ধে ব্যবহৃত বোমারু বিমান, যা সাধারণত দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার জন্য ব্যবহার করা হয়। হামলাকারী ড্রোনগুলিকে আগে থেকেই ট্রাকে করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল রাশিয়ার ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে। পরে দূর থেকে রিমোট নিয়ন্ত্রিত হামলা চালানো হয়। এ জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন ১১৭টি ড্রোন। আগে থেকেই ট্রাকে করে রাশিয়ায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল বিস্ফোরকবোঝাই ড্রোনগুলি। যাতে কারও নজরে না পড়ে, সে জন্য ড্রোনগুলিকে বোঝাই করে রাখা হয়েছিল সারি সারি কাঠের বাক্সে। প্রতিটি বাক্সে কাঠের ঢাকনার বদলে ছিল ধাতব প্লেট। পরিকল্পনামাফিক ট্রাকগুলিকে রাশিয়ার চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটির কাছাকাছি নির্দিষ্ট জায়গায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এর পর সময়মতো রিমোটের সাহায্যে দূর থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় ধাতব প্লেটের আবরণ। কাজ শুরু করে দেয় ১১৭টি কোয়াড্রোকপ্টার ড্রোন।

    ভারতেও স্পাইডার-ওয়েব ধাঁচে হামলার ছক!

    গত বছর, ২০২৪ সালের জুন মাসেই মুম্বইয়ে এরকম হামলার ছক কষেছিল ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন আইসিস। মহারাষ্ট্রের গ্রামে মজুত করা হয়েছিল ড্রোন। আইএসআইএস-কে এই কাজে পরোক্ষে সাহায্য করেছিল পাক গুপ্তচর (India Pakistan) সংস্থা আইএসআই। ভারতের যে কোনও প্রান্তে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার আশঙ্কার খবর পেয়েই তখন সক্রিয় হয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। মহারাষ্ট্রের প্যাডঘা গ্রামে আইএসআইএসের একটি ঘাঁটি খুঁজে পায় তারা। জানা যায়, ওই এলাকার ত্রাস হয়ে উঠেছিল শাকিব নাচান নামে এক জঙ্গি। ওই গ্রামের নাম পাল্টে ‘আল-শাম’ করে দিয়েছিল নাচান। এমনকি, নিজেকে ওই অঞ্চলের শাসক হিসেবে ঘোষণা পর্যন্তকরে দিয়েছিল। স্থানীয় যুবকদের ব্রেনওয়াশ করে আইসিসের আদর্শ তাদের মধ্য ঢুকিয়ে নাশকতা হামলার জন্য প্রস্তুত করছিল। যুবকদের আইইডি বিস্ফোরণে পারদর্শী করা হচ্ছিল।

    তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, এখানে ৪৪টি ড্রোন, বিস্ফোরক, অস্ত্র এবং বিভিন্ন নথি পাওয়া গিয়েছিল। এই ড্রোনগুলো মুম্বইয়ে হামলার পরিকল্পনা করেছিল। বড় জঙ্গি হামলার সম্ভাবনা ছিল দিল্লি, ও গোয়াতেও। নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে জঙ্গিদের এই পরিকল্পনা জানতে পেরেছিলেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। সতর্কতা জারি হয় দিল্লি, মুম্বই গোয়া, দেশের এই তিন এলাকায়। ভারতীয় গোয়েন্দারা সেই সময় ইন্টারনেটে জঙ্গিদের কথোপকথনে আড়ি পাতে। সেখান থেকেই নানা তথ্য মেলে। গোয়েন্দাদের চেষ্টায় ব্যর্থ হয় জঙ্গিদের পরিকল্পনা। নাচান সহ ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে জেলে রয়েছে তারা।

    পাকিস্তানের চেষ্টা বানচালে সক্রিয় ভারত

    কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, পাকিস্তান (India Pakistan) ইতিমধ্যেই চিন থেকে উন্নতমানের ড্রোন সংগ্রহ করেছে। যা অস্ত্র ও মাদক পাচারের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। এই ড্রোনগুলো ৮০০ মিটার উচ্চতায় উড়তে সক্ষম এবং ১৫-২০ কিলোমিটার দূরত্বে লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছতে পারে। এগুলি ব্যবহার করে আইএসআইএসের মতো গোষ্ঠীগুলো ভারতের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে। জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা ইতিমধ্যে এই ধরনের হামলার সতর্কবার্তা দিয়েছে। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, আধুনিক ড্রোন প্রযুক্তির দ্রুত উন্নতি এবং সহজলভ্যতার কারণে, এই ধরনের হামলা প্রতিরোধে আরও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন রয়েছে। ড্রোন প্রযুক্তি যুদ্ধের ধরন পরিবর্তন করছে, এবং এটি শুধুমাত্র রাষ্ট্র নয়, বরং সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর জন্যও একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হয়ে উঠছে।

     

     

     

  • ISIS Terror Plan: হায়দরাবাদে হামলার ছক! মজুত করা হচ্ছিল বিস্ফোরক, গ্রেফতার ২ আইসিস জঙ্গি

    ISIS Terror Plan: হায়দরাবাদে হামলার ছক! মজুত করা হচ্ছিল বিস্ফোরক, গ্রেফতার ২ আইসিস জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অল্পের জন্য রক্ষা পেল হায়দরাবাদ (Bomb plot in Hyderabad)। দক্ষিণের এই শহরে বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল আইসিস জঙ্গিদের (ISIS Terror Plan)। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে বড়সড় এই হামলার থেকে শহরকে রক্ষা করল পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে দুই সন্ত্রাসবাদীকে। উদ্ধার হয়েছে বিস্ফোরকও। তেলঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের যৌথ অভিযানেই ওই দুই সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম সিরাজউর রহমান (২৯) ও সঈদ সমীর (২৮)।

    সদা সতর্ক পুলিশ

    পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর দেশ জুড়ে আরও সতর্ক হয়েছে পুলিশ। সম্ভাব্য যে কোনও খবর পেলেই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চলছে তল্লাশি অভিযান। সন্ত্রাসের সঙ্গে কোনওরকম আপস নয়। মোদি সরকারের নীতি মেনেই নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও কঠোর করা হচ্ছে। দেশের নানা প্রান্তে জঙ্গিদের খোঁজে সক্রিয় রয়েছে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী। সোমবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হায়দরাবাদের (Hyderabad) বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযুক্ত দুজনকে আটক ও পরে গ্রেফতার করা হয়। সিরাজ ভিজিনগ্রামের বাসিন্দা, সমীর হায়দরাবাদেরই ছেলে। জানা গিয়েছে, এদের দুইজনেরই আইসিস জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। আইসিসের (ISIS Terror Plan) নির্দেশেই হায়দরাবাদে বোমা বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের।

    বিস্ফোরণের ছক তৈরি ছিল

    জেরায় জানা গিয়েছে, সৌদি আরবের আইসিস মডিউল থেকে তাদের হামলা চালানোর যাবতীয় নির্দেশ দেওয়া হচ্ছিল। হায়দরাবাদে কীভাবে বোমা বিস্ফোরণ করতে হবে, সেই নির্দেশও দিচ্ছিল আইসিস জঙ্গিরা। আগে তাদের ‘ডামি’ বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল বলেই জানা গিয়েছে। ওই প্ল্যান সফল হলে, তারপর করা হত বড় হামলা। ভিজিনগ্রাম থেকে সিরাজ বিস্ফোরকের সামগ্রী নিয়ে এসেছিল। জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে, এই ২জন বড় সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করেছিল দেশজুড়ে। সিরাজ ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে চাকরির চেষ্টা করছিল, সমীর একটি লিফট অপারেটিং সংস্থায় কর্মরত। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, এই ২ জন অল হিন্দ ইত্তেহাদুল মুসলিমিন সংগঠনের (ISIS Terror Plan) সঙ্গে যুক্ত ছিল।

  • ISIS: ইরাকের বাহিনীর অভিযানে সিরিয়াতে খতম আইসিস প্রধান আবু খাদিজা

    ISIS: ইরাকের বাহিনীর অভিযানে সিরিয়াতে খতম আইসিস প্রধান আবু খাদিজা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খতম বিশ্বের কুখ্যাত জঙ্গি আবদাল্লা মাকি মোসলেহ আল-রিয়াফি ওরফে আবু খাদিজা। ইসলামিক স্টেট (ISIS) জঙ্গি সংগঠনের প্রধান ছিলেন তিনি। ইসলামিক স্টেট-এর প্রধানের নিকেশের খবরটি ইতিমধ্যে নিশ্চিত করেছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ শিয়া আল-সুদানি। জানা গিয়েছে, পশ্চিম ইরাকে (Iraq) আনবার প্রদেশের ওপর আকাশ পথে অভিযান চালানো হয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার রাতে এই অভিযান হয়। আবু খাদিজা’র মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয় শুক্রবার।

    কী বললেন ইরাকের (Iraq) প্রধানমন্ত্রী?

    শুক্রবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘অন্ধকার ও সন্ত্রাবাদের শক্তিকে পরাজিত করে লাগাতার জয়ী হয়ে চলেছে ইরাক৷’’ একইসঙ্গে নিজের পোস্টে আইএস (ISIS) জঙ্গি সংগঠনের নেতা আবদাল্লা মাকি মোসলেহ আল-রিয়াফিকে ইরাক ও বিশ্বের অন্যতম ভয়ঙ্কর জঙ্গি হিসাবে উল্লেখ করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ শিয়া আল-সুদানি তাঁর পোস্টে ইরাকের গোয়েন্দা সংস্থার কর্মীদের প্রশংসা করে লেখেন, ‘‘ইরাকি ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসের হিরোদের সঙ্গে জয়েন্ট অপারেশনস কমান্ড এবং ইন্টারন্যাশনাল কোয়ালিশন ফোর্সেস একসঙ্গে কাজ করে। সকলের সক্রিয় সহযোগিতায় জঙ্গি (ISIS) আবদাল্লা মাকি মোসলেহ আল-রিয়াফি ওরফে আবু খাদিজাকে নিকেশ করা সম্ভব হয়েছে। তিনি তথাকথিত ডেপুটি কালিফ ছিল। ইরাক ও সিরিয়ার তথাকথিত গভর্নরের পদে ছিল।’’ আবু খাদিজাকে ইরাক ও বিশ্বের অন্যতম নৃশংস জঙ্গি বলে অভিহিত করেছেন তিনি।

    কী বললেন ইরাকের বিদেশমন্ত্রী?

    অন্যদিকে, ইরাকের বিদেশমন্ত্রী ফৌয়াদ হুসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘সিরিয়া ও ইরাক একই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। বিশেষত আইএস জঙ্গিদের বিষয়ে।’’ ইরাকের বিদেশমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘জঙ্গি মোকাবিলায় জর্ডনের রাজধানী আম্মানে একটি বৈঠক করেছে সিরিয়া, ইরাক, তুরস্ক, জর্ডন এবং লেবানন। এই দেশগুলি একসঙ্গে একটি অভিযান চালানোর কথা ভাবনাচিন্তা করেছে। খুব শীঘ্রই তারা কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।’’ ঘটনাচক্রে শুক্রবারই সিরিয়ার শীর্ষস্তরীয় এক কূটনীতিক ইরাক সফরে আসেন। দু’দেশ জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর বিরুদ্ধে একসঙ্গে কাজ করার সংকল্প গ্রহণ করে। তখনই ইরাক-সিরিয়ার আইএস প্রধান আবদাল্লা মাকি মোসলেহ আল-রিয়াফির মৃত্যুর খবরটিও প্রকাশ্যে আনা হয়।

  • Syria War: রাশিয়ায় আসাদ, সিরিয়ার আইএস ঘাঁটিতে হামলা আমেরিকার, শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে ভারত

    Syria War: রাশিয়ায় আসাদ, সিরিয়ার আইএস ঘাঁটিতে হামলা আমেরিকার, শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিরিয়ার (Syria War) দীর্ঘ ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটেছে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সিরিয়া ছেড়েছেন। রাজধানী দামাস্কাস এখন বিদ্রোহীদের দখলে। ২০০০ সাল থেকে সিরিয়ার কুর্সিতে ছিলেন আসাদ। তাঁর পরিবার ছয় দশক ধরে সিরিয়ার ক্ষমতায় ছিল। ২০১১ সালে সেখানে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়, যা বার বার রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের সাক্ষী থেকেছে। অবশেষে তাতে ইতি পড়ল। পরিবার নিয়ে রাশিয়ায় পৌঁছেছেন সিরিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। তাঁকে আশ্রয় দিয়েছে মস্কো। মানবিক কারণে আসাদকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে, জানিয়েছে রাশিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম স্পুটনিক ইন্টারন্যাশনাল। এই আবহে সিরিয়ায় যাতে ফের আইসিস সক্রিয় না হতে পারে তাই সতর্ক রয়েছে আমেরিকা। সিরিয়ার এই উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সে দেশে বসবাসকারী ভারতীয়রা নিরাপদেই রয়েছেন, বলে সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক।

    সিরিয়ায় বসবাসকারী ভারতীয়রা নিরাপদে

    সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে সচল রয়েছে ভারতীয় দূতাবাস। সে দেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন দূতাবাসের কর্মীরা। তাঁদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও করছে দামাস্কাসের ভারতীয় দূতাবাস। সোমবার বিদেশ মন্ত্রক থেকে এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়। সিরিয়ার সাম্প্রতিক পরিস্থিতির উপরেও নজর রাখছে বিদেশ মন্ত্রক। পশ্চিম এশিয়ার ওই দেশের একতা, সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতার পক্ষেও সওয়াল করেছে দিল্লি। সরকারি হিসাবে সিরিয়ায় প্রায় ৯০ জন ভারতীয় রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৪ জন রাষ্ট্রপুঞ্জের বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। 

    আইসিস ঘাঁটিতে হামলা

    রবিবার রাতে সিরিয়ায় আইসিস ঘাঁটি (US Hits ISIS Camp) লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, সিরিয়ায় অবস্থিত অন্তত ৭৫টি আইসিস ঘাঁটিতে গোলাবর্ষণ করেছে তারা। হোয়াইট হাউস থেকে বাইডেন বলেন, ‘‘আইসিস ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সিরিয়ার মসনদের যে কোনও শূন্যতাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে। আমেরিকা সে সম্পর্কে অবহিত। আমেরিকা কখনওই তা হতে দেবে না।’’ আসাদের পতন প্রসঙ্গেও রবিবার হোয়াইট হাউস থেকে মন্তব্য করেছেন বাইডেন। তাঁর কথায়, ‘‘এত দিনে ন্যায়বিচার হয়েছে। সিরিয়ার পীড়িত জনগণের জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।’’

    রাশিয়ায় আসাদ

    সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাস এখন বিদ্রোহীদের দখলে। রবিবার সকালে সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন আসাদ। তাঁকে বিমানে উঠতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু তিনি কোথায় গিয়েছেন, তা স্পষ্ট হচ্ছিল না।  তবে সোমবার সকালে সে সব জল্পনার অবসান হয়েছে। রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ‘বন্ধু’র কাছে আশ্রয় পেয়েছেন আসাদ। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মানবিক কারণে তাঁকে নিজের দেশে আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সপরিবার মস্কোয় পৌঁছেও গিয়েছেন আসাদ। রাশিয়ার একটি সরকারি সূত্র সংবাদমাধ্যমকে বলেছে, ‘‘সিরিয়া সঙ্কটের একটি সুষ্ঠু রাজনৈতিক সমাধানের কথা দীর্ঘ দিন ধরেই বলে আসছে রাশিয়া। আমরা চাই, রাষ্ট্রপুঞ্জের তৎপরতায় এ বিষয়ে আবার কথাবার্তা শুরু হোক।’’ সিরিয়ায় সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গেও রাশিয়া যোগাযোগ রেখেছে, দাবি সে দেশের সংবাদমাধ্যমের। বিদ্রোহী নেতারা সিরিয়ায় অবস্থিত রুশ সেনাঘাঁটি এবং দূতাবাস সুরক্ষিত রাখার আশ্বাস দিয়েছেন। মস্কো এ-ও জানিয়েছে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সিরিয়ার জনগণের স্বার্থ সুরক্ষিত এবং রাশিয়া-সিরিয়া সম্পর্কের উন্নতিতে আগ্রহী পুতিন। এ বিষয়ে রাজনৈতিক সংলাপ চালিয়ে যেতে চান তিনি।

    মুক্ত সিরিয়া!

    সিরিয়ার দুই বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘হায়াত তাহরির আল-শাম’ (এইচটিএস) এবং তাদের সহযোগী ‘জইশ আল-ইজ্জা’র যৌথবাহিনী রবিবার সকালে দামাস্কাসে ঢুকে পড়ে। গত কয়েক দিন ধরেই সিরিয়ার একের পর এক শহর দখল করতে শুরু করে বিদ্রোহীরা। রবিবার এক প্রকার বিনা বাধায় রাজধানী ‘দখল’ করে নেয় বিদ্রোহীরা। প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি সরকার। রবিবার দামাস্কাসের দখল নেওয়ার পরেই আসাদের ‘স্বৈরাচারী শাসন’ থেকে সিরিয়া মুক্ত হয়েছে বলে জানায় বিদ্রোহীরা। আসাদ দামাস্কাস ছাড়তেই উল্লাস শুরু করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী এবং তাদের সমর্থকরা। রবিবার রাতে জানা যায়, দামাস্কাসে পৌঁছে গিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী এইচটিএসের নেতা আবু মহম্মদ আল-জুলানিও। দামাস্কাসের উমায়েদ মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে বিজয় ভাষণ দেন তিনি। আসাদের পতনকে সমগ্র সিরিয়াবাসীর জয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

    সিরিয়ার বিদ্রোহী নেতা জুলানির পরিচয়

    আক্রমণাত্মক নেতৃত্ব দিয়ে আসাদের শাসনের অবসান ঘটিয়েছেন আবু মহম্মদ আল-জুলানি (Mohammed AL-Julani)। যিনি বর্তমানে সিরিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী সশস্ত্র বিদ্রোহী শক্তি হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) এর প্রধান। এই ইসলামিক গোষ্ঠীর সঙ্গে একসময় আল-কায়েদার সম্পর্ক ছিল। গোপন আস্তানা থেকে জুলানি বলেছেন, সিরিয়ায় বিপ্লবের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল প্রেসিডেন্ট আসাদের সরকারকে উৎখাত করা। এমন একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করা যেখানে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত কাউন্সিলের নেতৃত্ব থাকবে। ২০১৮ সালে এই জুলানির মাথার দাম এক কোটি ডলার ধার্য করেছিল আমেরিকা। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৭৪ কোটি টাকা। পরে আমেরিকার সংবাদমাধ্যমে তিনিই দাবি করেছিলেন, নিরীহদের খুনকে তিনি কখনওই সমর্থন করেন না।

    আরও পড়ুন: ‘‘লাশ চাইনি আমি! নতুন সূর্যের উদয় হবে’’, লন্ডনে হাসিনার বক্তব্যে সংখ্যালঘু হত্যা প্রসঙ্গ

    ১৯৮২ সালে সৌদি আরবে জন্ম জুলানির। জন্মের পরে প্রথম সাত বছর কেটেছিলে রিয়াধে। জুলানির বাবা ছিলেন পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ার। ১৯৮৯ সালে সিরিয়ায় ফিরে আসে জুলানির পরিবার। ২০০৩ সালে আল-কায়দায় যোগ দিয়েছিলেন জুলানি। ২০১১ সালে আল-কায়েদার অধীনের নতুন ‘জাভাত আল-নুসরা’ গঠন করেন জুলানি। পরে তার নামই হয় এইচটিএস। ২০১৩ সালে আল-কায়দা ও আইসিস-এর সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে জুলানি জানান, নিরীহ মানুষের হত্যা তিনি পছন্দ করেন না। এরপর ২০২২ সালে সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে নিজের সরকারও গঠন করেন জুলানি। এবার দামাস্কাস দখল করল তাঁর এইচটিএস।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share