Tag: Israel

Israel

  • Saif Ali Khan: “নদিয়া দিয়ে ভারতে ঢোকে সইফের হামলাকারী”, মমতা প্রশাসনকে তোপ সুকান্তর

    Saif Ali Khan: “নদিয়া দিয়ে ভারতে ঢোকে সইফের হামলাকারী”, মমতা প্রশাসনকে তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খান (Saif Ali Khan) এখন হাসপাতালে ভর্তি। শারীরিক অবস্থা নিয়ের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আগে থেকে ভালো আছেন। তাঁর হামলাকারীকে ইতিমধ্যে মুম্বই পুলিশ গ্রেফতার করেছে। রবিবার আদালতে পেশ করলে বিচারক ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। হামলাকারী একজন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। এবার তার প্রসঙ্গে মুখ খুললেন এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “নদিয়া দিয়ে ভারতে ঢুকে মুম্বই গিয়ে সইফের পিঠে চাকু মেরেছে অভিযুক্ত।” উল্লেখ্য, এই অভিযুক্ত ভারতে অনুপ্রবেশ করে নিজের পরিচয় বিজয় দাস নাম হিসেব দিয়েছিল। কিন্তু পরে মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত আদতে বাংলাদেশের নাগরিক। তার নাম মহম্মদ শরিফুল ইসলাম শাহজাদ।

    দিদির অনুপ্রেরণা (Saif Ali Khan)!

    বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী সম্পর্কে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে আক্রমণ করে বলেন সুকান্ত মজুমদার বলেন, “দিদির অনুপ্রেরণা! নদিয়া দিয়ে ঢুকিয়ে চালান করে দিয়েছে। সইফ আলি খানের উপর এই আক্রমণ শুনে তো বিরোধীরা লাফিয়ে উঠেছিল। আরে বিজেপি শাসিত রাজ্যে হিন্দু রাজ্য হয়ে গিয়েছে। মুসলিমদের কোনও রকম সুরক্ষা নেই। ধরা পড়ল কে দেখলেন তো? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্য থেকে গিয়ে সইফের (Saif Ali Khan) পিছনে চাকু মেরেছে। ইন্ডি জোটের এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসা করা উচিত।”

    আরও পড়ুনঃ সইফ আলি খানের হামলাকারী বাংলাদেশি, ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ

    অনুপ্রবেশকারী মুসলমানদের অধিকাংশই দুষ্কৃতী!

    উল্লেখ্য, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় ছয়টি ফ্রন্টইয়ার রয়েছে যার একাধিক জায়গায় নেই কোনও কাঁটাতার। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশকিছু ভারতীয় দালালই বিপুল টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ করিয়েছে। অভিযুক্ত শরিফুলকেও একই ভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করানো হয়। গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, প্রথমে এই অনুপ্রবেশকারীদের নিরাপদ স্থানে রাখা হয়, এরপর শীতের রাতে সুযোগ নিয়ে ভারতের ভূ-খণ্ডে প্রবেশ করানো হয়। তারপর তারা দেশের নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী মুসলমানদের মধ্যে অধিকাংশ দুষ্কৃতী, যারা টাকার বিনিময়ে নাশকতার কাজ করে। এছাড়া, বাংলাদেশ থেকে প্রচুর হিন্দু ধর্মীয় ভাবে অত্যাচারের শিকার হয়েও ভারতে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় পেতে চাইছেন। ফলে অনুপ্রবেশকারী মুসলমান এবং শরণার্থী হিন্দু দুয়ের দৃষ্টিভঙ্গি দুই রকম। সইফের (Saif Ali Khan) হামলাকারী নিঃসন্দেহ একজন দাগী আসামী নয় তো? এখন এটাই বড় প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel: গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির বাস্তবায়নে ৩ বন্দির নাম প্রকাশ করল হামাস

    Israel: গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির বাস্তবায়নে ৩ বন্দির নাম প্রকাশ করল হামাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হামাস (Israel) গাজায় (Gaza) যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে মুক্তি পাওয়ার জন্য ৩ বন্দির নাম প্রকাশ করেছে। হামাস জানিয়েছে, ইজরায়েলের সঙ্গে প্যালেস্টিনীয়দের যুদ্ধকে বন্ধ করতে তিন জন বন্দি ইজরায়েল মহিলা নাগরিককে হস্তান্তর করা হবে। অপর দিকে ইহুদি সেনার পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে নামের তালিকা পেয়েছে তারা। ফলে এই ঘোষণা স্পষ্ট করে যে উভয়পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ বিরতির পথ এবার আরও স্পষ্ট হয়েছে। তবে এই বন্দি হস্তান্তর স্থানীয় সময় অনুযায়ী সকাল ৮.৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।

    তিন বন্দি ইহুদী নারীর নাম কী?

    হামাসের সশস্ত্র শাখার কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু অবেদা রবিবার বলেন, “বন্দি বিনিময় চুক্তির অংশ হিসাবে আমরা আজকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যাদের মুক্ত করা হবে তাদের নাম হল রোমি গনেন (২৪), এমিলি দামারি (২৮) এবং ডোরন স্টেইন ব্রেচার।” অপর দিকে যুদ্ধ বিরতির পাশাপাশি জঙ্গি সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে ইজরায়েল (Israel) গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে। জানা গিয়েছে সম্প্রতি ১০ জন প্যালেস্টিনীয় নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন মোট ২৫ জন। আগে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে হামাস বন্দিদের নাম প্রকাশ না করা পর্যন্ত গাজায় কোনও রকম যুদ্ধ বিরতি করা হবে না। যুদ্ধবিরতি তখনই কার্যকর হবে যত সময় পর্যন্ত মুক্তি প্রাপ্ত তালিকা হামাস প্রকাশ করছে না করছে। ফলে ইজরায়েল কতটা নমনীয় হয় তাই এখন দেখার।

    আরও পড়ুনঃ সইফ আলি খানের হামলাকারী বাংলাদেশি, ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ

    প্রথম ধাপ কীভাবে সম্পন্ন হবে তাই দেখার

    তবে হামাস জানিয়েছে, প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে নাম প্রকাশ এবং হস্তান্তর করতে সমস্যা হচ্ছে। অপর দিকে আলজাজিরার স্টেফানি ডেকার জর্ডনের রাজধানী আম্মান থেকে একটি রিপোর্ট করে বলেছিল যে ইজরায়েল (Israel) এবং হামাসের উপর আন্তর্জাতিক স্তরে যুদ্ধকে শেষ করার চাপ তৈরি হয়েছে। এখন গাজায় (Gaza) যুদ্ধ বিরতির প্রথম ধাপ কীভাবে সম্পন্ন হয় সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব। তবে আন্তর্জাতিক গবেষকরা মনে করছেন বিষয়টি অত্যন্ত কঠিন হতে পারে। উভয় পক্ষ একে অপরের অবস্থানে কঠোর ভাবে স্থির। তবে হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে আমরা আশাবাদী এবং বন্দিদের নাম দ্রুত প্রকাশ করে কাজ করার চেষ্টা করব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel Hamas Conflict: যুদ্ধবিরতিতে সায় ইজরায়েলের মন্ত্রিসভার, সোম থেকেই শুরু প্রথম পর্ব

    Israel Hamas Conflict: যুদ্ধবিরতিতে সায় ইজরায়েলের মন্ত্রিসভার, সোম থেকেই শুরু প্রথম পর্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ বিরতি পড়তে চলেছে টানা পনের মাস ধরে চলা যুদ্ধে (Israel Hamas Conflict)। শনিবার ইজরায়েলের মন্ত্রিসভা হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি (Ceasefire) চুক্তি অনুমোদন করেছে। যুদ্ধবিরতি চলবে প্রায় দেড় মাস। শুরু হবে, ১৯ জানুয়ারি, রবিরার থেকে। এদিনের বৈঠকে কয়েকজন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। তা সত্ত্বেও উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা সায় দেয় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে। জানা গিয়েছে, চুক্তিটির মধ্যস্থতা করেছিলেন কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতাকারীরা। কয়েকজন মার্কিন কর্তারাও ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন। এই চুক্তির লক্ষ্য হল, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েলে আকস্মিক হামলার মাধ্যমে শুরু হওয়া যুদ্ধের অবসান ঘটানো।

    যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব (Israel Hamas Conflict)

    যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপ ৪২ দিন স্থায়ী হবে। এর মাধ্যমে গাজায় হামাসের হাতে আটক ৩৩জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে। কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান বিন জাসিম আল-থানি বলেন, “মুক্তি পাওয়া বন্দিদের মধ্যে থাকবেন বেসামরিক মহিলা এবং মহিলা সেনাসদস্য, সেই সঙ্গে শিশু, প্রবীণ ব্যক্তি, অসুস্থ বেসামরিক ব্যক্তি এবং আহত ব্যক্তিরা”। সূত্রের খবর, তিনজন ইসরায়েলি নারী সেনাসদস্য রবিবার সন্ধ্যায় প্রথমে মুক্তি পাবেন। ইজরায়েলের বিচারমন্ত্রক জানিয়েছে, গাজার যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপে ৭৩৭ জন বন্দি এবং আটক ব্যক্তিকে মুক্তি দেওয়া হবে। তাদের মধ্যে পুরুষ, মহিলা এবং শিশুরা রয়েছে। ইজরায়েল অবশ্য সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তারা রবিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার আগে কাউকে মুক্তি দেবে না (Israel Hamas Conflict)।

    আরও পড়ুন: একদিনে ৬৫ লাখের বেশি সম্পত্তি কার্ড বিলি, অভিনব রেকর্ড গড়লেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা

    জানা গিয়েছে, বন্দিদের প্রথমে নিয়ে আসা হবে গাজা সীমান্তে। সেখানে চিকিৎসক ও মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা তাঁদের পরীক্ষা করবেন। পরে তাঁদের হেলিকপ্টার বা গাড়ির মাধ্যমে ইসরায়েলের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। যুদ্ধবিরতি পর্ব চলাকালীন সময়ে ইজরায়েলি সেনারা গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে সরে আসবে। ইসরায়েলি সেনা গাজার নির্দিষ্ট স্থান এবং রুট থেকে সরে এলেও, গাজার বাসিন্দাদের ইসরায়েলি সেনাদের উপস্থিতি থাকা এলাকা বা ইসরায়েল-গাজার সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না।

    প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায়, ইসরায়েল প্রথম ধাপে গাজার ভেতরে একটি বাফার জোন বজায় রাখবে। যদিও “সমস্ত বন্দি না ফেরানো পর্যন্ত” ইজরায়েলি বাহিনী গাজা থেকে পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হবে না (Israel Hamas Conflict)। প্রথম দফার যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার ১৬ দিনের মাথায় শুরু হবে দ্বিতীয় পর্বের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের প্রস্তুতি (Ceasefire)।

          

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel Hamas Conflict: যুদ্ধের মেঘ কাটল মধ্য প্রাচ্যের আকাশে, যুদ্ধবিরতি ইজরায়েল-হামাসের

    Israel Hamas Conflict: যুদ্ধের মেঘ কাটল মধ্য প্রাচ্যের আকাশে, যুদ্ধবিরতি ইজরায়েল-হামাসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুদ্ধের মেঘ কাটল মধ্য প্রাচ্যের আকাশে। দীর্ঘ পনের মাস ধরে চলা যুদ্ধে ইতি (Ceasefire) টানল ইজরায়েল ও হামাস (Israel Hamas Conflict)। যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে দুপক্ষই। তবে শর্ত সাপেক্ষে। শর্ত অনুযায়ী, হামাসের হাতে যাঁরা বন্দি রয়েছেন, তাঁদের মুক্তি দিতে হবে। আর ইজরায়েলকে মুক্তি দিতে হবে জেলবন্দি প্যালেস্তাইনিদের।

    যুদ্ধবিরতি ঘোষণা (Israel Hamas Conflict)

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, যুদ্ধ বিরতির যাবতীয় কৃতিত্ব ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। সূত্রের খবর, আপাতত ছ’সপ্তাহের জন্য যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, গাজা উপত্যকা থেকে ধীরে ধীরে ইজরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার করা হবে। ইজরায়েলের হাতে আটক প্যালেস্তানীয় বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে হামাসের হাতে আটক ইজরায়েলি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে। ইজরায়েল ও কাতারের দুই কর্তা জানান, যুদ্ধবিরতির চুক্তি প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। তবে খসড়া রূপরেখাটি এখনও চূড়ান্ত অনুমোদন পায়নি। তবে হামাসের পক্ষ আগের চেয়ে এখন অনেকটাই সুর নরম করা হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেবেন ট্রাম্প। রিপাবলিকান এই নেতা ক্ষমতায় এলেই বদলে যাবে আন্তর্জাতিক সমীকরণ। তাই তার আগেই ইজায়েলের সঙ্গে সমঝোতায় আসতে চাইছে হামাস।

    ট্রাম্পকে ধন্যবাদ

    যুদ্ধবিরতির জন্য ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথাও বলেছেন তিনি। ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রশংসা করেছেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। তিনি বলেন, “ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যস্থতায় ডোনাল্ড ট্রাম্পেরও বড় ভূমিকা রয়েছে।” যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে ট্রাম্পের দলের সঙ্গে কাজ করেছে তাঁর প্রশাসনও। ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছে মার্কিন বিদেশ দফতরও। নেতানিয়াহু অবশ্য জানিয়েছেন, এখনও যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই হয়নি। বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া বাকি রয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট সব মহলেরই আশা, দ্রুত সম্পন্ন হয়ে যাবে যুদ্ধবিরতি চুক্তি।

    আরও পড়ুন: “ভারতীয় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই লড়ছে কংগ্রেস”, আরএসএসকে নিশানা করতে গিয়ে বললেন রাহুল

    প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর প্রথম ইজরায়েলি সীমান্ত পেরিয়ে হামলা চালিয়েছিল হামাস (Israel Hamas Conflict)। ইজরায়েল ইহুদি রাষ্ট্র। আর হামাসরা মুসলমান। সেদিন এই হামাসরাই ইজরায়েলে ঢুকে হত্যা করেছিল ১২০০ সাধারণ মানুষ ও সেনাকে। অপহরণ করেছিল ২৫০জনকে। এর পরেই প্রত্যাঘাত করে ইজরায়েল। হামাসের ঘাঁটি লক্ষ্য করে চালানো হয় হামলা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিসর বাড়তে থাকে যুদ্ধের। হামাসের পাশে দাঁড়ায় মুসলিম রাষ্ট্র লেবানন, ইয়েমেন, সিরিয়া এবং ইরান। সেই যুদ্ধেই (Ceasefire) আপাতত দাঁড়ি পড়ল বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের (Israel Hamas Conflict)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Israel: ৭ অক্টোবরের হামলার মাস্টারমাইন্ড কুখ্যাত হামাস কমান্ডারকে খতম করার দাবি ইজরায়েলের

    Israel: ৭ অক্টোবরের হামলার মাস্টারমাইন্ড কুখ্যাত হামাস কমান্ডারকে খতম করার দাবি ইজরায়েলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭ অক্টোবরের হামলায় প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত ছিলেন এই হামাস (Hamas) নেতা। এবার তাঁকে নিকেশ করল ইজরায়েল (Israel)। সেদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, গাজায় একটি আশ্রয় শিবিরে আত্মগোপন করে ছিলেন জঙ্গিনেতা আব্দ আল-হাদি সাবা (Abd al-Hadi Sabah)। এখান থেকেই সমস্ত নাশকতামূলক কাজের পরিচালনা করতেন তিনি। এবার এই ঘাতক হামলাকারীকে হত্যা করল ইহুদি সেনা।

    কুখ্যাত জঙ্গিকে হত্যা করে প্রতিশোধ নিল ইজরায়েল (Israel)

    ইজরায়েল (Israel) সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, হামাসের এলিট বাহিনীর নুখবা-র অন্যতম প্রধান নেতা ছিলেন আব্দ আল-হাদি। গাজায় ইজরায়েলি বায়ুসেনার অভিযানে (Hamas) ওই হামাস জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইজরায়েলের কিবুৎজ নির ওজে হামলার দায়িত্ব ছিলেন সাবা। একাধিক হত্যা এবং অপহরণের মামলায় জড়িত ছিলেন তিনি। ইহুদি সেনার দাবি, গাজার খান ইউনিসের মানবাধিকার অঞ্চলের একটি আশ্রয় শিবিরে লুকিয়ে ছিলেন। এখান থেকেই দলের কাজকর্ম পরিচালনা করতেন এই হামাস নেতা। আবার এই কুখ্যাত জঙ্গিকে হত্যা করে প্রতিশোধ নিল ইজরায়েল।

    অক্টোবরে ইয়াহিয়া সিনওয়ারকেও হত্যা করা হয়েছে

    উল্লেখ্য, আগে গাজায় হামলায় নিহত হয়েছিলেন নুখবা-র আর এক কমান্ডার বিলাল আল কেদরা। ইহুদি (Israel) সেনার দাবি, এই জঙ্গি কিবুৎজ নিরিম ও নির ওজে হামলার দায়িত্বে ছিলেন। এই অক্টোবর মাসে নিহত হয়েছেন হামাস (Hamas) গোষ্ঠীর প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারও। হামাসের হামলার পর থাকেই ইজরায়েলি সেনার হাতে প্রাণ গিয়েছে একের পর এক শীর্ষস্থানীয় হামাস নেতার। তবে কিছুদিন আগেই হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার কথাও স্বীকার করে নিয়েছে ইজরায়েল। একই সঙ্গে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে ইজারায়েলের দিকে কেউ হাত ওঠালে তা কেটে ফেলা হবে।

    প্রায় ১২০০ জন ইহুদিকে খুন করে হামাস

    উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইহুদিদের (Israel) বাৎসরিক উৎসবের দিনে হামাস (Hamas), হিজবুল্লা সহ একাধিক সংগঠন আচমকা হামলা করে। বোমা, রকেট হামলায় কেঁপে ওঠে ইজরায়েল। প্রায় ১২০০ জনকে ওই রাতে খুন করা হয়। ২৫০ জনকে অপহরণ করে নেওয়া হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। এই পাশবিক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ইজরায়েলের পাশে দাঁড়ায় ভারত। এই হত্যাকাণ্ডের বদলা নিতে মরিয়া হয়ে একে একে হামাস নেতাকে খুঁজে খুঁজে খতম করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hezbollah: হিজবুল্লার ওপর নজরদারি ইজরায়েলের গুপ্তচর নেটওয়ার্ক মোসাদের! কী কী তথ্য প্রকাশ্যে এল?

    Hezbollah: হিজবুল্লার ওপর নজরদারি ইজরায়েলের গুপ্তচর নেটওয়ার্ক মোসাদের! কী কী তথ্য প্রকাশ্যে এল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিজবুল্লার একজন সিনিয়র কমান্ডারের চারজন উপপত্নী ছিল। চারজনকেই তিনি ফোনে বিয়ে করেছিলেন। ইজরায়েলের গুপ্তচর নেটওয়ার্ক মোসাদ লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীর ওপর নজরদারির সময় এই তথ্য জানতে পেরেছিল। নিউইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিজবুল্লার (Hezbollah) সহ-প্রতিষ্ঠাতাদের একজন ফুয়াদ শুকর, একবারে চারজন মহিলাকে ঠকানোর জন্য তাঁর মধ্যে এক “অপরাধ” বোধ কাজ করেছিল। পরে, তাঁদের বিয়ে করার জন্য তিনি মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন।

    হিজবুল্লাকে নিয়ে কী বলল মোসাদ? (Hezbollah)

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুকর তাঁর পরিস্থিতি সম্পর্কে অস্বস্তি বোধ করেন। তিনি হিজবুল্লার (Hezbollah) সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা হাশেম সফিউদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন – যিনি অক্টোবরে একটি বিমান হামলায় নিহত হন। মোসাদ প্রকাশ করেছে যে সফিউদ্দিন শুকরকে তার চার উপপত্নীর সঙ্গে বিয়ে করতে বলেছিলেন। সফিউদ্দিনের পরামর্শে তার জন্য চারটি পৃথক ফোনভিত্তিক বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মহিলারা কোথায় থাকতেন এবং ফোন কলগুলি কোথায় হয়েছিল তা স্পষ্ট নয়। মোসাদ কয়েক দশক ধরে হিজবুল্লা কমান্ডারদের সম্পর্কে জাগতিক এবং ঘনিষ্ঠ বিবরণ সংগ্রহ করেছে। শুকর ২০০৬ সালের যুদ্ধের শেষের পর থেকে ইজরায়েল দ্বারা ট্র্যাক করা শত শত হিজবুল্লা কমান্ডারদের মধ্যে একজন ছিলেন। জুলাই মাসে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর তিনি ইজরায়েলের মূল লক্ষ্য হয়ে ওঠেন, যেখানে কয়েক ডজন ইজরায়েলি নিহত হয়েছিল। জুলাই মাসে শুকর একটি ফোন কল পেয়েছিলেন, যা তার গোপন লুকানোর জায়গাটি প্রকাশ করেছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়, তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ তাকে কিছুক্ষণ পরেই হত্যা করা হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৮৩ সালে একটি আমেরিকান সেনা ব্যারাকে বোমা হামলার পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত ছিলেন শুকর, যেখানে ২৪১ আমেরিকান সেনা নিহত হয়।

    আরও পড়ুন: অসমে কয়েক দশকের গড়ে ধস, কংগ্রেসকে ধরাশায়ী বিজেপির তরুণ তুর্কি দীপলুর

    নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ইজরায়েলের সঙ্গে গাজায় হামাসের যুদ্ধ শুরু হয়। পরে, মধ্যপ্রাচ্যে সেই যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে। সেই যুদ্ধে লেবাননের ইরান সমর্থিত হিজবুল্লা (Hezbollah) যোগ দেয়। যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। এর মধ্যে, ইজরায়েলের সরকার হিজবুল্লার বিরুদ্ধে একটি “উত্তর ফ্রন্ট” খোলার বিযয় নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel: ইজরায়েলে ১৬০০০ ভারতীয় শ্রমিককে নির্মাণ কাজে প্রবেশের অনুমতি, ঢুকতে বাধা ফিলিস্তিনিদের

    Israel: ইজরায়েলে ১৬০০০ ভারতীয় শ্রমিককে নির্মাণ কাজে প্রবেশের অনুমতি, ঢুকতে বাধা ফিলিস্তিনিদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েলে (Israel) ১৬০০০ ভারতীয় শ্রমিককে (Indian worker) নির্মাণ কাজের জন্য প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অপর দিকে ফিলিস্তিনিদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে এই ইহুদি দেশে। উল্লেখ্য গত ৭ অক্টোবর, ২০২৩ সালে ইসলামী জঙ্গি সংগঠন হামাস, ফিলিস্তিনির মাটি ব্যবহার করে আচমকা ইজরায়েলের উপর আক্রমণ করেছিল। প্রচুর নারী, শিশু এবং সাধারণ নাগরিককে অকাতরে হত্যা করেছিল ঘাতক জঙ্গিরা। একই ভাবে ২০০ জনের বেশি নাগরিককে অপহরণ করেছিল হামাস। সেই থেকে দুই দেশের মধ্যে বিবাদ ব্যাপক আকার নিয়েছে। ইহুদি সেনার লাগাতার হামলায় ফিলিস্তিনিতে থাকা একাধিক হামাসের গোপন আস্তানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

    মুসলিম শ্রমিকদের প্রবেশাধিকারে প্রতিবন্ধকতা

    ইজরায়েলের (Israel) ইয়াকভ শহরের নতুন নতুন ভবন নির্মাণে ভারতীয় শ্রমিকদের (Indian worker) কাজ লাগানো হচ্ছে। শ্রমিকদের নিরাপত্তা বেল্ট, হেলমেট, হাতুড়ি এবং কাজের জুতো পরা রাজু নিষাদ নামক এক ভারতীয়দের দেখা গিয়েছে। হামাসের আক্রমণের আগে এই এলাকায় নির্মাণ কাজে বিশেষ করে উঁচু টাওয়ার, বাড়িঘর, রাস্তা এবং ফুটপাথের কাজে প্রচুর আরবি ভাষার কথা বলা শ্রমিকদের ভিড় ছিল। বলার অপেক্ষা রাখে না এখানে মুসলিম ধর্মের শ্রমিকরা কাজ করত বেশি পরিমাণে, কিন্তু এই জায়গায় বর্তমানে হিন্দি, হিব্রু ভাষার শ্রমিকদের আধিক্য বেশি লক্ষ্য করা গিয়েছে। সুতরাং রাজনীতির বিশেজ্ঞদের অনেকই মনে করছেন এবার ইজরায়েল তাদের দেশে নির্মাণ শিল্পে আরবী ভাষায় কথা বলা মুসলিম শ্রমিকদের প্রবেশাধিকারে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে।

    আরও পড়ুনঃ বাইরের কেউ দেখলে অশ্লীলতা! মেয়েদের ঘরের জানলা পুরোপুরি বন্ধ করার নিদান দিল তালিবান

    বাড়ি নির্মাণের কাজে আয় অনেক বেশি

    ভারতীয় হিন্দি ভাষায় কথা বলা শ্রমিক রাজু নিশাদ (Indian worker) জানিয়েছেন, “এখানে এখন ভয়ের কিছু নেই। তবে বিমান হামলার (Israel) ভয় ছিল একটা সময়ে। বিপদ জনক মনে হলে সাইরেন বাজানো হয়, কাজ বন্ধ রাখি তখন আবার সাইরেন বন্ধ হয়ে গেলে আমাদের কাজ শুরু হয়। সতর্কতা অবলম্বন করে কাজ করতে হচ্ছে। এখানে বাড়ি নির্মাণের কাজে আয় অনেক বেশি। আর এই জন্য অনেক ভারতীয়রা এখানে এসে কাজ করছেন। এই আয় আমাদের ভবিষ্যতের সঞ্চয়ের জন্য ব্যবহার করার কাজে হবে।”

    বিরাট কাজের বাজার এখন ইজরায়েল!

    জানা গিয়েছে, কাজের জন্য ভারত থেকে গত ১ বছরে ১৬০০০ কর্মীরা এখন কাজ করছেন এই ইহুদিদের (Israel) দেশে। গত কয়েক দশক ধরে ইজরায়েলে হাজার হাজার মানুষ বয়স্ক লোকেদের দেখাশোনার কাজে এসে কাজ করে থাকেন। একই ভাবে প্রচুর হীরা ব্যবসায়ী, আইটি পেশাদারি কাজে অনেক লোক যুক্ত রয়েছেন, কিন্তু গাজায় যুদ্ধ চলার পর থেকেই একটা অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। আবার দিল্লি-ভিত্তিক ডায়নামিক স্টাফিং সার্ভিসেসের চেয়ারম্যান সমীর খোসলা বলেন, “৫০০০০০ ভারতীয়কে ৩০টিরও বেশি দেশে কাজ করার জন্য পাঠিয়েছি। এখন পর্যন্ত ৩৫০০ এরও বেশি কর্মীকে ইজরায়েলে (Israel) গিয়েছেন। ওখানে একটি নতুন কাজের বাজার তৈরি হয়েছে।”

    আরও জানা গিয়েছে তেল আবিবে ভারতীয়রা (Indian worker) রান্নার কাজে অনেকে কাজ করে থাকেন। হামাসের হামলার আগে ৮০০০০০ ফিলিস্তিনি নির্মাণ কাজে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে সেই সংখ্যা অনেক কমে গিয়েছে। বর্তমানে ৩০০০০ বিদেশি কর্মীরা কর্মরত রয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel: হত্যা করা হয়েছে সাংবাদিক সেজে থাকা ইসলামিক জেহাদি জঙ্গিদের, দাবি ইজরায়েলের

    Israel: হত্যা করা হয়েছে সাংবাদিক সেজে থাকা ইসলামিক জেহাদি জঙ্গিদের, দাবি ইজরায়েলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংবাদিকদের হত্যা করা হয়নি। হত্যা করা হয়েছে সাংবাদিক সেজে থাকা ইসলামিক জেহাদি জঙ্গিদের (Terrorists)। বৃহস্পতিবার এমনই দাবি করেছে ইজরায়েল (Israel) ডিফেন্স ফোর্সেস। এক্স হ্যান্ডেলে ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস লিখেছে, “গত রাতে আইডিএফ এবং আইএসএ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আইএএফ নুসাইরাত এলাকায় একটি যানবাহনের ভেতরে থাকা ইসলামিক জিহাদ জঙ্গি দলের ওপর নির্ভুল হামলা চালায়। এই হামলায় বেশ কয়েকজন ইসলামিক জিহাদ জঙ্গি নিহত হয়েছে।”

    সাংবাদিকের ছদ্মবেশে ইসলামিক জঙ্গি (Israel)

    গোয়েন্দারা জেনেছেন, এই ব্যক্তিরা ইসলামিক জিহাদ সদস্য যারা সাংবাদিক সেজেছিল। একটি গুরুত্বপূর্ণ সূত্রও মিলেছিল যা আইডিএফ গাজায় অভিযানের সময় আবিষ্কার করেছিল। যে চারজন নিহত হয়েছিল, তারা ইসলামিক জিহাদ সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য। প্রসঙ্গত, ঠিক একদিন আগে, সিএনএন একটি হাসপাতাল ও তাদের সংবাদ মাধ্যমের বিবৃতি উল্লেখ করে জানিয়েছিল, গাজায় একটি ইজরায়েলি হামলায় পাঁচ সাংবাদিক নিহত হয়েছিলেন।

    ইসলামিক জিহাদ গ্রুপ

    হাসপাতাল সূত্রে খবর, আল-কুদস টুডে টেলিভিশনের একটি গাড়ি আল-আওদা হাসপাতালের বাইরে পার্ক করা ছিল। তখনই এর ওপর আঘাত করা হয়। গাজাভিত্তিক এই টেলিভিশন চ্যানেলটি প্যালেস্তাইন ইসলামিক জিহাদ গ্রুপের সঙ্গে (Israel) যুক্ত। ঘটনাস্থলে থাকা অন্য সাংবাদিকরা জানান, আইমান আল-জাদি, ফয়সাল আবু আল-কুমসান, মোহাম্মদ আল-লাদা, ইব্রাহিম আল-শেখ আলি এবং ফাদি হাসুনা ওই গাড়ির ভেতরে ঘুমাচ্ছিল। তখনই হামলাটি হয়।

    আরও পড়ুন: মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণ, সাতদিনের জাতীয় শোক ঘোষণা কেন্দ্রের

    ঘটনার পরবর্তী অবস্থার ফুটেজে দেখা গিয়েছে যে গাড়িগুলি জ্বলন্ত অবস্থায় রয়েছে এবং পিছনের দরজাগুলিতে বড় অক্ষরে টিভি এবং প্রেস লেখা স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। আর একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে যে গাড়িটি সম্পূর্ণ আগুনে পুড়ে গিয়েছে। আল-কুদস টুডে টেলিভিশন হামলার নিন্দা করেছে। তাদের বক্তব্য, ওই পাঁচ জন তাদের (Israel) সাংবাদিকতা ও মানবিক দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন (Terrorists)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Israel Hezbollah Ceasefire: যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ইজরায়েল-হিজবুল্লার! কেন এই সিদ্ধান্ত, কী ভাবছেন নেতানিয়াহু?

    Israel Hezbollah Ceasefire: যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ইজরায়েল-হিজবুল্লার! কেন এই সিদ্ধান্ত, কী ভাবছেন নেতানিয়াহু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাময়িক স্বস্তি পশ্চিম এশিয়ায়। হিজবুল্লার সঙ্গে যুদ্ধবিরতি (Israel Hezbollah Ceasefire) ঘোষণা করল ইজরায়েল। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সাংবাদিক বৈঠক করে এই ঘোষণা করেন। দীর্ঘ ১৪ মাসের লড়াইয়ের পর অবশেষে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নিল ইজরায়েল ও লেবানন সমর্থিত হিজবুল্লা৷ মঙ্গলবার এই বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে৷ যদিও হামাসও একই পথে হাঁটবে কি না, সেই প্রসঙ্গে কোনও কথা উল্লেখ নেই এই চুক্তিপত্রে৷

    যুদ্ধবিরতির ঘোষণা

    প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ঘোষণা অনুযায়ী, আজ বুধবার, ২৭ নভেম্বর সকাল ১০টা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হচ্ছে। আপাতত হিজবুল্লার উপরে হামলা (Israel Hezbollah Ceasefire) চালাবে না ইজরায়েল। নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, ইজরায়েলের সিকিউরিটি ক্যাবিনেট দীর্ঘ আলোচনার পর যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে কতদিন এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকবে, তা নির্ভর করছে লেবাননে কী হচ্ছে, তার উপরে। যদি যুদ্ধবিরতি কোনওভাবে লঙ্ঘিত হয়, তবে ইজরায়েল সর্বশক্তি দিয়ে তার জবাব দেবে। লেবাননের গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এই যুদ্ধবিরতির চুক্তির পিছনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল মাক্রঁ মধ্যস্থতা করেছেন। যুদ্ধবিরতিতে একাধিক শর্ত রেখেছে ইজরায়েল। 

    কেন যুদ্ধবিরতি

    হঠাৎ যুদ্ধবিরতি (Israel Hezbollah Ceasefire) ঘোষণার পিছনে তিনটি কারণ ব্যাখা করেছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। প্রথমত, ইরানের হুমকিতে মনোনিবেশ করা। দ্বিতীয়ত, ইজরায়েলি সেনাবাহিনীকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য এবং অস্ত্রশস্ত্র মজুত করার জন্য সময় দেওয়া এবং তৃতীয়ত, বিভিন্ন ফ্রন্ট থেকে হামাসকে বিচ্ছিন্ন করা। নেতানিয়াহুর দাবি, যুদ্ধের দ্বিতীয় দিন থেকেই হামাস হিজবুল্লার উপরে নির্ভর করেছে। হিজবুল্লার সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে হামাসকে সম্পূর্ণ একা করে দেওয়াই লক্ষ্য ইজরায়েলের। যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ইজরায়েলের শীর্ষকর্তারা জানিয়েছেন, দক্ষিণ লেবানন থেকে ইজরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করা হবে। লেবাননের বিদেশমন্ত্রী আবদুল্লা বাও হাবিব জানিয়েছেন, ইজরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের পর দক্ষিণ লেবাননে অন্তত পাঁচ হাজার সেনা মোতায়েন থাকবে। ইজরায়েলের হামলায় ধ্বংস হওয়া পরিকাঠামোগুলি পুনর্গঠনে আমেরিকা সাহায্য করতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israeli Strikes: লেবাননে ইজরায়েলের বিমান হামলায় নিহত হিজবুল্লার মুখপাত্র মহম্মদ আফিফ

    Israeli Strikes: লেবাননে ইজরায়েলের বিমান হামলায় নিহত হিজবুল্লার মুখপাত্র মহম্মদ আফিফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েলের হামলায় (Israeli Strikes) নিহত হিজবুল্লার (Hezbollah) মুখপাত্র মহম্মদ আফিফ। লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লা জানিয়েছে, তাদের মিডিয়া চিফ মহম্মদ আফিফ রবিবার মধ্য বেইরুটের একটি ভবনে নিহত হয়েছেন ইজরায়েলি হামলায়।

    লেবাননে হিজবুল্লার ডেরায় হামলা (Israeli Strikes)

    ইজরায়েল সাধারণত হিজবুল্লার এমন ব্যক্তিদের ওপর হামলা চালায় না, যারা সরাসরি যুদ্ধের সঙ্গে যুক্ত নয়। তাদের বিমান হামলা প্রধানত বেইরুটের দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকণ্ঠেই কেন্দ্রীভূত। সেখানেই আস্তানা গেড়েছে হিজবুল্লা। রবিবার সন্ধ্যায় ইজরায়েলের সামরিক বাহিনী বিবৃতি জারি করে জানিয়েছিল, তারা আফিফকে ‘খতম’ করেছে। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, এই হামলায় একজন নিহত ও তিনজন জখম হয়েছেন।

    হামলা বেইরুটেও

    এদিনই বেইরুটের আর একটি কেন্দ্রীয় এলাকায় মার এলিয়াস স্ট্রিটে আর একটি হামলা হয়। হিজবুল্লার আল-মানার টেলিভিশন জানিয়েছে, এই হামলায় অন্তত দু’জন নিহত হয়েছে। জখম হয়েছেন ২২ জন। এই তথ্য নিশ্চিত করেছে লেবাননের স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে লড়াই চলছে ইজরায়েলের সঙ্গে হিজবুল্লার। ইজরায়েলের ওপর প্রথম আঘাত হানে হিজবুল্লা, ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর। তেলআভিভের (ইজরায়েলের রাজধানী) সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে রকেট নিক্ষেপ শুরু করে হিজবুল্লা। এর একদিন আগেই তাদের মিত্র হামাস দক্ষিণ ইজরায়েলে হামলা চালায়। ওই হামলায় নিহত হয় ১ হাজার ২০০ এর কাছাকাছি মানুষ।

    আরও পড়ুন: পিএম-কিষানের টাকায় অর্থ সংগ্রহ! ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত করার জঙ্গি-ছক ফাঁস

    সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে ইজরায়েল লেবাননে সামরিক অভিযান চালায়। দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চল এবং বেইরুটের দক্ষিণ উপকণ্ঠে ভারী বোমা বর্ষণ করা হয়। সীমান্তে স্থল অভিযানও শুরু করে ইজরায়েল।লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রক রবিবার জানিয়েছে, গত এক বছরে ইজরায়েলের (Israeli Strikes) লেবানন অভিযানে ৩ হাজার ৮৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। এর মধ্যে সামরিক ও অসামরিক দুই ধরনের ব্যক্তিই রয়েছেন। হিজবুল্লার রকেট হামলায় ইজরায়েলে কয়েক ডজন সৈনিক ও অসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইজরায়েল (Israeli Strikes)।

    প্যালেস্তাইনের গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইজরায়েলের যুদ্ধেও ৪৩ হাজার জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এঁদের বেশিরভাগই নিরীহ নাগরিক বলে দাবি প্যালেস্তাইনের স্বাস্থ্য কর্তাদের। এদিন ইজরায়েলের এয়ার স্ট্রাইকে হতাহত হয়েছেন লেবাননের সেনাবাহিনীর কয়েকজন জওয়ানও। রবিবার আল-মারি শহরের একটি (Hezbollah) সেনা পোস্টে হামলা চালায় ইজরায়েল। মৃত্যু হয় দুই জওয়ানের। জখম হন দু’জন (Israeli Strikes)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share