Tag: Justin Trudeau

Justin Trudeau

  • Mark Carney: ‘‘যদি প্রধানমন্ত্রী হই…’’, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বড় বার্তা ট্রুডোর উত্তরসূরি মার্ক কার্নির

    Mark Carney: ‘‘যদি প্রধানমন্ত্রী হই…’’, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বড় বার্তা ট্রুডোর উত্তরসূরি মার্ক কার্নির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কার মার্ক কার্নি (Mark Carney) বসছেন কানাডার মসনদে (Canada PM)। সে দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন তিনি। চলতি বছরের শুরুতেই অর্থাৎ জানুয়ারিতে জাস্টিন ট্রুডো প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর থেকেই শুরু হয় জল্পনা। কে হবেন কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী! সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটল রবিবার। এদিন লিবারেল পার্টির নেতা হিসাবে মার্ক কার্নিকে (Canada PM) বেছে নেওয়া হয়েছে। ট্রুডোর উত্তরসূরী হিসেবে তাঁর নাম মনোনীত হওয়ার পর প্রথম ভাষণে কার্নি জানান, আগামী ভোটে জিতে তিনি ক্ষমতায় এলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতি করবেন তিনি। প্রসঙ্গত, কানাডার আগামী সাধারণ নির্বাচনে লিবারেল পার্টিকে তিনিই নেতৃত্ব দেবেন। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই কানাডার সাধারণ নির্বাচন ঘোষণা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    ভারতকে পাশে টানার বার্তা কার্নির

    ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হওয়ার আগে কার্নির মুখে শোনা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা। সম্প্রতি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরেই শুল্ক সংক্রান্ত মার্কিন নীতির পরিবর্তন করেন তিনি। ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের হুমকির বিষয়ে কার্নি বলেন, ‘‘আমরা তাঁকে (ট্রাম্প) সফল হতে দিতে পারি না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যতক্ষণ না মুক্ত ও ন্যায্য বাণিজ্যের বিশ্বাসযোগ্য ও নির্ভরযোগ্য প্রতিশ্রুতি দিতে পারছে, যতক্ষণ না তারা কানাডার সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত পাল্টা ব্যবস্থা (শুল্ক) বহাল থাকবে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আমেরিকা কানাডা নয়। কানাডা কোনওভাবেই আমেরিকার অংশ হবে না।’’  অন্যদিকে, এক প্রশ্নের ভারতকে কাছে টানার বার্তা দিয়ে কার্নি বলেন, “কানাডার লক্ষ্য হল সমমনস্ক দেশগুলির সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে উন্নত করা।” এই আবহে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামত করার সুযোগও রয়েছে বলে জানান তিনি। কার্নি বলেন, ‘‘যদি প্রধানমন্ত্রী হই, তাহলে (ভারত-কানাডা সম্পর্ক) নতুন করে গঠন করার সুযোগের অপেক্ষায় থাকব।’’

    দলের মধ্যেই ৮৬ শতাংশ ভোট পান কার্নি (Mark Carney)

    যদিও এর আগে কার্নিকে অনেক কঠিন পরীক্ষার মধ্য দিয়েই যেতে হয়। লিবারেল পার্টির নেতা কে হবেন সেই সংক্রান্ত ভোটাভুটি হয়। লিবারেল পার্টির নেতা হিসেবে প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের নাম ভাসছিল। কিন্তু ভোটাভুটিতে মাত্র আট শতাংশই ভোট পেয়েছেন তিনি। অন্যদিকে ৫৯ বছর বয়সি, প্রাক্তন এই ব্যাঙ্কার মার্ক কার্নি প্রায় ৮৬ শতাংশ ভোট পেয়ে হারিয়ে দিয়েছেন ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডকে।জানা গিয়েছে, লিবারেল পার্টির নেতা হওয়ার দৌড়ে মার্ক কার্নির ঝুলিতে এসেছে ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৭৪ ভোট। এই পরিমাণ ভোট মোট ভোটের প্রায় ৮৫.৯ শতাংশ বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড পেয়েছেন মাত্র ১১ হাজার ১৩৪ ভোট। এছাড়া কারিনা গোল্ড পেয়েছেন ৪ হাজার ৭৮৫ ভোট এবং ফ্রাঙ্ক বেলিস পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৮ ভোট। ব্যবধানেই বোঝা যাচ্ছে পার্টির অন্দরে বিপুল জনপ্রিয়তা রয়েছে তাঁর।

    কার্নির সংক্ষিপ্ত পরিচয় (Mark Carney)

    কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর ছিলেন কার্নি (Mark Carney)। জানা যায়, এর আগে কখনও কোনও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি তিনি। ১৯৬৫ সালে তিনি ফোর্ট স্মিথে জন্মগ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে পড়াশোনা করেন হার্ভার্ডে। ২০০৩ সালে তিনি ব্যাঙ্ক অফ কানাডায় ডেপুটি গভর্নর হিসেবে কাজে যোগদান করেন। ২০০৮ সালে গভর্নর হিসেবে পদোন্নতি হয়। ২০০৮-২০০৯ সালে কানাডা যখন আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল, সেসময় তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের নেতৃত্ব দেন। ২০১৩ সালে, কার্নি ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ডের গর্ভনর হন। প্রায় ৩০০ বছর এমন ঘটনা ঘটে, যখন কোনও ব্রিটিশ নাগরিক নন, এমন ব্যক্তি গভর্নর হন। ২০২০ সালে ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ড থেকে অবসর নেওয়ার পরে অর্থ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক রাষ্ট্রসংঘের দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জানা যায়, মার্ক কার্নির বাবা ১৯৮০-এর দশকে আলবার্টায় লিবারেল প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। নিজের ভাষণে একথাও উল্লেখ করেন কার্নি।

    ট্রুডোর গ্রহণযোগ্যতা তলানিতে ঠেকেছিল

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত প্রায় ৯ বছর ধরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন জাস্টিন ট্রুডো। সম্প্রতি একাধিক ইস্যুতে দেশেই তাঁর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। ট্রুডোর জনপ্রিয়তাও একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছিল। খালিস্তান ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে সংঘাতের পথে হেঁটে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলেন। ট্রুডোকে নিয়ে লিবেরাল পার্টির অন্দরের নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এখন দায়িত্ব পেলেন কার্নি (Mark Carney)। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন মার্ক কার্নির সামনে বর্তমানে অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জ রয়েছে।

  • Justin Trudeau: মুখ পুড়ল ট্রুডোর! নিজ্জর হত্যায় ভারত-যোগের প্রমাণ নেই, বলছে কানাডার রিপোর্টই

    Justin Trudeau: মুখ পুড়ল ট্রুডোর! নিজ্জর হত্যায় ভারত-যোগের প্রমাণ নেই, বলছে কানাডার রিপোর্টই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্দিষ্ট কোনও প্রমাণ ছাড়াই নিজ্জর খুনে ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। এবার নিজের দেশের রিপোর্টেই জানা গেল ট্রুডোর দাবি ভিত্তিহীন। স্বাভাবিকভাবেই মুখ পুড়ল কানাডিয়ান প্রধানমন্ত্রীর। কানাডার রিপোর্টেই সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নিজ্জর হত্যায় (Nijjars Killing) কোনও বিদেশি রাষ্ট্রের যোগের নির্দিষ্ট প্রমাণ নেই।

    নিজ্জর খুনে কানাডার অভিযোগ (Justin Trudeau)

    ২০২৩ সালের ১৮ জুন কানাডার সারেতে একটি গুরুদ্বারের বাইরে খুন হন খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং পুরী নিজ্জর। ওই ঘটনায় ভারতীয় এজেন্টের হাত রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন ট্রুডো। কেবল দাবি করাই নয়, কানাডার সংসদেও এমন দাবি করেছিলেন তিনি। কানাডার প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ পত্রপাঠ খারিজ করেছিল ভারত। নয়াদিল্লি সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, নিজ্জর খুনে ভারতের কোনও হাত নেই। এবার কানাডা কমিশনের নয়া রিপোর্টেও জানিয়ে দেওয়া হল, খালিস্তানপন্থী নেতা নিজ্জর খুনে ভারতের হাতই নেই। মঙ্গলবার ‘পাবলিক ইনকোয়ারি ইনটু ফরেন ইন্টারফেয়ারেন্স ইন ফেডারেল ইলেক্টোরাল প্রসেসেস অ্যান্ড ডেমোক্র্যাটিক ইনস্টিটিউশনস’ শীর্ষক রিপোর্টেই এ কথা জানানো হয়েছে।

    ভারত-কানাডা সম্পর্কের অবনতি

    খালিস্তানপন্থী নেতা নিজ্জর খুনের জেরে ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে ছ’জন ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করে কানাডা। পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে ভারতও বহিষ্কার করে কানাডার ছ’জন কূটনীতিককে। নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের জেরে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভারত-কানাডার সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। পরবর্তীকালে দুই দেশের সম্পর্কের আরও অবনতি হয়। ১২৩ পাতার ওই রিপোর্টে কমিশনার মেরি জোসি হোগ বলেন (Justin Trudeau), “বিভ্রান্তিমূলক তথ্যকে এখানে একটি প্রতিশোধমূলক কৌশল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, যা রাষ্ট্রের স্বার্থের পরিপন্থী সিদ্ধান্তগুলির জন্য হুমকির কারণ হতে পারে।” অর্থাৎ ভারতের বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে কমিশনের রিপোর্টে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যায় সন্দেহভাজন ভারতীয় জড়িত থাকার বিষয়ে কানাডার সংসদে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের পরে পাল্টা ভারতের তরফে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার করা হয়েছে। তবে রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে বিদেশের যোগ নেই (Nijjars Killing)।

    কী বলছে কমিশনের রিপোর্ট

    জানা গিয়েছে, কানাডার নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং সে দেশের গণতান্ত্রিক সংগঠনগুলির ওপর বিদেশিদের হস্তক্ষেপ নিয়ে তদন্ত করছিল ওই কমিশন। সেই কমিশনের রিপোর্টেই বলা হয়েছে, নিজ্জর খুনে কোনও বিদেশি রাষ্ট্রের ভূমিকা রয়েছে বলে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অথচ কানাডার প্রধানমন্ত্রী ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলার পরে পরেই গত মে মাসে নিজ্জর খুনের অভিযোগে চারজন ভারতীয় এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে গ্রেফতার করে কানাডা পুলিশ। চলতি মাসেই জামিন পান তাঁরা। এঁরা হলেন করণ ব্রার, আমনদীপ সিং, কমলপ্রীত সিং এবং করণপ্রীত সিং। অবশ্য জামিন মিললেও, জেলমুক্তি হয়নি তাঁদের। জানা গিয়েছে, পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত বন্দিদশা ঘুঁচবে না ওই চার অভিযুক্তের (Justin Trudeau)। ঘরে-বাইরে অসন্তোষের জেরে ইতিমধ্যেই কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন ট্রুডো। তবে এখনও কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এমতাবস্থায় প্রকাশ্যে এল কমিশনের রিপোর্ট। যে রিপোর্টের জেরে আদতে মুখ পুড়ল স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর।

    উপযুক্ত জবাব দিয়েছিল ভারতের বিদেশমন্ত্রক

    গত অক্টোবরেই কানাডা সরকার অভিযোগ করেছিল, বিচ্ছিন্নতাবাদী খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরকে খুনের ঘটনায় ভারত জড়িত। কিন্তু বুধবার সে দেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানান, এই বিষয়ে তাঁদের কাছে কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই। আছে কেবল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রাপ্ত কিছু ধারণা। সেই সব সম্ভাবনার কথা ভারতকে জানানো হয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন ট্রুডো। ট্রুডোর ওই স্বীকারোক্তির পরে পরেই বিবৃতি দেয় বিদেশমন্ত্রক। কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে তোপ (Nijjars Killing) দেগে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মন্ত্রক জানায়, তারা যা বলে আসছিল, তা-ই অবশেষে সত্যি হল (Justin Trudeau)। সেই সময় বিদেশমন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল (Justin Trudeau), অভিযোগের প্রেক্ষিতে কানাডা আমাদের কাছে কোনও প্রমাণ দেয়নি। তার পরেই কানাডার প্রধানমন্ত্রীর রুক্ষ আচরণের নিন্দা করে নয়াদিল্লির তরফে বলা হয়, ভারত-কানাডা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে যে প্রভাব পড়েছে, তার দায় কেবল ট্রুডোর।

    নিজ্জরকে সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা

    ২০২০ সালে খালিস্তানপন্থী নেতা নিজ্জরকে সন্ত্রাসবাদী বলে ঘোষণা করে ভারত। এর ঠিক তিন বছর পর খুন হন খালিস্তানপন্থী ওই নেতা। তার পরেই ভারতকে কাঠগড়ায় তোলেন ট্রুডো স্বয়ং। কানাডার প্রধানমন্ত্রীর এহেন অভিযোগের ভিত্তিতে দলের মধ্যেই সমালোচনার শিকার হন ট্রুডো। তিনি যতই ভারতকে নিশানা করেছেন, ততই তাঁর দলের মধ্যেই মাথাচাড়া দিয়েছে বিদ্রোহ। যার জেরে তাঁকে সরতে হয় প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে। চলতি বছরের শেষের দিকে কানাডায় সাধারণ নির্বাচন। এই নির্বাচনে ট্রুডোকে সামনে রেখে লড়তে রাজি নয় তাঁর দল। সেটাও ট্রুডোকে সরিয়ে দেওয়ার একটা বড় কারণ। এমতাবস্থায় ট্রুডোর মুখোশ খুলে দিল তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট (Nijjars Killing)।

    এর পর ফের প্রার্থী হলে আদৌ জিততে পারবেন তো কানাডার প্রধানমন্ত্রী (Justin Trudeau)?

  • Justin Trudeau: ঘরে-বাইরে সমালোচনার জের, আজই পদত্যাগ করছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো?

    Justin Trudeau: ঘরে-বাইরে সমালোচনার জের, আজই পদত্যাগ করছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদত্যাগ করতে চলেছেন কানাডার (Canada) প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)! কানাডার একটি সংবাদপত্রের দাবি, আজ, সোমবারই প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিতে পারেন তিনি। নিতান্তই যদি তা না হয়, তবে চলতি সপ্তাহে বুধবারের আগেই লিবারাল পার্টির নেতা হিসেবে পদত্যাগ করবেন ট্রুডো। সংবাদপত্র ‘দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেল’ এমনতর দাবি করলেও, প্রধানমন্ত্রীর দফতর কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।

    মুখ রক্ষা করার চেষ্টা ট্রুডোর! (Justin Trudeau)

    দলীয় সদস্যপদ ছাড়ার পরেও তিনি প্রধানমন্ত্রী থেকে যাবেন কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রসঙ্গত, চলতি বছর অক্টোবরে কানাডায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন হওয়ার কথা। বিভিন্ন সংস্থার করা সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, ওই নির্বাচনে ট্রুডোর দলের পরাজয় এক প্রকার অবশ্যম্ভাবী। হারতে পারেন ট্রুডো স্বয়ংও। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই আগেভাগে পদত্যাগ করে মুখ রক্ষা করতে চাইছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। কানাডার সংসদের বহু সাংসদ ট্রুডোর অপসারণ চাইছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিন, চাইছেন তাঁর দলের সাংসদরাও। এমতাবস্থায় ট্রুডোর কাছে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়া ছাড়া আর কোনও পথ খোলা নেই বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    প্রধানমন্ত্রী পদে ৯ বছর

    ২০১৩ সালে লিবারাল পার্টির নেতা হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ট্রুডো। গত ৯ বছর ধরে তিনি রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পদে। নানা কারণে বর্তমানে তাঁর জনপ্রিয়তা এখন তলানিতে। তাঁর আন্তর্জাতিক নীতি নিয়েও দেশের মধ্যেই সমালোচিত হয়েছেন তিনি। আগামী নির্বাচনে ট্রুডোর (Justin Trudeau) দল গোহারা হারবে বলে বিভিন্ন নির্বাচনী সমীক্ষায় ইঙ্গিত মিলেছে। আগামী নির্বাচনে কানাডায় কনজারভেটিভ পার্টি ক্ষমতায় আসছে বলেও জানিয়েছে ওই সমীক্ষা। এহেন পরিস্থিতিতে কিছুদিন আগে হঠাৎই পদত্যাগ করেন কানাডার উপমুখ্যমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। তার পর থেকে দেশের অভ্যন্তরে ট্রুডো-বিদ্বেষ বাড়ছে বই কমছে না।

    আরও পড়ুন: সাধুর ভিড়ে মহাকুম্ভে হানা দিতে পারে জঙ্গিরা, কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা

    সমস্যা মেটানোর যে কোনও চেষ্টা ট্রুডো করেননি, তা নয়। মন্ত্রিসভায় রদবদল করেছেন তিনি। তার পরেও অব্যাহত রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যাওয়ার চাপ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ট্রুডো পদত্যাগ করলে এগিয়ে আনা হতে পারে সাধারণ নির্বাচন। ততদিন কে চালাবেন দেশ, তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমের খবর। ভারত বিরোধিতার খেসারত কি ট্রুডোকে (Justin Trudeau) গদি হারিয়েই দিতে হবে? প্রশ্নটা কিন্তু উঠছেই (Canada)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Anita Anand: ট্রুডোর পরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদের অন্যতম দাবিদার অনিতা আনন্দ, চেনেন তাঁকে?

    Anita Anand: ট্রুডোর পরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদের অন্যতম দাবিদার অনিতা আনন্দ, চেনেন তাঁকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত বিদ্বেষ এবং ‘খালিস্তানপন্থী-প্রেমী’ সাজাই ‘কাল’ হয়েছিল কানাডার (Canada) প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর। তার জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিতে হয়েছে তাঁকে। সোমবারই পদত্যাগ করার কথা ঘোষণা করেছন লিবারেল পার্টির এই নেতা। গত ৯ বছর ধরে কানাডায় রাজ করছিলেন ট্রুডো। সোমবার রাতে অবসান ঘটল তার।

    তালিকায় অনিতা আনন্দ (Anita Anand)

    কানাডার সম্ভাব্য নয়া প্রধানমন্ত্রী কে, তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এই তালিকায় ওপরের দিকে রয়েছেন ট্রুডো সরকারের পরিবহণমন্ত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত অনিতা আনন্দ (Anita Anand)। তিনি যদি ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হন, তাহলে তা হবে আরও এক ভারতীয় বংশোদ্ভূতের বিশ্বজয়। প্রসঙ্গত, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক। কানাডার সংসদীয় রীতি অনুসারে, এই পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীন দল পরবর্তী নেতা নির্বাচনের জন্য ৯০ দিন সময় পাবে। এই তিন মাস কার্যনির্বাহী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালাবেন তিনি। সোমবারই তিনি জানিয়েছিলেন, আগামী ২৪ মার্চের মধ্যে তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচন করবে তাঁর দল লিবারেল পার্টি। এই ক’দিন স্থগিত থাকবে সংসদের অধিবেশন।

    কে এই অনিতা আনন্দ?

    ট্রুডো পদত্যাগ করতেই উত্তরসূরি বাছাই করতে কোমর কষে নেমে পড়েছে লিবারেল পার্টি। সেখানেই সামনের সারিতে রয়েছেন অনিতা (Anita Anand)। পরিবহণ দফতর সামলানো ছাড়াও নানা সময় জনসেবা, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, কোষাগার বোর্ডের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। অনিতার জন্ম নোভা স্কোটিয়া প্রদেশের কেন্টভিলে। অনিতার বাবা তামিল, নাম এসভি (অ্যান্ডি) আনন্দ। মায়ের নাম সরোজ ডি রাম। পেশায় দুজনেই ছিলেন চিকিৎসক। অনিতার দুই বোন রয়েছেন। তাঁদের নাম গীতা ও সোনিয়া। 

    ঈর্ষনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা

    বছর সাতান্নর অনিতা (Anita Anand) অক্সফোর্ডের প্রাক্তনী। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা ঈর্ষনীয়। স্থানীয় কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলায় স্নাতক। এর পর, অক্সফোর্ড থেকে আইনশাস্ত্রে স্নাতক। ডালহৌসি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক। পরে টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন নিয়ে স্নাতকোত্তর লাভ করেন তিনি। রাজনীতিতে আসার আগে অধ্যাপনা করতেন অনিতা। সম্মানীয় ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয় এবং ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময়ে অধ্যাপনা করেছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: ভারত-বিরোধিতাই হল কাল! কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা ট্রুডোর, এগিয়ে আসছে নির্বাচন?

    রাজনৈতিক উত্থান

    ২০১৯ সালে রাজনীতির জগতে পা রাখার পরে পরেই দ্রুত দলে উত্থান ঘটতে থাকে অনিতার (Anita Anand)। সেই বছর ওকভিলের সাংসদ নির্বাচিত হন পলিটিক্যাল স্টাডিজের এই ছাত্রী। সাংসদ হওয়ার পরেই ঠাঁই হয় ট্রুডোর মন্ত্রিসভায়। তার জেরেই সটান চলে আসেন ট্রুডো মন্ত্রিসভায়। যুদ্ধের সময় ইউক্রেনকে ত্রাণ ও অন্যান্য সাহায্য পাঠানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, অনিতা ছাড়াও কানাডার (Canada) পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন মেলাইন জলি, ক্রিস্টিয়া, ফ্রিল্যান্ড, মার্ক কার্নি, ফ্রাঙ্কেইস-ফিলিপ শ্যাম্পেন প্রমুখ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Justin Trudeau: ভারত-বিরোধিতাই হল কাল! কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা ট্রুডোর, এগিয়ে আসছে নির্বাচন?

    Justin Trudeau: ভারত-বিরোধিতাই হল কাল! কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা ট্রুডোর, এগিয়ে আসছে নির্বাচন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডার (Canada) প্রধানমন্ত্রী তথা লিবারেল পার্টির নেতা পদে ইস্তফা দিলেন জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। ঘরে-বাইরে প্রবল চাপের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগই করলেন ট্রুডো। সোমবার রাজধানী অটোয়ায় তাঁর বাসভবন রিডো কটেজের বাইরে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে ইস্তফার কথা জানান কানাডার প্রধানমন্ত্রী। দল নতুন নেতা নির্বাচিত না করা পর্যন্ত আপাতত তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাবেন, জানিয়েছেন ট্রুডো।

    কী বললেন ট্রুডো? (Justin Trudeau)

    তিনি বলেন, “কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে চাই। আমার এই ইচ্ছের কথা আমি দল ও গভর্নরকে জানিয়েছি। দল নতুন নেতা নির্বাচন করার পর দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দেব।” তিনি বলেন, “এই বছরের শেষের দিকে নির্বাচন হবে। তা না হওয়া পর্যন্ত দল ও কানাডার নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য একজন নতুন নেতা খুঁজে বের করার প্রক্রিয়া শুরু হবে। এজন্য আমি ২৪ মার্চ পর্যন্ত সংসদ স্থগিত করছি।”

    প্রধানমন্ত্রী পদে ৯ বছর

    গত ৯ বছর ধরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদে রয়েছেন ট্রুডো। এই পর্বে তাঁর দল লিবারেল পার্টির নেতাও ছিলেন তিনি। খালিস্তানপন্থীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখার অভিযোগ ওঠে ট্রুডোর দলের অন্দরেই। তা নিয়ে ভারতের সঙ্গেও দূরত্ব তৈরি হয় ট্রুডোর দেশের। কানাডার আন্তর্জাতিক নীতি নিয়েও দল এবং বিরোধীদের প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েন ট্রুডো। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, তারই খেসারত দিতে হল ট্রুডোকে (Justin Trudeau)। কানাডার সংসদীয় রীতি অনুসারে, এই পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীন দল পরবর্তী নেতা নির্বাচনের জন্য ৯০ দিন সময় পাবে।

    আরও পড়ুন: মোদিকে বিদায়ী চিঠি বাইডেনের! দুই দেশের সম্পর্ককে শক্ত করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    চলতি বছরের শেষের দিকে কানাডায় সংসদ নির্বাচন। ২০২৩ সালেই বিভিন্ন নির্বাচনী সমীক্ষায় ইঙ্গিত মিলেছিল কানাডার সিংহভাগ বাসিন্দাই ট্রুডোকে পছন্দ করছেন না। ট্রুডোর ভারত বিরোধিতার পর দলেও তাঁর বিরুদ্ধে পুঞ্জীভূত হচ্ছিল ক্ষোভের আগুন। সমীক্ষা বলছে, আগামী নির্বাচনে কানাডায় ধরাশায়ী হবে ট্রুডোর দল। গোহারা হারবেন স্বয়ং ট্রুডো। ক্ষমতায় আসতে পারে কনজারভেটিভ পার্টি। পরাজয়ের আঁচ পেয়ে কিছুদিন আগেই পদত্যাগ করেন কানাডার উপ-প্রধানমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। তার পর থেকে দিন যত গিয়েছে, ততই বেড়েছে ট্রুডো বিরোধীদের সংখ্যা। মন্ত্রিসভায় রদবদল করেও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেননি ট্রুডো। রাজনৈতিক মহলের মতে (Canada), নিতান্তই নিরুপায় হয়ে পদত্যাগ করলেন ট্রুডো (Justin Trudeau)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Justin Trudeau: পরিবর্তনের অপেক্ষায় কানাডা! পতনের পথে জাস্টিন ট্রুডোর সরকার

    Justin Trudeau: পরিবর্তনের অপেক্ষায় কানাডা! পতনের পথে জাস্টিন ট্রুডোর সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডায় (Canada) ট্রুডোর একদা ‘বন্ধু’ বলে পরিচিত রাজনৈতিক শিবির নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টিও (এনডিপি) সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছে। ট্রুডো সরকারের (Justin Trudeau) বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এনডিপির নেতা জগমিত সিং। আগামী বছরের ২৭ জানুয়ারি কানাডার পার্লামেন্ট বসছে। সেই সময়েই এই অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করার সম্ভাবনা রয়েছে।

    নতুন সরকারের অপেক্ষায় কানাডা

    সমাজমাধ্যমে এনডিপি নেতা লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী হিসাবে সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হল সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করা, ক্ষমতাবানদের জন্য নয়। এই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন ট্রুডো।” ট্রুডোর সরকারকে (Justin Trudeau) ভেঙে দিয়ে কানাডাবাসীকে নতুন সরকার বেছে নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। কানাডার পার্লামেন্টের হাউস অফ কমনসে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই ট্রুডোর লিবারেল পার্টির। সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে অন্য দলের সমর্থন প্রয়োজন তাদের। হাউস অফ কমন্‌সে মোট জনপ্রতিনিধির সংখ্যা ৩৩৮। কিন্তু লিবারেলের রয়েছে ১৫৩ আসন। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় এনডিপির সাহায্য নিতে হয় তাদের। হাউস অফ কমন্‌সে এনডিপির রয়েছে ২৫ জন জনপ্রতিনিধি। ফলে সেই সমর্থন না পেলে ট্রুডোর দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখা কঠিন হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন অনেকে। ট্রুডোর সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে ২০২৫ সালের নির্বাচনের আগে আস্থা ভোটে পরাজয়। 

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী মোদির ঐতিহাসিক সফর! ভারত কুয়েতের মধ্যে ৪টি মউ চুক্তি স্বাক্ষরিত

    আন্তর্জাতিক স্তরে ট্রুডোর বিরোধিতা

    আন্তর্জাতিক স্তরেও ট্রুডোর (Justin Trudeau)  বিরুদ্ধে বিরোধিতা বাড়ছে। ভারত সরকারের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি হয়েছে, এবং হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও ট্রুডোকে ‘দুর্বল’ এবং ‘বামপন্থী উন্মাদ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে বাকি বিরোধী দলগুলি জগমিতের সঙ্গে থাকলে ভেঙে যেতে পারে ট্রুডোর সরকার। সরকারের মেয়াদ পূরণের আগেই হতে পারে নির্বাচন। সম্প্রতি কানাডার শাসক শিবির লিবারেল পার্টির অন্দরেও ট্রুডোর ইস্তফার দাবি উঠে আসতে শুরু করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Hindu Sabha Temple: মন্দিরে হামলা, ট্রুডোর বিরুদ্ধে কানাডার কোর্টে আবেদন ভারতীয় আইনজীবীর

    Hindu Sabha Temple: মন্দিরে হামলা, ট্রুডোর বিরুদ্ধে কানাডার কোর্টে আবেদন ভারতীয় আইনজীবীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও গাড্ডায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। ভারতের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বিনীত জিন্দল কানাডার সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দায়ের করেছেন। পিটিশনে ব্রাম্পটনে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া হিন্দু মন্দিরে আক্রমণের (Hindu Sabha Temple) সঙ্গে জড়িত সকলের, বিশেষ করে খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে।

    কানাডায় পিটিশন দায়ের (Hindu Sabha Temple)

    জিন্দল কানাডার প্রধান বিচারপতি রিচার্ড ওয়াগনারের কাছে ডিজিটালি এই পিটিশন জমা দেন। পিটিশনে হিন্দু ভক্ত ও হিন্দু সভা মন্দিরে আক্রমণের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তি নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। পিটিশনে জিন্দল কানাডিয়ান সুপ্রিম কোর্টকে এই ঘটনার তদন্তের তত্ত্বাবধান করার আহ্বান জানান। বিশেষ করে পিল পুলিশের কর্মকর্তাদের আচরণ এবং ‘শিখস ফর জাস্টিসে’র মতো খালিস্তানপন্থী গোষ্ঠীর কার্যকলাপের ওপর নজরদারি করতে, যারা হিংসায় ইন্ধন জোগানোয় দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। পিটিশনে এমন পদক্ষেপের আহ্বান জানানো হয় যাতে অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় আনা হয়। কানাডার হিন্দু সম্প্রদায়ের উপাসনাস্থলগুলিতে যথাযথ নিরাপত্তা দেওয়ার আবেদনও করা হয়েছে পিটিশনে। জিন্দল এও উল্লেখ করেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের উপাসনাস্থলগুলির (Hindu Sabha Temple) ওপর ক্রমবর্ধমান হিংসার ঘটনায় ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষায় জরুরি হস্তক্ষেপের প্রয়োজন।

    কী বলছেন আইনজীবী

    সংবাদ মাধ্যমে (Justin Trudeau) সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ওই আইনজীবী বলেন, “বর্তমান জাস্টিন ট্রুডো সরকারের পক্ষ থেকে ভারত সরকারের খালিস্তানপন্থী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার অনুরোধের কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হচ্ছে, তাও এখন সুপরিচিত। ৩ নভেম্বর, খালিস্তানপন্থীরা হিন্দু সভা মন্দিরে হামলা চালায়। ভক্তদের মারধরও করা হয়। এই ঘটনার সময় পিল পুলিশের (এই অঞ্চলেই ঘটনাটি ঘটেছিল) কর্মকর্তারাও হিন্দু ভক্তদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছিল (এ সংক্রান্ত ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল, যার সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম)। এরপর থেকে কানাডায় রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষেত্র-সহ সব দিক থেকেই হিন্দুরা হামলার শিকার হচ্ছে। এই মুহূর্তে কানাডায় আমাদের হিন্দু ভাইয়েরা প্রচণ্ড চাপের মধ্যে রয়েছে।’’

    ট্রুডো সরকারের মদত!

    তিনি বলেন, “খালিস্তান টাইগার ফোর্স এবং শিখস ফর জাস্টিসের মতো খালিস্তানপন্থী জঙ্গি সংগঠনগুলি ট্রুডো সরকারের মদত পাচ্ছে বলে অভিযোগ। তার জেরে হিন্দু যুবকদের মিথ্যে হিংসা ও ঘৃণার মামলায় ফাঁসিয়ে দিচ্ছে খালিস্তানপন্থী ওই সংগঠনের সদস্যরা।” জিন্দল বলেন, “আমি এই পদক্ষেপটি নিচ্ছি যাতে কানাডার সর্বোচ্চ আদালতের মাধ্যমে একটি বার্তা পৌঁছে দেওয়া যায় এবং সেখানে বসবাসকারী প্রতিটি হিন্দুর জীবন ও স্বাধীনতা রক্ষার আহ্বান জানানো যায়।” জিন্দলের আশা, কানাডার বিচার ব্যবস্থা সঠিক বিচার করবে। তাঁর পিটিশনটিও গৃহীত হবে। কানাডায় হিন্দুদের বিরুদ্ধে হিংসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।

    হামলার ভিডিও ফুটেজ

    গত ৩ নভেম্বর কানাডার ব্রাম্পটনের হিন্দু সভা মন্দিরের (Hindu Sabha Temple) বাইরে অবস্থান বিক্ষোভ করছিলেন বেশ কয়েকজন খালিস্তানপন্থী। প্রত্যক্ষদর্শী ও হিন্দু-কানাডিয়ান ফাউন্ডেশনের শেয়ার করা ভিডিও ফুটেজ থেকে দেখা গিয়েছে, খালিস্তানপন্থী চরমপন্থীরা খালিস্তানের ঝান্ডার ডান্ডা নিয়ে মন্দির উপস্থিত হিন্দু ভক্তদের মারধর করে। খালিস্তানপন্থীদের এই ভিড়ে কানাডা পুলিশের এক কর্মীকেও দেখা গিয়েছে খালিস্তানপন্থী ঝান্ডা হাতে (যদিও কানাডা পুলিশের দাবি, ওই কর্মী তখন ডিউটিতে ছিলেন না)। জানা গিয়েছে, মন্দির কর্তৃপক্ষ এবং ভারতীয় কনস্যুলেটের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ভক্তরা সেখানে জড়ো হয়েছিলেন। আচমকাই তাঁদের ওপর হামলা করে খালিস্তানপন্থীরা। তাদের মারের হাত থেকে রেহাই পাননি মহিলা, শিশু এবং প্রবীণরাও। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, কীভাবে উগ্রপন্থীরা অনুষ্ঠানটি বিঘ্নিত করছে। কীভাবেই তারা উপস্থিত ভক্তদের মারধর করছে।

    আরও পড়ুন: কুর্সি যাচ্ছে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর, জিতছে বিজেপি, ইঙ্গিত জনমত সমীক্ষায়

    তীব্র নিন্দা ভারতের

    কানাডার ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে ভারত। কানাডিয়ান কর্তৃপক্ষকে সে দেশে ভারতীয় নাগরিক ও ধর্মীয় কাঠামোগুলির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বানও জানিয়েছিল ভারত। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা হিন্দু সভা মন্দিরে চরমপন্থী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের করা উস্কানিমূলক হিংসার নিন্দা করছি। আমরা কানাডা সরকারকে অনুরোধ করছি এমন আক্রমণ থেকে যেন (Justin Trudeau) সে দেশের সব উপাসনালয়ের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয় (Hindu Sabha Temple)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

       

  • Canada: মন্দিরে হামলা, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে খালিস্তানপন্থী দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল কানাডা পুলিশ

    Canada: মন্দিরে হামলা, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে খালিস্তানপন্থী দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল কানাডা পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডার (Canada) মন্দিরে হামলার ঘটনায় ধৃত আরও এক খালিস্তানপন্থী (Khalistan) দুষ্কৃতী। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গ্রেফতার করল পুলিশ। গত ৩ নভেম্বর ব্রাম্পটনের গোর রোডের মন্দিরে ভক্তদের উপর হামলা করার অভিযোগ উঠেছিল জঙ্গি সংগঠন খালিস্তানপন্থীদের বিরুদ্ধে। একই ভাবে মন্দিরের বাইরে ভারতীয় উপদূতাবাসের একটি শিবিরেও হামলা চালানো হয়েছিল। জানা গিয়েছে ধৃত ব্যক্তি ওই জঙ্গি সংগঠনের সমন্বয়ক।

    আক্রমণ, হামলা ও বিক্ষোভের উদ্যোক্তা গোসাল (Canada)!

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম ইন্দ্রজিৎ সিংহ গোসাল। ৩৫ বছরের এই যুবক ব্রাম্পটনের বাসিন্দা। তিনি খালিস্তানপন্থী (Khalistan) শিখ ফর জাস্টিস সংগঠনের সমন্বয়ক। কানাডা (Canada) পুলিশের তদন্তকারী দল (সিট) ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্ত শুরু করে। এখান থেকেই শনাক্ত করা গিয়েছে ওই অভিযুক্তকে। ৮ নভেম্বর তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং এরপর তাকে ওই দিনই আদালতে তোলা হয়। ওই দেশের একটি সংবাদ মাধ্যম দাবি করে, ধৃত ব্যক্তি শিখ ফর জাস্টিসের সমন্বয়ক হিসেবে কাজ চালাত। ৩ নভেম্বর মন্দিরের ভক্তদের উপর আক্রমণ এবং বাইরে বিক্ষোভের উদ্যোক্তাদের মধ্যে এই অভিযুক্ত ছিল। একই ভাবে ধৃত দাবি করে, খালিস্তানপন্থী হওয়ার জন্য তাকে টার্গেট করা হয়েছিল আগেও এবং বাড়িতে ঢুকে গুলি চালিয়ে হামলা করা হয়েছিল।

    ভারত সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ

    মন্দিরে হামালাকাণ্ডে ধৃত গোসাল কানাডার (Canada) এক সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়াছে, “আমাদের লক্ষ্য কোনও হিন্দু নয়। ভারত সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল। এটা কোনও ভাবেই হিন্দু এবং শিখদের যুদ্ধ নয়।” উল্লেখ্য কানাডা পুলিশ গত বৃহস্পতিবার মন্দিরে হামলার অভিযোগে রণেন্দ্রলাল বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়েছিল। রণেন্দ্রলালের বয়স ছিল ৫৭। হিংসা এবং উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত এই ব্যক্তি।

    আরও পড়ুনঃ “গ্লোবাল সুপারপাওয়ারের তালিকায় নাম থাকা উচিত ভারতের”, দাবি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের

    ঘটনা কী ঘটেছিল?

    ব্রাম্পটনে (Canada) হিন্দু সভা মন্দিরে পুজো দিতে হাজির হয়েছিলেন বেশ কিছু ভক্ত। উল্লেখ্য সেই সময় মন্দিরের সামনে ভারতে ১৯৮৪ সালের শিখ (Khalistan) বিরোধী দাঙ্গার প্রতিবাদে অবস্থান-বিক্ষোভে বসে ছিল খালিস্থানপন্থী বেশ কিছু সমর্থক। হাতে ছিল খালিস্তান জঙ্গির পতাকা এবং লাঠি। ভক্তরা মন্দিরে ঢুকতে গেলে তাঁদের বাধা দেয় ওই খালিস্তানপন্থীরা। এরপর চড়াও হয়ে আক্রমণ করে ভক্তদের উপর। এতে আহত হন বেশ কিছু মহিলা-শিশু ভক্ত সহ পুরুষরাও। একই ভাবে মন্দিরের বাইরে ছিল ভারতীয় দূতাবাসের উপকেন্দ্র। অভিযোগ সেখানেও চলে হামলা। ঘটনার নিন্দা করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জার্স্টিন ট্রুডো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Justin Trudeau: “কানাডায় খালিস্তানপন্থীরা রয়েছেন, মজুত যাবতীয় উপাদানও”, শেষমেশ স্বীকার ট্রুডোর

    Justin Trudeau: “কানাডায় খালিস্তানপন্থীরা রয়েছেন, মজুত যাবতীয় উপাদানও”, শেষমেশ স্বীকার ট্রুডোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডায় খালিস্তানপন্থীদের যাবতীয় উপাদান মজুত রয়েছে। রয়েছেন খালিস্তানপন্থীরাও। শেষমেশ স্বীকার করে নিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। এও জানিয়ে দিলেন, এরা (খালিস্তানপন্থীরা) পুরো শিখ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করে (Justin Trudeau) না। ওটাওয়ার পার্লামেন্ট হিলে দীপাবলি উদযাপনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে এই ‘বিলম্বিত বোধদয়ে’র কথা ব্যক্ত করলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী।

    জান কবুল ট্রুডোর (Justin Trudeau)

    খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর খুন হন কানাডার মাটিতে। বছরখানেক আগের সেই ঘটনায় ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন ট্রুডো। তার জেরে ভারত-কানাডার সম্পর্কে অবনতি হয়। অস্ট্রেলিয়ার সংবাদ মাধ্যমে সম্প্রচারিত বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বার্তা কানাডায় ব্লক করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ট্রুডো বলেন, “কানাডায় অনেক খালিস্তানপন্থী রয়েছেন। খালিস্তানপন্থীদের যাবতীয় উপাদানও মজুত রয়েছে। তবে সামগ্রিকভাবে শিখ সম্প্রদায় বলতে সেটি বোঝায় না। মোদি সরকারেরও অনেক সমর্থক রয়েছেন কানাডায়। কিন্তু তাঁরা সার্বিকভাবে কানাডায় বসবাসকারী হিন্দুদের প্রতিনিধিত্ব করেন না।” সোমবারও প্রায় একই কথা কানাডার পার্লামেন্টে বলেছিলেন ট্রুডো। যে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে নিজ্জর খুনে ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন তিনি, সেই পার্লামেন্টে দাঁড়িয়েই ট্রুডো সোমবার বলেছিলেন, খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা কানাডায় শিখদের প্রতিনিধিত্ব করে না।

    আরও পড়ুন: অযোধ্যা মামলার ঐতিহাসিক রায়ের পাঁচ বছর পূর্তি, জেনে নিন পুরো কাহিনি

    ট্রুডোর দেশে ভোট 

    যেহেতু কানাডায় বসবাসকারী শিখদের একটা অংশ খালিস্তানপন্থী এবং শিখদের একটা বড় অংশ ট্রুডোর সমর্থক, তাই ব্যালেন্স করার চেষ্টা করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “কানাডায় বসবাসকারী সব হিন্দু মোদি সরকারের সমর্থক নন।” শিখদের সমর্থনেই এখনও কোনওক্রমে টিকে রয়েছে সংখ্যালঘু ট্রুডো সরকার। এদিকে খালিস্তানপন্থীদের ‘প্রশ্রয়’ দেওয়ায় নিজের দল লিবারেল পার্টির অন্দরেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে ট্রুডোর নেতৃত্ব। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই ব্যালেন্স করে চলার চেষ্টা করলেন ট্রুডো। আগামী বছর কানাডায় সাধারণ নির্বাচন। নানা জনমত সমীক্ষায় প্রকাশ, ওই নির্বাচনে হারতে চলেছেন ট্রুডো। কূটনৈতিক মহলের মতে, ভোট-বৈতরণী পার হতেই কানাডার প্রধানমন্ত্রীর গলায় এক দিকে যেমন শোনা গিয়েছে সে দেশে খালিস্তানপন্থীদের উপস্থিতির কথা, তেমনি অন্যদিকে শোনা গিয়েছে (Justin Trudeau) প্রচ্ছন্ন মোদি বিরোধিতার সুরও (Justin Trudeau)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Donald Trump: আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী ট্রাম্প, সমস্যায় পড়তে পারেন কানাডার ট্রুডো

    Donald Trump: আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী ট্রাম্প, সমস্যায় পড়তে পারেন কানাডার ট্রুডো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় বলে, কারও পৌষমাস, তো কারও সর্বনাশ! চার বছর বাদে নতুন বছরের তৃতীয় সপ্তাহ নাগাদ হোয়াইট হাউসে ফিরছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। তাঁর এই প্রত্যাবর্তনের খবর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নৌকার পালে সুপবন বয়ে আনলেও, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর পক্ষে ভালো নাও হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লক্ষ্যই হল, আমেরিকা ও তার দোসরদের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের গাঁটছড়ার বন্ধন পোক্ত করা।

    বিপাকে পড়তে পারে ট্রুডোর দেশ (Donald Trump)

    ট্রাম্প ফের মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে বসছেন। এতে আদতে বিপাকে পড়বে ট্রুডোর দেশ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ট্রাম্প জমানায় দেখা দিতে পারে বাণিজ্য বিরোধ। যার জেরে ভয়ঙ্কর মন্দার মুখে পড়তে পারে কানাডা। কারণ কানাডার রফতানির ৭৫ শতাংশই যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। মার্কিন সীমান্ত পেরিয়ে হাজার হাজার মানুষ উত্তরে (Donald Trump) কানাডার দিকে আসতে পারেন। সেক্ষেত্রেও বিপদে পড়বে ট্রুডোর দেশ।

    ধরাশায়ী হতে পারেন ট্রুডো

    আগামী বছর সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা কানাডায়। বিভিন্ন জনমত সমীক্ষার ফল বলছে, কনজারভেটিভ প্রতিপক্ষের কাছে ধরাশায়ী হতে পারেন ট্রুডো। তাঁর দল লিবারেল পার্টির অবস্থাও হতে পারে করুণ। গত কয়েক বছরে কানাডার ধীর গতির অর্থনীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয়ের দ্রুত বৃদ্ধি চলে এসেছে খবরের শিরোনামে। যার জেরে চিন ও ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বৈচিত্রকরণের প্রচেষ্টা ব্যাহত হয়েছে।

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ট্রাম্প-ট্রুডোর সম্পর্ক অহি-নকুলের। ২০২২ সালে ট্রাম্প ট্রুডোকে ‘একজন চরম বামপন্থী উন্মাদ’ বলে অভিহিত করেছিলেন। কারণ ট্রুডো সীমান্ত অতিক্রম করা ট্রাক চালকদের জন্য কোভিড টিকাকরণ বাধ্যতামূলক করেছিলেন। ২০১৮ সালের জুন মাসে, কেবেকে অনুষ্ঠিত জি-৭ সম্মেলন থেকে বেরিয়ে চলে এসেছিলেন ট্রাম্প। ট্রুডোকে তিনি ‘খুবই অসৎ ও দুর্বল’ বলে অভিহিত করেছিলেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘সেই ব্যক্তি কোথায়?’’ ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনে ঘুম উড়েছে বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনূসের!

    ২০১৫ সাল থেকে কানাডার কুর্সিতে রয়েছেন ট্রুডো। ট্রাম্প জিততেই ‘ড্যামেজ কন্ট্রোলে’ নেমে পড়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। বুধবার ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, “দুই দেশের মধ্যের বন্ধুত্ব বিশ্বে ঈর্ষণীয়।” ট্রুডো যখন আমেরিকা-কানাডার সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে প্রাণপাত করছেন, তখন নিশ্চিন্তে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। কারণ মার্কিন প্রদেশে যিনি প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হয়েছেন, তিনি আসলে তাঁর ‘বন্ধু’ (Donald Trump)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share