Tag: Karachi

Karachi

  • Attack on Pak Hindu Temple: পাকিস্তানে পরপর ভাঙা হল দুই মন্দির! বুলডোজারের পর রকেট হামলা

    Attack on Pak Hindu Temple: পাকিস্তানে পরপর ভাঙা হল দুই মন্দির! বুলডোজারের পর রকেট হামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে ফের আক্রান্ত হিন্দু মন্দির (Attack on Pak Hindu Temple)। গত ২৪ ঘণ্টায় সিন্ধ প্রদেশে দু’টি হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর ও লুঠপাটের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাতেই পাকিস্তানের করাচিতে একরকম নিঃশব্দে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় একটি হিন্দু মন্দির। মারি মাতার সেই ১৫০ বছর পুরনো মন্দিরটি ভেঙে শপিং কমপ্লেক্স উঠবে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই রবিবার ফের পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের কাশমোড় এলাকায় ধ্বংস করা হল আরও একটি হিন্দু মন্দির! এবার রীতিমতো রকেট হামলা চালিয়ে ভাঙা হয়েছে মন্দিরটি (2 Hindu Temples)।

    মন্দিরে রকেট হামলা

    সিন্ধ প্রদেশের কাশমোড় অঞ্চলে রবিবার সকালে একদল দুষ্কৃতী রকেট লঞ্চার নিয়ে আক্রমণ শানায় একটি হিন্দু মন্দিরে (Attack on Pak Hindu Temple)। ওই  এলাকায় বহু সংখ্যক হিন্দু পরিবারের বাস। যে মন্দিরে হামলা চালানো হয়েছে, সেখানে বছরে একবার করে পুজো দেন স্থানীয়রা। অভিযোগ, রবিবার দুষ্কৃতীরা একেবারে নির্বিচারে গুলি চালাতে থাকে মন্দির চত্বরে এবং রকেট হামলায় মন্দির ধ্বংস করে। ঘটনাচক্রে সে সময়ে মন্দিরটি বন্ধ ছিল বলে হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে জানা গিয়েছে। মন্দির সংলগ্ন হিন্দু জনবসতির উপরও নির্মম অত্যাচার ও লুঠপাটের ঘটনা ঘটেছে।

    আরও পড়ুুন: ‘ভারত-ফ্রান্স বন্ধুত্ব দীর্ঘজীবী হোক’, মোদির সঙ্গে সেলফি পোস্ট আপ্লুত মাক্রঁর

    সিন্ধের ঘটনায় (Attack on Pak Hindu Temple) এখনও কাউকে ধরা যায়নি। মোট ৯ জন বন্দুকবাজ জড়িত ছিল বলে অনুমান করছে পুলিশ। স্থানীয় হিন্দুদের বাগরি সম্প্রদায়ের সদস্যরা জানিয়েছেন, কারও ক্ষতি না হলেও, এই হামলার জেরে স্থানীয় সংখ্যালঘু হিন্দুরা আতঙ্কিত। পুলিশের কাছে স্থানীয়দের সুরক্ষারও আবেদন করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী তথা বাগরি সম্প্রদায়ের সদস্য ডাঃ সুরেশ জানান, ‘ডাকাত দলের প্রত্যেকের হাতে ছিল বন্দুক। রকেট লঞ্চারের মাধ্যমে মন্দির ধ্বংস করাই ছিল তাদের লক্ষ্য। কিন্তু তাতে ওই ডাকাতদল সফল হয়নি। কারণ, রকেট লঞ্চারটি কাজ করেনি। তার ফলে বড় কোনও বিপদ ঘটেনি।’

    করাচিতে ধ্বংস ১৫০ বছরের পুরনো মন্দির

    অন্যদিকে, করাচির সোলজার বাজারে অবস্থিত ১৫০ বছরের মারি মাতার মন্দিরের (Attack on Pak Hindu Temple) জমি শপিং প্লাজার এক প্রোমোটারকে চড়া দামে বেচে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পাক সরকারের বিরুদ্ধে। সেই মতোই শুক্রবার মধ্যরাতে বুলডোজার এনে মন্দির ভাঙা শুরু হয়ে যায়। পুলিশ ছিল ঘটনাস্থলেই। তবে অভিযোগ, বাধা দেওয়া দূরের কথা, দাঁড়িয়ে দেখেছে তারা। এই মন্দিরে আগেও ঝামেলা হয়েছে। গত বছরের জুনেই এই মন্দিরে দেবদেবীর মূর্তি ভাঙচুরের খবর মিলেছিল। ওই মন্দিরের পুরোহিত রাম নাথ মিশ্র জানান, ‘প্রথমে স্থানীয় কর্তপক্ষ বলেছিল মন্দিরের মূল দ্বার ও একটি দেওয়াল ভাঙা হবে। কিন্তু লোডশেডিং করে পুরো মন্দির গুঁড়িয়ে দিল ওরা। ১৫০ বছর ধরে এই মন্দির রয়েছে। বহু ভক্ত সমাগম হয়। আসলে অনেকটা অংশ জুড়ে এই মন্দির। যা ভুয়ো কাগজ বের করে বানিজ্যিক সংস্থাকে বেচে দেওয়া হয়েছে। মন্দির পুরানো হয়ে গিয়েছে, বিপজ্জনক বলে এভাবে ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়া অনুচিত। আশা করব প্রশাসন প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেবে।’ উল্লখ্য, পাকিস্তান হিন্দু কাউন্সিলের কাছে হিন্দু সংগঠনগুলি সুবিচারের দাবি জানিয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Karachi Attack: ফের রক্তাক্ত করাচি! পুলিশ প্রধানের দফতরে তালিবান হানা, নিহত ৯

    Karachi Attack: ফের রক্তাক্ত করাচি! পুলিশ প্রধানের দফতরে তালিবান হানা, নিহত ৯

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবার জঙ্গি হামলা করাচিতে। ফের রক্তাক্ত পাকিস্তান (Pakistan)। এবার করাচির পুলিশ দফতরে তালিবান হানা। শুক্রবার রাতে একদল জঙ্গি হামলা চালায় করাচির পুলিশ প্রধানের দফতরে। পালটা জবাব দেয় পুলিশও। দু’পক্ষের গোলাগুলিতে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত কমপক্ষে ১০ জন। মৃতদের মধ্যে জঙ্গি ও দুই পুলিশকর্মীও রয়েছে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে রাজধানী শহরেও।

    হামলার বিবরণ

    করাচি পুলিশ সূত্রে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ৫ জন জঙ্গি সহ মোট ৯ জন মারা গিয়েছে। বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী, দুজন সাধারণ মানুষ সহ মোট ১৭ জন আহত হয়েছে যে ঘটনায়। কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। গত রাতে বেশ কয়েকজন জঙ্গি হামলা চালায় বলেই প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। প্রথমে ৩জন সশস্ত্র জঙ্গি পুলিশ কর্তার দফতরে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। বোমা বিস্ফোরণও ঘটানো হয়। হামলার দায় স্বীকার করেছে তেহরিক-ই-তালিবান (Tehreek-e-Taliban)। যেসময় ওই হামলা চালানো হয় তখন সেখানে পুলিশের বেশ কয়েকজন আধিকারিক ছিলেন। তবে কোনও শীর্ষ কর্তা এই ঘটনায় জখম হয়েছেন বা মারা গিয়েছেন বলে খবর নেই। ঘটনার পরই ঘটনাস্থল সংলগ্ন সমস্ত রাস্তা জনসাধারণের বন্ধ করে দেয় পুলিশ। সেখানে পাঠানো হয় আরও বেশি সংখ্যক বাহিনী।

    আরও পড়ুন: শিবসেনা নাম ও তির-ধনুক প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠী! হতাশ উদ্ধব-গোষ্ঠী

    জঙ্গি দমনের বার্তা

    দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গি সমস্যায় জর্জরিত পাকিস্তান। গত কয়েক মাসে দেশের মধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত সংস্থায় জঙ্গিদের হানা বেড়েছে। কিছু সপ্তাহ আগেই পুলিশরা ব্যবহার করেন এমন একটি মসজিদকে টার্গেট করা হয়েছিল। সেখানে বোমা বিস্ফোরণে প্রাণ হারাতে হয়েছিল অনেক পুলিশ কর্মী-অফিসারকে। এবার জঙ্গিরা রাতের অন্ধকারে এভাবে পুলিশের হেড কোয়ার্টারে হামলা চালানোয় বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে নিরাপত্তা নিয়েও। পুলিশ কোয়ার্টারে জঙ্গিহানা প্রসঙ্গে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘পাকিস্তান শুধু সন্ত্রাসকে মূল থেকে উপড়েই ফেলবে না। জঙ্গিদের মেরে যোগ্য ন্যায়বিচারও জোগাড় করে নেবে। রাষ্ট্রকে সুরক্ষিত করতে সন্ত্রাসের দুষ্টকে দমন করতেই হবে।’ সিন্ধ প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলি শাহ এই ঘটনার নিন্দা করেছেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Pakistan: অন্ধকারে নিমজ্জিত প্রায় গোটা পাকিস্তান! রাজধানী সহ করাচি, লাহোরে ব্যাহত বিদ্যুৎ পরিষেবা

    Pakistan: অন্ধকারে নিমজ্জিত প্রায় গোটা পাকিস্তান! রাজধানী সহ করাচি, লাহোরে ব্যাহত বিদ্যুৎ পরিষেবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েক মাস ধরেই প্রবল আর্থিক সংকটে ভুগছে পাকিস্তান। দেশে প্রথমে আটা ফুরিয়ে গেল, তারপর গ্যাস-পেট্রোলের সংকট, এখন বিদ্যুতের পালা। খবর আসছে, সোমবার সকাল থেকেই পাকিস্তানের একটা বড় অংশ অন্ধকারে নিমজ্জিত। বিশাল বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটল পাকিস্তানের ইসলামাবাদ, লাহোর এবং করাচির উল্লেখযোগ্য কয়েকটি অংশে। সেখানকার মানুষদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছাড়াই থাকতে হচ্ছে। ট্রান্সমিশন লাইনে ত্রুটির কারণেই সোমবার দেশের বিভিন্ন অংশে বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এখনও সেদেশের বেশিরভাগ অংশই অন্ধকারে রয়েছে।

    পাকিস্তান জুড়ে বিশাল বিদ্যুৎ বিভ্রাট

    পাকিস্তান ইলেক্ট্রিকের মুখপাত্র ইমরান রানা একটি ট্যুইটার পোস্টে লিখেছেন, “শহরের বিভিন্ন অংশ থেকে একাধিক বিদ্যুৎ বিভ্রাটের খবর পাওয়া গেছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।” প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, জাতীয় গ্রিডের সিস্টেম ফ্রিকোয়েন্সি আজ সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে বসে যায়, যার ফলে বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় ব্যাপক বিপর্যয় ঘটে। পরিষেবা স্বাভাবিক করতে জোরকদমে কাজ চলছে। সিস্টেম রক্ষণাবেক্ষণের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান সরকারের শক্তি মন্ত্রক।

    আরও জানা গিয়েছে, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে মেট্রো পরিষেবাও ব্যাহত হয়েছে, যার ফলে যাত্রীদের বিশাল সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ইসলামাবাদ ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির ১১৭টি গ্রিড স্টেশনেও বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে, পুরো শহর এবং রাওয়ালপিন্ডিকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিদ্যুৎ ফিরতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগত পারে।

    আরও পড়ুন: ‘ভারতীয় ভূখণ্ডে যোগ দিতে প্রস্তুত’, বললেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নেতা

    পাকিস্তানের কিছু সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গিয়েছে, করাচি এবং লাহোরের বেশ কয়েকটি এলাকা বিদ্যুৎবিহীন ছিল। আবার কোয়েটা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (QESCO) অনুসারে, গুড্ডু থেকে কোয়েটা পর্যন্ত দুটি ট্রান্সমিশন লাইন ছিঁড়ে গেছে। কোয়েটা সহ বেলুচিস্তানের ২২টি জেলা বিদ্যুৎবিহীন বলে জানিয়েছে এই সংস্থাটি।

    প্রসঙ্গত, পাকিস্তান আগে থেকেই আর্থিক, খাবার সংকটে ভুগছে।  কয়েক মাস ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহের অবস্থা খারাপ। বিদ্যুতের ঘাটতিতেও রয়েছে পাকিস্তান। ফলে সেদেশের সরকার দীর্ঘ বিদ্যুতের ঘাটতি এড়াতে এবং বিদ্যুত বাঁচাতে রাত ৮টায় বাজার বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করেছে। এরই মধ্যে আজ সকাল ৭টা ৩০ মিনিট থেকে দেশব্যাপী বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে দেশবাসী চরম সমস্যায় পড়েছে। বিপর্যয় এতটাই গভীর যে কত দ্রুত তা দূর করা যাবে, তা নিয়ে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরাই অন্ধকারে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Pakistan: সংখ্যালঘু নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের ‘পরামর্শকে’ খারিজ পাকিস্তানের

    Pakistan: সংখ্যালঘু নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের ‘পরামর্শকে’ খারিজ পাকিস্তানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল পাকিস্তানের (Pakistan) করাচিতে (Karachi) একটি হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। তারপরেই পাকিস্তানকে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরামর্শ দেয় ভারতের বিদেশ মন্ত্রক (Ministry of External Affairs)। ভারতের সেই মন্তব্যকে খারিজ করল পাকিস্তান।   

    বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী (Arindam Bagchi) বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “আমরা সম্প্রতি করাচিতে মন্দিরে ভাঙচুরের বিষয়ে জানতে পেরেছি। বার বার পাকিস্তানে আক্রান্ত হচ্ছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। বিষয়টির আমরা তীব্র নিন্দা করছি। পাকিস্তান সরকারকেও আমরা সেকথা জানিয়েছি। পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও অনুরোধ করেছি।”

    অরিন্দম বাগচীর এই মন্তব্যের পরেই পাকিস্তান এক বিবৃতি জারি করে বলে, তারা ভারতের এই মন্তব্যকে খারিজ করছে। এরপর ফের ভারতে মুসলিম নিরাপত্তাকে নিশ্চিত করার পরামর্শ দেয় পাকিস্তান।  

    অপরদিকে, নূপুর শর্মার মন্তব্যের বিষয়েও এদিন নিজের অবস্থান স্পষ্ট করল ভারত সরকার। এই বিষয়ে ভারতের স্পষ্ট বক্তব্য, ভারত সরকারের সঙ্গে কারও ব্যক্তিগত মন্তব্য গুলিয়ে ফেলাটা ঠিক নয়। আইনগতভাবে যা ব্যবস্থা নেওয়ার তা নূপুর শর্মাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন নেবে। কিন্তু, সেটা সম্পূর্ণই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।

    সম্প্রতি দুই প্রাক্তন বিজেপি নেতা হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন। তারপরেই মুসলিম দেশগুলি ভারতের সমালোচনা করে। পাকিস্তানও ভারতকে সংখ্যালঘু নিরাপত্তা নিয়ে ‘জ্ঞান’ দেওয়ার চেষ্ঠা করে। তার কিছুদিন পরেই পাকিস্তানের মুখ পুড়িয়ে দুষ্কৃতীরা হিন্দু মন্দিরে হামলা চালায়। আর তার প্রেক্ষিতেই পাকিস্তানকে ‘সংখ্যালঘু নিরাপত্তা’ নিয়ে খোঁচা দেয় ভারত।  
     
    প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার পয়গম্বরকে নিয়ে করা মন্তব্যে ইসলামিক দেশগুলিতে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় ভারতকে। আরব দেশগুলি ভারতের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে। সেই স্রোতে গা ভাসায় পাকিস্তানও। কিন্তু ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্যদেশের হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না। সাফ জানিয়ে দিল দিল্লি।

    ইসলামিক দেশগুলোর হস্তক্ষেপ যে কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না, তা কার্যত স্পষ্ট করল নয়াদিল্লি। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী সাংবাদিক বৈঠকে জানান,”যে ট্যুইট ও কমেন্টগুলি করা হয়েছে, তা সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন নয়। তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট মহল ব্যবস্থা নিয়েছে।”

    পয়গম্বর সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্যে জেরে বিজেপি ইতিমধ্য়েই নূপুর শর্মা ও নবীনকুমার জিন্দালকে দল থেকে সাসপেন্ড করেছে। পাশাপাশি, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। কিন্তু, সেই অনভিপ্রেত ঘটনার দোহাই দিয়ে অন্যান্য দেশ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবে, তা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। এই বিষয়টি কড়া ভাষায় জানিয়েছে মোদি সরকার।    
     
    এর মধ্যেই ভারত সফরে এসেছেন ইরানের বিদেশ মন্ত্রী হোসেন আমির আবদোল্লাহিয়াঁ। দিল্লিতে তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদি, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং শীর্ষ আমলাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। গত কাল রাতে ইরানের মন্ত্রী টুইটারে লেখেন, “দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করার জন্য আলোচনায় বসেছে দুই দেশ।  তেহরান এবং দিল্লি ধর্ম ও ইসলামের পবিত্রতাকে শ্রদ্ধা আর কোনও রকম বিতর্কিত মন্তব্য থেকে দূরে থাকার বিষয় সম্মত। এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর।”

    এরপরেই অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ নিয়ে ভারতের কড়া বার্তায় বিষয়টি থেকে খানিকটা পিছিয়ে আসে ইরানও। ভারত বার্তা দেওয়ার পর এই নিয়ে নতুন কোনও মন্তব্য করেনি ইরান। 

     

  • Stolen Bentley Car: অবাক কাণ্ড! লন্ডন থেকে চুরি হওয়া গাড়ি পৌঁছে গেল পাকিস্তানের করাচিতে! ভাইরাল ভিডিও

    Stolen Bentley Car: অবাক কাণ্ড! লন্ডন থেকে চুরি হওয়া গাড়ি পৌঁছে গেল পাকিস্তানের করাচিতে! ভাইরাল ভিডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার অদ্ভুত কাণ্ড ঘটিয়ে খবরের শিরোনামে পাকিস্তান। গাড়ি চুরি হল লন্ডনে, আর খুঁজে পাওয়া গেল করাচিতে! এ যেন একেবারে অবাক করা কাণ্ড। তবে এই গাড়ি যেই সেই গাড়ি নয়, তার নাম বেন্টলে।

    সংবাদ সূত্রের খবর, ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডন (London) থেকে চুরি হয়ে যাওয়া বিলাসবহুল বেন্টলে মুলসান সেডান (Bentley Mulsanne sedan) গাড়িটি করাচিতে নিয়ে আসা হয়েছিল। বাজারে যার আনুমানিক মূল্য ৩ লক্ষ মার্কিন ডলারেরও বেশি! ভারতীয় মুদ্রায় ২ কোটি টাকার বেশি। তবে কীভাবে লন্ডনের চুরি হওয়া গাড়ি করাচিতে পৌঁছলো এই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে কোনওমতে ঠেলেঠুলে গাড়িটিকে সরানোর চেষ্টা করছেন পাক কাস্টমসের কর্মীরা।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, জানা গিয়েছে ইউকে ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি থেকে তথ্য পাওয়ার পরে করাচির কালেক্টরেট অফ কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালায়। সেই সময় দেখা যায় বেন্টলে মুলসান সেডান গাড়িটি শহরের ডিএইচএ এলাকার একটি বাড়িতে পার্ক করা রয়েছে। পাক সংবাদমাধ্যমে জানা গিয়েছে, লন্ডন থেকে গাড়িটি চুরি করার পরে সেই গাড়ি থেকে ট্রেসিং ট্র্যাকার সরাতে পারেনি চোরের দল। আর এইভাবেই উন্নত ট্র্যাকিং সিস্টেমের মাধ্যমে গাড়ির কোথায় আছে তা খুব সহজেই বুঝতে পেরে যায় ইউকে ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি।

    আরও পড়ুন: স্কুলে নম্বর বেশি পাওয়ার ফল মৃত্যু! বিষ খাইয়ে খুন করার অভিযোগ সহপাঠীর মায়ের বিরুদ্ধে

    তবে জানা গিয়েছে অভিযান চলাকালীন দেখা যায়, সেই গাড়িতে পাকিস্তানের নম্বর প্লেট লাগানো ছিল। তবে তল্লাশি চালানোর পর জানা যায়, লন্ডন থেকে চুরি হওয়া গাড়ির চেসিস নম্বর আর সেই গাড়ির চেসিস নম্বর এক। এরপর গাড়ির মালিককে ওই গাড়ির উপযুক্ত কাগজপত্র দেখাতে বললে তা দেখাতে পারেনি। আর সেই কারণে গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করার সঙ্গে সঙ্গে বর্তমান মালিক এবং যে দালালের মাধ্যমে তিনি গাড়িটি কিনেছিলেন, তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, তদন্ত করে জানা গিয়েছে গাড়ি চুরির ক্ষেত্রে যারা যারা জড়িত ছিল তারা পূর্ব ইউরোপের একটি দেশের শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিকের কাগজপত্র ব্যবহার করে তা পাকিস্তানে নিয়ে গিয়েছিল। আবার, কাস্টমসের দায়ের করা এফআইআর থেকে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানে গাড়িটি নিয়ে যেতে পাকিস্তানের টাকায় প্রায় ৩০০ মিলিয়নের বেশি কর ফাঁকি দিয়েছে গাড়ি চোরেরা।

  • Karachi Blast: “শারি জান, তোমার জন্য আমি গর্বিত”, করাচির মহিলা আত্মঘাতী জঙ্গিকে টুইটে ‘শ্রদ্ধা’ চিকিৎসক স্বামীর

    Karachi Blast: “শারি জান, তোমার জন্য আমি গর্বিত”, করাচির মহিলা আত্মঘাতী জঙ্গিকে টুইটে ‘শ্রদ্ধা’ চিকিৎসক স্বামীর

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: স্ত্রী আত্মঘাতী জঙ্গি (suicide bomber)। করাচি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বিস্ফোরণ (Karachi Blast) ঘটিয়ে তিন চিনা নাগরিককে হত্যা করেছে। স্ত্রীর সেই কাজকে শুধু সমর্থন করাই নয়, এই কাজে অত্যন্ত গর্বিত অনুভব করে টুইটে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন আত্মঘাতী মহিলা জঙ্গির স্বামী! যিনি কিনা পেশায় আবার দন্ত-চিকিৎসকও বটে! আর স্ত্রী? উচ্চশিক্ষিতা শুধু নয়, পেশায় শিক্ষিকা। একইসঙ্গে দুই সন্তানের মা। করাচি বিস্ফোরণের মূল কাণ্ডারীর এই প্রোফাইল প্রকাশ্যে আসার পর সকলেই চমকে উঠছেন। বলছেন, এ-ও কী সম্ভব!

    মঙ্গলবার করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের (Karachi University) ভিতরে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের কাছে একটি ভ্যানগাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় তিন চিনা-সহ কমপক্ষে চারজনের। তাঁদের মধ্যে দু’জন মহিলা। আহত হন আরও অনেকে। মৃতেরা হলেন – কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের অধিকরতা হুয়াং গুইপিং, ডিং মুপেঙ্গ, চেন সা এবং পাকিস্তানের চালক খালিদ।

    হামলার দায় স্বীকার করে বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (Balochistan Liberation Army)। গোষ্ঠীর তরফে জানানো হয়, বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে মাজিদ ব্রিগেড ইউনিট। আত্মঘাতী হামলা চালানোর জন্য মানববোমা হিসেবে কাজে লাগানো হয়েছিল শারি বালোচ (Shaari Baloch) ওরফে ব্রামশকে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বোরখা পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের মুখে দাঁড়িয়ে এক মহিলা। চিনা নাগরিকদের নিয়ে সাদা একটা ভ্যান বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে যাওয়ার মুহূর্তে বিস্ফোরণ ঘটে।

    [tw]


    [/tw]

    পাক সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী, তিরিশ বছর বয়সী এই মহিলা উচ্চশিক্ষিত। দুই সন্তানের মা শারি বালুচিস্তান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণিবিদ্যায় এম.এসসি ডিগ্রি অর্জন করার পর আলামা ইকবাল ওপেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.ফিল নিয়ে পড়াশোনা করে। ২০১৪ সালে বিএড করে শারি। ২০১৮-তে এমএড। বালুচিস্তানের কেচ জেলায় একটি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করছিল এই মহিলা। বিয়ে হয়েছিল দন্ত চিকিৎসকের সঙ্গে। তাদের এক ছেলে এক মেয়ে। এক জনের বয়স আট, অন্য জনের পাঁচ।

    ছাত্রাবস্থায় বালোচ স্টুডেন্টস’ অর্গানাইজেশন-এর সঙ্গে যুক্ত ছিল শারি। বছর দুয়েক আগে সংগঠনের আত্মঘাতী স্কোয়াড মজিদ ব্রিগেডে যোগ দেয় সে। সেখানে যোগদানের পর থেকেই পাকিস্তানি সেনার বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখে। সূত্রের খবর, সে এই সংগঠনের মাজিদ ব্রিগেডের অংশ ছিল। এই ব্রিগেডের প্রধান উদ্দেশ্য হল, চিনা নাগরিকদের টার্গেট করা। 

    কীভাবে একজন শিক্ষিকা শেষ পর্যন্ত জঙ্গি দলে নাম লেখাল তা বিস্ময়ের উদ্রেক করছে। জানা গিয়েছে, লিবারেশন আর্মিতে যোগদানের সময় হামলাকারী মহিলার প্রধান বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল তার দুই সন্তান। সন্তান থাকার কারণে তাঁকে যোগদান করতে বারণ করা হয়, কিন্তু সেই সময় সে কোনও কথা শোনেনি। বরং লিবারেশন আর্মিতে যোগদান করার পর থেকেই সে নিজেকে করাচি হামলার জন্য প্রস্তুত করতে থাকে।

    [tw]


    [/tw]

    শারিকে অন্য কোনও স্কোয়াড বেছে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বিএলএ-র তরফে। কিন্তু সে তা প্রত্যাখ্যান করে। বরং আত্মঘাতী স্কোয়াডেই যে সে যোগ দিতে ইচ্ছুক, সে কথা দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে জানিয়েছিল। বিএলএ-র আত্মঘাতী স্কোয়াড মজিদ ব্রিগেডের নিয়ম অনুযায়ী শারিকে তার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য সময় দেওয়া হয়েছিল।

    ফলে গত দু’বছর ধরে মজিদ ব্রিগেডের বিভিন্ন শাখার সঙ্গে কাজ করে শারি। এই সময়ের মধ্যে আত্মঘাতী হামলা চালানোর জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছিল। মাস ছয়েক আগে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে শারি জানায়, আত্মঘাতী হামলার জন্য সে পুরোপুরি প্রস্তুত। তার পরই তাকে সরাসরি আত্মঘাতী স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়।

    তবে সবচেয়ে অবাক করছে হাবিতান বাশির বালোচ (Habitan Bashir Baloch) নামে তার স্বামীর টুইট (Twitter)। স্ত্রীর জন্য গর্ব অনুভব করার পাশাপাশি পেশায় ডাক্তার ওই ব্যক্তি তার পোস্টে লিখেছে, ”শারি জান, তোমার নিঃস্বার্থ বলিদান আমাকে নির্বাক করে দিয়েছে। সেই সঙ্গে গর্বে বুকটা ভরে যাচ্ছে। আমাদের দুই সন্তান মাহরোচ ও মীর হাসান বড় হয়ে যখন জানতে পারবে তার মা ছিল একজন ‘মহান’ মহিলা, তখন তারা গর্ব অনুভব করবে। তুমি আমাদের জীবনে এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে থেকে যাবে।”

    [tw]


    [/tw]

LinkedIn
Share