Tag: Kerala

Kerala

  • Russia Ukraine War: ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে গিয়ে মৃত্যু কেরলের যুবকের, রাশিয়াকে কড়া বার্তা কেন্দ্রের

    Russia Ukraine War: ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে গিয়ে মৃত্যু কেরলের যুবকের, রাশিয়াকে কড়া বার্তা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ (Russia Ukraine War) করতে গিয়ে মৃত্যু হল কেরলের এক যুবকের। এর ফলে ক্ষুব্ধ ভারত সরকার। রাশিয়ায় পাঠানো হল কড়া বার্তা। অবিলম্বে ভারতীয়দের, যারা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সামিল, তাদের ফেরত পাঠাতে বলা হয়েছে বিদেশমন্ত্রকের তরফে। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধে ভারতীয়রাও সামিল, এই খবর মিলেছিল আগেই। এর আগেও কমপক্ষে আটজন ভারতীয়ের যুদ্ধক্ষেত্রে মৃত্যুর খবর মিলেছিল। এবার কড়া ব্যবস্থা নিল ভারত সরকার।

    কড়া বার্তা দিল্লির

    দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধে রুশ মিলিটারির (Russia Ukraine War) সাপোর্ট সার্ভিসে বহু ভারতীয়কে নিয়োগ করেছিল পুতিন সরকার। অধিকাংশকেই চাকরির টোপ দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। মস্কোয় পৌঁছে তাদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বন্দুক। বিনা প্রশিক্ষণেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল যুদ্ধক্ষেত্রে (Indian in Russian Force)। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “মস্কোয় রুশ প্রশাসন এবং নয়াদিল্লিতে রাশিয়ার দূতাবাসে বিষয়টি জানানো হয়েছে। যে ক’জন ভারতীয় বর্তমানে রুশ সেনায় রয়েছেন, তাদের দ্রুত ফেরত পাঠানোর দাবি জানিয়েছি আমরা।”

    কাজের আসায় গিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে

    মৃত যুবকের নাম বিনিল টিবি। কেরলের ত্রিশূরের বাসিন্দা। পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান বিনিল এক আত্মীয়ের সঙ্গে কাজের খোঁজে রাশিয়ায় (Russia Ukraine War) যান এজেন্ট মারফত। তারা ইলেকট্রিশিয়ান ও প্লাম্বিংয়ের কাজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। রাশিয়ায় পৌঁছনোর পর তাঁদের পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করে নেওয়া হয় এবং জোর করে যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানো হয়। জানা গিয়েছে, বিনিলকে নিয়ে রাশিয়া যাওয়া তাঁরই এক আত্মীয় জৈন টিবি এই ঘটনার পর আহত হয়েছেন। বর্তমানে মস্কোর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই যুবক। তিনিও রাশিয়ার ফ্রন্টলাইন সার্ভিসে ছিলেন বলে খবর। জৈনের বস ২৭, আর বিনিলের বয়স ৩২। তাঁদের দুজনেরই শিক্ষাগত যোগ্যতার বিচারে আইটিআই মেকানিক্যালের ডিপ্লোমা ছিল। গত ৪ এপ্রিল তাঁরা রাশিয়ায় গিয়েছিলেন। সেখানে ইলেকট্রিশিয়ান ও কল সারাইয়ের কাজ পাবেন, এমন আশা নিয়ে তাঁরা যুদ্ধে লিপ্ত রাশিয়ায় পাড়ি দেন। এর কয়েক মাস পরই এল এই শোকের খবর।

    বিদেশ মন্ত্রকের দাবি

    বিদেশ মন্ত্রকের কাছে ভারতীয় যুবকের মৃত্যু ও আরেক যুবকের আহত হওয়ার খবর মিলতেই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করা হয়। মস্কোয় ভারতীয় দূতাবাস মৃতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। দ্রুত ওই যুবকের দেহ ভারতে ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে ভারত সরকারের তরফে বাকি ভারতীয়দেরও রুশ সেনা (Indian in Russian Force) থেকে মুক্তি দিয়ে দেশে ফেরানোর বার্তা পাঠানো হয়েছে। রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। মস্কোয় আমাদের দূতাবাস পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। আমরা রুশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করছি যাতে মৃতদেহ দ্রুত ভারতে পাঠানো যায়। আমরা আহত ব্যক্তিরও দ্রুত মুক্তি এবং ভারতে প্রত্যর্পণ চেয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Santosh Trophy 2024: ফুটবলে ফের ভারতসেরা বাংলা, ছ’বছর পর রবি হাঁসদার গোলে সন্তোষ ট্রফি জয়

    Santosh Trophy 2024: ফুটবলে ফের ভারতসেরা বাংলা, ছ’বছর পর রবি হাঁসদার গোলে সন্তোষ ট্রফি জয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফুটবলে ফের ভারতসেরা বাংলা। ছ’বছর পর কেরলকে হারিয়ে সন্তোষ ট্রফি (Santosh Trophy 2024) চ্যাম্পিয়ন সঞ্জয় সেনের ছেলেরা। এই নিয়ে ৩৩ বার ট্রফি এল বাংলায়। ২০১৭-১৮ এবং ২০২১-২২ মরসুমে সন্তোষ ট্রফি ফাইনালে কেরলের কাছে হেরে গিয়েছিল বাংলা। দু’বারই টাইব্রেকারে হারতে হয় বাংলাকে (Bengal Football Team)। এ বার সেই কেরলকে হারিয়েই ট্রফি এল ঘরে।

    জাতীয় চ্যাম্পিয়ন বাংলা

    ২০১৬-১৭ মরসুমের পর আবার ফুটবলে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হল (Santosh Trophy 2024) বাংলা। কোভিডের জন্য দু’বছর প্রতিযোগিতা হয়নি। সেই হিসাবে ছ’বছর পর মঙ্গলবার ফাইনালে কেরলকে ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হল বাংলা। কঠিন পরিশ্রমের ফলও আদায় করে নিল বাংলা। আম বাঙালি মেতে উঠেছেন বর্ষবরণের উৎসবে। বাংলার ফুটবল প্রেমীদের কাছেও এই জয় একটা উৎসব। কোনও তারকা নয়, একঝাঁক পরিশ্রমী ফুটবলারকে বেছে নিয়েছিলেন সঞ্জয় সেন। তাঁকে নিয়ে অবশ্য বিতর্কও হয়েছে। তিনি ব্যক্তিগত পছন্দের ভিত্তিতে প্লেয়ার বেছেছেন, এমন প্রশ্নও উঠেছিল। বাংলার কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর সঞ্জয় সেন এ সব প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন। তাঁর কাছে লক্ষ্যটা পরিষ্কার ছিল। ট্রফি জিততে পারলে যে সব প্রশ্নই অতীত হয়ে যাবে, ভালোভাবেই জানতেন ময়দানের অন্যতম সফল কোচ। আর সেটাই করে দেখালেন। ভরসা রাখলেন তাঁর বেছে নেওয়া ফুটবলাররাও।

    বাংলায় রবি-উদয়

    শক্তিশালী কেরলের বিরুদ্ধে ঘর সামলে আক্রমণে যাওয়ার পরিকল্পনা করে দল নামিয়েছিলেন বাংলার কোচ। সেই মতো হায়দরাবাদের বালাযোগী স্টেডিয়ামে শুরু থেকে প্রতি আক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলেন চাকু মান্ডি, শেখ আবুসুফিয়ানরা। খেলা গড়ানোর সঙ্গে ধীরে ধীরে মাঝমাঠের দখল নিতে শুরু করেন তাঁরা। মাটিতে বল রেখে নিজেদের মধ্যে পাস খেলার চেষ্টা করেছেন বাংলার ফুটবলাররা। বলের নিয়ন্ত্রণ অধিকাংশ সময় নিজেদের পায়ে রাখলেও কেরলের রক্ষণ ভাঙতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে বাংলার ফুটবলারদের। প্রথমার্ধে গোলের তেমন সুযোগ পায়নি কেরলও। ফলে গোলশূন্য অবস্থায় শেষ হয় প্রথম ৪৫ মিনিটের লড়াই। ম্যাচের অ্যাডেড টাইমে বাংলার হয়ে জয়সূচক গোল করেন রবি হাঁসদা। টুর্নামেন্টে (Santosh Trophy 2024) সব মিলিয়ে একডজন গোল করলেন রবি। বাংলার ফুটবলে হল রবি-উদয়। রবি হাঁসদা ভেঙে দিয়েছেন ভারতীয় ফুটবলের কিংবদন্তী মহম্মদ হাবিবের রেকর্ডও। ম্যাচের সেরা, টুর্নামেন্টের সেরা ফুটবলারও রবি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kerala Nurses Death Sentence: ইয়েমেনে মৃত্যুদণ্ড ভারতীয় নার্সের, কোন দোষে দোষী জানেন?

    Kerala Nurses Death Sentence: ইয়েমেনে মৃত্যুদণ্ড ভারতীয় নার্সের, কোন দোষে দোষী জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের কেরলের নার্স (Kerala Nurses Death Sentence) জেলবন্দি নিমিশা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে সিলমোহর দিলেন ইয়েমেনের (Yemen) প্রেসিডেন্ট রাশাদ আল আলিমি। গত সাত বছর ধরে ইয়েমেনের জেলে বন্দি রয়েছেন ওই মহিলা। তাঁর জীবন সংশয় হওয়ায় বিচলিত দেশ।

    খুনের দায়ে জেলবন্দি (Kerala Nurses Death Sentence)

    ইয়েমেনের বাসিন্দা তালাল আব্দো মাহদিকে খুনের দায়ে ২০১৭ সাল থেকে সে দেশের জেলে বন্দি রয়েছেন নিমিশা। বছর ছত্রিশের এই নার্সকে বাঁচানোর সব রকম চেষ্টা করা হয়েছে পরিবারের তরফে। প্রয়োজনীয় সাহায্য করেছে ভারতের বিদেশমন্ত্রকও। গ্রেফতার হওয়ার পরের বছরই ওই নার্সকে মৃত্যুদণ্ড দেয় ইয়েমেনের আদালত। আদালতের সেই রায়েই সিলমোহর দিলেন প্রেসিডেন্ট। ‘অস্বাভাবিক’ কিছু না ঘটলে এক মাসের মধ্যেই ওই নার্সের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে। কেরলের পালাক্কড় জেলার বাসিন্দা নিমিশা নার্স ছিলেন। ২০১৪ সালে তাঁর স্বামী ও মেয়ে ভারতে ফিরে এলেও, নিমিশা থেকে যান ইয়েমেনেই। ২০১৫ সালে মাহদির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ক্লিনিক খোলেন ভারতীয় ওই নার্স। পরে শুরু হয় দুই অংশীদারের মতবিরোধ। অভিযোগ, এই সময় নিমিশার পাসপোর্ট কেড়ে নেন মাহদি। পুলিশে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ।

    পাসপোর্ট ফেরাতেই খুন!

    মাহদির কাছ থেকে পাসপোর্ট ফেরাতে ২০১৭ সালের ২৫ জুলাই তাঁকে ঘুমের ইঞ্জেকশন দেন নিমিশা। ওভারডোজের কারণে মৃত্যু হয় মাহদির। পরে অন্য একজনের সাহায্যে মাহদির দেহ টুকরো টুকরো করে জলের ট্যাঙ্কে ফেলে দেন বলে অভিযোগ। ইয়েমেন থেকে পালানোর পথে ধরা পড়েন ওই নার্স। ২০১৮ সালে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে ইয়েমেনের আদালত। মেয়েকে বাঁচানোর যাবতীয় চেষ্টা করেন নিমিশার মা। ইয়েমেনে আইনজীবীর ব্যবস্থা করে দেয় ভারতের বিদেশমন্ত্রক। গত বছর নিমিশার সাজা মকুবের আবেদনও খারিজ হয়ে যায় ইয়েমেনের সুপ্রিম কোর্টে (Kerala Nurses Death Sentence)। দেশের শীর্ষ আদালতের মৃত্যুদণ্ডের রায়ে সিলমোহর দেন ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট।

    আরও পড়ুন: দেউলিয়া হয়ে যাবে আমেরিকা? এ কী শোনালেন ইলন মাস্ক!

    প্রিয়ার পরিবার সূত্রে খবর, নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথাবার্তা চলছিলই। সেপ্টেম্বর মাসে ভারতীয় দূতাবাস নিযুক্ত আইনজীবী আবদুল্লা আমির প্রাক-মীমাংসা পর্বেই ১৬.৬ লাখ টাকা দাবি করেন। বিদেশমন্ত্রকের তরফে তাঁকে সেই টাকা দেওয়াও হয়। পরে পারিশ্রমিক বাবদ দু’দফায় ৩৩ লাখ টাকা মিটিয়ে দিতে হবে বলে দাবি জানান তিনি। এই টাকা পেলেই নিহতের পরিবারের সঙ্গে নতুন করে কথাবার্তা শুরু করা যাবে বলে জানান (Yemen) তিনি। তাতেই দীর্ঘায়িত হয় বিষয়টি (Kerala Nurses Death Sentence)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Kerala: কেরালায় সমবায় ব্যাঙ্কে বিনিয়োগকারীর আত্মহত্যা, প্রতিবাদ বিজেপির

    Kerala: কেরালায় সমবায় ব্যাঙ্কে বিনিয়োগকারীর আত্মহত্যা, প্রতিবাদ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেরলে (Kerala) সমবায় ব্যাঙ্কে দুর্নীতির বলি আরও একজন। কেরলের সিপিএম সরকারের এই সমবায় জালিয়াতির কবলে পড়ে সব কিছু খুইয়ে নিঃস্ব হয়ে আত্মহত্যা করলেন এক ব্যক্তি। সাবু নামে ওই ব্যক্তি ইদুক্কি জেলার সমবায় সমিতিতে টাকা রেখেছিলেন। সিপিএম-নিয়ন্ত্রিত কাট্টপ্পানা গ্রামীণ উন্নয়নে নিজের টাকা খুইয়ে ২০ ডিসেম্বর ব্যাঙ্কের সামনেই আত্মহত্যা করেন ওই ব্যক্তি। 

    অসহায় সাবু

    সাবু সমবায় ব্যাঙ্কে ৩৫ লাখ টাকা জমা করেছিলেন, এর মধ্যে তিনি মাত্র ১৪ লক্ষ টাকা পুনরুদ্ধার করতে পেরেছিলেন। বাকি টাকা বারবার চেয়েও তিনি ব্যাঙ্ক থেকে সেই টাকা ফেরত পাননি। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রতিষ্ঠানটি আর্থিক সংকটে ছিল। তাই এই মুহূর্তে টাকা ফেরত দেওয়া সম্ভব হয়নি। মৃত্যুর দিন, সাবু আবারও ব্যাঙ্কের কাছে গিয়েছিলেন। তাঁর স্ত্রী মেরিকুট্টির চিকিৎসার জন্য টাকার দরকার ছিল। তিনি আশা করেছিলেন টাকা পেয়ে যাবেন। কিন্তু টাকা না পেয়ে হতাশায় নিজের জীবন শেষ করে দেন। সাবুর স্ত্রী এখন হাসপাতালে ভর্তি।

    আরও পড়ুন: এক যুগের অবসান! প্রয়াত পরিচালক শ্যাম বেনেগাল

    বিজেপির প্রতিবাদ

    মেরিকুট্টির কথায়, সাবু যতবারই ব্যাঙ্কের কাছে সাহায্য চেয়েছেন ততবারই অপমানিত হয়েছেন। সাবু তাঁর সুইসাইড নোটে ব্যাঙ্ক সেক্রেটারি রেজি এবং কর্মচারী সুজামল ও বিনয়ের নাম লিখে গিয়েছেন। তাঁদেরই নিজের মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছেন সাবু। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানায় বিজেপি। বিক্ষোভকারীরা প্রথমে সাবুর দেহ ব্যাঙ্ক প্রাঙ্গণ থেকে সরাতে বাধা দেয়, ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর দেওয়া হয়। পুলিশ অবশেষে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে। ২০১০ সালে এই সমবায় ব্যাঙ্ক দুর্নীতি মামলা প্রথম প্রকাশ্যে আসে। ইডি-র দাবি, জেলাস্তরের নেতাদের অঙ্গুলিহেলনেই ব্যাঙ্কের ম্যানেজার ও এজেন্টদের মাধ্যমে দরিদ্র গ্রাহকদের সম্পত্তি বন্ধক রেখে বেনামিদের নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি একই নামে একাধিকবার ঋণ দেওয়ারও অভিযোগ তুলেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sabarimala Temple: ৯ দিনে শবরীমালা দর্শন ছয় লাখের বেশি ভক্তের, মন্দিরের রাজস্ব ছুঁয়েছে ৪১ কোটি টাকা!

    Sabarimala Temple: ৯ দিনে শবরীমালা দর্শন ছয় লাখের বেশি ভক্তের, মন্দিরের রাজস্ব ছুঁয়েছে ৪১ কোটি টাকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয় দিনে ছয় লাখের বেশি ভক্ত শবরীমালা (Sabarimala Temple) দর্শন করেছেন। মন্দিরের রাজস্ব ছুঁয়েছে ৪১ কোটি টাকা। দেশব্যাপী দর্শনার্থীদের (Devotees) জন্য ভান্দিপেরিয়ার সাথরাম, ইরুমেলি এবং পাম্বাতে তিনটি স্পট অনলাইন বুকিং কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে পুণ্যার্থীদের মধ্যে আয়াপ্পান দর্শনকে ঘিরে ব্যাপক উন্মাদনা লক্ষ্য করা গিয়েছে। উল্লেখ্য কেরলের এই মন্দিরের দেবতা হলেন কুমার কার্তিক ঠাকুর। তাঁকে ঘিরে ২ মাস ধরে চলে মণ্ডলম-মাকারাভিলাক্কু তীর্থযাত্রা। এই সময়ে লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয় মন্দির-চত্বরে।

    বোর্ড সভাপতির বক্তব্য(Sabarimala Temple)

    ত্রাভাঙ্কোর দেবস্বম বোর্ড (টিডিবি) সভাপতি (Sabarimala Temple) পিএস প্রশান্ত বলেন, “মন্দিরের দরজা ১৬ নভেম্বর (বৃশ্চিকম ১) খোলা হয়েছিল, বর্তমান সময়ের মধ্যে ৬,১২,২৯০ জন তীর্থযাত্রী মন্দির দর্শন করেছেন। গত বছরের একই সময়সীমায় আগত ভক্তের (Devotees) সংখ্যা ছিল ৩০৩৫০১ জন। ফলে এই বছর ভক্তদের সংখ্যা রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সময়ের মধ্যে সংগৃহীত রাজস্ব উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১.৬৪ কোটি টাকায়, যা গতবারের তুলনায় ১৩.৩৩ কোটি বেশি। তবে সবটাই হয়েছে আগত দর্শনার্থীদের নানা সুযোগ-সুবিধা এবং পরিষেবার ব্যবস্থা করার ফলে। ভক্তদের ক্রমবর্ধমান চাপ সামলানোর জন্য পাম্বার মনাপুরাম অনলাইন বুকিং কেন্দ্রে নানা ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ ‘দায়ী প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়’! মহারাষ্ট্রে উদ্ধবদের বিপর্যয় নিয়ে মন্তব্য সঞ্জয় রাউতের

    আগত ভক্তদের সকলেই দর্শন করতে পারবেন

    মন্দির (Sabarimala Temple) কর্তৃপক্ষের তরফে দাবি করা হয়েছে, এমন আর এমন কোনও পরিস্থিতি নেই যাতে আগত দর্শনার্থীদের মন্দির দর্শন না করেই ফিরে যেতে হবে। অনলাইন বুকিং বিশেষ ভাবে কার্যকর হয়েছে। তবে যাঁরা অনলাইনে বুকিং করে আসবেন, তাঁদের স্পট বুকিংয়ের জন্য আধার কার্ডের নকল কপি রাখতে হবে। সকল দর্শনার্থীদের প্লাস্টিক জাতীয় দ্রব্য বর্জনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে পিএস প্রশান্ত আরও বলেন, “মন্দিরের পাশে অবস্থিত পাম্বা নদীতে কাপড় ফেলে যাওয়ার সঙ্গে পুজোর রীতির কোনও সম্পর্ক নেই। তা নদীকে অনেকটাই দূষিত করে। তাই ভক্তদের (Devotees) অপ্রয়োজনীয় বিষয় ত্যাগ করতে হবে।” মন্দিরের ট্রাস্টের সঙ্গে আরও ২০টি সরকারি বিভাগের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মন্দির দর্শনে বিশেষ পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lionel Messi: ১৪ বছর পর ফের ভারতে আসছেন মেসি! কবে, কোথায় খেলবেন ফুটবলের রাজপুত্র?

    Lionel Messi: ১৪ বছর পর ফের ভারতে আসছেন মেসি! কবে, কোথায় খেলবেন ফুটবলের রাজপুত্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে আসছেন লিওনেল মেসি (Lionel Messi)৷ ২০১১ সালের পর ফের একবার। সেবার কলকাতায় প্রদর্শনী ম্যাচ খেলেছিলেন ফুটবলের রাজপুত্র। ১৪ বছর পর ভারতে আসার কথা মেসির। আগামী বছর কেরলে (Kerala) খেলতে আসতে পারেন তিনি। ২০২৫ সালে ভারতে একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে আর্জেন্টিনা। সেই দলে থাকবেন মেসি। বুধবার এমনই জানান কেরলের ক্রীড়ামন্ত্রী ভি আবদুরাহিমন। কেরল সরকারের তত্ত্বাবধানে এই ম্যাচের আয়োজন করা হবে।

    কবে-কোথায় খেলবেন মেসি?

    আবদুরাহিমন বলেন, ‘এই হাই-প্রোফাইল ফুটবল ম্যাচ আয়োজন করতে আর্থিক সাহায্য করবে রাজ্যের শিল্পপতিরা।’ আর্জেন্টিনা ফুটবল সংস্থার সঙ্গে ইতিমধ্যেই আনুষ্ঠানিক কথাবার্তা সেরে রেখেছে কেরল (Kerala) সরকার। এদেশে অন্তত দুটি ম্যাচ খেলবে ২০২২-র বিশ্বকাপ জয়ীরা। তবে মেসি (Lionel Messi) আদৌ খেলবেন কিনা, সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে আছে আর্জেন্টিনার ফুটবল সংস্থার উপর। এই নিয়ে কেরলের ক্রীড়ামন্ত্রীর বক্তব্য, খুব শীঘ্রই একটি প্রতিনিধি দল কেরলে (Kerala) আসবে পরিকাঠামো পর্যবেক্ষণের জন্য। কোচিতে ৬০ হাজার দর্শকের স্টেডিয়ামে ম্যাচটি হবে বলেই আপাতত জানা যাচ্ছে। তবে প্রতিপক্ষ কে হবে, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

    আরও পড়ুন: উন্নতির জোয়ার! ২০৩০ সালের মধ্যে ১৩ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত হবে ভারতের ক্রীড়া শিল্প

    কলকাতায় আসবেন মেসি!

    শোনা যাচ্ছে, শুধুমাত্র কেরল (Kerala) নয়, কলকাতায় আসতে পারেন মেসি (Lionel Messi)। এর আগে একবার কলকাতায় এসেছেন আর্জেন্টাইন তারকা। অধিনায়ক হিসেবে কল্লোলিনীতেই আত্মপ্রকাশ হয় মেসির। দু’দিনের সফরে এসেছিলেন। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ভেনিজুয়েলার বিরুদ্ধে একটি প্রদর্শনী ম্যাচ খেলে আর্জেন্টিনা। আরও একবার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের একঝলক পেতে মরিয়া কলকাতার মেসি ভক্তরা।‌ দীর্ঘদিন ধরে তাঁকে শহরে আনার চেষ্টা করছেন এক ক্রীড়া উদ্যোগপতি। কথাবার্তা অনেকদূর এগিয়েছে। রোজারিওতে মেসির বাবার সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। কথা প্রায় চূড়ান্ত এখন শেষ লগ্নের প্রস্তুতি। সাল ২০১১, কলকাতা জুড়ে আবেগের ঝড় উঠেছিল নীল-সাদা জার্সির আর্জেন্টিনাকে কেন্দ্র করে। সকলের মধ্যমণি মেসি (Lionel Messi)। এর মধ্যে কলকাতায় ঘুরে গিয়েছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলকিপার এমি মার্টিনেজ। কিন্তু মেসি অনুরাগীদের মন যে আটকে মেসিতেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Prakash Javadekar: ওয়াকফ জমির তালিকা প্রকাশের দাবি! কেরলের এলডিএফ এবং ইউডিএফকে কটাক্ষ প্রকাশ জাভড়েকরের

    Prakash Javadekar: ওয়াকফ জমির তালিকা প্রকাশের দাবি! কেরলের এলডিএফ এবং ইউডিএফকে কটাক্ষ প্রকাশ জাভড়েকরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেরল (Kerala) সরকারের কাছে ওয়াকফ জমির পূর্ণ তথ্য প্রকাশের দাবি জানালেন বিজেপির প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর (Prakash Javadekar)। মঙ্গলবার পলাক্কাদে এক সভায় বিজেপির এই প্রভাবশালী নেতা জানিয়েছেন, এই তথ্যের মধ্যে সরকারি জমি, ব্যক্তিগত জমি, কৃষকদের জমি, এবং অন্য ধর্মের মানুষের জমি—সবকিছুই অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত। তাঁর দাবি, রাজ্য সরকারের কাছে এসব তথ্য ইতিমধ্যেই রয়েছে । সরকারের উচিত ২০ নভেম্বরের মধ্যে তা প্রকাশ করা।

    ওয়াকফ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

    ওয়াকফকে কেন্দ্র করে প্রাক্তন মন্ত্রী বলেন, এটি বর্তমানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ওয়াকফ বোর্ড যে কোনও সম্পত্তির দাবি করতে পারে। তিনি উল্লেখ করেন, মন্দির বা চার্চের বিষয়ে যদি কোনও বিতর্ক থাকে, তবে সংশ্লিষ্ট পক্ষ আদালতে যেতে পারে। কিন্তু ওয়াকফের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে, তা আদালতে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এটি দেশের মধ্যে দুটি ভিন্ন আইন ব্যবস্থা সৃষ্টি করছে, যা কেরলের জনগণ উপলব্ধি করতে পারছে। তাঁর কথায়, ওয়াকফ একটি সাম্প্রদায়িক সমস্যা নয়, বরং এটি অসাম্প্রদায়িক সমাজের বিরুদ্ধে একচেটিয়া মনোভাবের প্রকাশ (Prakash Javadekar)। 

    মুনাম্বাম এলাকায় ওয়াকফ বোর্ডের ভূমিকা

    মুনাম্বাম এলাকায় ওয়াকফ বোর্ডের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রকাশ (Prakash Javadekar)। সম্প্রতি ওই অঞ্চলে জমির অধিকার নিয়ে বিতর্ক চলছে। তিনি কেরল (Kerala) সরকারের কাছে জানতে চান, মুনাম্বামের জমি কি ওয়াকফের অন্তর্গত? ওখানে প্রায় ৬০০ খ্রিস্টান পরিবারের বাস। ওয়াকফ বোর্ডের তরফে তাদের উঠে যেতে বলা হচ্ছে। দাবি করা হচ্ছে ওই জমি নাকি ওয়াকফের অন্তর্গত। এই ঘটনায় মুনাম্বামে আন্দোলন চলছে। এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি। দলের সাংসদ সুরেশ গোপি এই বিষয়ে কেরালার শাসক জোট (এলডিএফ) এবং বিরোধী জোট (ইউডিএফ)-এর মুসলিম সম্প্রদায়কে তোষণনীতির সমালোচনা করেছেন। বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি শোভা সূরেন্দ্রন অভিযোগ করেছেন, এলডিএফ এবং ইউডিএফ মুনাম্বামের মানুষদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে এবং তারা ওয়াকফ সংশোধনী বিষয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট না করায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Landslide: ভারী বৃষ্টি হলেই ভাঙছে পাহাড়, বার বার ভারতে নামছে ভূমিধস, কী কারণে?

    Landslide: ভারী বৃষ্টি হলেই ভাঙছে পাহাড়, বার বার ভারতে নামছে ভূমিধস, কী কারণে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গ বিপর্যস্ত। পাহাড়ে একাধিক জায়গায় ধস (Landslide) নেমেছে। ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে রয়েছে। ধসের কবলে রাস্তার পাশাপাশি বাড়িও রয়েছে। শুধু পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং নয়, কিছুদিন আগে কেরলের কেরলের ওয়েনাডে ভারী বৃষ্টির জেরে ভূমি ধসের ঘটনার সাক্ষী রয়েছেন দেশবাসী। এই বিপর্যয়ে ২০০ জনের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। বার বার ধস কেন হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    ভূমি ধস প্রবণ এলাকা কোনগুলি? (Landslide)

    আরএমএসআই (RMSI) নামে একটি প্রযুক্তিগত সংস্থা মূলত ভূমিধসের (Landslide) কারণ নিয়ে কাজ করে। তারা দেশের (India) অন্যান্য ভূমিধস-প্রবণ অঞ্চলের সঙ্গে তুলনা করে বিভিন্ন রাজ্যে ভূমিধসের ধরণগুলি বিশ্লেষণ করে। ওই সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতের আনুমানিক ৩০ শতাংশ জমি পাহাড়ি এলাকায়। ২২টি রাজ্য এবং পুদুচেরির কিছু অংশ এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশের মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে অরুণাচল প্রদেশ, সিকিম, কেরল, মেঘালয়, মহারাষ্ট্র, মণিপুর, উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশ।   

    আরও পড়ুন: পুজোর মুখে মরশুমের প্রথম তুষারপাত সিকিমের ছাঙ্গুতে, কিন্তু পর্যটকরা পৌঁছাবেন কীভাবে?

    ভূমিধসের কী কী কারণ রয়েছে?

    গবেষকদের মতে, দ্রুত জলবায়ু পরিবর্তনই ভূমিধসের অন্যতম কারণ। সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, বার্ষিক বৃষ্টিপাতের তীব্রতা আগামী দশকগুলিতে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। উদাহরণস্বরূপ, কর্ণাটকের বেঙ্গালুরু শহরে ২০৫০ সালের মধ্যে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের তীব্রতা ৩৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। ২০৮০ সালের মধ্যে অসমের গুয়াহাটিতে বার্ষিক বৃষ্টিপাত ২১ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে। পাহাড়ি এলাকায় রাস্তা তৈরি ধসের (Landslide) অন্যতম কারণ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৯৫০ সাল নাগাদ ভারতের রাস্তার দৈর্ঘ্য ৩, ৯৯,৯৪২ বর্গ কিমি। ২০২১ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৬২, ৯৫, ৭১৭ বর্গ কিমি হয়েছে। অর্থাৎ, প্রায় চার লক্ষ বর্গ কিমি থেকে বেড়ে প্রায় ৬৩ লক্ষ বর্গ কিমি হয়েছে। ফলে, প্রচুর পরিমাণ গাছ কেটে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে।

    ভূমিধসের তিন প্রধান কারণ

    ভূমিধসের মূলে প্রধানত তিন কারণ। মূল কারণগুলি হল ভূতত্ত্ব, জমির গঠন ও মানুষের কার্যকলাপ। কোনও এলাকার ভূতত্ত্ব ও জমির গঠনের ওপর সেই এলাকা ভূমিধস প্রবণ হবে কিনা তা নির্ভর করলেও মানুষের যথেচ্ছ কার্যকলাপকে অস্বীকার করা যায় না। কেরলে সাম্প্রতিক বছরে ভূমিধসের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে উঠে আসছে বেআইনি নির্মাণ কাজ, নিয়ম বহির্ভূতভাবে জমিতে চাষাবাদ। এছাড়াও নিয়ম না মেনে সেচ, বনভূমি উজাড়, বেআইনি খনন কাজ, গাছ ধ্বংস ভূমিধসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে। কেরলে অতিবৃষ্টি ভূমিধসের অন্যতম কারণ। কারণ অতিবৃষ্টিতে মাটি আলগা হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মত, বিগত কয়েক বছর ধরে অপরিকল্পিত বাসস্থান নির্মাণ ঘন ঘন ভূমিধসের অন্যতম প্রধান কারণ। এছাড়া গত কয়েক বছরে ভৌগলিক পরিবর্তন ঘটায় এই সমস্যা আরও বেড়েছে।

    সংস্থার অন্যতম কর্মকর্তা কী বললেন?

    সংস্থার অন্যতম কর্মকর্তা পুষ্পেন্দ্র জোহারি বলেন, ‘‘যখন আমরা উন্নয়ন করার নামে প্রাকৃতিক পরিবেশকে নষ্ট করি। বিশেষ করে গাছপালা কেটে ফাঁকা করে, জল শোষণের ধরণগুলি পরিবর্তন করে বা নরম  জমিতে রাস্তা এবং বিল্ডিং তৈরি করে ভূমি ধসে (Landslide) প্রবণতা বাড়িয়ে দিই।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA: ‘মুসলিম রাষ্ট্র হবে ভারত, ধ্বংস করা হবে আরএসএস-কে’! কেরলে প্রচার ইসলামি মৌলবাদীদের

    NIA: ‘মুসলিম রাষ্ট্র হবে ভারত, ধ্বংস করা হবে আরএসএস-কে’! কেরলে প্রচার ইসলামি মৌলবাদীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০৫০ সালের ১ জানুয়ারির ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্র ঘোষণা করা হবে। এমনই চাঞ্চল্যকর ও ভয়ঙ্কর তথ্য সামনে এসেছে কেরলে। ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্র বানানোর এই চক্রান্তের মূল কুচক্রী হল নিষিদ্ধ পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (পিএফআই) শাখা সংগঠন সোশালিস্ট ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া। তাদের সঙ্গে জুড়েছে আরও কয়েকটি উগ্র মৌলবাদী ইসলামিক সংগঠন। গোয়েন্দাদের দাবি, শুধু ঘোষণা করাই নয়, এ নিয়ে তারা পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি দুটোই শুরু করে দিয়েছে। ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্র তৈরি করার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে ইতিমধ্যে সমাজমাধ্যম জুড়ে শুরু হয়েছে প্রচারও (Kerala)। আরও ভয়ঙ্কর তথ্য, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘকে (RSS) ২০৪০-এর মধ্যে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করার পরিকল্পনা করেছে উগ্র মৌলবাদী ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনগুলি। এনিয়ে চলছে রীতিমতো প্রচারও। ভয়ঙ্কর এই চক্রান্ত প্রকাশ্যে এনেছে এনআইএ (NIA)। 

    সময়সীমা বেঁধে দিয়ে চলছে প্রচার (NIA)

    সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া (Kerala) এবং অন্যান্য ইসলামিক মৌলবাদী সংগঠনগুলি যে সময়সীমা নির্ধারণ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, কেরলে তারা শাসন করতে চায় ২০৩১ সালের মধ্যে, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘকে তারা ধ্বংস করতে চায় ২০৪০ সালের মধ্যে, ভারতকে তারা শাসন করতে চায় ২০৪৭ সালের মধ্যে এবং ভারতবর্ষকে ইসলামিক রিপাবলিক দেশ হিসেবে তারা ঘোষণা করবে ২০৫০ সালের ১ জানুয়ারি।

    এমন অ্যাজেন্ডা (RSS) দীর্ঘদিনের, তদন্তে এনআইএ

    এনআইএ-র (NIA) দাবি, মৌলবাদীদের যে অ্যাজেন্ডা সামনে এনেছে তা এখনকার নয়। অনেক দিন ধরেই চলছে। এর আগে ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্র ঘোষণা করার বক্তব্য এবং সে সংক্রান্ত পুস্তিকা বিতরণও করতে দেখা গিয়েছে ইসলামিক জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে। এনিয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত করেছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ। চলতি বছরের ২৬ জুন এনআইএ-র রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ২০২২ সালে কেরলের আরএসএস (RSS) নেতা শ্রীনিবাসনকে হত্যা করা হয়। এই হত্যার পিছনে যুক্ত থাকতে দেখা যায়, পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া এবং সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়াকে।

    গোটা পরিকল্পনা প্রকাশ্যে এনেছে এনআইএ

    এনআইএ (NIA) কেরল হাইকোর্টে যে রিপোর্ট জমা করে সেখানে তারা ইসলামিক মৌলবাদী সংগঠনগুলির যাবতীয় পরিকল্পনা তুলে ধরে। এনআইএ আরও জানায়, ২০৪৭ সালের মধ্যে তারা (মৌলবাদী সংগঠন) ভারতবর্ষে ইসলামিক শাসনকে কায়েম করতে চায় এবং সেই পরিকল্পনারই অংশ হিসেবে আরএসএস (RSS) নেতাকে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া ও এসডিপিআই-এর একাধিক সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় আট পাতার একটি ইস্তাহার। এখানেই লেখা ছিল ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্র বানানোর চক্রান্তের কথা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mpox: পুজোর আগে ভারতে হানা মাঙ্কিপক্সের ভয়ানক ভ্যারিয়েন্টের! কেন সতর্ক করেছিল ‘হু’?

    Mpox: পুজোর আগে ভারতে হানা মাঙ্কিপক্সের ভয়ানক ভ্যারিয়েন্টের! কেন সতর্ক করেছিল ‘হু’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই পুজো। তার ঠিক আগেই মাঙ্কিপক্সের (Mpox) নতুন উপরূপ ‘ক্লেড ১বি’-এর সংক্রমণের হদিশ মিলল ভারতেও। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, কেরলের মলপ্পুরমে এক যুবকের শরীরে মাঙ্কিপক্সের ক্লেড ১বি-র সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এমপক্সের নতুন উপরূপ ক্লেড ১ প্রসঙ্গে সম্প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)।

    ভারতে প্রথম আক্রান্ত

    সরকারি সূত্রে খবর, কেরলের মলপ্পুরমে এক রোগীর শরীরে এমপক্সের (Mpox) ক্লেড ১বি-র সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এমপক্সের এই উপরূপে প্রথম কেউ আক্রান্ত হলেন ভারতে। বছর আটত্রিশের ওই রোগী সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে ফিরেছিলেন। দেশে ফেরার পর থেকেই তাঁর বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। গত মাসেই দেশে ফেরার পর থেকে জ্বরে ভুগছিলেন ওই রোগী। ত্বকে র‌্যাশ বেরিয়েছিল। চিকেনপক্সে যেমন হয়, অনেকটা সেই রকমই। পরে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে যান তিনি। সেই সময়ে উপসর্গ দেখে সন্দেহ হয় চিকিৎসকের। নমুনা পরীক্ষা করা হলে শরীরে এমপক্সের সংক্রমণ ধরা পড়ে। এর আগে দিল্লিতে এক রোগীর শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। তবে সেটি ছিল ক্লেড ২ উপরূপের সংক্রমণ।

    আরও পড়ুনঃ মধ্য চল্লিশেই স্পষ্ট লক্ষণ? অ্যালজাইমার্স রোগের জানান দেবে কোন উপসর্গ?

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্বেগ

    মাঙ্কিপক্সের (Mpox) নতুন উপরূপ বিশ্বের একাধিক দেশে মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। যেহেতু সেটি দ্রুত গতিতে সংক্রমণ ছড়ায়। অফ্রিকায় ছড়ানোর পর গত অগাস্ট মাসে এমপক্স নিয়ে গোটা বিশ্বে সতর্কতা জারি করে হু (WHO)। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের পর এই নিয়ে দ্বিতীয় বার মাঙ্কিপক্স নিয়ে সতর্কতা জারি করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। উল্লেখ্য, মাঙ্কিপক্স নিয়ে বিশ্বের একাধিক প্রান্তে উদ্বেগের মধ্যেই সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে উৎসবের মরশুমে রাজ্যগুলিকে সতর্ক করে একটি নির্দেশিকাও জারি করেছে কেন্দ্র। আশির দশকে প্রথম মাঙ্কি পক্সের খোঁজ মিলেছিল। তার পর থেকে মূলত পশ্চিম এবং মধ্য আফ্রিকার দেশগুলিতেই এই রোগ সীমাবদ্ধ ছিল। কারণ, মাঙ্কি পক্স পশুবাহিত রোগ। আর যে ধরনের পশুর শরীর থেকে এ রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা, তাদের বাস মূলত গ্রীষ্মপ্রধান এলাকার বৃষ্টি বনাঞ্চলে (রেন ফরেস্ট)। চিকেন পক্সের মতো মাঙ্কি পক্সের ক্ষেত্রে কেবল গায়ে র‌্যাশ কিংবা ফুসকুড়ি বেরোয়। কিন্তু মাঙ্কি পক্সের ক্ষেত্রে সারা গায়ের পাশাপাশি, লসিকাবাহেও ছড়িয়ে পড়ে সংক্রমণ। এই ভাইরাসের কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share