Tag: Kiren Rijiju

Kiren Rijiju

  • Waqf Amendment Bill: ‘‘ভাবুন, মন্দির সহ গোটা গ্রামকেই ওয়াকফ ঘোষণা করে হয়েছে’’! সংসদে রিজিজু

    Waqf Amendment Bill: ‘‘ভাবুন, মন্দির সহ গোটা গ্রামকেই ওয়াকফ ঘোষণা করে হয়েছে’’! সংসদে রিজিজু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছু সংখ্যক লোক দেশে ওয়াকফ বোর্ড দখল করেছে এবং সাধারণ মুসলমানরা ন্যায়বিচার পাচ্ছে না, সংসদে দাবি করলেন সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। লোকসভায় (Kiren Rijiju) তিনি বলেন, “ওয়াকফ আইনের সংশোধনী (Waqf Amendment Bill) বিধানগুলি বছরের পর বছর ধরে একাধিক তদন্ত প্রতিবেদন এবং লক্ষাধিক স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে বিস্তৃত পরামর্শের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এদিন মন্ত্রী, ওয়াকফ সংস্থাগুলির দ্বারা অবৈধভাবে দখল করা জমি ও সম্পত্তির বেশ কয়েকটি উদাহরণ সংসদে পেশ করেন। “তামিলনাডুর তিরুচিরাপল্লি জেলায় ১,৫০০ বছরের পুরনো সুন্দরেশ্বর মন্দির সহ গোটা গ্রামটিকে ওয়াকফ সম্পত্তি ঘোষণা করা হয়। একটু ভাবুন, পুরো গ্রামটিকে ওয়াকফ ঘোষণা করা হয়েছে। এরকম বহু উদাহরণ রয়েছে।” জানান মন্ত্রী। 

    কর্পোরেশনের ভবনও কি ওয়াকফ সম্পত্তি (Waqf Amendment Bill)

    এছাড়া, সুরাট মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশনের উদাহরণও পেশ করেন মন্ত্রী। “সুরাট মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশনের সদর দফতরকে ওয়াকফ সম্পত্তি ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে মন্ত্রীর ধর্ম নিয়ে এদিন সংসদে প্রশ্ন করে অসংসদীয় আচরণ করেন বিরোধী কয়েকজন সাংসদ। পাল্টা কিরেন (Kiren Rijiju) জবাব দেন, “এই দেশে কোনও পদে আসীন হতে গেলে বা মন্ত্রী হতে গেলে নির্দিষ্ট ধর্মের হতে হবে এই উল্লেখ সংবিধানে নেই। আমি একজন বৌদ্ধ, হিন্দু বা মুসলিম ধর্মের প্রতিনিধি নই। আমি সরকার এবং জনগণের প্রতিনিধি। কিন্তু আমি সব ধর্মকে সম্মান করি। এটাকে ধর্মীয় ইস্যু হিসেবে দেখবেন না। পুরসভা কি ব্যক্তিগত সম্পত্তি? পুরসভার সম্পত্তিকে কীভাবে ওয়াকফ সম্পত্তি ঘোষণা করা যায়?” তিনি প্রশ্ন তোলেন।

    মুসলিমদের অনগ্রসর শ্রেণির প্রতিনিধিত্বের সুযোগ (Kiren Rijiju)

    ১৯৭৬ সালের একটি তদন্তমূলক প্রতিবেদনের দিকেও ইঙ্গিত করেন কিরেন, যা ওয়াকফ বোর্ডগুলিকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করার পদক্ষেপের সুপারিশ করেছিল। তিনি ওয়াকফ (Waqf Amendment Bill) বোর্ডে আরও প্রতিনিধিত্বের জন্য সাচার কমিটির সুপারিশ উল্লেখ করেছেন। মুসলিমদের মধ্যে শিয়া, বোহরা, আগাখানি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির প্রতিনিধিত্বের জন্য প্রস্তাবিত আইনে বিধান তুলে ধরে তিনি (Kiren Rijiju) বলেন, “একটি সম্প্রদায় যদি ছোট সম্প্রদায়কে পিষ্ট করে, তাহলে এই সংসদ কীভাবে তা অনুমোদন করবে?”

    বিলের বিধানে ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হবে না

    সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী (Kiren Rijiju) এদিন অভিযোগ করেন, “বিরোধীরা এই সংস্থাগুলিতে ক্ষমতা দখল করার উদ্দেশ্যে একটি অংশকে উস্কে দিচ্ছে এবং ওয়াকফ কর্তৃপক্ষের জন্য মুসলমানদের মধ্যেই ব্যাপক অসন্তোষ রয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “বিলের (Waqf Amendment Bill) বিধানগুলি ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে না এবং কোনওভাবেই সংবিধান লঙ্ঘন করে না। কেন্দ্র এই আইনের বিভিন্ন দিক খতিয়ে জন্য যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠাতে সম্মত হয়েছে।”

    স্বচ্ছ ব্যবস্থার জন্য প্রয়োজন

    রিজিজু (Kiren Rijiju) দাবি করেন, বিরোধীদের অনেক নেতা তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে বলেছেন, রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডগুলি মাফিয়ায় পরিণত হয়েছে। এই বিল সময়ের দাবি, এবং স্বচ্ছ ব্যবস্থার জন্য প্রয়োজনীয় বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।  

    এর আগে, ওয়াকফ (Waqf Amendment Bill) বিলের প্রস্তাবিত পরিবর্তন নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করেছিল বিরোধীরা। কংগ্রেস নেতা কেসি ভেনুগোপাল প্রস্তাবিত আইনটিকে ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো ব্যবস্থার পরিপন্থী বলে অভিহিত করেন। সংসদে দ্বিতীয় বৃহত্তম বিরোধী রাজনৈতিক দল সমাজবাদী পার্টিও এই বিলের বিরোধিতা করেছে। 

    আরও পড়ুন: ওয়াকফ সংশোধনী বিলে কেন্দ্রকে সমর্থন এনডিএ জোট সঙ্গীদের, কী বলল তারা?

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Waqf Amendment Bill: লোকসভায় পেশ ওয়াকফ সংশোধনী বিল, কী কী নতুন বৈশিষ্ট্য আছে?

    Waqf Amendment Bill: লোকসভায় পেশ ওয়াকফ সংশোধনী বিল, কী কী নতুন বৈশিষ্ট্য আছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার লোকসভায় পেশ হল ওয়াকফ সংশোধনী বিল (Waqf Amendment Bill)। এদিন বিলটি লোকসভায় পেশ করেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju)। তিনি কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রীও। বিলটি পরে সংখ্যালঘু মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে পাঠানো হবে বলেও সূত্রের খবর।

    নয়া আইনের লক্ষ্য (Waqf Amendment Bill)

    প্রস্তাবিত সংশোধনীটি লোকসভায় পাশের পর রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেলে আইনটির নয়া হবে ‘ইউনিফায়েড ওয়াকফ ম্যানেজমেন্ট এমপাওয়ারমেন্ট, এফিসিয়েন্সি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাক্ট’। এই বিলে পুরানো আইনটিতে ৪৪টি সংশোধন আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই সংশোধনীর মূল লক্ষ্যই হল, একটি কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে ওয়াকফ সম্পত্তির নথিভুক্তিকরণ নিয়ন্ত্রণ করা। প্রস্তাবিত অন্য সংশোধনীগুলির মধ্যে রয়েছে একটি কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের পাশাপাশি প্রতিটি রাজ্যে ওয়াকফ বোর্ড গঠন, যেখানে মুসলিম মহিলা এবং অ-মুসলমানদের প্রতিনিধিত্ব থাকবে।

    ওয়াকফ কাউন্সিলের গঠন

    সংশোধনী অনুযায়ী, নতুন করে যে কেন্দ্রীয় ওয়াকফ পরিষদ গঠিত হবে, তার চেয়ারম্যান হবেন সংখ্যলঘু বিষয়ক মন্ত্রী। পরিষদে দু’জন অমুসলিম সদস্য থাকা বাধ্যতামূলক। দু’জন মহিলা সদস্যও থাকবেন। রাজ্যগুলিতে যে ওয়াকফ বোর্ড হবে, তা শিয়া ওয়াকফ বোর্ড হলে তাতে সব সদস্যই হবেন শিয়া সম্প্রদায়ের। আর সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড গঠিত হলে, তাতে থাকবেন কেবলমাত্র সুন্নি সম্প্রদায়ের লোকজনই।

    ১৯৫৪ সালে ওয়াকফ আইন (Waqf Amendment Bill) প্রণয়ন করে জওহরলাল নেহরুর সরকার। ১৯৯৫ সালে সংশোধনী এনে সব ক্ষমতা তুলে দেওয়া হয় ওয়াকফ বোর্ডের হাতে। তার পর থেকেই বোর্ডের একছত্র অধিকার নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বারংবার। ওয়াকফ সম্পত্তিতে স্বচ্ছতা আনতে নানা সময় দাবি জানিয়েছিলেন গরিব মুসলমান মহিলারা। সাধারণ মুসলমান মহিলারাও স্বচ্ছতার দাবি জানিয়েছিলেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই ওয়াকফ বোর্ডে দুই মহিলা সদস্যের প্রতিনিধিত্বের কথা বলা হয়েছে নয়া সংশোধনীতে। এছাড়া, ক্যাগ নিযুক্ত অডিটার বা নিরীক্ষককে দিয়ে যে কোনও ওয়াকফ সম্পত্তি নিরীক্ষার নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা কেন্দ্রকে দেওয়া হয়েছে নতুন বিলে।

    আরও পড়ুন: “যা ভাবছেন, পরিস্থিতি তার চেয়েও খারাপ’’! মোদিকে চিঠি বাংলাদেশি হিন্দু ছাত্রীর

    ওয়াকফ বোর্ডের সম্পত্তিতে স্বচ্ছতা আনতে চলতি বিলে ৪৪টি সংশোধনী নিয়ে আসা হয়েছে (Waqf Amendment Bill)। এতদিন ওয়াকফ আইনের ৪০ নম্বর ধারা অনুযায়ী, যে কোনও সম্পত্তিকে ওয়াকফ হিসেবে ঘোষণার অধিকার ছিল ওয়াকফ বোর্ডের হাতেই। তাই ওয়াকফ বোর্ডের বিরুদ্ধে নানা সময় বহু গরিব মুসলমানের সম্পত্তি এবং অন্য ধর্মাবলম্বী ব্যক্তির সম্পত্তি দখলের অভিযোগ উঠেছে। এদিন যে সংশোধনীটি পেশ হয়েছে লোকসভায়, তাতে ওয়াকফ বোর্ডের একছত্র অধিকার কেড়ে নিয়ে তা তুলে দেওয়া হবে জেলাশাসক কিংবা (Kiren Rijiju) একই পদমর্যাদার কোনও আধিকারিকের হাতে (Waqf Amendment Bill)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Waqf Reform: ওয়াকফ সংস্কার নিয়ে মোদির উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা সুফি ধর্মগুরুদের

    Waqf Reform: ওয়াকফ সংস্কার নিয়ে মোদির উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা সুফি ধর্মগুরুদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ সংস্কার (Waqf Reform) নিয়ে কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অল ইন্ডিয়া ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মৌলানা সাজিদ রশিদি। রশিদি যখন উস্কানি দিয়ে বাজার গরম করতে চাইছেন, তখন ওয়াকফ সংস্কার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করল অল ইন্ডিয়া সুফি সাজ্জাদানশিন কাউন্সিল। মঙ্গলবার সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজুর (Kiren Rijiju) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন কাউন্সিলের প্রতিনিধিরা। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সৈয়দ নাসিরউদ্দিন চিস্তি।

    কী বললেন মন্ত্রী? (Waqf Reform)

    এই ধর্মগুরুরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বের প্রশংশা করেন। স্বচ্ছতা আনার স্বার্থে ওয়াকফ সংশোধনীকে সমর্থনও জানান। এক্স হ্যান্ডেলে মন্ত্রী লেখেন, “ভারতজুড়ে বিভিন্ন দরগা থেকে সব চেয়ে শ্রদ্ধেয় ও বিশিষ্ট সাজ্জাদানশিনদের নিয়ে গঠিত অল ইন্ডিয়া সুফি সাজ্জাদানশিন কাউন্সিলের একটি প্রতিনিধি দল আমার সঙ্গে দেখা করেছে। এই দলের নেতৃত্বে ছিলেন সৈয়দ নাসিরউদ্দিন চিস্তি। তিনি আজমেড় দরগার বর্তমান আধ্যাত্মিক প্রধানের উত্তরসূরি এবং চেয়ারম্যান। মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন তাঁরা। আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে বলেও জানান তিনি।

    মোদির প্রশংসা

    রিজিজু বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির নেতৃত্বে সমগ্র সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যে উন্নয়ন হয়েছে এবং হচ্ছে, তার ভূয়সী প্রশংসাও করেন তাঁরা। ২০৪৭ সালের মধ্যে যে ‘বিকশিত ভারত’-এর সঙ্কল্প নেওয়া হয়েছে, তার প্রতিও যে তাঁরা দায়বদ্ধ, তাও জানান সুফি ধর্মগুরুরা। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শাহজাদ পুন্নাওয়ালাও উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। ওয়াকফ সম্পত্তিতে স্বচ্ছতা আনতে যে সংশোধনীর প্রয়োজন রয়েছে, তাও স্বীকার করেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: ‘‘একমাত্র মোদি পারবেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে’’, দাবি বিজেপি সাংসদের

    সোমবারই মন্ত্রী দাবি করেছিলেন, দরিদ্র ও সাধারণ মুসলমান মহিলারা ওয়াকফ সম্পত্তি (Waqf Reform) সংস্কারের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তাঁরা এও বলেছিলেন, মোদি সরকারের এই উদ্যোগে ওয়াকফ সম্পত্তিতে স্বচ্ছতা আসবে। তাতে আখেরে লাভ হবে মুসলমান সম্প্রদায়েরই। রিজিজু বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই দরিদ্র মুসলমান ও গরিব মহিলারা ওয়াকফ সম্পত্তিত স্বচ্ছতা আনার দাবি জানাচ্ছিলেন। তাঁদের (Kiren Rijiju) বক্তব্য, মুসলমান সম্প্রদায়ের স্বার্থেই এটা করা প্রয়োজন (Waqf Reform)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Union Budget 2023-24: তৃতীয় মোদি সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ ২৩ জুলাই

    Union Budget 2023-24: তৃতীয় মোদি সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ ২৩ জুলাই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোষিত হল ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের পূর্ণাঙ্গ বাজেট (Union Budget 2023-24) পেশের দিন। ২৩ জুলাই সংসদে বাজেট পেশ করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। তার এক দিন আগে শুরু হবে অধিবেশন। শনিবার ঘোষণা করলেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। সরকার গঠন হওয়ার পরেই কবে পরবর্তী বাজেট পেশ হবে তা নিয়ে উৎকণ্ঠা ছিল সাধারণ মানুষের মধ্যে।

    কী বললেন রিজিজু (Union Budget 2023-24) 

    শনিবার সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়েছেন রিজিজু (Kiren Rijiju)। সেখানে জানিয়েছেন, ২২ জুলাই সংসদে বাজেট (Union Budget 2023-24) অধিবেশন শুরু হচ্ছে। চলবে ১২ আগস্ট পর্যন্ত। কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেট অধিবেশন ডাকার সুপারিশে ছাড়পত্র দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের বাজেট ২৩ জুলাই পড়া হবে সংসদে। মোদি সরকার তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ হতে চলেছে। চলতি বছর লোকসভা নির্বাচন হয়েছে। সে কারণে গত ১ ফেব্রুয়ারি অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করা হয়েছিল সংসদে।

    বিরল কৃতিত্ব নির্মলার (Union Budget 2023-24) 

    এই নিয়ে টানা সাত বার নির্মলা বাজেট (Union Budget 2023-24) পেশ করতে চলেছেন। এর আগে দুনিয়ায় কোনও অর্থমন্ত্রীর এই কৃতিত্ব নেই। এর আগে প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী মোরারজি দেশাইয়ের এই রেকর্ড ছিল। তাঁকে ছাপিয়ে গেলেন নির্মলা (Nirmala Sitharaman)। এই বাজেট নিয়ে দেশবাসীর উৎসাহ তুঙ্গে। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সংসদে প্রারম্ভিক ভাষণে জানিয়েছিলেন,  ‘‘সরকারে নীতি এবং দূরদর্শিতা প্রকাশ পাবে এই বাজেটে। গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সিদ্ধান্তের পাশাপাশি ঐতিহাসিক পদক্ষেপও দেখা যাবে এই বাজেটে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • 18th Lok Sabha Session: নয়া সরকার গঠনের পর আজ শুরু লোকসভার প্রথম অধিবেশন, কী হবে সারাদিন?

    18th Lok Sabha Session: নয়া সরকার গঠনের পর আজ শুরু লোকসভার প্রথম অধিবেশন, কী হবে সারাদিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন সরকার গঠনের পর আজ, সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে লোকসভার (18th Lok Sabha Session) প্রথম অধিবেশন। নয়া নির্বাচিত সাংসদদের শপথগ্রহণ দিয়ে শুরু হবে অষ্টাদশ লোকসভার এই বিশেষ অধিবেশন। এই অধিবেশনেই শপথ নেবেন সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে জয়ী সাংসদরা ৷ সেইসঙ্গে এই অধিবেশনে নির্বাচিত হবেন নব গঠিত লোকসভার স্পিকার ৷ আগামী ২৬ জুন লোকসভার স্পিকার নির্বাচন করা হবে। পরদিন অর্থাৎ ২৭ জুন লোকসভা এবং রাজ্যসভায় যৌথ ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মর্মু।

    আজ সংসদের সারাদিন

    সোমবার অধিবেশন (18th Lok Sabha Session) শুরুর আগেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু লোকসভার প্রোটেম স্পিকার হিসেবে ভ্রাতৃহরি মহতাবকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন। রাষ্ট্রপতি ভবনে এই শপথ অনুষ্ঠান হবে। এরপর সকাল ১১টা নাগাদ প্রোটেম স্পিকার পৌঁছবেন লোকসভায়। এরপরে বিজেপি সাংসদরা সকাল ১১টায় সংসদে পৌঁছবেন এবং অধিবেশন শুরুর আহ্বান জানাবেন। প্রথমদিনে নির্বাচিত  সাংসদরা ২ মিনিট নীরবতা পালনের পর লোকসভার সেক্রেটারি জেনারেল উৎপল কুমার সিং সকল নির্বাচিত সাংসদদের তালিকা পেশ  করবেন। এরপর প্রোটেম স্পিকার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Pm Modi) লোকসভার দলনেতা হিসাবে শপথ পাঠের জন্য আহ্বান জানাবেন। এরপরে প্রোটেম স্পিকারকে সাহায্য করার জন্য রাষ্ট্রপতির সুপারিশে সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করানো হবে। 

    কী কী হবে এবারের অধিবেশনে

    আগামী দুইদিন ধরে সংসদে কেবল প্রতিটি রাজ্য থেকে নির্বাচিত সাংসদদের শপথবাক্য পাঠ করানো হবে। লোকসভার অধ্যক্ষ নির্বাচিত হবে আগামী ২৬ জুন। ২৭ জুন, দুই কক্ষে যৌথ ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের ধন্যবাদ জ্ঞাপন নিয়ে ২৮ জুন থেকে আলোচনা শুরু হবে। আগামী ২ বা ৩ জুলাই সংসদে বক্তব্য রাখতে পারেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এরপরে অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যাবে। আগামী ২২ জুলাই থেকে বাজেট পেশের জন্য ফের অধিবেশন শুরু হতে পারে।

    আরও পড়ুন: ডাক্তারিতে সুযোগ, পরে আইএএস! চাকরি ছেড়ে ২৬ হাজার কোটির কোম্পানি রোমান সাইনির

    অধিবেশন সুষ্ঠভাবে চলার আর্জি

    এবারের লোকসভা (18th Lok Sabha Session) অধিবেশন সুষ্ঠভাবে চলুক চায় বিজেপি। দেশকে এগয়ে নিয়ে যাওয়ার স্বার্থে অধিবেশন শান্তিপূর্ণ ভাবে চলা আবশ্যক বলে মত গেরুয়া শিবিরের। তাই অধিবেশন শুরুর আগে রবিবার লোকসভায় তৃণমূলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। তিনি জানিয়েছেন, সরকার চায় সংসদের অধিবেশন সুষ্ঠভাবে চলুক। সেই নিয়েই সুদীপের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kiren Rijiju: সংখ্যালঘু মন্ত্রকের দায়িত্বে বৌদ্ধ রিজিজুকে বসিয়ে মাস্টারস্ট্রোক মোদির

    Kiren Rijiju: সংখ্যালঘু মন্ত্রকের দায়িত্বে বৌদ্ধ রিজিজুকে বসিয়ে মাস্টারস্ট্রোক মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংখ্যালঘু মানে যে কেবল মুসলমান নন, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ, পার্সি, খ্রিস্টানরাও, তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে বসেই দেশবাসীকে সেই বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর মন্ত্রিসভায় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী করা হয়েছে কিরেন রিজিজুকে (Kiren Rijiju)। ধর্মে বৌদ্ধ রিজিজুকে সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী করে এক ঢিলে একাধিক পাখি মারলেন প্রধানমন্ত্রী। একদিকে যেমন মুসলমানদের বার্তা দিলেন, তেমনি অন্যদিকে বৌদ্ধ-সহ বাকি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কেও বার্তা দিলেন তিনি।

    সংখ্যালঘু বিষয়ক দফতরে রিজিজু (Kiren Rijiju)

    ফেরা যাক খবরে। স্বাধীনতার পর থেকে এই জাতীয় কোনও দফতর ছিল না। ২০০৬ সালে প্রথম তৈরি হয় সংখ্যালঘু বিষয়ক দফতর। তার পর থেকে এ যাবৎকাল পর্যন্ত সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী হতেন মুসলমান সম্প্রদায়ের কেউ (Kiren Rijiju)। মোদি সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে এই মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলাতেন মুখতার আব্বাস নাকভি। ব্যতিক্রম হল তৃতীয় টার্মে। এবার এই মন্ত্রকের দায়িত্বে বসানো হল রিজিজুকে। স্বাধীনতার পর থেকে দীর্ঘদিন কেন্দ্রের ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস।

    তুষ্টিকরণের রাজনীতি!

    ২০০৬ সালে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের আমলে এই মন্ত্রক তৈরি করা হয়। এই জমানায়ও সংখ্যলঘু বিষয়ক মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছেন মুসলমান সম্প্রদায়ের কেউ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তুষ্টিকরণের রাজনীতি করতে গিয়েই এই প্রথা চালু করেছিল কংগ্রেস। যার জেরে সংখ্যালঘু বলতে যে এদেশে মুসলমান ছাড়াও বৌদ্ধ, শিখ, পার্সি, জৈন, খ্রিস্টানদেরও বোঝায়, তা ভুলতে বসেছিলেন দেশবাসী। এহেন আবহে রিজিজুকে সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী করে মাস্টারস্ট্রোক দিলেন প্রধানমন্ত্রী।

    আর পড়ুন: “রটনায় নাম জড়ানো হচ্ছে আরএসএসের, এটা ঠিক নয়”, বললেন মোহন ভাগবত

    সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রকের ভার যে মুসলমান ছাড়াও অন্যদের দেওয়া যেতে পারে, সেই সলতে পাকানোর কাজটি শুরু হয়েছিল ২০২২ সালেই। যখন স্মৃতি ইরানিকে এই দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়। রাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তাঁকে সাহায্য করেছিলেন খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের জন বার্লা। এর আগে রিজিজু ছিলেন আইনমন্ত্রী। এবার রাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তাঁকে সাহায্য করবেন খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের রাজনীতিবিদ কেরলের জর্জ কুরিয়েন।প্রসঙ্গত, ভারতে যে ক’টি সংখ্যলঘু সম্প্রদায় রয়েছে, তার মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানরাই। কাশ্মীরে অবশ্য তারাই সংখ্যাগুরু।

    ৯ জুন, রবিবার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেন নরেন্দ্র মোদি। এদিনই শপথ নেন বাকি মন্ত্রীরাও। শপথ নেন বিজেপির অরুণাচলের সাংসদ রিজিজুও। ২০০৬ সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক তৈরি হওয়া ইস্তক এই প্রথম বসেছেন মুসলমান ছাড়া অন্য কোনও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কেউ (Kiren Rijiju)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Narendra Modi: ‘অষ্টলক্ষ্মী’র সঙ্গে মোদির বৈঠকে হরেক রকম পদ! জানেন কী কী রয়েছে তালিকায়?

    Narendra Modi: ‘অষ্টলক্ষ্মী’র সঙ্গে মোদির বৈঠকে হরেক রকম পদ! জানেন কী কী রয়েছে তালিকায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, সোমবার নয়াদিল্লিতে মণিপুর-সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের আটটি রাজ্যের সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এনডিএ সাংসদদের সঙ্গে ১২ দিন ধরে ধারাবাহিক বৈঠক করে ২০২৪-এর দিশা স্পষ্ট করার যে উদ্যোগ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, সেই পর্বেই আজ অসম, মিজোরাম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশ, ত্রিপুরা এবং সিকিমের সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, কিরেন রিজিজু এবং নীতিন গড়করিরও৷

    ‘অ্যাক্ট ইস্ট’-এ জোর মোদির

    ৯ বছর আগে কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসে মোদি (Narendra Modi) জানিয়েছিলেন, দেশের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির সার্বিক উন্নয়নকে তাঁর সরকার সর্বাধিক গুরুত্ব দেবে। তাই ইউপিএ সরকারের দেওয়া ‘লুক ইস্ট’ নাম পরিবর্তন করে ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতি ঘোষণা করেছিলেন তিনি৷ উত্তর-পূর্বের আট রাজ্যকে একযোগে ‘অষ্টলক্ষ্মী’ নামও দিয়েছিলেন মোদি৷ উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যগুলি তাদের স্বতন্ত্র সংস্কৃতির জন্য পরিচিত। এই রাজ্যগুলি তাদের রান্নায় অনন্য স্বাদের জন্য গর্ব করে। তাই এই আটটি রাজ্যের প্রতিনিধিদের জন্য মেন্যুতে থাকছে হরেক বাহার।

    আটটি রাজ্যের হরেক খাবার

    বিজেপি সূত্রে খবর, প্রতিটি রাজ্যের বিশেষত্ব ধরে রেখে খাদ্যতালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতিটি রাজ্যই প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) সামনে তাদের বিশেষত্ব তুলে ধরতে চায়। উত্তর-পূর্বের প্রবেশ দ্বার অসমের প্রতিনিধিধিরা ঐতিহ্যবাহী জোহা ভাত, আলু পিটিকা এবং সতেড ঢেকিয়া জাক পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত। জোহা চাল হল অসমের একটি বিশেষ চাল। যা এর স্বাদ এবং সুগন্ধের জন্য পরিচিত। আলু পিটাকা হল মূলত সরষের তেল, সবুজ মরিচ, ধনে এবং পেঁয়াজ দিয়ে মাখা আলু সেদ্ধ। ঢেকিয়া জাক, বেহালা ফার্ন নামেও পরিচিত, জনপ্রিয় প্রোটিন-সমৃদ্ধ সবুজ শাক যা রান্না করা সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। 

    আরও পড়ুন: করোনার নয়া রূপ ‘এরিস’! সংক্রমণের হার উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ব্রিটেনে, বঙ্গেও কি ভয়?

    সিকিমের মোমো থেকে মণিপুরের ক্ষীর 

    হিংসায় জর্জরিত মণিপুর। সেখানে শান্তি ফেরাতে মরিয়া সরকার। সেই মণিপুর থেকে সিংজু এবং চক হাও ক্ষীর পরিবেশন করা হবে। সিংজু ছানার গুঁড়ো, লবণ, মরিচ এবং সবুজ শাক দিয়ে তৈরি করা হয়। ক্ষীর হল খাঁটি কালো চালের তৈরি একটি পুডিং, যা মণিপুর থেকে শুধু ভারতের মধ্যেই নয়, সারা বিশ্বে রফতানি করা হয়। নাগাল্যান্ড রাতের খাবারের জন্য তার ঐতিহ্যবাহী সেদ্ধ সবজির কথা বলেছে। মিজোরাম থেকে অতিথিদের পরিবেশন করা হবে পুরুন জুং বাই, বসন্ত পেঁয়াজ সহ কিছু শিকড় দিয়ে তৈরি একটি খাবার। ত্রিপুরা থেকে পাঁচ ফোরোন (প্রথাগত পাঁচ-মশলা পাউডার দিয়ে টেম্পারিং) সহ একটি বাংলা-শৈলীর মিশ্র উদ্ভিজ সবজি পরিবেশন করা হচ্ছে। সিকিম সবসময়ের প্রিয় খাবার মোমো তৈরি করবে। মেঘালয়ের প্লেটে থাকবে ভাজা বীটরুট পাতার রেসিপি। অরুণাচল প্রদেশ থেকে খাইসা ফ্রাই পরিবেশন করা হবে। এটি ভাজা কাঁচা বাঁশের ডালের একটি খাবার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Cabinet Reshuffle: মোদি মন্ত্রিসভায় রদবদল, কিরেন রিজিজুর জায়গায় নতুন আইনমন্ত্রী হলেন কে?

    Cabinet Reshuffle: মোদি মন্ত্রিসভায় রদবদল, কিরেন রিজিজুর জায়গায় নতুন আইনমন্ত্রী হলেন কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড় বদল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় (Cabinet Reshuffle)। মন্ত্রক বদল হল আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজুর। তাঁর (Kiren Rijiju) জায়গায় নতুন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী হচ্ছেন অর্জুন রাম মেঘওয়াল (Arjun Ram Meghwal)। কিরেন রিজিজুকে পরিবর্তে দেওয়া হচ্ছে ভূ-বিজ্ঞান মন্ত্রকের (Earth Science Ministry) দায়িত্ব।

    প্রোফাইলে বায়ো বদলালেন রিজিজু

    রিজিজু ৮ জুলাই, ২০২১ সালে আইন ও বিচারমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। এর আগে, তিনি ২০১৯ সালের মে মাস থেকে ২০২১ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্ব) হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে নির্দেশিকা প্রকাশ করে রদ বদলের (Cabinet Reshuffle) কথা জানানো হয়।  

    আরও পড়ুন: কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী কে? দু’পক্ষই রাজি ‘আড়াই-আড়াই’ ফর্মুলায়! ঘোষণা বৃহস্পতি-সন্ধ্যায়

    কেন্দ্রীয় বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পরামর্শ অনুসারে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বদলের (Cabinet Reshuffle) ঘোষণা করছেন। আগে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী ছিলেন কিরেন রিজিজু। সেই জায়গায় এবার নতুন আইনমন্ত্রী হচ্ছেন অর্জুন রাম মেঘওয়াল। কেন্দ্রের ঘোষণার কিছুক্ষণ পরই দেখা যায়, কিরেন রিজিজু তাঁর ট্যুইটারের প্রোফাইলে বায়ো বদলে ফেলেছেন।

    কে অর্জুন রাম মেঘওয়াল?

    অর্জুন রাম মেঘওয়াল আগে সংসদীয় বিষয়ক ও সংস্কৃতি মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর পাশাপাশি তিনি এই মন্ত্রকগুলির দায়িত্বও পালন করবেন (Cabinet Reshuffle)। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক ইতিহাসে এই প্রথমবার কোনও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর হাতে আইন মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হল। অর্জুন রাম মেঘওয়াল রাজস্থানের বিকানের থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। তিনি বিজেপির অন্যতম বড় দলিত মুখ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kiren Rijiju: গোপনীয়তা ভঙ্গ করেছে কলেজিয়াম! শীর্ষ আদালতের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রিজিজু

    Kiren Rijiju: গোপনীয়তা ভঙ্গ করেছে কলেজিয়াম! শীর্ষ আদালতের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রিজিজু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচারকদের নিয়োগে আপত্তি জানিয়ে পাঠানো গোপন রিপোর্ট, প্রকাশ করে গর্হিত কাজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট, বললেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরণ রিজিজু। বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে কলেজিয়াম পদ্ধতির স্বচ্ছতা নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন আইনমন্ত্রী। এবার দেশের সর্বোচ্চ আদালতের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়লেন রিজিজু। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন কলেজিয়ামের বিরুদ্ধে গোপন সরকারি তথ্য ফাঁসের অভিযোগ তুললেন তিনি। 

    রিজিজুর যুক্তি

    সরকারের আপত্তির কথা জানিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে রিজিজু বলেন, ‘‘জনসমক্ষে ‘র’ (ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা) এবং আইবি (কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগ)-র রিপোর্ট চলে আসা আমাদের কাছে গুরুতর উদ্বেগের বিষয়।’’ এর ফলে বাহিনীর কর্মক্ষমতায় আঘাত আসতে পারে জানিয়ে রিজিজুর মন্তব্য, ‘‘যদি কোনও গোয়েন্দা আধিকারিক আগে থেকে আঁচ পান, তাঁর রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসবে, তবে তিনি দু’বার ভাববেন।’’কেন্দ্রের এই আপত্তির কথা তিনি প্রধান বিচারপতিকে জানাবেন কি না, জানতে চাওয়া হলে রিজিজু বলেন, ‘‘আমি সব সময়ই ওঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখি। উনি বিচার বিভাগের প্রধান, আমি সরকার এবং বিচার বিভাগের মধ্যে সেতুর কাজ করি। আমাদের এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। আমরা বিচ্ছিন্ন ভাবে কাজ করতে পারি না। এটি একটি বড় সমস্যা।’’

    আরও পড়ুুন: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অর্থ নয়ছয়! মামলায় রাজ্যের অর্থসচিবকে জুড়তে বলল হাইকোর্ট

    সম্প্রতি, কলেজিয়াম সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে একটি তালিকা আপলোড করে। সেই তালিকায় তিনজের পদোন্নতির কথা বলা হয়। সরকারের তরফ থেকে এই নিয়োগে তীব্র আপত্তি প্রকাশ করা হয়। এই তিনজনের ব্যাপারে আইবি, এবং ‘র’ কি রিপোর্ট দিয়েছে,সেটা সুপ্রিম কোর্টকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কোন তিন বিচারপতির পদোন্নাতির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কলেজিয়াম,আর তাদের সম্পর্কে  সরকারের গোয়েন্দা রিপোর্ট কী, তা-ও সর্বোচ্চ আদালতের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়। এরপরই দেশের শীর্ষ আদালতের বিরুদ্ধে গোপনীয়তা ভঙ্গের অভিযোগ আনেন রিজিজু। , সুপ্রিম কোর্টকে সরকারের তরফ থেকে যে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে, সেটা অত্যন্ত গোপন। সেই রিপোর্টে প্রকাশ করে সর্বোচ্চ আদালত অত্যন্ত গর্হিত কাজ করেছে। সঠিক সময়ে পদক্ষেপ করা হবে, বলে জানান কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Kiren Rijiju: কলেজিয়ামে সরকারি প্রতিনিধি রাখতে চায় কেন্দ্র, প্রধান বিচারপতিকে চিঠি রিজিজুর

    Kiren Rijiju: কলেজিয়ামে সরকারি প্রতিনিধি রাখতে চায় কেন্দ্র, প্রধান বিচারপতিকে চিঠি রিজিজুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে ফের কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু চিঠি লিখলেন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে। কিরেন রিজিজু ধারাবাহিক ভাবে সুপ্রিম কলেজিয়াম ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ফলে তিনি ফের চিঠি দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টে। এই চিঠিতে বলা হয়েছে, কলেজিয়াম ব্যবস্থায় কেন্দ্রের প্রতিনিধিকেও যুক্ত করা উচিত। অর্থাৎ হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগে কেন্দ্রীয় সরকার তাদের অভিমত জানাতে চায়। এ জন্য কেন্দ্রীয় সরকার বিচারপতি নিয়োগের জন্য গঠিত কলেজিয়ামে তাদের প্রতিনিধি রাখতে আগ্রহী। জানা গিয়েছে, কলেজিয়াম ব্যবস্থাপনায় বেশ কিছু ফাঁক ফোঁকড় রয়েছে, তাই কেন্দ্রের এই পরামর্শ।

    বিচারপতি নিয়োগে স্বচ্ছতা আনতে চিঠি আইনমন্ত্রীর

    এদিন চিঠিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি রুমা পালের ২০১১ সালের এক বিবৃতি উল্লেখ করে সুপ্রিম কলেজিয়ামে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি এবং হাইকোর্ট কলেজিয়ামে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করার ‘পরামর্শ’ দেন রিজিজু। আইনমন্ত্রীর চিঠিতে দাবি করেন, ২৫ বছরের পুরনো কলেজিয়াম ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনার জন্যই তাঁর এই সুপারিশ। গতমাসে আইনমন্ত্রী রাজ্যসভায় জানিয়েছিলেন, বর্তমান কলেজিয়াম ব্যবস্থায় বিচারপতি নিয়োগে সামাজিক ভারসাম্য বিঘ্নিত হচ্ছে। এমনকী কলেজিয়ামের বিচারপতি বাছাইয়ে দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

    আরও পড়ুন: কীভাবে কাজ করবে রিমোট ইভিএম? সর্বদলীয় প্রতিনিধিদের ডেমো দেখাল কমিশন

    এছাড়াও কিছু দিন আগেই কলেজিয়াম ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ও। বিচারপতি নিয়োগে সরকারের ভূমিকা বাড়ানোর জন্য জোরদার সওয়াল করেছিলেন তিনি। ফলে কলেজিয়ামে সরকারি প্রতিনিধি রাখার জন্য বারংবার চিঠি দেওয়া হয়েছে শীর্ষ আদালতে। ফলে এবারও একই দাবি নিয়ে ফের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ফলে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় আইনমন্ত্রীর চিঠির জবাবে কী যুক্তি হাজির করেন সেটাই এখন দেখার। কেন্দ্রের দাবি, ভারত ছাড়া আর কোনও দেশে বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সরকারকে বাদ রাখা হয় না।

    প্রসঙ্গত, দেশের শীর্ষ আদালতের বিচারপতি এবং অন্যান্য উচ্চ আদালতের বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেয় কলেজিয়াম। দেশের প্রধান বিচারপতি এবং সুপ্রিম কোর্টের ৪ প্রবীণ বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত হয় এই কলেজিয়াম।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share