Tag: Kolkata High Court

Kolkata High Court

  • Kolkata High Court: থানা নয়! সভা মিছিলের অনুমতি দেবেন জেলার পুলিশ সুপার বা সিপি, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    Kolkata High Court: থানা নয়! সভা মিছিলের অনুমতি দেবেন জেলার পুলিশ সুপার বা সিপি, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক দলগুলির সভা বা মিছিলের অনুমোদন সংক্রান্ত গাইডলাইনে বড় বদল আনল কলকাতা হাইকোর্ট (Kolkata High court)। সাধারণত যে কোনও মিটিং মিছিলের ক্ষেত্রে স্থানীয় থানার কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। সে ক্ষেত্রে স্থানীয় থানার অনুমোদন মিললে তবেই মিটিং মিছিল করা যায়। কিন্তু, এবার থেকে কোনও রাজনৈতিক দল বা সংগঠন সভা ও মিছিল করলে সেক্ষেত্রে স্থানীয় থানা নয়, জেলার পুলিশ সুপার বা কমিশনারেটের সিপির কাছে অনুমতি নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে অনুমতি মিললে তবেই সভা-মিছিল করা যাবে। এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা।

    সভা বা মিছিলের অনুমতির বিষয়ে থানার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ প্রায়শই করে থাকেন বিরোধীরা

    প্রসঙ্গত, সভা-মিছিলে রাজ্য পুলিশ অনুমতি দিচ্ছে না বলে বিরোধীরা বারবার অভিযোগ তুলে থাকেন। বিজেপি থেকে শুরু করে সিপিএম এ নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ তুলেছে। সম্প্রতি ভাঙরে সিপিএমের মিছিল নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল, পুলিশের দাবি ছিল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন সভার অনুমতি দেওয়া যায়না। তা নিয়ে করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গোটা রাজ্যে রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের সভা-মিছিলের ক্ষেত্রে নয়া বিধি জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট (Kolkata High court)। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছেন এবার থেকে সভা মিছিলের জন্য জেলার পুলিশ সুপার বা কমিশনারেটের সিপিদের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। বিরোধীরা দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের বিরুদ্ধে যে বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে আসছে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের ফলে এই জট কাটবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

    পুলিশকে অনলাইন রেজিস্টারে উল্লেখ রাখতে হবে কোন দল কোন সময়ে মিছিল করবে

    পাশাপাশি মিটিং মিছিল নিয়ে আরও বিধি জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেক্ষেত্রে হাইকোর্টের নির্দেশ, পুলিশকে মিটিং মিছিলের আবেদন লিপিবদ্ধ করার জন্য একটি রেজিস্টার রাখতে হবে। কোন দল কোন সময় মিটিং মিছিল করতে চাইছে তা রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ রাখতে হবে। সেই অনুযায়ী, রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের আবেদন বিবেচনা করে অনুমতি দেওয়া হবে। কতজন মিছিলে যোগ দেবেন? কোন রুটে মিছিল যাবে বা কোথায় মিছিল হবে? পুলিশকে তাও জানাতে হবে। এছাড়া, অশান্তি যাতে না ছড়ায় তার জন্য স্থানীয় পুলিশকে নিশ্চিত করতে হবে। বাইরে থেকে মিটিং মিছিলে যাতে কেউ অশান্তি তৈরি করতে না পারে সে বিষয়টি নজর রাখবে স্থানীয় থানার পুলিশকে। পাশাপাশি শব্দবিধির উপরও নজর রাখতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট (Kolkata High court)। রেজিস্টার যাতে অনলাইনে দেখা যায় সেই ব্যবস্থা করতে বলেছে রাজ্যের উচ্চ আদালত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Kolkata High Court: ইডি-র হাতে গ্রেফতারির আশঙ্কা, রক্ষাকবচ চেয়ে আদালতে মমতার আইনজীবী

    Kolkata High Court: ইডি-র হাতে গ্রেফতারির আশঙ্কা, রক্ষাকবচ চেয়ে আদালতে মমতার আইনজীবী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডি-র (ED) হাতে গ্রেফতারির আশঙ্কা করে আগেভাগেই রক্ষাকবচ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata High Court) দ্বারস্থ হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) আইনজীবী সঞ্জয় বসু (Sanjay Basu)। সঞ্জয় সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের স্ট্যান্ডিং কাউন্সিল। মঙ্গলবার বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে এই মামলার শুনানিতে ইডি তাদের বক্তব্য জানানোর জন্য সময় চেয়েছে। বুধবার সেই আবেদনের শুনানি হতে পারে বলে আদালত সূত্রে খবর।

    সঞ্জয়কে তলব ইডি-র…

    জানা গিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবার নিজেদের দফতরে সঞ্জয়কে তলব করেছে ইডি। এদিনই তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সঞ্জয়। সঞ্জয়ের আইনজীবী সপ্তাংশু বসুর দাবি, ভুয়ো অর্থনৈতিক সংস্থার একাধিক মামলায় রাজ্যের আইনজীবী ছিলেন তাঁর মক্কেল। তাই ইডি বারবার হেনস্থা করছে সঞ্জয়কে।

    প্রসঙ্গত, ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থার মামলায় তদন্তে নেমে সঞ্জয়ের আলিপুরের বাড়িতে ইতিমধ্যেই হানা দিয়েছে ইডি। ১ মার্চ সকালে তাঁর বাড়িতে ঢুকেছিলেন ইডির আধিকারিকরা। ২ মার্চ দুপুরের দিকে তাঁর বাড়ি থেকে বের হন তাঁরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, প্রায় ২২ ঘণ্টা ম্যারাথন তল্লাশির পর সঞ্জয়ের বাড়ি থেকে বেশ কিছু নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তার পরেই ইডির দফতরে তলব করা হয় সঞ্জয়কে।

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত শান্তনু-কুন্তলকে ছেঁটে ফেলল তৃণমূল, বহাল তবিয়তে মানিক, পার্থ

    সঞ্জয়ের বাড়িতে (Kolkata High Court) ইডির হানা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২ মার্চ দুপুরে নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ওরা (ইডি) গতকাল সঞ্জয়ের বাড়িতে ঢুকেছিল। আজ মেঘালয়ে ফল ঘোষণা পর্যন্ত ছিল। তিনি বলেন, সঞ্জয় রাজ্য সরকারের স্ট্যান্ডিং কাউন্সিল। সরকারের অনেক কাগজপত্র স্বাভাবিকভাবেই ওর কাছে থাকে। ও আমারও আইনজীবী। ওকে আমি জিজ্ঞেস করেছি, এত তল্লাশি করে কী কী পেল? ও বলল, কিছু পায়নি। খালি আপনাদের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করছিল।

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ইডি, সিবিআইয়ের অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন বিজেপি বিরোধী আটটি রাজনৈতিক দলের ৯জন নেতা। ওই চিঠিতে যাঁরা স্বাক্ষর করেছিলেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।  

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Teachers Transfer: সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের রাজ্যের যে কোনও জায়গায় বদলি করা যেতে পারে! আসছে নয়া গাইড লাইন

    Teachers Transfer: সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের রাজ্যের যে কোনও জায়গায় বদলি করা যেতে পারে! আসছে নয়া গাইড লাইন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের পরামর্শ মেনে শিক্ষক বদলির ক্ষেত্রে আজ, শুক্রবারই নতুন গাইডলাইন জারি করতে পারে রাজ্য। কলকাতা হাইকোর্টে এমনটাই জানালেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে তিনি এদিন এই কথা জানান।

    নয়া নির্দেশিকা

    এরপরেই শিক্ষা দফতরের আইনজীবীকে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু পরামর্শ দেন, “নতুন নির্দেশিকা আসলেই জেলা স্কুল পরিদর্শকদের দ্রুত সেই নীতি বাস্তবায়নের জন্য তৈরি থাকতে বলুন।” রাজ্যের সরকারি স্কুলে শিক্ষক বদলি নীতি নিয়ে বারবার উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। যেখানে ছাত্র নেই কিন্তু প্রয়োজনের অতিরিক্ত শিক্ষক আছে সেখান থেকে শিক্ষক অন্যত্র বদলি করার পক্ষে মতামত প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি।  অপেক্ষাকৃত কম ছাত্র থাকা স্কুলগুলি থেকে অন্য স্কুল যেখানে শিক্ষকদের প্রয়োজনিয়তা রয়েছে সেখানে বদলি করা হলে কেউ বিরোধিতা করলে তাঁকে বরখাস্ত করার পক্ষেও  মত ছিল তাঁর। বিচারপতি রাজ্যকে বলেছিলেন, “যেখানে ছাত্র নেই কিন্তু প্রয়োজনের অতিরিক্ত শিক্ষক আছে সেখান থেকে শিক্ষক অন্যত্র বদলি করুন।” বদলি চেয়ে শিক্ষকদের আবেদনের হিড়িক দেখে বিচারপতি বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, “সবাই বাড়ির পাশের স্কুলে বদলি চাইলে স্কুল চলবে কী করে ?”

    আরও পড়ুুন: চাকরি বাতিল ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর, ফেরত দিতে হবে বেতনও

    এই পরিস্থিতিতে রাজ্যকে শিক্ষক বদলি নিয়ে একটি নির্দিষ্ট গাইডলাইন আনার কথা বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কোন স্কুলে কত ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে, তার উপর ভিত্তি করে বদলি হোক, এমনটাই পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। এদিন রাজ্যের তরফে জানান হয়, আজই এই সংক্রান্ত গাইডলাইন প্রকাশ করা হতে পারে। নতুন গাইডলাইন আনা হলে এবার থেকে প্রয়োজনে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের রাজ্যের যে কোনও জায়গায় বদলি করা যেতে পারে। এর ফলে গ্রামাঞ্চলের স্কুলগুলির পরিস্থিতি উন্নত হতে পারে বলে অনুমান শিক্ষা মহলের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: ‘‘এত ‘গোপন প্রেম’ কীসের? জেলে গিয়ে মানিককে জিজ্ঞাসাবাদ করুন’’, সিবিআইকে নির্দেশ আদালতের

    SSC Scam: ‘‘এত ‘গোপন প্রেম’ কীসের? জেলে গিয়ে মানিককে জিজ্ঞাসাবাদ করুন’’, সিবিআইকে নির্দেশ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে এবার নতুন প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। তাঁর প্রশ্ন,  ওএমআর শিট মূল্যায়নকারী সংস্থার প্রতি তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর এত প্রেম কেন?’ অতিরিক্ত প্যানেলের বিষয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জেরার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ৭ দিনের মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে এরমধ্যেই দু’টি বিষয় উঠে এসেছে। তা হল, ওএমআর শিটে জালিয়াতি এবং সার্ভারে তথ্য বদল। প্রাথমিকের ক্ষেত্রে ওএমআর শিটের বিকৃতিই বড় বিষয়। এবার এই নিয়ে সিবিআইকে জেলে গিয়ে  মানিককে জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    সওয়াল-জবাব

    ২০১৬ সালের টেট দুর্নীতি মামলাতে বৃহস্পতিবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ডেকে পাঠিয়েছিলেন পর্ষদের তৎকালীন সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচীকে। তাঁর কাছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, কেন ২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত প্যানেল প্রকাশিত হয়নি? নিয়োগ প্রক্রিয়ার পর শূন্যপদ থাকলে ফের প্যানেল তৈরি করা হয়। ২০১৪ সালে নিয়োগের পর শূন্যপদ থাকলেও কেন প্যানেল তৈরি করা হয়নি।  জবাবে রত্না বলেন, সেই সময়ে সচিব হিসেবে তাঁর কিছুই করার ছিল না। যা করতেন পর্ষদ সভাপতি করতেন। তখনই এস বসু রায়চৌধুরী অ্যান্ড কোম্পানির নাম আসে। রত্না বলেন, ওই সংস্থাকে ওএমআর শিট সংক্রান্ত কাজের জন্য লাগানো হয়েছিল। তাদের সঙ্গে কেবল পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যই সমন্বয় রাখতেন। অন্য কেউ নয়। 

    আরও পড়ুন: ‘‘সিবিআইয়ের জন্য খারাপ সময় আসছে’’! তাদেরই অফিসারকে জেরার নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    হাই কোর্ট এর পরেই রত্নার কাছে জানতে চায়, ওই কোম্পানি কবে থেকে পর্ষদের সঙ্গে যুক্ত। জবাবে রত্না বলেন, ‘‘২০১২ সালের পর থেকে।’’ তিনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সঙ্গে যুক্ত হন ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে। রত্না যোগ দেওয়ার পরেই ওই সংস্থার সঙ্গে লেনদেন শুরু হয় পর্ষদের। এ প্রসঙ্গে হাই কোর্টের প্রশ্ন, ‘‘ওই কোম্পানিকে নিয়োগের জন্য কোনও বোর্ড মিটিং হয়েছিল?’’ জবাবে রত্না জানিয়েছেন, তাঁর এখন মনে নেই। এ-ও বলেন, ‘‘সেই সময় ওই সংস্থার সঙ্গে একমাত্র সভাপতি যোগাযোগ রাখতেন। আর কেউ রাখতেন না। আমি বা ডেপুটি সেক্রেটারি কেউই নয়। যতটা আমি জানি।’’ এরপরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআইয়ের আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, ‘এই এস বসু রায়চৌধুরী অ্যান্ড কোম্পানির সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের এত প্রেম কীসের? আপনারা জেলে গিয়ে মানিককে জিজ্ঞাসা করুন। খুঁজে দেখুন, এদের নিয়োগের আগে টেন্ডার ডাকা হয়েছিল কিনা!’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Recruitment Scam: ‘‘চারপাশে এত দুর্বৃত্ত, দিদি একা পারছেন না’’! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মন্তব্য বিচারপতির

    Recruitment Scam: ‘‘চারপাশে এত দুর্বৃত্ত, দিদি একা পারছেন না’’! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মন্তব্য বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চারপাশে বহু দুর্বৃত্ত, তাই দিদি একা সামলাতে পারছেন না, অভিমত কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা চলাকালীন বুধবার এই মন্তব্য করেন বিচারপতি। এদিন মানিকের প্রসঙ্গে ভরা এজলাসে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘দিদি একা আর সামলাতে পারছেন না। চারপাশে এত দুর্বৃত্ত থাকলে তিনি সামলাবেন কী করে?’’ এ প্রসঙ্গেই ভূপেন হাজারিকার ‘হাজার টাকার বাগান খাইলো পাঁচ সিকার ছাগলে!’ গানটি স্মরণ করেন তিনি।

    বিচারপতির প্রশ্ন

    এদিন ফের একবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে সিবিআই-ও। মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি সিবিআইকে প্রশ্ন করেন, “লন্ডনে মানিক ভট্টাচার্যের বাড়ির ঠিকানা জানেন? জানেন উনি কতবার লন্ডনে গিয়েছেন? আদালত তদন্ত করছে না সিবিআই?” মানিক সম্পর্কে অনেক তথ্য তাঁর জানা আছে, এজলাসে তার প্রমাণ দেন বিচারপতি নিজেই। তিনি জানান, লন্ডনের কোথায় মানিকের বাড়ি রয়েছে, তা তিনি জানেন। তিনি এ-ও জানেন, সেই বাড়ির পাশে এমন এক জনের বাড়ি রয়েছে, যিনি নিজেও রাজনৈতিক নেতা।

    আরও পড়ুন: চলতি মাসের ১৫ তারিখ পেশ হতে পারে রাজ্য বাজেট, জানালেন চন্দ্রিমা

    সিবিআইয়ের যুক্তি

    এদিন আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, মানিক ভট্টাচার্যের ২টি বৈধ পাসপোর্ট রয়েছে। তখন বিচারপতি প্রশ্ন করেন এটা কী করে সম্ভব? পালটা বিচারপতি বলেন, “ছি! ছিঃ! ছিঃ। এটা কী হচ্ছে! লজ্জার ব্যাপার হল তিনি এখনো বিধায়ক পদে ইস্তফা দেননি।” সিবিআইয়ের তরফে আদালতে জানানো হয়, গত ২ সপ্তাহে তদন্ত অনেকটা এগিয়েছে। কিছু এসএমএস উদ্ধার হয়েছে। মানিক ভট্টাচার্যের কাছ থেকেও কিছু সূত্র পাওয়া গিয়েছে। ’এই মামলার শুনানিতে আগেই মঙ্গলবার সিবিআই আধিকারিক সোমনাথ বিশ্বাসকে তদন্তের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গে বুধবার সিবিআইয়ের আবেদন ছিল, ‘‘তিন সপ্তাহ পরে আমরা রিপোর্ট পেশ করব। তার পর তদন্তকারী আধিকারিক সোমনাথ বিশ্বাসকে সরানোর নির্দেশ দেওয়া হোক।’’ তবে সেই আবেদন গ্রাহ্য হয়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Abhijit Ganguly: ভারতের বিচারব্যবস্থা এত ঠুনকো নয়! বিস্ফোরক বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    Abhijit Ganguly: ভারতের বিচারব্যবস্থা এত ঠুনকো নয়! বিস্ফোরক বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় বিচার ব্যবস্থাকে সন্ত্রস্ত করে রাখার চেষ্টা হচ্ছে। বিচারপতিদের ভয় দেখানো হচ্ছে। তবে ভারতের বিচারব্যবস্থা এত ঠুনকো নয়। ভয় দেখিয়ে নিজেদের ইচ্ছা চরিতার্থ করা যাবে না। আদালতে আইনজীবীদের একাংশের তাণ্ডবকে এভাবেই ব্যাখ্যা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abijit Ganguly)। 

    বিচারপতি যা বললেন 

    মঙ্গলবার আদালতের বাইরে গণদর্পণের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বিচারপতি। সাংবাদিকরা তাঁকে সোমবার হাইকোর্টে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসের বাইরের ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করলে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘কোনও কোর্ট রুমের বিষয়ে আমি মন্তব্য করব না। তবে এটা ঠিক, পৃথিবীশুদ্ধু সবাই দেখতে পাচ্ছেন, পশ্চিমবঙ্গে বিচারব্যবস্থাকে সন্ত্রস্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। আইনজীবীদের একটা অংশ বিচারপতি ও জেলা আদালতের বিচারকদের সন্ত্রস্ত করে নিজেদের পথে আনতে চাইছেন। তবে গতকাল প্রাক্তন বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায় একটা যুক্তিপূর্ণ কথা বলেছেন, আমাদের বিচারব্যবস্থা এত ঠুনকো নয় যে কেউ চাইলেই সন্ত্রস্ত করতে পারবে। এটা সম্ভব নয়। যারা ভাবছেন তারা ভুল ভাবছেন।’ বিচারপতি এও বলেন, সোমবার হাইকোর্টে যা ঘটেছে তা সংবাদমাধ্যমের দৌলতে গোটা দেশ জেনে গিয়েছে। গতকাল দেখা গিয়েছিল, হাইকোর্ট ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বাড়ির সামনে পোস্টারও পড়েছে। সেই প্রসঙ্গে মন্তব্য না করেও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘আপনারাও দেখেছেন, আমিও দেখেছি কী হয়েছে।’ 

    আরও পড়ুন: এজলাস বয়কটের ডাক আইনজীবীদের! আদালত অবমাননার রুল জারি বিচারপতি মান্থার

    বিচারপতি রাজশেখর মান্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সোমবার তাঁর এজলাস বয়কটের ডাক দেন কিছু আইনজীবী। কেন বারবার বিচারপতি মান্থা শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষে ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপক্ষে রায় দিচ্ছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। অন্য আইনজীবীরা বিচারপতি মান্থার এজলাসে ঢুকতে গেলে বাধা দেওয়া হয়। মঙ্গলবার এই ঘটনায় আদালত অবমাননার রুল জারি করেন বিচারপতি মান্থা। গোটা বিষয়টি এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে উত্থাপিত হয়। আদালতের তরফে জানা গিয়েছে, সোমবারের ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে এই ঘটনায় কারা কারা দোষী তা চিহ্নিত করবেন প্রধান বিচারপতি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Kolkata High Court: সোমের পর মঙ্গলেও কাটেনি জট, মান্থার এজলাস বয়কট নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত বার

    Kolkata High Court: সোমের পর মঙ্গলেও কাটেনি জট, মান্থার এজলাস বয়কট নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত বার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata High Court) বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বিচার প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত আইনজীবীদের। সাধারণ সভার মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বার অ্যাসোসিয়েশন (Bar Association)। বার অ্যাসোসিয়েশনের এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে প্রধান বিচারপতিকেও। যদিও সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত পোষণ করেননি খোদ বার প্রেসিডেন্ট। তিনি জানিয়েছেন, এটা ঠিক নয়। ট্রেজারার এই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।  

    ঘটনার নেপথ্যে…

    প্রসঙ্গত, সোমবার বিচারপতি মান্থার এজলাস বয়কটকে কেন্দ্র করে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দু পক্ষের আইনজীবীরা। শুনানি না করেই এজলাস ছাড়েন তিনি। সোমের পর মঙ্গলবারও তাঁর এজলাসের সামনে জটলা দেখা গিয়েছে। বার অ্যাসোসিয়েশন যে চিঠি দিয়েছে, তাতে অচিন্ত্য কুমার ব্যানার্জি সহ একশোজনেরও বেশি আইনজীবী স্বাক্ষর করেছেন। পাশাপাশি শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা হবে বলেও জানানো হয়েছে। যদিও চিঠিটি ভুয়ো বলেই দাবি বারের প্রেসিডেন্ট অরুণাভ ঘোষের। তিনি বলেন, কোন কোর্ট বয়কট করা হবে, সে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না কোনও ট্রেজারার কিংবা সহ সম্পাদক।  অরুণাভ জানান, চিঠিটি ভিত্তিহীন এবং তাঁরা এই সিদ্ধান্ত সমর্থন করছেন না। মঙ্গলবার সকালে এই প্রস্তাবের পাল্টা দাবিও ওঠে হাইকোর্ট। আইনজীবীদের একাংশের দাবি, এটি আদালত অবমাননার পর্যায়ে পড়া উচিত। জবাব প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনারা চাইলে মামলা করতে পারেন। এ বিষয়ে বারের এক সদস্য আমাকে চিঠি দিয়েছেন। তাঁর প্রশ্ন, এ নিয়ে বারের কি কোনও দায়িত্ব নেই? তিনি বলেন, দেশের প্রাচীনতম এই হাইকোর্টের একটা ঐতিহ্য রয়েছে। বারের উচিত ছিল এ ব্যাপারে দায়িত্ব নেওয়া।

    আরও পড়ুুন: বিজেপির গঙ্গাপুজোয় ‘না’ পুলিশের, ‘কর্মসূচি হবেই’, জানালেন সুকান্ত

    এদিকে, বাম, কংগ্রেস ও বিজেপিপন্থী আইনজীবীরা এদিন বিচার প্রক্রিয়া (Kolkata High Court) চালানোর দাবি জানান। বিচারপতি মান্থা জানিয়ে দেন, দু পক্ষের আইনজীবী উপস্থিত না থাকলে জরুরি মামলা ছাড়া তিনি কোনও নির্দেশ জারি করবেন না। অন্যদিকে, এদিন মেনসন পর্ব চলে বিচারপতি মান্থার এজলাসে। ইচ্ছুক আইনজীবীরা অংশও নিচ্ছেন মেনসন পর্বে। এদিকে, স্বতঃপ্রণোদিত আদালত অবমাননার রুল জারির আবেদন করে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি সহ ৫ এক্সিকিউটিভ সদস্যের। চিঠিতে সোমবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাস বন্ধ করা আইনজীবীদের চিহ্নিত করে পদক্ষেপের আবেদন জানানো হয়েছে। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ বন্ধ বিচারব্যবস্থার ওপর হুমকি বলে দাবি তাঁদের। 

    ডিওয়াই চন্দ্রচূড়…

    এদিকে বিচারপতি মান্থার এজলাস বয়কটের খবরে ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। সোমবার বার অ্যাসোসিয়েশনে বিচারপতি মান্থার এজলাস বয়কটের একটি প্রস্তাব পাশ হয়েছে। সেই সংক্রান্ত চিঠি প্রকাশ হতেই মঙ্গলবার সকালে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা স্তম্ভিত।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Justice Rajasekhar Mantha: এজলাস বয়কটের ডাক আইনজীবীদের! আদালত অবমাননার রুল জারি বিচারপতি মান্থার

    Justice Rajasekhar Mantha: এজলাস বয়কটের ডাক আইনজীবীদের! আদালত অবমাননার রুল জারি বিচারপতি মান্থার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বিক্ষোভকারী আইনজীবীদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha)। কেবল তাই নয়, বিক্ষোভকারীদের আদালত অবমাননার রুলও জারি করলেন তিনি। স্বতঃপ্রণোদিত মামলাটির শুনানি হবে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে। প্রসঙ্গত, সোমবার থেকেই হাইকোর্টের বিচারপতি মান্থার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন আইনজীবীদের একাংশ।

    বিচার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ…

    এদিন বিচারপতি মান্থা সোমবারের ঘটনাকে বিচার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, আইনজীবীদের একাংশ সোমবার যা যা করেছেন, তাতে উশৃঙ্খল মনোভাব দেখা গিয়েছিল। বিচারপতি মান্থা আরও বলেন, হাইকোর্টের ১৩ নম্বর এজলাসের বাইরে যে সিসি ক্যামেরাগুলি রয়েছে, সেগুলির ফুটেজ সংরক্ষণ করে প্রধান বিচারপতির এজলাসে পাঠাতে হবে। সবটা দেখে প্রধান বিচারপতি সিদ্ধান্ত নেবেন ওই ঘটনায় কোনও ফৌজদারি মামলা রুজু হবে কিনা।

    আরও পড়ুুন: বিজেপির গঙ্গা আরতি কর্মসূচি নিয়ে ধুন্ধুমার বাবুঘাট, গ্রেফতার সজল ঘোষ

    এদিকে, এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি হয়। সোমবার বিচারপতির কাজে বাধা কাঙ্ক্ষিত ছিল না। এখন যে আইনজীবীরা আদালতে এসে বলছেন, সমস্যা মিটিয়ে নিতে, ওই দিন ঘটনার সময় সেই আইনজীবীরা এজলাস সচল করতে কোনও অনুরোধ করলেন না কেন? কেন তখন আন্দোলনকারীদের আন্দোলন তুলতে অনুরোধ করলেন না তাঁরা? আদালত সব কিছু নজর রাখছে। মন্তব্য প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের।

    এদিন সওয়াল করতে গিয়ে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) বেঞ্চে কাজে বাধাই নয়, সামাজিকভাবে বিচারপতির মানহানিও করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বিচারপতির বাড়ির বাইরে রঙিন পোস্টার সাঁটানো হয়েছে, কুৎসা রটানো হচ্ছে। আজ বিচারপতি মান্থা, কাল হয়তো অন্য কোনও বিচারপতির বিরুদ্ধে একই কাজ হবে। বিকাশরঞ্জন বলেন, কড়া পদক্ষেপ না নিলে এই ধরনের কাজকে উৎসাহ জোগানো হবে। আবেদন খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে আদালত। জানিয়ে দিলে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সূত্রের খবর, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha)বেঞ্চের বাইরের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে ১৫ জন আইনজীবীকে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Justice Rajsekhar Mantha: ‘কেউ এজলাসে ঢুকতে চাইলে যেন বাধা দেওয়া না হয়’, কড়া নির্দেশ বিচারপতি মান্থার   

    Justice Rajsekhar Mantha: ‘কেউ এজলাসে ঢুকতে চাইলে যেন বাধা দেওয়া না হয়’, কড়া নির্দেশ বিচারপতি মান্থার   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেউ এজলাসে ঢুকতে চাইলে তাঁকে যেন বাধা দেওয়া না হয়। মঙ্গলবার হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ওসিকে ডেকে এমনই নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা (Justice rajasekhar Mantha)।

    বিচারপতি মান্থা…

    সোমবার থেকেই বিচারপতি মান্থার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন হাইকোর্টের আইনজীবীদের একাংশ। তাঁর বিরুদ্ধে পোস্টারও পড়ে। মঙ্গলবার সকালেও বেশ কিছু আইনজীবী তাঁর এজলাসের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। হাইকোর্ট সূত্রে খবর, এই সময় এক আইনজীবী বিচারপতি মান্থার এজলাসে ঢুকতে গিয়ে বাধা পান বলে অভিযোগ। সে খবর কানে যায় বিচারপতি মান্থার। এর পরই তিনি তলব করেন হাইকোর্টের ওসিকে। নির্দেশ দেন, তাঁর কক্ষে এবং এজলাসের বাইরে যেন পুলিশি প্রহরা আরও বাড়ানো হয়। ওসিকে তিনি বলেন, প্রয়োজনে এজলাসের বাইরে ফোর্স বাড়ান। কিন্তু কেউ এজলাসে ঢুকতে চাইলে যেন তাঁকে বাধা দেওয়া না হয়। বিচারপতির এই নির্দেশর পরেই বাড়ানো হয় পুলিশি প্রহরা। আইনজীবীদের অনেকেই ভিতরে প্রবেশ করলে শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া। তবে অধিকাংশ মামলার শুনানিই হয়েছে একতরফা। বেশিরভাগ আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় স্বাভাবিক বিচার প্রক্রিয়া এগোয়নি বলে হাইকোর্ট সূত্রে খবর। প্রসঙ্গত, সোমবারও বিচারপতি মান্থার (Justice rajasekhar Mantha) এজলাস বয়কট হওয়ায় ৪০০টি মামলার বিচারপ্রক্রিয়া থমকে গিয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ মামলাও রয়েছে।

    আরও পড়ুুন: কলকাতা এসটিএফের বড় সাফল্য! মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার আইএস মডিউলের মাথা কুরেশি

    এদিকে, শহরে মিছিল করার অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। পুলিশ অনুমতি না দেওয়ায় কর্মসূচি পালনের আবেদন নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। মঙ্গালবার বিচারপতি মান্থা তাঁদের মামলা করার অনুমতি দেন। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় সেই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা। মামলাকারীদের আইনীজীব কৌস্তভ বাগচি বলেন, আগামী ১৬ জানুয়ারি চাকরি প্রার্থীদের ১০টি সংগঠন মহামিছিলের ডাক দিয়েছে। সংগঠনগুলির সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন তিন দিক থেকে মিছিল করে ধর্মতার মেট্রো চ্যানেলে জমায়েতের পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু তাতে পুলিশ আপত্তি জানিয়েছে বলে চাকরি প্রার্থীদের একাংশের দাবি। জানা গিয়েছে, হাওড়া, কলেজ স্ট্রিট এবং শিয়ালদহ থেকে তিনটি মিছিল ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে আসবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: এখনও কেন আড়ালের চেষ্টা? স্কুল সার্ভিস কমিশনের ভূমিকায় ক্ষোভ বিচারপতির

    Justice Abhijit Gangopadhyay: এখনও কেন আড়ালের চেষ্টা? স্কুল সার্ভিস কমিশনের ভূমিকায় ক্ষোভ বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের ভূমিকায় ফের ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নবম ও দশম শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাজ কর্ম নিয়ে বিচারপতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, ” ৯৫২টি বিকৃত ওএমআর (OMR) শিট প্রকাশ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা মানা হয়নি। ওই ওএমআর (OMR) শিট দেখার জন্য কোনও প্রার্থীর রোল নম্বর এবং জন্ম তারিখ দিতে হবে? কেন এই পদ্ধতি?  কিসের জন্য আড়াল করার চেষ্টা?”

    কী বললেন বিচারপতি

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আরও বলেন, “এই ধরনের দুর্নীতি প্রকাশ্যে আনা উচিত। কিন্তু কমিশন এখনও আড়াল করার চেষ্টা করছে? আদালতের নির্দেশের পরেও স্বচ্ছতার ধার ধারছে না কমিশন। স্কুল সার্ভিস কমিশনের এই ভূমিকায় আদালত মোটেও সন্তুষ্ট নয়।” কমিশনের সচিবকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, “আদালতের নির্দেশের পরও স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাজ দেখে আশ্চর্য হলাম। ওএমআর শিট প্রকাশ করতে বলা হয়েছিল। সেখানে কেন প্রার্থীর রোল নম্বর এবং জন্ম তারিখ দিতে হবে? কেন এই ঘোমটা?” “এই দুর্নীতি তো জনসমক্ষে আনা প্রয়োজন। সেখানে এখনও কেন আড়াল করছে কমিশন?” এর পাশাপাশি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় কমিশনের সচিবকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। 

    আরও পড়ুন: বছরটা বাংলাতেই কাটছে অনুব্রতের! পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত দিল্লি যাত্রায় স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    স্কুল সার্ভিস কমিশনের যুক্তি

    পরিস্থিতি বেগতিক দেখে কমিশনের আইনজীবী বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ওএমআর (OMR) শিট পুরোপুরি লোড করা যায়নি। বৃহস্পতিবারের মধ্যে সব নির্দেশ সঠিকভাবে পালিত হবে বলেও আশ্বস্ত করেন কমিশনের আইনজীবী। দুপুর ১২টা নাগাদ আদালতে হাজিরা দিয়ে কমিশনের সচিব অর্ণব চট্টোপাধ্যায় বিচারপতিকে জানান, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে উত্তরপত্রগুলি সকলে দেখতে পাচ্ছেন না। খুব দ্রুতই এই সমস্যা কেটে যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবারই সবাই উত্তরপত্রগুলি দেখতে পারবেন। কাল ফের মামলার শুনানি। ‘কীভাবে ওএমআর (OMR) শিট বিকৃতি প্রকাশ করা হচ্ছে তা নজর রাখবে, আদালত।’ মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share