Tag: Kolkata

Kolkata

  • HMPV in Kolkata: কলকাতায়ও এইচএমপি ভাইরাস! পাঁচ মাসের শিশুর শরীরে মিলল হদিশ

    HMPV in Kolkata: কলকাতায়ও এইচএমপি ভাইরাস! পাঁচ মাসের শিশুর শরীরে মিলল হদিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্নাটক, গুজরাটের পর এবার কলকাতায় (HMPV in Kolkata) পাঁচ মাসের এক শিশুর দেহে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি)-এর হদিশ মিলল। ওই শিশুকে বাইপাসের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, চিকিৎসার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সে আপাতত সুস্থ রয়েছে।

    কী কী উপসর্গ ছিল শিশুর শরীরে? (HMPV in Kolkata)

    প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ডিসেম্বরের শেষে মুম্বই থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে কলকাতায় (HMPV in Kolkata) এসেছিল শিশুটি। এখানে এসে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ভর্তি করানো হয় বাইপাসের ধারের একটি হাসপাতালে। সেখানে কয়েক দিন পর্যবেক্ষণে রাখার পর ছেড়ে দেওয়া হয় তাকে। সোমবারই কর্নাটকের বেঙ্গালুরুর দুই শিশুর শরীরে ওই ভাইরাসের হদিশ পাওয়ার খবর জানা গিয়েছে। গুজরাটের আহমেদাবাদের এক শিশুও সংক্রমিত হয়েছে বলে খবর মিলেছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, জ্বর এবং কাশির মতো সাধারণ কিছু উপসর্গ ছিল ওই শিশুর। পরীক্ষার পর ধরা পড়ে সে এইচএমপিভি-তে আক্রান্ত। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোনও শারীরিক পরিস্থিতি ওই শিশুটির ছিল না। তবে সব রকম সাবধানতা অবলম্বন করেই চিকিৎসা করা হয়েছে। সম্প্রতি চিনে এইচএমপিভি-র একটি রূপের সংক্রমণ বেড়েছে। তার পর থেকেই উদ্বেগ দানা বেঁধেছে ভারত-সহ অন্যান্য দেশে। অনেকেই বছর চারেক আগের করোনা-আবহের কথা ভেবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তবে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে,পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে।

    বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?

    বিশেষজ্ঞরা (HMPV in Kolkata) বলছেন, ইনফ্লুয়েঞ্জা, কোভিডের মতো ভাইরাস যেভাবে ছড়ায়, এই ভাইরাসের সংক্রমণও একইভাবে ঘটে। কাশি বা হাঁচির জীবাণু থেকে হোক কিংবা, রোগীর কাছাকাছি আসা, হাত মেলানো, সংক্রমিত জায়গা ছোঁয়া ইত্যাদি। কর্নাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, HMPV-র অস্তিত্ব আগে থেকেই রয়েছে। এটি কোনও নতুন ভাইরাস নয়। তাই অকারণে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু হয়নি। ২০০১ সালে প্রথম এই ভাইরাসকে চিহ্নিত করা গিয়েছিল। এই ভাইরাস মূলত শ্বাসযন্ত্রের ক্ষতি করে এবং প্রবলভাবে শ্বাসকষ্টের সমস্যা তৈরি করতে পারে। বাচ্চা এবং বয়স্ক তো বটেই, যে কোনও বয়সের মানুষকে অল্প সময়ের মধ্যেই কাবু করার ক্ষমতা রয়েছে এর। বিশেষ করে যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের জন্য এই ভাইরাস মারাত্মক হতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Fake Medicines: রাজ্যে জাল ওষুধের রমরমা কারবার, গ্রেফতার কলকাতার মহিলা

    Fake Medicines: রাজ্যে জাল ওষুধের রমরমা কারবার, গ্রেফতার কলকাতার মহিলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় জাল ওষুধের (Fake Medicines) রমরমা কারবার। পর্দা ফাঁস করল ড্রাগ কন্ট্রোল। দেশি-বিদেশি নামী কোম্পানির ওষুধ নিয়ে কালোবাজারির অভিযোগে (Bangladesh) গ্রেফতার মহিলা। কলকাতার রিজেন্ট পার্কের বাসিন্দা তিনি। বাজেয়াপ্ত হয়েছে ক্যান্সার, ডায়বেটিস চিকিৎসার ওষুধ। দেশজুড়ে এই ধরনের অপারেশন আরও চলবে বলে ড্রাগ কন্ট্রোল সূত্রে খবর।

    জেল হেফাজতের নির্দেশ (Fake Medicines)

    আজ, মঙ্গলবারই ওই মহিলাকে তোলা হয় আদালতে। ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। তাঁকে জেরা করে অসাধু ওই চক্রের হদিশ পেতে চাইছে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন। জানা গিয়েছে, সূত্র মারফত খবর পেয়ে এদিন সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের পূর্বাঞ্চলীয় শাখার তরফে অভিযান চালানো হয়। বাজেয়াপ্ত হয় প্রচুর ওষুধ। এর আনুমানিক বাজারমূল্য ৬.৬ কোটি টাকা। ওষুধগুলির স্ট্রিপে লেখা বাংলাদেশ, আমেরিকা, তুরস্ক, আয়ারল্যান্ড। বেশ কিছু ওষুধের স্ট্রিপে লেখা মেড ইন বাংলাদেশ।

    অসাধু চক্র

    এই ওষুধগুলোর কোনওটা ক্যান্সার নিরাময়ের, কোনওটা বা ডায়বেটিসের। তবে এসব ওষুধ ভারতে আমদানি করতে যেসব নথিপত্রের প্রয়োজন, তা পাওয়া যায়নি। কে বা কারা এই অসাধু চক্র চালাচ্ছে, তার খোঁজে নামেন ড্রাগস কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের সদস্যরা (Fake Medicines)। তখনই খোঁজ মেলে রিজেন্ট পার্কের ওই মহিলার। তার পরেই ফাঁস হয় রহস্যের পর্দা। জানা গিয়েছে, ওই মহিলার নেতৃত্বেই চলছে জাল ওষুধের রমরমা কারবার। ওই মহিলাকে জেরা করে এই অসাধু চক্রের অন্যদের খোঁজ পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা। এদিন যেসব ওষুধ বাজেয়াপ্ত হয়েছে, সেগুলির গুণগত মান পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে ল্যাবরেটরিতে।

    আরও পড়ুন: জয়েন্ট মাস্টার্স প্রোগ্রাম থেকে মুসলিম সংরক্ষণ বন্ধের কথা ভাবছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়

    স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, জনস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে জাল ওষুধ বিরোধী অভিযান চলবে। এক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, কেবল জাল ওষুধের রমরমা কারবার বন্ধই নয়, বাজারে ওষুধের গুণগত মান পরীক্ষার ওপরও নজর দেওয়া হচ্ছে। নিম্নমানের কোনও (Bangladesh) ওষুধ যাতে বাজারে আর বিক্রি না হয়, তার জন্যও চলছে অপারেশন (Fake Medicines)।

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Srirampur:  নিয়মের বেড়াজালে বন্ধ হয়ে গেল শ্রীরামপুর-কলকাতা ৯৮ বছরের পুরানো ৩ নম্বর বাসরুট

    Srirampur: নিয়মের বেড়াজালে বন্ধ হয়ে গেল শ্রীরামপুর-কলকাতা ৯৮ বছরের পুরানো ৩ নম্বর বাসরুট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর দুবছর হলেই হয়তো সেঞ্চুরির সেলিব্রেশন করতে পারতেন বাসরুটের কর্মীরা। অনেক প্রবীণ মানুষের কাছে বহু স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে শ্রীরামপুর (Srirampur) -কলকাতা বাসরুট। কিন্তু, সেঞ্চুরির দরজায় দাঁড়িয়েও সেঞ্চুরি করার স্বপ্ন আর পূরণ হল না এই বাসরুটের। ৯৮ বছর ধরে চলা এই বাসরুটে বন্ধ হয়ে গেল বাস চলাচল।

    কবে শুরু হয়েছিল এই বাসরুট?(Srirampur)

    জানা গিয়েছে, ১৯২৬ সালে হুগলির শ্রীরামপুর (Srirampur) থেকে কলকাতার বাগবাজার পর্যন্ত লম্বা রুটে প্রথম পরিষেবা চালু হয়েছিল ৩ নম্বর রুটের। গত কয়েক বছর ধরেই অবশ্য এই রুটে বাসের সংখ্যা নিয়মিত ভাবে কমতে শুরু করেছিল। রুটে যাঁদের বাস চলত, সেই বাসের (Bus) মালিকরা নতুন করে আর এই রুটে বাস নামিয়ে ব্যবসা চালাতে রাজি হননি। সে জন্যই কয়েক বছর আগেও যাত্রীদের যে বাস পাওয়ার জন্য মাত্র তিন-চার মিনিটের বেশি অপেক্ষা করতে হত না, পরে সেই বাসের দেখা পাওয়াই কঠিন হত। বাসের বয়স ১৫ হলে তা আর রাস্তায় নামানো যাবে না – প্রশাসনের এমন নির্দেশের পর বন্ধ হল ৩ নম্বর রুটের একমাত্র বাসটি। ১০০ বছর পূর্ণ হতে যখন আর মাত্র দু’বছর বাকি, তখনই বন্ধ হয়ে গেল এই রুটে চলা শেষ বাসটির চাকা। কলকাতা, শহরতলি এবং রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার বাস পরিষেবা নিয়ে কাজ করে কলকাতা বাস-ও-পিডিয়া নামে একটি সংগঠন। প্রধানত বাসপ্রেমীরা মিলেই এই সংগঠন তৈরি করেছেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে অনিকেত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “২০০৮-এও ওই রুটে ৬৯টি বাস চলত। সেই সংখ্যা কমতে শুরু করে ২০১৮ সালে ২২-এ এসে দাঁড়ায়। শেষ কয়েক বছর একটি মাত্র বাস চলত। সেই বাসটিও এ বার স্ক্র্যাপ হয়ে যাবে – এত লম্বা একটা রুট পুরো বন্ধ হয়ে গেল।”

    আরও পড়ুন: ভারত থেকে ব্রহ্মোস মিসাইল কিনতে চলেছে ভিয়েতনাম

    বাস মালিকরা কী বললেন?

    ৩ নম্বর রুটের শেষ বাসটির মালিক ছিলেন সুদীপ গোস্বামী। তিনি বলেন, “রুট ছিল শ্রীরামপুর (Srirampur) থেকে কলকাতার বাগবাজার। এত লম্বা রুটে কেউ যেতেন না। আমাদের প্রায় সব যাত্রীই ছিলেন শর্ট রুটের। কিন্তু, গত কয়েক বছরে অটো এবং টোটোর সংখ্যা অত্যন্ত বেড়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, শ্রীরামপুর থেকে বালি পর্যন্ত অংশে জিটি রোড মাঝে মধ্যে এতটাই সরু যে বাস চালানো অত্যন্ত কঠিন। ফলে দীর্ঘ সময়ে যানজটে আটকে থাকতে হত।” বেসরকারি বাসমালিকদের সংগঠন, অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘গত চার বছরে কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকায় ৪০টির কাছাকাছি বাসরুট বন্ধ হয়েছে। প্রশাসনের তরফ থেকে আমরা এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন রুট বাঁচানোর জন্য কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ করতে দেখিনি।’ বাসমালিকদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, “অটো বা টোটোর হওয়া উচিত ছিল ‘লাস্ট পয়েন্ট অফ কানেকটিভিটি’ অর্থাৎ, অটো-টোটোর বাড়ি থেকে বাস চলার পথ পর্যন্ত চলবে। তবে এখন অটো-টোটোও বাসের প্রতিযোগী হয়ে পড়েছে। তারই প্রভাবে পর পর বাসরুট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: ঠান্ডায় কালিম্পংকে ছাপিয়ে গেল পুরুলিয়া, দক্ষিণবঙ্গের সাত জেলায় শৈত্যপ্রবাহের সতর্কবার্তা!

    Weather Update: ঠান্ডায় কালিম্পংকে ছাপিয়ে গেল পুরুলিয়া, দক্ষিণবঙ্গের সাত জেলায় শৈত্যপ্রবাহের সতর্কবার্তা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যজুড়ে জাঁকিয়ে শীত। পাশাপাশি শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে বড়সড় সতর্কবার্তা দিল আলিপুর আবহাওয়া (Weather Update) অফিস। চলতি সপ্তাহে তো বটেই, আগামী সপ্তাহের গোড়াতেও কনকনে শীতের (Winter) আমেজ থাকবে রাজ্যে। শনিবার আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রবিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সাত জেলায় শৈত্যপ্রবাহ চলবে। এই জেলাগুলি হল পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূম।

    ঠান্ডায় কালিম্পঙকে ছাপিয়ে গেল পুরুলিয়া (Weather Update)

    আবহাওয়া দফতর (Weather Update) সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২ দিনে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় ৩-৫ডিগ্রি সেলসিয়াস নীচে থাকবে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী ৩ দিনে তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি কমবে। পশ্চিমের সব জেলা অর্থাৎ বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম -এই পাঁচটি জেলায় শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা থাকবে। ১০ ডিগ্রির নীচে তাপমাত্রা থাকবে। কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের নীচে থাকবে। আগামী সাতদিন তাপমাত্রা একই থাকবে। পাশাপাশি পরিবেশ ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকবে। বেলা বাড়লে ধীরে ধীরে কুয়াশা কাটবে। আগামী ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। শনিবার পুরুলিয়ায় তাপমাত্রা নেমেছিল ৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। শ্রীনিকেতনে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮.২ ডিগ্রি এবং ঝাড়গ্রামে ছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কালিম্পঙে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঠান্ডায় কালিম্পঙকে ছাপিয়ে গেল পুরুলিয়া।

    আরও পড়ুন: “বৈচিত্র্যের ভারতে বিভেদের বিষ ছড়াচ্ছে কেউ কেউ”, সংসদে তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    কুয়াশার দাপট কোন কোন জেলায়?

    আবহাওয়া দফতরের (Weather Update) পূর্বাভাস, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে কুয়াশার দাপট বেশি থাকবে। সকালের দিকে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং মালদার বিস্তীর্ণ অংশ কুয়াশাচ্ছন্ন থাকবে। ফলে দৃশ্যমানতাও অনেকটা কম থাকবে। ঘন কুয়াশা থাকবে দক্ষিণবঙ্গের পাঁচ জেলা উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায়। হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার পর্যন্ত তাপমাত্রার বিশেষ হেরফের হবে না। তবে সোমবারের পর থেকে তাপমাত্রা ফের বাড়বে। দুই থেকে তিন ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়তে পারে।

    ফের ঘূর্ণাবর্ত!

    হাওয়া অফিস (Weather Update) জানিয়েছে, দক্ষিণ আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় সেটি নিম্নচাপে পরিণত হবে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে এই নিম্নচাপের অভিমুখ থাকবে তামিলনাডু উপকূলের দিকে। পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর হয়ে এই নিম্নচাপ তামিলনাড়ু উপকূলে স্থলভাগে প্রবেশ করবে। এর প্রভাবে আগামী দু’-তিন দিন আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। নিম্নচাপের সরাসরি প্রভাব না-পড়লেও আগামী সপ্তাহে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় আকাশ আংশিক মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISKCON: কলকাতা ইসকনের ওয়েবসাইট হ্যাক! ভেসে উঠল ইসলামের স্লোগান

    ISKCON: কলকাতা ইসকনের ওয়েবসাইট হ্যাক! ভেসে উঠল ইসলামের স্লোগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূস সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে অশান্ত বাংলাদেশ। বিশেষ করে হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির পর থেকে পরিস্থিতি আরও অবনতি হতে শুরু করেছে। সংখ্যালঘু হিন্দুরা প্রতিবাদ করলেই অত্যাচারের শিকার হতে হচ্ছে। ইসকন (ISKCON)-কে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠতে শুরু করেছে বাংলাদেশের মাটিতে। এরই মধ্যে এপার বাংলার ইসকনের ওয়েবসাইট হ্যাক হয়ে গেল।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (ISKCON)

    শনিবার সকালে ওয়েবসাইট খুলেই চক্ষু চড়কগাছ কলকাতা ইসকন (ISKCON) কর্তৃপক্ষের। জানা যাচ্ছে, ওয়েবসাইটে ভেসে উঠেছে বেশ কয়েকটি ইসলামিক স্লোগান। ‘‘আল মশাল” নামে এক ইসলামিক সংগঠন এই ওয়েবসাইট হ্যাক করেছিল। তাই, গত দুদিন ধরে ঠিকভাবে কাজ করছিল না নিউ টাউন, ইসকন-এর ওয়েবসাইট। প্রাথমিকভাবে সদস্যরা মনে করেছিলেন এটা কোনও প্রযুক্তিগত ত্রুটি। কিন্তু শনিবার সকালে ওয়েবসাইট খুলে চমকে যান ইসকন কর্তৃপক্ষ। যদিও পরবর্তীকালে নিজেদের ইঞ্জিনিয়র ও প্রযুক্তিবিদদের ডেকে সব কিছু ঠিক করা হয়। তবে এই ঘটনার কারণে দীর্ঘক্ষণ বন্ধ ছিল ওয়েবসাইট। যদিও বর্তমানে সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে, কে বা কারা এই কাজ করেছে তা নিয়ে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়েছে। এর পিছনে কোনও জঙ্গি সংগঠন আছে কি না তা তদন্ত করে দেখার দাবি জানানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সংখ্যালঘুদের কারও পদোন্নতি আটকে, কাউকে কমিশনে না রেখে সমানে চলেছে দমন-পীড়ন!

    উল্লেখ্য, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে বারবার প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে ইসকন। কলকাতার ইসকন-এর (ISKCON) তরফে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি নিয়েও সরব হয়েছে তারা। এখনও পর্যন্ত জেলেই রয়েছেন চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। আইনজীবী পেতেই কালঘাম ছুটেছে তাঁর। আইনজীবী পাওয়া গেলেও শুনানি পিছিয়ে যাচ্ছে। এমনকী আইনজীবীকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশে ইসকন বিরোধী ও সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে কলকাতায়। বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনের সামনে প্রতিনিয়ত বিক্ষোভ দেখাচ্ছে একাধিক রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক সংগঠন। এরমধ্যে আচমকাই কলকাতায় ইসকনের ওয়েবসাইট হ্যাক করার ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chikungunya: শীতের মধ্যেও কলকাতায় বাড়ছে চিকুনগুনিয়া, রাজ্যজুড়ে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গিও

    Chikungunya: শীতের মধ্যেও কলকাতায় বাড়ছে চিকুনগুনিয়া, রাজ্যজুড়ে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাঁকিয়ে পড়েছে শীত। ক্রমশ নামছে পারদ। এই আবহের মধ্যে এবার কলকাতায় বাড়ছে চিকুনগুনিয়া (Chikungunya) আক্রান্তের সংখ্যা। তাপমাত্রা কমতে থাকলেও মশাবাহিত রোগ কমছে না। ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার পর এবার নতুন আতঙ্কের নাম চিকুনগুনিয়া। শীতের শুরুতে এবার ভয় ধরাচ্ছে এই অসুখ। চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ চোখে পড়ছে দক্ষিণ কলকাতা-সহ শহরের একাধিক জায়গায়। সঙ্গে রাজ্যজুড়ে ডেঙ্গিও বাড়ছে।

    কী কী উপসর্গ রয়েছে? (Chikungunya)

    একটানা কদিন জ্বর ও গাঁটে ব্যথা হলেই বিশেষ রক্তপরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। মশাবাহিত এই রোগ (Chikungunya) থেকে রেহাই পেতে ব্যবহার করতে হবে মশারিও। চিকিৎসকদের মতে, চিকুনগুনিয়ার উপসর্গ অনেকটাই ডেঙ্গির মতো। চিকুনগুনিয়া আর ডেঙ্গির বাহক একই-এডিস ইজিপ্টাই মশা। ফলে কার ডেঙ্গি হয়েছে আর কার চিকুনগুনিয়া তা নিয়ে প্রাথমিকভাবে তৈরি হচ্ছে একটা ধন্দ। এক্ষেত্রে রোগ নির্ণয়ে সেরোলজিক্যাল টেস্ট নামে একটি বিশেষ রক্ত পরীক্ষার সাহায্য নিচ্ছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসক অজয় সরকার বলেন, ‘‘গত ২ মাস চিকুনগুনিয়া আক্রান্ত রোগীদের পাচ্ছি। ডেঙ্গির মতো উপসর্গ। সেরোলজিক্যাল টেস্টের মাধ্যমে ধরা পড়ছে চিকুনগুনিয়া। শরীর দূর্বল হয়ে যাচ্ছে। ব্যথা ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত থাকে। এর থেকে বেশি হলে ক্রনিক আর্থারাইটিসের মতো হয়ে যায়।”

    আরও পড়ুন: সংখ্যালঘুদের কারও পদোন্নতি আটকে, কাউকে কমিশনে না রেখে সমানে চলেছে দমন-পীড়ন!

    বাড়ছে ডেঙ্গি!

    চিকুনগুনিয়ার (Chikungunya) পাশাপাশি ডেঙ্গির সংখ্যাও রাজ্যে বাড়ছে। স্বাস্থ্য দফতরের রেকর্ড অনুযায়ী, চলতি মাসের ২ তারিখ পর্যন্ত রাজ্যে আক্রান্তের মোট সংখ্যা ২৯ হাজার ৫২২। ২৬ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাত্র এক সপ্তাহে রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩৪৬ জন। সরকারি হাসপাতালে পরীক্ষা করানোর পর ডেঙ্গি পজিটিভ হয়েছেন ২৩ হাজার ৮৪ জন। বেসরকারি হাসপাতাল ও ল্যাবরেটরি থেকে পরীক্ষার পর ৬ হাজার ৪৩৮ জনের ডেঙ্গি ধরা পড়েছে। ২৬ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গি আক্রান্তের রেকর্ড হয়েছে মুর্শিদাবাদে। এক সপ্তাহে সেখানে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ২১৮ জন। একই সময়ে উত্তর ২৪ পরগনায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ১৩৮ জন। মালদায় ডেঙ্গি আক্রান্ত ১০৩ জন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: পুরুলিয়ায় ৭.৫ ডিগ্রি, ঝাড়গ্রামে ৯, কলকাতায় কত? সাত জেলায় শৈত্য প্রবাহের সতর্কতা

    Weather Update: পুরুলিয়ায় ৭.৫ ডিগ্রি, ঝাড়গ্রামে ৯, কলকাতায় কত? সাত জেলায় শৈত্য প্রবাহের সতর্কতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতের কামড়ের আঁচ আন্দাজ করে ইতিমধ্যে সাত জেলায় শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। হু হু করে নামছে তাপমাত্রা। আরও কয়েকদিন এই ধারা বজায় থাকবে বলে হাওয়া অফিস (Weather Update) জানিয়েছে। ফলে, জাঁকিয়ে শীতের (Winter) পরিস্থিতি চলবে রবিবার পর্যন্ত।

    শৈত্য প্রবাহের সতর্কতা কোন কোন জেলায়? (Weather Update)

    পশ্চিমের সাত জেলায় শৈত্য প্রবাহের সতর্কতা (Weather Update) জারি করা হয়েছে। রাত ও দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকে নীচে থাকবে। জেলাগুলি হল পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, – ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূম জেলায়। আগামীকালও পশ্চিমের জেলায় শৈত্য প্রবাহের পরিস্থিতি। কুয়াশার দাপট থাকবে পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ জেলায়। বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনা থাকবে কলকাতা সহ বাকি জেলাতেও। কুয়াশার পরিমাণ বাড়বে সোমবার ও মঙ্গলবার। শনিবার থেকে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদা জেলাতে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে।

    আরও পড়ুন: সংখ্যালঘুদের কারও পদোন্নতি আটকে, কাউকে কমিশনে না রেখে সমানে চলেছে দমন-পীড়ন!

    পুরুলিয়ায় ৭.৫ ডিগ্রি, ঝাড়গ্রামে ৯, কলকাতায় কত?

    শনিবার কলকাতার (Weather Update) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি! রাত ও দিনের দুই তাপমাত্রাই স্বাভাবিকের বেশ কিছুটা নীচে। আপাতত ১৫ ডিগ্রির নীচেই থাকবে তাপমাত্রা। পশ্চিমের জেলাগুলির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কলকাতার প্রায় অর্ধেক! আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শনিবার সকালে পুরুলিয়ার তাপমাত্রা ছিল ৭.৫ ডিগ্রি, শ্রীনিকেতনে ৮.২ ডিগ্রি, ঝাড়গ্রামে ৯ ডিগ্রি, পানাগড়ে ৯.৬ ডিগ্রি, কল্যাণীতে ১০.৫ ডিগ্রি, বর্ধমানে ১০ ডিগ্রি, বাঁকুড়ায় ১১.৪ ডিগ্রি, দিঘাতে ১২ ডিগ্রি! একইভাবে উলুবেড়িয়ায় ১১.৪ ডিগ্রি, ডায়মন্ড হারবারে ১৩.৪ ডিগ্রি, ক্যানিং: ১৩.৬ ডিগ্রি এবং দমদমে ১৪ ডিগ্রি। জাঁকিয়ে শীতের স্পেল উত্তরবঙ্গেও। স্বাভাবিকের নীচেই থাকবে পারদ। বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

    বৃষ্টির সম্ভাবনা কোথায়?

    হাওয়া অফিস (Weather Update) সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী দু’তিন দিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে। সোম, মঙ্গলবার নাগাদ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে তামিলনাড়ু, পন্ডিচেরি এবং কেরালাতে। ঘন কুয়াশার দাপট থাকবে ওড়িশা, অসাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম এবং ত্রিপুরাতে। চরম শৈত্য প্রবাহ থাকবে পঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ, জম্মু-কাশ্মীর-সহ একাধিক রাজ্যে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Attacks on Hindu: প্রতিবাদ কাশ্মীরি সংখ্যালঘুদের, বাংলাদেশে হিন্দু নিধনের বিরুদ্ধে ভারতজুড়ে বিক্ষোভ

    Bangladesh Attacks on Hindu: প্রতিবাদ কাশ্মীরি সংখ্যালঘুদের, বাংলাদেশে হিন্দু নিধনের বিরুদ্ধে ভারতজুড়ে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর একের পর এক হিংসার ঘটনা ঘটেছে। একদিকে আওয়ামি লিগের নেতা কর্মীরা যেমন আক্রান্ত হয়েছেন, ঠিক তেমনি নাগরিকদের দুর্বল অংশ সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত হয়ে চলেছে। শাসকদলের নেতারা ফতোয়া জারি করেছে, অত্যাচারের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পারবে না। কেউ ভারতের পক্ষে কথা বলতে পারবে না। বাজারে বাজারে ভারতীয় পণ্য বর্জনের নির্দেশ দিচ্ছে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা। পদ্মা পাড়ে হিন্দুদের উপর হওয়া অত্যাচারের প্রতিবাদ জানিয়েছে কাশ্মীরি সংখ্যালঘুুরা। আসমুদ্র-হিমাচল হয়েছে প্রতিবাদে মুখর। 

    শ্রীনগরে প্রতিবাদ

    বাংলাদেশে হিন্দুদের বিরুদ্ধে চলমান অত্যাচারের নিন্দা জানিয়ে শ্রীনগরে একটি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের আয়োজন করে কাশ্মীরি সংখ্যালঘুরা। বিক্ষোভকারীরা আন্তর্জাতিক ও সরকারি হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেন। সামাজিক কর্মী অনিতা চাঁদপুরী এই বিষয়ে ভারত সরকার, মানবাধিকার কমিশন এবং রাষ্ট্রসঙ্ঘের নীরবতার সমালোচনা করেছেন, উদ্বেগের সমাধান না হলে বৃহত্তর দেশব্যাপী মিছিলের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের অবস্থার সঙ্গে একদা কাশ্মীরে বসবাসকারী হিন্দু-ব্রাহ্মণদের অবস্থর তুলনা করেছেন অনেকে। গত ৩৫ বছর ধরে কাশ্মীরে হিন্দুরা এরকম অত্যাচার দেখেছেন বলেও মত অনেকের।

    ভারতের নানা প্রান্তে অসন্তোষ

    শুধু কাশ্মীর নয়, বাংলাদেশে হিন্দু বিরোধী সহিংসতা নিয়ে ভারতের নানা প্রান্তে অসন্তোষ চোখে পড়েছে। নয়ডা, গাজিয়াবাদে বিক্ষোভ সংগঠিত হয়েছে। হিন্দু সংগঠনগুলি থানে জেলায় বাংলাদেশের পরিস্থিতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে৷ নভি মুম্বাইয়ে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হামলার প্রতিবাদে নেতৃত্ব দিচ্ছে সাকাল হিন্দু সমাজ৷ হিন্দুদের উপর হামলার প্রতিবাদে কলকাতা-সহ সারা বাংলায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নৃশংসতার প্রতিবাদে হিন্দু সংগঠনগুলি শিমলায় সমাবেশ করেছে। ভারতীয় সনাতন সোসাইটি জামশেদপুরে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে। বিক্ষোভ সংগঠিত হয়েছে লখনউ, মোরাদাবাদেও।

    জার্মানিতেও প্রতিবাদ

    বাংলাদেশে সংখ্যালঘু, মায় হিন্দুদের ওপর চলমান অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আওয়াজ ভারতের সীা ছাড়িয়ে বিদেশেও আছড়ে পড়ছে। জার্মানির হিন্দু সংগঠনও এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক স্তরে এই বিষয়টি তুলে ধরার কথা বলেছে তারা। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বহু হিন্দু মন্দির ও মূর্তি ভাঙচুর, বাড়ি ও দোকানে লুটপাট, এমনকি আগুন ধরিয়ে দেওয়ার খবর প্রতিদিন সামনে আসছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ সবচেয়ে বেশি হচ্ছে। এই অঞ্চলগুলি হল চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুর, দিনাজপুর ঠাকুরগাঁও, চাপাই নবাবগঞ্জের মতো প্রত্যন্ত ও মফস্বল অঞ্চলে। বাদ নেই ঢাকা ও ঢাকার শহরতলি এলাকাগুলিও। এই ধারাবাহিক অত্যাচারের জন্য মূলত অভিযোগ উঠেছে খালেদার নেতৃত্বাধীন বিএনপি (বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টি) এবং জামাত-ই-ইসলামির বিরুদ্ধে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি জামাত-ই-ইসলামির মৌলবাদী শক্তির হিংসা ও লালসার শিকার হয়েছেন এই আক্রান্তরা। দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে প্রায় ৩০টি জেলাতে হিংসার ঘটনা বেশি ঘটছে। 

    আরও পড়ুনঃ চিন্ময় প্রভুর মুক্তির দাবি জানিয়ে ইউনূসকে চিঠি দিল বাংলাদেশের রামকৃষ্ণ মঠ-মিশন

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bangladesh: আগরতলা-কলকাতার ২ কূটনীতিককে জরুরি তলব করল বাংলাদেশ সরকার

    Bangladesh: আগরতলা-কলকাতার ২ কূটনীতিককে জরুরি তলব করল বাংলাদেশ সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক টানাপোড়েন চলছে। এই আবহে কলকাতায় বাংলাদেশের (Bangladesh) উপদূতাবাসের প্রধান ও আগরতলায় বাংলাদেশের দূতাবাসের সহকারী প্রধানকে ডেকে পাঠাল ইউনূস সরকার (Muhammad Yunus)। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’র এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে। ত্রিপুরার বাংলাদেশের সহকারি হাইকমিশনার হলেন আরিফুর রহমান এবং কলকাতার এই মুহূর্তে ভারপ্রাপ্ত উপ-হাইকমিশইনার সিকদার মহম্মদ। দুজনেই ইউনূস সরকারের জরুরি তলবে ঢাকায় পৌঁছেছেন।

    কেন ডেকে পাঠানো হল? (Bangladesh) 

    বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দুদের ওপর ব্যাপক নির্যাতনের ঘটনায় ভারতেও বিক্ষোভ শুরু হয়। ত্রিপুরা ও কলকাতায় বাংলাদেশের দূতাবাস ঘিরে চলে বিক্ষোভ। মনে করা হচ্ছে, এই কারণেই ডেকে পাঠানো হল দুই কূটনীতিককে। আবার কোনও কোনও মহলের মতে, ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিশ্রি বাংলাদেশ সফর করতে পারেন আগামী ৯ অথবা ১০ ডিসেম্বর। এখানে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। ভারতের বিদেশ সচিবের সফরের আগে তাই ডেকে পাঠানো হল দুই কূটনীতিককে। 

    প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ভারতের এই দুই দূতাবাসে বিক্ষোভ হওয়ার ঘটিনাটাকে খুব বড় করেই ওই বৈঠকে তুলে ধরা হবে। সেইসঙ্গে ভারত নিরাপদ নয়, সেটাও প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে বাংলাদেশ। ইতিমধ্যেই ত্রিপুরার সহকারী হাইকমিশনারের অফিস ‘ক্লোজ’ করে দিয়েছে ইউনূস সরকার (Muhammad Yunus)।

    দূতাবাসে বিক্ষোভের জেরে ব্যবস্থা নেয় ত্রিপুরা সরকার

    গত সোমবার ত্রিপুরায় বাংলাদেশের (Bangladesh) উপদূতাবাসে বিক্ষোভ দেখায় একটি হিন্দু সংগঠন। অভিযোগ, সেই সময় হামলাও চালানো হয় দূতাবাসে। তবে এই ঘটনায় ব্যবস্থাও নিয়েছে ত্রিপুরার বিজেপি সরকার। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে নিলম্বিত করা হয়েছে তিন পুলিশকর্মীকে। ক্লোজ করা হয়েছে এক ডেপুটি পুলিশ সুপারকেও।

    আরও পড়ুন: চলছে হিন্দু নির্যাতন, ঢাকায় যাচ্ছেন ভারতের বিদেশ সচিব, সুর নরম বাংলাদেশের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: বাংলাদেশে আক্রান্ত কলকাতাগামী বাস, ভারতীয়দের প্রাণনাশের হুমকি! প্রতিবাদ ত্রিপুরার

    Bangladesh: বাংলাদেশে আক্রান্ত কলকাতাগামী বাস, ভারতীয়দের প্রাণনাশের হুমকি! প্রতিবাদ ত্রিপুরার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু নির্যাতনের ঘটনায় যখন বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকারের তীব্র সমালোচনা চলছে নানা মহলে, ঠিক তখনই ত্রিপুরা লাগোয়া বাংলাদেশ সীমান্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কলকাতাগামী একটি বাস ঘিরে যাত্রীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। ত্রিপুরা থেকে কলকাতাগামী বাসে হামলা চালানোর অভিযোগ। বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবেড়িয়ায় ইচ্ছাকৃতভাবে কলকাতাগামী ওই বেসরকারি পরিবহণ সংস্থার বাসে ধাক্কা মারে একটি ট্রাক, এমনটাই জানা গিয়েছে। দুর্ঘটনায় অল্প আঘাত পান যাত্রীরা। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীও বাংলাদেশের হামলার কড়া নিন্দা করেন। হামলা না থামালে কড়া পদক্ষেপের কথাও বলেন তিনি।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bangladesh)

    জানা গিয়েছে, ৩০ নভেম্বর ত্রিপুরার আগরতলা থেকে কলকাতা (Kolkata) আসছিল শ্যামলী পরিবহণের বাস। বাংলাদেশের (Bangladesh) বিশ্ব রোডে হঠাৎ বাসটিকে সজোরে ধাক্কা মারে একটি বড় ট্রাক। কোনওমতে ব্রেক কষে বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ান বাসের চালক। গোটা ঘটনায় চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। অভিযোগ, দুর্ঘটনার পরই বাসে থাকা ভারতীয় যাত্রীদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। ভারত বিরোধী স্লোগানও দেওয়া হয়। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে ত্রিপুরা সরকার। ত্রিপুরার পরিবহণমন্ত্রী সুশীল চৌধুরী বলেন, ‘‘ত্রিপুরা থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবেড়িয়ায় আক্রান্ত হয়েছে শ্যামলী পরিবহণের একটি বাস। বাসটি রাস্তার এক ধার ধরে যাচ্ছিল। হঠাৎ বাসটিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দুর্ঘটনার কবলে ফেলার জন্য ধাক্কা দেয় পণ্যবাহী একটি ট্রাক। একই সময় রাস্তায় থাকা একটি অটো বাসের সামনে চলে আসে এবং শ্যামলী – বাসটির সঙ্গে সেটির সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন – বাসে থাকা ভারতীয় যাত্রীদের ক্রমাগত হুমকি দিতে থাকেন। ভারত- বিরোধী নানা স্লোগান দিয়ে এবং কটু মন্তব্য করে যাত্রীদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাই। আর বাসে থাকা ভারতীয় যাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশের প্রশাসনকে দ্রুত হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’’

    সরব হয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী

    ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা ভারতীয় যাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রশাসনকে এই বিষয়ে দ্রুত হস্তক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘এরকম ঘটনা ঘটতে পারে তা ভাবা যায়নি। বাংলাদেশে যা চলছে তা কোনও মতেই মেনে নেওয়া যায় না। ওরা যদি নিজেদের শুধরে না নেয়, তাহলে ফল ভুগতে হবে। ওখানে যা হচ্ছে তা মোটেও ভালো নয়।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘ওখানে সংখ্যালঘুদের ওপর যেভাবে অত্যাচার চলছে, তা গোটা বিশ্ব দেখছে। আমি আশা করছি, আমাদের কেন্দ্রীয় সরকার এবং কেন্দ্রীয় নেতারা পুরো বিষয়টির ওপর নজরদারি চালাচ্ছেন। সঠিক সময়ে তাঁরা নিশ্চয়ই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবেন। যেহেতু ত্রিপুরার তিন দিকে বাংলাদেশ সীমান্ত তাই আমরা নজরদারির জন্য বিএসএফ এবং ডিজিপির সঙ্গে কথা বলেছি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share