Tag: Kunal ghosh

Kunal ghosh

  • Shatarup Ghosh: ২২ লাখি গাড়ি কিনে দলেই সমালোচনার মুখে সর্বহারার নেতা শতরূপ

    Shatarup Ghosh: ২২ লাখি গাড়ি কিনে দলেই সমালোচনার মুখে সর্বহারার নেতা শতরূপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি সর্বহারার নেতা। তিনি কিনেছেন ২২ লাখি বিলাসবহুল গাড়ি (Luxury Car)। তিনি শতরূপ ঘোষ (Shatarup Ghosh)। যাঁর গাড়ি নিয়ে আপাতত সরগরম রাজ্যরাজনীতি। বাম কর্মী ও তাঁদের পরিবারের দ্বারা সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ট্রোলড হচ্ছেন শতরূপ। কেবল তাই নয়, তৃণমূলের তরফেও নিশানা করা হয়েছে বামপন্থী নেতা শতরূপকে। বৃহস্পতিবার তারই জবার দিলেন শতরূপ। আলিমুদ্দিন স্ট্রিট থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূলের প্রশ্নের জবাব দিলেন তিনি। জানিয়ে দিলেন গাড়ি কেনার টাকার উৎসও।

    শতরূপ ঘোষ (Shatarup Ghosh)…

    মঙ্গলবার সকালে তৃণমূল (TMC) মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ট্যুইট-বাণে বিদ্ধ করেন শতরূপকে। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লেখেন, শতরূপ সম্প্রতি ২২ লাখ টাকা দামের একটি গাড়ি কিনেছেন। সিপিএমের সর্বক্ষণের কর্মী হয়েও কীভাবে এত দামি গাড়ি তিনি কিনলেন, প্রশ্ন কুণালের। নির্বাচন কমিশনে দেওয়া শতরূপের সম্পত্তির হিসাবও প্রকাশ্যে এনে দেখিয়েছেন কুণাল।

    তৃণমূল মুখপাত্রের জবাব দিতে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের পার্টি অফিসকেই বেছে নেন শতরূপ (Shatarup Ghosh)। তিনি জানান, গাড়ি কেনা হয়েছে তাঁর নামে। তবে গাড়ির টাকা দিয়েছেন তাঁর বাবা শিবনাথ ঘোষ। সিংহভাগ খরচই করা হয়েছে চেকের মাধ্যমে। কিছু টাকা নগদেও দেওয়া হয়েছে। খরচের রশিদ দেখিয়ে হিসেব প্রকাশ্যে এনেছেন শতরূপ। কবে, কোন ব্যাঙ্ক থেকে কত টাকা খরচ করা হয়েছে, তাও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর বাবার ফিক্সড ডিপোজিটে কত টাকা রয়েছে, তাও জানান এই সিপিএম নেতা। শতরূপ বলেন, এর পরেও গাড়ির খরচের বিষয়ে কোনও অনিয়ম চোখে পড়লে শাসকদল আইনি পদক্ষেপ করতেই পারে। তিনি বলেন, আমি কার টাকায় গাড়ি কিনব, তা তৃণমূল ঠিক করে দিতে পারে না।

    আরও পড়ুুন: অয়নকে টাকা না দেওয়ায় চাকরি গিয়েছে বৈধ চাকরিপ্রার্থীদের?

    তৃণমূল মুখপাত্র তাঁর ট্যুইটে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে শতরূপকে (Shatarup Ghosh) কটাক্ষ করেছিলেন। নথি প্রকাশ করে তিনি দেখিয়েছিলেন, হলফনামা অনুযায়ী ওই নির্বাচনে কসবার সিপিএম প্রার্থী শতরূপের সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ২ লক্ষ টাকার কিছু বেশি। সেই সম্পত্তি নিয়ে কীভাবে সিপিএমের একজন হোলটাইমার গাড়ি কিনতে এত টাকা খরচ করলেন, সেই প্রশ্ন তোলেন কুণাল। এদিন তারই জবাব দেন এই সিপিএম নেতা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     
     
  • Suvendu Adhikari: পার্থ কী বলবেন তা আলিপুর জেল সুপারের কেবিনে বসেই ঠিক হয়! দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: পার্থ কী বলবেন তা আলিপুর জেল সুপারের কেবিনে বসেই ঠিক হয়! দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) অভিযুক্ত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দিকে আঙুল তুলেছিলেন। এবার তার যোগ্য জবাব দিলেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, ‘খুব দুর্বল চিত্রনাট্য। এই নাটক জেলে থাকা সুদীপ্ত সেনকে দিয়েও লেখানো হয়েছিল। সেখানে বিমানবাবু থেকে শুরু করে আমার নামও ছিল।’ পার্থ কী বলবেন, সেটা বুধবার আলিপুর জেলের সুপারের কেবিনে বসে ঠিক হয় বলেও দাবি শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)।

    শুভেন্দু যা বললেন

    প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারেই বর্তমানে রয়েছেন পার্থ। শুভেন্দুর দাবি, এই চিত্রনাট্যর প্লট তৈরি হয়েছিল গতকাল। প্রেসিডেন্সির সুপারের দুটি ফোন নম্বরের হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসটাইমে কার কার সঙ্গে কথা হয়েছে, তা খুঁজে বের করার দাবি তুলেছেন তিনি। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) আরও দাবি, ‘গতকাল বিকেলে দেবাশিস চক্রবর্তীর কেবিনে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর আইনজীবী ছিলেন। সেই সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করা হোক।’ বিরোধী দলনেতার দাবি, এগুলি মিলিয়ে দেখলেই স্পষ্ট হবে কীভাবে জেলের ভিতরে থাকা একজনের বক্তব্যের সঙ্গে জেলের বাইরে থাকা একজনের বক্তব্য মিলে যায়। বললেন, ‘এগুলি খুব দুর্বল চিত্রনাট্য। এসব করে কিছু হবে না।’

    যুক্ত জেল সুপারও

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘‘দেবাশিস চক্রবর্তীর কেবিনে এক জন মহিলা আইনজীবী ছিলেন। সেই কেবিনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও আনা হয়েছিল। বিকেল ৪টে থেকে সওয়া ৪টের মধ্যে প্রেসিডেন্সি জেলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হোক।’’ এখানেই না থেমে চ্যালেঞ্জের সুরে শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বিধানসভার মধ্যেও বলেছিলাম। একটা ফাঁকা কাগজও যদি দেখাতে পারেন, তা হলে মেনে নেব। ২০১৬ সাল থেকে আমি বিধায়ক। তার আগে সাংসদ ছিলাম। এই সময় কালে তাঁর কাছ থেকে চক, ডাস্টার, ব্ল্যাকবোর্ড পর্যন্ত নিইনি। এই লোকটাকে আমি ঘৃণা করি। কারণ, তিনি দুশ্চরিত্র, লম্পট, দুর্নীতিপরায়ণ। আর এই সবের পিছনে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’

    আরও পড়ুুন: ‘এই চোর পার্থ’! স্লোগানের পাশাপাশি সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতার ফাঁসিও চাইল জনতা

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি, ওই চিত্রনাট্য ১৮ মিনিটের ব্যবধানে যাঁরা টুইট করেছেন এবং বলেছেন তাঁরা দু’জনেই ‘জেলখাটা’। প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪২ মিনিটে কুণাল টুইট করেন, ‘‘শিক্ষায় নিয়োগ বিতর্ক: দিলীপ ঘোষ, সুজন চক্রবর্তী, শুভেন্দু অধিকারী, শমীক ভট্টাচার্য ও আরও কয়েক জন চাকরির সুপারিশ করেছিলেন কি? তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে অনুরোধ করেছিলেন কি? তদন্ত হোক। কেন্দ্রীয় এজেন্সি একমুখী কাজ না করে নিরপেক্ষ কাজ করুক।’’ এর পরে দুপুর ১২টা নাগাদ আদালত চত্বরে মন্তব্য করেন পার্থ। শুভেন্দুর দাবি, এটা আগে থেকেই ঠিক করা ছিল।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Mithun Chakraborty: “আমার টিআরপি মৃত্যু পর্যন্ত কমাতে পারবি না”, কুনালকে ‘এলি তেলি গঙ্গারাম’ কটাক্ষ মিঠুনের

    Mithun Chakraborty: “আমার টিআরপি মৃত্যু পর্যন্ত কমাতে পারবি না”, কুনালকে ‘এলি তেলি গঙ্গারাম’ কটাক্ষ মিঠুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) অভিনীত ‘প্রজাপতি’ সিনেমাকে নন্দনে চলতে না দেওয়া নিয়ে উত্তাল হয় রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূল সাংসদ দেবের প্রযোজনা সংস্থার ছবি হলেও, বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী এই সিনেমায় থাকায় নন্দন বয়কট করে সিনেমাটিকে বলে অভিযোগ রয়েছে। ছবিতে মিঠুনের অভিনয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, মিঠুনের খারাপ অভিনয়ের জন্যই নাকি দেবের ওই ছবি ফ্লপ করেছে৷ তাঁর জায়গায় দেব পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিলে অনেক ভালো করতেন ৷ 

    যদিও তাঁর এই মন্তব্যকে সর্বসমক্ষে খারিজ করে দিয়েছেন দেব (Mithun Chakraborty)৷ তিনি বলেছেন, “কুণাল ঘোষ ছবির বিষয়টি বোঝেন না৷ তাই এটা আমাদের উপরই ছেড়ে দেওয়া উচিত৷” নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে প্রজাপতি ছবির একটি দৃশ্যও পোস্ট করে দেব ক্যাপশনে লেখেন ‘এমনি’৷ এই পোস্টের মাধ্যমেই দেব কুণালের মতো সমালোচকদের জবাব দিয়েছেন বলে দাবি করেন অনেকে।

    কী বলেছেন মিঠুন? 

    এবার কুণাল ঘোষকে কড়া জবাব দিলেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। কুণাল ‘এলি তেলি গঙ্গারাম’ বলে কটাক্ষ করলেন তিনি৷ মিঠুন কুণালকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, “যতই চেষ্টা করা হোক, তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত কেউ তাঁর টিআরপি নামাতে পারবেন না৷” ত্রিপুরায় ভোট প্রচারে যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে মিঠুন আরও বলেন, “আমার টিআরপি কোনওদিনই কমানো যাবে না। আমার টিআরপি নামাতে চেয়েছিলি। আমার মরা পর্যন্ত সেটা পারবি না।” কুণাল ঘোষ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, “আমি এলি তেলিদের কথার জবাব দিই না। ওসব গঙ্গারামদের কথায় জবাব দিই না।‌”

    আরও পড়ুন: মুক্তি পেল ‘পাঠান’- এর ট্রেলার, উন্মাদনা নেট পাড়ায়

    ত্রিপুরায় প্রচারের জন্য বিজেপির স্টার ক্যাম্পেইনার মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। এবার গেরুয়া শিবিরের হয়ে ত্রিপুরাতেও প্রচার করবেন তিনি। প্রচারের জন্য প্রতিবেশী এই রাজ্যে যাচ্ছেন মিঠুন চক্রবর্তী। যদিও কোন কোন বিষয়কে সামনে রেখে তিনি বিজেপির হয়ে প্রচার চালাতে চলেছেন, সেই বিষয়ে কিছু বলেননি মিঠুন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Bengal SSC scam: মন্ত্রিত্ব খোয়ালেন পার্থ! কোন মন্ত্রক কার হাতে জল্পনা, একটু পরেই তৃণমূলের জরুরি বৈঠক

    Bengal SSC scam: মন্ত্রিত্ব খোয়ালেন পার্থ! কোন মন্ত্রক কার হাতে জল্পনা, একটু পরেই তৃণমূলের জরুরি বৈঠক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি দুর্নীতি মামলায় আপাতত ইডি হেফাজতে রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেফতারির পর থেকেই দলের অভ্যন্তরে তাঁর অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছেন নেতা-কর্মীরা। তৃণমূল সূত্রে খবর, এই নিয়েই আজ বিকেলে দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠক ডাকলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ নিয়ে আলোচনা হবে। এর আগেই পার্থকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে, দলনেত্রী মমতা জানিয়ে দেন, পার্থ আর তাঁর মন্ত্রিসভায় নেই।

    তৃণমূল সূত্রে খবর, পার্থকে শিল্পমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণের পর শিল্প দফতর নিজের হাতেই রাখতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের দায়িত্বে আনা হতে পারে ব্রাত্য বসুকে। অন্যদিকে পরিষদীয় মন্ত্রী হতে পারেন তাপস রায় বা নির্মল ঘোষ। এদিন বিকেল ৫টায় তৃণমূল ভবনে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠক ডেকেছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গত শুক্রবার বর্তমান শিল্পমন্ত্রী তথা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থর নাকতলার বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। প্রায় ২৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর শনিবার গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। আপাতত ১০ দিনের ইডি হেফাজতে রয়েছেন পার্থ। 

    আরও পড়ুন: সোনার ‘সংসার’! গয়না থেকে সোনার বাট কী নেই অর্পিতার আলমারিতে

    গত শনিবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ। গ্রেফতারির পর ছ’দিন কেটে গেলেও তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরাননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই বিরোধী শিবির এবং দলের অন্দরে দাবি উঠছে, পার্থকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করার। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে অপসারণের দাবিতে এদিন বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। কলেজ স্ট্রিট থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করে গেরুয়া শিবির।

    [tw]


    [/tw]

    তৃণমূলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বৃহস্পতিবার পার্থকে দল থেকেই বহিষ্কারের দাবি তোলেন। নিজের ট্যুইটার একাউন্টে তিনি লিখেছেন, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে অবিলম্বে মন্ত্রিত্ব এবং সমস্ত দলীয় পদ থেকে অপসারণ করা উচিত। তাঁকে বহিষ্কার করা উচিত। যদি এই বক্তব্য ভুল বলে মনে করা হয়, তাহলে আমাকে সব পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার অধিকার দলের রয়েছে। আমি দলের একজন সৈনিক হিসাবে লড়াই চালিয়ে যাব’। যদিও, পরে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বহিষ্কারের দাবিতে আগের ট্যুইট সরিয়ে নেন কুণাল ঘোষ। দ্বিতীয় ট্যুইটে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক লেখেন, আগের ট্যুইটে ব্যক্তিগত মতামত জানিয়েছিলাম। দল এখন গোটা বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। বিকেলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক ডেকেছেন। আমাকেও বৈঠকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে। দল বিষয়টি গ্রহণ করায় আমার ব্যক্তিগত পোস্ট মুছে দিচ্ছি।

     

  • Cossipore BJPY Leader Death: ভোট-পরবর্তী হিংসার বলি বিজেপি কর্মী অর্জুনও?

    Cossipore BJPY Leader Death: ভোট-পরবর্তী হিংসার বলি বিজেপি কর্মী অর্জুনও?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তাহ পার হয়নি বিজেপির সংকল্প যাত্রার। ৫ মে ঘটা করে বর্ষপূর্তি পালন করেছে তৃণমূলও। এই আবহেই আরেক বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যুতে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ আরও একবার সামনে চলে এল।

    শুক্রবার কাশীপুর রেল কোয়ার্টারের পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় অর্জুন চৌরাসিয়া নামের এক যুবকের। তিনি বিজেপি যুব মোর্চার কর্মী ছিলেন। পরিবারেরও দাবি, অর্জুন বিজেপির কর্মী ছিলেন। তাদের অভিযোগ, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে প্রায়ই খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল অর্জুনকে।

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর এরাজ্যে খুন হন বেশ কয়েকজন বিরোধী নেতা ও কর্মী। এর সিংহভাগই পদ্ম শিবিরের বলে দাবি বিজেপির।  ঘটনার প্রতিবাদে সপ্তাহখানেক আগে সংকল্পযাত্রা কর্মসূচি পালন করে রাজ্য বিজেপি। রানি রাসমণি অ্যাভেনিউয়ের মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, বাংলায় বর্তমানে বর্বরোচিত অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের হাত ধরে। ২০২১ সালের ২ মে-র পরে ভোট পরবর্তী যে সন্ত্রাস দেখা গিয়েছিল, তা আর কোনও নির্বাচনের পরে দেখা যায়নি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর ভোট পরবর্তী হিংসার বর্ষপূর্তিতে পথে নেমেছিল বিজেপি। ভোটের পরে বিজেপি কর্মীদের ওপর যে অত্যাচার করা হয়েছিল এবং গণতন্ত্র লুঠ করা হয়েছিল, তার প্রতিবাদেই বুধবার রাজ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন সংকল্পযাত্রা কর্মসূচি পালন করে বিজেপি। 

    আরও পড়ুন: বিজেপি যুব নেতার রহস্যমৃত্যু, রণক্ষেত্র কাশীপুর, সিবিআই চাইলেন অমিত শাহ

    সেই যাত্রার কর্মসূচি পালনের পরে পরেই ৫ মে বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান করে তৃণমূল। এই অনুষ্ঠানে ভাষণও দেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই জোড়া কর্মসূচির রেশ পুরোপুরি মিলিয়ে যাওয়ার আগেই রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে অর্জুনের। মৃতের পরিবারের পাশাপাশি বিজেপিরও দাবি, অর্জুন বিজেপির যুব মোর্চার কর্মী ছিলেন। বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। যে গামছায় অর্জুনের দেহ ঝুলছিল, সেটি চৌরাসিয়া পরিবারের কারওর নয় বলেই দাবি সদস্যদের। যদিও স্থানীয় বিধায়ক তথা কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের দাবি, অর্জুন তৃণমূলের কর্মী ছিলেন। তিনি আত্মহত্যা করেছেন। 

  • Dilip Attacks Partha: কার চক্রান্তের কথা বলছেন? পার্থকে নিশানা দিলীপের, আক্রমণ অর্পিতাকেও

    Dilip Attacks Partha: কার চক্রান্তের কথা বলছেন? পার্থকে নিশানা দিলীপের, আক্রমণ অর্পিতাকেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chaterjee)। সম্প্রতি তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করেছে তাঁর দল তৃণমূল (TMC)। পার্থের মাথার ওপর থেকে আশীর্বাদী হাত সরে গিয়েছে তৃণমূল নেত্রীর। আক্ষরিক অর্থেই একা হয়ে গিয়ে পার্থের দাবি, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। পার্থের এই দাবিকেই হাতিয়ার করেছেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁর প্রশ্নবাণ, পার্থবাবু কার চক্রান্তের কথা বলছেন?

    এসএসসি দুর্নীতিকান্ডে তদন্তে নেমে কেঁচো নয়, কেউটের সন্ধান পেয়েছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। পার্থ ও তাঁর ঘনিষ্ঠ জনৈক অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে রাশি রাশি টাকা। হাইকোর্টের নিয়ম মেনে এদিন স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পার্থ অর্পিতাকে। সেখানেই কান্নায় ভেঙে পড়েন অর্পিতা। আর পার্থ দাবি করেন তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। পার্থের এই ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’কেই অস্ত্র করেছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর প্রশ্ন, পার্থবাবু কার চক্রান্তের কথা বলছেন? দিলীপ বলেন, উনি কোনও সাধারণ মানুষ নন। ওনার দায়িত্ব লোকের সামনে নিয়ে আসা। উনি মন্ত্রী, এত বড় নেতা, পুরানো রাজনীতিবিদ। তাই লোকে ওনাকে এত টাকা দিয়েছিল। তিনি বলেন, মানুষের বিশ্বাসটাকে রেখে বাংলার রাজনীতি যাতে কলুষমুক্ত হয়, সেজন্যও অন্তত ওনার বলা উচিত কারা চক্রান্ত করছে। এখন ফেঁসে গিয়েছেন। সত্যি সত্যিই কেউ চক্রান্ত করে থাকলে বলা উচিত।

    আরও পড়ুন : বেনামি ফ্ল্যাটের ‘মালকিন’ অর্পিতা, ভিজিটরদের নাম-ধাম জানতে কেন নিষেধ ছিল নিরাপত্তাকর্মীদের?

    এদিন অর্পিতাকেও নিশানা করেছেন দিলীপ। বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি বলেন, উনিও ঘর থেকে বেরনোর সময় বলেছিলেন বিজেপির চক্রান্ত। কান্নাকাটি করে তো আর বাঁচা যাবে না। তাহলে হয়তো লঘু হতে পারে সাজা। নইলে আরও কঠোর সাজা হবে। তিনি বলেন, উনি কান্নাকাটি না করে সত্য সামনে নিয়ে আসুন।

    এদিন তৃণমূলকে আক্রমণ করেছেন প্রদেশ কংগ্রস সভাপতি অধীর চৌধুরীও। তিনি বলেন, তৃণমূলের ভোটার, সমর্থকরা সৎ। তাঁদের সততা, আন্তরিকতাকে ব্যবহার করে তৃণমূলের নেতারা ধনকুবেরে রূপান্তরিত হয়েছে। বাংলার মানুষ নতুন চেহারা দেখছেন তৃণমূলের। সবে তো শুরু হয়েছে, এখনও অনেক বাকি রয়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুন : পার্থকে সরালেও এখনও কেন বহাল পরেশ? মমতাকে আক্রমণ বিজেপির

    বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, কে ষড়যন্ত্র করেছে, সেই নামটা ওঁর নির্দিষ্ট করে বলা উচিত। কারণ বাংলার মানুষ গভীরতম ষড়যন্ত্রের শিকার। বাংলার মানসম্মান নষ্ট হয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বলা উচিত কে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। না হলে একথা বলার কোনও মানে হয় না। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, চক্রান্ত হলে আইনের পথ খোলা রয়েছে।

     

LinkedIn
Share