Tag: Madhyam

Madhyam

  • CAG Report: মমতা সরকারের ২ লক্ষ ২৯ হাজার কোটির দুর্নীতি! ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে দ্রুত শুনানির আর্জি বিজেপির

    CAG Report: মমতা সরকারের ২ লক্ষ ২৯ হাজার কোটির দুর্নীতি! ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে দ্রুত শুনানির আর্জি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্যাগ রিপোর্টে (CAG Report) ২ লক্ষ ২৯ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে মমতার সরকারের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে গত বছর হাইকোর্টে মামলা হয়েছিল। এবার দ্রুত শুনানি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে বিজেপির তরফে। আগামী ১৯ তারিখের পর শুনানির আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে আজ বিধানসভায় ওই একই ইস্যুতে আলোচনা চেয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি।

    জনস্বার্থ মামলা হাইকোর্টে (CAG Report)

    ক্যাগ বা সিএজির রিপোর্টে (CAG Report) রাজ্যে হিসেবের গোলমাল মিলেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। কেন্দ্র থেকে পাওয়া টাকার হিসেবের কোনও শংসাপত্র দেওয়া হয়নি। রাজ্যের পুর, নগরোন্নয়ন, শিক্ষা এবং পঞ্চায়েত দফতরের হিসেবে ব্যাপক গরমিল পাওয়া গিয়েছে। উল্লেখ্য, হাইকোর্টে সিবিআই তদন্ত চেয়ে জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছে। সিএজি রিপোর্ট মামলায় এবার দ্রুত শুনানির আবেদন করে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। 

    বিজেপি রাজ্য সভাপতির দাবি

    বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “রাজ্যের হিসেব নিয়ে কেন্দ্র যে সিএজি বা ক্যাগ রিপোর্ট পাঠিয়েছে, সেখানে অনিয়ম রয়েছে।” এবার একে সামনে রেখেই আজ বিধানসভায় বিজেপি বিধায়করা ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান। একই ভাবে সরকারের সমালোচনা করেন রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    শুভেন্দুর বক্তব্য

    বিধানসভায় বিজেপির আনা আলোচনার প্রস্তাবকে স্পিকার বাতিল করলে শুভেন্দু বলেন, “ক্যাগের রিপোর্টে সর্বত্র দুর্নীতির কথা বলা হয়েছে। কয়েকশো ভুয়ো অ্যাকাউণ্টের তথ্য মিলেছে। ভয়ঙ্কর সব তথ্যের উল্লেখ করা হয়েছে। সরকারের ক্যাগ-আতঙ্ক শুরু হয়েছে। এই রিপোর্টের কথা শুনেই তৃণমূল লাফাচ্ছে।” 

    তৃণমূলের বক্তব্য

    রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা পালটা বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেছেন, “শুভেন্দু গতকাল দিল্লিতে গিয়ে ধমকানি চমকানি দিয়েছেন। বিভিন্ন নেতা এবং দফতরে গিয়ে দেখা করেছেন। কী আলোচনা হয়েছে বলছেন না। আগামী দিনে ইডি, সিবিআইকে পরিচালনা করা হবে। মমতা ২১ লাখ মানুষকে ১০০ দিনের কাজের সুযোগ করে দিয়েছেন। তাই বিজেপি বদলার রাজনীতি করেছে।”

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CAG Report: ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে বিধানসভায় বিজেপির তুমুল বিক্ষোভ, আলোচনার দাবিতে সরব বিধায়করা

    CAG Report: ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে বিধানসভায় বিজেপির তুমুল বিক্ষোভ, আলোচনার দাবিতে সরব বিধায়করা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভায় ক্যাগ বা সিএজি রিপোর্টকে (CAG Report) ঘিরে সোচ্চার হয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপির বিধায়ক ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরা। তাঁরা আলোচনার দাবিতে সরব হলে অধিবেশন মুলতুবি করে দেন বিধানসভার স্পিকার। এরপর বিজেপি বিধায়করা সভার বাইরে বেরিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। এই ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    সিএজি রিপোর্টে কী বলা হয়েছে (CAG Report)?

    সিএজি (CAG Report) অর্থাৎ কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টে বলা হয়, ১ লক্ষ ৯৪ হাজার কোটি টাকার কোনও রকম খরচের হিসাব দেয়নি রাজ্যে মমতার সরকার। ফলে রাজ্যের মা-মাটি সরকারের বিরুদ্ধে বিরাট দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। উল্লেখ্য শাসক দলের পক্ষ থেকে এই সিএজি রিপোর্টকে অস্বীকার করা হয়েছে। এবার আজ মঙ্গলবার বিধানসভার অধিবেশনে বিজেপি এই আর্থিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়ে আলোচনার দাবি জানায়। এরপর বিধানসভায় ব্যাপক হট্টগোলের কারণে স্পিকার অধিবেশন মুলতুবি করে দেন।

    সিএজি নিয়ে তদন্তের দাবি বিজেপির

    সিএজি (CAG Report) রিপোর্টের প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে, আলোচনার কথা বলে বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব জমা করে বিজেপি। বিজেপির এই পরিষদীয় দলের নেতাদের মধ্যে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, মনোজ ওঁরাও, শঙ্কর ঘোষ সহ মোট ছয় জন বিধায়ক। তাঁদের দাবি ছিল, সিএজি নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা করতে হবে। কিন্তু এই আলোচনায় সম্মতি দেননি স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

    চোর চোর স্লোগান

    সিএজি (CAG Report) নিয়ে আলোচনার অনুমতি না পেয়ে বিজেপি বিধায়কেরা সভার অন্দরেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যাপক স্লোগান দিতে শুরু করেন। এরপর শাসক দলের উদ্দেশ্যে একাধিক আর্থিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে চোর চোর স্লোগান দেওয়া হয়। রেশন বণ্টন দুর্নীতি, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি সহ একাধিক বিষয়ে শাসক দলের বিধায়ক এবং মন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে স্লোগান দেওয়া হয়।

    বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পলের বক্তব্য

    সিএজি (CAG Report) নিয়ে বিধানসভায় আনা বিজেপির মুলতুবি প্রস্তাব সম্পর্কে বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল বলেন, “সিএজির রিপোর্টে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যদি কেউ কিছু করে না থাকেন তাহলে ভয় কিসের? স্পিকার তো নিরপেক্ষ, ওঁর উচিত ছিল আলোচনার অনুমতি দেওয়া।” উল্লেখ্য ২০১১ থেকে ২০২১ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত আর্থিক খরচের শংসাপত্র জমা দিতে পারেনি রাজ্য সরকার। আবার মোদি রাজ্যের মমতার সরকারকে সমালোচনা করে বলেছেন, ২ লক্ষ ২৯ হাজার কোটি টাকার শংসাপত্র দেখায়নি। অবশ্য মমতা পালটা চিঠি লিখে জানান, ২০০২-৩ সালের হিসাব চাওয়া হয়েছে। সেই সময় তৃণমূল ছিল না রাজ্যে। সিএজি নিয়ে রাজ্যের রাজনীতি এখন ব্যাপক সরগরম।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Krshina Janmabhumi: শ্রীকৃষ্ণের মন্দির ভেঙে মসজিদ করেছিলেন মুঘল শাসক ঔরঙ্গজেব, এএসআই রিপোর্টে দাবি

    Krshina Janmabhumi: শ্রীকৃষ্ণের মন্দির ভেঙে মসজিদ করেছিলেন মুঘল শাসক ঔরঙ্গজেব, এএসআই রিপোর্টে দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মথুরায় মন্দির ভেঙে মসজিদ তৈরি করেছিলেন মুঘল শাসক ঔরঙ্গজেব। কাশীর জ্ঞানব্যাপী মসজিদ ছিল আদি বিশ্বনাথের মন্দির, এই খবরের পর ভগবান কৃষ্ণের জন্মভূমি (Krshina Janmabhumi) সম্পর্কে বড় খবর প্রকাশ্যে এল। এই সংক্রান্ত রিপোর্ট দিয়েছে এএসআই। শাহি ইদগাহ মসজিদের উপর রিপোর্ট তলব করে আরটিআই করলে তার সাপেক্ষে এএসআই এই ঐতিহাসিক সত্যকে উত্তরপত্রে উল্লেখ করে। ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগ তথা এএসআই, কৃষ্ণ জন্মভূমির মন্দির কমপ্লেক্সের ১৯২০ সালের একটি গেজেটের তথ্য প্রকাশ করেছে বলে জানা গিয়েছে।

    কী বলেছে এএসআই (Krshina Janmabhumi)?

    ১৯২০ সালের নভেম্বর মাসে গেজেট থেকে আরটিআই-এর উত্তর দিয়ে তারা জানিয়েছে, “কাটরা ঢিবির অংশগুলি নাজুল প্রজাদের দখলমুক্ত ছিল। এক সময় সেখানে কেশবদেবের একটি মন্দির (Krshina Janmabhumi) ছিল। পরবর্তী সময়ে ওই মন্দির ভেঙে মসজিদ করা হয়। এই জায়গায় মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের আমলে মসজিদ নির্মাণ করা হয়।”

    আরটিআই করে তথ্য জানা গিয়েছে

    মন্দির ভাঙা বিষয়ে উত্তরপ্রদেশের ময়নপুরীর বাসিন্দা অজয় প্রতাপ নিজে আরটিআই করেন। এই আরটিআই-এর মাধ্যমে জানতে চান, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থানের (Krshina Janmabhumi) বিষয়ে তথ্য। এরপর তৎকালীন ব্রিটিশ শাসিত ভারতের ১৯২০ সালের গেজেটের রিপোর্টের তথ্য উল্লেখ করা হয়। রিপোর্টে স্পষ্ট করে বলা হয়, এখন যেখানে মসজিদ, সেখানে আগে কাটরা কেশবদের মন্দির ছিল। এরপর মন্দির ভেঙে মসজিদ করা হয়। একই ভাবে অজয় প্রতাপ খুব স্পষ্ট করে জানতে চেয়েছিলেন, মন্দির ভাঙা হয়েছিল কিনা। কিন্তু আরটিআই-এর উত্তরে কৃষ্ণ জন্মভূমি শব্দের উল্লেখ না করলেও মসজিদের জমি যে কৃষ্ণ জন্মভূমি মন্দির কমপ্লেক্সের, একথা বলা হয়েছে। মুঘল সম্রাট এই কেশবদেবের মন্দির ধ্বংস করে মসজিদ নির্মাণের কথা উত্তরপত্রে স্পষ্ট করে বলা হয়। ফলে এএসআইয়ের রিপোর্টকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চাল্যকর তথ্য উঠে আসে।

    কৃষ্ণ জন্মভূমি মুক্তি নিয়াস সংগঠনের বক্তব্য

    কৃষ্ণ জন্মভূমি (Krshina Janmabhumi) মুক্তি নিয়াসের সভাপতি আইনজীবী মহেন্দ্রপ্রতাপ সিং বলেন, “ব্রিটিশ শাসনকালে গণপূর্তি বিভাগ বিল্ডিং ও সড়ক বিভাগকে দেওয়া হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন স্থানের ৩৯টি স্মৃতিস্তম্ভের তালিকা। এরপর তাকে রেকর্ড করা হয় গেজেটে। ১৯২০ সালে এলাহবাদ হাইকোর্টে প্রকাশ করা হয় এই রিপোর্ট। এই তালিকার ৩৭ নম্বরে উল্লেখ করা হয় কেশবদেবের মন্দিরকে। এই তথ্যকে বর্তমান সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্টে তা অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তাই এই প্রামাণ্য তথ্যের উপর নির্ভর করে একটি কমিশন গঠনের জন্য আবেদন করা হবে।”

    শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমির মূল বিবাদ কী?

    শ্রীরামের জন্মস্থান অযোধ্যা, বাবা বিশ্বনাথের আদি মন্দির জ্ঞানব্যাপীর মতো ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মভূমি (Krshina Janmabhumi) নিয়েও বিরাট বিবাদ তৈরি হয়েছে। হিন্দুদের দাবি, অযোধ্যায় রাম জন্মভূমির মন্দিরকে যেমন বাবরের সেনাপতি মীরবাকি ভেঙে বাবরি মসজিদ নির্মাণ করেছিল, ঠিক একই ভাবে মুঘল শাসক ঔরঙ্গজেব ১৬৭০ সালে শ্রীকৃষ্ণের কেশবদেবের মন্দির ভেঙে মসজিদ নির্মাণ করেছেন। এই এলাকার মোট বিবদমান জমির পরিমাণ ১৩.৩৭ একর। যার মধ্যে শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থানের জমির পরিমাণ ১০.৯ একর। বাকি আড়াই একরে রয়েছে শাহি ইদগাহ মসজিদ। উল্লেখ্য কংসের যে কারাগারে শ্রীকৃষ্ণের জন্ম গ্রহণ করেছিলেন সেই কারাগারের গা ঘেঁষেই মসজিদ নির্মাণ হয়। ফলে কারাগার এবং যমুনা নদী পর্যন্ত দীর্ঘ সুড়ঙ্গ মসজিদের নীচে চাপা পড়ে রয়েছে বলে দাবি হিন্দু পক্ষের। তাই পুরো জমিটাই শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থান। এখানে মসজিদ অবৈধ নির্মাণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • King Charles: মারণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্রিটেনের রাজা চার্লস, আরোগ্য কামনা করলেন মোদি

    King Charles: মারণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্রিটেনের রাজা চার্লস, আরোগ্য কামনা করলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মারণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্রিটেনের রাজা চার্লস (King Charles)। তাঁর আরোগ্য কামনা করে এক্স হ্যান্ডেলে ট্যুইট করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ৭৫ বছরের এই ব্রিটেনের রাজা গত মাসে প্রস্টেট সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর শারীরিক আরও কিছু সমস্যার বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানা গিয়েছে, তাঁর ক্যান্সার হয়েছে। ২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর তাঁর মা রানি এলিজাবেথের মৃত্যু হলে নতুন রাজা হন তৃতীয় কিং চার্লস। মাত্র ছয় মাস আগে তাঁর রাজ্য অভিষেক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছিল। 

    বাকিংহাম প্যালেস সূত্রে খবর (King Charles)

    ব্রিটেনের রাজ সিংহাসনে অভিষেক হওয়ার মাত্র ৬ মাসের মধ্যেই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন রাজা কিং চার্লস (King Charles)। বাকিংহাম প্যালেস সূত্রে এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে। এদিকে বাবার সংবাদ পেয়েই দেশে ফেরার পরিকল্পনা করেছেন ছেলে প্রিন্স হ্যারি। তবে কোন ধরনের ক্যান্সার, সেই বিষয়ে নিশ্চিত করে জানায়নি বাকিংহাম। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। তাঁর ডাক্তাররা তাঁকে সমস্ত কাজ স্থগিত করার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে তাঁর চিকিৎসায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চিকিৎসক এবং হাসপাতালের পুরো টিমকে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাজা। তিনি চিকিৎসায় দ্রুত সাড়া দিচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। কত তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে কাজে ফিরতে পারবেন, সেই অপেক্ষায় তিনি রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

    ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর আরোগ্য প্রার্থনা

    সূত্রে জানা গিয়েছে, জনসমক্ষে না এলেও রাজপ্রাসাদ থেকেই চার্লস (King Charles) সরকারি নথি দেখার কাজ করবেন। ঘটনায় ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক রাজা চার্লসের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে প্রার্থনা জানিয়েছেন। তিনি নিজের এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে বলেছেন, “কোনও সন্দেহ নেই রাজা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। গোটা দেশ তাঁর জন্য প্রার্থনা করছে।”

    চার্লসের আরোগ্য কামনায় মোদি

    ব্রিটেনের রাজা চার্লসের (King Charles) আরোগ্য কামনায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজের এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে বলেন, “আমি মহামান্য রাজা তৃতীয় চার্লসের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। তাঁর শারীরিক সুস্বাস্থ্য কামনায় ভারতের জনগণের সঙ্গে একত্রে আশা ব্যক্ত করছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতী-তাণ্ডব! বহরমপুরে ভাঙা হল সরস্বতীর মূর্তি

    Murshidabad: রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতী-তাণ্ডব! বহরমপুরে ভাঙা হল সরস্বতীর মূর্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতে গোনা কয়েকদিন। তার পরেই সরস্বতী পুজো। রাতের অন্ধকারে ঘটল দুষ্কৃতীদের ব্যাপক তাণ্ডব! এবার ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল সরস্বতী প্রতিমা। প্রতিমা শিল্পীদের একেবারে মাথায় হাত। ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) সদর শহর বহরমপুর পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের সার্কিট হাউসের উল্টো দিকে। এই নিয়ে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা শুরু হয়েছে।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Murshidabad)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে প্রতিমা গড়তে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা। বেশির ভাগ প্রতিমা সম্পূর্ণ তৈরি হয়ে গিয়েছিল, শুধু রং করা বাকি। আর এই অবস্থায় প্রতিমাগুলিকে সারি সারি ভাবে সাজিয়ে রাখা ছিল দোকানে। রাতের অন্ধকারে এই প্রতিমাগুলিকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল। শিল্পীরা সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন বেশিরভাগ প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। কে বা কারা কোন উদ্দেশ্যে মূর্তিগুলিকে ভাঙচুর করেছে, সে সম্বন্ধে কিছু জানা যায়নি। এরপর মৃৎশিল্পীরা অভিযোগ জানিয়ে প্রশাসনকে খবর দিলে বহরমপুর (Murshidabad) থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে রীতিমতো জিজ্ঞাসবাদ শুরু করে। প্রাথমিক ভাবে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    মৃৎশিল্পীদের বক্তব্য

    বহরমপুরের (Murshidabad) মৃৎশিল্পী শ্রীদাম হালদার বলেন, “মাঝে মাঝে একটা, দুটো প্রতিমা গরু এসে ভেঙে দিত। কিন্তু গতকাল রাতে এক লাইন ধরে রাখা সমস্ত সরস্বতীর মূর্তিকে ভেঙে দিয়েছে। আমাদের অভাবের সংসার। এই মাটির মূর্তি তৈরি করে বিক্রি করে আমাদের সংসার চলে। সামনেই পুজো, অর্ডার নেওয়া হয়েছে। কী করব বুঝতে পারছিনা। যারা এই কাজ করেছে তাদের শাস্তি চাই।” আবার আরেক শিল্পী তুবাই মণ্ডল বলেন, “গান্ধী কলোনি এলাকায় গতকাল রাত ১ টা ৩০ মিনিট সময়ে নির্মাণ করা মাটির ঠাকুরগুলিকে ভেঙে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। একই ভাবে গঙ্গারঘাটে রাখা ফুলের সাজগুলিকেও ভেঙে দিয়েছে। কেউ উস্কানি দিয়ে সমাজের মধ্যে বিভেদ তৈরি করছে। পুলিশের উচিত সকল অপরাধীদের চিহ্নিত করে তাদের কঠোর শাস্তি প্রদান করা। নিমতলা ঘাট, সার্কিট হাউস, কলেজ ঘাটে রাখা একাধিক মূর্তিকে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। কোনও মূর্তির হাত ভাঙা, মাথা নেই ইত্যাদি অবস্থায় রাস্তায় এখনও মাটিতে পড়ে রয়েছে। এই কাজ কোনও একজন ব্যক্তির নয়, সম্মিলিত অপকর্ম। দোষীদের শাস্তি চাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: সন্ধ্যা হলেই বাড়ে আতঙ্ক! ডায়মন্ড হারবারে অজানা জন্তুর হানায় জখম ৮

    South 24 Parganas: সন্ধ্যা হলেই বাড়ে আতঙ্ক! ডায়মন্ড হারবারে অজানা জন্তুর হানায় জখম ৮

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ধ্যা হলেই বাড়তে থাকে আতঙ্ক! রাত হলেই বাড়ছে জন্তুর আনাগোনা! আঁচড়-কামড়ে জখম হচ্ছেন এলাকার মানুষ। বাদ যাচ্ছে না শিশুরাও। কিন্তু কেন ঘটছে এমন ঘটনা, এখনও কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এলাকাবাসীর বক্তব্য, কোনও অজানা জন্তু রাতের অন্ধকারে ঘুরছে এবং হামলা করছে। ইতিমধ্যে আহত হয়েছেন ৮ জন। ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ডায়মন্ড হারবার এলাকার সরিষা ও মশাট এলাকায়।

    এলাকাবাসীর বক্তব্য (South 24 Parganas)

    স্থানীয় (South 24 Parganas) মানুষের বক্তব্য, সন্ধ্যা হলেই অন্ধকারে জন্তুর হামলায় এলাকায় তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। কেউ বলছেন কুকুর, কেউ বলছেন শিয়াল, আবার কেউ বলেছেন বিশেষ জন্তু। তবে ঠিক কোন প্রাণী আক্রমণ করছে সেই বিষয়ে এখনও জানা যাচ্ছে না। এলাকার মানুষ বর্তমানে বন দফতরের কাছে খবর দিয়েছে। ইতিমধ্যে বাসিন্দাদের সতর্ক করার জন্য এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, অহেতুক আতঙ্কিত যেন কেউ না হন এবং সন্ধ্যা নামলে অন্ধকারে যেন শিশুদের বাইরে না ছাড়া হয়।

    বনদফতরের ভূমিকা

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জন্তুকে ধরতে এখনও পর্যন্ত বন দফতরের পক্ষ থেকে দুটি খাঁচা পাতা হয়েছে। সেই সঙ্গে জানা গিয়েছে মোট ৮ জনকে জখম করেছে জন্তু। ইতিমধ্যেই তাঁদের সরিষা ব্লক হাসপাতাল এবং ডায়মন্ড হারবার (South 24 Parganas) মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    বনদফতরের বক্তব্য

    এই ঘটনায় দক্ষিণ পরগনার (South 24 Parganas) ডিএফও বলেছেন, “বন দফতরের প্রাথমিক অনুমান, শিয়াল জাতীয় কোনও প্রকার প্রাণী আক্রমণ করছে হয়তো। তাকে ধরতে দুটি খাঁচা পাতা হয়েছে। রাতে এবং দিনে বন দফতর থেকে এলাকায় টহল দেওয়া চলছে। খুব দ্রুত ধরা পড়বে আমাদের বিশ্বাস। আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই।”

    এলাকায় বাঘেরও আতঙ্ক

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) পাথরপ্রতিমার উপেন্দ্রনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, টানা তিন মাস ধরে বাঘের আতঙ্ক চলছে। গ্রামের মধ্যে বন্যপশুর রক্তের দাগের নমুনা পাওয়া গিয়েছে। এলাকার ধনচির জঙ্গলকে জাল দিয়ে আটকে দেওয়ার পরে বাঘের আনাগোনা টের পাওয়া গিয়েছে। বাঘের আতঙ্ক কাটাতে এলাকায় গণস্বাক্ষরের অভিযান চালানো হচ্ছে। বন দফতর অবশ্য জানিয়েছে, “গ্রামবাসীদের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। জনবসতি এলাকায় বাঘ ঢুকছে না।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: রেলে চাকরির নামে ফের প্রতারণা, এবার ১০ লক্ষ টাকা খোয়ালেন ধনেখালির এক ব্যক্তি

    Hooghly: রেলে চাকরির নামে ফের প্রতারণা, এবার ১০ লক্ষ টাকা খোয়ালেন ধনেখালির এক ব্যক্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেলে চাকরি দেওয়ার নাম করে ১০ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন এক ব্যক্তি। এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে হুগলির (Hooghly) ধনেখালিতে। উল্লেখ্য ৬ মাস আগে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। গতকাল রাতে ওই প্রতারককে গ্রেফতার করা হয়।

    পুলিশ সূত্রে খবর (Hooghly)

    স্থানীয় (Hooghly) পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন প্রতারিত ব্যক্তি। এরপর থেকেই ওই প্রতারক বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। অনেক দিন নিখোঁজ ছিল এলাকায়। গতকাল রাতে মোবাইলের সূত্র ধরে প্রতারক নিশিকান্ত জানাকে হাওড়ার নিশ্চিন্দা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর তাকে হুগলির চুঁচুড়া আদালতে পেশ করা হয় আজ।

    সরকারি দফতরে চাকরির নামে টাকা 

    সরকারি দফতরে চাকরি করে দিতেন প্রতারক নিশিকান্ত জানা। অন্যদিকে ধনেখালি (Hooghly) থানার দশঘড়ার বাসিন্দা শেখ জাকির। তাঁর ছেলের রেলের চাকরির জন্য ধাপে ধাপে ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তবে টাকা দিয়েছিলেন আজ থেকে ঠিক দুই বছর আগে। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও মেলেনি চাকরি। জাকিরের দশঘড়া বাজারে বাসনের দোকান রয়েছে। এই দোকানেই আলাপ হয় নিশিকান্ত এবং তার স্ত্রীর সঙ্গে। এই দম্পতি চাকরি করে দিত বলে জানা গিয়েছে। চাকরি না মেলায় টাকা ফেরত চাইলে বার বার এড়িয়ে যেত প্রতারক নিশি। এরপর একটা সময় পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান জাকির। আর এরপর থেকেই এলাকা থেকে নিরুদ্দেশ হয়ে যায় প্রতারক নিশি।

    ভুক্তভোগীর বক্তব্য

    হুগলির (Hooghly) ভুক্তভোগী এবং প্রতারণার শিকার জাকির বলেন, “স্নাতক ছেলের চাকরির জন্য নিশিকান্তকে ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেম। আমরা এভাবে প্রতারিত হব বুঝতে পারিনি। বর্ধমানে গিয়ে এক ব্যক্তিকে সাক্ষী রেখে টাকাটা দিয়েছিলাম। এখন মনে হচ্ছে ওভাবে টাকার বিনিময়ে চাকরির চেষ্টা করাটা অত্যন্ত ভুল হয়েছে।”

           

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: নাবালিকা খুনের সেই অস্ত্র কোথায়? পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের

    Malda: নাবালিকা খুনের সেই অস্ত্র কোথায়? পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মৃত নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যরা। মালদায় (Malda) নাবালিকা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রাজ্য পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কমিশন। এবার পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বিজেপির বক্তব্য, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা হয়েও সুরক্ষিত নয় কোনও নাবালিকা। ঠিক এই ভাবেই সরব হলেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। 

    কী বলল জাতীয় কমিশন (Malda)?

    মালদা (Malda) শহরে নাবালিকা খুনের ঘটনায় এবার রাজনীতির পারদ ক্রমশ চড়ছে। গতকাল রবিবার মৃত নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাজ্য এবং জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যরা। জাতীয় কমিশনের সদস্যরা ইতিমধ্যে পুলিশের তদন্ত নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। কমিশনের সদস্যা দিভিয়া গুপ্তার বক্তব্য, “নাবালিকা খুনের ঘটনায় পুলিশের তদন্তে আশ্বাস নেই। গত ২৯ জানুয়ারি থেকেই নিখোঁজ হয়েছিল নাবালিকা। তিন দিন ধরে পুলিশ কোনও সন্ধান দিতে পারেনি। এমনকি ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তকে পাকড়াও করে পুলিশের কাছে তুলে দেয় পরিবারের সদস্যরাই। নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল কি না, সেই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য দিতে পারেনি পুলিশ। খুন করার অস্ত্র কেন এখন উদ্ধার হয়নি?”

    কী বলল রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন

    মালদা (Malda) শহরের নাবালিকা খুনের ঘটনায় রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যা যশবন্ত শ্রীমানি বলেছেন, “অভিযুক্ত সুনু কেশরী তদন্তে পুলিশের সঙ্গে ঠিক ভাবে সহায়তা করছে না। আমরা মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা নিতে বলেছি। বিচার ব্যবস্থাকে আরও কঠোর হতে হবে। অপরাধ প্রবণতাকে আটকাতে আরও সচেষ্ট হতে হবে। আমরা একাধিক সংশ্লিষ্ট জায়গায় চিঠি পাঠাবো।”

    পরিবারের বক্তব্য

    মৃত নাবালিকার পরিবারের বক্তব্য, যে চাকু দিয়ে খুন করা হয়েছে তা এখনও পর্যন্ত পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি। ঘটনায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার গতকাল মালদায় (Malda) গিয়েছিলেন এবং তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, “ঘটনার দিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা জেলা সফরে মালদাতেই ছিলেন। অথচ ঘটনা নিয়ে একটি বাক্য খরচ করেননি কেন? রাজ্যের নাবালিকাদের সুরক্ষা কোথায়?”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: “অপেক্ষা করুন, সাংসদ পদ থেকেও ইস্তফা দেবেন দেব”, শুভেন্দুর ঘোষণায় জোর জল্পনা

    Paschim Medinipur: “অপেক্ষা করুন, সাংসদ পদ থেকেও ইস্তফা দেবেন দেব”, শুভেন্দুর ঘোষণায় জোর জল্পনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার তিনটি প্রশাসনিক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দেব অধিকারী। ঘটনায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য বলেছেন, “সাংসদ পদ থেকেও ইস্তফা দেবেন।” ২০১৪ সালে লোকসভায় ঘাটাল কেন্দ্র থেকে তাঁকে প্রার্থী করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে একটি ভাইরাল ভিডিওতে ফিরহাদ হাকিমকে বলতে শোনা গিয়েছিল, দেবের ভোটে দাঁড়ানোর কোনও ইচ্ছে ছিল না। তৃণমূল নেত্রীর নির্দেশে একপ্রকার বাধ্য হয়ে ভোটে লড়েছিলেন। সাংসদের এই প্রশাসনিক পদত্যাগে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। তাহলে কি এবার তৃণমূল থেকে পদত্যাগ করবেন? প্রশ্ন উঠেছে।

    দেব সম্পর্কে শুভেন্দু ঠিক কী বললেন?

    দেব গতকাল রাজ্য সরকারের তিনটি প্রশাসনিক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তিনটি পদ হল, বীরসিংহ (Paschim Medinipur) উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান, ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি এবং ঘাটাল রবীন্দ্র মহাবিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি। জেলাশাসকের কাছে চিঠি লিখে ইস্তফা দেন দেব। এরপর কাঁথির এক দলীয় বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠক করে শুভেন্দু বলেন, “অপেক্ষা করুন, সাংসদ পদ থেকেও ইস্তফা দেবেন দেব। এ তো সবে সকাল, এখনও দুপুর হয়নি। অপেক্ষা করুন না, সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করবেন দেখে নিন।” এখন এই মন্তব্যে ব্যাপক জল্পনা শুরু হয়েছে। আবার বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট বলেন, “দুর্নীতির অভিযোগের কারণে দেবকে সিবিআই ডেকেছিল। আবারও ডাকবে। দুর্নীতি থেকে বাঁচতে বিজেপির ভয়ে পদত্যাগ করছেন।”

    সুকান্তের বক্তব্য

    ঘাটালের সাংসদ (Paschim Medinipur) দেবের সরকারি পদে পদত্যাগের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “গরু ও কয়লা পাচারের টাকা দেবের ফিল্মে লগ্নি হয়েছিল বলে তাঁকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তখন যা বলেছিলাম সেটাই আবার বলছি। সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে নরকবাস। দেব ভালো ছেলে। কথাবার্তাও ভালো। লোকসভায় আমার সঙ্গে কথা হয়। আমি তাঁকে শুধু এটুকুই বলব, অসৎ সঙ্গ ত্যাগ করা উচিত। তাহলে নরকবাসের চান্স অন্তত থাকবে না। স্বর্গবাস হবে কী, জানি না। অন্তত নরকবাসের সম্ভাবনা থাকবে না। দেবের সঙ্গে কথা বলে আমি যতটুকু বুঝেছি তাতে আগামী দিনে ওঁর ভোটে দাঁড়ানোরও ইচ্ছা নেই।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    ঘটনার পর থেকে পাঁশকুড়া (Paschim Medinipur) বাসস্ট্যান্ড-সহ কলেজ মোড় এলাকায় দেবের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়তে দেখা গিয়েছে। পোস্টারে লেখা রয়েছে, “দুর্নীতি ঢাকতে বিজেপির ভয়ে বিভিন্ন প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগ করলেন দেব।” সাংসদের এই পদত্যাগের প্রেক্ষিতে তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান শঙ্কর দোলই বলেন, “দেব একজন ভালো মানুষ। বিজেপি কুৎসা রটাচ্ছে। বিজেপির অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আমরা রাস্তায় নামবো।” আবার একই বিষয়ে ফালাকাটা থেকে রবিবার রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “দেব আমাদের সঙ্গে ছিলেন এবং আছেন।” সাংসদ ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, ব্যক্তিগত কারণে দেব পদত্যাগ করেছেন। তবে এই বিষয়ে সাংসদ এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Truck Driver’s Shelter: ট্রাক-ট্যাক্সি ড্রাইভারদের জন্য মোদির বিরাট ঘোষণা, নির্মিত হবে ১০০০টি বিশ্রামগার

    Truck Driver’s Shelter: ট্রাক-ট্যাক্সি ড্রাইভারদের জন্য মোদির বিরাট ঘোষণা, নির্মিত হবে ১০০০টি বিশ্রামগার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের লক্ষ লক্ষ ট্রাক এবং ট্যাক্সি ড্রাইভারদের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) বিরাট ঘোষণা করলেন। দেশের সামাজিক এবং আর্থিক বিকাশে যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং মালামাল সরবরাহের জন্য ট্রাকের পরিষেবা একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। গতকাল শনিবার নতুন দিল্লিতে ভারত মোবিলিটি গ্লোবাল এক্সপোতে বিশ্রামাগার এবং আধুনিক সুবিধা যুক্ত পরিকাঠামোর কথা ঘোষণা করা হয়। এই প্রকল্পের ঘোষণায় দেশের ট্রাক চালকদের মধ্যে বিপুল উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গিয়েছে।

    জাতীয় সড়কের পাশেই হবে বিশ্রামগার (Narendra Modi)

    ট্রাকের চালকেরা এক টানা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রাক চালিয়ে থাকেন। বিশ্রামের জন্য তেমন সময় পান না। এবার থেকে তাঁদের কাজের সুবিধার উদ্দেশ্যে কেন্দ্র সরকার বিশেষ ভাবনাচিন্তা করছে। সরকারের পক্ষ থেকে পরিকল্পনা হয়েছে বিশেষ প্রকল্পে সুবিধার ব্যবস্থা। এই প্রকল্পে বলা হয়েছে জাতীয় সড়কের পাশেই এবার থেকে অত্যাধুনিক বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হবে। এখানেই চালকেরা পর্যাপ্ত সময় ধরে বিশ্রাম নিতে পারবেন। এই ধরনের অত্যধুনিক বিশ্রামাগারে থাকবে নানান সুবিধা। লোকসভা নির্বাচনের আগে মোদির (Narendra Modi) এই ঘোষণা দেশের ট্রাক চালকদেরকেও প্রভাবিত করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞমহল।

    ১০০০টি বিশ্রাম

    জানা গিয়েছে জাতীয় সড়কের উপর প্রাথমিক পর্যায়ে ১০০০টি বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হবে। এই উন্নত বিশ্রামগারের পরিষেবার মধ্যে থাকবে উন্নত বিশ্রামের সুবিধা, উন্নত মানের শৌচালয়, স্নানাগার, খবার জলের ব্যবস্থা। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) বলেন, “যোগাযোগের জন্য চালক বা ড্রাইভারদের গুরুত্ব অপরিসীম। তাঁরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রাক চালান, কিন্তু বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ পান না। আর এই জন্য অনেক সময় রাস্তায় দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয় তাঁদের। তাই ট্রাক চালকদের জন্য নতুন একটি প্রকল্পের ঘোষণা করা হল। এই বিশ্রামাগারে থাকার স্বচ্ছতা, খাওয়া, পানীয় জল, শৌচালয়, পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হবে। চালকদের পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং শারীরিক সুস্থতার দিকে নজর রাখলে পথ দুর্ঘটনার পরিমাণ অনেকটাই কমে যাবে।” কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন দফতর থেকে ইতিমধ্যে এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share