Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • Cricket News: বাংলাদেশ সফর বাতিল হলে, রোহিত-বিরাটকে ফের কবে মাঠে দেখা যাবে?

    Cricket News: বাংলাদেশ সফর বাতিল হলে, রোহিত-বিরাটকে ফের কবে মাঠে দেখা যাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে অবসর নেন রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি। চলতি বছরের মে মাসে রোহিত আরও ঘোষণা করেন যে, তিনি টেস্ট ক্রিকেট (Cricket News) থেকেও সরে দাঁড়াচ্ছেন। এরই মাঝে আগামী অগাস্ট মাসে ভারতীয় দলের বাংলাদেশ (Bangladesh) সফরের সম্ভাবনার কথা আছে। এই সফরে ভারত ছয়টি সীমিত ওভারের ম্যাচ খেলতে পারে—যার মধ্যে থাকবে তিনটি ওয়ানডে এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। তবে সফর এখনও চূড়ান্ত অনুমোদন পায়নি। এতেই রোহিত ও বিরাটের ভক্তরা ভাবছেন, এই দুই তারকাকে ফের আবার কবে দেখা যাবে ক্রিকেট মাঠে?

    অগাস্ট মাসের ক্রীড়াসূচির কথা আগেই জানিয়েছিল বাংলাদেশ (Cricket News)

    বাংলাদেশ (Bangladesh) ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) গত এপ্রিল মাসে জানিয়েছিল, ভারতীয় দল ১৭, ২০ এবং ২৩ অগাস্ট তিনটি ওডিআই ম্যাচ খেলবে। এছাড়াও ২৬, ২৯ এবং ৩১ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। তবে সফরটি এখনো চূড়ান্তভাবে নির্ধারিত হয়নি (Cricket News)। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে সফর নিশ্চিত করেনি। ফলে সফর আদৌ হবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে।

    কবে মাঠে দেখা যাবে রোহিত-বিরাটকে?

    এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে—রোহিত ও কোহলিকে আবার কবে দেখা যাবে জাতীয় দলের জার্সিতে (Cricket News)? যদি বাংলাদেশ সফর বাতিল হয়ে যায়, তাহলে হয়তো তাঁদের আবার মাঠে দেখতে অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। কারণ ১৯ অক্টোবর থেকে ভারতীয় দলের অস্ট্রেলিয়া সফর নির্ধারিত রয়েছে, যেখানে তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে টিম ইন্ডিয়া। তবে, বাংলাদেশ সফর একেবারেই বাতিল হয়ে যাচ্ছে, এমনটাও নয়। সম্প্রতি শের-ই-বাংলা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বোর্ড মিটিংয়ের পর বিসিবি (Cricket News) সভাপতি আমিনুল জানান, বিসিসিআই-এর সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে এবং সফরসূচি চূড়ান্ত করার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী।

  • BJP: রাজ্যে রাজ্যে চলছে বিজেপির সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া, জুলাইতেই ঘোষণা নাড্ডার উত্তরসূরি?

    BJP: রাজ্যে রাজ্যে চলছে বিজেপির সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া, জুলাইতেই ঘোষণা নাড্ডার উত্তরসূরি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে রাজ্যে চলছে বিজেপির (BJP) সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এর মাধ্যমে ত্বরান্বিত হচ্ছে বিজেপির জাতীয় সভাপতির নাম ঘোষণার সম্ভাবনা। নিয়ম অনুযায়ী বা বিজেপির সংবিধান অনুসারে জাতীয় সভাপতির (JP Nadda) নির্বাচন করতে সারা দেশের যে ৩৭টি সাংগঠনিক রাজ্য রয়েছে, তার মধ্যে অন্ততপক্ষে ১৯ সভাপতি নির্বাচন সম্পন্ন করতেই হবে।

    মঙ্গলবারই ১৯টি রাজ্যে সভাপতি নির্বাচন সম্পূর্ণ হতে চলেছে

    মঙ্গলবার ১৯টি রাজ্যে সভাপতি (BJP) নির্বাচন সম্পূর্ণ হতে চলেছে। এই দিনই আবার পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি নির্বাচন সংক্রান্ত নোটিশ প্রকাশিত হয়েছে। ওই নোটিশ অনুযায়ী, আগামী ৩ জুলাই দুপুরের পর রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষণা করা হবে। সোমবারই পুদুচেরি ও মিজোরামে বিজেপির নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। পুদুচেরিতে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ভিপি রামালিঙ্গম, অন্যদিকে মিজোরামে দলের দায়িত্বে এসেছেন কে বেইচুয়া।

    কর্নাটক এবং মধ্যপ্রদেশে বিজেপির রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষণা করা হবে শীঘ্রই

    যে রাজ্যগুলিতে ইতিমধ্যেই নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন, সেখানে দেখা যাচ্ছে অনেকেই পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন। মঙ্গলবার এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই কর্নাটক এবং মধ্যপ্রদেশে বিজেপির রাজ্য সভাপতি নাম ঘোষণা করা হবে বলে গেরুয়া শিবির সূত্রে জানা গেছে। তেলেঙ্গানায় বিজেপি নতুন সভাপতি হিসেবে বেছে নিয়েছে রামচন্দ্র রাউকে এবং অন্ধ্রপ্রদেশে নির্বাচিত হয়েছেন পি.ভি.এন. মাধব। জনগণের মাঝে দুজনের পরিচিতি কিছুটা কম হলেও, তাঁরা দক্ষ সংগঠক বলে দাবি করেছে গেরুয়া শিবির (BJP) ।

    জুলাই মাসেই জেপি নাড্ডার উত্তরসূরির নাম ঘোষণা?

    অন্যদিকে, মহারাষ্ট্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সেখানকার বর্তমান কার্যকরী সভাপতি ও চারবারের বিধায়ক রবীন্দ্র চৌহানের স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন রাজ্যের ক্যাবিনেট মন্ত্রী চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলে। উত্তরাখণ্ডে আবার সভাপতি হিসেবে পুনরায় দায়িত্ব পেয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ মহেন্দ্র সিং ঘাটি। এটি তাঁর দ্বিতীয় দফার কার্যকাল। একের পর এক রাজ্যে বিজেপির সভাপতি (BJP) পদের নাম ঘোষণার পর রাজনৈতিক মহল মনে করছে, চলতি জুলাই মাসেই জেপি নাড্ডার (JP Nadda) উত্তরসূরির নাম ঘোষণাও শুধু সময়ের অপেক্ষা।

  • Kasba Gangrape: গণধর্ষণ পূর্ব-পরিকল্পিত, আগে থেকেই টার্গেট করা হয় ওই ছাত্রীকে! চাঞ্চল্যকর তথ্য হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে

    Kasba Gangrape: গণধর্ষণ পূর্ব-পরিকল্পিত, আগে থেকেই টার্গেট করা হয় ওই ছাত্রীকে! চাঞ্চল্যকর তথ্য হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কসবায় আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণের (Kasba Gangrape) ঘটনায় ধৃত মনোজিৎ মিশ্র-সহ বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীদের কাছে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে নির্যাতিতাকে দীর্ঘদিন ধরে নজরে রেখেছিল মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র। এদিন মনোজিতের পাশাপাশি ধৃত প্রমিত ও জায়েবকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে। সেখান থেকেই জানা যাচ্ছে, মনোজিৎ আগেও একাধিকবার নির্যাতিতার ওপর নজর রেখেছিল (Kasba Gangrape Incident) এবং সুযোগের অপেক্ষায় ছিল।

    হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে উঠে এসেছে ঘটনার পূর্ব পরিকল্পনার সুস্পষ্ট প্রমাণ

    ঘটনার দিন (Kasba Gangrape) কীভাবে পুরো বিষয়টি ঘটানো হবে, তা নিয়ে মনোজিতের মাথায় একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনাও ছিল। এইসব তথ্য সামনে আসতেই প্রশ্ন উঠছে, একটি কলেজে এমন এক প্রাক্তন ছাত্র দিনের পর দিন একজন ছাত্রীর ওপর নজর রেখে তাকে টার্গেট করছিল, অথচ কলেজ কর্তৃপক্ষ বা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেউ তা আঁচ করতে পারলেন না, কীভাবে? তদন্তকারী সংস্থা ইতিমধ্যেই ধৃত তিন অভিযুক্তের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে। সেখান থেকে উদ্ধার হওয়া হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে উঠে এসেছে এই ঘটনায় পূর্ব পরিকল্পনার সুস্পষ্ট প্রমাণ। পুলিশ সূত্রের খবর, মূল অভিযুক্ত মনোজিত মিশ্রের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। কলকাতার বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে ১০টিরও বেশি অভিযোগ নথিভুক্ত রয়েছে।

    ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্গঠন করেছেন তদন্তকারীরা

    এছাড়াও, মনোজিত সহ বাকি দুই অভিযুক্তকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্গঠন করেছে তদন্তকারীরা। নির্যাতিতার (Kasba Gangrape) দেওয়া বয়ানের উপর ভিত্তি করেই তাদের জেরা করা হয় এবং সেই সময় গোটা প্রক্রিয়াটিকে ভিডিও রেকর্ডিংয়ের মাধ্যমে নথিভুক্ত করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মামলার তদন্তে নেমে কসবা থানার পক্ষ থেকে অভিযোগকারিণী ও তিন অভিযুক্তেরই আইন মেনে মেডিক্যাল পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই মেডিক্যাল রিপোর্টগুলি পরবর্তীতে মামলার প্রমাণ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

    মনোজিৎ ছাড়া অপর দুই অভিযুক্ত (Kasba Gangrape Incident)

    কসবা কলেজে গণধর্ষণকাণ্ডে (Kasba Gangrape) মূল অভিযুক্ত মনোজিত মিশ্রের সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছে আরও দুই সহযোগী—প্রমিত মুখোপাধ্যায় ও জায়েব আহমেদ। ‘ম্যাংগো’ নামে পরিচিত মনোজিত অতীতে ভাঙচুর, হুমকি এবং মারধরের মতো অপরাধে জেল খেটেছে, তবে তার দুই সঙ্গীর নামে এর আগে তেমন কোনও অপরাধমূলক কার্যকলাপের রেকর্ড মেলেনি। কসবা কাণ্ডে তাঁদের জড়িয়ে পড়ার খবর সামনে আসতেই বিস্মিত হয়েছেন এলাকার বহু বাসিন্দা ও পরিচিতজনেরা।

    হাওড়ার বাসিন্দা মুখোপাধ্যায়

    হাওড়ার চ্যাটার্জিহাট থানার অন্তর্গত ১৬/১ হরিনাথ ন্যায়রত্ন লেনের বাসিন্দা প্রমিত মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠায় বিস্মিত তার পরিচিত মহল। পাড়ায় ‘ঋজু’ নামে পরিচিত এই যুবকের নাম এত বড় অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ায় চমকে গেছেন অনেকেই। এর আগে তার নামে কোনও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তথ্য পুলিশের খাতায় নেই। তদন্তকারীদের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রকে সক্রিয় সহযোগিতা করেছে প্রমিত। তবে, তার ভূমিকা শুধুমাত্র সাহায্যকারী নাকি সে নিজেও সমানভাবে অপরাধে যুক্ত, তা জানতে চলছে টানা জিজ্ঞাসাবাদ। তিন অভিযুক্তই ১ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ফরেনসিক দল যেসব নমুনা সংগ্রহ করেছে এবং নির্যাতিতার মেডিক্যাল রিপোর্ট—এই সবকিছু বিশ্লেষণ করেই প্রমিতের প্রকৃত ভূমিকা নির্ধারণ করতে চায় পুলিশ। যেহেতু মনোজিৎ কলেজের প্রাক্তনী এবং কর্মচারী হিসেবে যুক্ত ছিল, তাই সে কীভাবে প্রমিতকে প্রভাবিত করেছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    তিলজলা থানার বাসিন্দা জায়েব আহমেদ (Kasba Gangrape)

    তৃতীয় অভিযুক্ত জায়েব আহমেদ বসবাস করেন তিলজলা থানার অন্তর্গত ৬৪/এ, গুলাম জিলানী খান রোডে। তার নাম এলাকায় আগে কখনও শোনা যায়নি বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আইন কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র হলেও সে কলেজ শুরু হওয়ার বহু আগেই প্রতিদিন সকালবেলা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেত এবং ফিরত রাতে। বোসপুকুর তালবাগান ক্রসিং এলাকা থেকে পুলিশ জায়েব আহমেদকে গ্রেফতার করে। ওই ছাত্রীর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় প্রতিহিংসাবশত এই নৃশংস ঘটনা ঘটানো হয়েছে কি না, তা জানতে জায়েবের মোবাইল ফোন খুঁটিয়ে পর্যালোচনা করছে তদন্তকারী দল। মনোজিৎ মিশ্র কোনওভাবে জায়েবকে এই অপরাধে প্ররোচিত করেছিলেন কিনা, সেই দিকটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    মেয়েটির আবেদনে কর্ণপাত করেনি তিন অভিযুক্ত

    পুলিশকে দেওয়া নির্যাতিতার অভিযোগ অনুযায়ী, কলেজে প্রবেশের কিছুক্ষণ পরই মনোজিৎ তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। তিনি জানিয়ে দেন, তাঁর একজন প্রেমিক আছেন। এরপর থেকেই মনোজিতের ব্যবহার আচমকা বদলে যায়। অভিযোগ, কলেজের মূল গেট বন্ধ করে দিয়ে তাঁকে বেরোনোর পথ রুদ্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর ওই ছাত্রীকে গার্ডরুমে নিয়ে গিয়ে চলে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন। মেয়েটি (Kasba Gangrape) বারবার কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন, “আমার শরীরটা ভালো নেই, দয়া করে আমাকে ছেড়ে দাও।” কিন্তু মনোজিৎ ও তার দুই সঙ্গী সেই আবেদন শোনেনি।

  • Shubhanshu Shukla: মহাকাশে মাইক্রো অ্যালগি নিয়ে গবেষণায় মগ্ন শুভাংশু, ৪ তারিখ ভারতীয় পড়ুয়াদের সঙ্গে বলবেন কথা

    Shubhanshu Shukla: মহাকাশে মাইক্রো অ্যালগি নিয়ে গবেষণায় মগ্ন শুভাংশু, ৪ তারিখ ভারতীয় পড়ুয়াদের সঙ্গে বলবেন কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পৌঁছনো ৬৩৪ নম্বর মহাকাশচারী ভারতের নভশ্চর শুভাংশু শুক্লা (Shubhanshu Shukla)। গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টের কিছুটা পরে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে (ভারতীয় সময়) পৌঁছেছেন তিনি। তারপর থেকে সেখানেই নানা পরীক্ষা করছেন, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করছেন। বর্তমানে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO) প্রেরিত মাইক্রো অ্যালগি পরীক্ষায় ব্যস্ত রয়েছেন শুভাংশু। মহাকাশে মাইক্রো অ্যালগির ব্যবহার ভারতের ভবিষ্যতের মহাকাশ অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। আগামী শুক্রবার, ৪ জুলাই মহাকাশ থেকেই দেশের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আলাপ জমানোর কথা রয়েছে শুভাংশুর।

    ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলবেন শুভাংশু

    জানা গিয়েছে, আগামী ৪ জুলাই ভারতীয় সময় দুপুর ৩টে ৪৭ নাগাদ কর্নাটকের ইউআর রাও স্যাটেলাইট সেন্টার (ইউআরএসসি)-এর সঙ্গে মহাকাশ থেকে হ্যাম রেডিওর মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করতে চলেছেন শুভাংশু (Shubhanshu Shukla)। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর তত্ত্বাবধানে এই অনুষ্ঠানটি হবে। দেশজুড়ে বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরাও এখানে যোগ দিতে পারবেন। বর্তমান প্রজন্মকে মহাকাশ ও মহাকাশ গবেষণায় উৎসাহিত করার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই হ্যাম রেডিও যোগাযোগ ভারতীয় বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং শিক্ষার জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত হবে। যা বিশ্বব্যাপী মহাকাশ গবেষণায় ভারতের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির প্রতীক হিসাবে নজির গড়বে। বলে রাখা ভালো, নির্ধারিত রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে, হ্যাম রেডিও অপারেটররা শহর, দেশ এবং এমনকী মহাকাশে থাকা মহাকাশচারীদের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারে। হ্যাম রেডিও জরুরি অবস্থার সময় খুবই নির্ভরযোগ্য। যখন বিভিন্ন নেটওয়ার্ক যোগাযোগ স্থাপনে ব্যর্থ তখনও এই হ্যাম রেডিও কাজ করে।

    মাইক্রো অ্যালগি নিয়ে গবেষণায় শুভাংশু

    ‘অ্যাক্সিয়ম-৪’ অভিযানের (Axiom 4 Space Mission) পদে পদে দেশবাসীকে সঙ্গে রাখছেন গ্রুপ ক্যাপটেন শুভাংশু। আগেই জানিয়েছিলেন মহাকাশে একা বোধ করছেন না তিনি। যেহেতু তাঁর সঙ্গে রয়েছে একশো চল্লিশ কোটি ভারতবাসী। ইসরো, জৈবপ্রযুক্তি দফতর (ডিবিটি) ও নাসার মধ্যে সহযোগিতার অঙ্গ হিসেবে গবেষণা সংক্রান্ত বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করছেন শুভাংশু। দীর্ঘদিন মহাকাশে থেকে গবেষণার কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য খাদ্য ও পুষ্টিগত ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা প্রয়োজন। অর্থাৎ মহাকাশেই প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য ফলনের গবেষণা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এই মিশনের লক্ষ্য। জানা যাচ্ছে, সেই লক্ষ্যেই শুভাংশুর (Shubhanshu Shukla) কাজ হচ্ছে খাদ্য হিসেবে ব্যবহারযোগ্য মাইক্রো অ্যালগি বা অতি ক্ষুদ্র শৈবালের উপর মাইক্রোগ্র্যাভিটি ও রেডিয়েশনের প্রভাব পর্যবেক্ষণ। পুষ্টির ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত এইসব মাইক্রো অ্যালগিকে মহাকাশে থাকাকালীন খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করার ক্ষেত্রে সম্ভাবনার দরজা খুলে দেবে এই গবেষণা। সায়ানোব্যাকটিরিয়ার বৃদ্ধি ও প্রোটিন সংশ্লেষ সংক্রান্ত পর্যবেক্ষণও করছেন শুভাংশু। মূলত প্রোটিন ও ভিটামিনে ভরপুর এইসব সায়ানোব্যাকটিরিয়াকে মহাকাশে থাকাকালীন ‘সুপারফুড’ হিসেবে ব্যবহারের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হবে। ইউরিয়া সহ মানববর্জ্যের নাইট্রোজেন ব্যবহার করে মহাকাশে সায়ানোব্যাকটিরিয়াগুলির বৃদ্ধি ঘটানো সম্ভব কি না, মূলত সেটা খতিয়ে দেখাই এই গবেষণার উদ্দেশ্য। এই গবেষণা ভারতের গগনযান অভিযানে কাজে আসবে বলে জানিয়েছে ইসরো।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালির ৩ বিজেপি কর্মী খুনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

    Sandeshkhali: সন্দেশখালির ৩ বিজেপি কর্মী খুনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে ২০১৯ সালে তিন বিজেপি কর্মীকে হত্যার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। আদালত সিবিআইকে এই মামলার জন্য একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠনেরও নির্দেশ দিয়েছে। ২০১৯ সালের ৮ জুন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বাসিন্দা তথা বিজেপি প্রদীপ মণ্ডল, দেবদাস মণ্ডল এবং সুকান্ত মণ্ডলকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। তিনজনই বিজেপি কর্মী ছিলেন। এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছিল তৎকালীন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে। প্রথম পর্যায়ে তার নাম চার্জশিটে থাকলেও পরে সিআইডির হাতে তদন্ত যাওয়ার পর তার নাম বাদ পড়ে যা নিয়ে নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়।

    ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সহায়তায় হাইকোর্টে যায় নিহতদের পরিবার

    প্রদীপ মণ্ডলের পরিবারের অভিযোগ, সেদিন একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতী তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাকে গুলি করে খুন করে। তার তুতো ভাই সুকান্ত এবং প্রতিবেশী দেবদাস মণ্ডলকেও একই কায়দায় হত্যা করা হয়। ঘটনায় দু’টি পৃথক এফআইআর দায়ের করেছিলেন সুপ্রিয়া মণ্ডল এবং পদ্মা মণ্ডল। দুই মামলাতেই মূল অভিযুক্ত ছিল শেখ শাহজাহান (Sandeshkhali)। একটি মামলায় ২৮ জন এবং অন্যটিতে ২৪ জন অভিযুক্ত ছিল। কিন্তু রহস্যজনকভাবে, দুই মামলার চার্জশিট থেকেই বাদ যায় শেখ শাহজাহানের (Sandeshkhali) নাম। এরপর ২০২৪ সালের ৮ জানুয়ারি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সহায়তায় নিহতদের পরিবার ফের হাইকোর্টে সিবিআই তদন্তের দাবি জানায়।

    তদন্তকারী আধিকারিককে ভর্ৎসনা বিচারপতির (Calcutta High Court)

    মামলার শুনানির সময় তদন্তকারী আধিকারিককে প্রশ্ন করেন বিচারপতি, ‘‘সাক্ষীর গোপন জবানবন্দিতে শেখ শাহজাহানকে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও কেন তার নাম চার্জশিটে নেই?’’ উত্তরে আধিকারিক (Sandeshkhali) বলেন, ‘‘সাক্ষীকে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি।’’ তখন বিচারপতি পাল্টা বলেন, ‘‘আপনি ঠিক করবেন কে বিশ্বাসযোগ্য আর কে নয়?’’ বিচারপতির আরও পর্যবেক্ষণ, তদন্ত যথাযথভাবে হয়নি, সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদেও গাফিলতি রয়েছে। তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, “যখন বছরের পর বছর মূল অভিযুক্তের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে, তখন হঠাৎ এখন অতিরিক্ত চার্জশিট দেওয়ার তোড়জোড় কেন? চার-পাঁচ বছর ধরে চুপ ছিলেন, আর এখন সক্রিয়তা মানুষ এসব বুঝতে পারে।”

  • Pakistan Terror Camps: পাকিস্তান আছে পাকিস্তানেই! অপারেশন সিঁদুরের পর ফের চালু জইশের সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

    Pakistan Terror Camps: পাকিস্তান আছে পাকিস্তানেই! অপারেশন সিঁদুরের পর ফের চালু জইশের সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ (Operation Sindoor) ধ্বংস হওয়া সন্ত্রাসী কেন্দ্র ও জঙ্গি প্রশিক্ষণ ঘাঁটিগুলির (Pakistan Terror Camps) পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু করেছে পাকিস্তান। সূত্রের খবর, হামলার এক মাস পর ফের চালু হয়েছে বাহাওয়ালপুরের একটি কুখ্যাত মাদ্রাসার সুইমিং পুল—যা সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। বিভিন্ন সূত্র মারফত পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে, পাকিস্তান সরকার, সামরিক বাহিনী ও আইএসআইয়ের তত্ত্বাবধানে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো পুনর্নির্মানের কাজ চলছে। ঘাঁটিগুলিতে লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদ, হিজবুল মুজাহিদিনের মতো বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি প্রশিক্ষণ দিত।

    জঙ্গিঘাঁটি নির্মাণে সহযোগিতা পাক সেনার

    পহেলগাঁও হামলার পর সম্মুখ সমরে নামে ভারত-পাকিস্তান। ভারতের কাছে রীতিমতো পর্যদুস্ত হওয়ার পরও শোধরানোর কোনও লক্ষণ নেই ইসলামাবাদের। বরং অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) অভিযানে ভারত যে জঙ্গিঘাঁটিগুলি ধ্বংস করেছিল, পাকিস্তান সেগুলির পুনর্নির্মাণ করছে। নতুন করে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির এবং লঞ্চপ্যাডের নির্মাণ চলছে সেখানে। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ভারতের অভিযানে ঘাঁটিগুলি ধ্বংস হওয়ার পরে ‘লাইন অফ কন্ট্রোল’ বরাবর ছোট ছোট শিবির গড়ে প্রশিক্ষণ (Pakistan Terror Camps) দেওয়ার কাজ করছিল জঙ্গি সংগঠনগুলি। কিন্তু এবার জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে আলোচনা করে তাদের অত্যাধুনিক কেন্দ্র গড়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানি সেনা, গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এবং দেশের সরকার জঙ্গিঘাঁটি নির্মাণে সহযোগিতা করছে, আর্থিক সাহায্য় জোগাচ্ছে।

    ফের খুলল জঙ্গিদের সাঁতার কেন্দ্র

    ভারতের অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) বাহাওয়ালপুর ও মুরিদকেতে নির্ভুল হামলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মার্কিন উপগ্রহ সংস্থা ম্যাক্সার টেকনোলজির স্যাটেলাইট চিত্রে তা স্পষ্ট হয়েছে। ভারতীয় বায়ুসেনা ড্রোন, ক্রুজ মিসাইল ও নির্ভুল বোমার সাহায্যে হামলা চালিয়েছিল। বাহাওয়ালপুরে জইশ এবং মুরিদকেতে লস্কর-ই-তইবার প্রধান প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ছিল। তবে পুনরায়, পাক সেনা, আইএসআই ও সরকারের পূর্ণ মদতে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর ও সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে ছোট ও প্রযুক্তিনির্ভর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে। খোলা হয়েছে বাহাওয়ালপুরের সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (Pakistan Terror Camps)। এই সাঁতার অনুশীলন কেন্দ্রটিই ব্যবহার করেছিল ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার জঙ্গিরা। ওই হামলায় ভারতের সিআরপিএফ জওয়ানদের কনভয়ে আত্মঘাতী হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ৪০ জন জওয়ান। জানা যায়, ওই চার মূল জঙ্গি—মহম্মদ উমর ফারুক, তালহা রাশিদ আলভি, মহম্মদ ইসমাইল আলভি ও রাশিদ বিল্লা—হামলার আগে এই পুলেই ছবি তুলেছিল। সাঁতার প্রশিক্ষণ ছাড়াও, এই পুলটি সন্ত্রাসবাদীদের “শারীরিক পরীক্ষার” অংশ। যেসব জঙ্গিরা ভারতে অনুপ্রবেশ করে হামলা চালাতে চায়, তাদের এই পুলে কঠিন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং সাঁতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়াটাই ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে ধরা হয়।

    পুনরায় তৈরি হচ্ছে লঞ্চ প্যাড

    গোপন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধানত লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মহম্মদ, হিজবুল মুজাহিদিন ও দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টের (TRF) মতো সংগঠনগুলোর নতুন কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে লাইন অফ কন্ট্রোল (LoC)-এর কাছাকাছি জঙ্গলে, যাতে সেগুলি সহজে নজরে না আসে। আন্তর্জাতিক সীমান্তে চারটি লঞ্চপ্য়াডের পুনর্নির্মাণ হচ্ছে, অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) অভিযানের আওতায় যেগুলিকে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, জম্মু সেক্টরে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর চারটি লঞ্চপ্যাডকে নতুন করে সাজানো হচ্ছে। মসরুর বড়া ভাই, ছাপরার, লুনি রয়েছে তালিকায়, শকরগড়ে গড়ে তোলা হচ্ছে ড্রোন কেন্দ্র। ভারতের বিরুদ্ধে নতুন কৌশল নিচ্ছে পাকিস্তান। বড় বড় শিবিরগুলিকে ভেঙে ছোট করা হচ্ছে, যাতে এক জায়গায় সমস্ত রসদ, সব জঙ্গি না থাকে। এতে হামলা হলেও বড় ধরনের ক্ষতি হবে না।

    আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার

    ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে খবর রয়েছে যে, সম্প্রতি বাহওয়ালপুরে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির (Pakistan Terror Camps) সঙ্গে পাক প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও হয়। জইশ, লস্কর, হিজবুল, পহেলগাঁও হামলার দায় স্বীকার করা দ্য রেজিসস্ট্যান্স ফ্রন্ট, আইএসআই আধিকারিকরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে মোটা টাকা অর্থসাহায্য় দিতে সম্মত হয় আইএসআই। জঙ্গি ঘাঁটি নির্মাণে উচ্চমানের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে, নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন ঘন জঙ্গলে ছোট ছোট শিবির গড়ে তোলা হচ্ছে, যাতে সহজে চোখে না পড়ে, সহজে হামলাও চালানো যায় না। এই মুহূর্তে লুনি, পুটওয়াল, তাইপু পোস্ট, জামিলা পোস্ট, উমরানওয়ালি, ছাপরার, ফরোয়ার্ড কাহুটা, ছোটা চক, জঙ্গলোরায় জঙ্গিঘাঁটি নির্মাণের কাজ চলছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি বসানো হচ্ছে সেখানে, থার্মাল ইমেজার প্রতিহত করার ব্যবস্থা থাকছে। রেডার, স্যাটেলাইট নজরদারি এড়ানোর প্রযুক্তিও থাকছে জঙ্গিঘাঁটিগুলিতে।

  • RSS: শতবর্ষে আরএসএস, দেশজুড়ে দেড় হাজারেরও বেশি হিন্দু সম্মেলন করার পরিকল্পনা সংঘের

    RSS: শতবর্ষে আরএসএস, দেশজুড়ে দেড় হাজারেরও বেশি হিন্দু সম্মেলন করার পরিকল্পনা সংঘের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালে শততম বছরে পা দিচ্ছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS)। এই আবহে সংগঠনের এই ঐতিহাসিক যাত্রাপথকে স্মরণীয় করে রাখতে সারা দেশজুড়ে হিন্দু সম্মেলন করার কথা ভাবছে আরএসএস। প্রসঙ্গত, ১৯২৫ সালের বিজয়া দশমীর দিন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল আরএসএস। চলতি বছরে বিজয়া দশমী উৎসব পড়েছে ২ অক্টোবর। আরএসএস সূত্রে জানা গিয়েছে, শততম বর্ষের আনুষ্ঠানিক উৎসব শুরু হয়ে যাবে ২৬ অগাস্ট থেকেই। ওই দিন থেকে তিন দিন ধরে চলবে বিভিন্ন বিষয়ে সর সংঘচালক মোহন ভাগবতের বক্তব্য।

    দেশের চার মহানগরে বক্তব্য রাখবেন সংঘ প্রধান (RSS)

    দেশের চার মহানগর দিল্লি, মুম্বাই, বেঙ্গালুরু ও কলকাতায় বক্তব্য রাখবেন মোহন ভাগবত। এইভাবেই শতবর্ষে আরএসএস-এর যাত্রাপথ, দেশের প্রতি অবদান, সমাজ গঠনে ভূমিকা, এই সমস্ত কিছুই তিনি তুলে ধরবেন। প্রসঙ্গত, আরএসএস-এর (RSS) নীতিই হল প্রথমে দেশ, মাঝখানে সংস্কৃতি এবং নিঃস্বার্থ সেবাভাব সবার উপরে (Hindu Conferences)।

    ১,৫০০-১,৬০০ সম্মেলন করবে আরএসএস (RSS)

    শততম বর্ষে আরএসএস-এর পক্ষ থেকে লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে যে দেশের প্রতিটি ব্লকে যেন সংঘের কাজ পৌঁছে যায়। আরএসএস-এর আদর্শ, নিঃস্বার্থ সেবাভাব এই সমস্ত কিছু দেশের প্রতিটি কোণায় পৌঁছে দিতে চায় সংঘ। দিল্লির প্রান্ত কার্যবাহ অনিল গুপ্ত এনিয়ে বলেন, “আমরা লক্ষ্য রেখেছি যে সারাদেশে এক লাখেরও বেশি শাখা চালু করব।” প্রসঙ্গত, শাখাই হল আরএসএস-এর সংগঠনের ভিত্তি। আরএসএস (Hindu Conferences) চলতি বছরে ১৫০০ থেকে ১৬০০ হিন্দু সম্মেলন করার কথা ঘোষণা করেছে। এই সম্মেলনগুলির প্রতিটিই হবে স্বয়ংসেবক, সমাজের নেতা, সাধু-সন্ত, গবেষক, যুব, মহিলা এবং শিল্পীদের নিয়ে। আরএসএস নেতার বক্তব্য অনুযায়ী, “এটা শুধুমাত্র কোনও সম্মেলন হবে না বরং এটা হবে এক সভ্যতার মিশন।”

    হিন্দু সমাজকে সংগঠিত করে আরএসএস (RSS)

    সম্প্রতি পুনেতে বক্তব্য রাখেন সরসংঘচালক (RSS) মোহন ভাগবত। সেখানে আয়ুর্বেদ আচার্য দাদা খাদিওয়ালে-র জীবনী প্রকাশ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তিনি। সেখানে মোহন ভাগবত বলেন, “যদি কেউ এক কথায় জিজ্ঞেস করে যে আরএসএস কী করে, তার উত্তর হবে , হিন্দু সমাজকে সংগঠিত করে।” তিনি আরও বলেন, “প্রকৃতপক্ষে ঐক্য তখনই সামনে আসে, যখন আমরা দেখি যে মানুষ নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে।”

  • Doctor-Patient Relationsip: ওষুধের নিদানেই শেষ নয়, রোগীর মন বোঝাও ডাক্তারদের দায়িত্ব

    Doctor-Patient Relationsip: ওষুধের নিদানেই শেষ নয়, রোগীর মন বোঝাও ডাক্তারদের দায়িত্ব

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রোগ নির্ণয়, তার চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে জানানো এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করা, এতেই শেষ নয়। বরং আধুনিক জীবনে রোগী চিকিৎসায় সবচেয়ে জরুরি পাঠ রোগীর মানসিক অবস্থা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হওয়া। শারীরিক রোগের সঙ্গে মনের যোগ কতখানি, তা বিচার করা। সেই মতোই চিকিৎসা চালানো। রোগী ও চিকিৎসকের সম্পর্কের (Doctor-Patient Relationsip) এই নয়া সমীকরণে জোর দিচ্ছেন চিকিৎসক মহল।

    ১ জুলাই ভারতে পালিত হচ্ছে জাতীয় চিকিৎসক দিবস (National Doctors Day)। পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও প্রখ্যাত চিকিৎসক বিধানচন্দ্র রায়ের জন্মদিন এবং মৃত্যুদিন উপলক্ষে দেশজুড়ে পালিত হয় জাতীয় চিকিৎসক দিবস। আর সেই উপলক্ষে কলকাতায় একটি কর্মশালার আয়োজন হয়েছিল। সেখানেই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রোগী ও চিকিৎসক সম্পর্ক নিয়ে বাড়তি নজরদারি জরুরি। আধুনিক সময়ে চিকিৎসা পদ্ধতিতে নানান অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে। চিকিৎসকদের শুধু সেই নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকলেই চলবে না। পাশপাশি, রোগীকে কীভাবে সে সম্পর্কে জানাবেন, রোগীর সঙ্গে ‘কমিউনিকেশন স্কিল’ নিয়ে সজাগ থাকতে হবে। কীভাবে সেই দক্ষতা বাড়ানো যায়, সেদিকেও নজর দিতে হবে!

    রোগী-চিকিৎসক সম্পর্কে (Doctor-Patient Relationsip) কেন বাড়তি নজর?

    রোগ নির্ণয় আর চিকিৎসা এতেই দায়িত্ব শেষ নয়। এমনটাই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, রোগী ও চিকিৎসকের মধ্যে সুসম্পর্ক না থাকলে রোগীর সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা কমে। তাঁরা জানাচ্ছেন, আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে অনেক রোগ নির্ণয় সহজ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু রোগ নিরাময়ের জন্য রোগী ও চিকিৎসকের মধ্যে সুসম্পর্ক জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, একটি সাধারণ পরীক্ষার মাধ্যমে রোগী উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত কিনা, সেটা বোঝা যায়। কিংবা খুবই সাধারণ কিছু পরীক্ষার মাধ্যমে রোগীর শরীরে হরমোনের ভারসাম্যের অভাব সম্পর্কেও‌ জানা যায়। কিন্তু এই সমস্যা কেন হচ্ছে, সেটা জানার জন্য রোগীর সঙ্গে কথা বলা জরুরি। রোগীর ব্যক্তিগত জীবনে কোনও জটিলতা রয়েছে কিনা, তাঁর মানসিক চাপ কতখানি, সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা করতে না পারলে, রোগীর এই রোগ নিরাময় কঠিন। তাই রোগীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখা এবং কথা বলার অর্থাৎ কমিউনিকেশন স্কিলের (Communication Skill) দিকে নজরদারি জরুরি।

    বারবার রোগীদের ক্ষোভের মুখে চিকিৎসকরা

    কলকাতা ও রাজ্য জুড়ে গত কয়েক বছরে বারবার চিকিৎসক হেনস্থার ঘটনা ঘটছে। একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও চিকিৎসকদের শারীরিক হেনস্থা করার ঘটনা চলছে। তাই এই পরিস্থিতিতে রোগী ও চিকিৎসকের সম্পর্কের (Doctor-Patient Relationsip) নয়া সমীকরণ নিয়ে সচেতনতা বাড়তি জরুরি বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্রে নানান পরিকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে। অনেক সময়েই রোগী সময় মতো চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছেন না। কিন্তু তার জন্য চিকিৎসককে পুরোপুরি দায়ী করা যায় না। চিকিৎসকদের একাধিক সংগঠনের তরফে ওই কর্মশালায় বলা হয়েছে, চিকিৎসক স্বাস্থ্য পরিষেবার প্রথম সারিতে থাকা কর্মী মাত্র। পরিকাঠামো ঠিক করার দায় সরকারের। চিকিৎসকের সেক্ষেত্রে বিশেষ কিছুই করার থাকে না। কিন্তু তাঁদের রোগীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। তাই রোগী ও চিকিৎসক সম্পর্কে বাড়তি নজরদারি জরুরি। তাহলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার কাজ কিছুটা সহজ হবে।

    রোগী-চিকিৎসক নতুন সম্পর্কের সমীকরণ কীভাবে হবে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিকিৎসা-পড়ুয়াদের পঠনকালের প্রথম বছর থেকেই এই বিষয়ে ওয়াকিবহাল করা জরুরি। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের (National Medical Council) সুপারিশ মেনে রোগী ও চিকিৎসকের মধ্যে সম্পর্ক (Doctor-Patient Relationsip) ও যোগাযোগের দক্ষতা নিয়ে একাধিক কর্মশালার আয়োজন করা হচ্ছে। হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসকদেরও সেই সমস্ত কর্মশালায় অংশগ্রহণের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। ওই আলোচনা চক্রে (National Doctors Day) বিশেষজ্ঞ মহলের পরামর্শ, রোগীর সামাজিক পরিচয় জরুরি। অর্থাৎ, চিকিৎসক রোগী কোথায় থাকেন, কীভাবে থাকেন, পরিবারের পরিস্থিতি, এগুলো সম্পর্কে জানাও জরুরি। কারণ, অনেক সময়েই এই অবস্থাগুলো রোগীর রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে খুবই জরুরি হয়ে ওঠে। কারণ, একাধিক রোগের ক্ষেত্রে দেখা যায়, তার সামাজিক পরিস্থিতি রোগ নিরাময়ের পথে বাধা হয়ে ওঠে। তাই সে সম্পর্কে চিকিৎসক ওয়াকিবহাল না থাকলে, রোগীকে চিকিৎসা করা কঠিন হয়ে উঠবে। তাই চিকিৎসক এবং রোগীর সম্পর্কের (Doctor-Patient Relationsip) নয়া দিক সবচেয়ে জরুরি হয়ে উঠছে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Daily Horoscope 01 July 2025: মান-সম্মান বাড়বে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 01 July 2025: মান-সম্মান বাড়বে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) আজকের দিনে ধনবৃদ্ধি হবে।

    ২) কিছু বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

    ৩) পরিবারের সদস্যদের তরফে সুসংবাদ শুনতে পাবেন।

    বৃষ

    ১) আজকের দিনটি প্রাণশক্তিতে ভরপুর থাকবে।

    ২) মান-সম্মান বাড়বে।

    ৩) অচেনা ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে পারে।

    মিথুন

    ১) আজ মিশ্র পরিণাম লাভ করবেন।

    ২) সহযোগিতার মনোভব বাড়বে।

    ৩) কোনও বিষয়ে বয়স্কদের পরামর্শ নিন।

    কর্কট

    ১) আর্থির সুযোগের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করতে পারেন, এর ফলে বড়সড় সিদ্ধান্ত হাতছাড়া হবে।

    ২) পরিবারের সকল সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে চলার চেষ্টা করবেন।

    ৩) ব্যবসায়িক কাজের জন্য অন্য কোনও ব্যক্তির ওপর নির্ভরশীল থাকবেন, যার ফলে তা পূরণ করার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেবে।

    সিংহ

    ১) আজকের দিনটি উন্নতিদায়ক।

    ২) ব্যবসায়িক প্রস্তাব নিয়ে বহিরাগত ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে তাঁরা আপনার কথা বুঝতে পারবেন।

    ৩) চাকরিজীবীরা একই ভুল বার বার করবেন না।

    কন্যা

    ১) আজ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে সুনাম অর্জন করবেন।

    ২) চিন্তাভাবনা না-করেই যে কোনও কাজ করে ফেলবেন, এ কারণে পড়ে সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন।

    ৩) সামাজিক সম্মান বাড়বে।

    তুলা

    ১) জীবনসঙ্গীর সহযোগিতা ও সান্নিধ্য লাভ করবেন।

    ২) পরিবারের কোনও সদস্য ব্যবসা শুরু করতে পারে।

    ৩) বিদেশি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পরিকল্পনা করে থাকলে লাভান্বিত হবেন।

    বৃশ্চিক

    ১) দাম্পত্য জীবনে মাধুর্য আসবে।

    ২) কোনও সমস্যার বিষয়ে বন্ধু বা আত্মীয়ের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন।

    ৩) অংশীদারীর কাজের দ্বারা লাভান্বিত হবেন।

    ধনু

    ১)  চাকরিজীবী জাতকদের জন্য আজকের দিনটি ভালো।

    ২) ইতিবাচক চিন্তাভাবনার সুফল পাবেন।

    ৩) কেরিয়ারে ভালো প্রস্তাব পেতে পারেন।

    মকর

    ১) কর্মক্ষেত্রে ভালো প্রদর্শন করবেন।

    ২) ব্যবসায়ে নতুন কিছু অন্তর্ভূক্ত করবেন।

    ৩) বন্ধুদের সঙ্গে ঘোরাফেরার সময়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাবেন।

    কুম্ভ

    ১) আজ ধৈর্য ধরে রাখুন।

    ২) বাড়ি বা বাইরে তাড়াহুড়োয় কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন না।

    ৩) সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদে জয়ী হবেন।

    মীন

    ১) আজকের দিনটি শুভ পরিণাম নিয়ে আসবে।

    ২)  ব্যবসায়ে কারও সাহায্য চাইলে তা সহজে পেয়ে যাবেন।

    ৩) ভাই-বোনের সহযোগিতা লাভ করবেন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Kasba Gangrape: “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা, তবু নিরাপদ নন বাংলার মেয়েরা”! কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডে মমতার পদত্যাগ দাবি বিজেপির

    Kasba Gangrape: “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা, তবু নিরাপদ নন বাংলার মেয়েরা”! কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডে মমতার পদত্যাগ দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা। তা সত্ত্বেও মহিলাদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ রাজ্য সরকার। এক বছরের মধ্যে শহরের বুকে দুটি ধর্ষণের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। কসবার (Kasba Gangrape) সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করল বিজেপি (BJP Fact Finding Team)। গণধর্ষণের অভিযোগের তদন্তে বিজেপির চার সদস্যের একটি দল কলকাতায় এসেছে। সেই দলে রয়েছেন সৎপাল সিং, মীনাক্ষী লেখি, বিপ্লব দেব এবং মনন মিশ্র। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস সরকার অভিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে।

    ঘটনাস্থলে যাবে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম

    একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রীর ধর্ষণের ঘটনা লজ্জার। কলকাতায় এসে এমনই মন্তব্য করল বিজেপির চার সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম৷ বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের নেতৃত্বে রয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সৎপাল সিং৷ তিনি অভিযোগ করেছেন, রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি৷ তাঁদের তরফে দেখা করার জন্য সময় চেয়ে যে আবেদন করা হয়েছিল, তা খারিজ করা হয়েছে৷ পাশাপাশি, ঘটনাস্থল কসবা ল’ কলেজে যাওয়ার অনুমতিও কলকাতা পুলিশের তরফে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন সৎপাল। তবে, তাঁরা মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মার সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করবেন৷ সেই মতো চিঠিও পাঠানো হয়েছে৷ মুখ্যসচিব এবং কমিশনার কেউ দেখা না-করলে, সোজা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাওয়ার কথা জানিয়েছে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি৷

    মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি

    একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে বিজেপির মুখপাত্র গৌরব বল্লভ বলেছেন, ‘মহিলা মুখ্যমন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও নারীদের উপর শোষণ ও অত্যাচারের নিরিখি পশ্চিমবঙ্গ এক নম্বরে। প্রতি ক্ষেত্রেই দেখা যায়, অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য। নারীদের উপর অত্যাচার আর তৃণমূল এখন সমার্থক হয়ে উঠেছে। দলটির নেতারা সবসময় অভিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করে। তারা নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের পাশে দাঁড়ায় না। আমরা অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করছি।’ কসবার কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র সহ মোট চারজনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, ২৫ জুন, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ১০টা ৫০ মিনিটের মধ্যে কলেজ ক্যাম্পাসে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। নির্যাতিতা অভিযোগপত্রে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করেছেন ‘জে’, ‘এম’, এবং ‘পি’ নামে।

    মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এ ঘটনা লজ্জার

    এ নিয়ে ত্রিপুরা পশ্চিমের সাংসদ বিপ্লব দেব বলেন, “বাংলায় মহিলাদের নিরাপত্তা একেবারেই নেই ৷ বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে৷ তাও কি না, মেডিক্যাল কলেজ ও ল’ কলেজে৷ একজন ছাত্রী পরবর্তী সময়ে যিনি অন্য মেয়ের অধিকারের হয়ে আইনি লড়াই লড়বেন, তাঁকে ধর্ষণ করা হচ্ছে ৷ এটা খুবই লজ্জাজনক৷ বিশেষ করে যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন মহিলা৷ সেখানে মহিলাদের নিরাপত্তার এই হাল ৷” প্রতিনিধি দলের সদস্য প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি বলেন, “এমন একটা প্রশাসন চলছে, যেখানে বারবার মহিলাদের সঙ্গে নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে৷ আর এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা ৷ সেখানে এই ঘটনা খুবই লজ্জাজনক৷ আর এখানকার প্রশাসনিক আধিকারিকরা আমাদের সঙ্গে দেখা করতে চান না৷ সেখানে রাজ্যের মানুষের কী অবস্থা, তা বোঝাই যাচ্ছে ৷ আমরা ঘটনাস্থলে যাব, খতিয়ে দেখব পুরো বিষয়টা৷”

    রাজ্যে অরাজকতা চলছে

    সাংসদ সত্যপাল সিং বলেন, “আমরা নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করব। এই ধরনের ঘটনার থেকে দুর্ভাগ্যের কিছু হয় না। পুলিশের কী ভূমিকা ছিল, সেটাও দেখা হবে। আমি বিশ্বাস করি, মুখ্যমন্ত্রী আমাদের সব জায়গায় যাওয়ার অনুমতি দেবেন।” ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্য বলেন, “এই রাজ্যে অরাজকতা চলছে। রাজ্য পহেলগাঁওতে টিম পাঠাতে পারে, হাথরসে টিম যেতে পারে, কিন্তু অন্য দলের কোনও টিম আসবে, তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করবে না। মুখ্যসচিব দেখা করবেন না। ডিজিপি দেখা করবেন না। এটা অগণতান্ত্রিক চিন্তাভাবনা।” উল্লেখ্য, সোমবার কসবা কাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। ঘটনায় বিচারপতি সৌমেন সেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন আইনজীবীরা। তাঁরা আদালতের নজরদারিতে তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন। পাশাপাশি কলেজ ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করারও দাবি জানান তাঁরা। আদালত সূত্রের খবর, কলকাতা হাইকোর্টে তিনটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

LinkedIn
Share