Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • Kali Puja 2025: কালীঘাট থেকে দক্ষিণেশ্বর, তারাপীঠের কালী মন্দিরে কী কী ভোগ নিবেদন করা হয়?

    Kali Puja 2025: কালীঘাট থেকে দক্ষিণেশ্বর, তারাপীঠের কালী মন্দিরে কী কী ভোগ নিবেদন করা হয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে দীপান্বিতা কালীপুজো (Kali Puja 2025) বিশেষ জাঁকজমক সহকারে পালিত হয়। আজ কালীপুজো। দুর্গাপুজার পাশাপাশি কালীপুজোতেও বিভিন্ন আচার-নিয়ম (Rituals) থাকে। আর কালীপুজোর বিশেষ আকর্ষণই হল মায়ের ভোগ। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে শ্যামামায়ের মন্দির। আর সেই এক এক মন্দিরের এক এক রকমের ভোগ মাকে (Maa Kali) নিবেদন করা হয়। কলকাতার সবচেয়ে বিখ্যাত কালীমন্দিরটি হল কালীঘাট মন্দির। এটি একটি সতীপীঠ। এছাড়া দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ি, আদ্যাপীঠ, ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি, ফিরিঙ্গি কালীবাড়ি ইত্যাদি কলকাতার বিখ্যাত কয়েকটি কালীমন্দির। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের সেভকেশ্বরী কালীমন্দিরও বেশ বিখ্যাত।

    কোন মন্দিরে মাকে (Maa Kali) কী কী ভোগ দেওয়া হয়?

    কালীপুজোর সময় মায়ের যে ভোগ হয়, তা অন্যান্য পুজোর থেকে বেশ কিছুটা আলাদা। এক নজরে দেখে নিন, কোন মন্দিরে মাকে কী কী ভোগ দেওয়া হয়?

    কালীঘাট মন্দির: সতীর একান্নপীঠের অন্যতম এই কালীঘাট (Kalighat)। সকালে মা-কে আমিষ পদ ভোগে দেওয়া হয়। সেই ভোগের মধ্যে রয়েছে বেগুনভাজা, পটলভাজা, কপি, আলু ও কাঁচকলা ভাজা, ঘিয়ের পোলাও, ঘি ডাল, শুক্তো, শাকভাজা, মাছের কালিয়া, পাঁঠার মাংস ও চালের পায়েস। তবে রাতে মা-কে নিরামিষ ভোগ নিবেদন করা হয়। লুচি, বেগুনভাজা, আলু ভাজা, দুধ, ছানার সন্দেশ আর রাজভোগ থাকে কালীঘাটের ভোগে।

    সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির: আনুমানিক ১৭০৩ সালে উদয়নারায়ণ ব্রহ্মচারী নামে এক তান্ত্রিক সন্ন্যাসী সেই সময় জঙ্গলের মধ্যে পঞ্চমুণ্ডির আসনে ও ঘটে পুজো (Kali Puja 2025) শুরু করেন। কালীপুজোর রাতে ভোগ দেওয়া হয় লুচি, পটলভাজা, ধোঁকা বা আলুভাজা, আলুর দম ও মিষ্টি।

    দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির: ভোরে দেবী ভবতারিণীর বিশেষ আরতি দক্ষিণেশ্বরের পুজোর (Kali Puja 2025) বিশেষ আকর্ষণ। আর ভোগে নিবেদন করা হয় সাদাভাত, ঘি, পাঁচরকমের ভাজা, শুক্তো, তরকারি, পাঁচরকমের মাছের পদ, চাটনি, পায়েস ও মিষ্টি।

    তারাপীঠ মন্দির: কালীপুজোর (Kali Puja 2025) দিন খুব সকালে ডাবের জল দিয়ে শুরু হয় মায়ের ভোগ। সকালের ভোগে থাকে পাঁচ রকম বা ন’রকমের ভাজা, সাদা অন্ন, পায়েস ও মিষ্টি। আমিষ ভোগের মূল উপাদান হল শোল মাছ। ভোগের পাতে এই মাছ না থাকলে ভোগ গ্রহণ করেন না মা তাঁরা। কালীপুজোর দিন তারা মা-এর ভোগ হিসেবে থাকে পোলাও, খিচুড়ি, সাদা ভাত, পাঁচরকম ভাজা, পাঁচ মিশালি তরকারি, মাছ, চাটনি, পায়েস এবং মিষ্টি। এখানকার অন্নভোগের বিশেষত্বই হল পোড়া শোলমাছ মাখা।

    সেভকেশ্বরী কালী মন্দির: শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটক যাওয়ার পথে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে এই কালীমন্দির। কালীপুজোর (Kali Puja 2025) দিনগুলিতে এই সেভকেশ্বরী কালীমন্দিরে ভক্তদের ঢল নামে। সেবক পাহাড়ের নির্জনতায় হয় কালী মায়ের আরাধনা। অনেকেরই বিশ্বাস, দেবী অত্যন্ত জাগ্রতা। এখানে মায়ের (Maa Kali) ভোগে থাকে সাদা ভাত, পাঁচরকম ভাজা, তরকারি, পায়েস, লুচি, দই, মিষ্টি। আর এখানে ভোগের আকর্ষণ হল বোয়াল মাছ। এদিন এই মাছ দেবীর ভোগ হিসেবে নিবেদন করা হয়।

  • Kali Puja 2025: কখনও তিনি শ্যামবর্ণা, কোথাও তাঁর গায়ের রং নীল! জানুন মা কালীর বিভিন্ন রূপ

    Kali Puja 2025: কখনও তিনি শ্যামবর্ণা, কোথাও তাঁর গায়ের রং নীল! জানুন মা কালীর বিভিন্ন রূপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামপ্রসাদের কন্যা, রামকৃষ্ণের মা ভবতারিণী, সাধক কমলাকান্তের সাধনার ধন। তিনি দশমহাবিদ্যার প্রথম দেবী। দেবী কালিকা। বাংলা জুড়ে কালীপুজোর (Kali Puja 2025) মাহাত্ম্য অনেক। শ্মশানবাসিনী থেকে ঘরে ঘরে পূজিত হওয়ার রয়েছে নানা আখ্যান। কড়া নিয়ম মেনে আরাধনা করা হয় দেবী কালিকার। কোথাও তিনি পূজিত হন চামুণ্ডা মতে, তো কোথাও আবার তন্ত্র মতে। কোথাও কোথাও দেবীকে কেন্দ্র করেই চলে তন্ত্র সাধনা। কোথাও তিনি শ্যামবর্ণা, কোথাও তাঁর গায়ের রং নীল। মাকে ১১ রূপে বিনাশকারী শক্তি হিসেবে আরাধনা করে থাকেন ভক্তরা।

    মায়ের (Maa Kali) নানা রূপের কথা 

    দক্ষিণা কালী: বাংলায় সবচেয়ে বেশি আরাধনা হয় দক্ষিণা কালীর। কালীর এই রূপ জায়গা ভেদে শ্যামাকালী নামেও পরিচিত। সারা শরীর নীল বর্ণের, তাঁর মূর্তি ক্রুদ্ধ, ত্রিনয়নী, মুক্তকেশ, চারটি হাত এবং গলায় মুণ্ডমালা। বাম দিকের দুই হাতে নরমুণ্ড এবং খড়গ। ডান হাতে থাকে আশীর্বাদ এবং অভয় মুদ্রা। দেবী মহাদেবের উপরে দণ্ডায়মানা।

    শ্মশান কালী: মূলত প্রাচীন কালে ডাকাতেরা দেবীর এই রূপের আরাধনা করত। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘দেবী চৌধুরানী’ উপন্যাসে এই দেবীর উল্লেখ পাওয়া যায়। গৃহস্থের বাড়িতে কালীর এই রূপের পুজো হয় না একেবারেই। মূলত শ্মশানেই তাঁর আরাধনা।

    সিদ্ধ কালী: কালীপুজোর দিনে বহু জায়গায় সিদ্ধ কালীর আরাধনা করা হয়। কালীর (Kali Puja 2025) এই রূপ ভুবনেশ্বরী নামেও পরিচিত। গৃহস্থের বাড়িতে কালীর এই রূপ পুজো হয় না। কালী মায়ের সাধকেরা এই পুজো করে থাকেন। সিদ্ধকালীর দু’টি হাত, শরীর গয়নায় আবৃত। দেবীর ডান পা শিবের বুকে এবং বাঁ পা থাকে তাঁর দু’পায়ের মাঝখানে। এই দেবী রক্ত নয়, বরং অমৃত পানে সন্তুষ্ট থাকেন।

    ফলহারিণী কালী: এটি বাৎসরিক পুজো। মূলত, গৃহস্থ বাড়িতে শান্তি বজায় রাখতে কালীর এই রূপকে আরাধনা করা হয়।

    মহা কালী: এই দেবীর (Kali Puja 2025) দশটি মাথার মতো দশটি হাত এবং দশটি পা থাকে। প্রতিমার সঙ্গে শিবের কোনও অস্তিত্ব নেই। দশ হাতেই রয়েছে অস্ত্র। দেবীর পায়ের তলায় অসুরের কাটা মুণ্ড থাকে। ভূত চতুর্দশীর দুপুরে এমনই দশমাথা মহা কালীর সাধনা করা হয়। তবে, গৃহস্থ বাড়িতে এই পুজো করা হয় না।

    কাম্যা কালী: বিশেষ প্রার্থনায় কালীর এই রূপ আরাধনা করা হয়। পুজোর নিয়মবিধি দক্ষিণা কালীর মতোই। সাধারণত, অষ্টমী, চতুর্দশী অমাবস্যা পূর্ণিমা ও সংক্রান্তির মতো তিথিতেই কাম্যা কালীর আরাধনা করা হয়।

    গুহ্যকালী: এই দেবীর গায়ের রং গাঢ় কালো। গলায় ৫০টি নরমুন্ডের হার এবং কানে শবদেহের আকারের অলঙ্কার থাকে। শাস্ত্রে কালীর এই রূপকে ভয়ঙ্করী হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।

    ভদ্রকালী: কালীর এই রূপ সাধারণত বারোয়ারি বিভিন্ন মন্দিরে পুজো করা হয়। ভদ্রকালী নামে ভদ্র শব্দটি ব্যবহার হয়েছে কল্যাণ অর্থে এবং কালী শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে জীবনের শেষ সময় বোঝাতে।

    চামুণ্ডা কালী: চামুণ্ডা হলেন আদিশক্তি। আবার তিনিই ভগবতী দুর্গা। চণ্ড ও মুণ্ড নামে দুই অসুরকে হত্যা করে তিনি ‘চামুণ্ডা’ নামে পরিচিত হন। পার্বতী, চণ্ডী, দুর্গা, চামুণ্ডা ও কালী এক ও অভিন্ন রূপ।

    শ্রী কালী: দেবী দুর্গা বা পার্বতীর একটি রূপ শ্রী কালী (Kali Puja 2025)। অনেকে মনে করেন এই রূপে দেবী দারুক নামে অসুরকে বধ করেছিলেন। পুরাণ অনুয়ায়ী, কালীর এই রূপ মহাদেবের কণ্ঠে প্রবেশ করে তাঁর কণ্ঠের বিষে কৃষ্ণবর্ণা হন এবং পরবর্তীকালে মহাদেব শিশু রূপে স্তন্যপান করে দেবীর শরীর থেকে বিষ গ্রহণ করেন।

    রক্ষাকালী: দক্ষিণা কালীর (Maa Kali) একটি রূপ হল রক্ষাকালী। কথিত, প্রাচীন কালে লোকালয়ের রক্ষার জন্য এই দেবীর পুজো করা হত। এই দেবীর বাহন সিংহ।

  • Daily Horoscope 20 October 2025: গুরুজনদের সদুপদেশে কর্মোন্নতি করবেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 20 October 2025: গুরুজনদের সদুপদেশে কর্মোন্নতি করবেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) নম্র স্বভাবের জন্য কর্মস্থলে পদন্নোতি।

    ২) বাসস্থান পরিবর্তন নিয়ে খরচ বৃদ্ধি।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    বৃষ

    ১) কোনও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ না করাই ভাল হবে।

    ২) ভ্রমণে সমস্যা বাড়তে পারে, একটু সাবধান থাকুন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মিথুন

    ১) অতিরিক্ত বিলাসিতার জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ২) গুরুজনদের সদুপদেশে কর্মোন্নতি।

    ৩) ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করুন।

    কর্কট

    ১) ব্যবসায় দারুণ অর্থপ্রাপ্তির যোগ রয়েছে।

    ২) নিজের ভুল সংশোধন করার ফলে ব্যবসায় উন্নতি।

    ৩) আজ লাভের মুখ দেখবেন।

    সিংহ

    ১) কাজের চাপ বাড়তে পারে।

    ২) বন্ধুর সহায়তায় ব্যবসায় উন্নতি।

    ৩) ধৈর্য্য রেখে কাজ করুন।

    কন্যা

    ১) সহকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করায় মানসিক চাপ বাড়বে।

    ২) প্রেমে কষ্ট বাড়তে পারে।

    ৩) কোনও বিরুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভেঙে পড়বেন না আজ।

    তুলা

    ১) সব কাজেই সুনাম পেতে পারেন।

    ২) ব্যবসায় কোনও কর্মচারীর দ্বারা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) সমাজে আপনার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়বে আজ।

    বৃশ্চিক

    ১) স্ত্রীর কারণে মন চঞ্চল হতে পারে।

    ২) কোনও ঝুঁকিপ্রবণ কাজ করতে হতে পরে।

    ৩) নিজের বাণীতে সংযম রাখুন।

    ধনু

    ১) প্রিয়জনের সঙ্গে বিবাদ নিয়ে চিন্তা হতে পারে।

    ২) গরিব মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করুন।

    ৩) সতর্কভাবে চলাফেরা করুন।

    মকর

    ১) শত্রুভয় কাটিয়ে উঠতে পারবেন।

    ২) ব্যবসায় ফল নিয়ে চিন্তা থাকবে।

    ৩) লোকসান হবার বিপুল সম্ভাবনা।

    কুম্ভ

    ১) কাজের বিষয়ে প্রচুর চিন্তা থাকবে।

    ২) ব্যবসার ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকুন, বুদ্ধিভ্রংশ হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মীন

    ১) বাড়িতে অশান্তির সম্ভাবনা ও সেই কারণে আপনার সম্মানহানি হতে পারে।

    ২) আপনার বক্তব্য সকলের মন জয় করতে সক্ষম হবে।

    ৩) প্রিয়ডনের সঙ্গে খুশিতে কাটান দিনটি

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না

  • Paris: প্যারিসের লুভ্যর জাদুঘর থেকে চুরি গিয়েছে নেপোলিয়ানের অলঙ্কার!

    Paris: প্যারিসের লুভ্যর জাদুঘর থেকে চুরি গিয়েছে নেপোলিয়ানের অলঙ্কার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার সকালে প্যারিসের (Paris) জাদুঘরে ডাকতির ঘটনায় শোরগোল। কার্যত ফিল্মি কায়দায় জানালা ভেঙে লুভ্যরের একটি ঘরে ঢুকে লাখ লাখ টাকার গয়না লুট করেছে দুই দুষ্কৃতী। ঘরের বাইরে দাঁড়িয়েছিল তৃতীয় একজন। জানা গিয়েছে, চুরি যাওয়া গয়নাগুলি হল ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ান বোনাপার্ট (Napoleon-era jewels) এবং সম্রাজ্ঞী জোসেফইনের। মুহূর্তের মধ্যেই দর্শনার্থীদের মধ্যে শোরগোল পড়ে যায় জাদুঘরজুড়ে। ঘটনায় তদন্তে নেমেছে পুলিশ। দেশজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে চাঞ্চল্য।

    ডিস্ক কাটার দিয়ে কাটা হয়েছে (Paris)

    ফ্রান্সের (Paris) সংস্কৃতি মন্ত্রী রাচিদা দাতি এক্স হ্যান্ডলে বলেন, “রবিবার জাদুঘর খুলতেই ডাকাতি হয়। ডিস্ক কাটার দিয়ে কাটা হয়েছে কাঠামো। নেপোলিয়ন (Napoleon-era jewels) এবং সম্রাজ্ঞীর অলঙ্কার সংগ্রহ থেকে ন’টি নগদ অর্থ চুরি হয়েছে। তবে কেউ হতাহত হননি। আপাতত জাদুঘর বন্ধ রাখা হয়েছে।” পুলিশ ঘটনার বিবরণ দিয়ে জানিয়েছে, জাদুঘরের শ্যেন নদীর দিকে সংস্কারের কাজ চলছিল। ওই জায়গা দিয়ে লিফটে করে অভিযুক্তরা ঢুকেছে জাদুঘরে। এরপর ঢুকে পড়ে সোজাসুজি গয়না রাখার ঘরে। তারপর চলে দেদার লুটপাট।

    কী কী আছে জাদুঘরে

    এই জাদুঘর লুভ্যরে (Paris) রয়েছে মোনালিসার ছবি। প্রতিদিন ৩০ হাজার দর্শক আসেন। এখানে ৩৩ হাজারেরও বেশি নিদর্শন রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে প্রাচীন জিনিসপত্র, ভাস্কর্য এবং চিত্রকর্ম। প্রধান আকর্ষণ হল মোনালিসার ছবি, যা বিশ্বের সর্বাধিক পরিচিত শিল্পকর্ম। সেই সঙ্গে রয়েছে ভেনাস ডি মিলো এবং সামোথ্রেসের উইংড ভিক্টরি। প্রায় ৩ লাখ ৮০ হাজার দ্রষ্টব্য রয়েছে জাদুঘরের সংগ্রহে। ৩৫ হাজার জিনিস রয়েছে প্রদর্শনীতে। প্রতি বছর ৮০ থেকে ৯০ লাখ মানুষ এই জাদুঘর পরিদর্শনের (Napoleon-era jewels) জন্য যান। আগেও এখান থেকে বহু মূল্যবান জিনিস চুরি গিয়েছে। ১৯১১ সালেই এখান থেকে চুরি গিয়েছিল মোনালিসার ছবি। যদিও সেই ছবি চুরি করেছিলেন জাদুঘরের কর্মীরাই। দু’বছর পরে অবশ্য উদ্ধার হয়েছিল সেই ছবি।

  • Bangladesh: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ কালী পুজো! বিক্ষোভ ছাত্রদের

    Bangladesh: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ কালী পুজো! বিক্ষোভ ছাত্রদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজধানী ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ করা হল কালী পুজো। এই বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকার অন্যতম প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়। উল্লেখ্য, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জমিটি একজন হিন্দু জমিদার দান করেছিলেন। হিন্দু সমাজের মানুষের দেওয়া জমির ওপর বিশ্ববিদ্যালয়, অথচ এখানেই আজ সনাতন ধর্মের কালী পুজোকে (Kali Puja) নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন হিন্দু ছাত্র, শিক্ষক এবং কর্মচারীরা। বাংলাদেশে ইউনূসের রাজত্বে হিন্দু ধর্মের মানুষরা যে কতটা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন, তার আরও একটি বাস্তব চিত্র এই ঘটনা।

    উদ্দেশ্যপূর্ণ ভাবে বন্ধ পুজো (Bangladesh)

    জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যলয়ে (Bangladesh) কালী পুজো বন্ধের নির্দেশের স্বপক্ষে সাফাই গেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের তরফে এক ব্যক্তি বলেন, “কালী পুজো (Kali Puja) উত্তর ভারতের সংস্কৃতির অংশ।” কিন্তু এই মন্তব্য ঐতিহাসিক ভাবে বাঙালি সংস্কৃতির পরিপন্থী। এটি সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক চক্রান্ত। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বঙ্গে কালীপুজো হয়ে আসছে। তারা, কালিকা, দুর্গা, উমা, ভগবতী বাঙালির শক্তিরূপা দেবী শক্তির প্রতীক। বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গি ভাবে জড়িয়ে রয়েছে এই পুজো। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু ছাত্র এবং অধ্যাপকদের মত খুব স্পষ্ট। হিন্দু সমাজকে নিপীড়ন করতে প্রশাসন পুজো বন্ধ করেছে। ঢাকার বুকেই যদি পুজো বন্ধ হয়, তাহলে দেশজুড়ে কী হবে? সেই প্রশ্নই এখন ঘোরাফেরা করছে বাংলাদেশজুড়ে।

    সামাজিক মাধ্যমেও আন্দোলন

    জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রাক্তন ছাত্র ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, “এটা হৃদয়বিদারক ঘটনা। হিন্দু দানশীল ব্যক্তিরা যে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি দিয়ে গিয়েছেন, এখন বর্তমান প্রশাসনের কর্তৃপক্ষের লোকেরা কালীপুজো বন্ধ করেছেন। এটা কোন ধরনের ধর্ম নিরপেক্ষতা? এই বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি কেন্দ্রীয় উপাসনালয়ের আবেদন জানিয়ে একটি মন্দির স্থাপনের আবেদন জানানো হয়েছিল। তাতেও সম্মতি মেলেনি। ফলে বাংলাদেশে সার্বিকভাবে বৈচিত্র্যময় কাঠামোকে ভেঙে ফেলতেই এই সিদ্ধান্ত। ইতিমধ্যে ছাত্রছাত্রীরা হ্যাসট্যাগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কালী পুজোর (Kali Puja) মতো অভিযান শুরু করেছে আন্দোলনকারীরা। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট থেকে হাসিনাকে বিতাড়িত করার পর থেকেই হিন্দু সমাজের ওপর অত্যাচার ক্রমেই বেড়ে চলেছে। সব জেনেশুনেও ইউনূস প্রশাসন (Bangladesh) চুপ!

  • JITO: ২১ কোটি ছাড়ে ১৮৬টি বিলাসবহুল গাড়ি কিনল জৈন গ্রুপ

    JITO: ২১ কোটি ছাড়ে ১৮৬টি বিলাসবহুল গাড়ি কিনল জৈন গ্রুপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জৈন গ্রুপ ২১ কোটি ছাড়ে ১৮৬টি বিলাসবহুল গাড়ি কিনেছে। এই বিলাসবহুল গাড়িগুলির আনুমানিক দামছিল ৬০ লাখ থেকে ১.৩ কোটির মধ্যে। জৈন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (JITO)-এর একটি উদ্যোগের অধীনে একাধিক চুক্তিও সম্পন্ন হয়েছে। এই গ্রুপের সারা ভারত জুড়ে মোট ৬৫,০০০জন সদস্য রয়েছেন। দীপাবলি উৎসবে এই গাড়ি ক্রয়-বিক্রয়ের বাজারে এই খবর বিনিয়োগকারীদের জন্য অত্যন্ত সুখবর। সাধারণত উৎসবের মরশুমে গাড়ির বাজারে (Car Business) বিরাট বিনিয়োগের প্রবণতা দেখা যায়। সেই দিক থেকে এই খবর অত্যন্ত আশাব্যাঞ্জক।

    ১৮৬টি উচ্চমানের বিলাসবহুল গাড়ি কিনেছে (JITO)

    ব্যবসা এবং বিনিয়োগে ঐতিহ্যগত ভাবেই বিশেষভাবে পরিচিত জৈন গ্রুপ। এবার দীপাবলির আগে ২১ কোটি টাকার বিশাল ছাড় পেয়েছে এই গ্রুপ। আর তাই বিএমডব্লিউ, অডি এবং মার্সিডিজের মতো ১৮৬টি উচ্চমানের বিলাসবহুল গাড়ি কিনেছে। এভাবে গাড়ি কেনার জন্য গ্রুপের ক্রয় ক্ষমতা একটি অসাধারণ চমকপ্রদ বিষয়। জৈন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থা (JITO)-র একটি বিশেষ উদ্যোগের আওতায় এই চুক্তিগুলি করা হয়েছে। আগামীদিনে এই চুক্তির ফলে সরকার এবং বাণিজ্যিক সংস্থা গাড়ির বাজারে (Car Business) বিরাট বিনিয়োগের সম্ভাবনার দিক উন্মোচন করেছে।

    ৮ থেকে ১৭ লাখ টাকা সাশ্রয়

    জৈন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থা (JITO)-র সহ-সভাপতি হিমাংশু শাহ এই বিলাসবহুল ব্র্যান্ডগুলির সঙ্গে চুক্তিকে বিশেষ ধরনের চুক্তিপত্রের উল্লেখ করেছেন। এই সংস্থার পক্ষ থেকে বিএমডবলু (BMW) এবং মারসডিস ব্রেঞ্জ (Mercedes)-এর মতো শীর্ষ ব্র্যান্ডের ১৫ জন ডিলারের সঙ্গে সহযোগিতা করবেন বলে মত প্রকাশ করেছেন। তবে দামের বিষয়ে গ্রাহকদের মার্কেটে সুবিধা দিতে আলোচনাও হয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে শাহ বলেন, “বেশিরভাগ বিলাসবহুল গাড়ি গুজরাটের জৈনরা কিনেছিলেন। এই গাড়িগুলির দাম ৬০ লক্ষ থেকে ১.৩ কোটি টাকার মধ্যে ছিল। জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে গাড়িগুলি ক্রেতাদের হস্তান্তর করা হয়েছে। আমাদের সদস্যদের ২১ কোটি টাকা সাশ্রয় করতে সাহায্য করেছে। সব মিলিয়ে ১৮৬টি গাড়ি কেনা হয়েছিল এবং ২১ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। এটি আবার পরিবারের একজন সদস্যের কাছে আর একটি করে গাড়ি কেনার (Car Business) জন্য যথেষ্ট সহজলভ্য হতে পারে।”

  • Raju Bista: খগেন-শঙ্কর-মনোজের পর এবার দুষ্কৃতী হামলার শিকার রাজু বিস্ত

    Raju Bista: খগেন-শঙ্কর-মনোজের পর এবার দুষ্কৃতী হামলার শিকার রাজু বিস্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার উত্তরবঙ্গে বন্যা কবলিত মানুষকে ত্রাণ বিলি করে ফেরার পথে এবার দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ বিজেপির রাজু বিস্ত (Raju Bista)। বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে ফেরার সময় এই বিজেপি নেতার গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা করা হয়। এই ঘটনায় দার্জিলিং (Darjeeling) জেলার সুখিয়া পোখরির কাছে মাসধুরায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। উল্লেখ্য, আগে উত্তরবঙ্গে নিপীড়িত মানুষকে ত্রাণ দিতে দিয়ে তৃণমূল দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে গুরুতর জখম হন সাংসদ বিজেপির খগেন মুর্মু, বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ এবং বিধায়ক মনোজ ওঁরাও। এই তালিকায়ই এবার জুড়ে গেল রাজুর নামও।

    পাহাড়ে শান্তি বিঘ্নিত করছে দুষ্কৃতীরা

    এক্স হ্যান্ডেলে রাজু যে অভিযোগ করেছেন, তার তির তৃণমূলের দিকেই। তিনি বলেন, “উত্তরবঙ্গের পাহাড়ে শান্তি বিঘ্নিত করছে দুষ্কৃতীরা। সুখিয়া পোখরির কাছে মাসধুরায় আমার গাড়িতে হামলা করেছে। আমার গাড়ির পিছনে আঘাত করা হয়েছে। এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, পরিকল্পনা করে আমার ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। তবে যে বা যারা এই কাণ্ড করেছে, তারা যদি ভাবে বিজেপিকে এই সব করে দমিয়ে রাখা যাবে, তা হলে ভুল হবে। দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) উন্নয়ন এবং শান্তি শৃঙ্খলাকে চক্রান্ত করেই ভোটের আগে উত্তপ্ত করেছে তৃণমূল।”

    বড় পাথর দিয়ে আঘাত করা হয়

    সাংসদের (Darjeeling) সঙ্গে থাকা বিজেপি কর্মীদেরও আঘাত করা হয়। রাজুর (Raju Bista) সহযোগী সঞ্জীব লামার গাড়িতেও বড় পাথর ছোড়া হয়। বিজেপির দাবি, অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা আচমকা আক্রমণ করে। তবে এই হামলার ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। সঠিক তদন্ত এবং অপরাধীদের চিহ্নিত করতে জোড়বাংলো থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যে সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। সাংসদ বলেন, “উত্তরবঙ্গের ঘরে ঘরে বিজেপি পৌঁছে গিয়েছে। মানুষকে সব রকম সুবিধা পৌঁছে দেওয়াই একমাত্র কাজ বিজেপির। তৃণমূলের আসল চরিত্র সকলেই বুঝে গিয়েছেন। বিরোধীদলের জনপ্রতিনিধিদের ওপর হামলার সঠিক প্রতিবাদ গ্রাম বাংলার মানুষ আরও কড়াভাবে দেবেন।”

  • Kali Puja 2025: ভূত চতুর্দশীতে খাওয়া ১৪ শাকে আটকে যায় বহু রোগ! কী কী জানেন?

    Kali Puja 2025: ভূত চতুর্দশীতে খাওয়া ১৪ শাকে আটকে যায় বহু রোগ! কী কী জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালী পুজোর (Kali Puja 2025) এক রাত আগে পালিত হয় ভূত চতুর্দশী (Bhoot Chaturdashi 2025) বা নরক চতুর্দশী। ভূত চতুর্দশী ঘিরে জড়িয়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি নিয়মকানুন। বাংলার ঘরে ঘরে ভূত চতুর্দশীর দুপুরে চোদ্দ রকমের শাক খেতে হয় এবং সন্ধ্যাবেলা জ্বালানো হয় চোদ্দটি প্রদীপ। মনে করা হয়, ঘোর অমাবস্যার রাতে বিদেহী আত্মারা নেমে আসেন মর্ত্যলোকে। এর ঠিক পরের দিনই চন্দ্রের তিথি নিয়ম মেনে হয় দীপান্বিতা কালীপুজো।

    কেন চোদ্দ শাক খাওয়ার রীতি? (Kali Puja 2025)

    বাঙালীদের ঘরে ঘরে ভূত চতুর্দশীতে (Bhoot Chaturdashi 2025) দুটি নিয়ম মূলত পালন করা হয়। অনেকে মনে করেন, চোদ্দ ভুবনের অধীশ্বরী দেবীর উদ্দেশে চোদ্দ শাক খাওয়া এবং চোদ্দটি প্রদীপ জ্বালানো হয়। এর সঙ্গে যুগ যুগ ধরে জড়িয়ে রয়েছে অনেক আচার-বিচার। যেমন, ধরুন খাওয়া-দাওয়ার আচার। সরস্বতী পুজোর পরদিন গোটা সেদ্ধ খাওয়ার প্রথা রয়েছে অধিকাংশ বাড়িতে। আবার কিছু ব্রত রয়েছে যেগুলিতে গৃহস্থ কত্রীরা শুধুমাত্র ময়দার তৈরি খাবার খান। প্রতিটি খাওয়া-দাওয়া আচার, পরিবার এবং স্বজনদের মঙ্গল কামনার উদ্দেশ্যেই পালিত হয়। জানেন কি আশ্বিন মাসের কৃষ্ণ পক্ষের চতুর্দশী তিথিতে অর্থাৎ কালীপুজোর (Kali Puja 2025) আগের দিন অনেক বাড়িতেই চোদ্দ শাক (Bhoot Chaturdashi 14 Saag) খাওয়ার রীতি রয়েছে? এখন প্রশ্ন হল, চোদ্দ শাক খাওয়ার এই আচারের পিছনে কোন ধর্মীয় বিশ্বাস কাজ করছে?

    পূর্ব পুরুষদের আগমন ঘটে মর্ত্যলোকে!

    কথিত আছে, মৃত্যুর পরে মানুষ পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে যায়। এরপর এই বিশেষ দিনেই নাকি পূর্ব পুরুষদের আগমন ঘটে মর্ত্যলোকে। হিন্দুশাস্ত্র মতে, আকাশ, জল, বায়ু, অগ্নি, মাটি-প্রকৃতির এই পাঁচ উপাদানের মধ্যেই ছড়িয়ে রয়েছেন আমাদের পিতৃপুরুষেরা। বিশ্বাস মতে, চোদ্দ শাক খাওয়ার রীতি পালনের মধ্যে দিয়েই তাঁদের ছুঁয়ে থাকা যায়। অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটাতে প্রকৃতি থেকে সংগ্রহ করা চোদ্দ রকম শাক জলে ধুয়ে, সেই জল বাড়ির চারিদিকে ছিটিয়ে দেওয়া হয়। পূর্বের সাত পুরুষকে উৎসর্গ করে পরবর্তী সাতপুরুষের জন্য খাওয়া হয় শাক। তাই মোট চোদ্দ রকমের শাক খাওয়ার রীতি প্রচলিত রয়েছে।

    কী কী শাক খাওয়া হয়?

    চোদ্দ রকমের শাকগুলি (14 Saag) হল— জয়ন্তী, শাঞ্চে, হিলঞ্চ, ওল, পুঁই, বেতো, সর্ষে, কালকাসুন্দে, নিম, পলতা, শুলকা, গুলঞ্চ, ভাঁটপাতা ও শুষণী। এই প্রচলিত রীতিগুলির পিছনে বিজ্ঞানসম্মত কারণ রয়েছে বলে অনেকের ধারণা (Kali Puja 2025)। এদেশের সমস্ত আচার এবং অনুষ্ঠান বিজ্ঞানসম্মত এবং প্রকৃতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হয়। শরৎকালের শেষ এবং হেমন্তকালের শুরুতে অনেক রকমের রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। ভেষজ গুণে সমৃদ্ধ শাক দেয় বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা।

    কোন কোন শাকে কী কী রোগ সারে?

    এবার এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, এই চোদ্দ রকমের শাকগুলির (14 Saag) কী কী গুণ রয়েছে। জয়ন্তী-উদরাময়, জ্বর, বহুমূত্র নিয়ন্ত্রণ করে। শাঞ্চে-রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। হিংচে- পিত্তনাশক। ওল-অর্শ, রক্ত আমাশা, বাত, চর্মরোগ কমায়। পুঁই-হজমে সহায়ক। বেতো-কৃমিনাশক। সর্ষে-যকৃৎ, চোখ যত্নে রাখে। কালকাসুন্দে-অর্শ, কাশি দূর করে। নিম-যে কোনও চর্মরোগ নাশ করে। পলতা-শ্বাসযন্ত্র ভালো রাখে। শুলকা-হৃদযন্ত্র ভালো রাখে। গুলঞ্চ-উচ্চ রক্তচাপ, যকৃৎ যত্নে রাখে। ভাঁটপাতা-ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক। শুষণী-স্মৃতিবর্ধক (Kali Puja 2025)।

  • Kali Puja 2025: ভূত চতুর্দশীর সন্ধ্যায় জ্বালানো হয় ১৪ প্রদীপ, কোথায় রাখতে হয়?

    Kali Puja 2025: ভূত চতুর্দশীর সন্ধ্যায় জ্বালানো হয় ১৪ প্রদীপ, কোথায় রাখতে হয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালী পুজোর (Kali Puja 2025) এক রাত আগে পালিত হয় ভূত চতুর্দশী (Bhoot Chaturdashi 2025) বা নরক চতুর্দশী (Naraka Chaturdashi)। বাংলার ঘরে ঘরে ভূত চতুর্দশীর দিনে ১৪ শাক খাওয়ার ও ১৪ প্রদীপ জ্বালানোর রীতি রয়েছে।

    দুপুরে ১৪ শাক, সাঁঝে ১৪ বাতি

    ভূত চতুর্দশীর দিনে যে ১৪টি শাক (14 Saag) খাওয়া হয়, সেগুলি হল— জয়ন্তী, শাঞ্চে, হিলঞ্চ, ওল, পুঁই, বেতো, সর্ষে, কালকাসুন্দে, নিম, পলতা, শুলকা, গুলঞ্চ, ভাঁটপাতা ও শুষণী। এই শাক খেয়ে এবং সন্ধেবেলা ১৪ প্রদীপ (14 Diya) জ্বালিয়ে দুরাত্মা ও অন্ধকার দূর করার রীতি প্রচলিত আছে। শাস্ত্রমতে, মৃত্যুর পর মানুষের শরীর পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে যায়। অর্থাৎ মাটি, জল, হাওয়া, অগ্নি ও আকাশ। তাই মাটি থেকে তুলে আনা শাক খেলে অতৃপ্ত আত্মারা শান্তি পায়। যে জল দিয়ে ১৪ শাক (Bhoot Chaturdashi 14 Saag) ধোয়া হয়, সেই জল আবার অনেকে বাড়িতেও ছেটান। মনে করা হয়, এর ফলে অশুভ শক্তি দূর হয় ও বাধা-বিঘ্ন কেটে যায়।

    ১৪ ভুবনের জন্য ১৪ প্রদীপ! (Kali Puja 2025)

    দুপুরে ১৪ শাক খাওয়ার পর সন্ধেবেলা জ্বালানো হয় ১৪ প্রদীপ । পুরাণে ১৪টি ভুবনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে যার সাতটি স্বর্গ ও সাতটি পাতাল। ভূঃ, ভুবঃ, স্বঃ, জনঃ, মহঃ, তপঃ ও সত্য হল স্বর্গ। অন্যদিকে মাটির নীচে রয়েছে অতল, বিতল, সুতল, তলাতল, মহাতল, রসাতল এবং পাতাল এই ১৪ লোকের বাসিন্দাদের সম্মান জানাতে এদিন ১৪ প্রদীপ জ্বালানো হয়। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে, ভূত চতুর্দশীর দিনে কিছু সময়ের জন্য স্বর্গ ও নরকের দরজা খুলে যায়, তখন আত্মারা মর্ত্যে নেমে আসে। ভূত-প্রেত নিয়ে এদিন রাজা বলিও মর্ত্যে আসেন বলে মনে করা হয়। এই দিনে অশুভ শক্তির প্রকোপ বৃদ্ধি পায় বলে একটা বিশ্বাস প্রচলিত আছে। এই অশুভ শক্তিকে নিজের বাড়ি থেকে দূরে রাখতেই ১৪ প্রদীপ জ্বালানো হয়ে থাকে।

    ১৪ পুরুষের উদ্দেশ্যে…

    আবার অন্য বিশ্বাস অনুযায়ী, ১৪ পুরুষের (Kali Puja 2025) উদ্দেশ্যে এই ১৪ প্রদীপ জ্বালানো হয়। এই ১৪ পুরুষ হলেন, পিতা, পিতামহ, প্রপিতামহ, মাতা, পিতামহী, প্রপিতামহী, মাতামহ, প্রমাতামহ, বৃদ্ধপ্রমাতামহ, মাতামহী, প্রমাতামহী ও বৃদ্ধপ্রমাতামহী। এ ছাড়াও শ্বশুর-শাশুড়ি। অশুভ আত্মাদের হাত থেকে বাঁচতে ভূত চতুর্দশীর দিনে যে মন্ত্র জপ করা হয়, তা হল ‘শীতলঞ্চ সমাযুক্ত সকণ্টক দলান্বিত। হরপাপ সপামার্গে ভ্রাম্যমাণঃ পুনঃ পুনঃ’। এই মন্ত্র পাঠের ফলে অশুভ আত্মার ভয় কেটে যায়।

    হিন্দুমতে মনে করা হয়, ভূত চতুর্দশীর (Bhoot Chaturdashi 2025) রাতে শিবভক্ত রাজা বলি ও তাঁর অনুচরেরা মর্ত্যে পুজো নিতে আসেন। চতুর্দশী তিথির ভরা অমাবস্যার অন্ধকারে রাজা বলির অনুচরেরা যাতে পথ ভুলে বাড়িতে ঢুকে না-পড়েন, তাই এই প্রদীপ জ্বালানোর রীতি প্রচলিত আছে। আবার অন্য একটি প্রথা অনুযায়ী, পিতৃপক্ষের সময় পিতৃপুরুষদের মর্ত্যে আগমন হয়। এই চতুর্দশী তিথিতেই তাঁরা ফিরে যান। সে সময় অন্ধকারে পথ দেখানোর জন্য ১৪ প্রদীপ (Bhoot Chaturdashi 14 Diya) জ্বালানো হয়।

    কোথায় কোথায় জ্বালবেন ১৪ প্রদীপ?

    এই সময়ে বাড়ির ঠাকুরঘরে প্রদীপ দেওয়াটা সর্বাধিক প্রয়োজন। বাড়িতে তুলসীমঞ্চ থাকলে, সেখানেও একটি প্রদীপ দিতে হবে। বাড়ির সদর দরজায় দুপাশে দুটি প্রদীপ দিতে হবে। তাতে একটি করে লবঙ্গ রাখতে পারেন। বাড়ির যেখানে জলের ব্যবস্থা রয়েছে বা কলতলায় একটি প্রদীপ দিতে হবে। বাড়ির দক্ষিণ দিকে একটি প্রদীপ জ্বালাতে হবে (Kali Puja 2025)। বাড়িতে মাটির উনুন থাকলে, সেই উনুনে একটি প্রদীপ দিন। প্রতিটি প্রদীপই ১৪ পুরুষের প্রতীক।

  • Kali Puja 2025: ভূত চতুর্দশীতে সত্যিই কি মর্ত্যলোকে নেমে আসেন বিদেহী আত্মারা!

    Kali Puja 2025: ভূত চতুর্দশীতে সত্যিই কি মর্ত্যলোকে নেমে আসেন বিদেহী আত্মারা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালিত হয় ভূত চতুর্দশী (Bhoot Chaturdashi 2025)। এই তিথিকে আবার অনেকে নরক চতুর্দশী (Naraka Chaturdashi) বলেও জানেন। কালী পুজোর (Kali Puja 2025) একদিন আগে ও ধনতেরসের একদিন পর ভূত চতুর্দশী পালিত হয়। এই তিথিটি ছোট দীপাবলি (Deepawali 2025), রূপ চতুর্দশী বা নরকা পুজো নামেও পরিচিত। এদিন মৃত্যুর দেবতা যম ও কৃষ্ণের পুজো করা হয়। অকাল মৃত্যু থেকে বাঁচতে নরক চতুর্দশীতে পুজো করা হয়। অনেকে এই দিনটিকে পশ্চিমী হ্যালোউইনের ভারতীয় সংস্করণ (Indian Halloween) হিসেবেও দেখেন। পুরাণ মতে, ভূত চতুর্দশীর রাতে শিবভক্ত বলি মর্ত্যে আসেন পুজো নিতে, সঙ্গে আসেন তাঁর অনুচর ভূতেরা। চতুর্দশী তিথির ভরা অমাবস্যায় (Kali Puja 2025) চারিদিক ঘুটঘুটে অন্ধকার থাকে। সেই ঘন অন্ধকারে যাতে বলি রাজার অনুচরেরা বাড়িতে ঢুকে না পড়েন, তার ব্যবস্থাই করা হত প্রাচীন কালে। ভূত চতুর্দশীর সঙ্গে জড়িত পৌরাণিক বিশ্বাস অনুযায়ী, ঘোর অমাবস্যার রাতে বিদেহী আত্মারা নেমে আসেন মর্ত্যলোকে। এর ঠিক পরের দিনই চন্দ্রের তিথির নিয়ম মেনে হয় দীপান্বিতা কালীপুজো।

    কৃষ্ণ-সত্যভামার হাতে নরকাসুর-বধ কাহিনী

    ভূত চতুর্দশী বা নরক চতুর্দশীতে মুক্তিলাভের আশায় পুজো (Kali Puja 2025) করা হয়। এদিন সূর্যোদয়ের আগে উঠে স্নান করার প্রথা রয়েছে। মনে করা হয় এর প্রভাবে যমলোকের দর্শন করতে হয় না। বিষ্ণু পুরাণ ও শ্রীমদ্ভাগবত পুরাণ অনুযায়ী, নরকাসুর নামক এক অসুর নিজের শক্তির দ্বারা দেবতা ও মনুষ্যদের অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। ১৬ হাজার স্ত্রী এবং সাধুকে বন্দি বানিয়ে রেখেছিল নরকাসুর (Narakasura)। এরপর মুনি-ঋষিরা কৃষ্ণের দ্বারস্থ হন। নরকাসুরের হাত থেকে রক্ষা করার দায়িত্ব নেন কৃষ্ণ। কিন্তু শুধু স্ত্রীর হাতে মৃত্যুর অভিশাপ পেয়েছিল নরকাসুর। এই কারণে কৃষ্ণ নিজের স্ত্রী সত্যভামাকে সারথী করেন এবং তাঁর সাহায্যে নরকাসুরকে বধ করেন। যেদিন নরকাসুর বধ হয়েছিল, সেই দিনটি ছিল কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথি (Kali Puja 2025)। তাই তিথিকে নরক চতুর্দশী বলা হয়।

    এদিন বেরিয়ে আসে অশরীরী প্রেতাত্মারা!

    আবার এই তিথিটিকে ভূত চতুর্দশী (Bhoot Chaturdashi 2025) বলার পিছনের আরেক ব্যখ্যা হল, মনে করা হয়, এই তিথিতে সন্ধ্যা নামলেই অশরীরী প্রেতাত্মারা বেরিয়ে আসে। তাদের হাত থেকে মুক্তি পেতে এই তিথিতে গৃহস্থ বাড়িতে ১৪টি প্রদীপ জ্বালানো হয়। আবার আর একটি প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, এই তিথিতে চোদ্দ পুরুষের আত্মার আসা-যাওয়া থাকে। মনে করা হয় তাঁদের যাতায়াতের পথ আলোকিত রাখার জন্যই প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করার প্রথা রয়েছে।

    হ্যালোউইন শব্দের অর্থ কী?

    আমাদের দেশে যেমন কালীপুজোর (Kali Puja 2025) আগের রাতে পালিত হয় ভূত চতুর্দশী, পশ্চিমী দুনিয়ায় তেমনই সবাই মেতে ওঠেন হ্যালোউইন ঘিরে। প্রতি বছর ৩১ অক্টোবর মৃত আত্মাদের স্মরণ করতে হ্যালোউইন পালিত হয়। আমাদের দেশেও গত কয়েক বছর ধরে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে হ্যালোউইন। স্কটিশ শব্দ ‘অল হ্যালোজ ইভ’ থেকে হ্যালোইন বা হ্যালোউইন শব্দটি এসেছে। এই শব্দের উৎপত্তি মোটামুটি ১৭৪৫ সালে। হ্যালোউইন শব্দের অর্থ পবিত্র সন্ধ্যা। হ্যালোউইনের কথা বলতেই আমাদের চোখে ভেসে ওঠে কুমড়ো এবং ভুতুড়ে সাজগোজ। হ্যালোউইনে কুমড়ো কেটে সেখানে নাক, চোখ, মুখ বানিয়ে ভৌতিক চেহারা তৈরি করার প্রথা প্রচলিত রয়েছে। তার পরে এর ভিতরে মোমবাতি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। অন্ধকার রাতে কুমড়োর ভেতরে মোমবাতি জ্বলায় তা আরও ভৌতিক দেখতে লাগে। ভৌতিক কস্টিউম পরে অনেকেই এদিন অন্যকে ভয় দেখিয়ে মজা করে।

LinkedIn
Share