Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • Baloch Rebellion: গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি পাকিস্তানে, বালোচ বিদ্রোহীদের দখলে আস্ত শহর, পণ বন্দি একাধিক পাক সেনা

    Baloch Rebellion: গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি পাকিস্তানে, বালোচ বিদ্রোহীদের দখলে আস্ত শহর, পণ বন্দি একাধিক পাক সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই দেশের যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভারতের প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় কাঁপছে পাকিস্তান। এই আবহে সেদেশে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে। জাফর এক্সপ্রেসে হামলার দু’মাসও পার হয়নি। এমনই সময় ফের হামলা চালাল বালোচ বিদ্রোহীরা (Baloch Rebellion)। বিদ্রোহীরা বালুচিস্তান প্রদেশের পুরো একটি শহরই দখল করে নিয়েছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, বালুচিস্তানের কালাত জেলার মঙ্গোচের শহরে হামলা চালায় বালোচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)। এই শহরের একাধিক সরকারি অফিসে আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে খবর মিলেছে। শুধু তাই নয়, পণবন্দি করা হয়েছে পাক সেনার সদস্যদের। একাধিক রিপোর্টে দাকি করা হয়েছে, সেনার অস্ত্রও লুট করে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। বিদ্রোহীদের তাণ্ডবে কয়েক ঘণ্টা দখলে চলে যায় কোয়েটা-করাচি হাইওয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ সড়ক।

    শুক্রবার সন্ধ্যাতেই হামলা (Baloch Rebellion)

    কোয়েটা থেকে প্রায় ১০০ কিমি দূরে অবস্থিত হল মঙ্গোচের শহর (Mangocher city)। শুক্রবার সন্ধ্যাতেই সেখানে হামলা চালায় বালোচ লিবারেশন আর্মি। প্রথমেই তারা হাইওয়ে অবরোধ করে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয় বলে জানা গিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, একদল বিদ্রোহী(Baloch Rebellion) রাস্তার গাড়ি পরীক্ষা করতে শুরু করে। অন্য আরেকটি দল মঙ্গোচের বাজারে ঢুকে পড়ে সরকারি কার্যালয়গুলিতে আগুন ধরিয়ে বলে অভিযোগ।

    প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়া লাঙ্গোভের চারজন নিরাপত্তা রক্ষীকে হত্যা করেছে বিদ্রোহীরা

    জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই বালুচিস্তানের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়া লাঙ্গোভের চারজন নিরাপত্তা রক্ষীকে হত্যা করেছে বিদ্রোহীরা। বালোচ লিবারেশন আর্মির দাবি, পাকিস্তানি সেনা ও গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের মধ্যে সংযোগের কাজ করছিলেন জিয়া। এদিন বিদ্রোহীরা (Baloch Rebellion) আব্দুল কুদ্দুসকেও গ্রেফতার করে (Mangocher city)। তাঁর বিরুদ্ধে পাক সেনার হয়ে নানা বিষয়ে আলোচনা চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।প্রসঙ্গত, গত ২৮ এপ্রিলই মহম্মদ নওয়াজ নামের এক আইএসআইয়ের এক এজেন্টকে হত্যা করে বিদ্রোহীরা। পরিচয় লুকিয়ে ওই গুপ্তচর মিশেছিল বিদ্রোহীদের সঙ্গেই। এরপর থেকেই নতুন করেবালোচ লিবারেশন আর্মির সঙ্গে সংঘাতে জড়ায় ইসলামাবাদ।

  • Pak Troops: টানা দশ রাত সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন পাকিস্তানের, শনিবার রাতেও চলল গুলি, পাল্টা জবাব ভারতের

    Pak Troops: টানা দশ রাত সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন পাকিস্তানের, শনিবার রাতেও চলল গুলি, পাল্টা জবাব ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওকাণ্ডের আবহে জম্মু ও কাশ্মীরে ভারত-পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। শনিবার রাতেও নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের (Pak Troops) বিরুদ্ধে। জানা যাচ্ছে, এই নিয়ে টানা দশ রাত সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করল পাকিস্তান। এভাবেই গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল পাক সেনার বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, শনিবারই রাজস্থানে বিএসএফের হাতে আটক হয়েছেন পাক রেঞ্জার্সের এক জওয়ান। ওই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরেই জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) পাঁচটি জেলার মোট আটটি অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণরেখার গুলি চালিয়েছে পাক সেনা। মনে করা হচ্ছে, গত ১০ দিনে এটিই সবচেয়ে বড় মাপের সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন।

    কোন কোন  জায়গায় চলল গুলি?

    জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারা, বারামুলা, পুঞ্চ, রাজৌরি, মেন্ধর, নওশেরা, সুন্দরবনি এবং আখনুর অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণরেখায় বিনা প্ররোচনায় গুলিবর্ষণ করেছে পাকিস্তানের সেনা (Pak Troops)। তবে প্রতিক্ষেত্রেই পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনাও। রবিবার সকালেই ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছে, পাক সেনার গুলি চালানোর পরে পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি পুনর্নবীকরণের পর থেকে এই ধরনের ঘটনা কমে গেলেও পহেলগাঁওকাণ্ডের পরে উত্তেজনা ফের বৃদ্ধি পেয়েছে।

    পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় বদলে গিয়েছে পরিস্থিতি (Pak Troops)

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিদের (Pak Troops) হত্যালীলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। এই নিহতদের মধ্যে ২৫ জনই ছিলেন হিন্দু পর্যটক। তাঁদের ধর্ম বেছে বেছে হত্য়া করা হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় পাকিস্তানি যোগও সামনে আসে। ভারতের তরফে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল করা হয়। এরপরে, গত ২৪ এপ্রিল থেকে প্রতি রাতেই বিনা প্ররোচনায় কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা (Jammu And Kashmir) বরাবর সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠে আসছে পাকিস্তানি সেনার বিরুদ্ধে।

  • Pakistan Ranger: সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ, রাজস্থানে আটক পাকিস্তানি সেনা

    Pakistan Ranger: সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ, রাজস্থানে আটক পাকিস্তানি সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজস্থানে ভারতীয় জওয়ানদের হাতে আটক একজন পাকিস্তানি রেঞ্জার (Pakistan Ranger)। আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করার জন্যই ওই পাক রেঞ্জারকে আটক করেছে বিএসএফ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমানে পাক বাহনীর হাতে আটক রয়েছেন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিএসএফের ২৪ নম্বর ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল পূর্ণম। গত ২৩ এপ্রিল অসাবধানতাবশত আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরতেই তাঁকে আটক করে পাক রেঞ্জাররা। এক সপ্তাহের বেশি হয়ে গেলেও পূর্ণমকে এখনও ছাড়েনি পাক বাহিনী। এবার পূর্ণমের পাল্টা হিসেবেই বিএসএফ আটক করল এক পাক রেঞ্জারকে (Pakistan Ranger)।

    ফোর্ট আব্বাস এলাকা থেকে গ্রেফতার (Pakistan Ranger)

    জানা গিয়েছে, রাজস্থানের সীমান্তবর্তী এলাকা ফোর্ট আব্বাস থেকে ওই পাকিস্তান রেঞ্জার্সের জওয়ানকে ধরা হয়েছে। বিএসফের অভিযোগ, এ দিন ইচ্ছা করেই ভারতীয় সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন ওই পাক রেঞ্জার্স জওয়ান। ওই পাক জওয়ানের কোনও কুমতলব ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এমন খবর প্রকাশ্যে আসতেই দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে ফ্ল্যাগ মিটিং হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।

    সীমান্তে উত্তেজনা

    সেনা বা সাধারণ নাগরিকরা অনেক সময়ই অসাবধানতায় সীমান্ত অতিক্রম করে ফেলেন। এই ঘটনাগুলি সাধারণত আলোচনা করেই মেটানো হয়। জড়িত ব্যক্তিদের সাধারণত আনুষ্ঠানিক বৈঠকের পরে ফেরত পাঠানো হয়। কিন্তু পহেলগাঁও হামলার পরে উত্তেজনা চলছে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে। যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সীমান্তে (Pakistan Ranger)।

    গত সোমবারই পাঠানকোটে যান পূর্ণমের স্ত্রী

    প্রসঙ্গত, কনস্টেবল পূর্ণমের স্ত্রী রজনী গত সোমবারই পশ্চিমবঙ্গের রিষরার তাঁর বাড়ি থেকে পাঠানকোটে গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। পূর্ণমের বিষয়ে খোঁজখবর করতেই গিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। জানা গিয়েছে, বিএসএফ অফিসাররা তাঁকে আশ্বস্ত করেন যে, পূর্ণমের নিরাপদ মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য ভারতীয় সেনা যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। সেনার তরফ থেকে এমন আশ্বাসের পরই, পূর্ণমের স্ত্রী অমৃতসর থেকে কলকাতায় ফিরে আসেন বলে জানা গিয়েছে। বিএসএফ-ই (BSF) তাঁর ফিরোজপুর থেকে অমৃতসর যাওয়ার ব্যবস্থা করে।

  • Shirdi Sai Temple: পহেলগাঁওকাণ্ডের আবহে ইমেলে শিরডি সাই বাবা মন্দির উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি

    Shirdi Sai Temple: পহেলগাঁওকাণ্ডের আবহে ইমেলে শিরডি সাই বাবা মন্দির উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার (Shirdi Sai Temple) একমাসও হয়নি। এই আবহে এবার শিরডি সাই বাবা মন্দিরে (Bomb Threat) হামলার হুমকি। বোমা মেরে মন্দির উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে শুক্রবারই একটি ইমেল এসেছে বলে অভিযোগ। এরপরই মন্দিরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, শুক্রবারই একটি অজ্ঞাত পরিচয় ইমেল আইডি থেকে হুমকি ইমেল আসে। সেখানেই মন্দির বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। মন্দির কর্তৃপক্ষ ওই ইমেল পেতেই পুলিশকে খবর দেয়। এই ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ইমেলে লেখা রয়েছে, প্রথমে পহেলগাঁও এরপরের টার্গেট শিরডি।

    আগত ভক্তদের স্ক্রিনিং করা হচ্ছে (Shirdi Sai Temple)

    বোমা হামলার পর থেকেই মন্দিরে আগত ভক্তদের (Shirdi Sai Temple) স্ক্রিনিং করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। একইসঙ্গে সিসিটিভির ওপরেও নজরদারি রাখা হচ্ছে। যেকোনও সন্দেহভাজন গতিবিধির ওপরেও বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। বোমা হামলার (Bomb Threat) হুমকি চিঠি পাওয়ার পরে ইতিমধ্যেই পুলিশ খুবই সতর্ক হয়েছে। কে, কোথা থেকে হুমকি ইমেলটি পাঠিয়েছে, তার উৎস খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিশ।

    ইমেলে আর কী লেখা ছিল, সেটা অবশ্য় জানায়নি পুলিশ

    তবে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া ওই ইমেলে আর কী লেখা ছিল, সেটা অবশ্য সংবাদমাধ্যমকে জানায়নি পুলিশ। মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানা গিয়েছে, সাই বাবা মন্দিরের (Shirdi Sai Temple) নিরাপত্তা আধিকারিক হলেন বর্তমানে রোহিদাস মালি। তিনিই শিরডি থানায় বোমা হুমকির এই অভিযোগটি দায়ের করেছেন। এক্ষেত্রে বলা দরকার, এটাই প্রথমবার নয়, এর আগেও শিরডি সাই বাবা মন্দির উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি এসেছিল। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই  ভুয়ো হুমকি হিসেবেই তা প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার আবহে এই হুমকি ইমেলকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছে প্রশাসন। তাই মন্দিরের নিরাপত্তাও আঁটসাঁট করা হয়েছে।

  • Autism: আক্রান্তের মতো অভিভাবকদেরও প্রয়োজন থেরাপি! অটিজম মোকাবিলায় কী পরামর্শ বিশেষজ্ঞ মহলের? 

    Autism: আক্রান্তের মতো অভিভাবকদেরও প্রয়োজন থেরাপি! অটিজম মোকাবিলায় কী পরামর্শ বিশেষজ্ঞ মহলের? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    কেউ কথা বলতে চায় না। আবার কেউ ডাকলেও কোনও রকম সাড়া দেয় না। অনেক সময়েই শিশুর এমন আচরণ অবাক করে। অভিভাবকেরাও অনেক সময় এগুলো গুরুতর সমস্যা বলে বিবেচনা করেন না। আর তার জেরেই বাড়ছে বিপদ ! বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে একাধিক কর্মশালায় বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানালেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও অটিজম (Autism) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আচরণগত সমস্যা হয়ে উঠেছে। এ দেশের প্রায় ১৮ লাখ মানুষ অটিজমে আক্রান্ত। তবে তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, ঠিকমতো রোগ নির্ণয় না হলে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়বে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে অসচেতনতার জেরে সমস্যা নির্ণয় হয় না। এর ফলে সমস্যা আরও জটিল হয়ে ওঠে।

    আক্রান্তের মতোই কেন অভিভাবকদের থেরাপিও জরুরি? (Autism)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অটিজম একটি আচরণগত সমস্যা। জিনের এক ধরনের সমস্যার জেরেই অটিজম আক্রান্ত হয়। শিশু অটিজম আক্রান্ত হলে দু’বছর বয়স থেকেই নানান উপসর্গ দেখা দেয়। তবে, বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে সমস্যা নির্ণয় করতেই অনেক দেরি হয়ে যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, অটিজম নিয়ে সাধারণের মধ্যে সচেতনতা জরুরি। এই সমস্যার উপসর্গ সম্পর্কেও স্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার। শিশু অটিজম আক্রান্ত হলে, শিশুর পাশপাশি তার বাবা-মায়ের প্রয়োজনীয় থেরাপি জরুরি।

    পরিবারের ওয়াকিবহাল থাকা জরুরি

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অটিজম আক্রান্ত শিশু আর পাঁচজন সাধারণ ছেলেমেয়েদের মতো জীবন যাপন করতে পারবেন না। এই সম্পর্কে তার পরিবারের ওয়াকিবহাল থাকা জরুরি। অধিকাংশ সময়েই শিশু অটিজম (Autism) আক্রান্ত জানার পরে, বাবা-মায়ের মধ্যে মারাত্মক হতাশা গ্রাস করে। এর ফলে শিশুর বিকাশ আরও জটিল হয়ে ওঠে। তাই দরকার সার্পোট গ্রুপ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অটিজম আক্রান্তের বিকাশের মাপকাঠি আলাদা। কীভাবে অটিজম আক্রান্তকে জীবন যাপনের কৌশল শেখানো‌ যায়, কীভাবে তাকে নানান কাজ করার নির্দেশ দেওয়া যায়, তার কৌশল রপ্ত করা জরুরি। ঠিকমতো সহযোগিতা পেলে অটিজম আক্রান্ত মানুষ ভালোভাবেই জীবন যাপন করতে পারেন। আর শিশুকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করতে পারে, তার বাবা-মা। অটিজম আক্রান্ত সন্তানকে কীভাবে সাহায্য করা যায়, সে সম্পর্কে প্রশিক্ষিত হতেই অভিভাবকদের থেরাপি জরুরি বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক ক্ষেত্রে অটিজম আক্রান্ত পরিবারের থেকে ঠিকমতো সহযোগিতা না পাওয়ার জেরে, তার বিকাশ ঠিকমতো হচ্ছে না। এর ফলে তার পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। তাই অটিজম সমস্যা মোকাবিলায় শিশুর থেরাপির (Therapy) পাশপাশি জরুরি অভিভাবকদের কর্মশালাও।

    সন্তানের অটিজম রয়েছে কিনা কীভাবে বুঝবেন? (Autism)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কয়েকটি উপসর্গ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকলেই অটিজম নিয়ে সতর্ক থাকা যাবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশু অটিজমে আক্রান্ত হলে কথা বলবে না। সাধারণত শিশুর দু’বছর বয়সের পরেই কথা বলা শুরু হয়। পরিবারের সকলকে নানান নামে ডাকে। শিশুকে তার নাম ধরে ডাকলেও সাড়া দেয়। কিন্তু যদি শিশু কখনই কোনও সাড়া না দেয়, কিংবা নিজেও কোনও কথা বলার চেষ্টা না করে, তাহলে এটা গুরুতর সমস্যা বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। পাশপাশি অটিজমের অন্যতম লক্ষণ হল মেলামেশায় সমস্যা। তাঁরা জানাচ্ছেন, দু-তিন বছরের শিশু একে অপরের সঙ্গে মেশামেশা করতে আগ্রহী হয়। কিন্তু শিশু অটিজমে আক্রান্ত হলে সে কখনই অন্য শিশুদের সঙ্গে মেলামেশা করতে আগ্রহী হবে না।‌ সামাজিক যোগাযোগে অনীহা অটিজমের অন্যতম লক্ষণ বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।
    যে কোনও একটি বিষয়ে দৃষ্টি আটকে থাকা কিংবা সরাসরি চোখের দিকে তাকিয়ে কথা না বলা, অটিজমের (Autism) অন্যতম লক্ষণ বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। সাধারণ দুই থেকে পাঁচ বছরের শিশুরা কোনও বিষয়েই একটানা দীর্ঘ সময় দেখে না। কিন্তু শিশু অটিজমে আক্রান্ত হলে সে ঘরের ফ্যানের দিকে বা আলোর দিকে উদ্দেশ্যহীনভাবে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকবে। আবার আক্রান্ত শিশুর সঙ্গে কথা বলার সময় কখনই সে চোখের দিকে সরাসরি তাকাবে না। এই ধরনের উপসর্গ শিশুর মধ্যে দেখা দিচ্ছে কিনা, সে বিষয়ে নজরদারি জরুরি।
    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দুই থেকে পাঁচ বছর বয়সের মধ্যে এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে অভিভাবকদের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। নির্দিষ্ট কিছু স্নায়বিক এবং আচরণগত পরীক্ষার মাধ্যমে শিশু অটিজমে আক্রান্ত কিনা তা স্পষ্ট বোঝা যায়। সমস্যা চিহ্নিত হলে তবেই মোকাবিলা সহজ হবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Daily Horoscope 04 May 2025: স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 04 May 2025: স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) আজকের দিনটি অনুকূল নয়।

    ২) দৈনন্দিন কাজকর্মে মনোনিবেশ করতে হবে।

    ৩) স্বাস্থ্যের যত্ন নিন।

    বৃষ

    ১) আজকের দিনটি সাধারণ থাকবে।

    ২) ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক জীবনে হতাশার শিকার হবেন।

    ৩) ব্যবসায়ে নতুন পরিকল্পনা শুরুর আগে সতর্ক হন।

    মিথুন

    ১) আজকের দিনটি খুবই ভালো।

    ২) নিজের কাজে বড়সড় সাফল্য লাভ করবেন।

    ৩) কাজে ভালো প্রদর্শন করতে পারবেন, যার ফলে জীবনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।

    কর্কট

    ১) আজকের দিনটি খুবই ভালো।

    ২) কাজে সফল হবেন।

    ৩) নতুন প্রকল্পের দায়িত্ব পেতে পারেন।

    সিংহ

    ১) আজকের দিনটি কঠিন।

    ২) কাজ সতর্কভাবে করুন।

    ৩) একাধিক সমস্যায় জেরবার।

    কন্যা

    ১) আজকের দিনটি অনুকূল নয়।

    ২) কাজে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হবেন।

    ৩) সিদ্ধান্ত গ্রহণ কঠিন হয়ে পড়বে।

    তুলা

    ১) আজকের দিনটি খুবই ভালো।

    ২) স্বপ্নপূরণের সুযোগ পাবেন।

    ৩) কেরিয়ারে সুবর্ণ সুযোগ পাবেন।

    বৃশ্চিক

    ১) আজকের দিনটি অত্যন্ত শুভ।

    ২) সাধারণের চেয়ে অধিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে, তাই ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন।

    ৩) শত্রুদের থেকে সতর্ক থাকুন।

    ধনু

    ১) আজকের দিনটি বিশেষ অনুকূল নয়।

    ২) নতুন কিছু করার পরিবর্তে পুরনো কাজে মনোনিবেশ করুন।

    ৩) স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে।

    মকর

    ১) আজকের দিনটি অত্যন্ত শুভ।

    ২) অসম্পূর্ণ ইচ্ছা পূরণ হবে।

    ৩) কোনও প্রকল্পের কাজে অধিক ব্যস্ত হয়ে পড়বেন।

    কুম্ভ

    ১) আজকের দিনটি প্রতিকূল।

    ২) কাজে সংযত থাকতে হবে।

    ৩) চিন্তাভাবনা নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

    মীন

    ১) আজকের দিনটি ভালো।

    ২) কাজে সাফল্য অর্জন করবেন।

    ৩) জীবনের সমস্ত চ্যালেঞ্জ ভালো ভাবে অতিক্রম করতে পারবেন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • India Pakistan Conflict: প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ – পাকিস্তান থেকে সব ধরনের আমদানি নিষিদ্ধ করল ভারত

    India Pakistan Conflict: প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ – পাকিস্তান থেকে সব ধরনের আমদানি নিষিদ্ধ করল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরাসরি হোক বা ঘুরপথে, পাকিস্তানি পণ্য কোনও ভাবেই এ দেশে প্রবেশ করতে পারবে না। পহেলগাঁও কাণ্ডের পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পাকিস্তান থেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ, সমস্ত আমদানি নিষিদ্ধ করল ভারত (India Pakistan Conflict)। পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর থেকেই উত্তপ্ত ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত। তৈরি হয়েছে যুদ্ধ পরিস্থিতি। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসরণে জঙ্গি হানায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন নিরীহ পর্যটক। এরপর থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলচুক্তি সহ একাধিক দ্বিপাক্ষিক চুক্তি বাতিল করেছে ভারত সরকার। এবার পাকিস্তান থেকে কোনওরকম পণ্য আমদানিতেই নিষেধাজ্ঞা জারি করল মোদি সরকার। শনিবার এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্র। ভারত আমদানি বন্ধ করায় পাকিস্তানের বাণিজ্য ও অর্থনীতি বড় ধাক্কা খাবে, বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    কী বলা হল নিষেধাজ্ঞায়

    শনিবার বাণিজ্য মন্ত্রকের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, “পাকিস্তানে উৎপন্ন বা রফতানি করা সমস্ত পণ্যের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ আমদানি বা পরিবহণ, তা অবাধে আমদানিযোগ্য হোক বা অনুমোদনসাপেক্ষ, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাৎক্ষণিকভাবে নিষিদ্ধ করা হল। জাতীয় নিরাপত্তা এবং জননীতির স্বার্থে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার যে কোনও ব্যতিক্রমের জন্য ভারত সরকারের থেকে পূর্ব অনুমোদনের প্রয়োজন।” ইতিমধ্যেই লাগু হয়ে গিয়েছে এই নিষেধাজ্ঞা। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগের সমস্ত বন্দরও। বর্তমানে যে সব পণ্য ট্রানজিটে রয়েছে, তার উপরও এই নির্দেশ লাগু হয়েছে। বস্তুত, অটারী-ওয়াঘা সীমান্ত দু’দেশের মধ্যে অন্যতম বাণিজ্যপথ ছিল। কিন্তু পহেলগাঁওয়ে হামলার পর দিনই অটারী সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়।

    বিপদে পাকিস্তান

    গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে হওয়া সন্ত্রাসী হামলায় মৃত্যু হয় ২৬ জন হিন্দু পর্যটকের। এই হামলার পিছনে পাকিস্তানের মদতের যোগসূত্র মিলেছে। হামলাকারীদের মধ্যে দু’জন পাকিস্তানি বলেও দাবি। হামলার নেপথ্যে হাফিজ সইদের জড়িত থাকার সম্ভাবনাই প্রবল। এমতাবস্থায় দুই দেশের সম্পর্কের চূড়ান্ত অবনতি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আগেই পাক সরকার ভারতের সঙ্গে সমস্তরকম দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বন্ধের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিল। তাতেও বিপাকে পড়েছে ইসলামাবাদই। এমনিতে পাকিস্তান একাধিক ক্ষেত্রে ভারতের পণ্যের উপর নির্ভরশীল। তবে বাণিজ্য বন্ধের জেরে পাক বাজারে সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটার সংকট সবচেয়ে বেশি রয়েছে তা হল ওষুধ। ভারতের বাজার থেকে কাঁচামাল না গেলে বিনা চিকিৎসায় প্রাণ যেতে পারে বহু পাকিস্তানির।

    ঘুরপথেও বাণিজ্য নয়

    আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্কে (India Pakistan Trade) ওয়াকিবহাল একাংশের মতে, পাকিস্তান থেকে সরাসরি খুব বেশি পণ্য ভারতে আসে না। তবে ঘুরপথে দুবাই হয়ে কিছু পণ্য ভারতে আসত। বিশেষত, পোশাক, মশলা বা ছোট যন্ত্রাংশের মতো কিছু পণ্য ঘুরপথে ভারতীয় বাজারে প্রবেশ করত। তা-ও খুব বেশি নয়। বাণিজ্যমহলের কারও কারও মতে, ঘুরপথেও যাতে কোনও পাকিস্তানি পণ্য ভারতে প্রবেশ না করে, তা নিশ্চিত করতেই এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। বস্তুত, ২০১৯ সালে পুলওয়ামায় জঙ্গিহানার পর থেকে ভারত এবং পাকিস্তানের বাণিজ্যিক সম্পর্কে ক্রমশ অবনতি হতে শুরু করেছিল। ওই সময়ে ফল, সিমেন্ট, পেট্রোপণ্য, আকরিক-সহ পাকিস্তান থেকে আসা বেশ কিছু পণ্যের উপর আমদানি শুল্ক ২০০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছিল ভারত। বাণিজ্যিক ভাবে ভারতের অন্যতম পছন্দের দেশ (মোস্ট ফেভার্‌ড নেশন)-এর তালিকা থেকেও পাকিস্তানকে সরিয়ে দিয়েছিল ভারত।

    বাণিজ্যিক সম্পর্ক তলানিতে

    গত কয়েক বছরে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক (India Pakistan Trade) ক্রমশ তলানিতে ঠেকেছে। গত বছরের এপ্রিল থেকে চলতি বছরের জানুয়ারির মধ্যে পাকিস্তান থেকে মাত্র ৪ লক্ষ ২০ হাজার ডলারের পণ্য আমদানি করেছিল ভারত। এক বছর আগেও যে পরিসংখ্যান ছিল, তার থেকে ২০ লক্ষ ডলারেরও কম মূল্যের আমদানি হয়েছিল ওই সময়ে। এখানেই শেষ নয়, বহুজাতিক ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে দিল্লি। আইএমএফ, বিশ্ব ব্যাঙ্ক বা এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের মতো ব্যাঙ্কগুলির কাছে ভারতের আর্জি যেন পাকিস্তানকে ঋণ না দেওয়া হয়। সন্ত্রাসে মদত দেয় ইসলামাবাদ- এই অভিযোগ তুলেই আর্জি জানাচ্ছে নয়াদিল্লি।

    পাকিস্তানি পণ্যবাহী জাহাজের উপরেও নিষেধাজ্ঞা

    পাকিস্তানি পণ্য আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি পাকিস্তানি পণ্যবাহী জাহাজের উপরেও নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে। ‘ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ শিপিং’-এর তরফে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানের পতাকা থাকা কোনও জাহাজ ভারতীয় বন্দরে প্রবেশ করতে পারবে না। একই রকম ভাবে কোনও ভারতীয় জাহাজও পাকিস্তানের কোনও বন্দরে যাবে না। এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে ভারতীয় সম্পদ, পণ্য ও বন্দর সুরক্ষার স্বার্থে। এই নিষেধাজ্ঞাগুলি এখনই কার্যকর হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

    পাকিস্তান থেকে আসা চিঠি বা পার্সেলেও জারি নিষেধাজ্ঞা

    শুধু তাই নয়। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আরও একটি বড় পদক্ষেপ করেছে নয়াদিল্লি। পাকিস্তান থেকে ডাকযোগে পাঠানো কোনও চিঠি বা পার্সেল আর ভারতে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ কথা জানিয়েছে ভারতীয় যোগাযোগ মন্ত্রক। ভারত সরকার জানিয়েছে, আকাশপথ বা স্থলপথে পাকিস্তান থেকে আসা সব ধরনের চিঠি ও পার্সেলের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।

  • Russia’s Victory Day Parade: সীমান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতি! মোদির পর রাশিয়া সফর বাতিল রাজনাথের, ভারত থেকে যাচ্ছেন কে?

    Russia’s Victory Day Parade: সীমান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতি! মোদির পর রাশিয়া সফর বাতিল রাজনাথের, ভারত থেকে যাচ্ছেন কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও কাণ্ডের জেরে আগেই রুশ সফর বাতিল করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মোদির পরিবর্তে রাজনাথের ৯ মে মস্কো সফরে যাওয়ার কথা ছিল। এবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও রাশিয়ার বিজয় দিবসের (Russia’s Victory Day Parade) অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মস্কো যাচ্ছেন না। অন্তত সূত্রের খবর এমনই। আগামী সপ্তাহেই রাশিয়ায় বিজয় দিবস পালন করার কথা। ওই অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য রাশিয়ার তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। প্রধানমন্ত্রীর যাওয়ার কথা থাকলেও তা বাতিল করা হয়। জানানো হয়, ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। সূত্রের খবর, এই সফর বাতিল করতে চলেছেন রাজনাথ সিং। তাঁর জায়গায় কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী সঞ্জয় শেঠ ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন বলেও খবর। জানা গিয়েছে, পহেলগাঁও হামলার পরে উদ্ভূত পরিস্থিতির জেরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।

    রাশিয়ায় বিজয় দিবসের গুরুত্ব

    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত কুচকাওয়াজে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী (MoS) সঞ্জয় শেঠ। মস্কোর ওই অনুষ্ঠানে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-সহ বিশ্বের প্রায় ২০ দেশের প্রতিনিধির উপস্থিত থাকার কথা আছে। পহেলগাঁও সন্ত্রাসবাদী হামলার পরেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। যে কোনও সময় পাল্টা জবাব দিতে পারে নয়াদিল্লি। মনে করা হচ্ছে, সেই কারণেই রাজনাথও তাঁর মস্কো সফর বাতিল করতে চলেছেন। ইতিমধ্য়েই পহেলগাঁও হামলার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। এই হামলাকে নৃশংস অপরাধ বলে অভিহিত করেছেন তিনি। এছাড়াও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাশিয়ার সমর্থন যে ভারতের সঙ্গে রয়েছে সেটাও জানিয়ে দিয়েছেন পুতিন।

    ভারতের পাশে রাশিয়া

    প্রধানমন্ত্রী মোদির মস্কো সফর না করার সিদ্ধান্তের কারণ স্পষ্ট করেনি রাশিয়া (Russia’s Victory Day Parade)। রাশিয়ার বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান ও কুচকাওয়াজে বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতা এবং সামরিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি গত বছর দুবার রাশিয়া সফর করেছিলেন। একবার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের জন্য এবং দ্বিতীয়বার কাজানে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য। এই বছরের শেষের দিকে পুতিন দুই দেশের মধ্যে বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারত আসতে পারেন।

    যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন পাকিস্তানের

    সীমান্তে বারবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে পাকিস্তান। এই নিয়ে টানা নবমবার বিনা প্ররোচনায় সীমান্তে গুলি ছুড়ল পড়শি দেশ। নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর শুক্রবার রাতে জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারা, উরি এবং আখনুর সেক্টরে গুলি ছুড়তে শুরু করে পাক সেনা। পাল্টা জবাব দেয় ভারতও। পহেলগাঁও হামলার পরও নাগাড়ে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে পাকিস্তান। এই নিয়ে দিন তিনেক আগেই সতর্ক করেছে ভারত। তবে সোজা পথে আসার বান্দা নয় পড়শি দেশ। ফের চুক্তি লঙ্ঘন করে গুলি চালিয়েছে সে দেশের সেনা।

    প্রত্যাঘাতের দাবি

    পহেলগাঁওয়ে হত্য়ালীলার (Pahalgam Terror Attack) পর প্রত্যাঘাতের দাবি দেশজুড়ে। তিন বাহিনীও বুঝিয়ে দিচ্ছে তারা আঘাত হানতে প্রস্তুত। নরেন্দ্র মোদি আশ্বাস দিচ্ছেন, কল্পনাতীত শাস্তি হবে। বিরোধীরাও জোটবদ্ধ হয়ে পাকিস্তানকে জবাব দেওয়ার পক্ষে!প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় কাঁপছে পাকিস্তানও। অজ্ঞাতবাস নিয়ে হইচই পড়ে যাওয়ার পর আচমকা প্রকাশ্য়ে এসে পাকিস্তানের সেনাপ্রধানও বোঝানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা প্রস্তুত। এদিকে, পহেলগাঁও সন্ত্রাসের ১১ দিন পরেও অধরা হামলাকারী জঙ্গিরা। কিন্তু কোনওভাবেই কাউকে যে ছাড়া হবে না, তা স্পষ্ট করে দিয়ে জঙ্গিদের খোঁজে উপত্যকা জুড়ে চলছে চিরুনি তল্লাশি। বিভিন্ন জঙ্গলে ও দুর্গম এলাকায় যৌথ অভিযান চালাচ্ছে ভারতীয় সেনা ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। শ্রীনগরের আকাশ দিয়ে দক্ষিণ কাশ্মীরের দিকে ঘন ঘন উড়ছে সেনাবাহিনীর চপার! শুক্রবারও উপত্যকায় ছিলেন এনআইএ-র ডিজি সদানন্দ দাতে। এদিনও তিনি যান ঘটনাস্থলে। জরুরি বৈঠক করেন তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গে।

    সীমান্তে যুদ্ধের প্রস্তুতি

    ইতিমধ্যেই কাশ্মীর ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর মানুষ যুদ্ধের ‘প্রস্তুতি’ শুরু করেছেন। উভয় পক্ষই নিজেদের বাঁচানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। ভারতের দিকে চুরান্ডা এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের চাকোঠির মতো গ্রামগুলি সম্ভাব্য সংঘাতের আশঙ্কায় বাঙ্কার এবং সুরক্ষিত আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করছে। জানা গিয়েছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের স্থানীয় প্রশাসন সীমান্তের কাছাকাছি বসবাসকারীদের দুই মাসের জন্য খাদ্যশস্য মজুত করার আহ্বান জানিয়েছে। সম্প্রতি স্থানীয় বিধানসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী আনোয়ার-উল-হক বলেন, নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে অবস্থিত ১৩টি নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দাদের দু’মাস খাদ্যশস্য রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাদের মৌলিক চাহিদার কথা মাথায় রেখে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ তহবিলও গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এছাড়া নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এলাকার রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাকেও মোতায়েন করা হচ্ছে। কার্যত সাধারণ মানুষকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে বলছে প্রশাসন। পাকিস্তানে আতঙ্কের পরিস্থিতি এমন যে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ১০০০ জঙ্গি ঘাঁটি বন্ধ করেছে পাকিস্তান। জঙ্গিদের সেখান থেকে সরানো হয়েছে। এছাড়া পাঞ্জাব থেকে খাইবার পাখতুনখোয়া পর্যন্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। বড় শহরগুলির আকাশসীমাও প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই পর্বে সাইরেনও লাগানো হচ্ছে। সদা সতর্ক রয়েছে ভারতীয় সেনাও।

  • Netherlands: পহেলগাঁও হামলার নিন্দা, পাকিস্তান-সমর্থিত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ নেদারল্যান্ডসে

    Netherlands: পহেলগাঁও হামলার নিন্দা, পাকিস্তান-সমর্থিত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ নেদারল্যান্ডসে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে ২৬ হিন্দু পর্যটককে হত্যার ঘটনায় বিশ্ব জুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে নেদারল্যান্ডসের (Netherlands) দ্য হেগ শহরে অবস্থিত পাকিস্তান দূতাবাসের সামনে ২৫০ জনেরও বেশি মানুষ একত্রিত হয়ে এক শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেন। এই প্রতিবাদের আয়োজন করে গ্লোবাল হিউম্যান রাইটস ডিফেন্স (GHRD) এবং হেট লিখ্‌ট নেদারল্যান্ডস। নেদারল্যান্ডসের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এই প্রতিবাদে সমবেত হন। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আওয়াজিত এই সমাবেশের শুরুতে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

    পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ

    ‘শান্তি ও ন্যায়বিচারের আন্তর্জাতিক রাজধানী’ হিসেবে খ্যাত দ্য হেগ শহর। এখানেই পহেলগাঁও হামলার প্রতিবাদে সন্ত্রাস দমনে একত্রিত হন বহু মানুষ। অনুষ্ঠানের শুরুতেই হিন্দু ধর্মীয় ঐতিহ্য অনুসারে একটি প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে নিহতদের স্মরণ করা হয়। এরপর শান্তি মন্ত্র পাঠের মাধ্যমে তাদের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়। বিক্ষোভকারীরা পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ আনেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও ডাচ সরকারের কাছে সন্ত্রাস দমনে জোরালো পদক্ষেপের আহ্বান জানান এখানে উপস্থিত সকলে। বিক্ষোভকারীরা পাকিস্তান-ভিত্তিক গোষ্ঠীর দ্বারা সীমান্ত পার সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে প্ল্যাকার্ড এবং ব্যানার প্রদর্শন করেন। তাঁরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। বিক্ষোভকারীরা পহেলগাঁওয়ে হামলার জন্য পাকিস্তানের সমালোচনা করেন। জোর দিয়ে বলেন যে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদের পৃথিবীতে কোনও স্থান নেই।

    মানবতার হয়ে সওয়াল

    একজন বিক্ষোভকারী বলেন, “এটা শুধু প্রতিবাদ নয়, এটা ছিল মানবতার পক্ষ থেকে একটি সম্মিলিত আবেদন – আমরা ন্যায়বিচার চাই এবং শান্তির বিজয় নিশ্চিত করতে চাই।” একজনের কথায়, “নীরবতা মানে অপরাধে অংশগ্রহণ। আমাদের এই প্রতিবাদ বিশ্ববাসীর জন্য একটি জাগরণী বার্তা – ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে নিরীহ মানুষদের উপর এই ধরনের আক্রমণ আমরা মেনে নিতে পারি না।” মোমবাতির আলো ও শান্তি মন্ত্রের সুরে মোড়ানো এই প্রতিবাদ শুধু এক শোকসভা ছিল না, বরং এটি বিশ্বব্যাপী এক দৃঢ় বার্তা দেয়। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মানবতার পক্ষে দাঁড়ানোই আজকের সময়ের প্রয়োজন, বলে মন করে প্রতিবাদকারীরা।

  • Cyberattacks by Pakistan: সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইট হ্যাকের চেষ্টা! পাকিস্তানের সাইবার হামলা প্রতিহত করল ভারত

    Cyberattacks by Pakistan: সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইট হ্যাকের চেষ্টা! পাকিস্তানের সাইবার হামলা প্রতিহত করল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনার (Indian Army) ৪টি ওয়েবসাইট হ্যাক করার চেষ্টা করল পাকিস্তানি হ্যাকাররা (Cyberattacks by Pakistan)। জানা গিয়েছে, শ্রীনগর, রানিক্ষেতের আর্মি পাবলিক স্কুলের ওয়েবসাইট হ্যাকের চেষ্টা করা হয়েছে। আর্মি ওয়েলফেরার হাউজিং অর্গানাইজেশনের ওয়েবসাইটেও হামলার চেষ্টা হয়। কিন্তু বার বারই সেই চেষ্টা ব্যর্থ করেছে ভারত। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পহেলগাঁও কাণ্ডের পর পাকিস্তান-ভিত্তিক হ্যাকারদের একাধিক সমন্বিত সাইবার আক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে। হ্যাকারদের লক্ষ্যই ছিল ভারতের সাইবার সুরক্ষা নষ্ট করা।

    কোন কোন ওয়েবসাইট হ্যাকের চেষ্টা

    কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, পাকিস্তান (Cyberattacks by Pakistan) প্রায় প্রতি দিন নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের চেষ্টা করছে। সেই আবহেই পাকিস্তানি হ্যাকারেরা ভারতের সাইবার সুরক্ষা ভেদ করতে একটি নতুন গোষ্ঠী তৈরি করেছে। সাম্প্রতিক কালে ‘ইন্টারনেট অফ খিলাফাহর’ (আইওকে) নামে একটি হ্যাকার গোষ্ঠীর নাম বার বার উঠে এসেছে। নিরাপত্তাবাহিনী সূত্রে খবর, শ্রীনগর এবং রানিক্ষেতের সেনাবাহিনী স্কুলের ওয়েবসাইটগুলিতে হানা দিয়েছিল হ্যাকারেরা। বিভিন্ন প্ররোচনামূলক পোস্ট ওয়েবসাইটে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। এ ছাড়াও, ‘আর্মি ওয়েলফেয়ার হাউজিং অর্গানাইজেশন’-এর তথ্যভাণ্ডারের হামলা করেছিল। শুধু তা-ই নয়, ‘ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্স প্লেসমেন্ট অর্গানাইজেশন’ পোর্টালও হ্যাকারেরা নিশানা করে। শুধু ‘আইওকে’ নয়, ভারতের বিভিন্ন সাইবার হানার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে অন্য পাকিস্তানভিত্তিক হ্যাকার গোষ্ঠীর। ‘আর্মি কলেজ অফ নার্সিং’-এর ওয়েবসাইট হ্যাকের অভিযোগে নাম জড়ায় হ্যাকার গোষ্ঠী— ‘টিম ইনসেন পিকে’র।

    সাইবার হানা প্রতিহত কীভাবে

    গোয়েন্দা (Cyberattacks by Pakistan) সূত্রে খবর, সাইবার হানার বিষয় নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই ওয়েবসাইটগুলিকে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়। তার পর হ্যাকারদের কবল থেকে তা পুনরুদ্ধার করার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ করা হয়। পহেলগাঁও হামলার পর সীমান্তে টানটান উত্তেজনা রয়েছে। এর মধ্যে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর নতুন ছক প্রকাশ্যে এসেছে। ভারতকে অশান্ত করার পাক চক্রান্ত ফাঁস হয়েছে। ভারতীয় অফিসারের নাম বলে ফোন করে তথ্য নেওয়ার চেষ্টা। সেনারা যে গাড়িতে যাতায়াত করেন, তার রাস্তা জানার চেষ্টা করেছে আইএসআই। এবার, ভারতীয় ওয়েবসাইটগুলি হ্যাক করে সাইবার জগতে উত্তেজনা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে পাকিস্তান।

LinkedIn
Share