Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • Suicide: বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা! পরিবারের কেউ এই সমস্যায় আক্রান্ত নয় তো? কীভাবে চিহ্নিত করবেন?

    Suicide: বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা! পরিবারের কেউ এই সমস্যায় আক্রান্ত নয় তো? কীভাবে চিহ্নিত করবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    নিঃশব্দে হানা দিচ্ছে আরেকটি মহামারি, যার নাম আত্মহত্যা (Suicide)! বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও ক্রমেই বাড়ছে এই সমস্যা। অধিকাংশ সময়েই অসাবধানতার জেরে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সতর্কতা বাড়ালেই সমস্যা কমতে পারে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিপদ ঘটার আগে অসচেতনতার কারণে কিছুই টের পাওয়া যায় না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা এখনও তলানিতে। পরিবারের পাশে থাকা মানসিক রোগীদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। মানসিক সমস্যা হলে পরিবারকেই আগে চিহ্নিত করতে হবে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে পরিবার আক্রান্তের সমস্যা বুঝতেই পারে না। তাই ভয়ঙ্কর পরিণতি হয়। তাই আত্মহত্যা আরেকটি মহামারির আকার ধারণ করছে।

    ভারতের পরিস্থিতি কতখানি উদ্বেগজনক? (Suicide)

    ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, দেশ জুড়ে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে। বিশেষত করোনা মহামারির পরবর্তী সময়ে আত্মহত্যার প্রবণতা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। ২০১৮ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ২৭ শতাংশ আত্মহত্যা বেড়েছে। অন্যান্য দেশের মতোই মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের আত্মহত্যার ঘটনা বেশি।‌ সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে প্রতি আট মিনিটে একজন পুরুষ আত্মহত্যা করছেন। পাশপাশি, উদ্বেগজনকভাবে কিশোর-কিশোরী অর্থাৎ বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের আত্মহত্যার ঘটনা বাড়ছে। কম বয়সী ছেলেমেয়েদের আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়তি উদ্বেগের বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কেন ভারতে আত্মহত্যা বেড়েছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ার অন্যতম কারণ খারাপ ব্যবহার এবং একাকিত্ব। কর্মক্ষেত্রে কিংবা পরিবারের কাছের মানুষের লাগাতার খারাপ ব্যবহারের জেরেই আত্মহত্যার (Suicide) প্রবণতা তৈরি হচ্ছে। নিয়মিত হেনস্থার জেরেই সমস্যা আরও জটিল হচ্ছে। মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অবসাদগ্রস্ত হলেও তাঁরা অধিকাংশ সময়, তাঁদের সমস্যা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকছেন না। এর ফলে তাঁরা কোনও রকম সাহায্য পাচ্ছেন না। বরং, পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।

    কীভাবে চিহ্নিত করবেন? (Suicide)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অন্যান্য শারীরিক সমস্যার মতোই আত্মহত্যার প্রবণতারও কিছু উপসর্গ রয়েছে। সে সম্পর্কে সতর্ক আর সচেতন থাকলেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, হঠাৎ করেই অভ্যাস বদলে যাওয়া, এর প্রথম লক্ষণ! বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, পরিবারের কোনও সদস্য হঠাৎ খুব চুপচাপ হয়ে গেল। নিজের মতোই সময় কাটাচ্ছেন, পরিবারের সঙ্গে কোনও বিষয়েই কথা বলা বা আলোচনা করছেন না। তাহলে বিষয়টি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। বিশেষত বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের মধ্যে এই ধরনের আচরণ দেখা দিলে, তা নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই ১২-১৫ বছরের ছেলেমেয়েরা দিনের বেশিরভাগ সময় ঘর বন্ধ করে নিজেদের মতো থাকে। অভিভাবকদের অবশ্যই খেয়াল রাখা জরুরি, নিজের মতো থাকার অভ্যাসে একাকিত্ব গ্রাস করছে কিনা (Suffering)!

    নানান ওষুধে অভ্যস্ত?

    পরিবারের কেউ হঠাৎ করেই নানান ওষুধে অভ্যস্ত হয়ে পড়লে‌ বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিবারের কেউ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ছাড়া, হঠাৎ নানা রকমের ওষুধ কিনে খাওয়া শুরু করলে, তা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। বুঝতে হবে, তাঁর মধ্যে নানা রকম অ্যাংজাইটি কাজ করছে। তাই সতর্কতা জরুরি। ভীষণ রকমের উদ্বেগ থেকেই আত্মহত্যার (Suicide) প্রবণতা তৈরি হতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।

    আলোচনা করা জরুরি

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েরা বলে, ‘আমাকে নিয়ে বেশি দিন‌ সমস্যা থাকবে না!’ কিংবা ‘এই রকম সমস্যায় তোমাদের আর পড়তে হবে না’, এই ধরনের কথা! এগুলোও যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে বুঝতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অভিভাবকদের অনেকেই এই ধরনের মন্তব্যে গুরুত্ব দেন না। কিন্তু সন্তান এই রকম কথা বললে, তার সঙ্গে আলোচনা করা জরুরি। সময় দেওয়া দরকার। তার নানান কাজ সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল থাকা দরকার। তবেই বড় বিপদ আটকানো সম্ভব হবে‌।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Prafulla Chaki: ১৯০৮ সালের ২ মে, বিপ্লবী প্রফুল্ল চাকিকে খুন করে আত্মহত্যার তত্ত্ব সামনে আনে ব্রিটিশ পুলিশ

    Prafulla Chaki: ১৯০৮ সালের ২ মে, বিপ্লবী প্রফুল্ল চাকিকে খুন করে আত্মহত্যার তত্ত্ব সামনে আনে ব্রিটিশ পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২ মে ১৯০৮ সালে আজকের দিনেই এ জগত ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন ভারত মায়ের শ্রেষ্ঠ সন্তান প্রফুল্ল চাকি (Prafulla Chaki) । তিনি আত্মঘাতী হয়েছিলেন, নাকি তাঁকে ব্রিটিশ পুলিশ হত্যা করেছিল তা নিয়ে রয়েছে আজও সন্দেহ। মামলা চলাকালীন ব্রিটিশ পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর নন্দলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া বয়ান অনুযায়ী আত্মঘাতী হয়েছিলেন প্রফুল্ল। কিন্তু পরবর্তীকালে যে তথ্য সামনে আসে তাতে একথা মনে হওয়া খুব স্বাভাবিক যে তিনি আত্মঘাতী হননি বরং ব্রিটিশ পুলিশ তাঁকে অত্যাচার করে গুলি করেছিল।

    কোন মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন প্রফুল্ল

    প্রফুল্ল চাকি (Prafulla Chaki) ও ক্ষুদিরাম বোস ইংরেজ আধিকারিক কিংসফোর্ডকে হত্যা করার লক্ষ্যে বোমা বন্দুক নিয়ে তৈরি ছিলেন। ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দের ৩০ এপ্রিল কিংসফোর্ডকে হত্যা করার লক্ষ্যে প্রফুল্ল চাকি ও ক্ষুদিরাম বোস দুজনেই বিহারের মুজাফফরপুরে (Indian Freedom Movement) কিংসফোর্ডের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছিলেন। ইউরোপিয়ান ক্লাবের প্রবেশদ্বারে তারা কিংসফোর্ডের ঘোরার গাড়ির জন্য ওত পেতেছিল। একটি ঘোড়া গাড়ি আসতে দেখে বোমা নিক্ষেপ করে তাঁরা। দুর্ভাগ্যক্রমে ওই গাড়িতে কিংসফোর্ড ছিলেন না। ছিলেন দুজন ব্রিটিশ মহিলা। তাঁরা বোমার আঘাতে মারা গিয়েছিলেন। ওই দুজনকে ব্যারিস্টার কেনেডির স্ত্রী ও কন্যা বলে চিহ্নিত করা হয়। এর পর এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান দুজনেই। আলাদা আলাদা পথ বেছে নিয়েছিলেন প্রফুল্ল (Prafulla Chaki) ও ক্ষুদিরাম।

    কীভাবে ধরা পড়লেন প্রফুল্ল চাকি (Prafulla Chaki)

    প্রফুল্ল কলকাতার দিকে আসার সিদ্ধান্ত নেন। পায়ে হেঁটে মুজাফফরপুর থেকে চার স্টেশন দূরে সমস্তিপুর স্টেশন পর্যন্ত আসেন। ট্রেনে তাঁকে দেখে সদেহ হয় নন্দলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে এক পুলিশ দারোগার। সাব ইন্সপেক্টরকে তখন দারোগা বলা হত। মোকামা স্টেশনে নন্দলাল ও তাঁর সহযোগীরা তাঁকে ধরে ফেললে (আদালতে দেওয়া বয়ান অনুযায়ী) নিজের বুকে ও মাথায় নাকি গুলি করেন প্রফুল্ল (Indian Freedom Movement) ।

    প্রফুল্লের মৃত্যু ঘিরে সন্দেহ কেন

    প্রফুল্ল চাকির (Prafulla Chaki) শরীরের দুটি গুলি লেগেছিল। একটি বুকে, অপরটি মাথায়। দেহ পরিবারকে ফেরত দেওয়া হয়নি। তাঁর শরীরের পোস্টমর্টেম হয়নি। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন একজন আত্মহত্যাকারী ব্যক্তি নিজের বুকের মত জায়গায় গুলি করার পর তাঁর পক্ষে দ্বিতীয় গুলি চালানোর আর সুযোগ থাকে না। ব্রিটিশ পুলিশের দাবি ছিল প্রফুল্লর কাছে গুলি ভর্তি বন্দুক ছিল। যদি তাঁর কাছে বন্দুক থাকত তাহলে নন্দলাল বন্দ্যোপাধ্যায় যখন তাকে সন্দেহের বশে পাকড়াও করেন তখন ওই পুলিশকেই গুলি মেরে পালানোর চেষ্টা করতে পারতেন প্রফুল্ল। কিংবা অন্য পুলিশকে গুলি করে পালাতেন। তবে প্রফুল্লর দেহের পোস্টমর্টেম হয়নি। দেহ পরিবারকে ফেরত না দেওয়ায় তখনও প্রশ্ন তুলেছিল বিপ্লবীরা।
    ঐতিহাসিকদের মত

    সমসাময়িক অনেক ঐতিহাসিকের মতে প্রথমে প্রফুল্লর (Prafulla Chaki) উপর নিদারুর অত্যাচার চালানো হয়। তারপর তাকে পিস্তল দিয়ে একাধিক গুলি করে খতম করা হয়। মুজাফফরপুর স্টেশনে আনা হয় দেহ। শনাক্ত করেন ক্ষুদিরাম বোস। এর পর তাঁর মাথা কেটে কেরোসিন কিংবা স্পিরিটে চুবিয়ে আনা হয় কলকাতায়। দেহ মুজাফফরপুরের শ্মশানে অজ্ঞাতপরিচয়য় লাশ হিসেবে ফেলে দেওয়া হয়।

    প্রফুল্লের (Prafulla Chaki) খুনের বদলা

    ব্রিটিশ পুলিশ যা করেছিল সেই তথ্য যদি প্রকাশ হত তাহলে আরও অনেক ব্রিটিশ ও পুলিশের কর্মচারী ভারতীয়ের প্রাণ যেত। এই ভয়েই ‘আত্মঘাতী’ তত্ত্ব ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ঐতিহাসিক নির্মল কুমার নাগ একমত যে প্রফুল্লকে খুন করে তাঁর মাথা কেটে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতেও বিপ্লবীদের থামানো যায়নি। ১৯০৮ সালের ৯ই নভেম্বর নন্দলাল বন্দ্যোপাধ্যায়কে হত্যা করে প্রফুল্ল চাকির(Prafulla Chaki) মৃত্যুর বদলা নিয়েছিলেন বাঙালি বিপ্লবী শিরিশ চন্দ্র পাল ও রণেন গঙ্গোপাধ্যায়।

  • Daily Horoscope 02 May 2025: ব্যবসায় বিপুল লাভ হবে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 02 May 2025: ব্যবসায় বিপুল লাভ হবে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) ব্যবসায় তেমন লাভ হবে না।

    ২) অর্থক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) চাকরির ক্ষেত্রে দিনটি খুব ভালো।

    ২) সন্তানদের বিষয়ে উদ্বেগ থাকবে।

    ৩) গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন।

    মিথুন

    ১) সকালের দিকে দাম্পত্য কলহের কারণে মানসিক চাপ বাড়তে পারে।

    ২) কোনও আধ্যাত্মিক কাজে যোগ দিতে হতে পারে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    কর্কট

    ১) বিদেশযাত্রার বিষয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ২) অতিরিক্ত ক্রোধের জন্য হাতে আসা কাজ নষ্ট হতে পারে।

    ৩) ভবিষ্যত পরিকল্পনা করুন।

    সিংহ

    ১) অভিনেতাদের জন্য ভালো সুযোগ আসতে পারে।

    ২) প্রেমের ব্যাপারে খুব ভেবেচিন্তে পা বাড়ানো উচিত।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) সারা দিন কোনও ভয় আপনাকে চিন্তায় ফেলতে পারে।

    ২) স্ত্রীর সুবাদে কোনও বিশেষ কাজের সুযোগ পাবেন।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    তুলা

    ১) বেকারদের নতুন কিছু করার চেষ্টা বাড়তে পারে।

    ২) মাতৃস্থানীয়া কারও সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃশ্চিক

    ১) মানসিক কষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) কোনও ভালো জিনিস নষ্ট হওয়ার যোগ।

    ৩) বন্ধুদের থেকে সাহায্য পাবেন।

    ধনু

    ১) অপরকে সুখী করতে গেলে স্বার্থত্যাগ করতে হবে।

    ২) অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শে আইনি সুরক্ষা পেতে পারেন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মকর

    ১) কোনও নামী ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয়ে লাভবান হতে পারেন।

    ২) ধর্ম বিষয়ক আলোচনায় সুনাম বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) ব্যবসায় বিপুল লাভ।

    কুম্ভ

    ১) সম্মান নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন নিয়ে ঝামেলা বাধতে পারে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    মীন

    ১) সঞ্চয়ের ইচ্ছা খুব বাড়তে পারে।

    ২) সকলের সঙ্গে কথা খুব বুঝে বলবেন।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Chandrayaan 3: চাঁদের প্রাথমিক বিবর্তন নিয়ে বড় আবিষ্কার করল চন্দ্রযান ৩

    Chandrayaan 3: চাঁদের প্রাথমিক বিবর্তন নিয়ে বড় আবিষ্কার করল চন্দ্রযান ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3) শিবশক্তি পয়েন্টে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছে। সামনে এসেছে চাঁদের প্রাথমিক বিববর্তনের অনেক কিছুই। প্রজ্ঞান রোভারে থাকা পার্টিকেল এক্স-রে স্পেকট্রোমিটার (APXS) যে তথ্য পাঠিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে , চাঁদের দক্ষিণ মেরুর এই অংশে অস্বাভাবিকভাবে কম রয়েছে সোডিয়াম এবং পটাশিয়াম। কিন্তু এখানে সালফালের ঘনত্ব খুবই বেশি রয়েছে। এ নিয়ে আমেদাবাদের ভৌত গবেষণাগারে পরীক্ষা চালানো হয়েছে। সেখানেই দেখা গিয়েছে, চন্দ্রপৃষ্ঠের এই স্থানে সালফারে মাত্রা খুবই বেশি। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন আজ থেকে প্রায় ৪.৩ বিলিয়ন বছর আগে এই উপাদানগুলি চন্দ্রপৃষ্ঠে উন্মোচিত হয়। অর্থাৎ লাভা রূপে বেরিয়ে আসে চন্দ্রপৃষ্ঠের ভিতর থেকে।

    অ্যাপোলো, লুনা যে তথ্য দিতে পারেনি তাই দিচ্ছে চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3)

    বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে যে লাভা বা ম্যাগমা উঠে আসে তা পরবর্তীকালে শীতল হয়ে জমাট বেঁধে যায়। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, বিভিন্ন দেশ যে ধরনের মহাকাশযানগুলি পাঠিয়েছে চন্দ্রপৃষ্ঠে (Shiv Shakti Point), তা অ্যাপোলো হোক কিংবা লুনা- এই সমস্ত চন্দ্রযানগুলি যে তথ্য দিয়েছে, তার থেকে সম্পূর্ণভাবে আলাদা তথ্য দিচ্ছে চন্দ্রযান-৩।

    চাঁদের ভূতাত্ত্বিক গঠন আবিষ্কারে এগিয়ে ভারত (Chandrayaan 3)

    বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, সালফার সমৃদ্ধ যে উপাদানগুলি চাঁদে পাওয়া যাচ্ছে সেগুলি চন্দ্রপৃষ্ঠ তৈরির একটি অন্যতম বিল্ডিং ব্লক। চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3) থেকে পাঠানো তথ্যগুলির সামনে আসার ফলে শিবশক্তি পয়েন্টের গুরুত্ব আরও বেশি বেড়ে গিয়েছে। চাঁদ কীভাবে তৈরি হল, তার প্রাথমিক বিবর্তন কোন পথে হল, যে সময় লাভা নির্গত হল, সেই তথ্যগুলি এখন পাঠাচ্ছে চন্দ্রযান ৩। চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3) এর এই আবিষ্কারগুলি মহাকাশ গবেষণায় ভারতের ক্রমবর্ধমান উন্নতিকেই সামনে আনছে। চাঁদের ভূতাত্ত্বিক গঠন আবিষ্কার (Shiv Shakti Point) করার যে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টা, সেখানে আমাদের দেশ ভারতবর্ষের অনেক বেশি এগিয়ে রয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ২৩ অগাস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল চন্দ্রযান ৩।

  • Amit Shah: ‘‘বেছে বেছে বদলা নেওয়া হবে’’, পহেলগাঁওকাণ্ডে হুঙ্কার অমিত শাহের

    Amit Shah: ‘‘বেছে বেছে বদলা নেওয়া হবে’’, পহেলগাঁওকাণ্ডে হুঙ্কার অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার পর প্রথমবার মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তাঁর হুঙ্কার, ‘‘বেছে বেছে বদলা নেওয়া হবে। কেউ যদি ভাবে কাপুরুষের মতো হামলা চালিয়ে জিতে যাবে, তাহলে তাদের মনে রাখা দরকার এটা নরেন্দ্র মোদির ভারত। তাই একে একে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বদলা নেওয়া হবে।’’

    সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গোটা বিশ্ব ভারতের পাশে রয়েছে

    বৃহস্পতিবারই নয়াদিল্লির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)। সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘দেশের প্রতিটি ইঞ্চি থেকে সন্ত্রাসবাদকে উপড়ে ফেলা আমাদের লক্ষ্য। এই উদ্দেশ্য পূরণ হবেই। কেবল ১৪০ কোটি ভারতীয় নন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গোটা বিশ্ব ভারতের পাশে রয়েছে। বিশ্বের সমস্ত রাষ্ট্র একজোট হয়ে ভারতের সঙ্গে আছে। আমি সকলকে মনে করিয়ে দিতে চাই, যতদিন পর্যন্ত না সন্ত্রাসের মূল ধ্বংস হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে। যারা এই জঘন্য হামলা চালিয়েছে তাদের প্রত্যেককে যথাযথ শাস্তি দেওয়া হবে।’’

    হামলার পরেই জম্মু-কাশ্মীরে ছুটে যান অমিত শাহ (Amit Shah)

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের (Pahalgam Attack) বৈসরানে পর্যটকদের ওপর ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হামলা ঘটে। এরপরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রীনগরে ছুটে যান। ঠিক পরের দিন ২৩ এপ্রিল তিনি নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন এবং সমবেদনা জানান। শহিদদের উদ্দেশে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানোর সময় অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, ‘‘এই জঘন্য সন্ত্রাসী হামলার (Pahalgam Attack) সঙ্গে জড়িত অপরাধীরা কেউ ছাড় পাবে না।’’ সম্প্রতি, মন কি বাত অনুষ্ঠানেও প্রধানমন্ত্রী দোষীদের কড়া শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘কাশ্মীরে শান্তি ফিরে আসছিল। গণতন্ত্র শক্তিশালী হচ্ছিল। স্কুল-কলেজের সংখ্যা এবং পর্যটন বৃদ্ধি পাচ্ছিল। কিন্তু শত্রুদের এটি পছন্দ হয়নি। সন্ত্রাসবাদীরা আবারও কাশ্মীরকে ধ্বংস করতে চায়। আমি নিহতদের পরিবারগুলিকে আশ্বস্ত করছি, তাঁরা ন্যায়বিচার পাবে। এই হামলার নেপথ্যে যারা রয়েছে তাদের কঠোরতম শাস্তি হবে।’’

  • Supreme Court: সেনার মনোবল ভাঙবেন না! পহেলগাঁওকাণ্ডে বিচারবিভাগীয় কমিশনের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    Supreme Court: সেনার মনোবল ভাঙবেন না! পহেলগাঁওকাণ্ডে বিচারবিভাগীয় কমিশনের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Terror Attack) ঘটনায় বিচারবিভাগীয় কমিশন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা হয়েছিল জনস্বার্থে মামলা। বৃহস্পতিবার ১ মে তা খারিজ করল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং এন কোটেশ্বর সিংয়ের বেঞ্চ স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দিয়েছে, এমন কিছু আর্জি জানানো উচিত নয় যা আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর মনোবলকে ভেঙে দেয়। বিচারপতিদের বেঞ্চ মামলাকারীদের ভর্ৎসনা করে বলেন, ‘‘কবে থেকে একজন অবসরপ্রাপ্ত হাইকোর্টের বা সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠলেন সন্ত্রাসের মতো বিষয় তদন্ত করার বিষয়ে?’’

    এই ধরনের জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার আগে দায়িত্বশীল হোন

    সুপ্রিমকোর্ট (Supreme Court) এদিন আরও বলে, ‘‘এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়, যখন আমাদের দেশের প্রত্যেকটি নাগরিক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তাঁদের এমন লড়াইকে কখনও খাটো করা উচিত নয়। এটা অত্যন্ত সংবেদনশীল ইস্যু।’’ বিচারপতি সূর্যকান্ত বলেন, ‘‘এই ধরনের জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার আগে দায়িত্বশীল হোন। দেশের প্রতিও আপনার কিছু কর্তব্য রয়েছে। এটি এমন গুরুত্বপূর্ণ সময় যখন প্রতিটি ভারতীয় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য হাত মিলিয়েছে। বাহিনীর মনোবল ভেঙে দেবেন না। বিষয়টির সংবেদনশীলতা খতিয়ে দেখুন।’’

    তিন মামলাকারী হলেন ফতেশকুমার শাহু, মহম্মদ জুনায়েদ এবং ভিকি কুমার

    এক আবেদনকারী দাবি করেন যে, পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Terror Attack) পর কাশ্মীরি শিক্ষার্থীদের উপর দেশের নানা প্রান্তে হামলা হচ্ছে। এর প্রেক্ষিতে বিচারপতি বলেন, ‘‘আপনি যা আবেদন করছেন সে সম্পর্কে আপনি কি নিশ্চিত?’’ প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনার তদন্ত হোক সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত বিচারবিভাগীয় কমিশনের মাধ্যমে। এমনই আবেদন জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কাশ্মীরের তিন নাগরিক। বৃহস্পতিবারই তা খারিজ করল শীর্ষ আদালত। এই তিন মামলাকারীরা হলেন ফতেশকুমার শাহু, মহম্মদ জুনায়েদ এবং ভিকি কুমার। জানা গিয়েছে, তিন জনেই কাশ্মীরের বাসিন্দা। এই তিন ব্যক্তি পহেলগাঁওয়ের ঘটনার তদন্ত করতে চেয়েছিলেন একটি বিচারবিভাগীয় কমিশনের তদারকিতে। তাঁদের আর্জি ছিল কমিশনের মাথায় থাকবেন শীর্ষ আদালতের অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতি। কিন্তু এমন আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট।

  • India-Pakistan Conflict: পাক বিমানকে ‘লক্ষ্যভ্রষ্ট’ করতে সীমান্তজুড়ে জিপিএস জ্যামার মোতায়েন ভারতের

    India-Pakistan Conflict: পাক বিমানকে ‘লক্ষ্যভ্রষ্ট’ করতে সীমান্তজুড়ে জিপিএস জ্যামার মোতায়েন ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান (India-Pakistan Conflict) পশ্চিম সীমান্তে অত্যাধুনিক জ্যামার বসাল ভারত। এর ফলে পাকিস্তানি সেনার বিমান যে ‘গ্লোবাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম’ (জিএনএসএস) ব্যবহার করে লক্ষ্যবস্তুর অবস্থান স্থির করে, তা অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাদের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার ক্ষমতাও কমিয়ে দেবে। উপগ্রহ-নির্ভর নেভিগেশন সিস্টেমগুলো ব্যাহত হওয়ায় দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে।

    ভারতের সর্বাধুনিক জ্যামিং প্রযুক্তি, বেকায়দায় পাকিস্তান

    নয়াদিল্লির একটি সূত্র বলছে, পাকিস্তানের সেনাবিমান লক্ষ্যবস্তুর অবস্থান জানার জন্য জিপিএস (আমেরিকা), গ্লোনাস (রাশিয়া), বেইডু (চিন)— এই তিন প্রযুক্তি ব্যবহার করে। কিন্তু এই তিন প্রযুক্তিকেই মাত দিতে পারে ভারতের জ্যামিং প্রযুক্তি, এমনটাই দাবি করছে ওই সূত্র। এই প্রযুক্তির ব্যবহারে পাকিস্তান সেনা তার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রায় আঘাত হানতে ব্যর্থ হতে পারে। সেই লক্ষ্যবস্তুর বিষয়ে যথাযথ তথ্য থেকেও বঞ্চিত হতে পারে তারা। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বেশির ভাগই হিন্দু পর্যটক। এরপরই ভারত ২০২১ সালের যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে। দ্রুত মোতায়েন করা হয়েছে উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সির ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম, যার মাধ্যমে জিপিএস, গ্লোনাস এবং ভারতীয় ‘নাবিক’-সহ বিশ্বব্যাপী ন্যাভিগেশন স্যাটেলাইট সিগন্যালকে ব্যাহত করা হচ্ছে।

    জ্যামারের কাজ কী

    ভারত-পাক সীমান্তে পাক খাচ্ছে পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান। এই যুদ্ধবিমানকেই আকাশ প্রতিরক্ষায় পাঠিয়েছে পাকিস্তান। এফ-১৬ সহ একাধিক পাকিস্তানের যুদ্ধবিমানকেও পাক খেতে দেখা গিয়েছে। ভারত হাত গুটিয়ে থাকার পাত্র নয়। সীমান্তে পাকিস্তানের জারিজুরি কৌশলকে আটকে দিতে এবং যুদ্ধবিমানে থাকা ফ্রিকোয়েন্সি যাতে সমস্যায় পড়ে, তার জন্য ভারতীয় সীমানায় মোতায়েন করা হল অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সির জ্যামার সিস্টেম। জ্যামারের কাজই হল, বিমানের ফ্রিকোয়েন্সিকে আটকে দেওয়া। জ্যামার থাকলে বিমান এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সমস্যায় পড়বে, আকাশে বিভ্রান্ত হয়ে পাক খেতে হবে। সীমান্তে এই উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সির জ্যামার নিয়ে যাওয়ায় পাক বায়ুসেনা আকাশপথে অনেকটাই বিপাকে পড়বে বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।

    কীভাবে কাজ করে এই জ্যামিং সিস্টেম

    জ্যামার মূলত শক্তিশালী রেডিও সিগন্যাল নির্গত করে, যা উপগ্রহ থেকে নির্দিষ্ট যন্ত্রে (যেমন যুদ্ধবিমান বা ড্রোনে) পাঠানো জিএনএসএস তথ্যকে বিকৃত বা বিঘ্নিত করে। টার্গেটিং সিস্টেম সঠিকভাবে কাজ করে না, প্রিসিশন গাইডেড মিসাইল বা স্মার্ট বোমার সফলতা কমে যায়। রিয়েল-টাইম সিচুয়েশনাল অ্যাওয়ারনেস বিঘ্নিত হয়।

    ইলেকট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রামের দখলই আসল

    এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার বক্তব্য অনুযায়ী, “এলওসি বরাবর সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন, কুপওয়ারায় সংঘর্ষ এবং গুজরাটের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের (SEZ) কাছাকাছি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা—এই সব কিছু ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ভবিষ্যতের যুদ্ধে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রামের দখলই নির্ধারণ করবে বিজয়ী পক্ষ।” ভারত ইতিমধ্যেই মোতায়েন করেছে ‘সম্যুক্তা’ ইডব্লিউ সিস্টেম (রেঞ্জ ২০০ কিমি), ‘হিমশক্তি’ হিমালয় ও উচ্চ-অঞ্চলে, রাফাল জেটে সংযুক্ত ‘স্পেকট্রা’ ইডব্লিউ স্যুট, নৌবাহিনীর ইডব্লিউ সিস্টেম, ‘কালী-৫০০০’ এবং ডিরেক্টেড এনার্জি অস্ত্র (ডিইডব্লু) ব্যবস্থা।

    চিনের সহায়তার আশায় পাকিস্তান

    অন্যদিকে পাকিস্তান চিনের সহায়তায় গঠিত ‘জারব’ উপকূলীয় ইডব্লিউ সিস্টেম, জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমানে যুক্ত ইডব্লিউ প্ল্যাটফর্ম এবং বাণিজ্যিকভাবে উপলব্ধ চিনা জ্যামার ব্যবহার করে ভারতীয় ড্রোনকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এই প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান বিমান বাহিনী (PAF) তাদের ৫২টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের মধ্যে অর্ধেকই সরিয়ে নিয়েছে আরব সাগরের উত্তর উপকূলের পাসনি এয়ারবেসে, যাতে ভারতের রুশ-উৎপাদিত অত্যাধুনিক এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা সিস্টেমের রাডার কভারেজ থেকে দূরে রাখা যায়। সাউথ ব্লকের এক আধিকারিকের কথায়, “ভারতের সমন্বিত নজরদারি ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ঝুঁকি এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে, পাকিস্তান তাদের সবচেয়ে মূল্যবান বিমানসম্পদ সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে।” জানিয়েছেন এক শীর্ষ কর্মকর্তা।

  • Mohan Bhagwat: বারাণসীতে হিন্দু ঐক্যের বার্তা, আদিবাসী কন্যাকে পা ধুইয়ে বিয়ে দিলেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: বারাণসীতে হিন্দু ঐক্যের বার্তা, আদিবাসী কন্যাকে পা ধুইয়ে বিয়ে দিলেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার ৩০ এপ্রিল ছিল অক্ষয় তৃতীয়া। এই পুণ্য তিথিতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সরসংঘ চালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বারাণসীতে একটি গণবিবাহের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন এবং কন্যাদান করেন। এই অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয় বারাণসীর সঙ্কলধারা কুণ্ডে। ১২৫ জন নব দম্পতি, যাঁরা বিভিন্ন জাতি-বর্ণের ছিলেন, তাঁদেরকে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করান মোহন ভাগবত। এই অনুষ্ঠানে বৈদিক মন্ত্র উচ্চারিত হয়। যজ্ঞ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুরোহিতরা নানা ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করেন। ১২৫ জনের দুই হাত এক হয় এইভাবেই।

    আদিবাসীকে কন্যাকে পা ধুইয়ে বিয়ে দিলেন মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)

    এই গণবিবাহ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন একজন আদিবাসী কন্যা রাজবন্তী। তিনি এসেছিলেন শোনভদ্র জেলার যোগদিহি গ্রাম থেকে। মোহন ভাগবত নিজের হাতে রাজবন্তির পা ধুয়ে দেন। এরপরেই আরএসএস প্রধান জানান, এভাবেই সামাজিক বৈষম্য দূর হওয়া উচিত এবং হাজার হাজার মানুষের অনুপ্রাণিত হওয়া উচিত। এরপরেই রাজবন্তীর হাত তিনি তুলে দেন অমনের হাতে। প্রসঙ্গত, অমনও একজন আদিবাসী বর। অমনের হাতে রাজবন্তীর হাত তুলে দেওয়ার সময় আরএসএস (Mohan Bhagwat) প্রধান বলেন, ‘‘আমি কন্যাদান করলাম তোমার হাতে।’’ শুধু তাই নয়, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সর সংঘচালক চালক কন্যাদান করার পরে ৫০১ টাকাও তুলে দেন অমনের হাতে। এরপরেই আরএসএস প্রধানকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমার মেয়ের খেয়াল রেখো। তাকে সর্বদা সুখে রেখো।’’

    অনুষ্ঠানটির পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অক্ষয় কন্যাদান মহোৎসব’

    বারাণসীতে অনুষ্ঠিত হওয়া এই অনুষ্ঠানটির পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অক্ষয় কন্যাদান মহোৎসব’ (Akshay Kanyadan Mahotsav), এটি শুধুমাত্র কোনও অনুষ্ঠান ছিল না। এটা ছিল ভারতবর্ষের সনাতন সংস্কৃতি, মূল্যবোধের একটি প্রতিফলন। এভাবেই ভারতের হিন্দু সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করার এক প্রয়াস এখানে দেখা গেল। হিন্দু সমাজের বিভিন্ন জাতি ও বর্ণের বিভিন্ন জাতি বর কনেরা একত্রিত হলেন এভাবে। গোটা অনুষ্ঠানটির উদ্যোক্তা ছিলেন বীরেন্দ্র জয়সওয়াল। যিনি উত্তরপ্রদেশের একজন বরিষ্ঠ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের নেতা বলেই জানা যায়। জানা গিয়েছে, নিজের পুত্র সন্তান বৈভবের বিয়ে উপলক্ষ্যেই তিনি এমন গণবিবাহের আয়োজন করেন। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই আরএসএস নেতা জানিয়েছেন, নিজের পুত্রের বিয়েটি একটু অন্যরকম করতে চেয়েছিলেন তিনি। পরে আরএসএস নেতা বীরেন্দ্র জয়সওয়াল মনস্থির করেন যে পুত্রের বিয়ের সঙ্গেই তিনি আরও ১০১ জন বিভিন্ন জাতি এবং বর্ণের কন্যার বিয়ের ব্যবস্থা করবেন। এভাবেই তাঁর সিদ্ধান্তে ধরা পড়ে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের নিঃস্বার্থ সেবা ভাবনা।

    কী বললেন আরএসএস প্রধান (Mohan Bhagwat)?

    অনেকের মতে, বীরেন্দ্র জয়সওয়াল এভাবেই সামাজিক সমরসতার এক নতুন ভাবনা প্রতিষ্ঠিত করলেন। ঐক্যবদ্ধ হিন্দু সমাজ গঠন করার এই ভাবনাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সর সংঘ চালক মোহন ভাগবত। নিজের বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘‘একটি বিবাহ শুধুমাত্র দুটি ব্যক্তির একত্র হওয়াই নয়। এটা দুটি পরিবারকে এক করে। এর মাধ্যমেই সমাজ সংগঠিত হয়। শক্তিশালী হয়।’’ একই সঙ্গে যে সমস্ত অভিভাবকরা ওই কন্যাদানে হাজির ছিলেন। তাঁদেরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘‘আপনারা যাঁরা অভিভাবকের দায়িত্ব নিয়ে যাঁদেরকে বিবাহ দিলেন, তাঁদের সঙ্গে অন্তত বছরে দুবার করে যোগাযোগ রাখুন। দুবার অন্তত তাঁদের বাড়িতে যান।’’ নিজের বক্তব্য মোহন ভাগবত আরও বলেন, ‘‘একটি পরিবারকে শুধুমাত্র ভাবা উচিত নয় স্বামী-স্ত্রী এবং পুত্র হিসেবে। পরিবার হচ্ছে সমাজের জীবন্ত অংশ। পরিবার ব্যবস্থার সঙ্গে গভীরভাবে মিশে রয়েছে আমাদের মূল্যবোধ পরম্পরা ও সংস্কার।’’

    গণবিবাহের যাত্রা শুরু হয় দ্বারকাধীশ মন্দির থেকে

    প্রসঙ্গত, গোটা অনুষ্ঠানটিতে ১২৫ জন দম্পতিকে বিবাহ দেওয়া হয়। বরেরা প্রত্যেকেই ঘোড়ায় চড়ে এসেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে ছিল ব্যান্ড, ডিজে এবং বাজি ফাটিয়ে তাঁদেরকে স্বাগত জানানো হয়। এর পাশাপাশি নানা রকমের ধর্মীয় গানও বাজতে থাকে। এই গণবিবাহের যাত্রা শুরু হয় দ্বারকাধীশ মন্দির থেকে। এখান থেকেই বারাত বা বরযাত্রীরা বের হন। তাঁদের পাশে থাকা মানুষজন ফুল হাতে হাঁটতে থাকেন। রাস্তা জুড়ে একটা আলাদা পরিবেশ নির্মাণ হয়। এর পরবর্তীকালে মূল অনুষ্ঠানটি হয় সংকুলধারা কুণ্ডে। এখানেই বিভিন্ন গ্রাম গ্রামের মানুষজন হাজির ছিলেন। তাঁরা নানাভাবে ধর্মীয় আচার-আচরণ রীতিনীতি মেনে বর-কনেকে আশীর্বাদ করেন। এর পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের উপ মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য এই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন। ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মহেন্দ্রনাথ পান্ডে। উত্তরপ্রদেশের শিল্পমন্ত্রী নন্দগোপাল গুপ্তা নন্দী এবং বারাণসীর মেয়র অশোক তেওয়ারি।

  • PM Modi: “ওয়েভস হল এক সংস্কৃতি, সৃজনশীলতা এবং সর্বজনীন সংযোগের তরঙ্গ”, মোদির ডাকে তারকার মেলা

    PM Modi: “ওয়েভস হল এক সংস্কৃতি, সৃজনশীলতা এবং সর্বজনীন সংযোগের তরঙ্গ”, মোদির ডাকে তারকার মেলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগে শুরু হল বিশ্বমানের সিনেসম্মেলন ‘ওয়েভস’ (WAVES)। বিশ্বের বিনোদুনিয়ার মানচিত্রে ভারতকে উচ্চস্তরে পৌঁছে দিতে প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) এহেন যুগান্তকারী উদ্যোগকে কুর্নিশ জানালেন অক্ষয় কুমার থেকে শাহরুখ খান। ‘ওয়ার্ল্ড অডিও-ভিডিও সামিট – ওয়েভস ২০২৫’ সম্পর্কে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে বলিউড থেকে দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। বৃহস্পতিবার থেকে মুম্বইয়ের জিও ওয়ার্ল্ড সেন্টারে প্রধানমন্ত্রী মোদির হাতেই সূচনা হল এই সামিটের। বিশ্বের ৯০টি দেশের প্রায় দশ হাজার ব্যক্তিত্বরা অংশ নিয়েছেন এই সম্মেলনে।

    অর্থনীতিতেও অবদান রাখছেন কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা

    বলিউডের বহু খ্যাতনামা ব্যক্তিত্বের উপস্থিতিতে এদিন সম্মেলন শুরু হয়। উপস্থিত ছিলেন, শাহরুখ খান, রণবীর কাপুর, আলিয়া ভাট, দীপিকা পাড়ুকোন, সইফ আলি খান, হেমা মালিনী, অনিল কাপুর, আমির খানদের মতো সিনে তারকারা। এই সম্মেলনে নজর কাড়লেন নাগা চৈতন্য, শোভিতা ধুলিপালার মতো দক্ষিণী তারকারা। শুধু তাই নয়, এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন দেশের বহু ডিজিটাল ক্রিয়েটার ও ৩০০ সংস্থা। উপস্থিত দেশের জনপ্রিয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের কথা প্রধানমন্ত্রী এদিন উল্লেখ করেন। তিনি জানান দেশের অর্থনীতিতেও অবদান রাখছেন কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা। আগামিদিনে ‘ওয়েভস’ (WAVES) অ্যাওয়ার্ড চালু করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী মোদি এদিন সম্মেলনের শুরুতে বলেন, “আজ ১০০টিরও বেশি দেশের শিল্পী থেকে বিনিয়োগকারীরা মুম্বইতে এক ছাদের নীচে একত্রিত হয়েছেন। আজ এখানে সারা বিশ্বের প্রতিভা এবং সৃজনশীলতার একটি ইকো-সিস্টেমের ভিত্তি স্থাপিত হচ্ছে। এ যেন সত্যিই এক তরঙ্গ (Wave)।”

    ভারতীয় চলচ্চিত্র দেশকে বিশ্বের প্রতিটি কোণে পৌঁছে দিয়েছে

    মোদির কথায়, ‘ওয়েভস’ (WAVES) প্রতিটি স্রষ্টার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ওয়েভস হল এক সংস্কৃতি, সৃজনশীলতা এবং সর্বজনীন সংযোগের তরঙ্গ।” মে দিবসের কথাও এদিন উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আজ ১ মে। ১১২ বছর আগে, ১৯১৩ সালের ৩ মে, ভারতে প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘রাজা হরিশচন্দ্র’ মুক্তি পায়। সেই ছবির প্রযোজক ছিলেন দাদাসাহেব ফালকে। গতকাল ছিল তাঁর জন্মবার্ষিকী। গত শতাব্দীতে, ভারতীয় চলচ্চিত্র দেশকে বিশ্বের প্রতিটি কোণে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে।”

    ডাকটিকিট প্রকাশ

    প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “এই প্ল্যাটফর্মে, আমরা ডাকটিকিট প্রকাশের মাধ্যমে ভারতীয় সিনেমার অনেক কিংবদন্তীকে স্মরণ করেছি। বিগত বছরগুলিতে, আমি গেমিং জগতের, সঙ্গীত জগতের, চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সঙ্গে দেখা করেছি।” সকলের প্রচেষ্টা আগামী বছরগুলিতে ‘ওয়েভস’কে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলেও দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে ওয়ার্ল্ড অডিও ভিজ্যুয়াল এন্টারটেইনমেন্ট সামিট (ওয়েভস)-এর কথা উল্লেখ করেন। সেই সময়েই তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, সিনেমা এবং বিনোদন শিল্প কেবল দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে না, তার পাশাপাশি অর্থনীতিকেও চাঙ্গা করছে।

    সৃজনশীল ভারত

    বরাবরই ভারতীয় সংস্কৃতিকে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতে আরও বেশি জনপ্রিয় করার জন্য এগিয়ে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই উদ্যোগেরই বহিঃপ্রকাশ ওয়ার্ল্ড অডিও ভিজ্যুয়াল এন্টারটেনমেন্ট সামিট। এই সামিটের (WAVES) উদ্দেশ্যই হল কীভাবে ভারতীয় সিনে ইন্ডাস্ট্রি তথা বিনোদুনিয়াকে আন্তর্জাতিক আঙিনায় আরও উচ্চস্তরে পৌঁছে দেওয়া যায়। বৃহস্পতিবার মোদির এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বলিউড ও দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির তাবড় অভিনেতা ও অভিনেত্রীরা। এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রীকে মঞ্চে ডেকে নিলেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের দেশ প্রথম থেকেই সৃজনশীলতায় ভরপুর। আমাদের কাছে বিজ্ঞান, কল্প-কাহিনী সব রকমের গল্পগাঁথা রয়েছে। আমাদের সম্পদের ঝুড়ি সমৃদ্ধ ও বৈচিত্রময়। আমাদের সংস্কৃতির অন্যতম শক্তি হল, আমরা অন্যান্য দেশের সংস্কৃতিকে সম্মান করি। যা আমাদের সৃজনশীলতাকে আরও সমৃদ্ধ করে।”

  • India-Pakistan Conflict: সম্মুখ সমরে ভারত-পাকিস্তান! জলে-স্থলে-আকাশে সামরিক শক্তিতে কে, কোথায় দাঁড়িয়ে?

    India-Pakistan Conflict: সম্মুখ সমরে ভারত-পাকিস্তান! জলে-স্থলে-আকাশে সামরিক শক্তিতে কে, কোথায় দাঁড়িয়ে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদীদের হাতে ২৬ জন পর্যটকের নিহত হওয়ার ঘটনায় ভারত-পাকিস্তানের (India-Pakistan Conflict) মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। সীমান্তে পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জবাবে ভারত কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে দুই দেশের সামরিক (India-Pakistan Military Strength) শক্তির তুলনা এখন আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ভারত এবং পাকিস্তান, দুই দেশই পরমাণু শক্তিধর।

    সক্রিয় সেনাসংখ্যা

    স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (SIPRI)-এর তথ্য অনুযায়ী, ভারতের সামরিক বাহিনীতে মোট সক্রিয় সদস্য ১৪ লক্ষ। এর মধ্যে সেনাবাহিনীতে ১২ লক্ষ ৩৭ হাজার, নৌবাহিনীতে ৭৫ হাজার ৫০০ এবং বায়ুসেনায় ১ লক্ষ ৪৯ হাজার ৯০০, উপকূলরক্ষী বাহিনীতে ১৩ হাজার ৩৫০। এছাড়াও ১৬.১৬ লক্ষ আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য রয়েছে। পাকিস্তানের মোট সেনাসংখ্যা ৭ লক্ষ, সেনাবাহিনীতে ৫ লক্ষ ৬০ হাজার, বায়ুসেনায় ৭০ হাজার এবং নৌবাহিনীতে ৩০ হাজার। পাকিস্তানের আধাসামরিক বাহিনী ২.৯১ লাখ সদস্যবিশিষ্ট।

    অস্ত্রভাণ্ডার

    ভারতের অস্ত্রভাণ্ডারে ৯ হাজার ৭৪৩টি কামান রয়েছে। পাকিস্তানের কামানের সংখ্যা ৪ হাজার ৬১৯টি। ভারতের কাছে যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত ট্যাঙ্ক রয়েছে ৩ হাজার ৭৪০টি, পাকিস্তানের ২ হাজার ৫৩৭টি। ভারতের রয়েছে ১,৪৩৭টি ফিক্সড-উইং বিমান, ৯৯৫টি হেলিকপ্টার, ৭,০৭৪টি সাঁজোয়া যান এবং ১১,২২৫টি আর্টিলারি। পাকিস্তানে ৮১২টি ফিক্সড-উইং বিমান, ৩২২টি হেলিকপ্টার, ৬,১৩৭টি সাঁজোয়া যান এবং ৪,৬১৯টি আর্টিলারি রয়েছে। সাঁজোয়া যানে ভারতে কিছুটা অগ্রাধিকার থাকলেও খুব বেশি পার্থক্য নেই।

    পারমাণবিক শক্তি

    ভারত মূলত স্থলভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম। এছাড়া আকাশপথেও পারমাণবিক বোমা বহন করতে পারে এবং সাবমেরিন থেকে পারমাণবিক হামলার সক্ষমতাও গড়ে তুলছে। ভারতের কাছে মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল আছে এবং আন্তঃমহাদেশীয় মিসাইল পরীক্ষাধীন। ভারতের কাছে ১৮০টি ওয়ারহেড রয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রে বা রকেটের যে অংশটিতে রাসায়নিক, জৈবিক বা পারমাণবিক বিস্ফোরক ভরে শত্রুপক্ষের দিকে ছোড়া হয়, সেটিকে ওয়ারহেড বলা হয়। পাকিস্তানের ওয়ারহেডের সংখ্যা ১৭০। পাকিস্তান স্থলভিত্তিক ও আকাশপথে পারমাণবিক অস্ত্র ছুড়তে সক্ষম। তাদের ছোট, মাঝারি ও নিকট পাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল রয়েছে। সাবমেরিন থেকে পারমাণবিক ক্রুজ মিসাইল ছোড়ার সক্ষমতা নেই পাকিস্তানের।

    বায়ুসেনা

    বিশ্বতালিকায় ভারতের বায়ুসেনার স্থান চতুর্থ। ভারতের কাছে রয়েছে ২,২২৯টি এয়ারক্র্যাফট। সেখানে পাকিস্তানের রয়েছে মাত্র ১,৩৯৯টি। শত্রুর বুকে আঘাত হানতে যে কোনও সময় ওড়ার জন্য প্রস্তুত ভারতের ৫১৩টি যুদ্ধবিমান। সেখানে পাকিস্তানের রয়েছে ৩২৮টি। ভারতের হাতে অ্যাটাকিং যুদ্ধবিমান রয়েছে ১৩০টি, ৮৯৯টি হেলিকপ্টার ও ৮০টি অ্যাটাকিং কপ্টার। সেখানে পাকিস্তানের মাত্র ৯০টি অ্যাটাকিং যুদ্ধবিমান, ৩৭৩টি হেলিকপ্টার ও ৫৭টি অ্যাটাকিং কপ্টার।

    নৌসেনা

    নৌবহরের দিক থেকেও পাকিস্তানকে নাস্তানাবুদ করতে তৈরি ভারত। দেশের একদিকে ভারত মহাসাগর, অন্যদিকে আরব সাগর। ফলে বিরাট সমুদ্র অঞ্চলে কড়া নজরদারি চালাতে ভারতের নৌবহর বিশ্বের যে কোনও দেশের তুলনায় বিরাট শক্তিশালী। নৌবহরে বিশ্বে ষষ্ঠস্থানে ভারত। আর পাকিস্তান ২৭ তম স্থানে। ভারতের কাছে যুদ্ধ জাহাজ রয়েছে ২৯৩টি। সেখানে পাকিস্তানের ১২১টি। ভারতের রয়েছে দুটি এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার – আইএনএস বিক্রমাদিত্য এবং আইএনএস বিক্রান্ত। যা পাকিস্তানের নেই। এছাড়া ভারতের ১৮টি ডুবোজাহাজ, পাকিস্তানের ৮টি। ভারতের ১৩টি ডেস্ট্রয়ার, পাকিস্তান ০। ভারতের ফ্রিগেট ১৪টি, পাকিস্তানের ৯টি, করভেট রয়েছে ভারতের ১৮টি, পাকিস্তানের ৯টি। এবং টহলদারি ভেসেল ভারতের ১৩৫টি ও পাকিস্তানের ৬৯টি।

    প্রতিরক্ষা বাজেট

    ২০২৫ সালে ভারতের বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে ৬.৮ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। এর মধ্যে সেনার আধুনিকীকরণের জন্য বরাদ্দ হয় ১.৮ লক্ষ কোটি টাকা। দেশের মোট জিডিপি-র ১.৯ শতাংশ সামরিক খাতে বরাদ্দ করে ভারত। আর বাজেটের ১৩.৪৫ শতাংশ। অন্য দিকে, ২০২৪ সালে পাকিস্তান প্রতিরক্ষা খাতে ২.১২ লক্ষ কোটি বরাদ্দ করেছিল, ভারতীয় মুদ্রায় যা ৬৪ হাজার ৮২ কোটি টাকা। দেশের জিডিপি-র ১.৭ শতাংশ তারা প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ করে।

    গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার ইনডেক্স

    গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের চলতি বছরের সমীক্ষা অনুযায়ী, বিশ্বের ১৪৫টি দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থান চতুর্থ। অন্যদিকে, গত বছরও বিশ্ব তালিকায় ৯ নম্বর স্থানে ছিল পাকিস্তান। সেখান থেকে চলতি বছরে পাকিস্তান নেমে গিয়েছে ১২ নম্বরে। গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার ইনডেক্স (GFP)-এর তথ্যে ভারতের (PwrIndx) স্কোর ০.১১৮৪ এবং পাকিস্তানের স্কোর ০.২৫১৩। এখানে ০.০০ স্কোর সবচেয়ে ভালো বলে ধরা হয়।

    সামরিক আধুনিকীকরণ

    ফেব্রুয়ারি ২০১৯-এ পুলওয়ামায় সিআরপিএফ-এর কনভয়ে আত্মঘাতী হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ভারত পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী ঘাঁটি লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছিল।স২০১৯ সালের পর থেকে ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশই সামরিক আধুনিকীকরণে মনোযোগী হয়েছে। ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বড় অস্ত্র আমদানিকারক দেশ। রাশিয়া প্রধান সরবরাহকারী হলেও, ভারত এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ইজরায়েল এবং দেশীয় উৎপাদনের দিকেও গুরুত্ব দিচ্ছে — যার মধ্যে রয়েছে বিমানবাহী রণতরী, সাবমেরিন এবং হেলিকপ্টার।

LinkedIn
Share