Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • India Bangladesh Relations: ভারত-বিরোধিতার মাশুল! বাংলাদেশকে মোক্ষম শিক্ষা দিল দিল্লি, মাথায় হাত ইউনূসের

    India Bangladesh Relations: ভারত-বিরোধিতার মাশুল! বাংলাদেশকে মোক্ষম শিক্ষা দিল দিল্লি, মাথায় হাত ইউনূসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান ও চিনের সঙ্গে বন্ধুত্ব মজবুত করতে তৎপর ইউনূসের বাংলাদেশ। ভারত-বিরোধিতা (India Bangladesh Relations) এখন পদ্মাপাড়ের মূলমন্ত্র। যে মানচিত্র ভারতের হাত ধরে সৃষ্টি হয়েছিল, সেই মানচিত্রের গ্রাফটাই এখন বদলে গিয়েছে। হাসিনা পরবর্তী যুগে সোনার বাংলাদেশ এখন ছারখার। জঙ্গিদের মুক্তাঞ্চল। তাই চুপ করে কতদিন থাকা যায়! কয়েকদিন আগেই চিনে গিয়ে ভারতের নিন্দা করে এসেছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। বলেছিলেন, ভারতের উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলি ‘ল্যান্ড লকড’। তাদের সমুদ্রপথের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। ওই এলাকার সমুদ্রপথের একমাত্র অভিভাবক বাংলাদেশ। ইউনূসের ওই মন্তব্য ভালোভাবে নেয়নি ভারত। এবার সহজে বাংলাদেশের বাণিজ্যের রাস্তা বন্ধ করে দিল দিল্লি। তৃতীয় কোনও দেশে বাংলাদেশি পণ্য রফতানি করতে ব্যবহার করা যাবে না ভারতের কোনও বন্দর বা বিমানবন্দরের শুল্ককেন্দ্র। সম্প্রতি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার। তবে, ছাড় দেওয়া হয়েছে ভুটান ও নেপালের ক্ষেত্রে। ভারতের ভূখণ্ড হয়ে ভুটান ও নেপালে বাংলাদেশি পণ্য পরিবহণে কোনও প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছে দিল্লি। অর্থাৎ, ভারত দিয়ে এই দুই দেশে আগের মতোই রফতানি করতে পারবে বাংলাদেশ। কিন্তু, মধ্যপ্রাচ্য, আমেরিকা, ইউরোপ বা অন্য বাকি দেশে পণ্য পাঠাতে পারবে না ঢাকা।

    ভারতের সিদ্ধান্ত

    কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৮ এপ্রিলের পর থেকে ভারতের উপর দিয়ে ভুটান ও নেপাল বাদ দিয়ে আর কোনও দেশে পণ্য রফতানির জন্য ল্যান্ড কাস্টম স্টেশন (LCS) বা শুল্ক কেন্দ্র ব্যবহার করতে পারবে না বাংলাদেশ (India Bangladesh Relations)। এতদিন এই সুবিধার মাধ্যমে বাংলাদেশ নিজস্ব পণ্য ভারতে নিয়ে এসে এখানকার বন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে পাঠাতে পারত। এটি দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল। বাংলাদেশের সামগ্রী বিশ্বের অন্যান্য দেশে রফতানির জন্য এই ‘‘ট্রান্স-শিপমেন্ট’’ সুবিধা প্রত্যাহার করা হল। এর জন্য কেন্দ্রীয় পরোক্ষ কর ও শুল্ক বোর্ড (সিবিআইসি) ২০২০ সালের জুন মাসের একটি নিয়ম বাতিল করল, যা বাংলাদেশের পণ্য ভিনদেশে রফতানির জন্য ভারতীয় বন্দর ও বিমানবন্দরের ল্যান্ড কাস্টম স্টেশন ব্যবহার করতে দিত। এতে বিভিন্ন দেশে পণ্য পাঠাতে ভারতের পরিকাঠামোকে ব্যবহার করে এক ছাদের নিচে সব সুযোগ সুবিধা পেত বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। ফলে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের এবার থেকে ওই সব দেশে পণ্য পাঠানোর ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা বাড়বে। সময়ও বেশি লাগবে। খরচও বেশি হবে।

    কেন এই নির্দেশ

    পড়শি দেশকে (India Bangladesh Relations) এই সুবিধা দেওয়া বন্ধ করার জন্য কেন্দ্রকে অনুরোধ করেছিল ভারতীয় রফতানিকারক সংস্থাগুলি। বিশেষ করে বস্ত্র রফতানি সংস্থাগুলির পক্ষ থেকে এই অনুরোধ করা হয়েছিল। ২০২০ সালের জুন মাস থেকে বাংলাদেশকে এই সুবিধা দিয়ে আসছিল ভারত। ভিন দেশে পণ্য রফতানির জন্য এই সুবিধা ব্যবহার করত বাংলাদেশ। ৮ এপ্রিলের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই সংক্রান্ত পূর্ববর্তী নির্দেশিকা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা হচ্ছে। তবে যে সব পণ্য ইতিমধ্যে ভারতে প্রবেশ করেছে, সেগুলিকে পূর্বের নির্দেশিকা অনুসারে ভারত থেকে বেরোতে দেওয়া হবে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, বাংলাদেশকে ওই সুবিধা দেওয়ার ফলে এ দেশের বন্দর এবং বিমানবন্দরগুলিতে ভিড় বৃদ্ধি পাচ্ছিল। এর ফলে ভারতীয় সংস্থাগুলির রফতানিতে সমস্যা হচ্ছিল। সেই কারণে বাংলাদেশকে ওই সুবিধা দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে। তবে বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, নেপাল এবং ভুটানে পণ্য রফতানি করতে বাংলাদেশের কোনও সমস্যা হবে না।

    ভারতের সুবিধা

    সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করতে বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, ভারতীয় বিমানবন্দর এবং বন্দরগুলির এলসিএস-গুলিতে বাংলাদেশি পণ্যবাহী ট্রাক-শিপমেন্ট এসে ভিড় জমাত। এতে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত সময় ও টাকা খরচ হচ্ছিল। অ্যাপারেল এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিলের (AEPC) চেয়ারম্যান সুধীর শেখরি বলেছেন, “ভারতীয় ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগের নিষ্পত্তি হল। প্রতিদিন ২০-৩০ বাংলাদেশি পণ্য বোঝাই ট্রাক দিল্লিতে এসে অপেক্ষা করত ভিনদেশে যাওয়ার জন্য। এতে আমাদের এক্সপোর্টাররা সমস্যার পড়ছিলেন। কার্গোতে আমাদের পণ্যের পর্যাপ্ত জায়গা হচ্ছিল না।” এই সিদ্ধান্তের ফলে বস্ত্র, জুতো, মূল্যবান পাথর এবং গয়নার ক্ষেত্রে ভারতীয় রফতানিকারক সংস্থাগুলির সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বস্তুত, বস্ত্র রফতানি ক্ষেত্রে ভারতের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হল বাংলাদেশ। ভারতীয় রফতানি সংস্থাগুলির সংগঠন ‘ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশন’ (এফআইইও)-এর মহাপরিচালক অজয় সহায় বলেন, “এর ফলে ভারতীয় রফতানি পণ্যের জন্য বিমানে আরও বেশি জায়গা পাওয়া যাবে। অতীতে রফতানিকারক সংস্থাগুলি প্রায়শই অভিযোগ করত, বাংলাদেশি পণ্যের জন্য তারা কম জায়গা পাচ্ছে।”

    কূটনীতিকদের অভিমত

    সম্প্রতি চিনে গিয়ে নিজের পায়ে নিজেই কুড়ুল মেরে এসেছিলেন ইউনূস। নিজেদের সমুদ্রের অভিভাবক বলে চিনকে বিনিয়োগ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, বাংলাদেশে (India Bangladesh Relations) এসে ব্যবসার জন্য, প্রচুর জিনিস বানাতে। বিক্রির জন্য বাংলাদেশের বাজার উন্মুক্ত। চিনের সঙ্গে বাংলাদেশের এই বন্ধুত্ব ভারত ভালো চোখে দেখেনি। তার ওপর যখন শিলিগুড়ির চিকেনস্ নেকের কাছে বাংলাদেশের মাটিতে চিনকে বিমানঘাঁটি তৈরির আহ্বান জানিয়ে বসেন ইউনূস, তখন ভারত আর চুপ করে বসে থাকেনি, বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। চিন সফরে গিয়ে ইউনূসকে বলতে শোনা যায়, “ভারতের পূর্ব প্রান্তের সাতটি রাজ্য, যাদের সেভেন সিস্টার্স বলা হয়। ওই বিরাট অঞ্চল কিন্তু পাহাড় আর স্থলভাগে ঘেরা। সমুদ্রপথে যোগাযোগ করার উপায়ই নেই তাদের। বাংলাদেশই হল সমুদ্রপথের রাজা। তাই ওই এলাকায় চিনা অর্থনীতির বিস্তার ঘটতেই পারে।” এই মন্তব্যের ইঙ্গিত অত্যন্ত স্পষ্ট যে, ভারতের ৭ রাজ্য (সেভেন সিস্টার)কে ভেঙে ফেলতে চায় বাংলাদেশ। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে এই একই ইচ্ছা চিনের। যদিও সেই চৈনিক চাল বারবার ব্যর্থ হয়েছে। এবার বাংলাদেশের মুখে এমন মন্তব্যে দুয়ে দুয়ে চার করতে খুব একটা অসুবিধা হচ্ছে না ভারতের। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের কফিনের অন্যতম পেরেক ইউনূসের এই মন্তব্য। তাই এবার ব্যবসার রাস্তা বন্ধ করে ঢাকাকে বার্তা দিল দিল্লি।

    বিপদে বাংলাদেশ

    ব্যবসায়ীদের মতে, ভারতের এই এক সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের পণ্য রফতানি ও ব্যবসায় ব্যাপক প্রভাব পড়তে চলেছে। বিশেষত ঢাকার বস্ত্র রফতানি এতে প্রত্যক্ষভাবে প্রভাবিত হবে। এতদিন ধরে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা ব্যবহার করে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রচুর পণ্য পাঠাত বাংলাদেশ, বিশেষত জামাকাপড়। ভারতের মাটি, বায়ুপথ ও বন্দরের শুল্ককেন্দ্র ব্যবহার করে অনেক কম খরচ ও কম সময়ে ভিনদেশে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপ-আমেরিকায় পণ্য পাঠাত বাংলাদেশ। কিন্তু এবার সেই সুযোগ বন্ধ হল। এখন থেকে বাংলাদেশকে সমুদ্রপথ বা আকাশপথে রফতানির বিকল্প ভাবতে হবে, যা তুলনামূলকভাবে ব্যয়বহুল। লজিস্টিক সমস্যা ও সময়ে পণ্য পৌঁছতে দেরি হবে। ফলে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়বে ঢাকা। গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের প্রতিষ্ঠাতা অজয় শ্রীবাস্তব বলছেন, “বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের রফতানি এবার মার খাবে। এতদিন ভারত যে সুবিধা দিত তাতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের শুধু অনেক টাকাই বাঁচত না, সময়ও বাঁচত।” তিনি আরও জানান, গত ২০ বছর ধরে বাংলাদেশকে সন্তানসুলভ প্রশ্রয় দিয়ে এসেছে ভারত। পণ্যের উপর শূন্য শুল্ক থেকে অগ্রাধিকার— কী না দেওয়া হয়নি। মদ ও সিগারেট ছাড়া নেপাল, ভুটানের মতো দেশে বাংলাদেশ সব পণ্য বিনা শুল্কে এতদিন পাঠিয়ে এসেছে। তাও ভারত-বিরোধিতা (India Bangladesh Relations) করতে পিছপা হননি ইউনূস। তাই পরিবর্তিত বাংলাদেশকে শিক্ষা দিতেই এই পদক্ষেপ ভারতের।

  • Aadhaar scam: তৈরি হয়েছিল ফেক পোর্টাল! দেশব্যাপী আধার কার্ড জালিয়াতির বিরাট চক্র ধরল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ

    Aadhaar scam: তৈরি হয়েছিল ফেক পোর্টাল! দেশব্যাপী আধার কার্ড জালিয়াতির বিরাট চক্র ধরল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে জাল আধার কার্ড চক্রের বড়সড় পর্দাফাঁস (Aadhaar scam) করল উত্তরপ্রদেশের সম্ভলের (Sambhal Police) প্রশাসন। এই ঘটনায় চারজন অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করেছে তারা। এত বড় চক্রের পর্দা ফাঁস করে উত্তরপ্রদেশের বাহজয়ী পুলিশ স্টেশন। গত ২ মার্চ এই থানাতে একটি অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ দায়ের করেন ওই থানার অন্তর্গত বাহারওয়ালি গ্রামের বাসিন্দা চন্দ্রসেন। এই অভিযোগ দায়ের করা হয় বিনোদ সিংয়ের বিরুদ্ধে। বিনোদ ছিলেন পঞ্চম সিংয়ের ছেলে। ওই বিনোদ প্রতারণা করে একটি ট্রাক্টর নেন তাঁর অসুস্থ সন্তানের নামে। কিন্তু তাঁর সন্তানের মৃত্যুর পরে ওই ট্রাক্টরটি তিনি অবৈধভাবে বিক্রি করে দেন অন্য একজনকে। এরপরে বিনোদ তাঁর বাবার আধার কার্ড জাল (Aadhaar scam) করে আর্থিক লাভ নেওয়া শুরু করেন, প্রধানমন্ত্রীর জীবনজ্যোতি বিমার আওতায়।

    গ্রামে গ্রামে গিয়ে আধার কার্ডে তথ্য সংগ্রহ করত এই চক্র

    এরপরই অভিযোগ সামনে আসে এবং বাহজয়ী পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের হয়। শুরু হয় তদন্ত। সেখানেই ধরা পড়ে চক্র। একটি গ্যাংয়ের কথা উঠে আসে। যারা দেশজুড়ে বিভিন্ন জেলায় গ্রামে গ্রামে গিয়ে আধার কার্ড ও জনবিন্যাস সংক্রান্ত নানা সংগ্রহ করত (Aadhaar scam)। এগুলিই তারা ব্যবহার করত বিভিন্ন প্রতারণার কাজে। এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। যাদের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁ এবং আমরোহা জেলাতে। ধৃতদের কাছ থেকে ল্যাপটপ, কম্পিউটার, সিস্টেম ডিভাইস, বায়োমেট্রিক ডেটা, বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহের সরঞ্জাম এই সমস্ত কিছু উদ্ধার হয়েছে। এর পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে রবার (নকল) ফিঙ্গারপ্রিন্ট, জাল পাসপোর্ট, ১৩টি রাজ্যের ৪২ টি জাল জন্মের শংসাপত্র, মোবাইল ফোন, ৩৬টি প্যান কার্ড, ৪০০টি আধার এনরোলমেন্ট অ্যাপ্লিকেশন উদ্ধার হয়েছে।

    আধারের ফেক প্রোফাইলও তৈরি করেছিল এই চক্র

    শুধু তাই নয়, অনলাইন আধারের জন্য যে পোর্টাল চালু রয়েছে ইউআইডিএআই, কোডিং ব্যবহার করে তারাও এরকম একটি ফেক ইউআইডিএআই পোর্টাল তৈরি করেছিল (Aadhaar scam) জালিয়াতরা। এর মাধ্যমে প্রতারণার কাজ চলত। তদন্তের সময় বিনোদের মোবাইল পরীক্ষা করে পুলিশ। সেখানেই পুলিশ দেখে যে তাঁর বাবার নামে দুটি আধার কার্ড রেজিস্টার করা আছে। এই দুটি আধার কার্ড সে ব্যবহার করত। একটি জন্ম তারিখ ১ জানুয়ারি ১৯৫৫, অপরটির জন্ম তারিখ ১ জুলাই ১৯৭৬। পঞ্চম সিংয়ের আধার কার্ড লিঙ্ক ছিল বিনোদের মোবাইল ফোনের সঙ্গে (Sambhal Police)।

  • Temperature: বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ! হঠাৎ করেই জ্বরের প্রকোপ? সন্তানকে সুস্থ রাখতে কোন খাবার জরুরি?

    Temperature: বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ! হঠাৎ করেই জ্বরের প্রকোপ? সন্তানকে সুস্থ রাখতে কোন খাবার জরুরি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এপ্রিলের শুরুতেই চড়ছে তাপমাত্রার পারদ। রোদের তাপে বাইরে থাকা যথেষ্ট কষ্টকর।‌ আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলেই জানাচ্ছেন আবহবিদরা। আর এই আবহাওয়ায় (Temperature) শিশুদের জ্বরের প্রকোপ বাড়ছে, যা অভিভাবকদের একাংশের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বহু শিশুর শরীরের তাপমাত্রা হঠাৎ করেই বেড়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে শিশুকে সুস্থ রাখতে ঘরোয়া উপাদানেই ভরসা রাখছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কেন শিশুদের মধ্যে জ্বরের প্রকোপ বাড়ছে (Temperature)?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তাপমাত্রার পারদ বাড়ছে। কিন্তু জলীয় বাষ্প বাড়ছে না। অর্থাৎ, গরম লাগলেও সেরকম ঘাম হচ্ছে না। বরং বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাইরে গরম হাওয়া দিচ্ছে। আর এই আবহাওয়া শরীরকে শুকিয়ে দিচ্ছে। শরীরে জলের ভাব কমে যাচ্ছে। আর এর ফলেই শিশুদের শরীরে নানান রোগ বাসা বাঁধছে। দেখা দিচ্ছে নানান ভাইরাস ঘটিত অসুখ। যার ফলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। আবার শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের শরীরের সোয়েট গ্ল্যান্ড অর্থাৎ, যেখান থেকে ঘাম নিঃসরণ হয়, তা প্রাপ্তবয়স্কদের মতো সক্রিয় হয় না। এর ফলে বাইরের তাপমাত্রা বাড়লে শরীর নিজের তাপমাত্রার সঙ্গে সেটা মানিয়ে নিতে পারে না। এর ফলে হঠাৎ করেই তাপমাত্রার পারদ চড়লে, শরীরের তাপমাত্রাও বাড়তে থাকে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকে ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, শিশুর শরীরের তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের কাছাকাছি। কিন্তু সর্দি-কাশি বা অন্য কোনও উপসর্গ নেই। অভিভাবকদের উদ্বেগ বাড়ছে। আবহাওয়ার কারণেই শিশুদের এই ভোগান্তি বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    শিশুর শরীর সুস্থ রাখতে কোন ঘরোয়া উপাদানে ভরসা বিশেষজ্ঞ মহলের?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, চলতি মাসে গরম আরও বাড়বে। তাই প্রথম থেকেই সতর্কতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ায় অতিরিক্ত পরিমাণ জল খাওয়া দরকার। সাধারণত নিয়মিত শিশুদের তিন থেকে চার লিটার জল খাওয়া দরকার। কিন্তু এই শুকনো আবহাওয়ায় জল খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অন্তত দিনে পাঁচ লিটার জল খাওয়া দরকার। তাতে শরীরে জলের পরিমাণ ঠিক থাকবে। ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকিও কমবে। আবার শরীরের তাপমাত্রাও (Temperature) স্বাভাবিক থাকবে।

    লেবুর রস নিয়মিত খাওয়ান (Temperature)

    শিশুদের জলের পাশপাশি শশা, তরমুজ, লেবু জাতীয় রসালো ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের ফলে শরীরে জলের পরিমাণ ঠিক থাকবে। পাশপাশি এই ধরনের ফলে শরীরে এনার্জির ঘাটতি সহজেই পূরণ হয়। আবার লেবুর রস নিয়মিত খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। প্রচণ্ড গরমে এতে যে কোনও ভাইরাস ঘটিত অসুখের বিরুদ্ধে মোকাবিলাও সহজ হয়।

    ডাবের জল খাওয়া জরুরি

    এই আবহাওয়ায় সুস্থ থাকতে নিয়মিত ডাবের জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডাবের জলে থাকে একাধিক খনিজ পদার্থ। তাই এই আবহাওয়ায় ডাবের জল অত্যন্ত উপকারী। এতে শরীরের আদ্রতা বজায় থাকে। আবার পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজের মতো খনিজ উপাদান শরীরের ক্লান্তি দূর করে। তাই শিশুদের (Child Health) নিয়মিত একটি ডাবের জল খাওয়া জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    মৌরি ও মিছরি ভেজানো জল অন্ত্রের জন্য ভালো

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের গরমে (Temperature) মৌরি এবং মিছরি মিশিয়ে সারারাত ভিজিয়ে রেখে, সকালে খালি পেটে ওই ভেজানো জল খেলে শরীরে একাধিক উপকার পাওয়া যাবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, মৌরি ও মিছরি ভেজানো জল অন্ত্রের জন্য বিশেষ উপকারী। এই আবহাওয়ায় শিশুদের হজমের সমস্যা হয়। তাই জল খেলে অন্ত্র ভালো থাকে। হজমের গোলমাল কমে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Daily Horoscope 10 April 2025: ব্যবসা ভালো চলবে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 10 April 2025: ব্যবসা ভালো চলবে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

     

    মেষ

    ১) ব্যবসায় সুখবর আসতে পারে।

    ২) প্রেমের বাধা কেটে গিয়ে সুখের সময় আসতে চলেছে।

    ৩) দিনটি অনকূল।

    বৃষ

    ১) অনিচ্ছা সত্ত্বেও এমন কিছু কাজ করতে হতে পারে, যা নিয়ে পরে অনুতাপ হবে।

    ২) ভালো কাজে সময় ব্যয় হতে পারে।

    ৩) ধৈর্য্য ধরতে হবে।

    মিথুন

    ১) নতুন ব্যবসা নিয়ে সংশয় বাড়তে পারে।

    ২) সকাল থেকে কোনও জটিল সমস্যার ভিতর পড়তে হতে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    কর্কট

    ১) কোনও বন্ধুর উপকার করতে গিয়ে বিপদে পড়তে পারেন।

    ২) সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে পারেন।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    সিংহ

    ১) ব্যবসায় শান্তির পরিবেশ পেতে পারেন।

    ২) কোনও অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শ আপনার কাজে আসবে।

    ৩) ধর্মস্থানে যাত্রা করতে পারেন।

    কন্যা

    ১) কোনও ভালো জিনিস আপনার হাতে নষ্ট হতে পারে।

    ২) অতিরিক্ত পরিশ্রমের মূল্য পাবেন না।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    তুলা

    ১) দুপুরের পরে কোনও ভালো খবর আসতে পারে।

    ২) ব্যবসা ভালো চলবে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃশ্চিক

    ১) ব্যবসায় চাপ বৃদ্ধির সঙ্গে লাভও ভালো হবে।

    ২) সন্তানদের জন্য চিন্তা বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) কাজে সাফল্য আসবে।

    ধনু

    ১) শুভকাজ থাকলে সেরে ফেলুন।

    ২) সতর্ক না থাকলে কর্মক্ষেত্রে সম্মানহানির যোগ।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    মকর

    ১) শত্রুভয় কাজ করতে পারে।

    ২) গৃহনির্মাণের পরিকল্পনা সফল হতে পারে।

    ৩) সবাই প্রশংসা করবে।

    কুম্ভ

    ১) নতুন বন্ধু হতে পারে।

    ২) চাকরির পদোন্নতিতে বিদেশযাত্রার যোগ।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    মীন

    ১) সকালের দিকে ভ্রমণের ইচ্ছা বাড়তে পারে।

    ২) কারও কাছে অপদস্থ হতে পারেন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Mahaveer Jayanti: সকল জীবকে সম্মান করার কথা বলতেন মহাবীর, আজ জন্ম জয়ন্তীতে জানুন তাঁর বাণী

    Mahaveer Jayanti: সকল জীবকে সম্মান করার কথা বলতেন মহাবীর, আজ জন্ম জয়ন্তীতে জানুন তাঁর বাণী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জৈন ধর্মের ২৪তম তীর্থঙ্কর হলেন বর্ধমান মহাবীর। আজ বৃহস্পতিবার ১০ এপ্রিল দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে মহাবীর জয়ন্তী (Mahaveer Jayanti)। প্রতি বছর চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে মহাবীর জয়ন্তী পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটি জৈন সম্প্রদায়ের মানুষেরা আড়ম্বরের সঙ্গে পালন করে থাকেন। মহাবীর তাঁর জীবদ্দশায় অহিংসা ও আধ্যাত্মিক স্বাধীনতার প্রচার করেছিলেন এবং মানুষকে সকল জীবের প্রতি সম্মান করতে শিখিয়েছিলেন। তিনি সত্য ও অহিংসার মতো বিশেষ শিক্ষার মাধ্যমে বিশ্বকে সঠিক পথ দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন। অসংখ্য মানুষকে জীবনের আধ্যাত্মিক মার্গ দেখিয়েছিলেন তিনি।

    মহাবীরের জীবন (Mahaveer Jayanti)

    কথিত আছে যে, ভগবান মহাবীর বিহারের কুন্দলপুরের রাজ ঘরানায় ৫৯৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। শৈশবে তাঁর নাম ছিল বর্ধমান। ৩০ বছর বয়সে তিনি সিংহাসন ত্যাগ করে আধ্যাত্মিকতার পথে হাঁটেন। জৈন ধর্মে বিশ্বাস করা হয় যে, ১২ বছরের কঠোর নীরব তপস্যার পর ভগবান মহাবীর তাঁর ইন্দ্রিয়কে জয় করে ছিলেন। নির্ভীক, সহনশীল এবং অহিংস হওয়ার কারণে তাঁকে মহাবীর নাম দেওয়া হয়েছিল। ৭২ বছর বয়সে তিনি পাওয়াপুরী থেকে মোক্ষলাভ করেন। সাধকদের মধ্যে মহাবীর যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিলেন। তাঁকে শান্তি, সম্প্রীতি, পবিত্রতা, ধর্ম প্রচারকের একজন বলে মনে করা হতো। মহাবীর ছিলেন জৈন ধর্মের সব থেকে বড় গুরু এবং ২৪ তম সর্বশেষ তীর্থঙ্কর।

    কীভাবে পালন করা হয় এই দিনটি

    সর্বোপরি মহাবীর জয়ন্তীর (Mahavir Jayanti 2025) উৎসব জৈন ধর্মের প্রতিষ্ঠাতাকে উৎসর্গ করা হয়। মহাবীর জয়ন্তীর দিন, জৈন ধর্মের লোকেরা প্রভাতফেরি, শোভাযাত্রা বের করেন। তার পরে মহাবীরের মূর্তি সোনা ও রুপোর কলসে অভিষেক করা হয়। এই সময়, জৈন সম্প্রদায়ের গুরু ভগবান মহাবীরের (Mahavir Jayanti) শিক্ষার কথা বলা হয় এবং সেগুলিকে অনুসরণ করতে শেখানো হয়।

    মহাবীরের বাণী:-

    ১) কোনও প্রাণী বা জীবকে আঘাত, গালিগালাজ, নিপীড়ন, দাসত্ব করানো, অপমান, যন্ত্রণা দেওয়া, নির্যাতন বা হত্যা করা অনুচিত।

    ২) রাগ থেকেই আরও রাগের জন্ম দেয়। ক্ষমা ও ভালোবাসা আরও ক্ষমা ও ভালোবাসার দিকে পরিচালিত করে।

    ৩) নিজে বাঁচো, সকলকে বাঁচতে দাও, কাউকে আঘাত কোরোনা। জীবন সকলের কাছে প্রিয়।

    ৪) আনন্দেই হোক বা কষ্টেই হোক, সুখেই হোক বা দুঃখে, সকল প্রাণীকে সেই নজরেই দেখা উচিত, যেভাবে আমরা নিজেদের দেখি।

    ৫) অহিংসাই হল সবচেয়ে বড় ধর্ম।

  • SSC Jobless Teachers: ‘এই সরকারকে আমরাই টেনে নামাব’, রণহুঙ্কার চাকরিহারাদের! শিক্ষকদের উপর নির্মম লাঠিচার্জ পুলিশের

    SSC Jobless Teachers: ‘এই সরকারকে আমরাই টেনে নামাব’, রণহুঙ্কার চাকরিহারাদের! শিক্ষকদের উপর নির্মম লাঠিচার্জ পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরিহারাদের উপর্যুপরি বিক্ষোভে উত্তাল বাংলা। কলকাতা থেকে জেলা, সর্বত্র চাকরিহারাদের প্রবল বিক্ষোভ (Teachers Protest) চলল দিকে-দিকে। মঙ্গলবারের পর বুধবারেও জেলায়-জেলায় চলল প্রতিবাদ-বিক্ষোভ। রাজ্যজুড়ে গণ-আন্দোলন চাকরিহারাদের (SSC Jobless Teachers)। এর মধ্যেই প্রতিবাদ দেখাতে গিয়ে পুলিশের বর্বরোচিত আক্রমণের শিকার হলেন চাকরিহারারা। বুধবার রাজ্য জুড়ে ডিআই অফিস ঘেরাও অভিযানে নামেন চাকরিহারারা। আর তাতেই ধরা পড়ে বিপন্নতার ছবি। পেটের অন্ন কেড়ে নিয়ে তাদের উপরেই লাঠি চালাল পুলিশ-প্রশাসন। এরপর আর নিজেদের শান্ত রাখতে পারেননি চাকরিহারারা। রণংদেহী মূর্তি নেন তাঁরা। এক চাকরিহারা বললেন, ‘‘মিলিয়ে নেবেন, এ সরকার টিকবে না, লিখে দিলাম। সরকারকে আমরাই টেনে নামাব।’’

    কসবায় ধুন্ধুমার

    কসবায় চাকরিহারা (SSC Jobless Teachers) মিছিল করে ডিআই অফিসের উদ্দেশে আসছিলেন। ডিআই অফিসের কাছে আসতেই পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় তাঁদের। কসবার ডিআই অফিসের তালা ভেঙে ডিআই অফিসের ভেতরে ঢুকতে চাইছিলেন চাকরিহারারা। স্কুল পরিদর্শকের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন চাকরিহারারা। তবে শিক্ষকরা ডিআই অফিসে ঢোকার চেষ্টা করতেই তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। পুলিশ টেনে হিঁচড়ে চাকরিহারাদের সরানোর চেষ্টা করে। পড়ে যান বেশ কয়েকজন। ওই অবস্থাতেই লাঠিপেটা করা হয় বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকজন লাঠির আঘাতে গুরুতর চোট পান। মহিলাদেরও লাঠিচার্জ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে (Teachers Protest) ডিআই অফিসের সামনেই শুয়ে পড়ে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন চাকরিহারারা। এক চাকরিহারা অচৈতন্য হয়ে পড়েন। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এক চাকরিহারা ক্ষোভে ফেটে বলেন, “মিলিয়ে নেবেন, এ সরকার টিকবে না, লিখে দিলাম। সরকারকে আমরাই টেনে নামাব। আমরাই তো সমাজের মুখ।” তিনি প্রশ্ন তুললেন, “একজন শিক্ষিকাকে নীচে নামিয়ে মাটিতে ফেলে পিটিয়ে মারছে পুলিশ! এটা কীসের আইন? কোথাকার আইন? আইন শেখেনি ওরা? লজ্জা নেই, হাসছে।” চাকরিহারাদের দাবি, “আমাদের একটাই দাবি, মিরর ইমেজ প্রকাশ করা হোক। এসএসসির কাছে আছে, কিন্তু সেই মিরর ইমেজ প্রকাশ করা হচ্ছে না।”

    শিক্ষকদের নির্মমভাবে লাঠিপেটা পুলিশের

    চাকরিহারা শিক্ষকদের (SSC Jobless Teachers) অভিযোগ, কসবার ডিআই অফিসের সামনে চাকরিহারা শিক্ষকদের নির্মমভাবে লাঠিপেটা করে পুলিশ। কখনও ঘাড়ধাক্কা তো কখনও সপাং-সপাং করে লাঠি চালায় তারা। আবার কখনও বুট পরা পায়ে সজোরে লাথি। রক্তাক্ত হয়ে লুটিয়ে পড়েন একাধিক শিক্ষক। আহত হন ২ শিক্ষক, অভিযোগ চাকরিহারাদের। লাঠিচার্জে আহত শিক্ষকদের বক্তব্য, পুলিশ কেন এভাবে অমানবিক ভাবে তাদের ওপর লাঠিচার্জ করল? তারা শুধুমাত্র নিজেদের অধিকারের দাবি জানাতে এসেছিলেন। পুলিশ নিজে হেলমেট পরে শিক্ষকদের লাথি, কিল মেরেছে, গলা ধাক্কা দিয়েছে। কসবায় এক শিক্ষক বলেন, ‘‘পেটে আগুন জ্বলছে। সারা বাংলায় এবার আগুন জ্বলবে।’’ অপর এক শিক্ষিকা বলেন, “ওখানে উনি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন আর এখন পুলিশ লাঠিপেটা করছে। আমাদের ন্যায্য দাবি চাইতে এসেছি।” আর এক শিক্ষিকা বলেন, “আমাদের ক্লাসরুমে থাকার কথা ছিল। সেই জায়গায় আমাদের রাস্তায় থাকতে হচ্ছে। আপনাদের সন্তানদেরই তো পড়াই। আমাদের লাথি মারছেন!”

    সরকারি নির্দেশেই লাঠিপেটা!

    পুলিশের মারে আর্তনাদ বিক্ষোভকারীদের (Teachers Protest)। “এরা পুলিশ নয়, এরা পার্টির দালাল। এরা পার্টির দালাল, কোন অর্ডারে এরা মেরেছে…আমরা কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি করিনি। আমরা শিক্ষক, যোগ্য শিক্ষক।” বারবার চিৎকার করেও লাভ হয় না। লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে এসে ঘা দেওয়া হয় সজোরে। সহকর্মীকে সাহায্য করতে এগিয়ে গেলেন যাঁরা, তাঁরাও রেহাই পেলেন না। এক মহিলা চাকরিহারার (SSC Jobless Teachers) আর্তনাদ “সেনসিটিভ জায়গা দেখে দেখে লাঠি মারছে। ভীষণ রকম অসভ্য, বর্বরের মতো আচরণ! এটা কি সরকারি নির্দেশ ছাড়া হয়। উনি ওখানে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, আর এখানে লাঠিচার্জ করার নির্দেশ দিচ্ছেন!” পুলিশের মার খেয়ে তখন রক্ত ঝরছে। গলা ভেঙে গিয়েছে। চোখে ক্ষোভের আগুন। এক চাকরিহারার চিৎকার “লাঠিপেটা করে কী হবে, গুলি করুন গুলি, কপালে গুলি করে মেরে দিন।” কেউ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর যদি দম থাকে, আমাদের সঙ্গে ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ভাসা ভাসা বক্তব্য নয়, ওয়ান টু ওয়ান বক্তব্য করতে বলবেন, আমাদের সঙ্গে। উনি কতটা আইন জানেন, আমি তাই দেখব। আমাদের সমস্ত কিছু শেষ। এবার ওঁরা আমাদেরকে যদি না তুলে ধরেন তাহলে আমাদের আর কিচ্ছু হাতে নেই। সব হারিয়ে ফেলেছি। রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছি।”

    কসবা কাণ্ডের প্রতিবাদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    বুধবার চাকরিহারাদের ভবিষ্যত নিয়ে বিকাশভবনে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে চিঠি দেওয়ার কথা ছিল প্রাক্তন বিচারপতি তথা বর্তমান বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা সেই চিঠি ব্রাত্য বসুর হাতে তুলে দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু কসবায় বিক্ষোভরত শিক্ষকদের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে সেই চিঠি ছিঁড়ে ফেলেন তিনি। অভিজিৎ জানিয়েছেন, বিক্ষোভরত চাকরিহারাদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে বিকাশভবন যাবেন না তিনি। তার আগে, বুধবার এসএসসি দফতরে গিয়ে চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন অভিজিৎ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচী।

    জেলায় জেলায় চাকরিহারাদের বিক্ষোভ

    বুধবার, জেলায় জেলায় ডিআই অফিস ঘেরাওয়ের ডাক দেন চাকরিহারা শিক্ষকরা (SSC Jobless Teachers)। বিভিন্ন জেলায় শিক্ষকরা ডিআই অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান। তাতে দিকে দিকে ধুন্ধুমার কাণ্ড। হুগলি, বীরভূম সহ একাধিক জেলাতেও শিক্ষকদের আন্দোলনে তুলকালাম পরিস্থিতি। কোচবিহার, বারাসত কৃষ্ণনগর, শিলিগুড়ি, মুর্শিদাবাদ, সর্বত্র এই অশান্তির আগুন ক্রমশ ছড়াচ্ছে। যোগ্য শিক্ষকদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে ডিআই অফিসে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ অভিযান ও ডি আই কে ডেপুটেশন যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চের। বুধবার বেলা ১২টা নাগাদ মুর্শিদাবাদ ডিআই অফিসের সামনে জড়ো হয় জেলার চাকরিহারা বঞ্চিত শিক্ষকরা। এদিন শিক্ষক শিক্ষিকারা ডিআই অফিসে এসেই অফিসের মূল গেটে চেন ও তালা ঝুলিয়ে দেয়। তারা বিক্ষোভ অভিযান শুরু করে। এরপরে তারা ডিআই অফিসের সামনে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ আন্দোলন করে।

    শিলিগুড়ি থেকে নদিয়া পথে শিক্ষকরা

    হুগলিতে ডিআই অফিসে গিয়ে গেটে তালা মারেন শিক্ষকরা (SSC Jobless Teachers)। শিলিগুড়িতেও ডিআই অফিসে তালা ঝোলানো হয়েছে। মালদাতেও চাকরিহারাদের ডিআই অফিস অভিযানকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধে। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। বালুরঘাটেও পথে নামেন চাকরিহারারা। সকালে রঘুনাথপুর এলাকা থেকে বিক্ষোভ (Teachers Protest) মিছিল শুরু করেন তাঁরা। তবে সেই মিছিল ডিআই অফিসের সামনে যেতেই পুলিশি বাধার মুখে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে ডিআই অফিসের সামনে জড়ো হন চাকরিহারা শিক্ষকরা। তার পর তাঁরা অফিসের মূলগেটে তালা ঝুলিয়ে সেখানেই রাস্তার উপর বসে বিক্ষোভ দেখান। পশ্চিম মেদিনীপুরে ডিআই অফিসের সামনেও বিক্ষোভ দেখান চাকরিহারারা। অভিযোগ, সেখানেও জেলা স্কুল পরিদর্শককে অফিসে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। নদিয়াতেও একই ছবি ধরা পড়েছে। কৃষ্ণনগরে জেলা স্কুল পরিদর্শকের দফতরের সামনেও বিক্ষোভ দেখান চাকরিহারারা। টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে দফায় দাফায় বিক্ষোভ চলে।

    বিজেপির লালবাজার অভিযানেও ধুন্ধুমার

    কসবায় চাকরিহারাদের (SSC Jobless Teachers) ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে বিজেপি বিধায়কদের ‘লালবাজার অভিযান’ ঘিরেও চলে তুলকালাম। বিজেপি বিধায়কদের প্রবল বিক্ষোভ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে লালবাজার চত্বর। রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছিলেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পালরা। তাঁজদের প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। শঙ্কর ঘোষ একসময় রাস্তায় শুয়ে পড়েছিলেন। তাঁকে চ্যাংদোলা করে পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়েছে। বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে এদিন তুমুল ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় পুলিশকর্মীদের। কসবার ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে আটক হন বিজেপি বিধায়করা।

  • Dadi Ratan Mohini: প্রয়াত ব্রহ্মা কুমারীর কর্ণধার দাদি রতন মোহিনী, শোক প্রকাশ রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    Dadi Ratan Mohini: প্রয়াত ব্রহ্মা কুমারীর কর্ণধার দাদি রতন মোহিনী, শোক প্রকাশ রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রহ্মা কুমারী সংস্থানের (Brahma Kumari) কর্ণধার দাদি রতন মোহিনী প্রয়াত হলেন। ভারতবর্ষের আধ্যাত্মিক জগতের অন্যতম খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব ছিলেন দাদি রতন মোহিনী (Dadi Ratan Mohini)। সমাজ সংস্কার তথা সমাজ গঠনে তাঁর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল বলে জানা যায়। গভীর আধ্যাত্মিকতা, সহানুভূতির সঙ্গে নেতৃত্ব দান করতেন রতন মোহিনী। তিনি দেশ-বিদেশে আধ্যাত্মিকতা তথা ভারতীয় সংস্কৃতির প্রচারে অসংখ্য কাজ করেছেন বলে জানা যায়। ব্রহ্মা কুমারী সংস্থানের দাদি রতন মোহিনী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন ১০১ বছর বয়সে। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গে সঙ্গে সমাপ্ত হল একটি যুগ। দেশ বিদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য ভক্ত তাঁর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন। রতন মোহিনীর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মু, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও আরএসএস প্রমুখ মোহন ভাগবত।

    শোক প্রকাশ রাষ্ট্রপতির

    দাদি রতন মোহিনীর (Dadi Ratan Mohini) প্রয়াণের খবর সামনে আসতেই এক্স মাধ্যমে শোক জ্ঞাপন করেন দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। রতন মোহিনীর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে নিজের পোস্টে রাষ্ট্রপতি লেখেন, ‘‘আমি গভীরভাবে দুঃখিত এই খবর জানতে পেরে যে দাদি রতন মোহিনী পরলোকগমন করেছেন। ব্রহ্মাকুমারী সংস্থানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তাঁর অনবদ্য ভূমিকা ছিল। এই সংগঠন আমার ব্যক্তিগত জীবনেও অনেক অবদান রেখেছে।’’ হিন্দিতে লেখা পোস্টে রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, সমাজের সম্প্রীতি, শান্তি এবং জনগণের কল্যাণের জন্য দাদির ভূমিকা চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

    শোক জ্ঞাপন প্রধানমন্ত্রীর (Brahma Kumari)

    অন্যদিকে, ব্রহ্মাকুমারী সংগঠনের (Brahma Kumari) কর্ণধারের প্রয়াণে গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দাদি রতন মোহিনীকে তিনি নিজের শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়েছেন। দাদি রতন মোহিনীকে (Dadi Ratan Mohini) বিশ্বাস ও সরলতা ও নিঃস্বার্থপরতার প্রতীক হিসেবে নিজের পোস্টে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। নিজের পোস্টে নরেন্দ্র মোদি লিখেছেন, ‘‘তাঁর (দাদি রতন মোহিনী) ব্যক্তিত্বের ভিত্তি ছিল গভীর বিশ্বাস, সরলতা এবং সমাজসেবা। তিনি অসংখ্য মানুষের কাছে প্রেরণা ছিলেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য কাজের জন্যই ব্রহ্মা কুমারী আন্দোলন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। মানুষের প্রতি মানুষের সহমর্মিতা ও মানবিকতার পাঠ শেখায় এই সংগঠন।’’

    শোক প্রকাশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    শোক প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। নিজের পোস্টে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, দাদি রতন মোহিনী তাঁর সমগ্র জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন জনগণকে দিশা দেখাতে এবং আধ্যাত্মিকতার উন্নতির সাধনে। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি ভক্তদের কাছে আজও তিনি প্রেরণা হয়ে থাকবেন।’’ অমিত শাহ আরও লেখেন, ‘‘দাদি রতন মোহিনী আধ্যাত্মিকতার মাধ্যমে অন্তরের শক্তিকে জাগ্রত করার পাঠ শেখাতেন। তিনি আমাদের কাছে প্রেরণা। তাঁর প্রয়াণ অত্যন্ত যন্ত্রণার। আমি তাঁর ভক্তদেরকে এই দুঃখের মুহূর্তে সমবেদনা জানাই।’’

    শোক প্রকাশ করেন লোকসভার স্পিকার

    ব্রহ্মাকুমারী সংগঠনের কর্ণধারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। শোক বার্তায় তিনি জানিয়েছেন যে আধ্যাত্মিকতার আলোকে দিকে দিকে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন দাদি রতন মোহিনী। স্পিকারের মতে, ‘‘অগণিত মানুষ তাঁর (দাদি রতন মোহিনী) দেখানো পথেই চলছেন। দাদি রতন মোহিনী সত্য শান্তি এবং জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন।

    শোকবার্তা আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের

    দাদি রতনমোহিনীর মৃত্যু মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সর সংঘচালক মোহন ভাগবত। নিজের সমাজ মাধ্যমের পোস্টে তিনি লেখেন, ‘‘দাদি রতন মোহিনীর মহাপ্রয়াণে প্রত্যেকেই খুব দুঃখিত। তিনি বৈকুণ্ঠ ধামে যাত্রা করেছেন। পরম পূজ্য রাজযোগিনী রতনমোহিনী দাদিজিকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাই। তিনি ছিলেন ব্রহ্মা কুমারী সংস্থানের কর্ণধার। সমাজ গঠনে তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। হাজার হাজার মহিলাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন আধ্যাত্মিকতার। ভারতীয় সংস্কৃতির প্রচার-প্রসার ও ভারতীয় মূল্যবোধের আজীবন প্রচার করে গিয়েছেন তিনি। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর তাঁকে মোক্ষ দেবে এই আশা করি।’’

    দাদি রতন মোহিনীর জন্ম ১৯২৫ সালের ২৫ মার্চ

    প্রসঙ্গত, দাদি রতন মোহিনী জন্মগ্রহণ করেন ১৯২৫ সালের ২৫ মার্চ। বর্তমান পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের হায়দরাবাদে। জানা যায়, দাদি রতন মোহিনী ব্রহ্মাকুমারী সংস্থানের সঙ্গে যুক্ত হন মাত্র ১৩ বছর বয়সে। ৮৮ বছরের এই আধ্যাত্মিক যাত্রা শেষ হল তাঁর প্রয়াণে। এভাবেই তিনি মানুষের মঙ্গল এবং কল্যাণে কাজ করে গিয়েছেন সারাজীবন। আধ্যাত্মিকতার প্রচার ও ভারতীয় সংস্কৃতিকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। তাঁর নির্দেশনাতেই এই সংগঠন চলত। সামাজিকভাবে একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করত এই সংগঠন। সমাজ সংস্কারের পাশাপাশি মহিলা সশক্তিকরণ, যুব সমাজের উন্নয়ন, নেশা মুক্ত সমাজগঠন, পরিবেশের সংরক্ষণ, এর সঙ্গে সঙ্গে যোগাভ্যাস- এই সমস্ত কিছুতেও তিনি অসংখ্য কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর এই উদ্যোগগুলির জন্য তিনি বারবার প্রশংসিত হয়েছেন জাতীয় স্তরের নানা অনুষ্ঠানে। মিলেছে আন্তর্জাতিক খ্যাতিও। ২০১৪ সালে গুলবার্গ ইউনিভার্সিটি নাকে ডক্টরেট উপাধিতে ভূষিত করে। রতন মোহিণীর প্রয়াণে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন যেমন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, গুজরাটের রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রত, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজন লাল শর্মা, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাঁই। রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া।

  • Maha Kumbh: বিশ্বে প্রভাব ফেলেছে মহাকুম্ভ! ত্রিবেণী সঙ্গম থেকে জার্মানি গেল এক হাজার বোতল পবিত্র গঙ্গা জল

    Maha Kumbh: বিশ্বে প্রভাব ফেলেছে মহাকুম্ভ! ত্রিবেণী সঙ্গম থেকে জার্মানি গেল এক হাজার বোতল পবিত্র গঙ্গা জল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভের (Maha Kumbh) ত্রিবেণী সঙ্গমের জল এবার পাড়ি দিল জার্মানিতে। উত্তরপ্রদেশ সরকারের (UP Government) উদ্যোগে সম্প্রতি ১ হাজার বোতল জল গেল জার্মানিতে। জানা যাচ্ছে, জার্মানি থেকে সঙ্গমের এই জলের জন্য আবেদন করা হয়। সেইমতো প্রাথমিকভাবে ১ হাজার বোতল জলকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। জাহাজে করে এই জলকে পাঠানো হয়েছে জার্মানিতে। এই প্রথম দেশের বাইরে মহাকুম্ভের পবিত্র জল পাঠানো হল। উত্তরপ্রদেশ সরকার জানিয়েছে, সঙ্গমের জলকে তাঁরা ভক্তদের মধ্যে প্রসাদের মতো করে বিতরণ করেছেন। যাঁরা মহাকুম্ভের অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি তাঁদের কাছে এটা বড় প্রাপ্তি হয়েছে।

    আন্তর্জাতিক চাহিদা রয়েছে মহাকুম্ভের জলের, জানাল যোগী সরকার (UP Government)

    এ প্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশ সরকারের আনুষ্ঠানিক বিবৃতিও সামনে এসেছে। যোগী আদিত্যনাথ সরকার জানিয়েছে, মহাকুম্ভের (Maha Kumbh) ত্রিবেণী সঙ্গমের জলের আন্তর্জাতিক চাহিদাও রয়েছে। এ কারণে প্রয়াগরাজ থেকে জার্মানিতে এই জল পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, শ্রী পঞ্চদশ নাম জুনা আখড়ার আচার্য মহামন্ডলেশ্বর স্বামী অবধেশানন্দ আনন্দ গিরি জার্মানিতে এই জল পাঠানোর উদ্যোগটি তদারকি করেন। জার্মানিতে যে জল গিয়েছে সেখানে ৫০০ এবং ২৫০ মিলিমিটারের ১ হাজারটি বোতল পাঠানো হয়েছে।

    উত্তরপ্রদেশের ৭৫ জেলাতেই গিয়েছে এই জল

    চলতি বছরেই ১৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মহাকুম্ভ মেলা আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে প্রায় ৬৬ কোটি ভক্তরা এসে পবিত্র স্নানে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ভারতের সংস্কৃতিকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতেই এই পদক্ষেপ করা হল বলেই জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। এর পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের ৭৫টি জেলায় এই জল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে করা হচ্ছে বলেও খবর মিলেছে। দেশের বাইরে থেকেও অগণিত ভক্ত উপস্থিত হয়েছিলেন প্রয়াগরাজে। প্রয়াগরাজের (Maha Kumbh) মুখ্য দমকল অধিকর্তা জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন রাজ্যে মহাকুম্ভের পবিত্র জলের চাহিদা বাড়ছে। ইতিমধ্যে অসমে এই জলের জন্য একটি বড় ট্যাঙ্কার পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাঁর আরও সংযোজন, যদি দেশের অন্যত্র এই জলের চাহিদা থাকে তাহলে সেখানেও এই জল পাঠানো হবে। মহাকুম্ভের জলের গুরুত্ব সকলের কাছে প্রচার করা হবে।

  • Jangipur Violence: জঙ্গিপুর হিংসায় মমতাকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দু-মালব্যর, উদ্বেগ প্রকাশ রাজ্যপালের

    Jangipur Violence: জঙ্গিপুর হিংসায় মমতাকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দু-মালব্যর, উদ্বেগ প্রকাশ রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদের নামে মুর্শিদাবাদের উমরপুরে উন্মত্ত জনতার তাণ্ডব। এই আবহে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে জঙ্গিপুরে ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে। জঙ্গিপুরের (Jangipur Violence) পরিস্থিতির ওই এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এনিয়ে মঙ্গলবার বিকেলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে এই দাবি জানান তিনি। একই সঙ্গে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করতে রাজ্য পুলিশ একেবারে ব্যর্থ বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধী দলনেতা। জঙ্গিপুরকাণ্ডে মমতা সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। অমিত মালব্যর মতে, অনুপ্রবেশের কারণেই পশ্চিমবঙ্গের জনবিন্যাস বদলে গিয়েছে। বর্তমানে এই রাজ্য আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিয়ন্ত্রণে নেই। জঙ্গিপুরের (Jangipur Violence) পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গেল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকেও। এই নিয়ে রাজভবনের তরফ থেকে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। তাতেই রাজ্য প্রশাসনকে সতর্ক করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। অন্যদিকে, বুধবার হিংসা ছড়িয়ে পড়ে মুর্শিদাবাদের সুতিতে। নয়া ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদে চলে। জাতীয় সড়কে আন্দোলন চলার জন্য দাঁড়িয়ে পড়ে গাড়ি। যানজটের সৃষ্টি হয়।

    উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে হিংসা ছড়ানো হয়েছে, বললেন রাজ্যপাল

    রাজ্যপাল জঙ্গিপুরের (Jangipur Violence) হিংসা নিয়ে নিজের বিবৃতিতে বলেন, ‘‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে হিংসা ছড়ানো হয়েছে। এটা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা উচিত নয়। যেভাবে শান্তিপূর্ণভাবে রামনবমী মিটেছে, তা থেকেই স্পষ্ট বোঝা গিয়েছে যে প্রশাসন হিংসা নিয়ন্ত্রণে সক্ষম। আর মানুষও কোনও ভাবে অশান্তি চায় না। শান্তি বিঘ্নিত করার যে কোনও চেষ্টাকে তাই কঠোর হাতে দমন করা উচিত।’’

    সমাজমাধ্যমে কী লিখলেন শুভেন্দু অধিকারী?

    সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ‘‘রাষ্ট্রপতির সইয়ের পর ওয়াকফ সংশোধনী বিল ইতিমধ্যে দেশের আইনে পরিণত হয়েছে। সেই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের নামে মুর্শিদাবাদে ফের তাণ্ডব শুরু করেছে শান্তিপূর্ণ সম্প্রদায়ের সদস্যরা। নাগরিকত্ব আইন বিরোধী প্রতিবাদের মতো ফের সরকারি ও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নষ্ট করা শুরু করেছে দুষ্কৃতীরা। এটা অসহমতি জানানোর পদ্ধতি নয়। এটা অসহমতি জানানোর নামে ধ্বংসলীলা যা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক।’’

    পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ ও প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ

    তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ ও প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ। কারণ তারা শাসকদলের ভোটব্যাঙ্ক রক্ষা করতে চোখ বন্ধ করে রয়েছে।’’ শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, ‘‘আমি মুখ্যসচিব ও মুর্শিদাবাদের জেলাশাসককে অনুরোধ করব আপনারা রাজ্যপাল ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আবেদন জানান। কারণ পুলিশ যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না তা স্পষ্ট। এটাই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার একমাত্র উপায়।’’

    মমতা সরকারকে তীব্র আক্রমণ অমিত মালব্যর

    মমতা সরকারের বিরুদ্ধে অমিত মালব্য নিজের এক্স মাধ্যমের পোস্টে লেখেন, ‘‘অন্য রাজ্যে হিংসা (Jangipur Violence) ছড়ালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চটজলদি কুমিরের কান্না শুরু করে দেন। তবে যখন মুর্শিদাবাদে তাঁর ভোটব্যাঙ্করা হিংসা ছড়ায়, তখন তিনি নীরব হয়ে যান। তিনি তখন ইন্টারনেট বন্ধ করে দেন সত্যিটা ধামাচাপা দেওয়ার জন্যে। এই একই মমতা যখন অন্য রাজ্যের ঘটনা নিয়ে সরব হন, নিজের রাজ্যে সেন্সরশিপের মাধ্যমে তথ্য চাপা দিচ্ছেন। জঙ্গিপুরের মতো জায়গায় ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য নয়, সত্যিটাকে ধামাাপা দেওয়ার জন্যে। সেখানে ওয়াকফের নামে রেললাইনে যে তাণ্ডব চলেছে, সেই তথ্য চাপা দিতে চাইছে সরকার।’’

    সংবিধানের প্রতি বিন্দুমাত্র আস্থা নেই মমতার, তোপ মালব্যর

    অমিত মালব্য আরও লেখেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসল চেহারা হল সংবিধানের প্রতি তাঁর বিন্দুমাত্র সম্মান নেই, সুপ্রিম কোর্টকে তিনি মানেন না। তাঁর পুলিশ মিথ্যা দাবি করে যে সব কিছু নিয়ন্ত্রণে আছে। সেই ফাঁকে দিনের পর দিন ব্ল্যাকআউট জারি করা ছাকে। যদি সবকিছু নিয়ন্ত্রণেই থাকে, তাহলে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে রাখা হয়েছে কেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী লুকোতে চাইছেন? নাকি যে মানুষটা সিএএ প্রতিবাদের সময় ‘কা কা ছি ছি’ গেয়েছিলেন, ওয়াকফের বিরুদ্ধে গান গাওয়ার জন্যে তাঁর আর কণ্ঠস্বর নেই?’’

    জঙ্গিপুরে হিংসা (Jangipur Violence)

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতার নামে মঙ্গলবার দুপুরে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের উমরপুরে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে একদল উন্মত্ত জনতা। ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে চলছিল অবরোধ। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান বিক্ষোভকারীরা। এরপরে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় অবরোধকারীদের। এর আগের দু’দিনও সুতি, সামশেরগঞ্জ, রঘুনাথগঞ্জ এলাকায় দফায় দফায় বিক্ষোভ চলেছিল ওয়াকফ সংশোধনীর বিরুদ্ধে। সেসময়ও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুলিশকে লক্ষ্য করে চলে ব্যাপক ইটবৃষ্টি। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় একের পর এক পুলিশের গাড়িতে। উন্মত্ত জনতার আক্রমণে ২ জন পুলিশকর্মী আহত হন বলে খবর মিলেছে। এর ফলেই দীর্ঘক্ষণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে জাতীয় সড়ক। সন্ধ্যার পরে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়। এরপর টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটিয়ে তাণ্ডবকারীদের রাস্তা থেকে কোনওভাবে সরানো হয়। প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে চলে খণ্ডযুদ্ধ।

  • Rafale M: অপেক্ষার অবসান! ৬৩ হাজার কোটি টাকায় ফ্রান্স থেকে ২৬টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান কেনায় ছাড়পত্র কেন্দ্রের

    Rafale M: অপেক্ষার অবসান! ৬৩ হাজার কোটি টাকায় ফ্রান্স থেকে ২৬টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান কেনায় ছাড়পত্র কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান। অবশেষে ভারতে আসতে চলেছে রাফাল মেরিন যুদ্ধবিমান। ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy) জন্য ২৬টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান (Rafale M) কেনার বিষয়ে চূড়ান্ত ছাড়পত্র দিয়েছে মোদি মন্ত্রিসভা (Modi Cabinet)। নিঃসন্দেহে এটি ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বড় খবর।

    ৬৩ হাজার কোটি টাকার চুক্তি

    কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, বুধবারই এই চুক্তিতে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি বা সিসিএস (CCS)। ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য ৩৬টি রাফাল কেনার সময় যেমন দুই সরকারের মধ্যে সরাসরি চুক্তি হয়েছিল, ঠিক তেমনভাবেই এক্ষেত্রেও ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে গভর্নমেন্ট-টু-গভর্নমেন্ট ডিল হবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক সূত্রের দাবি, ৬৩ হাজার কোটি টাকার চুক্তির মাধ্যমে ২৬টি রাফাল মেরিন (Rafale M) ফাইটার এয়ারক্রাফ্ট পাবে ভারত। এর মধ্যে ২২টি হবে সিঙ্গল-সিটার বা এক আসন বিশিষ্ট এবং ৪টি টুইন সিটার বা দুই আসন বিশিষ্ট। শেষোক্ত চারটি প্রশিক্ষণের কাজেও ব্যবহৃত হবে।

    নৌসেনার চাহিদা অনুযায়ী পরিবর্তন

    তবে, বায়ুসেনার সংস্করণের থেকে রাফালের নৌবাহিনীর সংস্করণ কিছুটা আলাদা হবে। মূলত, নৌসেনার চাহিদা অনুযায়ী, তাতে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন করা হয়েছে। রাফাল-এম (Rafale M) যুদ্ধবিমানের সামনের অংশটি আরও লম্বা, শক্তিশালী। এছাড়া, এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ার বা বিমানবাহী রণতরী থেকে টেক-অফ ও ল্যান্ডিংয়ে সুবিধার্থে এই বিমানে একটি শক্তিশালী আন্ডারক্যারেজ দেওয়া হয়েছে, যাতে বিমান বা রণতরীর ডেকের কোনও ক্ষতি না হয়। এছাড়া, ভারতীয় বিমানবাহী রণতরীগুলিতে ব্যবহৃত শর্ট টেক-অফ বাট অ্যারেস্টেড রিকভারি (স্টোবার) বা স্কি-জাম্প পদ্ধতির জন্য এই বিমানগুলিকে তেমনভাবেই মডিফাই করা হয়েছে।

    মিগ-২৯কে-এর জায়গা নেবে রাফাল-এম

    নৌসেনার এক কর্তা জানান, রাফাল-এম যুদ্ধবিমান বিশেষভাবে বিমানবাহী রণতরী থেকে ওঠা-নামার জন্যই তৈরি করা হয়েছে এবং একবার অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পরে, এই জেটগুলি ভারতীয় নৌবহরের পরিপূরক হবে। এই জেটগুলি বর্তমানে ব্যবহৃত মিগ-২৯কে যুদ্ধবিমানগুলিকে প্রতিস্থাপন করবে। ওই কর্তা জানান, একবার রাফাল-এম (Rafale M) জেটগুলি আইএনএস বিক্রমাদিত্য এবং আইএনএস বিক্রান্তে মোতায়েন হয়ে গেলে, ভারতের জলসীমায় নৌসেনার (Indian Navy) সক্ষমতা কয়েক গুণ বেড়ে যাবে।

    চার বছর পর থেকে আসবে বিমানগুলি

    জানা গিয়েছে, এই চুক্তির মাধ্যমে ২৬টি রাফাল মেরিন ফাইটার জেট কেনার পাশাপাশি লজিস্টিক সাপোর্ট, রক্ষণাবেক্ষণ এবং প্রশিক্ষণের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। চুক্তি স্বাক্ষরের চার বছর পর বিমান সরবরাহ শুরু হওয়ার কথা। অর্থাৎ, ২০২৯ সালের শেষ নাগাদ প্রথম ব্যাচ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সবকটি যুদ্ধবিমান (Rafale M) ২০৩১ সালের মধ্যে সরবরাহ করার কথা রয়েছে।

LinkedIn
Share