Tag: madhyom news

madhyom news

  • Swami Shraddhananda: ২৩ ডিসেম্বর ১৯২৬, মৌলবাদীর হাতে খুন হন আর্য সমাজের সন্ন্যাসী শ্রদ্ধানন্দ, জানুন তাঁর জীবনী

    Swami Shraddhananda: ২৩ ডিসেম্বর ১৯২৬, মৌলবাদীর হাতে খুন হন আর্য সমাজের সন্ন্যাসী শ্রদ্ধানন্দ, জানুন তাঁর জীবনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৩ ডিসেম্বর স্বামী শ্রদ্ধানন্দ সরস্বতীর আত্ম বলিদান দিবস। স্বামী শ্রদ্ধানন্দ সরস্বতী (Swami Shraddhananda) ছিলেন একজন ভারতীয় শিক্ষাবিদ, স্বাধীনতা সংগ্রামী ও আর্য সমাজের সন্ন্যাসী। আর্য সমাজের (Arya Samaj) প্রতিষ্ঠাতা স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর বাণীকে তিনি প্রচার করেছিলেন। ১৯২৬ সালের ২৩ ডিসেম্বর অসুস্থ শ্রদ্ধানন্দকে গুলি করে হত্যা করে আব্দুর রশিদ নামের এক আততায়ী। শুদ্ধি আন্দোলনের মাধ্যমে তিনি অ-হিন্দুদেরকে পুনরায় হিন্দু ধর্মে ফিরে আনতেন। স্বামী শ্রদ্ধানন্দের হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন বাবাসাহেব আম্বেদকর। তাঁর নিজের লেখা, ‘পাকিস্তান অর দ্য পার্টিশন অফ ইন্ডিয়া-১৯৪৬’, এই বইতে আম্বেদকর বলেন, ‘‘ধর্মান্ধ মুসলমান স্বামী শ্রদ্ধানন্দকে হত্যা করেছে, শুদ্ধি আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছিলেন বলেই তাঁকে হত্যা করা হল।’’

    শ্রদ্ধানন্দের হত্যা সম্পর্কে কী লিখেছিলেন রমেশচন্দ্র মজুমদার

    প্রসঙ্গত, পরাধীন ভারতের প্রথম হিন্দু আন্দোলনের সূচনা হয় আর্য সমাজের হাত ধরেই। রমেশচন্দ্র মজুমদার তাঁর লেখা, ‘দ্য হিস্ট্রি অ্যান্ড দ্য কালচার অফ ইন্ডিয়ান পিপল’ গ্রন্থের ৪৩৫ নম্বর পাতায় লিখছেন, ‘‘তাবলীগী জামাত প্রথম ঠান্ডা মাথায় খুন করেছিল স্বামী শ্রদ্ধানন্দকে (Swami Shraddhananda) কারণ তিনি শুদ্ধি আন্দোলনের সঙ্গে ঘনিষ্ট ভাবে জড়িত ছিলেন।’’ প্রসঙ্গত, বাবাসাহেব আম্বেদকর ১৯২২ সালেই বলেছিলেন যে স্বামী শ্রদ্ধানন্দ হলেন অস্পৃশ্যদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সত্যিকারের মহান মানব।

    স্বামী শ্রদ্ধানন্দ সরস্বতীর আসল নাম ছিল মুন্সিরাম বীজ

    স্বামী শ্রদ্ধানন্দ সরস্বতীর (Swami Shraddhananda) আসল নাম ছিল মুন্সিরাম বীজ। ১৮৫৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি তিনি জন্মগ্রহণ করেন পাঞ্জাব প্রদেশের জলন্ধর জেলার তালোয়ান নামক একটি গ্রামে। জানা যায় জাতিতে তিনি ছিলেন একজন ক্ষত্রিয়। তাঁর জন্মতিথি ছিল ফাল্গুনের কৃষ্ণ ত্রয়োদশী। তাঁর পিতার নাম ছিল শ্রী নানকচাঁদ বীজ এবং তিনি ছিলেন তৎকালীন ইউনাইটেড প্রদেশ বা বর্তমানে উত্তরপ্রদেশের একজন পুলিশ অফিসার। জানা যায়, একবার স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী বৈদিক ধর্মের প্রচারের জন্য উত্তরপ্রদেশের বরেলিতে পৌঁছান, সেখানেই পুলিশ অফিসার নানকচাঁদ তাঁর পুত্র মুন্সিরাম বীজকে নিয়ে দয়ানন্দ সরস্বতীর বক্তব্য শুনতে আসেন। কিশোর মুন্সিরাম দয়ানন্দ সরস্বতীর যুক্তিবাদী বক্তব্যে আকৃষ্ট হন এবং আর্য সমাজের সদস্য হন।

    গান্ধীজীর উদ্দেশে টাকা পাঠিয়েছিলেন

    জানা যায়, যে সময়ে মহাত্মা গান্ধী দক্ষিণ আফ্রিকাতে আন্দোলন করছিলেন, সে সময় ভারত থেকে গুরুকুল শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে দেড় হাজার টাকা সংগ্রহ করে গান্ধীজীর কাছে প্রেরণ করেছিলেন মুন্সিরাম বীজ। জানা যায়, পরবর্তীকালে মহাত্মা গান্ধী আফ্রিকা থেকে ভারতে ফিরে এসে এই অবদানকে স্বীকার করেছিলেন। স্বামী শ্রদ্ধানন্দ (Swami Shraddhananda) সাংবাদিক হিসেবেও অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন। উর্দু এবং হিন্দি ভাষায় বিভিন্ন ধর্মীয় সামাজিক বিষয়ে তিনি লেখালেখি করতেন। পরবর্তীকালে দয়ানন্দ সরস্বতীকে অনুসরণ করে তিনি দেবনাগরি লিপিতে রচিত হিন্দি ভাষাকে অগ্রাধিকার দেন। জানা যায়, স্বামী শ্রদ্ধানন্দ হিন্দিতে অর্জুন এবং উর্দু ভাষায় তেজ নামে একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করেছিলেন। জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ডের পরে ১৯১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে কংগ্রেসের ৩৬তম অধিবেশন বসে অমৃতসরে। সেখানে স্বাগত কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন স্বামী শ্রদ্ধানন্দ এবং তিনি হিন্দিতে নিজের বক্তব্য রাখেন। একইসঙ্গে হিন্দিকে জাতীয় ভাষা ঘোষণা করারও দাবি তোলেন তিনি।

    স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণ

    স্বাধীনতার আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ নিয়েছিলেন তিনি। এর পাশাপাশি দরিদ্র ও নিপীড়িতদের মুক্তির জন্য আওয়াজও তুলতেন তিনি। নারী শিক্ষারও প্রচার করেছিলেন স্বামী শ্রদ্ধানন্দ (Swami Shraddhananda)। ১৯১৯ সালে দিল্লির জামে মসজিদ এলাকায় আয়োজিত একটি বিশাল সমাবেশে স্বামী শ্রদ্ধানন্দ ভারতবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে তাঁর এক বছর চার মাসের কারাগারও হয়েছিল।

    শুদ্ধি আন্দোলন

    স্বামী শ্রদ্ধানন্দ লক্ষ্য করেন যে কংগ্রেসের প্রায় প্রত্যেক নেতাই মুসলিম তুষ্টিকরণ করছেন। তখনই তিনি অনুভব করেছিলেন যে এমন নীতি ভারতবর্ষের পক্ষে একদমই বিপজ্জনক। এই সময় তিনি এগিয়ে নিয়ে যান দয়ানন্দ সরস্বতীর শুদ্ধি আন্দোলনকে। কারণ তৎকালীন ভারতবর্ষে কংগ্রেস যখন একদিকে মুসলিম তোষণের নির্লজ্জ নীতিতে বিশ্বাস রাখছিল, তখনই মৌলবাদী মুসলমান ও খ্রিস্টানরা হিন্দুদেরকে ধর্মান্তরিত করতে ব্যস্ত ছিল। এই সময়ে স্বামী শ্রদ্ধানন্দ আর্য সমাজের শুদ্ধি আন্দোলনকে ব্যাপক আকারে গড়ে তোলেন এবং বহু ধর্মান্তরিত মানুষকে বৈদিক ধর্মে দীক্ষিত করতে থাকেন। হিন্দুদের পুনরায় সনাতন ধর্মে ফিরিয়ে আনার নামই ছিল শুদ্ধি আন্দোলন।

    শোক প্রস্তাবে গান্ধীর সাম্প্রদায়িক তোষণ

    ১৯২৬ সালে ২৩ ডিসেম্বর তাঁর নিজের বাসভবনে আব্দুর রশিদ নামের একজন মৌলবাদী প্রবেশ করে এবং স্বামী শ্রদ্ধানন্দকে গুলি করে হত্যা করে। পরবর্তীকালে আব্দুর রশিদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। ২৩ ডিসেম্বর শ্রদ্ধানন্দকে হত্যা করার পরে ১৯২৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর কংগ্রেসের অধিবেশনে একটি শোক প্রস্তাবা আনা হয় যা অত্যন্ত হতাশাজনক ছিল। ওই শোক প্রস্তাবে মহাত্মা গান্ধী বক্তৃতায় বলেন,‘‘আমি আব্দুর রশিদকে ভাই বলে সম্বোধন করেছি। আমি তাঁকে দোষী বলে মনে করি না। দোষীরা আসল তারা, যারা একে অপরের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ায়। আমি শ্রদ্ধানন্দজির মৃত্যুতে শোক করতে পারি না। একজনের অপরাধের কারণে পুরো সম্প্রদায়কে আমি অপরাধী বলতে পারি না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sarada Devi: আজ সারদা মায়ের ১৭২তম আবির্ভাব তিথি,জানুন তাঁর গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ

    Sarada Devi: আজ সারদা মায়ের ১৭২তম আবির্ভাব তিথি,জানুন তাঁর গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ সারদা মায়ের (Sarada Devi) ১৭২তম জন্মদিন। ১৮৫৩ সালের ২২ ডিসেম্বর, বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে ১২৬০ সনের ৮ পৌষ, কৃষ্ণা সপ্তমী তিথিতে বাঁকুড়া জেলার জয়রামবাটী গ্রামে জন্ম হয় সারদা দেবীর। তাঁর পিতার নাম ছিল রামচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ও মায়ের নাম ছিল শ্যামাসুন্দরী দেবী। লোককথা অনুযায়ী, সারদা দেবীর জন্মের আগে রামচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ও শ্যামাসুন্দরী দেবী, উভয়েই দিব্যদর্শন পেয়েছিলেন, মহাশক্তি তাঁদের ঘরে কন্যারূপে জন্ম নিতে চলেছেন। তিনি ছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের (Ramkrishna Dev) ধর্মপত্নী (Sarada Devi)। অত্যন্ত সহজ সরল ভাষায় ধর্ম ও দর্শনের কথা বলে গিয়েছেন সারদাদেবী। সকলের প্রতিই অপার করুণা ও দয়া ছিল সারদা মায়ের। সবাইকে তিনি নিজের সন্তানরূপে জ্ঞান করতেন। ১৮৭২ সালে দক্ষিণেশ্বরে স্বামীর নিকটে থাকতে আসেন সারদা দেবী। শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব তাঁকে আধ্যাত্মিক জীবনের প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও পরামর্শ প্রদান করেছিলেন বলে জানা যায়। শ্রীরামকৃষ্ণ সারদা দেবী ও দিব্য মাতৃকাকে অভিন্ন জ্ঞান করে তাঁকে দেবীর আসনে বসিয়ে সকল উপাচার দিয়ে পুজো করেন।

    সারদাদেবী (Sarada Devi) নিজেকে সবার মা বলে মনে করতেন

    শ্রীরামকৃষ্ণদেব প্রয়াত হলে তাঁর ধর্ম আন্দোলনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যান সারদা দেবী। ১৯২০ সালের ২০ জুলাই কলকাতার উদ্বোধন ভবনে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। সারদাদেবী নিজেকে সবার মা বলে মনে করতেন। মায়ের কাছে সন্তানের যেমন ভেদাভেদ থাকে না, সারদা দেবীও তেমন ভক্তদের মধ্যে কোনও ভেদাভেদ করতেন না। তাঁর কাছে যারাই আসত, তাদের সবাইকেই তিনি সমান চোখে দেখতেন।

    সারদা মায়ের বাণী (Sarada Devi)

    ‘‘যদি শান্তি চাও, তাহলে কারও দোষ দেখো না। দোষ দেখবে নিজের। জগৎকে আপনার করে নাও, কেউ পর নয়, এই জগৎ তোমার।’’

    ‘‘আমি সত্যিকারের মা, গুরুপত্নী নই, পাতানো মা নই, কথার কথা মা নই, সত্যকারের জননী।’’

    ‘‘ভালোবাসা দিয়ে সবকিছু হয়, জোর করে কায়দায় ফেলে কাউকে দিয়ে কিছু করানো যায় না।’’

    ‘‘কাজ করতে হবে সব সময়। কর্ম করতে করতেই কর্মের বন্ধন কেটে যাবে, তবেই নিষ্কাম ভাব আসবে। কাজ ছেড়ে একদণ্ডও থাকা উচিত নয়।’’

    ‘‘ভাঙতে সবাই পারে, কিন্তু গড়তে পারে ক-জনে? নিন্দে ঠাট্টা সবাই করতে পারে। কিন্তু কী করে যে তাকে ভালো করতে হবে, তা ক-জনে বলতে পারে?’’

    ‘‘এই কলি যুগে শুধু সত্যের আঁট থাকলেই ভগবানকে লাভ করা যায়। ঠাকুর বলতেন, যে সত্যকথাটি ধরে আছে সে ভগবানের কোলে শুয়ে আছে।’’

    ‘‘যত বড় মহাপুরুষই হোন, দেহ ধারণ করে পৃথিবীতে এলে দেহের ভোগটি সবই নিতে হবে। তবে পার্থক্য এই যে সাধারণ লোক যায় কাঁদতে কাঁদতে, আর ওঁরা যান হেসে হেসে, মৃত্যুটা যেন ওঁদের কাছে খেলা।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Germany: জার্মানির ক্রিসমাস মার্কেটে গাড়ি হামলার ঘটনায় আহত ৭ ভারতীয়

    Germany: জার্মানির ক্রিসমাস মার্কেটে গাড়ি হামলার ঘটনায় আহত ৭ ভারতীয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জার্মানির (Germany) ক্রিসমাস মার্কেটে সৌদি আরবের চিকিৎসকের বেপরোয়া গাড়ি চালানোর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। জানা যাচ্ছে, এই হামলায় মোট সাতজন ভারতীয় আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনকে ইতিমধ্যে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জার্মান প্রশাসন (Christmas Market Attack)। অন্যদিকে, ভারতীয় দূতাবাস আহত ভারতীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।

    বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতি

    এনিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রক এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘জার্মানির (Germany) ক্রিসমাস মার্কেটে ভয়াবহ যে হামলা ঘটেছে তাতে অনেক মূল্যবান জীবন নষ্ট হয়েছে। এই হামলায় অনেকেই আহত হয়েছেন। আমরা দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি আহতদের। আমাদের মিশন হল সেই সমস্ত ভারতীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করা, যাঁরা এই ঘটনায় আহত হয়েছেন। তাঁদের পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি আমরা। সমস্ত ধরনের সম্ভাব্য সহায়তা তাঁদেরকে প্রদান করা হবে।’’ অন্যদিকে এই ঘটনায় ২০৫ জন আহত হয়েছেন (Germany) বলে জানা গিয়েছে। আহতদের ১৫টি আলাদা আলাদা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    ৫০ বছর বয়সি ওই ডাক্তারের নাম তালেব আল আবদুল মহসেন

    ইতিমধ্যে প্রশাসন হামলাকারীকে চিহ্নিত করেছে। ৫০ বছর বয়সি ওই ডাক্তারের নাম তালেব আল আবদুল মহসেন। প্রসঙ্গত, মর্মান্তিক ওই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। পুলিশ এখনও পর্যন্ত হামলাকারির গাড়িতে কোনও রকমের বিস্ফোরক পায়নি। তবে জঙ্গি যোগ রয়েছে কিনা সেই বিষয়ে তদন্ত চলছে। একটি তদন্তকারী দলকে ইতিমধ্যে বার্নবার্গ শহরে (Germany) পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, সেখানেই তালেব আল আবদুল মহসেন থাকতেন। তালেব পেশায় একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। তিনি জার্মানিতে চলে আসেন ২০০৬ সালে। এরপরে জার্মানিতে তাঁকে উদ্বাস্তুর স্বীকৃতি দেওয়া হয় ২০১৬ সালে। সেখানেই তিনি স্থায়ীভাবে বসতি গড়ে তোলেন। তবে এই ঘটনা নতুন কিছু নয়। আট বছর আগে ২০১৬ সালে তিউনেশিয়ার একজন অনুপ্রবেশকারী আনিস আমরি বার্লিনের একটি খ্রিস্টান বাজারে একইভাবে ট্রাক চালিয়েছিলেন এবং ১২ জন সাধারণ নাগরিককে হত্যা করেছিলেন। এখানেই উঠছে প্রশ্ন! আশ্রয় নিয়েও উদ্বাস্তুরা জেহাদি কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohali Building Collapse: শনিবার সন্ধ্যায় পাঞ্জাবের মোহালিতে ভেঙে পড়ল বহুতল, মৃত ১

    Mohali Building Collapse: শনিবার সন্ধ্যায় পাঞ্জাবের মোহালিতে ভেঙে পড়ল বহুতল, মৃত ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঞ্জাবের মোহালিতে (Mohali Building Collapse) হঠাৎ ভেঙে পড়ল বহুতল ভবন। এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। মৃতের নাম দৃষ্টি ভার্মা (২০)। তিনি হিমাচলের (Himachal) বাসিন্দা ছিলেন। বহুতলটি ভেঙে পড়ার পর তিনি চাপা পড়ে গিয়েছিলেন। উদ্ধার করে তাঁকে স্থানীয় সোহানা হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে রয়েছেন অনেকেই, তাঁদেরকে বের করে আনার চেষ্টা চলছে। জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ মোহালির সোহানা এলাকায় ছয়তলা ভবন হঠাৎ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, হঠাৎ বিকট শব্দ শুনে ছুটে আসেন তাঁরা। তখনই দেখা যায় ওই বাড়িটি কার্যত ধ্বংসস্তূপে (Mohali Building Collapse) পরিণত হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় উদ্ধারকাজ। পুলিশ ও দমকলের পাশাপাশি ছুটে আসে রাজ্য ও কেন্দ্রের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। কিছুক্ষণের মধ্যেই উদ্ধারকাজে হাত লাগায় সেনা।

    বহুতলের বর্ণনা (Mohali Building Collapse)

    স্থানীয়দের দাবি, এই বহুতলের একেবারে নীচের তলায় একটি জিম রয়েছে। যেখানে অনেকেই শরীরচর্চা করছিলেন। প্রথম তলায় বাচ্চাদের টিউশন চলছিল। তৃতীয় তলায় পেয়িং গেস্ট থাকতেন বেশ কয়েকজন যুবতী। দুর্ঘটনার জেরে তাঁরা সকলেই চাপা পড়েছেন। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পুলিশের অনুমান, ওই বহুতলটির ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন পাঁচজন। দ্রুত তাঁদের বের করে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে এনডিআরএফের সঙ্গে পৌঁছেছে ভারতীয় সেনার একটি দল। তাঁরাও উদ্ধারকার্যে হাত লাগিয়েছেন। ইতিমধ্যে বহুতলের (Mohali Building Collapse) মালিক পারউইন্দার সিং ও গগনদীপ সিংয়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১০৫ নম্বর ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। বেশ কিছু রিপোর্ট দাবি করছে, ধ্বংশাবশেষের নিচে ৭ জনের আটকে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

    কী জানালেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী?

    এনিয়ে ট্যুইট করেছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবত মান। তিনি পোস্টে জানিয়েছেন, মোহালির সোহানা এলাকার (Mohali Building Collapse) অজিত সিং নগরে একটি বহুতল ভেঙেছে। প্রশাসনিক কর্তারা রয়েছেন সেখানে। উদ্ধারকারী দলও রয়েছে। আমি তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 227: “ষড় চক্র ভেদ হলে মায়ার রাজ্য ছাড়িয়ে জীবাত্মা পরমাত্মার সঙ্গে এক হয়ে যায়, এরই নাম ঈশ্বরদর্শন”

    Ramakrishna 227: “ষড় চক্র ভেদ হলে মায়ার রাজ্য ছাড়িয়ে জীবাত্মা পরমাত্মার সঙ্গে এক হয়ে যায়, এরই নাম ঈশ্বরদর্শন”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িমধ্যে

    দশম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১০ই জুন

    বেলঘরের ভক্তসঙ্গে

    বেলঘরে হইতে গোবিন্দ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ ভক্তেরা আসিয়াছেন। ঠাকুর (Ramakrishna) যেদিন তাঁহার বাটীতে শুভাগমন করিয়াছিলেন, সেদিন গায়কের “জাগ জাগ জননি” এই গান শুনিয়া সমাধিস্থ হইয়াছিলেন। গোবিন্দ সেই গায়কটিকেও আনিয়াছেন। ঠাকুর গায়ককে দেখিয়া আনন্দিত হইয়াছেন ও বলিতেছেন (Kathamrita), তুমি কিছু গান কর। গায়ক গাইতেছেন:

    ১। দোষ কারু নয় গো মা,
    আমি স্বখাত-সলিলে ডুবে মরি শ্যামা।

    ২। ছুঁসনা রে শমন আমার জাত গিয়েছে।
    যদি বলিস ওরে শমন জাত গেল কিসে,
    কেলে সর্বনাশী আমায় সন্ন্যাসী করেছে।

    রাগিণী-মূলতান 

    ৩। জাগ জাগ জননী
    মূলাধারে নিদ্রাগত কতদিন গত হল কুলকুণ্ডলিনী।
    স্বকার্য সাধনে চল মা শির মধ্যে,
    পরম শিব যথা সহস্রদল পদ্মে,
    করি ষড়চক্র ভেদ ঘুচাও মনের খেদ, চৈতন্যরূপিণি।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—এই গানে ষড় চক্র ভেদের কথা আছে। ঈশ্বর বাহিরেও আছেন, অন্তরেও আছেন। তিনি ভিতরে থেকে মনের নানা অবস্থা করছেন। ষড় চক্র ভেদ হলে মায়ার রাজ্য ছাড়িয়ে জীবাত্মা পরমাত্মার সঙ্গে এক হয়ে যায়। এরই নাম ঈশ্বরদর্শন।

    “মায়া দ্বার ছেড়ে না দিলে ঈশ্বরদর্শন হয় না। রাম, লক্ষ্মণ আর সীতা একসঙ্গে যাচ্ছেন; সকলের আগে রাম, মধ্যে সীতা, পশ্চাতে লক্ষ্মণ। যেমন সীতা মাঝে মাঝে থাকাতে — লক্ষ্মণ রামকে দেখতে পাচ্ছেন না, তেমনি মাঝে মায়া থাকাতে জীব ঈশ্বরকে দর্শন করতে পাচ্ছে না। (মণি মল্লিকের প্রতি) তবে ঈশ্বরের কৃপা হলে মায়া দ্বার ছেড়ে দেন। যেমন দ্বারওয়ানরা বলে, বাবু হুকুম করে দিন—ওকে দ্বার ছেড়ে দিচ্ছি।

    “বেদান্ত মত আর পুরাণ মত। বেদান্তমতে বলে, ‘এই সংসার ধোঁকার টাটি’ অর্থাৎ জগৎ সব ভুল, স্বপ্নবৎ। কিন্তু পুরাণমত বা ভক্তিশাস্ত্রে বলে যে, ঈশ্বরই (Ramakrishna) চতুর্বিংশতি তত্ত্ব হয়ে রয়েছেন। তাঁকে অন্তরে বাহিরে পূজা কর।

    “যতক্ষণ ‘আমি’ বোধ তিনি রেখেছেন ততক্ষণ সবই আছে। আর স্বপ্নবৎ বলবার (Kathamrita) জো নাই। নিচে আগুন জ্বালা আছে, তাই হাঁড়ির ভিতরে ডাল, ভাত, আলু, পটোল সব টগ্‌বগ্‌ করছে। লাফাচ্ছে, আর যেন বলছে, ‘আমি আছি, আমি লাফাচ্ছি।’ শরীরটা যেন হাঁড়ি; মন বুদ্ধি—জল ইন্দ্রিয়ের বিষয়গুলি যেন—ডাল, ভাত, আলু পটোল। অহং যেন তাদের অভিমান, আমি টগ্‌বগ্‌ করছি! আর সচ্চিদানন্দ অগ্নি।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis 10: আক্রমণের প্রতিবাদে গর্জে ওঠে বাংলাদেশের হিন্দুরাও, বিক্ষোভ জাতিসঙ্ঘের সদর দফতরের সামনেও

    Bangladesh Crisis 10: আক্রমণের প্রতিবাদে গর্জে ওঠে বাংলাদেশের হিন্দুরাও, বিক্ষোভ জাতিসঙ্ঘের সদর দফতরের সামনেও

    হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার পর থেকেই অশান্ত বাংলাদেশ। মন্দির ভাঙচুর, আগুন, মারধর, খুন-সবেতেই টার্গেট সংখ্যালঘু হিন্দু। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইউনূসের কঙ্কালসার চেহারাটা এখন গোটা বিশ্বের কাছে পরিষ্কার। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর গোটা বিশ্ব জেনে গিয়েছে, কী ভয়াবহ এবং আতঙ্কের পরিবেশ সেখানে। শুধু কি সাধারণ নিরীহ হিন্দু বা হিন্দুদের মন্দির? না, বেছে বেছে কাঠগড়ায় তুলে চরম শাস্তি দেওয়া হয়েছে আওয়ামি লিগপন্থী জনপ্রতিনিধি, পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পদস্থ কর্তাদেরও। কীভাবে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন চলছে, কীভাবে একের পর এক সরকারি অফিসার বা জনপ্রতিনিধির ওপর শাস্তির খাঁড়া নেমে আসছে, তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন। আজ অষ্টম পর্ব।

     

    অশান্ত বাংলাদেশ: টার্গেট হিন্দু-১০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের অগাস্ট মাসের পাঁচ তারিখে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis 10) সংখ্যালঘুদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন নেমে আসে। এরপর থেকেই হিন্দুদের প্রতিবাদ-প্রতিরোধ শুরু হয়। চলতি বছরের অক্টোবর মাসেই বড় আকারের সমাবেশ করে বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোট (Targeting Minority)। ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গত ৪ অক্টোবর এখানে উপস্থিত ছিলেন হিন্দু সমাজের ধর্মীয় নেতারা এবং তাঁরা নিজেদের বক্তব্যে হিন্দু ধর্ম তথা বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপরে হামলার নিন্দা করেন এবং দোষীদের বিচারের দাবিতে সরব হন।

    ১৯ জন হিন্দুর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহ মামলা (Bangladesh Crisis 10)

    প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর মাসের ২৬ তারিখ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার দাবি সমেত অন্যান্য আট দফা দাবিতে চট্টগ্রামে এক বিশাল হিন্দু সমাবেশ আয়োজন করে সনাতন জাগরণ মঞ্চ নামের একটি সংগঠন। হিন্দু সমাজের ওই সমাবেশের পরে ফের একের পর এক সম্প্রদায়িক সংঘর্ষের ঘটনা শুরু হয়। চট্টগ্রামে অক্টোবর মাসেই বিতর্কিতভাবে দেশদ্রোহী মামলা দায়ের করা হয় ১৯ জন হিন্দুর বিরুদ্ধে। যাঁদের মধ্যে ছিলেন ইস্কন সন্ন্যাসীরাও। অভিযোগ করা হয় যে ইসকনের ওই সন্ন্যাসীরা বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis 10) জাতীয় পতাকার ওপরে গৈরিক পতাকা উত্তোলন করেছেন।  

    ২ নভেম্বর সনাতন জাগরণ মঞ্চের সভা

    হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ চলতে থাকে নভেম্বর মাসেও। সেই সময়ও বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis 10) একাধিক জায়গায় মন্দিরে-মন্দিরে হামলা, সংখ্যালঘু হিন্দুদের বাড়িতে লুট, অগ্নি-সংযোগের ঘটনা ঘটতে থাকে। গত ২ নভেম্বর সেখানকার সনাতন জাগরণ মঞ্চ চট্টগ্রামের পার্বত্য এলাকায় সভা করে। চট্টগ্রামের ওই সভার মধ্যে অন্যতম দাবি ছিল, বাংলাদেশের প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হওয়া হামলার বিচার। বিপুল সংখ্যায় হিন্দুরা ওই সমাবেশে যোগদান করে এবং তারা নিরাপত্তা তথা বিচারের দাবিতে গর্জন শুরু করে।

    বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা

    বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর লাগাতার এমন অত্যাচারের ঘটনায় ঢাকা-চট্টগ্রাম সমেত বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis 10) জেলায় জেলায় বিক্ষোভের পাশাপাশি, নির্যাতিত হিন্দুদের পাশে দাঁড়াতে গোটা বিশ্বের সনাতনীরা মাঠে নেমে পড়ে। এক ব্যাপক হিন্দু আন্দোলন গড়ে ওঠে সারা বিশ্বজুড়ে। বিশ্বের কমবেশি প্রত্যেকটি দেশেই শুরু হয় প্রতিবাদ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সনাতনীরা হাতে পোস্টার এবং ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে সব থেকে বড় আকারের বিক্ষোভ হয়। বাংলাদেশি হিন্দু বংশোদ্ভুতরা জাতিসঙ্ঘের সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। নিউইয়র্কের এই বিক্ষোভে ব্যাপক প্রভাব পড়ে দুনিয়াজুড়ে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অসংখ্য সংবাদমাধ্যমও এই ঘটনাগুলিকে খবরের আকারের প্রতিবেদন হিসেবে প্রকাশ করে। বিক্ষোভ চলতে থাকে মিশিগান, ওয়াশিংটন প্রভৃতি শহরে।

    বিক্ষোভ হোয়াইট হাউসের সামনেও

    অন্যদিকে, হিন্দুরা ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসের সামনেও বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। গোটা দুনিয়ার নজরে আনা হয় বাংলাদেশ সরকারের এমন বর্বরোচিত আচরণ। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা এবং নির্যাতনের ঘটনায় প্রতিবাদ দেখা যায় ব্রিটেনেও। সেখানেও দলে দলে হিন্দুরা রাস্তায় নামে। বাংলাদেশের হিন্দুদের বিরুদ্ধে হওয়া আক্রমণের ঘটনায় ব্রিটিশ পার্লামেন্ট বিল্ডিং-এর সামনে বিবিসি হেডকোয়ার্টারের পাশেই বিক্ষোভ চলতে থাকে। একইসঙ্গে বিক্ষোভ দেখানো হয় লন্ডনেও। শুধুমাত্র ব্রিটেন কিংবা আমেরিকা নয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশেও শুরু হয় এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ। অস্ট্রেলিয়াতে ব্যাপক সংখ্যায় হিন্দুরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। সে দেশে বিক্ষোভ চলে মেলবোর্ন অ্যাডিলেড পার্ক প্রভৃতি স্থানে।

    গ্রেফতার করা হয় চিন্ময় প্রভুকে

    প্রসঙ্গত, মৌলবাদীদের পাশাপাশি সে দেশে প্রশাসনের মদতেও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপরে নির্বিচারে অত্যাচার শুরু হয়। হয়রানি করা হতে থাকে সেখানকার সাধু-সন্ন্যাসীদের। ইসকনের হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, যিনি ছিলেন সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের অন্যতম মুখপাত্র এবং ইসকনের সন্ন্যাসী, তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ঢাকা বিমানবন্দরে চিন্ময় প্রভুকে গ্রেফতার করা হয় ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসের ২৫ তারিখ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় দেশদ্রোহিতার এবং বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাকে অবমাননা করার। এরপরে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে যেদিন চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়, সেদিন ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয় দুপক্ষের মধ্যে। সেখানে নিহত হয় এক আইনজীবী।

    গ্রেফতার চিন্ময় প্রভু, বিক্ষোভ বাংলাদেশজুড়ে 

    চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারের পরেই বাংলাদেশ জুড়ে আবার ক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে সংখ্যালঘু হিন্দুদের মধ্যে। দলে দলে হিন্দুরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করতে থাকেন। বিক্ষোভ শুরু হয় চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চলে। এর পাশাপাশি ঢাকা, গোপালগঞ্জ, বরিশাল, সিলেট, টাঙ্গাইল, নারায়ণগঞ্জ, ফেনী প্রত্যেকটি জায়গাতে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে রাস্তায় নামে দলে দলে হিন্দুরা। একইসঙ্গে বাংলাদেশের ইসকন আনুষ্ঠানিকভাবে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির প্রতিবাদ জানায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Germany: জঙ্গি যোগ! জার্মানির ভিড় বাজারে বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে ২ জনকে পিষলেন ‘উদ্বাস্তু’ চিকিৎসক

    Germany: জঙ্গি যোগ! জার্মানির ভিড় বাজারে বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে ২ জনকে পিষলেন ‘উদ্বাস্তু’ চিকিৎসক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার জার্মানির (Germany) ম্যাগডেবার্গ শহরে একটি হাড়হিম করা ঘটনা ঘটে। ওই শহরের জনবহুল বাজারে ইচ্ছাকৃতভাবে রুদ্ধশ্বাসে গাড়ি চালিয়ে কয়েকজনকে পিষে দেন সৌদি আরবের এক ডাক্তার। জার্মানির স্থানীয় সংবাদপত্রগুলির রিপোর্ট অনুযায়ী, এই পরিকল্পিত হামলায় কমপক্ষে দুজন নিহত হয়েছেন এবং ৬০ জন আহত হয়েছেন। মর্মান্তিকভাবে নিহতদের মধ্যে একজন শিশু রয়েছে। এটা কি জার্মানির উদারমনস্ক উদ্বাস্ত নীতির ফল? উঠছে প্রশ্ন।

    ৫০ বছর বয়সি ওই ডাক্তারের নাম তালেব আল আবদুল মহসেন

    ইতিমধ্যে সে রাজ্যের স্থানীয় প্রশাসন হামলাকারীকে চিহ্নিত করেছে। ৫০ বছর বয়সি ওই ডাক্তারের নাম তালেব আল আবদুল মহসেন। প্রসঙ্গত, মর্মান্তিক ওই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। পুলিশ এখনও পর্যন্ত হামলাকারির গাড়িতে কোনও রকমের বিস্ফোরক পায়নি। তবে জঙ্গি যোগ রয়েছে কিনা সেই বিষয়ে তদন্ত চলছে। একটি তদন্তকারী দলকে ইতিমধ্যে বার্নবার্গ শহরে (Germany) পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, সেখানেই তালেব আল আবদুল মহসেন থাকতেন। তালেব পেশায় একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। তিনি জার্মানিতে চলে আসেন ২০০৬ সালে। এরপরে জার্মানিতে তাঁকে উদ্বাস্তুর স্বীকৃতি দেওয়া হয় ২০১৬ সালে। সেখানেই তিনি স্থায়ীভাবে বসতি গড়ে তোলেন।

    ১৫ জনের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক (Germany)

    হামলার খবর পৌঁছতেই সঙ্গে সঙ্গে পৌঁছে যায় পুলিশ ও দমকল। একশোর বেশি দমকল কর্মী এবং ৫০ জন অন্যান্য উদ্ধারকর্মী উদ্ধারকার্যে নেমে পড়েন। জানা গিয়েছে , আহতদের মধ্যে ১৫ জনের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। প্রসঙ্গত, এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরবের প্রশাসন এবং সমবেদনা জানিয়েছে নিহত জার্মান নাগরিকদের প্রতি।

    ২০১৬ সালেও একই কায়দায় হামলা চালানো হয়

    গতকালের এই ঘটনা নতুন কিছু নয়। আট বছর আগে ২০১৬ সালে তিউনেশিয়ার একজন অনুপ্রবেশকারী আনিস আমরি বার্লিনের একটি খ্রিস্টান বাজারে একইভাবে ট্রাক চালিয়েছিলেন এবং ১২ জন সাধারণ নাগরিককে হত্যা করেছিলেন। এখানেই উঠছে প্রশ্ন! আশ্রয় নিয়েও উদ্বাস্তুরা জেহাদি কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে।

    ম্যাগডেবুর্গ শহরের (Germany) মেয়র সিমোন বোরিসের বিবৃতি 

    এনিয়ে শহরের মুখপাত্র মাইকেল রেইফ বলেন, ‘‘ঘণ্টায় ১৩০ কিমি বেগে টাউন হলের সংশ্লিষ্ট এলাকায় ভিড়ের মধ্যে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়েছেন অভিযুক্ত।’’ তিনি এও বলেন, ‘‘হামলাকারী একাই ছিলেন। ফলে এই মুহূর্তে নতুন করে হামলার কোনও আশঙ্কা নেই। তবু ঝুঁকি না নিয়ে শহরের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।’’ যেখানে হামলা চালানো হয়েছে সেটি ম্যাগডেবার্গ শহরের ক্রিসমাস মার্কেট হিসেবে পরিচিত। বড়দিন উপলক্ষে ইতিমধ্যে আলোতে সেজে উঠেছে ৪০০ মিটার ওই এলাকা। সন্ধ্যায় অনেকেই সেখানে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। খবরে প্রকাশ, একটি কালো রঙের বিএমডব্লু ভাড়া করেন অভিযুক্ত। এরপরই বেপরোয়া গতিতে ভিড়ের মধ্যে গাড়ি চালিয়ে দেন তিনি। যা থেকে তদন্তকারীরা মনে করছেন, পুরোটাই পরিকল্পিত, হামলা চালানোর জন্যই ওই সৌদি ডাক্তার এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন। ম্যাগডেবুর্গ শহরের মেয়র সিমোন বোরিস বলেছেন, ‘‘আমি গভীরভাবে মর্মাহত। আমি কখনই ভাবতে পারিনি যে ম্যাগডেবুর্গ শহরে এমন একটি ঘটনা ঘটবে।’’

    ২০১৮ সালের সমীক্ষা (Germany)

    প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে জার্মান (Germany) দেশে একটি সমীক্ষা হয়। সেই সমীক্ষায় উঠে আসে যে, সে দেশের চতুর্থ জনবহুল রাজ্য লোয়ার স্যাক্সনিতে অনুপ্রবেশকারীদের কারণেই হিংসাত্মক কার্যকলাপ সব থেকে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ওই পরিসংখ্যান বলছে ২০০৭ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে লোয়ার স্যাক্সনিতে অপরাধ ২১.৯ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে ২০১৬ সালের শেষ নাগাদ আবার ১০.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে যায় অপরাধ। পরিসংখ্যান বলছে, লোয়ার স্যাক্সনি শহরের প্রায় সাড়ে ৭ লাখেরও বেশি উদ্বাস্তু রয়েছেন এবং তাঁরা জার্মান দেশের নাগরিকত্ব ছাড়াই সেখানে বসবাস করছেন। তথ্য বলছে, ২০১৬ সালের শেষের দিকে, প্রায় ১.৫ লাখ উদ্বাস্ত জার্মান দেশে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছিলেন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, লোয়ার স্যাক্সনিতে মোট অপরাধের ৯২.১ শতাংশই উদ্বাস্তুদের কারণে হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India: ‘‘ভাষা নিয়ে আরও সংযত হোন’’, মানচিত্র বিতর্কে বাংলাদেশকে সতর্ক করল দিল্লি

    India: ‘‘ভাষা নিয়ে আরও সংযত হোন’’, মানচিত্র বিতর্কে বাংলাদেশকে সতর্ক করল দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমাগত ভারতবিরোধী মন্তব্য ভেসেই আসছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে। এ নিয়ে ইউনূস সরকারকে সতর্ক করল ভারত (India)। বাংলাদেশ সরকারের উদ্দেশ্যে ভারতের বার্তা, ‘‘ভাষা নিয়ে আরও সংযত হোন।’’ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত মাহফুজ আলমের পোস্ট ঘিরেই শুরু বিতর্ক। বাংলাদেশের মানচিত্র বলে দাবি করে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি প্রকাশ করেন মাহফুজ আলম (Mahfuj Alam)। অভিযোগ, সেই মানচিত্রে ভারতের বেশ কিছুটা অংশকেও দেখানো হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গ, অসম, ত্রিপুরাকে সেখানে বাংলাদেশের অংশ হিসেবে দেখানো হয়।

    মাহফুজ আলমের  ফেসবুক পোস্ট

    বিজয় দিবসের রাতে একটি দীর্ঘ ফেসবুক পোস্টে করেছিলেন মাহফুজ আলম। সেখানে লেখা ছিল, “বিজয় এসেছে, তবে সামগ্রিক নয় ।মুক্তি এখনও বহুত দূরে।…’’ তাঁর মতে, পশ্চিমবঙ্গের একাংশ এবং উত্তর-পূর্ব ভারত নিয়ে অখণ্ড বাংলাদেশ তৈরি করতে হবে। মাহফুজের দাবি ছিল, এই মানচিত্র না হলে নাকি পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ হবে না। এই পোস্টটি তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি করে। কারণ, মাহফুজের এই দাবি সরাসরি ভারতের সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জ করে। এমনকী, খোদ বাংলাদেশের অন্দরেই মাহফুজের পোস্ট নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। 

    বিদেশমন্ত্রকের কড়া হুঁশিয়ারি (India)

    ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, মাহফুজ আলমের ফেসবুক পোস্টের বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের কাছে কঠোর বার্তা দেওয়া হয়েছে। কঠোর বার্তা পেতেই মাহফুজের পোস্ট ডিলিট করে দেওয়া হয়। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, ‘‘ওই বিতর্কিত পোস্ট ইতিমধ্যে মুছে ফেলেছে। তবে আমরা সংশ্লিষ্ট পক্ষকে তাঁদের জনসাধারণের মধ্যে প্রকাশ্যে মন্তব্য (ভারতবিরোধী) নিয়ে সচেতন হওয়ার কথা বলতে চাই। ভারত বার বার বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতির আগ্রহ দেখিয়েছে। কিন্তু এই রকমের মতপ্রকাশের ক্ষেত্রে দায়িত্বজ্ঞান থাকার প্রয়োজন।’’

    মাহফুজকেই ‘বিপ্লবের মাথা’ বলে উদ্ধৃত করেছিলেন ইউনূস

    প্রসঙ্গত, একদা এই মাহফুজকেই ‘বিপ্লবের মাথা’ বলে উদ্ধৃত করেছিলেন ইউনূস নিজে। অন্তর্বর্তী সরকারের এক জন প্রতিনিধি হিসেবে আলমের মন্তব্য ভারত (India) ভালো ভাবে নিচ্ছে না ভারত, সেটা পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে।  অন্যদিকে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ এবং মানবাধিকারের ওপর এর প্রভাব নিয়ে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে মোদি সরকারকে (India)। গত ৯ ডিসেম্বর ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রির বাংলাদেশ সফরের সময়েও সেই বার্তা দেওয়া হয়েছিল। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গ থেকে ওড়িশা, বিহার সবটাই দখল করে নেওয়া হবে। এরপর আবার মানচিত্র বিতর্ক সামনে এল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।  

     

  • Ramakrishna 226: “বিষয়াসক্ত মন যেমন ভিজে দেশলাই, যত ঘষো জ্বলে না”

    Ramakrishna 226: “বিষয়াসক্ত মন যেমন ভিজে দেশলাই, যত ঘষো জ্বলে না”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িমধ্যে

    নবম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১০ই জুন

    শ্রীরামকৃষ্ণ মণিরামপুর ভক্তসঙ্গে

    “তাঁর নাম সর্বদাই করতে হয়। কলিতে নাম-মাহাত্ম্য (Ramakrishna)। অন্নগত প্রাণ, তাই যোগ হয় না। তাঁর নাম করে, হাততালি দিলে পাপপাখি পালিয়ে যায়।

    “সৎসঙ্গ সর্বদাই দরকার। গঙ্গার যত কাছে যাবে ততই শীতল হাওয়া পাবে; অগ্নির যত কাছে যাবে ততই উত্তাপ পাবে।

    “ঢিমে তেতলা হলে হয় না। যাদের সংসারে ভোগের ইচ্ছা আছে তারা বলে, ‘হবে, কখন না কখন ঈশ্বরকে পাবে!’

    “আমি কেশব সেনকে বলেছিলাম (Kathamrita), ছেলেকে ব্যাকুল দেখলে বাপ তিন বৎসর আগেই তার হিস্যে ফেলে দেয়।

    “মা রাঁধছে, কোলের ছেলে শুয়ে আছে। মা মুখে চুষি দিয়ে গেছে; যখন চুষি ফেলে চিৎকার করে ছেলে কাঁদে, তখন মা হাঁড়ি নামিয়ে ছেলেকে কোলে করে মাই দেয়। এই সব কথা কেশব সেনকে বলেছিলাম।

    “কলিতে বলে, একদিন একরাত কাঁদলে ইশ্বর দর্শন হয়।

    “মনে অভিমান করবে, আর বলবে, ‘তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ; দেখা দিতে হবে।’

    “সংসারেই থাক, আর যেখানেই থাক—ঈশ্বর (Ramakrishna) মনটি দেখেন। বিষয়াসক্ত মন যেমন ভিজে দেশলাই, যত ঘষো জ্বলে না। একলব্য মাটির দ্রোণ অর্থাৎ নিজের গুরুর মূর্তি সামনে রেখে বাণ শিক্ষা করেছিল।

    “এগিয়ে পড়;—কাঠুরে এগিয়ে গিয়ে দেখেছিল (Kathamrita), চন্দন কাঠ, রূপার খনি, সোনার খনি, আরও এগিয়ে গিয়ে দেখলে হীরে, মাণিক।

    “যারা অজ্ঞান, তারা যেন মাটির দেওয়ালের ঘরের ভিতর রয়েছে। ভিতরে তেমন আলো নাই, আবার বাহিরের কোন জিনিস দেখতে পাচ্ছে না। জ্ঞান লাভ করে যে সংসারে থাকে সে যেন কাচের ঘরের ভিতর আছে। ভিতরে আলো বাহিরেও আলো। ভিতরের জিনিসও দেখতে পায়, আর বাহিরের জিনিসও দেখতে পায়।”

    ব্রহ্ম ও জগন্মাতা এক 

    “এক বই আর কিছু নাই। সেই পরব্রহ্ম ‘আমি’ যতক্ষণ রেখে দেন, ততক্ষণ দেখান যে, আদ্যাশক্তিরূপে সৃষ্টি-স্থিতি-প্রলয় করছেন।

    “যিনিই ব্রহ্ম (Ramakrishna) তিনিই আদ্যাশক্তি। একজন রাজা বলেছিল যে, আমায় এককথায় জ্ঞান দিতে হবে। যোগী বললে, আচ্ছা তুমি এককথাতেই জ্ঞান পাবে। খানিকক্ষণ পরে রাজার কাছে হঠাৎ একজন যাদুকর এসে উপস্থিত। রাজা দেখলে, সে এসে কেবল দুটো আঙুল ঘুরাচ্ছে, আর বলছে, ‘রাজা, এই দেখ, এই দেখ।’ রাজা অবাক্‌ হয়ে দেখছে (Kathamrita)। খানিকক্ষণ পরে দেখে দুটো আঙুল একটা আঙুল হয়ে গেছে। যাদুকর একটা আঙুল ঘোরাতে ঘোরাতে বলছে, ‘রাজা, এই দেখ, এই দেখ।’ অর্থাৎ ব্রহ্ম আর আদ্যাশক্তি প্রথম দুটা বোধ হয়। কিন্তু ব্রহ্মজ্ঞান হলে আর দুটা থাকে না! অভেদ! এক! যে একের দুই নাই। অদ্বৈতম্‌।”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shivkhola: চা বাগানের বুক চিরে রাস্তা, সবুজের গালিচা, পাহাড়ি নদী! ছবির মতো সুন্দর শিবখোলা

    Shivkhola: চা বাগানের বুক চিরে রাস্তা, সবুজের গালিচা, পাহাড়ি নদী! ছবির মতো সুন্দর শিবখোলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক; একটা ছোট্ট পাহাড়ি নদী আর তরাই উপত্যকার ইতস্তত বিক্ষিপ্ত জঙ্গল। এই নিয়েই সংসার দার্জিলিং জেলার এই অনাঘ্রাত, প্রায় অচেনা পার্বত্য পর্যটন কেন্দ্র ‘শিবখোলা’র। ছবির মতো সুন্দর নরবুঙ টি এস্টেটের (Tea garden) বুক চিরে রাস্তা চলে গিয়েছে সোজা। সেই রাস্তা ছেড়ে দিলে সবুজের গালিচায় মোড়া এক টুকরো ভূমি আর তার নীচে নদীর চর। নদীর ওপারে মহানন্দার অরণ্য আর বিশঘরের গ্রাম। গ্রাম থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে নদীর তীরে এক সুপ্রাচীন শিব মন্দির (Shivkhola)। মূল মন্দির আর নাটমন্দিরের নীচ দিয়ে শিবখোলা নদী একটা মনোরম বাঁক নিয়েছে। পাহাড়ি কিশোরীর উচ্ছলতায় পায়ের নুপূরের ঝুমঝুমি বাজিয়ে অনর্গল বয়ে চলেছে সেই নদী।

    অপূর্ব মায়ার আঁচল (Shivkhola)

    এখান থেকে প্রায় ১৫ কিমি দূরে মালদিরাম সানরাইজ পয়েন্ট। এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার অসাধারণ ভিউ পাওয়া যায়। ম্যাগপাই, মিনলা, মিনিভেটের রাজত্ব এই অঞ্চলে। এছাড়াও এখানে দেখা মেলে বিভিন্ন প্রজাতির, বিভিন্ন রঙের প্রজাপতির। এখানে কোথাও নেই শহরের কোলাহল। নেই কোনও দূষণ। পাহাড়ের কোলে প্রকৃতি যেন এক অপূর্ব মায়ার আঁচল বিছিয়ে রেখেছে। ট্রেকিং, বার্ড ওয়াচিং অথবা নিঃশব্দে প্রকৃতির কোলে দুটো দিন কাটানোর জন্য এক আদর্শ জায়গা এই শিবখোলা (Shivkhola)। ইচ্ছে হলে আর হাতে সময় থাকলে একই সঙ্গে ঘুরে আসা যায় ২৫ কিমি দূরের লাটপাঞ্চার, ৪ কিমি দূরে হেলিপ্যাড আর ভিউ পয়েন্ট অথবা দু-আড়াই ঘন্টার সফরে দার্জিলিং থেকেও।

    যাবেন কীভাবে, থাকবেন কোথায়?

    যাতায়াত ও থাকা খাওয়া-কলকাতা থেকে এলে প্রথমে আসতে হবে এন জে পি বা নিউ জলপাইগুড়ি। আসছে তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস, দার্জিলিং মেল, কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস প্রভৃতি ট্রেন। সেখান থেকে আসতে হবে শিলিগুড়ি। শিলিগুড়ি থেকে গাড়ি নিয়ে আসতে হবে শিবখোলা (Shivkhola)। দূরত্ব প্রায় ২৭ কিমি। কলকাতা থেকে সরাসরি শিলিগুড়ি আসছে বেশ কিছু সরকারি এবং বেসরকারি বাসও। শিবখোলায় আছে শিবখোলা অ্যাডভেঞ্চার ক্যাম্প। ফোন ৭০৭৬০১২৩১৪ , ৮৩৮৮৮৪২৩৪১।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share