Tag: madhyom news

madhyom news

  • Ramakrishna 247: “বাটীতে ফিরিয়া গিয়া ভাবিয়া দেখিলেন যে, সংস্কার সম্বন্ধে এখনও তাঁহার পূর্ণ বিশ্বাস হয় নাই”

    Ramakrishna 247: “বাটীতে ফিরিয়া গিয়া ভাবিয়া দেখিলেন যে, সংস্কার সম্বন্ধে এখনও তাঁহার পূর্ণ বিশ্বাস হয় নাই”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২১শে জুলাই

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ কলিকাতা রাজপথে ভক্তসঙ্গে

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) গাড়ি করিয়া দক্ষিণেশ্বর-কালীবাড়ি হইতে বাহির হইয়া কলিকাতা অভিমুখে আসিতেছেন। সঙ্গে রামলাল ও দু-একটি ভক্ত। ফটক হইতে বহির্গত হইয়া দেখিলেন চারিটি ফজলি আম হাতে করিয়া মণি পদব্রজে আসিতেছেন। মণিকে দেখিয়া গাড়ি থামাইতে বলিলেন। মণি গাড়ির উপর মাথা রাখিয়া প্রণাম করিলেন।

    শনিবার, ২১শে জুলাই, ১৮৮৩ খ্রীষ্টাব্দ, (৬ই শ্রাবণ), আষাঢ় কৃষ্ণা প্রতিপদ, বেলা চারিটা। ঠাকুর অধরের বাড়ি যাইবেন, তৎপরে শ্রীযুক্ত যদু মল্লিকের বাটী, সর্বশেষে ৺খেলাৎ ঘোষের বাটী যাইবেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মণির প্রতি, সহাস্যে)—তুমিও এস না—আমরা অধরের বাড়ি যাচ্ছি।

    মণি যে আজ্ঞা বলিয়া গাড়িতে উঠিলেন।

    মণি ইংরেজী পড়িয়াছেন, তাই সংস্কার মানিতেন না, কিন্তু কয়েকদিন হইল ঠাকুরের নিকটে স্বীকার করিয়া গিয়াছিলেন যে, অধরের সংস্কার ছিল তাই তিনি অত তাঁহাকে ভক্তি করেন। বাটীতে ফিরিয়া গিয়া ভাবিয়া দেখিলেন যে, সংস্কার সম্বন্ধে এখনও তাঁহার পূর্ণ বিশ্বাস হয় নাই। তাই ওই কথা বলিবার জন্যই আজ ঠাকুরকে দর্শন করিতে আসিয়াছেন। ঠাকুর কথা কহিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—আচ্ছা, অধরকে তোমার কিরূপ মনে হয়?

    মণি—আজ্ঞে, তাঁর খুব অনুরাগ।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—অধরও তোমার খুব সুখ্যাতি করে।

    মণি কিয়ৎক্ষণ চুপ (Kathamrita) করিয়া আছেন; এইবার পূর্বজন্মের কথা উত্থাপন করিতেছেন।

    কিছু বুঝা যায় না—অতি গুহ্যকথা 

    মণি—আমার ‘পূর্বজন্ম’ ও ‘সংস্কার’ এ-সব তাতে তেমন বিশ্বাস নাই; এতে কি আমার ভক্তির কিছু হানি হবে?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—তাঁর সৃষ্টিতে সবই হতে পারে এই বিশ্বাস থাকলেই হল; আমি যা ভাবছি — তাই সত্য; আর সকলের মত মিথ্যা; এরূপ ভাব আসতে দিও না। তারপর তিনিই বুঝিয়ে দিবেন।

    “তাঁর কাণ্ড মানুষে কি বুঝবে? অনন্ত কাণ্ড! তাই আমি ও-সব বুঝতে আদপে চেষ্টা করি না। শুনে রেখেছি তাঁর সৃষ্টিতে সবই হতে পারে। তাই ও-সব চিন্তা না করে কেবল তাঁরই চিন্তা করি। হনুমানকে জিজ্ঞাসা করেছিল, আজ কি তিথি, হনুমান বলেছিল (Kathamrita), ‘আমি তিথি নক্ষত্র জানি না, কেবল এক রাম চিন্তা করি।’

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • UGC: দেশের ২১টি ভুয়ো বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করল ইউজিসি, রয়েছে রাজ্যের দুই

    UGC: দেশের ২১টি ভুয়ো বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করল ইউজিসি, রয়েছে রাজ্যের দুই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউজিসি (UGC) সম্প্রতি ২১টি ভুয়ো বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। এরমধ্যে পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে ২টি। দুটির অবস্থানই কলকাতায়। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবকদের কোনও প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সময় আরও সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ইউজিসির (UGC) প্রকাশ করা এই তালিকায় থাকা বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান দাবি করে যে, সেখানে নির্দিষ্ট বিষয়ে ডিগ্রি দেওয়া হয়। কিন্তু তারা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অধীনে নিবন্ধীত নয় বলেই জানিয়েছে ইউজিসি। এই ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলি ছাত্র-ছাত্রীদের প্রলোভন দেখিয়ে ভর্তি তো করায় কিন্তু নিবন্ধন না থাকার কারণে ভবিষ্যতে চাকরিক্ষেত্রে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় পড়ুয়াদের। ইউজিসির নিয়মানুযায়ী নিবন্ধন পেতে যে ধরনের অ্যাকাডেমিক ও পরিকাঠামোগত মানদণ্ড থাকা উচিত তা নেই এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে (Fake University)।

    ভর্তির আগে খুঁটিনাটি বিষয় জানতে বলেছে ইউজিসি (UGC)

    এই ধরনের ভুয়ো বিশ্ববিদ্যালয়গুলি (UGC) নিজেদের মতোই চলে। ইউজিসির নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়েছে এরা। এর ফলে বেশ কিছু পড়ুয়ার সময় ও অর্থ দুই-ই অপব্যয় হয় এই প্রতিষ্ঠানগুলিতে। তাই ইউজিসি বারবার সতর্ক করেছে অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীদের। ইউজিসি পড়ুয়াদের আবেদন জানিয়েছে, কোনও প্রতিষ্ঠানে ভর্তির আগে সেই প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে সমস্ত তথ্য দেখে নেওয়ার। ভর্তি হওয়ার আগে সেই প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন আছে কিনা তাও যেন যাচাই করতে বলা হয়েছে। ইউজিসি-র তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ইউজিসি আইন ১৯৫৬-এর অধীনে নিবন্ধীত সেগুলিই কেবলমাত্র ভারতে ডিগ্রি দিতে পারে। 

    কোন কোন প্রতিষ্ঠান (Fake University) রয়েছে এই তালিকায়?

    ১) ক্রাইস্ট নিউ টেস্টামেন্ট ডিমড ইউনিভার্সিটি, গুন্টুর

    ২) বাইবল ওপেন ইউনিভার্সিটি অফ ইন্ডিয়া, ভাইজাগ

    ৩) এআইআইপিএইচএস গভর্নমেন্ট ইউনিভার্সিটি, দিল্লি

    ৪) কমার্শিয়াল ইউনিভার্সিটি লিমিটেড, দিল্লি

    ৫) ইউনাইটেড নেশনস ইউনিভার্সিটি, দিল্লি

    ৬) ভোকেশনাল ইউনিভার্সিটি, দিল্লি

    ৭) এডিআর সেন্ট্রিক জুরিসডিকাল ইউনিভার্সিটি, দিল্লি

    ৮) আইআইএসই, দিল্লি

    ৯) বিশ্বকর্মা ওপেন ইউনিভার্সিটি ফর সেলফ এমপ্লয়মেন্ট, দিল্লি

    ১০) আধ্যাত্মিক বিশ্ববিদ্যালয়, দিল্লি

    ১১) বড়গণভি সরকার ওয়ার্ল্ড ওপেন ইউনিভার্সিটি, বেলগাঁও

    ১২) সেন্ট জনস ইউনিভার্সিটি, কেরল

    ১৩) আইআইইউপিএম, কোঝিকোড়

    ১৪) রাজা আরাবিক ইউনিভার্সিটি, নাগপুর

    ১৫) শ্রী বোধি অ্যাকাডেমি অফ হায়ার এডুকেশন, পুদুচেরি

    ১৬) গান্ধী হিন্দি বিদ্যাপীঠ, প্রয়াগ, এলাহাবাদ

    ১৭) নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু বিশ্ববিদ্যালয়, আলিগড়

    ১৮) ভারতীয় শিক্ষা পরিষদ, লখনউ

    ১৯) মহামায়া টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি, নয়ডা

    ২০) ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অল্টারনেটিভ মেডিসিন, কলকাতা

    ২১) ইনস্টিটিউট অফ অল্টারনেটিভ মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চ, কলকাতা

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya Ram Mandir: আজ প্রাণপ্রতিষ্ঠার প্রথম বর্ষপূর্তি, পঞ্চামৃত অভিষেক সম্পন্ন হল রামলালার

    Ayodhya Ram Mandir: আজ প্রাণপ্রতিষ্ঠার প্রথম বর্ষপূর্তি, পঞ্চামৃত অভিষেক সম্পন্ন হল রামলালার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যার রাম মন্দিরে (Ayodhya Ram Mandir) রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার (Ramlala Pran Pratishtha) প্রথম বর্ষ পূর্তি উদযাপন হচ্ছে। ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, পৌষ মাসের শুক্ল দ্বাদশীতে হয়েছিল রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা (Ramlala Pran Pratishtha)। যাকে কুর্ম দ্বাদশীও বলে। সেই তিথি পড়েছে আজ, শনিবার। এদিন দুধ, দই, ঘি, মধু সহকারে পঞ্চামৃত অভিষেক সম্পন্ন হয় রামলালার। এরপর গঙ্গাজলে রামের মূর্তিকে স্নান করানো হয়। জানা যাচ্ছে, কমপক্ষে ৫ হাজার ভক্তকে রাম-কথা শোনানোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে অযোধ্যায় (Ayodhya Ram Mandir)।

    শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোদি 

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রামলালার বর্ষপূর্তি (Ramlala Pran Pratishtha) উপলক্ষে এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘সবাইকে শুভকামনা। দীর্ঘদিনের ত্যাগ, তপস্যা ও লড়াইয়ের পর এই মন্দির আমাদের সংস্কৃতি ও আধ্যাত্মিকতার দিকটিই তুলে ধরে।’’‌

    সকাল থেকেই বৈদিক রীতি মেনে চলছে পুজো-পাঠ 

    সকাল থেকেই বৈদিক রীতি মেনে চলছে পুজো-পাঠ। ৬ লক্ষ বার শ্রীরামের মন্ত্রোচ্চারণ হবে এদিন। একইসঙ্গে পাঠ করা হবে রামরক্ষা স্তোত্র ও হনুমান চালিশা। শনিবার মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) একতলায় দুপুর ৩-৫টা পর্যন্ত চলবে রাগসেবা। এরপর ৬টা থেকে শুরু হবে ভজন-কীর্তন অনুষ্ঠান। ভক্তদের জন্য ভোগের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। রাম মন্দির ট্রাস্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, শনিবার রামলালার (Ramlala) জন্য ৫৬ রকমের ভোগ তৈরি করা হয়েছে। রামলালার পুজো সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পরেই সেই ভোগ ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

    ৫০ কুইন্টাল ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে অযোধ্যাকে (Ayodhya)

    প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আরও নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে রাম মন্দিরে (Ayodhya Ram Mandir)। এদিনই লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী ভিড় করেছেন অযোধ্যায়। কোথাও তিল ধারণের জায়গা নেই। এত ভক্তের ভিড় সামাল দিতে পুলিশি নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে। ৫০ কুইন্টাল ফুলদিয়ে সাজানো হয়েছে গোটা রাম মন্দিরকে (Ramlala Pran Pratishtha)। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট জানিয়েছে, বছরের পয়লা দিনে ২ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়েছিল অযোধ্যায় (Ayodhya Ram Mandir)। এবার সংখ্যাটা আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh 2025: পরিবেশবান্ধব মহাকুম্ভ, জাপানি পদ্ধতিতে প্রয়াগরাজজুড়ে ঘন অরণ্য তৈরি করেছে যোগী সরকার

    Mahakumbh 2025: পরিবেশবান্ধব মহাকুম্ভ, জাপানি পদ্ধতিতে প্রয়াগরাজজুড়ে ঘন অরণ্য তৈরি করেছে যোগী সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৩ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025)। চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। মনে করা হচ্ছে, মহাকুম্ভকে কেন্দ্র করে প্রয়াগরাজে জড়ো হতে পারেন ৪০ থেকে ৪৫ কোটি ভক্ত। মহাকুম্ভকে সাফল্যমণ্ডিত করতে প্রস্তুতি তুঙ্গে চলছে। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার বেশ কতগুলি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ করেছে, যাতে এই মহাকুম্ভ পরিবেশবান্ধব হতে পারে। এর মাধ্যমে সারা পৃথিবীর কাছে এক বার্তা পৌঁছে দিতে চায় যোগী আদিত্যনাথ সরকার। বার্তাটি হল, বিশ্বের এত বড় ইভেন্টকেও পরিবেশবান্ধব রাখা যায় এবং পরিবেশের কোনও রকমের ক্ষতি না করে, সেটিকে সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা যায়। আর এই লক্ষ্যেই জাপানি প্রযুক্তি (Mahakumbh 2025) ব্যবহার করে প্রয়াগরাজের (Prayagraj) আশেপাশে ইতিমধ্যে ঘন অরণ্য গড়ে তোলা হয়েছে। স্বল্প পরিসরে ঘন অরণ্য তৈরির পদ্ধতিকে কাজে লাগানো হয়েছে। যার পোশাকি নাম ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ পদ্ধতি। এর ফলে বিশুদ্ধ বাতাস এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশ পাবেন ভক্তরা।

    প্রসঙ্গত, যে স্থানে কুম্ভ হচ্ছে সেটি দেখভাল করে প্রয়াগরাজ পুরসভা। সেই কর্পোরেশন কুম্ভ মেলাকে স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিবেশ বান্ধব গড়ে তুলতে জাপানি প্রযুক্তির সহায়তা নিয়েছে। জানা গিয়েছে, এক্ষেত্রে কাজে ব্যবহার করা হয়েছে ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ পদ্ধতি। এই প্রযুক্তির সাহায্যে ঘন অরণ্য তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। যা অক্সিজেন ব্যাঙ্কের কাজ করবে। যোগী আদিত্যনাথ সরকারের এই প্রয়াসে শুধুমাত্র প্রয়াগরাজে যে সবুজায়ন হয়েছে এমনটাই নয়, এর পাশাপাশি সেখানকার বাতাসও অনেক উন্নত হয়েছে। খুবই ভালো হয়েছে বাতাসের গুণগত মান। এর মাধ্যমে যোগী আদিত্যনাথ সরকার গোটা প্রয়াগরাজে একটি স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ গড়ে তুলতে পেরেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মহাকুম্ভকে সফল করতে এটি যোগী আদিত্যনাথ সরকারের একটি বড় প্রয়াস।

    যোগী সরকারের এমন পদক্ষেপ নিয়ে কী বললেন উদ্ভিদবিদ্যার অধ্যাপক

    এ বিষয়ে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের মতামতও সামনে এসেছে। এমনই একজন হলেন ডক্টর এনবি সিং। যিনি এলাহাবাদ কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক। উদ্ভিদ বিদ্যা বিষয়ের এই অধ্যাপক সারা প্রয়াগরাজেই পরিচিত। তাঁকে বলা হয় ‘গ্রিনারি গুরু’ বা ‘সবুজ গুরু’। কারণ একাধিক পদক্ষেপ তিনি করেছেন সবুজায়নের ওপর। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতেও অনেক কাজ করেছেন তিনি। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, প্রতিনিয়ত দূষণ বাড়ছে এবং বেড়ে চলেছে তাপমাত্রা। এর কারণ হচ্ছে বনাঞ্চল ধ্বংস করে শহর গড়া।

    ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ পদ্ধতি

    প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক বেশ কয়েক বছর ধরেই তীব্র তাপমাত্রা বেড়েছে বিশ্বজুড়ে। শুধুমাত্র তাই নয়, এই সময়ে মেরু অঞ্চলের বরফও গলে যেতে শুরু করেছে। গবেষণায় উঠে এসেছে, এর অন্যতম কারণ হল গাছ কাটা এবং বনাঞ্চল ধ্বংস। তবে এলাহাবাদ কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উদ্ভিদবিদ্যা বিষয়ের অধ্যাপক ডঃ এনবি সিং মনে করেন যে ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ পদ্ধতি প্রযুক্তি হল একটি দুর্দান্ত টেকনিক, যার মাধ্যমে এই সমস্ত সমস্যাগুলির সমাধান করা যায়। তিনি আরও জানিয়েছেন, দ্রুত ঘন অরণ্যের বৃদ্ধি কিভাবে করা যাবে সেই উপায় বাতলে দেয় এই জাপানি টেকনিক। এই পদ্ধতির মাধ্যমে দিন ও রাতে তাপমাত্রার ফারাকও অনেকটাই কমে যায়, বিশেষত গ্রীষ্মকালে। জাপানি প্রযুক্তিতে বনাঞ্চল বৃদ্ধির এই পদ্ধতিতে একটি স্বাস্থ্যকর জীববৈচিত্র গড়ে ওঠে। শুধুমাত্র তাই নয়, এর পাশাপাশি মাটির গুণগত মান অনেকটা বেড়ে যায় এবং তা চাষযোগ্য হয়। একই সঙ্গে বনাঞ্চলগুলি অজস্র প্রাণী ও পাখির বাসভূমিও হয়ে ওঠে। জানা গিয়েছে, কোনও নির্দিষ্ট এলাকায় যদি বনাঞ্চল থাকে, তাহলে সেখানকার তাপমাত্রা এমনিতেই চার থেকে সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যায়। এর পাশাপাশি ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ পদ্ধতিতে আরও একাধিক সুবিধা পাওয়া যায় যা পরিবেশের পক্ষে খুবই উপযোগী।

    দশটি স্থানকে বেছে নেয় প্রয়াগরাজের প্রশাসন

    মহাকুম্ভকে (Mahakumbh 2025) পরিবেশবান্ধব গড়ে তুলতে এবং প্রয়াগরাজের বাতাসের গুণগত মানকে বাড়াতে সেখানকার পুরসভা শহরের দশটি স্থানকে বেছে নেয়। এখানে ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ পদ্ধতির মাধ্যমে মোট ৫৫ হাজার ৮০০ বর্গমিটার জায়গা জুড়ে বিগত দু’বছর ধরে চারা গাছ রোপন করা হয়। এই গোটা প্রকল্পের তদারকি করেন ইঞ্জিনিয়ার গিরিশ সিং। তিনি বলেন, ‘‘আমরা চারা গাছ রোপন করেছিলাম প্রয়াগরাজের নৈনি ইন্ডাস্ট্রিয়াল অঞ্চলে। বছর দুই আগে। এই প্রত্যেকটি চারাগাছই বর্তমানে দশ থেকে বারো ফুট লম্বা হয়ে উঠেছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘নৈনি শিল্পক্ষেত্রের ওই জায়গাতে বর্জ্য পড়ে থাকত। প্রথমে শিল্পের বর্জ্যগুলিকে সেখান থেকে সরানো হয়। তারপরে মাটির গুণগত মান বাড়ানো হয় এবং সেখানে জৈব সার ফেলা হয়। তারপরেই বৃক্ষরোপণ করা হয়।’’ অন্যদিকে আর এক জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার আর কে মিশ্রা বলেন, ‘‘এইভাবে বনাঞ্চল বৃদ্ধির ফলে গোটা এলাকাতে তাপমাত্রা অনেকটাই কমে যাবে। কম জায়গার মধ্যে ঘন অরণ্য গড়ে তোলার পদ্ধতি হল জাপানি মিয়াওয়াকি প্রযুক্তি। মহাকুম্ভে যাঁরা আসবেন, তাঁরা এই সবুজায়নের সাক্ষী থাকবেন।’’

    বনাঞ্চল বৃদ্ধি করতে উদ্যোগ শুরু হয় ২০২০-২১ সাল থেকেই

    প্রসঙ্গত, প্রয়াগরাজে মিয়াওয়াকি প্রকল্প (Mahakumbh 2025) শুরু হয় ২০২০-২১ সাল থেকে। ২০২৩-২৪ সালে তা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। পরিসংখ্যান বলছে, প্রয়াগরাজের নৈনি শিল্পক্ষেত্রের ৬৩টি স্থানের, ৩৪,২০০ বর্গমিটার এলাকাজুড়ে এখনও পর্যন্ত ১ লাখ ১৯ হাজার ৭০০ চারা গাছ রোপন করা হয়েছে। এত বিপুল পরিমাণে চারা গাছ রোপনকে মাইলস্টোন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। একটা সময় ছিল যখন এই এলাকায় একটি বর্জ্য এলাকা বলেই পরিচিত ছিল। কারণ এখানে শিল্প বর্জ্যগুলিকে ফেলা হত। কিন্তু বর্তমানে তা পরিবেশবান্ধব এবং সবুজায়নের একটি কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এর সবটাই হয়েছে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের উদ্যোগে।

    প্রয়াগরাজের সবথেকে বর্জ্য এলাকা ছিল বুসওয়ার, তারও পরিবর্তন হয়েছে

    প্রসঙ্গত, প্রয়াগরাজের সবথেকে বর্জ্য এলাকা ছিল বুসওয়ার এবং সেটিরও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে যোগী আদিত্যনাথের। এর পুরোটাই সম্ভব হয়েছে জাপানি মিয়াওয়াকি প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে। জানা গিয়েছে প্রয়াগরাজের ওই বর্জ্য এলাকায় এখনও পর্যন্ত নয় হাজার বর্গমিটার জুড়ে ২৭টি আলাদা আলাদা জায়গায় ২৭ হাজার চারা গাছ রোপন করা হয়েছে। বর্তমানে ওই স্থান একটি ঘন অরণ্যে পরিণত হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, এই উদ্যোগ শুধুমাত্র ঘন অরণ্য স্থাপনের জন্য নেওয়া হয়নি। তার পাশাপাশি গ্রীষ্মকালে যাতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি না পায় এবং বাতাস যাতে বিশুদ্ধ থাকে সেজন্যও নেওয়া হয়েছে। এই দুই স্থান ছাড়াও প্রয়াগরাজের আরও ১৩টি জায়গাতে জাপানি প্রযুক্তির সাহায্যে অরণ্য তৈরি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

    কোন কোন গাছ রোপন?

    ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রয়াগরাজে শুধুমাত্র ঘন অরণ্যই স্থাপন করা হয়নি। এর মাধ্যমে জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষণ করা আরও সহজ হয়েছে এবং এর পাশাপাশি সেখানকার স্থানীয় লোকজনেরও প্রচুর উপকার হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় ঔষধি গাছ, ফলের গাছও রোপন করা হয়েছে। ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ প্রকল্পের আওতায় যে গাছগুলি রোপন করা হয়েছে, সেগুলি হল আম, মহুয়া, নিম, পিপল, অর্জুন, তুলসী আমলা ইত্যাদি। এর পাশাপাশি গুলমোহর, ব্রাহ্মী রোপন করা হয়েছে। লেবু, বাঁশ ইত্যাদি গাছও রোপন করা হয়েছে।

    ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ প্রযুক্তির খুঁটিনাটি ব্যাপার

    এবার আমরা জেনে নেব ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ প্রযুক্তির খুঁটিনাটি ব্যাপার। ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ প্রযুক্তির প্রতিষ্ঠাতা হলেন, জাপানের এক উদ্ভিদবিজ্ঞানী। তাঁর নাম আকিরা মিয়াওয়াকি। ১৯৭০ সালে তিনি এই প্রযুক্তির আবিষ্কার করেন। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে অল্প পরিসরে ঘন অরণ্য গড়ে তোলা সম্ভব হয়। খুবই কাছাকাছি গাছগুলিকে রোপন করা হয় এই পদ্ধতিতে। এরফলে খুব দ্রুত তারা বৃদ্ধি পায়। যে কোনও চারাগাছ রোপনের করার পরে সেটি বৃক্ষ হতে যত সময় লাগে, তার দশগুণ তাড়াতাড়িভাবে বাড়ে এই পদ্ধতি ব্যবহার করলে।  এর পাশাপাশি, এই পদ্ধতিতে বাড়ে মাটির গুণগত মান। উন্নত হয় জীববৈচিত্র্য। বনাঞ্চল খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়। বর্তমান দিনে শহর বাড়ছে। বাড়ছে শিল্প। এরফলে বাড়ছে তাপমাত্রা। এই আবহে পরিবেশের জীববৈচিত্র্যকে সঠিক রাখতে খুবই প্রয়োজন ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ পদ্ধতি, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত, প্রয়াগরাজ পুর কমিশনার চন্দ্রমোহন এ বিষয়ে বলেন, ‘‘আমরা ঘন অরণ্য তৈরি করতে পেরেছি জাপানি প্রযুক্তির সহায়তায়।’’ 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Yogi Adityanath: জমি মাফিয়াদের বোর্ড হল ওয়াকফ, তীব্র আক্রমণ যোগী আদিত্যনাথের

    Yogi Adityanath: জমি মাফিয়াদের বোর্ড হল ওয়াকফ, তীব্র আক্রমণ যোগী আদিত্যনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ বোর্ডকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। সম্প্রতি প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভের স্থানকে ওয়াকফ সম্পত্তি (Waqf Board) বলে দাবি করা হয়েছিল। সে নিয়ে যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘‘এটা আসলে ওয়াকফ বোর্ড নয়, এটা হল জমি মাফিয়াদের বোর্ড।’’

    যাঁরা বিদ্বেষপূর্ণ মানসিকতা নিয়ে প্রয়াগরাজে হাজির হবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে

    যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‘যাঁরা ওয়াকফ বোর্ডের জমি দাবি করার জন্য মহাকুম্ভে আসবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মহাকুম্ভে মুসলিমদের প্রবেশ নিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী (Yogi Adityanath) বলেন, ‘‘ভারত এবং ভারতীয় সংস্কৃতির ওপর যাঁদের আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে, তাঁদের প্রত্যেককে স্বাগত। কিন্তু যাঁরা বিদ্বেষপূর্ণ মানসিকতা নিয়ে প্রয়াগরাজে হাজির হবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারতীয় সংস্কৃতির ওপর আস্থা রেখে যে কোনও ধর্মের মানুষ যদি গঙ্গাস্নান করতে আসেন, মহাকুম্ভের ঐতিহ্যকে অনুসরণ করেন, তাহলে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু কেউ যদি জমি দাবি করতে আসেন তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

    ইঞ্চি-ইঞ্চি পুনরুদ্ধার করা হবে ওয়াকফ বোর্ডের দখল করা জমি

    উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী (Yogi Adityanath) আরও বলেন, ‘‘কোটি কোটি ভক্ত ১২ বছর পরে মহাকুম্ভে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন। তাই এখানে কোনও রকমের বৈষম্য থাকবে না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশে নানা অজুহাতে ওয়াকফ বোর্ড যে সমস্ত জমি বেআইনিভাবে অধিগ্রহণ করেছে, তার প্রতিটা জমি ইঞ্চি-ইঞ্চি পুনরুদ্ধার করা হবে।’’ এই সময় তিনি মন্তব্য করেন, ‘‘হাজার হাজার বছর ধরে ভারতের ঐতিহ্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে মহাকুম্ভ। অন্যদিকে, ওয়াকফ বোর্ড জমি মাফিয়াদের একটি বোর্ডে পরিণত হয়েছে।’’ তিনি জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশে যেখানেই ওয়াকফ বোর্ডের নামে জমি দেখা হবে, সেখানেই তদন্ত করা হবে এবং তা সঠিক মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calvari Church: প্রতি মাসে ৩ হাজার হিন্দুকে ধর্মান্তকরণ! অন্ধ্রপ্রদেশে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে বিতর্কিত গির্জা

    Calvari Church: প্রতি মাসে ৩ হাজার হিন্দুকে ধর্মান্তকরণ! অন্ধ্রপ্রদেশে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে বিতর্কিত গির্জা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রকের এক নির্দেশে ভাঙা পড়তে চলেছে ক্যালভারি গির্জা এবং তার প্রাঙ্গণ। এই বিতর্কিত গির্জার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। প্রতি মাসে এই গির্জা ৩ হাজারেরও বেশি হিন্দুকে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করত বলে অভিযোগ। এই গির্জা অন্ধ্রের গুন্টুর জেলার নাম্বুরু গ্রামে অবস্থিত। অভিযোগ, গির্জার (Calvari Church) মধ্যে বেআইনি নানা কার্যকলাপ হত। এর পাশপাশি বেআইনিভাবে একের পর এক কাঠামো সেখানে গড়ে তোলা হয় বলেও অভিযোগ।

    রাজ্যের (Andhra Pradesh) কোনও আইন না মানার অভিযোগ 

    ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে এই গির্জার (Calvari Church) বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ওঠে, তারা রাজ্যের কোনও নিয়মকানুনই মানে না। পঞ্চায়েত দফতরের আইন, রাজস্ব আইন, শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের যে নির্দেশ তাও তারা মানে না। এরপরই এই গির্জা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হতে থাকে। পরবর্তীকালে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পর্যন্ত যায় এবং সেখানে অভিযোগ দায়ের করা হয়। ওই গির্জার (Calvari Church) পাদ্রী ডক্টর সতীশ কুমার কোনওরকমের কর না দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছেন এবং তাঁদেরকে লুট করেছেন।

    পাদ্রীর দাবি, সাড়ে তিন লাখেরও বেশি হিন্দুকে ধর্মান্তরিত করেছে তারা

    এরপরই মাঠে নামে প্রশাসন (Andhra Pradesh) এবং শুরু হয় তদন্ত। দেখা যায়, গির্জাটি (Calvari Church) সত্যিই বেআইনিভাবে পরিচালিত হচ্ছিল এবং নানা রকমের অবৈধ কাজ চলত। শুধু তাই নয়, ব্যাপকভাবে হিন্দুদেরকে খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত করার কাজও শুরু করে ওই গির্জা। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসেই খবর পাওয়া যায় যে পাদ্রী সতীশ কুমারের নেতৃত্বে ক্যালভারি চার্চ প্রতি মাসে অন্ততপক্ষে তিন হাজার হিন্দুকে খৃষ্ট ধর্মে ধর্মান্তরিত করে। প্রসঙ্গত, ওই পাদ্রী নিজেই ঘোষণা করেছিলেন যে, এখনও পর্যন্ত তারা সাড়ে তিন লাখেরও বেশি হিন্দুকে খ্রিস্ট ধর্মে ধর্মান্তরিত করেছে। আগামী ১০ বছরে এইরকমই ভারতজুড়ে চল্লিশটি ক্যালভারি গির্জা (Calvari Church) প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে তারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ১ টাকায় জমি লিজ সৌরভকে, চুক্তি গেল বিশ বাঁও জলে, বড় ধাক্কা হাইকোর্টে

    Calcutta High Court: ১ টাকায় জমি লিজ সৌরভকে, চুক্তি গেল বিশ বাঁও জলে, বড় ধাক্কা হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) সঙ্গে মমতা সরকারের জমি চুক্তি বিশ বাঁও জলে। চন্দ্রকোনায় ইস্পাত কারখানা তৈরি করার জন্য সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে ১ টাকায় জমি লিজ দিয়েছিল মমতা সরকার। সেই জমি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। উচ্চ আদালতে প্রশ্ন ওঠে, প্রয়াগের ফিল্ম সিটির জমি, যা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল, তা কীভাবে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ককে ১ টাকায় লিজ দেওয়া হল! বৃহস্পতিবার ছিল সেই মামলার শুনানি। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ এদিন সাফ জানিয়ে দিল, প্রথমে জমির ভ্যালুয়েশন করাতে হবে, তারপর হবে নিলাম। সেই নিলামে যদি সৌরভের সংস্থা প্রয়োজনীয় দাম দিতে পারে, তখনই তাদের হাতে জমি তুলে দেওয়া যেতে পারে।

    ১৩ ফেব্রুয়ারি রিপোর্ট দিতে নির্দেশ (Calcutta High Court) 

    হাইকোর্টের (Calcutta High Court) এমন নির্দেশ রাজ্য সরকার তথা সৌরভের সংস্থার কাছে বড় ধাক্কা বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। আদালত এদিন আরও জানিয়েছে, এই ভ্যালুয়েশনের কাজে রাজ্য যাবতীয় সাহায্য করবে সেবি-কে। গোটা বিষয়ে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি রিপোর্ট দিতে হবে হাইকোর্টে।

    আরও পড়ুন: কানাডার প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত চন্দ্র আর্য, মসনদে কি এবার ‘গর্বিত হিন্দু’?

    বাজেয়াপ্ত করা হয় জমি 

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায় প্রয়াগ গ্রুপকে ফিল্ম সিটি করার জন্য একসময় ৭৫০ একর জমি দিয়েছিল রাজ্য সরকার। পরবর্তীকালে চিটফান্ড মামলায় নাম জড়ায় ওই সংস্থার। অভিযোগ ওঠে, ফিল্ম সিটিতে বিনিয়োগের টাকা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রতারণা করে তোলা হয়েছিল। সেসময় প্রয়াগ গ্রুপের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। অভিযোগ, সেই ৭৫০ একর জমি থেকেই কিছুটা সৌরভকে কারখানার জন্য দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এনিয়েই জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maha Kumbh 2025: মহাকুম্ভে হাজির মহিলা নাগা সাধুরাও, জানুন তাঁদের জীবনের ৭টি দিক

    Maha Kumbh 2025: মহাকুম্ভে হাজির মহিলা নাগা সাধুরাও, জানুন তাঁদের জীবনের ৭টি দিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভের (Maha Kumbh 2025) প্রস্তুতি তুঙ্গে চলছে। ১৩ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে মহাকুম্ভ, চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। পুণ্যলাভের আশায় এখন থেকেই ভিড় শুরু হয়েছে প্রয়াগরাজে। হাজির অসংখ্য নাগা সন্ন্যাসী। নাগা সাধুসন্তদের জীবনযাত্রা নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। পুরুষ সাধুদের পাশাপাশি সন্ন্যাসিনীরাও আসেন মহাকুম্ভে। মহিলা নাগা সাধুদের বা নাগা সাধ্বীদের জীবনও কৃচ্ছসাধনের। নাগা সাধুরা অন্যান্য সন্ন্যাসীদের থেকে কিছুটা আলাদা। জানা যায়, আদিগুরু শঙ্করাচার্যই নাগা সাধুদের শিক্ষা দিতেন হিন্দুধর্মকে রক্ষা করার। অন্যান্য বারের মতো, ২০২৫ সালের প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভেও বড় সংখ্যায় যোগ দিচ্ছেন মহিলা নাগা সন্ন্যাসীরা (Female Naga Sadhus)। তাঁদের সম্পর্কে সাতটি বিষয় আমরা জেনে নেব।

    সম্পূর্ণভাবে কঠোর ব্রত পালন করেন মহিলা নাগা সন্ন্যাসীরা (Maha Kumbh 2025)

    আধ্যাত্মিকতার সন্ধানে মহিলা নাগা সাধুরাও (Maha Kumbh 2025), পার্থিব জগতের সমস্ত বস্তুগত সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ত্যাগ করে, নিজেদের পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন সন্ন্যাস ধর্ম বেছে নেন। যোগব্যায়াম, ধ্যান, জপের অনুশীলন করেই তাঁরা দিন চর্চা করেন। তবে, মহিলা নাগা সাধুরা বস্ত্রহীনা হন না, তাঁরা পোশাক সেলাইবিহীন পোশাক পরেন এবং কপালে তিলক লাগান।

    কঠোর জীবনযাপন (Maha Kumbh 2025)

    মহিলা নাগা সন্ন্যাসী (Female Naga Sadhus) হতে কঠোর জীবনযাপনের অনুশীলন করতে হয়। বছরের পর বছর ধরে তাঁদেরকে ব্রহ্মচর্য, ধ্যান- এই সমস্ত কিছুর মধ্য দিয়ে যেতে হয়।

    সমতার প্রচার (Maha Kumbh 2025)

    মহিলা নাগা সন্ন্যাসীরা নারী শক্তি এবং আধ্যাত্মিক স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে কাজ করেন। পুরুষদের মতো মহিলারাও যে একইভাবে, একই পদ্ধতিতে আধ্যাত্মিক অনুশীলনের দাবিদার, সেটা মহিলা নাগা সন্ন্যাসীদের দেখলেই বোঝা যায়।

    প্রতিনিয়ত তপস্যা ও শৃঙ্খলা পরায়ণজীবন

    দীক্ষা গ্রহণের পরে মহিলা নাগা সাধুদের অত্যন্ত কঠোর জীবন যাপন করতে হয়। তাঁরা গুহা, জঙ্গল বা নদীর ধারে কোনও আশ্রমে বাস করেন। সাধারণভাবে তাঁরা ভগবান শিবের উপাসনা করেন।

    মহিলা নাগা সাধুদের আখড়া

    অনেক ক্ষেত্রে মহিলা নাগা সাধুরা আখড়াতেও থাকেন এবং সেখানে তাঁরা অধ্যয়ন করেন। আখড়াগুলি অনেক ক্ষেত্রে আধ্যাত্মিক শিক্ষার কেন্দ্র হিসেবেও কাজ করে।

    কুম্ভ মেলায় ব্যাপক ভিড় দেখা যায় মহিলা নাগা সাধুদের

    প্রায় প্রতিটি কুম্ভ মেলাতেই মহিলা নাগা সাধুদের ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা যায়। তাঁরা বিভিন্ন শোভাযাত্রা পরিচালনা করেন এবং শাহি স্নানে অংশগ্রহণ করেন।

    নারী ক্ষমতায়ন

    মহিলা নাগা সাধুরা আজ নারী ক্ষমতায়নের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছেন। তাঁরাই প্রমাণ করেছেন যে আধ্যাত্মিকতার পথে কোনও লিঙ্গ বৈষম্য নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Undivided India: আইএমডি-র দেড়শো বছর, দিল্লিতে ‘অখণ্ড ভারত’ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত পাকিস্তান-বাংলাদেশ

    Undivided India: আইএমডি-র দেড়শো বছর, দিল্লিতে ‘অখণ্ড ভারত’ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত পাকিস্তান-বাংলাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের আবহাওয়া দফতরের দেড়শ বছর পূর্তি, এই উপলক্ষে দিল্লিতে আয়োজিত হচ্ছে ‘অখণ্ড ভারত’ (Undivided India) অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে ভারতের সমস্ত প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে দিল্লি। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে পাকিস্তান ও বাংলাদেশকেও। প্রসঙ্গত, হাল আমলে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক বলতে গেলে তলানিতেই ঠেকেছে। অন্যদিকে, সন্ত্রাস ইস্যুতে পাকিস্তানের (Pakistan) সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বরাবরই খারাপ ভারতের। এই আবহে আবহাওয়া দফতরের ‘অখণ্ড ভারত’ (Undivided India)  অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ জানানো যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহল মহল। ইতিমধ্যে পাকিস্তানের তরফ থেকে ওই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার ব্যাপারে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আবার বাংলাদেশের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী দিল্লি, এমনটাই জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই। 

    উপমহাদেশের অন্যান্য দেশও আমন্ত্রিত (Undivided India) 

    প্রসঙ্গত, পাকিস্তান (Pakistan) ও বাংলাদেশ ছাড়াও এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত থাকছে আফগানিস্তান, মায়ানমার, মলদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা ও নেপাল। উপমহাদেশের এই দেশগুলি ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য ও দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন দেশকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের অংশগ্রহণ নিয়ে আবহাওয়া দফতরের একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমরা চেয়েছিলাম যে ভারতের আবহাওয়া দফতরের প্রতিষ্ঠার সময় অখণ্ড ভারতের অংশ থাকা সমস্ত দেশই এই অনুষ্ঠানে সামিল হোক (Undivided India)।’’

    কেন্দ্রের সমস্ত মন্ত্রক মাঠে নেমেছে অনুষ্ঠানকে সফল করতে

    ইতিমধ্যে ‘অখণ্ড ভারত’-এর (Undivided India) এই অনুষ্ঠানকে সাফল্যমণ্ডিত করে তুলতে মোদি সরকারের একাধিক মন্ত্রক মাঠে নেমেছে। অর্থমন্ত্রক এই অনুষ্ঠানকে স্মরণীয় করে তুলতে ইতিমধ্যে দেড়শো টাকার একটি স্মারক মুদ্রা প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যদিকে, অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ভারতের আবহাওয়া দফতরের দেড়শ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রজাতন্ত্র দিবসে একটি ট্যাবলো প্রকাশ করার অনুমোদন দিয়েছে।

    ১৮৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আইএমডি

    প্রসঙ্গত ভারতের আবহাওয়া দফতর, যা পরিচিত ইন্ডিয়া মেটিওরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট নামে, এই সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭৫ সালের ১৫ জানুয়ারি। তখনই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর। তার আগে অবশ্য দেশের একাধিক প্রান্তে ছিল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। এই আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রগুলিকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত করেছিল। ১৭৮৫ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কলকাতাতে প্রতিষ্ঠা করে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। ১৭৯৬ সালে (তৎকালীন) মাদ্রাজে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়। ১৮২৬ সালে গড়ে ওঠে বম্বে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। এরপরে উনিশ শতকের প্রথম প্রথমদিকে ভারতীয় উপমহাদেশ জুড়ে প্রতিষ্ঠিত করা হতে থাকে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র।

    কীভাবে প্রতিষ্ঠিত হল আইএমডি

    ১৮৬৪ সালে কলকাতায় ব্যাপক ঘূর্ণিঝড় হয়। ১৮৬৬ এবং ১৮৭১ সালে ব্যাপক বন্যার কারণে বাংলাজুড়ে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। তখনই নড়েচড়ে বসে ব্রিটিশ সরকার। এধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলিকে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রগুলির ব্যর্থতা বলে মনে করে ব্রিটিশ সরকার। এরপরে ১৮৭৫ সালে ইন্ডিয়া মেটিওরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট বা আইএমডি প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্রিটিশ সরকার তখন সিদ্ধান্ত নেয় যে আবহাওয়ার খুঁটিনাটি রেকর্ড সংরক্ষণ এবং সেই অনুযায়ী তথ্য বিশ্লেষণ ও পর্যবেক্ষণ করবে এই সংস্থা। আবহাওয়া সংক্রান্ত পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করার কাজে স্থাপিত হয় ইন্ডিয়া মেটিওরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট। জানা যায়, ১৮৭৫ সালে  ইন্ডিয়া মেটিওরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট প্রতিষ্ঠার পর থেকে এর সদর দফতর ছিল কলকাতায়। পরবর্তীকালে ১৯০৫ সালে আইএমডির দফতর স্থানান্তরিত হয় সিমলায়। ১৯২৮ সালে আইএমডি-এর দফতর চলে যায় পুণেতে। ব্রিটিশ শাসনের একদম শেষের দিকে ১৯৪৪ সালে নতুন দিল্লিতে স্থানান্তরিত হয় আইএমডির দফতর এবং তখন থেকে এটা দিল্লিতে রয়েছে।

    দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে আইএমডি

    বছরের পর বছর ধরে আইএমডি-এর বিবর্তন হয়েছে এবং বর্তমান দিনে এশিয়ার অন্যতম শীর্ষস্থানীয় একটি আবহাওয়া পূর্বাভাস দফতরে তা পরিণত হয়েছে। ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আবহাওয়া বিজ্ঞান সমেত নানা গবেষণার কাজে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে আইএমডি। জানা যায়, প্রথমদিকে টেলিগ্রামের যুগে, আইএমডি টেলিগ্রামের মাধ্যমে আবহাওয়ার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খুঁটিনাটি আপডেট এবং সতর্কতা পাঠাত। পরবর্তীকালে যখন কম্পিউটার আসে, তখন এর মাধ্যমে কাজ চলতে থাকে। স্বাধীন ভারতে ইসরো স্থাপিত হওয়ার পরে, ওই সংস্থাকেও বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করতে থাকে আবহাওয়া দফতর। বর্তমানে আবহাওয়া দফতরের নিজস্ব উপগ্রহ রয়েছে যা বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস দিতে সক্ষম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘২০৩১ সালের পরে হিন্দুদেরও পালানোর রাস্তা খুঁজতে হবে’, কীসের ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: ‘২০৩১ সালের পরে হিন্দুদেরও পালানোর রাস্তা খুঁজতে হবে’, কীসের ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিস্থিতি না বদল করতে পারলে ২০৩১ সালের পর পশ্চিমবঙ্গ থেকে পালানোর পথ খুঁজতে হবে হিন্দুদের। তখন আবাস যোজনায় তৈরি বাড়িগুলি দখল করে নেবে ‘ওরা’। বৃহস্পতিবার হাওড়ার রামরাজাতলায় মন্দির উদ্বোধনের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের বক্তব্যে একথা বলতে শোনা গেল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। তিনি আরও বলেন, ‘‘যে ভাবে পাকিস্তান, আফগানিস্তানকে হিন্দুশূন্য করা হয়েছে একই পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশ।’’

    ভাষণে উঠে আসে নিজের মায়ের কথাও বলেন বিরোধী দলনেতা 

    এদিনের বক্তব্যে নিজের মায়ের প্রসঙ্গও তোলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। জীবন বাঁচাতে তাঁকেও বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসতে হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, ‘‘আমার মা গায়ত্রী ভট্টাচার্য, তাঁর বাবা মাখনলাল ভট্টাচার্যের হাত ধরে বরিশাল থেকে এক কাপড়ে পালিয়ে এসেছিল হিন্দু হওয়ার কারণে। আর এখানে পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, ২০৩১ সালের পরে আমাদেরও পালানোর রাস্তা খুঁজতে হবে। জায়গা খুঁজতে হবে। ভাতা আসবে যাবে। আবাস হবে, আবাস ভাঙবে-গড়বে। কিন্তু এই যে বাড়িগুলি তৈরি করে রেখে যাচ্ছেন না, সব দখল করবে ওরা।’’

    বাংলাদেশে চলছে হিন্দু শূন্য করার কাজ (Suvendu Adhikari) 

    এর পরই বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘দখল করেছে আফগানিস্তানে। সেখানে হিন্দু, শিখ ও জৈন পার্শিদের হাতে সব থেকে বেশি সম্পদ ছিল। একদম শূন্য করে দিয়েছে। পাকিস্তানে ১ শতাংশেরও কমে নামিয়ে দিয়েছে। লাহোর, ইসলামাবাদ থেকে শুরু করে সব বড় শহরে শিক্ষা, ব্যবসা, সম্পদ, অর্থ সব ছিল হিন্দু, শিখ, পার্শিদের হাতে। সেই একই ভাবে বাংলাদেশে শূন্য করার কাজ চলছে।’’

    মমতা (Mamata Banerjee) সরকারের বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতির অভিযোগ

    হাওড়ার সভা থেকে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতিরও অভিযোগ তোলেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। তাঁর বক্তব্য, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে যে সীমাহীন তোষণ, তুষ্টিকরণের রাজনীতি চলছে এবং ডেমোগ্রাফি বদলে দিচ্ছে। সীমান্ত খোলা, রোহিঙ্গা মুসলমান ছেয়ে যাচ্ছে।’’ এরপরেই বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘একদিকে যখন বাংলাদেশি রোহিঙ্গাদের নিয়ে দিল্লি, অসম, ত্রিপুরা পুলিশ তৎপরতা দেখাচ্ছে, তখন বাংলায় তাদের অনুপ্রবেশকে স্বাগত জানাচ্ছেন তৃণমূল নেতারা’’ এদিনের সভায় শুভেন্দু ছাড়াও হাজির ছিলেন ভারত সেবাশ্রম সংঘের বেলডাঙা শাখার প্রধান কার্তিক মহারাজ। সভায় বক্তব্য রাখেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share