Tag: madhyom news

madhyom news

  • Weather Update: ঘূর্ণাবর্তের জেরে আজও বৃষ্টির পূর্বাভাস জেলায় জেলায়, জানাল হাওয়া অফিস

    Weather Update: ঘূর্ণাবর্তের জেরে আজও বৃষ্টির পূর্বাভাস জেলায় জেলায়, জানাল হাওয়া অফিস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগে চিন্তা বাড়াচ্ছে বৃষ্টি। নিম্নচাপের জেরে বাংলার আকাশে ফের দুর্যোগের মেঘ দেখা গিয়েছে। গতকাল বুধবারের পর আজ বৃহস্পতিবারও সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা (Weather Update)। বৃষ্টি হয়েছে একাধিক জেলায়। হাওয়া অফিসের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, বঙ্গোপসাগরে তৈরি নিম্নচাপ ইতিমধ্যে শক্তি হারিয়েছে তবে এর প্রভাবে দক্ষিণ ছত্তিশগড়ে তৈরি হয়েছে একটি সক্রিয় ঘূর্ণাবর্ত, যার জেরে রাজ্যজুড়ে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টির (Rain Forecast) সতর্কতা জারি করা হয়েছে পুরুলিয়া, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান এবং মুর্শিদাবাদে। অন্যদিকে, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান এবং নদিয়ায় অনেকাংশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে।

    কেমন থাকবে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া (Weather Update)? 

    অন্যদিকে, দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টির চরম সর্তকতা দিয়েছে হাওয়া অফিস। জানা গিয়েছে, দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টি হতে পারে বৃহস্পতিবার। অন্যদিকে, একই পূর্বাভাস দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদা জেলার ক্ষেত্রেও। উত্তরবঙ্গে তবে শুধু আজ বৃহস্পতিবারই নয়, শুক্রবারও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির (Weather Update) কথা শুনিয়েছে হাওয়া অফিস। দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার সব জেলাতেই এক চিত্র দেখা যাবে। বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো বাতাস বইবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

    বৃষ্টির জেরে বাড়বে নদীর জলস্তর

    হাওয়া অফিসের তরফে এও জানানো হয়েছে, এই বৃষ্টির (Rain Forecast) জেরে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে নদীর জলস্তর অনেকটাই বাড়তে পারে। কোথাও কোথাও নদীর জলস্তর বিপদ সীমার ওপরেও চলে যেতে পারে। এরফলে নিচু এলাকাগুলিতে বন্যার আশঙ্কা থাকবে। বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতের আশঙ্কা থাকায় নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে থাকার পরামর্শ দিয়েছে হাওয়া অফিস (Weather Update)। হাওয়া অফিস তবে জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে দক্ষিণবঙ্গে। বৃহস্পতিবার কলকাতার আকাশ মূলত মেঘলা থাকবে। কয়েক দফায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকতে পারে। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৫ ডিগ্রির আশপাশে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rachana Banerjee: ‘‘কুইন্টাল-কুইন্টাল জল’’! কিউসকের বদলে নতুন একক তৈরি রচনার, কটাক্ষ বিজেপির

    Rachana Banerjee: ‘‘কুইন্টাল-কুইন্টাল জল’’! কিউসকের বদলে নতুন একক তৈরি রচনার, কটাক্ষ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের আলটপকা মন্তব্য করলেন তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachana Banerjee)। হুগলির বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে সাংসদের মন্তব্যে ফের হাসির রোল পড়ে গিয়েছে। নেটদুনিয়ায় ভাইরালও হয়েছে তাঁর মন্তব্য। সোমবার হুগলির বলাগড়ের বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে যান স্থানীয় সাংসদ। সেখানেই ডিভিসি-কে নিশানা করতে গিয়ে ‘কুইন্টাল কুইন্টাল’ জল ছাড়ার অভিযোগ তোলেন। কিউসকের সঙ্গে কুইন্টালকে গুলিয়ে ফেলেন হুগলির (Hooghly) তৃণমূল সাংসদ। কেউ কেউ কটাক্ষ করে দাবিও তুলেছেন, রচনাকে মিউজিয়ামে রাখা হোক! প্রসঙ্গত বুধবার ডিভিসিকে দোষারোপ করার সময় একক গুলিয়ে ফেলে রচনা বলেন, ‘‘কুইন্টাল কুইন্টাল জল বেরিয়ে আসছে। মানুষের বাড়িঘর কিচ্ছু নেই। সবাই রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছেন। আর ওরা বলছে জানিয়ে পাঠিয়েছে!’’

    ভুলভাল বকছেন উনি (Rachana Banerjee)! কটাক্ষ বিজেপির

    জলের একক গুলিয়ে ফেলায় তাঁকে রীতিমত কটাক্ষ শুরু করেছে রাজ্য বাজেপি। খোঁচা দিয়ে কটাক্ষ করে হুগলি (Hooghly) বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর ওঁকে মিউজিয়ামে রাখা উচিত। একজন সাংসদ হয়ে বলছেন কুইন্টাল কুইন্টাল জল ছাড়ছে! কুইন্টালে কবে থেকে জল মাপা শুরু হল? কোনও জ্ঞান নেই তাই এসব ভুলভাল বকছন।’’ প্রসঙ্গত রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার হুগলির বন্যা বিধ্বস্থ এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। চাঁদরা, মিলনগর, ইত্যাদি জায়গায় পৌঁছান তিনি। সেখানেই ডিভিসিকে আক্রমণ করতে গিয়ে ফের একবার আলটপকা মন্তব্য করে বসেন সাংসদ।

    একাধিক মন্তব্যে হাসির খোরাক সাংসদ (Rachana Banerjee)

    প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালেই রাজনীতির ময়দানে পা রেখেছেন রচনা (Rachana Banerjee)। তার পর থেকে একাধিকবার সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছেন রচনা (Rachana Banerjee) শুধুমাত্র তাঁর আলটপকা মন্তব্যের কারণে। কখনও তাঁর ‘ধোঁয়া ধোঁয়া’ মন্তব্য নিয়ে হাসির রোল উঠেছে। কখনও আবার সিঙ্গুরের দই কেন ভালো সেটার ব্যাখ্যা দিতে গিয়েও হাসির খোরাক হয়েছেন তিনি। সমাজমাধ্যমের পাতায় এই নিয়ে প্রচুর মিমও ছড়িয়ে পড়ে সেসময়। এবার কিউসেকের বদলে জল মাপার একক কুইন্টাল বলতেই তা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘‘ভূ-ভারতে কংগ্রেসের মতো কোনও দুর্নীতিগ্রস্ত দল নেই’’, হরিয়ানায় তোপ মোদির

    PM Modi: ‘‘ভূ-ভারতে কংগ্রেসের মতো কোনও দুর্নীতিগ্রস্ত দল নেই’’, হরিয়ানায় তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতি ইস্যুতে ফের একবার কংগ্রেসকে তুলোধোনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সম্প্রতি সামনে এসেছে কর্নাটকের কংগ্রেস (Congress) সরকারের বিরুদ্ধে বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ। মহীশূর আরবান ডেভলপমেন্ট অথরিটিতে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। এ প্রসঙ্গেই কংগ্রেসকে তোপ দাগেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বুধবার নরেন্দ্র মোদি হাজির ছিলেন হরিয়ানার সোনপথে। ভোটমুখী হরিয়ানাতে প্রধানমন্ত্রী মোদি কংগ্রেসের ব্যর্থতা এবং দুর্নীতির যাবতীয় পরিসংখ্যান তুলে ধরেন এবং এ প্রসঙ্গেই তিনি উত্থাপন করেন কর্নাটকের মহীশূর আরবান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির দুর্নীতি। তখনই তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘ভূ-ভারতে কংগ্রেসের মতো কোনও দুর্নীতিগ্রস্ত দল নেই।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘দু বছরও হয়নি কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় এসেছে কর্নাটকে, কিন্তু আপনারা দেখুন! এখন থেকে কীভাবে তারা দুর্নীতি করছে! খোদ কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী জমি দুর্নীতিতে অভিযুক্ত। নিজেকে বাঁচাতে হাইকোর্টের রক্ষাকবচও চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে এই দুর্নীতির তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।’’

    কংগ্রেস সরকার কৃষকদের জমি লুট করত

    তিনি হরিয়ানার মানুষদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘‘১০ বছর আগে যখন এখানে কংগ্রেসের সরকার ছিল, তখন কৃষকদের জমি লুট করত তারা। কংগ্রেস (Congress) হরিয়ানা জমিগুলিকে দালালদের হাতে সঁপে দিয়েছিল। এমন কোনও সরকারি চাকরির পরীক্ষা ছিল না যেখানে দুর্নীতি হয়নি। সরকারের কোনও সংস্থাই দুর্নীতির বাইরে ছিল না।’’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন আরও বলেন, ‘‘কংগ্রেস সরকার সর্বদাই তপশিলি জাতি, তপশিলি উপজাতি এবং ওবিসি সমাজকে সক্রিয়ভাবে সামাজিক বা সরকারি কাজে অংশগ্রহণ থেকে দূরে রেখেছে। তাই বর্তমান দিনে দলিত সমাজও কংগ্রেসের পরাজয়ের জন্য অপেক্ষা করছে।’’

    দুর্নীতিকে লালন পালন করে কংগ্রেস, তোপ মোদির (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এদিন বলেন, ‘‘আপনারা অবশ্যই লক্ষ্য করে দেখবেন কংগ্রেস যেখানেই সুযোগ পায় সেখানেই তারা দুর্নীতি এবং পরিবারতন্ত্রকে প্রাধান্য দেয়। কংগ্রেস হল এমন একমাত্র দল যারা দুর্নীতিকে ভারতের শাসনব্যবস্থায় লালন পালন করেছে দীর্ঘদিন ধরে এবং আজও করে চলেছে।’’ এনডিএ সরকারের সাফল্যগাথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আজকে সারা বিশ্বের বড় বড় কোম্পানিরা তাকিয়ে রয়েছে ভারতের দিকে এবং তারা উদগ্রীব ভারতে বিনিয়োগ করতে। এই বড় কোম্পানিগুলি ভারতবর্ষে যখন বিনিয়োগ করবে তখন হরিয়ানার যুবসমাজ ও কৃষকরাও উপকৃত হবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: ভারতের কোনও অংশকে পাকিস্তান বলা যাবে না, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: ভারতের কোনও অংশকে পাকিস্তান বলা যাবে না, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের কোনও অংশকে, কেউ পাকিস্তান বলে উল্লেখ করতে পারবেন না, সাফ জানালেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud)। বুধবারই একটি মামলার শুনানিতে বুধবার এই মন্তব্য করে দেশের শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ‘‘দেশের কোনও অংশকে, কেউ পাকিস্তান বলতে পারেন না। এমন মন্তব্য দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতার পরিপন্থী। আদালতে যা কিছু ঘটে, তা কিছুই গোপন রাখা উচিত নয়।’’

    বিতর্ক শুরু কীভাবে?

    বিতর্ক শুরু কর্নাটক হাইকোর্টের বিচারপতি বেগব্যাসাচর শ্রীষনন্দার একটি মন্তব্য ঘিরে। পরে সেই বিতর্কের জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। এনিয়েই গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ দিল এদিন সুপ্রিম কোর্ট। জানা গিয়েছে, কর্নাটকের একটি মামলা ছিল বাড়ির মালিক এবং ভাড়াটের বিবাদ সংক্রান্ত। এই মামলার শুনানিতেই বিচারপতি শ্রীষনন্দা বেঙ্গালুরুর সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাকে পাকিস্তান বলে উল্লেখ করেন। শুধু তাই নয়, এক মহিলা আইনজীবীকে নিশানা করে তিনি নারীবিদ্বেষী মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। এনিয়ে ব্যাপক শোরগোল শুরু হয়। এর পরে প্রকাশ্যে ক্ষমাও চেয়ে নেন ওই বিচারপতি। কিন্তু পরবর্তীকালে মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছায়।

    আদালতে বিচারপতিরা কী ধরনের মন্তব্য করতে পারেন, তা নিয়ে নির্দেশিকা তৈরির কথাও বলে শীর্ষ আদালত

    এদিনই সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ কর্নাটক হাইকোর্টের ওই বিচারপতির বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়াও বন্ধ করে দিয়েছে। এনিয়ে প্রধান বিচারপতি (DY Chandrachud) জানিয়েছেন, বিচার ব্যবস্থার স্বার্থে ও মর্যাদার প্রশ্নেই এমন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। কর্নাটকের ওই মামলার শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতি, বিচারপতি এস খন্না, বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি এস কান্ত এবং বিচারপতি এইচ রায়কে নিয়ে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ গঠিত হয়। এদিন আদালতে বিচারপতিরা কী ধরনের মন্তব্য করতে পারেন, তা নিয়ে নির্দেশিকা তৈরির কথাও বলে শীর্ষ আদালত।

    প্রধান বিচারপতির (Supreme Court) আরও বক্তব্য

    আজ বুধবার শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি (Supreme Court) আরও বলেন, ‘‘হালকা চালে কোনও মন্তব্য করা হলেও, তা কোনও বিশেষ সম্প্রদায় বা লিঙ্গের মানুষের প্রতি ব্যক্তিগত পক্ষপাত ইঙ্গিত করে।  এই ধরনের বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকা উচিত। বিশেষ সম্প্রদায় বা বিশেষ লিঙ্গের মানুষের প্রতি এমন মন্তব্যে আমরা উদ্বিগ্ন, বিষয়টিকে নেতিবাচক ভাবেই দেখা উচিত।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 145: “হাততালি দিলে যেমন বৃক্ষের উপরের পাখি সব পালায়, সব পাপ তাঁর নামগুণকীর্তনে চলে যায়”

    Ramakrishna 145: “হাততালি দিলে যেমন বৃক্ষের উপরের পাখি সব পালায়, সব পাপ তাঁর নামগুণকীর্তনে চলে যায়”

    বেলঘরে গ্রামে গোবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের বাটীতে শ্রীরামকৃষ্ণের নরেন্দ্র প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে কীর্তনানন্দে

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১৮ই ফেব্রুয়ারি

    বেলঘরেবাসী ও পাপবাদ 

    প্রতিবেশী—আমরা পাপী, আমাদের কি হবে (Kathamrita)?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—তাঁর নামগুণকীর্তন করলে দেহের সব পাপ পালিয়ে যায়। দেহবৃক্ষে পাপপাখি; তাঁর নামকীর্তন যেন হাততালি দেওয়া। হাততালি দিলে যেমন বৃক্ষের উপরের পাখি সব পালায়, তেমনি সব পাপ তাঁর নামগুণকীর্তনে চলে যায়।

    আবার দেখ, মেঠো পুকুরের জল সূর্যের তাপে আপনা-আপনি শুকিয়ে যায়। তেমনি তাঁর নামগুণকীর্তনে পাপ-পুষ্করিণীর জল আপনা-আপনি শুকিয়ে যায়।

    রোজ অভ্যাস করতে হয়। সার্কাসে দেখে এলাম ঘোড়া দৌড়ুচ্ছে তার উপর বিবি একপায়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। কত অভ্যাসে ওইটি হয়েছে।

    আর তাঁকে দেখবার জন্য অন্ততঃ একবার করে কাঁদ।

    এই দুটি উপায়—অভ্যাস আর অনুরাগ, অর্থাৎ তাঁকে দেখবার জন্য ব্যাকুলতা।

    বেলঘরেবাসীর ষট্‌চক্রের গান ও শ্রীরামকৃষ্ণের সমাধি 

    বৈঠকখানাবাড়ির দোতলা ঘরের বারান্দায় ঠাকুর ভক্তসঙ্গে প্রসাদ পাইতেছেন; বেলা ১টা হইয়াছে। সেবা সমাপ্ত হইতে না হইতে নিচের প্রাঙ্গণে একটি ভক্ত গান ধরিলেন:

    জাগ জাগ জননি,
    মূলাধারে নিদ্রাগত কতদিন গত হল কুলকুণ্ডলিনী।

    ঠাকুর (Ramakrishna) গান শুনিয়া সমাধিস্থ। শরীর সমস্ত স্থির, হাতটি প্রসাদপাত্রের উপর যেরূপ ছিল, চিত্রর্পিতের ন্যায় রহিল। খাওয়া আর হইল না। অনেকক্ষণ পরে ভাবের কিঞ্চিৎ উপশম হইলে বলিতেছেন (Kathamrita), “আমি নিচে যাব, আমি নিচে যাব।

    একজন ভক্ত (Ramakrishna) তাঁহাকে অতি সন্তর্পনে নিচে লইয়া যাইতেছেন।

    প্রাঙ্গণেই সকালে নামসংকীর্তন ও প্রেমানন্দে ঠাকুরের নৃত্য হইয়াছিল। এখনও সতরঞ্চি ও আসন পাতা রহিয়াছে। ঠাকুর এখনও ভাববিষ্ট; গায়কের কাছে আসিয়া বসিলেন। গায়ক এতক্ষণে গান থামাইয়াছিলেন। ঠাকুর অতি দীনভাবে বলিতেছেন, বাবু, আর-একবার মায়ের নাম শুনব।

    গায়ক আবার গান গাহিতেছেন (Kathamrita):

    জাগ জাগ জননি,
    মূলাধারে নিদ্রাগত কতদিন গত হল কুলকুণ্ডলিনী।
    স্বকার্যসাধনে চল মা শিরোমধ্যে, পরম শিব যথা সহস্রদলপদ্মে,
    করি ষট্‌চক্র ভেদ (মাগো) ঘুচাও মনের খেদ, চৈতন্যরূপিণি।

    গান শুনিতে শুনিতে ঠাকুর আবার ভাবাবিষ্ট।

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 144: “কলিযুগে ভক্তিযোগই ভাল, ভক্তি দ্বারাও তাঁকে পাওয়া যায়, দেহবুদ্ধি থাকলেই বিষয়বুদ্ধি”

    Ramakrishna 144: “কলিযুগে ভক্তিযোগই ভাল, ভক্তি দ্বারাও তাঁকে পাওয়া যায়, দেহবুদ্ধি থাকলেই বিষয়বুদ্ধি”

    বেলঘরে গ্রামে গোবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের বাটীতে শ্রীরামকৃষ্ণের নরেন্দ্র প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে কীর্তনানন্দে

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১৮ই ফেব্রুয়ারি

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) বেলঘরে শ্রীযুক্ত গোবিন্দ মুখুজ্জের বাটীতে শুভাগমন করিয়াছেন। আজ রবিবার, (৭ই ফাল্গুন) ১৮ই ফেব্রুয়ারি, ১৮৮৩ খ্রীষ্টাব্দ, মাঘ শুক্লা দ্বাদশী, পুষ্যানক্ষত্র। নরেন্দ্র, রাম প্রভৃতি ভক্তরা আসিয়াছেন (Kathamrita), প্রতিবেশিগণ আসিয়াছেন। ৭/৮টার সময় প্রথমেই ঠাকুর নরেন্দ্রাদিসঙ্গে সংকীর্তনে নৃত্য করিয়াছিলেন।

    বেলঘরেবাসিকে উপদেশ—কেন প্রণাম—কেন ভক্তিযোগ 

    কীর্তনান্তে সকলেই উপবেশন করিলেন। অনেকেই ঠাকুরকে প্রণাম করিতেছেন। ঠাকুর মাঝে মাঝে বলিতেছেন, ঈশ্বরকে প্রণাম কর। আবার বলিতেছেন, তিনিই সব হয়ে রয়েছেন, তবে এক-এক জায়গায় বেশি প্রকাশ, যেমন সাধুতে। যদি বল, দুষ্ট লোক তো আছে, বাঘ সিংহও আছে; তা বাঘনারায়ণকে আলিঙ্গন করার দরকার নাই, দূর থেকে প্রণাম করে চলে যেতে হয়। আবার দেখ জল, কোন জল খাওয়া যায়, কোন জলে পূজা করা যায়, কোন জলে নাওয়া যায়। আবার কোন জলে কেবল আচান-শোচান (Kathamrita) হয়।

    প্রতিবেশী—আজ্ঞা, বেদান্তমত কিরূপ?

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—বেদান্তবাদীরা বলে ‘সোঽহম্‌’ ব্রহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা; আমিও মিথ্যা। কেবল সেই পরব্রহ্মই আছেন।

    কিন্তু আমি তো যায় না; তাই আমি তাঁর দাস, আমি তাঁর সন্তান, আমি তাঁর ভক্ত—এ-অভিমান খুব ভাল।

    কলিযুগে ভক্তিযোগই ভাল। ভক্তি দ্বারাও তাঁকে পাওয়া যায়। দেহবুদ্ধি থাকলেই বিষয়বুদ্ধি। রূপ, রস, গন্ধ, স্পর্শ, শব্দ—এই সকল বিষয়। বিষয়বুদ্ধি যাওয়া বড় কঠিন। বিষয়বুদ্ধি থাকতে ‘সোঽহম্‌’ হয় না।

    ত্যাগীদের বিষয়বুদ্ধি কম, সংসারীরা সর্বদাই বিষয়চিন্তা নিয়ে থাকে, তাই সংসারীর পক্ষে ‘দাসোঽহম্‌’(Ramakrishna)।

    আরও পড়ুনঃ “অভ্যাসযোগের দ্বারা কামিনী-কাঞ্চনে আসক্তি ত্যাগ করা যায়, গীতায় এ-কথা আছে

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Antibiotics: অ্যান্টিবায়োটিকে বিষাক্ত পদার্থ! হদিশ জাল ওষুধ চক্রের! ভয়ঙ্কর তথ্য নাগপুর পুলিশের রিপোর্টে

    Antibiotics: অ্যান্টিবায়োটিকে বিষাক্ত পদার্থ! হদিশ জাল ওষুধ চক্রের! ভয়ঙ্কর তথ্য নাগপুর পুলিশের রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  জাল ওষুধের রমরমা কারবার। রোগ-ব‌্যধি উপশমকারী উপাদানের বদলে ওষুধে মিশে রয়েছে ট‌্যালকম পাউডার আর স্টার্চ। এমনই ভয়ঙ্কর তথ্য উঠে এল নাগপুর  (গ্রামীণ) পুলিশের (Nagpur) তদন্ত রিপোর্টে। গত ২০ সেপ্টেম্বর এই বিষয়ে ১,২০০ পৃষ্ঠার বিস্তারিত তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়ে। সেখানেই দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালে ভুয়ো অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotics) দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে গোটা মহারাষ্ট্রে। ওয়ার্ধা, নানদেড়, থানে সব জায়গায় এক চিত্র। জানা গিয়েছে, এর পিছনে রয়েছে একটি বড় চক্র। তবে শুধু মহারাষ্ট্র নয়, জাল ওষুধ যেত উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড ও ছত্তিশগড়েও।

    হরিদ্বারের এক পশু-ওষুধের ল‌্যাবরেটরিতে তৈরি হত জাল ওষুধ

    উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্রের মতো একাধিক রাজ্যে সরবরাহ করা হত ভুয়ো অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotics) এবং তা খেতেন রোগীরা। জানা গিয়েছে, হরিদ্বারের এক পশু-ওষুধের ল‌্যাবরেটরিতে তৈরি হত ওষুধের নামে গায়ে মাখার সস্তা পাউডার আর স্টার্চের এই বিষাক্ত মিশ্রণ। আর তার পর সেই ‘ওষুধ’ পাঠিয়ে দেওয়া হত একের পর এক রাজ্যে। হাওয়ালা চক্রের মাধ‌্যমে মুম্বই থেকে উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে আসত কোটি কোটি টাকা। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে মাসে নীতিন ভাণ্ডারকর নামে এক ড্রাগ ইনস্পেক্টরের হাত ধরে এই জাল ওষুধ চক্রের পর্দা ফাঁস হয়।

    গ্রেফতার একাধিক অভিযুক্ত

    জানা গিয়েছে, জাল ওষুধ চক্রের পর্দাফাঁসের সূত্রপাত নাগপুরের কলমেশ্বরের এক গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানেই পরিদর্শনে গিয়ে প্রথম নীতিন ভাণ্ডারকর বোঝেন, অ‌্যান্টিবায়োটিকের (Antibiotics) নামে ভুয়ো ওষুধ দেওয়া হচ্ছে রোগীদের। তিনি ওষুধ সরবরাহকারী এবং বণ্টনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ফুড অ‌্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (এফডিএ)। এরপরেই শুরু হয় তদন্ত। প্রথমেই গ্রেফতার করা হয় হেমন্ত মুলে নামে এক ব্যক্তিকে। পরে সেই সূত্র ধরেই পাকড়াও করা হয় মিহির ত্রিবেদী, বিজয় চৌধুরি, গগন সিং, রবিন তানেজা, রমণ তানেজাকে। এঁদের সূত্র ধরে খোঁজ মেলে হরিদ্বারের পশু ল‌্যাবরেটরির (Antibiotics)। এই ‌ল‌্যাবরেটরির মালিক অমিত ধীমান নামে এক ব‌্যক্তি, যিনি আগে থেকেই জেলবন্দি। পুলিশ জানিয়েছে, এই চক্রের মাথাদের ব্যাঙ্ক লেনদেন দেখা যাচ্ছে কোটি কোটি টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RSS: উদ্বোধনের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেল আরএসএস-র সদর দফতর, ছাড়পত্র দিল ডিউএসি

    RSS: উদ্বোধনের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেল আরএসএস-র সদর দফতর, ছাড়পত্র দিল ডিউএসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি আরবান আর্টস কমিশন (Delhi Urban Arts Commission), রাজধানীর ঝান্ডেওয়ালান এলাকায় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের নতুন কার্যালয় তৈরির ক্ষেত্রে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট প্রদান করেছে। এরফলে আরএসএস-এর (RSS) নয়া অফিস বিল্ডিং উদ্বোধনের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    ২৯ অগাস্ট মেলে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট

    প্রসঙ্গত, দিল্লি আরবান আর্টস কমিশন (Delhi Urban Arts Commission) গত ১ অগাস্ট এনিয়ে একটি বৈঠক করে। সেই বৈঠকেই আরএসএস-এর (RSS) ভবনকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট প্রদানের বিষয়টি আলোচিত হয়। তবে তখন প্রয়োজনীয় নথির অভাবে এটি আটকে যায়। এর পরে ফের দিল্লি আরবান আর্টস কমিশন (Delhi Urban Arts Commission) বৈঠকে বসে গত ২৯ অগাস্ট। সেই বৈঠকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট প্রদানের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তারা। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত সদর দফতর কেশব কুঞ্জকে সংস্কার ক্ষেত্রে প্রথম ইঁটটি গেঁথে প্রকল্পের কাজের উদ্বোধন করেছিলেন।

    মোট ৪৬ হাজার ৯৯৯ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে অবস্থান করছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) সদর দফতরটি 

    প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) সদর দফতরটি ১২ তলার হতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। মোট ৪৬ হাজার ৯৯৯ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে অবস্থান করছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সদর দফতরটি। ২০১৮ সালে নতুনভাবে ভবন তৈরীর ক্ষেত্রে পরিবেশগত সার্টিফিকেট মিলেছিল বলে জানা গিয়েছে সঙ্ঘের সূত্রে। আরএসএস-এর সদর দফতরে থাকছে একাধিক অফিস, মিটিং রুম, সেমিনার হল এবং একটি বড় লাইব্রেরী। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের নয়া সদর দফতরের বিষয়টিতে প্রথম অনুমোদন মেলে ২০১৫ সালের জুলাই মাসে। এই প্রকল্পটি তত্ত্বাবধান করছে কেশব স্মারক সমিতি। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, যেভাবে আরএসএস-এর কাজ বাড়ছে দেশজুড়ে, তাতে সংগঠনের সদর দফতরের সংস্কারের প্রয়োজন ছিল। তবে কবে নাগাদ সদর দফতরের উদ্বোধন হবে, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Deendayal Upadhayay: ‘মাতা শব্দ সরালে, শুধু ভারত মাটির টুকরো’! আজ দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্মদিন

    Deendayal Upadhayay: ‘মাতা শব্দ সরালে, শুধু ভারত মাটির টুকরো’! আজ দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্মদিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের (Deendayal Upadhayay) জন্মদিন। একাধারে তিনি ছিলেন সুলেখক, দার্শনিক অন্যদিকে রাজনীতিবিদ। একাত্ম মানববাদের প্রণেতা পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্ম ১৯১৬ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর। একাত্ম মানববাদের মাধ্যমে তিনি একটি বিকল্প রাজনীতির সন্ধান দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। তাঁর রচিত একাত্ম মানববাদের মাধ্যমেই তিনি ব্যক্তি, সমাজ ও দেশের মধ্যে মেলবন্ধন স্থাপন করতে পেরেছিলেন। পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় বলতেন, ‘‘ভারতবর্ষে জাতীয়তাবোধের ভিত্তি হল ভারত মাতা, যদি মাতা শব্দটা সরিয়ে দেওয়া হয় তাহলে শুধু ভারত, মাটির টুকরো হয়েই পড়ে থাকবে।’’ 

    পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের (Deendayal Upadhayay) মতে, ‘‘প্রতিটি মানুষের সম্পূর্ণ গঠন হয় চারটি উপাদানের ভিত্তিতে এগুলি হল শরীর, মন, বুদ্ধি এবং আত্মা। এই চারটি উপাদানের সঙ্গে ধর্ম, অর্থ, কাম এবং মোক্ষ এই চারটি বিষয় সম্পর্কিত। ধর্ম হল ভিত্তি এবং মোক্ষ হল সর্বোচ্চ প্রাপ্তি।’’ প্রসঙ্গত, অন্যান্য মতাদর্শ যেখানে শুধুমাত্র মন এবং শরীরের বিভিন্ন চাহিদা পূরণের কথা বলে সেখানে একাত্মমানববাদে ধর্ম এবং মোক্ষেরও ধারণা দিয়েছেন তিনি।

    মৌলিক অধিকার নিয়ে কী বলতেন তিনি?

    দীনদয়াল উপাধ্যায় (Deendayal Upadhayay) একাত্ম মানববাদের মাধ্যমে সমাজব্যবস্থায় সকলের সমান অধিকার এবং সমান সুযোগ-সুবিধার কথা বলেছেন। সামাজিক বিচার, শিক্ষা এসব কিছুকেই তিনি মৌলিক অধিকার হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তাঁর মতে, ‘‘একটি সমাজের ও একটি দেশের অগ্রগতি তখনই সম্ভব যখন প্রত্যেকটি নাগরিক সুস্থ থাকেন।’’ প্রসঙ্গত ভারতীয় সংবিধানের পঞ্চম অধ্যায়ের ১৪ থেকে ৩৫ নম্বর ধারা পর্যন্ত মৌলিক অধিকারের কথা বলা রয়েছে। এর মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত রয়েছে জীবনের অধিকার, স্বাধীনতার অধিকার- এই সমস্ত কিছুই। দীনদয়াল উপাধ্যায়ের মতে, ‘‘জীবনের অধিকার ততক্ষণ পর্যন্ত অসম্পূর্ণ থেকে যায়, যতক্ষণ পর্যন্ত না সুস্থ জীবন যাপনের সুযোগ পাওয়া যায়।’’

    সংক্ষিপ্ত জীবনী (Deendayal Upadhayay)

    পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় (Deendayal Upadhayay) শৈশবকালেই পিতৃমাতৃহীন হন। তাঁর পৈতৃক ভিটে উত্তরপ্রদেশের মথুরাতে হলেও স্কুলজীবনের বড় অংশ অতিবাহিত হয়েছিল রাজস্থানে। জাতীয়তাবাদী এই দেশনেতা অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন নিজের ছাত্রজীবনে। রাজস্থানের সিকার জেলা থেকে তিনি ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষা দেন এবং প্রথমস্থান অধিকার করেন। তৎকালীন সিকারের মহারাজা কল্যাণ সিংয়ের কাছ থেকে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত হন। সনাতন ধর্ম কলেজে স্নাতক স্তরে পড়াকালীন তাঁর বন্ধু বলবন্ত মহাশব্দের হাত ধরে ১৯৩৭ সালে পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সংস্পর্শে আসেন। ১৯৪২ সালে দেশ ও সমাজের কাজকে নিজের জীবনব্রত করার লক্ষ্যে সঙ্ঘের প্রচারক হন। ১৯৫১ সালে ভারতীয় জনসঙ্ঘ প্রতিষ্ঠার পরে তিনি সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ১৯৬৭ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি পার্টির সর্বভারতীয় সভাপতি হন।

    নীতি নিষ্ঠ রাজনীতি

    ধর্ম সম্পর্কে তিনি বলতেন, ‘‘পাশ্চাত্যের রিলিজিয়ন এবং ভারতের ধর্ম এক নয়।’’ অর্থাৎ ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে ধর্ম হল ধর্ম, তার আলাদা কোনও নাম নেই, যেমন- ছাত্র ধর্ম, ক্ষত্রিয় ধর্ম, পিতৃ ধর্ম, মাতৃ ধর্ম এসব কিছুই ধর্মের মধ্যে পড়ে। তিনি আরও বলতেন, ‘‘ধর্ম হচ্ছে ব্যাপক এবং বিস্তৃত। সমাজকে সংগঠিত করতে ধর্ম খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’’ নীতিনিষ্ঠ এবং মূল্যবোধের রাজনীতিতে বিশ্বাস রাখতেন পন্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়। তিনি মনে করতেন, সুযোগ সন্ধানী এবং সুবিধার রাজনীতি, দিনের পর দিন চলতে থাকলে সাধারণ মানুষের রাজনীতির ওপরেই বিশ্বাসটা উঠে যায়। ১৯৬৮ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • BJP Kalighat Chalo: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে আজ ‘কালীঘাট চলো’ অভিযান বিজেপির

    BJP Kalighat Chalo: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে আজ ‘কালীঘাট চলো’ অভিযান বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে বিজেপিকে কর্মসূচি করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High court)। আজ বুধবার বিজেপির ‘কালীঘাট চলো’ অভিযান রয়েছে। সভায় পুলিশের অনুমতি না মেলায় গেরুয়া শিবির দ্বারস্থ হয়েছিল উচ্চ আদালতের। হাইকোর্ট বিজেপিকে হাজরা মোড়ে সভা করার অনুমতি দিয়েছে। বিচারপতি ভরদ্বাজ নির্দেশ দিয়েছেন, বুধবার দুপুর থেকে ওই কর্মসূচি করতে পারবে রাজ্য বিজেপি। হাইকোর্টের নির্দেশ মতো, দুপুর ২টো থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কর্মসূচি করতে পারবে রাজ্য বিজেপি। তবে ২০০-৩০০ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না বলে জানিয়েছে উচ্চ আদালত (Calcutta High court)। আদালতের আরও নির্দেশ, পর্যাপ্ত নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করতে হবে পুলিশকে।

    আরজি কর কাণ্ডে লাগাতার আন্দোলনে বিজেপি (BJP)

    গত ৯ অগাস্ট মহিলা ডাক্তারকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্য বিজেপি (BJP) লাগাতার স্বাস্থ্য ভবন অভিযান, লালবাজার অভিযান, জেলা শাসকের দফতর অভিযান, ব্লক অফিস ঘেরাও, থানা ঘেরাও-সহ একাধিক বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে। ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযানে পুলিশের দমন-পীড়নের প্রতিবাদে ঠিক পরের দিনই ২৮ অগাস্ট রাজ্য়জুড়ে বনধের ডাক দেয় বিজেপি। সারা রাজ্যে বনধের ব্যাপক প্রভাবও পড়ে। আরজি কর কাণ্ডের দেড় মাস পরেও এতটুকু আন্দোলনের ঝাঁঝ কমেনি গেরুয়া শিবিরের। ঠিক এই আবহে ফের একবার আজ বুধবার কালীঘাট চলো অভিযান হতে চলেছে।

    ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত একাধিক কর্মসূচি 

    প্রসঙ্গত, গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকেই ফের একবার লাগাতার কর্মসূচি শুরু করেছে বিজেপি। ১৮ সেপ্টেম্বর পথসভা শুরু হয়েছে বিজেপির। চলবে ১ অক্টোবর পর্যন্ত। প্রতিটি ওয়ার্ডে পথসভা করবেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। পঞ্চায়েত এলাকায় দু’ থেকে তিনটি করে পথসভা করবে বিজেপি (BJP)। এক কোটি সই সংগ্রহ করে তা বিরোধী দলনেতার নেতৃত্বে সাংসদ ও বিধায়করা তুলে দেবেন রাজ্যপালের হাতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share