Tag: madhyom news

madhyom news

  • Ramakrishna 143: “অভ্যাসযোগের দ্বারা কামিনী-কাঞ্চনে আসক্তি ত্যাগ করা যায়, গীতায় এ-কথা আছে”

    Ramakrishna 143: “অভ্যাসযোগের দ্বারা কামিনী-কাঞ্চনে আসক্তি ত্যাগ করা যায়, গীতায় এ-কথা আছে”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে শ্রীযুক্ত রাখাল, প্রাণকৃষ্ণ, কেদার প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১লা জানুয়ারি

    অভ্যাসযোগ—দুই পথ—বিচার ও ভক্তি

    বেলা ৩টা। মারোয়াড়ী ভক্তেরা মেঝেতে বসিয়া ঠাকুরকে প্রশ্ন করিতেছেন। মাস্টার, রাখাল ও অন্যান্য ভক্তেরা ঘরে আছেন।

    মারোয়াড়ী ভক্ত—মহারাজ, উপায় কি?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—দুইরকম আছে। বিচারপথ—আর অনুরাগ বা ভক্তির পথ।

    সৎ-অসৎ বিচার। একমাত্র সৎ বা নিত্যবস্তু ঈশ্বর, আর সমস্ত অসৎ বা অনিত্য। বাজিকরই সত্য, ভেলকি মিথ্যা। এইটি বিচার।

    বিবেক আর বৈরাগ্য (Kathamrita)। এই সৎ-অসৎ বিচারের নাম বিবেক। বৈরাগ্য অর্থাৎ সংসারের দ্রব্যের উপর বিরক্তি। এটি একবারে হয় না।—রোজ অভ্যাস করতে হয়।—তারপর তাঁর ইচ্ছায় মনের ত্যাগও করতে হয়, বাহিরের ত্যাগও করতে হয়। কলকাতার লোকদের বলবার জো নাই ‘ঈশ্বরের জন্য সব ত্যাগ কর—বলতে হয় ‘মনে ত্যাগ কর।

    অভ্যাসযোগের দ্বারা কামিনী-কাঞ্চনে আসক্তি ত্যাগ করা যায়। গীতায় এ-কথা আছে। অভ্যাস দ্বারা মনে অসাধারণ শক্তি এসে পড়ে, তখন ইন্দ্রিয় সংযম করতে—কাম, ক্রোধ বশ করতে—কষ্ট হয় না। যেমন কচ্ছপ হাত-পা টেনে নিলে আর বাহির করে না; কুড়ুল দিয়ে চারখানা করে কাটলেও আর বাহির করে না।

    মারোয়াড়ী ভক্ত—মহারাজ, দুই পথ বললেন; আর-এক পথ কি?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—অনুরাগের বা ভক্তির পথ। ব্যাকুল হয়ে একবার কাঁদ—নির্জনে, গোপনে—দেখা দাও বলে।

    ডাক দেখি মন ডাকার মতো কেমন শ্যামা থাকতে পারে!

    মারোয়াড়ী ভক্ত—মহারাজ, সাকারপূজার মানে কি? আর নিরাকার, নির্গুণ—এর মানেই বা কি?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—যেমন বাপের ফটোগ্রাফ দেখলে বাপকে মনে (Kathamrita) পড়ে, তেমনি প্রতিমায় পূজা করতে করতে সত্যের রূপ উদ্দীপন হয়।

    সাকাররূপ কিরকম জান? যেমন জলরাশির মাঝ থেকে ভুড়ভুড়ি উঠে সেইরূপ। মহাকাশ চিদাকাশ থেকে এক-একটি রূপ উঠছে দেখা যায়। অবতারও একটি রূপ। অবতারলীলা সে আদ্যাশক্তিরই খেলা।

    পাণ্ডিত্য—আমি কে? আমিই তুমি 

    পাণ্ডিত্যে কি আছে? ব্যাকুল হয়ে ডাকলে তাঁকে পাওয়া যায়। নানা বিষয় জানবার দরকার নাই। যিনি আচার্য তাঁরই পাঁচটা জানা দরকার। অপরকে বধ করবার জন্য ঢাল-তরোয়াল চাই; আপনাকে বধ করবার জন্য একটি ছুঁচ বা নরুন হলেই হয়।

    আমি কে, এইটি খুঁজতে গেলে তাঁকেই পাওয়া যায়। আমি কি মাংস, না হাড়, না রক্ত, না মজ্জা—না মন, না বুদ্ধি? শেষে বিচারে দেখা যায় যে, আমি এ-সব কিছুই নয়। ‘নেতি’ ‘নেতি’। আত্মা ধরবার ছোঁবার জো নাই। তিনি নির্গুণ—নিরুপাধি।

    কিন্তু ভক্তি মতে তিনি সগুণ। চিন্ময় শ্যাম, চিন্ময় ধাম—সব চিন্ময়।

    মারোয়াড়ী ভক্তেরা প্রণাম করিয়া বিদায় গ্রহণ করিলেন।

    দক্ষিণেশ্বরে সন্ধ্যা ও আরতি 

    সন্ধ্যা হইল। ঠাকুর গঙ্গাদর্শন করিতেছেন। ঘরে প্রদীপ জ্বালা হইল, শ্রীরামকৃষ্ণ জগন্মাতার নাম করিতেছেন ও খাটটিতে উপবিষ্ট হইয়া তাঁহার চিন্তা (Kathamrita) করিতেছেন।

    ঠাকুরবাড়িতে (Ramakrishna) এইবার আরতি হইতেছে। যাঁহারা এখনও পোস্তার উপর বা পঞ্চবটী মধ্যে পাদচারণ করিতেছেন তাঁহারা দূর হইতে আরতির মধুর ঘন্টা-নিনাদ শুনিতেছেন। জোয়ার আসিয়াছে—ভাগীরথী কুলকুল শব্দ করিয়া উত্তরবাহিনী হইতেছেন। আরতির মধুর শব্দ কুলকুল শব্দের সহিত মিশ্রিত হইয়া আরও মধুর হইয়াছে। এই সকলের মধ্যে প্রেমোন্মত্ত ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বসিয়া আছেন। সকলই মধুর! হৃদয় মধুময়! মধু, মধু, মধু!

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 142: “শ্রীরাধার ভাবে গান গাইতে গাইতে ঠাকুর সমাধিস্থ…চক্ষের দুই কোণ দিয়া আনন্দাশ্রু”

    Ramakrishna 142: “শ্রীরাধার ভাবে গান গাইতে গাইতে ঠাকুর সমাধিস্থ…চক্ষের দুই কোণ দিয়া আনন্দাশ্রু”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে শ্রীযুক্ত রাখাল, প্রাণকৃষ্ণ, কেদার প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১লা জানুয়ারি

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের শ্রীরাধার ভাব

    ঠাকুর দক্ষিণ-পূর্ব বারান্দায় আসিয়া বসিয়াছেন। প্রাণকৃষ্ণাদি ভক্তগণও সঙ্গে সঙ্গে আসিয়াছেন। হাজরা মহাশয় বারান্দায় বসিয়া আছেন। ঠাকুর হাসিতে হাসিতে প্রাণকৃষ্ণকে বলিতেছেন—হাজরা একটি কম নয়। যদি এখানে বড় দরগা হয়, তবে হাজরা ছোট দরগা। (সকলের হাস্য)

    বারান্দার দরজায় নবকুমার আসিয়া দাঁড়াইয়াছেন। ভক্তদের দেখিয়াই চলিয়া গেলেন। ঠাকুর বলিতেছেন, অহংকারের মূর্তি।

    বেলা সাড়ে নয়টা হইয়াছে। প্রাণকৃষ্ণ প্রণাম করিয়া বিদায় গ্রহণ করিলেন—কলিকাতার বাটীতে ফিরিয়া যাইবেন।

    একজন বৈরাগী গোপীযন্ত্রে ঠাকুরের ঘরে গান করিতেছেন:

       নিত্যানন্দের জাহাজ এসেছে।
       তোরা পারে যাবি তো ধর এসে ॥
    ছয় মানোয়ারি গোরা, তারা দেয় সদা পারা,
       বুক পিঠে তার ঢাল খাঁড়া ঘেরা।
    তারা সদর দুয়ার আলগা করে রত্নমাণিক বিলাচ্ছে।

    গান—এই বেলা নে ঘর ছেয়ে।
       এবারে বর্ষা ভারি, হও হুঁশিয়ারি, লাগো আদা জল খেয়ে।
            যখন আসবে শ্রবণা, দেখতে দেবে না।
            বাঁশ বাখারি পচে যাবে, ঘর ছাওয়া হবে না।
    যেমন আসবে ঝটকা, উড়বে মটকা, মটকা জাবে ফাঁক হয়ে।
            (তুমিও যাবে হাঁ হয়ে)।

    গান—কার ভাবে নদে এসে, কাঙাল বেশে, হরি হয়ে বলছি হরি।
      কার ভাবে ধরেছ ভাব, এমন স্বভাব, তাও তো কিছু বুঝতে নারি।

    ঠাকুর গান শুনিতেছেন, এমন সময় শ্রীযুক্ত কেদার চাটুজ্যে আসিয়া প্রণাম করিলেন। তিনি আফিসের বেশ পরিয়া আসিয়াছেন, চাপকান, ঘড়ি, ঘড়ির চেন। কিন্তু ঈশ্বরের কথা হইলেই তিনি চক্ষের জলে ভাসিয়া যান। অতি প্রেমিক লোক। অন্তরে গোপীর ভাব।

    কেদারকে দেখিয়া ঠাকুরের একেবারে শ্রীবৃন্দাবনলীলা উদ্দীপন হইয়া গেল। প্রেমে মাতোয়ারা হইয়া দণ্ডায়মান হইলেন ও কেদারকে সম্বোধন করিয়া গান গাহিতেছেন:

        সখি, সে বন কতদূর।
    (যথা আমার শ্যামসুন্দর) (আর চলিতে যে নারি)

    শ্রীরাধার ভাবে গান গাইতে গাইতে ঠাকুর সমাধিস্থ। চিত্রার্পিতের ন্যায় দণ্ডায়মান। কেবল চক্ষের দুই কোণ দিয়া আনন্দাশ্রু পড়িতেছে।

    কেদার ভূমিষ্ঠ। ঠাকুরের চরণ স্পর্শ করিয়া স্তব করিতেছেন:

    হৃদয়কমলমধ্যে নির্বিশেষং নিরীহম্‌।
    হরিহরবিধিবেদ্যং যোগিভির্ধ্যানগম্যম্‌ ॥
    জননমরণভীতিভ্রংশি সচ্চিৎ স্বরূপম্‌।
    সকল ভুবনবীজং ব্রহ্মচৈতন্যমীড়ে ॥

    কিয়ৎক্ষণ পরে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ প্রকৃতিস্থ হইতেছেন। কেদার নিজ বাটী হালিসহর হইতে কলিকাতায় কর্মস্থলে যাইবেন। পথে দক্ষিণেশ্বর কালী-মন্দিরে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে দর্শন করিয়া যাইতেছেন। একটু বিশ্রাম করিয়া কেদার বিদায় গ্রহণ করিলেন।

    এইরূপে ভক্তসঙ্গে কথা কহিতে কহিতে বেলা প্রায় দু-প্রহর হইল। শ্রীযুক্ত রামলাল ঠাকুরের জন্য থালা করিয়া মা-কালীর প্রসাদ আনিয়া দিলেন। ঘরের মধ্যে ঠাকুর দক্ষিণাস্য হইয়া আসনে বসিলেন ও প্রসাদ পাইলেন। আহার বালকের ন্যায়—একটু একটু সব মুখে দিলেন।

    আহারান্তে ঠাকুর ছোট খাটটিতে একটু বিশ্রাম করিতেছেন। কিয়ৎক্ষণ পরে মারোয়াড়ী ভক্তেরা আসিয়া উপস্থিত হইলেন।

    আরও পড়ুনঃ “গঙ্গার যত নিকটে যাবে ততই শীতল বোধ হবে, স্নান করলে আরও শান্তি”

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 141: “গঙ্গার যত নিকটে যাবে ততই শীতল বোধ হবে, স্নান করলে আরও শান্তি”

    Ramakrishna 141: “গঙ্গার যত নিকটে যাবে ততই শীতল বোধ হবে, স্নান করলে আরও শান্তি”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে শ্রীযুক্ত রাখাল, প্রাণকৃষ্ণ, কেদার প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১লা জানুয়ারি

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের যশোদার ভাব ও সমাধি

    (মাস্টার ও প্রাণকৃষ্ণের প্রতি)—অনেকে ব্রহ্মজ্ঞানের (Ramakrishna) কথা কয়, কিন্তু নিচের জিনিস লয়ে থাকে। ঘরবাড়ি, টাকা, মান, ইন্দ্রিয়সুখ। মনুমেন্টের নিচে যতক্ষণ থাক ততক্ষণ গাড়ি, ঘোড়া, সাহেব, মেম—এইসব দেখা যায়। উপরে উঠলে কেবল আকাশ, সমুদ্র, ধু-ধু কচ্ছে! তখন বাড়ি, ঘোড়া, গাড়ি, মানুষ এ-সব আর ভাল লাগে না; এ-সব পিঁপড়ের মতো দেখায় (Kathamrita)!

    ব্রহ্মজ্ঞান হলে সংসারাসক্তি, কামিনী-কাঞ্চনে উৎসাহ—সব চলে যায়। সব শান্তি হয়ে যায়। কাঠ পোড়বার সময় অনেক পড়পড় শব্দ আর আগুনের ঝাঁঝ। সব শেষ হয়ে গেলে, ছাই পড়ল—তখন আর শব্দ থাকে না। আসক্তি গেলেই উৎসাহ যায়—শেষে শান্তি।

    ঈশ্বরের যত নিকটে এগিয়ে যাবে ততই শান্তি। শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ প্রশান্তিঃ। গঙ্গার যত নিকটে যাবে ততই শীতল বোধ হবে। স্নান করলে আরও শান্তি।

    তবে জীব, জগৎ, চতুর্বিংশতি তত্ত্ব, এ-সব, তিনি আছেন বলে (Ramakrishna) সব আছে। তাঁকে বাদ দিলে কিছুই থাকে না। ১-এর পিঠে অনেক শূন্য দিলে সংখ্যা বেড়ে যায়। ১-কে পুঁছে ফেললে শূন্যের কোনও পদার্থ থাকে না।

    প্রাণকৃষ্ণকে কৃপা করিবার জন্য ঠাকুর কি এইবার নিজের অবস্থা সম্বন্ধে ইঙ্গিত করিতেছেন?

    ঠাকুর বলিতেছেন (Kathamrita)—

    ঠাকুরের অবস্থা—ব্রহ্মজ্ঞানের পর “ভক্তির আমি

    ব্রহ্মজ্ঞানের পর—সমাধির পর—কেহ কেহ নেমে এসে ‘বিদ্যার আমি’, ‘ভক্তির আমি’ লয়ে থাকে। বাজার চুকে গেলে কেউ কেউ আপনার খুশি বাজারে থাকে। যেমন নারদাদি। তাঁরা লোকশিক্ষার জন্য ‘ভক্তির আমি’ লয়ে থাকেন। শঙ্করাচার্য লোকশিক্ষার জন্য ‘বিদ্যার আমি’ রেখেছিলেন।

    একটুও আসক্তি থাকলে তাঁকে পাওয়া যায় না। সূতার ভিতর একটু আঁশ থাকলে ছুঁচের ভিতর যাবে না।

    যিনি ঈশ্বরলাভ করেছেন (Kathamrita), তাঁর কাম-ক্রোধাদি নামমাত্র। যেমন পোড়া দড়ি। দড়ির আকার। কিন্তু ফুঁ দিলে উড়ে যায়।

    মন আসক্তিশূন্য হলেই তাঁকে দর্শন হয়। শুদ্ধ মনে যা উঠবে সে তাঁরই বাণী। শুদ্ধ মনও যা শুদ্ধ বুদ্ধিও তা — শুদ্ধ আত্মাও তা। কেননা তিনি বই আর কেউ শুদ্ধ নাই।

    তাঁকে কিন্তু লাভ করলে ধর্মাধর্মের পার হওয়া যায়।

    এই বলিয়া ঠাকুর সেই দেবদুর্লভকন্ঠে রামপ্রসাদের গান ধরিলেন:

    আয় মন বেড়াতে যাবি।
    কালী-কল্পতরুমূলে রে, চারি ফল কুড়ায়ে পাবি ॥
    প্রবৃত্তি নিবৃত্তি জায়া নিবৃত্তিরে সঙ্গে লবি।
    বিবেক নামে তার বেটারে তত্ত্বকথা তায় শুধাবি ॥

    আরও পড়ুনঃ “গোপাল-মূর্তি দর্শন—কোন ঐশ্বর্য নাই—কেবল কচি ছেলের মূর্তি…জ্যোতিঃ দর্শন”

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tirupati Prasad: “অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত”, তিরুপতির লাড্ডু বিতর্কে সরব একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    Tirupati Prasad: “অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত”, তিরুপতির লাড্ডু বিতর্কে সরব একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিরুপতির (Tirupati Prasad) ভেঙ্কটেশ্বর মন্দিরে লাড্ডু প্রসাদে পশুর চর্বি থাকার অভিযোগ ঘিরে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। মোদি সরকারের মন্ত্রী (Union Minister) বিএল ভার্মা শনিবার জানিয়েছেন, ঘটনার সঙ্গে যাঁরা জড়িত তাঁদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। সংবাদ মাধ্যমকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘‘এটা খুবই দুঃখজনক কারণ সারা দেশের মানুষজনই ভেঙ্কটেশ্বর মন্দিরে আসেন প্রার্থনা করতে। যাঁরা এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’’

     কী বলছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রভনীত সিং বিট্টু (Tirupati Prasad)

    অন্যদিকে অপর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রভনীত সিং বিট্টু এ বিষয়ে বলেন, ‘‘তিরুপতি মন্দির মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে সম্পর্কিত। এখানে এ ধরনের ঘটনা ঘটা উচিত নয়। আমি এখনও মনে প্রাণে চাইছি, এই ঘটনা যেন মিথ্যা প্রমাণিত হয়। কারণ তা যদি সত্যি হয় তবে অসংখ্য মানুষের ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে খেলা করা হবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যে তদন্ত করার কথা জানিয়েছেন। এটাকে স্বাগত জানাচ্ছি।’’ অন্যদিকে অপর এক বিজেপি নেতা নলিন কোহলি এই ঘটনাকে উদ্বেগজনক বিষয় বলে আখ্যা দিয়েছেন এবং তিনি জানিয়েছেন দেশের আপামর ভক্তকে হতাশ করেছে এই ঘটনা।

    বিতর্কের সূত্রপাত (Tirupati Prasad)

    প্রসঙ্গত, শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর স্বামী মন্দির অন্ধপ্রদেশের তিরুপতি জেলায় তিরুমালা পাহাড়ে অবস্থিত। সম্প্রতি সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু দাবি করেন, তিরুপতি মন্দিরের প্রসাদের লাড্ডু তৈরিতে পশুর চর্বি সমেত অন্যান্য নিম্নমানের নানা উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে। এখানেই থেমে না থেকে তিনি গুজরাটের সরকারি এক ল্যাবের রিপোর্টও সামনে আনেন। এই ঘটনায় জন্য চন্দ্রবাবু এবং তাঁর ডেপুটি জনসেনা পার্টির প্রধান পবন কল্যাণ দায়ী করেছেন, তাঁদের পূর্বতন (Union Minister) জগন্মোহন রেড্ডির সরকারকে। বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সঞ্জয় বান্দির দাবি, এ ভাবে মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডুতে পশুর চর্বি মিশিয়ে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় ধর্মীয় অধিকার রক্ষার দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। ওই মামলা করেছেন এক আইনজীবী। মামলাকারীর অভিযোগ, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের রীতি লঙ্ঘন করা হয়েছে। প্রসাদী লাড্ডুকে পবিত্র এবং ঈশ্বরের আশীর্বাদ মনে করেন তিরুপতির ভেঙ্কটেশ্বর মন্দিরের ভক্তরা। সেক্ষেত্রে লাড্ডুতে গরু এবং শুয়োরের চর্বি থাকার প্রমাণে ভক্তদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bengaluru: দিল্লির শ্রদ্ধাকাণ্ডের ছায়া বেঙ্গালুরুতে, তরুণীর দেহ ৩০ টুকরো করে রাখা হল ফ্রিজে

    Bengaluru: দিল্লির শ্রদ্ধাকাণ্ডের ছায়া বেঙ্গালুরুতে, তরুণীর দেহ ৩০ টুকরো করে রাখা হল ফ্রিজে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২২ সালের দিল্লির শ্রদ্ধাকাণ্ডের ছায়া দেখা গেল বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru)। সেখানকার একটি ফ্ল্যাটের ভিতর থেকে এক তরুণীর টুকরো টুকরো দেহ উদ্ধার হল। জানা গিয়েছে, ওই তরুণীর নাম মহালক্ষ্মী (২৯)। তিনি আদতে বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা ছিলেন। তরুণীর দেহকে ত্রিশটি টুকরো করে ফেলে রাখা হয়েছিল ফ্রিজের মধ্যে। বেঙ্গালুরুর মল্লেশ্বরমে এই ঘটনাটি ঘটেছে। বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, একটি এক কামরার ফ্ল্যাট থেকে ওই তরুণীর দেহাংশগুলি পাওয়া গিয়েছে।

    পচা দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা (Bengaluru)

    গতকাল শনিবার ওই ফ্ল্যাটের (Bengaluru) আশপাশের বাসিন্দারা পচা দুর্গন্ধ পেয়ে খবর দেন পুলিশকে। এর পরেই পুলিশ পৌঁছায় ওই ফ্ল্যাটে। সঙ্গে আসেন নিহতের পরিবারও। সেখানেই দেহাংশগুলিকে উদ্ধার করে পুলিশ। প্রশাসনের অনুমান, প্রায় সপ্তাহ দুই আগে ওই তরুণীকে খুন (Murder) করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বেঙ্গালুরুর অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সতীশ কুমার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই ঘটনার তদন্ত চলছে।

    মাঝ বয়সি এক ব্যক্তির খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ

    সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এক কামরার ওই ফ্ল্যাটটিতে একাই ভাড়া থাকতেন তরুণী (Bengaluru)। মাস তিনেক আগেই তিনি ওই ফ্ল্যাটে উঠেছিলেন। তবে কীভাবে তাঁকে খুন করা হল! কে বা কারা এই খুনের সঙ্গে জড়িত, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়, তা তদন্ত সাপেক্ষ বলেই জানিয়েছে পুলিশ। আপাতত পুলিশ খতিয়ে দেখছে সম্প্রতি ওই ফ্ল্যাটে ঠিক কারা কারা প্রবেশ করেছেন। সেই তথ্য সংগ্রহ করছেন তাঁরা। বেঙ্গালুরুর এক স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, মাঝ বয়সি এক ব্যক্তির খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ, তিনি ওই তরুণীর পূর্ব পরিচিত বলেই জানা গিয়েছে।

    দিল্লির শ্রদ্ধা কাণ্ড

    প্রসঙ্গত বছর দুই আগে ২০২২ সালেও একই রকমের ঘটনা ঘটেছিল দিল্লিতে। লিভ-ইন সঙ্গী শ্রদ্ধাকে খুন করার পরে তাঁর দেহ (Murder) ফ্রিজে রেখেছিল আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। ছয় মাস ধরে ওই দেহ ফ্রিজে রাখা হয়েছিল। তারপর তা মেহেরলির জঙ্গলের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দিয়েছিল অভিযুক্ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: কোয়াড সামিটে বিশ্বনেতা মোদি, বার্তা দিলেন প্রতিটি দেশের সার্বভৌমত্বকে রক্ষার

    PM Modi: কোয়াড সামিটে বিশ্বনেতা মোদি, বার্তা দিলেন প্রতিটি দেশের সার্বভৌমত্বকে রক্ষার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনদিনের মার্কিন সফরে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। প্রথম দিনেই তিনি কোয়াড সম্মেলনে যোগ দেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘কোয়াড (QUAD Summit) নেতার অর্থ হল আন্তর্জাতিক নিয়ম ও প্রতিটি দেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান জানানো। আমরা এমন সময়ে একজোট হয়েছি, যখন বিশ্বজুড়ে অশান্তি-যুদ্ধ চলছে। পারস্পরিক গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে কোয়াড কাজ করছে, যা গোটা মানবতার জন্যই অত্যন্ত জরুরি।’’ এর পরেই মোদি বলেন, ‘‘আমরা কেউ কারোর বিরুদ্ধে নই। আমরা সবাই আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে নিয়ম, পারস্পরিক সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান জানিয়ে এবং শান্তিপূর্ণভাবে সব সমস্যার সমাধান করতে একে অপরকে সমর্থন করি।’’

    ২০২৫ সালে কোয়াড বৈঠক ভারতে!

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের কোয়াড সামিট (QUAD Summit) ভারতেই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্টের অনুরোধে তা আমেরিকায় বাইডেনের নিজের শহর ডেলাওয়ারে আয়োজন করা হয়। এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) বলেন, ‘‘আমাদের বার্তা অত্যন্ত স্পষ্ট-কোয়াড থাকবে, এক অপরকে সাহায্য, অংশীদারিত্বে সামিল হবে। আমি আরও একবার প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও আমার সকল সঙ্গীদের স্বাগত জানাই। আগামী ২০২৫ সালে ভারতে কোয়াড লিডার্স সামিট আয়োজন করতে রাজি আমরা।’’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ছাড়াও এই কোয়াড সামিটে উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা।

    গতকাল শনিবারই ফিলাডেলফিয়াতে পৌঁছান মোদি (PM Modi)

    প্রসঙ্গত, গতকালই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে পা রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপরেই তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। এখানে একাধিক ইস্যুতে আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মোদির বিশেষ বিমান অবতরণ করতেই ট্যুইট ভেসে আসে প্রধানমন্ত্রীর এবং তিনি (PM Modi) লেখেন, ‘‘ফিলাডেলফিয়াতে পৌঁছালাম। আজকে কোয়াড সামিট এবং বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক নিয়েই ব্যস্ত থাকব। আমি একেবারে নিশ্চিত যে এই আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসু হবে এবং তা আগামী পৃথিবীকে দিশা দেখাবে। এই আলোচনা বিশ্বব্যাপী অনেক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে।’’ মোদির বিমান ফিলাডেলফিয়াতে পৌঁছানো মাত্রই প্রবাসী ভারতীয়রা তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: ‘মাসোহারা’ না দেওয়া ও সন্দীপের কথা ‘অমান্য’ করায় হতে হয় বদলি! বিস্ফোরক গ্রুপ ডি কর্মী

    RG Kar: ‘মাসোহারা’ না দেওয়া ও সন্দীপের কথা ‘অমান্য’ করায় হতে হয় বদলি! বিস্ফোরক গ্রুপ ডি কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ বার সন্দীপের  (Sandip Ghosh) দুর্নীতি ও রাহাজানি নিয়ে মুখ খুললেন আরজি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এক গ্রুপ ডি কর্মী। মনোজ মল্লিক নামের ওই গ্রুপ ডি কর্মীর অভিযোগ, তিনি একটা সময়ে ওই হাসপাতালের মর্গে কাজ করতেন। কিন্তু ১০ হাজার টাকা করে ‘মাসোহারা’ না দেওয়া এবং সন্দীপের কথা ‘অমান্য’ করায় তাঁকে বদলি করা হয় অন্যত্র। ওই কর্মীর আরও অভিযোগ, সন্দীপ জমানায় হাসপাতালের মর্গে নানাবিধ অনিয়ম থেকে তোলাবাজি সবটাই চলত। সেই সব অনিয়মের সবটাই জানতেন সন্দীপ এবং তাঁর শাগরেদরা।

    আমাদের কথা শুনলে ভালো, না হলে বদলি করে দেওয়া হবে, কর্মীদের হুমকি দিতেন সন্দীপ

    মনোজের আরও অভিযোগ করেন, ফরেন্সিক বিভাগে থাকাকালীন তাঁর উপর নানা রকম ভাবে চাপ তৈরি করতেন তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ। মনোজের কথায়, ‘‘এক দিন আমাকে ডেকে পাঠিয়ে মর্গেরই অন্য এক কর্মচারীর নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে বলেন সন্দীপ। আমি বলেছিলাম, বিনা কারণে কেন ওঁর নামে লিখিত অভিযোগ করতে যাব! সরাসরি না বলে দিয়েছিলাম। তখন উনি বলেছিলেন, আমাদের কথা শুনলে ভালো, না হলে বদলি করে দেওয়া হবে (RG Kar)। চাকরিও যেতে পারে। আমি কিছু জবাব না দিয়েই বেরিয়ে যাই। পরে ইউনিয়নের এক সদস্যকে দিয়ে আমাকে বলানো হয়, পার্টি ফান্ডের জন্য মাসে মাসে ১০ হাজার টাকা করে ডোনেশন দিতে হবে।’’

    অ্যানাটমি বিভাগের ওয়ার্ড-মাস্টার (RG Kar) অফিসে বদলি করে দেওয়া হয় মনোজকে

    মনোজের দাবি, তিনি এই কথায় পাত্তা দেননি। তবে  এর কিছু দিন পরেই তাঁর কাছে বদলির নির্দেশ আসে। ফরেন্সিক বিভাগ থেকে তাঁকে অ্যানাটমি বিভাগের ওয়ার্ড-মাস্টার (RG Kar) অফিসে বদলি করে দেওয়া হয়। মনোজের দাবি, বদলির নির্দেশ সম্পূর্ণ ভাবেই মৌখিক ছিল। তিনি এখনও কোনও লিখিত নির্দেশ পাননি। মনোজের কথায়, ‘‘মর্গে থাকাকালীন কোনও ভুল কাজ করিনি। কোনও দু’নম্বরি করিনি। সাধারণ মানুষ থেকে পুলিশ, সকলকেই সাধ্যমতো সাহায্য করার চেষ্টা করতাম। আমায় নিয়ে কারও কোনও অভিযোগ ছিল না। অথচ ওঁদের কথা শুনিনি বলে বদলি করে দেওয়া হয়েছিল।’’ মনোজের অভিযোগ, ‘‘বেআইনি ভাবে টাকা লেনদেন (RG Kar) চলত মর্গে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের নামে টাকা তোলা হত। মৃতের বাড়ির লোককে ডেকে দেহ সেলাই করতে টাকা চাওয়া, টাকা নিয়ে নির্ধারিত সময়ের আগে দেহ ছেড়ে দেওয়া, আরও নানা কিছুই চলত মর্গে। মদ খাওয়ার জন্যেও টাকা চাইতেন কেউ কেউ।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: মণ্ডপে যেন হামলা না হয়! দুর্গা পুজোর আগে দাবি পেশ বাংলাদেশের হিন্দু সংগঠনের

    Bangladesh: মণ্ডপে যেন হামলা না হয়! দুর্গা পুজোর আগে দাবি পেশ বাংলাদেশের হিন্দু সংগঠনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকেই বাংলাদেশের (Bangladesh) হিন্দুদের ওপরে নেমে আসে অকথ্য নির্যাতন। একাধিক জায়গাতে হিন্দু নেতা থেকে সাংবাদিকদের হত্যা করা হতে থাকে। ঠিক এই আবহে দুর্গা পুজোর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বেশ কতকগুলি দাবি পেশ করল জাতীয় হিন্দু জোট (National Hindu Alliance) নামের বাংলাদেশের একটি সংগঠন। বাংলাদেশের হিন্দু সমাজ আনন্দ-উৎসাহের সঙ্গে যাতে দুর্গাপুজো পালন করতে পারে সেই দাবি জানানো হয় ইউনূস সরকারের কাছে। এর পাশাপাশি মণ্ডপগুলিতে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো ও নিরাপত্তার দাবিও জানানো হয়।

    বিগত বছরগুলিতে দুর্গা পুজোতে মৌলবাদী হামলার ঘটনা ঘটে (Bangladesh) 

    প্রসঙ্গত, বিগত বছরগুলিতে দুর্গা পুজোর সময় ব্যাপক সম্প্রদায়িক উত্তেজনা দেখা গিয়েছে বাংলাদেশে। একাধিক জায়গাতে প্রতিমা ভাঙচুরসহ দুর্গা পূজার প্যান্ডেল তছনছ করে মৌলবাদীরা। চলতি বছরে যেন সে ধরনের কোনও ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, তাই জাতীয় হিন্দু জোট শনিবারে ঢাকা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে। জাতীয় হিন্দু জোটের নেতারা বলেন যে হিন্দু সমাজে দুর্গা পুজোর যে গুরুত্ব তা বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকার কখনও দেয় না, এত বড় উৎসবে মাত্র একদিনের সরকারি ছুটি দেওয়া হয়। তাই সামনের দুর্গা পুজোতে তিন দিনের সরকারি ছুটিও দাবি করেছেন সে দেশের সংখ্যালঘু সমাজের প্রতিনিধিরা।

    বাংলাদেশে ৩২,৬৬৬টি বারোয়ারি পুজো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে

    এর পাশাপাশি আগামী দুর্গা পুজোতে কোনও ধরনের হামলার ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে (Bangladesh) কাছে দাবি জানিয়েছে ওই সংগঠন। এদিনই ঢাকাতে জাতীয় হিন্দু জোটের নেতারা বলেন, দুর্গা পুজো সমগ্র বাঙালি জাতির ঐক্যের প্রতীক। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ইতিমধ্যে দুর্গা পুজোর সময় হিন্দুদের (National Hindu Alliance) বেশ কিছু বিধি নিষেধ আরোপ করেছে। যেমন আজান ও নামাজের ৫ মিনিট আগে পূজা কমিটিগুলোকে যেকোনও ধরনের অনুষ্ঠান, সাউন্ড সিস্টেম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে চলতি বছরে বাংলাদেশে ৩২,৬৬৬টি বারোয়ারি পুজো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে সেদেশে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 140: “গোপাল-মূর্তি দর্শন—কোন ঐশ্বর্য নাই—কেবল কচি ছেলের মূর্তি…জ্যোতিঃ দর্শন”

    Ramakrishna 140: “গোপাল-মূর্তি দর্শন—কোন ঐশ্বর্য নাই—কেবল কচি ছেলের মূর্তি…জ্যোতিঃ দর্শন”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে শ্রীযুক্ত রাখাল, প্রাণকৃষ্ণ, কেদার প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১লা জানুয়ারি

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের যশোদার ভাব ও সমাধি

    ঠাকুর (Ramakrishna) ছোট খাটটির উপর গিয়া নিজের আসনে উপবিষ্ট হইয়াছেন। সর্বদাই ভাবে পূর্ণ। ভাবচক্ষে রাখালকে দর্শন করিতেছেন। রাখালকে দেখিতে দেখিতে বাৎসল্য রসে আপ্লুত হইলেন; অঙ্গে পুলক হইতেছে। এই চক্ষে কি যশোদা গোপালকে দেখিতেন (Kathamrita)?

    দেখিতে দেখিতে আবার ঠাকুর সমাধিস্থ হইলেন। ঘরের মধ্যস্থ ভক্তেরা অবাক ও নিস্তব্ধ হইয়া ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের (Ramakrishna) এই অদ্ভুত ভাবাবস্থা দর্শন করিতেছেন।

    কিঞ্চিৎ প্রকৃতিস্থ হইয়া বলিতেছেন, রাখালকে দেখে উদ্দীপন কেন হয়? যত এগিয়ে যাবে ততই ঐশ্বর্যের ভাগ কম পড়ে যাবে। সাধকের প্রথম দর্শন হয় দশভুজা ঈশ্বরী মূর্তি। সে-মূর্তিতে ঐশ্বর্যের বেশি প্রকাশ। তারপর দর্শন দ্বিভুজা—তখন দশ হাত নাই—অত অস্ত্রশস্ত্র নাই। তারপর গোপাল-মূর্তি দর্শন—কোন ঐশ্বর্য নাই—কেবল কচি ছেলের মূর্তি। এরও পারে আছে—কেবল জ্যোতিঃ দর্শন।

    সমাধির পর ঠিক ব্রহ্মজ্ঞানের অবস্থা—বিচার ও আসক্তি ত্যাগ 

    তাঁকে লাভ হলে, তাঁতে সমাধিস্থ হলে—জ্ঞানবিচার (Kathamrita) আর থাকে না।

    জ্ঞানবিচার আর কতক্ষণ? যতক্ষণ অনেক বলে বোধ হয়—

    যতক্ষণ জীব, জগৎ, আমি, তুমি—এ-সব বোধ থাকে। যখন ঠিক ঠিক এক জ্ঞান হয় তখন চুপ হয়ে যায়। যেমন ত্রৈলঙ্গ স্বামী।

    ব্রাহ্মণ (Ramakrishna) ভোজনের সময় দেখ নাই? প্রথমটা খুব হইচই। পেট যত ভরে আসছে ততই হইচই কমে যাচ্ছে। যখন দধি মুণ্ডি পড়ল তখন কেবল সুপ-সাপ! আর কোনও শব্দ নাই। তারপরই নিদ্রা—সমাধি। তখন হইচই আর আদৌ নাই।

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “বালক যেমন খেলাঘর করে, ভাঙে, গড়ে—তিনিও সেইরূপ সৃষ্টি, স্থিতি, প্রলয় কচ্ছেন”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: ‘‘ওষুধের মান খুব খারাপ’’, সন্দীপকে বলেন নির্যাতিতা, উল্টে পান পাশ না করানোর হুমকি!

    RG Kar: ‘‘ওষুধের মান খুব খারাপ’’, সন্দীপকে বলেন নির্যাতিতা, উল্টে পান পাশ না করানোর হুমকি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মৃতদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ খুলে বিক্রি করা থেকে মর্গে পর্নোগ্রাফি! সন্দীপ (Sandeep Ghosh) জমানায় আরজি কর হয়ে উঠেছিল এক অন্য জগৎ। এই সূত্র ধরেই এবার সামনে এসেছে ওষুধ-দুর্নীতি। আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, আরজি করের (RG Kar) নির্যাতিতা হাসপাতালের ওষুধের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন! জানা গিয়েছে, তাঁর (নির্যাতিতার) সহকর্মীরা বার বার সাবধান করার পরেও তিনি কোনওভাবে মুখ বন্ধ করেননি। রোগীদের এমন নিম্ন মানের পরিষেবা কেন দেওয়া হচ্ছে? কেন ওষুধের মান এত খারাপ? এমন বিষয়গুলিতে প্রকাশ্যেই বারবার সরব হতেন তিনি। কোনও কোনও মহলের প্রশ্ন, ‘‘এর ফলেই কি টার্গেট হতে হয় নির্যাতিতাকে?’’ শুধু তাই নয়, আনন্দবাজার প্রত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী,  দুই সহকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘরেও গিয়েছিলেন ওই নির্যাতিতা। সেখানে গিয়ে বলে এসেছিলেন, ওষুধের মান এবং কার্যকারিতা তলানিতে। এর বিহিত হওয়া প্রয়োজন। নির্যাতিতার সহকর্মীদের অভিযোগ, সন্দীপ পাল্টা বলেছিলেন, ‘‘এত বেশি কথা বললে  (নির্যাতিতার) আর পাশ করা হয়ে উঠবে না।’’

    ওষুধের মান খারাপ নিয়ে অভিযোগ জমা পড়ত সন্দীপের টেবিলে (RG Kar) 

    আনন্দবাজার প্রত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, নির্যাতিতাকে এমন হুমকির সুরে যখন কথাগুলি বলছিলেন সন্দীপ (Sandeep Ghosh), এই কথোপকথনের সময়ে হাসপাতালের আরও দুই কর্তা সেখানে হাজির ছিলেন। তাঁদেরই মধ্যে একজন আনন্দবাজার পত্রিকাকে বলেছেন, ‘‘গত কয়েক মাসে ওষুধের মান নিয়ে বিভিন্ন বিভাগ থেকে ডাক্তার-নার্সরা অহরহ অভিযোগ তুলেছেন। ওষুধের বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় মৃত্যু, ওষুধের কার্যকারিতা না-থাকায় রোগীর অবস্থা উত্তরোত্তর খারাপ হওয়া— এমন বেশ কিছু অভিযোগ অধ্যক্ষের টেবিলে জমা পড়েছিল। কিন্তু কোনওটি নিয়েই নাড়াচাড়া হয়েছে বলে শোনা যায়নি।’’

    ওষুধের মান নিয়ে মুখ খুললে প্রাণে মারার হুমকি 

    হাসপাতালের অন্দরের (RG Kar) খবর, জেনারেল সার্জারি এবং প্লাস্টিক সার্জারির বেশ কয়েকজন চিকিৎসক দিন কয়েক আগেই রোগী মৃত্যু নিয়ে সরব হন। নানা গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। কিন্তু বিষয়টি বেশি দূর এগোয়নি। প্রতিবাদী এক শল্যচিকিৎসকের কথায়, ‘‘প্রাণে বাঁচতে হবে তো! ওষুধ নিয়ে বেশি মুখ খুললে প্রাণে মেরে দেওয়া হবে, এমন হুমকি দিয়ে ফোন পর্যন্ত এসেছে।’’ ওষুধ নিয়ে বেশি মুখ খুললে প্রাণে মেরে দেওয়া হবে, এর সঙ্গে নির্যাতিতার মৃত্য়ুর কোনও যোগসূত্র নেই তো? এমন প্রশ্ন তুলছেন কেউ কেউ।

    হাসপাতালের এক শল্যচিকিৎসক বলেন, ‘‘অস্ত্রোপচারের পরে যে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়, বহু ক্ষেত্রেই তা কাজ করছে না। সর্বোচ্চ মাত্রাও বিফলে যাচ্ছে, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। এমনকি, ক্ষতস্থান পরিষ্কার করার যে তরল, অনেক সময়েই দেখেছি সেটা স্রেফ রঙিন জল, তার ব্যবহারে ওই জায়গাটি জীবাণুমুক্ত হওয়ার পরিবর্তে আরও বেশি করে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে। অস্ত্রোপচার সফল হওয়ার পরেও কিছু রোগীকে হারিয়েছি আমরা। ডাক্তার হিসেবে নিজেদের প্রতি ধিক্কার জন্মাচ্ছে।’’

    অস্তিত্ব নেই ফার্মাকো-ভিজিল্যান্স কমিটির

    আনন্দবাজার প্রত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সার্জারি বিভাগ ছাড়াও একাধিক অভিযোগ এসেছে শিশু রোগ বিভাগ থেকেও। ওষুধ কাজ করছে না কোনওভাবে, সুস্থ হয়ে উঠতে থাকা শিশুরাও মারা যাচ্ছে — এমন অভিযোগ নিয়ে বারবার সরব হন ডাক্তাররা। জানানো হয় স্বাস্থ্য ভবনেও। কিন্তু এতে কোনও কাজ হয়নি। অনেকেই বলছেন, ‘‘স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশেই যে খারাপ মানের ওষুধ দেওয়া হত না, তা কে বলতে পারে?’’ অ্যান্টিবায়োটিক, লিভারের ওষুধ, স্নায়ুর ওষুধ, প্যারাসিটামল ইত্যাদি ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি অনিয়ম ধরা পড়েছে।

    জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রত্যেক মেডিক্যাল কলেজে ফার্মাকো-ভিজিল্যান্স কমিটি থাকার কথা। এই কমিটির কাজ ওষুধের বিরূপ প্রতিক্রিয়া ঘটছে কি না, সেই বিষয়ে নজরদারি করা। কোনও মৃত্যুর পিছনে ওষুধের বিরূপ প্রভাব আছে কি-না তা খতিয়ে দেখা। কিন্তু অভিযোগের পাহাড় জমা হওয়ার পরেও, কোনও হাসপাতালেই এই কমিটির অস্তিত্ব টের পাওয়া গিয়েছে বলে শোনা যায়নি।

    খেসারত দিচ্ছেন গরিব মানুষরা

    সবচেয়ে কম দামে যারা ওষুধ (RG Kar) দিতে পারবে, তাদেরই (সংস্থা) বেছে নেওয়া হয় টেন্ডারের মাধ্যমে। স্বাস্থ্য কর্তাদের মতে, ‘‘কোথাও বলা হয়নি ওষুধের মানের সঙ্গে আপস করে কম খরচে কিনতে হবে। মান যদি সন্তুষ্ট করতে না পারে, তা হলে অন্য সংস্থাকে (তারা সর্বনিম্ন দর না দিলেও) বেছে নেওয়া যায়। শর্ত একটাই, কেন সর্বনিম্ন দরের সংস্থাকে বাছা হল না, অন্যটিকে বাছা হল, তা কমিটিকে বুঝিয়ে বলতে হবে। বাস্তবে এই পদ্ধতি মানা হয়ই না বলে দাবি স্বাস্থ্য দফতরের এক প্রাক্তন কর্তার। তাঁর মতে, ‘‘ভুতুড়ে সংস্থা গজিয়ে ওঠে অনেক সময়েই। এমন সব সংস্থা, যাদের নামই কখনও শোনা যায়নি। এমনও দেখা গিয়েছে যে, শুধুমাত্র স্বাস্থ্য দফতরে ওষুধ সরবরাহ করবে বলেই একাধিক সংস্থার জন্ম হয়েছে। এমনও ঘটেছে, টেন্ডারে ন্যূনতম তিনটি সংস্থাকে অংশ নিতে হবে এমন নিয়ম থাকায় দু’টি ‘ভুতুড়ে’ সংস্থা অংশ নিয়েছে, যাতে তৃতীয় সংস্থাটি অনায়াসে বরাত পেয়ে যায়। এগুলো নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি বদলায়নি।’’ কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি, সিন্ডিকেট, সন্দীপ ঘোষদের দাদাগিরির খেসারত দিতে হচ্ছে গরিব মানুষদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share