Tag: madhyom news

madhyom news

  • Ramakrishna 124: “খুব রোখ না হলে, চাষার যেমন মাঠে জল আসে না, সেইরূপ মানুষের ঈশ্বরলাভ হয় না”

    Ramakrishna 124: “খুব রোখ না হলে, চাষার যেমন মাঠে জল আসে না, সেইরূপ মানুষের ঈশ্বরলাভ হয় না”

    শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অন্যান্য ভক্তের প্রতি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ উপদেশ

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    অসংশয়ং মহাবাহো মনো দুর্নিগ্রহং চলম্‌ ৷
    অভ্যাসেন তু কৌন্তেয় বৈরাগ্যেণ চ গৃহ্যতে ॥
       (গীতা—৬।৩৫)

    তীব্র বৈরাগ্য ও বদ্ধজীব

    তীব্র বৈরাগ্য (Ramakrishna) কাকে বলে, একটি গল্প শোন। এক দেশে অনাবৃষ্টি হয়েছে। চাষীরা সব খানা কেটে দূর থেকে জল আনছে। একজন চাষার খুব রোখ আছে; সে একদিন প্রতিজ্ঞা করলে যতক্ষণ না জল আসে, খানার সঙ্গে আর নদীর সঙ্গে এক হয়, ততক্ষণ খানা খুঁড়ে যাবে। এদিকে স্নান করবার বেলা হল। গৃহিণী মেয়ের হাতে তেল পাঠিয়ে দিল। মেয়ে বললে (Kathamrita), বাবা! বেলা হয়েছে, তেল মেখে নেয়ে ফেল। সে বললে, তুই যা আমার এখন কাজ আছে। বেলা দুই প্রহর একটা হল, তখনও চাষা মাঠে কাজ করছে। স্নান করার নামটি নাই। তার স্ত্রী তখন মাঠে এসে বললে, এখনও নাও নাই কেন? ভাত জুড়িয়ে গেল, তোমার যে সবই বাড়াবাড়ি! না হয় কাল করবে, কি খেয়ে-দেয়েই করবে। গালাগালি দিয়ে চাষা কোদাল হাতে করে তাড়া করলে; আর বললে, তোর আক্কেল নেই? বৃষ্টি হয় নাই। চাষবাস কিছুই হল না, এবার ছেলেপুলে কি খাবে? না খেয়ে সব মারা যাবি! আমি প্রতিজ্ঞা করেছি, মাঠে আজ জল আনব তবে আজ নাওয়া-খাওয়ার কথা কবো। স্ত্রী গতিক দেখে দৌড়ে পালিয়ে গেল। চাষা সমস্ত দিন হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে, সন্ধ্যার সময় খানার সঙ্গে নদীর যোগ করে দিলে। তখন একধারে বসে দেখতে লাগল যে, নদীর জল মাঠে কুলকুল করে আসছে। তার মন তখন শান্ত আর আনন্দে পূর্ণ হল। বাড়ি গিয়ে স্ত্রীকে ডেকে বললে, নে এখন তেল দে আর একটু তামাক সাজ। তারপর নিশ্চিন্ত হয়ে নেয়ে খেয়ে সুখে ভোঁসভোঁস করে নিদ্রা যেতে লাগল! এই রোখ তীব্র বৈরাগ্যের (Ramakrishna) উপমা।

    আর একজন চাষা—সেও মাঠে জল আনছিল। তার স্ত্রী যখন গেল আর বললে (Kathamrita), অনেক বেলা হয়েছে এখন এস, এত বাড়াবাড়িতে কাজ নাই। তখন সে বেশি উচ্চবাচ্য না করে কোদাল রেখে স্ত্রীকে বললে, তুই যখন বলছিস তো চল! (সকলের হাস্য) সে চাষার আর মাঠে জল আনা হল না। এটি মন্দ বৈরাগ্যের উপমা।

    খুব রোখ না হলে, চাষার যেমন মাঠে জল আসে না, সেইরূপ মানুষের ঈশ্বরলাভ হয় না।

    আরও পড়ুনঃ “যার তীব্র বৈরাগ্য, তার প্রাণ ভগবানের জন্য ব্যাকুল; মার প্রাণ যেমন পেটের ছেলের জন্য ব্যাকুল”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 123: “যার তীব্র বৈরাগ্য, তার প্রাণ ভগবানের জন্য ব্যাকুল; মার প্রাণ যেমন পেটের ছেলের জন্য ব্যাকুল”

    Ramakrishna 123: “যার তীব্র বৈরাগ্য, তার প্রাণ ভগবানের জন্য ব্যাকুল; মার প্রাণ যেমন পেটের ছেলের জন্য ব্যাকুল”

    শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অন্যান্য ভক্তের প্রতি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের উপদেশ

     তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    অসংশয়ং মহাবাহো মনো দুর্নিগ্রহং চলম্‌ ৷
    অভ্যাসেন তু কৌন্তেয় বৈরাগ্যেণ চ গৃহ্যতে ॥
             (গীতা—৬।৩৫)

    তীব্র বৈরাগ্য ও বদ্ধজীব

    বিজয়—বদ্ধজীবের মনের কি অবস্থা হলে মুক্তি হতে পারে?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—ঈশ্বরের কৃপায় তীব্র বৈরাগ্য হলে, এই কামিনী-কাঞ্চনে আসক্তি থেকে নিস্তার হতে পারে। তীব্র বৈরাগ্য কাকে বলে? হচ্ছে হবে, ঈশ্বরের নাম করা যাক—এ-সব মন্দ বৈরাগ্য। যার তীব্র বৈরাগ্য, তার প্রাণ ভগবানের জন্য ব্যাকুল; মার প্রাণ যেমন পেটের ছেলের জন্য ব্যাকুল। যার তীব্র বৈরাগ্য, সে ভগবান ভিন্ন আর কিছু চায় (Kathamrita) না। সংসারকে পাতকুয়া দেখে: তার মনে হয়, বুঝি ডুবে গেলুম। আত্মীয়দের কাল সাপ দেখে, তাদের কাছ থেকে পালাতে ইচ্ছা হয়; আর পালায়ও। বাড়ির বন্দোবস্ত করি, তারপর ঈশ্বরচিন্তা (Ramakrishna) করব—এ-কথা ভাবেই না। ভিতরে খুব রোখ।

    “তীব্র বৈরাগ্য কাকে বলে (Kathamrita), একটি গল্প শোন। এক দেশে অনাবৃষ্টি হয়েছে। চাষীরা সব খানা কেটে দূর থেকে জল আনছে। একজন চাষার খুব রোখ আছে; সে একদিন প্রতিজ্ঞা করলে যতক্ষণ না জল আসে, খানার সঙ্গে আর নদীর সঙ্গে এক হয়, ততক্ষণ খানা খুঁড়ে যাবে। এদিকে স্নান করবার বেলা হল। গৃহিণী মেয়ের হাতে তেল পাঠিয়ে (Kathamrita) দিল। মেয়ে বললে, বাবা! বেলা হয়েছে, তেল মেখে নেয়ে ফেল। সে বললে, ‘তুই যা আমার এখন কাজ আছে।

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    আরও পড়ুনঃ “বদ্ধজীব হয়তো বুঝেছে যে, সংসারে কিছুই সার নাই; আমড়ার কেবল আঁটি আর চামড়া”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: ‘মন চায় না গরমের ছুটিতে বেতন নিতে’, মন্তব্য দেশের হবু প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতির

    Supreme Court: ‘মন চায় না গরমের ছুটিতে বেতন নিতে’, মন্তব্য দেশের হবু প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৭ সালেই দেশ পেতে চলেছে প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতিকে (Supreme Court)। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র বিচারপতিদের মধ্যে একজন হলেন বিভি নাগরত্না (Justice BV Nagarathna)। সম্প্রতি বিচারপতি নাগরত্না মন্তব্য করেছেন, বিচার বিভাগের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা প্রত্যেক বছরই গরমের সময় লম্বা ছুটি নেন, সবেতন ছুটি নেন, কাজ না করে এমনভাবে বেতন নিতে তাঁর অন্তরাত্মা সায় দেয় না, কিন্তু চাইলেই বেতন ফিরিয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই।

    মধ্যপ্রদেশের একটি মামলার শুনানিতে এমন মন্তব্য করেন বিচারপতি নাগরত্না (Supreme Court)

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের একটি মামলার শুনানিতে বিচারপতি বিভি নাগরত্না এই মন্তব্য করেন। মামলাটি ছিল মধ্যপ্রদেশের চারজন বিচারকের বরখাস্ত সংক্রান্ত। মধ্যপ্রদেশের সরকার একটি বিবাদের কারণে নিম্ন আদালতের এই বিচারকদের বরখাস্ত করেছিল। সেই বিচারকদের বিচারপতি নাগরত্না (Justice BV Nagarathna) মাস কয়েক আগে বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে পুনরায় চাকরিতে বহাল করেন। চাকরিতে বহাল হওয়ার পরে ওই বিচারকরা সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন, বরখাস্ত থাকাকালীন সময়ে তাঁর বেতনের দাবিতে। তাঁদের অভিযোগ ছিল রাজ্য সরকার তাঁদের দাবি মানছে না তাই শীর্ষ আদালতে এই ব্যাপারে তার নির্দেশ দিক। এই শুনানিতেই বিভি নাগরত্না (Justice BV Nagarathna) মামলাকারীর আইনজীবীকে বলেন, মধ্যপ্রদেশ সরকারের বরখাস্তের আদেশকে সুপ্রিম কোর্ট বেআইনি বলেনি। শুধু বরখাস্তের মেয়াদ কমিয়ে চাকরি ফিরিয়ে দিয়েছে। বরখাস্ত থাকাকালে ওই ম্যাজিস্ট্রেটরা কাজ করেননি। বিনা কাজে বেতন দাবি করেন কীভাবে? এই প্রেক্ষিতেই বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘‘কাজ না করে এমনভাবে বেতন নিতে আমার মন সায় দেয় না।’’

    ২৭ দিনের জন্য হবেন প্রধান বিচারপতি

    প্রসঙ্গত, ২০২৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে প্রধান বিচারপতি হবেন তিনি (Supreme Court)। সে ক্ষেত্রে তিনিই হবেন দেশের প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি। অবশ্য তা মাত্র ২৭ দিনের জন্য। বিচারপতি বিভি নাগরত্না আদতে কর্নাটকের বাসিন্দা, তাঁর পিতা ভেঙ্কটারামাইয়া শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। বিচারপতির এমন মন্তব্যে একাধিক আইনজীবীর ভিন্ন মত শোনা গিয়েছে। কোনও কোনও আইনজীবীর মত হল, ছুটি মানেই কাজ বন্ধ এমনটা নয়। আইনজীবীদের লম্বা সময় কাটে মামলার কাগজপত্র পড়তেই। প্রচুর পড়াশোনা করতে হয় তাঁদের সুষ্ঠু বিচারের আশায়। তারপরও বিচারপতি নাগরত্নার এমন মন্তব্য বহু মানুষের মন ছুঁয়ে গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birupaksha Biswas: ‘‘ভাইরাস বিরূপাক্ষকে ঢুকতে দেব না’’, ডায়মন্ড হারবারে বিক্ষোভ জুনিয়র চিকিৎসকদের

    Birupaksha Biswas: ‘‘ভাইরাস বিরূপাক্ষকে ঢুকতে দেব না’’, ডায়মন্ড হারবারে বিক্ষোভ জুনিয়র চিকিৎসকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে (Kakdwip Hospital) বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের  (Birupaksha Biswas) বিরোধিতায় বিক্ষোভ দেখান জুনিয়র চিকিৎসকরা। প্রসঙ্গত, আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ থেকে বদলি করা হয় কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। বিক্ষোভকারীদের একটাই দাবি, কোনওভাবেই ‘ভাইরাস’ বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে (Kakdwip Hospital) কাজে যোগদান করতে দেওয়া হবে না। ঠিক এই দাবিতেই জুনিয়র ডাক্তাররা বুধবার দুপুর সাড়ে বারোটা থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন ডায়মন্ড হারবারের (Diamond Harbour) সিএমওএইচ দফতরের বাইরে। এর পাশাপাশি কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের বাইরেও বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে (Birupaksha Biswas) কোনওভাবেই ঢুকতে দেওয়া হবে না হাসপাতালে- এই দাবিতে আজ বুধবার বিকেলে গণ-আন্দোলন ও ঘেরাও কর্মসূচিরও ডাক দিয়েছেন চিকিৎসক পড়ুয়ারা।

    জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে কলুষিত করবেন বিরুপাক্ষ!

    বিক্ষোভকারীদের দাবি, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ থেকে বদলি হওয়া বিরূপাক্ষ (Birupaksha Biswas) এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে কলুষিত করবেন। তাই তাঁকে কোনওভাবে কাজে যোগ দিতে দেওয়া হবে না। প্রসঙ্গত বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে বদলি করা হয়েছিল ২০২৩ সালের ১৩ অগাস্ট অর্থাৎ আজ থেকে ঠিক ১৩ মাস আগে। কিন্তু প্রভাবশালী ও বাহুবলী ডাক্তার নেতা, সন্দীপ ঘনিষ্ঠ বিরূপাক্ষ নিজের সেই বদলি নির্দেশকেও আটকে রেখেছিলেন। সিবিআইয়ের হাতে সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারির পর মঙ্গলবার আরজি করে প্রাক্তন অধ্যক্ষকে সাসপেন্ড করে স্বাস্থ্য দফতর। তারপরেই আসে বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের বদলির নির্দেশ। গণ-আন্দোলনের চাপে পড়েই কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্ত, এমনটা বলছেন কেউ কেউ। বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের (Birupaksha Biswas) বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এক ডাক্তারি ছাত্রকে রেজিস্ট্রেশন আটকে দেওয়ার হুমকির অডিও কল সম্প্রতি ভাইরাল হয় (মাধ্যম সত্যতা যাচাই করেনি), সেখানকার কণ্ঠস্বরকে বিরূপাক্ষ বলে দাবি করতে শোনা যায়। এছাড়া আরজি কর কাণ্ডের পরের দিন সেমিনার রুমে দেখা যায় বহিরাগত বিরুপাক্ষকে। এখানেও ওঠে একাধিক প্রশ্ন।

    থ্রেট কালচারে’র দুই কালপ্রিট

    বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের (Birupaksha Biswas) বিরুদ্ধে ডায়মন্ড হারবারের সিএমওএইচ এবং ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbour) মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষকে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ, রাজ্যজুড়ে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে এবং স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ‘থ্রেট কালচারে’র দুই কালপ্রিট হলেন এসএসকেএমের পিজিটি চিকিৎসক অভীক দে এবং সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাস। সেই ‘থ্রেট কালচার’ ডায়মন্ড হারবারের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ঢুকতে দেবেন না-বলে জানিয়েছেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, জুনিয়র ডাক্তাররা অভিযোগ করেছেন, ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের গাইনোকলোজি বিভাগের প্রাক্তন এইচওডি অধ্যাপক চিকিৎসক সমাদৃতা চক্রবর্তীকে সরিয়ে দেওয়ার পিছনেও বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের (Birupaksha Biswas) হাত ছিল। তাঁকেও হুমকি ও অকথ্য ভাষায় গালাগালি করা হয় বলে অভিযোগ।

    ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন ডাক্তার পড়ুয়ারা (Diamond Harbour)

    জুনিয়র চিকিৎসক সাগ্নিক মিদ্দা বলেন, ‘‘বিরূপাক্ষর (Birupaksha Biswas) অর্ডার এসেছিল ২০২৩ সালে। এতদিন নিজের প্রভাব খাটিয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে থেকে গিয়েছিলেন। এখন সেখানকার আন্দোলন ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। এতদিনে উনি ট্রান্সফার নিতে বাধ্য হয়েছে। ওখানকার ছাত্ররা জনিয়ে দিয়েছে, কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিক বা না নিক, পড়ুয়ারাই যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে। আমাদের গায়নো বিভাগের প্রাক্তন এইচওডি সমাদৃতা ম্যাডামকে থ্রেট দিয়েছিলেন বিরূপাক্ষ (Birupaksha Biswas)। তাই ওনার সঙ্গে সম্পর্ক পুরনো দিনের। আর উনি যদি এখানে আসেন সম্পর্ক কীভাবে ঝালিয়ে নিতে হয় আমরা জানি। তাই যতক্ষণ পর্যন্ত এই অর্ডার ফিরিয়ে নেওয়া না হচ্ছে আমাদের অবস্থান চলবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 122: “বদ্ধজীব হয়তো বুঝেছে যে, সংসারে কিছুই সার নাই; আমড়ার কেবল আঁটি আর চামড়া”

    Ramakrishna 122: “বদ্ধজীব হয়তো বুঝেছে যে, সংসারে কিছুই সার নাই; আমড়ার কেবল আঁটি আর চামড়া”

    শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অন্যান্য ভক্তের প্রতি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের উপদেশ

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ
    অনিত্যমসুখং লোকমিমং প্রাপ্য ভজস্ব মাম্‌।
       (গীতা—৯।৩৩)

    জীব চার থাক—বদ্ধজীবের লক্ষণ কামিনী-কাঞ্চন (Ramakrishna)

    উট কাঁটা ঘাস বড় ভালবাসে। কিন্তু যত খায় মুখ দিয়ে রক্ত দরদর করে পড়ে; তবুও সেই কাঁটা ঘাসই খাবে, ছাড়বে না। সংসারী লোক এত শোক-তাপ পায়, তবু কিছুদিনের পর যেমন তেমনি। স্ত্রী মরে গেল, কি অসতী হল, তবু আবার বিয়ে করবে। ছেলে মরে গেল কত শোক পেলে, কিছুদিন পরেই সব ভুলে (Kathamrita) গেল। সেই ছেলের মা, যে শোকে অধীর হয়েছিল, আবার কিছুদিন পরে চুল বাঁধল, গয়না পরল! এরকম লোক মেয়ের বিয়েতে সর্বস্বান্ত হয়, আবার বছরে বছরে তাদের মেয়ে ছেলেও হয়! মোকদ্দমা করে সর্বস্বান্ত হয়, আবার মোকদ্দমা করে! যা ছেলে হয়েছে তাদেরই খাওয়াতে পারে না, পরাতে পারে না, ভাল ঘরে রাখতে পারে না, আবার বছরে বছরে ছেলে হয়!

    আবার কখনও কখনও যেন সাপে ছুঁচো গেলা হয়। গিলতেও পারে না, আবার উগরাতেও পারে না। বদ্ধজীব হয়তো বুঝেছে যে, সংসারে কিছুই সার নাই; আমড়ার কেবল আঁটি আর চামড়া। তবু ছাড়তে পারে না। তবুও ঈশ্বরের (Ramakrishna) দিকে মন দিতে পারে না!

    কেশব সেনের একজন আত্মীয় পঞ্চাশ বছর বয়স, দেখি, তাস খেলছে। যেন ঈশ্বরের (Ramakrishna) নাম করবার সময় হয় নাই!

    বদ্ধজীবের আর-একটি লক্ষণ (Kathamrita): তাকে যদি সংসার থেকে সরিয়ে ভাল জায়গায় রাখা যায়, তাহলে হেদিয়ে হেদিয়ে মারা যাবে। বিষ্ঠার পোকা বিষ্ঠাতেই বেশ আনন্দ। ওইতেই বেশ হৃষ্টপুষ্ট হয়। যদি সেই পোকাকে ভাতের হাঁড়িতে রাখ, মরে যাবে।” (সকলে স্তব্ধ)

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    আরও পড়ুনঃ “বদ্ধজীবের—সংসারী জীবের—কোন মতে হুঁশ আর হয় না, এত দুঃখ, তবুও চৈতন্য হয় না”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Central Government: বরাদ্দ ১৪ হাজার কোটি! কৃষক কল্যাণে ৭ বড় প্রকল্প মোদি সরকারের

    Central Government: বরাদ্দ ১৪ হাজার কোটি! কৃষক কল্যাণে ৭ বড় প্রকল্প মোদি সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৃষি ক্ষেত্রকে (Agriculture Sector) শক্তিশালী করতে বড় উদ্যোগ নিল মোদি সরকার। মোদি সরকারের (Central Government) মন্ত্রিসভায় একাধিক পদক্ষেপ করা হয় কৃষি ক্ষেত্রকে শক্তিশালী করতে এবং একাধিক প্রকল্পে মোট ১৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয় কৃষকদের সার্বিক উন্নতিতে। মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তে সাতটি বড় প্রকল্পের বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে।

    ডিজিটাল এগ্রিকালচারের মাধ্যমে আধুনিক হবে কৃষি (Central Government)

    মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তে লক্ষ্য রাখা হয়েছে— ডিজিটাল এগ্রিকালচার, খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষি শিক্ষা এবং দীর্ঘমেয়াদী কৃষিফলনের ওপরে। ডিজিটাল এগ্রিকালচার মিশনের যে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার এখানেই বরাদ্দ করা হয়েছে ২,৮১৭ কোটি টাকা। এই প্রকল্পের আওতায় কৃষি ক্ষেত্রকে আধুনিকীকরণ করা হবে এবং কৃষি ব্যবস্থা ভরপুর প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ডিজিটাল এগ্রিকালচার (Agriculture Sector) মিশনের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    কৃষি শিক্ষা ও গবেষণায় জোর

    অন্যদিকে, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government) বরাদ্দ করেছে ৩,৯৭৯ কোটি টাকা। এই উদ্যোগের মাধ্যমে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় জোর দেওয়া হবে। কৃষি বিজ্ঞানের ওপর বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণাও করা যাবে এই প্রকল্পের আওতায়। কৃষি শিক্ষার ক্ষেত্রে মোদি সরকার বরাদ্দ করেছে ২,২৯১ কোটি টাকা। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে কৃষি শিক্ষার বিষয়গুলির ওপর গবেষণা করার সুযোগ থাকছে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে কৃষি শিক্ষায় জোর দিতে চাইছে মোদি সরকার।

    দীর্ঘমেয়াদি কৃষি ফলনে গুরুত্ব

    দীর্ঘমেয়াদি কৃষি ফলনের ওপরেও জোর দিয়েছে মোদি সরকার এবং এই ক্ষেত্রে ১,৭০২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের খাদ্য উৎপাদনকে বাড়াতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। অন্যদিকে সবজি, ফল এসবের বাগান, চাষ ইত্যাদির উন্নয়নে জোর দিয়েছে মোদি সরকার এবং এই ক্ষেত্রে বরাদ্দ করা হয়েছে ৮৬০ কোটি টাকা। দেশের কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রগুলির উন্নয়নে মোদি সরকার বরাদ্দ করেছে ১,২০২ কোটি টাকা। প্রসঙ্গত, এই কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের কৃষি ব্যবস্থাতে প্রযুক্তির ভরপুর ব্যবহার করা হবে। প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনায় ১,১১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে মোদি সরকার (Central Government)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ছাড় নয় পুলিশকেও! ধর্ষণ-বিরোধী বিল সমর্থন করেও ৭ সংশোধনী প্রস্তাব শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ছাড় নয় পুলিশকেও! ধর্ষণ-বিরোধী বিল সমর্থন করেও ৭ সংশোধনী প্রস্তাব শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবারই রাজ্য সরকার বিধানসভায় পাশ করে ধর্ষণবিরোধী ‘অপরাজিতা ওম্যান অ্যান্ড চাইল্ড (ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্রিমিনাল ল’জ আমেন্ডমেন্ট বিল-২০২৪’ (Aparajita Women Child Bill 2024)। রাজ্য সরকারের আনা এই বিলকে সমর্থন করলেও এদিনই সদনের ভিতরে এনিয়ে সব মিলিয়ে ৭টি সংশোধনী ও সংযোজনী প্রস্তাব দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে তিনি জানান, কোনও পুলিশ অফিসার ধর্ষণের অভিযোগ নিতে অস্বীকার করলে বা দেরি করলে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের বিরুদ্ধে যেন শাস্তির বিধান থাকে। এর পাশাপাশি ধর্ষণের ঘটনায় মেডিকেল টেস্ট, সাক্ষ্য গ্রহণ, বয়ান বদল সহ একাধিক বিষয় নিয়ে প্রস্তাব রাখেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) ৭ প্রস্তাব

    সদনের ভিতরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) মোট ৭টি প্রস্তাব রাখেন।

    প্রথম, ধর্ষণের ঘটনায় কোনও পুলিশ অফিসার এফআইআর নিতে অস্বীকার করলে বা অযথা দেরি করলে, সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রাখার কথা বলেন বিরোধী দলনেতা ৷

    দ্বিতীয়, বিধিসম্মত মেডিক্যাল পরীক্ষা অথবা ময়নাতদন্তের ক্ষেত্রে বিলম্ব বা অবহেলা করলে, সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য আধিকারিকের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী ৷

    তৃতীয়, তথ্যপ্রমাণ লোপাট করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা আধিকারিকের বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান (Aparajita Women Child Bill 2024) রাখার কথা বলেছেন তিনি ৷

    চতুর্থ, মামলায় সাক্ষ্যদানের ক্ষেত্রে গুরুতর শারীরিক অসুস্থতা বা হাসপাতালে ভর্তি ব্যাতিরেকে, সাক্ষ্যগ্রহণের দিন কোনওভাবেই বদল করা যাবে না, এটাও প্রস্তাব দেন বিরোধী দলনেতা ৷

    পঞ্চম, তদন্তকারী কোনও পুলিশ আধিকারিক এবং কোনও স্বাস্থ্য পরীক্ষাকারী চিকিৎসক অথবা কোনও স্বাস্থ্য কর্মী সাক্ষ্যদানের সময় যদি বয়ান বদল করে, তাহলে তাঁদেরও শাস্তির বিধান রাখা হোক বিলে, এই প্রস্তাব দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক ৷

    ষষ্ঠ, সাক্ষ্যদান যখন চলবে, তখন রাজ্য সরকারের পুলিশ যেন সাক্ষীগণকে পূর্ণ নিরাপত্তা দেয়, এমন প্রস্তাবও বিলে অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা ৷

    সপ্তম, বিচার প্রক্রিয়া তিরিশ দিনের মধ্যে শেষ করে শাস্তি কার্যকর করার প্রস্তাবও দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী ৷

    বিধানসভার ভিতরেও মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি

    বিধানসভার (Suvendu Adhikari) ভিতরেও এদিন রাজপথের আন্দোলনের ঢেউকে পৌঁছে দেয় বিজেপি। সদনের ভিতরেই স্লোগান তোলেন বিজেপি বিধায়করা। এ দিন ভাষণ শেষ করে শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মন্তব্য করেন, ‘‘রাজ্য সরকারের পুলিশ আরজি করে চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় প্রমাণ লোপাট করেছে। সবশেষে, অধিবেশন কক্ষে বিজেপির তরফে স্লোগান তোলা হয়, ‘দফা এক দাবি এক, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ’।’’

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: পরিস্থিতি বেগতিক, স্কুল পড়ুয়াদের আন্দোলন ভাঙতে ‘ঘুষ’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার মমতার

    RG Kar: পরিস্থিতি বেগতিক, স্কুল পড়ুয়াদের আন্দোলন ভাঙতে ‘ঘুষ’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার মমতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর আন্দোলনে (RG Kar) উত্তাল রাজ্য। জেলায় জেলায় স্কুলপড়ুয়াদের মিছিলে ভীত রাজ্য সরকার আন্দোলন বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়ে নির্দেশিকা জারি করতে বাধ্য হয়। কিন্তু তাতে কী? নির্দেশকে থোড়াই কেয়ার! চলতে থাকে আন্দোলন। হাওড়ার তিন স্কুলকে শো-কজও করে রাজ্য। তাতেও আন্দোলন থামেনি। তাই পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে পড়ুয়াদের বাগে আনতে সম্প্রতি উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়াদের শিক্ষক দিবসেই ট্যাব দেওয়ার ঘোষণা করে মমতা সরকার (Nabanna)। নবান্ন (Nabanna) সূত্রে জানানো হয়, আগামী ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস উপলক্ষ্যে কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে একটি অনুষ্ঠান হবে। সেখানে তিনি কিছু ছাত্রছাত্রীর হাতে প্রতীকী অর্থ তুলে দেবেন। আর ওই দিনই রাজ্য সরকার উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে ট্যাব বা মোবাইল কেনার অর্থ বাবদ ১০ হাজার টাকা পাঠাবে।

    অ্যালটমেন্ট অর্ডার বাতিল

    কিন্তু পিছু হটতে হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এভাবে যে পড়ুয়াদের আন্দোলন (RG Kar) কেনা যাবে না, তা বুঝে যেতেই অ্যালটমেন্ট অর্ডার বাতিল করল তৃণমূল সরকার। মমতা সরকারের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে তোপ দেগেছে রাজ্য বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের নেতা তথা বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, এটা আসলে ছাত্র-ছাত্রীদের ঘুষ দেওয়া হচ্ছিল। সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটতে হল মুখ্যমন্ত্রীকে। কারণ তিনি বুঝে গিয়েছেন, ঘুষ দিয়ে আন্দোলনের (RG Kar) আগুন নেভানো যাবে না।

    কী লিখলেন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়?

    মঙ্গলবার সকালে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় সমাজ মাধ্যমের পাতায় বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি লেখেন, ‘‘আবার পিছু হঠলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিলোত্তমার বিচার চেয়ে সারা রাজ্যে স্কুল পডুয়াদের মধ্যে প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছে। সরকারি-বেসরকারি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী, প্রাক্তনীরা ভয় ভেঙে মাঠে রয়েছেন। আন্দোলন চালাচ্ছেন। তাঁদের বাঙালি সমাজের কাছে প্রশ্ন, আর কবে চিত্ত স্বাধীন হবে। ভয় পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতাও। স্কুল পডুয়াদের আন্দোলন ভাঙার জন্য ঘুষ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসের দিন বেলা ১২টায় ১৩ লক্ষ একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ১০ হাজার টাকা করে ঘুষ দেওয়ার কথা ছিল। খরচ হত ১৩০০ কোটির বেশি। তার জন্য বাজার থেকে ৩০০০ কোটি টাকা ঋণও নিয়েছে নবান্ন। কিন্তু আন্দোলনের আগুন নেভানো যাবে না, মুখ্যমন্ত্রী তা বুঝে গিয়েছেন। তাই ছাত্র-ছাত্রীদের ঘুষ (RG Kar) দেওয়ার ১৩০০ কোটি টাকার অ্যালটমেন্ট অর্ডার বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।’’

    মুখ্যমন্ত্রীর পরাজয় সময়ের অপেক্ষা (RG Kar)

    আরজি কর আন্দোলনে অনেকটাই কোণঠাসা শাসক। হাইকোর্ট থেকে শীর্ষ আদালত, সর্বত্র মুখ পুড়েছে মমতা সরকারের। পথে নেমেছে নাগরিক সমাজ। এমন পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর পরাজয় যে সময়ের অপেক্ষা, তাও নিজের পোস্টে লিখেছেন জগন্নাথ। বিজেপির এই রাজ্য নেতার কথায়, ‘‘পিছু হঠেছে সরকার। কবে ফের এই ঘুষ দেওয়া হবে, তাও কিছু জানানো হয়নি। তরুণের স্বপ্ন আপাতত দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। হারবেন মুখ্যমন্ত্রী, আপনি হারবেন। আপনাকে আমরা হারাবোই।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Rape Murder: বুধবার ফের ‘রাত দখল’ জুনিয়র ডাক্তারদের, সামিল হবেন নির্যাতিতার বাবা-মা

    RG Kar Rape Murder: বুধবার ফের ‘রাত দখল’ জুনিয়র ডাক্তারদের, সামিল হবেন নির্যাতিতার বাবা-মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Rape Murder) প্রতিবাদে কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থান (RG Kar) শুরু হয়েছে গতকাল সোমবার থেকেই। মঙ্গলবারও চলছে অবস্থান। পুলিশ কমিশনারকে পদত্যাগ না করানো পর্যন্ত তাঁরা উঠবেন না, এমনটাই সংকল্প জুনিয়র ডাক্তারদের। এবার এই প্রতিবাদ আন্দোলনে সশরীরে উপস্থিত থাকার অঙ্গীকার করলেন আরজি কর হাসপাতালের নিহত জুনিয়র চিকিৎসকের বাবা ও মা। ৪ সেপ্টেম্বর রাত দখলের আন্দোলনে (Junior Doctors Raat Dokhol) তাঁরা সামিল হবেন বলে জানা গিয়েছে। নির্যাতিতার মা সোমবারই সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারি নিয়ে খুশি নই। আরও যারা দোষী রয়েছে তারা যতক্ষণ গ্রেফতার না হবে, বিচারের আশায় আন্দোলন চালিয়ে যাব। শুধু সন্দীপ ঘোষ বা সঞ্জয় নয়, এর পেছনে আরও অনেকে জড়িত রয়েছে। তাদেরও গ্রেফতার করতে হবে।’’

    সোমবারই সামিল হয়েছিলেন অনেক অভিভাবক

    সোমবার ডাক্তারদের লালবাজার ঘেরাও (RG Kar Rape Murder) অভিযানে সামিল হয়েছিলেন অনেক অভিভাবকই। তাঁরা সাফ জানিয়েছেন, যে নারকীয় ও পাশবিক ঘটনা ঘটেছে সরকারি হাসপাতালে তার পর তাঁরা তাঁদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়েও উদ্বিগ্ন। তাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই অভিযানে নেমেছেন তাঁরা। এবার জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে (Junior Doctors Raat Dokhol) তাঁদের সঙ্গেই রাত জাগবেন নির্যাতিতার বাবা-মা।

    বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবি যথাযথ বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা

    সোমবারই জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন করে বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবি (RG Kar Rape Murder) যথাযথ বলেই জানিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা। সোমবার সন্ধ্যায় সোদপুরে বাড়িতে তিনি বলেন, ‘‘কলকাতা পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের দাবি যথাযথ! সৎ সাহস থাকলে উনি জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে দেখা করতে পারতেন। জুনিয়র ডাক্তাররা নিরস্ত্র অবস্থায় আন্দোলন করতে গিয়েছিলেন। তাঁদের সঙ্গে একবার হলেও দেখা করা উচিত ছিল পুলিশ কমিশনারের। কিন্তু, সেটা না করে লোহার ব্যারিকেড দিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctors Raat Dokhol) আটকানোর চেষ্টা করলেন! এটা অমানবিক ছাড়া আর কিছুই নয়।’’

    সন্দীপের গ্রেফতারিতে উল্লসিত ডাক্তাররা (RG Kar)

    গতকাল রাতেই আন্দোলনকারীদের কাছে খবর পৌঁছে যায় (RG Kar Rape Murder) সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হয়েছেন। এই খবরে উল্লসিত হয়ে ওঠেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই ঘটনাকে তাঁরা নিজেদের নৈতিক জয় হিসেবে আখ্যা দেন। এর পাশাপাশি তাঁরা আরও জানান, সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারি তাঁদের নৈতিক জয়, তবে পুলিশ কমিশনারকে পদত্যাগ করতে হবে। মঙ্গলবার রাত যত বেড়েছে আন্দোলনকারীদের সমর্থনে সাধারণ মানুষের ভিড় তত বেড়েছে (Junior Doctors Raat Dokhol)। তাঁদের ধর্নাস্থলে একসময় সিনিয়র চিকিৎসরা সামিল হতে থাকেন। মুখে বলতে থাকেন, ডিউটি ছেড়ে এসেছি জুনিয়রদের আন্দোলনকে বুস্ট-আপ করতে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: ‘‘কমিশনার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত…’’, সোম পেরিয়ে মঙ্গল, ডাক্তারদের ধর্না চলছে লালবাজারে

    RG Kar: ‘‘কমিশনার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত…’’, সোম পেরিয়ে মঙ্গল, ডাক্তারদের ধর্না চলছে লালবাজারে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পর মঙ্গলবার সকালেও কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের (Vineet Goyal) পদত্যাগের দাবিতে ফিয়ার্স লেনে চলছে (RG Kar) জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থান। তাঁদের দাবি এক, বিনীত গোয়েলের পদত্যাগ। আন্দোলনকারীরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে যতক্ষণ না পর্যন্ত তাঁদের এই দাবি পূরণ করা হচ্ছে, তাঁরা এক চুলও নড়বেন না ধর্না থেকে। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার ভোরে সকলকে এড়িয়ে লালবাজার (Lalbazar) ছেড়ে বেরিয়ে যান কলকাতার পুলিশ কমিশনার। অন্যদিকে ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের তরফে আন্দোলনকারীদের প্রস্তাব দেওয়া হয় যে লালবাজারে একটি প্রতিনিধি দল পাঠানোর, তবে এই প্রস্তাব খারিজ (RG Kar) করে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের একটাই দাবি, পুলিশ কমিশনারকে পদত্যাগ করতে হবে।

    সন্দীপের গ্রেফতারিতে উল্লসিত ডাক্তাররা (RG Kar)

    গতকাল রাতেই আন্দোলনকারীদের কাছে খবর পৌঁছে যায় (RG Kar) সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হয়েছেন। এই খবরে উল্লসিত হয়ে ওঠেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই ঘটনাকে তাঁরা নিজেদের নৈতিক জয় হিসেবে আখ্যা দেন। এর পাশাপাশি তাঁরা আরও জানান, সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারি তাঁদের নৈতিক জয়, তবে পুলিশ কমিশনারকে (CP kolkata) পদত্যাগ করতে হবে। মঙ্গলবার রাত যত বেড়েছে আন্দোলনকারীদের সমর্থনে সাধারণ মানুষের ভিড় তত বেড়েছে। তাঁদের ধর্নাস্থলে একসময় সিনিয়র চিকিৎসরা সামিল হতে থাকেন। মুখে বলতে থাকেন, ডিউটি ছেড়ে এসেছি জুনিয়রদের আন্দোলনকে বুস্ট-আপ করতে। আগামিকাল বুধবার ৪ সেপ্টেম্বর লালবাজারের (Lalbazar) সামনেই আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা রাত দখলের (Raat Dokhol – Claim The Night) ডাক দিয়েছেন। এখানেই হাজির থাকবেন নির্যাতিতার বাবা-মা।

    জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন নির্যাতিতার বাবা-মায়ের (RG Kar)

    সোমবারই জুনিয়র ডাক্তারদের লালবাজার (Lalbazar) আন্দোলনকে সমর্থন করে বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবি যথাযথ বলেই জানিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা। সোমবার সন্ধ্যায় সোদপুরে বাড়িতে তিনি বলেন, ‘‘কলকাতা পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের দাবি যথাযথ! সৎ সাহস থাকলে উনি জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে দেখা করতে পারতেন। জুনিয়র ডাক্তাররা (RG Kar) নিরস্ত্র অবস্থায় আন্দোলন করতে গিয়েছিলেন। তাঁদের সঙ্গে একবার হলেও দেখা করা উচিত ছিল পুলিশ কমিশনারের (Vineet Goyal)। কিন্তু, সেটা না করে লোহার ব্যারিকেড দিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের আটকানোর চেষ্টা করলেন! এটা অমানবিক ছাড়া আর কিছুই নয়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share