Tag: madhyom news

madhyom news

  • Ramakrishna 132: “ঈশ্বরের উপর অনুরাগ, প্রেম, আপনি এলে, জপাদি কর্ম ত্যাগ হয়ে যায়”

    Ramakrishna 132: “ঈশ্বরের উপর অনুরাগ, প্রেম, আপনি এলে, জপাদি কর্ম ত্যাগ হয়ে যায়”

    শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অন্যান্য ভক্তের প্রতি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের উপদেশ

    ক্লেশোঽধিকতরস্তেষামব্যক্তাসক্তচেতসাম্‌ ৷
    অব্যক্তা হি গর্তিদুঃখং দেহবদ্ভিরবাপ্যতে ॥
              (গীতা — ১২।৫)

     

    ভক্তিযোগ (Ramakrishna) যুগধর্ম—জ্ঞানযোগ বড় কঠিন—দাস আমি—ভক্তের আমি—বালকের আমি

    আর চিনি হতে চাই না, চিনি খেতে ভালবাসি। আমার এক কখন ইচ্ছা হয় না, যে বলি আমি ব্রহ্ম। আমি বলি তুমি ভগবান, আমি তোমার দাস। পঞ্চমভূমি আর ষষ্ঠভুমির মাঝখানে বাচ খোলানো ভাল। ষষ্ঠভূমি পের হয়ে সপ্তমভূমিতে অনেকক্ষণ থাকতে আমার সাধ হয় না। আমি তাঁর নামগুণগান (Kathamrita) করব—এই আমার সাধ। সেব্য-সেবক ভাব খুব ভাল। আর দেখ গঙ্গারই ঢেউ, ঢেউয়ের গঙ্গা কেউ বলে না। আমিই সেই এ অভিমান ভাল নয়। দেহাত্মবুদ্ধি থাকতে যে এ অভিমান করে, তার বিশেষ হানি হয়; এগুতে পারে না, ক্রমে অধঃপতন হয়। পরকে ঠকায় আবার নিজেকে ঠকায়, নিজের অবস্থা বুঝতে পারে না।

    দ্বিবিধা ভক্তি—উত্তম অধিকারী—ঈশ্বরদর্শনের উপায় 

    কিন্তু ভক্তি অমনি করলেই ঈশ্বরকে (Ramakrishna) পাওয়া যায় না। প্রেমাভক্তি না হলে ইশ্বরলাভ হয় না। প্রেমাভক্তির আর একটি নাম রাগভক্তি। প্রেম, অনুরাগ না হলে ভগবানলাভ হয় না ঈশ্বরের উপর ভালবাসা না এলে তাঁকে লাভ করা যায় না।

    আর-একরকম ভক্তি আছে। তার নাম বৈধী ভক্তি। এত জপ করতে হবে, উপোস করতে হবে, তীর্থে যেতে হবে, এত উপচারে পূজা করতে হবে, এতগুলি বলিদান দিতে হবে—এ-সব বৈধী ভক্তি। এ-সব অনেক করতে করতে ক্রমে রাগভক্তি আসে। কিন্তু রাগভক্তি যতক্ষণ না হবে, ততক্ষণ ঈশ্বরলাভ হবে না। তাঁর উপর ভালবাসা চাই। সংসারবুদ্ধি (Kathamrita) একেবারে চলে যাবে, আর তাঁর উপর ষোল আনা মন হবে, তবে তাঁকে পাবে।

    কিন্তু কারু কারু রাগভক্তি আপনা-আপনি হয়। স্বতঃসিদ্ধ। ছেলেবেলা থেকেই আছে। ছেলেবেলা থেকেই ঈশ্বরের (Ramakrishna) জন্য কাঁদে। যেমন প্রহ্লাদ। বিধিবাদীয় ভক্তি—যেমন, হাওয়া পাবে বলে পাখা করা। হাওয়ার জন্য পাখার দরকার হয়। ঈশ্বরের উপর ভালবাসা আসবে বলে জপ, তপ, উপবাস। কিন্তু যদি দক্ষিণে হাওয়া আপনি বয়, পাখাখানা লোকে ফেলে দেয়। ঈশ্বরের উপর অনুরাগ, প্রেম, আপনি এলে, জপাদি কর্ম ত্যাগ হয়ে যায়। হরিপ্রেমে মাতোয়ারা হলে বৈধী কর্ম কে করবে?

    যতক্ষণ না তাঁর উপর ভালবাসা জন্মায় ততক্ষণ ভক্তি কাঁচা ভক্তি (Ramakrishna)। তাঁর উপর ভালবাসা এলে, তখন সেই ভক্তির নাম পাকা ভক্তি।

    আরও পড়ুনঃ “ব্রহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা—এই বোধ ঠিক হলে মনের লয় হয়, সমাধি হয়”

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttar Pradesh: মুখে ‘আল্লাহু আকবর’ স্লোগান, উত্তরপ্রদেশে গণেশ পুজোর মণ্ডপে ‘হামলা’ জেহাদিদের

    Uttar Pradesh: মুখে ‘আল্লাহু আকবর’ স্লোগান, উত্তরপ্রদেশে গণেশ পুজোর মণ্ডপে ‘হামলা’ জেহাদিদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক বাড়ির গণেশ পুজোর (Ganesh Puja) মণ্ডপে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল জেহাদিদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh)। হামলাটি হয়েছে গত ১০ সেপ্টেম্বর রাতে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০ থেকে ২৫ জনের একটি জেহাদি গোষ্ঠী ওই পুজো প্যান্ডেলে হামলা চালায়। শুধু তাই নয়, মণ্ডপকে কেন্দ্র করে ব্যাপক ইট-বৃষ্টি চলতে থাকে। লুট করা হয়ে বাড়ি, ভাঙচুর করা হয় গণেশ মূর্তি। অভিযোগ পেয়েই দ্রুত পদক্ষেপ করল যোগী প্রশাসন।

    কী বলছেন অভিযোগকারী?

    এই ঘটনায় স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে সেখানে অভিযোগকারী বাড়ির মালিক প্রদীপ চৌরাশিয়ার স্ত্রী কিরণ চৌরাশিয়া উল্লেখ করেছেন, ‘‘৭ সেপ্টেম্বর গণেশ পুজো শুরু হয়। গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতি বছরই আমাদের এই অনুষ্ঠান চলে। ঠিক সেইদিনই বাড়ির আশেপাশে ২০ থেকে ২৫ জন দুষ্কৃতী জড়ো হয় এবং তারা ‘আল্লাহু আকবর’ স্লোগান দিতে থাকে (Uttar Pradesh)। তারপরে তারা সেই সময়ে ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যায় কিন্তু ঠিক ১০ সেপ্টেম্বর যখন আরতি চলছিল তখন ফের আবার ২০-২৫ জনের জেহাদি বাহিনী ইট বৃষ্টি শুরু করে এবং মূর্তি (Ganesh Puja) ভাঙচুর করে।’’ আরও অভিযোগ ওই জেহাদি গোষ্ঠী পরিবারকে হুমকি দেয়, যদি এরপরে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয় তাহলে এই ধরনের ঘটনা আরও ঘটবে বলে জানায় তারা।

    এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার ১ সন্দেহভাজন (Uttar Pradesh)

    জানা গিয়েছে, পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার পরেই ইতিমধ্যে পদক্ষেপ করা শুরু করেছে যোগী রাজ্যের পুলিশ (Uttar Pradesh)। সন্দেহজনক একজনকে গ্রেফতার করেছে তারা। তার নাম অবশ্য এখনও প্রকাশ্যে আনা হয়নি। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের ডেপুটি কমিশনার শশাঙ্ক সিং জানিয়েছেন যে, কিরণ চৌরাশিয়া যিনি গঙ্গা বিহার এলাকার বাসিন্দা, তিনি নিজের বাড়ির পুজোতে হামলার অভিযোগ এনে এফআইআর করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Swami Vivekananda: ‘‘সিস্টার্স অ্যান্ড ব্রাদার্স অফ আমেরিকা…’’, ফিরে দেখা স্বামীজির শিকাগো ভাষণ

    Swami Vivekananda: ‘‘সিস্টার্স অ্যান্ড ব্রাদার্স অফ আমেরিকা…’’, ফিরে দেখা স্বামীজির শিকাগো ভাষণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর স্বামী বিবেকানন্দের (Swami Vivekananda) শিকাগো ভাষণের ১৩১তম বর্ষপূর্তি। ১৮৯৩ সালের এই দিনেই বিশ্বধর্ম সম্মেলনে হিন্দু ধর্মের প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেন শ্রী রামকৃষ্ণের শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দ। তাঁর শিকাগো ভাষণের শুরুতেই তিনি বলেছিলেন, ‘‘সিস্টার্স অ্যান্ড ব্রাদার্স অফ আমেরিকা…’’ এখানেই প্রায় পাঁচ মিনিট ধরে করতালি চলতে থাকে। কারণ প্রথমবারের জন্য বিশ্ববাসীকে কেউ ‘ভাই ও বোন’ বলে সম্বোধন করেন শিকাগো ধর্ম সম্মেলনে। তাঁর আগের বক্তারা প্রত্যকেই ‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টলম্যান’ বলেই সম্বোধন করেছিলেন। স্বামী বিবেকানন্দ সেখানে তুলে ধরেন ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’-এর কথা (Vivekananda Chicago Speech)। ভারতের সীমাহীন সভ্যতার কথা। ভারতবর্ষের সনাতন সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও পরম্পরার কথা। সেখানেই শোনান এদেশের ধর্মীয় সহিষ্ণুতার কথা। ভারতবর্ষ কোনও ধর্মের ওপর কখনও আঘাত হানেনি, সে কথাও সেখানে তুলে ধরেন স্বামীজি। বিশ্ব মঞ্চে স্বামীজির ভাষণ সেদিন আলোড়ন তৈরি করে। ভারতীয় সভ্যতার মর্যাদা ব্যাপকভাবে প্রতিষ্ঠিত করেন স্বামীজি তাঁর নিজের ভাষণের মধ্য দিয়ে। তাঁর সেদিনের ভাষণের নির্বাচিত কিছু অংশের বিশ্লেষণ নীচে করা হল।

    পৃথিবীর মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রাচীন সন্ন্যাসী-সমাজের পক্ষ হইতে আমি আপনাদিগকে ধন্যবাদ জানাইতেছি

    ‘‘হে আমার আমেরিকাবাসী ভগিনী ও ভ্রাতৃবৃন্দ, আজ আপনারা আমাদিগকে যে আন্তরিক ও সাদর অভ্যর্থনা করিয়াছেন, তাহার উত্তর দিবার জন্য উঠিতে গিয়া আমার হৃদয় অনির্বচনীয় আনন্দে পরিপূর্ণ হইয়া গিয়াছে। পৃথিবীর মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রাচীন সন্ন্যাসী-সমাজের পক্ষ হইতে আমি আপনাদিগকে ধন্যবাদ জানাইতেছি। সর্বধর্মের যিনি প্রসূতি-স্বরূপ, তাঁহার নামে আমি আপনাদিগকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করিতেছি। সকল জাতি ও সম্প্রদায়ের অন্তর্গত কোটি কোটি হিন্দু নরনারীর হইয়া আমি (Swami Vivekananda) আপনাদিগকে ধন্যবাদ দিতেছি।’’

    আমরা শুধু সকল ধর্মকেই সহ্য করিনা, সকল ধর্মকেই আমরা সত্য বলিয়া বিশ্বাস করি

    ‘‘এই সভামঞ্চে সেই কয়েকজন বক্তাকেও আমি ধন্যবাদ জানাই, যাঁহারা প্রাচ্যদেশীয় প্রতিনিধিদের সম্বন্ধে এরূপ মন্তব্য প্রকাশ করিলেন যে, অতি দূরদেশবাসী জাতিসমূহের মধ্য হইতে যাঁহারা এখানে সমাগত হইয়াছেন, তাঁহারাও বিভিন্ন দেশে পরধর্মসহিষ্ণুতার ভাব প্রচারের গৌরব দাবি করিতে পারেন। যে ধর্ম জগৎকে চিরকাল পরমতসহিষ্ণুতা ও সর্বাধিক মত স্বীকার করার শিক্ষা দিয়া আসিতেছে, আমি সেই ধর্মভুক্ত বলিয়া নিজেকে গৌরবান্বিত মনে করি। আমরা শুধু সকল ধর্মকেই সহ্য করি না, সকল ধর্মকেই আমরা সত্য বলিয়া বিশ্বাস করি। যে ধর্মের পবিত্র সংস্কৃত ভাষায় ইংরেজি ‘এক্সক্লুশন’ (ভবার্থঃ বহিষ্হকরণ, পরিবর্জন) শব্দটি অনুবাদ করা যায় না, আমি সেই ধর্মভুক্ত বলিয়া গর্ব অনুভব করি। যে জাতি পৃথিবীর সকল ধর্মের ও সকল জাতির নিপীড়িত ও আশ্রয়প্রার্থী জনগণকে চিরকাল আশ্রয় দিয়া আসিয়াছে, আমি (Swami Vivekananda) সেই জাতির অর্ন্তভুক্ত বলিয়া নিজেকে গৌরবান্বিত মনে করি।’’

    আমরাই ইহুদীদের খাঁটি বংশধরগণের অবশিষ্ট অংশকে সাদরে হৃদয়ে ধারণ করিয়া রাখিয়াছি 

    ‘‘আমি আপনাদের এ কথা বলিতে গর্ব অনুভব করিতেছি যে, আমরাই ইহুদিদের খাঁটি বংশধরগণের অবশিষ্ট অংশকে সাদরে হৃদয়ে ধারণ করিয়া রাখিয়াছি; যে বৎসর রোমানদের ভয়ংঙ্কর উৎপীড়নে তাহদের পবিত্র মন্দির বিধ্বস্ত হয়, সেই বৎসরই তাহারা দক্ষিণভারতে আমাদের মধ্যে আশ্রয়লাভের জন্য আসিয়াছিলেন। জরাথুষ্ট্রের অনুগামী মহান পারসিক জাতির অবশিষ্টাংশকে যে ধর্মাবলম্বীগণ আশ্রয় দান করিয়াছিল এবং আজ পর্যন্ত যাহারা তাঁহাদিগকে প্রতিপালন করিতেছেন, আমি তাঁহাদেরই অন্তর্ভুক্ত।’’

    যত মত তত পথের কথা (Vivekananda Chicago Speech)

    ‘‘বিভিন্ন নদীর উৎস বিভিন্ন স্থানে, কিন্তু তাহারা সকলে যেমন এক সমুদ্রে তাহাদের জলরাশি ঢালিয়া মিলাইয়া দেয়, তেমনই হে ভগবান, নিজ নিজ রুচির বৈচিত্র্যবশতঃ সরল ও কুটিল নানা পথে যাহারা চলিয়াছে, তুমিই তাহাদের সকলের একমাত্র লক্ষ্য। পৃথিবীতে এযাবৎ অনুষ্ঠিত সম্মেলনগুলির মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ মহাসম্মেলনে গীতা-প্রচারিত সেই অপূর্ব মতেরই সত্যতা প্রতিপন্ন করিতেছি, সেই বাণীই ঘোষণা করিতেছিঃ ‘যে যথা মাং প্রপদ্যন্তে তাংস্তথৈব ভজাম্যহম্। মম বর্ত্মানুবর্তন্তে মনুষ্যাঃ পার্থ সর্বশঃ।।’ (যে কোনও ব্যক্তি যে ভাব আশ্রয় করিয়া আসুক না কেন, আমি তাহাকে সেই ভাবেই অনুগ্রহ করিয়া থাকি। হে অর্জুন মনুষ্যগণ সর্বতোভাবে আমার পথেই চলিয়া থাকে)।’’

    সাম্পদায়িকতা, গোঁড়ামি ও এগুলির ভয়াবহ ফলস্বরূপ ধর্মোন্মত্ততা এই সুন্দর পৃথিবীকে বহুকাল অধিকার করিয়া রাখিয়াছে

    ‘‘সাম্পদায়িকতা, গোঁড়ামি ও এগুলির ভয়াবহ ফলস্বরূপ ধর্মোন্মত্ততা এই সুন্দর পৃথিবীকে বহুকাল অধিকার করিয়া রাখিয়াছে। ইহারা পৃথিবীকে হিংসায় পূর্ণ করিয়াছে, বরাবার ইহাকে নরশোণিতে সিক্ত করিয়াছে, সভ্যতা ধ্বংস করিয়াছে এবং সমগ্র জাতিকে হতাশায় মগ্ন করিয়াছে। এই-সকল ভীষণ পিশাচগুলি যদি না থাকিত, তাহা হইলে মানবসমাজ আজ পূর্বাপেক্ষা অনেক উন্নত হইত। তবে ইহাদের মৃত্যুকাল উপস্থিত; এবং আমি সর্বতোভাবে আশা করি, এই ধর্ম-মহাসমিতির সন্মানার্থ আজ যে ঘণ্টাধ্বনি নিনাদিত হইয়াছে, তাহাই সর্ববিধ ধর্মোন্মত্ততা, তরবারি অথবা লিখনীমুখে অনুষ্ঠিত সর্বপ্রকার নির্যাতন এবং একই লক্ষ্যের দিকে অগ্রসর ব্যক্তিগণের মধ্যে সর্ববিধ অসদ্ভাবের সম্পূর্ণ অবসানের বার্তা ঘোষণা করুক।’’

    খেতড়ির রাজা অজিত সিংহের সাহায্যে স্বামীজি পৌঁছান আমেরিকা

    খুব সহজে অবশ্য স্বামীজির (Swami Vivekananda) আমেরিকা সফর সম্পন্ন হয়নি। উত্তর-পূর্ব রাজস্থানে খেতড়ির রাজা অজিত সিং স্বামী বিবেকানন্দকে শিকাগো যাওয়ার জন্য ‘ওরিয়েন্ট’ জাহাজে ফার্স্ট ক্লাসের টিকিট কিনে দেন বলে জানা যায়। কিন্তু সেখানে গিয়েও তাঁকে সহ্য করতে হয়েছিল দারুণ দুঃখ-কষ্ট। তিনি শিকার হন বর্ণ-বিদ্বেষের। কারণ তৎকালীন আমেরিকায় পাশ্চাত্যের লোকেদের কাছে এই ভারত ছিল অত্যন্ত পিছিয়ে পড়া। শিকাগো পৌঁছে শেষ পর্যন্ত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জন হেনরি রাইটের ব্যক্তিগত পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে বিবেকানন্দ (Swami Vivekananda) ওই সম্মেলনে বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন (Vivekananda Chicago Speech)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttarakhand: লাভ ও ল্যান্ড জিহাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর

    Uttarakhand: লাভ ও ল্যান্ড জিহাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) পুরুলা শহর, ধারচুলা, চামোলি নন্দনগর, সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের খবর পাওয়া গিয়েছে। এই সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষগুলির কারণ হিসেবে বেশিরভাগ জায়গাতেই উঠে এসেছে লাভ জিহাদ ও ল্যান্ড জিহাদের তত্ত্ব। এরপরেই উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি বেআইনি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। জানা গিয়েছে, সে রাজ্যে এখন মূল সমস্যা হচ্ছে মুসলিম অনুপ্রবেশের (Land Jihad) কারণে জনবিন্যাসের পরিবর্তন। এই কারণে ধর্মান্তকরণ এবং লাভ জিহাদের মতো ঘটনাগুলিও ঘটছে। এই সমস্ত কিছুর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই মর্মে উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) মুখ্যমন্ত্রী সে রাজ্যের ডিজিপি অভিনব কুমার এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তাদের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও করেছেন।

    কী বলছেন ডিজিপি (Uttarakhand)?

    লাভ জিহাদের বিষয়ে উত্তরাখণ্ডের ডিজিপি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, দুজন প্রাপ্তবয়স্ক তাঁদের পছন্দ মতো জীবনসঙ্গী বেছে নিতেই পারেন, কিন্তু যদি কারও ধর্ম পরিবর্তন করার উদ্দেশ্যে বিয়ে করা হয়, তখন পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। সম্প্রীতি বেশ কিছু হিন্দু সংগঠন দাবি করেছে যে, দেরাদুন, হরিদ্বার, নৈনিতাল প্রভৃতি জায়গাতে ইসলামপন্থী মানুষজনের (Land Jihad) জনসংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে এবং উত্তরাখণ্ডের জনবিন্যাস বদলে গিয়েছে। অনেকে এই ঘটনাকে ষড়যন্ত্র হিসেবেই দেখছেন।

    ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী রাজ্যের হিন্দু ৮৩ শতাংশ

    সাংবাদিক সম্মেলনের ডিজিপি অভিনব কুমার জানিয়েছেন যে, পার্বত্য অঞ্চলে (Uttarakhand) অনুপ্রবেশের কারণে বদলে গিয়েছে জনবিন্যাস। এরই পরিপ্রেক্ষিতে, খুব তাড়াতাড়ি পদক্ষেপ করা শুরু হবে এবং এ নিয়ে অভিযানও করা হবে। জানা গিয়েছে, ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে উত্তরাখণ্ডের জনসংখ্যা ছিল ১ কোটি ১০ লক্ষ। এর মধ্যে ৮৪ লাখ হিন্দু যা মোট জনসংখ্যার নিরিখে ৮৩ শতাংশ। অন্যদিকে ১৪ লাখ মুসলিম বসবাস করেন উত্তরাখণ্ডে, শতাংশের হিসেবে ১৩.৯।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: ‘ইলিশ দেব না’ হুঁশিয়ারি দেওয়া বাংলাদেশ ভারতের কাছে হাত পেতে নিল ডিম!

    Bangladesh: ‘ইলিশ দেব না’ হুঁশিয়ারি দেওয়া বাংলাদেশ ভারতের কাছে হাত পেতে নিল ডিম!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেশ ঘটা করে গণভবন দখল হয়েছিল! বাধ্য করা হয়েছিল শেখ হাসিনাকে ইস্তফা দিতে! অগাস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশে (Bangladesh) অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করার পরে সে দেশের জামাত ও বিএনপি’র সদস্যরা স্বাধীনতার উৎসব পালন করতে থাকেন। কিন্তু এত কিছুর পরেও বেলাগাম হয় বাংলাদেশের অসংখ্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল মুরগির ডিম। দিনকয়েক আগেও অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে সে দেশে এক-একটি মুরগির ডিমের দাম পৌঁছেছিল ১৫-১৬ (বাংলাদেশি) টাকায়। এই অবস্থায় ‘ভারতকে ইলিশ দেব না’, এমন হুঁশিয়ারি দেওয়া বাংলাদেশকে শেষমেষ হাত পাততে হল ভারতের কাছেই। ভারত থেকে ডিম যাওয়ার পরে বাংলাদেশিরা স্বস্তি পেল। 

    ভারত থেকে গেল প্রায় আড়াই লক্ষ ডিম (Bangladesh)  

    ভারত-বিরোধী একাধিক পোস্ট এখনও দেখা যাচ্ছে। যেখানে জামাত বিএনপি’র সমর্থকরা সদর্পে ঘোষণা করছেন, তাঁরা ভারত-বিরোধী। তবে শত্রু দেশের কাছে হাত পেতে ডিম নিতে তাদের সে অর্থে কোনও লজ্জা লাগছে না! হাজার হোক সবার আগে তো পেটের চিন্তা! অনেকেই তাই ব্যঙ্গের সুরে বলছেন যে বাংলাদেশিদের (Bangladesh) একাংশ সমাজ মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে যুদ্ধের কথা বলছেন, অথচ তাঁরাই এখন ডিমের অভাবে ভারতের কাছে হাত পাতছে। প্রতিবেশী রাষ্ট্রে ভারত থেকে গেল ২ লাখ ৩১ হাজার ৪০টি মুরগির ডিম। ওজনের হিসাবে ১৩ হাজার ৯১০ কেজি।

    বাংলাদেশে অর্ধক হল ডিমের দাম

    অন্তর্বর্তী সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা বাংলাদেশ সেই ডিম আমদানি করতেই এক ধাক্কায় ডিমের দাম সেখানে নেমে গিয়েছে অনেকটাই কমেছে। বেনাপোল কাস্টমস সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশি মুদ্রায় ভারত থেকে যাওয়া প্রতিটি ডিমের দাম দাঁড়াচ্ছে প্রায় ৫ টাকা। এছাড়া প্রতি ডজন ডিমের নির্ধারিত মূল্যের উপর ৩৩ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি বাবদ ১ টাকা ৬৬ পয়সা যোগ হবে। সবমিলিয়ে প্রতিটি ডিমের আমদানি মূল্য দাঁড়াচ্ছে ৭ থেকে ৭.৫০ টাকার মতো। গত সপ্তাহে যেখানে এই দর পৌঁছে গিয়েছিল ১৫-১৬ (বাংলাদেশি) টাকা প্রতি পিস।

    ভারতকে ইলিশ দেব না…

    শেখ হাসিনা যখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন পুজোর ‘উপহার’ হিসেবে আসত পদ্মার ইলিশ।সেই ধারাবাহিকতা ভেঙে এ বার উৎসবের মরসুমে ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগেই ইউনূস সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রকের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানিয়েছিলেন, চলতি বছর দুর্গাপুজোয় ভারতে ইলিশ পাঠানো হচ্ছে না। এই মর্মে বাণিজ্য মন্ত্রককে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। এই আবহেই বাংলাদেশে (Bangladesh) পৌঁছাল মুরগির ডিম। ভারত থেকে বাংলাদেশে ডিমের গাড়ি পৌঁছনোর খবর নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশের রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘‘আমদানি করা ডিমের গুণগতমান পরীক্ষার পর সেগুলি মঙ্গলবারই বাজারজাত করা হয়েছে।’’

    পাশে থাকতে জানে ভারত

    ইলিশের যোগান থেকে ভারতের থেকে বাংলাদেশ মুখ ফিরিয়ে নিলেও, ভারত কিন্তু, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রয়োজনের সময় মুখ ফিরিয়ে নেয়নি। সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়ে ভারত প্রমাণ করল যে, এই দেশ উদারতা জানে। ভারত যাকে বন্ধু মনে করে, তার পাশে দাঁড়াতে জানে। যে কারণে, ইলিশ নিয়ে বাংলাদেশের বড় বড় কথা সত্ত্বেও ভারত ডিম নিয়ে বাংলাদেশকে ফিরিয়ে দেয়নি। ১১০৪টি কার্টনের মাধ্যমে ওই বিপুলসংখ্যক ডিম বাংলাদেশ ভারত থেকে আমদানি করে। সমস্ত ডিমের দাম দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার মার্কিন ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৯ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা।

    আরও ডিম আমদানি করতে হবে বাংলাদেশকে

    বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজধানী শহরে ‘হাইড্রো ল্যান্ড সলিউশন’ নামে একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানই ১৩ হাজার ৯১০ কেজি ডিম আমদানি করেছে। রফতানি হয়েছে ভারতের ‘শ্রী লক্ষ্মী এন্টারপ্রাইজ’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে। এবিষয়ে বেনাপোল কাস্টমস্ হাউসে কাগজপত্র দাখিল করেছে সিএন্ডএফ এজেন্ট রাতুল এন্টারপ্রাইজ। তার মালিক আব্দুল লতিফ বলেন, ‘‘ডিমের বাজারে অস্থিরতা দূর করার জন্য আরও বেশি ডিম আমদানি করতে হবে বাংলাদেশকে। বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি শুরুও হয়েছে। এই ভাবে ডিম আমদানি হলে বাংলাদেশের মানুষ আবার অল্পমূল্যে ডিম কিনতে পারবেন।’’

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG kar: স্বাস্থ্য সচিবের পাঠানো ইমেল ‘অপমানজনক’, কড়া বার্তা জুনিয়র ডাক্তারদের

    RG kar: স্বাস্থ্য সচিবের পাঠানো ইমেল ‘অপমানজনক’, কড়া বার্তা জুনিয়র ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থানে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইমেল করে ১০ আন্দোলনকারীকে নবান্নে যাওয়ার বার্তা দেন স্বাস্থ্য সচিব। ঘটনাক্রমে এই স্বাস্থ্য সচিবের পদত্যাগ চেয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা (RG kar)। শেষে তাঁকে দিয়েই ইমেল পাঠানো হল! ফলত, ওই ইমেলকে ‘অপমানজনক’ বলেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। নিজেদের অবস্থানে এখনও অনড় হয়ে রয়েছেন তাঁরা। 

    স্যার ও ম্যাডাম লেখার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা (RG kar)

    মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিট নাগাদ আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে এই ইমেল পাঠানো হয়।ইমেলের মাধ্যমে এদিন বৈঠকের কথা বলা হলেও আন্দোলনকারীরা সেই বৈঠকে যোগ দিতে নবান্নে যাননি। উল্টে তাঁদের বক্তব্য, স্বাস্থ্য সচিবের (RG kar) কাছ থেকে ইমেল আসা অপমানজনক। ইমেলের শুরুতে শুধু ‘স্যার’ লেখা নিয়েও আপত্তি রয়েছে আন্দোলনকারীদের। সেখানে স্যার ও ম্যাডাম লেখার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে যোগ দেওয়ার কথা বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে আগেই জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছিলেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্য়ন্ত কর্মবিরতি চলবে। এপ্রসঙ্গে জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো জানিয়েছিলেন, তাঁরা (জুনিয়র ডাক্তার) শিক্ষানবিশ, গোটা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যদি জুনিয়র ডাক্তারদের ওপর নির্ভর করে তাহলে রাজ্য সরকার মানুষকে পরিষেবা কীভাবে দেবে? মঙ্গলবার কাজে যোগ না দিয়ে স্বাস্থ্য ভবন অভিযান করেন তাঁরা। একাধিক দাবিও জানান। পাঁচটার পরই স্বাস্থ্য সচিবের কাছ থেকে ইমেল পান আন্দোলনকারীরা। নবান্নে বৈঠকের জন্য বার্তা পাঠানো হয়।

    কী বলছেন আন্দোলনকারীরা (RG kar)

    আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘‘এদিন আমরা স্বাস্থ্য ভবন অভিযানে এসেছিলাম। স্বাস্থ্য সচিবের পদত্যাগ চেয়েছিলাম। সেই স্বাস্থ্য সচিবের কাছ থেকে ইমেল আসা আমরা সদর্থক হিসেবে দেখছি না। স্বাস্থ্য সচিবের (RG kar) তরফে আসা ইমেল আমাদের কাছে অপমানজনক।’’ তবে রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাঁরা আলোচনার পথ খোলা রাখতে চান বলেই জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, নবান্নের শীর্ষ স্তর থেকে বার্তা এলে তাঁরা ভেবে দেখবেন। মাত্র দশ জনকে বৈঠকে ডাকায় ব্যাপক অসন্তুষ্ট হয়েছেন আন্দোলনকারীরা (RG kar)। তাঁরা বলেন, ‘‘দশ জনকে ডাকা অসম্মানজনক বলে মনে করছি।’’ প্রতিনিধি দলে কতজন থাকবেন, তা আলোচনা সাপেক্ষে ঠিক হবে বলে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, নবান্নে রাজ্য সরকারের সাংবাদিক বৈঠক শেষ হওয়ার আগেই সল্টলেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে থেকে পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক শুরু করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেখানেই তাঁরা ওই ইমেলকে ‘অপমানজনক’ বলে অভিহিত করেন। জুনিয়র ডাক্তারদের যুক্তি, তাঁদের দাবিগুলির মধ্যে অন্যতম স্বাস্থ্যসচিবের অপসারণ। কিন্তু বৈঠকের জন্য যে মেলটি পাঠানো হয়েছে, তা এসেছে স্বাস্থ্যসচিবের ইমেল থেকেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।
     

  • Ramakrishna 131: “ব্রহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা—এই বোধ ঠিক হলে মনের লয় হয়, সমাধি হয়”

    Ramakrishna 131: “ব্রহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা—এই বোধ ঠিক হলে মনের লয় হয়, সমাধি হয়”

    শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অন্যান্য ভক্তের প্রতি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের উপদেশ

    সপ্তম পরিচ্ছেদ

    ক্লেশোঽধিকতরস্তেষামব্যক্তাসক্তচেতসাম্‌ ৷
    অব্যক্তা হি গর্তিদুঃখং দেহবদ্ভিরবাপ্যতে ॥
       (গীতা — ১২।৫)

    ভক্তিযোগ যুগধর্ম—জ্ঞানযোগ বড় কঠিন—দাস আমি—ভক্তের আমি—বালকের আমি

    বিজয় (শ্রীরামকৃষ্ণের প্রতি)—মহাশয়! আপনি ‘বজ্জাৎ আমি’ ত্যাগ করতে বলছেন (Kathamrita)। ‘দাস আমি’-তে দোষ নাই?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—হাঁ, দাস আমি অর্থাৎ আমি ঈশ্বরের দাস, আমি তাঁর ভক্ত—এই অভিমান। এতে দোষ নাই বরং এতে ঈশ্বরলাভ হয়।

    বিজয়—আচ্ছা, যার “দাস আমি” তার কাম-ক্রোধাদি কিরূপ?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—ঠিক ভাব যদি হয়, তাহলে কাম-ক্রোধের কেবল আকার মাত্র থাকে। যদি ঈশ্বরলাভের পর “দাস আমি” বা “ভক্তের আমি” থাকে, সে ব্যক্তি কারু অনিষ্ট করতে পারে না। পরশমণি ছোঁয়ার পর তরবার সোনা হয়ে যায়, তরবারের আকার থাকে, কিন্তু কারু হিংসা করে না।

    নারিকেল গাছের বেল্লো শুকিয়ে ঝরে পড়ে গেলে কেবল দাগমাত্র থাকে। সেই দাগে এইটি টের পাওয়া যায় যে, এককালে ওইখানে নারিকেলের বেল্লো ছিল। সেইরকম যার ঈশ্বরলাভ হয়েছে, তার অহংকারের দাগমাত্র থাকে, কাম-ক্রোধের আকারমাত্র থাকে; বালকের অবস্থা হয়। বালকের যেমন সত্ত্ব, রজঃ, তমো গুণের মধ্যে কোন গুণের আঁট নাই। বালকের কোন জিনিসের উপর টান করতেও যতক্ষণ—তাকে ছাড়তেও ততক্ষণ। একখানা পাঁচ টাকার কাপড় তুমি আধ পয়সার পুতুল দিয়ে ভুলিয়ে নিতে পার। কিন্তু প্রথমে খুব আঁট করে বলবে (Kathamrita) এখন—না আমি দেব না। আমার বাবা কিনে দিয়েছে। বালকের আবার সব্বাই সমান—ইনি বড়, উনি ছোট, এরূপ বোধ নাই। তাই জাতি বিচার নাই। মা বলে দিয়েছে, ও তোর দাদা হয়, সে ছুতোর হলেও একপাতে বসে ভাত খাবে। বালকের ঘৃণা নাই, শুচি-অশুচি বোধ নাই। পায়খানায় গিয়ে হাতে মাটি দেয় না।

    কেউ কেউ সমাধির পরও ভক্তের আমি, দাস আমি নিয়ে থাকে। আমি দাস, তুমি প্রভু, আমি ভক্ত, তুমি ভগবান—এই অভিমান ভক্তের থাকে। ঈশ্বরলাভের পরও থাকে, সব আমি যায় না। আবার এই অভিমান অভ্যাস করতে করতে ঈশ্বরলাভ হয়। এরই নাম ভক্তিযোগ।

    ভক্তির পথ ধরে গেলে ব্রহ্মজ্ঞান হয়। ভগবান সর্বশক্তিমান, মনে করলে ব্রহ্মজ্ঞানও দিতে পারেন। ভক্তেরা প্রায় ব্রহ্মজ্ঞান চায় না। আমি দাস, তুমি প্রভু, আমি ছেলে, তুমি মা—এই অভিমান রাখতে চায়।

    বিজয়—যাঁরা বেদান্ত বিচার করেন, তাঁরাও তো তাঁকে পান?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—হাঁ, বিচারপথেও তাঁকে পাওয়া যায়। একেই জ্ঞানযোগ বলে। বিচারপথ বড় কঠিন। তোমায় তো সপ্তভূমির কথা বলেছি। সপ্তভূমিতে মন পৌঁছিলে সমাধি হয়। ব্রহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা—এই বোধ ঠিক হলে মনের লয় হয়, সমাধি হয়। কিন্তু কলিতে জীব অন্নগত প্রাণ, ব্রহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা কেমন করে বোধ হবে? সে-বোধ দেহবুদ্ধি না গেলে হয় না। আমি দেহ নই, আমি মন নই, চতুর্বিংশতি তত্ত্ব নই, আমি সুখ-দুঃখের অতীত, আমার রোগ, শোক, জরা, মৃত্যু কই?—এ-সব বোধ কলিতে হওয়া কঠিন। যতই বিচার কর, কোন্‌খান থেকে দেহাত্মবুদ্ধি এসে দেখা দেয়। অশ্বত্থগাছ এই কেটে দাও, মনে করলে মূলসুদ্ধ উঠে গেল। কিন্তু তার পরদিন সকালে দেখ, গাছের একটি ফেঁকড়ি দেখা দিয়েছে! দেহাভিমান যায় না। তাই ভক্তিযোগ কলির পক্ষে ভাল, সহজ।

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Radha Ashtami 2024: আজ রাধাষ্টমী, কীভাবে পালন করবেন? জেনে নিন এই উৎসবের তাৎপর্য

    Radha Ashtami 2024: আজ রাধাষ্টমী, কীভাবে পালন করবেন? জেনে নিন এই উৎসবের তাৎপর্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, বুধবার রাধাষ্টমী (Radha Ashtami 2024)। এই দিনটিকে হিন্দু ধর্মে অত্যন্ত পবিত্র ও শুভ বলে মানা হয়। প্রতি বছর ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতেই রাধাষ্টমীর উৎসব পালন করেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। প্রসঙ্গত, প্রতিবছর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মতিথি জন্মাষ্টমীর ১৫ দিন পরেই দেশ-বিদেশে এই উৎসব (Hindu Festival) পালিত হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, এই বিশেষ দিনেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন রাধারানি। এই শুভ তিথিতে রাধারানি এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পুজো করলে জীবনে সুখ-সমৃদ্ধি আসে বলেই বিশ্বাস। প্রসঙ্গত, এই দিনটি রাধাজয়ন্তী নামেও পরিচিত।

    রাধাষ্টমীর তিথি (Radha Ashtami 2024)

    বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুসারে রাধাষ্টমীর তিথি শুরু হয়েছে গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার, ২৫ ভাদ্র, ইংরেজির ১০ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা ১৪ মিনিট থেকে। অষ্টমী তিথি শেষ হচ্ছে আজ বুধবার ২৬ ভাদ্র, বুধবার ইংরেজির ১১ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে। অন্যদিকে, গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে অষ্টমী তিথি আরম্ভ হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিট ৩৬ সেকেন্ড। অষ্টমী তিথি শেষ হবে আজ সন্ধ্যা ৬টা ২৬ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড।

    রাধাষ্টমীর (Radha Ashtami 2024) তাৎপর্য

    রাধাষ্টমীর ব্রতে (Hindu Festival) বাড়ির মহিলারা উপবাস রাখেন এবং রাধারানির পাশাপাশি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পুজো করেন। মনে করা হয় এতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অত্যন্ত সন্তুষ্ট হয়ে আশীর্বাদ প্রদান করেন। ভক্তদের বিশ্বাস রাধাষ্টমীর (Radha Ashtami 2024) ব্রত পালন করলে সকল পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। অবারিত সৌভাগ্য ও সন্তান লাভের ইচ্ছা পূরণ হয়। ঘরে আসে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি। এর পাশাপাশি, বাড়িতেও দেবী লক্ষ্মীর অধিষ্ঠান হয়। এই কারণে তাদের কখনও আর্থিক সংকটে পড়তে হয় না।

    রাধাষ্টমীর ব্রতপালনে কোন কোন কাজ করবেন

    রাধাষ্টমী (Radha Ashtami 2024) উপবাসের নির্জলা উপবাস পালন করুন এবং শুভ সময়ে পুজো করুন।

    ভক্তদের রাধারানি সহ ভগবান শ্রী কৃষ্ণেরও পুজো করা উচিত এদিন। কারণ ভগবান শ্রী কৃষ্ণ হলেন শ্রী রাধার আরাধ্য দেবতা।

    ব্রত পালনের দিনে কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করবেন না।

    ব্রত পালনের শ্রীকৃষ্ণের ধ্যান করুন যাকে রাধারমণ বলা হয়। এতে রাধারানি খুব খুশি হন এবং ভক্তদের আশীর্বাদ করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Apple iPhone 16: ভারতে লঞ্চ হল অ্যাপলের আইফোন ১৬, দাম শুরু ৭৯ হাজার টাকা থেকে

    Apple iPhone 16: ভারতে লঞ্চ হল অ্যাপলের আইফোন ১৬, দাম শুরু ৭৯ হাজার টাকা থেকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা বিশ্বের সঙ্গে ভারতের বাজারেও অ্যাপল লঞ্চ করল আইফোন ১৬ সিরিজ (Apple iPhone 16)। সোমবার রাতে আইফোন প্রস্তুত কারক সংস্থা অ্যাপল আইফোন ১৬ সিরিজ, আইফোন ১৬ প্লাস সিরিজ এবং আইফোন ১৬ প্রো সিরিজ লঞ্চ করেছে। আইফোন ১৬-এ অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করা হয়েছে। এতে ভাইব্রেন্ট কালার, ২০০০ নিটস ব্রাইটনেসের একটি ডিসপ্লে রয়েছে। এছাড়া রয়েছে ৬.১ ইঞ্চি ডিসপ্লে এবং আইফোন ১৬ প্লাস-এ (Apple iPhone 16) রয়েছে ৬.৭ ইঞ্চি ডিসপ্লে। এতে ক্যামেরা কন্ট্রোলও পাওয়া যাচ্ছে। এটি এক ধরনের নতুন বাটন যা পাওয়ার বাটনের ঠিক নিচে দেওয়া আছে।

    ভারতে দাম (Apple iPhone 16)

    ভারতে আইফোন ১৬-এর দাম ৭৯,০০০ টাকা এবং আইফোন ১৬ প্লাস-এর দাম ৮৯,৯০০ টাকা বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, আইফোন ১৬ প্রো মডেলের দাম শুরু হচ্ছে ১,১৯,৯০০ টাকা থেকে। সবচেয়ে দামি ফোন হল আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স, যার দাম ১,৪৪,৯০০ টাকা। প্রসঙ্গত, এই মডেলগুলি বুক করা যাবে ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে। সেদিন থেকে প্রি-অর্ডার করতে পারবেন। বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে বুক করা যাবে। এই ফোনটি ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বিক্রি শুরু হবে। প্রসঙ্গত, গত বছরই আইফোন ১৫ এবং ১৫ প্রো সিরিজ গত বছর লঞ্চ করা হয়েছিল। আইফোন ১৬ সিরিজে ডিজাইন থেকে শুরু করে ক্যামেরা সেন্সর এবং চিপসেটেও পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া ব্যবহার করা হয়েছে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সও। নতুন মডেলে (Apple iPhone) রয়েছে এ১৮ চিপসেট। একইসঙ্গে আইওএস-১৮ আছে নতুন সিরিজে ৷

    ক্যামেরার বৈশিষ্ট্য (Apple iPhone 16)

    আইফোন ১৬-র ক্যামেরা সেন্সরগুলি আইফোন ১৫-র তুলনায় অনেকটাই অত্যাধুনিক। আপগ্রেড ক্যামেরা (Apple iPhone) সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে নতুন মডেলে। আইফোন ১৬-র স্ট্যান্ডার্ড ভেরিয়েন্টে একটি নতুন ৪৮ মেগাপিক্সেল আল্ট্রাওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স পাওয়া যাবে। এর পাশাপাশি কম আলোর সেন্সরও উন্নত করা হয়েছে। আইফোন ১৬ সিরিজের ক্যামেরায় ডিএসএলআর স্টাইল শাটার বাটন ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও, একটি ১২ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা ওয়াইড ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে, যা ২এক্স টেলিফটো লেন্সের সঙ্গে আনা হয়েছে। এতে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি সাপোর্ট করে। এর সাহায্যে ৬০ এফপিএস রেটে ৪কে ভিডিও শ্যুট করা সম্ভব হবে।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Manipur violence: মণিপুর হিংসায় আন্তর্জাতিক যোগ! শান্তি ফেরাতে সরকারকে আর্জি আরএসএস-এর

    Manipur violence: মণিপুর হিংসায় আন্তর্জাতিক যোগ! শান্তি ফেরাতে সরকারকে আর্জি আরএসএস-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি সেপ্টেম্বর মাস থেকে ফের অশান্তি ছড়িয়েছে মণিপুরে। গত কয়েকদিনের হিংসায় এখনও পর্যন্ত আটজনের (Manipur violence) মৃত্যুর খবর মিলেছে। এই আবহে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের মণিপুর শাখা একটি বৈঠক করে গত শনিবার। আরএসএস-এর (RSS) প্রদেশ স্তরের এই বৈঠকে আলোচনা করা হয় সে রাজ্যের হিংসার পরিস্থিতি নিয়ে। এরপরেই সংবাদমাধ্যমে আরএসএস-এর মণিপুর শাখা এ বিষয়ে বিবৃতি জারি করে। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) মণিপুর শাখা অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সাধারণ নাগরিক সমাজের ওপরে কুকি জঙ্গিরা যে ধরনের হামলা চালাচ্ছে, তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। সঙ্ঘের প্রেস বিবৃতি অনুযায়ী, ‘‘এই হামলাগুলির মধ্যে ড্রোন, রকেট, মিসাইল- এ সমস্ত কিছু ব্যবহার হচ্ছে। এই ধরনের অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্রের (Manipur violence) ব্যবহার বুঝিয়ে দিচ্ছে যে এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক যোগও রয়েছে।’’

    কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করুক (Manipur violence)

    রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারকে খুব দ্রুত পদক্ষেপ করার আর্জিও জানানো হয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) এই প্রেস বিবৃতিতে। ওই প্রেস বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ‘‘শান্তি এখনও ফেরানো যায়নি মণিপুরে (Manipur violence)। দীর্ঘদিন ধরে এই অশান্তি চলছে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার দ্রুত পদক্ষেপ করুক এই বিষয়ে এবং মণিপুরের শান্তিকে প্রতিষ্ঠা করুক। কারণ অনেকদিন ধরে অশান্ত মণিপুরে ভুগছে সাধারণ মানুষ।’’ জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের এই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে সারা রাজ্য জুড়ে সাধারণ মানুষ কীভাবে অসুরক্ষিত (Manipur violence) হয়ে রয়েছেন সে নিয়েও। কুকি জঙ্গিদের এই আগ্রাসন ঠেকানো অতি শীঘ্র দরকার বলেই মনে করছে আরএসএস। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS) মনে করছে, কড়া পদক্ষেপই একমাত্র মণিপুরের অশান্তিকে ঠেকাতে পারে।

    কীভাবে অশান্ত হল মণিপুর (Manipur) 

    কুকি ও মেইতেইদের বিরোধের জল প্রথমে গড়ায় মণিপুর হাইকোর্টে। ২০২৩ সালের প্রথম দিকে হাইকোর্ট জানায় যে, মেইতেই জনগোষ্ঠীকে তফশিলি উপজাতির তকমা দেওয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখুক রাজ্য সরকার। হাইকোর্টের এমন নির্দেশের পরেই ২০২৩ সালের এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে মণিপুরের (Manipur Violence) ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন’ একটি মিছিল আয়োজন করে। সেই মিছিল থেকে প্রথম হিংসা ছড়ায় চূড়াচাঁদপুর জেলায়। অশান্ত মণিপুরে (Manipur Violence) এখনও পর্যন্ত হিংসায় প্রাণ হারিয়েছেন কয়েকশো মানুষ। এরই মধ্যে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ভাইরাল হয়েছিল এক বিভীষিকার ভিডিও। সেখানে দেখা গিয়েছিল দুই মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানো হচ্ছে। পরে তাঁদের মাঠে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনা ঘটে ২০২৩ সালের ৪ মে তবে ভিডিও ভাইরাল হয় জুলাই মাসে। দেড় বছর ধরে হিংসা চললেও এখনও থামেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share