Tag: Madhyom

Madhyom

  • Aurangzebs Tomb: দাবি ঔরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণের! মহারাষ্ট্রে করসেবা করার হুঁশিয়ারি ভিএইচপি-র

    Aurangzebs Tomb: দাবি ঔরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণের! মহারাষ্ট্রে করসেবা করার হুঁশিয়ারি ভিএইচপি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে ছত্রপতি সম্ভাজি নগরের খুলদাবাদে অবস্থিত হল মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের সমাধি (Aurangzebs Tomb)। এই সমাধি অপসারণের দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহলে। স্থানীয়দের মতে, এই সমাধি হল আসলে অত্যাচার ও দাসত্বের প্রতীক। এই আবহে বজরং দল এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) আরও জোরাল দাবি তুলেছে। সংগঠনের নেতাদের মতে, রাজ্য সরকার যদি পদক্ষেপ না করে তবে তাদের কর্মীরা ওই স্থানের করসেবা করবে।

    ১৭ মার্চ স্মারকলিপি (Aurangzebs Tomb)

    এখানেই না থেমে থেকে আগামীকাল অর্থাৎ ১৭ মার্চ হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি একত্রিত হয়ে রাজ্য সরকারকে এনিয়ে স্মারক লিপিও দেবে বলে জানিয়েছে। আইনি ব্যবস্থা মেনেই এই সংগঠনগুলি ওই স্থানে করসেবা করতে চায় বলে জানিয়েছে। এর পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনেরও হুঁশিয়ারিও দিয়েছে তারা। ভিএইচপি-র নেতাদের মতে, এই স্থান শতাব্দীর নিপীড়ন, নৃশংসতা এবং দাসত্বের প্রতীক (Bajrang Dal)।

    ঘৃণা এবং নির্যাতনের স্মারক! দাবি ভিএইচি নেতার (Aurangzebs Tomb)

    প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নীতেশ রানে এবং প্রাক্তন সংসদ সদস্য (এমপি) নবনীত রানা ঔরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণের দাবি করেন। পরবর্তীকালে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশও এই প্রস্তাবকে সমর্থন করেছিলেন। তবে সবটাই তিনি আইন মেনে করার পক্ষপাতী। কারণ ওই স্থান বর্তমানে ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ (এএসআই)-এর আওতায় রয়েছে। সুরক্ষিত। শনিবার পুনেতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে, ভিএইচপি-র পশ্চিম মহারাষ্ট্রের নেতা কিশোর চৌহান ঔরঙ্গজেবের সমাধিস্থলকে হিন্দুদের উপর বিশ্বাসঘাতকতা, ঘৃণা এবং নির্যাতনের স্মারক (Aurangzebs Tomb) বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, “ঔরঙ্গজেবের নিষ্ঠুরতা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তিনি তাঁর নিজের পিতাকে বন্দী করেছিলেন। তাঁর ভাইদের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন। হিন্দু মন্দির ধ্বংসের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাঁর সমাধির অস্তিত্ব কেবল তাঁর নৃশংসতার প্রতীক। মহারাষ্ট্র সরকারকে তা অপসারণের জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ করতে হবে। যদি সরকার এটি অপসারণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে আমরা ‘করসেবা’ করে এটি করব। যেমনটি আমরা রাম জন্মভূমি আন্দোলনের সময় দেখেছি।”

  • Amit Shah: “ইন্দিরার বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ায় জেলে যেতে হয়েছিল”, বললেন অমিত শাহ

    Amit Shah: “ইন্দিরার বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ায় জেলে যেতে হয়েছিল”, বললেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন দিনের সফরে উত্তর-পূর্ব ভারতে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। শুক্রবারই অসমে (Assam) গিয়েছেন তিনি। শনিবার অসমের ডেরগাঁওতে লাচিত বরফুকন পুলিশ অ্যাকাডেমির উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শাহ বলেন, “অসমে কংগ্রেস সরকারের আমলে আমি মারও খেয়েছি। সেই সময় হিতেশ্বর সইকিয়া অসমের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। আমরা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে স্লোগানও দিয়েছিলাম।”

    শাহ উবাচ (Amit Shah)

    পূর্বতন কংগ্রেস সরকারের সঙ্গে বর্তমান বিজেপি-শাসিত অসমের তুলনা করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “অসমে সাতদিন আমায় জেলের খাবার খেতে হয়েছিল। সারা দেশ থেকে মানুষ এসেছিলেন অসমকে বাঁচাতে। আজ অসম উন্নয়নের পথ ধরে এগিয়ে চলছে।” প্রসঙ্গত, অসমে দু’দফায় মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন কংগ্রেসের হিতেশ্বর সইকিয়া। প্রথমবার ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৫ সাল এবং তারপর ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত। হিতেশ্বর জমানার কথা তুলে ধরে শাহের কটাক্ষ, ওরা রাজ্যে শান্তি আনতে দেয়নি।

    ভারতীয় ন্যায় সংহিতা বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা

    এদিকে, আজ, রবিবার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আয়োজিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এই বৈঠকে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে। এটি পূর্ববর্তী ভারতীয় দণ্ডবিধির পরিবর্তে চালু করা হয়েছে। শনিবার রাতটি মিজোরামে কাটিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি অসম রাইফেলসের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন।

    রবিবার তিনি দিনটি (Amit Shah) শুরু করবেন কোক্রাঝারে সফরের মাধ্যমে। সেখানে তিনি অল বোডো স্টুডেন্টস ইউনিয়নের ৫৭তম বার্ষিক সম্মেলনে ভাষণ দেবেন। প্রসঙ্গত, আবসু ঐতিহাসিক বোডো শান্তি চুক্তির অন্যতম স্বাক্ষরকারী। এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল পাঁচ বছর আগে।

    জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে শাহ পৌঁছবেন গুয়াহাটিতে। সেখানে অসম, মেঘালয়, মিজোরাম, অরুণাচল প্রদেশ, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড এবং সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের সভাপতিত্ব করবেন। প্রসঙ্গত, গত মাসে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের পদত্যাগের পর মণিপুর রাষ্ট্রপতি শাসনের অধীনে থাকায় বৈঠকে রাজ্যের (Assam) প্রতিনিধিত্ব কে করবেন, তা জানা যায়নি (Amit Shah)।

  • Pakistan: ফের ভারত বিরোধী জঙ্গি খতম পাকিস্তানে! গুলিতে নিহত রাজৌরি হামলার মাস্টারমাইন্ড কাতাল

    Pakistan: ফের ভারত বিরোধী জঙ্গি খতম পাকিস্তানে! গুলিতে নিহত রাজৌরি হামলার মাস্টারমাইন্ড কাতাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকবাজদের হামলায় পাকিস্তানে (Pakistan) খতম ভারত বিরোধী জঙ্গি। নিহত লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গি আবু কাতাল। জানা গিয়েছে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় প্রথম সারিতেই ছিল এই জঙ্গির নাম। ২৬/১১-র মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজ সইদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত কাতাল। তার সঙ্গে মিলে একাধিক হামলা পরিচালনাও করেছিল কাতাল। জম্মু ও কাশ্মীরে বহু সন্ত্রাসবাদী হামলার নেপথ্যে ছিল কাতালের নাম। শনিবার রাতেই পাকিস্তানে মৃত্যু হল কাতালের।

    পাকিস্তানে (Pakistan) একাধিক নাম নিয়ে ঘুরত এই কুখ্যাত ভারত বিরোধী জঙ্গি

    একাধিক সংবাদমাধ্যমে দাবি, শনিবার পাকিস্তানের (Pakistan) পাঞ্জাব প্রদেশের ঝিলাম জেলায় ছিল কাতাল। গাড়ি করে যাওয়ার সময়েই কেউ বা কারা তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। কাতালের পাশাপাশি তার গাড়ির চালকেরও মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে কাতালের খুনের পিছনে কারা রয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানে (Pakistan) একাধিক নাম নিয়ে ঘুরত এই কুখ্যাত ভারত বিরোধী জঙ্গি কাতাল। ফয়সল নাদিম, কাতাল সিন্ধি নামেও তাকে ডাকা হত। গতকাল শনিবার রাতে তার দেহ উদ্ধার করা হয় ঝিলামের ডিনা এলাকা থেকে। জানা গিয়েছে, কাতালকে লস্কর-ই-তৈবার (Lashkar E Taiba) প্রধান অপারেশনাল কমান্ডার হিসাবে নিযুক্ত করে হাফিজ।

    জম্মু-কাশ্মীরে একাধিক হামলার নেপথ্যে ছিল কাতাল

    গত বছরের ৯ জুন রিয়াসিতে তীর্থযাত্রীদের বাসে হামলা চালানো হয়েছিল। সূত্রের খবর, কাতালই সেই হামলার পরিকল্পনা এবং পরিচালনা করে। এ ছাড়াও, ২০২৩ সালে রাজৌরিতে সন্ত্রাসবাদী হামলার অন্যতম চক্রী ছিল কাতাল। ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র এই সংক্রান্ত চার্জশিটে রয়েছে কাতালের নাম। কাতালের পরিকল্পনায় (Lashkar E Taiba) রাজৌরির গ্রামে যে হামলা চালানো হয়, তাতে দুই শিশু-সহ সাত জনের মৃত্যু হয়েছিল। এনআইএ-র চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, কাতাল তার সঙ্গীদের নিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের নানা প্রান্তে হামলার জন্য লস্কর জঙ্গিদের পাকিস্তান (Pakistan) থেকে পাঠাত।

  • Donald Trump: ইয়েমেনে ব্যাপক বোমাবর্ষণ আমেরিকার, মৃত অন্তত ২৩

    Donald Trump: ইয়েমেনে ব্যাপক বোমাবর্ষণ আমেরিকার, মৃত অন্তত ২৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইয়েমেনে ব্যাপক বোমাবর্ষণ আমেরিকার। এই হামলার পর অন্তত ২৩ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি সংবাদ মাধ্যমের। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন মহিলা এবং শিশুরাও। ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথিদের বিরুদ্ধেই মূলত অভিযান ট্রাম্পের (Donald Trump)। হুঁশিয়ারির সুরে ইরানের উদ্দেশে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বার্তা, “আপনারা থামুন, না হলে আকাশ থেকে নরক বর্ষণ হবে।” ট্রাম্প আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট। প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিয়েই পশ্চিম এশিয়ার দিকে নজর দিলেন ট্রাম্প। তাঁরই নির্দেশে শনিবার লোহিত সাগরের তীরে ব্যাপক বোমাবর্ষণ করে মার্কিন সেনা।

    মার্কিন প্রেসিডেন্টের বার্তা (Donald Trump)

    ইরানের উদ্দেশে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বার্তা, “অবিলম্বে হুথিদের সমর্থন করা বন্ধ করুন। ইরান থেকে আমেরিকার ওপরে যদি কোনও হুমকি আসে, তার দায় সম্পূর্ণ আপনাদের। এর ফল খুব একটা ভালো হবে না।” সৌদি আরবের দক্ষিণে ছোট্ট একটি দেশ ইয়েমেন। দেশটির একদিকে রয়েছে লোহিত সাগর এবং অন্যদিকে রয়েছে এডেন উপসাগর। আর এক দিকে রয়েছে আরব সাগর। এই জলপথে বহু মালবোঝাই জাহাজ নিত্য যাতায়াত করে (Donald Trump)। ইয়েমেনের হুথিরা সেই জাহাজ আক্রমণ করে বাণিজ্যে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই জঙ্গিদেরই শায়েস্তা করতে বোমাবর্ষণের নির্দেশ ট্রাম্পের।

    হুথিদের হামলা

    ২০২৩ সালের নভেম্বর মাস থেকে এ পর্যন্ত লোহিত সাগরে বাণিজ্যতরী লক্ষ্য করে অন্তত ১০০টি হামলা চালিয়েছে হুথিরা। তাদের ক্ষেপণাস্ত্র আটকাতে আমেরিকার সেনাবাহিনীকেও ওই অঞ্চলে লাগাতার সক্রিয় থাকতে হয়েছে। সারা বিশ্বের বাণিজ্যে এর প্রভাব পড়েছে। হুথিদের বক্তব্য, গাজায় ইজরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে হামাস ও প্যালেস্তাইনিদের সমর্থনে তাদের এই পাল্টা হামলা।

    মার্কিন প্রেসিডেন্টকে হুমকি দিয়েছে হুথিরাও। এই হামলাকে (Donald Trump) তারা যুদ্ধাপরাধ বলে উল্লেখ করেছে। তাদের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমাদের ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী এই ধরনের হামলার জবাব দিতে প্রস্তুত।” মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “ইরান যদি আমেরিকাকে হুমকি দেয়, তাহলে আমেরিকা কোনও নমনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে না।” জানা গিয়েছে, মার্কিন বিমানবাহী জাহাজ থেকে যুদ্ধবিমান উড়ে গিয়েছিল হুথি ঘাঁটিতে হামলা চালাতে। হুথিদের ওপর হামলার বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে এক মার্কিন কর্তা বলেন, “এই অভিযান সম্ভবত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলতে পারে (Donald Trump)।”

  • PM Modi: এপ্রিলের প্রথমেই শ্রীলঙ্কা সফরে মোদি, স্বাক্ষর হবে একাধিক মউ, উদ্বোধন করবেন সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের

    PM Modi: এপ্রিলের প্রথমেই শ্রীলঙ্কা সফরে মোদি, স্বাক্ষর হবে একাধিক মউ, উদ্বোধন করবেন সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী এপ্রিল মাসের গোড়ায় শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka) সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। গতকাল শনিবার এমনটাই জানানো হয়েছে কলম্বোর তরফে। যদিও নয়াদিল্লি এবিষয়ে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। গতকাল শনিবার শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী বিজিতা হেরাথ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান, এপ্রিল মাসের শুরুতেই দ্বীপরাষ্ট্র সফর করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জানা গিয়েছে, এই সফরে শ্রীলঙ্কার পূর্ব ত্রিঙ্কোমালি জেলার সামপুরে একটি সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধনও করবেন মোদি। এই সফরে শ্রীলঙ্কা সরকারের সঙ্গে তাঁর একাধিক বিষয়ে সমঝোতাপত্র (মউ) স্বাক্ষর করারও কথা রয়েছে।

    কী বললেন শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী?

    নয়াদিল্লির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথাও উঠে আসে এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে। শনিবার পেশ করা হয় শ্রীলঙ্কার বাজেট। সেই বাজেট অধিবেশনেই এমনটাই জানালেন শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী ভিজিথা হেরাথ। সংসদে দাঁড়িয়ে তিনি বললেন,‘‘আমরা ভারতের সঙ্গে বরাবরই মিত্রতা বজায় রাখার চেষ্টা করেছি। সরকার গঠনের পরেই আমাদের প্রথম কূটনৈতিক সফর হয়েছিল ভারতের উদ্দেশেই। এবার সেদেশের প্রধানমন্ত্রী এপ্রিল নাগাদ শ্রীলঙ্কায় আসছেন।’’ প্রসঙ্গত, ক্ষমতায় আসার পর গত বছরই প্রথম বিদেশ সফরে ভারতে এসেছিলেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী অনুরাকুমার দিশানায়েকে। সেই সফরে একাধিক বিষয়ে আলোচনা সম্পন্ন হয় দিল্লি এবং কলম্বোর মধ্যে। শ্রীলঙ্কার প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) এই সফরে সেই সমঝোতা আরও পাকাপোক্ত হতে চলেছে।

    ক্ষমতায় আসার পরে মোদির চতুর্থ শ্রীলঙ্কা সফর

    ২০২৩ সালে শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন সংস্থার সঙ্গে যৌথ ভাবে ১৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সম্মত হয়েছিল এনটিপিসি। জানা গিয়েছে, এপ্রিল মাসে শ্রীলঙ্কা সফরে সেই সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রেরই উদ্বোধন করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসেন ২০১৪ সালে। ঠিক তার পরের বছরেই অর্থাৎ ২০১৫ সালে তিনি প্রথম শ্রীলঙ্কা সফর করেন। এরপর ২০১৭ ও ২০১৯ সালেও তিনি শ্রীলঙ্কা গিয়েছিলেন এটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চতুর্থ শ্রীলঙ্কা সফর হতে চলেছে।

  • Daily Horoscope 16 March 2025: কর্মক্ষেত্রে সম্মান পাবেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 16 March 2025: কর্মক্ষেত্রে সম্মান পাবেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) স্ত্রীর কথায় বিশেষ ভাবে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।

    ২) খেলাধুলায় নাম করার ভালো সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    বৃষ

    ১) ভ্রমণের সুযোগ বন্ধ হতে পারে।

    ২) কোনও কাজের দ্বারা সকলের প্রীতিলাভ করবেন।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    মিথুন

    ১) কর্মক্ষেত্রে সম্মান পাবেন।

    ২) একাধিক পথে আয় বাড়তে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    কর্কট

    ১) বন্ধুদের জন্য অশান্তি হতে পারে।

    ২) আগুন থেকে বিপদের আশঙ্কা।

    ৩) নিজেকে সময় দিন।

    সিংহ

    ১) অশান্তি থেকে সাবধান থাকা দরকার।

    ২) ব্যবসায় বাড়তি লাভ হতে পারে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    কন্যা

    ১) ব্যবসায় দায়িত্ব বাড়তে পারে।

    ২) নেশার প্রতি আসক্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে আজ।

    তুলা

    ১) লোকে দুর্বলতার সুযোগ নিতে পারে।

    ২) ব্যবসায় সমস্যা বাড়তে পারে।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করবেন।

    বৃশ্চিক

    ১) দাম্পত্য জীবনে অশান্তির সময়।

    ২) ব্যবসায় চাপ থাকলেও আয় বাড়বে।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    ধনু

    ১) অর্শের যন্ত্রণা বৃদ্ধি হতে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে সুনাম বাড়তে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল যাবে।

    মকর

    ১) চাকরির স্থানে উন্নতির সুযোগ পেতে পারেন।

    ২) ব্যবসায় মহাজনের সঙ্গে তর্ক বাধতে পারে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কুম্ভ

    ১) শারীরিক কারণে ব্যবসার দিকে সময় দিতে পারবেন না।

    ২) দাম্পত্য সম্পর্কের উন্নতির সময়।

    ৩) বন্ধুদের পাশে পাবেন সর্বদা।

    মীন

    ১) চিকিৎসার খরচ নিয়ে চিন্তা বৃদ্ধি পাবে।

    ২) বন্ধুদের সঙ্গে বিবাদের যোগ রয়েছে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল ভাবেই কাটবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Pakistan: এবার পাক সেনার কনভয়ে হামলা, নেপথ্যে কী সেই বালুচ বিদ্রোহীরা?

    Pakistan: এবার পাক সেনার কনভয়ে হামলা, নেপথ্যে কী সেই বালুচ বিদ্রোহীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র চারদিন আগেই হাইজ্যাক করা হয়েছিল আস্ত একটা এক্সপ্রেস ট্রেন। পাকিস্তানের (Pakistan) বালুচিস্তানের ওই ঘটনার সেই রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই ফের খবরের শিরোনামে সেই বালুচিস্তানই (IED Blast)। এবার পাক সেনার কনভয়ে হল হামলা।

    আইইডি বিস্ফোরণ (Pakistan)

    শনিবার তুরবত শহরে সেনার কনভয়ে হল আইইডি বিস্ফোরণ। স্থানীয় সূত্রে খবর, কনভয়ে থাকা বেশ কয়েকজন সেনা জখম হয়েছেন। বিস্ফোরণের অভিঘাতে জখম সেনাদের উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। যদিও এদিন সন্ধে পর্যন্ত হামলার দায় স্বীকার করেনি কেউই। ১১ মার্চ জাফর এক্সপ্রেস অপহরণের ঘটনায় হাত ছিল বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মির। এদিনের ঘটনায়ও তাদের হাত রয়েছে বলেই অনুমান পাকিস্তান পুলিশের।

    বালুচ বিদ্রোহীদের হুঁশিয়ারি

    গত মঙ্গলবারই বালুচিস্তানের বোলানে মাশকাফ সুড়ঙ্গে জাফর এক্সপ্রেস হাইজ্যাক করে বালুচ বিদ্রোহীরা। পণবন্দি করা হয় শ’খানেক যাত্রীকে (IED Blast)। যাত্রীদের উদ্ধার করতে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলে প্রায় ৩০ ঘণ্টা ধরে। পাক সেনার দাবি, এই অভিযানে মৃত্যু হয়েছে সব বিদ্রোহীর। বিদ্রোহীদের পাল্টা দাবি, এই অভিযান চলার সময় সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে ৩০ জন সেনার। এই ঘটনার পরেই বালুচ বিদ্রোহীরা হুঁশিয়ারি দেয়, পাক সেনা যদি তাঁদের ওপর হামলার চেষ্টা করে, তাহলে তাঁদের পরবর্তী নিশানা হবে ইসলামাবাদ। সেই হুঁশিয়ারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হল বালুচিস্তানে সেনার কনভয়ে হামলা।

    শুক্রবার খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের (Pakistan) দক্ষিণে ওয়াজজিরিস্তানের একটি মসজিদে আত্মঘাতী হামলা হয়। ওই দিন দুপুরে আজম ওয়ারশাক বাইপাস রোডের মৌলানা আবদুল আজিজ মসজিদে প্রার্থনার সময় আইইডি বিস্ফোরণ ঘটে। সেই ঘটনায়ও সন্দেহের তির ছিল বালুচ বিদ্রোহীদের দিকেই।

    প্রসঙ্গত, অতীতেও এই রেলপথে বালুচ বিদ্রোহীরা হামলা চালিয়েছে রকেট কিংবা রিমোট পরিচালিত বোমা দিয়ে। এলাকায় যত হামলার ঘটনা ঘটেছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তার দায় স্বীকার করে নিয়েছে বালুচ বিদ্রোহীরা। গত বছরের অক্টোবর মাসে পাকিস্তান রেলওয়েজ কোয়েটা থেকে পেশওয়াল পর্যন্ত রেল পরিষেবা সংস্কারের কথা ঘোষণা (IED Blast) করেছিল। তার আগে দেড় মাসেরও বেশি সময় এই পথে রেল চলাচল বন্ধ ছিল (Pakistan)।

  • S Jaishankar: “আমেরিকার আগেই মাল্টি-পোলার বিশ্বের কথা বলেছিল ভারত”, বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “আমেরিকার আগেই মাল্টি-পোলার বিশ্বের কথা বলেছিল ভারত”, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পুরনো উদারনৈতিক নিয়ম-ভিত্তিক শৃঙ্খলা ডোনাল্ড ট্রাম্পের মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফিরে আসার পর চরম চাপে পড়েছে।” কথাগুলি (Global Order) বললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি মনে করেন, “এটি অনেক দিন ধরেই হয়ে আসছিল।” জয়শঙ্কর বিস্মিত যে তামাম বিশ্ব আশ্চর্য হচ্ছে এই ভেবে যে ট্রাম্প যা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা-ই করছেন। তিনি বলেন, “হয়তো আমি তাঁকে আরও সরলভাবে নিয়েছিলাম।”

    মাল্টি-পোলার বিশ্ব (S Jaishankar)

    বিদেশমন্ত্রী লক্ষ্য করেছেন, আমেরিকানরা এখন যে মাল্টি-পোলার বিশ্বের কথা বলছেন, তা একসময় ছিল নয়াদিল্লির আলোচনার বিষয়। জয়শঙ্করের ইঙ্গিত, তিনি পুরোনো বিশ্বব্যবস্থার কিছুই মিস করবেন না। কারণ তিনি একজন বাস্তববাদী। তিনি যা আছে, তাই নিয়েই কাজ করেন। তিনি বলেন, ‘‘কেউ বাস্তববাদী হওয়ার অর্থ এই নয় যে, তাঁর মধ্যে বিশ্বাস, প্রত্যয় কিংবা অনুভূতি নেই।’’ বিদেশমন্ত্রীর দাবি, ট্রাম্প এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দু’জনেই সমমনস্ক জাতীয়তাবাদী। ফলে বিরোধের অবকাশ নেই। গত ৫ মার্চ মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে বক্তৃতা দেওয়ার সময় ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, পারস্পরিক শুল্ক চাপানোর নীতি থেকে বাদ পড়বে না ভারত। তিনি বলেন, ‘‘ভারত আমাদের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এই ব্যবস্থা আমেরিকার প্রতি ন্যায্য নয়, কখনওই ছিল না।’’

    তামাম বিশ্বের একটি শৃঙ্খলা প্রয়োজন

    জয়শঙ্কর বলেন, “তামাম বিশ্বের একটি শৃঙ্খলা প্রয়োজন। অন্যথায় এটি খুবই অরাজক হয়ে উঠবে।” তিনি বলেন, “অসংযত প্রতিযোগিতা চাপ বাড়িয়ে তুলবে। ভারতের এমন একটি শৃঙ্খলার দরকার যা বর্তমান বিশ্বের বাস্তবতাকে প্রতিফলিত করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরের সেই শৃঙ্খলাকে নয়, যা পশ্চিমিদের পক্ষে ছিল।” তিনি বলেন, “পুরানো বিশ্বব্যবস্থার গুণাগুণ অতিরঞ্জিত করা হয়েছে (S Jaishankar)।” তিনি জানান, ভারত দীর্ঘদিন ধরে পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং পরে রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছে। এখন যুক্তরাষ্ট্রের কাছাকাছি চলে এসেছে। ট্রাম্প ও মোদির নেতৃত্বে—যারা উভয়েই জাতীয়তাবাদী নেতা—এই সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সম্পর্কের এই উন্নতির মধ্যেও, ট্রাম্প বারবার ভারতকে শুল্ক অপব্যবহারকারী বলে আক্রমণ করেছেন। ফেব্রুয়ারিতে মোদির হোয়াইট হাউস সফরের সময়ও শানিয়েছিলেন এই আক্রমণ।

    শুল্ক ধাঁধার সমাধান

    নয়াদিল্লি কীভাবে ট্রাম্পের শুল্ক ধাঁধার সমাধান করবে? জয়শঙ্কর বলেন, “আমি মনে করি, ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লির মধ্যে কিছু ‘সমস্যা’ থাকলেও, শীঘ্রই দুই দেশের মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তি হবে।” তিনি বলেন, “ট্রাম্প কঠোর জাতীয়তাবাদী। তবে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের বিষয়ে বাস্তববাদীও।” ভারতের অবস্থান রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের বিষয়ে পশ্চিমিদের হতাশ করেছে। নয়াদিল্লি মস্কো থেকে তেল কেনা চালিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত ভ্লাদিমির পুতিনের যুদ্ধের নিন্দা করা থেকে বিরত রয়েছে। জয়শঙ্কর বলেন, “ভারত সব সময় তার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখে। তাই সে মস্কোর সঙ্গে তার পুরনো সম্পর্ক ত্যাগ করতে পারে না।” তিনি বলেন, “মানুষ প্রায়ই নীতিগত বিষয়গুলিকে বড় করে তোলেন (S Jaishankar)।”

    দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি

    তবে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে রাশিয়া চিনের আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এটি কি নয়াদিল্লির জন্য সমস্যা হতে পারে? এর পরেই জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েছি, যা ইঙ্গিত দেয় যে চিন ও পশ্চিমিদের সঙ্গে মস্কোর সম্পর্ক পরিবর্তিত হলেও পুরানো অংশীদারদের সম্পর্ক ‘স্থিতিশীল’ রয়েছে।” জয়শঙ্কর স্বীকার করেন, বেইজিংয়ের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। কারণ দুই দেশের সেনাদের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষ হয়েছে। তিনি বলেন, “যদি ট্রাম্প চিনের সঙ্গে কোনও চুক্তি করেন, তাহলে সেই পরিস্থিতির জন্য ভারত তার নীতিগুলি প্রস্তুত রাখবে (Global Order)।”

    ট্রাম্পের নয়া শুল্কনীতি

    প্রসঙ্গত, ট্রাম্পের নয়া শুল্কনীতি নিয়ে ভারতের রফতানিকারক সংস্থাগুলি চিন্তায় পড়লেও এখনও প্রধানমন্ত্রী মোদির সরকার এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। সাউথ ব্লক অফিসিয়ালি কিছু বলেনি। চলতি সপ্তাহে আমেরিকা সফরে গিয়ে ট্রাম্প সরকারের বাণিজ্যসচিব হাওয়ার্ড লুটকিনের সঙ্গে বৈঠক করেন বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। আমেরিকার বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিরের ভবিষ্যৎমুখী দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনাও করেন তিনি। শুক্রবার গোয়েল জানান, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারত ‘ইন্ডিয়া ফার্স্ট’ এর ‘বিকশিত ভারত’-এর পাশাপাশি সার্বিক রণকৌশলগত বোঝাপড়ার নীতি মেনে চলা হবে। ইতিমধ্যেই আমেরিকার বেশ কিছু পণ্যে শুল্ক ছেঁটেছে মোদি সরকার (Global Order)। জয়শঙ্করের মন্তব্যের পরে অনেকে মনে করছেন, আগামী দিনে সেই তালিকা দীর্ঘতর হতে চলেছে (S Jaishankar)।

  • Pakistan Army: ভুল তথ্য দিচ্ছে পাক-সেনা, ২১৪ পণবন্দি হত, দাবি বালোচ বিদ্রোহীদের

    Pakistan Army: ভুল তথ্য দিচ্ছে পাক-সেনা, ২১৪ পণবন্দি হত, দাবি বালোচ বিদ্রোহীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত মঙ্গলবারই ৪০০ জনেরও বেশি যাত্রীবাহি একটি ট্রেন হাইজ্যাক করে বালোচ বিদ্রোহীরা (Balochistan Liberation Army)। এরপরেই পাকিস্তান সরকারের তরফ থেকে দাবি করা হয় যে ৩৩ জন বালোচ বিদ্রোহীকে তারা হত্যা করতে পেরেছে। যদিও পাকিস্তানের (Pakistan Army) এই দাবিকে সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছে বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি। তারা জানিয়েছে, এমন বিবৃতি সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা। গত বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ১৩ মার্চ এই মর্মে বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, পাকিস্তানি সেনার সঙ্গে তাদের তীব্র লড়াই অব্যাহত রয়েছে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখেও পড়তে হয়েছে বলে দাবি বিদ্রোহীদের। তাদের এও দাবি যে ২১৪ জন পণবন্দি পাক সেনাকে হত্যা করেছে তারা। এই পণবন্দিদের হত্যার দায় তারা চাপিয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর ওপরে।

    আলোচনায় না বসে পণবন্দিদের মৃত্যুকে নিশ্চিত করেছে পাক সেনা, তোপ বালোচ বিদ্রোহীদের

    এক্ষেত্রে বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি বলছে যে পাকিস্তান (Pakistan Army) সেনাবাহিনী তাদের সঙ্গে কখনও আলোচনায় বসতে চায়নি, যদি তারা আলোচনায় বসত, তাহলে এমনটা হত না। অর্থাৎ পণবন্দিদের মৃত্যুর দায় একেবারে পাকিস্তানের সেনার ওপরেই চাপাচ্ছে বালোচ বিদ্রোহীরা। প্রসঙ্গত, বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মির মুখপাত্র হলেন জিয়ান বালোচ। তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‘পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে আমরা যে ৪৮ ঘণ্টা সময়সীমা দিয়েছিলাম। তারা সেটাকে উপেক্ষা করেছে। এই কারণেই এর ফল ভুগতে হয়েছে ওই রেল যাত্রীদের অর্থাৎ পণবন্দিদের। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর এমন উপেক্ষার কারণেই মৃত্যু হয়েছে ওই পণবন্দিদের।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘৪৮ ঘণ্টার সময় সীমার মধ্যে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী তাদের দেশের নাগরিকদেরকে বাঁচাতে পারত। কিন্তু তারা সেটা করেনি।’’ একইসঙ্গে পাকিস্তান (Pakistan Army) সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে বিএলএ মুখপাত্র জিয়ান বালোচ আরও বলেন, ‘‘পাকিস্তান প্রথম থেকেই একগুঁয়ে মনোভাব ঔদ্ধত্য ও স্পর্ধা দেখিয়ে গিয়েছে। যেমনটা তারা চিরকাল করে এসেছে। তারা এড়িয়ে গিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাগুলি। তাদের এই ধরনের কার্যকলাপের কারণেই তারা বাস্তবতাকে বুঝতে পারেনি। আর এটা না বোঝার কারণে ২১৪ জন পনবন্দিকে তারা মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে।’’

    শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে শহিদ হওয়া বালোচ বিদ্রোহীদের উদ্দেশে

    একই সঙ্গে বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি পাকিস্তানি (Pakistan Army) সেনার সঙ্গে যুদ্ধে তাদের যে সমস্ত সদস্যরা নিহত হয়েছেন, তাঁদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। বিএলএ-এর মুখপাত্র এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানিয়েছেন যে তাঁদের বারো জন মুক্তিযোদ্ধার প্রতি তাঁরা শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর (Pakistan Army) সঙ্গে যুদ্ধে শহিদ হওয়া ১২ জন মুক্তিযোদ্ধার প্রতি আমরা শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। যাঁরা শত্রুর বিরুদ্ধে এক অসাধারণ যুদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছে। এই অবিস্মরণীয় যুদ্ধের কারণেই তাঁদের প্রতি আমরা শ্রদ্ধা জানাই। বুধবার রাতে তিনজন মুক্তিযোদ্ধা শহিদ হন। বৃহস্পতিবার রাতে আরও চারজন যোদ্ধা প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়াও মাজিদ ব্রিগেডের পাঁচ জন আত্মঘাতী বাহিনীর সদস্য প্রাণ উৎসর্গ করেছেন। তাঁরা শত্রুপক্ষকে উচিত জবাবও দিতে পেরেছেন। যার কারণে ইতিহাস তাঁদের সর্বদা মনে রাখবে।’’ বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মির তরফ থেকে আরও দাবি করা হয়েছে যে তারা আন্তর্জাতিক আইন সীমার মধ্যেই কাজ করছেন।

    ভুল তথ্য দিচ্ছে পাক সেনা!

    গত মঙ্গলবার, গুদালার এবং পিরু কুনরির কাছে মাশকাফ টানেলের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেস। এই ট্রেন অপহরণ করে বিএলএ। জানা গিয়েছে, ট্রেনটি বালোচিস্তানের রাজধানী কোয়েটা থেকে আসছিল। গত বুধবার অর্থাৎ ১২ মার্চ পাকিস্তানি সেনাবাহিনী হাইজ্যাক করা জাফর এক্সপ্রেস থেকে সমস্ত পণবন্দিদের উদ্ধার অভিযান শেষ হয়েছে বলে ঘোষণা করে। বিবৃতিতে বলা হয় অভিযানের সময় ৩৩ জন বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন এবং ২১ জন যাত্রী এবং ৪ জন পাকিস্তানি সেনা সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। ট্রেনটিতে মোট ৪৪০ জন ছিলেন বলে জানায় পাক সেনা। কিন্তু পাক সেনার দাবি কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উড়িয়ে দেয় বিএলএ। তাদের বক্তব্য ছিল, জাফর এক্সপ্রেস অভিযানে পাক সেনা চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছে। নিজেদের সম্মান রক্ষার্থে তাই তারা বাস্তবকে অস্বীকার করছে এবং ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে পাক সেনা। জানা গিয়েছে, বালোচ বিদ্রোহীরা সাধারণ যাত্রীদের মানবঢাল হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন। বিস্ফোরক ভর্তি জ্যাকেট পরে যাত্রীদের মধ্যে মিশে গিয়েছিলেন বেশ কিছু বালোচ বিদ্রোহী। তার ফলে পাক বাহিনীকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় ওই অভিযানে। উদ্ধারকাজ নিয়ে তৈরি হয় জটিলতা। তবে পাক নিরাপত্তা বাহিনী (Pakistan Army) পরে জানায়, স্নাইপার বাহিনীকে কাজে লাগিয়ে বিদ্রোহীদের কৌশলকে ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে। পরে অবশ্য জাফর এক্সপ্রেস অপহরণের নেপথ্যে আফগানিস্তানের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু সেখানকার তালিবান সরকার সাফ জানিয়ে দেয়, এই ঘটনায় তাদের আদৌ কোনও যোগ নেই।

  • Birbhum News: দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের জের, সাঁইথিয়ার পাঁচ গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৭ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ ইন্টারনেট

    Birbhum News: দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের জের, সাঁইথিয়ার পাঁচ গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৭ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ ইন্টারনেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত বীরভূমের সাঁইথিয়া (Birbhum News)। এরই জেরে এলাকায় বন্ধ করে দেওয়া হল ইন্টারনেট পরিষেবা। রাজ্য সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৭ মার্চ পর্যন্ত এই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে। এই নির্দেশ রাজ্য সরকারের স্বরাষ্ট্র এবং পার্বত্য বিষয়ক বিভাগের প্রধান সচিবের তরফ থেকে জারি করা হয়েছে। রাজ্যের প্রশাসনিক আধিকারিকরা ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, মূলত গুজব ছড়ানো এবং অবৈধ কার্যকলাপকে রুখতেই গতকাল অর্থাৎ ১৪ মার্চ থেকে এই ব্যবস্থা কার্যকর হয়েছে। বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী গতকাল দোলের দিন এই অশান্তি শুরু হয়। এখনও পর্যন্ত প্রশাসন এই ঘটনার জেরে ২০ জনকে আটক করেছে বলেছে জানা গিয়েছে।

    কী বলা হল সরকারি নির্দেশিকায় (Birbhum News)

    সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, টেলিযোগাযোগ আইন ২০২৩-এর অধীনে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। মূলত দোলের দিন পাথর ছোড়াকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে বীরভূমের সাঁইথিয়ার (Sainthia) একাধিক এলাকা। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে এমন সংঘর্ষের কারণে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয় ওই অঞ্চলগুলিতে। বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। এরপরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় প্রচুর পুলিশ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই এলাকাগুলিতে প্রচুর পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

    কোন কোন গ্রাম পঞ্চায়েত থাকছে এর আওতায়?

    পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে, যেকোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এবং গুজব যাতে না ছড়ায় সেই উদ্দেশে এমন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। নির্দেশিকায় (Birbhum News) স্পষ্ট বলা হয়েছে, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকলেও ভয়েস কল এবং এসএমএস পরিষেবাগুলি স্বাভাবিক থাকবে। অর্থাৎ সাধারণ ফোন কল বা এসএমএস করতে পারবেন ওই অঞ্চলের মানুষজন। জানা গিয়েছে, সাঁইথিয়ার (Birbhum News) হাটোরা গ্রাম পঞ্চায়েত, মঠ পালসা গ্রাম পঞ্চায়েত, হরিসারা গ্রাম পঞ্চায়েত, দারিয়াপুর গ্রাম পঞ্চায়েত, এবং ফুলুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে।

LinkedIn
Share