Tag: Madhyom

Madhyom

  • Ajit Pawar: ভাঙন এনসিপিতে! ৯ জন বিধায়ক নিয়ে শিবসেনা-বিজেপি জোটে অজিত পাওয়ার

    Ajit Pawar: ভাঙন এনসিপিতে! ৯ জন বিধায়ক নিয়ে শিবসেনা-বিজেপি জোটে অজিত পাওয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জল্পনা চলছিলই, তা সত্যিও হল। কাকা-ভাইপোর সংঘাতে ভাঙন এনসিপিতে। শরদ পাওয়ারের দল এনসিপির ৯ জন বিধায়ককে নিয়ে মহারাষ্ট্রের শিবসেনা-বিজেপি জোট সরকারে যোগ দিলেন তাঁর ভাইপো অজিত পাওয়ার (Ajit Pawar)। জানা গিয়েছে, অজিতের সঙ্গে রয়েছেন দলের ২৯ জন বিধায়ক। প্রসঙ্গত, এনসিপির বিধায়ক সংখ্যা হল ৫৩। এই ঘটনা মহারাষ্ট্রের রাজনীতির অনেক নতুন সমীকরণ তৈরি করল বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। গত বছরেই শিবসেনা ভেঙে এনডিএ-তে সামিল হয়েছিলেন একনাথ শিন্ডে। এবার অজিত পাওয়ার সেই একই পথে হাঁটলেন। বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট, তার আগে এনডিএ শিবির বাড়তি মাইলেজ পেল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা বেশি থাকলেও শিবসেনাকেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ তারা ছেড়ে দেয়। দলত্যাগী নেতাদের অভিযোগ, এনসিপিতে একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছিলেন শরদ পাওয়ার। এমনকী, পাটনায় বিরোধীদের বৈঠকে যোগদান করার সিদ্ধান্ত একাই নিয়েছিলেন শরদ পাওয়ার।

    রবিবার রাজভবনে গিয়ে শপথ নেন অজিত

    রবিবার মহারাষ্ট্রের রাজভবনে গিয়ে শপথ নেন অজিত পাওয়ার (Ajit Pawar)। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, মহারাষ্ট্রের উপ মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন অজিত। এদিন তাঁর সঙ্গে হাজির ছিলেন অন্য এনসিপি নেতারাও। মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে দেখা যায় প্রবীণ এনসিপি নেতা ছগন ভুজবলকেও। জানা গিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব পেতে চলেছেন অন্য এনসিপি বিধায়করাও।

    সকালেই নিজের বাসভবনে বৈঠক করেন অজিত (Ajit Pawar)

    মহারাষ্ট্র রাজনীতির অন্দরের খবর, রবিবার নিজের বাসভবনে দলীয় বিধায়কদের একাংশকে নিয়ে বৈঠকে বসেন অজিত পওয়ার। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত হয়। এনসিপি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই বিধায়কদের প্রত্যেকেই দলের অন্দরে ‘অজিত অনুগামী’ বলে পরিচিত। অজিতের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, রবিবারই অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে মহারাষ্ট্র সরকারে যোগ দিতে পারেন তিনি। সে ক্ষেত্রে দেবেন্দ্র ফড়নবীসের সঙ্গে মহারাষ্ট্রের দ্বিতীয় উপ মুখ্যমন্ত্রী করা হতে পারে তাঁকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ‘বিরোধীদের ভোট দিলে বন্ধ হবে লক্ষ্মীর ভান্ডার’, হুঁশিয়ারি তৃণমূল বিধায়কের, ভিডিও ভাইরাল

    TMC: ‘বিরোধীদের ভোট দিলে বন্ধ হবে লক্ষ্মীর ভান্ডার’, হুঁশিয়ারি তৃণমূল বিধায়কের, ভিডিও ভাইরাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল (TMC) প্রার্থীকে ভোট না দিলে লক্ষ্ণীর ভান্ডার বন্ধ হয়ে যাবে। পূর্ব বর্ধমানের ভাতাড়ে এরকম দেওয়াল লিখন ঘিরে জেলা জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। এবার সেই একই কথা শোনা গেল উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘির তৃণমূল বিধায়কের গৌতম পালের গলায়। তিনি বলেন, একটা ভোটও নির্দলকে আর জোটকে দেবেন না। কারণ সিপিএম-কংগ্রেসকে ভোট দিলে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হয়ে যাবে। সাগর দিঘিতে বায়রন জিতেছিল। লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বাধ্য হয়ে তিনি তৃণমূলে যোগ দান করেন। তাঁর এই বিস্ফোরক মন্তব্যের ভিডিও রীতিমত ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। যাকে ঘিরে শোরগোল পড়েছে রাজনৈতিক মহলে।

    ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে তৃণমূল (TMC) বিধায়ক ঠিক কী বলেছেন?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক আগে উত্তর দিনাজপুর জেলার করণদিঘি বিধানসভার তৃণমূল (TMC) বিধায়ক গৌতম পালের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বিরোধীদের ভোট দিলে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। পাশাপাশি উদাহরণ হিসেবে, সাগরদিঘির বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। তিনি বলেন, সাগরদিঘিতে বিরোধীদের ভোট দেওয়ায় লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে বায়রন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। পাশাপাশি, নির্দল হিসেবে যারা নির্বাচনে লড়াই করছে। ভোটের পরে তাদের ‘হিসেব’ নেওয়ার কথাও বলতে শোনা গিয়েছে তৃণমূল বিধায়কের মুখে। ভিডিও টিতে তৃণমূল বিধায়ক গৌতম পাল বলেছেন, নির্দল যারা করে তাদের ইতিহাস জানা আছে। আমরা সব হিসেব লিখে রেখেছি। ভোটের পরে হিসেব হবে। যাকে ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পরেছে গোটা জেলা জুড়ে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই তৃণমূল (TMC) বিধায়কের এমন হুঁশিয়ারির পর নির্বাচন কতটা শান্তিপূর্ণ হবে তা নিয়ে যথেষ্টই চিন্তিত বিরোধী দলগুলি। বিজেপির জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী বলেন, লক্ষ্মীর ভান্ডার কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়। আসলে রাজবংশী সহজ সরল মানুষদের এসব মিথ্যা বলে ভোটের আগে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। নির্বাচনে মানুষ নিজের ভোট দিতে পারলে তৃণমূলে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: হিংসার ঘটনা এত বেশি কেন? বিএসএফের সঙ্গে বৈঠকে প্রশ্ন রাজ্যপালের

    Cooch Behar: হিংসার ঘটনা এত বেশি কেন? বিএসএফের সঙ্গে বৈঠকে প্রশ্ন রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী এলাকায় হিংসার ঘটনা এত বেশি কেন? এই প্রশ্ন তুলে কোচবিহারের (Cooch Behar) সীমান্তবর্তী এলাকায় সীমা সুরক্ষা বল অর্থাৎ বিএসএফের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সকাল ১১ টায় সিতাইয়ে যাওয়ার সময় ৭৫ নম্বর বিএসএফ বিওপিতে বিশেষ বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে সীমান্তের চোরাচালান, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী সমস্যা এবং আন্তর্জাতিক দুষ্কৃতীদের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে।

    কেন গেলেন রাজ্যপাল (Cooch Behar)?

    পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই দক্ষিণের জেলাগুলির মতো উত্তরের জেলাগুলিতেও ভোটের মনোনয়ন, মনোনয়ন প্রত্যাহার এবং নির্বাচনী প্রচারকে ঘিরে ব্যাপক সংঘর্ষের কথা উঠে আসে। ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গের চোপড়া এবং দিনহাটাতে শাসকচ-বিরোধীদের সংঘর্ষে প্রাণ গেছে বেশ কিছু বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীদের। এখনও পর্যন্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Cooch Behar) সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, আন্তর্জাতিক চোরাচালান চক্রের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের গ্যাংওয়ারেই এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশের পরিচয়পত্র অনুযায়ী মৃতের নাম ছিল মহঃ আব্দুর রহমান। ফলে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী, চোরাকারবারীদের বিষয় এবং পঞ্চায়েত ভোটের বিষয় নিয়ে হিংসামুক্ত, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাতে তৎপর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এই রাজ্যে নির্বাচনের আগে গণতন্ত্রের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শনও করছেন রাজ্যের রাজ্যপাল।

    ভোট নিয়ে রাজ্যপালের অবস্থান

    শাসক দলের নেতারা বার বার অভিযোগ তুলেছেন, রাজ্যপাল কেবল মাত্র বিরোধীদের বাড়িতে যাচ্ছেন! কিন্তু রাজ্যপাল গীতালদহের জারি ধরলা গ্রামে আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন। এমনকী হাসপাতালেও গিয়েছেন বলে জানা গেছে। গতকাল কোচবিহার (Cooch Behar) সার্কিট হাউসে সাংবাদিক সম্মেলন করে স্পষ্ট করে বলেছিলেন, হিংসার সঙ্গে যুক্ত দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চলে আইনের শাসন কার্যকর করার কথা বলেন। হাইকোর্টের আদেশকে অক্ষরে অক্ষরে পালনের কথা বলেন রাজ্যপাল। রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করানোর কথাও বলেছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dry Eye: ভারতে কেন বাড়ছে শুষ্ক চোখের সমস্যা? কীভাবে এর মোকাবিলা করবেন? 

    Dry Eye: ভারতে কেন বাড়ছে শুষ্ক চোখের সমস্যা? কীভাবে এর মোকাবিলা করবেন? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আধুনিক জীবনে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল নিত্য সঙ্গী। কাজের প্রয়োজন থেকে বিনোদন, সবটাই এখন স্ক্রিনে বন্দি। স্কুল পড়ুয়াদের পড়াশোনা থেকে অফিসের মিটিং, সব কিছুতেই ভরসা ল্যাপটপ কিংবা মোবাইলের স্ক্রিন। আর তার জেরেই বাড়ছে বিপদ! ভারতীয়দের চোখের জল শুকিয়ে যাচ্ছে! চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ড্রাই আই (Dry Eye) সমস্যায় ভুগছে প্রায় গোটা প্রজন্ম!

    কী বলছে সমীক্ষা? 

    কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে চোখের সমস্যা বাড়ছে। বিশেষত, শুষ্ক চোখ বা ড্রাই আইয়ের (Dry Eye) সমস্যা বাড়ছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে ৪৫ শতাংশ শহুরে ভারতীয় ড্রাই আই সমস্যায় ভুগবেন। বিশেষত, কম বয়সীদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি। স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও এই চোখের শুষ্কতার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগের বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

    শুষ্ক চোখ কী?

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, চোখে জল কমে যাওয়া হল শুষ্ক চোখ (Dry Eye)। এর জেরে চোখে দেখতে সমস্যা হয়। তাছাড়া চোখ লাল হয়ে যায়, যন্ত্রণা হয়। চোখে কড় কড় ভাব বাড়ে। ফলে, যে কোনও জিনিস লক্ষ্য করতেও সমস্যা হয়।

    কেন হয় চোখের শুষ্কতা? 

    ভারতে চোখের শুষ্কতার সমস্যা বাড়ার অন্যতম কারণ, স্ক্রিন টাইম! এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, দিনের মধ্যে অধিকাংশ সময় এখন মানুষ ল্যাপটপ, কম্পিউটার বা মোবাইলের স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকেন। আর একটানা তাকিয়ে থাকার জেরে স্ক্রিনে যে আলো থাকে, তার সরাসরি প্রভাব চোখের উপর পড়ে। আর সেই আলোর জেরেই চোখের আর্দ্রতা কমে যায়। 
    তবে, চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নান শারীরিক জটিলতার কারণেও চোখের আর্দ্রতা কমতে থাকে। যেমন ডায়বেটিস থাকলে অনেক সময় চোখে এই ধরনের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাছাড়া, বিভিন্ন হরমোন ঘটিত সমস্যা থাকলেও চোখের শুষ্কতার (Dry Eye) সমস্যা হতে পারে।

    কীভাবে মোকাবিলা করবেন? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, একটু সতর্কতা বিপদ কমাতে পারে। চিকিৎসকদের পরামর্শ, একটানা আধঘণ্টার বেশি স্ক্রিন টাইম করা উচিত নয়। বিশেষত স্কুল পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ সতর্কতা জরুরি বলেই তাঁরা জানাচ্ছেন। তাঁদের পরামর্শ, একটানা ল্যাপটপ বা কম্পিউটার ব্যবহার করা উচিত নয়। আধ ঘণ্টা অন্তর চোখের বিশ্রাম জরুরি। 
    তবে, কাজের জন্য অনেকেই একটানা কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার করতে বাধ্য হন। তাঁদের জন্য চিকিৎসকদের পরামর্শ, এক নাগাড়ে ল্যাপটপের স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকবেন না। অন্তত বার বার চোখের পাতা ফেলা দরকার। চোখ বন্ধ-খোলা বার বার করলে ঝুঁকি (Dry Eye) কিছুটা কমবে। 
    পাশাপাশি, চিকিৎসকদের পরামর্শ, চোখের মণি গোল করে ঘোরানো দরকার। বিশেষত, যাঁরা ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে দীর্ঘক্ষণ কাজ করেন, তাঁরা দিনে একাধিকবার চোখের মণি গোল করে ঘুরিয়ে এই ব্যায়াম করতে পারেন। 
    বার বার চোখ জল দিয়ে ধোয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, এতে চোখের আরাম হয়। লাগাতার আলো পড়ার জেরে যে ক্লান্তি আসে, সেটাও কিছুটা কমে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: মালদায় আমবাগান জুড়ে বড় বড় ফাটল! ধস নয় তো? আতঙ্কিত এলাকাবাসী

    Malda: মালদায় আমবাগান জুড়ে বড় বড় ফাটল! ধস নয় তো? আতঙ্কিত এলাকাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদায় (Malda) বিস্তৃত আম বাগান জুড়ে ফাটল। প্রায় ৪ বিঘে আম বাগানে যেখানে সেখানে ফাটল। ধীরে ধীরে ফাটলগুলি গভীর হচ্ছে। ৩ থেকে ‌৪ ফুট গভীরতা, আবার কোথাও কোথাও ২ থেকে ‌৩ ফুট চওড়া হয়ে ফাটল দেখা দিয়েছে। আতঙ্কে আম বাগানের মালিক থেকে এলাকার মানুষ।

    কোথায় ঘটেছে ঘটনা (Malda)?

    আম বাগানের (Malda) জমিতে ফাটলের ঘটনায় পুরাতন মালদার সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাকোর্মা গ্রামে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। বাগানের পাশেই রয়েছে বিস্তৃত গ্রাম। মানুষের আতঙ্ক, যে কোনও সময় ফাটলের জেরে বিস্তৃত আমবাগান ধস নেমে বসে যেতে পারে। দিশাহীন হয়ে পড়েছেন স্থানীয় মানুষ। জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। বর্ষা শুরু হয়েছে, বর্ষার জলে ফাটল আরও বড় হয়ে কি দুর্ঘটনা ঘটতে পারে? আশঙ্কায় বাসিন্দারা।

    কী বলছেন এলাকাবাসী

    এলাকার (Malda) বাসিন্দা আসদুল শেখ জানান, কয়েকদিন আগেই ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। আর তার পর থেকেই লম্বা লম্বা ফাটলের চিহ্ন দেখা যাচ্ছে। কেবল মাত্র আমবাগানেই এই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। এলাকার মাটি স্বাভাবিক স্তর থেকে অনেক নিচে নেমে গেছে। কেবল মাত্র আম বাগানেই ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু বাগানের পাশেই যেহেতু বাড়ি, ফলে বাগান থেকে বাড়ি পর্যন্ত ফাটল যে কোনও সময়েই পৌঁছাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন তিনি। এলাকায় আগেও এই রকম অনেক ফাটলের চিহ্ন দেখা গেছে বলে জানান আসদুল শেখ। তিনি আরও বলেন, আমরা এই ফাটলের কথা প্রশাসনকে আগেও জানিয়েছি। এলাকায় কি কোনও বড় ধসের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে! যদি তাই হয়ে থাকে, তাহলে গ্রামবাসীরা কী করবেন? এই প্রশ্নও উঠছে। এছাড়াও সামানেই বর্ষা, তাই বৃষ্টির জল জমে এলাকায় আরও ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করেন এলাকাবাসী। বিশেষ করে এই ফাটলের কারণে পাকা বাড়ি ধসে যাওয়ার সম্ভাবনাকে মাথায় রেখে জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।  

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: ভোটের ময়দানে জমে উঠেছে মা ও মেয়ের লড়াই

    Panchayat Election: ভোটের ময়দানে জমে উঠেছে মা ও মেয়ের লড়াই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) মা জয়ী হবেন, না মেয়ে? পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি এই আলোচনায় সরগরম। এমনিতেই ভোটের ময়দানে কাকা-ভাইপো, দুই ভাই কিংবা দুই জায়ের লড়়াইয়ের একাধিক নজির রয়েছে। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের লড়াইয়ের ময়দানে মা ও মেয়ে। ভোট প্রচারে বেরিয়ে মুখোমুখি হতেই হল সৌজন্য বিনিময়ও।

    মা ও মেয়ে কোন দলের প্রার্থী হয়েছেন?

    পরিবার ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) একই বুথে একে অপরের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে তাঁরা ভোট প্রচারও চালাচ্ছেন জোরদার। খেজুরির হলুদবাড়ি অঞ্চলের দেখালি ১৫৭ নম্বর বুথে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন পূর্ণিমা রানি দোলাই। ওই একই বুথে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন পূর্ণিমা রানি দোলাইয়ের মেয়ে তথা বিজেপি প্রার্থী পম্পা মাইতি। সকাল থেকেই বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভোট প্রচার করছে যুযুধান দু পক্ষই। একদিকে মা শাসক দলের উন্নয়নকে সামনে রেখে ভোট প্রচার করছেন। অপরদিকে শাসক দলের দুর্নীতি ও এলাকার রাস্তাঘাটের সমস্যা নিয়ে বাড়ি বাড়ি ভোট প্রচার করছেন মেয়ে।

    কী বললেন তৃণমূল প্রার্থী মা?

    মা ও মেয়ে দুজনেই আশাবাদী, একে অপরকে টেক্কা দিয়ে পঞ্চায়েত ভোটে বাজিমাত করবেন। ভোটের ময়দানে (Panchayat Election) লড়াই যাই হোক না কেন, সম্পর্কে একটু ভাটা পড়বে, এমনটাই জানালেন দুই প্রার্থী। এক অপরকে ভোটে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ। বাম আমলে খেজুরি ছিল সিপিএমের শক্ত ঘাঁটি। পালা বদলের পর তৃণমূল রাজত্ব করতে শুরু করে। কিন্তু, ২০২১ বিধানসভা ভোটে সেই রাজত্ব ভেঙে দিয়ে জায়গা করে নেয় বিজেপি। তাই এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে খেজুরিতে কার রাজত্ব কায়েম হয়, সেটাই এখন দেখার। তৃণমূল প্রার্থী পূর্ণিমা রানি দোলাই বলেন, উন্নয়নের নিরিখে মানুষের কাছে যাচ্ছি। ভালো সাড়া পাচ্ছি। মেয়ে নির্বাচনে লড়াই করলেও কোনও ফ্যাক্টর হবে না। আমি জয়ের বিষয়ে ১০০ শতাংশ আশাবাদী।

    কী বললেন বিজেপি প্রার্থী মেয়ে?

    বিজেপি প্রার্থী পম্পা মাইতি বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) মায়ের বিরুদ্ধে লড়াই হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু, আমি রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। মায়ের সঙ্গে নয়। মায়ের জায়গা যেমন ছিল তেমন রয়েছে। মূলত পানীয় জলের সমস্যা, রাস্তা বেহাল সহ একাধিক অনুন্নয়ন নিয়ে আমরা সরব হয়েছি। সাধারণ মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। ফলে, ভোটে জয়ী হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: ফের গোষ্ঠী কোন্দল! আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি

    Cooch Behar: ফের গোষ্ঠী কোন্দল! আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের উত্তপ্ত দিনহাটা (Cooch Behar)। এবার দিনহাটা গিতালদহ-১ এর তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি মাহফুজার রহমান এবং তাঁর শ্যালককে নির্দল প্রার্থী রফিকুল বেধড়ক মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রধান অভিযুক্ত রফিকুল তৃণমূলের কর্মী। কিন্তু সে এবার নির্দল প্রার্থী। বর্তমানে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি কোচবিহারের এক বেসরকারি নার্সিংহোমে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন।

    ঘটনা কী ঘটেছে (Cooch Behar)?

    গীতালদহ-১ এর (Cooch Behar) ভোরাম গ্রামে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী খলিল মিয়ার ছেলেকে আটকে প্রচণ্ড মারধর করার কথা শুনতে পান মাহফুজার রহমান। তিনি যেহেতু সেখানকার অঞ্চল সভাপতি, তাই সেই এলাকায় খলিলের ছেলেকে উদ্ধার করতে গেলে মাহফুজারকে নির্দলের দুষ্কৃতীরা বেঁধে প্রচণ্ড মারধর করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। মাহফুজার রহমান এখন গুরুতর আহত অবস্থায় নার্সিংহোমে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন বলে জানা গেছে।

    মাহফুজার রহমানের পরিবারের বক্তব্য

    মাহফুজারের ভাইপো সম্রাট বলেন, নারায়ণগঞ্জ সাতঢলের পাড়ে (Cooch Behar) নির্দল প্রার্থী রফিকুল, আমার কাকা মাহফুজার রহমান এবং তাঁর শ্যালককে দলবল নিয়ে হামলা করে। বাঁশ, কাঠ লোহা এবং বন্দুক দিয়ে হামলা করে। বাঁ হাত এবং বাঁ পায়ে ব্যাপক আঘাত লাগে। আঘাতের চিহ্নে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। রাজনৈতিক কারণেই এই হামলা বলে মন্তব্য করেন সম্রাট।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় বলেন, বর্ডার এলাকাগুলোতে (Cooch Behar) বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই কাজ করেছে। ভোটের মুখে সীমান্তবর্তী এলাকায় দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘটনায় মোট তিনজন আহত হয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। তিনি এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, শুধু মারধরই করেনি, সেই সঙ্গে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায়, পায়ে আঘাত করা হয়েছে আমাদের অঞ্চল সভাপতিকে। দুষ্কৃতীরা মদত কোথা থেকে পাচ্ছ্‌ সেটা তদন্ত করার কথা বলেন তিনি। অঞ্চল সভাপতিকে এভাবে মারধর করার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূল প্রার্থীর দুই রাজ্যের ভোটার তালিকায় নাম, জেলা জুড়ে শোরগোল

    TMC: তৃণমূল প্রার্থীর দুই রাজ্যের ভোটার তালিকায় নাম, জেলা জুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একই ব্যক্তির দুই রাজ্যের ভোটার তালিকায় নাম। এরকম একজনকে এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী করেছে তৃণমূল (TMC)। বিষয়টি জানাজানি হতে আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার জেমেরি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়  রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে বিজেপি।

    তৃণমূল (TMC) প্রার্থীর বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ?

    আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার জেমেরি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৪১ নম্বর বুথে তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের মনোনীত প্রার্থী পঙ্কজ কুমার যাদব। পঙ্কজ কুমার যাদব জে কে নগর এলাকায় বসবাস করেন। এখানকার তিনি ভোটার। এই সংসদ থেকেই তিনি ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন। কিন্তু, পঙ্কজ কুমার যাদবের বিহার রাজ্যের লক্ষ্মীসরাই জেলার ১৬৭ সুরোজগরা কেন্দ্রে পার্ট নম্বর ৩০৯ এবং সিরিয়াল নম্বর ২৭৭ এ নাম রয়েছে। এরকম একজন ব্যক্তিকে প্রার্থী করায় দলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) প্রার্থী?

    পঙ্কজ কুমার যাদব বলেন, আমার বাড়ি বিহারে। তবে, সেখানে আমি খুবই কম যাই। দল যখন আমাকে পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নেয় তখন আমি জানতে পারি বিহারে আমার ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে। ২০২২ সালের ২৭ নভেম্বর আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে বিহারে ভোটের তালিকায় নাম বাদ দেওয়ার জন্য আবেদন করি। তারপরই বিহারের ভোটার তালিকা থেকে আমার নাম বাদ দিয়ে দেওয়া উচিত ছিল। এই বিষয় নিয়ে আমি কিছুই জানি না।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই ঘটনা নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। প্রার্থীপদ বাতিলের দাবিতে প্রয়োজনে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, কীভাবে এক ব্যক্তির দুই জায়গায় ভোটার কার্ড থাকতে পারে। দ্রুত পঙ্কজ কুমার যাদবের প্রার্থী পদ বাতিল করতে হবে, নাহলে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    আসানসোল দক্ষিণ গ্রামীণ তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের ব্লকের সহ-সভাপতি চঞ্চল মুখোপাধ্যায় বলেন, পঙ্কজ কুমার যাদবের জনপ্রিয়তা রয়েছে। বিরোধী প্রার্থীরা ভোটের ময়দানে পঙ্কজের কাছে বিপুল ব্যবধানে পরাজিত হতে বাধ্য। সেই জন্য বিরোধীরা পঙ্কজের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। ২০২২ সালে নির্বাচন কমিশনের কাছে বিহারের ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। বর্তমানে তাঁর শুধুমাত্র এক জায়গাতেই নাম রয়েছে। বিরোধীরা চক্রান্ত করে তাদের দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। রানীগঞ্জের বিডিও অভীক কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই বিষয় নিয়ে আমার কাছে কোনও অভিযোগ আসেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uniform Civil Code: ‘‘নারীর অধিকার রক্ষায় ইউসিসি খুব গুরুত্বপূর্ণ’’, মত গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীর

    Uniform Civil Code: ‘‘নারীর অধিকার রক্ষায় ইউসিসি খুব গুরুত্বপূর্ণ’’, মত গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদের বাদল অধিবেশনেই পেশ হতে পারে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) বিল। গত বেশ কয়েকদিন ধরে দেশজুড়ে চলছে জোর চর্চা। সম্প্রতি সেই জল্পনা গতি পেয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকেই দেশের মধ্যে একমাত্র গোয়া রাজ্যে চালু রয়েছে অভিন্ন দেওয়ানবিধি। এবার এনিয়ে মুখ খুললেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। শনিবার অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘লিঙ্গ বৈষম্য রোধ করতে এবং নারী ক্ষমতায়নের জন্য অভিন্ন দেওয়ান বিধি খুব গুরুত্বপূর্ণ।’’ 

    অভিন্ন দেওয়ান বিধি নিয়ে কী বললেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী?

    অনেক রাজনৈতিক দল এটা নিয়ে রাজনীতি করছে, এমনই অভিযোগ করেন এদিন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা অভিন্ন দেওয়ান বিধির বিরোধিতা করছেন তাঁরা আসলে নারী ক্ষমতায়ন চাইছেন না। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি ধর্ম জাতিতে কোনও বৈষম্য করেনা। ’’

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধির জন্য প্রধানমন্ত্রীকেও ধন্যবাদ জানান গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী

    গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী এদিন প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘‘ এই বিলের কথা ভাবার জন্য মোদীজিকে ধন্যবাদ। গত ৬০ বছর ধরে গোয়াতে চালু রয়েছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। কোথাও সমস্যা হয়নি।’’

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধি

    বর্তমানে দেশে বিবাহ, বিচ্ছেদ এবং দত্তক গ্রহণের মতো ব্যক্তিগত বিষয়গুলির জন্য বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নিজস্ব ব্যক্তিগত আইন রয়েছে। যেমন মুসলিম ল’, হিন্দু পার্সোনাল ল’। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) লাগু হয়ে গেলে অবসান ঘটবে এই সব ব্যক্তিগত আইনের। গত ১৪ জুন কেন্দ্র নিযুক্ত আইন কমিশনের তরফে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর বিষয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন ও সাধারণ মানুষের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার পর্যন্ত এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সাড়ে ৮ লক্ষ ব্যক্তি ও সংগঠন। সম্প্রতি, মধ্যপ্রদেশের ভোপালের এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, “কোনও পরিবারে যদি প্রত্যেক সদস্যের জন্য আলাদা আলাদা আইন থাকে, তাহলে কি সেই সংসার চালানো যায়?” তিনি বলেন, “দেশের এক একটি সম্প্রদায়ের জন্য যদি এক এক রকম আইন থাকে, তাহলে দেশ এগোতে পারে না। সংবিধানেও সকলের জন্য সমান আইনের (Uniform Civil Code) কথা বলা আছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: “মণিপুরকে ভাগ হতে দেব না”, বললেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং

    Manipur: “মণিপুরকে ভাগ হতে দেব না”, বললেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে (Manipur) হিংসা অব্যাহত। প্রায় দুই মাস পার করে গেলেও কোনও সমাধানসূত্র পাওয়া যায়নি। মণিপুরের এমন পরিস্থিতিতেই ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। স্থানীয় সংবাদপত্রগুলির দাবি, মুখ্যমন্ত্রী লিখে ফেলেছিলেন ইস্তফাপত্র, জমাও দিতে যাচ্ছিলেন রাজ্যপালের কাছে। শেষ মুহূর্তে সাধারণ মানুষের অনুরোধে সিদ্ধান্ত বদল করেন মুখ্য়মন্ত্রী। শনিবার সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, “আমি কোনওভাবে মণিপুরকে বিভক্ত হতে দেব না।”

    ৩ মে থেকেই চলছে মণিপুর (Manipur) হিংসা 

    মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্য়ে সংঘর্ষ শুরু হয় বিগত ৩ মে থেকে। জনজাতি ছাত্র সংগঠনের একটি মিছিলকে কেন্দ্র করে সেদিন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। সরকারি হিসাবে এখনও অবধি ১১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০০ জন। কমপক্ষে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার সেখানে ১০১ কোটি টাকা আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে।

    কী বলছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী?

    বিভিন্ন সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং বলেন, “মণিপুর (Manipur) যাতে বিভক্ত না হয় এবং ভিন্ন প্রশাসন তৈরি না হয়, তার জন্য আমি চেষ্টা করব। আমি মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি এবং বিজেপির তরফ থেকেও বলছি যে ভিন্ন প্রশাসন তৈরি করে মণিপুরকে বিভক্ত হতে দেব না। রাজ্যের অখণ্ডতা বজায় রাখতে সব ধরনের ত্যাগ করতে রাজি।” সংঘর্ষের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, “আমি নিজেও বিভ্রান্ত যে কেন এই সংঘর্ষ হচ্ছে। মণিপুর হাইকোর্টের তরফে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যে মেতেইদের তফশিলি উপজাতির অন্তর্ভুক্ত করা হবে কিনা, তা নিয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে প্রস্তাবনা জমা দিতে। হাইকোর্টের নির্দেশ মতোই আমি পাহাড়ি এলাকার বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলি। তাঁরা বলেছিলেন যে প্রস্তাবনা জমা দেওয়ার আগে ভাবনাচিন্তার জন্য যেন কিছু সময় দেওয়া হয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share