Tag: Madhyom

Madhyom

  • Panchayat Poll: গোষ্ঠী কোন্দলের জের, বাসন্তীতে যুব তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে খুন

    Panchayat Poll: গোষ্ঠী কোন্দলের জের, বাসন্তীতে যুব তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে খুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Poll) ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রাজ্য জুড়ে রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। শুধু গুলিবিদ্ধ হয়ে একের পর এক রাজনৈতিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এবার যুব তৃণমূল কর্মীকে খুন করার ঘটনা ঘটল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল ওই যুব তৃণমূল কর্মীর। মৃতের নাম জিয়ারুল মোল্লা (৪২)।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে বাসন্তী থানার ফুলমালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েতের চাতরাখালি এলাকায় রাস্তার পাশে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই যুব তৃণমূল কর্মীকে পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার মানুষ। রাতে বিশেষ কাজের জন্য ক্যানিংয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ফুলমালঞ্চ পঞ্চায়েতের চাতরাখালি-ঘাগরামারি এলাকায় রাতের অন্ধকারে তাঁকে কেউ বা কারা গুলি করে পালিয়ে যায়। তাঁর চিৎকার শুনে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দেখা যায়, ঠিক মাথায় গুলি লেগেছে। পুলিশে খবর দেওয়া হয়। বাসন্তী থানার পুলিশ গিয়ে জিয়ারুলকে উদ্ধার করে ক্যানিং হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। খানিক পরেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    কী বললেন নিহত যুব তৃণমূল কর্মীর ছেলে?

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, জিয়ারুল যুব তৃণমূল করত, সেই কারণে তাকে প্রায়শই খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। তাদের দাবি, রাজনৈতিক শত্রুতার জেরেই খুন করা হয়েছে জিয়ারুলকে। নিহতের ছেলে মিজানুর মোল্লা বলেন,  বাবাকে অনেকদিন ধরেই মাদার তৃণমূলের লোকেরা নিজেদের সঙ্গে যোগ দিতে বলেছিল, কিন্তু, বাবা রাজি হয়নি। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Poll) আগে নতুন নতুন অচেনা নম্বর থেকে ফোন করে হুমকি দেওয়া হত। এবার বাবাকে গুলি করে খুন করা হল। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বাসন্তী থানার পুলিশ।

    পুলিশের প্রশাসনের আধিকারিকের কী বক্তব্য?

    এদিকে খবর পেয়ে ক্যানিং মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দিবাকর দাস সহ পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে যান। ক্যানিং হাসপাতালে আসেন ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাস। জিয়ারুলের মৃত্যুকে শোকের ছায়া নেমে আসে এলাকায়। এদিকে এ বিষয়ে ক্যানিং মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দিবাকর দাস বলেন, মৃতের পরিবারকে লিখিত অভিযোগ জানাতে বলেছি। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। যদিও এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Saff Cup 2023: লেবাননকে হারিয়ে সাফ কাপের ফাইনালে ভারত! সামনে কুয়েত

    Saff Cup 2023: লেবাননকে হারিয়ে সাফ কাপের ফাইনালে ভারত! সামনে কুয়েত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাইব্রেকারে লেবাননকে হারিয়ে সাফ কাপের (Saff Cup 2023) ফাইনালে ভারত। বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে এই অনন্য জয় পেল সুনীল ছেত্রীদের দল। ম্যাচ ট্রাইবেকার পর্যন্ত গড়াত না, তার আগেই জিতে যাওয়ার কথা ভারতের। কিন্তু কিছু সহজ সুযোগ এদিন হাতছাড়া করে ভারত। ভারতের গোলরক্ষক গুরপ্রীত সিংহ সান্ধু শনিবার লেবাননের বিরুদ্ধে ম্য়াচের নায়ক। ৪-২ গোলে লেবাননকে হারিয়ে ফাইনালে কুয়েতের সামনে ভারত।

    ট্রাইব্রেকারে প্রথম গোল বাঁচিয়ে দেন গুরুপ্রীত

    টাইব্রেকার শুরু হতেই প্রথম পেনাল্টি মারতে যান সুনীল। লেবাননের গোল রক্ষক বাঁচাতে পারেননি সুনীলের শট। অন্য দিকে লেবাননের অধিনায়ক হাসান মাটুকের প্রথম শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে বাঁচিয়ে দেন গুরপ্রীত। ফলে শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে লেবানন। ভারতের হয়ে সুনীলের পরে আনোয়ার আলি, মহেশ নাওরেম সিংহ ও উদান্তা সিংহ গোল করেন। লেবাননের চতুর্থ শট বারের উপর দিয়ে উড়ে যেতেই ম্যাচ জিতে যায় ভারত।

    প্রথম থেকে ভালো খেলেছে লেবানন

    লেবাননের শুরুটা ভালোই হয়েছিল। প্রথম থেকেই আক্রমনে ছিল তারা। বেশ কয়েক বার ভারতের বক্সে পৌঁছে যান লেবাননের ফুটবলাররা। কিন্তু গোল করতে পারেননি তাঁরা। এরপর ১৫ মিনিটের পর থেকে ধীরে ধীরে খেলায় ফেরে ভারত। নিজেদের মধ্যে পাশ খেলে আক্রমণ শানাতে থাকেন সুনীলরা। ১৬ মিনিটের মাথায় সুনীলের কাছ থেকে বক্সে ভালো জায়গায় বল পান জিকসন সিংহ। গোল করার সুযোগ থাকলেও তা না করে সাহাল আব্দুল সামাদের দিকে বল বাড়ান তিনি। সাহাল গোলে বল জড়াতে পারেননি। 

    দুই দলের ফুটবলারদের ধাক্কাধাক্কি

    ৩৫ মিনিটের মাথায় লেবানন বক্সের ঠিক বাইরে ফাউল করা হয় শুভাশিস বসুকে। তিনি উঠে ধাক্কা মারেন লেবাননের ফুটবলারকে। মাঠের পরিস্থিতি বিগড়ে যায়। ফলে দু’দলের ফুটবলারদের মধ্যে সামান্য ধাক্কাধাক্কি হয়। ফ্রি কিক (ফুটবলারকে অন্যায় ভাবে ফেলে দিলে সেই দল বল মারার সুযোগ পায়) থেকে গোলের সুযোগ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু গোল হয়নি। ৪১ মিনিটের মাথায় লেবাননের অধিনায়ক মাটুকের ডান পায়ের শট ভালো বাঁচান গুরপ্রীত। গোলশূন্য অবস্থায় বিরতিতে যায় দু’দল। দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে দু’দল। প্রান্ত ব্যবহার করে বিপক্ষের রক্ষণকে সমস্যায় ফেলেন ভারত ও লেবাননের ফুটবলাররা। কিন্তু কোনওভাবেই গোলে বল জড়াতে পারেননি দুই দলের ফুটবলাররা। ম্যাচ গড়ায় ট্রাইব্রেকার পর্যন্ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Digital Book: স্বামীজি, নেতাজি ও প্রভুপাদের স্পর্শ পাওয়া দর্শনের পুস্তক এবার ডিজিটাল ফর্মে

    Digital Book: স্বামীজি, নেতাজি ও প্রভুপাদের স্পর্শ পাওয়া দর্শনের পুস্তক এবার ডিজিটাল ফর্মে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিংশ শতাব্দীর তিন উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক স্বামী বিবেকানন্দ, শ্রীল প্রভুপাদ ও নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু। আর এক অদ্ভুত সমাপতন এই যে তিন দেশনায়ক উত্তর কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজের ছাত্র ছিলেন। এই কলেজে অধ্যয়ন কালে তাঁদের মধ্যে আধ্যাত্মিক জ্ঞান ও চেতনার  উন্মেষ ঘটতে শুরু করে। কলেজের দিনগুলিতে গ্রন্থাগারে গিয়ে তাঁরা মাঝে মধ্যেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা দর্শনের বিভিন্ন গ্রন্থের মধ্যে ডুবে থাকতেন। আর এমনই সব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে কলেজের তৎকালীন ইতিহাস থেকে। এবার এই তিন মহাপুরুষের হাতের স্পর্শ পাওয়া দর্শনের সেই সব গ্রন্থের ডিজিটাইজেশনের (Digital Book) কাজ শুরু করল স্কটিশ চার্চ কলেজ। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘দর্শন এষণা’।

    কী বললেন কলেজের অধ্যক্ষ (Digital Book)?

    এই কাজে আর্থিক‌ ও কারিগরী‌ সহযোগিতা দিয়ে সাহায্য করেছে কলকাতার ভক্তি বেদান্ত রিসার্চ সেন্টার। কলেজের গ্রন্থাগারে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ডিজিটাইজেশন প্রজেক্টের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কলেজের অধ্যক্ষা ডক্টর মধুমঞ্জুরি মণ্ডল। তিনি বলেন, কলেজের জন্ম লগ্ন অর্থাৎ ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দ থেকে সংরক্ষিত প্রায় ১০০০ এর বেশি দুষ্প্রাপ্য দর্শনের বই রয়েছে কলেজের গ্রন্থাগারে। এই সব মহাপুরুষদের হাতের স্পর্শ পাওয়া গ্রন্থ সমূহ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নষ্ট হতে বসেছে। তাই অনেক দিন থেকেই এই সমস্ত বই ডিজিটাইজ (Digital Book) করার পরিকল্পনা চলছে। সম্প্রতি কলেজের গভর্নিং বডি সিদ্ধান্ত নেয় এই কাজ শুরু করার এবং সেই কাজ বর্তমানে চলছে। ভক্তি বেদান্ত রিসার্চ সেন্টার এই উদ্যোগে সাড়া দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় তাঁরা খুবই উপকৃত হলেন। এর ফলে মূল্যবান ইতিহাস রক্ষিত হতে পারল।

    সাহায্য করছে ভক্তি বেদান্ত রিসার্চ সেন্টার (Digital Book)

    ভক্তি বেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের ডিন সুমন্ত রুদ্র বলেন, প্রায় এক হাজার বই ডিজিটাইজ (Digital Book) করতে ৮ মাস সময় ধরা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে দর্শনের বই ডিজিটাইজ করা হচ্ছে। পরবর্তীকালে অন্যান্য দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থের ডিজিটাইজেশনের কাজে তাঁরা কলেজের পাশে থাকবেন।  ভবিষ্যতে কলেজের ওয়েবসাইট থেকেই এইসব পুস্তক পাঠ করার সুযোগ পাওয়া যাবে ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Pm Modi: ‘‘প্রতি বছর কৃষি ক্ষেত্রে সরকারের বরাদ্দ ৬.৫ লাখ কোটি’’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Pm Modi: ‘‘প্রতি বছর কৃষি ক্ষেত্রে সরকারের বরাদ্দ ৬.৫ লাখ কোটি’’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৃষি এবং কৃষকদের জন্য প্রতি বছর ৬.৫ লাখ কোটি টাকা ব্যয় হয় সরকারি কোষাগার থেকে, এমনই তথ্য উঠে এল প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘প্রতিটি কৃষক ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকা করে লাভ করবেনই, এটা আমার গ্যারান্টি (ইয়ে মোদি কা গ্যারান্টি হ্যায়)।’’ শনিবার প্রধানমন্ত্রী হাজির ছিলেন দিল্লিতে আয়োজিত ১৭ তম কো-অপারেটিভ কংগ্রেসের উদ্বোধনী অধিবেশনে ভাষণ দিতে। সেখানেই তিনি এ কথা বলেন।

    আরও পড়ুন: ইতিহাসের পাতায় পুরানো! বাদল অধিবেশন কি নয়া সংসদ ভবনেই?

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)?

    শনিবার প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘আমি যা বলছি তা প্রতিশ্রুতি নয়। যা কাজ করতে পেরেছি, তার ভিত্তিতেই কথা বলছি। ২০১৪ সালের আগে দেশে যখন কংগ্রেস জমানা ছিল তখন মাঝারি এবং ছোট কৃষকরা হতাশায় ভুগতেন। কংগ্রেস সরকারের কোনও নীতি ছিল না তাঁদের প্রতি।’’

    ২০১৪ সালের পর থেকেই দেশের নীতি পরিবর্তিত হয়েছে 

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) এদিন বলেন, আপনারা সকলেই নিশ্চয় উপলব্ধি করতে পারছেন যে ২০১৪ সালের পর থেকে দেশের নীতি পরিবর্তিত হয়েছে। এবং তার সুফলও মিলছে। ২০১৪ সালের আগে দেশের কৃষকরা বলতেন সরকার খুবই সামান্য সাহায্য করে। যেটুকু সাহায্য কংগ্রেস জমানায় পাওয়া যেত সেটাও আবার দালালদের অ্যাকউন্টে ঢুকতো। কিন্তু এখন দিন বদলেছে।  

    কয়েক কোটি কৃষক পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মাননিধি  

    প্রধানমন্ত্রী এদিন আরও জানান, কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি ২.৫ লাখ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘এটাই হল গত ন’ বছরের পরিবর্তন। কোনও মিডলম্যান নেই। ’’ প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘‘২০১৪ সালের আগে দেশে কৃষিক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দ হতো ৯০ হাজার কোটি টাকা।’’

    আরও পড়ুুন: নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনি, তুষার লিঙ্গ দর্শনে অমরনাথের পথে পাড়ি দ্বিতীয় দলেরও

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayate Vote: দক্ষিণ দিনাজপুরে বহু আদিবাসী পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে

    Panchayate Vote: দক্ষিণ দিনাজপুরে বহু আদিবাসী পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আর ৭দিন বাকি। তার আগে আবার তৃণমূলে ভাঙন। শনিবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডি বিধানসভার লোহাগঞ্জ এলাকায় একটি যোগদান শিবির অনুষ্ঠিত হয়৷ যেখানে তৃণমূল ছেড়ে ২০টি আদিবাসী পরিবারের প্রায় ৯০ জন সদস্য বিজেপিতে যোগদান করেন। এদিন বিকেলে সদ্য যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী। জেলা সভাপতির পাশাপাশি যোগদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিজেপির অন্যান্য নেতৃত্ব৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ২০টি আদিবাসী পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করায় বিজেপির শক্তি (Panchayat Vote) বাড়ল বলেই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূল ছেড়ে মানুষ যেভাবে বিজেপিতে যোগাদান করছে, তাতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলায় বিজেপি ভালো ফল করবে বলে আশাবাদী দলের জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী।

    কী বললেন যোগদানকারীরা (Panchayat Vote)?

    এই বিষয়ে এক যোগদানকারী বলেন, তৃণমূল দল আমাদের দেখে না। আমরা তৃণমূলকে ভোট দিয়েছিলাম। কিন্তু তৃণমূল নেতারা বলে, আমরা তাদের ভোট (Panchayat Vote) দিইনি। তারা ভোটের সময় খাওয়াদাওয়া দিয়েছিল। সেই খাওয়াদাওয়া দিয়ে পরে বলে, আমরা তোমাদের ভোট কিনে নিয়েছি। তোমরা কোনও সুযোগ সুবিধা পাবে না। তাই আমরা তৃণমূল দল থেকে বেরিয়ে আজ বিজেপিতে ২০ টি পরিবার যোগদান করলাম।

    কী বললেন বিজেপির জেলা সভাপতি (Panchayat Vote)?

    বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, লোহাগঞ্জে এদিন ২০ টি আদিবাসী পরিবার তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করল। যোগদানকারীরা সবাই তৃণমূল করত। কিন্তু তৃণমূল দল তাদের কোনও সুযোগ সুবিধা দেয়নি। তৃণমূল তাদের বার বার বলেছে, আমরা ভোট কিনে নিয়েছি, কেন সুযোগ সুবিধা দেব। তৃণমূল এইভাবে দিনের পর দিন এই লোহাগঞ্জ এলাকার মানুষদের বঞ্চিত করেছে। সেই জন্য আজ লোহাগঞ্জের ২০ টি আদিবাসী পরিবার বিজেপিতে যোগদান করল। এরা যোগদান করায় বিজেপির আরও শক্তি বাড়ল ও আগামী দিনে এই এলাকায় বিজেপি আরও ভাল ফলাফল (Panchayat Vote) করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (রবিবার, ০২/০৭/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (রবিবার, ০২/০৭/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) সমস্ত কাজে শুভ ফলাফল লাভ করবেন। 

    ২) বাড়িতে কোনও শুভ অনুষ্ঠান আয়োজিত হতে পারে। 

    বৃষ

    ১) পারিবারিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। চাকরিজীবীরা বড়সড় সাফল্য লাভ করবেন। 

    ২) পরিবারে অতিথি আগমন হতে পারে।

    মিথুন

    ১) চাকরিজীবীরা আজ বড়সড় সাফল্য লাভ করবেন। 

    ২) কাউকে কোনও প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকলে তা পূরণ করতে হবে।

    কর্কট

    ১) বাড়ির গুরুত্বপূর্ণ কাজ পূর্ণ করার চেষ্টা করবেন। মা-বাবার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করবেন।   

    ২) সন্ধ্যাবেলা বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যাবেন।

    সিংহ 

    ১) নতুন বস্তু কেনার পরিকল্পনা করে থাকলে অবশ্যই জীবনসঙ্গীর পরামর্শ নিন।

    ২) ছাত্রদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অধিক পরিশ্রম করতে হবে, তখনই সাফল্য লাভ সম্ভব।

    কন্যা

    ১) শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের সঙ্গে কোনও বিবাদ চললে আজ তার সমাধান হবে।  

    ২) সন্ধ্যাবেলা মা-বাবার সঙ্গে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করবেন।

    তুলা 

    ১) দৈনন্দিন প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ উপার্জন করতে পারেন।  

    ২) ছাত্ররা কোনও পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারেন।

    বৃশ্চিক

    ১) পরিশ্রম অনুযায়ী ফলাফল পাবেন না। তবে অর্থ লাভে সন্তুষ্ট থাকবেন। 

    ২) পরিবারের সদস্যদের উচ্চাকাঙ্খা পূরণে সক্ষম হবেন।

    ধনু

    ১) পারিবারিক ব্যবসায় ঝুঁকি নিলে ভালো মুনাফা অর্জন করতে পারেন। 

    ২) সন্ধ্যাবেলা সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।

    মকর

    ১) কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে মন একাগ্র থাকবে না। এর ফলে সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন। 

    ২) কারও সাহায্যে কাজ করলে অন্যেরা এর মধ্যে আপনার স্বার্থ খোঁজার চেষ্টা করবে।

    কুম্ভ

    ১) সামাজিক ক্ষেত্রে সম্মান লাভ করবেন।

    ২) সন্ধ্যাবেলা কোনও বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে।     

    মীন

    ১) যে কাজ হাতে নেবেন, তাতে শীঘ্র সাফল্য লাভ সম্ভব। এর ফলে আপনার মন প্রসন্ন হবে। 
     
    ২) আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত হবে।   

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Governor: দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষা ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গড়ার ডাক দিলেন রাজ্যপাল! কেন জানেন?

    Governor: দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষা ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গড়ার ডাক দিলেন রাজ্যপাল! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতি বরদাস্ত করবেন না। একথা জানিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষা ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গড়ার ডাক দিলেন রাজ্যপাল (Governor) সি ভি আনন্দ বোস। শুক্রবার কালিম্পং কলেজের একটি অনুষ্ঠানের খোলা মঞ্চ থেকে দর্শকাসনে থাকা ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে এই আহ্বান জানান রাজ্যপাল। চারদিনের উত্তরবঙ্গ সফরে এসেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শুক্রবার কালিম্পং সফরের দ্বিতীয় দিনে তিনি প্রথমে ১২ মাইলের এক বৃদ্ধাশ্রমে যান। সেখানকার আবাসিকদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান। তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা শুনে উপহারও তুলে দেন। তার পর সেখান থেকে চলে যান কালিম্পং কলেজে।

    কী বললেন রাজ্যপাল (Governor)?

    কালিম্পং কলেজের ওই অনুষ্ঠানের খোলা মঞ্চ থেকেই তিনি শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতি নিয়ে মুখ খোলেন। বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতি কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা যায় না। তার পরে তিনি মঞ্চ থেকেই উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের মতামত আহ্বান করেন। তার রেশ ধরে তিনি দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। অন্যায়, অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সকলের এগিয়ে আসা উচিৎ বলে তিনি (Governor) জানান। এই সফরে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যের ১৩ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে বৈঠক করার বিষয়টিও এদিন তাঁর ভাষণে উল্লেখ করেন রাজ্যপাল। শিক্ষার পাশাপাশি সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে আসার বার্তা এই অনুষ্ঠানে দেন রাজ্যপাল। এ ব্যাপারে উপস্থিত পড়ুয়াদের শপথও নেওয়ান তিনি।

    কী বলছে শিক্ষক সমাজ?

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন কলেজের অধ্যাপক ও স্কুল শিক্ষকরা বলেন, নিয়োগ থেকে শিক্ষা, সর্বত্র দুর্নীতির একের পর এক অভিযোগে কালিমালিপ্ত হয়েছে রাজ্য সরকার। দুর্নীতির অভিযোগে জেলে রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। একই অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য। উপাচার্য নিয়োগ নিয়েও রাজ্যপালের সঙ্গে তৃণমূল সরকারের সংঘাত চলছে। এভাবে শিক্ষা ক্ষেত্রে একের পর পর এক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় এবার ব্যাট হাতে ময়দানে নেমেছেন খোদ আচার্য তথা রাজ্যপাল (Governor)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Poll: অভিনব ছড়ার মাধ্যমে ভোট প্রচারে বিজেপি প্রার্থী

    Panchayat Poll: অভিনব ছড়ার মাধ্যমে ভোট প্রচারে বিজেপি প্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুথে বুথে আওয়াজ তোলো/ চোরগুলোকে তাড়িয়ে ছাড়ো। কাঁদছে মাটি, কাঁদছে মা/এই দৃশ্য আর না। হুগলির পাণ্ডুয়ার বেনেপাড়া, কালীতলা, সামন্তগলি প্রভৃতি এলাকা পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Poll) এই ধরনের ফ্লেক্স, ব্যানারে ছেয়ে গিয়েছে। সৌজন্যে ওই এলাকার পঞ্চায়েত প্রার্থী তনয়া সাহা। এবার বিজেপি থেকে গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রার্থী তিনি।

    ফ্লেক্সে অভিনব প্রচারে কী লেখা রয়েছে?                 

    পাণ্ডুয়া ব্লক জুড়েই পানীয় জলের সমস্যা। ঘটা করে সজলধারা প্রকল্প আনা হয় বাড়ি বাড়ি। কিন্তু সেখানে সারা দিনে মাত্র কয়েক ঘণ্টা সরু সুতোর মতো জলের গতি। তাও চালু হয়েছে মাস দুয়েক আগে। পানীয় জলের জন্য গ্রামে গোটা চারেক নলকুপই ভরসা। কথা হচ্ছিল পাণ্ডুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৮২ নম্বর বুথের বিজেপি প্রার্থী তনয়া সাহার সঙ্গে। এই আসনে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Poll) তৃণমূল প্রার্থী জিতলেও গত বিধানসভাতে বিজেপির লিড ছিল। আর সেই ভরসায় বিজেপি এই আসনে প্রার্থী করেছে গৃহবধূ তনয়া সাহাকে। তফশিলি সংরক্ষিত এই আসনে এবার ত্রিমুখী লড়াই। প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের মামনি রায় এবং সিপিএমের অর্চনা দাস। চুঁচুড়া কোর্টের আইনজীবী সৌম্যদীপ্ত সাহার ঘরণী তনয়া মূলত স্বামীর প্রেরণাতেই এবার নির্বাচনে দাঁড়িয়ে গিয়েছেন। আর নির্বাচনে দাঁড়িয়েই রীতিমতো চমক সৃষ্টি করেছেন ব্যানার, ফ্লেক্স ও দেওয়াল লিখনে। পাণ্ডুয়ার বুকে এধরনের ছড়া কেটে আর কেউ প্রচার করেননি। বুথে বুথে আওয়াজ তোলো/চোরগুলোকে তাড়িয়ে ছাড়ো। বুক ফুলিয়ে ঘুরিস যে তুই কিসের এতো জোর? বিজেপি করি দাদা, কেউ বলে না চোর।

    কী বললেন বিজেপি প্রার্থী?

    তনয়া দেবীর বর্ধিষ্ণু পরিবার। পাণ্ডুয়ার আদি বাসিন্দা। তিনি বলেন, মোদিজির আমলে দেশের উন্নয়ন যে ভাবে হয়েছে, সেটা দেখেই আমি অনুপ্রাণিত হয়ে বিজেপিতে এসেছি। আমি মোদিজির ফ্যান। মানুষের পাশে দাঁড়াবার জন্য, গরিব মানুষগুলোকে সাহায্য করতে আমি প্রার্থী হয়েছি। আমি ভেবে দেখেছি এ রজন্য বিজেপিই হল উপযুক্ত প্ল্যাটফর্ম। আসলে যে এলাকা থেকে আমি পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Poll) প্রার্থী হয়েছি, সেখানে সাড়ে পাঁচশো ভোটারের মধ্যে অধিকাংশই প্রান্তিক মানুষ। এলাকায় ড্রেনেজ প্রকল্প বলে কিছু নেই। অলিগলিতে পর্যাপ্ত আলো নেই। সবচেয়ে বড় সমস্যা পানীয় জলের। আমার লক্ষ্য নিজের এলাকার উন্নয়ন। আর সেই জন্যই আমার জেতা খুব জরুরি। আর এটা বোঝানোর জন্য স্বামীকে নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় চষে বেড়াচ্ছেন তনয়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tala Tank: কলকাতায় মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে টালা ট্যাঙ্ক, চমকপ্রদ এর ইতিহাস!

    Tala Tank: কলকাতায় মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে টালা ট্যাঙ্ক, চমকপ্রদ এর ইতিহাস!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটিশদের কথা ভাবলে ভারতীয়দের ওপর অত্যাচার, জোর-জুলুমের কথাই বেশি মাথায় আসে। কিন্তু তাদের শাসিত ভারতে ব্রিটিশরা এমন সব স্থাপত্য দিয়ে গিয়েছে, যেগুলির ভূমিকাও উপেক্ষা করার নয়। ব্রিটিশদের এই ধরনের কৃতিত্বের মধ্যে অন্যতম হল কলকাতায় অবস্থিত ‘টালা ট্যাঙ্ক’। এই সুবিশাল ওভারহেড রিজার্ভারটি শুধু ভারত নয়, সমগ্র বিশ্বের বৃহত্তম ওভারহেড জলের ট্যাঙ্ক (Tala Tank)। এটি কোনও সাধারণ ট্যাঙ্ক নয়। এর পিছনে আছে অনেক ইতিহাস।

    কী উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছিল এই ট্যাঙ্ক (Tala Tank)?

    ব্রিটিশ আমলে ধীরে ধীরে কলকাতা যখন একটি পূর্ণ শহরে পরিণত হচ্ছে, সেই সময় পরিষেবা বাড়ানো ছিল ব্রিটিশদের মূল লক্ষ্য। তার মধ্যে সব থেকে বেশি যেটির প্রয়োজন ছিল, তা হল নাগরিকদের জন্য পানীয় জলের ব্যবস্থা করা। আর সেই উদ্দেশ্যেই কয়েকটি পুকুর খনন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। হেদুয়া, ওয়েলিংটন স্কোয়ার, ভবানীপুরের পুকুর থেকে সেই সময় কলকাতায় পানীয় জল সরবরাহ শুরু হয়। কিন্তু, শহর আরও বাড়তে থাকলে পানীয় জলের প্রয়োজনও বাড়তে থাকে। এই সমস্যাকে মাথায় রেখে তৎকালীন পৌর ইঞ্জিনিয়ার মিস্টার ডেভেরাল তাঁর সহকারী মিস্টার পিয়ার্স-এর সাথে মিলিতভাবে ১৯০১ সালে একটি ওভারহেড ট্যাঙ্ক (Tala Tank) তৈরির প্রস্তাব তুলে ধরেন। এই প্রস্তাবটি ১৯০২ সালে গ্রহণ করা হয়। 

    কত খরচ হয় এই ওভারহেড জলের ট্যাঙ্ক (Tala Tank) নির্মাণে?

    ১৯০৩ সালে পুরসভায় নিযুক্ত হন নতুন ইঞ্জিনিয়ার ডব্লু বি ম্যাকক্যাবে। তিনি এই প্রস্তাব দেখেন এবং কিছু রদবদল করার সিদ্ধান্ত নেন, যাতে কলকাতার মানুষ আরও উন্নত জল পরিষেবা পেতে পারে। আর এই প্রস্তাবে সম্মতি জানায় সমস্ত পৌরসভা। এই সময় ট্যাঙ্কটি (Tala Tank) নির্মাণ করতে তিনি ৬৯ লক্ষ ১৭ হাজার ৮৭৪ টাকা খরচ ধার্য করেন, যা ছিল আগের অঙ্কের থেকে অনেকটাই বেশি। কিন্তু এতে পূর্ণ সমর্থন ছিল সবার।

    কোথায় এবং কীভাবে নির্মিত হয় এই ট্যাঙ্কটি (Tala Tank)?

    ১৯০৯ সালে বাংলার লেফটেন্যান্ট গভর্নর স্যার এডওয়ার্ড বেকার এই ট্যাঙ্ক নির্মাণের (Tala Tank) সূচনা করেন। ফাউন্ডেশনের কাজ শুরু করে টি সি মুখার্জি অ্যান্ড কোম্পানি। কংক্রিট ফাউন্ডেশনের কাজ শুরু করে স্যার রাজেন্দ্রলাল মুখার্জির মার্টিন অ্যান্ড কোম্পানি। আর তার সাথে বাকি কাজে যুক্ত ছিল লিডসের ক্লেটন কোম্পানি। 
    প্রথমে যে স্থানে ট্যাঙ্কটি নির্মাণ করা হবে, সেখানে পুকুরগুলি বোজানোর কাজ শুরু হয়। পুকুরগুলিকে জলশূন্য করে চারদিকে শালবল্লার খুঁটি দিয়ে ২০-২৫ ফুট পাইল করে খোয়া দিয়ে ভর্তি করে স্টিম রোলার দিয়ে সমান করা হয়। এর ওপর বোল্ড স্টিল জয়েন্টের ওপর স্তম্ভগুলিকে দাঁড় করানো হয়। ১৯১১-র ১২ জানুয়ারি এর কাজ শেষ হয় এবং এই বছরেই ১৬ই মে এটি চালু করা হয়। এটি ছিল ১১০ ফুট উঁচু, ১৬ ফুট গভীরতা বিশিষ্ট, ১ লক্ষ বর্গফুট আয়তনের। এর জলধারণ ক্ষমতা  ৯ লক্ষ গ্যালন। গোটাটা চারটি কম্পার্টমেন্টে ভাগ করা হয়, যাতে জল পরিষেবা বন্ধ না রেখেই অন্য একটি ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করা যায়। 

    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং ১৯৬২ ও ১৯৭১-এর যুদ্ধে লক্ষ্য ছিল টালা ট্যাঙ্ক (Tala Tank) ধ্বংস করা

    ভারতীয় ইতিহাসের ঐতিহ্যবাহী অতীত বহন করে চলেছে এই টালা ট্যাঙ্ক। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই ট্যাঙ্ককে লক্ষ্য করে জাপানিরা পর পর অনেকগুলি বোমা নিক্ষেপ করে। কিন্তু ধ্বংস করতে পারেনি একে। মাত্র নয়টি বোমার ক্ষতচিহ্ন পাওয়া যায়। ১৯৬২ ও ১৯৭১-এর যুদ্ধেও চিন ও পাকিস্তানের লক্ষ্য ছিল এই ট্যাঙ্ক। কিন্তু তারাও কোনও ক্ষতি করতে পারেনি। আজও মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে এই টালা ট্যাঙ্ক। আজও তা (Tala Tank) কলকাতার জল পরিষেবার একমাত্র আধার হিসাবে জল পৌঁছে দিচ্ছে গোটা শহর জুড়ে।

    আর বর্তমানে পরিচিতি পেয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম ওভারহেড জলের ট্যাঙ্ক হিসেবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপির প্রতি আনুগত্য! ভোট না দেওয়ার বার্তা নিয়ে প্রচারে নির্দল প্রার্থী

    BJP: বিজেপির প্রতি আনুগত্য! ভোট না দেওয়ার বার্তা নিয়ে প্রচারে নির্দল প্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমায় ভোট দেবেন না”। এই বার্তা দিয়ে প্রচার করছেন পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট পঞ্চায়েত সমিতির ২৩ নম্বর আসনের নির্দল প্রার্থী মদনকুমার মণ্ডল। রীতিমতো এলাকায় ফ্লেক্স টাঙিয়ে তিনি প্রচার করছেন। নিজেকে ভোট না দেওয়ার পাশাপাশি বিজেপি (BJP) প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার জন্য তিনি অনুরোধ করেছেন। রাজ্যে শাসক দলের টিকিট না পেয়ে বহু তৃণমূল কর্মী নির্দল প্রতীকে দাঁড়িয়েছেন। তৃণমূলকে হারানোর জন্য নির্দলরা রীতিমতো উঠেপড়ে লেগেছেন। জেলায় জেলায় তৃণমূল-নির্দলদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে নির্দল প্রার্থীর এই উদ্যোগকে গেরুয়া শিবির কুর্ণিশ জানিয়েছে।

    ফ্লেক্সে এভাবে প্রচার নিয়ে কী বললেন নির্দল প্রার্থী?

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, মদনবাবু দীর্ঘদিনের বিজেপি (BJP) কর্মী। কোলাঘাট মণ্ডল ৪ এর সাধারণ সম্পাদক পদেও ছিলেন তিনি। মনোনয়নপত্র পার্টির অনুমতি নিয়েই জমা করেন তিনি। তবে, শেষ মুহূর্তে অজ্ঞাত কোনও কারণে দলের টিকিট তিনি পাননি। সেই জায়গায় কোলাঘাট পঞ্চায়েত সমিতির ২৩ নম্বর সিটে বিজেপির টিকিট পান বিশ্বজিৎ মণ্ডল। তবে, এই ঘটনার পরই মদনবাবু নির্দল প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হন। মদনবাবু বলেন, শেষ মুহূর্তে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার সুযোগ হয়নি আমার। পাশাপাশি টোটো চিহ্নে নির্দল প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হই। কোলাঘাটের কুশাড়, যোগীবেড়, পয়াগ, ধর্মবেড়, ক্ষেত্রহাট, পারুলিয়া ও পাথুরিয়া বুথ এলাকায় ফ্লেক্স টাঙিয়ে আমাকে ভোট না দেওয়ার অনুরোধ করছি। তিনি ফ্লেক্সের মাধ্যমে এই বার্তাই দিচ্ছেন, তাঁকে যেন ভোট না দেওয়া হয়। তিনি বলেন, আমি বিজেপিতে ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব। 

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    মদনবাবুর এই অভিনব উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপির কোলাঘাট ব্লক কনভেনর তথা বিজেপির (BJP) জেলা সহ সভাপতি তুষার দোলই। তিনি বলেন, মদনবাবু দলের সক্রিয় কর্মী। তিনি দলের স্বার্থে যে ভাবে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন তা প্রশংসার যোগ্য। তিনি দলের অন্য কর্মীদের কাছে কার্যত উদাহরণ হয়ে উঠেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share