Tag: Madhyom

Madhyom

  • BJP: সবংয়ে বিজেপির বুথ সভাপতিকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    BJP: সবংয়ে বিজেপির বুথ সভাপতিকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সবং-এর বলপাই এলাকায় বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতির ঝুলন্ত দেহ ঘিরে চাঞ্চল্য। ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করেছে সবং থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরেই এলাকার তৃণমূল নেতারা রাজনৈতিক হুমকি, সন্ত্রাস চালাচ্ছিল এই পরিবারের ওপর। তাঁর জমিতে তৃণমূল দীর্ঘদিন চাষ বন্ধ করে দিয়েছিল। এই ঘটনায় স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছে। তারা জানিয়েছে, রাজ্য পুলিশের তদন্তে তাদের কোনও আস্থা নেই। এই ঘটনার পর পরিবারে উঠেছে কান্নার রোল। এলাকা জুড়েও শোকের ছায়া। গোটা ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

    কী অভিযোগ করল বিজেপি (BJP)?

    বিজেপির দাবি, সবং-এর বলপাই ৯ নম্বর অঞ্চলের বুথ সভাপতি দীপক সামন্তকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজেপির (BJP) তরফে অভিযোগ আনা হয়েছে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তন্ময় দাস বলেন, ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়নি। তাঁকে খুন করা হয়েছে। ২০২১ সালের ২ মে, আমরা যখন বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যাই, তখন থেকে এঁর চাষ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এঁর ওপর প্রচণ্ড অত্যাচার করা হয়েছে। আমরা মানবাধিকার কমিশনে জানিয়েছি। আমাদের কাছে সেই সংক্রান্ত সমস্ত আবেদনপত্র আছে। এখনও পর্যন্ত তাঁর জমি আটকে রাখা হয়েছে, চাষ করতে দেওয়া হয়নি। তিন-চার দিন আগে আমাদের নেতারা যখন ওখানে প্রচারে গিয়েছিল, তখন উনিও সেই প্রচারে ছিলেন। এরপর তাঁকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হয়, যদি তিনি তৃণমূলে না আসেন, তা হলে তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। ওনার স্ত্রীকে পর্যন্ত সাদা থান পরানোর হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সেই ভিডিও আমাদের কাছে আছে। গত ২৫ তারিখ উনার বাবা মারা গেলে দাহ পর্যন্ত করতে দেওয়া হয়নি। এরপর এলাকার তৃণমূল নেতা তাঁর বাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে ব্যাপক নির্যাতন চালায়। তারপরই উদ্ধার হল দেহ।

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার (BJP)?

    উল্লেখ্য, বিভিন্ন জায়গায় মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় থেকেই রাজনৈতিক সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠে আসছে। কোথাও বিরোধীদের মনোনয়নপত্র জমা না দিতে দেওয়া, আবার কোথাও বিরোধী প্রার্থীদের মারধর এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। সবংয়ে বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের প্রসঙ্গ টেনে সুকান্ত মজুমদার বলেন, গোটা রাজ্য জুড়ে শাসক দল রক্তের হোলি খেলছে। আর তারা যদি এই খেলা বন্ধ না করে, তাহলে বিজেপিও বাধ্য হয়ে এই খেলায় নামবে। তখন যেন প্রশাসন বা কমিশন বিজেপিকে কিছু না বলতে আসে।

    কী জবাব দিল তৃণমূল?

    যদিও এই ঘটনায় অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে শাসক দল তৃণমূল। জেলা তৃণমূল কো-অর্ডিনেটের অজিত মাইতির দাবি, এটি একটি আত্মহত্যার ঘটনা। একটি মৃত্যুকে সম্পূর্ণ রাজনীতির রং লাগানোর চেষ্টা করছে বিজেপি (BJP)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: তৃণমূল রক্তের হোলি খেললে বিজেপিকেও সেই খেলায় নামতে হবে, চরম হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    BJP: তৃণমূল রক্তের হোলি খেললে বিজেপিকেও সেই খেলায় নামতে হবে, চরম হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যদি তৃণমূল কংগ্রেস ভাবে রক্তের হোলি খেলবে, তাহলে বিজেপিকেও (BJP) সেই খেলায় নামতে হবে। তখন যেন আমাদের কেউ দোষ না দেয় যে বিজেপি আইন-শৃঙ্খলা মেনে চলছে না। কমিশন ব্যবস্থা না নিলে বিজেপি বাধ্য হবে ব্যবস্থা নিতে। বৃহস্পতিবার নদিয়ার নবদ্বীপে একটি নির্বাচনী মিছিলে এসে রাজ্যে শাসক দল ও কমিশনকে আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন নবদ্বীপের শ্যামপুর বাজার থেকে রাওতারা পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার রাস্তা দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে মিছিল করেন তিনি।

    ঠিক কী বললেন সুকান্ত মজুমদার (BJP)?

    উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরেই গোটা রাজ্য জুড়ে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব প্রচারে নেমে পড়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় থেকেই রাজনৈতিক সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠে আসছে। কোথাও বিরোধীদের মনোনয়নপত্র জমা না দিতে দেওয়া, আবার কোথাও বিরোধী প্রার্থীদের মারধর এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। গতকাল মেদিনীপুরের সবংয়ে বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সেই প্রসঙ্গ টেনে সুকান্ত মজুমদার বলেন, গোটা রাজ্য জুড়ে শাসক দল রক্তের হোলি খেলছে। আর তারা যদি এই খেলা বন্ধ না করে, তাহলে বিজেপিও বাধ্য হয়ে এই খেলায় নামবে। তখন যেন প্রশাসন বা কমিশন বিজেপিকে কিছু না বলতে আসে।

    উদয়ন গুহ এবং মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ

    কোচবিহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সীমান্ত এলাকা জুড়ে যত তৃণমূলের নেতা রয়েছেন, সবাই চোরাচালানোর সঙ্গে যুক্ত। তারা চায় জোর করে পঞ্চায়েত দখল করতে। কারণ বিএসএফের নিয়ম অনুসারে জন প্রতিনিধিদের কথা কিছুটা হলেও তাদের শুনতে হয়। আর এর মাথায় রয়েছেন উদয়ন গুহ। তিনি বলেন, যতদিন পর্যন্ত এই গুন্ডা তৃণমূলে থাকবে, ততদিন এই চোরাকারবার এবং সংঘর্ষ চলবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (BJP) বলেন, তিনি সব সময় বিএসএফ থেকে শুরু করে আর্মিদেরও টার্গেট করে মন্তব্য করেন। কিন্তু জীবন বাঁচানোর সময় এলে আর্মি বাঁচায়। মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার বিপদে পড়েছিল। তখন আর্মি ক্যাম্পে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে নামতে হয়েছিল। আবার বলতে হল আমার ছোটবেলায় আর্মিতে কাজ করা খুব ইচ্ছে ছিল। যার ইচ্ছা থাকবে, সে কখনও আর্মি সম্পর্কে এই ধরনের কথা বলে? যখন সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়েছিল, তখন ইমরান খান এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা মিলে গিয়েছিল।

    পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অসুস্থতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা চাই মুখ্যমন্ত্রী যত দ্রুত সম্ভব সুস্থ হয়ে রাজনীতির ময়দানের নামুক। ভালো খেলোয়াড় না হলে খেলে মজা হয় না। উনাকে মুখ্যমন্ত্রী থাকা অবস্থায় হারাবো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Saayoni Ghosh: ইডির নোটিস মেলার পর থেকেই ‘ভ্যানিশ’ সায়নী! শুক্রবার হাজিরা দেবেন কি?

    Saayoni Ghosh: ইডির নোটিস মেলার পর থেকেই ‘ভ্যানিশ’ সায়নী! শুক্রবার হাজিরা দেবেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির তলব পাওয়ার পর থেকেই উধাও সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)। বাড়িতেও নেই আবার দলীয় কর্মসূচিতেও গরহাজির তিনি। তৃণমূলের একাংশের দাবি, তাঁরা অনেক চেষ্টা করেছেন কিন্তু যোগাযোগ করা যাচ্ছেনা যুব সভানেত্রীর সঙ্গে। কোথায় রয়েছেন সায়নী? এই প্রশ্নেই আপাতত চলছে জোর জল্পনা। শুক্রবার সায়নীকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করেছে ইডি। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের সুবিধাভোগীদের মধ্যে সায়নী অন্যতম। আরও জানা যাচ্ছে, কুন্তলের চাকরি বিক্রি করা টাকায় দক্ষিণ কলকাতায় বেশ কয়েকটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কেনেন অভিনেত্রী। শুধু তাই নয়, কোনও কোনও মহলের দাবি, একটি বিলাসবহুল আবাসনে তিনটি ফ্ল্যাট জুড়ে সায়নীকে ১টি ফ্ল্যাট বানিয়ে দেন কুন্তল। তৃণমূলের একাংশ বলছে, তার পরই সংগঠনে কুন্তলের রকেটের গতিতে উত্থান ঘটে।

    বুধবার সকাল থেকেই উবে গেছেন সায়নী (Saayoni Ghosh)

    মঙ্গলবারই ইডি নোটিশের কথা জানতে পারেন সায়নী। তৃণমূলের তরফে জানা গিয়েছে, ওই দিন তিনি পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের মাঝেরগ্রামে দলীয় কর্মসূচিতে ছিলেন। বুধবার একাধিক দলীয় কর্মসূচি থাকলেও সবজায়গায় গরহাজির থেকেছেন তিনি। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর বিধানসভা এলাকায় তাঁর প্রচার কর্মসূচি থাকলেও গরহাজির ছিলেন তিনি। অন্যদিকে, বুধবার উলটো রথে বেলেঘাটায় দুর্গাপুজোর খুঁটিপুজোয় হাজির থাকার কথা ছিল সায়নীর। কিন্তু সেখানেও দেখা পাওয়া যায়নি অভিনেত্রীর।

    সায়নীর বাবা কী বলছেন?

    প্রতিক্রিয়া নিতে বুধবার সকালেও সায়নীর বাড়ি যান একাধিক সাংবাদিক। কিন্তু সায়নীর দেখা মেলেনি। বাড়িতে ছিলেন অভিনেত্রীর বাবা। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘সায়নী (Saayoni Ghosh) বাড়িতে নেই। সকাল ৮.৩০টায় গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে।’’  বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীও জানান একই কথা।

    বঙ্গ বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    এই আবহে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “উনি বোধ হয় ভয় পেয়েছেন। এরপর সিনেমা বেরবে সায়নী অন্তর্ধান রহস্য।” তাঁর আরও সংযোজন, “শুনেছি সায়নী যে গাড়ি চড়েন সেটা কুন্তলের টাকায় কেনা। কিন্তু কেন এরকম একজন অভিয়ুক্তের টাকায় গাড়ি চড়েন সায়নী, সেটা উনি বলতে পারবেন।”

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাষায় ‘‘ভাইপোর সাগরেদ কুন্তল এই ভদ্রমহিলাকে বিরাট ফ্ল্যাট দিয়েছে, গাড়ি দিয়েছে, চুরির উচ্ছিষ্টের ভাগ পেয়েছেন। ইডির শুধু ডাকলে হবে না। এদেরকে ভেতরে ঢোকাতে হবে। গাড়ি, ফ্ল্যাট নিলাম করে সরকারের খাতে জমা করাতে হবে।’’

    বৃহস্পতিবার সকালে নিউটাউন প্রাতঃভ্রমনে এসে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘তৃণমূল যুব আছে কোথায়? সায়নী ঘোষ নেত্রী হতে গেছিল। তিনি আজ কোথায়? ওনাকে প্রেসিডেন্ট করিয়ে তারপর সরানো হয়েছে। আমার মনে হয়, উনি ঠিকমত টাকাপয়সা সাপ্লাই করতে পারছিলেন না বলে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যা করেছেন, তার তো জবাব দিতে হবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: প্রচার করা যাবে না, দেওয়া যাবে না এজেন্ট, তৃণমূলের ফরমান বিজেপি প্রার্থীকে

    Panchayat Vote: প্রচার করা যাবে না, দেওয়া যাবে না এজেন্ট, তৃণমূলের ফরমান বিজেপি প্রার্থীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবারই রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি যে একের পর এক সন্ত্রাসের ঘটনায় যথেষ্ট উদ্বিগ্ন, সে কথাও জানিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু তার পরেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের যেন অন্ত নেই। ফের বিজেপি প্রার্থীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় কাঁকসার বনকাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের (Panchayat Vote) ডাঙাল এলাকায়।

    কী অভিযোগ (Panchayat Vote) বিজেপি প্রার্থী এবং নেতৃত্বের?

    কাঁকসার বনকাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২১ নম্বর বুথের বিজেপি মনোনীত প্রার্থী বিনয় বিশ্বাসের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার দুপুরে তৃণমূল কর্মীরা এলাকায় প্রচারে বেরিয়ে তাঁর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে নানাভাবে হুমকি দেয়। বিজেপি প্রার্থী হলেও এলাকায় প্রচার না করার জন্য এবং নির্বাচনের দিন বুথে কোনও রকম এজেন্ট না বসানোর কথাও বলেছে তৃণমূল কর্মীরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বিনয় বিশ্বাস ও তার পরিবারের লোকজন। ঘটনার কথা দলের উচ্চ নেতৃত্বকে জানানোর পর কাঁকসা থানার দ্বারস্থ হন তিনি।
    বর্ধমান সদরের বিজেপির জেলার সহ-সভাপতি রমন শর্মার অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দলের পায়ের তলায় মাটি নেই। সেই কারণেই চারদিকে খুন, সন্ত্রাস, হুমকি চলছে। বাদ যায়নি কাঁকসা এলাকা। কাঁকসায় তাঁদের প্রার্থীদের (Panchayat Vote) নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে তাঁর অভিযোগ। তিনি জানিয়েছেন, প্রশাসনকে এই বিষয়ে জানানোর পর যদি কোনও রকম ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয়, তবে আগামী দিনে তাঁরা নিজেরাই নিজেদের ব্যবস্থা করবেন।

    কী বলছে তৃণমূল নেতৃত্ব (Panchayat Vote)?

    যদিও তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ (Panchayat Vote) অস্বীকার করেছেন কাঁকসা ব্লকের তৃণমূলের সহ-সভাপতি হিরন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, যে বিজেপি প্রার্থী অভিযোগ করছেন যে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়েছে, সেই বিজেপি প্রার্থী তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন এবং তৃণমূলে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। যেহেতু তাঁকে তৃণমূলে যোগদান করানো হয়নি এবং কোনওভাবে প্রার্থী করা হয়নি, সেই কারণেই বিজেপির ওই প্রার্থী তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: তুফানগঞ্জে বিজেপির প্রার্থী সহ একাধিক কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: তুফানগঞ্জে বিজেপির প্রার্থী সহ একাধিক কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের উত্তপ্ত কোচবিহার। এবার কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জের রামপুর এলাকা উত্তপ্ত হল। বিজেপির পঞ্চায়েত প্রার্থী সহ মোট চারজন বিজেপি কর্মীর (BJP) বাড়ি ও একটি দোকানে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বাইক বাহিনীর বিরুদ্ধে। বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বক্সিরহাট থানার জোরাই ফাঁড়ির পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে তুফানগঞ্জ-২ নম্বর ব্লকের, রামপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের গড়ভাঙা ও ঢোঢারকুঠি  এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও বিজেপি (BJP) সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় তুফানগঞ্জ-২ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতি তথা জেলা পরিষদের প্রার্থী নিরঞ্জন সরকারের নেতৃত্বে বাইক বাহিনী টহল দেয় গোটা রামপুর এলাকায়। সেই সময় প্রথমে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের ঢোঢারকুঠি ৯/৫৫ নম্বর বুথে সুব্রতলাল সরকারের ধান ঝারাই করার দোকানে বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ ভেঙে ফেলা হয়। তাঁর দোকানের সামনে রাখা বাইক ভাঙচুর চালিয়ে নয়ানজুলিতে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঠিক তার পরেই ৯/৫০ নম্বর বুথের গড়ভাঙ্গা বাতানবাড়ি এলাকার বিজেপি পঞ্চায়েত প্রার্থী দুলালী সাহা, বিজেপি কর্মী অখিল সাহা, গোপাল সাহা, নিখিল বিশ্বাসের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বাইক বাহিনীর বিরুদ্ধে। ভাঙচুর চালানো হয় ওই বিজেপি কর্মীদের ঘরে থাকা আলমারি, টিভি, ঘরের টিনের বেড়া সহ সমস্ত আসবাবপত্রে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এলাকায়। বিজেপি কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পাশাপাশি এলাকার লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

    কী বললেন আক্রান্ত বিজেপি (BJP) কর্মী?

    আক্রান্ত বিজেপি কর্মী সুব্রতলাল সরকার বলেন, বিজেপি (BJP)  করা আমার অপরাধ। সেই কারণে আমার দোকানে হামলা চালায় তৃণমূলের তুফানগঞ্জ-২ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতি তথা জেলা পরিষদের প্রার্থী নিরঞ্জন সরকার ও তার দলবল। হামলা চালানোর পাশাপাশি আমাকে প্রাণে মারার হুমকিও দেওয়া হয়।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    বিষয়টি নিয়ে তুফানগঞ্জ-২ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতি নিরঞ্জন বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সঠিক নয়। এই ঘটনার সঙ্গে আমার কোনও যোগাযোগ নেই। বিজেপি (BJP) আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Governor: নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করাটা তাঁর কাছে চ্যালেঞ্জ, জানিয়ে দিলেন রাজ্যপাল

    Governor: নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করাটা তাঁর কাছে চ্যালেঞ্জ, জানিয়ে দিলেন রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে হাইকোর্টের নির্দেশ মতো নির্বাচন কমিশন কাজ করছে কিনা, রাজ্যপাল (Governor) হিসাবে সেটা দেখতে আমি বাধ্য। কেননা এটা আমার ডিউটি (Duty)। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যা ঘটে চলেছে, তা অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার ক্ষেত্রে সমস্যার বলেও তিনি মনে করেন। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি স্টেট গেস্ট হাউসে বিজেপির নেতৃত্বে পাহাড়ের জোট শরিকদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

    পাহাড়ের জোট শরিকরা রাজ্যপালকে (Governor) কী জানাল?

    এদিন দার্জিলিংয়ের সাংসদ বিজেপির রাজু বিস্তার নেতৃত্বে পাহাড়ের গোর্খা জোটের আট দলের প্রতিনিধিরা রাজ্যপালের (Governor) সঙ্গে দেখা করে পাহাড়ের পরিস্থিতি জানান। রাজু বিস্তা বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গোটা রাজ্যে শাসক দল সন্ত্রাস চালাচ্ছে। রক্ত ঝরছে। দার্জিলিং, কালিম্পংয়েও একই পরিস্থিতি। আমাদের জোট প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা ও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য নানা ধরনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। দেখানো হচ্ছে টাকার প্রলোভন। এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমরা রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ চেয়েছি। 
    রাজু বিস্তা বলেন, এই বিষয়গুলি আমি জেলা প্রশাসন তথা রাজ্য নির্বাচন আধিকারিকদেরও জানিয়েছি। কিন্তু কোনও সাড়া পাইনি। এদিন আমাদের বক্তব্য শোনার পর রাজ্যপাল সন্তোষজনক সাড়া দিয়েছেন। নির্বাচন পরবর্তীকালে যাতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকে, তার জন্য গোটা রাজ্যে নির্বাচনের পর ছয় সপ্তাহ আধা সামরিক বাহিনীর রেখে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছি রাজ্যপালের কাছে। কেননা ২০২১  সালে বিধানসভা নির্বাচনের পর শাসক দল বিরোধীদের ওপর হামলা চালিয়েছে, খুন করেছে। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই আমাদের এই আবেদন।

    কী বললেন রাজ্যপাল (Governor) সিভি আনন্দ বোস?

    রাজ্যপাল (Governor) সিভি আনন্দ বোস বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ মতো পঞ্চায়েত নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতেই হবে। কিন্তু যা ঘটে চলেছে, তা এই লক্ষ্যপূরণের ক্ষেত্রে সমস্যার। তাই গ্রাউন্ড জিরো লেভেলে গিয়ে আমাকে গোটা পরিস্থিতি দেখতে হবে। আক্রান্তদের সঙ্গে আমাকে কথা বলতে হবে। কারণ অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাটা সাংবিধানিক চ্যালেঞ্জ। এটা গণতন্ত্র এবং দেশবাসীর কাছেও চ্যালেঞ্জ। মানুষকে ভোটদানের অবাধ সাংবিধানিক অধিকার দিতে হবে। রাজ্যপাল হিসেবে এটা দেখা আমার ডিউটি (Duty)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: ভোট এলেই প্রতিশ্রুতির বন্যা, জীবনের আঁধার আজও কাটল না!

    Dakshin Dinajpur: ভোট এলেই প্রতিশ্রুতির বন্যা, জীবনের আঁধার আজও কাটল না!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের পর ভোট আসে, আসেন নেতারাও। তারপর ভোট যায়, আর দেখা পাওয়া যায় না তাঁদের। বছরের পর বছর সেই আঁধারেই থেকে যান সীমান্ত অঞ্চলের বাসিন্দারা। কাঁটাতারে আটকে গিয়েছে তাঁদের স্বাধীনতাও। ভারতীয় ভূখণ্ডে বাস করেও ভারতীয় হওয়ার স্বাদ নিতে পারেন না তাঁরা। সমস্যার সুরাহা হওয়ার প্রতিশ্রুতি মেলে, কিন্তু সুরাহা মেলে না বলেই আক্ষেপ স্থানীয় বাসিন্দাদের। আবারও ভোট আসছে। প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দলের তরফ থেকে প্রার্থীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে আশ্বাস দিচ্ছেন। তবে এবার আর নিছক আশ্বস্ত হয়ে থামতে চান না তাঁরা। সীমান্তবর্তী এই এলাকার সমস্যার পুরোপুরি সমাধান চাইছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি থানা এলাকার ওই সব গ্রামের বাসিন্দারা। দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলার তিন দিকে রয়েছে বাংলাদেশের সীমান্ত। দৈর্ঘ্যে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার সেই সীমান্ত। তার মধ্যে এখনও ৩০ কিলোমিটার এলাকায় নেই কাঁটাতার। আর অন্যদিকে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি থানা এলাকাতেই বেশ কয়েকটি গ্রাম রয়েছে, যা কাঁটাতারের ওপারে। ভারতীয় হলেও গ্রামগুলির বাসিন্দারা দিনের পর দিন এক অদ্ভূত সঙ্কটে কাটাচ্ছেন। ফলে ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হলেও এখনও স্বাধীনতার স্বাদ অধরা তাঁদের কাছে।

    কী অভিযোগ গ্রামবাসীদের (Dakshin Dinajpur)?

    গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সীমান্তে ওই এলাকায় বাস করার কারণে তাঁরা সাধারণ ভারতীয়ের মতো সুযোগ পান না। বঞ্চিত হন অনেক সুবিধা থেকেও। স্বাধীনভাবে চলাচল করার সুযোগ পর্যন্ত তাঁদের নেই। গ্রামবাসীরা (Dakshin Dinajpur) জানান, বিএসএফ-এর তল্লাশির সময় তাঁদের হয়রানির মুখে পড়তে হয়। পানীয় জল বা রাস্তা, সব ক্ষেত্রে বেহাল অবস্থা। সরকারি প্রকল্পের সুযোগসুবিধা ঠিকমতো মেলে না বলেও অভিযোগ। বিশেষত পড়ুয়াদের অবস্থা আরও খারাপ। একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর গ্রামে প্রবেশ করতেও তাঁদের বাধা দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। এ নিয়ে পড়ুয়াদের মধ্যে রয়েছে ক্ষোভ।

    কী বলছেন বিজেপি এবং তৃণমূল নেতৃত্ব (Dakshin Dinajpur)?

    বিজেপি বিধায়ক বুধরাই টুডু এই প্রসঙ্গে বলেন, সীমান্ত (Dakshin Dinajpur) এলাকায় চলাচলের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম আছে, যেগুলো সবাইকেই মেনে চলতে হয়। তিনি জানিয়েছেন, সীমান্তে নতুন করে কাঁটাতার দেওয়া হবে, আর সেগুলি থাকবে গ্রামগুলির পিছন দিয়ে। তাহলে সমস্যা মিটবে বলেই মনে করেন তিনি। তবে তৃণমূলের দাবি, ভোটের সময় নয়, সারা বছরই খোঁজখবর করা হয়। হিলির তৃণমূল ব্লক সভাপতি মিহির সরকার বলেন, “ভোটের আগে এবং পরে আমরা নিয়মিত যাই গ্রামে। এবার গ্রামকে বাঁচিয়ে নতুন করে কাঁটাতারের বেড়া তৈরি হবে। তবে সীমান্তের বিষয়টি মূলত কেন্দ্রের অধীন। সেখানে রাজ্যের কিছু করার থাকে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: পঞ্চায়েত ভোটের আগে জলপাইগুড়িতে তৃণমূলে ফের ভাঙন, বিজেপিতে যোগদান বহু পরিবারের

    BJP: পঞ্চায়েত ভোটের আগে জলপাইগুড়িতে তৃণমূলে ফের ভাঙন, বিজেপিতে যোগদান বহু পরিবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূলকে একদমই পছন্দ নয়। সেই কারণে জলপাইগুড়ির বারোপাটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বহু তৃণমূল কর্মী-সমর্থক বিজেপিতে (BJP) যোগদান করলেন। বারোপাটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ফাটাপাড়া এলাকায় এই যোগদান পর্ব হয়। অন্যদিকে, বুধবার ময়নাগুড়িতে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সহ বহু দলীয় কর্মী বিজেপিতে যোগ দেন। ভোটের আগে তৃণমূলের এই ভাঙনে শাসক দলের নিচুতলায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) কারা যোগদান করলেন?

    বৃহস্পতিবার বারোপাটিয়া অঞ্চলের পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের বিজেপি প্রার্থীরা বোদাগঞ্জের মা ভ্রামরী দেবী মন্দিরে পুজো দেন। সেখানেই এই যোগদান পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এদিন মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর মন্দিরের মুখ্য পূজারি লালবাবার আশীর্বাদ গ্রহণ করেন তাঁরা। এরপর ফাটাপাড়া ১৮/১৭০ নম্বর বুথে বিজেপির যোগদান সভা হয়। সেখানেই স্থানীয় কুড়িটি পরিবারের লোকজন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগ দেন। অন্যদিকে, একই ইস্যুতে বুধবার ময়নাগুড়ি ব্লকেও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেয় বেশ কিছু পরিবার। ময়নাগুড়ি ব্লকের দোমহনী ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৬/৬০ নং বুথে এই যোগদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। জানা যায়, ওই অঞ্চলের তৃণমূলের অঞ্চলের ছাত্র কমিটির সভাপতি ছিলেন শ্রীবাস চন্দ। কিন্তু তাঁদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ এবং দুর্নীতির প্রতিবাদে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ক্ষুব্ধ তৃণমূল যুবনেতারা বিজেপিতে (BJP) যোগদান করেন। এদিন প্রায় ২৩ টি পরিবারের সঙ্গে শতাধিক কর্মী বিজেপিতে যোগদান করেন। যোগদানের পর শাসক দলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হন তাঁরা। যোগদানকারীদের একজন গৌতম রায় বলেন, গত পাঁচ বছরে তৃণমূল যা দুর্নীতি করেছে সেই দুর্নীতি আমরা কোনও ভাবেই মানতে পারছি না। তাই দুর্নীতিমুক্ত এলাকা গড়ে তুলতে বিজেপিতে যোগদান করেছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    স্থানীয় তৃণমূল নেতা জয়ন্ত রায় বলেন, যারা বিজেপিতে (BJP) যোগদান করেছেন, তাঁরা কেন করেছেন সেটা আমার জানা নেই। এতে আমাদের দলের কোনও ক্ষতি হবে না। কারণ, তৃণমূল এলাকায় যা উন্নয়ন করেছে, সেই নিরিখে মানুষ তৃণমূলের পক্ষেই ভোট দেবে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিষয়টি নিয়ে বিজেপির (BJP) রাজগঞ্জ ব্লকের ১১ নম্বর আসনের বিজেপি প্রার্থী পরিবহণ মণ্ডল বলেন, বিজেপিতে যোগ দিয়ে তৃণমূলের দুর্নীতি, অত্যাচারের বিরুদ্ধে যোগদানকারীরা প্রতিবাদ জানালেন। দলে তাঁদের স্বাগত জানাই। তৃণমূল রাজ খতম করতে রাজ্যের সব জায়গাতেই এই ভাবে মানুষ তৃণমূলে যোগদান করছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Poll: এনআইএ হানায় তৃণমূল প্রার্থীর বাড়ির মধ্যে মিলল প্রচুর বিস্ফোরক!

    Panchayat Poll: এনআইএ হানায় তৃণমূল প্রার্থীর বাড়ির মধ্যে মিলল প্রচুর বিস্ফোরক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বোমা বাঁধতে গিয়ে এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়। তার জের কাটতে না কাটতেই এবার পাশের জেলা বীরভূমের নলহাটিতে তৃণমূল প্রার্থীর খাদানের একটি বাড়ি থেকে মিলল প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক। পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Poll) আগে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে নলহাটির বাহাদুরপুরে হানা দেয় এনআইএ। তাঁর বাড়ি থেকে বিস্ফোরক জিলেটিন স্টিক, ডিটোনেটর, একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার হয়। ঘটনার পর থেকেই পলাতক তৃণমূল প্রার্থী। স্বভাবতই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    নলহাটি এলাকায় যতগুলি পাথর খাদান রয়েছে, তার বেশিরভাগের কোনও সরকারি অনুমতি নেই। অথচ বেআইনি পথেই জিলেটিন স্টিক, ডিটোনেটর দিয়ে খাদানের পাথরে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ব্যবসা চলে। কিছুদিন আগেই ওই এলাকায় রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টিম একটি বড়সড় বিস্ফোরক পাচারকারী দলকে গ্রেফতার করে। পরে যার তদন্তভার নেয় এনআইএ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই নলহাটি এলাকার কোন কোন এলাকায় বিস্ফোরক মজুত রয়েছে তার তল্লাশি চালাচ্ছে এনআইএ। সেভাবেই বুধবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল নলহাটির বাহাদুরপুর এলাকার একটি পাথর খাদানে হানা দেয়। সেখানকার অফিসটি এলাকার পাথর ব্যবসায়ী তথা এবারের প্রার্থী মনোজ ঘোষের। বিকেল সাড়ে তিনটে পর্যন্ত তল্লাশি চলে। এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, অফিসে সে সময় মনোজ ঘোষের ম্যানেজার পার্থকুমার মণ্ডল উপস্থিত ছিলেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে সঙ্গে নিয়েই পিছনের একটি প্রায় পরিত্যক্ত বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। সাড়ে আট ঘণ্টা তল্লাশি চালানোর পরে দুটি ব্যাগে জিলেটিন স্টিক ও ডিটোনেটর ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে যায় এনআইএ। তবে তাতে কত পরিমাণ বিস্ফোরক ছিল, তা জানা যায়নি। যাওয়ার আগে ঘর দুটি সিলও করে দিয়ে যায় এনআইএ। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Poll) আগে তৃণমূল প্রার্থীর বাড়ির মধ্যে থেকে বিস্ফোরক উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই ঘটনার জেরে তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, এটা পরিকল্পিত চক্রান্ত। একটি পরিত্যক্ত ঘরে কী উদ্ধার করল এনআইএ, তা তাঁরা জানেন। কিন্তু, পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Poll) আগে চক্রান্ত করে তৃণমূলকে জড়িয়ে জেলায় আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

    কী বললেন বিজেপির জেলা নেতৃত্ব?

    বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা জানান, পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Poll) ঘোষণার পরে জেলা জুড়ে অস্ত্র, হাত বোমা উদ্ধার হচ্ছে। যা মজুত করছে তৃণমূল। পুলিশ সব জেনেও চুপ। কেন্দ্রীয় দল এসে উদ্ধার করছে। পুলিশ সেখানে নীরব কেন? তিনি দাবি করেন, সারা জেলায় কোনায় কোনায় প্রচুর বোমা, অস্ত্র মজুত আছে। ভোটের আগে এভাবে অস্ত্র উদ্ধার তারই প্রমাণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Skin Infection: বর্ষায় বাড়ছে ত্বকের সংক্রমণ! কাদের ঝুঁকি বেশি?

    Skin Infection: বর্ষায় বাড়ছে ত্বকের সংক্রমণ! কাদের ঝুঁকি বেশি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    লাগাতার বৃষ্টি। ভিজে আবহাওয়া। এক সপ্তাহের মধ্যেই বদলে গিয়েছে তাপমাত্রার পারদ! কিন্তু বর্ষাকালে ত্বকের বাড়তি যত্নের প্রয়োজন। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই সময়ে বাড়ছে নানান ত্বকের সমস্যা (Skin Infection)। বিশেষত, এই সময়ে ছত্রাকঘটিত ত্বকের সমস্যা বাড়ে। তাই বাড়তি যত্ন জরুরি।

    কেন বাড়ে ত্বকের সমস্যা (Skin Infection)? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বর্ষায় ভিজে ভাব বাড়ে। তাই এই সময়ে নানান ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের (Skin Infection) ঝুঁকি বাড়তে থাকে। তার জেরেই হয় ত্বকের সমস্যা। তাছাড়া, বর্ষায় অনেক সময় জামা-কাপড় ভালোভাবে শুকনো হয় না। ফলে, স্যাঁতস্যাঁতে ভাব থাকে। তার জেরে ছত্রাক ঘটিত ত্বকের সমস্যা দেখা দেয়। উল্লেখ্য, সূর্যের তাপে নানা ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক ঘটিত সংক্রমণের প্রকোপ কমে। বর্ষায় হয় ঠিক উল্টোটা। তাই বর্ষায় ত্বকের বাড়তি যত্ন জরুরি।

    কী ধরনের সমস্যা দেখা যায়? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হাত, পা ও শরীরের যেসব অংশে ভাঁজ আছে, বেশির ভাগ সেই সব জায়গাতেই ছত্রাক ঘটিত ত্বকের সংক্রমণের (Skin Infection) ঝুঁকি থাকে। তাছাড়া, কানেও হতে পারে সংক্রমণ। অনেক সময় চোখের নিচেও সংক্রমণ হয়। চুলকানি, লাল হয়ে যাওয়া, চামড়া খসখসে হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা এই সময়ে বেশি দেখা যায়।

    কাদের ঝুঁকি বেশি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যাঁরা জলে বেশি কাজ করেন, তাঁদের এই ধরনের ত্বকের সমস্যা (Skin Infection) হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। বিশেষত, বাড়ির মহিলাদের যেহেতু বেশি জল ব্যবহার করতে হয়, তাই তাঁদের হাত ও পায়ের আঙুলের ফাঁকে এই ধরনের ত্বকের সমস্যা বেশি দেখা যায়। বিশেষত ৫০ বছরের বেশি বয়সি মহিলাদের মধ্যে এই ধরনের ত্বকের সমস্যা বেশি দেখা যায় বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল।

    বর্ষায় কীভাবে ত্বকের যত্ন নেবেন? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বর্ষায় ত্বক পরিচ্ছন্ন রাখতে বাড়তি যত্ন নেওয়া দরকার। তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত হাত ও পায়ের আঙুলের ফাঁকে ক্রিম মাখতে হবে। ত্বক যাতে শুষ্ক না হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে। পাশাপাশি নিয়মিত ভালোভাবে স্নান করতে হবে। ত্বক পরিষ্কার রাখতে নিয়মিত স্নান জরুরি। দেহের কোনও অংশ লাল হয়ে গেলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। যাতে  র‍্যাশ বেশি না ছড়িয়ে পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তবেই এই সংক্রমণের (Skin Infection) ঝুঁকি কমানো যাবে। 
    তবে, খাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ নজরদারি জরুরি। কারণ, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন ত্বকের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। চিকিৎসকদের পরামর্শ, নিয়মিত টক দই খাওয়া জরুরি। পাতে নিয়মিত টক দই যেমন লিভার সুস্থ রাখতে সাহায্য করে, তেমনি ত্বক সুস্থ রাখে। আবার নিয়মিত লেবু খেলেও ত্বক ভালো থাকে। নানান সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। কারণ, লেবুতে ভিটামিন সি থাকে। যা ত্বক সুস্থ রাখতে খুব জরুরি!

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share