Tag: Madhyom

Madhyom

  • Murshidabad: “জীবনের সুরক্ষার দায়িত্ব কে নেবে?” কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে বিক্ষোভ ভোটকর্মীদের

    Murshidabad: “জীবনের সুরক্ষার দায়িত্ব কে নেবে?” কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে বিক্ষোভ ভোটকর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটকর্মীদের ট্রেনিং সেন্টারে এসে বিক্ষোভ দেখাল মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। ট্রেনিংয়ে আসা ভোটকর্মীরা বলেন, ‘কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহার, আর কেউ নয় রাজকুমার’। এরপর বিশেষ চিঠিও লেখা হয় কমিশনকে।

    কেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি?

    ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল এক দফায়। উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘির এক স্কুল শিক্ষক ছিলেন রাজকুমার রায়। বুথের প্রিসাইডিং অফিসার রাজকুমার রায় ভোট করতে গিয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেননি। তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ পাওয়া গিয়েছিল রেল লাইনের ধারে। তাঁর মৃত্যুকে প্রশাসন সেই সময় আত্মহত্যা বললেও সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ এই ঘটনাকে রাজনৈতিক দুষ্কৃতীদের দ্বারা বিশেষ হত্যাকাণ্ড বলেই দাবি করেছে। রাজ্যে ইতিমধ্যেই মনোনয়ন জমা থেকে পরীক্ষা পর্যন্ত ভোটের আবহে রাজনৈতিক পরিস্থিতি খুব একটা সুস্থ নয় বলে মনে করছে যৌথমঞ্চ। দিকে দিকে বোমাবাজি, রাজনৈতিক সংঘর্ষ এবং মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হচ্ছে। তাই ভোটকর্মী হিসাবে, ভোট করাতে গেলে তাঁদের জীবনের সুরক্ষার দায়িত্ব কে নেবে? এই প্রশ্নে আজ বহরমপুরে (Murshidabad) পঞ্চায়েত নির্বাচনের ট্রেনিং সেন্টারে আসা সমস্ত ভোটকর্মী কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে স্লোগান শুরু করেন। তাঁরা স্পষ্ট দাবি রাখেন, হাইকোর্টের অর্ডার অনুযায়ী প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হবে। যদি প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী না পাওয়া যায়, তাহলে আমরা ভোট নিতে যাব না। এভাবেই সোচ্চার হন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের কর্মীরা।

    সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের বক্তব্য

    মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষে তাপস মণ্ডল বলেন, যদি রাজ্যের প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী না দেওয়া হয়, তাহলে কেউ ভোট করতে যাবেন না। প্রত্যেক ভোট কর্মীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। যৌথ মঞ্চের তরফ থেকে নির্বাচন কমিশনকে একটি চিঠিও দেওয়া হয়। যাতে বলা হয়, আমরা কেউ রাজকুমার হতে চাই না! আজ পর্যন্ত রাজকুমারের মৃত্যুর সঠিক তদন্ত হল না। আমরা সকলেই গণতন্ত্র প্রেমী, শান্তিপূর্ণ অবাধ নির্বাচন চাই। সাংবিধানিক ভাবে আমাদের অধিকার সুরক্ষিত করতে হবে বলে চিঠিতে স্পষ্ট করে বলা হয়। হিংসা মুক্ত নির্বাচন এবং রাজ্য সরকারের কাছে তাঁদের নিরাপত্তাকে সুনিশ্চিত করার দাবি রাখা হয় ওই চিঠিতে। যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, প্রত্যেক ভোট কর্মী এই চিঠি মেল করবেন কমিশনকে। কয়েক লক্ষ মেল যাবে কমিশনের কাছে। সেই সঙ্গে আরও জানানো হয়, আজ বিভিন্ন জেলার প্রতিটি ট্রেনিং সেন্টারে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভ হবে। সেই সঙ্গে গণস্বাক্ষর এবং ডেপুটেশন দেওয়া হবে। পাশাপাশি কমিশন যে ভাবে বাহিনী না নেওয়ার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গেছে, তাতে সমাজের কাছে ভালো বার্তা যায়নি বলে মনে করে যৌথ মঞ্চ। বাহিনী না দিলে এরপর সংগ্রামী যৌথ মঞ্চও সুপ্রিম কোর্টে যাবে বলে জানানো হয়েছে।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Netaji: ‘‘নেতাজি থাকলে এদেশ কখনও ভাগ হত না’’, মত অজিত ডোভালের

    Netaji: ‘‘নেতাজি থাকলে এদেশ কখনও ভাগ হত না’’, মত অজিত ডোভালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেতাজি (Netaji) থাকলে এ দেশ কখনও ভাগ হত না। শনিবার দিল্লিতে সুভাষ বোস স্মারক বক্তৃতায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল।

    কী বললেন ডোভাল? 

    এদিন দিল্লিতে ডোভাল বলেন, ‘‘নেতাজি (Netaji) সুভাষচন্দ্র বসু দেশের স্বাধীনতার অতন্দ্র প্রহরী ছিলেন। দেশের স্বাধীনতার জন্য প্রাণপণ লড়াই করেছিলেন। আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করেছিলেন। কিন্তু, স্বাধীনতা প্রাপ্তি তিনি দেখে যেতে পারেননি। নেতাজি থাকলে ভারত ভাগ হত না।’’ তাঁর এদিনের বক্তব্য উঠে আসে গান্ধী-সুভাষ দ্বৈরথের কথাও। তাঁর মতে, ‘‘নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মহাত্মা গান্ধীকে চ্যালেঞ্জ করারও স্পর্ধা ছিল।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘আমি ভালো বা খারাপ বলছি না। ভারতীয় ইতিহাসে খুব কম জন ছিলেন স্রোতের বিপরীতে যেতে পারতেন। নেতাজি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ করেছিলেন। তিনি মনে করতেন, ভিক্ষায় কখনও স্বাধীনতা আসে না। জিন্নাও বলেছিলেন আমি একমাত্র সুভাষ বোসের কথাই শুনব।’’

    নেতাজির অন্তর্ধান… 

    অজিত দোভাল আরও বলেন, ‘‘নেতাজি (Netaji) পূর্ণ স্বাধীনতায় বিশ্বাস রাখতেন। তিনি শুধু রাজনৈতিক ক্ষমতা বদলের স্বাধীনতা চাননি। মানুষের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মানসিকতার পরিবর্তনও চেয়েছিলেন। যাতে তাঁরা আকাশে মুক্ত পাখির মতো বিচরণ করতে পারেন।’’ নেতাজির অন্তর্ধান নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘১৯৪৫ সালের ১৮ অগাস্ট তিনি নিঁখোজ হয়ে যান। তাঁর মৃত্যু রহস্যে বহু কমিশন তৈরি হলেও, আজও বিতর্ক রয়ে গেছে তাইহোকু বিমান দুর্ঘটনার বিষয়ে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: তৃণমূল নেত্রীর মনোনয়নে হয়েছে কারচুপি, বিডিওর বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ

    Paschim Medinipur: তৃণমূল নেত্রীর মনোনয়নে হয়েছে কারচুপি, বিডিওর বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেত্রীর মনোনয়নে কারচুপি ও ডিসিআর বদলানোর অভিযোগ তুলে বিরোধীরা সরব বিডিও অফিস চত্বরে। বিডিওর রুমে ঢুকে বিজেপি-সিপিএমের নেতাকর্মীরা বিডিওর সঙ্গে তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন। বিজেপি-সিপিএমের দাবি, বিডিও সঠিক উত্তর দিতে পারেননি। ঘটনায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে শাসক দলের হয়ে পক্ষপাতের অভিযোগ উঠল।

    কোথায় ঘটেছে এমন ঘটনা?

    এমনই ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার দাসপুর ২ নম্বর ব্লকের। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নগুলিকে পরীক্ষা করা হচ্ছিল শনিবার। সেই পরীক্ষায় এসে বাম-বিজেপি কর্মীরা জানতে পারেন, এই ব্লকের নিশ্চিন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ফরিদপুর দুই নম্বর বুথের তৃণমূল প্রার্থী রুমারাজ পণ্ডিত। তিনি প্রথমে পঞ্চায়েত সমিতির ২২ নম্বর আসনে ১৩ই জুন মনোনয়ন করেছেন। শুধু তাই নয়, তৃণমূলের এই প্রার্থী ১৫ই জুন আবার একই এলাকার পঞ্চায়েতের প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা করেন। দুবার মনোনয়ন, প্রথমে পঞ্চায়েত সমিতি এবং পরে পঞ্চায়েতের প্রার্থী হতে চেয়েছেন রুমারাজ পণ্ডিত। এখন পরীক্ষার পর কোনটা চূড়ান্ত করবে প্রশাসন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে হয়ে সমস্যা। এখানেই বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছেন।

    অভিযোগ কী?

    বিজেপি-সিপিএমের দাবি, আইন অনুযায়ী প্রার্থী যে মনোনয়নটি আগে করবে, সেখানেই তাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয়। তাহলে যেহেতু রুমারাজ পণ্ডিত পঞ্চায়েত সমিতিতে (Paschim Medinipur) আগে নমিনেশন করেছেন, তাহলে কী করে গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রার্থী হবেন! এই নিয়ে বিডিও অর্নিবাণ সাউ-এর কাছে বাম-বিজেপির কর্মীরা জানতে চান। কিন্তু বিডিও সঠিক উত্তর দিতে পারেননি বলে অভিযোগ। তারপর বিডিওর অফিসঘরে শুরু হয় হট্টগোল, দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে গোলমাল। এরপর থেকেই বিরোধীরা বলেন, প্রশাসন নিয়ম ভেঙে তৃণমূল প্রার্থীর সুবিধার জন্য মনোনয়ন পরীক্ষা করছেন। বিজেপির দাবি, মনোনয়ন পরীক্ষায় যদি প্রশাসন তৃণমূলের হয়ে কাজ করে, তবে নির্বাচনের দিন কী ভাবে নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করবেন বিডিও?

    তৃণমূলের এবং প্রশাসনের বক্তব্য

    ঘাটাল (Paschim Medinipur) সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি আশিষ হুদাইত বলেন, রুমা প্রথমে গ্রাম পঞ্চায়েতের জন্য নমিনেশন করেছিল, পরে পঞ্চায়েত সমিতিতে করে। তিনি আরও বলেন, বিরোধীরা মিথ্যে অভিযোগ করছে। দাসপুর ব্লকের বিডিও অনির্বাণ সাউ ক্যামেরার সামনে কিছু না বললেও পরে সংবাদ মাধ্যমকে জানান, সমস্ত কিছু নিয়ম মেনেই হয়েছে। ওই প্রার্থী বিভিন্ন জায়গায় নমিনেশন করলেও প্রথমে তিনি গ্রাম পঞ্চায়েতই নমিনেশন  করেছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: তৃণমূলের ভুলে গঙ্গারামপুরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী বিজেপি

    Dakshin Dinajpur: তৃণমূলের ভুলে গঙ্গারামপুরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের ভুলের কারণে একটি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হলেন বিজেপি প্রার্থী। অপর দিকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আরও দুই বুথে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। শনিবার মিষ্টি মুখ করে বিজয়োল্লাসে মাতলেন দলীয় কর্মী-সমর্থকরা।

    কোন আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী বিজেপি?

    মনোনয়ন পত্রের পরীক্ষার শেষে দেখা যায়, গঙ্গারামপুর (Dakshin Dinajpur) ব্লকের উদয় গ্রাম পঞ্চায়েতের নাকোইর বুথে বিজেপি প্রার্থী অপর্ণা বর্মন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছেন। স্বাভাবিক ভাবেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়ে উচ্ছ্বসিত পদ্ম শিবির। এই পঞ্চায়েতের ৪১ নম্বর বুথের দুটি ভাগ রয়েছে। ৮ নং ও ৯ নং বুথে তৃণমূল প্রার্থীরা দুটি ক্ষেত্রেই ৯ নং বুথের উল্লেখ করেছে। যার ফলে এক জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। আর যার ফলস্বরূপ ৮ নম্বর বুথে শুধুমাত্র বিজেপি প্রার্থীরই মনোনয়ন গ্রাহ্য হয়েছে।

    কোন আসনে জয়ী তৃণমূল?

    অন্যদিকে গঙ্গারামপুর (Dakshin Dinajpur) ব্লকের জাহাঙ্গিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২২৪ নম্বর বুথে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছেন তৃণমূল প্রার্থী। পাশাপাশি নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬ নম্বর বুথেও তৃণমূল প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছেন। এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা (Dakshin Dinajpur) সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, দলের কর্মীদের ভুলের কারণেই বিজেপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করতে পেরেছে৷ ফর্ম ফিলাপের সময় দুজন প্রার্থী একই বুথ নম্বর দেওয়ায় একজনের নমিনেশন বাতিল হয়ে গিয়েছে। আবার জেলার সহ-সভাপতি সুভাষ চাকির বলেন, আগামী ২০ তারিখের মধ্যে আরও অনেক নাম প্রত্যাহার হবে। অনেক সিটেই তৃণমূল কংগ্রেস বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করবে।

    বিজেপির বক্তব্য

    তবে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপিও। এই বিষয়ে বিজেপির জেলা (Dakshin Dinajpur) সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, “শাসকদল তৃণমূল সাংগঠনিকভাবে পিছিয়ে রয়েছে এই এলাকায়৷ আজ স্ক্রুটনি শেষে দেখা যায় গঙ্গারামপুর ব্লকের উদয় গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪১ নম্বর বুথ বিজেপি বাদে কোনও রাজনৈতিক দল প্রার্থী দেয়নি। যার ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী অপর্ণা বর্মন।” নির্বাচন নিয়ে জেলায় আমরা আশাবাদী বলে জানান বিজেপির এই নেতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট করলে ঘরবাড়ি জ্বালানোর হুমকি, গ্রাম জুড়ে পোস্টার!

    TMC: তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট করলে ঘরবাড়ি জ্বালানোর হুমকি, গ্রাম জুড়ে পোস্টার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে রাজ্য জুড়েই শাসক দলের বিরুদ্ধে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠেছে। গত এক সপ্তাহের মধ্যে একাধিক রাজনৈতিক কর্মী খুন হয়েছেন। শনিবার রাতে বহরমপুরে মনোনয়ন প্রত্যাহার করার জন্য বিজেপি প্রার্থীদের বাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। এবার মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানার রানীনগর অঞ্চলের ভদ্রাপাড়া গ্রাম জুড়ে একটি পোস্টার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কী লেখা রয়েছে পোস্টারে?

    রঘুনাথগঞ্জ থানার রানীনগর অঞ্চলের ভদ্রাপাড়া গ্রামে তৃণমূলের নামে দেওয়া পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। রবিবার সকালে বাড়ির দেওয়ালে পোস্টার দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসী। পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে যদি কেউ ভোট করার চেষ্টা করিস, তাহলে তোদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেব। মা-বোনেদের তুলে নিয়ে যাব। আর তোদের গ্রামছাড়া করব। কোনও পুলিশ তোদের বাঁচাতে পারবে না।’ অন্য একটি পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘টিএমসির বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিস, সাদা কাপড় পাঠালাম, মা বোনেদের পরিয়ে দিস।’ এরকম একাধিক  বাড়িতে পোস্টারকে ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এই গ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমাদের এলাকায় কোনও গণ্ডগোল হয় না। কিন্তু, এই ধরনের হুমকি পোস্টার দেখে আতঙ্ক লাগছে। ভোটে ঝামেলার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা চাই, এই বিষয়ে প্রশাসন তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির জেলা নেতা লাল্টু দাস বলেন, এই ধরনের হুমকি পোস্টার তৃণমূলই (TMC) দিতে পারে। কারণ, তারা বিরোধীদের ভয় পাচ্ছে। আমরা এই ধরনের পোস্টারের তীব্র বিরোধিতা করছি। যে বা যারা এই ধরনের হুমকি পোস্টার ওই গ্রামে দিয়েছে, তাদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে এই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া পঞ্চায়েত ভোট হওয়া সম্ভব নয়। এই ধরনের হুমকি পোস্টারে তা আরও একবার প্রমাণিত হয়ে গেল।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েতের প্রার্থী দিবাকর দাস বলেন, আমি এদিন সকালে এই পোস্টার দেখতে পাই। আমি নিজে অবাক হয়ে যাই। এই ধরনের কাজ তৃণমূল করেনি। আসলে দলের মধ্যে প্রার্থী হতে না পেরে আমারই বিপক্ষ গোষ্ঠীর লোকজন এই কাজ করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Assam Flood: অসমে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ! ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৩৮ হাজার মানুষ

    Assam Flood: অসমে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ! ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৩৮ হাজার মানুষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমের বন্যা (Assam Flood) পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ব্রহ্মপুত্র-সহ অসম দিয়ে প্রবাহিত প্রায় সমস্ত নদীর জলস্তর ক্রমাগত বাড়ছে। বেশ কয়েকটি জায়গায় নদীবাঁধ ভেঙে পড়ারও খবর মিলেছে। কয়েকটি অঞ্চলে ভেসে গিয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। অসমের সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বন্যার জেরে ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অসমের ১০ জেলার অন্তত ৩৮ হাজার মানুষ। এই মরসুমের ফসলও নষ্ট হয়েছে বিঘার পর বিঘা।

    আরও পড়ুন: ‘বিপর্যয়’-ধ্বস্ত গুজরাট ঘুরে দেখলেন শাহ, দুর্গতদের দিলেন সাহায্যের আশ্বাস

    কী বলছে কেন্দ্রীয় জল আয়োগ?

    কেন্দ্রীয় জল আয়োগ (সিডব্লুসি) সূত্রে খবর, কয়েকটি জেলায় জলস্তর বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। যেমন, জোরহাট জেলার নেমাতিঘাটে ব্রহ্মপুত্র নদ বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। কামপুরে কোপিলি এবং কামরূপে পুটিমারি নদী বিপদসীমা পেরিয়েছে। অসমের অন্যান্য নদীও দু’কুল ছাপিয়ে গিয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে অসমে অতি ভারী বৃষ্টিপাত চলছে। তার ফলেই বেশির ভাগ নদী ফুলেফেঁপে উঠেছে। জানা গিয়েছে, সবচেয়ে বিপজ্জনক অবস্থা ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার। অসমের বিভিন্ন জেলায় একাধিক রাস্তা ভেঙে পড়েছে জলের তোড়ে। ভেঙেছে নদীর উপরের সেতু। জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে বহু স্কুলও।

    কী বলছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর?

    অসমের (Assam Flood) বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ১০ জেলার ৩৭,৫৩৫ জন মানুষ বন্যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। গুয়াহাটিতে জমি ধসে মৃত্যু হয়েছে এক জনের। তবে বন্যার জেরে এখনও পর্যন্ত কারও মৃত্যুর খবর আসেনি।’’ জানা গিয়েছে, অসমের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলি হল বিশ্বনাথ, দারাং, ধেমাজি, ডিব্রুগড়, লখিমপুর, তামুলপুর এবং উদালগিরি। অসম সরকারের তরফে রাজ্যে মোট ১১টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। তার মধ্যে ৮টি ত্রাণশিবির চলছে লখিমপুরে এবং উদালগিরিতে দু’টি।

    আরও পড়ুুন: বিজেপি প্রার্থীদের বাড়ি ভাঙচুর, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে প্রাণনাশের হুমকি, অভিযুক্ত তৃণমূল

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: মথুরাপুরে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণ, জখম তৃণমূলের এক যুবক

    South 24 Parganas: মথুরাপুরে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণ, জখম তৃণমূলের এক যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোমা বাঁধতে গিয়ে তা ফেটে গুরুতর জখম তৃণমূলের এক যুবক। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে মথুরাপুর থানার ঘোড়াদল এলাকায়। আহত যুবকের নাম আরিফ হোসেন মোল্লা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার ভোরে বাড়ির কাছেই বোমা বাঁধছিল আরিফ হোসেন মোল্লা। তখনই বিস্ফোরণ হয়। বিকট শব্দে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে দেখেন, বোমা বিস্ফোরণের জেরে ঝলসে গেছে আরিফ। এর পরেই তাঁকে উদ্ধার করে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ (South 24 Parganas) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মথুরাপুর থানার পুলিশ। তবে কী কারণে এই বোমা বিস্ফোরণ, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    মায়ের বক্তব্য

    মা সমিয়ন বিবি বলেন, আমার দুই ছেলে। বড় ছেলে মধ্যমগ্রামে কাজ করে, আর ছোট এই ছেলে কলকাতায় বই বাঁধাইয়ের কাজ করত। কিন্তু নির্বাচনের জন্য বাড়িতে (South 24 Parganas) এসেছে। হোসেন রাজনীতির কারণেই বোমা বাঁধার কাজ করছিল বলে জানান মা। তিনি আরও বলেন, তাঁদের পরিবার তৃণমূল পার্টি করে। রাত তখন বাজে ৩ টে। সেই সময় আমরা বাড়িতে সবাই ঘুমাচ্ছিলাম। হঠাৎ ছেলে বাবা গো, মা গো বলে চেঁচিয়ে ওঠে। গিয়ে দেখি সারা শরীর ঝলসে গেছে। এর পর ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে আসি। এখান থেকে ডাক্তাররা কলকাতায় নিয়ে যেতে বলেছে। কিন্তু বুঝতে পারছি না, ছেলের এখন কী হবে!

    পঞ্চায়েত নির্বাচন কতটা সুরক্ষিত?

    রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব থেকেই সারা রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাসের বাতাবরণ, এমনই অভিযোগ করছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। বিরোধীরা বলছেন, গত ৯ দিনে রাজনৈতিক সংঘর্ষে মারা গেছেন ৭ জন। মুহূর্মুহূ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কোচবিহারের দিনহাটা, উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া, মালদার চাঁচল, মুর্শিদাবাদের ডোমকল, বীরভূমের নানুর, পূর্ব মেদিনীপুরের বকচা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Parganas) ক্যানিং, মিনাখাঁ এবং ভাঙড়। সর্বত্রই বিরোধীরা মনোনয়ন করতে গিয়ে বার বার আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ভাঙড়, ক্যানিং এবং দিনহাটাতে হয়েছে ব্যাপক বোমাবাজি। শুধু তাই নয়, হুগলির খানাকুল থেকে উদ্ধার হয়েছে ড্রাম ভর্তি তাজা বোমা। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছে। কমিশন এই নির্দেশের বিপক্ষে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করার পর বিরোধীরা মনে করছেন, নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে চায় না। অপর দিকে, মনোনয়নের সময় রাজনৈতিক হিংসা কবলিত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেই সঙ্গে বিরোধীদের মনোনয়ন করাকে সুনিশ্চিত করেন তিনি। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে শান্তিপূর্ণ ও অবাধ নির্বাচন করতে কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল। নির্বাচন কেমন কাটে, সেটাই এখন দেখার।       

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: জেলা সভাপতির সামনেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর হাতাহাতি, এল পুলিশ

    Panchayat Election: জেলা সভাপতির সামনেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর হাতাহাতি, এল পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) আসন বণ্টন নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটল তৃণমূলের আসানসোল জেলা কার্যালয়ে। খোদ জেলা সভাপতির সামনেই তৃণমূলের দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে বচসা হয়। পরে, দুপক্ষই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। আর এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। শেষ পর্যন্ত পুলিশি হস্তক্ষেপে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীকে সরিয়ে ফেলা হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই ঘটনায় শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। আর জেলা কার্যালয়ের বাইরে রাস্তার মধ্যে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় সাধারণ মানুষ হাসাহাসি করেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার রানীগঞ্জ ব্লকের জিমারি গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) আসন বণ্টন নিয়ে গন্ডগোলের সূত্রপাত। শনিবার রাতে দলীয় প্রতীক দেওয়ার জন্য প্রার্থীদের ডাকা হয়েছিল। কিন্তু, আসন বণ্টন নিয়ে রানীগঞ্জ গ্রামীণ এলাকার তৃণমূল ব্লক সভাপতি দেবনারায়ণ দাসের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন রানীগঞ্জ গ্রামীণ অঞ্চলের আরেক তৃণমূল নেতা অর্জুন সিং। অর্জুন সিং এবং তাঁর অনুগামীরা যে আসন পেয়েছেন, তা তাঁদের ইচ্ছামতো হয়নি বলেই তাঁরা জেলা সভাপতির কাছে নালিশ জানাতে আসেন। আর তখনই দেবনারায়ণ দাসের সঙ্গে তাঁর প্রথমে বচসা হয় এবং দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি বেধে যায়। উত্তেজনা এতটাই ছড়ায় যে দলীয় অফিস থেকে বাইরে এসে রাহালেন মোড়ের মাথাতে দু পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি বাধে। খবর পেয়ে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে থাকা আসানসোল দক্ষিণ থানা থেকে পুলিশ ছুটে এসে দুপক্ষকে সরিয়ে দেয়। এই ঘটনায় আসানসোলের সংখ্যালঘু তৃণমূল সেলের নেতা শাহিদ পারভেজ আক্রান্ত হন।

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি?

    ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, বহু দলীয় কর্মী টিকিট চান। কিন্তু, আসন সংখ্যা সীমাবদ্ধ। তাই সবাইকে টিকিট দেওয়া যায় না। ফলে কেউ অবস্থান করছেন, কেউ কান্নাকাটি করছেন। আমরা আমাদের দলের মধ্যে থেকে সবাইকে বোঝাবো। আমাদের বিশ্বাস, পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) আবার সবাই দলের হয়েই লড়াই করবে। দেওয়াল লিখন সম্পূর্ণ হয়ে গেলেই এই লড়াই থেমে যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Murder: ভোটের আগে দিনহাটায় ফের খুন বিজেপি কর্মী! প্রশ্নের মুখে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা

    BJP Murder: ভোটের আগে দিনহাটায় ফের খুন বিজেপি কর্মী! প্রশ্নের মুখে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকেই খুনোখুনি চলছে রাজ্য জুড়ে। এবার উত্তরবঙ্গের দিনহাটায় খুন বিজেপি প্রার্থীর দেওর। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে দিনহাটা ২ নং ব্লকের কিসামত দশগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের টিয়াদহ এলাকায়। পরিবারের অভিযোগ, শনিবার গভীর রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয় তাঁকে। বাড়ির অদূরে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। ওই ব্যক্তিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন (BJP Murder) করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ওই ব্যক্তির নাম শম্ভু দাস। তাঁর বউদি বিশাখা দাস এবার পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন।

    আরও পড়ুন: রাজ্যপাল ঘুরে যাওয়ার পরও থমথমে রয়েছে ভাঙড়, রুটমার্চ পুলিশের

    কী বলছেন নিহতের বাবা?

    জানা গিয়েছে, মৃতের বউদি বিশাখা দাস দিনহাটার কিসামত দশগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪৯ নম্বর বুথের বিজেপি প্রার্থী। পরিবারের অভিযোগ, গতকাল অর্থাৎ শনিবার রাতে কয়েক জন এসে তাঁর দেওরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। রাজনৈতিক কারণেই এই খুন বলে মনে হচ্ছে। কারণ নিহতের (BJP Murder) বাবা বলেন, ‘‘আমার ছেলে বিজেপি পার্টি করত। তৃণমূলের লোকেরা গভীর রাতে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করে।’’ এই নিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে ৯ দিনে ৭টি খুনের ঘটনা ঘটল। দিনহাটার ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে বিজেপি।

    কী বলছেন বিজেপির দিনহাটা শহর সভাপতি?

    দিনহাটা বিজেপির শহর সভাপতি অজয় রায় বলেন, ‘‘বিধানসভা ভোটের পর যে সন্ত্রাস শাসক দল করেছিল, পঞ্চায়েত ভোটের পর তা বহুগুণ বেড়েছে। দিন কয়েক আগেই বাড়ির মধ্যে আমাদের এক কর্মীকে গুলি করে খুন করে তৃণমূল কর্মীরা। তারপরেই আবার এই ঘটনা।’’

    আরও পড়ুুন: বিজেপি প্রার্থীদের বেধড়ক মার, আক্রান্ত মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক, অভিযুক্ত তৃণমূল

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Peace Room: রাজভবনে চালু হল ‘শান্তিকক্ষ’! জানানো যাবে পঞ্চায়েত ভোটের অশান্তির অভিযোগ

    Peace Room: রাজভবনে চালু হল ‘শান্তিকক্ষ’! জানানো যাবে পঞ্চায়েত ভোটের অশান্তির অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যবাসী সাক্ষী থেকেছে রাজনৈতিক সন্ত্রাসের। কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে রাজভবনও। মনোনয়ন পর্বে রাজনৈতিক অশান্তির সাক্ষী ভাঙড় আর ক্যানিংয়ের পরিস্থিতি ইতিমধ্যেই পরিদর্শন করে এসেছেন তিনি। এবার হিংসা ঠেকাতে রাজভবনে চালু হচ্ছে কন্ট্রোল রুম। যার পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘শান্তিকক্ষ’ (পিস রুম)।

    শান্তিকক্ষের (Peace Room) হেল্পলাইন…

    রাজ্যে কোথাও অশান্তির ঘটনা ঘটলে তা সঙ্গে সঙ্গে জানানো যাবে শান্তিকক্ষতে। সেই মতো রাজভবন যোগাযোগ করবে রাজ্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে। ফোন করে বা ই-মেইলের মাধ্যমে অভিযোগ জানানো যাবে। ‘পিস রুম’-এর ফোন নম্বর হল, 03322001641। আর ই-মেইল আইডি হল OSD2w.b.governor@gmail.com। শনিবার রাতে এ ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে রাজভনের তরফে।

    ভাঙড় ও ক্যানিং সফর রাজ্যপালের

    বৃহস্পতিবার মনোনয়নের শেষ বেলায় অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল ভাঙড়-২ ব্লক। মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা পড়ছিল, চলেছিল গুলিও। প্রাণ গিয়েছিল তিন জনের। গত সপ্তাহের শুক্রবার সেই এলাকা পরিদর্শন করেন রাজ্যপাল। পরে সেখানে বলেছিলেন, ‘‘আমি বাংলার মানুষকে আশ্বস্ত করছি, এই ভোটে হিংসাই বলি হবে। হিংসাকে নির্মূল করতে হবে। যারা হিংসা ঘটাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে সংবিধান এবং আইন মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ শনিবার ক্যানিংয়ে যান রাজ্যপাল। বুধবারই, মনোনয়নের চতুর্থ দিনে ক্যানিংয়ে শাসক তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছিল। ক্যানিংয়ের সেই হিংসা কবলিত এলাকা ঘুরে দেখার পর তাঁর মন্তব্য, “গণতন্ত্রে ভয়ের কোনও জায়গা নেই।”

    শনিবারই তলব করা হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে

    শনিবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে নানা অভিযোগ করেন বালুরঘাটের সাংসদ। সুকান্ত রাজভবন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর পরই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে তলব করেন রাজ্যপাল। পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করতেই রাজভবনে তলব করা হয় রাজীবকে। ভাঙড়ের সংঘর্ষের পর বিরোধীদের অভিযোগ, রাজ্য নির্বাচন কমিশন নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। এহেন আবহে হওয়ার কথা ছিল রাজীব-রাজ্যপাল বৈঠক। যদিও এদিন বেলার দিকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের তরফে রাজ্যপালকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, স্ক্রুটিনিতে ব্যস্ত থাকায় শনিবার তিনি দেখা করতে যেতে পারছেন না রাজ্যপালের সঙ্গে। তবে অন্য কোনও দিন ডেকে পাঠানো হলে, তিনি যেতে পারবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share