Tag: Madhyom

Madhyom

  • Illegal Coal Mine: ফের ধানবাদের কয়লা খনিতে ধস! মৃত্যু ৩ জনের

    Illegal Coal Mine: ফের ধানবাদের কয়লা খনিতে ধস! মৃত্যু ৩ জনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেআইনি কয়লাখনির ধসে শুক্রবার অন্তত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে ধানবাদে। এখনও ওই কয়লাখনিতে (Illegal Coal Mine) অনেকে আটকে থাকতে পারেন বলেও আশঙ্কা করছে প্রশাসন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সাড়ে দশটা নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধানবাদ শহর থেকে প্রায় ২১ কিলোমিটার দূরে ভারত কোকিং কোল লিমিটেড কোলিয়ারি এলাকায় একটি বেআইনি (Illegal Coal Mine) খনিতে শুরু হয়েছিল কয়লার খননকাজ। হঠাৎই সেখানে ধসের ঘটনা ঘটে।

    ঘটনার বিবরণ

    ধসের ঘটনা ঘটতেই সেখানে উপস্থিত স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে। তাঁদের মধ্যে তিনজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ধসের সময় খনিতে কতজন মানুষ আটকে ছিলেন, তা এখনও পর্যন্ত জানাতে পারেননি ধানবাদের পুলিশ আধিকারিকরা। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের।

    কী বলছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা 

    এক প্রত্যক্ষদর্শী এই ঘটনা সম্পর্কে বলেন, “ওই খনিতে (Illegal Coal Mine) বহু লোক কয়লা তোলার কাজে নিয়োজিত ছিল। গত বেশ কয়েকদিন ধরে চলছিল এই খনন। এ ব্যাপারে স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছিল কিন্তু পুলিশের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি সে সময়।” বেআইনি কয়লা খননের ঘটনা বেড়ে চলায় ক্ষোভ দেখা গিয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।

    কয়লাখনিতে ধসের (Illegal Coal Mine) ঘটনা চলছেই

    প্রসঙ্গত, এভাবে কয়লা খনির ধসে শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনা ধানবাদে নতুন কিছু নয়। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসেও ধানবাদের একটি পরিত্যক্ত খনিতে এমন ঘটনা ঘটেছিল। সে সময় ৫০ জনের বেশি মানুষ উপস্থিত ছিল বলে জানা যায়। আবার গত বছরেই ধানবাদের অন্য একটি খনিতে ধসের ঘটনা ঘটে। ১৩ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়।

    আরও পড়ুন: ‘মনোনয়নের সময়সীমা পর্যাপ্ত নয়, পুনর্বিবেচনা করা হোক’, পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: ব্লকে কোনও ব্যবস্থাই নেই, মনোনয়ন জমা দিতে পারলেন না বিজেপি প্রার্থীরা

    Panchayat Election: ব্লকে কোনও ব্যবস্থাই নেই, মনোনয়ন জমা দিতে পারলেন না বিজেপি প্রার্থীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সর্বদলীয় বৈঠক না ডেকে এবং কোনও পরিকাঠামো তৈরি না করেই আচমকা পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) দিন ঘোষণা করা হয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এই ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন, “নির্বাচন কমিশনার তৃণমূলের আঞ্চলিক শাখার মতো আচরণ করছেন।” পরিকাঠামো তৈরি না করে ভোট ঘোষণা করা হয়েছে বলে অন্য বিরোধীরাও অভিযোগ করেছে। এই অভিযোগ যে কথার কথা নয়, তা প্রমাণিত হয়ে গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার-১ ব্লকে। এদিন বিজেপি সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে এসেও ফিরে গিয়েছেন। বলা ভালো, ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    আগামী ৮ ই জুলাই পঞ্চায়েত ভোট। বৃহস্পতিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নির্বাচনের (Panchayat Election) দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রার্থীদের ৯ ই জুন থেকে ১৫ই জুন পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা করার নির্দিষ্ট সময়সীমা ঘোষণা করা হয়। হাতে সময় কম বলে এদিন  বিজেপি, সিপিএম এবং আইএসএফের প্রার্থীরা ডায়মন্ডহারবার ১ নম্বর ব্লকে মনোনয়নপত্র জমা করতে যান। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার কোনও ব্যবস্থা করে উঠতে পারেনি। এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। বাধ্য হয়ে সকলেই মনোনয়নপত্র জমা না করে শূন্য হাতেই ফিরে যান।

    কী বললেন বিরোধী দলের প্রার্থীরা?

    বিজেপি নেতা কুণাল হালদার বলেন, “আমি পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী। আমার সঙ্গে বহু দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে এসেছেন। কিন্তু, মনোনয়ন জমা নেওয়ার কোনও ব্যবস্থাই নেই। ফলে, আমরা প্রস্তুতি নিয়েও প্রশাসনের গাফিলতির জন্য মনোনয়ন জমা দিতে পারলাম না।” সিপিএমের ডায়মন্ডহারবার ১ নম্বর এরিয়া কমিটির সম্পাদক দেবাশিস ঘোষ বলেন, “২০১৮ পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election) পুনরাবৃত্তি করতে চাইছে রাজ্যের শাসকদল। প্রশাসনও তাদের সঙ্গে যুক্ত। আমরা প্রশাসনের সর্বস্তরে অভিযোগ জানাব।”

    ব্লক প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    ডায়মন্ডহারবার ১ নম্বর ব্লকের বিডিও সুবীর দাস বলেন, “বৃহস্পতিবার নির্বাচনের (Panchayat Election) নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সব কিছু ব্যবস্থা করতে একটু সময় দরকার। দ্রুততার সঙ্গে কাজ করা হচ্ছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মনোনয়নপত্র জমা করার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ৩.২৮ লক্ষ কিমি গ্রামীণ রাস্তা থেকে চেনাব ব্রিজ! মোদি জমানায় বদলে গেছে দেশ

    PM Modi: ৩.২৮ লক্ষ কিমি গ্রামীণ রাস্তা থেকে চেনাব ব্রিজ! মোদি জমানায় বদলে গেছে দেশ

    ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকারের স্লোগান ছিল ‘আচ্ছে দিন আসছে’। বিগত ৯ বছরে ৪ কোটি মানুষ মাথার উপর ছাদ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়, ১১ কোটি মানুষ পেয়েছেন শৌচালয়। উজ্জ্বলা যোজনা আসার পর কাউকে আর উনুনে রাঁধতে হচ্ছে না। চলছে স্কিল ইন্ডিয়া, মেক-ইন-ইন্ডিয়ার মতো অজস্র প্রকল্প। সন্ত্রাসী হামলার প্রত্যুত্তর হিসেবে এদেশ সাক্ষী থেকেছে বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের। নিরাপত্তা হোক বা কৃষি, কর্মসংস্থান হোক বা দারিদ্রতা দূরীকরণ-বিগত ৯ বছরে কীভাবে এল সেই ‘আচ্ছে দিন’? তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন ।

    ‘সাফল্যের ৯ বছর’-১০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন হলে অর্থনীতির দ্রুত বিকাশ ঘটে, এমন কথাই শোনা যায় বিশেষজ্ঞদের মুখে। বিগত ৯ বছরে ভারতবর্ষ বিশ্বের অর্থনীতিতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তার কারণ নরেন্দ্র মোদি সরকার (PM Modi) পরিকাঠামোগত উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়েছে। বিগত ইউপিএ সরকারের আমলে দেখা যেত, পরিকাঠামোগত উন্নয়নের প্রশ্নে দীর্ঘসূত্রিতা কাজ করত। প্রকল্পের শিলান্যাস হত, কিন্তু বাস্তবায়ন হত না। বিগত ৯ বছরে কোনও রকমের দীর্ঘসূত্রিতা ছাড়াই একের পর এক প্রকল্পের শিলান্যাস ও বাস্তবায়ন হয়েছে। সড়কপথ নির্মাণে রেকর্ড তৈরি করেছে সরকার। প্রতিদিন হাইওয়ে নির্মাণে সর্বোচ্চ রেকর্ড দেখা গিয়েছে বিগত ৯ বছরে। গ্রামীণ সড়কপথ নির্মাণও অত্যন্ত দ্রুতগতিতে হয়েছে মোদি জমানায় (PM Modi)।

    শুধু তাই নয়, দেশের লাইফ লাইন বলে পরিচিত রেলওয়ে ট্র্যাক সম্প্রসারণের কাজও নজরকাড়া সাফল্য পেয়েছে।। ইতিমধ্যে অজস্র বন্দে ভারত ট্রেন চালু করা গেছে, মেক ইন ইন্ডিয়া প্রজেক্টের মাধ্যমে। শুধু তাই নয়, উড়ানপথেও জোয়ার এসেছে মোদি জমানায়। ৭৪টি নতুন অপারেশনাল এয়ারপোর্ট তৈরি করা গেছে। ২০১৪ এর আগে পর্যন্ত মেট্রো রেল দেশের কয়েকটি শহরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু বিগত ৯ বছরে কুড়িটিরও বেশি শহর মেট্রো রেলের সুবিধা পেয়েছে। শহর এবং শহরতলির যোগাযোগ ব্যবস্থা এর মাধ্যমে উন্নত হয়েছে। নিত্যযাত্রীদের সুবিধা হয়েছে। দেশের পরিকাঠামোগত এই উন্নয়নে ব্যাপক বরাদ্দ করেছে মোদি সরকার। যার ফলেই মিলেছে সাফল্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দূরদর্শিতাতেই সম্ভব হয়েছে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন, যা দেশকে জিডিপি ক্ষেত্রে বৃদ্ধিতে সাহায্য করেছে। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। জনসাধারণের জীবনমানেরও উন্নতি ঘটেছে। দেশের নানা প্রান্তে তৈরি হয়েছে কর্মসংস্থান।

    এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, মোদি সরকারের আমলে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন

    ১) ২০১৪ সালের পরবর্তীকাল থেকে হাইওয়ে নির্মাণের বাজেট পাঁচশো শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে।

    ২) ৪০০ র উপর বিশ্বমানের বন্দে ভারত ট্রেন তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে ১৭টি ট্রেন বর্তমানে চলছে।

    ৩) প্রতিদিন ৩৭ কিলোমিটার করে নতুন সড়কপথ সম্প্রসারণের কাজ চলছে।

    ৪) গ্রামীণ সড়ক যোজনায় ৯৯% কাজ হয়েছে।

    ৫) ২০১৪ সালে দেশে মেট্রো রেলপথ যেখানে মাত্র ২৪৮ কিলোমিটার ছিল, সেখানে ২০২৩ সালে তা দাঁড়িয়েছে ৮৬০ কিলোমিটার।

    ৬) ৭৪ টি নতুন অপারেশনাল বিমানবন্দর তৈরি হয়েছে ২০১৪ সাল থেকে।

    ৭) পরিকাঠামগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে অমৃত যোজনায় ৪,৮৩২টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে।

    ৮) ৩.২৮ লক্ষ কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তা তৈরি হয়েছে ২০১৪ সাল থেকে।

    ৯) ১১১ টি নতুন জলপথ তৈরি হয়েছে ন্যাশনাল ওয়েটার ওয়ে প্রকল্পে।

    ১০) উত্তরপ্রদেশের সরজু নাহার জলসেচ প্রকল্প, যা শিলান্যাস হয়েছিল ১৯৭৮ সালে, মোদি জমানায় তা সম্পূর্ণতা পেয়েছে।

    ১১) বিহারের কোশিরেল মহাসেতু, যার শিলান্যাস হয়েছিল ২০০৩-০৪ সালে, দু দশক পরে মোদি জমানায় তা বাস্তবায়িত হয়েছে।

    ১২) কেরলের কল্লাম বাইপাস প্রজেক্ট, যা শিলান্যাস হয়েছিল ১৯৭৫ সালে, ৫০ বছর পরে তা বাস্তবায়িত হল মোদি জমানায়।

    ১৩) বোগিবেল রেল কাম রোড ব্রিজ, ব্রহ্মপুত্র নদীর উপরে এই প্রকল্পের শিলান্যাস হয় ১৯৯৭ সালে। ২ দশক পরে তা বাস্তবায়িত হয়েছে মোদি জমানায়।

    ১৪) দেশের দীর্ঘতম অটল টানেলের (১০,০০০ ফুট) শিলান্যাস হয় ২০০০ সালে। সম্পূর্ণ হল মোদি জমানায়।

    ১৫) বিশ্বের বৃহত্তম উচ্চ রেল ব্রিজ কাশ্মীরের চেনাব ব্রিজ তৈরি হয়েছে মোদি জমানায়।

     

    আরও পড়ুন: মোদি জমানায় ব্যবসার আদর্শ পরিবেশ দেশে! ৯ বছরে স্টার্টআপ বেড়েছে ২৬০ গুণ

    আরও পড়ুন: মোদি জমানায় মজবুত অর্থনীতি, বছরে ৩১ কোটি মোবাইল উৎপাদন!

    আরও পড়ুন: ৯ বছরের মোদি জমানায় সফল বিদেশ ও সুরক্ষা নীতি, কাশ্মীরে বিলোপ ৩৭০ ধারা!

    আরও পড়ুন: মোদি সরকারের ৯ বছরে ১৫ টি নতুন এইমস, ৩৭ কোটি মানুষের স্বাস্থ্য বিমা!

     
  • Murshidabad: মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রথম দিনেই তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত সালার, আহত ১৪

    Murshidabad: মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রথম দিনেই তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত সালার, আহত ১৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রথম দিনেই উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ (Murshidabad)। ঘটনায় আহত প্রায় ১৪ জন। মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর দুই ব্লকের অন্তর্গত সালারে তৃণমূলের গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল আবার। পুরো এলাকা ঘিরে দিয়েছে পুলিশ-প্রশাসন। শান্তিরক্ষার আবেদন জানিয়েছেন বিধায়ক।

    মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) কী হয়েছে?

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সালারে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী কারা হবেন এবং মনোনয়নপত্র জমা কীভাবে দেওয়া হবে, তা নিয়েই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয় এবং আহত প্রায় ১৪ জন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। শুক্রবার পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী তালিকা তৈরি করা নিয়ে চূড়ান্ত বৈঠক চলছিল সালারে। সেই সময় এলাকার শিরিষতলায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রথমে বিবাদ শুরু হয়। পরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতি হয় এবং তারপরই তা ব্যাপক সংঘর্ষের রূপ নেয়। ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ও সালারের ব্লক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের দুই গোষ্ঠীর মধ্যেই বিবাদ বাধে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন সালার ব্লক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান। এরপর বিধায়ক ঘনিষ্ঠরা এসে ব্লক সভাপতি ঘনিষ্ঠদের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ ওঠে। হাতে গোনা কয়েকদিন বাদেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর তার আগেই সালারে ফের দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়েছেন মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা।

    কী বলেন বিধায়ক

    সালারের (Murshidabad) তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, আমি মিটিং-এ গিয়েছিলাম। যতটা সময় আমি উপস্থিত ছিলাম, কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। তিনি আরও বলেন, দলের নেতৃত্বে সরকার চলছে। সরকারের নেতৃত্বে রাজ্য নির্বাচন কমিশন কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, আমরা চাইব পঞ্চায়েত নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ভাবে হোক। দলের জন্য কোন্দল কাম্য নয়, আমাদের দলের প্রতি বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে। বিধায়ক আরও বলেন, সকল কর্মীকে বলব এই সময়ে নিজেদের সংযত হওয়া একান্ত প্রয়োজন। সকলের কথা ভেবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কোনও অসুবিধা হবে না কারও। আইনশৃঙ্খলা ঠিক যাতে থাকে, সেই বিষয়ে আমরা নজর রাখবো। অপর দিকে সালার তৃণমূল ব্লক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বলেছন, বক্ল অফিসে মিটিং-এর পরে আমি চলে আসি, বিধায়কের সঙ্গে আমার কোনও মতভেদ নেই। আগামী নির্বাচনে তৃণমূল ভালো ফল করবে বলে তিনি জানান। 

    তৃণমূলই যদি তৃণমূলের কাছে সুরক্ষিত না থাকে, তাহলে বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীরা কতটা গণতান্ত্রিক মত প্রকাশ করতে সুরক্ষিত থাকবেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছেে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kaliaganj: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে হাইকোর্ট রিপোর্ট তলব করতেই ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য

    Kaliaganj: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে হাইকোর্ট রিপোর্ট তলব করতেই ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বৃহস্পতিবারের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবার ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য। সোমবার হবে এই মামলার শুনানি।

    বৃহস্পতিবার কী নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি মান্থা? 

    প্রসঙ্গত, কালিয়াগঞ্জে নাবালিকা ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিয়ে বৃহস্পতিবারই রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেন। সিটকে রাজ্য পুলিশ অসহযোগিতা করছে, একথাও বলতে শোনা যায় বিচারপতিকে। বিচারপতি মান্থার এই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশনে বেঞ্চে গেল রাজ্য। রাজ্যের অভিযোগ, সিটে যাঁদের রাখা হয়েছে, অতীতে তাঁদের প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার ইতিহাস রয়েছে। 

    সিটে কারা রয়েছেন?

    কালিয়াগঞ্জে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ওই বিশেষ তদন্তকারী দলে ছিলেন বর্তমান আইপিএস দময়ন্তী সেন এবং দুই প্রাক্তন আইপিএস উপেন বিশ্বাস ও পঙ্কজ দত্ত। এই সিটকে সাহায্য না করার অভিযোগ উঠেছে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে। যা শুনে বৃহস্পতিবার অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি মান্থা। বৃহস্পতিবার বিচারপতি বলেন, ‘‘সিটকে পুলিশ সাহায্য করছে না বলে অভিযোগ উঠছে। ফলে বলতে হচ্ছে, রাজ্য নিজেই নিজের বিপদ ডেকে আনছে। সিট যাতে কাজ করতে না পারে সেই চেষ্টা করছে রাজ্য। এবার কি সিবিআইকে তদন্তভার দিলে ভালো হবে?’’ পুলিশ কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা রাজ্যের কাছে রিপোর্ট আকারে বৃহস্পতিবারই চেয়ে পাঠান বিচারপতি মান্থা।

    সিটের সদস্যই সিবিআই-এর পক্ষে সওয়াল করেছেন বৃহস্পতিবার

    বিশেষ তদন্তকারী দলের অন্যতম সদস্য হলেন উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস। তিনিও রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করেন বৃহস্পতিবার। সিটের পক্ষ থেকে প্রাথমিক রিপোর্টও (Kaliaganj) আদালতে (Calcutta High Court) জমা দেওয়া হয়েছে বলে গতকালই জানান তিনি। উপেন বিশ্বাস প্রাক্তন সিবিআই কর্তা। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘‘সব তথ্যের স্ক্রুটিনি করা হয়েছে। আমাদের কেউ সাহায্য করেনি। যদি ওই পরিবার ও রাজ্যবাসীর বিশ্বাস ফেরাতে হয়, তাহলে রাজ্য পুলিশের উপর নির্ভর করলে হবে না। সিবিআই-কে ছাড়া এই তদন্ত সম্ভব নয়।’’

    আরও পড়ুন: ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য, ১১ কোটি বাড়িতে জলের লাইন! অভাবনীয় সাফল্য মোদি সরকারের

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Transport: ১৯৫৭ সালে ২০ জন যাত্রী নিয়ে লন্ডন থেকে কলকাতায় এসেছিল ‘অ্যালবার্ট’?

    Transport: ১৯৫৭ সালে ২০ জন যাত্রী নিয়ে লন্ডন থেকে কলকাতায় এসেছিল ‘অ্যালবার্ট’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আচ্ছা, যদি প্রশ্ন করা হয়, কলকাতা থেকে লন্ডন আপনি কিসে যাবেন? সরল মনে উত্তর দেবেন, বিমানে। কিন্তু যদি বলা হয় কলকাতা থেকে বাসে করে লন্ডন যেতে? এটি কৌতূক বলে মনে হতেই পারে। কিন্তু না, এমনটাই নাকি সম্ভব ছিল অতীতে। ছিল এমন এক বাস, যে বাস কলকাতা থেকে লন্ডন পর্যন্ত যাতায়াত করত, যার যাত্রী সংখ্যাও কম ছিল না।

    কারা এই বাস পরিচালনা করত?

    ইতিহাসবিদদের কাছ থেকে পাওয়া নথি থেকে জানা যায়, এই বাসটি পরিচালনা করত ‘অ্যালবার্ট ট্যুর সার্ভিস’ নামক এক সংস্থা। সময়টা ১৯৫০ এর দশকে। বাসটির নামও ছিল ‘আলবার্ট’। এই বাসটি তৎকালীন সময়ে লন্ডন থেকেই শুরু করা হয়েছিল। সেই সময় এটিই ছিল বিশ্বের  দীর্ঘতম রুটের বাস।

    কবে থেকে এই বাস যাত্রা শুরু করে? কীভাবে শুরু হয় এর যাত্রা?

    জানা যায়, ১৯৫৭ সালের ১৫ এপ্রিল লন্ডন থেকে কলকাতার উদ্দেশে এই বাসটি তার প্রথম যাত্রা শুরু করে। তখন এর যাত্রী সংখ্যা ছিল ২০ জন। প্রায় ৪৫ দিনের মতো সময় লেগেছিল বাসটির কলকাতা পৌঁছাতে। ৮০০০ এর বেশি কিলোমিটার রাস্তা পেরিয়ে তার গন্তব্যস্থলে পৌঁছাত বাসটি। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, এটি ইংল্যান্ড থেকে শুরু করে বেলজিয়াম, পশ্চিম জার্মানি, অস্ট্রিয়া, যুগোস্লাভিয়া, বুলগেরিয়া, তুরস্ক, ইরান, আফগানিস্তান, পাকিস্তান হয়ে ভারতে এসে পৌঁছাত।

    কত খরচ হত এই বাসযাত্রায়? কেমন সার্ভিস দেওয়া হত এই বাসে?

    তৎকালীন সময়ে এই বাসযাত্রায় খরচ হত প্রায় ১৪৫ পাউন্ড। যা ভারতীয় মুদ্রায় তখন ছিল ১৩ হাজার থাকার কাছাকাছি। এর সাথে যাত্রীদের জন্য খাওয়া, থাকা এবং যথেষ্ট আরামদায়ক পরিবেশ ছিল বাসের ভিতরে। যেহেতু এতদূরের পথ ও এত দেশ পেরোতে হত, তাই বাসের ভিতরের আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে এর মধ্যে দেওয়া হয়েছিল ফ্যান ও হিটার। বাসের ফ্লোর ছিল পুরু কার্পেটে মোড়ানো এবং জানালা রঙিন পর্দায় মোড়া। 

    বাসটি কতদিন চলেছে এবং কীভাবে বন্ধ হয়ে যায় এর যাত্রা?

    নানান প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে এই বাসটি যাত্রা করত। টানা কয়েক বছর চলার পর বাসটি নানা ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং সাময়িক ভাবে এটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে ১৯৬৮ সালে ব্রিটিশ পর্যটক অ্যান্ডি স্টুয়ার্ট বাসটি কিনে নেন এবং নিজের মতো সাজিয়ে আবার এর যাত্রা শুরু করেন। জানা যায়, ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত এই বাসটি চালু ছিল। ভারত-পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী নানান সমস্যার কারণে এই বাসটিকে বন্ধ করতে বাধ্য হয় সংস্থা।

    তবে এর সত্যতা নিয়ে একটু দ্বন্দ্বও আছে। কেউ কেউ মনে করেন, এটি নিছক গল্প মাত্র। আবার কোনও কোনও ইতিহাসবিদদের মতে, এটি সত্য। বাস্তবে সেরকম কোনও প্রমাণ অবশ্য মেলেনি। কিন্তু বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন এবং পুরনো নথি থেকে নাকি জানা গিয়েছে, এই বাস সত্যিই চলত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Coromandel Express: আধার কার্ড থেকে জানা গেল, মৃতদেহটি তাঁদের নিখোঁজ ছেলের নয়!

    Coromandel Express: আধার কার্ড থেকে জানা গেল, মৃতদেহটি তাঁদের নিখোঁজ ছেলের নয়!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেল দুর্ঘটনায় মৃতদেহ নিয়ে নতুন করে জটিলতা। এক যুবকের মৃতদেহ কাকদ্বীপের এক নিখোঁজ যুবকের বলে পাঠিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু পরে জানা গেল, সেটি আদৌ কাকদ্বীপের নয়। শেষমেশ পরিচয় মেলায় ফিরে গেল সেই মৃতদেহ। অন্যদিকে, নিখোঁজ ছেলের সন্ধান না পেয়ে উদ্বিগ্ন কাকদ্বীপের পরিবার। তাঁরা শুধু কেঁদেই চলেছেন। 

    কী হয়েছিল?

    ওড়িশা রেল দুর্ঘটনার (Coromandel Express) পর প্রায় সাত দিন অতিক্রান্ত। কাকদ্বীপ বিধানসভার অন্তর্গত মধুসূদনপুর ৬৪ নম্বর বুথের পাঁচ সদস্যের মধ্যে দুজনের মৃতদেহ শনাক্তকরণ হয়েছে। কিন্তু বাকি ৩ সদস্যের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার বিকেলে কাকদ্বীপে একটি মৃতদেহ এসে পৌঁছায়। বলা হয়, সেটি নিখোঁজদের মধ্যে একজনের। প্রাথমিক ভাবে জানা যায়, নিখোঁজ ব্যক্তির (Coromandel Express) নাম শামসুল হুদা শেখ, বয়স আনুমানিক ৩০। মৃতের বাড়ির লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কাকদ্বীপ পুলিশ মর্গে ওই মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করার সময় পোশাকের মধ্যে থেকে একটি আধার কার্ড পাওয়া যায়। তাতে জানা যায়, মৃত ব্যক্তির নাম রাজা সাহানিয়া, বিহারের বাসিন্দা তিনি। তারপরই শুরু হয় জটিলতা। মৃতদেহ নিতে অস্বীকার করে শামসুল হুদার পরিবার। এভাবেই প্রথমে বিভ্রান্তি এবং পরে তার নিরসন হওয়ায় পরিবারের লোকজন তা গ্রহণ করতে পারলেন না। 

    কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবারগুলি

    অগত্যা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাতে মৃতদেহটি পাঠিয়ে দেওয়া হয় বালেশ্বরে (Coromandel Express)। সামসুল হুদা শেখ ছাড়া আরও যে দুজনের এখনও পর্যন্ত কোনও খোঁজ মেলেনি, তাঁরা হলেন আব্দুল মাজিত শেখ (৪৭) ও গিয়াসুউদ্দিন শেখ (৩৪)। তিনজনকে না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবারগুলি। এদেরই একটি পরিবারের আক্ষেপ, যাও বা পাওয়া গেল, সেটা আবার অন্য রাজ্যের মৃতদেহ। পরিবার সহ এলাকার মানুষজনের আক্ষেপ, সাত দিন কেটে যাওয়া সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত মৃতদেহ কেন পাওয়া যাচ্ছে না, তা তাঁরা বুঝে উঠতে পারছেন না। কবে এঁদের খোঁজ মেলে, সেই আশায় দিন গুনছেন পরিবারের লোকজন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Heat Wave: গরমে দেদার আইসক্রিম, ঠান্ডা পানীয়! বাড়ছে ভাইরাস ঘটিত জ্বর, কাশি

    Heat Wave: গরমে দেদার আইসক্রিম, ঠান্ডা পানীয়! বাড়ছে ভাইরাস ঘটিত জ্বর, কাশি

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    গরমে (Heat Wave) নাজেহাল আট থেকে আশি! তাপমাত্রার পারদ চড়ছে! তা থেকে রেহাই পেতে অনেকেই খাচ্ছেন আইসক্রিম, ঠান্ডা পানীয়! দিনের বেশির ভাগ সময় থাকছেন এসি ঘরে! আর তার জেরেই বাড়ছে বিপদ। বিশেষত, ভোগান্তি বাড়ছে শিশুদের।

    কোন ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা (Heat Wave)?

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, দিনে একাধিক আইসক্রিম, ঠান্ডা পানীয় খাওয়ার জেরে সর্দি-কাশির সমস্যা বাড়ছে। এই গরমে অনেকেই কাশির সমস্যায় ভুগছে। বিশেষত শিশুদের কাশি হলে, তা দীর্ঘদিন ধরে ভোগাচ্ছে। তাছাড়া গরম (Heat Wave) থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই এসি ঘরে থাকছেন। তার ফলে, ভাইরাস ঘটিত জ্বর হচ্ছে। সর্দি হলে তা ভোগাচ্ছে বেশি। ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকিও তৈরি হচ্ছে। বিশেষ করে শিশুদের জন্য তা আরও জটিল হয়ে উঠছে। কয়েক মাস আগে রাজ্যে অ্যাডিনো ভাইরাসের দাপটে লাখ লাখ শিশু নাজেহাল হয়ে গিয়েছিল। এই আবহাওয়া তাদের জন্য বাড়তি সমস্যা তৈরি করতে পারে। চিকিৎসকদের আশঙ্কা, যে সব শিশু অ্যাডিনোতে আক্রান্ত হয়েছিল, তারা অতিরিক্ত সময় এসিতে থাকলে, একাধিক আইসক্রিম খেলে, ফের ফুসফুসের সংক্রমণের শিকার হওয়ার বাড়তি ঝুঁকি থাকছে। 

    কীভাবে সুস্থ রাখবেন বাচ্চাদের (Heat Wave)? 

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, এই গরমে (Heat Wave) যেমন শরীর ঠান্ডা রাখার দিকে বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে, তেমনি নজর দিতে হবে সাময়িক স্বস্তি পাওয়ার জন্য যেন ভাইরাস ঘটিত সমস্যায় জর্জরিত হতে না হয়। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, একাধিক আইসক্রিম একেবারেই খাওয়া চলবে না। কারণ, তাতে আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাক ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। বাইরে মারাত্মক গরমে অতিরিক্ত ঠান্ডা খাবার, এই বৈপরীত্য শরীর মানিয়ে নিতে পারে না। তাই সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। বিশেষত, শিশুদের জন্য তাই বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে। 
    তাছাড়া ঠান্ডা পানীয় সম্পূর্ণ এড়িয় চললেই ভালো, জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ঠান্ডা পানীয় যে সব উপাদানে তৈরি, তাতে শুধু সর্দি-কাশির সমস্যা নয়, স্থূলতার সমস্যাও দেখা যায়। সর্দি-কাশির সাময়িক সমস্যার পাশাপাশি স্থূলতার মতো দীর্ঘকালীন সমস্যা তৈরি করে ঠান্ডা পানীয়। তাই শিশুদের সুস্থ রাখতে ঠান্ডা পানীয় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসক মহল।
    এসি ঘরে থাকার ক্ষেত্রেও সতর্কতা জরুরি বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। শিশুরা থাকলে, সেই ঘরের তাপমাত্রা কখনই ২৫-২৬ ডিগ্রির বেশি কমানো যাবে না বলে তাঁরা জানাচ্ছেন। তাছাড়া, অবশ্যই চাদর ব্যবহার করতে হবে। বিশেষত রাতে ঘুমনোর সময় এসি চললে, যাতে বাচ্চা চাদর ঢেকে ঘুমোয়, সে দিকে নজর দিতে হবে। তাছাড়া, একটানা এসি ঘরে না থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। 
    গরমে (Heat Wave) সুস্থ থাকতে পরিমাণমতো জল ও ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্যাকেটজাত ঠান্ডা পানীয়ের পরিবর্তে শিশুদের নিয়মিত ডাবের জল খাওয়ানো দরকার। তাতে একদিকে গরমে ডিহাইড্রেশন, সান বার্নের মতো রোগের ঝুঁকি কমবে, তেমনি তাদের আরাম হবে। পাশপাশি নিয়মিত তরমুজ, আমের মতো ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসক মহল। আর সর্দি-কাশি হলে একেবারেই অবহেলা করা যাবে না। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খেতে হবে। যাতে সংক্রমণ ফুসফুসের জটিলতা তৈরি করতে না পারে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BSF: অমৃতসরের পাক সীমান্তে মাদকভর্তি ড্রোন! গুলি করে নামাল বিএসএফ

    BSF: অমৃতসরের পাক সীমান্তে মাদকভর্তি ড্রোন! গুলি করে নামাল বিএসএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঞ্জাবের অমৃতসরে পাকিস্তানের ড্রোন উদ্ধার করল বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (BSF)। স্থানীয় রায় গ্রামে বৃহস্পতিবার মাঝ রাতে এই মাদক ভর্তি ড্রোন উদ্ধার হয় বলে জানা গিয়েছে। পাকিস্তান সীমান্তে রাত ১ টা ৩০ নাগাদ শব্দ পেয়ে অপারেশন শুরু করে বিএসএফ। তারপর ড্রোনটি দেখামাত্র গুলি করে নামায় তারা। এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

    আরও পড়ুন: ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য, ১১ কোটি বাড়িতে জলের লাইন! অভাবনীয় সাফল্য মোদি সরকারের

    কত হেরোইন উদ্ধার হল?

    সূত্রের খবর, ওই ড্রোনের মধ্যে ৫২৬০ গ্রাম হেরোইন ছিল। স্থানীয় প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে এই অপারেশনে নামে বিএসএফ। সবুজ দড়ি এবং হুক দিয়ে বাঁধা ছিল হলুদ প্যাকেটটি।

    আরও পড়ুন: হারানো জমি ফিরে পেতে পুরনো সঙ্গী বিজেপির হাত ধরছে দেবগৌড়ার দল?

    কী বলছেন বিএসএফ (BSF) আধিকারিক?

    বিএসএফের এক আধিকারিক বলেন, “পাকিস্তানের মদতে চলা এই ধরনের পাচারের কাজ আজ ভেস্তে দিতে সক্ষম হয়েছে বিএসএফ এবং পাঞ্জাব পুলিশ। তিনি আরও বলেন, “অপারেশনে একটি বড় প্যাকেট আমরা উদ্ধার করতে পেরেছি। তারপর তা খুলতেই পাঁচটি ছোট হেরোইনের প্যাকেট বেরিয়ে আসে। ড্রোনটিকে গুলি করে যেখানে নামানো হয়, সেটি হল একটি কৃষি ক্ষেত। পাঁচটি প্যাকেটে মোট হেরোইন পাওয়া গেছে ৫২৬০ গ্রাম।”

    আরও পড়ুন: করমণ্ডল কেড়েছে ছেলের প্রাণ, সেই ট্রেনে চড়ে দেহ আনতে গেলেন বাবা

     

    আরও পড়ুন: মোদি জমানায় মজবুত অর্থনীতি, বছরে ৩১ কোটি মোবাইল উৎপাদন!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Abhishek Banerjee: আদালত নির্দেশ দিলে অভিষেককে কান ধরে নিয়ে যাবে ইডি, বললেন সুকান্ত

    Abhishek Banerjee: আদালত নির্দেশ দিলে অভিষেককে কান ধরে নিয়ে যাবে ইডি, বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) তলব করল ইডি। ১৩ জুন ইডি অফিসে তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তৃণমূলের জনজোয়ার কর্মসূচিতে অভিষেক প্রথমে নদিয়ার কৃষ্ণনগরে রোড শো করেন। পরে, ধুবুলিয়াতে দলীয় কর্মসূচিতে তিনি যোগ দেন। সেখান থেকে নদিয়ার নাকাশিপাড়া, পলাশীপাড়া সহ কালীগঞ্জে একাধিক কর্মসূচিতে তিনি যোগদান করেন। সেখানেই ইডি-র নোটিশের বিষয়ে তিনি জানতে পারেন।

    ইডিতে হাজিরা নিয়ে কী বললেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)?

    ইডির নোটিশ প্রসঙ্গে অভিষেক (Abhishek Banerjee) বলেন, “এর আগে যখন আমাকে সিবিআই প্রায় আট ঘণ্টা অফিসে বসিয়ে রেখেছিল, আমি তদন্তে সম্পূর্ণ সাহায্য করেছি। এর পাশাপাশি অনুরোধ করেছিলাম, তৃণমূলের যে নবজোয়ার কর্মসূচি চলছে, তার মধ্যে যেন আমাকে না ডাকা হয়। কিন্তু, দেখা গেল, আমার স্ত্রীকে ডেকেও দীর্ঘক্ষণ জেরা করা হল। স্ত্রীকে ছেড়ে দেওয়ার পনেরো মিনিট পরই আমাকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক চক্রান্ত। তৃণমূলের নবজোয়ার কার্যত জনজোয়ারে পরিণত হয়েছে। আর তা দেখেই বিজেপি ভয় পেয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আমি তাদের সম্পর্কে কোনও খারাপ মন্তব্য করব না এবং দোষও দেব না। বিজেপি রাজনৈতিকভাবে আমার সঙ্গে পেরে না উঠে এই চক্রান্ত চালাচ্ছে। তবে যে কদিন জনজোয়ার কর্মসূচি রয়েছে, সেই কদিন আমার অন্য কোথাও যাওয়ার মতো সময় নেই। তারপর সামনে ৮ জুলাই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে আট ঘণ্টা কোথাও গিয়ে নষ্ট করার মতো সময় আমার হাতে নেই। ভোট মিটে যাওয়ার পর আমাকে যেদিন ডাকবেন, আমি সেদিনই যাব। তার আগে আমার পক্ষে যাওয়া সম্ভব নয়।”

    অভিষেক (Abhishek Banerjee) প্রসঙ্গে কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “কুকুরের লেজ তো সহজে সোজা হয় না। তাই, ইডি ডাকলে তো তিনি (Abhishek Banerjee) যাবেন না, এটাই স্বাভাবিক বিষয়। ইডির হাত থেকে বাঁচতে এত কিছু হচ্ছে। যাত্রা হচ্ছে, নবজোয়ারের নাটক হচ্ছে, পঞ্চায়েত ভোট হচ্ছে। ইডি এবার আদালতকে বিষয়টি জানাবে। আদালত কান ধরে নিয়ে আসার নির্দেশ দেবে। ইডি তখন কান ধরে নিয়ে আসবে। তখন দেখবেন ঠিক হাজির হয়ে যাবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share