Tag: Madhyom

Madhyom

  • Paschim Medinipur: তৃণমূলের নবজোয়ার শেষ হতেই জেলায় শুরু বিজেপির জনসম্পর্ক অভিযান

    Paschim Medinipur: তৃণমূলের নবজোয়ার শেষ হতেই জেলায় শুরু বিজেপির জনসম্পর্ক অভিযান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম মেদিনীপুরে (Paschim Medinipur) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার কর্মসূচি শেষ হতেই ময়দানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি এবং দলের কার্যকর্তারা। রবিবার থেকেই একাধিক জায়গায় কর্মসূচি করছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সামনেই পঞ্চায়েত এবং লোকসভার ভোট। আর তাকে লক্ষ্য করেই ময়দানে নেমে পড়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। বিজেপি এবার শুরু করে দিল জনসম্পর্ক অভিযান।

    পশ্চিম মেদিনীপুরে (Paschim Medinipur) কোথায় গেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি

    রবিবার কেশিয়াড়িতে জনসম্পর্ক সভা করেন সুকান্ত মজুমদার। তারপরই সোমবার সকালে ডেবরার (Paschim Medinipur) পিংলা ব্লক এলাকায় বিশেষ জনসম্পর্ক অভিযান করেন তিনি। গত ন-বছরে কেন্দ্রীয় সরকারের নানাবিধ প্রকল্প এবং সুবিধার কথা তিনি সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে বলার চেষ্টা করেন বলে জানা গেছে।

    কী বলেন সুকান্ত মজুমদার?

    রাজ্য সরকারের শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে পিংলায় (Paschim Medinipur) সুকান্ত মজুমদার বলেন, কাকু হোন বা ডাকু হোন, বাঁচবে না কেউ। মুখে কুলুপ দেন আর কুলপি নিন, যাই করে থাকুন না কেন, কীভাবে কথা বের করতে হয়, সিবিআই-ইডি সব জানে। সব কথা প্রকাশ পাবে, গোপনে কিছুই থাকবে না। সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, তখন গোটা দেশে ৫৪০ টির বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সেই সঙ্গে ১৪০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল এবং ৮০০ টির বেশি ঘটনায় লাইনচ্যুত হয় রেল। মুখ্যমন্ত্রী রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের পদত্যাগ দাবি করছেন! কিন্তু তার আগে তো ডবল ডবল পদত্যাগ করা উচিত মুখ্যমন্ত্রীর। কারণ রাজ্যে ডবল ডবল চাকরি হয়নি। এই প্রসঙ্গে সুকান্তবাবু আরও বলেন, এই মুখ্যমন্ত্রীর সময়েই জ্ঞানেশ্বরী রেল দুর্ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু এই দুর্ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট সামনে আসতে দেননি তিনিই। এর কারণ, মূলচক্রী মাওবাদী নেতা ছত্রধর মাহাতো এখন তাঁরই দলের লোক। ঠিক এই ভাবেই জনসম্পর্ক অভিযানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অগ্নিবাণ নিক্ষেপ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Primary Board: নিয়োগ-পরীক্ষায় বাইরের সংস্থাকে দিয়ে মূল্যায়ন? বিস্মিত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    Primary Board: নিয়োগ-পরীক্ষায় বাইরের সংস্থাকে দিয়ে মূল্যায়ন? বিস্মিত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ‘কনফিডেন্সিয়াল সেকশন’ বলে পরিচিত ‘এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি’-র বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, পর্ষদের বাইরে এমন এক সংস্থাকে কনফিডেন্সিয়াল সেকশন বলে অভিহিত করা যায় না। আইনে পর্ষদের (Primary Board) হাতে এই ধরনের কোনও ক্ষমতা দেওয়া আছে কিনা, তাও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি ওএমআর শিট মূল্যায়নকারী একটি সংস্থা। ২০২০ সালে প্রাথমিকে নিয়োগের একটি মামলার শুনানি ছিল সোমবার। সেখানেই এমন মন্তব্য করতে শোনা যায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে। তিনি এদিন এও জানান, আলাদা করে বাইরের কোম্পানিকে দিয়ে তথ্য যাচাই করা যায় না।

    আরও পড়ুন: কয়লা পাচার মামলায় ৮ জুন রুজিরাকে সিজিও-তে তলব ইডি-র

    এর আগেও বিষয়টি উল্লেখ করেছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মার্চ মাসে ২০১৪ সালের টেস্ট সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মানিক ভট্টাচার্যকে ভর্ৎসনা করে বলেছিলেন, কনফিডেন্সিয়াল সেকশন বলে যার উল্লেখ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (Primary Board) করছে, সেই এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের ঠিক কী সম্পর্ক ছিল? কেন এই সংস্থাকে কনফিডেন্সিয়াল সেকশন বলা হচ্ছে, এদিন তাও জানতে চান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যদিও পর্ষদ এদিন এর কোনও যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা দিতে পারেনি।

    প্রসঙ্গ সুজয়কৃষ্ণ……

    এই মামলার শুনানিতেই চলে আসে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের গ্রেফতারি প্রসঙ্গও। বিচারপতির বক্তব্য, “কোন ভদ্র না অভদ্র গ্রেফতার হয়েছেন, তা নিয়ে ভাবিত নই। কিন্তু ‘কনফিডেন্সিয়াল সেকশন’-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পর্ষদের হাতের বাইরে থাকা উচিত নয়।” প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক অতীতে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় একাধিক উল্লেখযোগ্য নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: কয়লা পাচার মামলায় মলয় ঘটককে দিল্লিতে হাজিরার নির্দেশ ইডি-র

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Coromandel Accident: শুরু হল ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্ত, কী বললেন কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি?

    Coromandel Accident: শুরু হল ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্ত, কী বললেন কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালেশ্বরের বাহানাগা স্টেশনের কাছে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার জন্য কে দায়ী? ভুল সিগন্যালের জন্য এই ঘটনা ঘটেছে, না এর পিছনে রয়েছে নাশকতা! সেই প্রশ্নই দেশবাসীর মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। ইতিমধ্যেই রেলমন্ত্রী এই দুর্ঘটনার সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছেন। রবিবার রাতে দুর্ঘটনাস্থলে রেলমন্ত্রী দাঁড়িয়ে থেকে মালগাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করে দেন। এবার এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার (Coromandel Accident) প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত শুরু করল রেল কর্তৃপক্ষ। সোমবার খড়্গপুরের জোনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি (সাউথ ইস্টার্ন সার্কেল) আনন্দ এম চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে একটি টিম ওই ট্রেন দুর্ঘটনার (Coromandel Accident) তদন্ত শুরু করল। এখানে মূলত ওই এলাকার প্রত্যক্ষদর্শীদের ডাকা হয়েছে। পাশাপাশি দুর্ঘটনার সময় ওই এলাকায় যে সমস্ত রেলকর্মী কর্তব্যরত ছিলেন, তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়। পাশাপাশি ঘটনার দিনের বেশ কিছু নথিপত্র চাওয়া হয়েছে। সেইসব নথিপত্র নিয়ে রেলের আধিকারিকরা এদিন তদন্ত কমিটির সামনে হাজির হন। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, আরও দুদিন ধরে এই জিজ্ঞাসাবাদ চলবে।

    কী বললেন কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি (সাউথ ইস্টার্ন সার্কেল)?

    প্রথম পর্যায়ের জিজ্ঞাসাবাদ এবং নথি সংগ্রহের পরেই সিআরএস আনন্দ এম চৌধুরী বলেন, তদন্তে নেমে সিগন্যালিং সিস্টেম, ইন্টারলকিং সিস্টেম সহ সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে ইতিমধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে বেশ কিছু নমুনা। আরও দিন তিনেক ধরে চলবে এই তদন্ত প্রক্রিয়া। তদন্ত শেষে রেল বোর্ডের কাছে জমা দেওয়া হবে রিপোর্ট। এদিন ট্রেন দুর্ঘটনার (Coromandel Accident) বিষয় নিয়ে পাঁচ-ছজন রেলকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী সাধারণ মানুষের সঙ্গে আমরা কথা বলব। এই ট্রেন দুর্ঘটনায় সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এবিষয়ে সিআরএস বলেন, এই তদন্তের সঙ্গেই চলবে সিবিআই তদন্ত। তাতে কিছু সমস্যা হবে না। এদিন এলাকার কিছু মানুষ এসেছেন। তাঁদের সঙ্গেও আমরা কথা বলব।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Murshidabad: সামশেরগঞ্জের আমবাগান থেকে দুই ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার, ব্যাপক চাঞ্চল্য

    Murshidabad: সামশেরগঞ্জের আমবাগান থেকে দুই ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার, ব্যাপক চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে বোমা উদ্ধারের ঘটনা ঘটেই চলেছে। গত সপ্তাহেই মুর্শিদাবাদের রানিনগরে ফলের বাগানে, রেজিনগরে পাট ক্ষেতে এবং ডোমকলে নদীর ধারে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল রাজ্যে। এই জেলায় (Murshidabad) ফের পঞ্চায়েত ভোটের আগে একটি আমবাগান থেকে তাজা বোমা উদ্ধার করল পুলিশ। তীব্র গরমে সাধারণ মানুষের জীবনে এখন বোমার আতঙ্ক যেন নতুন সংযোজন।

    মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) কীভাবে বোমা উদ্ধার?

    রাজ্যে সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর ঠিক তার আগেই ফের ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমার খোঁজ মিলল মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)। সোমবার সকাল সকাল এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে সামশেরগঞ্জ থানার হাউসনগর কৃষক বাজার সংলগ্ন এলাকায়। এদিন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হাউসনগর কৃষক বাজারের উল্টো দিকে একটি আমবাগানে হানা দেয় সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ। তারপর সেখান থেকেই উদ্ধার করা হয় দুই ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা। এরপর ঘটনাস্থলকে ঘিরে রেখে, খবর দেওয়া হয় বোম স্কোয়াডকে। কে বা কারা আমবাগানে বোমাগুলো রেখেছে, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ। দুই ব্যাগে প্রায় ১৫ টি বোমা থাকতে পারে বলেই অনুমান পুলিশের। এদিকে পঞ্চায়েত ভোটের আগে একের পর এক বোমা উদ্ধারের ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে সামশেরগঞ্জের রাজনৈতিক মহলে।

    এবার দেখা যাক, এর আগে জেলার কোথায় কোথায় বোমা উদ্ধার হয়েছিল।

    রানিনগরে (Murshidabad) বাগান থেকে উদ্ধার বোমা

    গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার রানিনগর (Murshidabad) থানার ইলসামারি এলাকায় একটি বাগানে তল্লাশি চালায় পুলিশ এবং তিনটি ব্যাগ ভর্তি সকেট বোমা উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চঞ্চলা ছড়ায়। কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছিল পুলিশ। বোম্ব স্কোয়াডকেও খবর দেওয়া হয়েছিল বোমগুলিকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য। কে বা কারা, কী কারণে এতগুলি বোমা বাগানের মধ্যে মজুত করে রেখেছিল, সেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    রেজিনগরে পাট ক্ষেতে বোমা উদ্ধার

    বেলডাঙা ২ রেজিনগর (Murshidabad) থানার বিকননগর কৈখালী সাঁকোর কাছে পাটের জমি থেকে উদ্ধার হয়েছিল ড্রাম ভর্তি তাজা সকেট বোমা। আর এই উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চলের সৃষ্টি হয় এলাকা জুড়ে। স্থানীয়রা ক্ষেতের মধ্যে বোমা দেখে, রেজিনগর থানায় খবর দিলে পুলিশ সেগুলিকে নিষ্ক্রিয় করার কাজ শুরু করে। এই ঘটনায় এলাকার চাষিরা জমিতে চাষ করতে গেলে ভয় পাচ্ছেন বলে জানা যায়।

    ডোমকলে নদীর ধারে বোমা উদ্ধার

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই ডোমকলে (Murshidabad) উদ্ধার হয়েছিল সকেট বোমা। আর একে ঘিরেই শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় মুর্শিদাবাদের ডোমকলের শিয়ালমারী ঘাটের ধারে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল সকাল নদীর ধারে একটি বাগান থেকে একটি বালতি বোঝাই সকেট বোমা উদ্ধার হয়। তারপরেই বোমার স্থানকে ঘিরে রাখে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Train Accident: বাড়ি তৈরির স্বপ্নপূরণ হল না গঙ্গারামপুরের সুমনের, গ্রামে ফিরল নিথর দেহ

    Train Accident: বাড়ি তৈরির স্বপ্নপূরণ হল না গঙ্গারামপুরের সুমনের, গ্রামে ফিরল নিথর দেহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়িতে বলে গিয়েছিলেন, ভিন রাজ্য থেকে কাজ করে টাকা নিয়ে এসে বাড়ি বানাবেন। বাড়ি ফিরে বিয়ে-থা করে সংসার করবেন। বাবা-মাকে দেওয়া সেই কথা রাখতে পারলেন না দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের ২২ বছরের সুমন রায়। ভিন রাজ্যে আর তাঁর যাওয়া হল না। বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা (Train Accident) তাঁর প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। রবিবার গঙ্গারামপুর থানার লালচন্দনপুর সর্বমঙ্গলা এলাকায় বাড়িতে এল তাঁর কফিনবন্দি দেহ।

    মৃত যুবকের পরিবারের পাশে বিজেপি নেতৃত্ব

    গত বৃহস্পতিবার চেন্নাইয়ে শ্রমিকের কাজ করতে এলাকার মোট পাঁচজন একসঙ্গে রওনা হয়েছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুমনের সঙ্গে সুমন রায় নামে আরও একজন ছিলেন, যাঁর এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে বাকি তিনজনের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। তাঁরা হলেন জয়ন্ত রায় (১৮), বিপ্লব রায় (২১) ও মনোজ রায় (১৮)। তিনজনই দুর্ঘটনায় (Train Accident) জখম হয়েছেন। জখমদের পরিবারের লোক ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও এখনও কেউ এলাকায় ফিরে আসেননি।

    এদিকে রবিবার দুপুরে গঙ্গারামপুরে মৃত যুবকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী। সঙ্গে ছিলেন দলের অন্যান্য সদস্যরা। দলের পক্ষ থেকে সবরকম ভাবে ওই পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়। স্বরূপ চৌধুরী বলেন, “রাজ্যে কর্মসংস্থান নেই। তাই, এই এলাকার বেশির ভাগ মানুষ ভিন রাজ্যে কাজ করতে যান। এই গ্রামে পাঁচজন ভিন রাজ্যে কাজে যাচ্ছিলেন। ট্রেন দুর্ঘটনার (Train Accident) পর পাঁচজন প্রথমে নিখোঁজ ছিলেন। পরে, চারজনের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। অসহায় এই পরিবারের পাশে আমরা সব সময় রয়েছি।”

    কী বললেন জেলাশাসক?

    এবিষয়ে জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, “শেষ পাওয়া খবর অনুয়ায়ী ট্রেন দুর্ঘটনায় (Train Accident) জেলার ১৪ জন ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তার মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি একজনের এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। আমরা জেলাস্তর ও দুর্ঘটনাগ্রস্ত এলাকা, দুই তরফেই খোঁজ নিচ্ছি। সব পরিবারের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছি। আমাদের জেলার কোনও যাত্রী যদি থাকে, তাহলে মালদা থেকে আনার জন্য বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

    কী বললেন মৃতের পরিবারের লোকজন?

    এই বিষয়ে মৃতের পরিবারের এক সদস্য বলেন, “রাজ্যে কাজ নেই। তাই, ভালো রোজগারের আশায় সুমন ভিন রাজ্যে কাজে যাচ্ছিল। কিন্তু, এভাবে সে কফিনবন্দি হয়ে বাড়ি ফিরবে, তা ভাবতে পারিনি।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • World Environment Day: গরমে পুড়ছে বঙ্গবাসী, কলকাতায় সবুজ কমেছে ৩০ শতাংশ!

    World Environment Day: গরমে পুড়ছে বঙ্গবাসী, কলকাতায় সবুজ কমেছে ৩০ শতাংশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাপমাত্রা পেরিয়ে যাচ্ছে ৪০ ডিগ্রির চৌকাঠ। গরমে অস্বস্তি প্রত্যেক দিন বাড়ছে! শুধুই অস্বস্তি নয়, আট থেকে আশি প্রবল গরমে অসুস্থও হয়ে পড়ছেন! প্রত্যেক বছর তাপমাত্রার পারদ যেমন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে, তেমনই কমছে কলকাতার সবুজায়ন! বিশ্ব পরিবেশ দিবসে (World Environment Day) এমনই রিপোর্ট প্রকাশ করল একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা!

    কী বলছে সমীক্ষা? 

    ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস (World Environment Day)! আর সেই উপলক্ষে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, দিল্লি, মুম্বই, হায়দরাবাদের তুলনায় অনেকটাই সবুজ কম কলকাতায়। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, কলকাতায় ২০১১ সালে সবুজে ঢাকা অংশ ছিল ২.৫ বর্গ কিলোমিটার। ২০২২ সালে তা কমে হয়েছে ১.৮ বর্গ কিলোমিটার। দিল্লি কিংবা মুম্বইয়ের মতো শহরের থেকে যা কয়েক গুণ কম। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, দিল্লিতে ২০১১ সালে ১৭৪.৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় গাছ ছিল। ২০২২ সালে তা বেড়ে হয়েছে বর্গ কিলোমিটার। একই ভাবে সবুজায়ন বেড়েছে মুম্বইয়েও। ২০১১ সালে মুম্বাইয়ে ১০১.৭ বর্গ কিলোমিটার এলাকা সবুজে ঢাকা ছিল। ২০২২ সালে তা বেড়ে হয় ১১০.৮ বর্গ কিলোমিটার। হায়দরাবাদে ২০১১ সালে ৩৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় বড় গাছ ছিল। ২০২২ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৮১.৮ বর্গ কিলোমিটার। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, যেখানে দিল্লিতে ১১ শতাংশ, মুম্বইয়ে ৯ শতাংশ এবং হায়দরাবাদে ১৪৭ শতাংশ সবুজায়ন বেড়েছে, সেখানে কলকাতায় গত এক দশকে ৩০ শতাংশ গাছ কমেছে।

    কী বলছেন পরিবেশবিদরা (World Environment Day)? 

    কলকাতার এই পরিসংখ্যান দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে বলেই মনে করছেন পরিবেশ কর্মীরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, যে হারে কলকাতায় গাছ কমেছে, তাতে কলকাতার আবহাওয়া আরও অস্বস্তিকর হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা। পাশপাশি, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টির মতো সমস্যাও বাড়বে। পরিবেশবিদরা জানাচ্ছেন, গত কয়েক বছর ধরেই কলকাতার তাপমাত্রা যেমন বাড়ছে, তেমনি কলকাতার বৃষ্টির ধরন বদলে যাচ্ছে। অসময়ে অতিরিক্ত বৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু কালবৈশাখীর দেখা মিলছে না। তাছাড়া ঝড়-বৃষ্টি হলেই বাজ পড়ছে। বজ্রপাত বেড়েছে। আর এই সব কিছুর জন্য গাছ কাটাই (World Environment Day) সবচেয়ে বড় কারণ বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা। 
    মুম্বই, দিল্লি বা হায়দরাবাদের মতো বড় শহরে গত এক দশক ধরেই পরিকল্পনা করে গাছ লাগানো হয়েছে। বছর দশেক আগেও মুম্বই কিংবা দিল্লিতে মে-জুন মাসের আবহাওয়া অস্বস্তিকর হয়ে উঠেছিল। তখন থেকেই সতর্ক হয়েছিল সরকার। একাধিক রাস্তার ধারে গাছ লাগানো শুরু হয়। এর ফল দশ বছর পরে পাওয়া যাচ্ছে। গাছ লাগানো ও তার নিয়মিত যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে গত এক দশকে দিল্লি ও মুম্বইয়ের মতো শহরে প্রশাসন যথেষ্ট নজর দিয়েছে। 
    এবছর কলকাতার তাপমাত্রার পারদ দিল্লি কিংবা মুম্বইকে এপ্রিলেই ছাপিয়ে গিয়েছে। কলকাতার গল্ফ গ্রিন থেকে যাদবপুর, গিরিশ পার্ক থেকে লেকটাউন, যেসব এলাকায় তুলনায় বেশি বড় গাছ ছিল, গত এক দশকে সেগুলো দেদার কাটা হয়েছে। রাস্তার পাশে গাছ লাগানোর কোনও পরিকল্পনা গত এক দশকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার করেনি। কলকাতা পুরসভার তরফেও বড় গাছ লাগানো ও তার যত্ন নিয়ে বিশেষ কোনও সক্রিয়তা দেখা যায়নি। বরং গাছ কাটার ছবি যত্রতত্র দেখা গিয়েছে। ফলে, এক দশকে বদলে গিয়েছে কলকাতার আবহাওয়া!

    কী বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা (World Environment Day)? 

    কলকাতার এই গরম কলকাতাবাসীর জন্য আরও বিপজ্জনক হতে চলেছে বলেই আশঙ্কা করছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, গরম তো শুধুই অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি করে না, গরমের জেরে নানান শারীরিক অসুবিধার আশঙ্কাও দেখা যায়। যেমন ডিহাইড্রেশন, ত্বকের সমস্যা, ঘুম কম হওয়া। এছাড়াও গরমের জেরে নানান ভাইরাস ঘটিত অসুখ হতে পারে। বিশেষত উচ্চ রক্তচাপ বা হৃদরোগের সমস্যা থাকলে, এই গরমে তাদের শারীরিক অসুস্থতার বাড়তি ঝুঁকি তৈরি হয়। তাই সব মহলেরই সচেতনতা (World Environment Day) জরুরি বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rujira Banerjee: দুবাই যাওয়ার পথে রুজিরাকে আটকানো হল বিমানবন্দরে! কেন জানেন?

    Rujira Banerjee: দুবাই যাওয়ার পথে রুজিরাকে আটকানো হল বিমানবন্দরে! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা বিমানবন্দরে অভিবাসন দফতরের বাধার মুখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা (Rujira Banerjee)। এদিন সকালে দুবাই যাওয়ার জন্য কলকাতা বিমানবন্দরে আসেন তিনি। সঙ্গে ছিল দুই সন্তান। কেন হঠাৎ বাধা দেওয়া হল? সূত্রের খবর, ইডির একটি মামলায় লুকআউট নোটিশ জারি করা হয়েছে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে, তার জেরেই তাঁকে আটকেছেন অভিবাসন দফতরের কর্তারা। তাঁদের দাবি, বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ রয়েছে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তৃণমূল অবশ্য পাল্টে দাবি করেছে, গত সেপ্টেম্বর মাসে ওই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট অভিষেক-রুজিরাকে (Rujira Banerjee) জানিয়েছিল, বিদেশ যাত্রায় তাঁদের কোনও বাধা নেই।

    ঘটনাক্রম……

    সোমবার সকাল সাতটা নাগাদ বিমানবন্দরে হাজির হন অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা (Rujira Banerjee)। জানা গেছে, তিনি দুবাই-এর বিমান ধরার জন্য আসেন। সঙ্গে ছিল তাঁর দুই সন্তান। বিমানে ওঠার আগে ইমিগ্রেশন কাউন্টারে যাওয়ার পর তাঁকে বলা হয়, তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না। কারণ তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ রয়েছে। এরপরে দীর্ঘক্ষণ অভিবাসন দফতরের ওয়েটিং রুমে বসে থাকতে দেখা যায় রুজিরাকে।

    আরও পড়ুন: ৫১ ঘণ্টা পর বালাসোরে গড়াল ট্রেনের চাকা! চোখে জল রেলমন্ত্রীর

    কী বললেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য

    বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের কথায়, “আমি জানি না কেন আটকানো হল। যদি বৈধ অনুমতির পরও তাঁকে আটকানো হয়, তাহলে অন্যায়। এয়ারপোর্ট অথারিটি তা দেখবে। কিন্তু যাঁরা প্রতিহিংসার তত্ব সামনে আনছেন, তাঁদের জন্য বলি যে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ জানেন প্রতিহিংসার অর্থ কী।”

    আরও পড়ুন: ট্রেন দুর্ঘটনায় বাইডেনের দুঃখ প্রকাশ! বিশ্বনেতাদের সাহায্যের আশ্বাস

    কয়লা পাচার মামলায় রুজিরাকে বেশ কয়েক দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি

    কয়লা পাচার মামলাতে এর আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে দিল্লিতে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যদিও দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজিরা দেননি রুজিরা। পরবর্তীকালে কলকাতায় তিনি হাজিরা দেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bongaon Blast: শৌচালয়ের মধ্যে বিস্ফোরণ, বনগাঁয় প্রাণ গেল ১২ বছরের কিশোরের, গ্রেফতার ২

    Bongaon Blast: শৌচালয়ের মধ্যে বিস্ফোরণ, বনগাঁয় প্রাণ গেল ১২ বছরের কিশোরের, গ্রেফতার ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোমা বিস্ফোরণে (Bangaon Blast) উড়ে গেল ১২ বছরের কিশোরের দেহ। বোমাটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে ঘটনাস্থল থেকে কয়েক ফুট দূরে ছিটকে গিয়ে পড়ে কিশোরের দেহ। সোমবার সাত সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থানার বক্সিপল্লি এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত কিশোরের নাম রাজু রায়। সে স্থানীয় একটি সাইকেল গ্যারাজে কাজ করত। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িতে সন্দেহে পুলিশ অসিত অধিকারী এবং বাপ্পা বিশ্বাস নামে দুজনকে গ্রেফতার করেছে। তবে, কী কারণে শৌচালয়ের মধ্যে বোমা রাখা হয়েছিল তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।

    কী করে ঘটনাটি ঘটল?

    পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় বাজি বিস্ফোরণে ভানু বাগ সহ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এই ঘটনার পর সক্রিয় হয়ে ওঠে পুলিশ। জেলায় জেলায় শুরু হয় তল্লাশি। বাজেয়াপ্ত করা হয় প্রচুর তাজা বোমা। পুলিশের সক্রিয়তার জেরে দুষ্কৃতীরা এখন বোমা বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ। বনগাঁর বক্সিপল্লি এলাকায় এমনই ঘটনা ঘটেছে। দুষ্কৃতীরা শৌচালয়ের মধ্যে বোমা লুকিয়ে রেখেছিল। সেখানেই এদিন সকালে রাজু শৌচকর্ম করতে গিয়েছিল। আচমকা বিস্ফোরণে (Bangaon Blast) তার মৃত্যু হয়।

    কী বললেন মৃত কিশোরের বাবা?

    মৃত কিশোরের বাবা প্রশান্ত রায় বলেন, ছেলে স্থানীয় একটি সাইকেলের দোকানে কাজ করত। এদিন সকালে ও আমার সঙ্গে ছিল। আমি একটি দোকানে রুটি কিনতে গেলাম। ওই শৌচালয়ে আমার ছেলে শৌচকর্ম করতে গিয়েছিল। আমি ওই দোকানেই ছিলাম। আচমকা শৌচালয় থেকে বিকট শব্দ শুনতে পাই। ছুটে গিয়ে দেখি, শৌচালয়ে বোমা বিস্ফোরণ (Bangaon Blast) হয়েছে। সেখান থেকে কয়েক ফুট দূরে ছেলের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। শরীরের সামনের অংশ ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে। নাক, মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। যে বা যারা এই ধরনের নৃশংস কাজ করল, আমার নিরীহ ছেলের প্রাণ কাড়ল, তাদের আমি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় মাদকের ব্যবসা রমরমিয়ে চলছে। কেউ ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারি না। কারণ, পুলিশের সঙ্গে সব সেটিং রয়েছে। ফলে, পুলিশও কিছু বলে না। বাড়ি থেকে সাইকেল, মোবাইল চুরির ঘটনা ঘটছে। ওই দুষ্কৃতীরা শৌচালয়ে বোমা রেখেছিল। সেই বোমা ফেটেই (Bangaon Blast) এই ঘটনা ঘটেছে। অবিলম্বে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। নাহলে এই ধরনের ঘটনা আরও ঘটবে।

    কী বললেন স্থানীয় কাউন্সিলার?

    ঘটনার পর পরই স্থানীয় কাউন্সিলার পাপাই রাহা ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। আগের থেকে এলাকায় দুষ্কৃতীর দৌরাত্ম্য অনেক কমেছে। কিছু দুষ্কৃতী রয়েছে। তবে, মর্মান্তিকভাবে কিশোরের মৃত্যুর ঘটনার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “মুখ্যমন্ত্রী লাশের ওপর দাঁড়িয়ে রাজনীতি করেন”, কেন বললেন সুকান্ত?

    Sukanta Majumdar: “মুখ্যমন্ত্রী লাশের ওপর দাঁড়িয়ে রাজনীতি করেন”, কেন বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত এবং জখমদের বেশিরভাগই পরিযায়ী শ্রমিক। এরাজ্যে কাজ না পেয়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস ধরে ভিন রাজ্যে শয়ে শয়ে রাজমিস্ত্রি কাজে যাচ্ছিলেন। পাশাপাশি এই তালিকায় রয়েছে ভেলোরে চিকিৎসা করতে যাওয়া বহু পরিবার। রবিবার সন্ধ্যায় পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ির কুকাই এলাকায় দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন,” বাংলায় কাজ নেই। তাই বাধ্য হয়ে এই রাজ্য থেকে শয়ে শয়ে ছেলেমেয়েকে কেরলে রাজমিস্ত্রির কাজে যেতে হচ্ছে। আর মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, এগিয়ে বাংলা! লজ্জা করে না একথা বলতে? আমি করমণ্ডল এক্সপ্রেসের অনেক যাত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা বলেছেন, চিকিৎসার জন্য তাঁরা ভেলোরে যাচ্ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্য কার্ডে এরাজ্যে ভালো চিকিৎসা মেলে না। এই রাজ্যে বেকারদের হাতে কাজ নেই। অসুস্থ মানুষদের ভালো চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। তাই, মানুষ বাধ্য হয়ে ভিন রাজ্যে যাচ্ছেন।”

    অভিষেককে নিয়ে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, “তৃণমূলের চোরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তাতেও দিদির (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) রাগ। কারণ, ভাইপোকে (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) কেন বার বার সিবিআই ডাকছে। চোরকে পুলিশ ডাকবে না তো কাকে ডাকবে? এবার আর শুধু ডাকবে না, তাঁকে আদর আপ্যায়ণ করে রাখার ব্যবস্থা করা হবে।”

    মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)?

    ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেল কর্তৃপক্ষকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন। কবজ ব্যবস্থা, সিগন্যালিং ব্যবস্থা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “রেলমন্ত্রী থাকার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু শিলান্যাস করে গিয়েছেন। তাঁর প্রিয় জায়গা ফুরফুরা পর্যন্ত রেললাইন পৌঁছে দেবেন বলেছিলেন। সেটা তিনি করতে পেরেছেন? রেলের গাফিলতি ছিল কি না সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে, তিনি যে সব অভিযোগ করছেন তা একেবারেই ভিত্তিহীন। আসলে লাশের ওপর দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী রাজনীতি করতে ভালোবাসেন। এখন এই ট্রেন দুর্ঘটনায় বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তাই, এখন লাশের ওপর দাঁড়িয়ে তিনি রাজনীতি করছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Train Accident: ৫১ ঘণ্টা পর বালাসোরে গড়াল ট্রেনের চাকা! চোখে জল রেলমন্ত্রীর

    Train Accident: ৫১ ঘণ্টা পর বালাসোরে গড়াল ট্রেনের চাকা! চোখে জল রেলমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ৫১ ঘণ্টার লড়াই শেষ। বালাসোরের রেল ট্র্যাকে গড়াল ট্রেনের চাকা। এমন একটি মুহূর্তে চোখে জল এল রেলমন্ত্রীর। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ওই রেলপথ দিয়ে রবিবার রাতে ডাউন লাইনে ট্রায়াল রান শুরু করল রেল। রাত দশটা চল্লিশ মিনিটে ডাউন লাইনে প্রথমে একটি মালগাড়ি চালান রেলের আধিকারিকরা। এরপর রাত ১১:৩৯ মিনিটে চালানো হয় আরও একটি মালগাড়ি। আপ লাইনে প্রথম ট্রেনটি চালানো হয় রাত ১২:০৫ মিনিটে। দুর্ঘটনার রাত থেকেই রেলমন্ত্রী একের পর এক উচ্চপদস্থ বৈঠক করতে থাকেন। পরের দিন সকালেই হাজির হয়ে যান বালাসোরের ময়দানে। কামরার ভিতরে ঢুকে উদ্ধারকাজ সরজমিনে খতিয়ে দেখা, লাইন মেরামতি সহ সব কিছুই করেছেন তিনি। টানা ৩৬ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে দুর্ঘটনাস্থলে (Train Accident) রয়েছেন অশ্বিনী বৈষ্ণব। ট্রেন ছোটার পর হাত জোড় করে প্রার্থনা করতে দেখা যায় আইআইটি পাশ রেলমন্ত্রীকে।

    ট্রেন চালুর পর কী বললেন রেলমন্ত্রী

    রেলমন্ত্রী বলেন, ‘‘ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী এখানে এসে উৎসাহ দিয়ে গিয়েছেন কর্মীদের কাজে গতি বাড়ানোর জন্য। ৫১ ঘণ্টার চেষ্টায় লাইন মেরামত করে আপ-ডাউন লাইনে তিনটি মাল গাড়ি চালানো হয়েছে। সোমবার সাতটি গাড়ি চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে।’’ এই সময় দুর্ঘটনায় নিহত এবং আহতদের প্রসঙ্গে কথা বলার সময় রেলমন্ত্রীর চোখে জল দেখা যায়। এদিন অশ্বিনী বৈষ্ণব আরও বলেন, ‘‘দায়িত্ব এখনও শেষ হয়ে যায়নি। যেসব পরিবার এখনও তাদের প্রিয়জনদের খোঁজ পায়নি, তারা যাতে তাড়াতাড়ি তাদের খুঁজে পেতে পারে, তা নিশ্চিত করাই এখন আমাদের লক্ষ্য।’’ প্রসঙ্গত, এই দুর্ঘটনায় (Train Accident) ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয় রেলের তরফ থেকে। যদিও রবিবার ওড়িশা সরকার জানিয়েছে মৃতের সংখ্যা ২৭৫‌। মৃতদেহ গণনার সময় একই দেহ একাধিকবার গোনার ফলে এই সংখ্যা ২৮৮ তে পৌঁছে যায়।

    আরও পড়ুন: ট্রেন দুর্ঘটনায় বাইডেনের দুঃখ প্রকাশ! বিশ্বনেতাদের সাহায্যের আশ্বাস

    শুক্রবার রাতেই পাল্টে যায় গোটা বালাসোর জেলার চিত্র

    হাহাকার, আর্তনাদ, লাশের স্তূপে শুক্রবার রাতেই বদলে যায় সমগ্র বালাসোর জেলার চিত্র। জানা গিয়েছে, এখনও শতাধিক মৃতদেহ চিহ্নিত করা যায়নি এবং তাদের পরিজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। এই মৃতদেহগুলিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ভুবনেশ্বরে। ওড়িশা সরকার ইতিমধ্যে ছবি প্রকাশ করেছে। এই ছবি দেখে কেউ নিকটাত্মীয়দের শনাক্ত করতে পারলে ১৯২৯ হেল্প ডেস্ক নম্বরে ফোন করতে বলা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর থেকেই বাহানাগা হাইস্কুল যেন পরিণত হয়েছিল আস্ত একটা মর্গে।এছাড়াও ওড়িশা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির একটি অস্থায়ী মর্গে রাখা হয়েছিল এই মৃতদেহগুলিকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share